বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ
আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল-সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।
আমাদের মুক্তির যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাদের পতাকা, আমাদের জাতীয় পরিচয়, আমাদের অস্তিত্বের বিপরীতে অবস্থান নেয়া একাত্তরের পরাজিত শক্তি বসে নেই, তারা এখনো সক্রিয়। এই ২০১০-এও মুক্তিযোদ্ধার নামে ঢাকার রাস্তার নামকরণ করা হলে পাকিস্তান তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় (১)। এই ২০১৩তেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি দিলে সেটার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব ওঠে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে! (২) তাদের এদেশীয় এজেন্টরা এখনো কুষ্টিয়া-পাবনায় শহীদ মিনার ভাঙে, তারা এখনো চাঁদপুরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়। চাঁদতারা মার্কা যে-পতাকাটিকে আমরা ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে প্রতিস্থাপন করেছি লাল-সবুজের পরিচয় দিয়ে, এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে বসে এখনো তারা সেই পরাজিত পাকিস্তানের পতাকা উঁচিয়ে উল্লাস প্রকাশের কোনো সুযোগই হাতছাড়া করে না।
চাইলেই কি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো যায়? চাইলেই কি ভিনদেশের, বিশেষ করে যে-পতাকার বিরুদ্ধে আমাদের রক্ত ঝরেছে, সে-পতাকা নিয়ে উল্লাস করা যায়? বাংলাদেশের পতাকা আইন (৩) অনুসারে এটা করা অপরাধ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কীভাবে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে, তা স্পষ্টভাবে বলা আছে পতাকা আইনে। এই ক্ষেত্রগুলো ছাড়া পতাকা যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা যাবে না। আর অন্যান্য সব দেশের মতোই বাংলাদেশের মাটিতেও খুবই সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বিদেশের পতাকা ব্যবহার করা যাবে না।
বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশের পতাকা ওড়ানোর এই ক্ষেত্রগুলো সেসব দেশের দূতাবাস ভবন, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীদের গাড়িতে বাংলাদেশে সফরকালে ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে কোথাও বিদেশি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতির দরকার হবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আইন অনুসারে,
“Except as stated in the above Rules, the flag of a Foreign State shall not be flown on any car or building in Bangladesh without the specific permission of the Government of the People’s Republic of Bangladesh.”
(People’s Republic of Bangladesh Flag Rules, article 9.IV)
সুতরাং কারো ইচ্ছা হলেই বিদেশি পতাকা গায়ে জড়িয়ে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশের রাজপথে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ কিংবা ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেবে, এটা আইনত অপরাধ।
বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ৩০ লাখ বাঙালির খুনিদের পতাকা হাতে ‘নামে বাংলাদেশের নাগরিক, কামে মনেপ্রাণে পাকিস্তানি’ এজেন্টদের উল্লাস দেখতে চাই না। আমরা ফেলানি হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি। ফেলানির রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ভারতের পতাকা হাতে ভারতপ্রেমীর উল্লাস দেখতে চাই না।
আমরা এমন দেশে বাস করি যেখানে চাঁদে সাইদীকে দেখার বিভ্রমে ভোগে শত শত মানুষ, জামায়াতে ইসলাম আর ইসলামকে গুলিয়ে প্রোপাগান্ডা চলে হরদম। ’খেলায় রাজনীতি মেশাবেন না’ তত্ত্বকে প্রচার প্রসারে খেলার পাতার দুই-তৃতীয়াংশ পাকি বন্দনায় মত্ত হয় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো। খুব সূক্ষ্মভাবে ‘রিকনসিলিয়েশন থিওরি’র আড়ালে পাকিপ্রোপাগান্ডা চালায়, ভাষা আন্দোলন নিয়ে দুনিয়া কাঁপানো ত্রিশ মিনিটের কর্পোরেট ভণ্ডামি করে, উর্দু শিরোনামে সংবাদ ছাপে, “সব ম্যাচ কা বাপ” (৪)! স্বাধীনতার মাসে, বাঙালি জাতির গণহত্যার মাসে মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকি পতাকা হাতে বাংলাদেশের শত্রুর উল্লাসের বিষবাষ্প ভেসে যায় মিরপুর বধ্যভূমির বাতাসে।
আমরা আশা করি, বাংলাদেশের আলো-হাওয়ায় বড়ো হওয়া এই কুলাঙ্গারদের অনেকেই একদিন ভুল বুঝতে পারবে, তারাও পাকিস্তানি কিংবা ভারতীয় না হয়ে বাঙালি ও বাংলাদেশি হওয়াকেই গৌরবের মনে করবে। কিন্তু কবে তাদের সেই চেতনার জন্ম হবে, সেজন্য অপেক্ষা করে করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও দেশের সার্বভৌমত্বকে পদদলিত হতে দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ ছাগুপনা প্রতিরোধের এখনই সময়।
এক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারকে অবশ্যই অন্তত নীচের যৌক্তিক কাজগুলো করতে হবে:
১. জাতীয় পতাকা আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং এ আইন লঙ্ঘনকারীদেরকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।
২. বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস করাকে পতাকা আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে চিহ্নিত করে স্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. পতাকার এই উন্মাদনা প্রধানত দেখা যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে। বর্তমানে আইসিসি-র নির্দেশ অনুযায়ী দর্শক সাথে করে অস্ত্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যের পাশাপাশি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টার বা ব্যানার নিতে পারে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিনদেশের জাতীয় পতাকাকেও এই তালিকায় যোগ করা হোক।
