সংবিধীবিদ্ধ সতর্কীকরনঃ প্রচন্ড গালিযুক্ত পোস্ট। সুশীলদের গাত্রদাহের কারন হতে পারে।
ভারত দেশটির সাথে আমাদের থেকে বহু দূরে অবস্থিত ইজরাইল নামে আরেকটি দেশের তুলনা টেনে আমি এই লেখার সূচনা করতে চাই। আমাদের লেখার মূল বক্ত্যবের সাথে এ উদাহরন শুধু সামঞ্জস্যপূর্ণই নয়, প্রয়োজনীয়ও বটে। ভারত এবং ইজরাইল নামে এই দুটো দেশের মধ্যে একটি কমন বৈশিষ্ট আছে। সেটি হল, এই দুটি দেশই মূলত দারোয়ানের কাজ করছে। কার দারোয়ানি? কীসের দারোয়ানি? মহাজনের দারোয়ানি। তাহলে কে সেই দারোয়ান? আমরা সবাই জানি, আম্রিকা। ইজরাইল দারোয়ানি করে মধ্যপ্রাচ্যে এবং ভারত দারোয়ানি করে দক্ষিন এশিয়ায়। মধ্যপ্রাচ্যে আম্রিকার স্বার্থ দেখতে ইজরাইলকে আম্রিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে সাহায্য করে আসছে ইজরাইল জন্মের পর থেকেই। এই কথা আমরা মোটামুটি মগজসম্পন্ন যে কেউই জানি। আমি বাড়তি যে কাজটি এখানে করছি সেটি হল, ইজরাইলের সাথে ভারতের যে মিলটুকু আছে সেটুকু দেখানোর জন্য। উদ্দেশ্য? উদ্দেশ্যে পরিষ্কার। বাঙলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তে যেভাবে বাঙলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে তার কারন বোঝা বা অন্তত বুঝতে চেষ্টা করা।
রাষ্ট্রতত্ত্বের জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি কথা মনে করিয়ে দেয়া আবশ্যক এখানে। একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়ে যাওয়া মানে বাই ডিফল্ট ঐ রাষ্ট্রে বাইরের যে কেউ সেই রাষ্ট্রের শত্রু। এখানে এই কথা বলছি এ কারনেই যে, দারোয়ানি করা রাষ্ট্রগুলোর নিজেরও কিছু স্বার্থ আছে যেটা মহাজনি করা রাষ্ট্রের স্বার্থের বাইরে। অর্থাৎ আমাদের আলোচ্য মহাজন রাষ্ট্র আম্রিকার স্বার্থের বাইরে যে দুটো দারোয়ানি করা রাষ্ট্রের কথা বলছি তাদেরও নিজস্ব কিছু স্বার্থ আছে যেটা আম্রিকার স্বার্থ নাও হতে পারে। একটা উদাহরন দিয়ে এই রাষ্ট্রতত্ত্বের টিকাটুকু আমি শেষ করে দেব। সিরিয়াতে আম্রিকা হামলা করবে কি করবে না সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বারেক ভাইর ১০ মিনিটের যে বক্তৃতা মিডিয়াতে এসেছিল, সেখানে দ্বিতীয় যে সিদ্ধান্ত ও নিয়েছিল অর্থাৎ হামলার আগে কংগ্রেসে ভোটাভুটি কথা বলেছিল, সেই কথার পরে ইজরাইলের পত্রিকা The Times of Iseal একটা খবর প্রকাশ করেছিল। তার বাঙলা করলে অনেকটা এমন দাড়ায়ঃ
ওবামার বক্তব্যে কেঁপে উঠল ইজরাইল।
আবার ইন্ডিয়া আম্রিকার হামলাকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া করতে দিতে রাজি না। এই ছোট্ট উদাহরন দিয়ে বুঝতে পারা যায়, ইজরাইল এবং ভারত আম্রিকার দারোয়ান হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিজস্ব স্বার্থের সাথে বিরোধী যে কোন সিদ্ধান্ত তাদের উপরে ছায়া দেয়া মহাজনের চাওয়া সত্ত্বেও করবে না। যাই হউক, এই টিকাটুকু মাথায় রেখে আমরা এই লেখার সামনে এগিয়ে যাব।
ইজরাইল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং আম্রিকার মধ্যপ্রাচ্য স্বার্থের যে মিথোজীবিতা অত্যন্ত খালি চোখে দেখা যায় ভারত এবং আম্রিকার স্বার্থগত কমন প্ল্যাটফর্ম ততটা সচ্ছ নয়। সেটা বোঝার জন্য আমাদের একটু শক্তিশালী চশমা পড়তে হবে। আসুন, আমরা সেই চশমাটা পড়ি।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের দেয়া একটি তথ্য মতে(কয়েক বছরের জোগাড় করা তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা গবেষনার ফল এটি, সম্ভবত ২০০৫ সালের), ২০২৫ সালের মধ্যে ওস্তাদ আম্রিকার সাথে গ্লোবাল রাজনীতি, অর্থনীতিতে টেক্কা দেয়ার মত কয়েকটা শক্তি গজিয়ে উঠবে। তাদের মধ্যে দুটো অন্যতম দেশ হল, ভারত এবং চায়না। চায়না ইতিমধ্যেই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সুতরাং আম্রিকার পররাষ্ট্রগত কৌশলনীতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। আনা হয়েছে। এবং সে নীতিটি হল, চীন ঠেকাও। চীন ঠেকাতে গেলে আম্রিকার এমন একটি প্রেসার পাম্প দরকার যেটি অত্যন্ত কার্যকর। পাঠক আপনারা জানেন, চায়নার সাথে আমাদের এইদিকের যে দেশটির সবচাইতে বেশি বৈরীতা আছে সেটি হল ভারত। তাছাড়া দক্ষিন এশিয়াতে আম্রিকার কৌশলগত বিভিন্ন কারনে বাঙলাদেশে, ভারত, মায়ানমার অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। তাহলে আম্রিকার যদি চীন ঠেকাও নীতি বাস্তবায়ন করতে হয় এবং কৌশলগত কারনে দক্ষিন এশিয়ায় প্রভাব বজায় রাখতে হয় তাহলে ভারতের চাইতে প্রভাবশালী এবং কার্যকরী অন্য কেউ হতে পারে না। এবং একই সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে আগের টিকাটুকুকে। আম্রিকা চাইবে আর ভারত দারোয়ান হয়ে যাবে সেটা হতে পারে না। তারমানে হল, ভারতেরও এমন কোন স্বার্থ আছে যেটা আম্রিকার সাথে কমন এবং যেটা কার্যকর করতে আম্রিকার আশীর্বাদ তার দরকার। সুতরাং আম্রিকার জোরে যদি সেই স্বার্থ হাসিল করা যায় তাহলে ভারতের না করার কোন কারন থাকে না। এই হল, দক্ষিন এশিয়ায় আম্রিকার দারোয়ান হিসাবে ভারতের রেক্রুটমেন্টের ইতিহাস। তাছাড়া আম্রিকার “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের” বয়ান তো আছেই। কিন্তু সেটা আম্রিকার নিজস্ব কৌশল হবার কারনে এখানে আলোচ্য বিষয় নয়। আমরা শুধু সেটুকুই জানব যেটুকু আমাদের নিজ দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট।
তাহলে ভারতের কী স্বার্থ আছে যেটা আম্রিকার স্বার্থের সাথে মিলে যায় অর্থাৎ আম্রিকা এবং ভারত দুটো রাষ্ট্রই কোন মেওয়া চাচ্ছে? সেটি হল চায়না। ভারত জানে আজকে হোক, কালকে হোক, চায়নার সাথে সে যুদ্ধে জড়াচ্ছে। সেই যুদ্ধের দিনক্ষন সে না জানলেও কৌশল সে আগে থেকেই ঠিক করে রাখছে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে ভারতের যুদ্ধের কৌশলগত কারনেই এমন অবস্থানে থাকতে হবে যেটা তার আশু যুদ্ধে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেবে।
ফখরু মইনুদ্দিনের ১/১১ নামক মামদোবাজীর ঘটনায় এই প্রথম ভারত আম্রিকার আশীর্বাদকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগানোর সুযোগটা পেল। প্রথমে আম্রিকা যখন ইনুস ভাইকে দিয়ে নাগরিক শক্তিকে মাঠে নামালো, জনগনের থুথুর নীচে চাপা পরে সেটি ভেসে গিয়েছিল। আর ঠিক তখনই ক্ষমতার স্টিয়ারিং হাতে নেয় ভারত এবং বাঙলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম দূভাগ্যজনক ঘটনার মঞ্চায়ন শুরু হয়। হাসিনার সরকার হাটু নামিয়ে মাথা পেতে নাকে খত দিয়ে ভারতের ডিমান্ড পূরনে সমস্ত কিছু করার দাসখত দিয়ে ক্ষমতা হাতে নেয়। অন্যভাবে বলা যায়, ক্ষমতার এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়। যারা চিন্তা করতে কিছুটা অসুবিধা বোধ করেন তাদের জন্য রয়েছে ছাক্কা উদাহরন, টিপাইমূখ, ট্রানজিট, রামপালে বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মান, তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে গড়িমসি ইত্যাদি ইত্যাদি এবং সীমান্তে হত্যা বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে বিশিষ্ট মওদুদী সৈয়দ আশরাফ বলেন সীমান্তে হত্যা নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। আশা করছি পাঠক এখন বুঝতে পারছেন কেন সরকার চিন্তিত নয়। জেলের ঘানির থেকে টেনে তুলে যে হাসিনাকে সরকার প্রধান করেছে ভারত, তার করা কিছু ফাজলামো মেনে নিতেই হয়। তাই না?
এখন ট্রানজিট নিয়ে দুটো লাইন আমি খরচ করতে চাই যাতে করে আমরা বুঝতে পারি যে ভারত কতটা মরিয়া ট্রানজিট পেতে এবং এটা পেতে ভারত কী করতে পারে।
বাঙলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট ভারতের যে “সাত বোন” বা সেভেন সিস্টার্স খ্যাত যে সাতটি রাজ্য আছে সেখানের বাজার ধরার জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন। এটি কমবেশি আমরা অনেকেই জানি। আরেকটি যে ব্যাপার আমরা গোনায় ধরি না, অথচ যেটিই সবচাইতে বেশি গূরুত্বপূর্ন সেটি হল, বাঙলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পেলে সেটা চীনের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ালে ভারতকে কৌশলগত সুবিধা যেবে। এই উদাহরন আমি দিতে চাই ভারতের একটি পত্রিকা থেকেইঃ
“New Delhi, September 24
In major development, India’s eastern neighbour Bangladesh has finally agreed to start the construction of a highway that will not only provide transit facilities, ensuring easy movement of goods, but also drastically shorten the circuitous route — crucial from the military point of view — between northeastern states and the port city of Kolkata.”
