‘ইউটোপিয়া’ (Utopia) শব্দটি সমাজ বিজ্ঞানী, লিখক,আইনজ্ঞ এবং রেনেসাঁর মানবতাবাদী দার্শনিক টমাস মোরের হাত ধরে তার কাল্পনিক স্বপ্নরাষ্ট্রের অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের একটি দ্বীপের স্বপ্নবিলাসী বর্ণনার মহাগ্রন্থ ‘ইউটোপিয়া (Utopia)’য় উদ্ভব ঘটে। তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি তাঁর সেই যুগান্তকারী পুস্তক থেকেই নেয়া “For if you suffer your people to be ill-educated, and their manners to be corrupted from their infancy, and then punish them for those crimes to which their first education disposed them, what else is to be concluded from this, but that you first make thieves and then punish them.”—Thomas More, Utopia. এবার আমাদের দেশের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকাই, কি দেখতে পাই? দেশের বেশীরভাগ মৌলিক সমস্যাগুলোর মুলেই দারিদ্রতা টমাস মোরের উপরোক্ত বানীকে সত্য প্রমান করেই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী
“স্বপ্ন নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকে। আমিও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। এ দেশ, এ মাটি, এ মানুষকে নিয়েই আমার স্বপ্ন। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমার স্বপ্নের অগি্নবীণা। বঙ্গবন্ধুর চেতনাই আমার বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি, প্রতিদিনের পথচলার প্রেরণা, নতুন করে স্বপ্ন দেখার বাসনা, আমার জীবন ও রাজনীতি। তাই তো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে ঘিরে আমার সব স্বপ্নের রাজনীতির জালবোনা।” বলেছেন কালের কণ্ঠের সূচনা সংখ্যায় একটা লেখায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ।
আসলেই তাই; শেখ মুজিবর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী‘ পড়ে আর তার রাজনৈতিক জীবনবোধ নিয়ে পড়লে এমনটিই আমরা বুঝতে পারি। একজন ইউটোপিয়ানিস্ট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কোন তুলনা নেই বাংলার রাজনীতিতে। তাই তাঁর হাত ধরেই আমরা সকল প্রকার বৈষম্যহীন অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত ইউটোপিয়ান বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে চাই। তা কীভাবে?
এইবার কিছু দৃষ্টান্ত দেখি, আমেরিকার জাতির পিতা জর্জ ওয়াশিংটন, সফল ও সবচে প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়ক আব্রাহাম লিংকন ও তাবৎ দুনিয়ার অসহযোগ আন্দোলনের মহান নেতা এবং ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর নামে গঠিত ফাউন্ডেশন সমূহ সম্পর্কে প্রথমে আলোচনা করে তারপর এই বাংলার সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন‘-এর প্রয়োজনীয়তা ও অনিবার্যতা এবং তার কার্যক্রম কি হতে পারে তার উপর প্রাসঙ্গিক আলোকপাত করব।
জর্জ ওয়াশিংটনঃ
১৯২২ সালে একদল কর্মঠ ও দূরদর্শী তরুন মিসেস ভিভিয়ান মাইনর ফ্লেমিং এর নেতৃত্বে কেনমোর ক্রয় করেন (জর্জ ওয়াশিংটনের মৃত্যুর ১২৩ বছর পর);কেনমোর ছিল ১৭৭৫ সালে ফ্রেড্রিক্সবার্গে নির্মিত একটি বাড়ি যা জর্জ ওয়াশিংটনের বোন বেটি ও তাঁর স্বামী কর্নেল ফিল্ডিং লুইস নির্মাণ করেছিলেন। কেনমোর রক্ষার আন্দোলনের এক পর্যায়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিডজ বলেছিলেন ‘এইটা এর আত্মরক্ষার্থেই করা উচিৎ। যা দেশপ্রেমিক আমেরিকান হিসেবেই করা উচিৎ!’
George Washington (Feb 22, 1732 [O.S. Feb 11, 1731]– December 14, 1799)
কেনমোর এ্যাসোসিয়েশন ১৯৯৬ সালে মাইলফলক হিসেবে তাঁর শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত পৈত্রিক নিবাসে একটি ফেরী ফার্ম করে যা এ্যাসোসিয়েশনের অর্থনৈতিক শক্তি যোগাত। এরকম নানা ঘটনাবহুল উত্থানের পর ২০০৮ সালে কেনমোর এ্যাসোসিয়েশনকে নাম পরিবর্তন করে করা হয় ‘দ্যা জর্জ ওয়াশিংটন ফাউন্ডেশন’। ‘দ্যা জর্জ ওয়াশিংটন ফাউন্ডেশন’-এর মিশন নির্ধারণ করা হয় এমন- ‘The mission of The George Washington Foundation is to enhance the public understanding and appreciation of the lives, values, and legacies of George Washington, Fielding and Betty Washington Lewis, and their families’।
‘দ্যা জর্জ ওয়াশিংটন ফাউন্ডেশন’ হচ্ছে একটি বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যার সদরদপ্তর ছিল তাঁর স্মৃতিবিজড়িত জন্মস্থান ফ্রেড্রিক্সবার্গ, ভার্জিনিয়া। ফাউন্ডেশনটির সকল কার্যক্রম চলে স্বতঃস্ফূর্ত দাতা ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায়।
আব্রাহাম লিংকনঃ
‘দ্যা আব্রাহাম লিংকন ফাউন্ডেশন’ বা এএলএফ (ALF; The Abraham Lincoln Foundation) স্থাপিত হয় ১৯৯৬ সালে (অর্থাৎ আব্রাহাম লিংকনের মৃত্যুর প্রায় ১৩১ বছর পর) এটিও একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি জনসাধারণের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বতঃস্ফূর্ত দাতব্য সাহায্য উপহারের অর্থায়নে চলে। প্রতিষ্ঠানটি ইউনিয়ন লীগের কোষাগার গড়ে তোলে যা জনস্বার্থে ভ্রমণ, প্রদর্শনী, সেমিনার, আলোচনাচক্র, সম্মেলন এবং বিশেষায়িত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
Abraham Lincoln (February 12, 1809 – April 15, 1865)
দ্যা আব্রাহাম লিংকন ফাউন্ডেশন রাষ্ট্রের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে যা জনগণকে আমেরিকার সিভিল ওয়ার ও ফিলাডেলপিয়া এবং তার এলাকার ইতিহাস নিয়ে গবেষণাকর্ম করে থাকে। এইসব গবেষণা কর্মে দ্যা আব্রাহাম লিংকন ফাউন্ডেশন এর সাথে সিভিল ওয়ার ইতিহাস কমিশন, আব্রাহাম লিঙ্কন দ্বিশততমবর্ষীয় কমিশন, লা সাল্লে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্যান স্টেট ইউনিভার্সিটি সমন্বিতভাবে কাজ করে।
ফাউন্ডেশনের মিশন নির্ধারণ করা হয় এমন-“The mission of the Abraham Lincoln Foundation of the Union League is to preserve and develop the collections of the Union League and utilize them to educate and inspire the community.”
মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশনঃ
‘মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালে অর্থাৎ তাঁর প্রয়াণের ৩৫ বছর পর। সুরুর হুদা এইটা প্রতিষ্ঠা করেন আর ফাউন্ডেশনটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট লর্ড এটেনবার্গ। মহাত্মা গান্ধী ফাউন্ডেশনের ভারতীয় সদর দপ্তর মুম্বাই, গান্ধীর নাতী তুষার গান্ধী ফাউন্ডেশনের ভারতীয় শাখার বর্তমান প্রধান।
Mohandas Karamchand Gandhi (2 October 1869 – 30 January 1948)
মহাত্মা গান্ধীর অহিংস চেতনাকে সরক্ষন করা আর বর্তমান প্রজন্মের কাছে তা উপস্থাপন করাই এই ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য। এইখানে উল্লেখ্য মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে ভারতে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক ফাউন্ডেশন আছে। সবাই মোটামোটি একই মিশন নিয়ে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
-
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনঃ
(প্রস্তাবিত ও কল্পিত)
একজন আমেরিকানের কাছে জর্জ ওয়াশিংটন ও আব্রাহাম লিংকনের যে প্রয়োজনীয়তা একজন বাঙ্গালীর কাছে কেবল বঙ্গবন্ধুই সফলভাবে এই দুই প্রয়োজন মিটিয়ে দেন। ওয়াশিংটন যেমন আমেরিকানদের মুক্তির সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা দিয়েছেন তেমনি বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলা দিয়েছেন আবার আব্রাহাম লিংকন যেমন আমেরিকানদের অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছেন গেটিসবার্গ স্পীচে তেমনি বঙ্গবন্ধু আমাদের সঙ্গায়িত করেছেন তাঁর ৭ই মার্চের মহাকাব্যিক ভাষণে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু এই ভুখন্ডের মানুষের জন্যে এক প্রবাদ প্রতিম রাজনৈতিক নেতা সেই কারনেই বিবিসি’র জরিপে তিনিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। অথচ অতি দুঃখের বিষয় তাঁর মহা প্রয়াণের ৩৮ বছর পার হয়ে গেল আমরা একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলতে পারি নাই। এদিকে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দুই দফায় প্রায় ১০ বছর পার করলেও তেমন কোন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে পারেন নি বা নিতে দেখিনি।
শেখ মুজিবুর রহমান (March 17, 1920 – August 15, 1975)
নামেমাত্র এক ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ ও তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নং বাড়ীকে নামসর্বস্ব ‘বঙ্গবন্ধু যাদুঘর’ করা হলেও প্রতিষ্ঠানদ্বয় কার্যত নিষ্ক্রিয় । রাজনৈতিক দলাদলির শিকার হয়ে আওয়ামীলীগের ৫ বছর একটু সচল হলেও পরবর্তী ৫ বছরেরে বিএনপি-জামাতি স্বেচ্ছাচারী আগ্রাসণে কার্যক্রম সহকারে প্রতিষ্ঠানদ্বয় চলে যায় হিমাগারে। বঙ্গবন্ধুর নামে অনেক সংগঠন আছে তবে সবগুলাই চাটুকার সংগঠন যার বেশীরভাগই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তৎপর থাকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আর বাকি সময় থাকে হিমাগারে।
বঙ্গবন্ধু শুধু এই বাংলার জাতির জনক নন তিনি বাংলাদেশের সবচে প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্র প্রধান। তাঁর সংগ্রামী বর্ণাঢ্য জীবন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেহেতু একসুত্রে গাঁথা তাই এর সংরক্ষন, গবেষণা ও তার প্রচার তরুন সমাজকে করতে পারে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং রাষ্ট্রের ইতিহাস ও রাজনীতিতে সচেতন। যা দেশের এমন রাজনৈতিক ক্রান্তিলগ্নে হতে পারত একটি রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থান। বঙ্গবন্ধুর সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম, গনমানুষের মুক্তির সংগ্রাম ও বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস যেভাবে জড়িত তা শুধু অনন্য নয় বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল।
বাকি সব বিশ্বনেতাদের মতই বিশ্বজুড়ে ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ খ্যাত এই মহান নেতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশন শুধু তাঁর ইতিহাস সংরক্ষণ, গবেষণা ও তার প্রচার করবে না গবেশনায় করবে সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় সমস্যাবলীর সমাধান। শুধু তথাকথিত রাজনীতিক আর সুশীলদের মত কিছু বড় কথা আর সুশীলতা দেখানোর জন্যে এমন প্রস্তাব করছি না। আমি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আমার ব্যক্তিগত গবেষণার কিছু ভাবনা বা প্রস্তাবনা এই ফাউন্ডেশনের একজন স্বপ্নকথক হিসেবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
একজন বঙ্গবন্ধুকে তারা হত্যা করেছে কিন্তু তার চেতনাকে কখনই কেউ ধ্বংস করতে পারবে না আর ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে আমরা তার স্মৃতিকেই শুধু ধরে রাখব না একই সাথে বাংলাদেশের প্রথম ইউটোপিয়ানিস্ট রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন গবেষণাধর্মী কাজ করে যাব।
‘যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’
-
নোটঃ
ফেসবুকে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামে একটা পেজ খোলা হয়েছে। সবাইকে পেজে লাইক দিয়ে নতুন নতুন আইডিয়া বা রাষ্ট্র ভাবনা শেয়ার করার জন্য অনূরোধ করা হচ্ছে। আগামী কয়েকটি পর্বে আমি ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’-এর প্রস্তাবকর্তা হিসেবে আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের কিছু নিজস্ব আইডিয়া বা প্রস্তাব তুলে ধরব। আশাকরি পাঠকেরা সবাই উপদেশ, পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দিয়ে কাজগুলোকে কল্যাণকর করে তুলতে সাহায্য করবেন।
@ সফিক,
আপনার চ্যালেঞ্জ সহ অমৃত-সুধা সম মন্তব্যটি দেখলাম। আপনি এবং আপনার মন্তব্য মুক্তমনার গর্ব ও অলংকার হয়ে প্রজ্বলিত থাকুক অনাদিকাল আমার কোন অসুবিধে নেই।
ভুলটা আসলে আমারই। মনে মানসে খুনী জিয়ার আদর্শ, অন্তরে ভিতরে লুইচ্যা শাফির ইসলামি চেতনা আর বাহিরে মুক্তমনা মানবতাবাদী, আপনার এই স্বরূপটা অনেক পূর্বেই আমার বুঝা উচিৎ ছিল। মুজিবকে তুচ্ছ প্রমাণ করতে গিয়ে আপনি যখন বলেন- একজন ওয়াশিংটন আমেরিকার জন্যে যা করেছেন দশজন শেখ মুজিব মিলেও তা করতে পারতোনা কিংবা যখন বলেন-একাত্তরে শেখ মুজিব না থাকলেও দেশ স্বাধীন হতো, মুজিবের জায়গায় যে কেউ নেতা হতে পারতো, তখনই আপনার মুজিব বিদ্বেষ আমার অনুমান করা উচিৎ ছিল। শেখ মুজিবের প্রতি আপনার তীব্র ঘৃণা প্রকাশের জন্যে আমার নামটি অপ্রাসঙ্গীকভাবে যে কোন উছিলায় টেনে এনেছেন বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন লেখায়। আপনার অন্তরজ্বালার কারণটা খুবই সহজবোধ্য। কিন্তু আমি না লিখলেও শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখার মানুষ যে এই ব্লগে আরো আছেন তা তো গত কয়দিনের লেখায় দেখতেই পাচ্ছেন। আজ আমি আপনাকে নিরাশ করে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, যতদিন এই ব্লগে আছি ইসলামী লুইচ্যামী, ধর্মীয় সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের প্রতিবাদ করেই যাবো, কেউ আমাকে থামাতে পারবেনা। আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবকে মুছে ফেলার জঘন্য পায়তারা, সকল প্রকার ষঢ়যন্ত্র শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও প্রতিহত করবো ইনশাল্লাহ।
এডমিন যদি কোন কারণে এই থ্রেডের মন্তব্য অপশন বন্ধ করে দেন, আপনার কাছে আমার অনুরোধ রইলো- নিচের প্রতিটি বাক্যের আলাদা ভাবে এক এক করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ ব্যাখ্যা অন্য ব্লগে বা আমার কোন লেখায় করবেন যদি আপনি সত্যবাদী হন।
আপনার লেখাটা বলাই বাহুল্য সাকসেসফুল কেননা এটি আলোচনার জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে। নতুন লেখক হিসেবে তাই অভিনন্দন থাকলো আপনার প্রতি। তবে দুঃখজনকভাবে, আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ অনুসারে লেখাটির সুক্ষ্ণাতিসুক্ষ্ণ আনাচে কানাচে ব্যাপক মজাদার এবং হাস্যরসোদ্রক নানা বিশেষণ, সর্বনাম এবং অব্যয়ের অপব্যয়ী প্রয়োগও কিন্তু দৃষ্টি এড়ায় না মোটেও! এই ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য। লেখাটির গুনগত মান সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মার্কিং হবে দশে আড়াই। এর কারণ হচ্ছে লেখাটি কন্টেন্ট শুণ্য, ১০০% কন্টেন্টশুণ্য। এই লেখাটি পড়ে শেখ মুজিবকে আপনি কতোটা স্নেহ করেন এই তথ্য ছাড়া সন্তুষ্টিজনক আর কিছুই পাওয়া যায় না; পাওয়া যায় বরং কিছু অসন্তুষ্টিজনক, অসংলগ্ন ইঁচড়ে পাকামো। এই ব্যাপারেও সতর্কতা কাম্য। লেখা পাকনামোতে পর্যবসিত হওয়াটা কিন্তু একপ্রকারের ব্যর্থতাই বটে! শেখ মুজিবের চেতনাকে আপনার বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি, প্রতিদিনের পথচলার প্রেরণা, নতুন করে স্বপ্ন দেখার বাসনা মনে হতে পারে। একইভাবে জিয়াউর রহমান কিংবা হোসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেতনাকেও আপনার বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি, প্রতিদিনের পথচলার প্রেরণা, নতুন করে স্বপ্ন দেখার বাসনা মনে হতে পারে। এই তিনটি ক্ষেত্রেই মনের ভাব প্রকাশের বেলায় চাই আবেগের সংযত ব্যবহার, কেননা এর অন্যথা পাঠকের বিরক্তি উদ্রেক করবে যেমন করেছে সফিকের, সাইফুলের এবং অস্বীকার করবো না আমারও করেছে খানিকটা।
আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে আমি মনে করি ক্রাইসিস মুহুর্তে পুর্বের পোস্টের ঝগড়া রিইনভোক করা হতে আমাদের বিরত থাকা উচিত। পুর্বের পোস্ট বিষয়ক ঝগড়া নিয়ে কথা অবশ্যই হতে পারে, কিন্তু সেইক্ষেত্রে নজর রাখা কাম্য যে সেইটা নতুন পোস্টে পুরনো ঝগড়ার পুনঃসুচনা করতে যাচ্ছে না কোনভাবেই। সামান্য সেন্স অফ ব্যালেন্স এবং বিনয় ব্যাবহার করে এটা সহজেই করা যায়।
@আল্লাচালাইনা,
ভেবেছিলাম যে কি বোর্ড থেকে হাত কিছুদিনের জন্যে সরিয়ে নেব। কিন্তু সেটা আর হতে দিলেন কই?
এই অসন্তুষ্টিজনক এবং অসংলগ্ন ইঁচড়ে পাকামো এই ব্লগের লেখকদের মধ্যে যারা করেছেন তাদের মধ্যে উপরের দিকে থাকবে আপনার নামটা।
দেখুনতো এই লেখাটা
আপনার মনে আছে কিনা।কি সুমধুর ভাষাতেই না আপনি জনৈক সদালাপীর নিন্দাচর্চা করছিলেন।আচ্ছা আপনি কি কোথাও এই লেখায় জনৈক মোর্শেদ কে সম্বোধন নিয়ে ধুয়ে ফেলেছিলেন, যেটার জন্য সদালাপে এই মুক্ত মনার ইমেজ অনেকাংশেই হানি হয়েছিল?এই নিয়ে সদালাপে মনে হয় একটা লেখাও আছে, আপনাকে উদ্যেশ্য করে।ইসস কি নগ্ন ভাবেই না আপনি মুক্ত মনা কে ডিফেন্সলেস করে সদালাপের আক্রমণের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন;যেখানে সদালাপকে একটা অর্থহীন ছাগলের খামার বলেই মনে হয় আমার?
তা ছাড়াও গালিগালাজেও আপনি কম যেতেন না একটা সময়, এই যেমন ধরেন লো লাইফ মুসলিম জানোয়ার আর যেই ধর্মটির নাম শুনলেই কিনা ঘৃণা এবং ভয়ে কুঁচকে কুঁকড়ে যায় সমগ্র পৃথিবীর পাঁচ মহাদেশের মানুষ? যেন আপনি নিজে সমগ্র পৃথিবীর মানুষের মধ্যে একটা জরিপ চালিয়েছেন।
এই টাইপ কিছু কথা বার্তা।এগুলির কি সমাধান হয়ে গেছে?হলে থাক এ নিয়ে আর কথা বাড়াবো না।
বিশ্বাস করেন আপনার ওই লেখাটি ওই সময়ে পড়লে সফিক ভাই হার্টফেল করে মারাই যেতেন। ভাগ্য ভাল উনার।
ঠিক যেমন আপনারটা পরিনত হয়েছিল।
লেখক এখানে খুব বেশি অবিনয়ী কি হয়েছেন?মুজিব বিদ্বেষ আপনার অতি পুরাতন( আপনার আরেক লেখা পড়েই বুঝেছি;অবশ্য এটা একটা নব্য ফ্যাশনও বটে, আর ফ্যাশন করাটা মনে হয় না দোষের কিছু), কাজেই এরশাদের সাথেও তার তুলনা করা চলে ( যদিও এটা আপনার অধিকার)
পাকিস্তানের মতো একটি রাষ্ট্র থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার সংগ্রামে আমাদের নিয়ে গিয়েছিলো, সেই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলো এবং আমাদের সেই সংগ্রাম সফল হয়েছিলো বলে শেখ মুজিবের যেই ব্রাভো পাওনা রয়েছে আমার কাছে, তার সেই পাওনা পরিশোধ করা আমার কাছে সেকেন্ডারি, কেননা ঠিক এই কাজগুলো করাই কিন্তু একজন রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব, তার ডিউট; আমার কাছে প্রাইমারি হচ্ছে, দেশের সকল মানুষের আশা, ট্রাস্ট সবুকিছুকে বুড়ীগঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে দেশকে একটি মিষ্টিমধুর দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়ে, আনন্দের ঠেলায় জেল থেকে সকল ক্রিমিনালকে মুক্ত করে দিয়ে, নিজের ব্যক্তিগত মিলিশিয়া গঠন করে, সর্বোপরি ফ্রিডম অফ স্পীচ, পলিটিকাল পার্টি নিষিদ্ধ করে যেই বিশাল একডালি অ্যাবিউস শেখ মুজিবের প্রাপ্য রয়েছে আমার কাছ থেকে, তাকে তার সেই প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া।
যাক এই বোধটা
যেহেতু আপনার মধ্যে এসেছে, তাই আর কথা বাড়াবো না।
@অর্ফিউস, বাপ্রে বাপ পুরা ট্যাঙ্ক-হর্ভিতযার নিয়া নামছেন দেখি আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধে। এইটা ওভারকিল হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। আমি চুনোপুটি মানুষ, আমাকে এরচেয়েও ঢের কম প্রচেষ্টার বিনিময়ে ধ্বংস করা সম্ভব! 🙂
প্রথমে ছাগালাপ প্রসঙ্গে আসি। ছাগালাপ তাদের গৃহপালিত দুএকটি হাঁটুভাঙ্গা পিএইচডি ধারীর সুডোস্কলারশিপকে পুঁজি করে মুক্তমনাকে ট্রল করতো। এমতাবস্থায় আমার হাইপথেসিস ছিলো মোটামুটি দুর্বিনীত একটা ঝামাধোলাই এদের দেওয়া হলে ট্রলিঙ্গটা তাদের বন্ধ হবে বা কমে আসবে। পোস্টটা আমি সেইজন্যই লিখি। এবং আমার হাইপথেসিস ১০০% ভুল ছিলো না কিন্তু। আসলেই সেই ঘটনার পর ট্রলিঙ্গ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় এবং এদেরকে একফোঁটাও কনসার্নে না এনে ইগ্নোর করে চলাটা চল হয়ে উঠে। ছাগালাপীরাও ছাগালাপ ছেড়ে অন্য ব্লগে ট্রল করতে যেতো তখন। যাই হোক, আপনি তখন মনে হয়না মুক্তমনাতে ছিলেন। আপনি একবার বলছেন ছাগালাপকে আপনার কাছে ছাগলের খোয়াড় মনে হয়। আবার পরমুহুর্তেই আপনি বলছেন আমার লেখা পোস্টটির কারণে মুক্তমনার মতো মহত একটি ব্লগ ছাগালাপের মতো এক নগন্য ছাগলের খোয়াড়ের কাছে ডিফেন্সলেস ও নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছে বলে আপনি যথেষ্টই বিচলিত- আপনি কি একটা শব্দের সঙ্গে পরিচিত ‘ইন্টার্নাল ইনকন্সিটেন্সি’? আই সাসপেক্ট আপনার এই বিচলিত হওয়াটা, মুক্তমনার উপর চাপানো আপনার সুপারফিশিয়াল মহত্ববোধ এবং ছাগালাপের প্রতি তাচ্ছিল্যবোধ তিনটাই হচ্ছে গিয়ে মেকী, ফেইক, পেছন বাঁচানো ভোগলামী!
