গত ২৫ শে মার্চ বাংলা নিউজে কণ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমির একটা সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় “বাংলাদেশের আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে খেলা উচিত” শিরোনামে। মতিকণ্ঠ স্টাইলে শিরোনাম দেখে নিউজের মধ্যে গিয়ে আরও অবাক হলাম, আল্লাহার নাম নিয়ে খেলা প্রসঙ্গে শিল্পী আরেফিন রুমি বলেছেন –
“বাংলাদেশের আর একটি সমস্যা হলো মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও আমরা ইবাদত করি না। অন্যান্য দেশ যেমন পাকিস্তানিরা যেমনই হোক না কেন মাঠেই তারা নামাজ পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ ইবাদত না করে খেলাটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। আমি মনে করি মুসলমান জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে খেলা উচিৎ।”
যা বুঝলাম আরেফিন রুমি ইবাদতের দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং মাঠে বসেই পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মতো নামাজ পড়তে উৎসাহিত করছেন। রুমির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে যেমন তার ওয়েস্টার্ন লাইফস্টাইল, বিয়ের সংখ্যা, মেয়ে ঘটিত ব্যপার প্রভৃতি। তবে কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অপযুক্তি প্রদান করতে চাই না, কিন্তু যুক্তিবাদী মনে তারপরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে যেমন –
@ শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড বা ভারতের মতো দলগুলো মাঠে আল্লাহ খোদার উপাসনা না করেও এতো ভালো খেলে কিভাবে?
@ যদি প্রতিপক্ষ ২ দলই আল্লাহ খোদার নাম নেয় তাহলে আল্লাহ কোন পক্ষে যাবে? যেমন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যদি আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে শুরু করে তাহলে আল্লাহ কি করবে??
@ বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হবার পরেও আল্লাহ খোদার নাম না নেয়ার ফলে ভালো ফলাফল করতে পারছে না! তার মানে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কি সব দলের সাথে ভালো ফলাফল করে?
এসব প্রশ্ন না হয় রুমির জন্য, তবে আমার মন প্রশ্নবিদ্ধ হয় মোল্লা, হুজুর ও ধার্মিকদের কিছু অংশের ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ দেখে। ২০ বছর আগেও বাংলাদেশে মোল্লারা ক্রিকেট বুঝতো না বললেই চলে, জাগতিক এই সব দিকে নজর না দিয়ে তারা পরকালের উন্নয়নে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু ইদানীং পাকিস্তানকে সাপোর্ট করতে যেয়ে একদল নব্য মোল্লার আবির্ভাব হয়েছে যারা ক্রিকেটের মতো শয়তানী খেলায় সময় নষ্ট করছে। ক্রিকেটকে ওয়েস্ট অফ টাইম আমি বলিনি বলেছেন উপমহাদেশের প্রক্ষাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব জাকির নায়েক।
অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবিদ ক্রিকেটকে হারাম বললেও জাকির নায়েক টেকনিক্যালি ব্যপারটি এড়িয়ে যেয়ে ওয়েস্ট অফ টাইম এবং না দেখা বা খেলাই উচিত বলেছেন। জাকির নায়েকের ক্রিকেট সম্পর্কিত ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
তবে জাকির নায়েক ব্যাপারটি এড়িয়ে গেলেও অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদ এটিকে এড়িয়ে যান নি। আমরা এখন এই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা করবো। তাহলে আমাদের প্রধান প্রশ্ন হলো ক্রিকেট খেলা বা দেখা কি হারাম? প্রশ্নটা সম্পর্কে অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবিদের মন্তব্য হলো অবশ্যই এটি হারাম। নিম্নে তাদের চিন্তাধারার আলোকে এই সম্পর্কিত কিছু যুক্তি উত্থাপন করা হলো –
বিধর্মীদের অনুসরণঃ কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে “হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু । [ সুরা বাকারা ২০৮] এখন কথা হলো, ক্রিকেটের মতো খেলাটি কিন্তু বিধর্মী শয়তানদের আবিস্কার। বিধর্মীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই ধরণের খেলা একজন মুসলিমের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কিভাবে?
বিধর্মীদের চক্রান্তঃ মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টানরা নানা প্রকার হুজুগ দ্বারা মুসলমানদেরকে হারাম আনন্দে মশগুল করে দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ইহুদী-নাছারা তথা আহলে কিতাবদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদের যে কোন রকমে কাফিরে পরিণত করতে।” (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৯) তাই তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে, মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার জন্য। যেমন একদিকে খেলার সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে চেষ্টা করছে, অপরদিকে টেলিভিশনে খেলা ও হাজারো অশ্লীলতা দেখিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নষ্ট করে চরম পাপাচারে মত্ত করার কোশেশ করে যাচ্ছে। এ কারণে মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত বলেই মনে করা হয়ে থাকে।
অপচয়ঃ ক্রিকেট একটি অপচয়ের খেলা। এটি পৃথিবীর অন্যতম ব্যয়বহুল খেলা গুলোর মধ্যে একটি। কোরানে তাবযীর বা অপব্যয় সম্পর্কে অনেকগুলো আয়াত রয়েছে। সূরা বনী ইসরাইলের ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।” অপ্রয়োজনে এই অপচয় ইসলাম সমর্থন করে কিভাবে?
নামাজে অবহেলাঃ ক্রিকেট একটা দীর্ঘ সময়ের খেলা। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজকে অবহেলা করা হয়। ইতিমধ্যেই নামাজের বিরতি বলে একটি বিরতি দেবার দাবী উঠলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে তা ধোপে টেকে নি কারণ পাকিস্তান ব্যতিরেকে ক্রিকেটের দাদাগিরি এখনো বিধর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। এজন্য অনেক পাকিস্তান ক্রিকেটারকে মাঝেমধ্যে পানিপানের বিরতির সময় মাঠে বসেই নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। নামাজ রেখে ক্রিকেট খেলা বা দেখা কোনটাই কিন্তু ইসলাম অনুমোদন করে না।
ছোটকালে ইসলাম শিক্ষায় শিখেছিলাম “নামাজকে বলো না আমার কাজ আছে বরং কাজকে বলো আমার নামাজ আছে”, এই কাজ বলতে যে কোন ধরণের কাজ হতে পারে, সেটা যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন নামাজের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ নেই। আর এক ওয়াক্ত নামাজ ক্বাযা করলেও রয়েছে ২ কোটি অষ্টাশি লক্ষ বছর জাহান্নামে থাকার মতো শাস্তি, নিম্নে এই বিষয়ে কিছু হাদিস উল্লেখ করছি – নবী করীম সা. বলেন, “যে ব্যক্তি নামাজ এমনিভাবে ছেড়ে দেয় যে, উহার ওয়াক্ত চলে যায়। অতঃপর ক্বাজা আদায় করে দেয়। তবুও যথাসময়ে না পড়ার দরূন এক ‘হোকবা’ পর্যন্ত জাহান্নামের আগুনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।” (প্রতি ‘হোকবার’ পরিমাণ পৃথিবীর দুই কোটি অষ্টাশি লক্ষ বৎসর)।” [ মাজালিসুল আবরার] এছাড়া হাদীস শরীফে রয়েছে,
যে ব্যক্তি নামাজে অবহেলা প্রদর্শন করে আল্লাহ তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন। এরমধ্যে পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে, তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে, তিন প্রকার শাস্তি কবরে এবং তিন প্রকার কিয়ামতের দিন এই মোট ১৪ প্রকার শাস্তি।
দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তিঃ
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যেকোন নেক আমল করুক আল্লাহ্ তাতে কোন ছওয়াব দান করবেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হবেনা।
৫. নেককারদের দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত হবে।মৃত্যুকালিন তিন প্রকার শাস্তিঃ
৬. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
৭. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরন করবে।
৮. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে, যদি সমস্ত পৃথিবীর পানিও তাকে পান করানো হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবেনা।কবরের তিন প্রকার শাস্তিঃ
৯. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যাবে।
১০. তার কবরে আগুন জ্বালানো হবে, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
১১. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দিবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তিঃ
১২. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বেনামাজীর হিসাব নেয়া হবে।
১৩. তার উপর আল্লাহর শাস্তি হবে।
১৪. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এইবার আপনারাই বলুন নামাজকে অবহেলা করে এতোবড় শাস্তিকে উপেক্ষা করে এই ধরণের বিধর্মীদের সারা দিনরাত্র ব্যাপী খেলা কি কখনো একজন মুসলমান সমর্থন করতে পারে?
