(১)
জর্জ ওয়াশিংটনের জীবনী নিয়ে ঘাঁটতে গেলে প্রথমেই যে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়- ” আসলে লোকটা কি ছিল? ” সত্যই কি স্বাধীনতাপ্রেমী বিপ্লবী-বৃটিশদের অত্যাচারে জর্জরিত-প্রতিরোধকামী আমেরিকান জনগণের নেতা? না, অবচেতন মনে নিজের অস্তিত্বের প্রতিষ্ঠার প্রতি বেশি যত্মবান একজন ভার্জিনিয়া খামার মালিক? আমেরিকায় বাক এবং চিন্তার স্বাধীনতাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারনে, জর্জ ওয়াশিংটনের অধিকাংশ জীবনীকারই চোখ খুলে দেখিয়ে দেন-লোকটা স্বাধীনতার আগুনের থেকেও নিজের নামের প্রতিষ্ঠার জন্যেই স্বাধীনতার যুদ্ধে যোগ দেন। জর্জ ওয়াশিংটনের জীবনী খুব কাছ থেকে দেখলে, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহই থাকার কথা না। স্বাধীনতার যুদ্ধের আগে ১৫ বছর তিনি ভার্জিনিয়ার আইনসভাতে ছিলেন-এবং কোন দিনের জন্যেই বৃটিশদের বিরুদ্ধে কলোনীনিস্টদের জন্য একটি কথাও বলেন নি যখন টাক্স বিদ্রোহে গোটা আমেরিকাতে আগুন জ্বলেছে। যদিও এর পরেও, কোন সন্দেহ নেই, তার নেতৃত্বেই আমেরিকা স্বাধীন হয়েছে।
আমেরিকার বাইরে একটা বিশাল সমস্যা হচ্ছে, কোন একজনের জীবনী খুব গভীরে না ঘেঁটে, আমরা তার মিডিয়া প্রচার এবং বহিরাগত রূপেই ডুব মারি। বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে আমরা মানুষ হিসাবে না দেখে, জননেতা হিসাবে না দেখে, জনদেবতা হিসাবে দেখার প্রবণতা আমাদের মধ্যে অত্যাধিক বেশি।
হুগো শাভেজকে নিয়ে খুব সরল সিদ্ধান্তে আসা মুশকিল। তার গোটা জীবন জুরে অদ্ভুত বৈপরীত্ব-এবং আমার কাছে সেটা মানবিক। আসল হুগো শাভেজকে তার সেই মানসিক দ্বন্দের মধ্যেই খুঁজতে হবে। তাকে আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেবতা বানালে, সমাজতন্ত্র বা হুগো শাভেজ-সবার প্রতি অবিচার হবে।
(২)
শাভেজের সমাজতান্ত্রিক শিক্ষা, দরিদ্র জীবন থেকে উঠে আসা। শাভেজের সমাজতান্ত্রিক নির্মানের শুরু, ছোট্ট শহর বারিনাসে। সাত সন্তানের দ্বিতীয় সন্তান শাভেজ। এত গরীব যে, তার পিতা দিদিমার কাছে পাঠালেন হুগো আর তার বড় ভাই আদানকে। দিদিমা রোজাও খুব গরীব- ছোট বেলায় অনেক দিনই না খেয়ে থাকতে হয়েছে শাভেজকে। রোমান ক্যাথোলিক চার্চের দয়াতে কোন কোন দিন খাবার জুটত-শিক্ষাও পেয়েছেন চার্চের স্কুলের কাছ থেকেই।
শাভেজ চরিত্রের এক অদ্ভুত গুন হচ্ছে, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা। ছোট বেলায় ক্ষুদার যে যন্ত্রনা তিনি পেয়েছেন- প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর, তার প্রথম এবং সব থেকে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে ভেনেজুয়েলাকে ক্ষুধা মুক্ত করা। না- তিনি লেনিন, মার্ক্স নিয়ে কিছুই জানতেন না। কিন্ত ক্ষুদাকে চিনেছিলেন। ফলে তার অন্যতম কীর্তি মার্কাল নেটোয়ার্ক বলে মুদিখানার চেন দোকান খোলা। এই সরকারি চেনে ছিল ১৬,৬০০ আউটলেট এবং ৮০,০০০ কর্মী। এখান থেকে সস্তায় ১২ টি অত্যাবশ্যক খাদ্য খুব অল্পদামে বিলি করে ভেনেজুয়েলা সরকার। শুধু তাই না, খোলা বাজারে খাদ্যের দামও নিয়ন্ত্রন করত তার সরকার। ভেনেজুয়েলার একটি শিশুও যাতে অপুষ্টিতে না ভোগে- এই ছিল তার অঙ্গীকার। প্রতিটি শিশু এবং মায়েদের জন্য খাদ্যের সংস্থান, হুগো শাভেজের সব থেকে বড় সাফল্য।
কিন্ত এর আসল ফল কি? সাফল্য এখানে মিশ্র। খাদ্যের উৎপাদন ভুমি সংস্কারে ভেনেজুয়েলাতে বেড়েছিল অনেকটাই। কিন্ত মাংস সহ বেশ কিছু প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উৎপাদন কমে যায়। উনার এখানে ভূমিকা ছিল আমাদের মমতা ব্যানার্জির মতন। খাবারের দাম বেঁধে দেওয়ার জন্য বন্ধ হয়ে যায় অনেক দোকান। মমতা ব্যানার্জি যেমন বাসের ভাড়া বেঁধে দিয়ে অনেক বাসকে অচল করে ছেড়েছেন। ভেনেজুয়েলাতেও খাবারের দোকানগুলির একই হাল হয়েছিল। পরবর্তীকালে ২০০২ সালে এরাই শাভেজ বিরোধি আন্দোলনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে ক্যারাকাসে যে বিদ্রোহ এবং ক্যু হয়, তার মূলে ছিল ছোট বড় সব ধরনের ব্যাবসায়ী। তবে এই ক্যু থেকে হুগো শাভেজ শিক্ষা নিয়েছিলেন। এরপর থেকে এমন কিছু করেন নি যাতে ছোট ছোট বেনিয়ারা ক্রদ্ধ হয়।
আবার রোমান ক্যাথোলিক চার্চের কৃতজ্ঞতাও তিনি ভোলেন নি। আজন্ম রোমান ক্যাথোলিক ছিলেন। তার কাছে যীশু ছিল সব থেকে বড় সমাজতান্ত্রিক আদর্শ। চার্চ প্রতিক্রিয়াশীল-লেনিনের এসব তত্ত্বের থেকে তার অবস্থান ছিল অনেক দূরে-কারন তার অভিজ্ঞতার শিক্ষা ছিল সেই নিদারুন দারিদ্র্যের বাল্যে, চার্চই তাকে খাইয়েছে, পড়িয়েছে। কলেকের ভর্তি হওয়ার টাকা ছিল না- মিলিটারি একাডেমিতে ঢুকে ছিলেন সেই আঠারো বছর বয়সে। প্রথাগত শিক্ষা তার ছিল না- ফলে তার জীবনের সব শিক্ষাই ছিল অভিজ্ঞতার আগুন থেকে উঠে আসা।
(৩)
এবার আসা যাক মূল প্রশ্নে। কি ধরনের সমাজতান্ত্রিক ছিলেন হগো শাভেজ? লেনিন স্টালিনকে পছন্দ করতেন? মার্ক্স-লেনিনের ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছেন?