এবার আসি ইসলাম প্রসঙ্গে। ইসলামের সমস্যা হচ্ছে ইসলাম খুবই খুবই প্রভোকেটিভ একটা প্রপঞ্চ। প্রভোকেশনের মাধ্যমে এমন বহু মানুষের মুখ থেকেই এই ইসলাম আনরিজনেবল কথাবার্তা বের করে এনেছে স্বাভাবিক সময়ে যেই মানুষগুলা কিনা মোটামুটি রিজনেবল হিসেবেই পরিচিত, যেমন- রিচার্ড ডকিন্স কিংবা ক্রিস্টফার হিচ্চেন্স? এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে এই প্রভোকেশনের কাজটা ইসলাম করে? বেশ, কিছুদিন আগে পত্রপত্রিকায় টুইটারে বেশ হৈ হুল্লোর হয়েছিলো, এক বৃটিশ সৈন্যকে দুই ইসলামী জঙ্গী লন্ডনের রাস্তায় জবাই করে হত্যা করে। সো ফার সো গুড। অতপর মিডিয়াতে এই ক্লিপ ও এই ঘটনা আসার পর কোন এক খতনা করা হরিদাসপালে টুইট লিখে “ছুরি চাপাতি দিয়ে জবাই করে মানুষ মারলে সেইটা হয় সন্ত্রাস আর মিসাইল দিয়ে ড্রোন দিয়ে মানুষ মারলে সেইটা হয় খুব ভালো কাজ।” আবারও সো ফার সো গুড। কিন্তু সমস্যাটার সুত্রপাতটা হয় যখন এই টুইটটা হাজার হাজার বার রিটুইট করে মুসলমানেরা তখন। প্রভোকেশনের উতসটা হচ্ছে এইখানেই। এমন একটা সময় যখন কিনা যেই দেশের খেয়ে পড়ে তারা বড় হয়েছে সেই দেশের একজন নির্দোষ সেনাকে রাস্তায় জবাই করা হলো ইসলামের নামে একদল সন্ত্রাসী দ্বারা, সেই মুহুর্তে তারা এই সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের ডিস্পাইস না করে ডিফেন্ড করছে সেই ইনভল্ভড ইসলাম ধর্মকেই। ইসলাম ধর্মকে ডিফেন্ড করার এপ্রোপ্রিয়েট সময় কি এইটা? এই প্রভোকেশন দ্বারা ত্বারিত যখন আমি, তখন আমার মুখ থেকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যেই কথাগুলো বের হবে তার প্রত্যেকটা কথাই হবে মডারেটলি বিষাক্ত এবং প্রদাহী। এবং এই বিষাক্ততা ও এই প্রদাহের উদগিরণে কেউ বাধ সাধতে আসলে পরে, বাধাদানের প্রচেষ্টার বিপরীতে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকবে বিষাক্ততা। এইটা আমার একটি কোড অফ কন্ডাক্ট যেইটা নিয়ে আমি মোটেও লজ্জিত নই এবং এইটা অপরিবর্তিতই থাকতে যাচ্ছে সো ফার।
ইসলাম প্রসং শ্যাষ অতপর আসি মুজিব প্রসঙ্গে। মুজিব বিদ্বেষ আমার অতি পুরাতনই না শুধু, মুজিব বিদ্বেষ আমার ফান্ডামেন্টাল। এইখানে উল্লেখ্য কেউ যদি ঠান্ডা মাথায় মুজিব বিষয়ে একটা নিরপেক্ষ ও বিশ্লেষণবাদী আলোচনা আমার সাথে করতে চায়, তাদের সাথে আমার কন্ডাক্ট নিশ্চিতভাবেই হবে নিরপেক্ষ, ঠান্ডা এবং বিশ্লেষণবাদী। কিন্তু এপোলোজেটিকরা, যারা কিনা লিঙ্কনের সাথে মুজিবের তুলনা দিয়ে নিজেদের সুপারফিশিয়াল কানেক্টেডনেসের জাঙ্গিয়া ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাদের সাথে আমার কন্ডাক্ট হতে যাচ্ছে অবশ্যই বিদ্বেষ এবং প্রদাহপুর্ণ। এরশাদের সাথে মুজিবের তুলনা দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমি জানতাম এইটা আপনাদের চোখ এড়িয়ে যাবে না কোনভাবেই 😀 😀 😀 ! ইউ সী তুলনাবাজীর পিটফল? মুজিবরে এরশাদের সাথে তুলনা দেওয়াটা যেমন আপনার পছন্দ হয়নাই, ঠিক একইভাবে লিঙ্কনের সাথে মুজিবের তুলনা দেওয়াটা যে কারো অপছন্দ হইতে পারে সেই ব্যাপারে কিন্তু আপনি ছিলেন ১০০% উদাসীন এবং বিরাগী, খুব সম্ভবত আপনার ইগ্নোরেন্সের কারণে। কোড অফ কন্ডাক্ট নাম্বার দুই- আপনি যেই হারে শয়নে স্বপনে মুজিব ইত্যাদি স্তুতিবাক্য আওড়িয়ে যেতে থাকবেন, তার সাথে চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে আমার এরশাদের সাথে মুজিবের তুলনা দেওয়াটা। এরশাদের সাথে তুলনা না দিয়ে আমি কিন্তু সাহারা খাতুনের সাথেও মুজিবের তুলনা দিতে পারতাম যেইটা কিনা আমি দেইনাই। এবং কে বলে আমি বিনীত নই! 🙂
আমি দেখলাম আপনি উপরে নাকীকাঁন্না কেঁদেছেন যে মুজিবের বাকশাল প্রসঙ্গ সর্বদাই উত্থাপন করা যাবে না। ডু ইউ মিন, শয়নে স্বপনে কেউ মুজিবকে দেখতে থাকলে তার সাথেও উত্থাপন করা যাবে না? আওমিলীগের ক্ষমতাসীন টার্মের প্রায় শেষ পর্যায়ে বারংবার খালি এই এক ছাতার মুজিব মুজিব করে নিছকই আপনি মানুষকে উত্তক্ত্য করছেন এবং এর ফলশ্রুতিতে খামোখাই নিজেকে ঠেলছেন একটি মডারেটলি দুর্বিনীত আন্তর্জালিক ঝামাধোলাই খাওয়ানোর দিকে।।
@আল্লাচালাইনা,
আপনি বলেছিলেন, ‘এই লেখাটির কোন স্বত্বাধীকার দাবি করছি না। যে কেউ একে নিজের সৃষ্টকর্ম হিসেবে দাবি করতে পারেন’। আপনার নামটা ডিলিট করে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন করে সত্যি যদি আমি এটাকে আজ আমার নামে রিপোষ্ট করি, প্রতিক্রীয়াটা কেমন হবে মনে করেন? সুদীর্ঘ এক যুগ ধরে সদালাপ-ছাগালাপের তীব্র আক্রোশ, ঘৃণা, অপমান, অপবাদ মোটেই দমাতে পারেনি, ‘ইসলামকে না বলা’র পথে একা হলেও দাঁড়িয়ে থেকেছি। কিন্তু আজ সত্যি নিজের ঘরের কিছু মানুষের ১৮০ডিগ্রী ইউ টার্ণ অবস্থান দেখে আমি অবাক। পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি এক সময় এদের অনেকেই আমার লেখার সমর্থক আমার সহযোদ্ধা ছিলেন। ধর্মীয় জঙ্গীবাদের বিরোদ্ধে নীরব থেকে পরোক্ষভাবে তাদের ইসলামী সন্ত্রাস সমর্থন, ইসলামের সমালোচনাকারীদের ইসলাম ব্যাশার-মুসলিম বিদ্বেষী বলে ব্যঙ্গ বিদ্রোপ আমাকে রাজীবের কথাই মনে করিয়ে দেয়। বেলা শেষে রাজীবের পাশে কেউ নেই, রাজিব একা।
নিচের ভিডিওগুলো দেখুন। আমেরিকার নাফিস এই জসিমুদ্দিনের শিষ্য। সে তার সঙ্গীসাথি সহ ধরা খেয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি ইউনিতে তার প্রচুর অনুসারী রয়েছে। তার অনেক ওয়াজ ইউটুবে আছে। জসিমুদ্দিনের হত্যার তালিকায়, মুনতাসির মামুন, ডঃ জাফর ইকবাল, রাজিব ও শেখ হাসিনা সহ মোট ১২ জন লোক ছিলেন। ওষ্ট্রেলি্যা, মালায়েশিয়া, মিশর ইউনিতে ইমরান হুসেন, বাংলাদেশে জসিমুদ্দিন, শাফিরা অনর্গল জিহাদী সন্ত্রাসী তৈরী করছে, একটা বাক্যও তারা কোরান হাদিসের বাইরে বলছেনা, মিস ট্রান্সলেশনও নয়, আর এদেরকে সমর্থন দিচ্ছে আমাদের তথাকথিত সুশীলেরা নীরব থেকে। উপরন্তু এদের অপকর্ম, দূষ্কর্মের কথা জনসমক্ষে তুলা ধরলে একদল মেকী মানবতাবাদী আমার গলা টিপে ধরতে চান, আমার হাতের কলম কেড়ে নিতে চান। যে কাজ সদালাপ এক যুগেও করতে পারেনি, মুক্তমনার কিছু মানুষের আচরণে আজ সত্যিই আমি টায়ার্ড আমি ক্লান্ত, দূর্বল। আজ মুক্তমনায় আমার পুরাতন দিনগুলো শুধু বেদনাবিভুর স্মৃতি হয়েই চোখে ভাসে। বারবার যেন শুনতে পাই – ‘দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলোনা’। হয়তো সময় এসে গেছে সেই গানের- ‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি’।
অপ্রাসঙ্গীকভাবে কথাগুলো এখানে বলার জন্যে লেখকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
http://www.youtube.com/watch?v=RK0JqLnP2MQ
http://www.youtube.com/watch?v=u_U_CYRWPeY
http://www.youtube.com/watch?v=R-cd6P-u4WY
@আকাশ মালিক,
ঐযে দেখেন, এমন একজনের সাথেই কিন্তু মুজিবকে নিয়ে কথাবার্তা বলার ফলে আল্লাহ চাইনার বিষাক্ত তীরের শিকার হচ্ছি।উনি এবং আল্লাহ চাইনা দু জনেই কিন্তু আপনার সহযোদ্ধা ছিলেন।
@আকাশ মালিক, 🙂 ওয়েল এই প্রশ্নটা আমারও, কেনো যে আপনাকে ইসলাম বিদ্বেষের পোস্টারবয় গন্য করা হয় এটা বুঝতে আমি অপারগ। ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে আমার একজন মডারেট এবং মডেস্ট মানুষই মনে হয়। ইসলাম বিষয়ে আপনার তুলনায় ঢের গুন এক্সট্রিমিস্ট মন্তব্য করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তি দ্বারা। আমার ধারণা ইসলাম বিদ্বেষের ধোয়া তুলে আপনাকে একহাত দেখে নেওয়া হয় কারণ ব্যক্তিগতভাবে একাধিক মানুষ আপনাকে সিরিয়াসলি অপছন্দ করে সম্পুর্ণ অন্য কোন কারণে। ইসলাম বিদ্বেষটা সম্ভবত কারণ নয় বরং অজুহাত।
@আল্লাচালাইনা,
জানি, আমার দু-একটি লেখায় আপনার মন্তব্য থেকে আমি সেটা অনুমান করেছি অনেক আগেই। আমি
বহুবার বলেছি যে, কথা বলার বা বক্তব্য উপস্থাপনার ভুল হতে পারে কিন্তু আমি কোনভাবেই মুসলিম বিদ্বেষী তো নয়ই কোন প্রকারের জাতি বিদ্বেষী নয়। ধর্ম-বর্ণ জাতি নির্বিশেষে জগতের সকল মানুষ আমার কাছে সমান। তবে জন্মগতভাবে আমার দেহের রক্তে, মনের মানসে Nature অথবা Nurture যে কোন একটির কিংবা উভয়ের প্রভাবেই হউক শ্যামবর্ণা, মুসলমান, বাঙ্গা্লী, বাংলাভাষী জাতির প্রতি যে একটু সফট কর্ণার ছিল তা অস্বীকার করলে মিথ্যা বলা হবে। এখনও বাঙ্গালী নারীদেরকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ট সুন্দরী নারী, এবং বাংলা ভাষাকেই সব চেয়ে মিষ্টভাষা মনে হয়।
সে যা’ই হউক, পৃথিবীর কোন নবী-পয়গাম্বর, জ্ঞানী-মণীষী, বিজ্ঞানী-দার্শনিক, সাধু-সন্যাসী কেউই বোধ হয় সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য বা পছন্দের হতে পারেন না। নজরুল কারো কাছে মুসলমানদের জাতীয় কবি আবার কারো কাছে কাফির। রবীন্দ্রনাথ কারো কাছে সাম্যবাদী আবার কারো কাছে সাম্প্রদায়ীক।
আচ্ছা আপনি লিখেন না কেন? লাভ হবেনা ভেবে? আমাদের হয়তো লাভ হবেনা কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম, আগামী দিনের শিশু তাদের কথা ভাবতে হবেনা, তাদেরকে সত্যটা জানাতে হবেনা? তাই আবার কলম ধরুন, বারবার লিখুন চিৎকার করে বলুন কেনো ইসলামকে না বলবো ।
@আল্লাচালাইনা, বাবাহ, আপনিও দেখি আমার মত একেবারেই মহামুর্খ একজনের জন্য কষ্ট করে একপোষ্ট সমান মন্তব্য করে ফেলেছেন।
সাসপেক্ট আপনি করতেই পারেন এতে সমস্যা কি?তবে সন্দেহ করলেই যে সেটা প্রমান হয়ে যায় না সেটাও আপনি জানেন। প্রমান সহকারে হাজির হয়েন আপনার ওই তিনটি মহান বানী নিয়ে
মেকী, ফেইক, পেছন বাঁচানো ভোগলামী
না হলে আপনার মন্তব্য পড়তে পড়তে আমার শুধু করুনাই হবে।
বাকি কথাগুলি নিয়ে বিশেষ কিছুই বলব না।তবে একটি জিনিস আমাকে বেশ বিরক্ত করছে আর তা হল আপনার এই একই সাথে বাংলা আর ইংরেজী মিশিয়ে কথা বার্তা ক্রমাগত বলা। এইসব সাধারনত ভারতে যারা হিন্দি আর ইংরেজি মিশিয়ে বলে সেটার মত।একটা নব্য ফ্যাশন বটে।
তবে আপনার নাম টি কিন্তু সত্যি দারুন।এক্কেবারে সামনে থেকে ছুরি মেরে দেয়া নাম ।রাখঢাকের বালাই নেই ঘৃণা প্রকাশের ক্ষেত্রে। এজন্যেই আপনি একটা ধন্যবাদ পেতে পারেন আমার কাছ থেকে( যদিও সেটার হয়ত কোন দরকার আপনার নেই)।:-)
@আল্লাচালাইনা,
একটু ভুল বুঝেছেন।বাকশাল প্রসঙ্গ আপনি যেখানে সেখানে ব্যবহার করুন আমার সমস্যা নেই। আমি অবাক হয়েছিলাম যে এখানকার কিছু লোক আগে ইসলামের কাপড় খুলতে খুব বেশি পরিমানে সচেতন ছিলেন, আর মুজিবের বন্দনাতেও মাশাল্লাহ,আর এখন পুরা পুরি ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেছেন আর কেউ যদি ইসলামের সমালোচনা করে কোন কিছু লেখেন বা মন্তব্য করেন তবে তেড়ে আসছেন।
আমি এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধেই বলেছি যে মুজিব কে নবুয়ত দানের মাধ্যমে পুরাতন কিছু রেষারেষি সামনে আনার দরকার কি? যদিও পুরাতন কথা টানতে গেলে আজ যাদের মানবতা উথলে উঠছে, কিছুদিন আগেও তারা ছিলেন ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে রীতিমতো রনোন্মাদ। কি যাদু যে ইনাদের মধ্যে এই পরিবর্তন এনেছে সেটা আমার জানা নেই।(কেউ কেউ নাকি পরে এ নিয়ে আলাপ করবে এই বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন দেখুন তারা আপনারই পুরনো সঙ্গীসাথী)।
সেদিক দিয়ে আমি কিন্তু আপনাকে বাহবাই দেব যে আপনি এখনও সোজাসুজিই আছেন, খুব বেশি ঘোরা ঘুরির মধ্যে নেই, মতাদর্শও একই আছে।
@আল্লাচালাইনা,
এভাবে বলতে পারাটা নিশ্চয়ই নিজের মূল্য বাড়িয়ে দেয়, কুটি কুটি আম-কাঁঠাল জনতা থেকে নিজেকে আলাদা করে চেনানো বড্ড সহজ হয়, তাই না? আসলে, ‘আমি মুজিব-বিদ্বেষী’ গানটি জোরে জোরে গাইতে পারলে শুধু গান গাওয়ার তৃপ্তিই জুটে না, সঙ্গে বোনাস হিসেবে মিলে অনেক সুনাম, স্তুতি; মজার ব্যাপার কি জানেন, যাদের কাছ থেকে স্তুতির বর্ষা লভেন আপনি, তারাও একজন জিয়া বা অন্য কারো মস্ত এপোলোজেটিক! কিন্তু এই ব্যাপারে আপনার কোন এলার্জি নেই, আসলে থাকতে নেই, কারণ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যেয়ে আপনি মুজিব-বিদ্বেষকেই যে আপনার ট্রেডমার্ক করে নিয়েছেন!
একটা কথা: শুধু মুজিব কেন, কারো প্রতি কি আপনি বিদ্বেষ রাখতে পারেন? বিদ্বেষ কাকে বলে জানাবেন দয়া করে?
লিঙ্কনের সাথে মুজিবের তুলনা দেয়ায় ভয়ানক মাইন্ড করেছেন মনে হয়! কিন্তু কেন লিঙ্কনের সাথে মুজিবের তুলনা করা যাবে না, বলতে পারেন??????????????????????????????????????
আপনি খাঁটি মুক্তমনা সাজতে চান, মুজিবকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করে বোঝাতে চান, এভাবেই নির্মোহ হতে হয় প্রকৃত জ্ঞ্যানিদের, কিন্তু তা করতে গিয়ে লিঙ্কনকে কখন দেবতা বানিয়ে ফেলেছেন, খেয়াল করেছেন??? যেন বা লিঙ্কনের সাথে কারো তুলনা হতে পারে না?
যেন ঝামাধোলাই খাওয়ানোতে রয়েছে আপনাদের মনো-পলি, অনেকটা কয়েক-পুরুষের পেশার মত! যেন চরম মুজিব-বিদ্বেষীর ট্রেডমার্ক আপনা-আপনি স্মার্টনেস, সার্পনেস এর ট্যাগ লাগিয়ে দেয় যা দিয়ে আন্তর্জালিক ঝামাধোলাইয়ের পাওয়া যায় একচেটিয়া অধিকার!
তাহলে আওমিলীগের ক্ষমতাসীন টার্মের প্রায় শেষ পর্যায়ে হওয়াতেই আপনার আপত্তি???? মধ্য পর্যায়ে বা প্রারম্ভিক পর্যায়ে হলে সমস্যা ছিল না? তাহলে আলোচনা-সমালোচনা করতে হয় একেবারে টাইমলি??? যেমনটা আপনি উপরে বললেন, মুসলিম চরমপন্থিদের হাতে নিহত হওয়ার পর টুইট নিয়ে? লিংকন ভাইয়ের এই ব্লগটি ঈদ-আমোদ ফুরোতেই দিচ্ছে না! ভেবেছিলেম, সফিক ভাই-তেই শেষ হবে! কিন্তু না, আনন্দদাতারা সব একযোগে নেমেছেন, সবাইকে আমোদে ভাসিয়েই তারা রণে ভঙ্গ দেবেন!!!
সবশেষে একটা প্রশ্ন: আপনি আপনার প্রথম মন্তব্য শেষে যে উপদেশটুকু দিয়েছেন, তা কাকে দিয়েছেন বলুন তো? সাবেক ব্লগের যে কেইসটা বললেন, তার শুরু কে? লিংকন ভাই নাকি? তাহলে লিংকন ভাইকে দিলেন যে? আপনাদের এই আন্তর্জালিক মিতালী/চক্র সত্যি তৃপ্তিদায়ক!!!
