Avijit_Roy

১২ই সেপ্টেম্বর ধর্মনিরপেক্ষ, মানবতাবাদী লেখক অভিজিৎ রায়ের চুয়াল্লিশতম জন্মদিন। এ-বছর ২৬শে ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে ইসলামি জঙ্গিদের চাপাতির আঘাতে নিহত হবার আগ অবধি মুক্তমনা প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত কর্মমুখর ছিলেন বিজ্ঞান, মুক্তচিন্তা, মানবতাবাদ, সাহিত্য সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের মুক্তচিন্তার আন্দোলনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। তিনি শুধু অনলাইনেই লেখালিখি করেন নি, লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন দশটি বই। তিনি ছিলেন, আছেন ও থাকবেন সারা বিশ্বের মুক্তচিন্তক, স্বাধীনচেতা ও উদারমতাবলম্বীদের পথিকৃত হয়ে।

সংক্ষিপ্ত কিন্তু সুতীব্র এই জীবনে অভিজিৎ রায় তার কর্ম ও লেখালিখির মাধ্যমে মুক্ত চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করেছেন অসংখ্য মানুষকে। পেরোতে শিখিয়েছেন প্রচলিত কুসংস্কার আর ধর্মান্ধতার গণ্ডি। শারীরিক ভাবে অভিজিৎ রায় আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আমরা যারা অভিজিৎ এর আলোর একটু হলেও ধারণ করি বুকে, তারা আয়োজন করেছি তার চুয়াল্লিশ তম জন্মদিনকে উদযাপনের। এই উদ্‌যাপন, শুধুই অভিজিৎ রায়ের স্মৃতির প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন নয়, এই উদযাপন আমাদের পক্ষ থেকে সদর্প ঘোষণা, “দেখ যেই আলো জ্বালতে জীবন দিলেন অভিজিৎ, সেই আলো আজ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে”!

উদ্‌যাপনের অংশ হিসাবে আপনাদের অর্থাৎ মুক্তমনার পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ীদের কাছে অভিজিৎ রায় কিভাবে তাদের ভাবনাকে নাড়া দিয়েছেন, কিংবা কিভাবে তাদের চিন্তা-চেতনায় আমূল পরিবর্তনে প্রভাব রেখেছেন সেই সব স্মৃতিচারণমূলক লেখা আহবান করি আমরা। এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের সেই আহবানে অভূতপূর্ব সাড়া পাই। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আমরা একটি বাংলা ও একটি ইংরেজী ওয়েবপেজ প্রকাশ করেছি যেগুলো সাজানো হয়েছে অভিজিৎ রায়ের জীবন, কর্ম, লেখা-লিখি এবং সেই সাথে তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আপনাদের পাঠানো লেখাগুলো দিয়ে। প্রাথমিকভাবে এখান থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা নিয়ে প্রকাশ করা হবে ই-বুক। যেটা আগামী বই মেলায় প্রকাশিত হবে অভিজিৎ রায় স্বারক গ্রন্থ হিসাবে। এ ছাড়া আমরা অভিজিৎ রায়ের দুইটি বই ই-বুক আকারে সম্পূর্ণ ফ্রীতে প্রকাশ করছি পাঠকের জন্য।

এই ঘোষণা পোস্টটি শেষ করছি ড. অভিজিৎ রায়ের একটি প্রিয় উক্তি দিয়ে-

“মুক্তি আসুক যুক্তির আলোয়”

মুক্তমনা সম্পাদক।