তথ্যসূত্র:
১) http://www.samakal.net/print_edition/details.php?news=14&view=archiev&y=2010&m=05&d=15&action=main&menu_type=&option=single&news_id=65608&pub_no=336&type=
২) http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article715751.bdnews
৩) http://lib.pmo.gov.bd/legalms/pdf/national-flag-rules.pdf
৪) http://www.prothom-alo.com/sports/article/159109
একমত। (Y)
বাংলাদেশ-পাকিস্থান ম্যাচে বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক তরুনের পাকিস্থানকে সাৰ্পোট করা, কখনোই স্বাভাবিক না। :-Y
খেলার মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলার তরুনদের পাকিস্থান ও পাকি-আৰ্দশের রাজনীতির প্রতি আৰ্কষিত করা হচ্ছে, এটা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। (FF)
কোন ব্যাক্তি বা প্রতীকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন স্থান কাল পাত্রে ভিন্ন হতেই পারে। আমেরিকানরা অন্তঃবাসে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে। আমরা করিনা। কারণ এটাই আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আবেগ। আলোচকদের মধ্যে যারা প্রস্তাবিত সুপারিশের বিপরীতে বলছেন তাঁদের যুক্তি সুস্পষ্ট। আইন দিয়ে দেশপ্রেম বা ভালোবাসা জাগানো যাবেনা। কিংবা ভয় দেখিয়ে চেপে রাখার কোন যুক্তি নেই। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রতিটি আইন ভয় দেখানোর জন্য করা নয়কি? যদি সবক্ষেত্রে মুক্তমত, মুক্তচিন্তা, মুক্ত পরিবেশের কথা বলেন তাহলে সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার যুক্তি কোথায়? যুক্তি এখানেই যে এগুলো সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সমাজ এমন কোন মুক্তচিন্তাকে উৎসাহিত করেনা যে, রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক কিংবা মনোজাগতিক মান নিজেই ক্ষতিকর উপাদানকে রুখে দিতে পারে। সমাজটা মুক্ত নয়, রুদ্ধ। বৃহৎ পরিসরে ভাবলে মুক্তচিন্তা এখনো বেড়া দেয়া ছোট গাছের মতো পর্যায়ে, তাকে সযত্নে বড় করে তুলতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত সুপারিশ বেড়া দেয়ার কাজ করবে, তাই এটিকে সমর্থন করি। স্কুলের যে বালকটি ভিন্ন দেশের পতাকা নিয়ে মাতামাতি করছে সে জানেনা পাকিস্তান ৭১ এ কি করেছিল। যখন সে পতাকা নিতে পারবেনা তখন সে জানতে চাইবে কেনো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় মতিঝিল টু পল্টন দীর্ঘ ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার পতাকা কারো মনে তৃপ্তি দিতে পারে, আমার কাছে অশোভন মনে হয়। ঘরে ঘরে ভিন দেশের পতাকা যখান উড়ে তখন কেউ কেউ এটিকে আমেজ বলে তৃপ্তি বোধ করতে পারে, আমার কাছে বিকৃত মানসিকতা মনে হয়, অর্থহীন উল্লাস মনে হয়, স্বকীয়তা বিবর্জিত কাজ মনে হয়।
সমাজের সাংস্কৃতিক মান, দেশাত্ববোধ যেদিন একটা যৌক্তিক পর্যায়ে পৌঁছুবে সেদিন প্রস্তাবিত সুপারিশ পুণবিবেচনা করা যাবে। পাকি পতাকার উল্লাস আমরা দেখতে চাইনা। যতোদিন সেটি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে বন্ধ না হবে ততোদিন বেড়া দেয়া গাছের মতো বড় করতে আমি দ্বিধান্বিত নই। ধন্যবাদ।
সচল-ই-তালেবানদের পক্ষ থেকে দীন-ই-চেতনা রক্ষার নতুন ফতোয়া। ইউরোপ-আমেরিকার দেশে দেশে বসে থেকে এই রকম ফতোয়া দিতে কিংবা সেটিকে সোৎসাহে সমর্থন করাতেও এদের বিন্দুমাত্র সেলফ এওয়ারনেস নেই।
@সফিক,
ঘটনা কি?
আজকাল প্রায়ই উপলব্ধি হচ্ছে এ জগত ছেড়ে দেই…
@আদিল মাহমুদ,পরে একটু বিস্তৃত করে লিখবো আমার মনোভাব। তবে সংক্ষেপে হতাশার কিছু নেই। এই ধরনের লেখাটির লেখকদের পথ ও উপায় অবলম্বনকে তীব্র আপত্তি থাকলেও, চূড়ান্ত উদ্দ্যেশ্য মোটের উপর মহৎই। খারাপ পথে যে ভালো উদ্দ্যেশ্য সাধন করার চেষ্টা করা অনুচিত, এটিই বার বার বলে যেতে হবে।
@সফিক,
আপনার আগের মন্তব্য যে শুধু এই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে করেছিলেন বুঝতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল সচলে হয়ত এ নিয়ে আরো কিছু হয়েছে, লিঙ্ক হয়ত দেননি।
পতাকা পোড়ানো, জাতীয় সংগীতের অবমাননা এসব নিয়ে আগেও এখানে আলোচনা হয়েছে। আপনার দৃষ্টিভংগী মোটামুটি জানি। আমাদের অঞ্চলে পশ্চীমিয় উদারতা আশা করা যায় না, প্রতিটা সমাজই তার তার মত আইন করে। আমেরিকাতেও কিন্তু শেষ বার পতাকা পোড়ানো নিষিদ্ধ করার আইন মাত্র ১ ভোটের অভাবে জারি করা যায়নি।
এ লেখা নিয়ে সংক্ষেপে আমার মূল্যায়ন হুবহু ফরিদ ভাই এর মত। উদ্দেশ্য খুবই মহত, কিন্তু গভীরতা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক। তবে সেই হতাশা তালেবান জাতীয় কিছুর সাথে তূল্য মনে হয়নি।
আইন করা নিয়ে আমার অসুবিধে নেই, হতাশা লেগেছে এ কারনে যে এই যুগেও অনেকে আশা করেন আইন আদালত করে দেশপ্রেম, দেশাত্মোবোধ এসব জন্ম দেওয়া যায় সেটা চিন্তা করে। অবাক হবার কিছু নেই, আমরা আশা করি কঠোর পুলিশী ব্যাবস্থা, স্পেশাল ট্রাইবুনাল এসব বসিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে ফেলবো……ছাগু ছাগু বলে গাল দিয়ে নিজেদের সাইট থেকে তাড়ালেই ছাগুরা দেশ থেকে নেই হয়ে যাবে……
@সফিক,
আগেও দেখেছি, আপনি এই ব্লগে সচলের কুৎসা গীত করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন; তা দেখে এই ব্লগটিকে মাঝে মাঝে বাশের কেল্লা বলেও ভ্রম হয়।
একটি ব্লগসাইটে অন্য একটি ব্লগকে কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই ডেকে আনা কতটুকু নৈতিক??? সচলে আপনার ‘বাশের কেল্লা টাইপের ধ্যান-ধারণা’ উগরে দিতে পারেন না, বা সচল সেগুলোকে মোটেই প্রশ্রয় দেয় না, সেই দায় কি মুক্তমনার??? মুক্তমনায় নালিশ ঠুকে লাভ কি? বরং বাশের কেল্লায় যেয়ে বিচার চান, দেখবেন আপনার সমব্যথীর অভাব হবে না!
