শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ক্যান্সারাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৪ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখে। মারা যাবার আগে শেষ চিঠিতে  স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের কাঁধে অর্পিত দায়িত্বের প্রতি –

‘আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব একতা এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মরণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাই নি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন…’।

চুরানব্বই থেকে দু হাজার তেরো। কেটে গেছে উনিশ বছর। পদ্মা মেঘনার উপর দিয়ে জল গড়িয়ে গেছে অনেক। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, জামাত শিবির নিয়ে রাজনীতি হয়েছে, হুমকি ধামকি দেয়া-নেয়া হয়েছে, চোর পুলিশ খেলা হয়েছে, কিন্তু এদের বিচার করার কিংবা নিষিদ্ধ করার মত প্রেক্ষাপট কেউ তৈরি করতে পারেনি, করতে চায়নি। শহীদ জননীর কাছে করা ওয়াদা ওয়াদাই রয়ে গেছে। শহীদ জননীর মৃত্যুর যেমনি উনিশ বছর কেটেছে, তেমনি কেটেছে স্বাধীনতা প্রাপ্তির বেয়াল্লিশ বছর; কিন্তু ‘কেউ কথা রাখেনি’।

শাহবাগ আন্দোলনের শুরুতেই দাবী তোলা হয়েছিল ২৬ শে মার্চের মধ্যে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে।  দাবীর ধাক্কায় কেঁপে উঠেছিল ক্ষমতাশালী আর সুবিধাবাদীদের প্রাসাদ আর দুর্গ। ব্লগার রাজীব হায়দারের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত উচ্চারণ করেছিলেন, ‘জামাত শিবিরের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই’। সবাই ভেবেছিল এবারে বুঝি সত্যই প্রত্যাশার পূরণ হবে। হয়নি। আন্দোলনের ঢেউয়ের ধাক্কা একটু ফিকে হতে না হতেই আমরা খবরের কাগজে দেখলাম – ‘জামাতকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে না সরকার’। তারপর থেকেই সবাই যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। পাবলিককে যত বোকা ভাবা হয় তত বোকা না। ভিতরে ভিতরে কি খেলা চলছে সেটা কাউকে না বলে দিলেও চলে।

এভাবেই হয়তো চলত, যেভাবে চলেছে স্বাধীনতা-উত্তর বেয়াল্লিশটা বছর।  হতাশার গহীন আঁধারে যেমনি ভাবে ছিলাম, তেমনিভাবেই হয়তো থাকতাম।  কিন্তু তা মেনে নিলেননা সাতজন উদ্যমী তরুণ। তারা কবি নজরুলের মতোই ‘দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া গেলেন’।  শুরু করলেন অনশন কর্মসূচী।  তারা এর পিছনে কারণ হিসেবে বললেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল, সরকার সেটি না মানায় ও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায়, শহীদ রুমী স্কোয়াড-এর সাত তরুণ এ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।’

তারা অনশন শুরু করেন ২৬ মার্চ রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। সকালের মধ্যেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ জনে, আর দুপুরের মধ্যেই পোঁছায় ১৬ জনে।  অনশনের রাতেই, তাদের এই কর্মসূচির সঙ্গে তাৎক্ষণিক-ভাবে সংহতি প্রকাশ করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্কোয়াড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার মঞ্চ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বোধন। পরবর্তীতে আরও সংহতি প্রকাশ করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস পাঠচক্র, জাগরুক গণ পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু চেতনা পরিষদ, বিপ্লবীদের কথা, সেক্টর ১৩, ফাঁসির মঞ্চ, তারুণ্য তের, রাস্তা, জেনারেশন এফ, দেশ মৃত্তিকা, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ, গণসংহতি আন্দোলন, রাগমা, আমরা, মাতৃভূমি সামাজিক সংগঠন, হৃদয়ে সীতাকুন্ডু, বটতলা নাট্যদল এবং ব্ল্যাক স্কোয়াড। এছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে সিলেট গণজাগরণ মঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে সংহতির কথা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে সংহতির কথা। নেত্রকোনা থেকে ১২ জন জানিয়েছেন এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তারা টানা অবস্থান করছেন জেলা শহীদ মিনারে; দ্রুতই তারা অনশনে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙালীরাও এর সাথে সংহতি জানিয়েছেন, অনেকে শুক্রবার রাত থেকে পরদিন শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন পালন করেছেন। আজকের পেপারে শিরোনাম দেখলাম, ‘অনশনে মুখ বাড়ছে, সমর্থনও’।  আমি নিজেও আজ সারাদিন কিছু খাইনি। অনশন করার ইচ্ছেতে নয়। খেতে যাইনি এমনিতেই, কারণ জানি খেতে গেলেই খাবার আটকে আসবে মুখে, মনে পড়বে অনশন করা ছেলেগুলোর পাংশুমুখগুলো।তাদের মায়েরা হয়তো বসে আছে ভাতের থালা সাজিয়ে, খোকা কখন বাড়ি আসবে! লাঞ্চের সময় অফিসের কলিগদের এড়িয়ে গেছি; কাজের ছুতায় কম্পিউটারের সামনে কাটিয়েছি, রাতেও বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছি খাওয়ার ঠিক আগে।  কাউকে বুঝতে দেইনি।

