বাংলাদেশে মুক্তচিন্তকদের উপর ধারাবাহিক হামলার সর্বেশেষ শিকার হলেন জাগৃতি প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপ শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক ও মুক্তমনা ব্লগার রণদীপম বসু এবং কবি ও সচলায়তন ব্লগার তারেক রহিম। সন্ধ্যায় আজিজ সুপার মার্কেটে হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হকের পুত্র জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার দীপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এর কয়েক ঘন্টা আগে রাজধানীর লালমাটিয়ার সি ব্লকে শুদ্ধস্বর কার্যালয়ে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে একই কায়দায় আক্রমণের স্বীকার হন টুটুল, রণদীপম ও তারেক রহিম। টুটুল ও তারেকের অবস্থা শংকাজনক। রণদীপম আশঙ্কামুক্ত। উল্লেখ্য যে, আহমেদুর রশীদ টুটুলের শুদ্ধস্বর অভিজিৎ রায়ের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইটি প্রথম প্রকাশক। এছাড়াও তার শুদ্ধস্বর প্রকাশনী থেকে অভিজিৎ রায়ের ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘সমকামিতা’, ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ এবং অনন্ত বিজয় দাশের ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও বিপ্লবঃলিসেঙ্কো অধ্যায়’,‘পার্থিব’ বইগুলো প্রকাশিত হয়েছে। রণদীপম বসুর ‘চার্বাকের খোঁজেঃভারতীয় দর্শন’ বইটিও শুদ্ধস্বর থেকে প্রকাশিত। ফয়সাল আরেফিন দীপের জাগৃতি ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইটির বর্তমান প্রকাশক, এছাড়াও অভিজিৎ রায়ের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইটিও জাগৃতি থেকে প্রকাশিত।
মৌলবাদের থাবায় আক্রান্ত মুক্তমনা প্রকাশক এবং লেখকরা
About the Author: মুক্তমনা সম্পাদক
অভিজিৎ রায় (১৯৭২-২০১৫)
যে আলো হাতে প্রগতির পথ চলতে গিয়ে আঁধারজীবীদের হাতে নিহত হয়েছিল অভিজিৎ রায়, সেই আলো হাতেই চলব আমরা যুক্তির পথে মুক্তির তরে, অবিরাম।
ব্লগারদের জন্য আত্তরক্ষার অভিনব কৌশল। প্রথম কথা আতংকিত হবেন না। সাভাবিক থাকুন। বাংলাদেশের রাস্তায় অনেক কুকুর আছে। কুকুর একটি অতি চমকপ্রদ প্রাণী। কুকুর ঘ্রান ক্ষমতার মাধ্যমে অনেক কিছু আগে থেকে বুঝতে পারে এবং নিজের মালিকের সুরক্ষারতে সে যেকোন কিছু করতে প্রস্তুত। কুকুর মানুষকে দেখলেই বুঝতে পারে। এটা একটি প্রমাণিত সত্য। সুতরাং একটি কুকুর পোষেন। আপনার অনেক ভাল সময় কাটবে এবং বডিগারড হিসাবে কাজ করবে। একবার ভেবে দেখুন প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলের অফিসে যদি তার পোষা দুটি কুকুর থাকত তাহলে কি হামলাকারীরা পারত তাদের এভাবে চাপাতি দিয়ে মারতে?অভিজিতের সাথে যদি একটি কুকুর থাকত? আর একটি বিশেষ ব্যপার হল খারাপ প্রক্রিতির মানুষ কুকুরকে অনেক ভয় পায়। জি, এটিও একটি প্রমাণিত সত্য। পাশাপাশি আত্ত রক্ষার জন্য তাইচি মারশাল আরট শিখুন। এতে আপনার জীবনেও অনেক উন্নতি হবে। সরকারের আশায় বসে থেকে লাভ কি। আমরা নিজেরাই পারি নিজেদের রক্ষা করতে। রাস্তার কুকুর বলার কারণ হল এরা আমাদের দেশের মানুষের মনোভাব খুব ভাল করে বুঝে। আমি নিজে দেখেছি কুকুর মানুষের কথা বুঝে। রাস্তার কুকুরকে কিছু খাবার দিয়ে একটু আদর করলেই আপনার জন্য পাগল হয়ে যাবে। কারণ তারা এটি সাধারনত পায় না।
মিথ্যা বিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখবার জন্যই চাপাতি, কিন্তু চাপাতির কোপে মিথ্যা কখনওই সত্য হবেনা
এরা আসলে মানুষ রূপে রক্ত চোষা পাণী
তনু অবস্তা ও কি ব্লগাদে মত হবে নাকি ,এ কোন সুষ্ঠু বিচার হবেনা
মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে কলম আর অস্ত্র দুটোই ধরতে হবে- Self Deffense, অকালে মরা বুদ্ধিজীবীর দাম শূন্য পয়সা……অনুসরণ করা যাক হামুরাবি কোড.