ক্রিকেট নিয়ে জুয়াখেলাঃ ক্রিকেট আর নিছক খেলা নেই, এটা নিয়ে চলে এখন ভাগ্যপরীক্ষা অর্থাৎ জুয়াখেলা। টি টুয়েন্টি ফরমেট এসে সাম্প্রতিক সময়ে এই জুয়াখেলা অধিক হারে বেড়েই চলছে। প্রতি ওভারে, প্রতি প্লেয়ারে আজকাল বাজি ধরে জুয়াখেলা হচ্ছে। অবশ্যই ইসলামে জুয়াখেলা একটি হারাম ও ঘৃণিত কাজ এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
মহিলা ক্রিকেটঃ নারীদের ক্রিকেট নামে আজকাল এক ধরণের ক্রিকেট শুরু হয়েছে যা ইসলামী অনুশাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। ইসলাম কোন সময় এই ভাবে বেপর্দা হয়ে নারীদের বেলাল্লাপানা খেলাধুলাকে সমর্থন করেনা। এই বিষয়ে কিছু প্রাসাঙ্গিক আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করছি যা কোনভাবেই বেপর্দা হয়ে নারী ক্রিকেটকে সমর্থন করেনা।
“তারা যেন নিজেদের আভরণ প্রকাশ না করে তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যারা যৌন কামনা-রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত অন্য কারো নিকট।” (সূরা নূর ২৪ : ৩১)
“হে নবী! মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।” (সূরা নূর : ৩১)
“তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।” … (সূরা নূর : ৩১)
ক্রিকেট নাচ-গানের উৎসঃ ক্রিকেট এখন নাচ গান ও বাজনার বড় উৎস। আইপিএল এর মতো বড় বড় আসরে চিয়ার্স গার্লরা স্বল্প কাপড় পড়ে যেভাবে নাচগান করে তা কোন ভাবেই ইসলাম সম্মত নয়। টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের চার ছক্কার হৈ হৈ ফ্ল্যাশ মব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের একসাথে বেলাল্লাপানা কি ইসলাম সম্মত? মোটেও নাহ। আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরণের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বাজাতে থাকে যার কোনটাই ইসলাম স্বীকার করেনা।
গ্যালারী অবাধ মিলনস্থলঃ দর্শকদের জন্য গ্যালারী নির্মাণ কখনোই ইসলাম মেনে করা হয়না। শরিয়া আইন মেনে গ্যালারী নির্মাণ হলে পুরুষ ও নারীর আলাদা বসার ব্যবস্থা থাকতো। নারীদের বসার জায়গায় অবশ্যই পর্দার ব্যবস্থা থাকতো। তাছাড়া প্রত্যেক নারী পর্দা করে আসার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হতো। কিন্তু হায়, ইদানীং গ্যালারীতে যা হয় তা এক কথায় ইসলামের আদেশের লঙ্ঘন।
নারী পুরুষের সম্মিলিত উচ্ছ্বাসঃ চার ছক্কা মারলেই বা উইকেট পড়লেই নারী পুরুষ যেভাবে একসাথে নাচানাচি শুরু করে তা ইসলামের কোথায় রয়েছে? ইসলাম কখনোই এসবকে অনুমোদন দেয়না।
উল্কি অঙ্কনঃ অনেকেই দেখি খেলার সময় রং দিয়ে শরীরে উল্কি অংকন করে যা ইসলামে হারাম। এ প্রসঙ্গে হযরত আবূ হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রক্ত বিক্রির বিনিময়ে মূল্য, কুকুর বিক্রয়লব্ধ মূল্য এবং ব্যভিচারের বিনিময় গ্রহণ হতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, উল্কি অঙ্কনকারী, যে নারী উল্কি অঙ্কন করায় এবং যে ছবি উঠায় তাদের সকলকে লা’নত করেছেন।” (বুখারী শরীফ)
উপরের আলোচনা থেকে কি প্রতীয়মান হয় সেটা না হয় আপনারাই বিবেচনা করবেন। দাবা খেলার মতো অভিজাত একটি খেলাকে যদি ইসলামে হারাম করা হয় তাহলে নবীর আমলে যদি ক্রিকেটের প্রচলন থাকতো তাহলে ক্রিকেট হালাল হবার কোন সম্ভাবনা ছিল বলে আমার মনে হয় না। মোল্লারা শুধু মহিলা ক্রিকেটের বিরুদ্ধে না লেগে পুরো ক্রিকেটকেই আবার পুনর্বিবেচনা করবেন এই কামনাই করি। :-s
উচ্চস্বরে জিকির করা কি জায়েজ? দ্বলবদ্ধভাবে কোরাস (একসাথে সুর করে)জিকির করা জায়েজ?
বিভিন্ন ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে কোরআনের সুরা সমূহের অনুবাদ পড়া এবং একটি বা দুটি আয়াতের উপরে ২-৩ ঘন্টা বক্তৃতা দেওয়া কোনটি বেশি উপকারী?
কোরআন এবং হাদিসের আলোকের – বিকাল ৪ টা হতে রাত ১২.৩০ (সাড়ে ৮ ঘণ্টা) মাইক দিয়ে ওয়াজ মাহফিল করা কতটুকু সহীহ?
