শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ক্যান্সারাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৪ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখে। মারা যাবার আগে শেষ চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের কাঁধে অর্পিত দায়িত্বের প্রতি –
‘আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব একতা এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মরণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাই নি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন…’।
চুরানব্বই থেকে দু হাজার তেরো। কেটে গেছে উনিশ বছর। পদ্মা মেঘনার উপর দিয়ে জল গড়িয়ে গেছে অনেক। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, জামাত শিবির নিয়ে রাজনীতি হয়েছে, হুমকি ধামকি দেয়া-নেয়া হয়েছে, চোর পুলিশ খেলা হয়েছে, কিন্তু এদের বিচার করার কিংবা নিষিদ্ধ করার মত প্রেক্ষাপট কেউ তৈরি করতে পারেনি, করতে চায়নি। শহীদ জননীর কাছে করা ওয়াদা ওয়াদাই রয়ে গেছে। শহীদ জননীর মৃত্যুর যেমনি উনিশ বছর কেটেছে, তেমনি কেটেছে স্বাধীনতা প্রাপ্তির বেয়াল্লিশ বছর; কিন্তু ‘কেউ কথা রাখেনি’।
শাহবাগ আন্দোলনের শুরুতেই দাবী তোলা হয়েছিল ২৬ শে মার্চের মধ্যে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দাবীর ধাক্কায় কেঁপে উঠেছিল ক্ষমতাশালী আর সুবিধাবাদীদের প্রাসাদ আর দুর্গ। ব্লগার রাজীব হায়দারের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত উচ্চারণ করেছিলেন, ‘জামাত শিবিরের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই’। সবাই ভেবেছিল এবারে বুঝি সত্যই প্রত্যাশার পূরণ হবে। হয়নি। আন্দোলনের ঢেউয়ের ধাক্কা একটু ফিকে হতে না হতেই আমরা খবরের কাগজে দেখলাম – ‘জামাতকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে না সরকার’। তারপর থেকেই সবাই যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। পাবলিককে যত বোকা ভাবা হয় তত বোকা না। ভিতরে ভিতরে কি খেলা চলছে সেটা কাউকে না বলে দিলেও চলে।
এভাবেই হয়তো চলত, যেভাবে চলেছে স্বাধীনতা-উত্তর বেয়াল্লিশটা বছর। হতাশার গহীন আঁধারে যেমনি ভাবে ছিলাম, তেমনিভাবেই হয়তো থাকতাম। কিন্তু তা মেনে নিলেননা সাতজন উদ্যমী তরুণ। তারা কবি নজরুলের মতোই ‘দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া গেলেন’। শুরু করলেন অনশন কর্মসূচী। তারা এর পিছনে কারণ হিসেবে বললেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল, সরকার সেটি না মানায় ও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায়, শহীদ রুমী স্কোয়াড-এর সাত তরুণ এ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।’
তারা অনশন শুরু করেন ২৬ মার্চ রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। সকালের মধ্যেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ জনে, আর দুপুরের মধ্যেই পোঁছায় ১৬ জনে। অনশনের রাতেই, তাদের এই কর্মসূচির সঙ্গে তাৎক্ষণিক-ভাবে সংহতি প্রকাশ করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্কোয়াড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার মঞ্চ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বোধন। পরবর্তীতে আরও সংহতি প্রকাশ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস পাঠচক্র, জাগরুক গণ পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু চেতনা পরিষদ, বিপ্লবীদের কথা, সেক্টর ১৩, ফাঁসির মঞ্চ, তারুণ্য তের, রাস্তা, জেনারেশন এফ, দেশ মৃত্তিকা, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, গণসংহতি আন্দোলন, রাগমা, আমরা, মাতৃভূমি সামাজিক সংগঠন, হৃদয়ে সীতাকুন্ডু, বটতলা নাট্যদল এবং ব্ল্যাক স্কোয়াড। এছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে সংহতির কথা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে সংহতির কথা। নেত্রকোনা থেকে ১২ জন জানিয়েছেন এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তারা টানা অবস্থান করছেন জেলা শহীদ মিনারে; দ্রুতই তারা অনশনে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙালীরাও এর সাথে সংহতি জানিয়েছেন, অনেকে শুক্রবার রাত থেকে পরদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন পালন করেছেন। আজকের পেপারে শিরোনাম দেখলাম, ‘অনশনে মুখ বাড়ছে, সমর্থনও’। আমি নিজেও আজ সারাদিন কিছু খাইনি। অনশন করার ইচ্ছেতে নয়। খেতে যাইনি এমনিতেই, কারণ জানি খেতে গেলেই খাবার আটকে আসবে মুখে, মনে পড়বে অনশন করা ছেলেগুলোর পাংশুমুখগুলো।তাদের মায়েরা হয়তো বসে আছে ভাতের থালা সাজিয়ে, খোকা কখন বাড়ি আসবে! লাঞ্চের সময় অফিসের কলিগদের এড়িয়ে গেছি; কাজের ছুতায় কম্পিউটারের সামনে কাটিয়েছি, রাতেও বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছি খাওয়ার ঠিক আগে। কাউকে বুঝতে দেইনি।
‘…কেউ জানেনা, না জানে আড়াল
জানে কান্নার রঙ
জানে জোছনার ছায়া….’।
শুনেছি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকেও অনশনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়েছে। একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে বহির্বিশ্বের অনেক জায়গা থেকেই। নাট্য-ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ সহ অনেকেই এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। হয়েছেন উদ্বিগ্ন। বলেছেন, ‘অবিলম্বে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে। এখানে যারা অনশন করছে, তারা আমাদের সন্তানদের মতো। জামায়াত-শিবিরের জন্য তারা মারা যেতে পারে না’। নির্মম সত্যিকেই প্রকাশ করেছেন মামুনুর রশীদ।
এই যখন অবস্থা, তখন ফেসবুকে দেখা গেল এক অন্য এক রহস্যময় সুরের ব্যঞ্জনা। গণজাগরণ মঞ্চের কিছু সম্মুখ-সারির নেতা কুৎসা রটাতে শুরু করলেন এই তরুণদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলেন, এই আন্দোলন নাকি ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদার ছেলে’ শুরু করেছে। এর সাথে তাল ঠুকলেন আরো দুই চেনা মাস্কেটিয়ার্স। ঢোলের দু পাশে মন্দিরা আর খোল থাকবে না, তা হয় নাকি। ‘খুনির পোলা’ থেকে শুরু করে ‘পঁচে যাওয়া বাম’ কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্বেরই কমতি দেখা গেল না।
আমি অবাক হয়ে ভাবি, যে তরুণেরা শাহবাগ আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে ছিলেন, তারা এত তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়াশীলতার পথে নেমে পড়লেন কেন? বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আমার ফেসবুকে এর একটা বিশ্লেষণ দিয়েছিলাম গতকাল। বলেছিলাম – অর্থ, প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতার পাশাপাশি খ্যাতিরও কিছু বিড়ম্বনা আছে, আছে কিছু প্রতিক্রিয়াশীলতার স্পর্শ। এগুলো ব্যাগেজ হিসেবে অটোমেটিক আসে, সেটা যে রথী মহারথীই হোক না কেন। শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে খ্যাতির মই বেয়ে যারা উপরে উঠে গেছেন, হঠাৎ করেই পরিচিত হয়েছেন ‘নেতা’ হিসেবে, তাদের অনেকেরই বোধ হয় এখন স্থবিরতা এসে গেছে। না হলে জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে গড় ওঠা আন্দোলন, তাদের নিষিদ্ধ করার দাবীতে গণঅনশন শুরু করেছে যে উদ্যমী তরুণেরা তাদের সমর্থন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে শুরু করতেন না তারা। তাদের পিতৃপরিচয় নিয়ে নরক-গুলজার করতেন না। করতেন না অশ্লীল ভাষায় গালাগালি।
এমন একটা ভাব যেন, ‘আমার আশীর্বাদধন্য গ্রুপের মাধ্যমে’ না হলেই ব্যাটা ‘ছাগু’, ‘অমুকের পোলা’, ‘তমুকের ছাও’ কিংবা ‘রাজাকারের পুত’। কোন মানে হয়?
