ঙ.
ইতিহাসের পুনঃলেখন বা অনুলেখন সাহিত্যের কাজ না। ঐতিহাসিক ঘটনার নতুন নতুন মাত্রা আবিষ্কার করা আর প্রচলিত বা প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস রচনা করা আলাদা কথা। প্রথমটা সাহিত্যিকের কাজ, দ্বিতীয়টা ঐতিহাসিকের। সাহিত্য ইতিহাসকে অনুসরণ করতে পারে, কিন্তু তার দাস হয়ে নয়। এখানেই ইতিহাসবিদ আর সাহিত্যিকের পার্থক্য। আচেবে তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- ‘আমি বুঝতে পারলাম আমাকে লেখক হতে হবে। আমাকে ঐতিহাসিক হতে হবে।’ [তর্জমা: বিদ্যুৎ খোশনবীশ, সূত্র: দৈনিক অর্থনীতি প্রতিদিন] অর্থাৎ তিনি নিজেকে তাঁর জাতির মুখপাত্র হিসেবে গণ্য করছেন। তিনি লিখেছেন তাঁর জনগোষ্ঠীর প্রকৃত ইতিহাস লিখতে। আচেবের ব্যাপারটা ধরতে হলে তাঁর কনটেক্সকে বুঝবে হবে। আচেবে এমন এক জনগোষ্ঠীর লেখক যাদের ইতিহাস লেখা হয়েছে ইউরোপীয়দের দৃষ্টি দিয়ে। অর্থাৎ শোষকশ্রেণির হাত দিয়ে তা রচিত। কাজেই ইগবু জাতির প্রকৃত ইতিহাস সেখানে নেই। থাকবার কথাও না, সেই কথায় বলছেন চিপিউয়া এলডাল- ‘when other people tell your story, it always comes out crooked.’ এখানে ইতিহাস মানে শুধু রাজনৈতিক ব্যাপার না, সাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জড়িত। আচেবে সাবল্টার্ন-এর পক্ষ থেকে সাহিত্য রচনার কথা বলছেন। তিনি সেই কাজটিই করেছেন ‘থিংস ফল আপার্ট’ এ। এই উপন্যাসটি পড়ে ইগবু জাতিকে যেভাবে জানা যাবে অনেক ইতিহাসের আকর গ্রন্থ পড়েও হয়ত সেইভাবে জানা যাবে না। এখানে ইতিহাস ও রাজনীতি যেভাবে এসেছে, সেটা এসেছে গল্পের প্রয়োজনেই। একই কথা বলা যায় ‘আঙ্কেল টমস কেবিন’ এর বেলায়। এই উপন্যাসটি বিশ্বে এন্টি স্লেভারিকে যেভাবে নিরুৎসাহিত করেছে ইতিহাসের অনেক গ্রন্থও তা পারেনি। সাহিত্যে এই রাজনীতি চলে আসার বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন রুশদি, তিনি বলছেন:
‘পৃথিবীর একটা ব্যাপক অংশ গল্পে চলে আসে। এর কারণ এই না যে আমি রাজনীতি নিয়ে লিখতে চায়। এর কারণ হল আমি জনগণ নিয়ে লিখতে চাই। (অনুবাদ: বর্তমান আলোচক, প্যারিস রিভিউ)

অস্তিত্ব নির্ভর উপন্যাসের সামাজিক-ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুন্ডেরা বলছেন যে তিনিও হেইদেগারের মতো বিশ্বাস করেন যে মানুষের সাথে পৃথিবীর যে সম্পর্ক সেটা অভিনেতার সাথে মঞ্চের যেমন সম্পর্ক তেমন নয়। সম্পর্কটা কাছিমের সাথে তার খোলসের মতো। মানে বিশ্ব হলো মানুষেরই অংশ বিশেষ। এজন্যে বিশ্ব বদলালে মানুষের অস্তিত্ব বদলাবে। তবে ঐতিহাসিক দিক পর্যবেক্ষণ করা আর ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতের বিশদ বয়ান এক কথা নয়। কুন্ডেরা ইতিহাসের যতটা সম্ভব কম উপাদান নিয়ে উপন্যাস নির্মাণ করার পক্ষপাতী। ইতিহাস উপন্যাসে এসে মানুষকে তাদের ভুলগুলো শুধরে দেয়। ঘটনাগুলো আবার জীবন্ত করে— জায়গা বদলে দেখতে চায় সম্ভাবনাগুলো। তখন আর ইতিহাস শুধু ইতিহাস থাকে না, হয়ে ওঠে ভবিষ্যতের ইঙ্গিতও। তাই তো বিংশ এবং একবিংশ শতককে জানতে হলে কাফকা পাঠ অনিবার্য হয়ে ওঠে। মারগারেট আটুড যখন বলছেন—‘যখন কানাডার সাহিত্যকে উপেক্ষা করা হল, তখন দেখা গেল কানাডা তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।’ [প্যারিস রিভিউ, অনুবাদক: ঐ]—তখন সাহিত্য আর ইতিহাস আলাদা থাকছে না।