উত্তর খুব স্পষ্ট। এসব তিনি বুঝতেন না। তাই ওই ঘোলা জলে মাছ ও ধরেন নি। এবং সেই জন্যেই খুব সম্ভবত তিনি গণতান্ত্রিক কাঠামোতে সমাজতান্ত্রিক সাফল্য পেয়েছেন-কারন তত্ত্ব থেকে না, অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসেছে তার বামপন্থা। উনি অনেকবারই বলেছেন-আমি মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট না-আবার তার বিরোধি ও না। যারা মমতা ব্যানার্জির বামপন্থার সাথে পরিচিত আছেন-তারা এই স্টাইল বিলক্ষন বুঝবেন।
ভেনেজুয়েলার তেলের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে গরীবদের সাহায্য করা সম্ভব-সেখানেই আটকে ছিল তার অর্জুনচোখ। ফলে খাদ্য থেকে বাসস্থান -সর্বত্র তিনি সরকারি সহায়তা দিয়েছেন কোয়াপরেটিভ তৈরী করে, ছোট গণতান্ত্রিক কমিউন তৈরী করে নিজেদের জন্য নিজেদের ব্যাবসা করতে। তার এই মডেলের সমস্যা হল- আস্তে আস্তে সব কিছুই সরকারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছিল। যদ্দিন তেলের দাম ছিল সেই ২০০৪-২০০৭ সাল পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি ১২% হারে বেড়েছে। কারন তেল বেচার টাকা, ভেনেজুয়েলার মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছিল। তেলের দাম পড়তেই ২০০৮ সাল থেকে ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি প্রতি বছর ২- ৩% হারে কমেছে।
প্রথমবার যখন উনি প্রেসিডেন্ট হলেন-তখন ধনতন্ত্রের বা বাজারের খুব বিরোধি ছিলেন না। ভেনেজুয়েলাতে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য যথেষ্ট উদার অর্থনীতি এবং আই এম ফের বিরোধিতা ১৯৯৮ সালে করেন নি। ২০০২ সালে ক্যু এর পরে উনি আমেরিকারবিরুদ্ধে চলে যান সরাসরি। তবে আইন করে ব্যবসা বন্ধ করাটা উনার পদ্ধতি ছিল না। উনি চাইছিলেন, কোয়াপরেটিভ বানিয়ে সরকারি সাহায্য দিয়ে ব্যাবসার একট অলটারনেটিভ মডেল দাঁড় করাতে। ১৯৯৮ সালের পর থেকে ভেনেজুয়েলাতে ১০০,০০০ কোয়াপরেটিভ এবং ৩০,০০০ কাউন্সিল তৈরী হয়, নানান ছোট ছোট ব্যাবসায়িক উদ্যোগের জন্য। ৩৫০০ টি কোয়াপরেটিভ ব্যাঙ্কও তিনি তৈরী করেন। বাড়ি তৈরী করা থেকে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল খামার সব কিছুই এই উদ্যোগের মধ্যে আছে।
তার এই কাউন্সিল কমিউনিজমের পরীক্ষা কতটা সফল ( কাউন্সিল কমিনিউজম নিয়ে আমার আগের লেখাটি এখানে দেখতে পারেন ) ? উত্তর দেওয়ার সময় আসে নি। তবে, এর দুটি দিক খুবই সত্য। প্রথমত, উৎপাদন ব্যাবস্থার ওপর গরীবদের এই অধিকার, মানুষের সন্মানকে অনেকটাই ফিরিয়ে দিয়েছে ভেনেজুয়েলাতে। কিন্ত এখনো পর্যন্ত এমন কোন তথ্য নেই, যাতে প্রমান করা যায় এই কোয়াপরেটিভ মুভমেন্টের ফলে ভেনেজুয়েলাতে উৎপাদন খুব বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন অনেক বেড়েছে। কিন্ত শিল্পের অধোগতিই হয়েছে।
দুটি কথা খুব শোনা যায় শাভেজ সম্মন্ধে। বলিভেরিয়ান আদর্শবাদ এবং একবিংশ শতকের সমাজতন্ত্র। প্রথমটি নেহেরুর মডেলে স্বয়ং সম্পূর্ন এক গণতান্ত্রিক জাতির সাধনা যা বিদেশী শক্তি থেকে সম্পূর্ন মুক্ত থাকবে। এর ল্যাটিন মডেল হচ্ছে ্উনবিংশ শতকে ভেনেজুয়েলার প্রবাদপ্রতিম সেনানায়ক সিমন বলিভার-যিনি দক্ষিন আমেরিকাকে স্প্যানিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত করেছিলেন। দ্বিতীয়টি অনেকটা নোয়াম চমস্কি ধাঁচের সমাজতন্ত্র-যা লেনিনিজম, এবং স্তালিন জাতীয় “জোর” করে, অস্ত্রের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটানোর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ঘোষনা করে। এই ব্লকের প্রথম বক্তব্যই হল জোর করে ঘটানো কমিনিউস্ট বিপ্লব একগাদা ব্যার্থ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, যার সাথে সমাজতন্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। এবং জোর করে চাপিয়ে সমাজতন্ত্র হয় না। সম্পূর্ন গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক চেতনা জাগ্রত করেই আস্তে আস্তে এগোতে হবে।
লেনিন মার্ক্সিস্ট বিপ্লবী তত্ত্বের বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলেন নি ঠিক। কিন্ত তার জীবনচর্চা বলছে, তিনি এদের পাত্তা দেন নি এবং মিলিটারি জেনারেল থাকার সময় এদের উৎখাত করে ছেরেছেন।
এই ধরনের সশস্ত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধেও কাজ করে তার অভিজ্ঞতা। আসলে তিনি ছিলেন ভেনেজুয়েলা মিলিটারিতে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মিলিটারিতে তাকে একটা কাজই করতে হয়েছে। সেটা হচ্ছে ভেনেজুয়েলার সব ধরনের মাওবাদি সংগঠনকে খতম করা। সেটা তিনি সাফল্যের সাথেই করেছেন অস্ত্র হাতে এবং স্থানীয় লোকেদের সাথে মাওবাদি ( ওদের লোকাল নাম রেড ফ্ল্যাগ পার্টি) দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে। বারিনাস এবং এন্টেজাগুতে এই মার্ক্সিস্ট গেলিরাদের জানে প্রানে খতম করার কৃতিত্ব স্বরুপ তার প্রমোশন হয় ক্যাপ্টেন হিসাবে। এমন নয় এই সময় তিনি ছিলেন এক উদাসীন লয়ালিস্ট জেনারেল। বলিভেরিয়ান বিপ্লবের জন্য তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ১৯৭৮ সাল থেকে। তখন থেকেই তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন গণতান্ত্রিক বাম আন্দোলনের সাথে। তার নিজের বয়ানে তিনি ২২-২৩ বছর বয়স থেকেই বামপন্থী। তাহলে সেই দেশে মার্ক্সিস্ট সশস্ত্র বিপ্লবী দমনে তিনিই মিলিটারিতে সব থেকে সফল জেনারেল হলেন কেন?
এর উত্তর ও খুব সহজ। ভেনেজুয়েলার মার্ক্সিস্ট বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল ছিলেন-কিন্ত তাদের পথ যে ভেনেজুয়েলাকে আরো ডোবাচ্ছে এবং গরীবদের জন্য তা আরো অন্ধকার গলি, এটা বুঝতে তার অসুবিধা হয় নি। মিলিটারিতে তার কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ট্যাকটিস ছিল সদ্য নির্মিত হিন্দি সিনেমা চক্রব্যুহর হিরো আদিলের মতন। স্থানীয় জনগনের জন্য ক্লিনিক খুলে, খাদ্য দিয়ে, আশ্বাস দিয়ে মার্ক্সিস্ট বিপ্লবীদের নেটোয়ার্ক ধ্বংস করে দিতেন। এটা তিনি করেছেন, তার ১৬ বছরের মিলিটারি ক্যারিয়ার জুরে যখন তিনি মিলিটারির মধ্যেই বলিভেরিয়ান বিপ্লবী উইং তৈরি করছেন দেশে বামপন্থী মিলিটারি বিপ্লবের জন্য। সুতরাং কোন সন্দেহ থাকা উচিৎ না, লেনিনিস্ট মার্ক্সিস্ট বিপ্লবীদের প্রতি তার আসল মনোভাব নিয়ে। তিনি বলিভেরিয়ান বিপ্লবী-যার সাথে নেহেরুর মত এবং পথের মিল সর্বাধিক।
(৩)
এর পরে প্রশ্ন উঠবে তাহলে কি করে তিনি ফিদেল কাস্ত্রোকে পিতাসম নেতা হিসাবে মান্য করতেন? এখানেও সেই এক হুগো শাভেজ। যিনি তত্ত্ব না, বাস্তবকেই ধ্যানজ্ঞান করতেন। আমেরিকা তার কাছে ছিল সাম্রাজ্যবাদি শক্তির প্রতিভূ। আমেরিকার বিরুদ্ধে থাকা সব রাষ্ট্র নায়কই তার অতিপ্রিয় ছিল। আহমেদাঞ্জির মতন চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্ব ( যারা ইরাণে মেয়েদের সব অধিকার -সন্তান থেকে শিক্ষা-কোন কিছুতেই আর অধিকার নেই ইরাণের মেয়েদের) সাথেও তার ছিল ঘনিষ্ঠতা এবং তিনি আহেমিদিনাজকে বিরাট ব্যাক্তিত্ব বলে মনে করতেন। এই ধরনের স্ববিরোধিতার কারনেই আমেরিকান বামপন্থীরাও তাকে খুব বেশি পাত্তা দেয় নি। আমেরিকার সব থেকে বড় বামপন্থী টিভি হোস্ট র্যাচেল ম্যাডো শোতে, তার মৃত্যুদিনে একটি আলোচনা হয়। তাতে র্যাচেল পরিস্কার ভাবেই জানান-তার উদ্দেশ্য যতই সৎ থাকুক না, আমেরিকার বিরোধিতা করতে গিয়ে, ফিদেল বা আহমেদিনাজের মতন স্বৈরাচারী শাসকদের ভগবান বানানো কোন উৎকৃষ্ট বামপন্থার নমুনা না। ফলে আমেরিকানদের কাছে তার ইমেজ আরেকজন আমেরিকান বিরোধি কার্টুন চরিত্রের।
অথচ দারিদ্য এবং অসাম্যের যে উপাদানগুলি তাকে সমাজতান্ত্রিক হিরো বানিয়েছে, তা আমেরিকান সমাজেও সমান ভাবে বিদ্যমান। কর্পরেট অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে, ওবামাও কমিউনিটি ভিত্তিক শিক্ষা, বিমা এবং স্বাস্থ্যের দিকে হাঁটছেন-যা শাভেজের কমিউনিটি ভিত্তিক উৎপাদন মডেল থেকে খুব আলাদা না। আবার টেকনোলজি ব্যাবসার জন্য ওবামা, সরকারি ভিসি ফান্ডিং বাড়াতে চান-একই অবস্থান নিয়েছেন হুগোশাভেজ। ওবামা ক্ষমতায় আসার পর আমেরিকাকে শত্রু বানানোর কোন দরকার ছিল না । ওবামার সাথে শাভেজের অমিল শুধু মাত্রায়, তালে না। সেটা না করে, সস্তা রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার জন্য হুগো ইরানের মোল্লাতন্ত্রকে স্বাগত জানিয়েছেন, আর আমেরিকাকে বানাতে গেছেন দানব। সস্তার জনপ্রিয়তা সব সময় নেমে যাওয়ার সিঁড়ি। এক্ষেত্রেও তিনিও তার ব্যাতিক্রম না।
(৪)
তাহলে হুগো শাভেজের সমাজতান্ত্রিক পথ থেকে গোটা পৃথিবীর কি অর্জন?