তারমানে হল, ইন্ডিয়া দরকার হলে পাহার সরিয়ে দেবে কিন্তু ট্রানজিট তার লাগবেই। ১/১১ সরকার কি অনেকটা পাহার ঠেলে সরিয়ে দেয়াই নয় পাঠক? তাছাড়া ভারতের অভ্যন্তরিন জঙ্গী সমস্যা সমাধানের নৌকাতে বাঙলাদেশকে তুলে নেয়াটাও ভারতের আরেকটা উদ্দেশ্য যেটা অনেকটাই বাঙলাদেশ বহন করে চলেছে। সুতরাং বাঙলাদেশের কাছে ভারতের চাওয়া পাওয়া অনেক অনেক এবং অনেক। শুধুমাত্র এইটুকু বোঝানোর জন্যই ধান বানতে শীবের গীত গাইছি এতক্ষন ধরে।
এতক্ষন ধরে গাওয়া শীবের গীত যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে এখন আমরা আমাদের লেখার মূল উদ্দেশ্য সীমান্তে বাঙলাদেশী নাগরিক হত্যার কারন অনুসন্ধান করতে চেষ্টা করব।
যেকোন কেউই কারো কাছ থেকে যখন কিছু আদায় করতে চায় তখন অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। আর যদি সেই চাওয়া অন্যায় হয় তাহলে তো কথাই নেই।। সেটা হতে পারে বাবা মা বলে লুতুর পুতুর ভাষায় পটানোর কৌশল। আবার সেটা হতে পারে, ওঠ ছেমরি তোর বিয়া ধরনের ধর তক্তা মার পেরেক পদ্ধতিতে যাতা দিয়ে কাজ আদায় করে নেয়া। কিন্তু প্রভু যখন দাসকে কিছু করতে বলবে সে কখনোই পটানোর লাইনে থাকবে না, সে চলে যাবে নির্দেশের লাইনে। সে চলে যাবে নির্যাতনের লাইনে। ভারত সেই কাজটি করছে। যেটাকে আমি শুয়োরের বাচ্চাদের পররাষ্ট্রনীতি বলতে চাই। আজকের বর্তমান বাঙলাদেশের জন্মের পর থেকেই এই ভারত রাষ্ট্রটির ধর্ষকামী ইচ্ছা আমাদের সরকার প্রধানরা পূরণ করে যাচ্ছে নিরন্তর। এতে করে তারা নিজেরা বেশ পোটলাপাটলি গুছিয়ে নিতে পারলেও আমরা সাধারন জনগন ভারতের চোখে পরিনত হয়েছি পোঁদ সর্বস্ব জাতি হিসাবে যাদের কাছে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়।
ভারত যখন আম্রিকার লোকাল এজেন্ট হিসাবে চাকরী পেল, তখন সে উপলব্ধি করল, বাহ! ব্যাপারটা তো বেশ মজার! যা চাচ্ছি তাই পাচ্ছি, বিনিময়ে কিচ্ছু দিতে হচ্ছে না। এমন মজা কে না লুটবে? সুতরাং ভারতও লুটছে।
কিছুদিন আগে একজন বাঙলাদেশি নারীকে বিএসএফ নাম্নী একজন উর্দি পরিহিত বাঞ্চোত স্বামী সন্তানের সামনে ধর্ষন করেছে এবং পরবর্তীতে জেলে প্রেরন করেছে। এই ঘটনার পরে মধ্যবিত্ত উত্তেজিত সন্তানেরা যেটা করে, আমিও সেটা করেছি। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাতে উঠেছি। সেটির প্রাসঙ্গিক অংশটু আমি এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইঃ
“ইন্ডিয়ার বর্ডার নাটকের সবচাইতে বড় কারন হল, বাঙলাদেশীদের বোঝানো, যে তোমরা ক্ষুদ্র। তোমরা অসহায়। একটা চমৎকার মাইন্ড গেইম। সো, আমাদের সাথে কথা বলার সময় হিসাব করে বলবে। আমরা যখন তোমাদের প্রকৃতি ধ্বংস করে বিদ্যুতকেন্দ্র বানাবো, তোমাদের দেশের পুটু মেরে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব তখন তোমরা আমাদের বানানো আলোচনার অযোগ্য মুভি দেখে নাচবে। আমরা যখন আলু পিয়াজ নিয়ে রাজনীতি করব তখন তোমরা সানি লিওনি, ক্যাটরীনা প্রভৃতি নামে আমরা যে চোখে সঙ্গমযোগ্য মাগীদের বানিয়েছি সেগুলোর আলু, পটল, লিচু এবং পিয়াজের ঝাঝ নিয়ে কথা বলবে। এবং বলা বাহুল্য, সেই নাটকের সফল মঞ্চায়ন তারা করতে পেরেছে”
সীমান্তে কোন হত্যাকান্ডকে বিএসএফ তথা ভারতের শুয়োরের বাচ্চাদের জন্য যে বাহিনী তৈরী করা হয়েছে তারা অস্বীকার করে নাই। অর্থাৎ আমাদের করা দাবী ভিত্তিহীন নয়। তাহলে এই শুকর শাবকদের তথা এদের পয়দা করে হাটে ঘাটে মাঠে লেলিয়ে দেয়া ভারতের শুকোর সরকারের বক্তব্য কী? তাদের বক্তব্য আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যা জানতে পেরেছি তা হল, এই হত্যাকরা মানুষগুলো নাকি “চোরাচালানকারী”। বেশ ভালো কথা চোরাচালানকারী। আমরা বেশ বুঝলাম। কিন্তু তার প্রমান? কেউ যদি চোরাচলানী কাজে যুক্ত থাকে সেটা প্রমান এবং প্রমানিত হলে শাস্তি দেয়ার জন্য আদালত নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ভারত আদালত বোঝার মতন শিক্ষিত হয়ে ওঠে নি। আজ পর্যন্ত হত্যা করা কেউ কি আদালতে প্রমানিত “চোরাচালানকারী”? হবে কী করে? আদালতে নিতে হলে যে তাকে জীবিত হতে হবে! তাহলে মানেটা কী দাঁড়াল?
মানেটা দাঁড়াল এই যে, আজ পর্যন্ত যে কয়জন মানুষকে সীমানার ঐ পারের উর্দি পরা শুয়োরের বাচ্চারা হত্যা করেছে তাদের একজনও চোরাচালানকারী নয়। অর্থাৎ সীমান্তে প্রতিদিন নির্দোষ মানুষজনকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। দাঁড়ান দাঁড়ান, তারা আদালত বলে প্রতিষ্ঠানটি চেনে না বলে যে তথ্য আমরা জেনেছিলাম সেটা সম্পূর্ন ঠিক নয়। কারন আমরা জানতে পেরেছি ফেলানিকে হত্যা করা শুয়োরের বাচ্চাটি নাকি “নির্দোষ”। তারমানে হল ভারতের সরকার আদালত বোঝার মতন শিক্ষা অর্জন করতে পারলেও, আদালতের কর্মকান্ড সম্পর্কে এখনও অশিক্ষিতই রয়ে গ্যাছে। এবং এর আরো মানে দাঁড়ায় ফেলানিকে হত্যা নাজায়েজ কিছু হয় নি! তাকে হত্যা করা ঠিকই আছে। আজকে আমরা ফেলানির দ্বিতীয় মৃত্যু উদযাপন করছি ভারতের বদৌলতে।
এবং আমাদের সরকার প্রধানরা যেহেতু বলেইছেন, সরকার সীমান্তে হত্যা নিয়ে চিন্তিত নয় সুতরাং এটা ভাবনার কিছু নয়।
ভারতের এই আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে হত্যা করার একটিই মাত্র কারন, সেটি হল, সীমান্তে সবসময় একটা উত্তেজনা বজায় রেখে নিজের ফায়দা হাসিল করা। সরকার যেহেতু নিজের পকেটেই আছে সুতরাং জনগনকে বোঝাতে হবে, চোওওওওপ! কোন কথা নাই। আমি যা বলব তাই। এর বাইরে কিছু হবে না। একেই আধিপত্তবাদ বলতে পারি আমরা।
একদম শেষে এসে আমি ফেইসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসের বাকি অংশ এখানে দিতে চাইঃ
আমরা যখন জীবন মানে জি বাঙলার কুৎসিত লম্ফঝম্ফ দেখছি তখন তারা সীমান্তে আমাদের ভাই, আমাদের বাবা, আমাদের মায়েদের হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখছে। আমরা যখন স্টার প্লাসে শতাব্দী প্রাচীন সিরিয়ালে অর্গ্যাজম করছি তখন তারা সীমান্তে আমাদের ভাইদের পিটিয়ে ভিডিও করে দেখিয়ে দিচ্ছে। আমরা যখন বলিউড বলে পরিচিত একটি মূর্খের খামারে, (বস্তুত বলিউডি বিনোদন মূর্খ এবং অশিক্ষিতরাই দেখে থাকে) ডুবিয়ে রাখছি আমাদের এই পচে যাওয়া দূর্গন্ধযুক্ত মুখমগজমন, তখন ওরা আমাদের দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে রাখছে শোচনীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান। কারন ওরা জানে, এই বাঙলাদেশিরা একটু অমনই। নাম জিজ্ঞেস করলেই ওরা পোঁদ পেতে দেয় তার স্বদব্যাবহার করার জন্য। আমাদের পোঁদ সর্বদা উচুই থাকে মূলত। আমরা মুখে যতই সংগ্রাম, সংগ্রামী চেতনা চোদাই না কেন, ব্যাবহারিক দৃষ্টিকোন থেকে আমরা এক একজন উচুদরের আপোসে পোঁদমারা দেওয়া জৈবিক সত্ত্বা।
যারা নিজেদের বাঙালদেশী দাবী করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, দেশের একজন অসহায় নারী, একজন স্ত্রী একজন মমতাময়ী মা’কে তার স্বামী এবং সন্তানের সামনে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ধর্ষন করেছে। এর পরেও সেই দেশেরই অনুল্লেখযোগ্য বিনোদনের চর্চা যারা করবেন, তাদের আমি আজকে থেকে শুয়োরের বাচ্চা বলে অভিহিত করতে চাই। আমি তাদের তুলনা করতে চাই বেজন্মা বলে। আমি তাদের অভিহিত করতে চাই জারজ বলে।
