সমকামীদের অধিকার নিয়ে ম্যাগাজিন “রূপবান” এর প্রকাশনার যাত্রা শুরুর খবরটি আজকের বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকার অন্যতম আলোচিত সংবাদ। নজরকাড়া প্রচ্ছদে ৫৬ পৃষ্ঠার এ ম্যাগাজিনটি রাজধানী ঢাকা থেকে গতকাল প্রকাশিত হয়। নিঃসন্দেহে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ। রূপবানের তরুন সম্পাদক রাসেল আহমেদ বলেন “বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে যেখানে সমকামীরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়, সেখানে সমকামীদের স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দিতেই এ প্রয়াস”।
বাংলাদেশের লেসবিয়ান, গেই, বাইসেক্সুয়াল ও ট্র্যান্সজেন্ডার (এলজিবিটি) মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এটি বিরাট এক পদক্ষেপ। রাসেল আহমেদ বলেন, আমরা আশা করি এটা সমকামী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। রূপবান ম্যাগাজিনের সম্পাদকের প্রত্যাশা, সমকামীদের জীবনযাপন পদ্ধতি ও বিভিন্ন দিক নিয়ে ম্যাগাজিনটিতে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তা মানুষের মধ্যে সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সক্ষম হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সমকামী পত্রিকা রূপবান নিষিদ্ধের দাবী উঠেছে। “রূপবান” নামে সমকামী ম্যাগাজিন প্রকাশে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় তাফসীর পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, “বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশে ইসলামী শরীয়তে হারাম ও নিষিদ্ধ সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিতে এবং বাংলাদেশের মত পীর-মাশায়েখ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে সমকামকে বৈধ দিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ক্রীড়নক এদেশে কাজ চালাচ্ছে।”
তিনি বলেন, সমকাম ইসলামে অবৈধ ও হারাম। এটাকে পশ্চিমা বিশ্বে বৈধ মনে করলেও মুসলমানরা কখনো তা সমর্থণ করে না। ইসলামের বিরুদ্ধে নতুনভাবে চক্রান্ত করতে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া হারাম সমকামকে এদেশের মুসলমান সমাজে ছড়িয়ে দিতে যারা এ মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে তাদেরকে এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ বয়কট করবে।
তিনি সমকামীদের ম্যাগাজিন “রূপবান” নিষিদ্ধ এবং যারা সমকামী হিসেবে পরিচয় দেয় তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় এ সকল কুলাঙ্গাররা এদেশের যুব সমাজের চরিত্র নষ্ট করে পশ্চিমাদের অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দিবে বলে বলেন তিনি। আজ বিকেলে জাতীয় তাফসীর পরিষদ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম উপরোক্ত কথা বলেন। সূত্র – ইসলামিক নিউজ ২৪ ডট নেট।
বাংলাদেশের আইনে সমকামিতাঃ বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশেই সমকামিতাকে বৈধতা দিলেও বাংলাদেশ রয়েছে তার আগের পর্যায়ে। বাংলাদেশের আইন সমকামিতাকে এখনো প্রকৃতি বিরুদ্ধ মনে করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি প্রদান করে। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে কোনো পুরুষ, নারী বা জন্তুর সাথে প্রকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা দশ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং তদুপরি অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবেন। এ ধারায় বর্ণিত অপরাধীরূপে গণ্য হবার জন্য যৌন সহবাসের নিমিত্তে অনুপ্রবেশই যথেষ্ট বিবেচিত হবে।
[Section 377. Unnatural offences– Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with imprisonment for life, or with imprisonment of either description for a term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine. Explanation– Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offence described in this section.]
এখন প্রশ্ন আসতে পারে প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলতে কি বুঝানো হয়েছে? এই আইনের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে – “The unnatural offenses are two: {a} Sodomy and {b} bestiality. Sodomy consists of penetration per anus with another person. Bestiality can be committed either by a male or female human being with an animal.” মূলত এই ধারার অধীনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলাতে পায়ুকাম এবং পশ্বাচারকেই (পশুর সাথে যৌনসঙ্গম) অস্বাভাবিক অপরাধ অর্থাৎ “অর্ডার অব ন্যাচার” পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
ইসলাম ধর্মে সমকামিতাঃ ২০০১ সালে নেদারল্যান্ড প্রথম সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার পর তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা (অনেক স্টেট) সহ পৃথিবীর প্রায় ৭০টি সুসভ্য দেশ। ২০১১ সালে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলও সমকামিতার পক্ষে একটি ঐতিহাসিক সনদ পাশ করে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া সহ পৃথিবীর সেরা মুসলিম দুর্নীতিবাজ দেশগুলোর কোনটিতেই সমকামিতাকে সামান্য বৈধতা দেয়াও হয়নি।
ইসলামের মূল সংবিধান,কোরান ও হাদিসে সমকামিতাকে অত্যন্ত কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে ও শাস্তি প্রদানের কথা বলা হয়েছে। কুরানে সমকামীদের ‘লুতের লোক’ বলা হয়েছে নবী লুতের ঘটনাকে ভিত্তি করে। নবী মুহম্মদ এর শাস্তি নির্ধারন করে গেছেন মৃত্যুদন্ড। (আবু দাউদ ৩৮:৪৪৪৭,তিরমিযি ১:১৫২)মোহাম্মদের পরে খলিফাদের সময়ে আবু বকর ও উমর কিছু সমকামিকে জীবন্ত দগ্ধ করেছিলেন বলে জানা যায়।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মহাপ্রলয় সংঘটিত হওয়ার আগে পৃথিবীজুড়ে এমনকি মুসলিম দেশসমুহতেও যেসব নাফরমানী শুরু হবে তার মধ্যে একটি হল এই সমকামিতা। ধর্মগ্রন্থ আল কোরানের বিভিন্ন সুরা-আয়াতে মানুষের সমকামী-প্রবনতার বিরুদ্ধে বিচিত্র সব শাস্তি/গজবের কথা বলা আছে। পাথরবৃষ্টি, ভুমিকম্প, বন্যা………. দিয়ে আল্লা তাৎক্ষনিক ভাবে সমকামীদের মাটিতে পিশে শায়েস্তা করেন, (সুরা ৭:৮০-৮২, ২৬:১৭৩, ২৯:২৮-২৯)।
তবে, মানুষের সমকামিতাকে বৈধতা দানকারী টপ-লিস্টেড চিহ্নিত রাষ্ট্র নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, বেজিয়াম, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ কোন দেশেই পাথর বৃষ্টি বা অনুরুপ কোন শাস্তি কেন আল্লাহার পক্ষে শুরু করা এখনো সম্ভব হয় নি তা ইসলামিক গবেষণার বিষয় হতে পারে।
হিন্দু ধর্মে সমকামিতাঃ হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ গুলোতেও সমকামিতার কিছু অদ্ভুত শাস্তি দেয়া হয়েছে। আবার শাস্তির বিচার করলে দেখা যায় মেয়ে-মেয়ে সমকামিতার শাস্তি পুরুষ-পুরুষ সমকামিতার শাস্তির থেকে বেশী। মনুসংহিতার আইনে উল্লেখ আছে –
‘যদি কোন বয়স্কা নারী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর (কুমারীর) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে বয়স্কা নারীর মস্তক মুণ্ডন করে দুটি আঙ্গুল কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হবে’ (Manu Smriti chapter 8, verse 370.)।
যদি দুই কুমারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি ছিলো দুইশত মূদ্রা জরিমানা এবং দশটি বেত্রাঘাত (Manu Smriti chapter 8, verse 369.)। সে তুলনায় পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কের শাস্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বলা হয়েছে – দু’জন পুরুষ অপ্রকৃতিক কার্যে প্রবৃত্ত হলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 68.) এবং জামা পরে তাকে জলে ডুব দিতে হবে (Manu Smriti Chapter 11, Verse 175.)।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের আইন এবং প্রধান দুটি ধর্ম ইসলাম ও হিন্দু ধর্মে ভয়াবহ ঘৃণা এবং শাস্তির জন্য সমকামীরা নিজেদেরকে কখনোই প্রকাশ করার কথা চিন্তাও করতে পারে না। এই রকম পরিবেশে রূপবানের মতো একটি সমকামী ম্যাগাজিন বাংলাদেশে প্রকাশ আসলেই সাহসী উদ্যোগ। সাহসী উদ্যোগের প্রশংসা না করে পারলাম না। আশা করি ম্যাগাজিনটি তাদের প্রকাশনায় নিয়মিত হবে, আর তাদের কথা বলবে আমাদের মতো মানুষদের যারা তাদের সম্পর্কে আসলেই না জেনে ভ্রান্ত ধারণা মনে পোষণ করে থাকি।
.আমি চাই বাংলাদেশে সমকামিতার বৈধতা দেয়া হোক
একটি খবর পড়লাম একটু আগে; এই লেখাটির সাথে সম্পর্ক যুক্ত তাই শেয়ার করছি।
[img]http://www.priyo.com/files/story/201404/gay-rally.jpg[/img]
রাজধানীতে সমকামীদের প্রথম প্রকাশ্য র্যালি
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে প্রথম প্রকাশ্যে র্যালি করেছে সমকামীদের একটি দল, যারা ইতোপূর্বে ‘রুপবান’ নামে সমকামীদের একটি পত্রিকা বের করে আলোচনায় আসে।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে সকাল ৯.৩০ এর দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরে পরেই এই র্যালি বের করে ওই দল। সমকামীদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত রংধনুর সাত রঙ এর সাথে মিল রেখে র্যালিটি শাহবাগ থেকে রুপসি বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল পর্যন্ত গিয়ে আবার শাহবাগে ফিরে আসে।
র্যালিতে সাতটি লাইনে বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত সমকামীরা কাগজের ফুল, পাখি আর বেলুন। র্যালি শেষে তারা হাতের বেলুন আকাশে উড়িয়ে দেয়। ভিন্ন আয়োজনের ওই র্যালিটি উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্ঠি করে।
ফেসবুকে ‘রুপবান’ নামে সমকামীদের গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। তারা ভবিষ্যতে পশ্চিমা দেশগুলোর আদলে ‘গে প্রাইড প্যারেড’ এর আয়োজন করার চিন্তা করছে বলে জানা গেছে।
[img]http://img.priyo.com/files/201404/gay-rally2.jpg[/img]
ফেসবুকে ‘রুপবান’ নামে সমকামীদের গ্রুপের পোস্ট।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সমকামীদের প্রথম পত্রিকা ‘রুপবান’ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রচলিত গণমাধ্যমসহ সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক আগ্রহ, আলোচনা এবং সমালোচনা তৈরি হয়েছিল।
__________________________________________________________________
মূল লেখাটি পাবেন এখানে।
উক্ত পোস্টের কমেন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো; বাংলার মানুষ এখনো সমকামীদের নিয়ে কি চিন্তা করে কমেন্ট গুলো পড়লে তার একটা ধারনা পাবেন।
ওখানে কাউকেই কোন রিপ্লাই দিতে ইচ্ছে হলনা; রুচিতে বাঁধলো।
……… এইডা পইড়া নেন…………
……………কিন্তু সংগঠনটি তাদের যে অধিকার বা স্বীকৃতির কথা বলছে সেবিষয়ে বাংলাদেশের আইনে কি বলা আছে ?
সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সানায়ইয়া আনসারী বলছেন, যদিও বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে আইনের চোখে সবাই সমান এবং সমানভাবে আশ্রয় লাভের অধিকারী, কিন্তু সমকামীদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে।
”বাংলাদেশের আইনে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে সম লিঙ্গের কোন মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা অস্বাভাবিক একটি অপরাধ,” তিনি বলেন।
সমকামিতার জন্য ১০ বছর কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ডের বিধানও রয়েছে বলে সানয়ইয়া আনসারী জানান।
তিনি বলেন, যে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে বলা আছে বর্ণ, ধর্ম, গোত্র বা জন্ম স্থানভেদে কারও সাথে বৈষম্য করা যাবে না।
তবে বাংলাদেশের দণ্ডবিধি আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে পুরুষ পুরুষের সাথে, এবং নারী নারীর সাথে যদি কোন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তবে তিনি অপরাধী হবেন।
”বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে এটাকে অস্বাভাবিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে,” তিনি বলেন।……………
সুত্র ঃ http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/11/131114_fp_gay_community.shtml
@বাংলাদেশি,
সমকামের পক্ষে বা বিপক্ষে আপনার মতামত থাকতেই পারে তবে এটাকি আসলেই প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে? মনে হয় না সেটা আমার। যুগ যুগ ধরেই কমবেশি সমকামী ছিল। একটা দেশের আইনে এটা নিষিদ্ধ থাকতে পারে, এটাকে অস্বাভাবিক বলতে পারে অনেকেই, কিন্তু অপরাধ হওয়া উচিত নয় যেহেতু সমকামীরা অন্যের কোন ক্ষতি করছে না। আর আপনি যদি নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে চান, তবে এটা কিন্তু আরো জটিল হয়ে যায়।
যে জিনিস আপনার ক্ষতি করছে না কোনভাবেই সেখানে আপনি যদি এটাকে সামাজিক ব্যাধি বা এই টাইপ কিছু বলে এই দাবী করে বসেন যে এটা আপনার অনুভুতি কে আহত করছে, সেখানে বলতে পারি যে নিজের অনুভুতির পাশাপাশি অন্যের অনুভুতিকেও সম্মান দেয়া উচিত, এবং নিজেকে আরো সহনশীল করে গড়ে তোলা উচিত।সমকামীরা কিন্তু কারো কোন ক্ষতি করছে না, মনে রাখবেন যে আপনি নিজে যদি ঠিক থাকেন ( আপনার নীতিতে ) তবে কিন্তু সব ঠিক। আর নিজেই ঠিক থাকতে না পারলে কিন্তু কিছুই ঠিক থাকে না।ধন্যবাদ।
আল্লাহর গজব পড়বরে তোদের উপর
…… ভাল হইয়া যা সময় থাকতে……
আল্লাহ চাইলে আমরাই হয়তো কেয়ামত দখবো।
কারন এগুলো হবে তা আগেথেকে বলা আছে।
আর প্রতিটা বানি সত্য বলে আবারও প্রমান হ চ্ছে।
তাই সাবধান নিজে কে দিয়ে বিচার করবেন।
যারা সমকামী বা হোমো সেক্স করে নিজকে প্রগতিশীল বানাতে চান , তাতে আমার কোন আপত্তি নেই । আপনারা আল্লাহর আইন মানবেন না , তা আপনাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার । কিন্তু আল্লাহর বানী কুর আনের আয়াত বা সুরা নিয়ে ঠাট্টা করবেন এটা আপনাদের কে দিয়েছে অধিকার ? আপনারা জাহান্নাম মনবেন না , এটাতো আপনাদের ব্যাপার , আপনার বাবা মা যদি সমকামী হতেন তা হলে কি আপনি জন্মগ্রহন করতেন ?
@বিবেক,
এখানে কি একবারো দাবী করা হয়েছে যে সমকাম করা প্রগতিশিলতার লক্ষন, বা সমকাম হল প্রগতিশীলতার পুর্ব শর্ত? এভাবে অপব্যখ্যা দিলে কিন্তু নিজের দুর্বলতাই প্রকাশ হয়ে পড়ে। আপনার সমকাম ভাল লাগে না, আপনি করবেন না, সমকামীকে ভাল লাগে না, তাকে এড়িয়ে চলুন, কিন্তু তাকে অফেন্ড করা ( শারীরিক মানসিক দুভাবেই), অথবা রাষ্ট্রীয় ভাবে তাকে শাস্তি দেয়া আদৌ কি মানবিক, সেখানে একজন সমকামী পুরুষ বা নারী কারো ক্ষতি করছেন না? একটু ভাবুন তো।
আসলে কি জানেন সুরা নিয়ে ঠাট্টা করার যথেষ্ট উপাদান সুরাগুলি নিজেই দিয়েছে। আর অধিকারের ব্যাপার বলছেন? আচ্ছা তার আগে বলেন তো আমি যদি বলি যে, আমি একটু আগে নিজের পিঠে পাখা লাগিয়ে আকাশ দিয়ে উড়া শুরু করেছি আপনি কি হাসবেন না, বা আমাকে ঠাট্টা করবেন না?
অথবা আমি যদি নিজেকে নবী দাবী করে বলি যে আমি আসমানি কিতাব প্রাপ্ত হয়েছি তবে আপনি আমার সর্বোচ্চ সাজা কি দিবেন? মৃত্যুদন্ড তাই না? আগে আপনি জবাব দিন যে আমাকে মৃত্যু দন্ড দেয়ার বা দিতে চাইবার অধিকারটা আপনি পেলেন কোথায়?
আমাদের দেশে এমন একটি সময়ে দাড়িয়ে আছে সেটা সত্যি বড় নাজুক। যেখানে সমকামী শব্দ শুনলেই চারিদিকে ছি ছি রব উঠে যায় সেই জায়গাতে দাড়িয়ে এমন সাহসি ভুমিকা পালনের জন্য সম্পাদকে ধন্যবাদ দিলে তাকে ছোট করা হয়। তাই আমি সেই সাহসি মানুষটাকে স্যালুট জানাছি।
সমকামিতা বিষয়টা নিয়ে কখনো গভীরভাবে ভাবা হয়নি। একধরণের ধোয়াশা কাজ করে মনের মধ্যে। কিন্তু এই নিউজটা পড়ার পর শুধু মাথায় ধুরছে একটা লাইন…
“ভালোবাসতে দাও মোরে”।
রূপবান ম্যাগাজিনটির সম্পাদক ও অন্যান্য কৰ্মকৰ্তারা ঐ ম্যাগাজিনটি এই দেশে প্রকাশ করে আসলেই একটি দুঃসাহসিক কাজ করেছেন। তাদের এই অদম্য সাহসকে স্যালুট জানালাম। (Y)
@তারিক,
আসলেই এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি দুঃসাহসিক কাজ। স্যালুট তাদের আবারও।
জাতীয় তাফসীর পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন —–
হা। হা। হা। সমকামীদের পত্রিকা ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, হো !হো !হো !
@গীতা দি,
মানবজমিনে “বাংলাদেশের প্রথম সমকামী ম্যাগাজিন” শীর্ষক খবরের কিছু কিছু মন্তব্য বেশ মজার না উল্লেখ করে পারছি না।
m a shahid –
আপনার নাম –
Hori –
sarwar –
sumon –
Ahmad –
অভি’দার বই ”সমকামিতা” এই বিষয়ে যেকোন বিভ্রান্তি কাটানোর ডিকশনারি
@আরিফ রহমান,
হ্যাঁ, দাদার “সমকামিতা” গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় আসলেই একটা ইউনিক গ্রন্থ।
বাংলাদেশের সমাজে ও প্রেক্ষাপটে এই রকম একটি ম্যাগাজিন বের করা দুর্বার সাহসের পরিচয়। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ যদি অপরাধ না হয় তাহলে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ কেন অপরাধ হবে বুঝি না।
@তামান্না ঝুমু,
আমি জেনেছি ইতিমধ্যেই ওরা ওদের ম্যাগাজিন বিক্রি আপাতত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। জানিনা কতো দূর যেতে পারবে তারা।
@তামান্না ঝুমু,
বোঝেন ভালোই, শুধু না বোঝার ন্যাকামি না করলে ভালো লাগেনা কিনা…তবে আগাম সাধুবাদ একদিন এদেশেও ভুড়ি ভুড়ি সমকামী হবে…তাই মন খারাপ করবেন না…
সমকামিতার মত ব্যাপার যেখানে আমাদের সমাজে ট্যাবু, যেখানে সংখ্যালঘু যৌনপ্রবৃত্তির মানুষকে তাদের ভিন্ন সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশনের কারণে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়, থাকতে হয় লুকিয়ে ছাপিয়ে – সেখানে দেশের প্রথম সারির পত্রিকাগুলো এ ব্যাপারে কিছুটা হলেও সহানুভূতিশীল রিপোর্ট প্রকাশ করছে, এটা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।
আজকে দেখলাম বাংলানিউজ২৪ পত্রিকাটিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যেখানে আমার ফেসবুক বার্তার উল্লেখ রয়েছে।
মানবাধিকারের ব্যাপারগুলো কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না, হবে না কেবল হিন্দু বৌদ্ধদের নাগরিক অধিকার রক্ষার মধ্যে নিয়োজিত রাখলে। প্রতিটি সংখ্যালঘু মানুষ – সেটা ধর্মীয় হোক, কিংবা হোক যৌনপ্রবৃত্তিগত, তাদের রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলানিউজে শাখাওয়াৎ নয়নের ‘সমকামীদের পত্রিকা ‘রূপবান’ এবং অন্যান্য‘ শিরোনামের লেখাটি ‘রূপবান’ নিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত লেখাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যালেন্সড এবং নিরপেক্ষ বলে আমার মনে হয়েছে।