আমি স্ট্যাটাসে এটাও বলেছিলাম, যারা আজ আপনাদের মাথায় করে রাখছে, যাদের দাক্ষিণ্যে আপনারা খ্যাতিমান হয়েছেন, তারাই আবার সোজা ঘার থেকে আপনাকে ফেলে দেবে, যদি দলীয় সঙ্কীর্ণতা, লেজুড়বৃত্তি আর স্থবিরতার ঊর্ধ্বে উঠতে না করতে পারেন। ইতিহাসের নির্মম সত্য এটাই। ‘একবার যে রাজাকার সব সময়ই রাজাকার, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা সব সময়ই মুক্তিযোদ্ধা নয়’ – হুমায়ুন আজাদের যে অমোঘ বানী আপনারা এতোদিন জলিল, কাদের সিদ্দিকীদের প্রতি বর্ষণ করেছেন, সেটা বুমেরাং হয়ে আবার আপনাদের বুকেই শেল হয়ে বিঁধবে।
ততক্ষণে সারা ফেসবুক জুড়ে শুরু হয়ে গেছে এই সব ‘সেলিব্রিটি ব্লগার’ এবং ‘ফেসবুক এক্টিভিস্ট’দের প্রতি নিন্দার ঝড়। সাদাত হাসান নিলয় নিজেই শহীদ রুমী স্কোয়াডের পেইজে লিখলেন –
‘জনাব,
আমার বাপের নাম হারুন-আল-রশিদ, আশা করি আমি আমার বাপের নাম ভুল বলি নাই। আমি শহীদ রুমী স্কোয়াডের সমন্বয়ক সাদাত হাসান নিলয় বলছি। ফেব্রুয়ারির ৫তারিখ থেকে আমরা এই শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আছি। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ থেকে শহীদ জননীর ছবিটা তোলার সময় থেকে আন্দোলনের কোরের মোটামুটি সবাই জানেন, শহীদ রুমী স্কোয়াড কে বা কারা।
আমার মত নগণ্য লোককে কিংবা তার বাপকে আপনার মত বড় মাপের গবেষকের না চেনারই কথা। তাতে আমার কোনই আপত্তি নাই। কিন্তু একটা বড় আন্দোলনকে নষ্ট করার মত ইনফো বাজারে ছাড়ার আগে দয়া করে সোর্স দিয়ে বলবেন।
আপনার মত ইতিহাসবিদ ও গবেষকের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা’।
আজ দেখলাম, টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও একই কথা উচ্চারণ করেছেন নিলয় (দেখুন – অনশনের ৪৮ ঘণ্টার মাথায়, অনশনের মাঝেই ব্যাখ্যা দিলেন নিলয়)। সেখানে স্পষ্ট করেছেন, গণজাগরণ মঞ্চের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তাদের আন্দোলনকে বিচ্ছিন্ন কিছু ভাবলে ভুল হবে। স্মরণ করিয়ে দিলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে আছি সবসময়। ইমরান সরকার যখন প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে যাবেন, তখন তাঁর হাতে আমাদের ১৭টি প্রাণ তুলে দেবো সঙ্গে নিতে’। কী দৃপ্ত উচ্চারণ, কী শক্তিশালী শপথ। গালিবাজ ব্লগারদের মতো কথার তুবড়ি নেই, নেতাগিরি নেই, নেই স্বঘোষিত রকস্টার হবার বাসনা। সোজাসাপ্টা কথাগুলোওই কত সহজ আর মার্জিত ভাষায় বলে গেলেন তিনি।
এর মধ্যেই খবর পেলাম আমাদের টেকি সাফিও আছে অনশনে। ও তো বিজ্ঞান নিয়ে লেখালিখি করে, জানতাম; কিন্তু কে জানতো তার মধ্যে এতো বারুদ লুকিয়ে আছে। অনেকেরই ফেসবুকে খুব চিন্তা – চিকনা পটকা ছেলেটা অনশনে অক্কা পাবে না?