লিংকন ভাইয়ার জন্যঃ
আপনি যদি আজ বাকশালের কালো দিকগুলো নিয়ে একটা লেখা লিখতেন, তাহলে দেখতেন আপনার লেখার কনটেন্টের কি ভয়ানক প্রশংসা করা হত, বা এড়িয়ে যাওয়া হত, বা আপনার তারুন্যখচিত শব্দমালার এত স্তুতি হত যে……….যাহোক, স্বঘোষিত এক্সট্রিম মুজিব-বিদ্বেষীরা জানে না, তারাও এক প্রকার এপোলোজেটিক, শুধু স্রোতের বাইরে অবস্থান করার সুবিধাটা নেন বলে, তাদেরকে ঠিক চোখে পড়ে না, কিন্তু মাঝে-মাঝে তারাই জানিয়ে দেন, অজান্তে। তাই ভাইয়া লিখুন, মনের টানে, আপনার তারুন্যদীপ্ত চোখে যা দেখতে পান, যা আসে আপনার ভাবনার জগতে, লিখে যান, ভাইয়া। ছদ্মবেশী এপোলোজেটিকদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। এরা আপনাকে থামাতে চাইবে, কিন্তু আপনি তাতে মোটেও দমে যাবেন না। আপনার প্রত্যয়ী ও স্বাধীন সত্তা ঠিকই সত্য বের করে আনবে, আর ওখানেই ঘটবে ঐ ছদ্মবেশী এপোলোজেটিকদের চূড়ান্ত পরাজয়।
@কাজি মামুন,
উপরে দেখেন সফিক ভাইয়ের এক উপদেশ বানী আমার প্রতি। রীতিমত ভয় পাইয়ে দেবার মত।আল্লাহ চাইনার সাথে না লাগার পরামর্শ আর কি।(যেহেতু মুক্ত মনার রথী মহারথীরাই নাকি উনাকে সমঝে চলে, আর সর্ববিষয়ে পন্ডিত সফিক ভাই যেহেতু জানেন যে আমার মত নমশুদ্র অথবা হরিজন যে কিনা , বাইপোলার সমস্যার এখন ম্যানিক ফেইজে আছি!)
আল্লাহ চাইনা যদি মুজিব বিদ্বেষী না হয়ে মুজিবের সামান্যতম ভক্তও হতেন তবে মনে হয় সফিক ভাই আমাকে সদুপদেশ (!) দানের পরিবর্তে , খোদ আল্লাহচাইনাকেই কাটাছেড়া করতেন নির্মম ভাবে, বিভিন্ন লেখাতে আর মন্তব্যে, যেমনটা তিনি আকাশ মালিক কে করে চলেছেন।
আমার মনে হয় আল্লাহ চাইনার দশা এই সফিক ভাইয়ের হাতেই আরো বেশি করুন হত যদি আল্লাহ চাইনা মুজিব বিদ্বেষী হবার পরিবর্তে মুজিব কে সমর্থন করে কিছু বলতেন ।
এতে ঈদের আনন্দটা আরো দির্ঘায়িত হত।
আলোচনা বস্তুনিষ্ঠতা হারালে সেখানে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনা নিশ্চিতভাবে ঘটবেই যদিও বস্তুনিষ্ঠতার চর্চা চির আবেগী বাংলা সংস্কৃতিতে আশা করাটাও অন্যায়। এ কারনে প্রায়ই আমি আমার লেখায় এবং মন্তব্যে আধুনিক বিশ্লেষণভিত্তিক ‘অবজেক্টিভ দর্শনের’ কথা বলি । আলোচনায় যুক্তিবিদ্যার মৌলিক নীতিগুলি মেনে চললে এবং হেত্বাভাস (ফ্যালাসী) পরিহার করে চললে , সেখানে অপ্রাসংগিক বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।
মুক্তমনায় আশা করা হয় যে , সকলে এখানে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে রচনার সমাবেশ করবেন এবং আলোচনায় যৌক্তিক মূল্যবোধের পরিচয় দেবেন। মূল লেখায় অথবা মন্তব্যে হেত্বাভাসপূর্ণ ও অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য যৌক্তিক উপায়েই খন্ডন করা সম্ভব কোন রকম উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ব্যতিরেকে। এর পরও কেউ যৌক্তিকতা গ্রহন না করে ’হুলিগানিজম (hooliganism)’ অব্যহত রাখলে সম্পাদকদের হস্তক্ষেপ কাম্য যাতে করে ব্লগের সুস্হতা ব্যহত না হয়। এর মানে এই নয় যে , ব্লগে উত্তর দেয়ার অপশন বন্ধ করে দিতে হবে – যেটা একটা সস্তা সমাধান। ট্রাফিক পুলিশের কাজ সড়ক পরিবহন চালু রাখা , বন্ধ করা নয়।
মুক্তমনায় শুরু থেকেই বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি এখানে সদস্য হিসেবে সক্রিয় আছেন যারা নিজ নিজ একাডেমিক পর্যায়ে উচ্চতর পড়ালেখা করেছেন। সেটা বিজ্ঞান , প্রকৌশল বিদ্যা থেকে শুরু করে সমাজ বিদ্যার নানা শাখা প্রশাখা পর্যন্ত বিস্তৃত। সে কারনে অন্যের ‘অজ্ঞাতার’ প্রতি দৃষ্ঠিপাতের মত ad hominem এবং argumentum ad auctoritatem জাতীয় হে্ত্বাভাস পরিহার করাই কাম্য। এর বদলে যুক্তির সাথে বক্তব্য উপস্হাপন করলে মুক্তমনা আবার প্রানবন্ত হয়ে উঠতে বাধ্য। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রাকৃতিক নির্বাচনের সহজাত পথেই এই ব্লগ তার আকর্ষণ হারাবে। ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক,
যদিও দীর্ঘ বিরতি, তারপরও যে আপনাদের দেখা যাচ্ছে এইটা কিন্তু ভালো 🙂 (C)
বস্তুনিষ্ঠতার চর্চা আশা করা অন্যায় হবে কেন? চর্চা অল্পবিস্তর কিছু কি হচ্ছেনা? আমার তো মনে হয় প্রত্যাশার কথা বললে হয়ত অনেক বেশি চর্চা হবে। এগুবার পথে আরো সহায়ক হবে। এই যে আপনি বললেন, এটা কি সহায়ক নয়?
@সংশপ্তক, অসাধারন বলেছেন ভাই।
দেখেন অতীতে কোন এক সময় এই মুক্ত মনাতেই কিছু লোক আদা জল খেয়ে লেগেছিল মুহাম্মদ তথা সমগ্র মুসলিম জাতিকে ইয়ে করার জন্য।ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পেঁচিয়ে একই বিরক্তিকর জিনিস বার বার করাটা সেই সাথে গোটা মুসলিম জাতিকে রীতিমত কতলযোগ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা।
আজ সেই জিনিস থেমে গেলেও একই জিনিস শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে।( আরেক পক্ষের দ্বারা)
কিছু ভাল লিখতে গেলেই অবধারিত ভাবেই ইনারা বাকশালের পুরোন কাসুন্দি বারবার ঘেটে দেখতে চাইছেন;যেন মুজিব জীবনে ভাল কিছুই করেন নি।কেন মুজিবকে নিয়ে কিছু লিখতে গেলেই আগে বাকশাল দিয়ে মুজিব কে ছিঁড়ে ফেলতে হবে এইরকম নীতি ধরেছেন কিছু নব্য ছদ্মবেশি সুশীল।
ভাল মন্দ সব নিয়েই মানুষ। বাকশালের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই লেখা হয়েছে। কিন্তু মুজিব কে নিয়ে ভাল কিছু লিখতে গেলেই বাকশালী বাঁশটা প্রয়োগ করা অনেকটা সেই , পুর্বেকার কথায় কথায় কোরানের সুরা পোস্ট করে গোটা মুসলিম জাতির জন্য সন্ত্রাস কেন ফরজ, অনেকটা সেইরকম ফতোয়া জারি করা হচ্ছে; ঘুরিয়ে ফিরিয়ে , যদিও একই কায়দা কৌশলে একটু পেঁচিয়ে।
অথচ চ্যলেঞ্জ করলে সেটার উত্তর তারা দেয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না।
শয়নে স্বপনে, জাগরনে, খাবার টেবিলে, এবং সম্ভবত টয়লেটেও যে লোকজন বাকশাল দেখেন,আমার মনে হয় যে আসলে তারা বিদ্বেষের ভারে এতটাই নুজ্য হয়ে পড়েছেন যে মুজিবের অতীতের ভাল কাজ গুলারও কোনরকম মর্যাদা দেবার নুন্যতম প্রয়োজনটাও মনে করছেন না।
ধিক্কার জানাচ্ছি আমি কিছু মানুষের এই রুগ্ন মানসিকতাকে।
@অর্ফিউস,
(Y)
যাদের মজ্জা গত হয়েছে তাদের এমন মানসিকতা মজ্জাগত, তাই এমন ধিক্কারেও তারা বিচলিত নয়…
@তারিক লিংকন,
সঠিক কথা বলেছেন ভাই। এদের মজ্জা আসলেই গত হয়েছে, আর বিচলিত হবে এরা হাজার ধিক্কারে সেটা আমি স্বপ্নেও আশা করি না।
মুক্তমনাকে সবচে অহিংস বাংলা ব্লগ মনে করতাম কেননা একমাত্র মুক্তমনায় ব্লগারদের আগে যাচাই বাচাই করা হয় বলে জানতাম। যাহোক, তর্ক-বিতর্ক কোন বিষয়ে হতেই পারে তা সকলের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে। কিন্তু এইখানে যা হচ্ছে বিশেষ করে দু-একজনের আক্রমণাত্মক মন্তব্য আমার কাছে তর্ক-বিতর্ক বা জ্ঞানের গরিমা অথবা বিদ্যার অহেতুক অহংকার নয় রীতিমত ব্যক্তি বিদ্বেষ প্রকাশের বাসনা থেকে প্রশ্ন করা হচ্ছে!! আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না শুধু একটা কথায় বলতে চাই আমি বরং এমন জ্ঞানী যে জ্ঞান আমাকে বিনয়ী আর অহিংস হতে শিখায়, যে জ্ঞান আমাকে মানব কল্যানে কিছু করতে স্পৃহার যোগান দেয়!!
আমি নতুন বা তরুন ব্লগার/লিখক এটা ঠিক; আমি বাংলা ব্লগে লিখছি ৫ ফেব্রুয়ারির গণজাগরণ মঞ্চের উত্থানের পর দায়িত্ববোধ থেকে মে কি জুন’২০১৩ থেকে। আসলেই একমাত্র তেঁতুল শফি আর সাইদি চোরার আদর্শিক মানুষেরা যুক্তি-তর্কের খাতিরে এমন সহিংস আর বিদ্বেষমুলক তর্ক করতে পারে আমি মনে করতাম.. একমাত্র তারাই বলতে পছন্দ করে যে যে রাজাকারের ফাঁসির দাবী নিয়ে শাহবাগ গেছে সে যদি নাস্তিক হয় তবে তাদের দাবী অমূলক অথচ আমার মনে হয় একজন ছিঁচকে চোর বা একজন নীতিভ্রষ্ট পতিতা অথবা একজন পতিত ভদ্রলোকও যদি রাজাকারের ফাঁসির ন্যায়সঙ্গত দাবী নিয়ে শাহবাগ যায় আমিও তাঁর পাশে কাঁধে কাধ মিলিয়ে স্লোগান দিতে পিছপা হব না…
একটা ন্যায়সঙ্গত দাবী নিয়ে এসেছি এইটাই মুখ্য আমি কে বা কীভাবে আসলাম এইটা মুখ্য নয় কিন্তু আমি যদি অন্যায় কোন দাবী নিয়ে আসি তবে আমি কে কীভাবে কেন এলাম সবই মুখ্য হয়ে উঠবে… এমনটাই আমার ধারণা!! আমি কি ভাল কোন কাজ করছি বা করতে যাচ্ছি? আমার কাছে এইটাই মুল বিষয় আমি কি পাশ বা কতটুকু জ্ঞান রাখি নাকি মূর্খ তার দরকার আছে বলে মনে করি না… আমি বিনয়ের সাথে সবার মতামত যাচাই করি হেঁসে উড়ায় দেয় না কেননা আমি সবজান্তা না এইটা অন্তত আমি জানি। আর এও জানি আমি কয়েকটা বানানের ভুল হয়তো করেছি তবে কোন ভুল তথ্য বা ইতিহাসের সার্বজনীন ভুল কিছু বলি নি…
এইখানে যারা অনেক বছর ধরে লিখছেন যাদের দেখে ব্লগে আশা তাদের সৎ উপদেশ কামনা করছি… ধন্যবাদ! সবাই ভাল থাকবেন! আর দুটা প্রবাদ দিয়ে আপাতত শেষ করতে চাইঃ
“ব্যবহার বংশের পরিচয়”
“খালি কলসি বাজে বেশী”…
@তারিক লিংকন,
(Y) (Y) (Y)
@তারিক লিংকন,
আপনি নতুন ব্লগার, আপনাকে হতাশ করতে চাওয়া আমার মূল লক্ষ্য নয়। আমি তা চাই ও নি। আপনার সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত সম্পর্ক নেই যে আপনাকে আমি খারাপ কথা বলে কোন লাভ করব। আপনাকে শুধু একটা কথাই মনে রাখতে অনুরোধ করব, সেটা হল, যে বিনয়ের কথা বলেছেন সেটা আগে নিজের মধ্যে আনুন। যদিও বিনয় নিয়ে আমার কোন ভাব ভালোবাসা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনয়ীরা ভন্ড হয়। দূর্বীনিত হবেন বেশ ভালো কথা। কিন্তু সেটা করতে গেলে কিছু মূলধনের দরকার আছে। আপনি আমার সাথে কথাই শুরু করেছেন এই বলে যে আমি নাকি ত্যানা প্যাচাচ্ছি, অথচ আপনার পোস্ট সংক্রান্ত(মানে মুজিব) কোন কথাই আমি বলিনি। বিনয়ী ব্যবহার প্রত্যাশা করার আগে আপনারো তো বিনয়ী হবার প্রয়োজন আছে। নয় কি? আবারও বলি বিনয়ী হওয়া কোন পূর্বশর্ত নয়, আমি নিজেই বিনয়ী নই, আপনাকে কী বলব। কিন্তু যখন আপনি বিনয়ী ব্যবহার প্রত্যশা করেন, তখন নিজে বিনয়ী হোন। আপনি ত্যানা প্যাচানোর অভিযোগ না করলে এত কথার কোন প্রয়োজন ছিল না। এবার কি বুঝতে পারছেন এত কথা বলার কারন? কোন পুরাতন ব্লগার হলে তাকে এত মিঠা কথা বলতাম না, আগেও হয়ত দেখেছেন, এই পোস্টেও দেখছেন। কিন্তু আপনি যেহেতু নতুন, সেজন্য আপনাকে হতাশ করতে চাইব না। বুঝাতে পারলাম কি ব্যাপারটা। না বুঝলে বলবেন, আবারও বলব।
আরো লিখুন। দেখবেন হাসি ঠাট্টা করব। কোন সমস্যা নাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে একটা কথা। যা আমাকে দেবেন তাই ফেরত পাবেন। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
নাক গলানোর জন্য ক্ষমা চাচ্ছি সাইফুল ভাই, তবু একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে।
আপনার এই কথাটি আমার খুব মনে ধরেছে। কারন আমিও এই একই নীতিতে বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, একজন নতুন ব্লগার এবং উৎসাহী তরুনকে খামোকা হেয় করার কোন ইচ্ছে আমার ছিলো না। জাফর ইকবালের এই কথাটির সাথে আমি একমত যে পৃথিবীতে বিশ্লেষনী বুড়োরা কিছু করতে পারে না, উৎসাহী তরুনরাই পারে।
কিন্তু এই লেখক প্রথমেই এক কমেন্টে দম্ভভরে ঘোষনা করে যে তার মতো হাসি-কান্নায়, ভ্রমনে, শয়নে-স্বপনে, খাওয়ার টেবিলে-টয়লেটে সবখানে মুজিবকে স্মরন করে না, এমন নিমকহারাম মুক্তমনায় থাকে কেমন করে? মুক্তমনার অনেক নতুন লেখকের মুক্তমনা কিংবা মুক্তচিন্তা যে কি, এটা সম্পর্কে অনেক কনফিউশন আছে।
এই মুক্তমনায়ই একসময়ে আকাশ মালিক কোন এক কমেন্টেটর মুজিবের নামের আগে বংগবন্ধু না বলায় বাঘের মতো গর্জন করতো জিহ্বা ছিড়ে ফেলার, অন্য ব্লগে নিয়ে যেয়ে কুকুর লেলিয়ে দেয়ার। আজকে সেই আকাশ মালিক ভেজা বেড়ালের মতো করুন রাগিনী গায়, ক্রন্দসী রাগে। আকাশ মালিকের এই পরিবর্তনটি বিনীত, মার্জিত, মৃদু আলাপণীতে আসেনি। তার চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে ব্যাক্তি পুজার সীমা আর মুক্তচিন্তার পরিধি।
ইসলাম আর মুসলিমদের নিয়ে অশ্লীল, অযৌক্তিক বিদ্বেষ ছড়ানো নিয়েও একই জিনিষ প্রযোজ্য। কোনটি মুক্তচিন্তা আর কোনটি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এটা দেখাতেও ভদ্রতার অবকাশ ছিলো কম।
এখানে যেহেতু পোস্টের বিষয় এটা নয়, তারপরেও সফিক ভাইর বলা,
এই কথাটাকে নিয়ে একটু ভাবতে অনুরোধ করব। খুবই ভাইটাল একটা পয়েন্ট। বৈশ্বিক রাজনীতিতে ইসলাম এখন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। ইসলামের বলা উটের মুত্র সেবনে কতটুকু ফল পাওয়া যায় এই লেভেলের সমলোচনার দিক শেষ। একটা মডেলের সমালোচনার সাথে সাথে তার বিপরীত আরেকটা মডেল দেখানোও প্রয়োজন। এটা ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করা লেখকরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই মঙ্গল। যদিও ইতোমধ্যেই কিছুটা দেরী হয়ে গ্যাছে। তারপরেও বেটার লেইট দ্যান নেভার।
@সফিক,
অসভ্যতা, মিথ্যাচার আর নোংরামির একটা সীমা থাকা উচিৎ। মুক্তমনা ব্লগটাকে নিজের ঘর আপন পরিবার মনে করি, তাই আপনার মত এরোগান্ট, জিলট (zealot ) ফান্যাটিকের অসভ্যতার উপযুক্ত জবাব দিতে গেলাম না। কারণ পাছে নতুন পুরাতন লেখক-পাঠকেরা ঘৃণায় ব্লগের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেয়।
@আকাশ মালিক, আমি সময় খরচ করে আপনার সেই কমেন্ট খুজে বার করবো। কিন্তু আমার এই সময়টির দাম হবে যে আপনি প্রতিদিন একবার করে ব্লগে এসে “একবার কান ধরে উঠবস করিলাম” এই বাক্যটি পোস্ট করবেন আগামী একশ দিন টানা। এর অন্যথা হলে এখান থেকে একবছর নির্বাসনে থাকবেন পুরোপুরি।
রাজী আছেন আকাশ সাহেব?
@সফিক,
ছিঃ সফিক সাহেব।আপনার সাথে আমার অনেক দ্বিমত থাকলেও এমন সস্তা কথাবার্তা আপনার কাছ থেকে আমি সত্যি আশা করি নি।
@অর্ফিউস, আমি দু:ক্ষিত। কতৃপক্ষের কাছে অশোভন মন্তব্যটি মুছে ফেলতে অনুরোধ করছি। তবে আমার চ্যালেন্জটি ঠিকই বহাল আছে।
@সফিক,আপনি ভুল লোকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।আপনার মন্তব্যটা আমাকে উদ্দেশ্য করে করা ছিল না ধন্যবাদ।
@সফিক,
এই মন্তব্য মুক্তমনায় প্রকাশিত হয়েছে! একজন লেখককে এভাবে আক্রমন করা হচ্ছে এবং এইরকম ভাষায়! আবার দেখলাম এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হচ্চে অন্য একজনের কাছে, আক্রান্ত লেখকের কাছে নয়! শফিক সাহেবের ব্যক্তিগত রোষ আছে নিশ্চয় আকাশ মালিকের ব্যাপারে? শফিক সাহেব কি বলেন?
মুক্তমনার একটা সমস্যা হলো যে নতুন, নতুন লেখকেরা এসে মুক্তমনার ট্র্যাডিশন না জেনেই বিভিন্ন বিষয়ে অপরিনত লেখা দিয়ে ফেলেন এবং তার পরে তীব্র রিয়্যাকশনে ভয়াবহ আহত হন। নতুন লেখকদের বলছি, মুক্তমনা আমার ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম, সামহোয়্যার ইন এসবের মতো ব্লগ নয়। মুক্তমনায় Nothing is Sacred। এখানে আল্লাহ, মোহাম্মদ, কৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ কাউকে ছাড় দেয়া হয় নি। আপনার প্রিয় ব্যাক্তিত্ব, বা প্রিয় রাজনৈটিক মতাদর্শ নিয়ে কোনোরকম সেন্সিটিভিটি থাকলে এখানে সেই বিষয় উথ্থাপন করাটা ঠিক হবে না। এখানে লেখার কোয়ালিটির কারনে রুক্ষ সমালোচনা আসাটাই স্বাভাবিক, সেটা না আসাটাই ব্যাতিক্রম। এখানে দিনে দুই তিনটি যেনতেনো পোস্ট পুরনো পাঠকেরা আশা করে না। তারা চায় মানুষ অনেক ভেবেচিন্তে, পড়াশোনা করে তারপরে লিখুক।
আমি সাজেস্ট করবো যে নতুন যারা লেখকেরা এসেছেন, তারা লেখা দেবার আগে নিজ নিজ বিষয়ের উপরে মুক্তমনার পিছনের আর্কাইভ থেকে কমপক্ষে দুই-তিন বছরের লেখাগুলো এবং তার মন্তব্যগুলো পড়ুন। এটা করলে আপনাদের জানাশোনার পরিধিই অনেক বাড়বে না কেবল, মুক্তমনায় কি ধরনের রিঅ্যাকশন হয় সেটাও ভালোভাবে জানতে পারবেন।
অর্ফিউস, একটি ছোট্ট উপদেশ। মুক্তমনার পুরাতন রথী-মহারথি রাই সহজে আল্লাচালাইনাকে ঘাটাতে চান না। আমি জানি যে আপনি আপনার বাইপোলার সমস্যার এখন ম্যানিক ফেইজে আছেন। একারনে সবকিছুতে উৎসাহের সীমা পরিসীমা নেই। তারপরেও আল্লাচালাইনাকে একটু সাবধানে ঘাটবেন।
@সফিক,
আমি আর ঘাঁটালাম কই? আমিতো শুধু উনার কথাই উনাকে দেখিয়ে দিলাম। আসলেই কাউকে ঘাঁটানরও ইচ্ছে আমার নেই।আমার দুনিয়াটা খুব ছোট আর সীমাবদ্ধ, কাউকে নিয়ে বিশেষভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় মনে হয় না সামনে পাব।এখন অনেকটাই ফ্রী আছি তাই আলোচনা করি।
হ্যাঁ আমি একমত। হয়ত মুক্ত মনার পুরাতন রথী মহারথীরাও “আল্লাহচাইনা” কে ঘাঁটাতে চান না, সেখানে আমার মত পচা শামুকের কি সাধ্য আছে কাউকে ঘাঁটানোর?