দেখুন, সচলের মত কিছু সংগঠন ছিল বলেই, বা একজন জাফর ইকবাল, একজন মুনতাসির মামুন আছে বলেই স্বাধীনতার ৪০ বছর পর হলেও কাদের মোল্লারা কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে বা জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বা আমেরিকার ফরেন সেক্রেটারিকে দিয়ে চাপ প্রয়োগ করেও ফাঁসিকাষ্ঠ এড়াতে পারে না; বস্তুত এই সচল প্রাণীগুলো না থাকলে বাংলাদেশকে আপনারা আরও অনেক আগেই ফের পাকিস্তান বানিয়ে ফেলতেন!!
কদিন আগে এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান খেলার শেষদিকে পাকিস্তান জেতার সময় মীরাটে স্বামী বিবেকানন্দ শুভার্থী ইউনিভার্সিটির ৬০ জন কাশ্মীরি ছাত্র পাকিস্তানের নামে জয়ধ্বনি দেয়। এরজন্য তাদের এগেইন্সটে রাস্ট্রদ্রোহের মামলা জারি করা হয় যদিও ওমর আবদুল্লার হস্তক্ষেপের পর আজকে মামলাটি আবার তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্য ছাত্ররা এদেরকে আক্রমণ করে ও বেধড়ক পেটানো দেয় যার ফলে এরা সবাই কাশ্মীরে চলে গেছে।
এখন প্রশ্ন হল রাস্ট্রদ্রোহ কি এত সস্তা জিনিষ না যেভাবে দুজন ছাত্র আজকে টাইমস-নাওতে বলেছে ‘এখন ইলেকশন তাই ব্যাপারটা এত হাইলাইট পেয়েছে’। এসব ভাবা দরকার, পতাকা-টতাকা নিয়ে আবেগের আগে (আমাদের দেশেও এজাতীয় কিছু বিদঘুটে আইন আছে) দেখা যাক, WWE বা TNA তে যখন কুর্ট এঙ্গেল আমেরিকার পতাকা দিয়ে প্যান্ট বানিয়ে পরে আর অন্য দেশনামের কারোর সাথে ফাইট হলে দর্শকরা USA USA বলে আবার দেদার চেল্লায় তখন পুরো রাস্ট্রদ্রোহ ব্যাপারটাই হাস্যকর লাগে সঙ্গে রাষ্ট্রের দুর্বল আইডিয়াটাও।
ফরিদ ভাই,
এটা মৌলিক লেখা না, প্রথমেই বলা আছেঃ
– ফরিদ ভাই এর সাথে পুরোপুরি একমত।
এই লেখা কালই আরেক যায়গায় পড়েছিলাম, মন্তব্যও লিখে ফেলেছিলাম, পরে বাদ দিলাম। কারন সেখানে ও ধরনের কথার তেমন মূল্য নেই। আবেগের আতিশায্য যেখানে মূখ্য সেখানে তেমন গভীর আলোচনার অবকাশ নেই। উলটো মনে নেগেটিভ ষ্ট্রেস বাড়ে। যেমন কাল এই পাকি পতাকার সাথে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে মাতামাতি করা প্রসংগ আনাতে (যদিও মূল কারন সেটা আমি বলিনি)আমাদেরই এক সদস্য বেজ্জায় খাপ্পা হয়ে আমাকে সুদীর্ঘ এক মায়া জালে আটকে ফেলেন।
পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে মাতামাতি করার মূল সূত্র কোথায় তা আমরা সকলে জানি, কিন্তু সেটা প্রকাশ্য আলোচনায় আনা যাবে না। ‘ধ’ জড়িত কোন শব্দ বলা যাবে না, বলতে হবে ব্যাবসা, রাজনীতি এই ধরনের উদ্ভট তত্ত্ব। আমাদের সেক্যুলার সমাজ যে এখন কতটা দূর্বল তা নেট এ বিচরন করলে টের পাই। ধর্মীয় জাতীয়তাবোধের দিকে ইংগিত করলে কট্টর মোল্লা কিসিমের লোকে নয়, সেক্যুলার মানসিকতার লোকেই তেড়ে আসেন, উগ্র নাস্তিক উগ্র নাস্তিক সকলকেই ঘৃনা করে মানসিক তৃপ্তি পান। তারা এমনই উদার ধার্মিক যে ধর্মীয় জাতীয়তাবোধ বলে কিছু আদৌ আছে তাই অস্বীকার করে বসেন, ধর্মনাশের ষড়যন্র আবিষ্কার করেন। এ রকম মনোভাব থাকলে আদৌ এসব নিয়ে বেহুদা চিতকার চেঁচামি করা সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু না। বড়জোর কিছু অশ্রাব্য গালিগালাজ করে গায়ের ঝাল ঝাড়া যাবে আর আইনী ব্যাবস্থা নেবার মত অবাস্তব উপায়ের ভরসার শরনাপন্ন হতে হবে। এভাবে উলটো বিপক্ষ দলও উষ্কানি পেয়ে শক্তি প্রদর্শনের পথে যাবে। তারা সকলে জামাতি বলে মানসিক সান্তনা পাওয়া গেলেও বাস্তব মোটেও তেমন নয়, তারা খুব একটা সংখ্যালঘু নয়।
দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ বাপ মা তুলে গাল দিয়ে, মারধোর করে কিংবা থানা পুলিশের ভয় দেখিয়েও জাগ্রত করা যায় না। দেশপ্রেম জাতীয়তাবোধ এসব শেপড হয় মূল্যবোধ থেকে। মূল সমস্যা সেখানে।
পতাকা আইনে ঠিক কি বলে জানি না। আমার জানা মতে আমাদের দেশের পতাকা আইন অনেক রক্ষনশীল। কিন্তু তাতে এ পর্যন্ত কয়জনে সাজা পেয়েছে আমার জানা নেই। হাজার হাজার মানুষ যাতে অভ্যস্ত তা হঠাত পতাকা আইন জাতীয় ধারা প্রয়োগ করে বন্ধ করা যাবে না। পতাকা আইনে কি বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশের পতাকা বহনও নিষিদ্ধ? উলটা দেখা যাবে এই আইনের ফাঁক বার করে তা দিয়ে বাংলাদেশের পতাকাকে ইচ্ছে করে অপমান করা হচ্ছে। ফেসবুকে দেখেছি ক’জন অতি উতসাহী পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের পতাকা জুড়ে মহা সমারোহে উড়াচ্ছে। আইন মেনে এ ধরনের দৃশ্য হজম করতে আমরা রাজী? পতাকা প্রদর্শন ছাড়াও পাকি প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর বুদ্ধি বার করতে এমন কোন নিউটন আইনষ্টাইনের ব্রেন লাগে না। আইন করে হয়ত পতাকা প্রদর্শন বন্ধ করা যেতে পারে, কিন্তু মন থেকে দূর করা যাবে না।
আইনের ভয় দেখিয়ে, ধমকে এমনকি মারধোর করেও (এই জাতীয় সাজেশনও ব্লগ জগতে দেখা যায়, আমাদের ম্যাচিউরিটি লেভেল এমনই) এর প্রতিকার সম্ভব নয়। ব্যাপারটা আপাত চোখে তুচ্ছ হলেও এত সরল নয়। বাংগালী জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করা ছাড়া উপায় নেই। কাজটি তেমন সহজসাধ্য কিছু নয়।
ব্যাখ্যাটা আমি দেই। যদিও এই মুহূর্তে আমি একটা ঘটনায় খুব শোকাবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছি। লগইন করতাম না, যদি না এ নিয়ে বিতর্ক শুরু না হত। অভ্র নেই সাথে। খুব কষ্ট করে টাইপ করতে হচ্ছে। বানানের ভুলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
লেখাটা আসলে শুধু সচলায়তন ব্লগে না অন্যান্য সব ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন –
আমরা বন্ধু ব্লগে প্রকাশিত
নির্মাণ ব্লগে প্রকাশিত
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে প্রকাশিত
এছাড়াও আরো কিছু ব্লগে লেখাটা গেছে দেখেছি। যেহেতু মুক্তমনা এর আগে ব্লগারদের ধরপাকড়ের সময় বাংলা ব্লগ এলায়েন্সের সাথে যুক্ত হয়ে ব্ল্যক আউট সহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল,কাজেই স্বাভাবিক্বহাবেই হয়তো তারা আশা করছিল এটা মুক্তমনাতেও প্রকাশিত হবে। আমি বাইরে থাকায় এ দায়িত্ব নিতে পারিনি। হয়তো সেজন্য রায়হান সত্ঃপ্রবৃত্ত হয়ে লেখাটা এখানে পোস্ট করে দিয়েছে। তবে দেয়ার সময় নীচে একটু ক্লারিফিকেশন দিতে পারতো।
আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখাটির আবেগের সাথে একমত হলেও মুক্তমনার উদ্দেশ্যের সাথে লেখাটার অসংগতি দেখি খানিকটা। মুক্তমনার জন্ম ‘ক্রিটিকাল থিঙ্কিং’ এর কথা মাথায় রেখে। যে কোন ডগমার বিরুদ্ধেই মুক্তমনা সোচ্চার। ধর্ম, অবৈজ্ঞানিক মন মানসিকতা, সনাতন রীতি নীতি, ধর্মগ্রন্থ এগুলোর সমালোচনা আমাদের ব্লগে হয়, যেটা অন্য অনেক ব্লগেই দেখা যায় না। দেশের পতাকার প্রতি মানুষের আবেগ আছে বুঝি, কিন্তু সেটাকে আইনের চোখ রাঙানি দিয়ে,জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে শরিয়া আইনের মতো ‘প্রোটেক্ট’ করার কোন কারণ আমি পাই না। দেশের পতাকাকে ‘ব্লাস্ফেমি আইনের’ মত রক্ষা করা শুরু হলে এটা বিপদের কথা বৈ কি।
আর দেশের পতাকা অলংঘনীয় কিছু নয়। বহু দেশেই উদারপন্থি মানবাধিকার কর্মীরা পতাকা পোড়ায়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, ইরাক যুদ্ধের সময় কHঅদ আমেরিকার বহু মানবাধিকারকর্মী নিজ দেশে আমেরিকার পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এটাতে আমি কোন অন্যায় দেখি না। বরং বহু সময় এর দরকার আছে। রাষ্ট্র কাঠামো আর দেশপ্রেমকে সবার উপরে স্থান দিলে বহু সময় যে পরিস্থিতি শুভ হয় না, হিটলার কিংবা মুসোলিনির উদাহরণগুলোই এর প্রমাণ। দেশপ্রেম, পতাকা আর রাস্ট্রের প্রতি ‘উবার এলিস’ সিনড্রোমের অনেক খেলা আমরা ততীতে দেখেছি। জামাত-বিএনপির আমলে সংখ্যালঘু জণগনের উপর যখন অত্যাচার শুরু হল, তখন দেশের বাইরে আমরা যারা এ নিয়ে লেখালিখি শুরু করেছিলাম, আমাদের বিশ্বাসঘাতক উপাধি দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল আমরা নাকি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষু্ন্ন করছি। রাষ্ট্র কিংবা পতাকার প্রতি উদগ্রপ্রেম অনেক সময়ই ভাল কিছু নিয়ে আসে না।