পশুর অধম এই মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে সূর্য সেন আর প্রীতিলতার মত অস্ত্র না ধরে কোন গতি নেই………….
বাচতে হলে এখন এসব মানুষদের উচিত আমেরিকান 2nd Ammendment follow করা. পাগলা কুওা কামড় দিলে তাকে মাটির ছয় ফুট নিচে পুতে ফেলা অতি জরুরি
এভাবে চলতেই থাকবে। যতদিন এদেশে আমরা মুখ বুজে থাকব, গোল্ডফিশ মেমরীর আমরা ভুলে যাব আমাদেরকে প্রতিনিয়িত, ততদিন এদেশে একটার পর একটা সচেতন চোখের পাতা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা শুধু চুপ করে দেখেই যাব কারণ এবারের ভিক্টিম আমি ছিলামনা 🙁
এই জাতির জন্য মুক্তচিন্তার প্রয়োজন নেই , এদের চাই রক্ত ।
বুকফাটা এইসব কষ্ট আর তো সহ্য হয় না। নামকরা কোন লেখক সাহিত্যিকদের তেমন কোন সংগঠিত প্রতিবাদ দেখলাম না এখন পর্যন্ত। এরা সম্ভবত পুরস্কারের লোভে প্রগতিশীল নামের কলঙ্ক। নিজেরা সভ্য হবেনা, অন্যদের প্রগতির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ওদেরকে করুনা করা ছাড়া করবার আর কিছু রইলো না।
বাংলাদেশের লেখক বুদ্ধিজীবিরা ভারতের মতন নিজেদের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে ব্লগার হত্যার প্রতিবাদ করুন | ভারত সরকার যেমন নড়েচড়ে বসেছে তেমনি বাংলাদেশ সরকারও নড়েচড়ে বসবে | চিন্তা নেই |
চন্ডিদাস কিংবা লালনশাহরা বেঁচে থাকলে তাদেরও বোধয় মানবধর্ম নিয়ে কথা বলার অপরাধে অকালেই চাপাতির হাতের উচ্চমর্গীয় সভ্যদের শিকারে পরিণত হতে হতো ।
রাজীব হাযদার ,অভিজিৎ রায় হয়ে সদ্য আরেফিন দিপেনকে হত্যার সাহস যুগিছে বর্তমান সরকারের বিচারে নির্লিপ্ততা । এই লাশের সারিতে ভবিষ্যতে আরো অনেককে নাম দেখা যাবে ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি কিভাবে এখনো নিজের গদিতে বসে আছে ? এতোগুলি একের পর এক হত্যাকান্ডের পর মিডিয়ার ও পত্রিকায় সুর দেয় যে দেশে না-কি কোন জংগিনাই। এদের কি চোখ অন্ধ হয়ে গেছে ? এদের কি লাজ-লজ্জার কি কোন বালাই নাই??