(Y) (Y) (P)
ঠিক আছে আপনাদের কথাই মেনে নিলাম
“বিধর্মীদের অনুসরণঃ কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে “হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু । [ সুরা বাকারা ২০৮] এখন কথা হলো, ক্রিকেটের মতো খেলাটি কিন্তু বিধর্মী শয়তানদের আবিস্কার। বিধর্মীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই ধরণের খেলা একজন মুসলিমের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কিভাবে”
তাহলে দয়া করে কি বলে যাবেন যে কন আপনারা মসজিদে ব্যাবহার করেন “বিধর্মীদের আবিস্কার করা” যন্ত্র “মাইক,সাউন্ড বক্স,মাউথ পিস”…..? আর তাহলে “ডঃ জাকির নায়েক” ই বা কেন একটি টিভি চ্যানেল চালু করলেন? উনিকি এ ব্যপারটা জানতে না?
আবার ও আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি আপনাদের দৃষ্টি
“মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে কুফরীতে নিমজ্জিত করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টানরা নানা প্রকার হুজুগ দ্বারা মুসলমানদেরকে হারাম আনন্দে মশগুল করে দিচ্ছে।
এ কারণে মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত বলেই মনে করা হয়ে থাকে।”
ভাই হারাম ও কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত বলেই “মনে হওয়া” কি ইসলাম কি সমর্থন করে? নাকি সমর্থন করে অকাট্ট দলিল? বলে যাবেন কিন্তু।
আর হারাম ও কবীরা গুনাহর শর্তের ভেতর কিভাবে ক্রিকেট খেলা অন্তর্ভূক্ত সেটাও বলবেন বলেই আশা করি।
“অপচয়”==>> এ ব্যাপারে দুটো কথা বলতে চাই।ক্রিকেট খেলায় মোটামুটি ভাবে একটি বল নিয়েই খেলা হয় কিন্তু ফুটবল খেলার সময় মাঠের চার পাশে অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা শত শত বল নিয়ে অপেক্ষা করে সেটা ভুলে যাবেন না যেন।
ইসলামে অনেক কিছুই হারাম ছিল, যা আজকে বিভিন্ন ‘বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা(!)’ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হালাল করা হয়েছে। ইসলামে এখনো অনেক কিছু হারাম আছে, যা সময়ের প্রয়োজনে নতুন ফতোয়ার মাধ্যমে হালাল হয়ে যাবে!
ছাত্র জীবনে এক তবলীগি ভাই এর কাছে শুনেছিলাম যে ইসলামে গান বাজনা খেলাধূলা সবই হারাম, এমনকি তাদের মতে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্য ছাড়া ঘুরে বেড়ানোও হারাম।
জাকির মিয়ার সেই ভিডিও আমিও দেখেছি। এসব নিয়ে তর্কাতর্কি অর্থহীন। ঘটনা সেই একই; ধর্ম দিয়ে জীবন বিচার করতে গেলে কট্টরপন্থী বা সনাতন ধার্মিক এবং উদারমনা ধার্মিক দুই ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। আরেক দল মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দুই দলের ব্যালেন্স আনয়নের চেষ্টা চালাবে।
আরেফিন রুমিরাই দেশের সফল বুদ্ধিজীবি, ওনারাই দেশের ভবিষ্যত, এটাই চুড়ান্ত কথা।
অর্ফি ভাই,
অযাযিত ভাবে দুটো কথা বলছি…আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না।
সুষুপ্ত পাঠককে “রতনে রতনে” চেনে বলাটা আমার কাছে ভীষণই দৃষ্টিকটু এবং পক্ষপাত মূলক বলে মনে হয়েছে।আমার মনেহয় এখানে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।হয়তো সুষুপ্ত পাঠকের অন্য সব লেখালেখির সাথে আপনি সেভাবে পরিচিত নন,সে কারণে এমনটা হয়েছে।
আর সাধারণ ভাবে যে, যে ধর্মীয় পরিবারে বড় হয় তার সেই ধর্ম বিষয়ে একটু বেশী জানা শোনা থাকে, এজন্য সে ঐ ধর্ম নিয়েই বেশী লিখে থাকে।তবে এটা ঠিক যে কেউ কেউ আছে যারা বিদ্বেষী।আর হিন্দু ধর্ম নিয়ে খুব কম লেখা হয়ে থাকে এটা ঠিক।তারপরও অভিজিৎ দার কিছু লেখাআছে, অন্য একটালেখা এখানে
আছে।এই মুক্তমনাতেই রণদীপম বসুর হিন্দু ধর্মের জাত প্রথা নিয়ে দুটো সিরিজ লেখা আছে,নিলয় নীল ও সংবাদিকার বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে লেখা আছে।তারপরও আমার মনেহয় হিন্দুধর্ম নিয়ে আরও বেশী লেখা আসা উচিত।
@সুষুপ্ত পাঠক,
অর্ফিউজ কে হিন্দু বিদ্বেষী বলা একদমই ঠিক হয়নি।এটা অত্যান্ত ঢালাও মন্তব্য।আরও সহনশীলতা আশা করছি।
@প্রাক্তন আঁধারে,
আমি সেটা জানি ভাই। কথাটা মোটেও ভাল বলিনি। তবু ব্যখ্যা দিতাম না, আপনাকে খুব পছন্দ করি তাই দিচ্ছি। দেখেন দুই ধর্মের ছোট একটা তুলনা করতেই কত রকম ভেল্কি দেখালেন জনাব পাঠক।
আমি আওয়াজ দিচ্ছি না; দেবার দরকার নেই। ধর্ষনকে নানাভাবেই ব্যখ্যা করা যায়। যুদ্ধ বন্দিনীদের সাথে সেক্স অবশ্যই এর মধ্যে পড়ে। আমি মুক্ত মনাতে প্রথমের দিকে কোরানের পাশাপাশি বাইবেলেও এটা আছে আর সাথে রীতিমত শিশু হত্যার কথা এটাও দেখিয়েছিলাম শুধুই যখন এক ইসলামকেই জগতের সব নষ্টের কারন হিসাবে দেখিয়ে ট্রলিং চলছিল। দেখুন এখানে
এবার দেখেন,