আমাদের শিক্ষকেরা প্রায়ই বলে থাকেন, অমুক জাতিকে জানতে হলে অমুক উপন্যাসটি পড়ো। একটি পার্টিকুলার উপন্যাস কখনই একটি জাতির সার্বিক চিত্র উঠিয়ে আনতে পারে না। ইনফ্যাক্ট, খুব সামান্যই পারে। একজন ইনডিভিজুয়াল লেখকের পক্ষেও খুব সামান্যের বেশি উঠিয়ে আনা সম্ভব নয়। আমি পূর্বেই বলেছি সাহিত্যের কাজ কারো প্রতিনিধিত্ব করা না। সাহিত্য খুব সচেতনভাবেই সেটা এড়িয়ে যায়। এ-পর্যায়ে এসে অ্যামি টানকে স্মরণ করছি:
‘…i don’t write to dig a hole and fill it with symbols. I don’t write stories as ethnic themes. I don’t write to represent life in general. And I certainly don’t write because I have answers. If I knew everything…I wouldn’t have any stories left to imagine. If I had to write about only possitive role models, I wouldn’t have enough imagination left to finish the first story.’ [In the Canon, for ALL the Wrong Reasons.]

লেখালেখিটা একজন লেখকের কাছে বিশ্বাসের মতো। লিখতে লিখতে একজন লেখক তার ‘সত্য’কে আবিষ্কার করেন। পড়তে পড়তে একজন পাঠকও তাই করেন। এক্ষেত্রে লেখক ও পাঠকের সত্য আলাদা হতে পারে। আবার দুজনের সত্য মিলেও যেতে পারে। তাই একটা বই পড়া মানে ঐ জাতির সমগ্র ইতিহাস পড়া নয়। কেউ যদি কোনো জাতির ইতিহাস জানার জন্যে সাহিত্য পড়তে চায়, তাহলে আমি তাকে নিরুৎসাহিত করবো। আবার কেউ যদি ইতিহাস পড়ে কোনো জাতির জীবন ও সংস্কৃতি জানতে চায় তাকেও আমি সমানভাবে নিরুৎসাহিত করবো। প্রমথ চৌধুরী যে কারণে লাইব্রেরিকে হাসপাতালের ওপরে রেখেছেন সেই একই কারণে আমি, ব্যক্তিগত পাঠের ক্ষেত্রে, সাহিত্যকে ইতিহাসেরও ওপরে রাখি। কারণ আরও একটা আছে—ইতিহাসের প্রতিটি পাতা একটি শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে, সাহিত্য করে না। সাহিত্য দুটো প্রপোজিশনকে দাড় করিয়ে দেয়, সিদ্ধান্ত নেয় ব্যক্তি। আর ইতিহাস সিদ্ধান্ত ধরে এগুতে থাকে।

চ.
আচেবে বলেছেন, ‘প্রত্যেকে গল্প বোনে তার নিজের জন্যে—নিজের বেঁচে থাকাকে উপভোগ্য করে তুলতে। গল্পগুলো সত্য হোক মিথ্যা হোক, ভাল হোক মন্দ হোক—তার চোখ দিয়ে জগতকে দেখবার অসম্ভব এক শক্তি নিয়ে হাজির হয়।’ [‘দি ট্রুথ অব ফিকশন’ অনুবাদক: ঐ] তার মানে সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কাজ হল গল্পটাকে নির্মাণ করা। তারপর আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। গল্পটা কেউ কেউ আবার লেখবার আগেই নির্মাণ করে ফেলেন। অর্থাৎ তারা গল্পটাকে জেনে তারপর লেখেন। যেমন ফুয়েন্তেস বলছেন, ‘আমি কেবল কাঠামোর কঙ্কালটার কথা ভাবতে পারি। কীভাবে এগুবো জানি না।’ [প্যারিস রিভিউ, আন্দালিব রাশদী] রবীন্দ্রনাথ ও তলস্তয়ের সাহিত্য এই শ্রেণির। তাঁরা গল্পগুলো জানতেন। কাঠামোটা হয়ত লিখতে লিখতে ঠিক করে নিতেন। আবার অনেকে আছেন যারা গল্পগুলো জানেন না। যেমন মুরাকামি। তিনি বলছেন, ‘আমি অতো ভেবেচিন্তে লিখি না। আমি গল্পটার জন্যে অপেক্ষা করি। আমি জানতে চাই তাই লিখি।’ (তর্জমা: ঐ, প্যারিস রিভিউ) সাহিত্যের কাজ হলো বায়বীয় একটা জগত তৈরি করা। সেই জগতের বাসিন্দারা বাস্তবের বাসিন্দাদের মতোই অমিত সম্ভাবনাময়ী। লেখক যখন লেখেন, পাঠক যখন পড়েন তখন তিনি ওই জগতেরই একজন—নিজেই যেমন সৃষ্টিকর্তা, আবার নিজেই তেমন সৃষ্টিকর্ম (চরিত্র)। তারা চাইলে গল্প থেকে বের হয়ে যেতে পারেন, আবার চাইলে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু গল্পটা বদলাতে পারেন না। কেননা ওটাও তখন অন্য এক বাস্তব। আধুনিক সাহিত্যে এসে পাঠকরাও লেখকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। কাফকার মতো লেখকরা শুধু পরিস্থিতি বর্ণনা করে ছেড়ে দিচ্ছেন। বাকীটা নির্মাণ করে নিচ্ছে পাঠকরা। বর্তমান সাহিত্যের কাজ হলো পাঠকদের সেই সুযোগটা করে দেওয়া।