চার্চকে তিনি মাথায় তুলে রেখেছেন। নারীবাদ নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। অন্যান্য ল্যাটিন আমেরিকান সাধারন মানুষদের মতন চুটিয়ে পরকীয়া উপভোগ করেছেন সাংবাদিকা মারিসাবেলের সাথে।
একটা ব্যাপারেই তার মাথাব্যথা ছিল। কি করে রাষ্ট্রের সম্পদ গরীবদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই ব্যাপারে তিনি চূড়ান্ত সফল। কারন তার ১৩ বছর শাসনকালে দারিদ্র কমেছে, খাদ্য পৌছেছে সবার কাছে, ৯৯% শিক্ষিত হয়েছে ভেনেজুয়েলা।
তার মডেল সাসটেনেবল না। এটা ২০০৮ সালে তেলের দাম পড়তেই পরিস্কার- ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যাবস্থাতে ভাল টান এসেছে। তেল না থাকলে, তার মডেল অচল। যে টাকা সরকার ব্যয় করেছে জনগণের ওপরে, তা কোন সফল ব্যাবসা তৈরী করতে পারে নি-যা নিজের টাকাতে চলে। পশ্চিম বঙ্গে বেনফিস থেকে তঞ্জুজ সমবায়গুলির যা অবস্থা, ভেনেজুয়েলাতেও তাই। হুগো শাভেজ চাইলেও, অধিকাংশ কোয়াপরেটিভ গুলিই ব্যাবসা করতে অক্ষম হয়েছে-তারাও নির্ভরশীল হয়েছে তেলের অনুদানের ওপর।
ফলত শিল্পের ক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলাতে বিশেষ কিছুই হয় নি – আগেও ৮৫% তেল নির্ভর অর্থনীতি ছিল; এখনো তাই আছে। আই টি, বায়োটেক ইত্যাদি নব্য শিল্প ভেনেজুয়েলাতে কিছুই হয় নি। কারন সরকারি অত্যাচারে বা অতি পর্যবেক্ষনে কেও ভেনেজুয়েলাতে লগ্নি করতে সাহস পায় না। তেলের দাম পড়লেই সেদেশে ৩০% ইনফ্লেশন দেখা যায়-সরকারি দোকানেও খাবার থাকে না।
হুগো শাভেজের সাথে আমি শুধু একজনের তুলনা টানতে পারি-তিনি হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। গণতন্ত্র, তত্ত্ব কোন কিছুর দায় নেই তাদের। শুধু একবল্গা পপুলিজম। রাজকোষ উজার করে যিশু খৃষ্টের মতন গরীবলোকেদের মেসিয়া হওয়া এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এতে দেশের শিল্পের ভবিষ্যত যেদিকে যায় যাক। এসব নিয়ে এরা ভাবেন না। এরা ভাবেন শুধু গরীব শ্রেণির মধ্যে নিজেদের ভাবমূর্তি এবং জনপ্রিয়তা নিয়ে।
[২০০২-শাভেজ বিরোধি ক্যারাকাস। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নেমেছিল আন্দোলনে। ]
এটা ভাল না খারাপ, তা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। শুধু এটাই বলতে পারি-শিল্পের এবং বাজারের উন্নয়ন হলে দারিদ্র অনেকটাই কমে আসে। এবং সেই দারিদ্র দুরীকরন স্থায়ী। এমন ভাবে তেলের দামের ওপর, সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল না। ফাটকাবাজি বন্ধ করতে হুগো শাভেজ ৪০০ টি জিনিসের দাম বেঁধে দিয়েছিলেন। সেটা নিশ্চয় ভাল পদক্ষেপ। কিন্ত ইতিহাস এও বলে, এর ফলে ওইসব জিনিসের উৎপাদন এবং শিল্প দুটোই মার খেয়েছে। অত্যাবশ্যক পন্যের ফাটকাবাজি নিশ্চয় কাম্য না- কিন্ত দামের ওপর সরকারি অতিনিয়ন্ত্রন ব্যাবসা ও বাজার ধ্বংস করে। সেটা ভেনেজুয়েলাতে হয়েছে।
তার ব্যার্থতা যায় থাক উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। মহৎ উদ্দেশ্যে প্রচলিত অবস্থা থেকে গরিবদের একটু স্বস্তি দিয়েছেন। মান সন্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে তেলের টাকায়। মমতা ব্যানার্জির সেটাও নেই। ফলে তিনি ইচ্ছা থাকলেও গরীবদের স্বস্তি দিতে ব্যার্থ। তেলের টাকা থাকলে সব অর্থে মমতাও আরেক হুগো শাভেজ হয়ে উঠতেন বলে আমার বিশ্বাস।
( আমার এই লেখাতে মমতাপন্থী এবং হুগোপন্থী উভয়েই অসন্তুষ্ট হবেন। কিন্ত লেখক হিসাবে সৎ থাকতে গেলে, আমাকে বলতেই হয় কর্মপদ্ধতি, রাজনৈতিক আদর্শ এবং ব্যাক্তিগত জীবনে এদের মধ্যে অদ্ভুত মিল। শুধু মমতার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি সুচিবায়ু নেই। এটুকু বাদ দিলে এদের কর্মপদ্ধতি, স্বৈরাচারিতা এবং পপুলিজম একই মাত্রার। )
সারা পৃথিবীর মানুষ একটা বিরাট অংশের মানুষ অন্ন ,বস্ত্র , শিক্ষা , স্বাস্থ্য , বাসস্থ্যানের প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে নাভিশ্বাস । এর একটা বিরাট অংশ সামান্য প্রয়োজন টুকু মেটাতে পারে না । আমি অতি সাধারণ খেটে খাওয়া ঘরের সন্তান । একটা প্রশ্ন প্রায় তারা করে বেড়াই , পৃথিবীর মানব সভ্যতার আদিকাল থেকে মানুষ সুস্থ জীবন জাপনের লক্ষে বিরুদ্ধ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়ে পথ বের করেছে । ভাব , অভিজ্ঞতা , চিন্তা , আদর্শর জন্ম হইয়েছে তাঁর পরও মানুষের উদয় অস্ত পরিশ্রম করার পর অনাহারে কেন মরে/?