তবে আমি বুঝি এ লেখাটা এ নিয়ে তৈরি করা হয়নি। আসলেই স্বাধীন দেশে পাকিপ্রেমিদের পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে নাচানাচি, কিংবা গায়ে গালে পাকি পতাকা মেখে চিৎকার শীৎকার অর্বাচীন। কিন্তু এটাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সমর্থকদের জেলে পুরা উচিৎ কিনা আমি নিশ্চিত নই। মনে রাখতে হবে, বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালীন সময় ব্রাজিল আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়েও একই রকম নাচানাচি হয়। তবে হ্যা, পাকিস্তানের সাথে আমাদের একাত্তরের রক্তাক্ত ইতিহাস জড়িত। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে কোন আলাদা ব্যবস্থা নিলে আমার আপত্তির কিছু নেই। যেমন কেউ নাৎসী পতাকা স্বস্তিকা কিংবা হিটলারের জয়ধ্বনি করা সাইন ব্যবহার করে পশ্চিমে উল্লাস করলে তাকে আটক করা হবে স্বাভাবিক কারণেই। পাকিস্তান নামক দেশটি সর্ববৃহৎ গণহত্যআর সাথে জড়িত ছিল একাত্তরে। কাজেই এই দেশটির বেলায় ভিন্নরকম আইন করা যেতেই পারে। কিন্তু সব দেশকে এক কাতারে ফেলে কেবল পতাকা আইন দিয়ে চোখ রাঙানি দিলে হবে না।
তবে আমি চাইবো লেখাটা মুক্তমনায় থাকুক। এবং এ নিয়ে আরো আলোচনা হোক। এটাই আমাদের এগিয়ে যাবার ক্ষেত্র তৈরি করবে।
ধন্যবাদ রায়হানকে। ধন্যবাদ অন্য সবাইকে।
@অভিজিৎ দা,
ভাইয়া নীচে কেনো, ক্লারিফিকেশন তো উপরেই ব্লোড করে দেওয়া আছে। আর আমি পোস্টটা করেই, আপনাকে মেসেজ করে লেখকের নামটা পালটে সন্দেশ/এডমিন সংক্রান্ত কোনো একাউন্টের যোগ করে দিতে বলেছিলাম যাতে লেখক হিসেবে আমার নামটা দেখা না যায়। লেখাটা যেহেতু আপনি মুক্তমনায় রাখতে চান নি বা সংশয়ী ছিলেন, মুছে দিতে পারতেন। আমি গত বিশ ঘন্টা মুক্তমনায় ঢুকতে পারি নি। এখন ঢুকে দেখি লেখকের নামের জায়গায় আমার নামই আছে।
যেহেতু এই লেখাটা আমার নয় এবং বাংলা ব্লগ অ্যালায়েন্সের তাই এই লেখার বিষয়বস্তুর ক্লারিফিকেশন আমার দেওয়া মানায় না। যেহেতু অনেকেই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তাই ব্লগটি মুছে দেবার ব্যাপারে আপনিই সিদ্ধান্ত নিন প্লিজ। তবে লেখক হিসেবে প্লিজ আমার নামটা পালটে অতিথি লেখক হলেও করে দিবেন।
লেখাটা একই সময়ে সচলায়তনেও এসেছে। লেখক সন্দেশ। সন্দেশ হচ্ছে সচলায়তনের অফিসিয়াল স্পোকপার্সন। এই বিষয়ে একটু ব্যাখা আশা করতে পারি বলেই মনে হয়।
@ফরিদ আহমেদ ভাই,
বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ লেখাটা সব কমিউনিটি ব্লগের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে লেখা চিঠি। বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগের ব্লগার/মডারেটররা একত্রিত হয়ে বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স গঠন করেছিলেন মূলত ব্লগারদের গ্রেফতার/হয়রানি শুরু হবার পর। পতাকা সংক্রান্ত বিষয়ে এমন একটা চিঠি দেবার ব্যাপারে একজন অনুরোধ করেন এবং সে হিসেবে পোস্ট লিখে সচলায়তন, মুক্তাঙ্গন, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, শৈলি, আমরা বন্ধু সহ আটটি ব্লগে সরকারের প্রতি অনুরোধের এই পোস্টটি পোস্ট করা হয়। অভিদা কাজের মাঝে থাকায় ঐ আলোচনায় মুক্তমনার পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি উত্থাপিত হয় নি বিধায় আমি ক্যাডেট কলেজ ব্লগ আর মুক্তমনায় BCBA এর প্রতিনিধি হিসেবে লেখাটি প্রকাশ করি। ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আমার এডমিন এক্সেস থাকায় সেটার লেখক ‘ব্লগ এডজুটেন্ট’ করে দেই সাথে সাথেই আর মুক্তমনার লেখক বদলানোর জন্য অভিদাকে অনুরোধ করি।
এই হলো ব্যাখ্যা। তবে অভিদা যেহেতু বলেছেন লেখা/দাবীর সাথে উনি পুরোপুরি একমত নন সেক্ষেত্রে এক পোস্টটির ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ করেছি।
প্রাসংগিক নিউজ http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article753676.bdnews
পতাকা ওড়ানোর কথা বললে – ফুটবল বিশ্বকাপের আগে অভিযান চালানো উচিত। ক্রিকেট খেলায় ভারত-পাকিস্তানের পতাকা ঐ স্টেডিয়াম পর্যন্তই। ফুটবল বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা শহর গ্রাম গঞ্জে বাসার উপর লাগিয়ে যেন সার্বভৌমত্বের উপর হামলা হয়!!!
আর আমার ব্যক্তিগত মত হল – সিম্বলিজম থেকে মনের ব্যাপারটাই আসল।
২১শে ফেব্রুরীর রাতে খালি পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে পরের দিন যেখানে শহীদ মিনার ডেটিং সাইট হয়ে যায়… আগে এসব বন্ধ করতে হবে!!
@সংবাদিকা,
তবু যে পাকিস্তানের পতাকা বিদায় করার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি, এটা না উড়ানই ভাল।
@সংবাদিকা,
আপনি এক একটা ইস্যু খুজেন, আর সেই সুত্র ধরে আমাদের জাতীয় অহংকারের জায়গাগুলোকে সূক্ষ্ম আঘাত করেন। আলোচনা হচ্ছিল পতাকা নিয়ে, আপনি নিয়ে আসলেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি, শহীদ মিনারকে বানিয়ে ফেললেন “ডেটিং সাইট”।
কেন পাকি পতাকাবাহকেরা ব্রাজিলের পতাকাবাহকদের সাথে একই সূত্রে গাঁথা পড়তে পারে না, তার কিছু কারণ উপরে উল্লেখ করেছি, দেখতে পারেন।
হ্যা, অনেকে এমনটা করে, খালি পায়ে ফুল দিয়ে আবার পরেরদিন ডেটিং করে, কিন্তু তারা তো আর বিজাতীয় পতাকা নিয়ে ভুত সাজে না! শহীদ মিনারে প্রেম করার মধ্যে ‘দেশের প্রতি অবমাননা’ দেখতে পান, অথচ পাক পতাকার কুরুচিপূর্ণ নগ্ন প্রদর্শন আপনার কাছে ব্রাজিলের পতাকা উড়ানোর মতই একটা নিছক খেলাসুলভ আচরণ মনে হয়, কোন “অপমান”ই সেখানে দৃষ্টিগোচর হয় না আপনার!!
সত্যি বলতে কি, আপনাকে বুঝতে আর বাকি নেই কারো। অন্যদের দোষ দিয়ে কি লাভ? আপনার আদর্শগত অবস্থান ঠিক মেরুতে, তা যে দিন দিন আপনিই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর করে তুলছেন!
@কাজি মামুন,
আমাদের প্রধান সমস্যা গুলোকে আগে ঠিক করতে হবে – যেন কান টানলে মাথা আসে – ইন্ট্রিন্সিক্যালি যেন আমরা আমাদের জাতীয়তাবোধ ধারন করতে পারি ।
আমি কি বানালাম ??
আমাদের সেনাবাহিনী যখন পাকিস্তানে নির্মিত ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে তখন?? তাছাড়া, পাকিস্তানের সাথে আমাদের বহু জায়গায় বহুকিছুতে বিনিময় আছে।
আমি এজন্যই সবসময় বলি আমাদের আবেগ কে আরও কতক ফ্যাক্টরের পরে আশ্রয় দেওয়া উচিত!! আমি পাকিস্তানের যেসব মানুষের সাথে কর্ম জীবনে প্রফেশনাল কাজ করেছি এবং বিভিন্ন ভাবে দেখেছি – বেশিরভাগকেই আমার ভন্ড মনে হয়েছে – হয়ত ভালো মানুষও আছে অবশ্যই যাদের সাথে মোলাকাত হয়নি। পাকিস্তানিরা ধর্ম নিয়ে তারা অনেক ভণ্ডামি করে। কিন্তু ব্যাপারটা সেটা নয় – এখানে যুক্তিই ধরে কথা বলেন – পাকিস্তানের সাথে কিংবা ভারতের সাথে আমাদের কোন যুদ্ধ অবস্থা নেই। আমি কোন সময়ই অন্য দেশের পতাকা ধরে নাচা সমর্থন করিনা।
আমার আর্গূমেন্ট – আমাদের অন্য দেশের পতাকা এভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় – যে দেশেরই হোক !!!
হা হা… আচ্ছা বইটি (কিংবা পৃন্ট কপির বাইন্ডিং 😛 ) কিনেছেন… ?? শেষ দিন বই মেলায় যেটি বিশিষ্ট “_____ বিশেষজ্ঞের” চামচরা ছাপিয়েছে 😛
@সংবাদিকা,
কি চান সংবাদিকা আপনি? ২২শে ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে শহীদ মিনারে ধুপধুনো জ্বালিয়ে কান্নাকাটি করবে না পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ আদায় করবে। প্রেমের প্রতি আপনার বিরূপতা বুঝতে পারি যেহেতু আপনি না পুরুষ না স্ত্রী না উভঃ, বোধহয় ঈশ্বর বা আল্লা জাতীয় কিছু একটা। তবে মনে রাখবেন প্রেমই শুধু ভাষাপ্রেম না মানবতারই জন্ম দেয়। আর শেষকথা হলে বলি, ২১ নিয়ে ফাজলামো না করলেই ভালো, কারণ ২১শে হল প্রত্যেক প্রেমিক প্রেমিকার অভিজ্ঞান।
@অজয় রাউত,
আপনি কি কখনো দিল্লীর রাজ ঘাটের মূল বেদি গুলোতে যেয়ে এমন করেছেন ?
@সংবাদিকা,
হ্যাঁ রাজঘাট শুধু নয় ইন্ডিয়া গেট, ভিক্টোরিয়া, কামাখ্যা মন্দির আর অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে তাজমহলেও।
আবেগী লেখা। যে আবেগটার কারণে এই লেখা, সেটার প্রতি শতভাগ সমর্থন রয়েছে, কিন্তু এই লেখায় যুক্তি খুবই দুর্বল।
তুমি কি নিশ্চিত যে, এটা আইনত অপরাধ? তুমি যে আইনের উদ্ধৃতি দিয়েছো, তা শুধু প্রযোজ্য গাড়ি বা বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে। এখানে এই ক্যানাডায়, তুমি যে কোনো দেশের পতাকা উত্তোলন করতে পারবা, শুধু শর্ত হচ্ছে সাথে ক্যানাডার পতাকাও ওড়াতে হবে। কিন্তু, গায়ে জড়িয়ে বা হাতে নিয়ে কিংবা গালে কপালে অন্য দেশের পতাকা আঁকার বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই। এখানে যদি বাংলাদেশের সাথে ক্যানাডার খেলা হয়, আমি কোনো আইন না ভেঙেই বাংলাদেশের পতাকা গায়ে জড়িয়ে খেলা দেখতে পারবো।
নিজ দেশ বাদ দিয়ে অন্য দেশের পতাকা নিয়ে লাফালাফি ঝাপাঝাপি করা এক ধরণের হীনমন্যতার প্রকাশ, নোংরা এবং নিচু মানসিকতা, কিন্তু অপরাধ হতে পারে না। ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে করছে বলে আমাদের অপমান বেশি লাগছে, কিন্তু ভাবো একবার ফুটবল বিশ্বকাপের সময়ের কথা। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে বাংলাদেশিরা যে মাতামাতি করে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাতেও মনে হয় না সেই রকম মাতামাতি হয়।
জোর খাটিয়ে দেশপ্রেম জন্মানো যায় না কারো মনে। বাংলাদেশের যে প্রজন্ম, এরকম হীন এবং লজ্জাকর আচরণ করছে, কোথা থেকে তারা এই হীনমন্যতা রপ্ত করছে, সেটাকে চিহ্নিত করে, তার প্রতিকার করাটাই বেশি জরুরী। জোর খাটালে, শক্তি দেখালে, সংঘবদ্ধ শক্তির বিরুদ্ধে তারা হয়তো চুপ থাকবে এখন, কিন্তু মনের মধ্যে ভিনদেশের প্রতি ভালবাসাটা ঠিকই জিইয়ে রাখবে। সেটা নিশ্চয়ই কাম্য নয় আমাদের কারোরই।
@ফরিদ ভাইয়া,
কথা সঠিক বলেছেন। গত বিশ্বকাপ পর্যন্তও এই মাতামতিওয়ালাদের দলে আমি নিজেও ছিলাম। বিশাল বড় একটা আর্জেন্টিনার পতাকা বানিয়েছিলাম ব্রাজিলের সমর্থকদের সাথে পাল্লা দেবার জন্য, কিন্তু এইবার আর না। সমর্থন থাক সমর্থনের যায়গায়, পতাকা নিয়ে মাতামাতি আসলেই বেশি বাড়াবাড়ি।
@ফরিদ আহমেদ,
(Y) (Y) (Y)
@ফরিদ ভাই,
ভিনদেশী পতাকা নিয়ে নাচানাচি করা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, তা সে আর্জেন্টিনা হউক বা ব্রাজিল হোক। তবে আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিল এর পতাকা নিয়ে নাচানাচি করার সাথে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে নাচানাচি করার মধ্যে কিছু গুনগত পার্থক্য রয়েছে, তা মনে হয় অস্বীকার করবেন না?
একাত্তরে পাকিস্তান কি করেছে, তা সারা বছরই মিডিয়ায় আসে, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আরও বেশী করে আসে। তো এইসব নারকীয় দৃশ্য পাক পতাকা হাতে নাচানাচি বন্ধ করতে কিছু ভূমিকাও কি রাখতে পারত না?
পাক পতাকা হাতে নাচানাচি শুধু খেলার উন্মাদনা নয়, এইটুকু আপনি নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না?
পাক পতাকা হাতে নাচানাচির ভিতর সাম্প্রদায়িকতা ঢুকানো আছে। ব্রাজিলের পতাকা উত্তোলনের সাথে এই পার্থক্যটুকু নিশ্চয়ই আপনার নজর এড়িয়ে যায়নি?
সবচেয়ে বড় কথা, পাক পতাকাবাহককের ভিতর আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করারও একটা সংগোপন অভিরুচি রয়েছে। প্রমান হিসেবে পরিচিত কয়েকজন পাক ক্রিকেট সমর্থকের কথা বলতে পারি, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নিম্নোক্ত ধারায় মূল্যায়ন করেঃ
১.মুক্তিযুদ্ধে তিরিশ লাখ লোক মরেছিল, এইটা একটা ফ্লুক। বড়জোর তিন লাখ মরতে পারে, যার মধ্যে অনেক বিহারীও ছিল যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে।
২.মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান আর কি অত্যাচার করেছে, তার চেয়ে বরং অনেক বেশি অত্যাচার করেছে ভারত স্বাধীনতার পরে।
৩.পাকিস্তান তো বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পন করেনি, ভারতের কাছে করেছে।
৪.ভারত বাংলাদেশের ভাল চায় বলে মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন করেনি, তারা পাকিস্তানকে ভাঙতে চেয়েছিল।
আরও দেয়া যায়। আর বিশ্বাস করুন, এক বর্ণও বানিয়ে বলছি না। পরিচিত পাক ক্রিকেট সমর্থকদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা এরকমই। যাই হোক, এরপরও কি আপনি বলবেন, উপরোক্ত ভাবধারায় বিশ্বাসী লোকগুলোর সমর্থন নিছক খেলাকেন্দ্রিক বা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থনের সাথে সর্বসম?
@কাজি মামুন,
তিরিশ লাখকে ৩০ হাজার বানিয়ে দেয়া লোকও আছে, বেশ ভাল সংখ্যাতেই আছে, তবে ঐযে প্রমান আমিও করতে পারব না। মামুন ভাই আপনি কি এমন লোকদের দেখেছেন? এদের কয়কজনের সাথে আমার পরিচয় আছে। ইচ্ছা করে ধরে মাথায় বাড়ি দেই, যারা ৩০ লাখ শহীদকে ৩০ হাজার বলে থাকে। তিন লাখ তো সে তুলনায় ভালই। এই জালিয়াতির দেশে সব সম্ভব, সম্ভব দিন কে রাত করা।
@কাজি মামুন,
তোমাকে আমি একটা পালটা উত্তর দিতাম মামুন। কিন্তু, দিচ্ছি না। যে লেখার লেখক নিজেই আলোচনায় অংশ নেয় না, সেই লেখায় আলোচনা করে সময় নষ্ট করার পক্ষপাতী আমি নই।
@ফরিদ ভাই,
রায়হান ভাইয়ের কথা বাদ দিন। উনি ব্যস্ত মানুষ। আমরা যখন লেখালেখি করেই শুধু দায়িত্ব শেষ করি, তখন উনি সংগঠন, আন্দোলনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত থাকেন। তাছাড়া উনাকে যে ভাষায় সচল-ই-তালেবান বলা হচ্ছে, তাতে উনি আনন্দ বোধ নাও করতে পারেন আলোচনায়।
রায়হান ভাই আলোচনা না করলেও সূত্রপাত তো করেছেন, আর সেই সুতো ধরে অন্যরা আলোচনা করলে এমন কি ক্ষতি? অন্য পাঠকরা, যারা এখানে চোখ রাখছেন, তারা আপনার পালটা উত্তর থেকে কিছুটা জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হত না?
শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর পেলে মন খানিক প্রবোধ পেতঃ
পাক পতাকা হাতে নৃত্য আর ব্রাজিলের পতাকা হাতে নৃত্য করার মাঝে আপনি কোনই পার্থক্য দেখেন না??? এমনকি একাত্তরের পাক তান্ডবের কথা মনে করিয়ে দেয়ার পর আমার পরিচিত পাক সমর্থক লোকদের দেখেছি, নৃত্যের তাল আরও বাড়িয়ে দিতে! তারা সব ইতিহাস ভুলে পাকি প্রেমে আরও মত্ত হয়ে যেতে চান, অনেকটা বিদ্রোহের মত। আর যুক্তি দেখান উপরে তোলা চারটে পয়েন্টের মত করে।
@কাজি মামুন,
শোনো মামুন, আবেগের অংশটায় আমার কোনো আপত্তি নেই, সেটা আমি বলেছি আমি। কাজেই, এই দুইয়ে পার্থক্য যে আমার কাছে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমার আপত্তির জায়গাটা আইনের অংশে, জোর জুলুমের জায়গায়। এটা ব্যাখ্যা করেছি আমি আগেই।
এইবার আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করি। তুমি জবাব দাও। এই লেখায় বলা হয়েছে যে, তিরিশ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে বলে পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে উল্লাস দেখতে চায় না, আবার ফেলানিকে মেরেছে বলে ভারতীয় পতাকা হাতে ভারতপ্রেমীদের উল্লাস দেখতে চায় না। তিরিশ লাখ লোকের হত্যাকারী আর ফেলানি হত্যাকারীর মধ্যে কি কোনোই পার্থক্য তুমি দেখো না?
@ফরিদ ভাই,
মুক্তিযুদ্ধ তো একটা আবেগই, এ সেই আবেগ, যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল দেশমাতৃকার জন্য প্রাণপণ লড়াই করতে, পরিবার-পরিবারজন সব ছেড়ে, রোদ-বৃষ্টি-নদী-জংগল-কাদা-মাটি-পুতি গন্ধ সব সয়ে, পাকিস্তানী হানাদার ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, এমনকি তিরিশ লাখ তাজা প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনতে। এগুলো সব হয়েছে, আবেগটুকু ছিল বলেই। এখনো মানুষ শাহবাগ করে, আবেগটুকু আছে বলেই। না হলে কি দায় পড়েছে বলুনতো সুখের সংসার-পরিবার-পরিজন ছেড়ে দিয়ে রাতের পর রাত শাহবাগে বিনিদ্র রজনী কাটানোর, শ্লোগান দিয়ে গলাটা ফাটানোর?
তাই, ফরিদ ভাই, মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ এলে আমি সবসময় আবেগ করব, এই ক্ষেত্রটিতে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা, একাডেমিক অ্যাপ্রোচ, যুক্তি-প্রজ্ঞা, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষতা, তুলনামূলক বিশ্লেষন – এসব টার্মে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই।
আমি মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন নিরপেক্ষতার আশ্রয় নিতে চাই না, ফরিদ ভাই। আমি কখনই ব্যালেন্স করে চলতে চাই না এই জায়গাটাতে। স্যরি, আপনাকে দুঃখ দিয়ে থাকলে!!
@কাজি মামুন,
তোমার এই বক্তব্যে আপ্লুত হতে পারছি না বলে দুঃখিত। এই লেখায় যদি বাংলাদেশে অন্যদেশের পতাকা নিয়ে লাফালাফির বিরুদ্ধে আবেগী লেখা হতো, আমিও সেই আবেগে ভেসে গিয়ে তোমার মতো করেই কথা বলতাম। এই লেখায় মূলতঃ ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার জন্য রাষ্ট্রকে নিপীড়নমূলক আইন করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। এই লেখাটার শেষ অংশ তুমি দেখো নি আমার ধারণা। আমি তুলে দিচ্ছি।
এর মধ্যে প্রথমটা নিয়ে কথা নেই। পতাকা আইন বাংলাদেশে আছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়তা সরাসরি ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ। এ দুটো চালু হলে তোমার ভাষ্য অনুযায়ী নির্দোষ যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা, সেগুলো নিয়েও তুমি উল্লাস করতে পারবে না। এমনকি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যদি কোনোদিন বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে খেলেও, তবুও না। আজকে পতাকা আইন হবে, কালকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলার আইন হবে, পরশুদিন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা আইন হবে। এর কোনো শেষ নেই। রাষ্ট্রের নাগরিকদের উপর এই ধরণের নিপিড়ণ করে যদি মুক্তিযুদ্ধ আর বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলেতো মুশকিল, তাই না?
কাজি মামুন ভাই,
আমি আসলে গতকালকে পোস্টটা দেবার পর থেকে আর বসতে পারি নি। আজ সকালে উঠে দেখি এই অবস্থা!
@ফরিদ আহমেদ ভাই,
আপনার সাথে একমত। জোর খাটিয়ে কোনো কিছু করার পক্ষপাতি আমি নই। কিন্তু মাঝে মাঝে সংঘবদ্ধ শক্তির অস্তিত্বের প্রকাশ প্রয়োজন বলেই মনে করি।
@ফরিদ আহমেদ, আমি আপনার সাথে এক মত