আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবুও আনন্দ, তবুও অনন্ত জাগে।।
তবুও প্রাণ নিত্যধারা, হাসে চন্দ্র সূর্য তারা,
বসন্ত নিকুঞ্জ আসে বিচিত্র রাগে।
গানের কথাগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপন জীবন দিয়ে অনুধাবন করে লিখেছিলেন। তাঁর মতো চোখের সামনে এতগুলো আপনজনের মৃত্যু বিশ্বের দ্বিতীয় কোনো কবি-সাহিত্যিক দেখেছেন কিনা সন্দেহ! কোনো সাধারণ মানুষের জীবনেও এত মৃত্যুঘটিত ঘটনা ঘটেছে বলে শুনিনি কখনও। এর দুটি কারণ হতে পারে– এক. রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকপালে ছিলেন; দুই. রবীন্দ্রনাথ নিজে যথেষ্ট বেঁচেছিলেন বলে আয়ুর ভাগে কাছের মানুষরা বড্ড ঠকেছে! ঘটনা যাই হোক, যে কোনো মানুষের জন্য এত ঘন ঘন মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা বেশ মুশকিল। আর নির্ঘাত পাষণ্ড প্রকৃতির না হলে তো সৃজনশীল কোনো কাজে মন বসবারই কথা না! অথচ রবীন্দ্রনাথ যে পাষণ্ড ছিলেন না সেটি তাঁর চরিত্রের প্রমাণসিদ্ধ দিক। তারপরও মৃত্যু তাঁর সৃজনশীল কাজে– কী সঙ্গীত, কী সাহিত্য, কী চিত্রকলা– কোনোখানেই এতটুধু বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। উল্টো কোথাও কোথাও ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করেছে। তার মানে কি তিনি মৃত্যুতে কষ্ট পাননি? আলবৎ পেয়েছেন। প্রায় প্রতিটা মৃত্যুই তাঁকে গোড়াশুদ্ধ নাড়িয়ে গেছে, তারপরও তিনি কেমন করে যেন সব ব্যাথা-কষ্ট ছাড়িয়ে সৃষ্টির আনন্দে মেতে উঠেছেন। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁর ব্যক্তিজীবনের সমস্ত হাহাকার। না পাওয়ার যন্ত্রণা। রবীন্দ্রনাথের মানস চরিত্রের এই রহস্যজনক অধ্যায়কে তাঁর জীবনীকার প্রশান্তকুমার পাল ব্যাখ্যা করেছেন এই বলে– ‘অনেক আত্মীয়-বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনায় রবীন্দ্রনাথকে নীরব অচঞ্চল দেখে আমাদের অনেকের হয়ত মনে হয়, তিনি হয় নিষ্ঠুর নতুবা নির্বিকার–কিন্তু মৃত্যুকে যিনি এই দার্শনিক পটভূমিকায় দেখেন, তাঁকে বিচার করার মানদণ্ডটিই তো আলাদা হওয়া উচিৎ।’ বটেই। রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকে দার্শনিক বেশে পর্যবেক্ষন করেছেন সেটা তাঁর রচিত মৃত্যুনির্ভর গান-কবিতা ও পত্র পড়েই আন্দাজ করা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রায় আশি বছরের জীবনে পরম স্নেহময়ী মা-বাবা, প্রিয় ভাই-বোন, প্রাণপ্রিয় বৌদি, প্রেমময়ী স্ত্রী, প্রিয়তম ছেলে, মেয়ে, নাতি, ভাইপোসহ আরও অনেক ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুস্থানীয় মানুষের মৃত্যু দেখেছেন। রবীন্দ্রনাথের মা সারদাসুন্দরী দেবী যখন মারা যান তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স মাত্র ১৩ বছর ১০ মাস। কাল ২৭ ফাল্গুন, ১২৮১ বঙ্গাব্দ (১০ মার্চ ১৮৭৪)। মার মৃত্যু নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন– ‘প্রভাবে উঠিয়া যখন মা’র মৃত্যুসংবাদ শুনিলাম তখনো সে-কথাটার অর্থ সম্পূর্ণ গ্রহণ করিতে পারিলাম না। বাহিরের বারান্দায় আসিয়া দেখিলাম, তাঁহার সুসজ্জিত দেহ প্রাঙ্গণে খাটের উপর শয়ান। কিন্তু মৃত্যু যে ভয়ংকর সে-দেহে তাহার কোনো প্রমাণ ছিল না– সেদিন প্রভাবের আলোকে মৃত্যুর যে-রূপ দেখিলাম তাহা সুখসুপ্তির মতোই প্রশান্ত ও মনোহর।’ [জীবনস্মৃতি] তবে রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকে আরও গভীর করে চিনলেন চব্বিশ বছর বয়সে এসে তাঁর বউঠাকরুন, বড় ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী, কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। উল্লেখ্য, তিনি আফিম খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। সময় তখন ৮ বৈশাখ ১২৯১ বঙ্গাব্দ (১৯ এপ্রিল ১৮৮৫)। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনস্মৃতিতে লিখেছেন– ‘আমার চব্বিশ বছর বয়সের সময় মৃত্যুর সঙ্গে যে পরিচয় হইল তাহা স্থায়ী পরিচয়। তাহা তাহার পরবর্তী প্রত্যেক বিচ্ছেদশোকের সঙ্গে মিলিয়া অশ্র“র মালা দীর্ঘ করিয়া গাঁথিয়া চলিয়াছে।’ এ থেকে বোঝা পরবর্তী জীবনে মৃত্যু এসে রবীন্দ্রনাথের বিরহব্যথা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এরপর রবীন্দ্রনাথের পরিবারে মারা যান তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র, বীরেন্দ্রনাথের একমাত্র সন্তান, বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কাল ৩ ভাদ্র ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (১৯ আগস্ট ১৮৯৯)। বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে লেখা রবীন্দ্রনাথের এক পত্র থেকে জানা যায় এ-সময় রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী শিলাইদহে ছিলেন। তিনি লেখেন– ‘বলুর মৃত্যু হইয়াছে। কলিকাতায় থাকা আমার পক্ষে কষ্টকর হইয়াছে। বিশেষতঃ আমার স্ত্রী শিলাইদহে অত্যন্ত শোক অনুভব করিতেছেন, বলুর প্রতি তাঁহার একান্ত স্নেহ ছিল।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় সন্তান নীতীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান ২৭ ভাদ্র ১৩০৮ বঙ্গাব্দে। তিনি লিভার রোগে ভুগছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে পুত্রের মতো ভালোবাসতেন। এই মৃত্যুর চার মাস যেতে না যেতেই রবীন্দ্রনাথ হারান তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে, তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে। কাল অগ্রহায়ণ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ (২৯ নভেম্বর ১৯০২)। এই মৃত্যুর পরপরই তিনি নিজেকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্যই হোক আর সত্যি সত্যি অনুভব করেই হোক ব্রজেন্দ্রকিশোর দেবমাণিক্যকে লিখেছিলেন– ‘ঈশ্বর আমাকে যে শোক দিয়েছেন সেই শোককে তিনি নিষ্ফল করিবেন না– তিনি আমাকে এই শোকের দ্বার দিয়া মঙ্গলের পথে উত্তীর্ণ করিয়ে দিবেন।’ এরপর তিনি বহু কবিতা ও পত্রে স্ত্রী বিয়োগের শোক পাতলা করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এই মৃত্যুর এক বছর অতিক্রম করার আগেই রবীন্দ্রনাথ হারান তাঁর প্রাণপ্রিয় মেজো মেয়ে রেণুকা দেবীকে। এটাই ছিল কবির প্রথম সন্তানশোক। কাল ২৮ ভাদ্র ১৩১০ (১৪ সেপ্টেম্বর ১৯০৩)। রেণুকা যক্ষ্মায় ভুগছিলেন। এরপর রবীন্দ্রনাথ হারান পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। কাল ৬ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ। রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতাকে আদর্শ মানতেন। পিতার মৃত্যুর পর তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের হাল ধরেন তিনি। পিতার মৃত্যুর বছর দুয়েক পূরণ হওয়ার কিছু আগে রবীন্দ্রনাথ হারান তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। কাল ৭ অগ্রহায়ণ ১৩১৪। শমীন্দ্রনাথ মারা যান কলেরায়। প্রভাবকুমার মুখোপাধ্যায় জানান