লেখাটি পড়ে ভাল লেগেছে……মন্তব্য পাতায় জবাব এবং পাল্টা জবাব আরও ভাল লেগেছে তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে বিরত থাকলে ভাল হত।
হুগো শ্যাভেজ চাল + মমতা মসল্লা + জর্জ সাহেবের তেল দিয়ে আপনি যে খিচুড়ি রান্না করেছেন তাহা বড়ই বিস্বাদ। লিখা পড়ে সময় নষ্ট হল।
এই লেখাটিকে যদি শুধু উগো চাবেস-এর কর্মকাণ্ডের ওপর আলোচনা হিসাবে দেখি, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি উগো’র সাথে মমতা’র মিল খোঁজা হিসাবে দেখি তাহলে ঠিক নেই। উগো প্রায় মমতার সমান বা উল্টোটা – এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখা আগানোটাই ভুল পদ্ধতি। উগো’র কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন পর্বের সাথে ইতিহাসে বিভিন্ন জনের কর্মকাণ্ডের মিল পাবেন। কিন্তু এখানে একক ভাবে ক = খ বলার উপায় নেই।
আপনার বিশ্লেষণে উঠে আসা যে ব্যাপারটা আমি সমর্থন করি সেটা হচ্ছে উগো’র পদক্ষেপগুলোর টেকসই-অযোগ্যতা। সময়ের বিচারে তার বেশির ভাগই ফেইল করবে অথবা পুরোপুরি উলটে যাবে। জনপ্রিয় ধারার এমন রাজনীতি বা সংস্কার পদক্ষেপ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ষাট আর সত্তরের দশক জুড়ে ডজন ডজন সামরিক/বেসামরিক একনায়কেরা করেছে। তার কোন কিছুই আজ আর অবশিষ্ট নেই। এমন কথা আপনি আরো অনেক বাম রথী-মহারথীর ক্ষেত্রে বলতে পারবেন। কারো নাম বললাম না, যাতে আলোচনা ভিন্ন খাতে বইতে শুরু না করে।
ব্যক্তিগতভাবে মমতা ব্যানার্জীকে আমার অ্যান্টি-বামফ্রন্ট ছাড়া কিছু মনে হয় না। ভারতের মতো বহুজাতিক দেশে উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী আঞ্চলিক দলের কোন বিকল্প নেই। দক্ষিণ ভারত বহু আগে সেকথার সত্যতা প্রমাণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-বিজেপি’র মতো সর্বভারতীয় দলগুলো দুর্বল থাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে সেই সুযোগটা ছিল, কিন্তু তারা সেই রাস্তায় হাঁটেনি। অসম্ভব নার্সিসাস নেতৃত্ব তৃণমূলকে আরো পিছিয়েছে। শুধু বামফ্রন্ট বিরোধীতা করে টেকা যাবে কিনা সেটা আগামী নির্বাচনেই প্রমাণ হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ সংরক্ষণকারী বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলতে না পারলে এর ক্ষতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বহু কাল ধরে ভোগ করতে হবে।
পাল বাবু, শ্যাভেজকে ভেনেজুয়েলার মমতা বানার্জী বলাটা যে ভুল তা স্বীকার করেও পরবর্তি
মন্তব্যে দুইজনার মধ্যকার মিল ও অমিলের যে ফর্দ দিয়েছেন সেটাও ভুল । আপনার লেখা
পড়লে মনে হয় আপনি বস্তুবাদি ইতিহাস ও দর্শন শাস্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন ।বাংলায় একটি
কথা আছে, “স্থান, কাল, পাত্র ভেদে কথা বল” এটাকে দর্শন শাস্ত্রে বলে স্থান, কাল, ও শর্ত মেনে
সব ঘটণা ঘটে । অতএব আপনার উপস্থাপিত ফর্দের মিল-অমিল অনুযায়ী রাজনীতি বিশ্লেষণ করাটা
ভুল ।
মানুষ পরিচিত হয়, তার লেখা বা কর্ম দিয়া । বাম বিদ্বেষীরা কোনকোন সময় কর্ম ও তত্ত্বের সংঘা
ভুলে যান । শ্যাভেজকে ভেনেজুয়েলার মমতা বানার্জী বলাটা এই রকম একটি ভুল । কারন দুইজন
দুই মেরুর মানুষ । মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনও শ্যভেজের সাথে তুলনীয় নয় । ওয়াশিংটন তার
সময়ের দেয় দায়িত্ব পালন করেছেন ।
@আ, হা, মহিউদ্দীন,
@আ, হা, মহিউদ্দীন,
মিল-
[১] নিও লিবারাল পলিসি-দুজনেই বিরোধি
[২] স্টেজে উঠে গান করা- দুজনের ঈ প্রিয়
[৩] বাজারে দ্রব্যের দাম বেঁধে, বাজারকে বসিয়ে দেওয়া-দুজনেই ওস্তাদ
[৪] দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচুঢ় বলে একজনকেও দুর্নীতির জঙয়ে জেলে না পোরা-এরাই পারেন
[৫] দুজনেই বলেন তারা মার্ক্সিস্ট না, লেনিনিস্ট না , আবার তাদের বিরোধি ও না
[৬] দুজনেঈ গরীবদের জন্য রাজকোষ বিলাতে ভালো বাসেন
[৭] নতুন শিল্প স্থাপনে এদের কারুঢ় উৎসাহ নেই।
[৮] গরীব বনাম ব্যাবসায়ী- এরা গরীবদের পক্ষে
[৯] শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু বলে দক্ষিন পন্থার সাথে গলা মেলান ( মমতার আদবানীজি আর শাভেজের আহমেদিনাজ )
[১০] দুজনের মন্ত্রীসভাতেই, সেকন্ড, থার্ড বলে কিছু থাকে না-তারাই সব।
[১১] ধর্ষনের কেসে সরকার দোষি হলে বলেন এটা সাজানো।
[১২] নিজেরা ছবি এঁকে রাষ্ট্র নেতাদের উপহার দেন
[১৩] ছোটবেলাতে দুজনেই খুব দারিদ্রের মধ্যে কাটিয়েছেন
[১৪] দুজনেই কবিতা লিখতে ভালবাসেন
[১৫] দুজনেই বলেন মিডিয়া তাদের বিরুদ্ধে, তাই সোশাল মিডিয়াতেই আপডেট দিতে ভালবাসেন। দিদির ফেসবুক, আর শাভেজের টুইটার।
আর অমিল-খুব কম
[১] মমতা আমেরিকা বিরোধি নন
[২] মমতা চিট ফান্ডের বিরোধি না- শাভেজ চিট ফান্দের বিরোধি
[৩] মমতা কোয়াপরেটিভে টাকা কমাচ্ছেন-শাভেজ অনেক অনেক বাড়িয়েছিলেন।
[৪] শাভেজ মেয়েদের সাথে প্রেম করতে ভালবাসতেন, মমতা প্রেম করার সময় পান ন।
@বিপ্লব পাল,
এখানে বোধয় আরেকটা ভুল হয়ে গেল কিংবা অমিল উল্লেখ করা হলোনা!!!
চিফ মিনিস্টার মমতা ব্যানার্জী হলেন স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি অন্যতম অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রাদেশিক সরকার প্রধান; অপরদিকে প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ ছিলেন স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র বলিভারিয়ান প্রজাতন্ত্র ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান।
@বিপ্লব পাল,
অসাধারণ বিশ্লেষণ। খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। 🙂
চমৎকার বিশ্লেষণ।তবে যতদূর মনে হয় চাভেজের সাথে মমতার কিছু দিক মিললেও মমতাকে উন্মাদ ও অপরিণামদর্শী বলেই মনে হয়।যদিও আমি বিশেষজ্ঞ নই।:P 😛 শুধুই মন্তব্য আর কিছু নয়।
বিপ্লবঃ
একটি চমৎকার বিশ্লেষণ । মাস কয়েক আগে একটি BBC documentary (Jonathan Dimbleby: A South America Jouney) দেখেছিলাম, ওতে দেখাচ্ছিল বেশ কয়েকটি ভেনেযুয়েলার খামার। খামার মালিকরা তাদের আশংকার কথা বলছিল, কবে তাদের খামার গুলো সরকারিকরন করা হবে। তাদের ভাষ্য মতে, যে সমস্ত খামার সরকার নিয়েছে, সবগুলোই missmanagment এর কারনে ক্ষতির মুখ দেখছে। কিছু কিছু খামার মালিক, আশপাশের অন্য দেশগুলিতে চলে গেছে।
এই একটা জায়গায় চাভেজের সাথে মমতা ব্যানার্জ্জীর মিলটা খুব স্পষ্ট।
তাছাড়া রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার জন্য দুজনেই অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করতে পারতেন। জানি না আহমেদিনেজাদের মত একনায়ক, যিনি রাষ্ট্রবিরোধী ব্যক্তিকে একমুহুর্তে ইসলামবিরোধী বানিয়ে দেন, তাঁর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চাভেজের কিছু আইডিওলজিক্যাল স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছিলো কীনা। মমতা ব্যানার্জ্জীও কম্যুনিস্ট পার্টিকে বিলুপ্ত করতে চেয়ে নীতিগত দিক থেকে স্যাক্রিফাইস করেছেন, ছাত্রপরিষদের অবিরাম গুণ্ডামি, তৃণমূল এমএলএ দের আকাশছোঁয়া দুর্নীতি – কিছুরই প্রতিবাদ করেন না।
তবে নি:সন্দেহে চাভেজের মত মমতার পপুলারিটি নয়, সম্ভবত অতিরিক্ত দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে সেটা কোনওদিনই হবেনা।
@অযান্ত্রিক,
এখানেও মিল ই বেশী দেখি,
মমতা বিরোধি মূলত মধ্যবিত্ত এবং ব্যাবসায়ী শ্রেনী। শাভেজ বিরোধিরাও তাই ছিল
দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাভেজের পারফর্মেন্স ও খুব ভাল না। কোয়াপরেটিভ আন্দোলন অসফল হওয়ার একটা মূল কারন দুর্নীতি উনি ঠেকাতে পারেন নি।
@বিপ্লব পাল, হ্যাঁ দুর্নীতি ছিল উনার সরকারব্যবস্থায়। তবে এই দুর্নীতি করেছিলেন তারই অর্থমন্ত্রী, যাকে পরে একসপ্তাহের নোটিশে সঠিক জবাব দিতে না পারায় অপসারন করেন শ্যাবেজ নিজেই।
পুরানো, অতি ব্যবহৃত উদাহরণটি দিয়েই বলি, অর্ধেক গ্লাস জল রাখা গ্লাসকে কেউ বলে গ্লাসটি অর্ধেক জল ভর্তি আর কেউ বলে গ্লাস তো অর্ধেকই খালি। আপনি অর্ধেকই খালি বললেও আপনার বিশ্লেষণ,উদাহরণ,তুলনা বরাররের মত এ লেখায়ও রয়েছে যা পাঠককে ভাবতে শেখাবে।
আর আমার কাছে তার চরিত্র্যের এ মানবিক দিকটিই মূল্যবান শুধু ইরানের প্রতি সমর্থন ছাড়া।
জমজমাট নৈর্ব্যক্তিক লেখা! বাকরুদ্ধ!!! অশেষ কৃতজ্ঞতা লেখক!