আরেকটি অনুরোধ আমি তাদের করতে চাই, মুখে চেতনা না চুদিয়ে, স্বাধীনতার বীর্জ কথায় কথায় না ফেলে সীমানা পেড়িয়ে ওপারে চলে যান। এই দেশটাতে পোঁদবালক এবং বালিকাদের সংখ্যা স্যাচুরেশনের পর্যায়ে পৌছে গ্যাছে। আপাতত আর না হলেও আমাদের চলবে। ধন্যবাদ
গালি সব সময় নেতিবাচক নয়। আমিও যখন ক্ষোভে ফেটে পড়ি তখন গালি দেই। লেখাটা ফেবুতে শেয়ার করে দিচ্ছি।
@ডাইনোসর,
আমিও যে ফেরেস্ততা সেটা দাবী করব না গালি আমিও দেই মাঝে মাঝে, আমরা সবাই দেই আসলে, তবু বোধহয় সহনীয় পর্যায়ে থাকার দরকার আছে।সেই স্টেজটা পার হয়ে গেলে পরিবেশটা রীতিমত অসহনীয় আর বিষাক্ত হয়ে যায় আর এতে অনেক মানুষের বিবমিষার উদ্রেক হতে পারে।
@সাইফুল ইসলাম,
সীমান্ত হত্যার অবশ্যই বাস্তবতা আছে।**এবং এই বাস্তবতা আছে বলেই তাদের চাওয়ার স্টক এত বেশী।
আপনি মনেহয় কখনও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যান নি বা দেখেন নি। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৪৫০০ কিমি বেশী সীমান্ত এলাকা আছে,এবং এর প্রায় পুরোটাই স্থল সমভূমি।এখানে পাহাড়,মরুভূমি, সাগর কিছুই নেই,উপরোন্তূ ঐপাড়ে আছে উন্নত জীবনের মরীচিকা।
শুধুমাত্র চাওয়ার স্টক পূরণের জন্য হত্যা করা হয় না, অন্য কারণও আছে।ভারতের চাওয়া পূরণ করার জন্য আম্লিক, বিম্পি(একদমই দেরি করবে না) দুটোর একটা ক্ষমতায় থাকলেই যথেষ্ট।বর্ডারে একটাও হত্যা না করলেও তাদের সকল চাওয়া পূরণ হবে।
এই ‘সরাসরি’ শব্দটার মানে কি?তার মানে পাবলিক আম্লিগকে ভোট দেয় নি?বলতেই পারেন এই কথার মর্মার্থ বুঝতে আমি অক্ষম। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো…সরাসরি মানে যদি এই হয় যে,ভারত আম্লিগরে টাকা দেয়,বিশ্বাস করে ,খুব করে চাই আম্লিগ ক্ষমতায় খাকুক তাহলে ঠিক আছে।কিন্তু ‘সরাসরি’ মানে যদি ‘সরাসরিই’ বোঝান,তাহলে আবারও বলছি অনেক কিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে।
আচ্ছা ভারতের দাবি মেনে নিচ্ছে মানে, ভরতই ক্ষমতায় বসিয়েসে! চীনের দাবী মানলে বুঝতাম চীনই ক্ষমতায় বসিয়ছে! ‘সরাসরি’ মানে কি যদি একটু বিস্তরিত বলেন তাহলে ভাল হয়।
ঠিক।আর আপনার পোষ্টে আপনি গালাগালি করতেই পারেন,আমার কোন আপত্তি নেই।
দেখাননি কেন?সল্প পরিসর-ঠর বলে কোন লাভ নেই।সমাধানের কথা না বলে শুধু আলোচনা,সমালোচনায় এত আগ্রহ কেন?বিজিবিকে টানার যৌক্তিক কারণ আছে বলেই টানা হয়েছে।
কার কাছে চাইবো মানে? এসব কথা বেশী না বলাই না বলাই ভাল।তারপরও বলি ১৯৬৮ সালে ‘র’ প্রতিষ্ঠিতই করা হয়,পাকিস্তানকে সেপারেট করার জন্যে এবং তারা সফল।ওদিকে আইএসআই নামক সংস্থাটা অবশ্য ভারতের ভিতরে কিছু আবেগী জংঙ্গী পুস করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে নি।(এই ছাগলামি করার কারণে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভারত প্রতিবার আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়।)
তো আমাদের দেশের উনাদের কাজটা কি?বিরোধী দল ঠ্যালার জন্য ডিবি,পুলিশ,হ্যান স্যান প্রচুর আছে।ঐ সব সংস্থারা যদি এসব নিয়ে কাজ না করে তাহলে যা হবার তাই হচ্ছে।এসব টুকটাক কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পারমিশন লাগে না।সিআইএ বা র এভাবে কাজ করে শুধুমাত্র বড় কোন আপারেশনে অনুমতি নেয়।
আসলে বাঙালী এক অলস এবং অতি আবেগী জাতি।মেয়েদের উন্নত বুকের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সময় পার করতেই এদের ভাল লাগে।
আপনি কি আশা করেছিলেন?আমাদের দেশে দুই ধরণের লোক আছে। একদল প্রকাশ্যে আশা করে, ভারত বাংলাদেশকে ভালবাসায় ভরিয়ে দবে,আর একদল মনে মনে আশা করে ভারত বাংলাদেশকে সমীহ করবে, কারণ আমরা তো বীরের জাতি মুসলমান।
ভারত তো একটা আলাদা রাষ্ট্র তাদের পলিসি,নিরাপত্তা,প্রভাব ইত্যাদি বাস্তবায়নে তারা অনেক কিছুই করবে এটাই স্বাভাবিক।এখানে আবেগ করার কিছু নেই।
আর খালেদার শর্তের ব্যাপারে কথা না বাড়িয়ে বলব এব্যাপারে আমাদের আরও নির্মোহ হওয়া প্রয়োজন।
@প্রাক্তান আঁধারে,
খুবই সত্য কথা বলেছেন ভাই। বাংলাদেশে এমন কিছু লোকও বেশ ভাল সংখ্যাতেই আছে যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে পাকিস্তানের কাছে নাকি ভারতীয় সেনাবাহিনী নস্যি!!একজন পাকিস্তানী সেনা নাকি, ১০ জন ( ঠিকই পড়ছেন ) ভারতীয় সেনার সমান, শুধুমাত্র পাকিস্তান মুসলিম বলেই নাকি মার না খেয়ে মার দেয়না, দিলে নাকি ভারতের খবর ছিল :-)) ! আর একমাত্র ৭১ সালে ছাড়া নাকি সব পাক ভারত যুদ্ধে পাকিস্তান জিতেছে!!! আচ্ছা এইসব অপইতিহাস এরা শেখে কোত্থেকে বলতে পারেন?
ভারত গণরাজ্য সারপ্রাইজড কিনা জানিনা, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কেন সারপ্রাইজড এটাই বুঝে আসছে না! একজন বিএসএফ সদস্যর “বিচার” এর জন্য, বিএসএফ দ্বারা প্রযোজিত এবং পরিচালিত ক্যাংগারু কোর্টের “তথাকথিত বিচার” এর ফলাফল কি হবে এটা তো সহজেই অনুমেয় ছিল!
@সংবাদিকা,
গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বলতে কি দেশের মানুষদের বুঝিয়েছেন? যদি সেটা হয় তবে ভুল বলেছেন। আমি ও আমরা বিস্মিত নই, প্রচণ্ড রকম ক্রুদ্ধ হয়েছি। এটা বিস্ময়ের ব্যাপার না। প্রচন্ড রাগ আর বিতৃষ্ণার ব্যাপার।
@সংবাদিকা,
আমার কথাটা বুঝতে হলে আপনাকে আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কথা শুনতে হবে। ফেলানি হত্যার বিচারের রায় দেয়ার পরে তার বক্তব্য ছিল, ভারত যে একটা বিচার করেছে এতেই আমরা খুশি। বিচার করেছে ভারত!!!! তো এটা সারপ্রাইজ না বলতে চান আপনি??
বাহ বাহ, চমতকার। আপ্নার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারলাম। ধর্ষনকারীকে/হত্যাকারীকে চুমা দিয়ে কোলে করে খেমটা নাচ দিয়ে ক্ষমতার শীর্ষে বসানোর কালচার আমাদের বাংলাদেশ জন্মের থেকেই। তারসাথে আছে ধর্ষনকারী দেশের বিনোদনের চর্চা। তো বাংলার মানুষ এই দেখেই অভ্যস্ত,এই করেই অভ্যস্ত। সেখানে ধর্ষনকারী দেশের পন্য ব্যবহার কোন ব্যাপারই না। বাজী লাগতে পারি, যতই আপ্নে জারজ, শুয়োরের বাচ্চা যা খুসি বলতে পারেন আপনার মুখে মুত্র বিসর্জন দিয়ে পাব্লিক সেই বিনোদনের চর্চা করে যাবে। যেমন করে আসছে ৪২ বছর ধরে। হিন্দী চ্যানেল বন্ধ কইরা দেখেন, পাব্লিক রাস্তায় নাইমা পড়ব। সেই ভিড়ে পাবেন সুশীল, প্রগতিশীল, জাতীয়তাবাদী, পাকি লাভার, ভারত দালাল, দাড়িয়ালা হুযুর সব। আত্মসম্মানের বয়ান দেন। ৪২ বছর ধরে চেতনা চু** লাভ হয় নাই, স্বাধীনতার বীর্যপাত ঘটিয়ে লাভ হয় নাই। জারজ, বেজন্মা চু** লাভ হয় নাই কোন। ৩০ লাখ হত্যাকারী, ২ লাখ ধর্ষনকারী কে নিয়ে আমরা পো..এ চুম্মা দিয়া ক্ষমতার শীর্ষে রাখছি। জারজ, বেজন্মা চু** দিন শেষে ফলাফল কারো দালালী করা। 🙂
সাইফুলঃ
ধনবাদ, লেখাটির জন্যে। আমার মতে বাংলাদেশের উচিৎ হবে বেশ কিছু long-range sniper rifle কেনা, এবং এগুলো দিয়ে বি,জি,বির কিছু সদস্য কে প্রশিক্ষণ দেয়া। একটা খুন করা মাত্রই, পাল্টা গুলি করে গুলি বর্ষণ কারিকে sniper rifle দিয়ে শেশ করে দেয়া।
@সাজ্জাদ, আপনার বুদ্ধিটা খুবই ছেলেমানুষিতে ভরা। কল অব ডিউটি নামক ভিডিও গেম বেশি খেলেন নাকি খুব?আপনার কেন মনে হচ্ছে যে স্নাইপার দিয়ে বি এস এফ সদস্যকে মারলে তারা বসে থাকবে? নাকি আপনার ধারনা জন্মেছে যে স্নাইপার রাইফেল নামক বস্তুটি বি এস এফ এর নেই অথবা তারা এটার ব্যবহার জানে না? খুবই আজব তো!!!