না, পাবে না। কারণ আমি জেনে গেছি – এরা মৃত্যুঞ্জয়ী সংশপ্তক। মহাভারতের অভিমন্যুর কথা মনে পড়ে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কৌরবদের চক্রব্যুহ ভেদ করার সংকল্প করেছিলেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লড়াই করে যায় যে বীর সেই তো সংশপ্তক। এরা বিজয়মাল্য না নিয়ে ফিরছে না। আমি আজকের বাংলা নিউজ পত্রিকায় (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম) এই কথাগুলোই বলেছি ‘শহীদ রুমী স্কোয়াডের সংশপ্তকেরা‘ শিরোনামে।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শফি ইমাম রুমীর জন্মদিন ছিল আজ। জন্মদিনের কি বিশাল প্রাপ্তি হয়ে রইলো আজকের এই দিনটি। ৬২তম জন্মদিন তারা পালন করলেন ৬২ টি মোমবাতি জ্বালিয়ে। রুমীর অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা দিতেই যেন জাতিস্মর হয়ে এসেছেন শহীদ রুমী স্কোয়াডের সংশপ্তকেরা। ‘আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার, আমি ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চিৎকার’।
এতো আমরা জানিই। রুমীরা যে মরে না, এরা বেঁচে থাকে আমাদের আলো দিতে যুগের পর যুগ। শতাব্দীর পর শতাব্দী। লেখাটি শেষ করি মাহমুদুজ্জামান বাবুর লাইনগুলো দিয়ে –
‘ভোর হয়নি, আজ হল না কাল হবে কিনা তাও জানা নেই
পরশু ভোর আসবেই
এই আশাবাদ তুমি ভুল না’।
হ্যাঁ আশাবাদ আমরা ভুলি নাই।‘যারা ভোর আনবে’ বলে প্রতীজ্ঞা করেছেন -সেই দৃপ্ত মুখগুলোর প্রতি রইলো শুভেচ্ছা। মুক্তমনার পক্ষ থেকে থাকল তাদের প্রতি সার্বিক সমর্থন।
:guru:
[img]https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc6/c101.0.403.403/p403x403/216698_474305775972602_1211526858_n.jpg[/img]
আপডেট:
ফেবুতে রুমী স্কোয়াড পেজ থেকে:
@বিপ্লব রহমান, বিপ্লব দা, জানি না কাকে অনুরোধ করবো, একটা জোরালো রিপোর্ট করেন না, যাতে সরকার কোনভাবেই আর উপেক্ষা করতে না পারে এই ছেলে গুলোকে। …
কেউ কি আছেন, যিনি সরকারের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন, প্লিজ আমাদের ভাইগুলোকে বাঁচান…
মুঢ়তা বা মিথ্যাচার কি পারে নেভাতে চেতনার দীপ্তি ?
মৃত্যুঞ্জয়ী সংশপ্তকদের স্যালুট !