দুর্দান্ত লেখা হয়েছে, বিপ্লব। বাংলাদেশের কোন পেপারে এ ধরনের বিশ্লেষণ আসবে না। সেখানে কেবল স্তব আর স্তুতি। অথচ আহমেদিনেজাদের মত মৌলবাদি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সাথে তার দহরম মহরমের ব্যাপারটা পুরোটাই চেপে যাওয়া হয়।
এরকম বিশ্লেষনের দরকার ছিল খুব।
(Y)
@অভিজিৎ,
মেইন স্ট্রিম পেপারে লেখার ব্যাপারে এত বাধ্যবাধকতা থাকে, আমার মনে হয়ে, কোন মেইন স্ট্রিম পেপারে, আমেরিকা ছারা কোথাও উচ্চমানের লেখা ছাপানো সম্ভব। এই জন্যেই মুক্তমনা আর্কাইভ বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে যে এখানে, ইতিহাস এবং প্রেক্ষাপটের সঠিক বিশ্লেষন হয়েছে, যা মেইন স্ট্রিমে কোন কালে সম্ভব ছিল না। বিবেকানন্দ বা মহম্মদকে নিয়ে এখানে যে ধরনের লেখাগুলো ছাপা হয়েছে, সেগুলো মেইন স্ট্রিমে ছাপালে, সম্পাদকের বাড়িতে আগুন লাগত-নইলে লেখকদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হত। আর বাংলাদেশে অনেকতে মেরে ফেলা হচ্ছে।
@বিপ্লব পাল,
:))
– দাদা রে, দেশের খবর রাখেন না?? অভিজিত মিয়ার গলায় ফাঁসির দড়ি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনার নামও তালিকায় ঢোকানো যায় কিনা দেখি।
@অভিজিৎ, বেশীর ভাগ বাংলাদেশীর কাছে আহ্মাদিনেজাদ নায়ক।
@বাসার,
হা, কারণ সে মেয়েদের সাথে হাত মেলায় না, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বহুমূল্য ইরানী গালিচা দান করেন মসজিদে, ফ্লোরে ঘুমান, ইত্যাদি ইত্যাদি। বাঙালী মুসলমান মানস আমি বুঝলাম না। দেওয়ানবাগী পীর কে সম্মান করে তার বিলাস-ব্যসনে মুগ্ধ হয়ে, আবার আহমাদিনেজাদরে সম্মান করে তার দীন-হীন লাইফস্টাইলের কারণে।
@ফারহানা আহমেদ,
(Y) ।
কিছু কিছু ভুল তথ্য ও ভুল ব্যাখ্যা থাকা স্বত্তেও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে একটি বিষয় ধরিয়ে দিতে চাই যে , সমাজতন্ত্র শব্দটা অনেকের কাছে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে থাকে । কেননা বর্তমানে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার দৌলতে এটা শিক্ষিত মানুষদের মনের মধ্যে দারুণভাবে বাসা বাঁধতে পেরেছে ।
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে পুঁজিবাদের বিরুধ্যেই লড়তেই হবে । কারণ পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থাই পুঁজি খাটানোর জায়গা খুঁজতে গিয়েই সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে । এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বাজার সঙ্কট থেকে কিছুটা রেহাই পেতেই তাঁর পুঁজি বিদেশের বাজারে চালান করতে চাই । কিন্তু প্রতিটা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের পুঁজিপতিদের সরকার তাঁদের বাজার খুলে দিতে সহজে রাজি না । আর সেই কারণেই যুদ্ধ বাধে । শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই না ভারতের পুজিপতিদের জন্য বাংলাদেশের বাজার খুলে না দিলে অদুর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশ যুদ্ধ্ বেধে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না । এখানে উগো সাভেচ একজন জাতীয়তাবাদী নেতা । তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরুধ্যে লড়তে গিয়ে এ কথা কি কখন বলেছেন যে পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র অর্জন করে । আর তাঁর ফলে যুদ্ধ বাধে । দেশ তাঁর স্বাধীনতা হারায় । আর তাঁর বিরুদ্ধে লড়ে স্থায়ী সমাধান করতে হলে পুজিবাদের বিরদ্ধে লড়তে হবে ।
@সামসুদ্দিন,
১৯৬৯ সালের চীন-সোভিয়েত যুদ্ধ নিয়ে কিছু জানা আছে আপনার?
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসান সাম্রাজ্যবাদ না সমাজবাদ?
সাম্রাজ্য থাকলে সাম্রাজ্যবাদ থাকবেই। রাষ্ট্রই সাম্রাজ্যবাদের উৎস পুঁজিবাদ না। তেমন হলে ১৯৬৯ সালের চীন সোভিয়েত যুদ্ধ বা সোভিয়েতের সাম্রাজ্যবাদি অস্তিত্ব থাকত না। রাষ্ট্র এবং জাতীয়তাবাদের বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদ অমর।
@বিপ্লব পাল,
আমিও সেটা ঠিক বলে মনে করি। সেজন্যই আমার ‘মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান?’ লেখায় উল্লেখ করেছিলাম –
@অভিজিৎ,
সাম্রাজ্যবাদ যে রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তার বৈধ সন্তান সেটা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রর সময় থেকেই লোকে জানত। যদিও নেপোলিয়ানের সাম্রাজ্যবাদের সময় থেকে শব্দটা বৃটিশ বুদ্ধিজীবিদের কাছে প্রথম আসে। আধুনিক যেকোন সমাজবিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষনাও রাষ্ট্রএর উৎপত্তির সাথেই এর সম্পর্ককে নির্দেশ করে। এখানে একটা সারসংক্ষেপ আছে, সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে আধুনিক চিন্তার।
http://weber.ucsd.edu/~dlake/Reprints/Imperialism.pdf
সবথেকে আধুনিক যেটা এখন বাজারে চলছে-সেটা মূলত গেমতত্ত্ব দিয়েই গবেষকরা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।
ধরা যাক একটি পাওয়ার গ্রুপ, সেটা বুশচেনি বা চিনা যে কেও হতে পারে – সে যদি মনে করে, তার স্বার্থের জন্য অন্য দেশের থেকে কিছু সুবিধা দরকার-সে তখন তার অপশন গুলো ভাববে। সেটা টাকা অনুদান দিয়ে, বা বিদেশ কূটনীতি খাটিয়ে প্রথমে চেষ্টা করবে-যখন হবে না-তখন সরাসরি প্রথমে স্যাংশন বা তারপরে, সেই দেশ দখল করার চেষ্টা করবে। অর্থাৎ বিদেশনীতি এবং সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে পার্থক্য সামান্য।
এই স্বার্থের প্রশ্ন জেনেরিক- সেটা পুঁজির দখলের জন্য ও হতে পারে, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ও হতে পারে । সোভিয়েত আফগানিস্থান দখল করেছিল রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য।
আমার যদ্দুর মনে পরে, তোমার এই লেখাটার পরিপেক্ষ্রিতে আমি আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের ওপর ৭ টি চ্যাপ্টার লিখেছিলাম। লেখাগুলো এই লিংকে আছে।
http://www.scribd.com/collections/2336819/World-Politics
তবে মার্কস পুঁজির সাথে সাম্রাজ্যবাদকে জড়ান নি। ওটি লেনিনের কীর্তি। বরং ট্রান্সক্যাপিটালকে মার্কস সীমান্তহীন সমাজ এবং আন্তর্জাতিকতাবাদের আবিশ্যিক অংশ হিসাবে ভাবতেন। এই ব্যাপারে দ্বিমত করার অবকাশ নেই।
“Moreover, the protectionist system is nothing but a means of establishing large-scale industry in any given country, that is to say, of making it dependent upon the world market, and from the moment that dependence upon the world market is established, there is already more or less dependence upon free trade. Besides this, the protective system helps to develop free trade competition within a country. Hence we see that in countries where the bourgeoisie is beginning to make itself felt as a class, in Germany for example, it makes great efforts to obtain protective duties. They serve the bourgeoisie as weapons against feudalism and absolute government, as a means for the concentration of its own powers and for the realization of free trade within the same country.