আর বাংলাদেশের মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় এমন সোনার টুকরাদের চাপাতি দিয়ে হত্যা করার পর একটি বাজে শব্দ ব্যবহার করে তাহলো “দূর্বৃত্ত” অথচ সবাই আমরা জানি এরা জামাতের মাস্তান,গুন্ডা ও সন্ত্রাসী বাহিনী। কি নির্লজ্জ্ব আমাদের দেশের তথাকথিত মিডিয়াপনা এবং মিডিয়াবুদ্ধিজীবি।
স্তব্ধ হওয়া,ভাষা হারা,অনিশ্চত হওয়ার এখন আর একবিন্দু চিন্তা করার সময় নেই।এখনই সবার যার যা আছে তা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামাতে ইসলামীকে প্রতিরোধের পাশাপাশি নিষিদ্ধের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সরকার কে আর একবিন্দু এবিষয়ে ছাড় দেওয়া মানে আমরা আমাদের আরো মুক্তমনা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী বন্ধুদের হারাব।
আর কেউ যদি মনে করে আমি তো নিরাপদে আছি তাহলে সে অন্ধবিশ্বাসের জগতে বাস করে। কারন অন্ধকারের শত্রুরা অনেক আগ থেকেই কালো লিষ্ট করে রেখেছে একের পর এক কাকে কাকে মারতে হবে।প্রথমে মুক্তমনাদের,তারপর বুদ্ধিজীবিদের,তারপর বামদের ,তারপর আওমীলীগদের এবং……… । যেমন ১৯৭১ এ ১৪ই ডিসেম্বর একই কাজ তারা সম্পন্ন করেছিল।তাই সাধু একেবারে সাবধান।
এখন কলমযুদ্ধের সাথে একজোট, ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবী।তানাহলে জাতিকে অনেক রক্তের মাশুল দিতে হবে।
কলম চলুক দূর্বার গতিতে,ছিন্নভিন্ন হউক সকল চিন্তার জড়তা………
বিদেশে গিয়ে মুসলমান নামধারী নবীর উম্মতরা শুয়োরের গোস্ত রান্না করে, কাফেরদের খাবারের প্লেট পরিস্কার করে অথবা কাফেরদের টয়লেট পরিস্কার করে পয়সা ইসকাম করে নিজ ও দেশে পরিজনের জীবিকা নির্বাহ করাতে পারে আরো পারে সেই অর্থে মসজিদ নির্মান করতে ।
কিন্তু
প্রকাশকরা অর্থের বিনিময়ে নাস্তিকদের বই প্রকাশ করলে কল্লা ফেলে দেয়ে হচ্ছে !!! কি বিচিত্র আচরণ !
মুক্তমনা মডারেটর , আমার আত্মরক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় পোষ্টটা ঠিক কোন কোন জায়গায় মুক্তমনার নিয়ম ভেঙেছে জানতে চাই । পাবলিক ব্লগ হিসেবে সব বিষয়ে স্পষ্টতা আশা করা যায় । ফুল, চুল, লতা , পাতা নিয়ে লিখলে কখনোই জানতে চাইতাম না ।
আর প্রতিবাদ জানানো , সরকারকে, পুলিশকে একে ওকে দোষ দেয়া ছাড়া মুক্তমনা থেকে ব্লগারদের সুরক্ষায় আর কি কি করা হয়েছে তা প্লিস বলবেন । নয়তো একসময় মুক্তমনার সম্পাদকযুথ , বাইরে থাকা লেখকরা আর কিছু সুশীল ছাড়া মুক্তমনায় লেখার কেও থাকবেনা । মুক্তচিন্তার আন্দোলনটার পুরো রিভার্স এফেক্ট পড়বে (এর মধ্যেই শুরু হয়েছে যদিও) । বাংলাদেশের অবস্থা যে আসলে কতটা খারাপ তা বাইরে থাকলে বোঝার বেশি উপায় নেই ।
একটা আন্তর্জাতিক সংগঠিত জঙ্গিগোষ্ঠিকে মোকাবিলা করার জন্য মুক্তমনার প্লান কি ? বা আদৌ কোন পরিকল্পনা আছে কি না তাও স্পষ্ট করে বলবেন । লিখে জঙ্গিদের থামানো যায় কি না, সেই হাইপোথিসিস প্রমাণ করার জন্য আর কত কোপ খাওয়া লাশ দেখতে হবে আপনাদের ? যুক্তি, বিজ্ঞান , কথা , লেখা দিয়ে কয়জন লেখক তাঁর খুনিদের না কুপিয়ে চলে যেতে বোঝাতে পেরেছেন ?