তবে একটা কথা আছে যে পচা শামুকেও কিন্তু মাঝে মাঝে পা কাটে তাই না সফিক ভাই।
তবু আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ( আন্তরিক ভাবেই দিচ্ছি ধন্যবাদ, দয়া করে এটাকে ফাজলামী মনে করবেন না), ব্যাপারটা আমি মাথায় রাখব। ভাল থাকবেন। 🙂
@সফিক,
আর আপনি কি নিশ্চিত যে আমি বাইপোলার সমস্যায় আক্রান্ত?আর রীতিমত ম্যানিক ফেইজে আছি?আপনি যে একজন সাইকিয়াট্রিস্টও এটা জানতাম না।জানতে পেরে ভাল লাগলো।
@সফিক, মুক্তমনায় দেখা যাচ্ছে অদ্ভূত একটা বিভাজন গড়ে উঠছে “পুরাতন লেখক” আর “নতুন লেখক” নামে দুটি প্লাটফর্ম। আর এই বিভাজনটি আসছে তথাকথিত পুরাতন লেখকদের কাছ থেকে। মুক্তমনা যে কি রকম ব্রগ সে জ্ঞান বিতরণ করে পুরাতন লেখকরা শেষে এমন কান্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বসে যে নিজেরাই হাস্যসম্পদ হয়ে উঠে। নতুন লেখকেদের রচনা মডারেটদের মননীত হয়ে প্রকাশিত হয়। কাজেই নতুন লেখকদের সব রচনা মান সম্পন্ন হলেই মুক্তমনায় প্রকাশিত হয়।
আর যাদের এলার্জি বা চুলকানি আছে কোন বিষয় বা ব্যক্তিত্বের প্রতি তাদেরও সেই সমস্ত পোষ্টে মাথা বা নাক গলানো উচিত নয়।
একজন নতুন ব্লগারের কাছে একজন পুরাতন ব্লগারকে এভাবে উপস্থাপন করাটা রুচীকর হলো কি? এ যেন পাড়ার কোন মাস্তান সম্বন্ধে আগুন্তুককে সাবধান করে দেয়া। জানি না আল্লাচালাইনা তাকে নিয়ে করা মন্বব্যে শ্লাঘা অনুভব করেছেন কিনা!
@সুষুপ্ত পাঠক,
অসাধারন! (Y)
@সুষুপ্ত পাঠক,
কাকে শ্লাঘা অনুভব করতে বলছেন আপনি? যে কিনা নিজেই একজন সহব্লগারকে আন্তর্জালিক ঝামা-ধোলাই খাওয়ানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন??
এ বিষয়ে আমার দ্বিমত আছে। যে কেউ যেকোনো পোস্টে মাথা বা নাক গলানোর অধিকার রাখে, না হলে কিসের মুক্তমনা, কিসের মুক্ত পৃথিবী? আল্লাচালাইনা বা সফিক ভাইয়েরা যদি লিংকন ভাইয়ের ব্লগটিতে করা কোন বিষয় বা বক্তব্যকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করতে চান, তাহলে আমি বা আপনি নিশ্চয়ই তাতে বাঁধা দেয়ার অধিকার রাখি না? যদি আমরা মুক্তমনার স্পিরিটে বিশ্বাস করি? কিন্তু দেখুন, এই পুরাতন রথী-মহারথীরা একজন নবীন লেখককে যেন লিখতেই দিতে চান না, কারণ এই তরুণ লেখকটি মুজিবের ভাল দিকগুলো নিয়ে একটি সিরিজ লেখার পরিকল্পনা করেছেন। এমনকি তিনি চাটুকার-বৃত্তির পথ পরিহার করবেন বলে প্রমিজও করেও নিস্তার পাচ্ছেন না। আলোচ্য রথী-মহারথীদের শাস্ত্র অনুযায়ী, মুজিবের কালো অধ্যায়গুলো নিয়ে লেখাই শুধু সহি, তার ভাল কিছু নিয়ে লেখার পরিকল্পনা করলে তার জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ দোযখ!!! একজন তরুণ লেখককে যেসব রূঢ় মন্তব্য করা হয়েছে, তা মুক্তমনায় আসলেই বিরল!!!!!! অন্য সব ব্লগ থেকে মুক্তমনার একটি পার্থক্য চোখে পড়ত: তরুণ ব্লগার বা নতুন লিখিয়েদের অসম্ভব উৎসাহ দেয়া হত এখানে। এমনকি অনেক আনকোরা লেখাকেও এখানে প্রশংসা করতে দেখেছি! উজাড় করা উৎসাহের যে সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান ছিল মুক্তমনায়, দেখুন, তাকে কি নির্মমভাবে চাবকানো হয়েছে!
হ্যাঁ, অদ্ভুত বটে এখানকার নিয়ম-কানুন। দেখুন না:
১. আল্লাচালাইনা নিজের এক্সট্রিম মুজিব-বিদ্বেষের কথা সগৌরবে বলে বেড়াতে ভালবাসেন, অথচ উনি জানেনই না, একজন মুক্ত মনের মানুষের কারো প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে না।
২.আল্লাচালাইনা মুজিবের সাথে প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনের তুলনা করায় গোসসা করেছেন, কারণ উনি লিঙ্কনকে দেবতার স্থানে বসিয়ে পুজো করতে পারেন, কিন্তু স্বদেশী মুজিবকে কেউ লিঙ্কনের সাথে তুলনা করতে চাইলে উল্টো তাকেই তুলো-ধুনো করেন। আসলেই, এই না হলে মুক্তমনা!!
৩.আল্লাচালাইনা মনে করেন আলোচনা-সমালোচনা হতে হবে টাইম মেপে, আমরা এদ্দিন জানতাম, টাইম মেপে রাজনীতিবিদ্গণেরা কথা বলেন, কিন্তু মুক্তমনা বা ব্লগ জগতের একজন পুরাতন মাথা বলছেন, মুজিবকে নিয়ে এই আলোচনাটি আ’লীগের এই শেষ সময়ের জন্য উপযুক্ত নয়, যেহেতু মানুষ আওয়ামী শাসনে অতিষ্ঠ! আবারো বলতেই হচ্ছে, এই না হলে অতি পুরাতন মুক্তমনা!!!
৪.আল্লাচালাইনা পুরানো কাসুন্দি নিয়ে যারা আলোচনা করেন, তাদের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সাহস করে এই সমালোচনাটি সফিক ভাইকে করতে পারেননি, করেছেন লিংকন ভাইকে। সত্যি একজন সাহসী মুক্তমনা!
@কাজি মামুন,
কারণটা মনে হয় খুবই পরিষ্কার। সফিক ভাইকে এইসব বলতে গেলে উল্টা ঝামাধোলাই খেয়ে যেতেন উনি।
আর যাই হোক মামুন ভাই, সফিক ভাইয়ের এই ধোলাই করার অসাধারণ ক্ষমতাকে আমি খানিকটা সমীহই করি!!!
আর কেউ পালটা ধোলাই দিতে গেলে উনি( সফিক ভাই) খুব ঠান্ডা ভাবে চুপচাপ হয়ে থাকেন। ক্ষেত্রবিশেষে সফিক ভাইয়ের এই অসীম ধইর্য আমাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়, স্বীকার করছি।
@অর্ফিউস, উপদেশটা সফিককে লক্ষ্য করেই দেওয়া ছিলো। আকাশ মালিককে জড়িত করে উনি একটা অপেশাদার মন্তব্য করেছিলেন, মন্তব্যটা এভাবে না করলেও চলতো বলে আমার মনে হয়েছিলো। তারিক লিঙ্কন ওই মন্তব্যের লক্ষ্য ছিলো না। তারিক লিঙ্কন কি পুরনো কাসুন্দী ঘেটেছে সেটাও আমি জানি না। সে একটা চরম চরম নিন্মমানের পোস্ট লিখেছে এই তথ্যটা ব্যতিরেকে তাকে লক্ষ্য করে আর কোন মন্তব্যই আমার ছিলো না।
@কাজি মামুন, (Y)
@সফিক,
হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। দিছেন একেবারে লুঙ্গী উঠাইয়া পিরাকি দেখাইয়া। মৌসুমী লেখক, সর্বসাকুল্যে হাতে গোনা চার পাঁচটা লেখা বোধ হয় মুক্তমনায় লিখেছেন, আর আজ পুরোপুরি মুরুব্বী, মুক্তমনার হীতাকাংখী শুভাকাংখী। একটা ব্লগকে আলোচনামুখর প্রাণবন্ত করে টিকিয়ে রাখতে, পুরাতন পাঠক লেখকদের ধরে রাখতে, নতুন লেখদের আকৃষ্ট করতে কী কী করতে হয়, তা যদি আপনার জানা থাকতো, তাহলে ওপরের মন্তব্যটি করতেন না।
আমি জানি নতুন তো দূরের কথা অনেক পুরাতন লেখকের লেখাও ছাপা হয়নি এখনও হয় না যদি কর্তৃপক্ষ তা ব্লগে প্রকাশের অযোগ্য মনে করেন। আর যদি কোন কারণে মডুদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে অযোগ্য কোন লেখা প্রকাশ হয়েই যায়, মুক্তমনায় যতেষ্ট অভিজ্ঞ পাঠক আছেন তা রিজেক্ট করার। আমি মনে করি লেখকের লেখা হলো একটা ব্লগের প্রাণ, টিকে থাকার ভিত্তি। সুতরাং এই দায়ীত্বটা মডুদের ওপরে ছেড়ে দিয়ে লেখককে লিখতে দিন, পাঠককে পড়তে দিন, সকল লেখা আপনার মনঃপুত হবে তা আশা করাটা ঠিক নয়।
নবীণ লেখকদের উদ্দেশ্য করে ডঃ আহমেদ শরিফের সেই উক্তিটি আবারও স্মরণ করি- ‘আগাছা পরাগাছা বেষ্টিত পরিত্যক্ত জঙ্গলের চেয়ে কুসুমহীন বাগান ভাল, ফুল একদিন ফুটতেও পারে’।
@ কাজি মামুন, অর্ফিউস ও সুষপ্ত,
এবার ক্ষান্ত দিতে হবে, অন্যান্য লেখাগুলো প্রায় উপেক্ষিতই হয়ে যাচ্ছে, সেটা একটা ব্লগের জন্যে শুভ নয়। সকল লেখকই তাদের লেখায় পাঠকের মন্তব্য আশা করেন। প্লিজ চলুন, আমরা অন্যান্য লেখকের লেখায়ও আলোচনা মন্তব্য করি।
@আকাশ মালিক,
কিছু জবাব মনে হয় দেয়াটাই উত্তম, না হলে পরে আপনাকে আরো অপমানের সুযোগ তিনি পেয়ে যাবেন।ক্ষেত্র বিশেষে সুনামের চিন্তার চেয়ে যুদ্ধে( হ্যাঁ মুক্ত মনাতে কিছু ভংধারী সুশীল যুদ্ধ শুরু করেছেন,তাদের ভাব দেখে মনে হয় যেন মুজিবের পোঁদ মারা ছাড়া আর কোন কাজ তাদের নেই ) পালটা আঘাতটাই আপনার জন্য ডিফেন্স হবে হলে আমার মনে হয়।
আপনি মুক্ত মনার অনেক পুরাতন লেখক। আর আমি মুক্তমনাতে নতুন হলেও দীর্ঘদিনের পুরানো পাঠক।
আপনার যায়গায় আমি হলে সফিক সাহেব কে সমুচিত জবাব দিতাম।নিচেও দেখেন আপনাকে লক্ষ্য করে উনি আরেকটা সস্তা মন্তব্য করেছেন।
আপনার যায়গায় আমি হলে উনার টুঁটি চেপে ধরে ছিড়ে ফেলতাম আমি। এতে আমার মান মর্যাদা যায় যাক।
“মারি অরি পারি যে কৌশলে” এই নীতিতেই আমি বিশ্বাস করি। মুক্ত মনা কে যদি কিছু ভংধারী রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলে যা ইচ্ছা তাই বলা শুরু করেন তবে এরথেকে ভাল ব্যবস্থা আর নেই।
সহ্যের একটা সীমা আছে যেটাকে সফিক বার বার লঙ্ঘন করে চলেছেন। কিভাবে যে আপনি এত সহ্য করতে পারেছেন আপনি সেটা আমার মাথায় ঢুকছে না।
@অর্ফিউস,
হয়তো আকাশ মালিক ভাই এইটা ভেবেই চুপ করে আছেনঃ
“Violence is the last refuge of the incompetent.”–Isaac Asimov
আর আমি একটা কথা সবসময় বলি তাহল-
“যাদের মজ্জা গত হয়েছে তাদের এমন মানসিকতা মজ্জাগত”
তাই অনেক সময় ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’ নীতি থেকে বের হয়ে আমি ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ মনে করে নির্লিপ্ত থাকি… কিছুই করার নেই!!
@তারিক লিংকন,
সেক্ষেত্রে আপনি খুব শান্তি প্রিয় মানুষ। দুঃখের সাথেই জানাচ্ছি যে আমি সেটা নই। নির্দিষ্ট একটা লিমিট পর্যন্ত আমি সহ্য করি আর সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সেটা প্রলয়ঙ্করী বন্যায় রূপ নেয়।হয়ত এটা আমার দুর্বলতা। কিন্তু কি আর করব বলেন সব মানুষেরই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে। 🙂
@অর্ফিউস,
আপনারা এসব কেনো বলেন জানি না। রাগ হলে কিবোর্ড থেকে দূরে থাকলে মনে হয় ব্লগটার অনেক উপকার হয়। এইসব কমেন্ট করার জের কমেন্টকারীসহ পুরো ব্লগকেই বহুদিন যাবৎ টানতে হয়। এইসব কমেন্টের রেফারেন্স বার বার আসবে পরে। দোষটা রাগের বশে কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার।
@রূপম (ধ্রুব),
ধন্যবাদ রুপম ভাই। আসলেই এই কথাটা আমার বলা একদমই উচিত হয়নি।একটু বেশিই বলা হয়ে গেছে। ভাবছি কি বোর্ড থেকে কিছুদিনের জন্য অবসরেই চলে যাব।
তবে কান ধরে উঠবোস করার ব্যাপারে আপনার কিছু মুল্যবান মতামত জানতে চাচ্ছি ।
এটা আমাকে বলা হয়নি। বলা হলে কি করতাম সেটাই বুঝাতে চেয়েছি তবু বুঝতে পারছি যে ভাষাটা মার্জিত হয়নি।
@অর্ফিউস,
দেখুন ট্র্যাজেডিটা। ওটার জন্যে উনি দুঃখ প্রকাশ করে মীমাংসা করে দিয়েছেন। তারপরও ছাড় নাই। আবার সেটার জন্যে মতামত চেয়ে ব্যাপারটা দীর্ঘায়িত হলো। আপনিও আপনার কথাটার জন্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু এরপর বহুবার দেখবেন বহুজন অন্য আরেকজনকে আপনার এই মন্তব্যের জন্যে মূল্যবান মতামত চাইতে থাকবেন। যেটা আপনার জন্যে মোটেও কাঙ্ক্ষিত হবে না, কারণ আপনি অলরেডি দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
এটাকেই বলেছিলাম
মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে থামাটাই কি কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ নয়?
@রূপম (ধ্রুব),
সত্যি বলছি রূপম ভাই বিশ্বাস করুন, উনার দুঃখ প্রকাশ করে করা মন্তব্যটা আমি আমার মন্তব্য লেখার সময় দেখি নি।খুব সম্ভবত চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল আমার।
ওটা চোখে পড়েছে আমার অনেক পরে। ওটা দেখতে পেলে আসলেই আমি অমন ভাষা প্রয়োগ করতাম না।
আর তাই আমিও সফিক ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ওই লাইনটার জন্য।
তবে বাকিগুলো বহাল থাকছে।
জি ধন্যবাদ। যেহেতু উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন আগেই আর আমার নজরে পড়েছে পরে সেক্ষেত্রে যেহেতু নজরে পড়েছে তাই আমি ব্যাপারটি নিয়ে আর এগুইনি পরে শুধু মাত্র সঠিক লোকের কাছে উনার দুঃখ প্রকাশের কথাটা মনে করিয়ে দেয়া ছাড়া।
আশা করি আপনি আমার অবস্থাটা বুঝতে পারছেন। সত্যি ওটা ছিল আমার চোখ এড়িয়ে যাবার ফল।
আসলে আপনারা যারা খুব ঠান্ডা ভাবে সব কিছু হ্যান্ডল করতে পারেন তাদের কাছে আমি আন্তরিক ভাবেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের কাছে অনেক কিছুই শেখার আছে আমার সহ আরো অনেকেরই।
আবার আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আশা রাখি ব্যাপারটার এখানেই সমাপ্তি ঘটবে।ভাল থাকবেন।
@সাইফুল ইসলাম,
“আগস্ট ১৫, ২০১৩ সময়: ১১:০৩ অপরাহ্ণ লিঙ্ক
আপনি কি গেটিসবার্গ স্পীচ আদৌ কখনো পড়া দেখেছেন? এই স্পীচে আব্রাহাম লিংকন আমেরিকানদের অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছেন এই তথ্যটি কিন্তু আমেরিকার ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলবে। এর আগে এই ইন্টারপ্রেটেশন কেউই করতে পারে নি।” এই হচ্ছে আমার ৩য় পোস্টে সফিক ভাইয়ের প্রথম কমেন্ট!!
আমার আর কিছুই বলার নাই!!আজ আমিই প্রথম দুপুর ১ টার দিকে (বাংলাদেশ সময়)
“যেমন কুকুর তেমন মুগুর নীতিতে বিশ্বাসী…”— কথাটা বলেছি!! আর এই আলাপচারিতায় আপনি এসে তর্কশুরু করে অসৌজন্যমুলকভাবে।। আপনারা যদি নিজেকে শিক্ষক মনে করেন সেখানেও এমন প্রতিক্রিয়া গ্রহণযোগ্য না আবার যদি নিজেদের আমার নিম্নমানের গানের শ্রোতা বা নিম্নমানের কবিতার পাঠক অথবা নিচুদরের ব্লগপোস্টের বিশ্লেষক মনে করেন তাও আচরনবিধির পরিপন্থী ব্যবহার ছিল (বিশেষ করে সফিক ভাইয়ের উক্ত মন্তব্যটি…)!! যাহোক আশাকরি আসছে দিনের পোস্টগুলোতে ভালই আড্ডা হবে… ধন্যবাদ ভাল থাকবেন…
@তারিক লিংকন,
স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের কাজের মুল্যয়ন যথাযথ ভাবে করতে হবে। তাঁকে দেবতুল্য করে- সমালোচনা অতীত মনে করে নয়। তাঁর যেসব ভালোকাজ ওসব আলোচনা করতে হবে- মন্দ কাজও আলোচনা করতে হবে- ওসব হতে শিক্ষা নিতে হবে ভবিষ্যতের জন্য।
আপনি এর আগে একটা আপনার একটা লেখায় মন্তব্যর পাল্টা মন্তব্য করেছিলেন-
আপনি যেহেতু নতুন লেখক এবং আমিও তাই। কোন মুক্ত মঞ্চে (বাস্তব কিংবা সাইবার জগতে) আবেগ সংবরণ করতে জানতে হবে। এটাও বিশ্বাস করতে হবে- আপনি যেমন চিন্তা করেন এমন চিন্তা অনেক মানুষ নাও করতে পারে; যাদের “ভিন্ন চিন্তা”- আপনারটা থেকে উত্তম হতে পারে কিংবা উত্তম নাও হতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত পারিবারিক আক্রমণ না হয় (যেমন- আপনার বাবা-মা, সন্তান কিংবা স্ত্রী) ততটুকু পর্যন্ত আবেগ সংবরণ করে রাখাই বাঞ্ছনীয়- যুক্তিই প্রাধান্য হওয়া উচিত।
@সংবাদিকা,
ধন্যবাদ! আমার আবেগ কোথায় অতিবেগ পেল বুঝলাম না, তবে যাদের বিদ্বেষাবেগ অতি ছিল তাদের জন্যেও আপনার কথাগুলো খাটে বলে আপনার সাথে একমত…
একটা ইস্যুতে আমরা নিজেদের অতিসুশীল প্রমান করতে গিয়ে সবকিছুর সমালোচনা করি। আমরা কি খুঁজলে লিংকন,ওয়াশিংটন বা গান্ধীর ভুল খুঁজে পাব না? তাহলে ওইসব দেশের জনগনকি তাদের স্থপতিকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত থাকে? না ঐক্যবদ্ধ থাকে? ভারতে যেমন ৫ রুপী থেকে হাজার রুপীর সকল মুদ্রায় একজন সেখানে আমাদের কে সে স্থানটা দাবী করে?
গান্ধী হয়তো বঙ্গবন্ধুর থেকে বিশ্বে বেশী জনপ্রিয় কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করলে তো তাঁর দুর্বলতায় অধিক… কিন্তু কোন সরকারের রোষে তাঁকে পরতে হয়নি কারণ তারা তাদের স্থপতিকে শ্রদ্ধা করে।। অনুরূপে বঙ্গবন্ধুও বাংলাদেশের সেই স্থানটি নিজগুনেই পেয়েছেন।।
অবশ্য একটা আশার আলো এখনও আছে কেননা গান্ধীজির মৃত্যুর (৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) ৬৫ বছর পর তিনি এমন যায়গা পেয়েছেন আশাকরি ২০২৫ সালের আগেই অনুরূপ শ্রদ্ধার আসনে বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু পাবেন এই দেশবাসীর কাছে…
এইখানে কোন অতিআবেগের গন্ধ আমি দেখি না বরং বিবেকের কথায় বললাম মনে হল!!