But, in general, the protective system of our day is conservative, while the free trade system is destructive. It breaks up old nationalities and pushes the antagonism of the proletariat and the bourgeoisie to the extreme point. In a word, the free trade system hastens the social revolution. It is in this revolutionary sense alone, gentlemen, that I vote in favor of free trade.”
http://www.marxists.org/archive/marx/works/1848/01/09ft.htm#marx
এক্ষেত্রেও লেনিনের পাপের ভার মার্কসকেই বইতে হয়েছে। ক্যাপিটাল নিয়ে মার্কসের চিন্তাধারায় ভুল সামান্যই- মার্কসের সব চিন্তাকে বিকৃত করার প্রধান ভগীরথ হচ্ছেন লেনিন।
এ টু জেড হুগ…
উপকৃত হলাম।। ধন্যবাদ লেখক।। (*)
হুগো চাভেজ কখনো ফরমেশন অফিসার তথা জেনারেল ছিলেন না। তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবেই সামরিক জীবন শেষ করেন।
হাস্যকর prejudice!
@সংবাদিকা,
ইরানে সন্তানদের ওপর মায়েদের অধিকার সিদ্ধ না-শরিয়া আইন। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জেলে গেছেন ইরানের অনেক ফেমিনিস্ট নেত্রী। বছর খানেক আগে, বেশ কিছু বিষয়, ইরানে মেয়েদের পড়তে দেওয়া হয় না-এর মধ্যে বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট ও আছে।
ইরানে মেয়েদের বর্তমান অবস্থান পুরুষের দাসী ভিন্ন অন্য কিছু না। অথচ ইসলামিক বিপ্লবের আগে, ইরানে মেয়েদের সেই অধিকার ছিল যা যেকোন বৃটিশ কলোনির মেয়েদের ছিল।
http://www.uri.edu/artsci/wms/hughes/khatami.htm
চমৎকার বিশ্লেষণ (Y)
অসাধারন লেখা হয়েছে। বাংলা ভাষায় চাভেজের উপরে এর চেয়ে ভালো লেখা পড়ি নি, তার মৃত্যুর পর তো নয়ই এমনকি জীবদ্দশায় ও নয়।
চাভেজের আমেরিকা বিরোধিতা নিয়ে আমার মনে হয় একটা বড়ো ফ্যাক্টর হলো যে জর্জ বুশ দুনিয়া জুড়ে এতোটাই ঘৃনিত ছিলেন আর তার সরকার ৯-১১ এর পরে অবিবেচকের মতো সকল মার্কিন বিরোধিতাকে (বাম-ডান-ইসলামী) এতটাই এককাতারে ফেলেছিলো যে চাভেজ মার্কিন বিরোধিতা করার মাধ্যমে গ্লোবাল অল্টারনেট কমিউনিটি’র মধ্যে এতোটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন যে তিনি সেই মার্কিন বিরোধী সুপার হিরো অবস্থান থেকে সরে আসতে আর পারেন নি। মার্কিন বিরোধিতায় দোষের কিছু নেই কিন্তু সেটা করতে যেয়ে যদি দেশের অর্থনীতিকে হুমকি মুখে ফেলা হয় এবং আহমেদিনাজাদের মতো নিকৃষ্ট দুপয়সার পকেট-ডিক্টেটরের সাথে মাখামাখি করা হয় তবে সেটা ইতিহাসের চোখে খুব ভালো হয়ে দেখা দিবে না।
আপনি বলেছেন মমতার মধ্যে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধি সুচিবায়ু নেই’।
আমি পশ্চিমবংগের বর্তমান রাজনৈতিক মেরুকরন নিয়ে ততটা জানি না কিন্তু আমার ভেবে আশ্চর্য লাগছে স্বভাবগত ভাবে বামের প্রতি সহানুভুতিশীল আর মার্কিন বিরোধী বাংগালীদের সেন্টিমেন্ট ব্যবহারের এই অপূর্ব সুযোগ গ্রহন করা থেকে মমতা কেমন করে বিরত থাকছেন? নাকি পশ্চিমবংগের বাংগালীদের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মনোভাব বড়ো রকমের ভাটার টান দেখা দিয়েছে?
@সফিক,
ভাটার টান। যখন “জেনেগেন” দেখে এই সব বামপন্থী নেতারা বা তাদের ছেলেরা প্রথম সুযোগ পেলেই আমেরিকাতে ঘাঁটি করে। এত আমেরিকা বিরোধিতা করে যদি আমেরিকাতেই থাকতে হয় বা যেতে হয় ( যা এই ফোরামের আরেক হুগোপন্থী লেখকের জন্যেও সত্য), তাহলে সেই ধরনের হাস্যরসিক ধারাভাস্যের কোন মূল্যই থাকে না।
@বিপ্লব পাল,
শ্যাভেজের সাথে যে ক্ষমতা ব্যানার্জীর তুলনা করে তার মগজেরর স্থিরতা এবং সততা নিয়ে আমি অত্যন্ত শক্তভাবে সন্দেহ পোষন করি, যার জন্য শ্যাভেজ সম্পর্কিত আলোচনায় গেলাম না। একমত আর দ্বীমতের জায়গা থাকলেও। আমার প্রশ্নঃ
এই লাইন নিয়ে।
ইরতিশাদ ভাইয়ের দিকে আঙ্গুল তাক করা। আমি বুঝি না, পরিষ্কারভাবে বলেন না কেন?
যাই হউক, প্রশ্নটা হলঃ আমি আম্রিকাকে সাম্রাজ্যবাদী দেশ বলি এবং প্রকাশ্যেই বলি আপনার মতন ইঙ্গিত না দিয়ে যেটা ইরতিশাদ ভাইয়ের দিকে আপনি করেছেন। আম্রিকা যে সাম্রাজবাদী দেশ এতে আপনার কোন দ্বীমত আছে কি? যদি আপনার মনে হয় আম্রিকা সাম্রাজ্যবাদী না তাহলে আলোচনার এখনেই সমাপ্তি। আর যদি একমত হন আলোচনা চলবে।
@সাইফুল ইসলাম,
পৃথিবীর কোন বড় দেশ সাম্রাজ্যবাদি না? আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের প্রকৃতি এবং স্বরূপ নিয়ে আমার বিস্তারিত একটা সিরিজ আছে।
http://www.scribd.com/collections/2336819/World-Politics
প্রশ্ন সেখানে না। আমেরিকা গণতন্ত্রের দেশ। এদেশের অধিকাংশ লোকই দেশের ইরাক ইরান নীতি সমর্থন করে না। মুস্টিমেয় কিছু যুদ্ধবাজ লবিরকে কোন ঠাসা করতে আমেরিকান জনগণই পারে। তার জন্যে আহমেদিনিজের মতন চূরান্ত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির কাছে আশ্রয় নিতে হয় না যে মেয়েদের কোন অধিকারই স্বীকার করে না। মনে রাখতে হবে, আমেরিকান জনগনের চাপেই কিউবার ওপর স্যাংশন আজ অনেক শিথিল। কাল বাতিল ও হতে পারে। যে কাজটা আমেরিকান জনগণ ভাল পারে, সেটার জন্য, একজন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হাত কেন শক্ত করতে হবে আমি জানি না। যুদ্ধ বিরোধি ডেমোক্রাটিক লবি আছে- তাদের সাথে কাজ করে আমেরিকান জনতার মধ্যে যুদ্ধবাজ লবির ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরা অনেক বেশী এফেক্টিভ।
মমতা ব্যানার্জির সাথে তার মিল বুঝতে হলে, এদের দুজনকে বুঝতে আরেকটু বেশী সময় দিতে হবে। আমার মনে হয় না ততটা সময় তুমি দিয়েছ।
@বিপ্লব পাল,
যদিও আমি মনে করি না সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা আমি এই ক্ষুদ্র সাইফুলের কাছে থেকে আপনার শিখতে হবে তারপরেও আপনি যখন বলছেন আম্রিকা ছাড়াও জগতে আরো সাম্রাজ্যবাদী দেশ আছে বর্তমান বিশ্বরাজনীতিতে সেটা মেনে নিয়েই আলোচনা করছি। এটা আমি জানতাম না। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
আমার আলোচনা আম্রিকা সাম্রাজ্যবাদী কি না সেখানে। দুনিয়ার সমস্ত বড় দেশই যেহেতু সাম্রাজ্যবাদী( :-Y ) চরিত্রের(এখানে আপনার জন্য একটা সাধারন জ্ঞ্যানের প্রশ্ন না করে পারলাম না। দেশ হিসাবে ইংল্যান্ডের সাইজ যেন কত?) সুতরাং আম্রিকাও নিশ্চই আপনার গোনার মধ্যে পড়ে। এখন আম্রিকার সমালোচনা আপনি করেন কি না। মানে আম্রিকা সাম্রাজবাদী থাকুক এটা আপনি চান কি না?