এ লেখাটি পড়তে পড়তে আমার পৌরানিক একটা সংলাপ মনে পড়ছিল, কংশরাজকে উদ্দেশ্য করে বলা, তোমাকে বধিবে যে / গোকূলে বাড়িছে সে। আর তখনই কাকতালীয়ভাবে মহাভারতের উদাহরণটি।
আমার মনে হয় শুধু রাজাকার যুদ্ধাপরাধী নয়, অপ রাজনীতির ছোবল থেকেও দেশকে বাঁচাতে পারে যে শক্তি তারা গোকূলে বাড়িছে। আর তারা হল আমাদের তরুন সমাজ। তারা ভোর এনেছিল এবং আবারও আনবে।
বরাবরের মত এ লেখাটিও অভিজিৎ রায়ের দায়িত্বশীলতার মাইলফলক। একটু আগে রুমী স্কোয়াড ঘুরে আসলাম। তরুনদের সাথে আছি।
সাফিকে দেখতে গিয়েছিলাম আমি আর গীতা’দি কতগুলো ছবি তুলেছি। মন্তব্যে দেবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, কারিগরি বিদ্যায় পটু না হওয়ায়
পোষ্ট এর আকারে দিলাম। মডারেটর পাশ করলে ছবিগুলো দেখতে পাবেন সবাই।
@আফরোজা আলম,
ছবির দরকার আছে নাকি? আমার মনে হয় দরকার শুধু ছেলেগুলোর নিরাপত্তা, সুসাস্থ্য আর ভালোবাসা। ছবি না দিলেই ভালো হয়।
ওরা সবাই ভালো থাকুক।
@কাজী রহমান,
ওরা ভালো আছে বলি কী করে? আছে বেঁচে আছে এইটুকুই। আমরা যাবার কিছুক্ষণ পরেই আর একজন
বারডেম হাসপাতাল থেকে ফিরে এলো। আবার না খাওয়া। আবার সেই।
ছবির প্রয়োজন আছে বৈকি। কী হালে আছে- কে দেখা শোনা করছে। এই গুলো স্বচক্ষে দেখা দরকার।
তরুণদের সাথে আছি-
আসামের এই কাগজ যুগশঙ্খের আজকের ন পাতার সংবাদে বলছে ‘আমজনতা’র ব্যানারে মীনহাজুদ্দীনের নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি ৭১ঘন্টার অনশনে বসেছেন ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে। তাঁদের দাবি দু’ই জাতীয়দল আলোচনাতে বসে বর্তমান সংঘাতের নিরশন করুক, এই নিয়ে কেউ কিছু জানেন?http://www.jugasankha.net/ghy/page_9.html
আমি আজকের বাংলানিউজ পত্রিকায় (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম) এই কথাগুলোই বলেছি ‘শহীদ রুমী স্কোয়াডের সংশপ্তকেরা‘ শিরোনামে।
@অভিজিৎ,
সঠিক বলেছেন। এরা সংশপ্তক। ওরা মৃত্যুঞ্জয়। আমার বিশ্বাস গোটা জাতি ওদের পাশে এসে দাঁড়াবে। এতোদিনের রাজনৈতিক ভন্ডামী আর দেউলীয়াপনাত্ত্বের অবসান, নতুন আলোর সন্ধান হয়তো এবার আমরা পাবো।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের যে ছেলেগুলো অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এখনও অনশনে আছেন, তাদেরকে আমার সংগ্রামী স্যালুট।
পিয়াল ভাইকে সবসময় ভাল মানুষ বলে মনে হয়েছে। কিন্তু রুমী স্কোয়াড নিয়ে তাঁর আপত্তিকর বক্তব্য সত্যি আমাকে অবাক করেছে। শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে তাঁর অবদান যেমন অস্বীকার করতে পারব না তেমনি রুমী স্কোয়াড নিয়ে তাঁর অপপ্রচার সত্যি নিন্দনীয়। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ভুল স্বীকার না করে বরং এটা নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করেছেন। আরে ভাই ভুল বলেছেন এটা স্বীকার করলেই হল এত ত্যানা পাচানির কি আছে।
@অনিমেষ,
মুক্তিযুদ্ধের গবেষণায় অরপি’র অসামান্য অবদান বা তার ভালো মানুষত্ব তো কেউ অস্বীকার করছে না।
সম্ভবত তার সংকটটি অহং জনিত এবং সংস্কৃতির। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মুজিব ভক্তিবাদ, যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় অনেক সত্যকে খুন করে। নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে হিংস্র করে তোলে। বিষয়টি রাজনৈতিক।