কোন এক অজানা কারনে সাইফুলের লেখা কখনোয় মডারেটরদের সমালোচনার শিকার হয়না।
@বোকাছেলে,
কোন এক অজানা কারনে আপনি আমার গালাগালি সমৃদ্ধ পোস্টগুলোতে মডারেটর এবং কুসুমকোমল চামরার সুশীলদের গাত্রদাহ খেয়াল করেন নি। কোন এক অজানা কারনে আপনি আমার লাস্ট পোস্টটাকে যে নীড়পাতা থেকে সড়িয়ে আমার ব্যাক্তিগত ব্লগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটা খেয়াল করেন নি। আমার পোস্টে মডারেটররা হামলা না করলে আমি আনন্দিত হব। কিন্তু ভদ্র সমাজের প্রতিনিধীরা সব সময়েই আমার পোস্টে এসে আমাকে ভদ্রতা শিখিয়ে যান। যেটা অত্যন্তই বেদনাদায়ক।
বোকাছেলে, চালাক হয়ে উঠুন। গালাগালির চাইতে পোস্টের উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বলার থাকলে বলুন। এটা সাহিত্য নয়। চিল্লাচিল্লি করা হয়েছে এই পোস্টে। চিল্লাচিল্লি করলে দুই একটা গালি না দিলে জমে না।
এত রং,ঢং না করে ভারত সরকারে উচিত আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে বিএসেপের কাছে কড়া বার্তা পাঠানো। সেরকম কিছু যতক্ষণ না হচ্ছে,বাংলাদেশের তথা বিজিবির কাজ হবে বিএসএফের প্রতিটা হত্যার জবাবে ভারতীয় সীমান্তে গুলি বর্ষণ।ভয় পাবার কিছুই নেই এটাই সীমান্ত হত্যা বন্ধের সবচেয়ে সহজ উপায়।
লেখকের মতে সীমান্ত হত্যার কারণ
এবং সেই কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেকে ভয় দেখিয়ে(সীমান্তে হত্যা) ট্রানজিট আদায় করা।আবার বলছেন..
তাহলে কি দাঁড়ালো,ভারত চায় আর বাংলাদেশও দিতে সম্মত!তারপরেও কেন হত্যা করতে হচ্ছে? কারণ
আপনার, আমার মত ভারতও জানে এদেশে জনগণ বলে আলাদা কিছু নেই ,জনগণ মানে আ.লীগ,জনগণ মানে বিম্পি।এটা গ্যারান্টি।
সীমান্ত হত্যার অন্যতম কারণ দুই দেশের ব্যাবসাহিদের লোভ ও বিএসেফের অসুস্থ মানসিকতা।সাধরণত বাংলাদেশ সীমান্তে যে সমস্ত বিএসএফ থাকে তারা অধিকাংশই মাড়োআড়ি বা পাঞ্জাবী উগ্রপন্থী শিক। এরা গরু হত্যাকে পাপ মনে করে যদিও গরু নিরাপদে চালান করে দেওয়ার জন্য ভারতীয় ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে থাকে।তবু অসুস্থ ধর্মীয় অহং বোধ থেকে কোন গরু মিডিলারকে দুর্বল পজিশনে দেখলেন গুলি চালায়।এই মিডিলাররা কিন্তু ব্যাবসায়ী নয় এরা গরু প্রতি ৫০০ বা ৭০০ টাকার বিনিময়ে ভারতীয় ব্যাবসায়ীর কাছে থেকে গরু এনে দেওয়ার শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়।আমার মতে ভারত এবং বাংলাদেশের উচিত এই ব্যাবসাকে ল্যিগাল করা।
আর কিছু মানুষ ভারতে যায়(বিএসএফ এবং বিজিবি উভয় বাহিনিকে দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে)উন্নত জীবনের আশায়।যদিও তারা পায় ভ্যান চালক,কৃতদাশ আর ব্যেশ্যার জীবন।টাকা খাওয়ার পরও এদের মধ্যে যাদেরকে ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে দুর্বল পজিশনে পায় তাদের কপালে জোটে….যুবক হলে মাইর পূর্বক হাজতে প্রেরণ আর যুবতী হলে তো কথাই নেই।আন্তর্জাতিক এলাকায় মানে দুই সিমান্তের মাঝখানের দুর্বল পজিশনে এদেরকে পেলে চলে গুলি।সীমান্ত হত্যার আরও কারণ আছে।উল্লেখ্য এত রিক্স থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন হাজার হাজার লোক সীমান্ত পাড়ী দেয়।
আর খালেদাকে জেলের ঘানি থেকে টেনে তুললকে কে?!চীন,পাকিস্থান নাকি ওটা আপনা আপনি হয়ে গেছে!
ওপরের প্যারার শেষ লাইনটা কেমন হল!তাহলে বাংলাদেশের মূল ক্ষমতা ভারতের হাতে আর আ.লীগ তাদের এজেন্ট মাত্র।আপনি কি তাই বিশ্বাস করেন? তাহলে কিন্তু অনেক কিছুই আর্থহীন হয়ে যাবে।
@প্রাক্তান আঁধারে,
কারন ভারতের চাওয়া অনেক। আপনি খেয়াল করবেন ভারতের সমস্ত চাওয়া এখনও পূরন হয় নাই। আম্লিগ চাইলেই পুরন করতে পারছে না। সামাজিক মূল্যবোধের জায়গাতে কিংবা সামাজিক বোঝাবুঝির জায়গাতে হেজেমনিক চরিত্র একটি আধিপত্তবাদী দেশের পররাষ্ট্রনীতির খুবই গুরুত্বপুর্ন উপাদান। আজকে সীমান্তে হত্যা চালু থাকার কারনে সব সময়েই একটা ডিস্টার্বেন্সের মধ্যে থাকতে হচ্ছে বাঙলাদেশকে। সব সময়েই একটা চাপের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। আজকে আম্লিগ ভারতের কল্যানে আসলেও আম্লিগকে শতভাগ বিশ্বাস করার বা সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে বসে থাকার মতন ভুল ভারতের মতন দেশ কখনই করবে না।
আপনাকে হেজেমনিক ব্যাবহার যে কতটা কাজে দেয় তার একটা উদাহরন দেই। একেবারে গরম উদাহরন। বর্তমানে নীড়পাতায় প্রথম যে পোস্টটা আছে সেটাতে লক্ষ করলে দেখবেন একজন ভারতীয়(আমি জানি না আপনিও কী না) বাঙলাদেশ ভারতের সম্পর্ক কেন ভালো অবস্থানে নাই সেটা বোঝানোর জন্য দায়ী করছেন বাঙলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতাকে। বর্তমান সরকার তার পশ্চাৎদেশ উচু করে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে ভারতের পা চেটে যাচ্ছে তারপরেও ভারত আমাদের ন্যায্য পাওনা দিচ্ছে না, আর উনি আমাদের শুনাতে এসেছেন কুটনীতি। এটাকে কী বলা যায় জানেন? ধর্ষিতাকে উনি শেখাচ্ছে মোল্লাদের মতন, বোরকা পড়ো। নইলে তো ধর্ষন করবেই। উনি উনার দেশের বুদ্ধিবেচারুদের ডেকে মাল পানি খাইয়ে এই দেশের হয়ে লিখতে বলছেন। সেটা করাই যায়। কিন্তু যে বুদ্ধিবেচারুরা পাশের দেশে কী হচ্ছে সে সম্পর্কে খবর রাখে না, যাদের ডেকে দু বেলা খাইয়ে কথা বলাতে হয় সেই দেশের কলমচিরা যে কুকুরের বিষ্ঠা লেভেলের সেটা উনি স্বীকার করবেন?