আর নয়ত মুক্তমনা তাদের ব্যানারে স্পষ্টভাবে বলে দিক, “বেশি বেশি শহীদ হন, মুক্তচিন্তার আলো জ্বালুন” । আমরা বুঝে নেব ।
দুই মাস আগেও সব মুক্তচিন্তার লেখককে সবসময় সাথে চাকু রাখার কথা বলেছিলাম, এখন দেখছি পিস্তল ছাড়া বেরুনো যাবেনা ।
চন্ডিদাস কিংবা লালনশাহরা বেঁচে থাকলে তাদেরও বোধয় মানবধর্ম নিয়ে কথা বলার অপরাধে অকালেই চাপাতির হাতের উচ্চমর্গীয় সভ্যদের শিকারে পরিণত হতে হতো ।এ কি আজব দেশে বসবাস করি আমরা।
নিরাপত্তাবাহিনী এ সব ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারছেন না কেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কে বলেছে আমরা পারছি না, আমরা অধিকাংশ সন্দেহভাজনকে আটক করেছি। তবে কেন হঠাৎ করে জঙ্গি মাথাচাড়া দিয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সরকার সঠিকভাবে সব মোকাবিলা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি কারওরই উচিত না ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া। ব্লগারদের আমরা বারবার অনুরোধ করেছি তারা যেন সংযতভাবে লেখে।’ (সূত্রঃ প্রথম আলো)
অশেষ ধন্যবাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়! আপনার পুরানো রেকর্ডারটির আবার বেজে ওঠার অপেক্ষাতেই ছিলাম!
তারপরও বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার বই প্রকাশ থেমে থাকবে না। সাময়িকভাবে একেবারে থেমে গেলেও সেটা কেবলই যেন ভবিষ্যতে আরো বেশি গতিতে শুরু করার জন্য হয়। তবে এটা আদৌ হবে কি না তা হয়ত পুরোপুরি নির্ভর করবে বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিদের দমনের ব্যাপারে সরকারকে বাধ্য করাতে পারে কি না তার উপর।
আন্সারুল্লাহর দায় স্বীকার। তাইতো, আমাদের অপরাধ অনেক!
https://twitter.com/ansaralislam4
https://pbs.twimg.com/media/CSp45SxWEAA7xMW.jpg
বলার ভাষা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। এই বর্বরতার শেষ কোথায়? কোন শুভবুদ্ধি কি রুখে দাড়ানোর মতো নেই?
অনেক চুপ করে থেকেছি, আর না। এবার প্রতিবাদের সময় হয়েছে। আমরা আমাদের নিজেদের আত্মরক্ষা করা শিখতে হবে। শুধু লিখলেই হবে না, তার সাথে চাই প্রতিরোধ। তাই আমি সকল মুক্তমনাদের বলছি শুধু লেখাই প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না, সাথে সাথে মাঠে নামতে হবে। সময় খুবই অল্প, কাজ অনেক বাকি।
এ দেশে এমন জঘন্যতম ঘটনার অবসান অসম্ভব যতক্ষন না আমরা আর আমাদের সরকার ব্যাক্তিস্বার্থ ও ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ স্বভাব ত্যাগ করে সত্যিকারের পরিত্রাণ চাচ্ছি।
হাজার বছরের মুক্ত, সহনশীল ও অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের অধিকারী একমাত্র ইসলামিক রাষ্ট্রটির অবস্থা দেখে খুব কষ্ট পাচ্ছি!! 😥 কোনো মুসলমান দেশেরই যে মুক্তমত ও চিন্তা ধারণ করার সহ্য ক্ষমতা নেই তা আরেকবার প্রমাণিত হল।
যারা এখনো আশা করছেন সেইসব বাঙালি জাতীয়তাবাদী মুক্তমনাদের জন্য করুনাই হচ্ছে।
হাসিনার ভাষ্য মতে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এইসব হত্যাকাণ্ড হাসিনাই কি তবে তার সুবোধ ছেলেদের হাতে ঘটাচ্ছে?