যে, শমীন্দ্রনাথ পিতার (রবীন্দ্রনাথের) খুবই প্রিয় ছিল। এই মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ প্রকাশ্যে শোকপ্রকাশ করা প্রায় পরিত্যাগ করলেন। ধরে নেওয়া হয়, এই মৃত্যুর পরপরই তাঁর ভেতর মৃত্যুবিষয়ক এক আধ্যাত্মিক চিন্তা পাকাপাকি ভাবেই আবাস গাড়ে। এজন্যই তিনি কাদম্বিনী দত্তকে লিখতে পারলেন– ‘ঈশ্বর আমাকে বেদনা দিয়াছেন কিন্তু তিনি ত আমাকে পরিত্যাগ করেন নাই– তিনি হরণও করিয়াছেন পূরণও করিবেন। আমি শোক করিব না– আমার জন্যও শোক করিয়ো না।’ এরপর রবীন্দনাথ তাঁর পরিবার থেকে হারান বড় মেয়ে মাধুরীলতা দেবী, জ্যোষ্ঠ ভ্রাতা সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রিয় বড়ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। কাল পর্যায়ক্রমে ২ জ্যৈষ্ঠ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ, ১৬ মাঘ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ ও ২০ ফাল্গুন ১৩৩১ বঙ্গাব্দ। রবীন্দ্রনাথের বড় দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান ৪ মাঘ ১৩৩২ বঙ্গাব্দে। ও দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা যান ৮ নভেম্বর ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে। এরপর রবীন্দ্রনাথ তাঁর পরিবার থেকে আরও হারান তাঁর একমাত্র নাতি নীতীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, ভাই গুণেন্দ্রনাথের পুত্র গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দাদা সত্যেন্দ্রনাথের পুত্র সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
রবীন্দ্রনাথের পরিবারের আপনজনেরা একদিকে যেমন পন করে সামিল হচ্ছিলেন মৃত্যুমিছিলে, অন্যদিকে বন্ধু ও কাছের মানুষরাও কি এক অজানা কারণে একটার পর একটা সেই মিছিলে নাম লেখাচ্ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের চোখের সামনে গত হয়েছেন পর্যায়ক্রমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (৮ এপ্রিল ১৮৯৪), বিহারীলাল চক্রবর্তী (২৪ মে ১৮৯৪), স্বামী বিবেকানন্দ (৪ জুলাই ১৯০২), প্রিয়ভাজন শিক্ষক সতীশচন্দ্র রায় (১ ফেব্র“ ১৯০৪), প্রিয় বন্ধু মোহিতচন্দ্র সেন (৯ জানু ১৯০৬), বন্ধু শ্রীশচন্দ্র রায় (৮ নভে ১৯০৮), রজনীকান্ত সেন (১৩ সেপ্টে ১৯১০), একসময়ের ঘনিষ্ট বন্ধু দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৭ মে ১৯১৩), অত্যান্ত প্রিয়পাত্র সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (২৪ জুন ১৯২২), স্নেহধন্য সুকুমার রায় (১০ সেপ্টে ১৯২৩), বিদেশি বন্ধু উইলিয়ম উইনস্ট্যানলি পিয়ার্সন (২৫ সেপ্টে ১৯২৩), বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস (১৬ জুন ১৯২৫), আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু (২৩ নভে ১৯৩৭), শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৬ জানু ১৯৩৮) এবং সহকর্মী কালীমোহন ঘোষসহ আরও অনেকে।
এমনি করে মৃত্যু এসে বারবার বাংলার এই মহান কবিকে শাসিয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথ নির্লজ্জের মতো গেয়ে উঠেছেন– ‘রাহুর মতন মৃত্যু/ শুধু ফেলে ছায়া,/ পারে না করিতে গ্রাস জীবনের স্বর্গীয় অমৃত/ জড়ের কবলে/ এ কথা নিশ্চিত মনে জানি।/ […]’ মৃত্যুও যেন নাছোড় বান্দা! সেও অধীর ধের্য্যে তার পরীক্ষাটা চালিয়ে গেছে। যাকে বলে শেয়ানে শেয়ানে টক্কও, তেমনটিই ঘটেছে মৃত্যু বনাম রবীন্দ্রনাথ যুদ্ধে। তবে শেষ হাসি হেসেছেন রবীন্দ্রনাথই। মৃত্যুকে এমন বছরে বছরে হজম করে তিনি তাঁর সৃষ্টির পশরা সাজিয়ে বসেছেন উদাত্ত চিত্তে। এসব সম্ভব হয়েছে মৃত্যুকে অবজ্ঞা নয় গভীরভাবে উপলব্ধির ভেতর দিয়ে। মৃত্যু রবীন্দ্রনাথকে শাণিত করেছে সৃষ্টিপথে, নির্মহ করেছে জগৎসংসারে, নস্টালজিক করেছে ক্ষণে ক্ষণে। তাই তো তিনি গাইতে পেরেছেন প্রাণখুলে–
তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা?/ ওই-যে সুদূর নীহারিকা/ যারা করে আছে ভিড়/ আকাশের নীড়,/ ওই যারা দিনরাত্রি/ আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী/ গ্রহ তারা রবি,/ তুমি কি তাদের মতো সত্য নও?…
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
রবীজীবনী– প্রশান্তকুমার পাল
রবীন্দ্রনাথ : জীবনে মৃত্যুর ছায়া — অঞ্জন আচার্য
মৃত্যুজয়ী এই মানুষটাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
1891 সালে বিদ্যাসাগর মারা গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায়।অজানা কারণে সে কথাটি অনুক্ত।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি গন্ডীবদ্ধ ও স্থবির হয় না।
তবু বলতে হয়, বাঙ্গালীর আধুনিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে আধুনিক বাংলা ও বাঙ্গালীর ভাষা, সাহিত্য, রুচি ও সংস্কৃতির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য নির্মানের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের প্রচেষ্টা ও প্রয়াস, বাঙ্গালী উচ্চ ও মধ্যবিত্ত সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। সরল ও শুদ্ধ মনন সৃষ্টিতে প্রায় ৮০ বছরের তাঁর বিশাল সাহিত্য সাধনায়; মার্জিত, সংযত, পরিশিলীত রুচি নির্মা্নের ক্ষেত্রে আধুনিক বাঙ্গালীর জীবনে তিনি অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছেন। তাছাড়া, বাঙ্গালী হিন্দু, মুসলমান, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্ম সম্প্রদায়ের পূজা-পার্বণ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে পাশ কাটিয়ে বিকল্প সাংস্কৃতিক প্রদর্শনশিল্প এবং আনন্দোৎসব হিসেবে, পৌষমেলা, দোলের মতো ঋতু উৎসব ও শিল্প-সাহিত্যের অনুষ্ঠানের চলন ও আয়োজন করে বাঙ্গালীর স্বকীয় এবং সৃজনশীল আত্মশক্তির উন্মেষ ও বিকাশের মাধ্যমে বাঙ্গালী সংস্কৃতির নিজস্ব ও স্বতন্ত্র ভিত্তি প্রদান করে ধর্মনিরপেক্ষতার সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য শান্তিনিকেতনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ বহুমুখী প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিলেন। বাংলা ও বাঙ্গালীর সমাজ, শিল্প ও সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
১৫৩তম জন্মজয়ন্তীতে ঋষিতুল্য এই মহাকবিকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি এবং জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা !
@আবু এম ইউসুফ, খুব ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ গদ্যটি পড়ার জন্য।
রবীন্দ্রনাথ যদি না লিখতেন তবে কী যে হতো আমাদের! তাঁর জন্মদিনে লেখাটি লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু, মাই প্লেজার। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভালো লিখেছেন 🙂
রবীন্দ্রনাথের তুলনা শুধু রবীন্দ্রনাথই;
মৃত্যুজয়ী এই মানুষটাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা (F)
@এম এস নিলয়, শুভেচ্ছা।