হোয়াট দা হেল? উনি কার কাছে কি মেসেজ পেয়েছেন এটা কি আমার জানার কথা? আমি বলেছি যে ইসলাম ছাড়াও অন্যদের যে ভুল আছে সেটা নিয়েও আলোচনা করা উচিত; এই ব্লগে ইসলাম নিয়ে গঠনমুলক সমালোচনা মুলক লেখা আগে আসতো সম্প্রতি যা আসছে তা আসলে ইতরামি আর বিখ্যাত হবার নমুনা। এখানে উনি অভিজিত দাকে টেনে এনে কি প্রমান করতে চাইলেন? অভিজিতদার বিজ্ঞানে লেখাগুলো পড়ার জন্যই অনেকের মত আমিও এই মুক্ত মনাতে কন্ট্রিবিউট করার আগেও আসতাম। সেখানে উনার সাথে আমার বিতর্কে মুক্ত মনার প্রতিষ্ঠাতাকে টেনে আনা কোন ধরনের রুচির পরিচয় বলতে পারেন? এটা কি আমাকে চরম বিব্রত করা না? আমি পাতি নাস্তিক বা ছদ্মবেশি বলতে প্রকৃত লেখকদের মোটেও বুঝাই নি বরং তাঁদেরকে সম্মান করি আর তাঁদের ( প্রকৃত লেখকদের) সম্মান করি।
আমার ফেবু আমি ডিলিট করে দিয়েছি, ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে। কিন্তু মুক্ত মনাতে যারা আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন তাঁরা আমার একাধিক ছবি দেখেছেন, আমার আসল নামও জানেন। তাঁদের সম্পর্কে আমার হীন ধারনা থাকলে এটা হত না। আর তাছাড়াও আমি ফেবু মাসে একবারো ইউজ করতা কিনা সন্দেহ।
জনাব পাঠক পরোক্ষ ভাবে আমার সাথে খেলতে চেয়েছেন; বুঝেন নাই যে আমি দুধের বাচ্চা না গাধা ইস্লামিস্ট কোনটাই না যে কিনা ৩০ পারা কোরানের বাইরে আর কিছুই দেখেনা। অন্যের জন্য ফাদ পাতলে নিজেকেই ধরা খেতে হয়। আমি এই মন্তব্যের উত্তর আপনাকে দিলাম যা তাকে দেই নি, কারন আমার রুচিতে বাধছিল। কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি।
ফারাবী রায়হান কি বলেছে আমার জানা নেই কারন ওদের সাইটে আমি জানি না। এইরকম ২য় শ্রেনীর পরোক্ষতুলনার মানে কি? আসলে রতনে রতন চেনে এই কথাটি আমি সে প্রেক্ষিতেই বলেছি।না হলে সে ঠান্ডা হত না। যে পুজার যে মন্ত্র। অসভ্য আচরনের মোকাবিলা আমি অসভ্য আচরন দিয়েই করে থাকি।
এর মানে কি? আচ্ছা আমি যদি তর্ক শুরু করি যে কোনদিন দিয়ে হিন্দু ধর্ম ইসলামের চেয়ে ভাল, উনি কি এত সহজেই পার পাবেন পিছলে গিয়ে? সব ধর্মেরই খুব অন্ধকার দিক আছে যা উনাদের চোখে পড়ে না একতরফা শুধু একটা ধর্মকেই ঠ্যাঙ্গানো ছাড়া। আমি এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। মুক্ত মনাতে আমরা আসি গঠন মুলক কিছু দেখতে, উস্কানীমুলক বা জাতি বিদ্বেষ দেখতে নয়।
আমি জানি সেটা।
এইটাই উনি এনেছেন যে সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্যই ছিল না। আমি শুধু দেখিয়েছি যে হিন্দু ধর্মকে আরো নগ্ন ভাবেই সোজা করা যায়;যেমন দেখেন লিঙ্ক দিয়েছি যে এক ইসলাম ব্যাশিং লেখায় আমি কিভাবে খ্রিষ্ট ধরমের উদাহরন দিয়েছিলাম। সেখানে কোন আক্রমনের শিকার হইনি। এক ধর্মকে বাশ করার সময় অন্য ধর্মের তুলনা আসবেই, এটা মোটেও অপ্রাসঙ্গিক না। এটায় পাঠক সাহেব এত খেপলেন কেন সেটাই বুঝলাম না।
যতই লেখা থাক সেটা কোন বিষয় না। বিষয় হল একটা অত্যন্ত হালকা লেখার মধ্যে পাঠক ভাইয়ের সাথে আমার লেগেছে কারন উনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার পর চিল্লাচ্ছেন যে কেন আমি হিন্দু ধর্মকে টেনে আনলাম, কেন কেন কেন কেন। যেন এটা এমন ধর্ম যে এর নাম করা যাবে না; অনেকটা মুসলিমদের কোরান বাদ দিয়ে কথা বল মানে তালগাছ নীতির মত।
@অর্ফিউস, ভাই আপনার সাথে তো আমার শত্রুতা নাই। আছে? আমি জানি না। কেউ আমার শত্রু না। আমার আপত্তির জায়গাগুলো দেখাই:
সবাই জানে বাইবেলের কথা। একজন ভাল মুসলিম হতে হলে আগে ভাল খ্রিস্টান হতে হয় সেটা জানেন? মানে খ্রিস্টান ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের পার্থক্য খুবই কম। ইসলামে যুদ্ধ বন্দিনীদের প্রসঙ্গে কেন বাইবেল দেখাতে হবে যে ওখানেও খারাপ আছে, আরো বেশি, শিশু হত্যা পর্যন্ত অনুমোদন করে? কেন এই ইসলামকে ডিফেন্স যখন ইসলাম প্রসঙ্গিক? পোস্টটা তো এভাবে আসেনি, “খ্রিস্টান ধর্মে কি ক্রিকেট খেলা নিষিদ্ধ”। লিখুন না খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে, খুলে দিন খ্রিস্টান ধর্মের সব গোমড়! হিন্দু ধর্মের বর্বর প্রথা, মানবতা বিরোধী হাজারো নিয়ম নিয়ে লিখুন, কে না করেছে? কিন্তু কেন এই ইসলাম নিয়ে লেখা? ঐ ধর্মগুলো আজকে ইসলাম যে পর্যায়ে আছে সে পর্যায়ে আর নেই। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঐ ধর্মগুলো আর কিছু করতে পারবে না। ইউরোপের প্রশ্নই আসে না। এশিয়ায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ না। এই উপমহাদেশে ইসলাম তার রাজনৈতিক চেহারা দেখিয়ে ভীত-সত্রস্ত্র করে তুলেছে গোটা অঞ্চল। কিছু মানুষ মুসলিম আর ইসলামকে গুলিয়ে ফেলে। আপনিও সেই গুলিয়ে ফেলা একজন। ইসলামের সমালোচনা মানে মুসলিমদের সমালোচনা না।
তাহলে তো ধর্ম নিয়ে লেখাই বন্ধ করে দিতে হবে! আমি যদি ইসলাম নিয়ে লিখি তাহলে কি সুশীল সুলভ চাতুরীর মত বলবো ইসলাম খারাপ, হিন্দু আরো খারাপ! কিংবা দুটাই খারাপ! (ব্যালন্স!)
হাতের বদলে হাত! চোখের বদলে চোখ! এইটা বস একদম ইসলামী রীতি হয়ে গেলো। আর আমি ভাই অসভ্যই, সভ্য হবো বলেই তো আপনাদের কাছে আসি। কিন্তু পাল্টি অসভ্যতা (আপনি স্বীকার করেছেন) করলে কি শিখবো?
এটা ভাই দুধের বাচ্চার মতই হয়ে গেছে কিন্তু!