“Father of the Nation is an honorific title given to a man considered the driving force behind the establishment of their country” .. “জাতির পিতা” শব্দটি একটি বিমূর্ত ধারনা, যেমন হয়ত জন্মভূমিকে মা’র সাথে তুলনা করা হয়, এখন এই নেত্রিত্ত যদি কোন নারী দেন তাকে ‘জাতির মাতা” বলা হবে কিনা সে কুতর্কে না গিয়ে বলা যায় কজন আছেন এমন মানুষ অদ্যাবধি এই পৃথিবীতে যারা একটি জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামে নেত্রিত্ত দেবার সুযোগ পেয়েছিলেন?। জর্জ ওয়াশিংটনকে তার জীবদ্দশায় ফাদার অব দা ন্যাশন ই বলা হত। এর পরে Founders of the nation কথাটি এসেছে পরে। আমেরিকা এবং ভারতের(পাকিস্তান সহ) স্বাধীনতা উপহার হিসেবেই ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল বলে ধরে নেয়ে হয়। বাধ্য হয়ে ইংল্যান্ড দেয় নাই এর জন্য বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই। গান্ধী আপোষে স্বাধীনতা নেবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজে সার্জেন্ট হয়ে ইংল্যান্ডের পখ্যে সৈন্য সংগ্রহ করেছিলেন ইংল্যান্ডের এই আশ্বাসে যে যুদ্ধে জয় হলে ভারতকে স্বাধীনতা দেয়া হবে। ইংল্যান্ড কথা রাখেনি। ২য় বিশ্ব যুদ্ধে কংগ্রেস নিরেপেক্ষ ভূমিকা য় গেলে , নেতাজি সুভাষ বসু জার্মানদের সাথে হাত মিলান এই আশায় যে যুদ্ধে জার্মান জোট জয়ী হলে ভারত স্বাধীন হবে!। তারপরেও জিন্না পাকিস্তানের আর গান্ধী ভারতের জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃত। মুজিবের সমালচনামূলক বই লিখতে বসলে ৩০০ পৃষ্ঠার একটি বই যে কেউ অনায়াসে লিখে ফেলতে পারবে। আমি গান্ধীর আলোচনার বই খুজতে গিয়ে বেশী পেয়েছি সমালোচনার বই। আমাদের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার “সাহেবদের গান্ধী” প্রবন্ধে গান্ধী কে নিম্ন মানের একজন ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ,ব্রিটিশের পা চাঁটা হিসেবে চিত্রিত করেছেন।
“মুজিবের আদর্শ” কি?। শুরু করেছিলেন মুসলিম লীগের রাজনীতি। পরে গেলেন অসম্প্রাদয়িক রাজনীতিতে। সরহয়ারদি ছিলেন তার রাজনীতির গুরু, যে সরহয়ারদি কে কলকাতার ১৯৪৬ এর দাঙ্গার সমর্থক বলা হয়। মুজিব তার রাজনৈতিক জীবনে শেরে বাংলা কেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এখান থেকে শুরু করলে লিখতে হবে অনেক।কিন্তু আমরা ত ইতিহাস জানি। জেনেও অস্বীকার করি। কেন?
@সপ্তক,
১)প্রয়াত আহমদ ছফার বক্তব্য দেখা যেতে পারে মুজিব সম্পর্কে। তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি মুজিব কে অপাংক্তেয় তিনি করতে পারেননি।
http://www.chintaa.com/index.php/chinta/showAerticle/163/bangla
http://www.sachalayatan.com/zubair/7664
২) ডঃ আহমদ শরিফ মুজিবের তীব্র সমালোচক ছিলেন। মুজিবকে তিনি মাথা মোটা গাড়ল ই মনে করতেন । আহমদ শরিফের ভাষায় বাংলাদেশের বাঙালি রা কারা?। তার ভাষায় তারা হোল “।আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য বিগত দুই হাজার বছরের মধ্যে ধরলে এবং অশোক সহ ধরলে তেইশস বছরের মধ্যে আমরা বাঙ্গালী গোত্রের বাঙ্গালী একজন মাত্র স্বদেশী রাজার নাম পাই,তার নাম শশাঙ্ক । তাও আবার ভিন্নমত আছে। শশাঙ্ক মুর্শিদাবাদ – কর্ণসুবর্ণে রাজত্ব করতেন, কেউ কেউ বলেন তিনি আসাম থেকে এসেছিলেন। এই শশাঙ্ক ছাড়া আর কোন নাম পাওয়া যায় না। এরপর অনেক পরে যার নাম পাওয়া যায় তাঁর নাম দিব্যক । দিব্যক, রুদ্রক আর ভীম নামে তিন পুরুষ। এই ত, আর কোন বাঙ্গালী শাসক পাই না। আর হুসেন শাহ্র নাম শোনা যায় কিন্তু হুসেন শাহ সৈয়দ হলে বাঙ্গালী হন না , সে যুগে ত প্রশ্নই উঠে না। এছাড়া বাকি থাকে রাজা গণেশ যাকে বাঙ্গালী বলে স্বীকার করলেও করা যায় আবার না করলেও ক্ষতি নেই। কারণ গণেশ যদি ব্রাহ্মণ হন তাহলে বাঙ্গালী হতেই পারেন না। ব্রাহ্মণ রা বহিরাগত। এই গণেশের ছেলে জালালুদ্দিন বা মহেন্দ্র এবং তাঁর ছেলে পুলেরা বার তের বছর রাজত্ব করেন। এ ছাড়া বাঙ্গালী কখনো উনিশশ সাতচল্লিশ এর আগে রাজত্ব করেনি তাও আবার প্রশ্ন সাপেক্ষ উনিশস একাত্তরের আগ পর্যন্ত। আমাদের বুঝতে হবে ইতিহাসের চেতনা দিয়ে যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই তাহলে আমাদের মানতে হবে আমরা দু হাজার বছর ধরে নির্জিত এক জাতি।আমরা দুই হাজার বছর ধরে নির্জিত হয়েছি বিজাতি,বিভাসি দের দ্বারা । আমাদের আসল সগোত্রীয় জাতি আজও নিরন্ন,নিপীড়িত,বঞ্চিত।আমাদের বুঝতে হবে আমরা আসলে হাড়ি, ডোম,মুচি,মেথর,সাঁওতাল,,খাসিয়া দের ই উত্তরসূরি বা বংশ। যারা বহিরাগতদের অত্যাচারে বনে জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিল তারাই আজ সাঁওতাল,খাসিয়া,গার নামে অভিহিত যারা আসলে আসল বাঙ্গালী আমাদের আসল পূর্বপুরুষ। অস্ট্রিক – মঙ্গোল দের যে সংস্কৃতি সেটাই বাঙ্গালীর রক্তের সংস্কৃতি যেখান থেকে এসেছে সংখ্যা, যোগ,দেহতত্ত, এগুলো মঙ্গলদের দান আর নারী দেবতা ও জন্মান্তর অস্ট্রিক দের দান। এসব বাঙ্গালীদের মাঝ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। বাঙ্গালী বৌদ্ধ, ব্রাহ্মণ্য , ইসলাম প্রভৃতি ধর্ম গ্রহণ করেছে ঠিকই কিন্তু সংখ্যা,যোগ,তন্ত্রের প্রভাব ছাড়তে পারেনি”। তাহলে আমরা “ আমরা আসলে হাড়ি, ডোম,মুচি,মেথর,সাঁওতাল,,খাসিয়া দের ই উত্তরসূরি বা বংশ”। এখন কথা হচ্ছে এই মুচি,মেথরের মাঝে ত মুজিবের চেয়ে ভালো মানুষ পাওয়া গেলো না, যদি ভবিষ্যতে পাওয়া যায় তাদের না হয় আমরা Founder of the nation বলব। আপাতত সে সুযোগ নেই,কারন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই।আর কেউ যদি জিয়াকে তা বলতে চান তাও সমস্যা আছে,এরশাদ কেও বলতে হবে। একই ব্রিন্তের দুই ফুল। এ ছাড়া ডঃ আহমেদ শরিফ নিজেও ব্লাক মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি পান। শরিফ সাহেবের চাচা আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের বিশাল পুঁথি সংগ্রহ বিশ্ববিদ্যালয়য় তাদের গ্রন্থাগার এর জন্য দান হিসেবে চাইলে তিনি তার ভাতিজা শরিফ সাহেব কে চাকুরী দেবার শর্তে রাজী হন। এমন একজন মানুষ কিভাবে মুজিবের ওপর কিভাবে খড়গহস্ত হন বুঝি না। আমি আহমেদ শরিফের বই থেকে প্রচুর রেফারেনশ নেই।
৩) আর একজন হলেন বদ্রুদ্দিন ওমর এই বেচারা আদা জল খেয়ে মুজিবের সমালোচনা করেন , গঠন মূলক কখনই নয়। বদ্রুদ্দিন ওমর, আহমেদ ছফা, ফরহাদ মাযহার, আধুনা আনু মুহাম্মদ একই ঘরনার মানুষ। ফরহাদ মাযহার এবং আহমেদ ছফা ঘনিস্ট বন্ধু ছিলেন, আনু মোহাম্মদ বদ্রুদ্দিন ওমরের শিস্য। এরা সন্মানিত মানুষ, কিন্তু বাম ঘরনার এরা মুজিব কে পশ্চিমা ঘেঁষা ক্ষমতার পাগল ই মনে করতেন। বদ্রুদ্দিন ওমরের বাবা আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত বাংলার স্বনামধন্য নেতা যিনি স্বাধীন অবিভবক্ত বাংলার সপ্ন দেখেছিলেন এবং শরত বসুর সাথে চেস্টাও করেছিলেন ,সফল হন নাই, হতে পারে সরহয়ারদি, জিন্না র কারনে। আবুল হাশিম ছিলেন সরহুয়ারদির প্রতিদন্ধি সেকারনে মুজিব , হাশিম সাহেবের সাথে বিভিন্ন সময় দন্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন তা মুজিবের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে” আছে, সেখানে মুজিব আবুল হাশিম কে সন্মান করতে কুন্ঠা করেন নাই। হাশিম সাহেব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ২ বছর পর পূর্ব পাকিস্তান আসেন এবং একটি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন “খেলাফত রব্বানি” পার্টি নামে, যে পার্টি বদ্রুদ্দিন ওমরের পার্টির মতই, যার নাম কেও জানে না। আইয়ুব খানের শাসনামলে আবুল হাশিম ইসলামিক একাডেমীর পরিচালক ছিলেন। এ পদে থাকার সময়ে তাঁর উদ্যোগে কুরআন শরীফের মূল আরবি থেকে বাংলায় তর্জমা প্রকাশিত হয়েছিল। আবুল হাশিম সাহেবের বাবা ছিলেন কাশিয়াডের জমিদার। ওনারা উর্দু ভাষী ছিলেন,পরে বাংলা শেখেন রাজনীতি করবার জন্য। আমার ধারনা আবুল হাশিমের সাথে মুজিবের দন্ধের কারনে বদ্রুদ্দিন ওমর মুজিব কে স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেননি কখনো। আবুল হাশিম সাহেব ভাষা আন্দোলন এবং আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন।
@সপ্তক,
এটা কার লেখা ইতিহাস?
গোপাল, ধর্মপাল, দেবপালরা বাঙালী ছিলেন না? গোটা বাঙালী সংস্কৃতির জন্ম পালরাজাদের আমলে।
@বিপ্লব পাল,
ডঃ আহমেদ শরিফের “সমাজ সংস্কৃতির স্বরূপ” বই থেকে হুবহু নেয়া।
@সপ্তক,
২২ প্রজন্ম ধরে বাংলায় পাল রাজারা প্রায় ৪৫০ বছর রাজত্ব করেছেন। এত দীর্ঘদিন আর কোন বাঙালীরাজা বাংলায় রাজত্ব করে নি।
http://en.wikipedia.org/wiki/Pala_Empire
উনি এটা লিখে থাকলে মারাত্মক ভুল লিখেছেন।
@বিপ্লব পাল,
উনি এটা লিখে থাকলে মারাত্মক ভুল লিখেছেন।
@সপ্তক,
পাল রাজারা উত্তর বঙ্গের লোক ছিলেন। এটা ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানিত-তারা বহিরাগত নন। বহিরাগত ছিলেন সেন রাজারা [ কর্নাটকের]।
ডঃ শরীফ ঐতিহাসিক ছিলেন কি না জানি না, তবে ভারতের সব ঐতিহাসিক পাল রাজাদের বাঙালী সত্ত্বা এবং সংস্কৃতি নির্মানে মূল কারিগড় বলে মেনে নিয়েছেন। ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদার যেমন করেন, বাঙালী বলে পৃথক সত্ত্বা, সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষার উত্থান হয়েছে পাল রাজাদের আমলে।
সুতরাং যে রাজ বংশের হাত ধরে বাঙালী ভাষা এবং সত্ত্বার জন্ম হল, তাদেরকে বাঙালী না মনে করাটা ঐতিহাসিক অজ্ঞতা ছারা আর কিছু না।
@বিপ্লব পাল,
বাঙ্গালীর ইতিহাস জানার জন্যে ডঃ আহমেদ শরিফের সমাজ সংস্কৃতির স্বরূপ আর রিজিয়া রহমানের বং থেকে বাংলা পড়ে দেখতে পারেন। দুটো বইই আমার কাছে ছিল, কে কোথায় নিয়ে গেছে আর কোন পাত্তা নাই। যুক্তিবাদী লেখকদের কড়া সমালোচনা শুনতে ভাল লাগে। মানব প্রজাতি হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভংগি, দ্বিমত-একমত, পছন্দ-অপছন্দ থাকবেই। হুমায়ুন আযাদের চেয়ে আহমেদ শরিফ ও আহমেদ ছফা শেখ মুজিবের সমালোচনা করেছেন অত্যন্ত কঠিন ছালাছোচা ভাষায়। তাদের মুজিব সমালোচনা আমাদেরকে ভুল সংশোধনের পথ দেখায় আর ফরহাদ মাজহার, বদরুদ্দীন ওমরের সমালোচনা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তথা মৌলবাদীদের বেঁচে থাকার রসদ যোগায়। দুই সমালোচনার পার্থক্য এখানেই।
শেখ মুজিবের সমালোচনায় হুমায়ুন আযাদ কী লিখেছেন তা আমার মুক্তিযুদ্ধের অপর নাম শেখ মুজিব লেখায় দেখেছি, এখানে আরেকটি মন্তব্য দেখুন-
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় শেখ মুজিবের ভূমিকা অস্বীকার করা মানুষদের সম্পর্কে আহমেদ ছফা তীব্র ও স্পষ্ট ভাষায় লিখেছিলেন :
আপনি সামরিক শাসক জিয়ার শাসনামল সন্মন্ধে জানতে চেয়েছিলেন, যদি সময় করতে পারি তা নিয়ে একদিন লিখবো ইনশাল্লাহ। আপাতত নিচেরটুকু দেখেন-
১৯৭৫-এর ২৪শে অক্টোবরে সেনাপ্রধানকে পদচ্যুত করে উপসেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান।
বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ৪ মাস পর ,৭২এর ঘাতক দালাল আইন বাতিল।
১৯৭৬-এর ২৯ শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক।
১৯৭৭ এর ২১ শে এপ্রিল আবার সায়েমকে সরিয়ে নিজে রাষ্ট্রপ্রধান।
৭৭ এ অবৈধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুমতি।
১৯৭৭-এর ৭ই মে তে খুনিদের ক’জনকে পদোন্নতি এবং পুনর্বহাল।
১৯৭৮- নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ১৯৭১-এর ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ।
৭৭-এর হ্যাঁ না ভোট।
১৯৭৯- ৫ম সংশোধনীকে আইনে প্রণীত করে জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দ্বার রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট হাতে কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি।
ঘাতক দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মুক্তি , যাদের মধ্যে ৭৫২জন দন্ডপ্রাপ্ত।
তারপর ক্যু পালটা ক্যু, শত শত সৈনিককে বিচারের নামে হত্যা, সিপাহি বিপ্লব, জেলহত্যা, তাহের হত্যা এ সব অন্য সময় বলা যাবে।
বড়ো কিছু করতে হলে আবেগ জিনিষটি খুবই দরকারী কিন্তু বিবেচনাহীন বিশুদ্ধ আবেগ দিয়ে বেশীদূর যাওয়া যায় না। একজন প্রাইমারী পাশ ছেলে যদি পিএইচডি রিসার্চ করার প্রপোসাল পেশ করে তবে মানুষ একটু দ্বিধান্বিত হতেই পারে।
এই লেখার লেখকের আমেরিকার ইতিহাস, সমাজতন্ত্র কোন কিছু নিয়েই নুন্যতম কাজ চালানোর মতো জ্ঞান নেই। জর্জ ওয়াশিংটন কি করেছিলো, আব্রাহাম লিংকনকে কেনো আমেরিকার সেরা প্রেসিডেন্ট ধরা হয় এসম্পর্কে তার কোন জানাশোনা নেই। আমেইরাকয় কোনো জাতির পিতা নেই। স্বাধীনতার সময়ের বড়ো বড়ো দিকপালদের বলা হয় founding fathers. সে লিংকনের গেটিসবার্গ স্পীচকে অর্থনৈতিক শোষন ও বৈষমের বিরুদ্ধে বক্তৃতা মনে করে (সম্ভবত লিংকনকে বাকশালের স্বপ্নদ্রষ্টাও মনে করে) লেখার প্রতিটি লাইনে তার অজ্ঞতা স্পষ্ট।
টমাস মুর এর ইউটোপিয়া শব্দটি যে গত কয়েক শতক ধরে অবাস্তব, কল্পনাবিলাসী স্বপ্ন হিসেবে বলা হয় এটো তার ধারনা নেই। শেখ মুজিব কে ইউটোপীয়ান বলে যে সে শেখ মুজিবকেই বাশ দিচ্ছে এই জ্ঞানটুকু তার নেই।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিজ (Calvin Coolidge) কে বলছে কেলভিন কুলিডজ।
ফিলাডেলফিয়া কে লিখেছে ফিলাডেলপিয়া। ল্যা সাল (la Salle ) বিশ্ববিদ্যালয়কে বলছে লা সাল্লে। সবার জানা পেন স্টেট ( Penn State) বিশ্ববিদ্যালয়কে বলছে প্যান স্টেট।
এগুলো লিখতে যেয়ে বানান ভুল নয়। এগুলো হলো লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিন্দুমাত্র পূর্বজ্ঞান না থাকার কারনে ভুল।
এই রকম জ্ঞানীর হাতে শেখ মুজিবের আদর্শ প্রচারের ভার থাকলে যারা মুজিবকে বাংলার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়, তাদের আর কিছু না করলেও চলবে।
@সফিক,
— নির্দিষ্ট করে বললে ভাল হত! আমি কি ইতিহাসের কোন ভুল ব্যাখ্যা বা উপস্থাপন করেছি? ওয়াশিংটনকে ” Washington was hailed as “father of his country” even during his lifetime.” (Ref:Wikipedia<) এবং
— লিংকন সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই কি দেখে আপনার এমন ধারণা হল? বলে বাধিত করবেন।
— আমার উপরোক্ত কোন কিছুর সম্পর্কে ন্যুনতম জ্ঞান চলনসই জ্ঞান নেই কোন জ্ঞান দিয়ে বুঝতে পারলেন একটু জানাবেন, আমারও আপনার মত জ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা।
— আমিও ইউটোপিয়া সম্পর্কে তাই বলেছি। ভুল কি বললাম? বুঝলাম না!!
— আর আপনি একটু ১৯৭১-৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর নেয়া পদক্ষেপ, ৬ দফা, ৭ মার্চের ভাষণ, তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ আরও কিছু পরলেই বুঝতে পারবেন বঙ্গবন্ধু কি বাংলাদেশের একমাত্র ইউটোপীয়ান রাজনীতিবিদ ছিলেন কিনা।
— আপনি এতটুকুন মন্তব্যে ‘এটো’ , ‘বৈষমের’, ‘প্রপোসাল’ , ‘আমেইরাকয়’; মাতৃভাষা এবং বিদেশী ভাষার বাংলা বানানের ভুল প্রয়োগ করেছেন যা আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার ব্যস্ততার জন্য হয়েছে না হয় আপনার মত জ্ঞানী লোক বিদেশীভাষার বাংলা উচ্চারন নয় সাক্ষাৎ মাতৃভাষার এমন ভুল হবে কেন?
— অযাচিত তীর অন্যের দিক ছুঁড়ে দিলে নিজের দিকটাও অনিরাপদ হয়ে পরে।
— ধন্যবাদ আপনাকে ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্যে বানানগুলো ঠিক করে দিব।
—বৃক্ষের পরিচয় ফলে, বিফলে নয় আর সারাদেশ কাকে চেয়ে গেলেও জাতীয় পাখি দোয়েল থাকবে…
@সফিক ভাই,
ঠিকই বলেছেন, বিবেচনা-সম্পন্ন বিশুদ্ধ আবেগ সবাই আবার ধারণ করতে পারে না, পারলে সবাই জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক হয়ে বেশিদূর যেতে যেতে একেবারে চীন অবধি পৌঁছে যেতে পারত!
কি আর করা, পিএইচডি করা সোনার ছেলেরা যে চীনে যেয়ে বসে আছে, তো সেক্ষেত্রে প্রাইমারি পাস ছেলেদেরই কিছু রিসার্চ প্রজেক্ট হাতে নিতে হয়! এই আর কি!
এত খাসা একটা কথা না, সফিক ভাই, বহুদিন শুনিনি! ঈদের এত্ত দিন পরেও আপনি ঈদের আমেজ ফুরোতে দিচ্ছেন না……..ঠিকই তো বলেছেন, আপনি, জাতির পিতা একজনই হয়! আর ফাউন্ডিং ফাদারস্ তো অনেক পিতার কথা বলে, তাই আমেরিকায় জাতির পিতা থাকে কি করে? কি সাঙ্ঘাতিক একটা অসংগতি তুলে ধরেছেন, সফিক ভাই! কারুরই চোখে ধরা পড়ত না এমনতরো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিভ্রমগুলি! আপনার জ্ঞানের প্রতি আগেই ভক্তি ছিল, আজ যে আরও বাড়িয়ে তুললেন!