যাই হোক, যেজন্য একথাগুলো বলছি সেটা হল, ঐ পোস্টে দেখবেন বাঙলাদেশের কয়েকজন ঐ লেখকের কথা মেনে নিচ্ছে। এবং সেটাকে মেনে নিচ্ছে বাস্তবতা বলে। এখন কি বুঝতে পারছেন সামাজিক মূল্যবোধের জায়গাতে আগ্রাসনের প্রয়োজনীয়তা? যেটা ন্যায্য হিস্যার পাওনা এবং এই দেশ ভারতকে শুধু দিয়েই যাচ্ছে দিয়েই যাছে সেখানে কুটনৈতিক তৎপড়তার কথা উল্লেখ করা মানে ডাকাতি করা। ভারতী হিসাবে এটা করায় আমি তাকে ক্ষমা করতে রাজি আছি। কিন্তু বাঙলাদেশের অক্ষরজ্ঞ্যানসম্পন্ন ছিক্ষিত জনতাকে এই কথা বলার জন্য প্রথমে এক্সরে করিয়ে মেরুদন্ডের উপস্থিতি পরীক্ষা করব। যদি না থাকে তাহলে মাফ। আর যদি থাকে তাহলে প্যান্ট খুলে পাছায় চাবকানোর প্রস্তাব দেব।
অর্থনৈতিক কারন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। এব্যাপারে আপনার সাথে কোন দ্বীমত নেই আমার। কিন্তু শুধু এটাকেই সীমান্ত হত্যার কারন হিসাবে মেনে নেয়ার মানে হল আপনি ভারতের সরকারকে এর দায় থেকে মুক্তি দিচ্ছেন। আপনি ধরে নিচ্ছেন কয়েকজন খারাপ বিএসএফ-এর কারনেই এটা হচ্ছে। সরকার আসলে তুলতুলে নরম, কুসুম গরম পানিতে ধোয়া তুলসি পাতা। আপনি ভুল করছেন। সরকারের ইচ্ছার বাইরে কোন আর্মড বাহিনী একটি গুলিও করতে পারে না। এটা খুবই বেসিক একটা তথ্য। আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে আপনাকে এই তথ্যটা মুখস্ত করতে বলব। আপনারই ভবিষ্যতে কাজে দেবে। আর সীমান্তের মতন একটা সেন্সিটিভ জায়গাতে তো সেটা ১০০% অসম্ভব।
আপনার তথ্য মানলে বলতে হয় বিএসএফ নামে যে সংস্থাটা আছে সেটার প্রত্যেকের ডিএনএ-তেই গন্ডগোল আছে, আর বাকি সমস্ত দুনিয়ার সীমান্ত রক্ষীরাই মাসুম। আপনার বক্তব্য কি এটাই? যদি হয় তাহলে বলুন, আলোচনা অন্যভাবে করতে হবে তাহলে।
খালেদাকে জেল থেকে বের করার জন্য শর্ত দেয়া হয়েছিল একটাই। সেটা হল, তার দুই ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। মমতাময়ী মা হিসাবে খালেদা সেটাই করেছিল। আজকে পর্যন্ত তার দুই ছেলে দেশে নাই। একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।
দেখেন, এতটা সরলভাবে ভাবলে বলতে হবে আপনি আমার পুরো লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়েন নি। রাষ্ট্রতত্ত্বের জায়গাটিতে আমি পরিষ্কারভাবেই বলেছি একটা রাষ্ট্র গঠন হওয়ার মানেই হল বাই ডিফল্ট সে অন্য সমস্ত রাষ্ট্রের শত্রু। তারমানে হল, আজকে ভারতের সহায়তায় আম্লিগ ক্ষমতায় আসলেও, বাঙলাদেশের সমস্ত কিছু ভারতের কথায় চলবে না। যদি চলত তাহলে বাঙলাদেশে ভারতের আরেকটা প্রদেশে পরিণত হত। যে অভিযোগ মূর্খ বিম্পি সব সময়েই করে থাকে। কিন্তু এই শত্রুত্বের বাইরেও কিছু কমন ইন্টারেস্ট আছে যেটা দুই সরকার তাদের নিজস্ব স্বার্থের প্রয়োজনে করবে। যেটা ভারত আম্লিগ দিয়েছে, এবং এর বিনিময়ে আম্লিগ ভারতকে দিচ্ছে। কিন্তু তারমানে কি এই বাঙলাদেশ ভারতের সমস্ত ইচ্ছাই মেনে নেবে? না। সীমান্তের হত্যা সহ কূটনৈতিক সমস্ত আগ্রাসী ব্যাবহারই ভারতের এসমস্ত জিনিস আদায় করার উপায়। যেটা আমি লেখায় বলার চেষ্টা করেছি। স্বীকার করতেই হবে ভারতের মতন এমন অশিক্ষিত কুটনৈতিক প্রচেষ্টা এই জগতের কেউই করে না। যার জন্যই আমাদের এগুলো মেনে নিতে অসুবিধা হয় এবং কাউকে বলতে গেলে তার বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়।
@সাইফুল ইসলাম,
এইটা বোধহয় পুরোপুরি ঠিক না।কারণ সম্প্রতি বিএসএফ দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা,যেটা আপনি পোষ্টে উল্লেখ করেছেন,সেটা প্রথম প্রকাশ হয় ভারতীয় মিডিয়ায় এবং এটা নিয়ে ভারতের লোকাল থানায় বিএসএফের বিরুদ্ধে যে জিডি করা হয়ছে,সেটাও কিন্তু করেছে পশ্চিমবঙ্গের একটা মানবাধিকার সংস্থা।
আর,হ্যাঁ,উনি কিন্তু কলমচিদের বুদ্ধিবেশ্য বলেছেন,খেয়াল করেননি হয়ত।
আর এই আগ্রাসনের ফলে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব ফুঁলে ওঠার আপ্রয়োজনীতা কি ভারতীরা বোঝে না?নাকি বুঝেও কেয়ার করে না।
আমি বলেছি,সীমান্ত হত্যার আরও কারণ আছে।কোনভাবেই এর দায় থেকে ভারত সরকারকে মুক্তি দিচ্ছি না
এখন সীমান্ত হত্যা হচ্ছে বলে ভারতের কাছে কান্নাকাটি করে,দোষ দিয়ে কিংবা গালি দিয়ে কোন লাভ হবে না।
এজন্য আগেই বলেছি ক্ষমা না চাইলে প্রতিটি হত্যার জবাবে পাল্টা গুলি ছুঁড়েতে হবে।এটাই সহজ সমাধান।এই সমাধানের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য জানতে চাইছি।আমাদের গালি আর চিৎকার শুনে ভারতীরা সব বন্ধ করে দেবে এটা ভাবা বোকামি।
গণ্ড়গোলটা ডিএনএ তে না মানসিকতায়।আর এটা সকল দেশের রক্ষীদের মাঝেই আছে।সে আম্রকান,রাসান, চীনা,ভারতীয়,পাকিস্তানী,বাংলাদেশী যাই হোক।আপনি কি বিজিবি কে ধোয়া তুলসি মনে করেন?আধিপত্তবাদী ধর্ষণকামী মানসিকতায় কেউ কম যায় না,যদি সুযোগ পাই।আজকে যদি বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে সবদিক থেকে শক্তশালী হয়ে যায় তাহলে দেখবেন বিজিবির কর্মকাণ্ড দেখে মুখ লুকাতে হচ্ছে।
বুঝলাম,তো এই শর্ত কে দিয়েছিল?ভারত না তো!আপনার আগের বক্তব্য আনুসারে কিন্তু ভারত, যেহেতু আপনার মতে তখন দেশের ক্ষমতা লুফে নিয়েছিল ভারত।তাহলে এখনও ভারতের শর্ত মেনে আমাদের যুবরাজ আরামসে প্রবাস যাপন করছে,আর মমতাময়ী মা কিছুই করতে পারছে না।এইখানে অন্য কিছু আছে বোধহয়।
সহায়তা মনে কি?বস্তাভর্তি টাকা নাকি অন্য কিছু?যদি টাকা হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের আগে ভারত আ.লীগরে যদি ৫ বস্তা দেয়,বিম্পিরে দেয় ৭ বস্তা।এইটা গ্যারেন্টি।
@প্রাক্তান আঁধারে,
কি লাভ হইসে এতে? ইটের জবাব পাটকেল দিয়েই দিতে হয়। না হলে বিচার নামক প্রহসন আর মাস্তানি বন্ধ হবে না কোনদিন।
@প্রাক্তান আঁধারে,
ভাইরে একটা সত্য কথা বলতে গেলে সাইফুল ভাই বিশ্বাস নাও করতে পারেন। আর তা হল,চিকিৎসার কারনে আমি এ পর্যন্ত ৮/১০ বার ভারতে গেছি।
প্রত্যেক বার এই বিজিবি কেই ব্যাগ প্রতি ২০০ টাকা ঘুষ দেয়া লাগছে,কিন্তু বি এস এফ কিন্তু একবারো এক পয়সাও চায় নাই।ব্যাগ খুলে একবার উঁকি দিয়েই ছেড়ে দিসে।অথচ ধর্ম পালন না করলেও আমার নাম কিন্তু মুসলিম নাম, আর পাসপোর্টে আমার পরিচয় মুসলিম হিসাবেই আছে। ব্যাগ খুলে একবার উঁকি দিয়েই ছেড়ে দিসে।
একবার আমার পাশে এক মুসলিম ভদ্র মহিলার ব্যাগ চেক করতে গিয়ে কোরান দেখে হিন্দু বি এস এফ এটাকে হাত দিয়ে ছুঁয়ে সেই হাতে চুমু, মানে কোরান কে চুমুও খেয়েছে।
কাজেই বি এস এফ এর অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ করার এবং এর প্রতিকার চাইবার পরেও কিন্তু আমার নিজের জীবনে ঘটা ঘটনা আর নিজের চোখে দেখা জিনিস অস্বীকার করতে পারি না। করলে নিজেকেই প্রতারণা করা হবে।
নিজের দেশের বিজিবি যখন বিমাতা সুলভ আচরন করে, আর ভিন দেশি বি এস এফ যখন ভদ্র আচরন করে তখন বিজিবিকে ( সাবেক বিডিআর ) কিভাবে ভাল বলি আমি বলেন?এমন কি আমি এক বন্ধুর জন্য ফোম আর কাগজ দিয়ে মোড়ানো একটা কাচের শো পিসআনার সময় বি এস এফ জিজ্ঞেস করল যে এটা কি, আমি বললাম যে এটা একটা শোপিস, যেন না ভেঙ্গে যায় তাই ফোম আর কাগজে মুড়ে এনেছি। খুলেও দেখাতে চাইলাম। বি এস এফ সদস্য বলল যে তার দরকার নেই।
একই জিনিস বাংলাদেশে প্রবেশপথে বিডিআর আমাকে খুলতে বাধ্য করল অবশ্য ভদ্র ভাষায় এই বলে যে ভাই শোপিস দেখলে কি এমন ক্ষতি হবে!! শেষে খুলে দেখিয়ে বললাম যে বিদেশী বি এস এফ কিছুই বলল না আর আপনারা নিজের দেশের মানুষ হয়ে এমন করলেন!দুঃখ প্রকাশ করে বিডিআর ছেড়ে দিল আর বলল যে এটা নাকি দায়িত্ব!!!