এটাই আসল কথা। হিন্দু ধর্ম গোল্লায় যাক, কি আসে যায়? কোটি কোটি খারাপ প্রথা থাকুক, সেটা মেনে তারা অন্ধকারে বাস করুক, আমি বাধা দেবার কে? তেমনি মুসলিমরা আগডুম-বাগডুম বিশ্বাস করে উচ্ছেন্যে যাক আমার কি আসে যায়? কিন্তু ইসলাম দিয়ে যে আজ রাষ্ট্রকে, দেশের সংস্কৃতিকে, ইতিহাসকে, এমন কি মুক্তিযুদ্ধকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে যখন দেখি তখন ইসলাম কি প্রসঙ্গিক হয়ে যায় না? যখন নাফিসরা নষ্ট হয়ে যায়, যখন নর্থ সাউথে জঙ্গি চাষবাদ জোরসে চলে, যখন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জন্মে, যখন রাজীবকে মরে যেতে হয় তখন ইসলাম প্রসঙ্গিক না? দেখাতে হবে না এসব তো ইসলাম চর্চা থেকেই আসছে। আল্লামা শফির চাইতে আপনি কম্পিউটার বেশি বুঝতে পারেন, ইসলাম না। কেন ইসলাম নিয়ে বারবার লেখা হয় এরপরেও না বুঝেন আর কোনদিন বুঝবেন না। আমরা পৃথিবীতে কোন ধর্ম বেশি খারাপ, কোনটা কম সেই কম্পিটিশনে বসি নাই। ২০ বছর আগে ইসলাম নিয়ে লেখার প্রয়োজন হয় নাই। এখন হচ্ছে। আর আপনি তো রইলেনই, যেখানে দেখবেন ইসলাম নিয়ে দুইটা খারাপ দিক দেখাচ্ছে ওমনি আপনি গিয়ে দেখাবে, অমুক ধর্মে কিন্তু এরচেয়েও বেশি খারাপ আছে।
শেষ কথা, হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাদের দেশে কম লেখা হয়েছে সংগত কারণেই। কারণ এখানে হিন্দু মৌলবাদের কোন সুযোগ নেই। এই ধর্ম নিজেই এখন এ দেশে অস্তিত্ব থাকে কিনা তার ঠিক নেই। হিন্দু শূন্য বাংলাদেশের আশংকা করেছেন খোদ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। “সুধাংশ তুই পালা”- পরিস্থিতে হিন্দু ধর্মের খুঁত ধরা আসলে অহেতুক মরাকে খোচানো। ইন্ডিয়াতে হিন্দু ধর্মকে বাঁশ দেয়া হয়। খোঁজ নিলে পাবেন। বললাম তো, এক বাংলার সনাতন পাঠক পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠার লিখেছেন। প্রবীর ঘোষ? যাক কমতি মনে করলে যে কেউ শুরু করতে পারেন।
@সুষুপ্ত পাঠক, বাহ বাহ এইটা তো আরেকটা লেখা হিসাবে দিতে পারতেন চরম হিট হত, তা না করে খামাখা মন্তব্য আকারে দিলেন। আমিও শুরু করি তাহলে কেমন?
যদি সবাই জানে তবে কেন একভাবে শুধুই ইসলামকে চাবকানো?চাবকিয়ে লাভ হয় কি? বিকৃত মজা লাভ করা; মৌলবাদীদের রাগ দেখে আর সাধারন মুসলিমদের আহত হওয়া দেখে বিকৃত মজা লাভ করাই এর উদ্দ্যেশ্য।
না জানতাম না। এটা সব মুসলিম দের জানিয়ে দিন আমাকে জানিয়ে তেমন লাভ হবে না।
আপাত দৃষ্টিতে পার্থ্যক্য খুব কম বলে মনে হলেও আসলে বিশ্বাসের পার্থক্য অনেক আছে। যেমন ত্রিত্ববাদ যেটা খ্রিষ্টানদের কাছে একত্ববাদ হলেও ইসলামের সেটা শিরক মানে এমন পাপ যার ক্ষমা হয় না, যাক এটা প্রাসঙ্গিক বিষয় নয়। যেহেতু সাদা চোখে দেখলে এই দুই ধর্মের পার্থ্যক্য আসলেই কম, তবে কেন শুধুই ইসলামকে সব সমস্যার জন্য দায়ী করে পেটানো, যেখানে পিটিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি?
তাই মাঝে মাঝে যারা আক্রোশের বশে অতিরিক্ত ইসলাম পিটানো শুরু করে তাদের আমার আসলে ছদ্মবেশী সাম্প্রদায়িক শক্তির এজেন্ট বলেও ভুল হয়,যেটাকে আমি গুপ্ত মুসলিম আর ছদ্মবেশি নাস্তিক বলে থাকি। তারমানে আপনি দেখলেন যে শুধু অমুসলিম না মুসলিমদের মধ্যে যে জামাত নামের বজ্জাতটা আছে তাদেরকেও মিন করছি( আমি কিন্তু কারো নাম উল্লেখ করিনি, কাজেই দয়া করে কারো নাম উল্লেখ না করলেই খুশি হব);দেশের মধ্যে অশান্তিকারীরা হল এই সাম্প্রদায়িক শক্তি। আরেকটা কথা মুক্ত মনার সদস্য হলেই যে সে মুক্ত মনা হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। মুক্ত মনা নামক শব্দটার গোল্ডেন স্টান্ডার্ড বলে আসলে কিছু নেই।
ইসলাম ডিফেন্স না, এটা আসলেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইসলামে কি আছে এই নিয়ে লম্বা লম্বা এত লেখা মুক্ত মনাতে আছে যে এখন এইসব নতুন করে লেখা মানে নতুন বোতলে পুরাতন মদ যা স্বাদে গন্ধে ভালর পরিবর্তে তিতা হয়ে গেছে কচলানো একটা লেবুর মত। ইসলাম প্রাসঙ্গিক হতে পারে, কিন্তু ইসলামকে যখন সিঙ্গেল আউট করে মাইর লাগানো শুরু হয় তখন দারুন বিরক্ত লাগে। তখন তুলনা গুলো চলে আসে এটা বুঝানোর জন্য যে এই তথাকথিত প্রাসঙ্গিক জিনিসের প্রাসঙ্গিকতা আসলে কতটুকু? একটা লেবু কে আর কত কচলালে সেটা সঠিক হয়? যদি সমানে কচলাতেই থাকেন তবে তিতা স্বাদই পাবেন এটাই বাস্তবতা।
খুবই অদরকারী কথা। আচ্ছা খ্রিষ্টান ধর্মকি কিছু হেইটফুল লোকের ব্যাশিং এর কারনে সোজা হয়েছে? সতীদাহ রোধে কি শুধু হিন্দু ধর্মকে পিটিয়ে কাজ হয়েছে নাকি ধর্মের দোহাইও দিতে হয়েছে বলতে পারেন? হুমায়ুন আজাদের নারী বইটি আবার মন দিয়ে পড়ে দেখুন। আপনারা যে টাইপে ইসলাম কে চাবুক মারছেন আর সিঙ্গেল আউট করছেন এভাবে মানুষের গোঁড়ামি আরো বেড়ে যাবে, আমার ধারনা কথাগুলো আপ্নারা জানেন আর বুঝেন।
সারা জীবন ধরে পিটিয়েও ইসলাম কে সোজা করতে পারবেন না বরং এর অনুসারীদের গোঁড়ামিই কেবল বাড়াবেন।
আচ্ছা আপনি ইসলাম নিয়ে লেখেন মানা করেছে কে? তবে কেন পাশাপাশি অন্য ধর্মের খারাপ দিক দেখানো যাবে না বলতে পারেন? ব্লাস্ফেমী হবে এতে? নাকি অপ্রাসঙ্গিকতা বলবেন? সেটা বললে আগেই এর উত্তর পেয়ে গেছেন বলেই মনে করি।
এটাই আসল কথা। হিন্দু ধর্ম গোল্লায় যাক, কি আসে যায়? কোটি কোটি খারাপ প্রথা থাকুক, সেটা মেনে তারা অন্ধকারে বাস করুক, আমি বাধা দেবার কে? তেমনি মুসলিমরা আগডুম-বাগডুম বিশ্বাস করে উচ্ছেন্যে
বেশিরভাগ উত্তর পেয়ে গেছেন আশা করি আগেই। একটা বাকি আছে।আচ্ছা নাফিসকে না হয় ইসলাম নষ্ট করেছে, তবে লাদেন তালেবানদের সৃষ্টি করেছে কারা? তারা নিশ্চয়ই নর্থ সাউথে তৈরি হয়নি কি বলেন?