না স্বীকার করে নিলে অন্যায় হবে, পার্ফেকশনের এক নতুন মাস্টারের জন্মমুহূর্ত অবলোকন করছি আমরা! দুনিয়াজোড়া মানুষ ইউটোপিয়া, ইউটোপিয়া করে অস্থির হয়ে যায়, অথচ তারা বুঝতেই পারে না, এ তো সম্ভব নয় কখনো, এ তো শুধুই কল্পনাবিলাস! খুব ভাল একটা কাজ করেছেন, সফিক ভাই, এখন যদি মানুষের ইউটোপিয়ান রাজ্য গড়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়! খামোখা কেন এমনতরো ভুতুড়ে অবাস্তব রাজ্য গড়তে চাইবে মানুষ? মানে হয়? এর চেয়ে বরং আমরা জ্ঞ্যানুসন্ধানে চীনে যেতে পারি, তাহলে যদি বাস্তবের খাল কাটার দুনিয়ায় ফিরে আসতে পারি! সবচেয়ে ভাল হয় মানুষের স্বপ্ন দেখাটা বন্ধ করে দিলে, তাই না, সফিক ভাই?? মানুষ কেন যে স্বপ্ন দেখে???
আবারো ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে দিলেন, সফিক ভাই! আপনি মুজিবের বিলুপ্তির শংকায় শংকিত??? কিন্তু কেন আপনি এই ভয় করছেন??? আপনি জানেন, মুজিবের নামে টয়লেট করাই শুধু বাকি (হয়ত হয়েও গেছে)!………………..
আসলে মুজিবের আদর্শ প্রচারের ভার কোন জ্ঞানিদের হাতে ন্যস্ত করতে চাচ্ছেন??? যারা জ্ঞানের ভর সহ্য করতে না পেরে …. পরিণত হয়েছেন??? বাংলাদেশের এক তরুণ (যত কমই হোক না কেন, তার পড়াশুনো) বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মুজিবকে নিয়ে গবেষণা করতে চাইছেন, খুঁজে বের করে আনতে চাইছেন তার সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো, যা সম্ভব করে তুলেছিল বাংলাদেশের অভ্যুদয়, যা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের চির-চেনা অবয়বকে, এবং যখন এই তরুণটি দাবি করছেন, তিনি ইতিহাসের প্রতি নির্মোহ থাকবেন, চাটুকারদের পথ পরিহার করে চলবেন, তখন এই তরুণটিকে থামিয়ে দিয়ে আপনি মুজিবকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছেন????? যখন মুজিবের বাকশাল, দুর্ভিক্ষ, স্বৈরশাসন, ভারত-তোষণ নিয়ে গাদা গাদা লেখা রয়েছে, তখন তাতেও আপনাদের মন ভরছে না?? বাংলাদেশের এক তরুণ মুজিবকে নিয়ে লেখা শুরু করলে, তাকে বাধ্যতামূলক জন্ম দিতে হবে মুজিবের আরেকটি কালো যুগের???? কম তো লেখা হয়নি এমন কালো যুগের কালো কালো কথা? নাকি, মুজিব আমলের বিষ্ঠা খাইয়ে মানুষের পেট ভর্তি না করলে আপনার চলছে না???
@কাজি মামুন,
ইউটোপিয়া ব্যাপারটা নিয়ে একটু খোজখবর করলেই জানতে পারতেন কেন সফিক ভাই ঐ কথা বলেছেন। পোস্ট সংক্রান্ত আলোচনা করলে সবার আগে আমি এই ব্যাপারটাই উল্লেখ করতাম। ২০১৩ সালে এসে একজন লেখক কীভাবে ইউটোপিয় সমাজ ব্যাবস্থার কথা বলে সেটা একটা রহস্য! এমন না যে করলে কোন দোষ হয়ে যাবে। একটা উদাহরন দিলে ভালো হবে। ইথারের যে কন্সেপ্ট আছে, সেটা যদি এই একবিংশ শতাব্দিতে কেউ নতুন করে ফিরিয়ে আনতে চায়। তাতে করে তার সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটে কিন্তু একটা ব্যাপার জানা যায়, তাহল, ইথারের পরে যে অগ্রগতি হয়েছে সে ব্যাপারে সে অবহিত নয়।
বিরোধিতা করার আগে একটু মাল মশলা জোগার করে নিলে ভালো হত না? 🙂
@সাইফুল ভাই,
আমি ইউটোপিয়া সম্পর্কে তেমন জানি না, আপনি পরামর্শ দিয়েছেন যেহেতু, তাই জানার চেষ্টা করব নিশ্চয়ই।
কিন্তু ইউটোপিয়া সেই ছেলেবেলা থেকে আমার প্রিয় একটা শব্দ, যখন থেকে এই শব্দটার মানে শিখেছি। এইটা যেন একটা স্বপ্নের জগত! আমার খুব প্রিয় শব্দগুলির একটা।
দেখুন সাইফুল ভাই, আমাদের তরুন লিংকন ভাই, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা প্রজেক্টে হাত দিয়েছেন, আলোচ্য ব্লগটিতে উনি তেমন কিছু লেখেননি, কিন্তু লেখার প্রমিজ করেছেন, একই সঙ্গে প্রমিজ করেছেন, চাটুকারবৃত্তি এড়িয়েই উনি আমাদের জন্য কিছু লিখবেন।
উনার মন্তব্যগুলো দেখুন, উনি আকুলভাবে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন, কোন কদর্য কাদা ছোঁড়াছুড়ি যেন না হয়, উনি তো এখনো কিছু লেখেননি, উনি লেখা শুরু করলে না হয় বিতর্ক করা যাবে মনের সাধ মিটিয়ে!
আমাদের চারপাশ তাকালে কি দেখতে পাই আমরা? তরুনেরা হয় দলবাজি, চাদাবাজি, সন্ত্রাসবাজি করে বেড়াচ্ছে, নয়ত ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে! এই যখন অবস্থা, তখন একজন তরুণ (ধরুন, তার আনকোরা বা অনভিজ্ঞ হাতেই) ইতিহাসের বিশাল একজন ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে গবেষনা করতে চাইছেন (ধরুণ না, বঙ্গবন্ধুর পজিটিভ দিকগুলো নিয়েই তার যত উৎসাহ), চিন্তা করতে চাইছেন, লিখতে চাইছেন; কিন্তু কি স্বাগত জানালাম তাকে আমরা? লিংকন ভাইয়ের কি সামান্য উৎসাহ, প্রেরণা প্রাপ্য ছিল না? লেখা শুরু করতে না করতেই সফিক ভাই যেসব বাক্যবর্ষন করলেন, তা কি একটি তরুনের আগ্রহের প্রদীপ নিভিয়ে দিতে যথেষ্ট না?
আর ইউটোপিয়ার কথা বললেন না? আমরা সবাই কিন্তু জানি, স্বর্গ ওপারে……….তবু আমরা সবাই তো একটা স্বর্গই চাই, এই পৃথিবীর বুকে, তাই না? মিথ্যে বললাম?
পৃথিবীটা কখনো স্বর্গ হবে না, কিন্তু তবু দুনিয়াজোড়া মানুষ স্বর্গ তৈরি করতেই চাইবে, আর এই চাওয়াটারও কিন্তু দাম আছে, কারণ স্বর্গ না হলেও মানুষের এই অন্তহীন স্বর্গ রচনা করার ব্যাকুলতা পৃথিবীটাকে আর যাই হোক সাক্ষাৎ নরকে পরিণত হওয়া থেকে বিরত রাখে!
শেষ পর্যন্ত পৃথিবীটা পৃথিবীই থেকে যায়, ভাল-মন্দের, কাদা-মাটির এক আশ্চর্য জগত, কিছু স্বাপ্নিক মানুষের তাতে কিছুটা হলেও থাকে অবদান!
@কাজি মামুন,
(Y) (Y) :guru: :guru: :guru: :guru: :guru:
(F) :clap :clap :clap
@সফিক,
জি একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন।তবে আসেন আমরা দেখি যে বিবেচনাহীন বিশুদ্ধ আবেগ
কাকে বলে।যেমন অন্য পোষ্টে করা একটি মন্তব্যে আপনি বলেছেন যে,
যদিও আপনি এখনও পর্যন্ত এর পক্ষে কোন যুক্তি দিতে পারেন নি।শুধুই বিবেচনাহীন বিশুদ্ধ আবেগ নিয়েই কথাটা বলেছেন।
এটাও কতটা আবেগহীন কথা সফিক সাহেব? মানুষকে তুচ্ছ্য তাচ্ছিল্য করাটা আপনার স্বভাবে পরিনত হয়েছে। তা নিজেকে কি ভাবেন আপনি? সর্ববিদ্যায় বিদ্বান?সমস্যা কি লেখকের যদি উপরোক্ত কোন জ্ঞান না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি তো আছেনই শিক্ষক। উনাকে জ্ঞানের সবক দিন।
অথবা অপদার্থ লেখকের লেখাকে বর্জন করুন। কেন খামাখা নির্বোধের রচনার পিছনে নিজের মহা মুল্যবান সময় অপচয় করছেন; পৃথিবী আপনার কাছে অনেক ভাল কিছু আশা করে। তবু এক জ্ঞানহীনের লেখায় কষ্ট করে আলোচনা করতে এসেছেন কি কিছুটা জ্ঞানের ঝলক লোকদের দেখাতে?যে জ্ঞানের ভারে আপনি নুয়ে পড়ছেন?
বাহ বাহ মুজিবের প্রতি আপনার দরদ দেখি উথলে উঠছে। এযে দেখি শকুন কাঁদে গরুর শোকের মত অবস্থা।তো মুজিব মুছে গেলে তো আপনারই ভাল। আপনার রাস্তা ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে জিয়াকে শ্রেষ্ঠতর প্রশাসক হিসাবে দেখানোটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আর ভিন্ন ভাবে দেখলে বোঝা বলা যেতে পারে যেহেতু লেখক অজ্ঞানী কাজেই মুজিবকে বাংলার ইতিহাস থেকে যারা মুছে ফেলতে চায়, কি করে তাদের প্রতিহত করা যাবে একটু সেই রাস্তা বাতলে দিচ্ছেন না কেন? আমরা মুর্খরাও তাহলে একটু শিখতাম।
তা না করে অযথা জাজমেন্টাল মন্তব্য করে কি উদ্ধার করে দিচ্ছেন সবার?
জানি উত্তর পাব না তবু কথাগুলো বললাম। ভাল থাকেন।
শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে কোন ভাল বিশ্লেষনাত্বক লেখা আছে?
ইন্টারনেটে তেমন লেখা পাই নি।
১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে একের পর এক ক্যু হয়েছে-স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সবাইকে কোতল করা হয়েছে। এই নিয়ে ভাল বিশ্লেষন কোথাও আছে? কেও আমাকে জানালে ভাল হয়।
১৯৭৪-৭৫ এর আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ও পরিস্কার না -আমার সোর্স বলছে হাঙ্গার ইন্ডেক্স বেড়েছে, দুর্ভিক্ষ ছিল সারা বাংলাদেশে, রাষ্ট্রায়ত্বকরনের জন্য শিল্পের উৎপাদন তলানীতে।
১৯৭৫ সালে র এর লোকেরা বার বার করে সাবধান করেছে শেখ মুজিবকে, যে আর্মি কু আসন্ন। খোন্দাকার মোস্তাকের ব্যাপারে যদ্দুর জানি একদম আগস্ট মাসেও বিরাট সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। শেখ সাহেবের উত্তর ছিল, আমাকে কে মারবে। অবস্থা এতটাই বাজে ছিল, আগস্ট মাসে শেখ সাহেবকে বাঁচানোর জন্য ইন্দিরা গান্ধী নিজে ঢাকায় আসার প্ল্যান করছিলেন মুজিবকে বোঝানোর জন্য। কারন জুলাই মাসে র প্রধান কাউ দুবার নিজে এসেছিলেন শেখ সাহেবকে বোঝাতে। বিধি বাম। ইন্দিরা মুজিবের মৃত্যুর আগেই কাউ এর কাছে আক্ষেপ করেছিলেন, শেখ সাহেবকে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাঁচিয়েছিলাম । কিন্ত তার নিজের দেশের কাছ থেকে আর বাঁচাতে পারলাম না ।
ঢাকা তখন সিয়া, কেজিবি র আই এস আই ইত্যাদি সব ফরেন ইন্টালিজেন্সের চারণভূমি। ঢাকার মিলিটারি এবং পলিটিক্যাল জুন্টা দুহাতে কামিয়েছে ফরেন ইন্টালিজেন্সের কাছ থেকে। এসব নিয়ে ডিটেলেসে লেখা আছে কোথাও?
@বিপ্লব পাল,
আপনার ধারনা মোটামুটি ঠিকই আছে। অবস্থা এমন ই ছিল আসলে। মুজিব কে নিয়ে বাংলাদেশের মুন্তাসির মামুন এর একটি বই আছে ‘ইতিহাসের আলোকে শেখ মুজিবুর রহমান” ,এ ছাড়া আছে গোলাম মুর্শিদের কিছু বই। সেখানে কিছু ধারনা পাওয়া যায়। তবে মুজিবকে কেন প্রাসঙ্গিক রাখতে হবে তা কিন্তু ভিন্ন প্রশ্ন। মুজিব কি স্বৈরাচারী ছিলেন বা হতে চেয়েছিলেন?। এর উত্তর বাকশাল দিয়ে দিতে গেলে উত্তর আসবে “হা”। কিন্তু মুজিবের অতীত রাজনীতি নিয়ে উত্তর দিতে গেলে উত্তর আসবে “না”। ৫০ এর দশকের মাঝামাঝি পূর্বপাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের অধীনে মুজিব মন্ত্রী ছিলেন, আওয়ামীলীগের সভায় প্রস্তাব পাস করা হয় যিনি মন্ত্রী থাকবেন দলের পদে থাকতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান সহ সবাই দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে মন্ত্রিত্ত ধরে রাখেন। একমাত্র মুজিব মন্ত্রিত্ত থেকে পদত্যাগ করে দলীয় পদ ধরে রাখেন, তখন মুজিব তরুন,ভাগবাটয়ার এ যান নাই। আর এ ছাড়া মানুষ চায় মুজিবের মাজে গান্ধীর মত গুরুজি, আব্রাহাম লিঙ্কনের মত দূরদর্শিতা, লেনিন এর মত ইস্পাত কঠিন মনোবল, মাওসেতুং এর মত নিষ্ঠুরতা, মেন্ডেলার মত উৎসর্গ। জানি না একজনের মাঝে এত গুন থাকা সম্ভব কি না!, তবে মুজিব পাকিস্তানের প্রধান্মন্ত্রির পদের লোভ ত্যাগ করেছিলেন। ৬ দফার সাথে বেঈমানি করলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। আর হলে কেউ ই কিছু করতে পারত না। শুধু এ জন্যেই মুজিব সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। কারন বাঙালির ইতিহাস ত দালালি আর পা চাঁটা। সেখান থেকে বের হয়ে আসা ই বাঙালির রেনেসাঁ।
@সপ্তক,
অনবদ্য বলেছেন (Y) (Y) (Y)
@সপ্তক, :clap :guru:
আপনি কি গেটিসবার্গ স্পীচ আদৌ কখনো পড়া দেখেছেন? এই স্পীচে আব্রাহাম লিংকন আমেরিকানদের অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছেন এই তথ্যটি কিন্তু আমেরিকার ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলবে। এর আগে এই ইন্টারপ্রেটেশন কেউই করতে পারে নি।
Four score and seven years ago our fathers brought forth on this continent, a new nation, conceived in Liberty, and dedicated to the proposition that all men are created equal.
Now we are engaged in a great civil war, testing whether that nation, or any nation so conceived and so dedicated, can long endure. We are met on a great battle-field of that war. We have come to dedicate a portion of that field, as a final resting place for those who here gave their lives that that nation might live. It is altogether fitting and proper that we should do this.
But, in a larger sense, we can not dedicate — we can not consecrate — we can not hallow — this ground. The brave men, living and dead, who struggled here, have consecrated it, far above our poor power to add or detract. The world will little note, nor long remember what we say here, but it can never forget what they did here. It is for us the living, rather, to be dedicated here to the unfinished work which they who fought here have thus far so nobly advanced. It is rather for us to be here dedicated to the great task remaining before us — that from these honored dead we take increased devotion to that cause for which they gave the last full measure of devotion — that we here highly resolve that these dead shall not have died in vain — that this nation, under God, shall have a new birth of freedom — and that government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earth.
@সফিক,
আমি জানি না আপনি আমাকে কি ভেবেছেন! তবে আপনার লিখার বা প্রশ্ন করার স্টাইলটা কতটা অসৌজন্যমুলক হয়েছে সেই আলোচনায়ও যাব না!! তিনটা প্রশ্ন করবঃ
১) দ্বিতীয় প্যারার <strong>” We have come to dedicate a portion of that field, as a final resting place for those who here gave their lives that that nation might live. It is altogether fitting and proper that we should do this.” এই অংশ থেকে আপনি কি বুঝেছেন?
২) তাবৎ দুনিয়া যখন সরকারকে বা এমনকি গনতন্ত্রকে সাধারণের অধিকার রক্ষায় সবচে বড় হাতিয়ার প্রমান করতে এই সংজ্ঞাটা ব্যবহার করেন তখন এর অর্থ কি বুঝায়? “government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earth.”
৩) ৩য় প্যারার এই কথায় আপনি ঠিক কি বুঝেছেন “But, in a larger sense, we can not dedicate — we can not consecrate — we can not hallow — this ground. The brave men, living and dead, who struggled here, have consecrated it, far above our poor power to add or detract. The world will little note, nor long remember what we say here, but it can never forget what they did here. ” একটু বুঝিয়ে দিবেন!!
মানুষের বুঝার ভুল হতে পারে, সবার জ্ঞানও এক না। আমি ভাই খুবই মূর্খ মানুষ… কিছু উদ্যোগের কথা বলতে এসেছি। লেকচার ঝাড়তে আসি নি… সবচে মঝার ব্যাপারকি জানেন আপনার প্রশ্নটা ১০০% অপ্রাশঙ্গিক… লিখার মুল চেতনা বা বিষয়বস্তুর সাথে কোন সম্পর্ক নেই!! আমি যে কারণে আমেরিকার দুই প্রেসিডেন্টের সমান অর্জন একা আমাদের এক বঙ্গবন্ধু করেছেন সেই উপমায় কোন ভুল বা যথেচ্ছাচার নেই…
ধন্যবাদ আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্যে!!!
@সফিক ভাই,
ঠিক বুঝলাম না। আর সবাই সবার মত সবটা বুঝবে, তাও তো না………কিন্তু সব বাদ দিন, শুধু এই সুবিখ্যাত ”that government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earth” লাইনটিতে কি অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন উপস্থিত নেই?
দয়া করে বলবেন, ‘অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন’ কাকে বলে????
@কাজি মামুন, government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earthএটা সরাসরি গনতন্ত্রের কথা বলছে যেখানে সরকার জনগন দিয়ে, জনগনের দ্বারা, জনগনের জন্যে গঠিত। এখানে অর্থনীতির কোন কথা নেই। আমেরিকা প্রথম থেকেই পুজিবাদী অর্থনীতির উপরে প্রতিষ্ঠিত যেখানে ব্যাক্তি সম্পদের মালিকানাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
পুজিবাদী অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণ থাকবেই। যদি না বৈষম্য ও শোষণ এর নতুন কোন সংজ্ঞা বের করেন।
@সফিক,
ও এই সমস্যা?
আপনি নিশ্চয় জানেন যে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক শোষণমুক্ত শ্রেণী বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্ব শর্ত!! আমি নিশ্চয় হিমালয়ের বেসক্যাম্পে না গিয়ে চূড়ায় উঠতে পারব না… দর্শন আর সরকার বা রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শিক বিবর্তন পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝা যায় যে গণতন্ত্র বা অন্যযেকোনভাবে পুঁজিবাদ সফল হওয়ার আগে বা চরমে পৌছার আগে সমাজতন্ত্রের চিন্তা বাহুল্য মাত্র…
আমি আপনাদের দুজনকেই এমন অপ্রাশঙ্গিক আলোচনা না করতে অনুরোধ করছি! প্লিজ, পারলে বর্তমান ইস্যুকে বা প্রস্তাবটিকে পরামর্শ-উপদেশ বা দিকনির্দেশনা দিয়ে হেল্প করুন…
ধন্যবাদ…
@তারিক লিংকন,
সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পর্কে আপনার দেয়া তথ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হবার সম্ভাবনা রয়েছে যার জন্য ঠিক করে দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হবার জন্য একটা দেশ বা বলা ভালো একটা দেশের অর্থনীতি পুজিবাদের শিখরে উঠতেই হবে এমন কথা বলা ভুল। আর এর সবচাইতে বড় উদাহরন রাশিয়া বিপ্লব।
বিপ্লবের সময় রাশিয়ার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট কি পুঁজিবাদী ছিল? তা কিন্তু নয়। বিপ্লবের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যে কোন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতেই বিপ্লব হতে পারে। লেনিনই সেটা করে দেখিয়েছেন। 🙂
মুজিবকে নিয়ে আমার কোন হুতাশন নেই বলে আপনার পোস্ট সংক্রান্ত কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই!! অনেক কিছু বলার ছিল!! আমি কিছুই বলতে চাই না… ত্যানা পেঁচানো আমার পছন্দ না…
আমি কথায় না কাজে বিশ্বাসী!! এরশাদও সাধু সাজতে পারে, আসিফ নজরুলও সুশীল হতে পারে;
এমন গলাবাজদের দরকার নাই, কাজের ছেলে দরকার!!
এই দেশকে নিয়ে কাজ করার প্রেরণা দেয় একজনই, তিনি বঙ্গবন্ধু…
ভাল থাকবেন… ধন্যবাদ…
@তারিক লিংকন,
মুজিবকে নিয়ে আপনার গদগদ ভাব থাকতেই পারে এবং সেটাকে সংগঠন করে উৎসবও করতে পারেন। কিন্তু তারমানে এই না এই গদগদ উৎসবে আমাকেও সমর্থন এবং হাজিড়া দিতে হবে। আমি মন্তব্য করেছিলাম আপনার দেয়া একটা ভুল তথ্য সঠিক করে দিতে। আর যেহেতু আপনার পোস্টে মন্তব্য করছি সেহেতু কেন পোস্টের বিষয় নিয়ে কথা বলছি না জানানোর জন্য বলেছি মুজিবকে নিয়ে আমার কোন হা হুতাশ নেই বলেই বলছি না। আপনার কেন মনে হল আপনাকে আমি ত্যানা প্যাচানোর প্রতিযোগীতায় আমন্ত্রন জানিয়েছি? নাকি মুজিবকে নবী না মানলে সেটা বলার অধিকার আমার নেই? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
নবী ধারণাটাই ফালতু…
আমি না তাবৎ দুনিয়া তাঁকে কবি বা ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বলেছে!!