‘…কেউ জানেনা, না জানে আড়াল

জানে কান্নার রঙ

জানে জোছনার ছায়া….’।

শুনেছি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকেও অনশনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা হয়েছে। একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে বহির্বিশ্বের অনেক জায়গা থেকেই। নাট্য-ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ সহ অনেকেই এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। হয়েছেন উদ্বিগ্ন। বলেছেন, ‘অবিলম্বে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে। এখানে যারা অনশন করছে, তারা আমাদের সন্তানদের মতো। জামায়াত-শিবিরের জন্য তারা মারা যেতে পারে না’। নির্মম সত্যিকেই প্রকাশ করেছেন মামুনুর রশীদ।

এই যখন অবস্থা, তখন ফেসবুকে দেখা গেল এক অন্য এক রহস্যময় সুরের ব্যঞ্জনা। গণজাগরণ মঞ্চের কিছু সম্মুখ-সারির নেতা কুৎসা রটাতে শুরু করলেন এই তরুণদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলেন, এই আন্দোলন নাকি ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি বজলুল হুদার ছেলে’ শুরু করেছে। এর সাথে তাল ঠুকলেন আরো দুই চেনা মাস্কেটিয়ার্স। ঢোলের দু পাশে মন্দিরা আর খোল থাকবে না, তা হয় নাকি।  ‘খুনির পোলা’ থেকে শুরু করে ‘পঁচে যাওয়া বাম’ কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্বেরই কমতি দেখা গেল না।

আমি অবাক হয়ে ভাবি, যে তরুণেরা শাহবাগ আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে ছিলেন, তারা এত তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়াশীলতার পথে নেমে পড়লেন কেন? বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আমার ফেসবুকে এর একটা বিশ্লেষণ দিয়েছিলাম গতকাল। বলেছিলাম – অর্থ, প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতার পাশাপাশি খ্যাতিরও কিছু বিড়ম্বনা আছে, আছে কিছু প্রতিক্রিয়াশীলতার স্পর্শ। এগুলো ব্যাগেজ হিসেবে অটোমেটিক আসে, সেটা যে রথী মহারথীই হোক না কেন। শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে খ্যাতির মই বেয়ে যারা উপরে উঠে গেছেন, হঠাৎ করেই পরিচিত হয়েছেন ‘নেতা’ হিসেবে, তাদের অনেকেরই বোধ হয় এখন স্থবিরতা এসে গেছে। না হলে জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে গড় ওঠা আন্দোলন, তাদের নিষিদ্ধ করার দাবীতে গণঅনশন শুরু করেছে যে উদ্যমী তরুণেরা তাদের সমর্থন না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে শুরু করতেন না তারা। তাদের পিতৃপরিচয় নিয়ে নরক-গুলজার করতেন না। করতেন না অশ্লীল ভাষায় গালাগালি।

এমন একটা ভাব যেন, ‘আমার আশীর্বাদধন্য গ্রুপের মাধ্যমে’ না হলেই ব্যাটা ‘ছাগু’, ‘অমুকের পোলা’, ‘তমুকের ছাও’ কিংবা ‘রাজাকারের পুত’। কোন মানে হয়?

আমি স্ট্যাটাসে এটাও বলেছিলাম, যারা আজ  আপনাদের মাথায় করে রাখছে, যাদের দাক্ষিণ্যে আপনারা খ্যাতিমান হয়েছেন, তারাই আবার সোজা ঘার থেকে আপনাকে ফেলে দেবে, যদি দলীয় সঙ্কীর্ণতা, লেজুড়বৃত্তি আর স্থবিরতার ঊর্ধ্বে উঠতে না করতে পারেন। ইতিহাসের নির্মম সত্য এটাই। ‘একবার যে রাজাকার সব সময়ই রাজাকার, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা সব সময়ই মুক্তিযোদ্ধা নয়’ – হুমায়ুন আজাদের যে অমোঘ বানী আপনারা এতোদিন জলিল, কাদের সিদ্দিকীদের প্রতি বর্ষণ করেছেন, সেটা বুমেরাং হয়ে আবার আপনাদের বুকেই শেল হয়ে বিঁধবে।

ততক্ষণে সারা ফেসবুক জুড়ে শুরু হয়ে গেছে এই সব ‘সেলিব্রিটি ব্লগার’ এবং ‘ফেসবুক এক্টিভিস্ট’দের প্রতি নিন্দার ঝড়।  সাদাত হাসান নিলয় নিজেই শহীদ রুমী স্কোয়াডের পেইজে লিখলেন –