এসব মানুষদের জন্য আজকে আমাদের দেশ হিংসার অন্ধকার নিমজ্জিত।মানবতা ও বিবেক এদের কাছে বিন্দুমাত্র নেই।যখনই শুনি লেখক ও ব্লগারদের আক্রমণ করা হয় তখনি আর বলার ভাষা হারিয়ে যায়।মুক্তচিন্তার দ্বার যেন এই দেশে বন্ধ।
সাত দিন আগে দীপন ভাইকে ফোন দিলাম। বললাম, ভাইয়া অবিশ্বাসের দর্শনটা তো নেই চার মাস ধরে। নতুন কপি ছাপেন না। বললো, এখন না। পরিস্থিতি শান্ত হোক। আমি নিরাপদে আছি তাই উনাকে চাপ দেই নি। পরিস্থিতি আর কখনও শান্ত হবে না দীপন ভাই। বাংলাদেশে আপনার মতো প্রকাশকের জায়গা নেই। আমরা হয় দেশ ছাড়বো নতুবা জবাই হয়ে পড়ে থাকবো।
তারেকের রহিমের সার্জারি হয়ে গেছে বলে শুনলাম। এখন অবজারভেশনে আছেন। রণদা আপাতত আশংকামুক্ত।
বাংলাদেশে একের পর এক মুক্তমনের মানুষদের হত্যা প্রমাণ করে যে সরকার অতীতের ঘটনা গুলোয় জড়িত দাবী করে যাদের গ্রেফতার করেছে তারা হয় ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়, অথবা একবারেই তৃণমূল পর্যায়ের অপরাধী। মূল হোতারা বারবারই পর্দার পেছনে থেকে ঠিকই তাদের অপরাধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার আন্তরিক হলে এদের কেউ না কেউ এতদিনে ধরা পড়তো।
আমাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ঘাতকদের চাপাতি বা বুলেট কেড়ে নিতে পারবে না। অন্ধবিশ্বাস, অনাচার আর যুক্তিহীনতা থেকে মুক্তির ধারা চালু আছে, থাকবে।
What the heck is going on? The government is totally failed to protect the civilians. My heart goes out to the victim’s family. It’s quite unacceptable that secular bloggers are being hacked to death in such a horrible way. I’m pretty sure God doesn’t have a Facebook.
Free thinker
এই হত্যা কাপুরুষের কাজ। এরা পশুদের-ও অধম। নিন্দার ভাষা জানা নেই। কিন্ত এটা জানি একদিন এই কসাই মৌলবাদীদের সমাধি বাংলার বুকেই হবে। বিশ্বের সমগ্র দেশের বিবেকবান মানুষের কাছে আবেদন, আপনারা এই ঘটনার প্রতিবাদ করুন। বাংলাদেশ সরকার অন্ধ হয়ে সব দেখছে।
আমি বাকরুদ্ধ! ক্ষুদ্ধ। গভারভাবে শোকাহত। কোথায় যাচ্ছে দেশ? মক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি কি এখনো নিষ্পৃহ থাকবে? এ নরপশুদের থামানোর কোন অর্থবহ আন্তরিক প্রযাস কি এ সরকার নেবে না? নাকি নাস্তিক আখ্যায়িত হওয়ার ভয়ে সরকার তার নিষ্ক্রীয়তার মাধ্যমে এ খুনীদের মৌণ সম্মতি জানিয়ে যাবে? কিন্তু তারাতো অহরহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে। কিন্ত সব কিছুরই শেষ আছে, ধৈর্য্যরও একটি সীমা আছে।
এই আক্রমণের, হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। দেশে মানুষ থাকলে এই পশুদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার কথা। কিন্তু মনে হয় না দেশে মানুষ আছে, আছে শুধু মুসলমান! দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য মুক্তমনার পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাই। টুটুল, রণদীপম আর রহিমের আশু সুস্থতা কামনা করছি। মুক্তমনাদের জয় হবেই। মুক্তি আসবে যুক্তির আলোতেই।
কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। আমি নিশ্চিত এখনো হাসিনা বলবে এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, দেশে কোন জঙ্গি নেই। দেশের মানুষ রুখে না দাঁড়ানো পর্যন্ত কিছুই হবেনা। আজ ওরা অভিজিৎ, অনন্ত, দীপনদের মারছে, কালই অন্যদের মারবে।