@প্রাক্তান আঁধারে,
পিসির হার্ডড্রাইভ ক্র্যাশ করার কারনে সমস্ত পাসও্যার্ড হারিয়ে ফেলছি যার জন্য এখানে লগিন করে মন্তব্য করছে পারছি না। যার কারনে মন্তব্য করতে দেরি হচ্ছে বলে দুঃখিত।
কেন বুঝবে না? বেশ ভালোভাবেই বোঝে। আপনি একটু খেয়াল করে ভারতীয় মিডিয়ার দিকে নজর রাখলে দেখতে পাবেন, আম্লিগ সরকারের শেষের সময়ে এসে ওরা একটু শঙ্কায় পড়ে গ্যাছে। ঐতিহাসিকভাবেই ভারত বিম্পিকে আম্লিগের মতন বিশ্বাস করে না। তারা শঙ্কায় আছে এই কারনে যে আম্লিগকে দিয়ে যে কাজ সুরুৎ করেই করিয়ে নিতে পারছে সেটা বিম্পি আসলে হয়ত বেশি সময় নিয়ে করতে হবে। কিন্তু আমার এই কথার মানে কি বিম্পি ভারতের কথা শোনে না বা বিম্পিকে দিয়ে ভারতের চলে না? উত্তর হল, চলে। কিন্তু বিম্পির আরো কিছু সমস্যা আছে যেটা ভারত সবসময়েই দেখার সময়ে ভ্রুকুটি করে দ্যাখে। যেমন জঙ্গীবাদের ব্যাপারটা। ২০১০-এ হাসিনা ভারতে গিয়ে যে সমস্ত চুক্তি করে এসেছে সেগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন ভারতের স্বার্থে হাসিনা দেশের স্বার্থ কীভাবে বিকিয়ে দিয়ে এসেছে। ট্রানজিটের সুবিধা ভারত আম্লিগের সময়েই পেতে চায়। এবং আপনি হয়ত জেনে থাকবেন পরীক্ষামূলকভাবে সেটা শুরুও হয়ে গ্যাছে। এই ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারত তার দেশের অন্তর্গত “সন্ত্রাসবাদ” দমনের নৌকায় আমাদের বাঙলাদেশকে উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের কি সেই নৌকায় উঠে কূল পারি দেয়ার কথা ছিল? ভারতের মুক্তিকামী তথা সরকারী ভাষায় সন্ত্রাসীদের শায়েস্তা করার জন্য কি বাঙলাদেশের পক্ষ থেকে সহায়তা করার কোন প্রয়োজন ছিল? কেন আমরা সেধে সেধে ভারতের “শত্রু”দের নিজেদের শত্রু বানাচ্ছি? কারন ভারতের সামগ্রিক স্বার্থগত দিক থেকে বাঙলাদেশকে প্রয়োজন। আমি আপনার “ভারতবিদ্বেষি” প্রশ্নে উত্তরে এই কথাগুলো কেন বলছি? বলছি এই কারনেই যে আপনাকে এবং এই দেশের মানসিক দাসদের বোঝানোর জন্য যে, ভারতের বাঙলাদেশের কাছ থেকে চাওয়ার স্টেকটা খুবই হাই। এবং গ্লোবাল সুপারপাওয়ার আম্রিকার রিজিওণাল মাস্তান হিসাবে সে সেটাকে বল প্রয়োগ করে, চোখ গরম করেই নিতে চায়। যার জন্য সীমান্তে একটা নিরন্তর ডিয়াস্টার্বেন্স তৈরী করে রেখে, একটা সামাজিক আগ্রাসন জারি রেখে জল ঘোলা করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতে এবং এমন ধরনের চিপ শট খেলে বাঙলাদেশিদের মনে ভারতবিদ্বেষ সৃষ্টি হবার আশঙ্কা থাকার পরেও সে এটা চালু রাখবে। কারন ঐ কথিত ভারতবিদ্বেষ আগুন ছাইচাপা দেয়ার মতন যথেষ্ট এলিমেন্ট তাদের হাতে আছে। কিন্তু উল্টোদিকে তাদের চাওয়াটা পাওয়ায় পরিনত করার প্রয়োজন অনেক অনেক বেশি এবং সেটা খুবই কম সময়ের মধ্যেই হতে হবে। ভারতের চাওয়ার স্টেকটা সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগ জনগনই সচেতন নই বলেই সীমান্তে হত্যা “বাস্তবতা” কিংবা “কুটনৈতিক ব্যার্থতা” বলে মুর্খদের কাছে হালে পানি পায়। আর এই ব্যাপারগুলো বোঝাবার জন্যই আমি আমার লেখার বেশির ভাগ অংশই রেখেছি আম্লিগ সরকার কীভাবে ক্ষমতায় এসেছে আর সাথে সাথে বর্তমান গ্লোবাল এবং আমাদের আঞ্চলিক শক্তিগুলোর চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে একটা অন্ততপক্ষে সাধারন ধারনা দেয়ার জন্য।
কোন জিনিস গভীরভাবে বুঝতে না পারলে কয়েকপাল মানুষের কাছে সেগুলো ষড়যন্ত্রতও্ব বলে মনে হয় কারন তাদের মগজের ধূসর অর্ধতরল পদার্থ এখনও এগুলো বোঝার জন্য ঠিক দানা বেধে ওঠেনি। এদের দেখবেন আম্লিগ সরকার ভারতের সরাসরি সাহায্যে এসেছে শুনলেই মাথার চুল পেকে সাদা হয়ে যায়। কিন্তু আম্লিগ কেন একের পর অনৈতিক, অযৌক্তিক, অবৈধ কর্মকান্ড ভারতের সরকারের করার পরেও কিছু বলছে না বরঞ্চ সাধুবাদ জানাচ্ছে সেটা বলতে পারবে না। কারন সেটা বোঝার মতন রাজণৈতিক গণিত তারা এখনও শিখে উঠতে পারে নি।
প্রথমে ব্লগে লেখালেখির কথাই বলি। যদি লেখালেখি করে কিছু করা সম্ভব হয় তাহলে গালাগালি বা অগালাগালি সম্পন্ন সমস্ত লেখালেখিতেই কাজ হবে। যদি না হয় তাহলে গালাগালি সমৃদ্ধ বা অসমৃদ্ধ কোনটাতেই কিছু হবে না।
আপনার সমাধান অনেকগুলো স্টেপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি স্টেপ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপনি এটা চাইবেন কার কাছে? বর্তমান সরকারের কাছে? বিম্পির কাছে? কার কাছে? এরা কেউই করবে? উত্তরটা আমি আপনি সবাই জানি। শুনেছেন বোধহয়, ভারতমাতার সন্তানেরা বাঙলাদেশ সীমান্তে ড্রোন উড়াবে। কী ভালোবাসা দেখলেন তো!
আপনি বোধ হয় বুঝতে পারছেন না, আমার কথাটাই ঘুরিয়ে আমাকে বলছেন আপনি। আমিই তো আপনাকে বললাম যে সমস্যাটা বিএসএফ-এ না। সমস্যাটা গোড়ায়। এরপরে কিন্তু আপনি বলেছেন গোড়াতেও সমস্যা আছে। এরপরে মনে হয় আর বাড়ানোর কিছু নেই এই কথা।
বিজিবি প্রসঙ্গেঃ বিজিবি’র দুর্নীতির কথা কেন স্বীকার করব না? ফ্যাক্ট তো অস্বীকার করলেও ফ্যাক্টই থাকবে। আপনি সীমান্তে পরে যান, চট্টগ্রামে আমাদের “দেশপ্রেমিক” আর্মি দিয়ে কী করানো হচ্ছে সেটা কি আমরা জানি না? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিজিবিকে এখানে বিএসএফ-এর সাথে আলোচনায় কেন নিয়ে আসছি সেটা। আমার পোস্টে সীমান্ত হত্যা বন্ধে করনীয় কোন পথ দেখাই নি আসলে। শুধু বলতে চেষ্টা করেছি প্রচুর গালাগালির সাথে যে, কেন হচ্ছে এগুলো। এবং আমি জানতাম বেশিরভাগদের কাছেই উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠবে গালাগালির জায়গাটাই। কেননা সেটা করতে পারলে নিজের সার্টিফিকেট সর্বস্বতার পরিচয় দেয়া যায়। বোঝানো যায় পাঠক, “ছিক্ষিত”। এবং সেটাই হয়েছে।
আমার আগের বক্তব্যে যদি মনে হয় ভারত দিয়েছে তাহলে তো সমস্যা! তবে এই সমস্যাটার কারনও আছে। আমি খুবই অল্প পরিসরে অনেক ব্যাপক একটা কাহিনীর আখ্যান এখানে বলেছি। সে জন্যই বোঝাবুঝির জায়গাটাতে খামতি থেকে যাচ্ছে। যাই হোক, খালেদাকে এই শর্ত দেয়া হয়েছিল মঈন-ফখরুর পক্ষ থেকে। আর আম্লিগের এই সরকারের প্রতি ভালোবাসাটা বুঝতে পারবেন ক্ষমতায় আসার পরেও হাসিনাকে ঘোলা পানি খাওয়ানো কোন কুতুবেরই কিছু তো হয় ই নি বরঞ্চ তারা এখন বিদেশে ভালো ভালো পোস্টে করে কেটে খাচ্ছে। কেন? এই হাসিনাই বলেছিল না ক্ষমতায় আসলে এদের খবর আছে? । সেই খবর কয়টায় প্রচারিত হবে? কবে হবে?
টাকা যে দেয় বা অন্যভাবে বললে বাঙলাদেশের নির্বাচনে ভারত যে স্টেকহোল্ডার এটা আপনি মেনেছেন তাতেই আমি আপাতত খুশী থাকছি। কাকে কম দেয় আর কাকে বেশি দেয় সে আলোচনা সেক্ষেত্রে অবান্তর।
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
পিরদুয়ার ঘটনার পর থেকেই বিএসএফ অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে। বিএসএফ এর জওয়ান গুলি বেশিরভাগই আকাট মূর্খ, নৈতিকতা বোধও নিচু স্তরের। আমাদের কাছেই গাড়ি থেকে চুরি করে তেল বেচে, চোরাচালানকারী দের কাছ থেকে পয়সা খায়। খুনগুলি বেশিরভাগই হয় লেনদেনের গণ্ডগোলে, মাঝখানে মারা পড়ে ফেলানির মত হতভাগ্যরা। এরা ভারতের লজ্জা।
@প্রাক্তান আঁধারে,
আমিও উপরের লাইনটি ধরে লেখককে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম…….অন্যদের মত অশ্লীলতা নিয়ে কিছু লিখিনি…….তবু দেখেন সে এগুলো পাশ কাটিয়ে চলে গেল………এমন না যে, এগুলো তার লেখার বিষয়বস্তুর বাইরে ছিল……..
সবচেয়ে হাস্যকর হল, যে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিএনপি-জামাত একটা কথাও কখনো বলেনি এবং যেটি করার জন্য আ’লীগ সরকার মরণপন চেষ্টা করেছে, তার কালক্ষেপনকেও লেখক ভারত কর্তৃক আ’লীগকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেছে!!! যে ট্রানজিটের মূল পরিকল্পণা বিএনপি-জামাতের সময়ে হয়েছে, তার নির্বিবাদ নির্মানও লেখকের কাছে আ’লীগকে ক্ষমতায় বসানোর উদ্দেশ্য বলে মনে হয়েছে………লেখক ভুলেই গেছে, তিস্তা চুক্তি নিয়ে/ টিপাইমুখ নিয়ে/ট্রানজিট নিয়ে নির্বাক সরকার চাইলে, বিএনপি-জামাতের চেয়ে বেটার কেউ হতে পারত না ভারতের জন্য…..
বিএনপি-জামাতকে বাদ দিয়ে আ’লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে ভারতের অতিরিক্ত কি লাভ হয়েছে, তা কিন্তু লেখক এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করেনি………….
আসলে ফেলানির পোস্টে আলীগ-বিএনপি এগুলো আলোচনাতেই আসত না……এই পোস্টটি ফেলানি হত্যার হাস্যকর রায়ের তীব্র সমালোচনায় ভরপুর থাকার কথা ছিল, সেখানে আ’লীগকেই টার্গেট করা হয়েছে……….লেখকের দৃষ্টি যতটা না ভারতের দিকে, তার চেয়ে অনেক বেশি আ’লীগ সরকারকে সাইজ করার দিকে…….
সুশীল সমাজের অন্তর্ভূক্ত না হয়েও লেখাটি পড়তে দ্বিধান্বিত। কারণ এর আগে সাইফুলের দুয়েকটি লেখা পড়ার অভিজ্ঞতা। পড়েও মন্তব্যে যাইনি তার অসংযত শব্দ চয়নের কারণে। আর এবার তো ঘোষিত ব্যাপার।
না, সাইফুল, পড়লাম না। মুক্ত- মনায় আমি অসংযত শব্দ ব্যবহারের বিরোধী। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগেই।
@গীতা দাস,
ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। এই লেখা না পড়লে কিছুই আসবে যাবে না কারোর। না পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
“মুখে চেতনা না চুদিয়ে, স্বাধীনতার বীর্জ কথায় কথায় না ফেলে সীমানা পেড়িয়ে ওপারে চলে যান”
সেতো বাংলাদেশ থেকে এমনিতেই হাজার হাজার মানুষ এপারে চলে আসছেন । কেউ জান-প্রাণ বাঁচাতে, কেউ রোজগারের ধান্দায়
@শুভ দীপ,
ভারত মাতার চেতনার জোশে আপনি খেয়াল করেন নি কথাটা কাদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। মহান ভারতের মহত্ত্বের চশমাটা খুলে আবার পড়ুন। আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। এই স্নেহটুকু আমি আপনাকে করব। কারন আমি বিশ্বাস করতে চাই সমস্ত ভারতীয়রাই আপনার মতন না দেখে চেতনার ব্যাবসা করে না। তারা জানে এবং বোঝে এই দেশের সাথে আপনার ভারত মাতা কী মস্তানীটা করছে।
একটা পোস্ট আশা করছিলাম এবং বলতে দ্বিধা নেই আপ্নার কাছ থেকেই আশা করছিলাম। খানিক পর পর চোখ বুলচ্ছিলাম মুক্তমনার পেইজটিতে, হয়ত সাইফুল ভাইয়ের জ্বালাময়ী পোস্টটি চলে এসেছে। এ মুহুর্তে এমন একটি নৃশংস রায়ের বিরুদ্ধে অগ্নিকন্ঠ প্রতিবাদের যে বড্ড দরকার!
কিন্তু না, বেশিদূর এগুতে দিলেন কই! বলতে কি, এত একপেশে চিন্তাভাবনা আজকাল অন্ধ বিএনপি-জামাত সমর্থকেরাও করেন বলে আমার জানা নেই।
তো হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে ভারত? বিএনপি সরকারের পারফরমেন্সের কোন ভূমিকাই নেই তাহলে? ভারত মাতাজি না থাকলে আবারো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে মানুষ বিএনপি-জামাতকেই বেছে নিত?
টিপাইমূখ বিনাবাধায় করে ফেলতেই তাহলে আ’লীগকে বসানো হয়েছিল?? টিপাইমূখ বাঁধ বোধহয় ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ করে ফেলেছে ভারত আ’লীগ সরকারের সহায়তায়? বিএনপি আমলে টিপাইমুখ সংক্রান্ত কোন কাজই হয়নি তাহলে? বা হলেও বিএনপি সরকারের প্রবল বাঁধায় টিপাইমুখের সব কাজ ভারত বন্ধ করে দেয় ভয় পেয়ে??
তাছাড়া ট্রানজিটও প্রদানও আ’লীগ সরকারের ক্ষমতায় বসার পেছনে শর্ত হিসেবে কাজ করেছিল???? আচ্ছা, আ’লীগ সরকার মেয়াদ শেষ করার পথে, কই একটা ভারতীয় গাড়িও তো দেখছি না রাস্তায়??? ভারতীয় গাড়িগুলি সব গেল কই??? আর বিএনপি নেতারাই বা ট্রানজিটের পক্ষে মত দিচ্ছেন কেন? চুক্তি তো তাদের সঙ্গে হয়নি ভারতের, হয়েছে আ’লীগের! কিছুই মালুম হইতেছে না!
তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে যাতে গড়িমসি করতে পারে বাংলাদেশের সরকার, সেটাও তাহলে ভারতের একটা লক্ষ্য ছিল আ’লীগকে ক্ষমতায় বসানোর পেছনে??? বিএনপি-জামাত সরকার বোধহয় ভারতকে সমানে ডাণ্ডা মেরে যাচ্ছিল তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে? আর তাই ভারত বিএনপির ডাণ্ডার হাতে থেকে বাঁচতেই আ’লীগকে বেছে নেয়????? তিস্তার পানি আদায়ে হাসিনা সরকার যে মরিয়া ভাব দেখায়,তা তাহলে লোক দেখানো? মমতা যে এ চুক্তি আটকে দিয়েছিল, তাও মিডিয়ার কারসাজি?? আসলে সবই পূর্বপরিকল্পিত, তাই তো? হাসিনাই বোধহয় মমতাকে বলেছিলেন এই নাটকটিকে অভিনয় করতে?????
আবারও বলছি, সাইফুল ভাই, আমি অন্ধ বিএনপি-জামাত সমর্থকদেরও এতটা একপেশে কথা বলতে শুনিনি। হয়ত আমারই দুর্ভাগ্য সেটা!!
@কাজি মামুন,
জ্বালাময়ী পোস্টটি লিখতে গিয়ে লেখক কিন্তু শালীনতার মাত্রা শুধু লঙ্ঘনই করেন নি, বরং শেষ সীমায় নিয়ে গেছেন।একটি পোষ্টকে আরো ভালভাবেই জ্বালাময়ী করা যায়।ছোটলোকদের মত খিস্তিখেউড় বরং পোষ্টের আবেদন কমিয়ে দেয় মারাত্বক ভাবে।
এইরকম পোষ্ট যার নুন্যতম কোন স্ট্যান্ডার্ড নেই, এইরকম জিনিস চলতে থাকলে মুক্ত মনার ভাল কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি না আমি। গালিগালাজ, আর খিস্তিখেউড় বন্ধ করতে মডারেটররা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন সেটাই বুঝতে পারছি না। লেখক তো এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন যেগুলো চটি বইতে পাওয়া যায়।
@অর্ফিউস,
গালাগালি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত পেলাম। মুক্তমনা সম্পর্কে আপনার কনসার্ন সম্পর্কেও জানলাম। গালাগালি ছাড়া যে কিঞ্চিত বাড়তি অংশ আছে সেই ব্যাপারে কি আপনার কোন মতামত দেবেন? নাকি চটি পড়তে পড়তে জননাঙ্গের শাব্দিক প্রতিচ্ছবির দিকে আপনার একক পক্ষপাতিত্ব আছে কোন, যে গালাগালি দেখলে অন্যদিকে চোখ ফেরাতে পারেন না? এমন হলে বলবেন, আপনাকে গালাগালি ছাড়া ভার্সনটি ব্যাক্তিগতভাবে মেইল করে দেব।
@সাইফুল ইসলাম,
হ্যাঁ মতামত আছে।আসেন সব ভারতীয় জিনিস যথাসাধ্য বর্জন করি।ভারতীয় চ্যানেল গুলা আমরা দেখা ছেড়ে দেই, ভারতের যে মোবাইল কোম্পানীটা এই দেশে আছে, আসেন সেটা ব্যবহার করা ছেড়ে দেই সবাই। সোজা কথায় ভারত বর্জন করি। এমন কি যে চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব সেই চিকিৎসা আমরা ভারতে গিয়ে করব না।
আমরা ভারতীয় মটরসাইকেল ব্যবহার করব না। আরো যে সব ভারতীয় পন্য আছে সব বন্ধ।
আমি এটা পারব। সম্ভবত আপনিও পারবেন।কিন্তু এই কাজগুলা কি সবাই পারবে, এমনকি ঘোর ভারত বিদ্বেষীরাও? আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখেন তো?
সেখানে একতরফা সরকারকেই দোষ না দিয়ে, আমরা তো জনগণকেও ভাল করে দোষারোপ করতে পারি। ভারতীয় জিনিস ছাড়াও আমরা যে চলতে পারি এটা কিন্তু আপনি বুঝতেই পারছেন! আমরা সবাই যদি একসাথে ভারতকে বর্জন করি, যদি জনগন ভারতীয় জিনিস কিনতে রাজি না থাকে তবে আপনার কি মনে হয় না যে সরকার হাজার তাবেদারী করেও সুবিধে করতে পারবে না?
আমি আজ থেকেই সব ভারতীয় পন্য বর্জন করতে যাচ্ছি। আপনি কি আমার সাথে আছেন?থাকলেও কয়জন সাথে থাকবেন সাইফুল ভাই? এইসব নিয়ে কিছু কড়া ভাষায় লিখুন। চিল্লাফাল্লা করে আর অশালীন গালী দিয়ে ধুয়ে দিয়ে তো আর কিছু লাভ হচ্ছে না। আসেন না, আমরা কথায় বড় না হয়ে কাজে বড় হই।
আপনার কি ভারতীয় মটর সাইকেল আছে?থাকলে সেটা আর ব্যবহার না করে চীনের বা দেশে তৈরি মটর সাইকেল ব্যবহার করুন।আপনার কি মনে হয় না যে, জনগণের এই ভারত বর্জনের মুখে ভারত চাইবে না ১৭ কোটি মানুষের এই বিশাল বাজার হারাতে?
কিন্তু জনগণ কি সচেতন হবে?না হলে তো বুঝতে হবে যে এই দেশে সরকার না, জনগণই সকল সমস্যার মুলে আছে। সেক্ষেত্রে তো কোন রাস্তা দেখি না আমি। আর জনগণ একটু সচেতন হলেই কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে বড় প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। তো আপনি আপনার শক্তি এইদিকে ব্যয় করেন না কেন?
খামখা খিস্তি না দিয়ে এইদিকে আসুন, কাজ কিছুটা হলেও হতে পারে। কারন খিস্তি দিয়ে বা শ্লেষাত্মক লেখালেখি করে যে আসলে কিছুই করা যায় না এইটা আপনি আগেই বুঝেছেন, আর বুঝেছেন বলেই আরেক ব্লগারের সাথে ( যিনি এখানে আর আসেন না) আপনার ঝামেলা শুরু হয়েছিল।
@অর্ফিউস,
শুনেন সাইফুল ভাই, এইযে কথাটা বললেন এইটাও কিন্তু বিন্দু মাত্র প্রেরনাদায়ী কথা না। শ্লেষাত্মক কথা আসলে কোন ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে না। বুকে হাত দিয়ে আপনিও কি বলতে পারবেন যে কোনদিন চটি পড়েন নি, অথবা একটাও পর্ণ ছবি দেখেন নি জীবনে?
আমার মনে হয় না কেউ এ কথা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে। তো দেখেন উপরে যে মন্তব্য করেছি, গঠনমুলক আর কাজের কিছু কাজ করি। ভারতীয় যাবতীয় পন্য বর্জন করি আসেন।সবাই কে উদবুদ্ধ করি এটা করতে, কি বলেন? এতেই কিছুটা কাজ যদি হয় সেটাই কি ভাল না? খামোখা খিস্তিখেউড় আর শ্লেষাত্মক কথা যা আসলে কোন কাজেই আসেনা, এর পিছনে কেন আমাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করছি আমরা? 🙂
@অর্ফিউস,
আপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে কথা। কোন সমস্যা নাই। 🙂
চটি পড়ি নাই মানে? পর্ন দেখি নাই মানে? এখনও পড়ি, এখনও দেখি। কিন্তু চেষ্টা করছি বন্ধ করতে। নারী অবমূল্যায়নে, অপমানে এদের চাইতে বড় আর কী আছে?
যাই হোক, আজকে শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জনেই কি সকল সমাধান হবে? তবে অবশ্যই এটা একটা বড় পদক্ষেপ হতে পারে এই ব্যাপারে আপনার সাথে নো দ্বীমত। কিন্তু সেটাও দীর্ঘমেয়াদী কিছু নয়। কিন্তু এটা ভিন্ন বিতর্ক। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
সকল সমস্যা না হোক, কিছু তো হবে বলে আপনিও মনে করছেন। তো শুরু করতে দোষটা কি ভাই? 🙂 তারপর না হয় ভেবে চিনতে সবাই মিলে কিছু একটা বের করেও ফেলতে পারি কি বলেন?যেহেতু এই মুহুর্তে ভারতের সাথে গায়ের জোরে পারছি না,সেক্ষেত্রে একটা বিকল্প রাস্তা আর কি!! কে জানে একদিন আমরা বিজয়ী হতেও পারি। একতাই বল জানেনই তো। আপনি সন্সাধারন কে ভারতীয় পন্য বর্জন করার যৌক্তিকতা জানিয়ে কিছু লেখা লেখি করবেন এই আশাতে রইলাম।
কাজটা হয়ত আমারো করা দরকার, কিন্তু লেখালেখি আমার আসেনা ভাল।কি আর করা তাই আপনাকেই অনুরোধটা করলাম। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন 🙂 ।
@সাইফুল ইসলাম,
ঠিক বলেছেন আমি এইখানে আপনার সাথে শতভাগ সহমত।
@কাজি মামুন,
ধর্ষিতাকে বোঝানো হচ্ছে কেন সে ধর্ষিত হচ্ছে এবং সে যাতে আর ধর্ষিত না হয় সেই জন্য কনসাল্টেন্ট নিয়োগের দাওয়াই দিচ্ছে একজন। আপনি সেই দাওয়াই দেয়া ডাক্তারের পন্থাকে মানবতা পোন্দানী বলে বাহবা দিচ্ছেন। সেজন্য আপনাকে আলোচ্য পোস্ট বিষয়ে কথা বলার যোগ্য মনে করছি না। ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
যোগ্য মনে করছেন না কেন? যোগ্য মনে করতে হলে কি শর্ত পূরণ করতে হবে? আপনার পোস্টের সাথে ‘একশভাগ একমত’ হতে হবে?
আগেও দেখেছি, আপনি এবং আরও কেউ কেউ (এই মুহুর্তে নাম মনে করতে পারছি না) ভিন্নমত অবলম্বনকারী পাঠকদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে চান……..কিন্তু আপনারা বুঝতে চান না, যখন একটি পোস্ট আপনি প্রকাশ করেন, তখন আর তা শুধু আপনার থাকে না, তাতে পাঠকের সমান অংশিদারিত্ব তৈরি হয়…………..
আপনার লেখার সাথে একমত প্রকাশ করার অধিকার আছে, তেমনি দ্বিমত করারও সম্পূর্ণ অধিকার পাঠকের আছে………পাঠকের এই অধিকার মেনে না নিলে বা পাঠকের সম-অংশিদারিত্বের অধিকার স্বীকার না করলে, আপনিও কিন্তু কোন লেখা প্রকাশের অধিকার রাখেন না…………
দেখেন ফেলানি ইস্যু নিয়ে কি ভীষন যুদ্ধ করেছি (আমার সীমিত শক্তি দিয়ে), তা এই ওপেন ফোরামে আলোচ্য নয়…….. সুযোগ পেলে জানাব আপনাকে………এও জানাব, সেই যুদ্ধে আপনি যাকে ডাক্তার বলছেন, তাকে কিভাবে সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি…..ন্যায়ের পক্ষে বলার জন্য স্বদেশবাসীর কাছে নাকানি-চুবানি খেতেও দেখেছি……..সেগুলো এখানে বলার নয়…….
কিন্তু ধরুন আমি অন্যত্র যুদ্ধ করিনি, ডাক্তারকে মানবতাবাদি বলেছি, তারপরও কি আপনার পোস্টে ঢোকার পথ আপনি রুদ্ধ করতে পারেন?? আপনি পারেন না………..
জাতীয়তাবাদের জোশে আপনি ফেলানির সবটুকু দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন! স্বদেশবাসীকেও একে একে খারিজ করছেন ভুল বুঝে………এক সময় দেখবেন আপনি একাই আছেন, আর কেউ নেই সাথে……….
@কাজি মামুন,
তীব্র দ্বীমত করুন। কোন সমস্যা নাই। কিন্তু সেটা কী নিয়ে? ভারতের সাথে বাঙলাদেশের সমস্যার মূল কারন যখন কেউ বাঙলাদেশের উপরে দেয় এবং তাকে যখন আপনি মানবতার সেবক বলে সার্টিফাই করেন তখন আপনার সাথে আমি তর্ক করে সময় নষ্ট করতে চাইব না। কারনটা এই না, যে আমি বাঙলাদেশি বলে একথা বলছি। আমি দেশের প্রতি আবেগি প্রেম পিরিতিতে ভুগি না। বরঞ্চ, এটা বাঙলাদেশের ন্যায্যতা বলেই বলছি। সুতরাং আপনার সাথে কথা বলে কালক্ষেপন ছাড়া কিছুই হবে না। আপনি মানবতাবাদী হোন। আমিন। ধন্যবাদ।
কপাল ভাল যে আমি ঐ দলে পড়ি না। আলহামদুলিল্লাহ। 🙂 আর তাছাড়াও আপনার গালিগুলি আমার মনে ধরেছে। এইগুলি প্রায় সঠিক গালি দিসেন আপনি। সৈকত চৌধুরীও দেখলাম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই হত্যা নিয়ে, কিন্তু সেটা শুধুই প্রতিবাদের ভাষায়।তবে আপনার কথা আলাদা। অন্যদের থেকে অনেক আলাদা আর সম্ভবত মহৎ মানুষ আপনি।
অতএব গালির জন্য এই অশীলের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা নেন। 😕
ইসসিরে সাইফুল ভাই, তাহলে তো বেশিরভাগ বাঙালী মেয়েরা;এদের মধ্যে গৃহবধুরাই সংখ্যায় বেশি, এই কাতারে পড়বে আজীবন।আপনি ভাল করে খেয়াল করে দেখেন, ভারতীয় বিনোদন, যেমন হিন্দি বা বাংলা সিরিয়াল গুলো, কিন্তু মেয়েরাই রাত জেগে জেগে দেখে। :-s অবশ্য বিরতির ফাঁকে ফাঁকে নামাজ পড়ে নিতে ভোলে না! কাজেই দেইখেন গালি যেন বুমেরাং না হয়ে যায় 😀
বি.দ্র, সাইফুল ভাই ছোটবেলায় মানে টিন এজে আমিও পাকিস্তানরে আর পাকিস্তানের ক্রিকেটে পাকিস্তানের সমর্থকদের এই ভাষায় গালি দিতাম।এখন এইগুলা মনে হলে হাসি পায়। সত্যি, আমি এখনো এই আধা পাকিগুলারে খুব অপছন্দ করি, সাথে বি এস এফ আর আধা ভারতীয় গুলারেও।তবে কেন জানি আজকাল মুখ দিয়ে গালি বের হয় না।খুব পরিতাপের বিষয় 🙁
@অর্ফিউস,
প্রশ্নটা আত্নসম্মানের। যেটা মধ্যবিত্ত বাঙালির নাই।
হতাশ…. জাতীয়তাবাদের দরকারটা এই পয়েন্টেই ভাই…
@প্লাবন ইমদাদ,
সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী চেতনা গ্রো করবেই, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়।
@সাইফুল ইসলাম, শেষ স্তরে যাবার মধ্যবর্তী স্তর হলো জাতীয়তাবাদ। ভারতীয়রা আমার দেখা মতে তীব্র জাতীয়তাবাদি। আর আমাদের আম জনতা ওদের মাথায় তুলে নাচে…..
@প্লাবন ইমদাদ,
জাতীয়তাবাদ কথাটার মধ্যে যদিও গুরুতর ঘাপলা আছে, তারপরেও এটার প্রয়োজনীয়তাও আছে কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা অস্বীকার করব না।