খুব খেয়াল করে। (Y)
@বিপ্লব রহমান, আমার মনে হয় পিয়াল ভাইয়ের এই সমস্যাটা প্রকট হয়ে উঠেছে যে আসিফ মহিউদ্দিন সহ বাম ধারার কিছু ব্লগার যেটা নিয়ে কথা বলবেন তিনি সবসময় তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নেবেন। তিনি এটা করতে যেয়ে রুমী স্কোয়াড নিয়ে কথা গুলো বলেছেন কিন্তু সেটা যে আসলেই একটা ভাল ইস্যুর বিভক্তি তৈরি করবে এটা চিন্তা করেননি। । বিভাজন নয় এখন একতাই বেশি জরুরি। যাই হোক সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক
@অনিমেষ,
একতার প্রশ্নে দ্বিমত নেই। আপনাকে ধন্যবাদ। 🙂
পুনশ্চ:
আপনার মন্তব্যটির প্রথম অংশের সঙ্গে দ্বিমত। আসিফ কখনোই বাম ধারার নন। অরপি রুমী স্কোয়াডের বিপরীতে অবস্থান নেওয়ার জন্যই ক্ষোভটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বাম ধারাটি একে গতিপ্রাপ্ত করেছে মাত্র। একই সঙ্গে অরপি’র অহংজনিত সংস্কৃতির সংকট তো বটেই। দেখা যাচ্ছে, তিনি রুমী স্কোয়াডের প্রশ্নে আগের অবস্থান থেকে সরে এলেও নিজস্ব সংকটটির মোকাবিলা করতে পারছেন না কিছুতেই। ভক্তিবাদী দর্শনই হয়তো এক্ষেত্রে প্রধান বাধা। 😉
জানি না, ফরিদ ভাইয়ের লেখাটা পড়ার পর থেকেই চোখ ছলছল করছে!
ছিঃ ছিঃ আর কিছু বলার নেই, আমার অভিজিৎদা! আমি ভাবতাম, বঙ্গবন্ধুর খুনীরাও কি করে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে!
আশা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যা এই ১৭ টি প্রানের অপেক্ষায় বসে থাকবেন না! তার আগেই জাতিকে কিছু করে দেখাবেন, এই তরুণদের দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবেন!
আশা করি, এই তরুণদের প্রাণের মূল্য বঙ্গবন্ধুকন্যা বোঝেন! এক শহীদ জননীর কি শক্তি, তা তিনি নিশ্চয়ই বিস্মৃত নন!
আমি বিশ্বাস করি ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখে “আঁতাতের রায় মানিনা“, “প্রহসনের রায় মানিনা” বলে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল – তা ছিল সম্পূর্ণ রাজনীতি মুক্ত । কিন্তু পিয়াল, ইমরান দের মতো বর্ণচোরা শয়তান গুলো সেটা ব্যবহার করেছে নিজেদের স্বার্থে, তাদের দলের স্বার্থে। সরকারী মদদে ফ্রি বিরানী – খিচুড়ী খেয়ে ইমরান সরকার নাকি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে !! ভাড়ামীরও একটা সীমা থাকে – শাহবাগী ইমরান ও তার চামচুগুলো সেটা পার করেছে !!!
আমার সশ্রদ্ধ ভালবাসা নিলয় আর অন্য বিপ্লবীকে । আমি আপ্লুত হই এইদেখে যে আজও আশার আলো প্রদ্দীপিত । বিপ্লব মানুষে মানুষের লড়াই নয় । বিপ্লব আদর্শের লড়াই । মানুষ লড়ে আদর্শের সঙ্গে । যারা ব্যক্তি – কে আক্রমন করে বসেন তারা আমার মতে বিপ্লবের অবমাননা করেন । আমার দুখঃ হয় যখন এক বিশাল সংখ্যক মানুষ এই ব্যক্তি কূৎসা রটনাকে বিপ্লবের অঙ্গ করে ফেলেন । আমার আন্তরিক সুভেচ্ছা রইলো সব বিপ্লবীদের জন্য যারা এক শোষণ মুক্ত সমাজের নির্মানে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন । আমার সতস্ফুর্ত সমর্থন তাদের প্রতি যারা সত্যিকারের বিপ্লবী ।
@সৌরভ সোম, সমর্থন!
অমি রহমান পিয়াল কি পাগল হয়ে গেলেন ? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। একটা ভুল উনি করেছেন, তা করতেই পারেন। কিন্তু সেটাকে জাস্টিফাই করার জন্য চাদরের ওপরে চাদর চাপানোর কোনও মানে হয় কি ?