এবার উত্তর দেবেন যে পাকিস্তানের মাদ্রাসায় তৈরি হয়েছে? এইবার নিশ্চয়ই বলতে ভুল করবেন না যে কারা এদের তৈরি করেছে? উৎসটা কি? গডফাদারদের বিরুদ্ধে কথা না বলে শুধু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে হবে?
নাহ তা নয়। এমন পরিস্থিতিতে ইসলাম কে একতরফা ব্যাশ করতে থাকলেই বরং জামাত এবং অনেক সাম্প্রদায়িক শক্তি ইসলামকে অপব্যবহার করার সুযোগ পাবে।
আর আপনিও মনে হয় হিন্দু ধর্ম আর হিন্দু এই দুটো কে এক করে ফেলছেন, কিন্তু চোখ খুলে দেখার দরকার মনে করছেন না।
এটাও quote এর মধ্যে হবে।
@সুষুপ্ত পাঠক,
না ভাই এখানে শত্রুতার কথা আসে কেন? বিতর্ক উত্তপ্ত আর প্রাসঙ্গিক হবে এটাই কাম্য। এর মধ্যে যেন কোনপক্ষের আক্রোশ না থাকে। এখানে আমরা কেউ কারো সাথে শত্রুতা করতে আসি না। কাজেই আপনার বা কারো সাথেই আমারও শত্রুতা নেই।
ক্রিকেটঃ ইসলামী দৃষ্টিতে হালাল না হারাম?
ডিপেন্ড করছে। যেমন,
[img]http://s27.postimg.org/5k2u5vcw3/h_h_cricket.jpg[/img]
ফতোয়া: 😕
==>যদি পুরুষেরা পাঞ্জাবী-পায়জামা আর মহিলারা বোরকা-হিজাবকে জার্সি হিসেবে পরিধান করে তাহলে ক্রিকেট খেলা তাদের জন্য হালাল হবে !! 😛
==> পুরুষেরা পাঞ্জাবী-পায়জামা এবং মহিলারা বোরকা-হিজাব পরিধান করে দর্শক হিসেবে গ্যালারীতে বসে খেলা দেখতে পারবে কিন্তু বিজয় উল্লাস প্রকাশ করতে হবে “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার” ধ্বনি উচ্চারিত করে !! 😛
বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার আরেফিন রুমি হল এই দেশের ইসলামী সুন্নাতের তরিকায় জীবন-যাপন করা একমাত্র সেলিব্রিটি| অতএব আরেফিন রুমির দেখানো ইসলামী তরিকা অবলম্বন করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জয়ের ধারায় ফিরে আসা সম্ভব!! :-O
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি খেলায় আরেফিন রুমি ভাইকে মাঠে উপস্থিত রাখতে অনুরোধ করবো, যেন উনি খেলার মাঠে যে জামাতে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে তার ঈমামতি করতে পারেন !!! 😛
আল্ল্য়াপাঁকের ইচ্ছায় আমাদেরই জয় হবে …. আলাহু আকবার, আলাহু আকবার | :hahahee:
@তারিক,
আপনার ফতুয়া গুলা তো হেভি, :lotpot: আচ্ছা বোরকা পড়িয়া ফাস্ট বল করবে কিভাবে??? :-s
@নিলয় নীল,
মোল্লাদের কাজ শুধু ফতোয়া দেওয়া! ফতোয়া কিভাবে মানতে হবে তা নিজেদের ব্যবস্থা করে নিতে হবে !! (H)
@তারিক, :lotpot:
@তারিক, ভাই হাসতে হাসতে মইরা গেলাম! :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
খেয়েদেয়ে কোন কাজ পাচ্ছেন না বুঝি?
@অর্ফিউস,
আপনি কিন্তু আমার কামানুভুতিতে আঘাত দিচ্ছেন :-X আপনাকে :guli:
@নিলয় নীল,
তাই নাকি? তাহলে এইসব কি আপনার কামনা বাসনার সাথে সম্পর্কিত; এসব লিখে কি আপনি যৌন আনন্দের মত পুলক লাভ করেন? আচ্ছা সরি আপনার কামানুভুতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে। আরো বেশি করে লিখে নিজের কামনা বাসনা চরিতার্থ করুন। শুভ কামনা রইল।
@অর্ফিউস,
ভাই এই কাম সেই কাম না :)), উপরে কাজের প্রশ্নে আমি চলিত ভাষায় কাম ব্যবহার করেছি 😉 ।
@নিলয় নীল, এইবার ফুটবল কেন ইসলামে হারাম সেই নিয়ে একটা পোষ্ট আপনার কাছ থেকে পাব এই অপেক্ষায় রইলাম।
কিছু কমন সুত্র দেই দেখেন কাজে লাগে কিনা, সতর ডাকা ইসলামে খুবই জরুরী। হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলা হয়, কাজেই এটা ইসলামে হালাল হবার প্রশ্নই আসে না; মেয়েদের ফুটবল তো রীতিমত প্রকাশ্য বেল্লাল্লাপনা যেটা জিনার শামিল।এইসব নিয়ে কিছু মহামুল্যবান মতামত সহ লেখালেখি করেন। প্রচন্ড হিট করবে।
@অর্ফিউস,
একমত। ফুটবল নিয়ে লেখা আশা করছি। তবে খেলাধুলা সবই বোধ হয় ইসলামে হারাম। অন্যান্য কারণ তো আছেই। তদুপরি সময় কই? দিনে পাঁচবার ইবাদত করলে অনুশীলন করবে কখন। আর খেলে তো আর বেহেশতে যাওয়া যাবে না। কোরাণে তো খেলার কথা বলেনি। কাজেই সব ইসলামী দেশসমূহে খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা উচিত।
@গীতা দি,
এইটা একটা ভাল কথা বলেছেন। আসলেই ৫ বার নামাজ কাজা করার বিধান নেই এমনকি প্রায় অচেতন মানুষকেই নাকি দরকার হলে ইশারায় নামাজ পড়া লাগবে মরার আগ পর্যন্ত। খুবই নির্যাতনমুলক নিয়ম সন্দেহ নেই।