@অভিজিৎ দা,
বাংলানিউজের লেখাটা পড়া হয়েছে।
মানবাধিকারের ব্যাপারগুলো কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না, হবে না কেবল হিন্দু বৌদ্ধদের নাগরিক অধিকার রক্ষার মধ্যে নিয়োজিত রাখলে। প্রতিটি সংখ্যালঘু মানুষ – সেটা ধর্মীয় হোক, কিংবা হোক যৌনপ্রবৃত্তিগত, তাদের রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। (Y) (Y) (Y)
খুন হবার চেয়ে বা যাবজ্জীবন জেলে পচার চেয়ে এই শাস্তি ঢের ভাল শুধু ২টা আঙ্গুলে কেটে নেয়ার শাস্তিটা ছাড়া।
@অর্ফিউস,
এই শীতে জামা পড়ে জলে ডুব দেয়া কি কম বড় শাস্তি নাকি??? :-Y
@নিলয় নীল, জামা কাপড় কি গরমে খোলানো হত না? নিশ্চয়ই হত।
আসলে কি জানেন এমন কি শীতের মধ্যেও ঠান্ডা পানিতে চুবানোটা আপনার কাছে অনেকটা প্রেমালিঙ্গন মনে হবে, যদি আপনাকে এটি মেরে ফেলার পাশাপাশি ২য় অপশন হিসাবে দেয়া হয়।
কাল ফেসবুকে অভিজিতের এ সম্পর্কিত ষ্ট্যাটাস দেখার পর মজা করেই একটি মন্তব্য করেছিলাম; তখনো ধারনা ছিল না যে প্রায় হুবহু একই রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে:-D
জাফর ইকবাল স্যারের ড্রোন তৈরী প্রকল্পও এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হতে পারে:)) ।
অন্যান্য দেশের কথা জানি না, কানাডায় গে-ম্যারেজ লিগ্যালাইজ হয়েছে প্রায় ১০ বছর হতে চলল। সে দেশ ভয়াবহ রকমের অনাচারে ভরে গেছে (বিধর্মী দেশ বিধায় অবশ্য এমনিতেই যথেষ্ট অনাচারে ভরা), লোকজন মহামারি আকারে সমকামি হয়ে যাচ্ছে (যে আর্গুমেন্ট সমকামিতার বিরুদ্ধে সর্বদা করা হয়) এমন কোন আলামত এখনো পাওয়া যায়নি।
ক্যালগেরি হেরান্ডের একটি কলাম থেকে;
@আদিল মাহমুদ,
বাকশালী নাস্তিক সরকারের নুতন ষড়যন্ত্র……নীল নকশা বাস্তবায়নে মনা ব্লগ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী। :lotpot: :lotpot: :lotpot:
সমকামিতা কিভাবে প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে হয় তা আমি বুঝি না। :-s বরং শিপ্পাঞ্জি, পেংগুইন সহ প্রকৃতিতে আরও প্রাণীর মধ্যে সমকামিতা বিদ্যমান।
@Asif H Tamim,
প্রকৃতির নিয়ম কে ঠিক করবে এটাও আলোচনার বিষয়। এখন আমি বসে হিসু করে যদি বলি দাড়িয়ে হিসু করা প্রকৃতি বিরুদ্ধ তাহলে তো কোন কথাই নেই। এই ক্ষেত্রেও তাই হইছে।
@Asif H Tamim,
এই ব্যাপারটা কি আসলেই সত্য? এই ব্যাপারে আমার জানার আগ্রহ রয়েছে। কোন রেফারেন্স বা লিঙ্ক শেয়ার করলে ভালো লাগবে।
@শেহজাদ আমান, এখানে পড়ুন
en.m.wikipedia.org/wiki/List_of_animals_displaying_homosexual_behavior
@আসিফ এইচ তামিম, ভাই এখানে ডিটেইলস কিছু পেলাম না। আর যতটুকু পেয়েছি, তাও রেফারেন্স হিসেবে দুর্বল । এনি মোর রেফারেন্স?
ধন্যবাদ নীল এ নিয়ে ছোট করে হলেও মুক্তমনায় লেখার জন্য।
আমি আজকেই এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম –
ধন্যবাদ আবারো।
@অভিজিৎ দা,
ধন্যবাদ আপনাকেও। আপনার স্ট্যাটাসটি আমি আগেই দেখেছি। আর আপনার স্ট্যাটাস দিয়ে সমর্থন জানানোর আগেই ওরা দাবী করেছে আপনি ওদের সাথে আছেন, জানি না আপনার সাথে যোগাযোগ করে এটা করা হয়েছে কিনা।