চ.
স্থান ও কাল পরিবর্তনের সাথে সাথে সাহিত্যের কাজ বদলায়। ইউরোপে বসে যারা লেখেন, তাদের গোটা বিশ্বের পাঠকদের কথা ভেবেই লিখতে হচ্ছে। কেননা, তাদের বই এখন সমস্ত বিশ্বে পঠিত হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে তো আবার স্বদেশী পাঠকের চেয়ে ভিনদেশি পাঠকদের সংখ্যা অনেক বেশি। কাজেই তাদের কাজের সাথে তৃতীয় বিশ্বের লেখকদের কাজ মেলালে চলবে না। ইউরোপীয় সাহিত্যের বর্তমান যে অবস্থা সেই অবস্থায় আমরা এখনও পৌঁছাতে পারিনি। তার প্রয়োজন পড়েনি। এর কারণ আমাদের জীবনযাত্রা আর ওদের জীবনযাত্রা এক নয়। আমরা প্রতিনিয়ত নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছি। ইউরোপের সেই মধ্যযুগীয় সমস্যাগুলো আমাদের এখানে এখনও চলমান। যেমন কাফকা যে জগতটা চিহ্নিত করছেন তার সেই জগতটা অফিস আদালত ও আমলা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশে প্রায় আশি হাজার গ্রাম আছে। কাজেই কাফকার জগতটা এখানে একটা বৃহৎ শ্রেণির কাছে অচেনা। ইউরোপীয় আধুনিক উপন্যাস নিজস্ব ধারায় অস্তিত্বের নানান দিক উন্মোচন করেছে। বালজাক মানুষের ঐতিহাসিক অস্তিত্বকে আবিষ্কার করেছেন, ফ্লবেয়ার মানুষের দৃষ্টির সামনের অদেখা জগতকে উঠিয়ে এনেছেন। তলস্তয় মানুষের আচরণগত দিক ফুটিয়ে তুলেছেন, প্রুস্তের মাধ্যমে খয়ে যাওয়া অতীত আর জয়েসের মাধ্যমে অন্তর্মুখী বর্তমানে প্রবেশ করেছে উপন্যাস। টমাস মানের মাধ্যমে উপন্যাস অতীত-পুরাণকে বর্তমানের চালিকাশক্তি হিসেবে গণ্য করেছে। কাজেই ইউরোপে বা উন্নত রাষ্ট্রে বর্তমান সাহিত্যের কাজ হল মানুষের আত্মপরিচয় বা আত্মসত্তাকে খুঁজে বের করা। সাহিত্য ওখানে সমাজ থেকে ব্যক্তিমুখী। মানে ব্যক্তির চোখ দিয়ে সমাজকে দেখা হয়, সমাজের চোখ দিয়ে ব্যক্তিকে নয়। ইউরোপে পুঁজির বিকাশের সাথে সাথে ব্যক্তির যে বিকাশ বা একাকীত্ব তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে তা এখনও হয়ে ওঠেনি। আমাদের এখানে একটা বৃহৎ অংশের কাছে ব্যক্তির চেয়ে সমাজ বড়। মানুষজন আধুনিক দর্শন, ধ্যান ধারণায় পুরোপুরি ধাতস্থ নয়। মানুষ তাদের পরিণতির জন্যে অদৃষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকে। ঈশ্বরের শক্তিই এখানে পরম শক্তি। ব্যক্তির বিকাশ বিশ্বাস দিয়ে দাড় করানো হয়। এখানে এখনও মানুষের মুক্তি সম্ভব হয়নি। প্রমথ চৌধুরীর সেই মেটাফরিক দোতলা ঘরের নীচ তলায় এখনো আমাদের বাস। কাজেই এখানে এখন সাহিত্যের প্রধান কাজ হল মানুষের মুক্তির পথ বাতলে দেওয়া। মানে পাঠককে প্রস্তুত করে তোলা। সমাজ ও রাষ্ট্র এখানে বন্দি—একটা বায়বীয় অচল অবস্থার কাছে। আমাদের অস্তিত্বের সংকট আর ইউরোপীয়দের অস্তিত্বের সংকট মোটেও এক নয়। আমাদের সাহিত্য এখনও জনগণ বা সমাজের কাছে কমিটেড বা দায়বদ্ধ। মানে সামাজিক গুরুত্বটাকে হালকা করে দেখবার সময় এখনও আসেনি। ইউরোপ একসময় সমস্ত বিশ্বকে শাসন ও শোষণ করেছে। এখনও তারা চলমান আমেরিকার আধিপত্যবাদের অংশীদার। কাজেই আমেরিকান-ইউরোপীয় সাহিত্যের এই আধিপত্যবাদে বিরক্ত হবার কোনো কারণ ঘটেনি। আমরা শুধু ব্রিটিশ না—পাকিস্তান রাষ্ট্রেরও ঔপনিবেশিক ছিলাম। কাজেই আমাদের সাহিত্যের কাজ আর ঐ আধিপত্যবাদের সাহিত্যের কাজ এক হবার নয়। যদিও নীতিগতভাবে সাহিত্যের কাজ গোটা বিশ্বেই একই হবার কথা। কিন্তু অন্য এক রাজনৈতিক সত্যের মুখোমুখি আমরা।

আমাদের সাহিত্যিকরা বরাবরই সঠিক কাজটিই করে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত সাহিত্য বাঙালীকে বাঙালী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। তিনি অনুজ সাহিত্যিকদের জন্যে বাংলা ভাষাকে আধুনিক সাহিত্য উপযোগী করতে সাহায্য করেছেন। রবীন্দ্রনাথ যদি ভাষা দিয়ে থাকেন, মাইকেল মধুসূদন দিয়েছেন ঢং বা কাঠামো। তারাশঙ্কর ও মানিক দিয়েছেন বিষয়বস্তু। তাঁরা ছাড়া আমরা আমাদের সত্তাটাকে ধরতে পারতাম না। বিভূতিভূষণ আমাদের বোধকে আরও গভীর করেছেন। ব্যক্তিকে চিনিয়েছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, শহীদুল জহির, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও শওকত আলী আমাদেরকে ইতিহাসে ফিরিয়েছেন। হাসান আজিজুল হক গভীর থেকে আমাদের জীবনের প্রতিটা বাঁককে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। সেলিনা হোসেন আপন অনুভূতি দিয়ে আমাদের নারী সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে এনেছেন। অন্যরাও একইভাবে আমাদের জাতিগত দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের ঐতিহ্যমুখী করেছেনে।

একবিংশ শতকে এসে আমাদের সাহিত্যের কাজও খানিকটা বদলেছে। এখন সাহিত্যকে আরো ক্রিটিক্যাল হতে হচ্ছে। সেই সহজ-সরল জীবনটা আর নেই যে! একদিকে টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে যাচ্ছে বিশ্বাস, অন্যদিকে তীব্র শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ধর্মীয় মৌলবাদ। গ্রাম ভেঙ্গে ভেঙ্গে নগর হচ্ছে। আবার গ্রামের সংখ্যাও বাড়ছে। বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অপশক্তিতে রূপ ধারণ করছে। নিজের শত্রু এখন নিজেই। সংস্কৃতি ও প্রগতি টিকিয়ে রাখার পক্ষে বিপক্ষে সমান দাবি। এক শ্রেণির ধারণা জাতির ক্ষয় হচ্ছে, অন্য শ্রেণির বিশ্বাস জাতির বিকাশ ঘটছে। সবক্ষেত্রে এখন এমনই বিবাদ। সাহিত্যকে এখন সেই বিবাদের জায়গা ধরে এগুতে হবে। জাতির ভেতর একটা ঐক্য গড়ে তোলার জন্যে সাহিত্যের কার্যকর ভূমিকা থাকা দরকার।