যদি না চান তাহলে তো আগেই বলেছি বাড়তি কিছু বলার নাই।
যদি চান তাহলে অন্য কোন লোক যদি আম্রিকার সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করে তাহলে আপনি তাকে প্রশংসা করবেন কি না।
আজকে যদি আপনার মনে হয় ভারতের উন্নয়নের জন্য পাইক্কাদেশের পলিসি আর পারভেজ মোশাররফের মতন একজন নেতা দরকার সেটা আপনি বলবেন কি না?
আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক লেভেল আমি এত নীচে মনে করি না যে আপনাকে আমার বুঝিয়ে বলতে হবে একটা দেশকে সাম্রাজ্যবাদী বলার মানে এই না যে আমি ঐ দেশের জনগনের নিন্দা করছি। জনগনের সাথে কোন দেশেরই ক্ষমতাবানদের যোগাযোগ থাকে না। থাকলে ইরাক যুদ্ধ আপনার ঐ “অসমর্থন” করা জনগনই বন্ধ করতে পারত। সুতরাং কোন দেশকে সাম্রাজ্যবাদী বলা মানে ঐ দেশের ক্ষমতাবানদের সাম্রাজ্যবাদী বলা। ঐ দেশের পুঁজির চরিত্রকে সাম্রাজবাদী বলা(যদিও পুঁজির চরিত্রই সাম্রাজবাদী, দরকার শুধু সঠিক পরিবেশ আর সুযোগ)।
আমিতো আপনার মতন রাখ ঢাক না করেই বলে দিয়েছি এই ব্যাপারে কথা বলার মতন যোগ্য আপনাকে আমি মনে করছি না। বাকোয়াজের বিরুদ্ধে তর্ক করে লাভ নাই।
@সাইফুল ইসলাম,
আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যা কিছু বলার, লেখার এবং বিশ্লেষন আমার লিংক এই আছে,
http://www.scribd.com/collections/2336819/World-Politics
সেই লিংক আমি দিয়েছিলাম। এই মন্তব্য থেকে পরিস্কার, সইফুল সম্ভবত চোখে কম দেখেন বা না পড়েই হুটহাট মন্তব্য করে।
শুধু সাইজে বড় হলেই দেশ বড় হয়? না তাকে বড় দেশ বলে? এই যার বুদ্ধির লেভেল, তার মন্তব্য নিয়ে সময় নষ্ট আমি করব না। বিতর্ক করতে গেলে নুন্যতম ঘেলু লাগে। অবশ্য ডান এবং বাম অন্ধর অভাব দুই বাংলাতে হয় নি-এবং আশা করি ভবিষয়তেও হবে না।
@বিপ্লব পাল,
ঐখানে লেখা আছে ৩৪ পিস, আপাতত পড়ার সময় নাই। পরে অবশ্যই পড়ব তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু আপনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধী কী না এই সোজা প্রশ্নের উত্তরটা দিতে আপনার এত গড়িমসি কেন এটাই আমি বুঝতেছি না। উত্তর তো দুটো হতে পারে। হ্যাঁ নইলে না। কারন আমি আপনাকে উত্তরাধুনিকতা সমর্থন করছেন কি করছেন না সেটা জিজ্ঞেস করি নি যে আপনার সমস্ত গবেষনা পত্র আমাকে দেখাতে হবে।
খুবই সহজ প্রশ্নঃ
১. আপনি কি সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে নাকি বিপক্ষে?
২. যদি বিপক্ষে হন তাহলে অন্য কোন লোক যদি আম্রিকার সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করে তাহলে আপনি তাকে প্রশংসা করবেন কি না।
উদাহরন হিসেবে বলেছি,
আজকে যদি আপনার মনে হয় ভারতের উন্নয়নের জন্য পাইক্কাদেশের পলিসি আর পারভেজ মোশাররফের মতন একজন নেতা দরকার সেটা আপনি বলবেন কি না?
পরিষ্কার প্রশ্ন। উত্তর দেবেন পরিষ্কার এই আশাই করি, যদিও এতক্ষনের আলোচনায় ত্যানাপ্যাচানো ছাড়া আর কিছু করলেন না।
আমার জানার সীমাবদ্ধতা তো থাকতেই পারে। আপনার মতন সবাই ঘিলুবান হবে সেটা সম্ভব নাও হতে পারে। আপনিই আমাকে জানান। আমিও জানি। যারা পাঠ করছে এখানে তারাও জানুক, আপনি কোন অর্থে বড় দেশ বলছেন। আমি বড় দেশ বলতে সাইজে বড় দেশই বুঝি। এর বাইরে যদি অন্য কোন অর্থ থেকে থাকে জানিয়ে দিন না! আপনার সেই অর্থেই খাতিরেই আমরা বিচার করব “বড় দেশ হলেই সাম্রাজ্যবাদী” আপনার এই আপ্তবাক্য সঠিক কী না।
@সাইফুল ইসলাম,
সেটাই আসল সমস্যা। আমার লেখাগুলো পড়লে তুমি এতগুলো শব্দ খরচ করতে না।
@বিপ্লব পাল,
আপনার গায়ে পচুউউর তেল। দরকারের সময় হলেই চম্পট দেন। যেমন এখন দিলেন। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
তাই নাকি? তাহলে বিরোধীদলীয় নেতার মিটিংয়ে যারা যায়, তারা কারা? যখন নেতা শাহবাগের সব তরুণকে বিধর্মী বলে রায় দেন, তখন হৈ হৈ করে হাততালি দেয়, ওরা কারা? চাঁদে ছবি দেখে বেঘোরে প্রাণ হারাল, তারা জনগণ নয়?
সম্পর্ক থাকে না কে বলল? সম্পর্কের রকমফের আছে। যেমনঃ শাসক কখনো সেবক, আবার শাসিত কখনো সেবাদাস।
সব ক্ষমতার উৎস যে জনগণ, এটা অস্বীকার করবেন?? এই জনগণকেই চাঁদ দেখিয়ে কত কিছুই না করা যায়!
জনগণ বন্ধ করেনি? আজ ইরাক থেকে বিদায় নিচ্ছে কেন বলেন তো? কথা নেই, বার্তা নেই, ওবামাকে এত বিপুল ম্যান্ডেট কেন দিল আমেরিকাবাসী?
@বিপ্লব পাল,
আমার মনে একটা বোকা বোকা প্রশ্ন এসছেঃ
তাদের সেই অসমর্থন তো আমেরিকার যুদ্ধবাজ রাজনীতিক আর জেনারেলদের থামাতে পারছে না। তাদের ওপর ভরসা করে আমাদের কি তাহলে বসে থাকতে হবে? ইরাক-ইরান-সিরিয়ায় আর কত লোক মরলে আমেরিকার জনগণ সরকারের ওপর তাদের সেই চাপ প্রয়োগ করবে? আমেরিকার জনগণের চাপে কবে ত্র শাসকশ্রেণির বোধোদয় হবে সেই আশায় বসে না থেকে নিজেদের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করা কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?
কিন্তু, করে কই?