আমি তাঁকে বাংলার রাজনীতির কবি মানি!! ব্যাস…
আমি সেই প্রেরণায় কিছু প্রস্তাব বা আইডিয়া দিব আগামী পর্বগুলোতে!!
পারলে এই বিষয়ে কোন পরামর্শ দিয়ে হেল্প করেন! নীতিবাক্য আর জ্ঞান আর বাড়িয়ে লাভ নেই আমার দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আগে দূর করুন আর একজনই এমন ঐকান্তিক চেষ্টা করেছিলেন স্বাধীন বাংলায় তিনিই বঙ্গবন্ধু… ধন্যবাদ!!
@তারিক লিংকন,
আপনাকে আমি নীতিবাক্য বা জ্ঞ্যান কোনটাই শোনাতে আসি নি। আপনার ভুল রিডিং এটা। এবং সেই ভুল রিডিং-এ সাহায্য করেছে মুজিবকে কেউ আপনার মতন ঐশ্বরিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে নাও দেখতে পারে এই ব্যাপারে ধারনা না থাকার কারনে। যদি রাজনীতির কবিই হন তাহলে কবি শেখ মুজিবের মাস্টারপিস মহাকাব্য “বাকশাল” নিয়ে কিছু করছেন না কেন?
@সাইফুল ভাই,
মুজিবের মাস্টারপিস ‘বাকশাল’ নিয়ে আপনার আরও জানার আছে? মুক্তমনাতেই তো অনেক আর্টিকেল পাবেন। চাই কি সফিক ভাই আপনাকে গাদা গাদা রসদ যোগাতে পারবেন।
অথবা, বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আপনার বিস্তর ইন্টারেস্ট, আপনিও কিছু লেখা নামিয়ে ফেলতে পারেন। তারিক লিংকন ভাইকে খামোখা এর ভিতর টানাটানি কেন? নাকি, তারিক লিংকন ভাইয়ের কাছ বাকশালের কু-কেচ্ছা না শুনলে আপনার হচ্ছে না?
দেখুন, সাইফুল ভাই, আপনি যদি মুজিবকে মহামানব বা পয়গম্বর নাও মানেন (যদিও একসময় আপনার মোহ ছিল), এইটা তো মানবেন যে, উনি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের একজন আলোচিত ব্যাক্তিত্ব । তো উনার যদি হাজারটা সমালোচনা বা ওর্স্টপিস থাকে, তাহলে পাশাপাশি কিছু মাস্টারপিস্ও আছে, তাই না? সেক্ষেত্রে কেউ যদি মাস্টারপিস্ নিয়ে আগ্রহী হয়, তার আগ্রহটা গলা টিপে মেরে ফেলতে চাইছেন কেন? আপনি না লেখার স্বাধীনতার পক্ষে অনেক জ্বালাময়ই ব্লগের জন্ম দিয়েছেন?
আপনি তো মোহাবিষ্ট নন, তাহলে মুজিবের ভাল দিকগুলো নিয়ে কেউ কিছু লিখলে বা উদ্যোগ গ্রহণ করলে, আপনি ক্ষেপে উঠছেন কেন? বা, একজন তরুণ লেখককে থামিয়ে দিতে চাইছেন কেন? এই করে কি, আপনি আপনার চরমপন্থি বা অসহিষ্ণু নীতির পরিচয় দিচ্ছেন না?
দুর্বিনীত হলে মাফ চাইছি!
@কাজি মামুন,
বাকশাল নিয়ে আগ্রহ বাঙলাদেশী যেকোন রাজনীতি, ইতিহাস সচেতন মানুষেরই থাকার কথা। আমারও আছে। কিন্তু আমি সেটা আপাতত লিংকনের কাছে জানতে চাচ্ছি না। কারন তাকে তার যোগ্য মনে করছি না। বাকশালের কথা তুলতেই তার এবং আকাশ মালিকের(আমি স্বভাবমতন নাম ধরেই বলি, সর্বনামের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করার আমার হয়ে ওঠে না। খেয়াল করলে দেখবেন আমাকে এখানে “তারা”, “নিমকহারাম” বিশেষনে বিশেষায়িত করে খুব একচোট হেসে নিচ্ছে! বাপের ব্যাটা একেকটা।) রিএকশন দেখলেই বোঝা যায়, মোহাম্মদ কার সাথে, কোন রাতে, কতবার পোন্দাপুন্দি করেছে সেই ব্যাপারে তাদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও, মাওলানা মুজিবের করা আকাম সম্পর্কে তাদের আপাতত কোন বক্তব্য নেই। কারন মোহাম্মদের ক্ষেত্রে ভুলে গেলেও অন্য সমস্ত জায়গাতে তারা বেশ ভালোভাবেই জানে যে গু ঢেকে রাখাই পরিবেশে জন্য মঙ্গলকর।
যাই হোক, এই পোস্টে এত কথা বলতে হবে এই চিন্তা আমার ছিল না, তাহলে পোস্টে যে সমস্ত হাস্যকর দলবাজির ব্যাপার স্যাপার আছে সেগুলো পয়েন্টআউট করে পোস্ট সংক্রান্ত মন্তব্যই করতাম। আমি এসেছিলাম, সমাজতন্ত্র সম্পর্কে না জেনেও লিংকন যেভাবে বিপ্লবের তরিকা দেখাচ্ছিল সেটা যে ভুল জানানোর জন্য। আপনি আমার প্রথম মন্তব্য দেখলেই বুঝবেন। ঐ মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যটা খেয়াল করুন। লিংকন আমাকে ত্যানা প্যাচানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছে। আপনি আমার করা মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য দেখলেই বুঝবেন এখানে আমি পোস্ট সংক্রান্ত আলোচনার জন্য আসি নি, কারন যে মুজিবের নামে শুধু পাবলিক টয়লেট হওয়া বাকি তাকে নিয়ে নতুন করে মাতামাতি আমার কাছে করুনার যোগ্য চিন্তাভাবনা মনে হয়।
এবার আপনার কথার সূত্রে বলি, তারমানে কি আমি মুজিবকে পোস্টের লেখক এবং লেখককে পিঠ চাপড়ে দিতে যে মোসাহেবদের আগমন ঘটেছে তাদের চিন্তামতন অপছন্দ করি? উত্তর হল, না। কারন বাঙলাদেশের ইতিহাস মুজিবকে ছাড়া কোনভাবেই সম্পূর্ন না। তাহলে লেখকের সাথে এবং তার মোসাহেবদের সাথে আমার পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য এখানেই যে, আমি একজন মুজিবকেই সমস্ত ইতিহাসের ক্রেডিট দিতে নারাজ। এর অনেক কারন রয়েছে সেই আলোচনায় এখন না গেলেও মনে হয় দোষ হবে না। এই হল আমার পয়েন্ট।
সেতো তার মতামত প্রকাশ এবং পাঠকদের ফিডব্যাক চাইতেই পারে। সেখানে তো আমার কোন দ্বীমত নেই, নাকি আমার দ্বীমত থাকলেই কিছু আসবে যাবে?
আবারও মনে করিয়ে দেই, আমার প্রথম মন্তব্যেই বলেছি যেহেতু মুজিব সম্পর্কে আমার কোন হা হুতাশ নেই যার জন্য আমি পোস্ট সংক্রান্ত কোন মন্তব্য করছি না। শুধু লেখকের দেয়া ভুল তথ্যটুকু শুধরে দিচ্ছি। তিনি তার ভুল স্বীকার না করে আমাকেই উলটো প্যাচানো ত্যানা প্রস্তুতকারক হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। শুধুমাত্র এই কারনেই অন্যান্য কথাগুলো এসেছে। নইলে প্রথম মন্তব্যের পরে আমার বাকি বলার কিছুই ছিল না।
বোঝাতে পারলাম কি?
@সাইফুল ইসলাম এর জবাব:
আগস্ট ১৬, ২০১৩ at ১১:১১ অপরাহ্ণ
১) নিমকহারাম শব্দটি যখন প্রথম আমি বলি তখন সময়ঃআগস্ট ১৫, ২০১৩ at ১০:৩২ অপরাহ্ণ;
আর বাক্যটি ছিল এমনঃ “বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ রাখে না এমন নিমকহারাম দেশে আছে জানতাম তবে মুক্তমনায় কীভাবে থাকে আমার বোধগম্য নয়!! “;
এদিকে আপনার প্রথম মন্তব্যের সময় “সাইফুল ইসলাম এর জবাব: আগস্ট ১৬, ২০১৩ at ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ”।
এখন বলুন আপনার
— এমন রিএকশন কেন?
নাকি ‘ধর্মীয় মৌলবাদ একটি নিরাময়যোগ্য মানসিক ব্যাধি’ এমন কিছু বললে বা প্রমান করলে শফি হুজুর চেইতা উঠে তেমন প্রতিক্রিয়া? জানাবেন…
২)
, এই পোস্টে এত কথা বলতে হবে এই চিন্তা আমার ছিল না, তাহলে পোস্টে যে সমস্ত হাস্যকর দলবাজির ব্যাপার স্যাপার আছে সেগুলো পয়েন্টআউট করে পোস্ট সংক্রান্ত মন্তব্যই করতাম। আমি এসেছিলাম, সমাজতন্ত্র সম্পর্কে না জেনেও লিংকন যেভাবে বিপ্লবের তরিকা দেখাচ্ছিল সেটা যে ভুল জানানোর জন্য। আপনি আমার প্রথম মন্তব্য দেখলেই বুঝবেন। ঐ মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যটা খেয়াল করুন। লিংকন আমাকে ত্যানা প্যাচানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছে। আপনি আমার করা মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য দেখলেই বুঝবেন এখানে আমি পোস্ট সংক্রান্ত আলোচনার জন্য আসি নি, কারন যে মুজিবের নামে শুধু পাবলিক টয়লেট হওয়া বাকি তাকে নিয়ে নতুন করে মাতামাতি আমার কাছে করুনার যোগ্য চিন্তাভাবনা মনে হয়।
ক) জয় বাংলা… জয় বঙ্গবন্ধু বললে দলবাজি হয় না…
খ) কে কি জানে কি জানেনা তা একটা মন্তব্যে বলে দিতে পারে শুধু শফি হুজুর আপনি আবার কোন ধরনের নবুয়াত প্রাপ্ত বুঝে উঠতে পারলাম না… আমার ৩/৪ মাসের ব্লগিয় জীবনে কখনও এমন বিদ্বেষমুলক তর্ক করিনি। আজই প্রথম কেননা আমি যেমন কুকুর তেমন মুগুর নীতিতে বিশ্বাসী…
গ) ক্রিকেট খেলার মাঠে নেমে আমি আসলে ব্যাট-বলের গুনগত মান নিয়ে বিচার করতে চাই না আমি এই ব্যাট আর বল দিয়ে খেলেই ম্যাচ জিততে চাই… আশাকরি বুঝাইতে পারছি ব্যাপারটা?
ঘ) এমেরিকায়ও খুবই ক্ষুদ্রবিষয় এমনকি মুদ্রা থেকে পাহাড় সর্বত্রই ওয়াশিংটন বা লিংকন… বা ভারতেও তাই… আমাদের নৃতাত্ত্বিক গুণাবলীও তেমন। তাই আপনি যদি বর্তমানকে বর্তমান দিয়ে মুকাবিলা করতে না চান তবে আপনি ব্যর্থ হবেন। আমাকে এই কৃষক-এই রিকশাওয়ালাকে দিয়েই তাদের মুখের অন্য যোগাতে হবে? আমি দিবাস্বপ্ন দেখাতে আসি নি…
ঙ) কাজটাই মুখ্য আমি রাম-সাম-যদু নাকি মধুকে উৎসর্গ করছি আপাতত তা না দেখলেও চলবে… আপাতত কাজ করতে দিন-পরামর্শ দিন।
৩) এইজন্যেই ত্যানা পেঁচানোর অভিযোগ করেছি কেননা আপনার কথাই বলি ‘ কারন বাঙলাদেশের ইতিহাস মুজিবকে ছাড়া কোনভাবেই সম্পূর্ন না।’ এইটা মেনেই আমি তাঁকে এই দেশের সবচে বড় প্রেরণাদায়ক নেতা মেনে কাজ করতে চাচ্ছি। আর আপনি কাজের দিকে না তাকিয়ে আমার কম প্রাশঙ্গিক ব্যাপারের যথার্থতা নিয়ে তর্ক করছেন।
৪) আপনি কোন ভুল তথ্য প্রকাশ করেছেন? যেইটাও তর্কসাপেক্ষ ভুল? নাকি কোন সার্বজনীন ভুলের খোঁজ পেয়েছেন? আমি বলি কি কোন কাজের সময় সহকর্মীরা কে মুসলিম-কে হিন্দু বা কে কোন ধর্ম মেনে বা আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন (মুক্তমনা বা যা বলতে পছন্দ করেন…) কেউ নিজের উপর বিশ্বাস থেকেই কাজটা ভাল করেছে তা কাজের সময় বিবেচ্য না। যখন আমি দর্শনের বা ধর্মীয় বিশ্বাসের তুলনামুলক গবেষণায় যাব তখনই কেবল আমি ওইসব বিষয় নিয়ে কথা বলব- বলতে চাই…
ভাল থাকবেন… ধন্যবাদ…
@সাইফুল ইসলাম,
বাকশাল আসলেই মহাকাব্য হত যদি প্রকাশিত হত!!!
আপাতত মাস্টারপিস মহাকাব্য হচ্ছে ‘বাংলাদেশ’ নামের মহাজাগতিক এই মহাকাব্যটি!!
আমি আগেও বলেছি নবী-ঐশ্বরিক এমন আজগুবি বুলশিট টাইপ কনসেপ্টের আমি ধারধারি না… গঠনমুলক সমালোচনা ছাড়া আর তেমন বাক্যব্যয় করার ইচ্ছা আমার নাই…
কেননা ঘাস লতাপাতাবিহীন দুষর মরুর উষর বুকে পানি ঢালার থেকে উলু বলে মুক্তা ছড়ানো টাই আমার কাছে শ্রেয়!!
আমি আপাতত আগামী পর্বগুলোতে আমার প্রস্তাবগুলো নিয়ে কাজ করছি…
আপনাদের এমন প্রাঞ্জল কিন্তু অর্থহীন বাক্যালাপে আমার আগ্রহ নেই আর!!
:-Y :-Y :-Y :-Y :-Y :-X :-X :-X :-X
@তারিক লিংকন,
আপনাকে কিছু লেখার লিংক দিই। সন্দেহ করছি শেখ মুজিবের কথা বলা যখন শুরু করেছেন তখন অবধারিতভাবে কেউ কেউ বাকশাল আর নবি মুহাম্মদকে নিয়ে আসতে পারেন। আল্লাহর কুদরত, কোন এক অদ্ভুত অজানা কারণে মুজিবের নাম শুনলেই, নবি মুহাম্মদের কথা তাদের মনে পড়ে যায়। লিংকগুলোতে মুক্তমনারই লেখক পাঠকদের গুরুত্বপূর্ণ লেখা, তথ্য-মন্তব্য রয়েছে, যা আপনাকে প্রচুর সাহায্য করবে।
রাজনীতির কবি– ফরিদ আহমেদ।
এত মিথ্যাচারেও নত নন জাতির পিতা-অমি রহমান পিয়াল।
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ মালিক ভাই… ফরিদ ভাইয়ের লিখাটি পড়া ছিল না তবে পিয়াল ভাইয়ের সকল অসাধারণ কাজই আমি পড়েছি!! তবে বিষয়বস্তু থেকে ডিরেইলড হয়ে যাচ্ছি বলে আমি তর্কে যাচ্ছি না আর…
কিছু লোককে আপনি কখনই বুঝাতে পারবেন না যদি বুঝত তবে দুনিয়াটা ‘আওরা আম্বা’ হয়ে যেত…
ধন্যবাদ… আশা করি আপনাকে সর্বদা পাশে পাব বিশেষ করে আগামী দিনগুলোতে (F) (F) (F)
@তারিক লিংকন,
স্যরি উপরে লিংকগুলো সঠিকভাবে আসেনি, নিচে আবার দিলাম-
রাজনীতির কবি– ফরিদ আহমেদ।
এত মিথ্যাচারেও নত নন জাতির পিতা-অমি রহমান পিয়াল।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাবছিলাম তর্কটা হবে সফিক সাহেব কিংবা আদনান সাহেবের মত কারো সাথে। যে আদনান সাহেব একদিন বলেছিলেন –
ভাগ্যিস ভদ্রলোক ২১ বৎসর যাবত দুই সামরিক শাসকের আমল পেয়েও আত্মহত্যা করেন নি।
কিন্তু মাঝপথে আপনি আসলেন নবী আর বাকশাল নিয়ে। অথচ বাকশালকে কেউ সমর্থন করে এখানে কিছু বলছেন না আর কোন নবীকে কেউ অপমানও করছে্ন না। আপনি বললেন-
কেউ তো মুজিবকে নাবী মানছেন না বা কাউকে মানতেও বলছেন না। তবে কেন এই কথা উঠে? এটা কি মুজিব বিদ্বেষ আর নবী প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। তা একজনের থাকতেই পারে। নবীর প্রতি পরম শ্রদ্ধা ভালবাসা রেখে মুজিবের কঠোর সমালোচনাকারী মানুষ দুনিয়ায় অনেক আছেন, আবার উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা দেখানোর মানুষও আছেন। এখানে অন্যায়ের তো কিছু নেই। এখন আপনার কথাটার সুত্র ধরে যদি প্রশ্ন করি- নাকি মুহাম্মদকে নবী না মানলে মুজিবের প্রশংসা করার অধিকার আমার নেই?
‘মাওলানা মুজিবের করা আকাম’ কথাটায় বুঝাই যায় মুজিবের প্রতি মনের ভিতরের বিতৃষ্ণার গভীরতা। মুজিব কার সাথে, কোন রাতে, কতবার পোন্দাপুন্দি করেছেন সেই ব্যাপারে আপনার যদি কোন তথ্য জানা থাকে তা প্রকাশ করতেই পারেন, কেউ তো বাধা দিচ্ছেনা। মোহাম্মদ নিজে তার আকাম কুকাম লিখে রেখেছেন আর বলে গেছেন তিনি কার সাথে, কোন রাতে, কতবার পোন্দাপুন্দি করেছেন সেই ব্যাপারে মানুষকে জানানোর জন্যে এবং তার উম্মত যেন তার মতই জীবন যাপিত করে। তারা তা করছেও বাংলাদেশকে দিবানিশী ধর্ষণ করে। এখানে কবি মারাত্বক শোচনীয়ভাবে নীরব।
আপনি যদি মনে করেন মুহাম্মদের বা তার ধর্মগ্রন্থের সমালোচনা প্রকাশ করা আমাদের ভুল ছিল, তাহলে শাপলা চত্বরে তেঁতুল শাফির দলে যোগদান করে তাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে নবী অবমাননার জন্যে আমাদের ফাঁসি দাবী করতেই পারেন। এখানে অপ্রাসঙ্গীকভাবে এ সব নিয়ে আসলে লেখক ও পাঠক তাড়ানো ছাড়া তো আর কোন লাভ হবেনা।
@আকাশ মালিক,
সমালোচনা ভুল না। শুধু পরিমিতি বোধ থাকলেই হল, আর একটা জাতিকে হারে দরে বিচার না করলেই সব ঠিক আছে।
ভাল কথা আমি বিভিন্ন পোষ্টে সাইফুল ভাইয়ের মন্তব্য পড়ছি। পড়ছি আর হোঁচট খাচ্ছি।কারন ইসলাম ধর্ম নিয়ে উনি যথেষ্ট আক্রমনাত্ব মন্তব্যই করতেন।
অতীতের সাইফুল ভাইয়ের সাথে বর্তমানের সাইফুল ভাইকে মেলাতে কষ্ট হচ্ছে আমার।হিসাব মিলছে না কিছুতে( সম্ভবত অঙ্কে আমার দুর্বলতাই এর কারন)।
@অর্ফিউস,
আমার যতটুকু মনে আসে আপনি আগেও একই কথা বলেছিলেন। আপনাকে সম্ভবত ঐ পোস্টেই বলেওছিলাম এর কারন। নতুন করে এখানে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারন বুঝতে পারছি না। আকাশ মালিকদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে না পেরে চাটুকারীতার পথ ধরতে চাচ্ছেন কি? সেটা হলে ভুল করছেন।
@সাইফুল ইসলাম,
জি আমারো মনে আছে।
পুরোটা খোলাসা করেননি।বলেছিলেন পরে নাকি আরো আলোচনা করবেন।ভেবেছিলাম কোন পোষ্ট দিয়ে হয়ত আলোচনা করবেন।যদিও সেটা আর হয়ে ওঠেনি।
কারন আপনি মুজিব কে মাওলানা, নবী টাইপের কিছু বলে খোঁচাচ্ছেন তো তাই।যেখানে আমি ধর্ম বিতর্কের পুরানো রেষারেষির গন্ধ পাচ্ছি( ভুল হতে পারে, আমার নাক্টা আবার গন্ধ পায় একটু বেশি কিনা এটা আমারই সীমাবদ্ধতা 🙂 ) ।
এই নাম ধরে বহুবচনে আমার ঘোর আপত্তি আছে।আমিও কিন্তু একটি মন্তব্যে বলেছি যে কিছু এলিট শ্রেনীর মানুষ মন্তব্য করছেন তাই আমি মন্তব্য( তর্কের) করা থেকে বিরত থাকছি।
এখানে কিন্তু এলিট বলতে অন্য একজন কে বুঝিয়েছি( বুঝে নেন সে কে)।
ইসসিরে। একই অপবাদ আমাকে আকাশ মালিক দিয়েছিলেন আপনারই একটা পোষ্টে, মনে আছে আপনার? “শান্তির সফেদ পায়রা ইসরায়েল” এই নাম মনে হয় লেখাটার।
আর এখন আপনি ধরে নিচ্ছেন যে আমি সেই আকাশ মালিকেরই চাটুকারিতার চেষ্টা করছি? কি বিচিত্র এই দুনিয়া। আচ্ছা নিজের বিরুদ্ধে কিছু কথা শুনলেই মানুষ কেন এমন করে ভাবে বলতে পারেন?
আশা রাখি এবার বুঝতে পেরেছেন যে আপনার অনুমানই ভুল ছিল?চাটুকারিতা আমার স্বভাব না এটা আপনি পরে বুঝবেন আশা করি।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
@আকাশ মালিক,
চোখ বুঝে ঝোপঝাড় না পিটিয়ে আমার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করা মন্তব্যগুলো আবার পড়ে দেখুন। তাহলে বুঝবেন বাকশালের কথা তো দূরের কথা এই পোস্ট সম্পর্কে কোন কথাই আমি বলতে চাই নি। মুজিব প্রেমে পাগল এই পোস্টের লেখক, আমার
এই কথা শুনে মুজিবানুভুতিতে আঘাত লাগায় আমাকে ত্যানা প্যচানীর অভিযোগ করেছেন। এরপরে বলেছেন, আমি নাকি জ্ঞ্যান দিতে এসেছি। মূলত আমি তার বলা একটি ভুল তথ্যকে সঠিক করে দিয়েছি। তার বেশি একবিন্দুও নয়। তারপরেই না চাওয়া সত্ত্বেও আমাকে রাজনীতির চায়ের দোকানী টাইপ আলাপে ঢুকতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই। উনি মুজিবকে রাজনীতির কবি বলেছেন। বেশ ভালো। যে কেউই বলতে পারে। তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। আমি বলেছি, মুজিবের কাজকর্ম নিয়ে যদি এতই ভাব ভালোবাসা থাকে তাহলে কবির মাস্টারপিস মহকাব্য বাকশাল নিয়ে কিছু করছে না কেন? এই হল বাকশাল নিয়ে করা মন্তব্যের পটভুমি। সুতরাং আলোচনায় বাকশাল প্রসঙ্গ লাফ দিয়ে আসে নি। আপনার পড়তে ভুল হয়েছে। আমাকে মুজিব বিদ্বেষী ধরে নেয়াই এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারন ধরে নিতে পারি।
যদি নবী নাই মানেন তাহলে লেখককে পিঠ চাপড়ে দেয়ার পাশাপাশি জিজ্ঞেস করুন, আমাকে কেন প্যাচানো ত্যানা প্রস্তুত কারক বলে অভিহিত করলেন। এমন না যে, ত্যানা প্যাচানো কোন দোষের কাজ। কারো ইচ্ছা হলে সে পাতলা হাগু খামচে খামচে গামছাও তৈরী করতে পারে। সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যা করি নি সে অভিযোগ কেন করা হল? আমি শুধু বলেছি, মুজিব সম্পর্কে আমার কোন হা হুতাশ নেই। ব্যাস, তাতেই আমাকে একজন ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পী বানিয়ে দিলেন। কেন এই সম্মান? এর কারন হিসাবে মুজিবকে নবীর আসনে বসানো ছাড়া আর কোন কারন আপনাদের দলের ফিকাহ শাস্ত্রে আছে? আমাকে জানিয়ে বাধিত করবেন তাহলে। আমার ভুল ধারনা আমি কাটিয়ে নিতে চাই।
আর মোহাম্মদকে মানা না মানা, এর সমালোচনা করা যার যার ব্যাক্তিগত বিষয়। আমি শুধু দেখালাম, মুজিবের সম্পর্কে কোন আলোচনা করতে চাই না বলতেই লেখকের মুজিবানুভুতীতে আঘাত লেগেছে, এবং আপনি তাকে এসে পিঠ চাপড়ে বাহবা দিচ্ছেন। কিন্তু মোহাম্মদের ক্ষেত্রে আপনারা ভালো রকমের খর্গহস্ত। যখন কোন মুসলমান এসে বলে, কেন মোহাম্মদের তো অনেক ভালো কাজও ছিল, সেগুলো সম্পর্কে কেন বলেন না? আপনাদের জবাব দিতে দেখছি ওগুলো নিয়ে তো মুসলমানরা দিবানিশি পার করছে। আমরা খারাপ দিকগুলোই দেখাই। তাহলে আমার তোলা বাকশাল প্রসঙ্গে আপনাদের গাত্রদাহের কারন কী?
মুজিব সম্পর্কে আমার তৃষ্ণা আছে না বিতৃষ্ণা আছে সেটা বলার মত মতামত আমি এখনও এখানে দেই নি। সুতরাং, আমার সম্পর্কে সিদ্ধান্তটা একটু ধীরে সুস্থে নিন। ধর তক্তা, মার প্যারাক থিওরি এখানে না খাটালেই বাধিত থাকব। মুজিবের বাকশাল নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তো ঝামেলায় পড়লাম। মোহাম্মদের লিগাসি যদি মুসলমানরা বহন করলে এই দেশকে ধর্ষন হয়, তাহলে বাকশালের প্রবর্তনকারী নবীর অনুসারীদের দ্বারা কোন দল এই দেশে থাকলে আপনার থিওরী অনুযায়ী তারাও বাঙালদেশকে লাগাতার গনধর্ষন করে যাচ্ছে। এবং সেটা সেই দলের গত দশ বছরের কর্মকান্ডে পরিষ্কার। কিন্তু আপনার চোখে সেটা পড়বে না। কারন ঐ যে নবীত্ব! এটা ছাড়লে আপনারা করে খাবেন কী করে? যার জন্য মুজিবের কথাই বলতে হয় শেষ পর্যন্ত।
যদি সামারি করি তাহলে দেখা যায়, মোহাম্মদের বিরুদ্ধে কিছু বললে মুসলমানরা ক্ষেপে যায়। মোহাম্মাদের নামের আগে দের মাইল লম্বা একটা টাইটেল আছে। তিনি সর্বকালের সেরা মানুষ।
আর মুজিব ভক্তদের কেইস দেখলে দেখি, মুজিবের নামের আগে তিন মাইল লম্বা টাইটেল আছে। মুজিবের বিরুদ্ধে কিছু বলা তো দূরের কথা, কিছু না বলতে চাইলেও তারা ক্ষেপে যায়(যেটা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে)। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি।
এখন একজন প্রশ্ন করতেই পারে, মুজিবকে কেন নব্যুয়ত দেয়া হবে না আয়োজন করে।
বস্তুত এটাকেই বলে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে এসে আলোচনাকে কুতর্কে পরিণত করা। আমি এখানে কোথায় ইসলাম, মোহাম্মদের করা আপনাদের সমালোচনা ভুল বা ঠিক বা অপ্রয়োজনীয় যাই বলি না কেন, বলেছি? এই ব্যাপারে আমার একটা স্টেটমেন্ট দেখান আমি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেব। নইলে এবার করা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আর না পড়েই আবযাব মন্তব্য না করতে হয় সেই কথাটা মুখস্ত করে রাখুন।
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাইজানের এত গোস্বা বোধহয় এই কারণে! তো কি বলেছিলেন পোষ্টের লেখক দেখি একটু
তো এই মন্তব্যের মাধ্যমে কিভাবে আপনাকেই নিমকহারাম বলা হল?আপনি তো এসব ব্যাপারে(ব্যাক্তিগত আক্রমণ) যথেষ্ট অভিজ্ঞ! কিছুদিন আগে অন্য এক পোষ্টে ব্যাক্তিগত আক্রমণ কাকে বলে সেটা না বোঝার জন্য আমাকে প্রাইমারি স্কুলে ফিরে যাবার ছবক দিয়েছিলেন।এখন তো দেখছি আপনাকেও আমার সাথে প্রাইমারি স্কুলে সঙ্গ দিতে হবে।
@পাতা,
😀 :rotfl: 😀 :rotfl: 😀 :rotfl: 😀 :rotfl: 😀 :rotfl: 😀 :rotfl:
নিমকহারাম শব্দটি যখন প্রথম আমি বলি তখন সময়ঃ আগস্ট ১৫, ২০১৩ at ১০:৩২ অপরাহ্ণ;
আর বাক্যটি ছিল এমনঃ “বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ রাখে না এমন নিমকহারাম দেশে আছে জানতাম তবে মুক্তমনায় কীভাবে থাকে আমার বোধগম্য নয়!!” এদিকে আপনার (সাইফুল ইসলামের…) প্রথম মন্তব্যের সময় “সাইফুল ইসলাম এর জবাব: আগস্ট ১৬, ২০১৩ at ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ”।
এখন বলুন উনার এমন রিএকশন অযাচিত কিনা?
@সাইফুল ভাই,
খুব ভাল আর প্রাসঙ্গিক একটা প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নটির উত্তর আমিও খুঁজছি। আশা করি, প্রশ্নটি যাকে করেছেন, তার কাছ থেকে উত্তর পাওয়া যাবে! অচিরেই!
@সাইফুল ইসলাম,
এখানে কি মুজিবকে নবী মানা না মানার মত কোন গুরুতর ব্লাসফেমীর অপরাধে আপনাকে অপরাধী করা হয়েছে? আপনি তাহলে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এই লাইনটা লিখলেন কেন?এগুলো কি খুবই নিষ্কলুষ মন্তব্য বলে আপনার মনে হয়? দেখেন নিচে আমি আমাকে উদ্দ্যেশ্য করে করা আরেকটা মন্তব্যে ( সেটা কতটা নিষ্কলুষ সেটার বিচারের ভার আমি অন্যদের উপরেই ছেড়ে দিলাম) আমি আপনাকে জবাব দিয়েছি।আর সেই মন্তব্যটা করার পেছনে আপনার এইসব খোঁচাখুঁচির অভ্যাসটাই অন্যতম কারন ছিল।
@অর্ফিউস,
এখানে কেউ মুজিবকে নবী মানছে না সাইফুল ভাই, কেউ তাকে সেইরকম মর্যাদাও দিচ্ছে না।
@অর্ফিউস,
আমার করা প্রথম মন্তব্যটা দেখেছেন? সেখানে আমার বলা কথাগুলো পড়েছেন? না পড়লে আবার পড়েন। অক্ষর ধরে ধরে পড়েন। কারন আমার কথায় গায়ে জ্বালা ধরে যাওয়া কেউ বুঝতেই পারছে না। এই নিয়ে সম্ভবত তৃতীয়বারের মত কাউকে বলছি।
আমার প্রথম মন্তব্যে মুজিবকে নিয়ে কথা ছিল একটাই। সেটা হলঃ
কারন তার পোস্টে যেহেতু মন্তব্য করছি, পোস্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়েই মন্তব্য করাটা বাঞ্ছনীয়। সেজন্য কেন করছি না সেটা জানিয়ে দিয়েছি।
আমার এই কথার পরে লেখকের বক্তব্য ছিলঃ
মুজিবকে নিয়ে আমার মন্তব্য পড়ে আপনার ত্যানা প্যাচানো কিংবা ত্যানা প্যাচানোতে উৎসাহ দিচ্ছি মনে হল কী না সেটা আগে বলেন। তারপরে অন্য আলোচনা করা যাবে। যদি মনে হয় তাহলে আমার কথায় আপনার গাত্রদাহ অব্যাহত থাকুক। আর যদি না হয় তাহলে আমাকে একটু বোঝান, মুজিবকে যদি নবী ধরে নেয়া না হয় তাহলে এই রিএকশনের শানে নুজুল কী?
এই রিএকশনের সাথে কিছু মূর্খ মুসলমানের পার্থক্য কোথায়? আমাকে একটু বুঝিয়ে যান। আমি জানতে চাই।
এমনও তো হতে পারে আপনারা সবাই সচ্ছ এবং সঠিকভাবে পাঠ করছেন, আমিই ভুল করছি, তাই না? সেক্ষেত্রে আমি নিজেকে শুধরে নিতে চাই।
@সাইফুল ইসলাম,
না আমার তেমনটা মনে হয়নি। তবে লেখক হয়ত আপনার মন্তব্য ভুল বুঝেছেন।আর এতেই এমনটা বলেছেন। সেক্ষেত্রে মুজিবকে নবুয়ত দানের আগে আপনার অন্তত একবার উচিত ছিল লেখকের কাছ থেকে সরাসরি ব্যাখ্যা দাবী করা। সেটা মনে হয় এই
“নাকি মুজিবকে নবী না মানলে সেটা বলার অধিকার আমার নেই”
খোঁচা মারাটা থেকে ভাল হত(আমার মতে) , কারন এটা প্রথমেই বললে একধরনের ঝামেলা তৈরি হতেই পারে। কারো ভক্ত হওয়া আর তাকে নবীর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এক না। এক্ষেত্রে যেকোন পুরানো রেষারেষি কাজ করছে এমন অনুমান চলে আসতে পারে।
পার্থক্য আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনি। একজন মুর্খ মুসলিম রীতিমত আপনাকে গালিগালাজ করতে পারে লেখক শুধুই বিরক্ত হয়েছেন।তবে আমি আবারো বলছি যে লেখকের বুঝতে ভুল হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত ছিল আগেই ওভাবে আক্রমনে না গিয়ে ব্যাপারটাকে অন্যভাবে ডিল করা। আর এতেই আমার ওই মন্তব্যটা ছিল। কোনভাবেই আপনাকে হেয় প্রতিপন্ন করা বা, মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে প্রমানের বিন্দু মাত্র ইচ্ছা আমার ছিল না।
তবে যেহেতু এই ব্লগে মুসলিম দের নবী কে নিয়ে ইতিমধ্যেই মহাভারত রচিত হয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে, কাউকে নবুয়ত দানের ক্ষেত্রে ( হলই বা অন্যের উপর বিরক্ত হয়ে ) আরেকটু সাবধান হতে পারলে মনে হয় উভয় পক্ষেরই মঙ্গল।
আর চাটুকারিতার ব্যাপারটিও একই রকম। কোন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন লোক হুট করেই তার দিকে ছুটে আসা এমন তীর ( যদিও সেটা অনুমান করা হয়েছে মাত্র) খুব সহজে মেনে নিতে প্রস্তুত নাও থাকতে পারে,কাজেই আমার বিশ্বাস,এখানেও আরেকটু বিবেচনা করে মন্তব্য আশা করে সবাই।
ব্যাস এটুকুই বাকি ব্যাপারে আপনার বা অন্য কারো সাথে আমার কোনই বিদ্বেষ ভাবনা থাকার কথা নয়। এখানে আমরা আলোচনা করছি আর পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক, কারন এটা মুক্ত মনা ব্লগ।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।আন্তরিক শুভকামনা রইল।
@সফিক ভাই,
ও, তাহলে এই কথা? লিংকনের গেটিসবার্গ স্পীচে ‘অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন’ এই শব্দমালা থাকলেই কেবল তা অর্থনীতির উল্লেখ থাকার শর্ত পূরণ করে? এছাড়া আপনি এর অর্থনৈতিক উপাদান নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন না কভু?
পুজিবাদী সিস্টেমে বৈষম্য ও শোষন আছে, তা তো সবাই জানে, কিন্তু যে প্রশ্নটির উত্তর আমার মত অনেকেই জানে না, তা হল, প্রচলিত কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটিতে বৈষম্য ও শোসন নেই??? দয়া করে জানাবেন??? জানিয়ে বাধিত করবেন?
তো এতে কি প্রমাণ হল? আমেরিকানরা বাই ডিফল্ট বৈষম্য ও শোসনমূলক অর্থনীতি কামনা করে? অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণহীন সমাজের স্বপ্ন তাদের ডিকশনারিতে নেই? বা, আমেরিকানদের এমন স্বপ্ন দেখতে নেই? বা, লিংকনের এমন স্বপ্ন দেখাতেই নেই বুঝি? গুনাহ্ হবে?
‘ফর দি পিপল’ এর অর্থ কি, সফিক ভাই? অধমদের জানিয়ে বাধিত করবেন?
সকল রাজনৈতিক স্বার্থপরতার উর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সার্থক উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক এ প্রত্যাশা করছি।
@গীতা দাস,
আপনাদের প্রত্যাশায় প্রেরণা…
জয় বাংলা… জয় বঙ্গবন্ধু… (FF)
বেশ ভাল চিন্তা! বেশ ভাল উদ্যোগ!
অপেক্ষায় থাকছি! নিঃসন্দেহে চাটুকার পরিব্যাপ্ত এই দেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এটি একেবারেই ভিন্ন ধরণের একটি কাজ, এবং এই ক্ষনজন্মা মানুষটিকে আবিষ্কারে কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ!
নিতে দেখেননি? বঙ্গবন্ধুর নামে দিন-রাত স্তবগীতি তো চালানো হয়েছে! কিন্তু মজার বিষয় হল, এতে কাজের কাজ কিচ্ছু হয়নি! নিম্নমানের চাটুগীতি বঙ্গবন্ধুর শত্রুদেরই সুবিধে করে দিয়েছে শুধু, লোকটিকে নিয়ে বিভ্রান্তির জাল ছিন্ন করতে সক্ষম হয়নি মোটেও।
আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করি, তখন যেন ভুল করেও না ভাবি, বঙ্গবন্ধকে শ্রদ্ধা জানানো বা কৃতজ্ঞতার দায় মেটানোর জন্য করছি…….আসলে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, আমাদের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি- এত অঙ্গাঅঙ্গিভবে জড়িত যে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমাদের আলোচনা করতেই হয়, তাকে জানতে হয়, তার পূর্ণ আবিষ্কারে করে যেতে হয় নিরবচ্ছিন্ন সাধনা……..বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে নয়, আমাদের প্রয়োজনেই………
কারণ বঙ্গবন্ধু মানেইঃ
@কাজি মামুন,
অনবদ্য বলেছেন! আমি চাটুগীত গায়বনা বলেই তেমন কিছু চোখে পরে নি…
আশাকরি হতাশ করব না… জয় বাংলা… জয় বঙ্গবন্ধু… (FF)
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ উদ্যোগে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভ কামনা।
@ভজন সরকার,
প্রীত হলাম আপনাকেও :thanks:
:clap :clap :clap :clap :clap :clap :clap
মুক্তমনায় বিগত কয়দিনের পোষ্ট ও মন্তব্যগুলো পড়ে আজ আশ্বস্ত হলাম, বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে রাখেন এমনজন এখানে আমি একা নই। বুঝলাম এখানে তাকে অহেতুক অন্যায়ভাবে অপবাদ অপমান করে কেউ পার পাবেন না। শাবাস বাঙ্গালি, লেখা চলুক অবিরত (Y) (Y)
নোটঃ প্রথম ছবির সাইজটা একটু ঠিক দিলে ভাল হয়।
@আকাশ মালিক,
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ রাখে না এমন নিমকহারাম দেশে আছে জানতাম তবে মুক্তমনায় কীভাবে থাকে আমার বোধগম্য নয়!! আমি বাঁচি-আমি হাসি-আমি কাদি-আমি উল্লাস করি-আমি ভ্রমণে বের হয় সব কিছু জুড়েই তো সেই মহান নেতা… আমাকে সবসময় পাশে পাবেন অন্তত এই ইস্যুতে।।
সত্য আর ন্যায়ের জয় অবধারিতভাবেই প্রত্যাসন্ন… (FF)
আর আপনার -আপনাদের প্রেরণায় নিজস্ব আইডিয়া বা প্রস্তাব তুলে ধরব আগামী দিনগুলোতে…
@তারিক লিংকন, লেখাটি খুব ভাল লাগলো।শুভেচ্ছা নেবেন (F) ।
আমারো বোধগম্য নয়।তবে কি বলব বুঝতে পারছি না। এইখানে আবার অনেক উঁচুদরের মানুষজন মন্তব্য করা শুরু করেছেন।কাজেই এই অধমের(আতরাফ) চুপ থাকাই ভাল।
@অর্ফিউস,
ভাই, আপনার মত আমারও অবস্থা! 🙁
@তারিক লিংকন, আপনি অনেকের চুলকানি শুরু করে দিলেন। আপাতত দর্শক গ্যালারিতে বসে আছি। বিশেষ কিছু খেলোয়ারকে দেখছি মাঠে নেমেছে। দেখা যাক, প্রয়োজন মনে করলে ব্যাট হাতে নামতেও পারি। আপনার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা!
@সুষুপ্ত পাঠক,
গ্যালারীতে থাকুন আর মাঠেই থাকুন পাশে আছেন জেনেই ভাল লাগল…
আপনাকেও ধন্যবাদ!! দেখি কি কি করা যায়—
@তারিক লিংকন,
আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যান।নিন্দুকদের কথায় আহত হয়ে থেমে যাবেন না। ভাল কোন কাজ করলে বাহবা তেমনটা না জুটলেও নিন্দুকের অভাব হয় না।হতাশ হবেন না ভাই কাজ চালিয়ে যান। মনে রাখবেন, আজ হোক আর কাল হোক সত্যের জয় হবেই। (Y)
@অর্ফিউস,
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই… :thanks:
আমি কাজের মধ্য দিয়েই সবার (নিন্দুকদের…) জবাব দিতে চাই!!
জানি না কতদূর কি হবে? তবে আমার মত করেই আমি লিখব…
@আকাশ মালিক,
পার কিন্তু পেয়েই যাচ্ছে। লেখকের এই উদ্যোগ খুবই ভাল।তবু দেখবেন অন্যায়ভাবে অপমান কারী রা পার পেয়েই যাবে ( আমার ধারনা),খুব দুঃখের বিষয় এটাই, কারন এইটা নাকি গণতন্ত্র আর ব্যক্তিস্বাধীনতা।
@অর্ফিউস,
এখানেই তো তর্কের মজা। উভয়পক্ষ থেকে নিজ নিজ জানা-পড়া তথ্য-সুত্র প্রমাণ উপস্থাপন করা হউক। শুধু জ্ঞানের গরিমা, বিদ্যার অহেতুক অহংকার আর ব্যক্তি বিদ্বেষ প্রকাশের বাসনা থেকে বিরত থাকলেই হলো।
না, পার পাবেনা। অদৃশ্য অগণিত নীরব পাঠকের মনোভাব, সিদ্ধান্ত তো দেখা যায় না। তারা যেদিন অন্যায়ের বিরোদ্ধে মুখ খুলে তখন প্রলয় ঘটিয়ে ছাড়ে। সত্য তার আপন মহিমায় একদিন সকল অন্ধকার আর মিথ্যার বেড়াজাল ভেদ করে উদ্ভাসিত হবেই।
নিচে একটি মন্তব্যে দুটো লিঙ্ক দিয়েছি, সেখানকার মন্তব্যগুলো পড়ে দেখুন।
@আকাশ মালিক,
বোল্ড করা অংশটাইতো বেশিরভাগ লোক করে থাকে। খুবই পরিতাপের বিষয় যে মুক্ত মনাতেও এমন কিছু সংখ্যক লোক আছে।
আপাতত ফরিদ ভাইয়ের লেখাটা পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লিঙ্কটা দেয়ার জন্য।
পিয়ালেরটা পড়ছি একটু পরে।
@অর্ফিউস ও @আকাশ মালিক,
অনেক অনেক ধন্যবাদ… (Y) (Y) (Y)