‘জনাব,

আমার বাপের নাম হারুন-আল-রশিদ, আশা করি আমি আমার বাপের নাম ভুল বলি নাই। আমি শহীদ রুমী স্কোয়াডের সমন্বয়ক সাদাত হাসান নিলয় বলছি। ফেব্রুয়ারির ৫তারিখ থেকে আমরা এই শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আছি। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ থেকে শহীদ জননীর ছবিটা তোলার সময় থেকে আন্দোলনের কোরের মোটামুটি সবাই জানেন, শহীদ রুমী স্কোয়াড কে বা কারা।

আমার মত নগণ্য লোককে কিংবা তার বাপকে আপনার মত বড় মাপের গবেষকের না চেনারই কথা। তাতে আমার কোনই আপত্তি নাই। কিন্তু একটা বড় আন্দোলনকে নষ্ট করার মত ইনফো বাজারে ছাড়ার আগে দয়া করে সোর্স দিয়ে বলবেন।

আপনার মত ইতিহাসবিদ ও গবেষকের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা’।

আজ দেখলাম, টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও একই কথা উচ্চারণ করেছেন নিলয় (দেখুন – অনশনের ৪৮ ঘণ্টার মাথায়, অনশনের মাঝেই ব্যাখ্যা দিলেন নিলয়)।  সেখানে স্পষ্ট করেছেন, গণজাগরণ মঞ্চের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই।  তাদের আন্দোলনকে বিচ্ছিন্ন কিছু ভাবলে ভুল হবে। স্মরণ করিয়ে দিলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে আছি সবসময়। ইমরান সরকার যখন প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে যাবেন, তখন তাঁর হাতে আমাদের ১৭টি প্রাণ তুলে দেবো সঙ্গে নিতে’। কী দৃপ্ত উচ্চারণ, কী শক্তিশালী শপথ। গালিবাজ ব্লগারদের মতো কথার তুবড়ি নেই, নেতাগিরি নেই, নেই স্বঘোষিত রকস্টার হবার বাসনা। সোজাসাপ্টা কথাগুলোওই কত সহজ আর মার্জিত ভাষায় বলে গেলেন তিনি।

এর মধ্যেই খবর পেলাম আমাদের টেকি সাফিও আছে অনশনে। ও তো বিজ্ঞান নিয়ে লেখালিখি করে, জানতাম;  কিন্তু কে জানতো তার মধ্যে এতো বারুদ লুকিয়ে আছে। অনেকেরই ফেসবুকে খুব চিন্তা – চিকনা পটকা ছেলেটা অনশনে অক্কা পাবে না?

না, পাবে না। কারণ আমি জেনে গেছি – এরা মৃত্যুঞ্জয়ী সংশপ্তক। মহাভারতের অভিমন্যুর কথা মনে পড়ে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কৌরবদের চক্রব্যুহ ভেদ করার সংকল্প করেছিলেন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও লড়াই করে যায় যে বীর সেই তো সংশপ্তক।  এরা বিজয়মাল্য না নিয়ে ফিরছে না।  আমি আজকের বাংলা নিউজ পত্রিকায় (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম) এই কথাগুলোই বলেছি ‘শহীদ রুমী স্কোয়াডের সংশপ্তকেরা‘ শিরোনামে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শফি ইমাম রুমীর জন্মদিন ছিল আজ। জন্মদিনের কি বিশাল প্রাপ্তি হয়ে রইলো আজকের এই দিনটি। ৬২তম জন্মদিন তারা পালন করলেন ৬২ টি মোমবাতি জ্বালিয়ে। রুমীর অসমাপ্ত কাজের পূর্ণতা দিতেই যেন জাতিস্মর হয়ে এসেছেন শহীদ রুমী স্কোয়াডের সংশপ্তকেরা।  ‘আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার, আমি ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চিৎকার’।

এতো আমরা জানিই। রুমীরা যে মরে না, এরা বেঁচে থাকে আমাদের আলো দিতে যুগের পর যুগ।  শতাব্দীর পর শতাব্দী। লেখাটি শেষ করি মাহমুদুজ্জামান বাবুর লাইনগুলো দিয়ে –

‘ভোর হয়নি, আজ  হল না কাল হবে কিনা তাও জানা নেই

পরশু ভোর আসবেই

এই আশাবাদ তুমি ভুল না’।

হ্যাঁ আশাবাদ আমরা ভুলি নাই।‘যারা ভোর আনবে’ বলে প্রতীজ্ঞা করেছেন -সেই  দৃপ্ত মুখগুলোর প্রতি রইলো শুভেচ্ছা।  মুক্তমনার পক্ষ থেকে থাকল তাদের প্রতি সার্বিক সমর্থন।