তারা ঠিক সময়ে কাজটা করলে শ্যাভেজকে হয়তো আহমেদিনিজের মতন চূরান্ত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সাথে গাঁটছড়া বাঁধতে হতো না।
@ফারহানা আহমেদ,
এটা খুব কঠিন প্রশ্ন। আসলে আমেরিকানরা সরাসরি রাজনীতি করে কম। আর দেশের সিলেকশন পদ্ধতিও খুব অদ্ভুত। তারপরে ডিফেন্স এর ওপর খায় নুন্যতম ১০-২০ মিলিয়ান লোক।
@বিপ্লব পাল,
ভন্ডামি/বিদ্বেষ আর গঠনমূলক সমালোচনার মাঝে মনে হয় পার্থক্য করা দরকার। কেউ আমেরিকার ইস্যু স্পেসিফিক সমালোচনা করলে তাকে ভন্ড/বিদ্বেষী এভাবে লেবেল করা মনে হয় সঠিক নয়। সে আমেরিকার কোন কিছুই ভাল নেই বা থাকতে পারে না এমন মনোভাব পোষন না করলেই হয়। কেউ আমেরিকায় ঘাটী গাড়লেই সে আমেরিকার কোন সমালোচনা করতে পারবে না এমন কোন কথা নেই, এটা তো ধর্মওয়ালাদের মত কথা হয়ে গেল, তাদের ধর্মে বিশ্বাসী হলে ধর্মের কোন কিছুরই সমালোচনা করা যাবে না।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহু দেশের লোকেই আমেরিকার ব্যাপারে এক ধরনের দ্বৈত মনোভাব নিয়ে থাকে এটা ঠিক। ঢাকার রাস্তায় জংগী মিছিল কিংবা সুধী মহলের আলোচনায় আমেরিকার গালি শোনা যাবে চিরকাল তেমনি আমেরিকা পাড়ি দেবার ডিভি জাতীয় লটারিতে লাখ লাখ আবেদনপত্রও ঠিকই পড়তে থাকবে। হুবহু এমন না হলেও একই মনোভাব এমনকি কানাডিয়ানদের মাঝেও কিছুটা আছে সবসময় দেখে আসছি। কানাডিয়ানরাও সাধারনত আমেরিকার ভাল তেমন কিছুই দেখে না, কিন্তু ২০০৮ এর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আগের ইমিগ্রেশন রেকর্ড বলে একজন আমেরিকান যদি কানাডায় ইমিগ্রেট করে সে যায়গায় ৭ জন কানাডিয় আমেরিকায় ইমিগ্রেট করে, জনসংখ্যার অনুপাতে এটা ১-৭ থেকে গিয়ে আসলে দাঁড়ায় ১-৭০ এ।
@আদিল মাহমুদ,
আমেরিকানদের সমালোচনা আমেরিকানরাই সব থেকে বেশী করে। ইস্যুটা সেখানে না। ইস্যুটা এখানে যে একজন আমেরিকান হয়ে আমেরিকার ঘোষিত শত্রু ফিদেল, শাভেজ বা আহেমিদনাজকে ভগবান বানানো।
আমেরিকাতে পার্মানেট রেসিডেন্স বা সিটিজেন শিপের ফর্ম ফিলাপে সময় একটা ঘোষনা দিতে হয়- যে আমি কোন কমিনিউস্ট বা ওউ ধরনের পার্টির মেম্বার ছিলাম না। অন্যান্য দেশের যেসব কমিনিউস্টরা আমেরিকাতে ঢুকেছে, নিজেদের সম্মন্ধে মিথ্যে জানিয়ে যে তারা কমিনিউস্ট পার্টি করে নি, জানিয়েই ঢুকেছে। কেও এসব চেক করে না। তাই সমস্যা নেই। এই ধরনের যারা কমিনিউস্ট চরিত্র, তাদের কাছ থেকে আমি বেশী কিছু আশা করি না। কমিনিউস্ট আমি বহু দেখেছি, দেখছিও।
রাজনৈতিক আদর্শ নিজের জীবনের বাইরে কিছু হতে পারে না। গান্ধী লিখেছিলেন, পরিবর্তন চাইলে, আগে সেই নিজেকে পরিবর্তন কর। যারা নিজেদেরকে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে পরিবর্তন করতে পারে নি, উন্নত জীবনের আশায় আমেরিকার ধনতন্ত্রে এসে বাসা বেঁধেছে, তাদের মুখ থেকে কমিনিউজমের অমৃতবাণী রীতিমত হাস্যকর।
আমেরিকার সমালোচনা, আর আমেরিকান শত্রুকে ভগবানরূপে পূজা করা এক জিনিস না।
@বিপ্লব পাল,
– এটা জানা ছিল না। ইচ্ছেকৃতভাবে গোপন করা তথ্য আসলেই বড় ধরনের নৈতিক সমস্যা। অন্যদিকে এমন ধরনের অনেক মিথ্যাই আমরা আজন্ম বলে আসি, কখনো অস্তিত্বের লড়াই এ, কখনো বা প্রতিযোগিতায় টিকতে আবার কখনো বা উচ্চাকাংখা মেটাতে। এ কারনেই মনে হয় আমাদের দেশে আদর্শের লড়াই বলতে ঠিক যা হওয়া উচিত বা আদর্শ নেতা বলতে যা বোঝায় তা তৈরী হয় না।
আমাদের ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার অফিশিয়াল রেকর্ডে ৩ জন্মদিন জানেন নিশ্চয়ই? আমার নিজের ক্লাসে মেট্রিকের রেজিঃ এর সময় প্রত্যেক ছেলেমেয়ে জন্ম সাল ২ বছর কমিয়ে দিয়েছিল বাবা মা এমনকি শিক্ষকদের পরামর্শে, কারন দেশে সেশন জট, বয়স না কমালে সরকারী চাকরিতে আবেদনের সুযোগ কমে যাবে। কাগজ পত্রে মিথ্যা/ভূয়া ঘোষনা আমাদের দেশে কেউ কোন ধরনের অন্যায় মনে করে না। আমেরিকান ষ্টুডেন্ট ভিসার আবেদনেও ভূয়া ব্যাংক ব্যালেন্স (আগে ছিল পুরা ভূয়া, পরে হয়েছে ধনী আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার করা…) দেখানোর ফর্মালিটি বহুদিন ধরেই চালু আছে।
চ্যাভেজকে শুধু কমিউনিজমের কারনে কৃত্রিমভাবে মহত বানানো নিশ্চয়ই নিন্দাজনক। তবে তার ব্যাবস্থার ভাল দিকগুলির প্রসংশা অবশ্যই করা যায়। তবে আমেরিকার বিরুদ্ধে কেউ কারনে অকারনে
শস্তা উন্মাদীয় হুমকি দিলেই মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বিরাট সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবদান বলে
প্রসংশায় গদ গদ হতে হবে এমন মনোভাব আরো হাস্যকর।
@আদিল মাহমুদ,
@আদিল মাহমুদ,
আমার লেখাটাতে ত আমি সেটাই করেছি। নিরেপেক্ষ এবং সৎ বিশ্লেষন আমদের করে যেতে হবে। এটা হতেই পারে, যে তথ্য জানি না বলে বা ভুল জানি বলে, বিশ্লেষনে ভুল হয়েছে। কিন্ত ক্রিটিক্যাল আঊটলুক এই সমাজে না আনলে, মুক্তমনার এই আন্দোলন এবং আমাদের এত বছরের পরিশ্রম জলে যাবে।
@বিপ্লব পাল,
আমি যদ্দুর শুনেছিলাম, খোদ আমেরিকাতেও মার্কসিস্ট ভাবধারার পার্টি আছে। ওসব পার্টির সদস্যদের ব্যাপারে ওদের নীতি কি?
@ফারহানা আহমেদ,
মার্ক্সিট হওয়াতে বাধা নেই। টোটাল্টারিয়ান রাজনৈতিক আদর্শ হলে, তা আমেরিকাতে ব্যান হবে। অর্থাৎ সিঙ্গল পার্টিরুল এসব চলবে না। রাজনৈতিক আদর্শ যতক্ষণ গণতান্ত্রিক এবং আমেরিকার ফার্স্ট এমেন্ডমেন্ট -অর্থাৎ বাক ও সম্পতির অধিকারকে স্বীকার করে, ততক্ষণ ঠিক আছে। কমিনিউস্ট পার্টি এর কোনটাই করে না। তাই কমিনিউস্ট পার্টি আমেরিকাতে বেয়াইনি।
@বিপ্লব পাল,এখানে আপনার কিছুটা ভুল হয়েছে। আমেরিকার জনগনের রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আপনার কনফিডেন্স কম মনে হয়।
আমেরিকায় কমিউনিস্ট পার্টি, নাৎসী পার্টি, রেসিস্ট পার্টি, ফ্যাসিস্ট পার্টি, সেপারেটিস্ট পার্টি কোনটাই ব্যানড নয়।
http://en.wikipedia.org/wiki/Communist_Party_USA
http://en.wikipedia.org/wiki/American_Nazi_Party
http://en.wikipedia.org/wiki/Neo-Nazism#United_States
The First Amendment to the United States Constitution guarantees freedom of speech, which allows political organizations great latitude in expressing Nazi, racist, anti-Semitic, and Neo-Confederate views.
@সফিক,
এরা কি গোপন পার্টি না সরকারি স্বীকৃতি আছে?
@বিপ্লব পাল, কমিউনিস্ট পার্টি, নাৎসী পার্টি এরা প্রকাশ্যেই আছে। আমেরিকান নাৎসী পার্টি প্রকাশ্যে অনেক র্যালী ও করে।
বিশ্লেষনটি ভালোই।