উনি যা বলেছেন এই অনশনকারীদের পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে, ধরে নিলাম সেটা মিথ্যাচার নয়, সেটা তথ্যগত ত্রুটি। কিন্তু এরপরে যে ফেসবুক স্ট্যাটাসটা উনি দিয়েছেন, সেটা পড়ে লজ্জায় মাথা নীচু হয়ে আসেঃ
এখানে “আমারে ইউজ কইরা আলোচিত না হইয়া” কথাগুলো খুবই আপত্তিকর। আত্মগর্বের কোন সীমায় পৌঁছে গেলে একজন মানুষ এরকম মন্তব্য করতে পারেন ?
প্রিয় অমি রহমান পিয়াল, প্রিয় পিয়াল ভাই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গবেষণা সৈনিক হিসেবে অনলাইনে আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার একজন মানুষ হিসাবে আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভালোবাসি। এই ভালোবাসাটাকে ধর্ষণ করবেন না, প্লিজ। এই মন্তব্যের জন্য, অভিজিৎ’দার পোস্টের জন্য হয়তো বাংলা অনলাইনে ব্রাত্যদের তালিকায় মুক্তমনারাও এসে যাবে, তাও ভালোবাসার শেষ বিন্দুটা দিয়ে বলি প্রিয় পিয়াল ভাই, এবার বন্ধ হোক রাজনৈতিক দলের কাছে বিবেক বন্ধক রাখার নোংরা খেলাটা।
বাকীটা আপনার বিবেচনা।
@শুভজিৎ ভৌমিক,
সহব্লগার যীশু মোহাম্মাদের একটি ফেবু নোটে অরপি-বিভ্রান্তির বিষয়ে হয়তো অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে। খুব খেয়াল করে।
@শুভজিৎ ভৌমিক,
মুক্তমনায় এই বিশিষ্ট গবেষকের একবার পদধূলি পড়েছিল তাঁর অন্য ব্লগে প্রকাশিত একটা লেখা রি-পোস্ট হওয়ার সুবাদে। মন্তব্যে করা তাঁর একটা অমৃতবাণী জাতীয়তাবাদ কিভাবে ফ্যাসিবাদ হয়ে ওঠে তার দৃষ্টান্ত হিসাবে আমি চিরদিন মনে রাখবো। বাণীটা নীচে উদ্ধৃত করলাম। লিঙ্কটা এখানে।
অনশনকারী তরুণদের আন্দোলন সফল হোক।
ওদের সবার জন্য ভাবনা হচ্ছে।
টেকি সাফির বেশ আগের ‘একলা আমি‘ বলে একটা লেখা আছে। ওটা পড়ে মন খারাপ হয়েছিলো খুব। ওকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলাম ‘বাতিঘর’
সাফিদের বেঁচে থাকতে হবে। পথ দেখাবার জন্য ওরা। ওদের যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
ওরা যে সাহস করেছে সেই সাহস নেই বলে নিজেকে খুব ছোট লাগছে । একদিনও না খেয়ে থাকার যোগ্যতা নেই আমার। যুদ্ধ টুদ্ধ লাগলে গুলি খেয়ে মরে যেতে পারি কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন তীব্র কষ্ট ধারন করার কথা ভাবলেই ভয় লাগে ।
সাফির নাম্বার ছিলো আমার কাছে ।বারবার ফোন করতে যেয়েও ফোন করার সাহস পাচ্ছি এখনও ।
আমাদের সবাইকে আসলে ভাবতে হবে আবারও- আমরা কে কতটা সর্বোচ্চ নিবেদন করতে পারি ।
রাষ্ট্র নির্বিকার!
“আমার দেশ” গোষ্টি উদ্যত, আনিসুল হকরা ৯১ সালের লেখার জন্য এখন ওদের কাছে মাফ চাইছেন । আমরা কি ২০১৩ এসে ৯১ থেকেও পিছিয়ে গেলাম এই যখন পরিস্থিতি তখন পরশু ভোর আসবেই এই আশাবাদ রাখতে ভয় হচ্ছে ।
ফেবু থেকে:
মন্তব্য নিস্প্রয়োজন। 😛
@বিপ্লব রহমান,
বজলুর পোলা না ভাতিজা রজত লিস্টে নাই?
দুই নম্বরি লিস্ট না তো? 🙂
@অভি দা,
সহব্লগার যীশু মোহম্মাদের ফেবু নোটটি বোধহয় প্রাসঙ্গিক:
অভিজিৎ, লেখার প্রায় সবকিছুর সাথে পূর্ন সহমত থাকলেও একটি বিশ্লেষনে খানিকটা দ্বিমত আছে। আপনি মনে করছেন যে কয়েকজন সেলিব্রেটি ব্লগারদের হঠাৎ করে মাহমুদুর রহমান-সুলভ কুৎসা আর ব্যাক্তি আক্রমন হলো হঠাৎ খ্যাতির বিড়ম্বনা। আমি কিন্তু তা মনে করি না। এরা অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত তাদের তীব্র অসহিষ্নু মানসিকতা, ব্যাক্তি আক্রমন, উদ্ভট ডান-বাম সরলীকরন তত্ব আর আত্মশ্লাঘা’র জন্যে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে কোনো রকম দ্বিধার অবকাশ নেই। কিন্তু সেই সাথে তাদের তীব্র পার্টিজান মনোভাবও কারো অজ্ঞাত থাকার কথা নয়। একটা দোষ একটা গুন দিয়ে চাপা পড়ে যায় না।
এমনকি শাহবাগ আন্দোলন এর অনেক আগে থেকেই মুক্তচিন্তকেরা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষ বিশ্লেষনে প্রয়াসীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। এদের কাছে চুশিলেরা ছাগুদের চেয়ে হয়তো কিছুটা ভালো, কিন্তু তা সামান্য পরিমানে।
আশাকরি এই মার্কামারা, ঝুনা নারিকেল ব্লগার আর অনলাইন এক্টিভিস্টদের খপ্পর হতে মুক্তকরে সাফির মতো ছেলেরা শাহবাগ আন্দোলনকে প্রকৃতই নবীন প্রজন্মের আন্দোলনে পরিনত করবে।
সব কিছু মিলিয়ে আমি হতাশ। নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ যে কোন আন্দলোনকে লক্ষহীন করে দেয়। শাহবাগ আর রুমি স্কোয়াড ৈদ্বরথ? জামাতায়ীরা এখন এই ক্ষণটাকেই কাজে লাগাবে। ৬ তারিখ হেফাজত ইসলাম ঢাকা আসছে! লক্ষ লক্ষ মানুষ সমাগম করে েশাডাউন করবে। সরকার রাজনীতি করেছ বিচার নিয়ে। শেষ হাসি কি তবে ঘাতকরা হাসবে? কিছু একটা করা দরকার। িকন্তু কি সেটা…?
লেখাটা লিখে পোস্ট করতে না করতেই খবর পেলাম , যে ভয়টা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল –
যাদের পরিচিত ডাক্তার আছেন, তাদেরকে অনুরোধ করছি সাহায্যে এগিয়ে আসার।
@অভিজিৎ,
প্রতি মুহুর্তের খবর জানি। তবু এই লেখাটার প্রয়োজন ছিল। সাফি’র জন্যে কী আর বলি। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কেবল চাইছি ও সহ সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুক। সাফি যে আমাদেরই ছেলে-
ধন্যবাদ অভিজিত-
@অভিজিৎ,
আমি রয়েছি ওদের সাথে। ধন্যবাদ লেখাটার জন্যে! আচ্ছা, এটা ঠিক যে একটা জরুরী মেডিক্যল টীম দরকার। ওদের সাথে কি সার্বক্ষনিক যোগাযোগের ব্যবস্থা আছে? আর কি কি ধরনের সমস্যা রয়েছে বা দেখা দিতে পারে সেগুলো ভাবা দরকার। পাশাপাশি প্রতিরোধ মূলক একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
সর্বশেষ আপডেট –
রাজশাহী থেকে শাহবাগে এসে শহীদ রুমী স্কোয়াডের সাথে আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন, ফারহানা ইয়াসমিন সুমি।
অসাধারন দাদা।