সেখানে খেলাধুলার সময়েও নামাজ কাজ দেয়া হারাম বলেই মনে হয়;যুদ্ধের মাঠেই নাকি নামাজ পড়ার বিধান আছে, সেখানে খেলায় থাকবে না কেন :-)।
অবশ্য পেশাগত কারনে নামাজ কাজার বিধান আছে কিনা জানি না, থাকলে মনে হয় চলতে পারে। আর তাছাড়াও সফরে নাকি কসর মানে ২ রাকাত নামাজের নিয়ম আছে;খেলোয়াড়রা এইটা মাথায় রাখতে পারে :))
তবে অনুশীলনের চেয়ে ধর্ম কর্মে মন দিলে খেলার মান খারাপ হয়ে যাবে। পাকিস্তানী টিম নাকি বিমানেও নামাজ পড়ে :-O
@গীতা দাস,
ইসলামী দেশ সমূহে খেলাধুলা সহ সকল মননশীল কাজ ই নিষিদ্ধ করা উচিত।
এত বড় লেখার দরকার ছেলনা… এমন কোন মোল্লা নাই যে ক্রিকেট খেলাকে – মানে আন্তর্জাতিক ভাবে যেটা খেলা হয় ওটাকে হালাল প্রমাণ করতে পারবে। শরীর চর্চার অংশ হিসেবে এটা খেলা হতে পারে।
বেলেল্লা প্রেম-ভালোবাসার গান গাওনে ওয়ালা- মাইয়াবাজ এক সেমি লম্পটের মুখে এসব শুনতে হাসি লাগল :p
@সংবাদিকা,
কারো ব্যক্তিগত জীবন টেনে আনতে চাই নি, তবে এটা না বলে পারছি না আমাদের সমাজের মডারেট মুসলিম গুলা সব রুমির মতো ধার্মিক ও সুবিধাবাদী। আপসোস সুবিধাবাদী হতে পারলাম নাহ। :-Y
@নিলয় নীল,
আপনার ধারনা সম্পুর্ন ভুল। অনেক অনেক মডারেট মুসলিম আমার আপনার চারপাশেই বসবাস করে থাকেন, কেউই আরেফিন রুমির মত বহুগামী নন;অন্তত তাদের সবার এক স্ত্রী বলেই জানি, বহু বিবাহ করেছেন এমন কাউকে চশাম দিয়ে খুঁজেও পাবেন কিনা সন্দেহ। তারচেয়ে বরং ছদ্মবেশি পাতি নাস্তিক গুলোর দিকে চেয়ে দেখেন সুবিধাবাদী অনেক বেশি নজরে আসবে যদি দুই চোখে দেখতে পারেন। এদের অনেকেই সারা জীবন মেয়েবাজী করে বৃদ্ধবয়সে ঠিকই টুপি পরে মসজিদে যায় ( ক্রিকেটার ইমরান খানের মত আরকি) , আর বলে যে যৌবনে ভুল করেছিলাম। এদেরকেই ইসলামে মুনাফিক বলা হয়েছে।
@অর্ফিউস,
ইমরান খান কবে পাতি নাস্তিক ছিলেন?
ছদ্মবেশি পাতি নাস্তিক জিনিসটা কি ভাই? মানে আস্তিক কিন্তু নাস্তিক সাজে? তাহলে তো সে মডােরট মুসলিমের ছদ্ম সংস্করণ! তাই না?
@সুষুপ্ত পাঠক,
ইমরান খান পাতি নাস্তিক না প্লেয় বয় ছিল পরে বুঝেছে যে ইসলাম ছাড়া গতি নাই। ধনকুবেরদের মেয়েদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করার সময় এটা তার বুঝে আসে নি। পাতি নাস্তিকরাও আসলে প্লেয়বয়দের মতই;শুধু ইসলাম কে গুতিয়ে যায়, যেখানে অন্য ধর্মগুলোও অমানবিক নিয়মকানুনে কোনদিক দিয়েই কম না। তাহলে ইসলাম কে গুতানোর কারন কি? কারনটা হল ইসলামকে গুতালে খুব সহজেই নজরে পড়া যায়, আর বিখ্যাত হওয়া যায় ব্লগ জগতে। যেহেতু মুসলিমদের ধর্মীয় সহনশীলতা এখনো খুবই কম এই জিনিসটাকেই এই সব পাতি আর ছদ্মবেশী নাস্তিক রা গুঁতায় যেন কিছু বলদ ইস্লামিস্টদের রোষের শিকার হয়ে সহজেই পরিচিতি পাওয়া যায়। দেখতেই পাচ্ছি চোখের সামনে কাজেই আর বেশি কথা বাড়ালাম না। সবার জন্যে এটা প্রযোজ্য নয় শুধুই ছদ্মবেশী পাতি নাস্তিক বা প্লেয়বয়দের নব্যরুপদের কথাই বলছি।
জি না এরা আসলে সুবিধাবাদীদের সংস্করণ। গুপ্ত মুসলিম, গুপ্ত হিন্দু গুপ্ত খ্রিষ্টান সবার ক্ষেত্রেই এই কথাটা খাটে। এই নিয়ে ফরিদ ভাই একবার একটা চমৎকার বিশ্লেষণ করেছিলেন। খুজে বের করে দেখে নিবেন।
আমি নিজেও মনে করি যে এত উগ্র ইসলাম বিদ্বেষী তারাই হয় বা সেই ভাব ধরে যারা হয় গভীর ভাবে অন্য ধর্মে বিশ্বাসী, না হয় ইসলাম বেচে খাওয়া কিছু বদমাশ ইস্লামিস্ট; সাধারন মুসলিমরা এই উগ্র বিদ্বেষীদের মধ্যে পড়ে না।
সত্যিকার নাস্তিক যারা অন্তত এক চোখ বন্ধ করে থাকে না তারা দেখেছে যে ইসলামের চেয়েও ঢের অমানবিক জিনিস হিন্দু ধর্মের মধ্যে এখনই বিদ্যমান আর তা হল জাতি ভেদ। ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যারাম মুসলিমদের মধ্যে নেই। তাই ধর্মীয় সন্ত্রাস যেটা মুসলিমদের মধ্যে ছোট একটা অংশ করে থাকে ( যারা মোটেও বৃহত্তর মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না) ; নিরপেক্ষ মন নিয়ে চাবকাতে হলে, আগে বৃহত্তর হিন্দু সমাজকে ( যারা পুরো হিন্দু কালচারের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে) বর্নপ্রথার জন্য চাবকে পরে মুসলিম সমাজকে চাবকানো দরকার। না হলে সুস্থভাবে চিন্তা করতে পারা মানুষরা ( প্লেয় বয় রা না কিন্তু) তাদের উদ্যেশ্য নিয়ে সন্দেহ করে তাদের পাতি নাস্তিক বা ছদ্মবেশী নাস্তিক বলবেই।
@অর্ফিউস,
কোত্থেকে এসব পান বুঝি না!
ফস্টিনষ্টি কি জিনিস ভাই? কলমা পড়ে বিয়ে করে প্রেম-মহাব্বত করাকে যারা একমাত্র নারী-পুরুেষর মিলেন শর্ত মনে করেন তারাই “ফস্টিনষ্টি” নামকরণ করেছে, তাদেরকে কি মুক্তমনা বলা যাবে? ইমরান খান বা তাদের মত আপনার কথিত “প্লে বয়” রা কি ধর্ষণ করেছে? স্বয়ং ধর্ম যেখানে ধর্ষণ করতে উৎসাহ দেয়। আমি জানি আপনি লিং্ক চাইবেন, দেয়া যাবে, হাতের কাছেই আছে, লাগলে আওয়াজ দিয়েন।
হ্যা ইসলামকে একটা গুতা দিলে অন্য ধর্মকেও একটা গালি দিতে হবে, ব্যালন্স রাখতে হবে তো!
আপনি বুঝেন না ইসলামকে গুতানোর কারণ কি? বাংলাদেশের মত মুসলিম প্রধান দেশে ইসলামী মৌলবাদীর ঝামালেই থাকবে, সেই সূত্র ধরে তো ইসলামই বেশি আসবে, বুঝেন না? আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গিবাদ কি ইসলাম ধর্মকে আলোচনায় আনেনি। অন্য ধর্মগুলোর আজ আর ইসলামের মত দিনকাল নেই। রাজনৈতিক ইসলামের মত অন্য ধর্মগুলো কি রাষ্ট্রযন্ত্রকে আকমণ করতে আসছে? পারলে অস্বীকার করুন, ইসলাম ও রাজনীতি আলাদা?
এই মুক্তমনায় যত ইসলাম সমালোচনা করে পোস্ট আছে সেগুলো কি উদ্দেশ্য একটু বলবেন কি? বিখ্যাত হওয়ার জন্য? আপনি যে ভাষায় বর্ণনা করলেন পাতি নাস্তিকদের ইসলাম বিষয়ক অবস্থানকে ঠিক এই ভাষায় ও এই দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্লগে, আমার ফেইসবুক ইনবক্সে অভিজিৎদাকে জড়িয়ে অভিযোগগুলো করা হয় রোজ ব্লগমোল্লাদের থেকে। ওদের কথা শুধু ইসলাম কেন?
কষ্ট হচ্ছে হজম করতে মুক্তমনায় লাইনগুলো দেখে।
ফারাবী, সদালাপে রায়হান ঠিক এভাবে আমাদের হিন্দু বলে সন্দেহ করে! বলে হিন্দু বা অন্য ধর্মর না হলে নাকি ইসলামকে নিয়ে এভাবে লেখা যায় না!
“ভাল নাস্তিকরা” ইসলামের সমালোচনা করে না! আপনি নিশ্চিত, হিন্দু ধর্ম নিয়ে পৃথিবীর কোথাও এরকম লেখা হয়নি? কেন হুট করে হিন্দু টেনে আনলেন? ইসলাম বেটার হিন্দুদের থেকে এটা বুঝাতে? ফাইন।
কে বলেছে সব মুসলিম জঙ্গি? বলুন ইসলামে সস্ত্রাসবাদ আছে কি নেই? মুসলিম আর ইসলাম গুলিয়ে ফেলছেন কেন?
আপনার হিন্দু বিদ্বষ এবার আর ঢাকা থাকেনি। অপ্রসঙ্গিকভাবে হিন্দু আসলো কেন ভাই?
@সুষুপ্ত পাঠক,
মনে হয় ইমরান খানের রাজনৈতিক জীবন শুরুর আগের বক্তব্য পড়েন নি।
আপনাদের কথাবার্তাও হজম হবার মত নয়।
মুক্ত মনায় বেশ অনেকদিন হলই আছি দেখতেই পাচ্ছেন। লেখা আর আগের মত পাচ্ছি কই?
সত্যি আপনার মত মহাপন্ডিতের সাথে আরো আগে যে কেন পরিচয় হয়নি! আফসোস হচ্ছে। তবে হিন্দু ধর্ম কে ন্যাংটা করতে শুরু করার আগেই গায়ে ফোস্কা পড়ল কেন ভাই? এইসব কিসের লক্ষন?
মন্তব্যের বাকি অংশ নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন,কোন সাইট কি কি করেছে কার কার নাম এনেছে এইসব টেনে এনে নিজের পরিচয় দিয়ে দিলেন। ওই সব সাইটে যারা সারাক্ষন পড়ে থাকে তাদের পক্ষে অবশ্য এইরকম রেফারেন্স দেয়াই স্বাভাবিক কাজেই অবাক হচ্ছি না; রতনে রতন চেনে।
@অর্ফিউস,
আপনার ভাষায় গুপ্ত হিন্দু! কোন “মুসলিম নাস্তিক” ইসলামের সমালোচনা করতে পারে বলেন! :lotpot: যত খুশি হিন্দু ধর্মকে নেংটা করেন, ৫৭ ধারায় কেউ ঢুকাতে যাবে না। “সনাতন পাঠকের” নাম শুনেছেন? হিন্দু ধর্মকে ধুয়ে দিয়েছেন তবু দেশ ছাড়তে হয়নি, হুমায়ূন আজাদের মত ভাগ্য বরণ করতে হয়নি।
জ্বি ভাই, পড়তে কোন অরুচি নাই আমার :)) এটা পড়বো না, ওটা দেখবো না এই ছুত-মাত আমার নাই। আপনার অভিজাত রুচির কথা অবশ্য আলাদা। ওসব জায়গায় না যাওয়াই ভাল।
@সুষুপ্ত পাঠক,
আসলে গুপ্ত হিন্দুরা সাধারন হিন্দু নয়, তারা আসলে গুপ্ত হিন্দুত্ববাদী। সাধারন হিন্দুরা এইরকম বিদ্বেষী হয় না। এদের সাথে ইস্লামিস্টদের একটা দারুন মিল আছে আর তা হল এরা বিজাতীয় বিদ্বেষে ভোগে। কাজেই এই শব্দ নিয়ে একটু সাবধানে ঘাটেন, কারন পাছে উপরের দিকে থুতু নিক্ষেপ করে সেটা নিজের দিকেই চলে আসে কিনা।
@সুষুপ্ত পাঠক,
বুঝেছেন তাহলে এতদিনে? যাক দেরিতে হলেও বুঝার জন্য ধন্যবাদ।
আশা করি এটাও বুঝেছেন যে মুক্ত মনাতে অতীতে ইসলাম কে নিয়ে গঠনমুলক সমালোচনা করে যে লেখাগুলি আসতো, সেগুলি মোটেও ইসলামের চরিত্রহনন করে বিখ্যাত হবার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করার মত লেখা নয়।
@অর্ফিউস,
সহমত আপনার সাথে।
:rotfl: মডারেট মুসলিমরা বলবে তারা কিয়াসের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলার হালালত্ব অর্জন করছে ।
@ণ,
এটা নিয়ে অনেক আগে এক মডারেট মুসলিমের সাথে বিতর্ক হয়েছিলো, তার কাছে এটা হালাল। অনেক দিন পরে রুমির ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য দেখেই এটা লিখে ফেললাম।
@ণ, কোরান-হাদিসে যদি কোন বিষয়ে বলা থাকে, তাইলে কিন্তু কিয়াস লাগেনা।
:rotfl: :rotfl: :rotfl: