একুশের বইমেলা এসে পড়লেই লোকজন জিজ্ঞেস করতে শুরু করে, ফেসবুক, ম্যাসেজ কিংবা ইমেইলে-‘ভাই এইবার কি বই বাইরাইতাছে আপনের?’
না রে ভাই, এ বছর আমার কোন বই বেরুচ্ছে না। এর আগে প্রায় প্রতিবছরই আমার একটি বা দুটি বই বেরিয়েছিল। তাই ভাবলাম এ বছর একটু বিরতি দেয়া যাক। প্রতিবছর মেলা এলেই বই প্রসব করতেই হবে, এমন তো কোন কথা নেই।
তা এ বছর আমার কোন বই না বেরুলেও [ওয়েল, একেবারে বেরুচ্ছে না তা নয়, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান বইটার ২য় সংস্করণ বেরিয়েছে, পাওয়া যাচ্ছে শুদ্ধস্বরের স্টলে; এছাড়া আমার ‘ভালবাসা কারে কয়’ বইটি বের হয়েছিল একেবারে গতবারের মেলা শেষ করে, সেটাকে কেউ চাইলে নতুন বই হিসেবে নিতে পারেন], আমার প্রিয় মুক্তমনা লেখকদের বেশ কিছু বইয়ের খবর আমি ইতোমধ্যেই পেয়েছি, যে বইগুলোর জন্য আমি উন্মুখ হয়ে থাকব বলা যায়। এ নিয়েই এই নোট। এ সংক্রান্ত একটা নোট আমি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। সাইফুল সহ অনেকেই মত দিয়েছেন ব্লগেও থাকা দরকার, কারণ বইগুলো তো মুক্তমনা লেখকদেরই বই।
- মুক্তমনার এক সময়কার সম্পাদক এবং সর্বময়প্রাণ ফরিদ আহমেদের একক প্রবন্ধ সংকলন বেরুচ্ছে এই বই মেলায়। এর আগে আমি ফরিদ আহমেদের সাথে লিখেছিলাম একটা বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ – ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’ নামে। এবারের বইটা একেবারেই তাঁর একক কীর্তি। বইয়ের শিরোনাম – ‘বিস্ময়কর নোটবুক‘। তার বইয়ের শিরোনামের মতোই বিস্ময়কর ছিল এই তথ্যটা। দুদিন আগেও এর খবর আমি জানতাম না। জনান্তিক প্রকাশনী থেকে বেরুচ্ছে বইটা।
প্রবন্ধকার হিসেবে ফরিদ আহমদ যেমন শক্তিশালী, ঠিক তেমনি ছোট গল্পকার হিসেবেও। বলতে দ্বিধা নেই, উনি আমার পড়া সেরা গল্পকারদের একজন। টান টান উত্তেজনাময় থ্রিলার টাইপের ছোট গল্পগুলোর তুলনা আমি কোথাও পাইনি। তার ছোটগল্পগুলোর সংকলনও বেরুনোর পথে সংকলনটির নাম – ইলেক্ট্রা। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন নিলীম আহসান। নিলীমের কাজের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। মুক্তমনার সুন্দর সুন্দর ব্যানারগুলো তার হাতেই গড়া। গ্রন্থাকারের পাশাপাশি অভিবাদন তাকেও।
- এর পরেই আসবে হয়রানাবীরের (ব্লগ লিঙ্ক) বইটা। অবিশ্বাসের দর্শনের অবিস্মরণীয় সাফল্যের পর রায়হান আবীর বের করছেন তার নতুন বই মানুষিকতা। কেন মানুষ অযৌক্তিক বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে, কেনও প্রমাণহীন বিষয়কে সত্য হিসেবে গ্রহণ করে, কেনই বা আবার অপ্রমাণিত বিষয়কে বিশ্বাস বশে মিথ্যা মনে করে ছুঁড়ে ফেলে আস্তাকুড়ে, কেনোই বা সে নিজেকে মনে করে প্রাণীজগতের মধ্যে সবচেয়ে সেরা বা আশরাফুল মাখলুকাৎ, তার বিশ্লেষণের বয়ান আছে এ বইয়ে। বইটির ভূমিকা লিখেছেন শফিউল জয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সামিয়া হোসেন। রায়হানের এই স্ট্যাটাস থেকে জানলাম বইটি ইতোমধ্যেই শুদ্ধস্বরের স্টলে চলে এসেছে।
- এই বইমেলায় আসছে অধ্যাপক ইরতিশাদ আহমদের ‘আমার চোখে একাত্তর’ গ্রন্থটি। অধ্যাপক ইরতিশাদ আহমদ মুক্তমনার একজন নিবেদিতপ্রাণ সদস্য (ব্লগ লিঙ্ক)। তিনি বহুদিন ধরেই মুক্তমনার সাথে, মুক্তমনাদের মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনের সাথে জড়িত আছেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছিলেন সতের বছরের এক কিশোর। তিনি তখনকার দেখা ঘটনাবলী মুক্তমনায় লিখেছিলেন সিরিজ আকারে। মুক্তিযুদ্ধের চল্লিশ বছর পরে লেখা দশ পর্বের সেই সিরিজটিকেই বইয়ে রূপান্তরিত করেছেন তিনি, যেখানে মূর্ত হয়ে উঠেছে তার নিজের দেখা একাত্তরের অবিস্মরণীয় সংগ্রামের কাহিনি। বাঙালি জাতির এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, সবচেয়ে বড় গর্বের ফসল সেই ‘একাত্তর’কে তিনি বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে, সাবলীলভাবে। তাঁর সব বিশ্লেষণের সাথে হয়তো সবাই একমত হবেন না, কিন্তু তাঁর এই রচনাটি নিঃসন্দেহে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য এক মহামূল্যবান সম্পদ। এটি আমাদের জন্য এক ধরণের আলোকবর্তিকা যেন; নানা ধরণের রাজনৈতিক গলাবাজি, দলবাজি এবং কোন্দলের ঊর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যারা সঠিকভাবে জানতে চান এবং বুঝতে চান, তাদের নতুন করে ভাবতে শেখাবে এই বই। আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করি। বইটি প্রকাশ করেছে চার্বাক প্রকাশনী। বইটি পাওয়া যাবে প্যাপিরাস, র্যামন এবং কাশবন প্রকাশনীর স্টলে। বইটির একটি চমৎকার ভূমিকা লিখেছেন দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
- বইমেলায় আসছে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বই। ড. প্রদীপ দেবের ‘উপমহাদেশের ১১ জন পদার্থবিজ্ঞানী‘ নামের বইটি। প্রদীপ দেব মুক্তমনার একজন ধীমান লেখক, যার তুলনা উনি নিজেই (ব্লগ লিঙ্ক)। যারা উপমহাদেশের বিজ্ঞানীদের জীবন এবং কাজ সম্বন্ধে বিস্তৃতভাবে জানতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য। জগদীশচন্দ্র বসু, দেবেন্দ্রমোহণ বসু, চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন, শিশির কুমার মিত্র, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, কে এস কৃষ্ণান, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা, সুব্রাহ্মনিয়ান চন্দ্রশেখর, বিক্রম সারাভাই ও আবদুস সালামের মত প্রথিতযশা বিজ্ঞানীদের নিয়ে এত বিস্তৃত কলেবরে এর আগে কেউ গ্রন্থ লিখেছেন বলে আমার জানা নেই। এই বইটিরও বেশ কিছু অংশ মুক্তমনায় সিরিজ আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। বইটির একটি চমৎকার ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়কার পদার্থবিদ এবং সুপরিচিত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অজয় রায়। এই বইটিরও বহুল প্রচার আমি কামনা করছি এই বইমেলায়। বইটি প্রকাশিত হচ্ছে শুদ্ধস্বর থেকে।
- ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী আমার প্রিয় লেখকদের একজন। তার সাথে খুব চমৎকার কিছু সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিল গতবার বইমেলার সময়টুকুতে, প্রায় প্রতিদিনই। বিজ্ঞানের উপর তার অনেকগুলো বই বাজারে আছে। স্বনামধন্য পদার্থবিদ অধ্যাপক হারুন অর রশীদের সাথেও তিনি বই লিখেছেন। তার একটি নতুন বই এসেছে ‘ইউডক্সাসের গোলক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ শিরোনামে। এ বইটিরও বেশ কিছু অংশ মুক্তমনায় সিরিজ হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন ফারসীম (ব্লগ লিঙ্ক)। বইটির বইয়ের একটি চমৎকার ভূমিকা লিখেছেন রমন রসার্চ সেন্টারের জ্যোতির্বিদ এবং সুলেখক ড. বিমান নাথ। চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। বইটি প্রকাশিত হচ্ছে শুদ্ধস্বর থেকে। এই বইটির বাইরেও প্রলিফিক লেখক ফারসীম মান্নানের আরো দুটি বই মেলায় এসেছে।
- জিরো টু ইনফিনিটির যোগ্য সম্পাদক এবং বুয়েটের তড়িৎ এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের প্রথম বই প্রকাশিত হচ্ছে এবার ‘মহাবিশ্বের শিকড়ের সন্ধানে’ শিরোনামে। মুক্তমনাতেও তিনি সম্প্রতি লেখালিখি শুরু করেছেন (ব্লগ লিঙ্ক)। অত্যন্ত সহজবোধ্য ভাষায় লেখা হয়েছে বইটি, দুই কিশোর কিশোরী পলি আর শান্তার কথোপকথোনের ভিত্তিতে। বইয়ের এই ব্যতিক্রমী লেখাগুলো উনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন আগে, এবং যেগুলো ছিল প্রায় প্রতিদিনই আমাদের জ্ঞানান্বেষণ এবং আনন্দের এক বিরল উৎস। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ছায়াবীথি’ প্রকাশনী থেকে। বইটির ভূমিকা লিখেছেন ড. ফারসীম মান্নান মোহম্মদী।
- বাংলা ব্লগের ‘একাত্তরের সাইবারযোদ্ধা’রা অমি রহমান পিয়ালকে এক নামে চেনেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে আমরা যেটাকে বুঝি সেটা আক্ষরিক অর্থেই সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার সংকল্প তার হৃদয়ে। নিজের তারুণ্যের শক্তি আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে যেন আক্ষরিক অর্থেই কবর থেকেই উঠিয়ে এনেছেন মুক্তিযুদ্ধের এমন সব বিরল দলিল দস্তাবেজ যা আগে কোথাওই প্রকাশিত হয়নি। সে সব দলিলের পেছনে তার নিয়মনিষ্ঠ পরিশ্রমের ছাপ, দৌড়াদৌড়ির ছাপ, আর পাশাপাশি মেধা আর প্রাজ্ঞতা তো আছেই। আমার মনে আছে, আমি জোয়ান বায়েজকে নিয়ে লেখা একটি প্রবন্ধ অমি রহমান পিয়ালকে উৎসর্গ করেছিলাম একসময়। এতদিন অস্ত্র ছিল তার ইন্টারনেট। আমি আনন্দিত যে, এই বছর তার সাহসী কাজগুলো, এতদিনের কষ্টের ফসল বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। বইয়ের শিরোনাম – একাত্তরের মুক্তিবন্ধু। প্রকাশ করছে শব্দশৈলী। মুক্তিযুদ্ধের সময় জাঁ ক্যুয়ে, মারিও রয়ম্যান্স সহ বিদেশী বন্ধুরা জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন, তাদের জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ের মাধ্যমে। এই বইটির বাইরেও পিয়ালের আরেকটি বই (যেটি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাবভিত্তিক লেখার সংকলন), জাগৃতি প্রকাশনী থেকে বের হবার কথা। আমি পিয়ালের বইগুলো নিজে তো কিনবোই, অন্যদেরও কিনতে উৎসাহিত করব।
- রণদীপম বসু আমার আরেকজন প্রিয় লেখক (ব্লগ লিঙ্ক)। বেদ মনুসংহিতা সহ হিন্দুধর্মের যাবতীয় পুরাণগুলোকে সংশয়বাদী দৃষ্টি থেকে কাটা ছেড়া করতে যার জুড়ি মেলা ভার। তিনি এবারের বইমেলায় বের করছেন ‘টিপলু’ নামে কিশোরদের জন্য একটি গল্পসংকলন। বইটি প্রকাশিত হচ্ছে শুদ্ধস্বর থেকে।
- প্রথাভাঙা লেখক হুমায়ুন আজাদের কন্যা মৌলি আজাদের একটি গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে এই বইমেলায়। নাম – প্রিয়ানা, চোখ ও ঝরনার জলে স্নাত এক প্রপাতের ফোয়ারা। এটি পাওয়া যাবে আগামী প্রকাশনীর স্টলে।
- এর বাইরে ড. দীপেন ভট্টাচর্য তার নতুন সাই ফাই গ্রন্থ আমাকে মাস খানেক আগে মেইল করে পাঠিয়েছেন। বইটির নাম দিতার ঘড়ি। চমৎকার এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে প্রথমা থেকে। যারা মুক্তমনায় দীপেনদার গল্পের সাথে পরিচিত, তারা সবাই জানেন তার গল্প লেখার অনুপম ক্ষমতার কথা (ব্লগ লিঙ্ক)। বইটি পড়ে আমি সত্যই মুগ্ধ হয়েছি।
- গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন সুলেখক মোজাফফর হোসেনও। তার ব্যতিক্রমধর্মী নানা স্বাদের গল্পগুলো সবসময়ই মুক্তমনার একাংশের কাছে ছিল আগ্রহের কেন্দ্র। তার গ্রন্থের নাম আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটির বিগ্রহ, প্রকাশিত হয়েছে রাত্রি প্রকাশনী থেকে।
উপরের বইগুলোর যতটুকু আমার বিভিন্ন ব্লগে এবং অনলাইনে পড়ার সুযোগ হয়েছে, তার ভিত্তিতে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, প্রতিটি বইই গুণে মানে অনন্য। এই বইগুলোর দিকে আমি নিঃসন্দেহে উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে থাকব।
বইমেলায় বইয়ের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের ম্যাগাজিনও। মুক্তান্বেষা এবং যুক্তির মত ম্যাগাজিনের নতুন সংখ্যা বেরুবার সম্ভাবনা আছে মেলায়। তবে যে বিজ্ঞান সাময়িকীটি বেশ কিছুদিন ধরে আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তা হল বিজ্ঞানের একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা – জিরো টু ইনফিনিটি। পত্রিকাটিতে যেমন আছে তারুন্যের ছাপ তেমনি বিজ্ঞানমনস্কতার অভিব্যক্তি। মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকাটির ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সংখ্যা। এবারের প্রচ্ছদ আমার একটি প্রবন্ধের উপরে করা -‘স্ফীতি তত্ত্ব ও মহাবিশ্বের উদ্ভব’। পত্রিকাটি পাওয়া যাবে ‘ছায়াবীথি’ স্টলে।
আমরা চাইবো মুক্তমনা ব্লগ-সদস্য, লেখক এবং পাঠকেরা যেন তাদের লেখা কিংবা জানা বইয়ের তথ্যগুলো আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এর ফলে সবাই সরাসরি প্রকাশিত কিংবা প্রকাশিতব্য বইয়ের তথ্যগুলো জানতে পারবেন। বইয়ের তথ্য জানানোর জন্য কেউ এই ব্লগে মন্তব্য করতে পারেন কিংবা জানাতে পারেন – ইমেইলে ([email protected] – এই ঠিকানায়)। বইয়ের প্রচ্ছদ হয়ে গেলে প্রচ্ছদের ছবিটিও মন্তব্যে জুড়ে দিন কিংবা এটাচমেন্ট হিসেবে আমাদের কাছে পাঠান। সেই সাথে জানিয়ে দিন নিম্নোক্ত তথ্যগুলো –
বইয়ের সম্পূর্ণ শিরোনাম
বইয়ের লেখক বা সহলেখকদের নাম
বইয়ের বিষয়/ধরণ
বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা
বইয়ের প্রকাশকের নাম
বইয়ের প্রচ্ছদ-শিল্পীর নাম এবং
বইয়ের মুদ্রিত মূল্য
বরাবরের মতোই মুক্তমনা লেখকদের প্রকাশিতব্য গ্রন্থের তালিকা সংক্রান্ত পোস্টটি বইমেলা চলাকালীন সময় নীড়পাতায় স্টিকি হিসেবে রেখে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। বইমেলা উপলক্ষে মুক্তমনা-লেখকদের বই প্রকাশিত হওয়ার জন্য লেখকদের উষ্ণ অভিনন্দন। (F)
[পোস্টটি নিয়মিত আপডেট হবে
যে ক’টি বইয়ের খবর এর মধ্যে জেনেছি সেগুলো এই পোস্টে আপডেট করে দিলাম। নতুন বইয়ের খবর আসা মাত্র আমরা সেগুলো তালিকায় সংযুক্ত করে দিব। ২০১৩ সালে প্রকাশিত এবং প্রকাশিতব্য বইগুলো:
বই | তথ্য |
বিস্ময়কর নোটবুকলেখক ফরিদ আহমেদ (প্রবন্ধ সংকলন) প্রকাশক – জনান্তিক মুদ্রিত মূল্য: ১৫০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: [] প্রচ্ছদ – নিলীম আহসান।
|
|
মানুষিকতালেখক রায়হান আবীর (বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ক গ্রন্থ)। প্রকাশক – শুদ্ধস্বর মুদ্রিত মূল্য: ১৩৫ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮৮ প্রচ্ছদ – সামিয়া হোসেন। |
|
আমার চোখে একাত্তরলেখক: অধ্যাপক ইরতিশাদ আহমদ (মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ এবং বিশ্লেষণ) প্রকাশক: চার্বাক মুদ্রিত মূল্য: ১৩০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮৫ প্রচ্ছদ: শ্যামল বিশ্বাস |
|
ইউডক্সাসের গোলক ও অন্যান্য প্রসঙ্গলেখক : ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী প্রকাশক: শুদ্ধস্বর মুদ্রিত মূল্য: [] টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: [] প্রচ্ছদ: [] |
|
উপমহাদেশের ১১ জন পদার্থবিজ্ঞানীলেখক: ড. প্রদীপ দেব (বিজ্ঞানীদের জীবনী) প্রকাশনা সংস্থা: শুদ্ধস্বর মুদ্রিত মূল্য: [] টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: [] পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ: [] |
|
মহাবিশ্বের শিকড়ের সন্ধানেলেখক: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বিজ্ঞান বিষয়ক) প্রকাশনা সংস্থা: ছায়াবীথি মুদ্রিত মূল্য: ১৫০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪ (রঙ্গিন) প্রচ্ছদ: জাহাঙ্গির আলম সুজন |
|
একাত্তরের মুক্তিবন্ধুলেখক: অমি রহমান পিয়াল (মুক্তিযুদ্ধের গবেষণাগ্রন্থ) প্রকাশনা সংস্থা: শব্দশৈলী মুদ্রিত মূল্য: [] টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: [] পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ: [] |
|
টিপলুলেখক: রণদীপম বসু (কিশোর-গল্প) প্রকাশনা সংস্থা: শুদ্ধস্বর মুদ্রিত মূল্য: ১০০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৮ পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ: আবু হাসান
|
|
দিতার ঘড়িলেখক: ড. দীপেন ভট্টাচর্য (বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি) প্রকাশনা সংস্থা: প্রথমা মুদ্রিত মূল্য: ২৮০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৯১ পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ: এরিক হ্যারিস |
|
আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটির বিগ্রহলেখক: মোজাফফর হোসেন প্রকাশনা সংস্থা: রাত্রি মুদ্রিত মূল্য: ১৬০টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮ পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ: চারু পিন্টু |
|
প্রিয়ানা, চোখ ও ঝরনার জলে স্নাত এক প্রপাতের ফোয়ারালেখক: মৌলি আজাদ প্রকাশনা সংস্থা: আগামী প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্য: ১২০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: [] পৃষ্ঠা প্রচ্ছদ: শিবু কুমার শীল |
:line:
প্রাসঙ্গিক পোস্ট:
২০১২ সালে প্রকাশিত মুক্তমনা সদস্যদের বই।
২০১১ সালে প্রকাশিত মুক্তমনা সদস্যদের বই।
২০১০, ২০০৯ এবং ২০০৮ সালে প্রকাশিত মুক্তমনা সদস্যদের বই।
:line:
কলকাতায় কোথাও বইগুলো পাওয়ার উপায় আছে?
আমার বইটা গত শুক্রবারে বইমেলাতে এসেছে। পাওয়া যাচ্ছে এর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জনান্তিকের স্টলে।
বইটা প্রকাশের ক্ষেত্রে সার্বিক দায়িত্বে ছিল আমার এক সময়ের সহকর্মী, অনুজ প্রতীম, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান খান। মেহেদী থাকার কারণে প্রকাশকের সাথে যোগযোগ বা প্রুফ দেখা, কোনোটাতে আমাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হয় নি। দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে মেহেদীর দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অন্ধ বিশ্বাস তৈরি হয়ে আছে। নিজের বই মানুষ যে রকম মমতা নিয়ে দেখভাল করে, মেহেদী ঠিক সেরকম করেই আমার বইটা করেছে। মেহেদীর সাথে আমার সম্পর্কটা খুব বেশি পারিবারিক, খুব বেশি আপন। ওকে ধন্যবাদ জানানোটাও তাই আনুষ্ঠানিক শোনায়, বড্ড অপ্রয়োজনীয় মনে হয়।
আমার লেখালেখির ক্ষেত্রে আন্নার ভূমিকাটা বিচিত্র। আসল কাজ না করে লেখালেখিতে মেতে আছি, এটা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কম যন্ত্রণা সে আমাকে দেয় নি। অনেক সময় এইসব যন্ত্রণার কারণেই ভেবেছি যে, চুলোয় যাক লেখালেখি। আর কখনোই লিখবো না আমি। কিন্তু, এর বিপরীতে আবার অন্য চিত্রও রয়েছে। লেখার সময়ে আমার যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য নীরবে নানা ধরণের সহযোগিতা দিয়ে যায় সে। আমার সব লেখাই সে আমার অগোচরে চুপচাপ পড়ে ফেলে। বেশ কিছু দিন যদি না লিখি, তখন হয়তো হুট করে খুব ক্যাজুয়ালি বলবে যে, অনেক দিনতো মনে হয় লিখছো না, লেখো না কেন কিছু। এই বিচিত্র আচরণের রমণীটা, যে কিনা আমার সামনে ভাব দেখায় যে আমার লেখালেখি করাটা তার মোটেও পছন্দ নয়, কিন্তু আড়ালে প্রবল মমতা অনুভব করে আমার লেখাগুলোর জন্য, তার উদ্দেশ্যেই এই বইটা উৎসর্গ করেছি আমি। উৎসর্গপত্রে এই লাইনটা লিখে দিয়েছি আমি। কি লিখেছি এখনো জানে না সে। জানে যে উৎসর্গ করেছি। পুরো লাইনটা পড়লে খবর আছে আমার।
আমার এই মূল্যহীন বইটার জন্য অনেক যত্ন নিয়ে চমৎকার একটা প্রচ্ছদ করে দিয়েছেন নিলীম আহসান। প্রচ্ছদ শিল্পী হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম কাজ, কিন্তু বোঝার কোনো উপায় নেই। কাজটা যে অসাধারণ হয়েছে, সে বিষয়ে আমার অন্তত কোনো সন্দেহ নেই। কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ রইলো তাঁর প্রতি।
.
@ফরিদ আহমেদ,
অভিনন্দন আবারো ফরিদ আহমেদ।
তা হলে, এ পর্যন্ত জানা গেল আমাদের বইগুলো নিচের স্টলগুলোতে পাওয়া যাবে:
শুদ্ধস্বর, জনান্তিক, রোদেলা, বিদ্যাপ্রকাশ, জাগৃতী, রাত্রি, প্যাপিরাস, র্যামন ও কাশবন প্রকাশনী
(অনুগ্রহ করে নতুন নাম যোগ করে আপডেট করুন)
আদনান জানতে চেয়েছেন আমার উপন্যাস কটির হদিস।
ধুপকুশী : রোদেলা প্রকাশনী (বাংলা একাডেমী ক্যান্টিন-এর পাশে রোদেলার স্টল)
রাজনটী : ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
বেগানা : বিদ্যাপ্রকাশ (বইমেলায় স্টল নং ৫০-৫১-৫২)
হীরকডানা : বিদ্যাপ্রকাশ। (বইমেলায় স্টল নং ৫০-৫১-৫২)
ধন্যবাদ ভাই আদনান।
স্বকৃত নোমান
ফরিদ ভাইয়ের বই দু’টির প্রচ্ছদ ফাটাফাটি হয়েছে। নিলীম আহসানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সবাইকে ধন্যবাদ!
আমাদের বইগুলো যে সব স্টলে পাওয়া যাবে:
শুদ্ধস্বর,
এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত; জাগৃতী, রাত্রি, প্যাপিরাস, র্যামন ও কাশবন প্রকাশনীর স্টলে (অনুগ্রহ করে নতুন নাম যোগ করে আপডেট করুন)
মহাবিশ্বের শিকড়ের সন্ধানে
দামঃ ১৫০ টাকা।
অনেক ধন্যবাদ। আপনার বই না পেয়ে হতাশ। তবে রায়হান আবীরের বইটি অবশ্যই কিনব।
তানবীরা তালুকদার একসময়ের মুক্তমনার নিয়মিত লেখক, তার নতুন বই-
“পাহাড় আর নদীর গল্প”
জাগৃতী থেকে প্রকাশিত
১৬০ পৃষ্ঠার এই বইটির দাম ধরা হয়েছে ২৭৫ টাকা।
আট তারিখ থেকে বইমেলায় জাগৃতীর ষ্টলে পাওয়া যাবে।
প্রচ্ছদ তৌহিন হাসান।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/TANBIRA_zps19aa6f53.jpg[/img]
অনেক দিন পর মুক্তমনায় মন্তব্য করার জন্যে ঢুকলাম। বই গুলোর তথ্যের জন্যে ধন্যবাদ। যাদের বই প্রকাশিত হচ্ছে সবাইকে অভিনন্দন। চেষ্টা থাকবে সব গুলোই যোগার করার। আশা রাখি লেখকদের সাথে দেখাও হয়ে যাবে মেলায়।
২০১৩ তে প্রকাশিত মুক্ত-মনার গ্রন্থ প্রণেতাদের শুভেচ্ছা। প্রতিবারের মত এবারও আমাদের এ বিষয়ক তথ্য পরিবেশনের জন্য অভিজিৎ রায়কে ধন্যবাদ।
লেখক সহ সকলের প্রতি ,
আমাকে কি দয়া করে বলবেন কলকাতার দেজ পাবলিশিং প্রকাশিত প্রবীর ঘোষের বইগুলো একুশে বইমেলায় পাওয়া যাবে কি না ?
@মাসুদ রানা,
বই মেলায় পাওয়া যাবে কি-না, জানি না। তবে আপনি চাইলে বইগুলোর কোথায় পাওয়া যাবে, তা জানান দে’য়া সম্ভব।
@স্বপন মাঝি,
অবশ্যই, আমি জানতে চাই কোথায় বইগুলো পাওয়া যাবে ।
@মাসুদ রানা,
আজিজ সুপার মার্কেট (শাহবাগ)এ তক্ষশীলায়। ওখানে আরো বেশ কিছু বইয়ের দোকান আছে, পাঠক সমাবেশ, প্যাপিরাস। কথা হল ওখানে গেলে বইগুলো পেয়ে যাবেন। না পেলে জানাবেন।
যতদূর জানি প্রচ্ছদ শিল্পীঃ শ্যামল বিশ্বাস। জানি না, এটা কেমন করে হলো?
@স্বপন মাঝি,
ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ।
এহহ… আরো একটা বিস্ময়কর খবর পেলাম।
আমাদের ফরিদ ভাই, মানে ফরিদ আহমেদের প্রবন্ধ সংকলন বেরুচ্ছে এই বই মেলায়। শিরোনাম – ‘বিস্ময়কর নোটবুক‘।
ফরিদ ভাই আমার পড়া সেরা গল্পকারদের একজন। তার ছোট গল্পগুলোর তুলনা আমি কোথাও পাইনি। পাশাপাশি তার প্রবন্ধগুলোও দুর্দান্ত।
আরো মজার ব্যাপার – বইটার প্রচ্ছদ করেছেন নিলীম আহসান। নীলিমের কাজের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। মুক্তমনার সুন্দর সুন্দর ব্যানারগুলো তার হাতেই গড়া।
এই বইটার খবর এতদিন আমার কাছে চেপে যাওয়ার জন্য কাদের মোল্লার মত ফরিদ ভাইয়েরও ফাঁসি চাই 🙂
[img]http://mukto-mona.net/project/boimela2013/big_pic/bishoykor_notebook.jpg[/img]
এই বইটার বিষয়ও যোগ করতে হবে লেখাটায়… শিগগিরই। !
@অভিজিৎদা,
আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ফরিদ ভাইয়ের গল্পগুলো বই আকারে সংগ্রহের। বিশ্বাস করুন, আমি ফরিদ ভাইকে রিকোয়েস্টও করতে যাচ্ছিলাম! কিন্তু এ মেঘ না চাইতেই জলের মত হয়ে গেল!
ফরিদ ভাইকে অভিনন্দন! তবে ফরিদ ভাইয়ের হাত থেকে বইটি নেয়ার একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে, তা কি পূরণ হবে?
ব্লগ যে কত উপকারি, তার প্রমান পেলাম মেলার প্রথম দিনেই। ফরিদ ভাইয়ের ‘মহিলা কবি চন্দ্রাবতি’কে নিয়ে লেখা দুর্দান্ত নিবন্ধটি পড়ে ‘চন্দ্রকুমার দে’ নামটি জানা হয়ে গিয়েছিল। বাংলা একাডেমির স্টলে চন্দ্রকুমার দে’র দুই খন্ডের সংকলন পেয়ে গেলাম ৫০% কমিশনে। ওয়াও! আমি কিনতে পেরে দারুন খুশি। ওখানে চন্দ্রাবতি ছাড়াও আরো অনেক আকর্ষনীয় লেখা রয়েছে।
অমি পিয়াল ভাইয়ের ‘একাত্তরের রবিনহুড’ পড়ে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলাম। ঐ ধরনের লেখাগুলো নিয়ে পিয়াল ভাইয়ের যে বইটি বেরুচ্ছে, তাও একটি মাস্ট বাই বই হতে যাচ্ছে আমার জন্য।
কিন্তু অভিজিৎদা, আপনার বই নেই কেন? জাতি জানতে চায়!
@কাজি মামুন,
এটা গল্পসঙ্কলন নয়। আমার বেশ কিছু বারোয়ারী প্রবন্ধের সমাহার। এই বইটা অনেক আগে অবসর প্রকাশনী প্রকাশ করবে বলে আগ্রহ দেখিয়েছিল, কিন্তু অবসরের অধিকারী আলমগীর ভাইয়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে কচ্ছপ গতি আর আমার শশকের মত আলস্যের কারণে শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখে নি। অনেক দিন পর ভিন্ন প্রকাশনীর হাত দিয়ে বের হচ্ছে বইটা।
তবে এটা নয়, এ বছরের বইমেলায় বের হবার কথা ছিল আমার গল্পসঙ্কলনটা। ইলেক্ট্রা নামে। এক বাকোয়াজ বেতাল লোক রাতদিন ধর্ণা দিয়ে, জ্বালাতন করে পাণ্ডুলিপিটা নিয়েছিল প্রকাশ করবে বলে। তারপর কাজ হচ্ছে, বের হচ্ছে, দেশের সেরা কোনো সাহিত্যিককে দিয়ে ভূমিকা লেখাচ্ছি, ইত্যাদি করে করে শেষমেশ বলে যে, খুব বোকার মত বলে ফেলেছিলাম আপনার বই বের করবো, পারছি না, ক্ষমা করবেন। এই লোক যে রকম ব্যক্তিত্বহীন, তেলতেলে, তাতে যে এরকম একটা কাজ করবে, সেই আশংকা আমার ষোল আনাই ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু, এতখানি সময় নষ্ট করে একেবারে চুড়ান্ত মুহূর্তে আমার বারোটা বাজিয়ে দেবে, সেটা বুঝতে পারি নি।
যাই হোক, পাণ্ডুলিপিটা পরে আমি পাঠিয়ে দেই জনান্তিক প্রকাশনীকে। কিন্তু দেরি হয়ে যাবার কারণে বইমেলায় এই বই প্রকাশ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বইমেলা শেষ হলেই আমার বইটার কাজে তাঁরা হাত দেবে বলে জানিয়েছে আমাকে। কাজেই, বইটা পাবার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো গতি নেই।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/02/final_elektra_02.jpg[/img]
@ফরিদ আহমেদ,
যেটা প্রকাশ হচ্ছে, ‘বিস্ময়কর নোটবুক‘ সেটার ব্যাপারে কিছু বলুন। কি কি আছে আর কবে থেকে পাওয়া যাবে?
@ফরিদ আহমেদ,
অভিনন্দন!
@ফরিদ আহমেদ,
এক বাকোয়াজ বেতাল লোক রাতদিন ধর্ণা দিয়ে, জ্বালাতন করে পাণ্ডুলিপিটা নিয়েছিল প্রকাশ করবে বলে। তারপর কাজ হচ্ছে, বের হচ্ছে, দেশের সেরা কোনো সাহিত্যিককে দিয়ে ভূমিকা লেখাচ্ছি, ইত্যাদি করে করে শেষমেশ বলে যে, খুব বোকার মত বলে ফেলেছিলাম আপনার বই বের করবো, পারছি না, ক্ষমা করবেন। আমরা কেওই বৃত্তের বাইরে যেতে পারিনা । ব্রিত্তের ভেতরেই থাকি র চ্যাঁচ্যাঁই ।
ফরিদকে অভিনন্দন। সুন্দর প্রচ্ছদের জন্য নিলীমকেও অভিনন্দন।
@অভিজিৎ,
যে পাবলিক আমার বইটা প্রকাশ করবে বলে চেয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন পরে বাতিল করে দিয়েছে, তাকে এই লাইনটা পাঠাবো বলে ভাবছি। 🙂
কাদের মোল্লার মুক্তি চেয়েও কিন্তু লেখা আসছে এখন। :))
নীরবে, প্রচারবিহীনভাবে এর প্রকাশ হোক, সেটাই চেয়েছিলাম আমি। সে কারণেই কাউকে কিছু বলা হয় নি আমার। আন্তরিকভাবে দুঃখিত এজন্য।
@ফরিদ আহমেদ,
যে পাবলিক আমার বইটা প্রকাশ করবে বলে চেয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন পরে বাতিল করে দিয়েছে, তাকে এই লাইনটা পাঠাবো বলে ভাবছি।
@িশল্পভবন,
ভদ্রলোককে পাবলিক বলে ডেকে আসলেই আমি অভদ্রতা করেছি। দুঃখিত এই জন্য। এই স্ল্যাং এর বদলে আভিধানিক পরিভাষা ব্যবহার করা উচিত ছিল আমার। বলা উচিত ছিল, পলায়নপর প্রতিশ্রুতিভঙ্গকারী, বাহুল্যকথাসর্বস্ব বাচাল, তারল্যসুধার প্রভাবে প্রভাবিত বেতা্ল ভদ্রলোককে এই লাইনটা পাঠাবো বলে ভাবছি।
কিছুই শিখবে না। কারণ, কাউকে কিছু শেখানোর দায়িত্ব নিয়ে আমি বই লিখি নি।
কোনভাবে? অভদ্রভাবে? অসুবিধা নেই। আমার সাথে আপনার কোনো বাদ-বিবাদ কিছুই নেই, তারপরেও আপনি আমাকে বলতে গিয়ে ‘এভাবে’ ছাড়া বলতে পারেন না। আর আমি যে লোকটাকে পাবলিক ডেকেছি, সেই লোকটা দিনের পর দিন আমাকে ফোন করে, আমার লেখার প্রশংসা করে করে, পাণ্ডুলিপিটা হাতিয়ে নিয়েছিল। তারপর দিনের পর দিন নানান গল্প বলে গেছে এর প্রকাশনা বিষয়ে। এমনকি শেষ দিকে এসে, আমার বইয়ের ভূমিকা বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক দিয়ে লেখাবে বলে আমার অনুমতি চেয়ে নিয়েছে। তারপর একদিন দুম করে কোনো ব্যাখা ছাড়াই বইটা প্রকাশ করতে পারছে না বলে ক্ষমা চেয়েছে ইমেইল করে।
আমার বই প্রকাশিত হলো কী হলো না, সেটা নিয়ে আমার তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু এই বইটা নিয়ে আছে। আমার খুব প্রিয় একজন এই পাণ্ডুলিপিটাকে বইয়ের আকারে দেখতে চেয়েছিল। ফলে, আমি এটাকেই প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম সবচেয়ে আগে। এই ভদ্রলোকের ফিচলেমি আচরণের জন্য, সেটা হয় নি। তিনি শুরুতেই না করে দিলে আমি অন্য কোনো প্রকাশনা সংস্থার মাধ্যমে এই বইমেলাতেই বের করতে পারতাম বইটা।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ!
অমি রহমান পিয়ালের ‘একাত্তরের মুক্তিবন্ধু’ বইটা যোগ করলাম। তবে বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা, বইয়ের প্রকাশকের নাম, বইয়ের প্রচ্ছদ-শিল্পীর নাম এবং বইয়ের মুদ্রিত মূল্যের তথ্য লাগবে। কেউ জানলে জানাবেন।
হ্যাঁ, ডঃ প্রদীপ দেবের লেখা আমার ও খুব প্রীয়।
বই: আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটির বিগ্রহ
গল্পগ্রন্থ।
লেখক: মোজাফফর হোসেন
প্রকাশক: রাত্রি। পরিবেশনায়: অন্বেষা।
স্টল নং: ১৯৫-১৯৭
প্রচ্ছদ: চারু পিন্টু
পৃষ্ঠা: ১২৮
মূল্য: ১৬০টাকা।
@মোজাফফর হোসেন, [img]http://www.facebook.com/photo.php?fbid=10200695000524431&set=a.1602041457960.2090180.1443805484&type=1[/img]
@মোজাফফর হোসেন,
ছবি এটাচে সমস্যা হলে ইমেইলে ([email protected] – এই ঠিকানায়) পাঠিয়ে দিন।
@মোজাফফর হোসেন,
আপনার বই-
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/mujaffar_zpsd4dd5564.jpg[/img]
@আকাশ মালিক, হ্যাঁ ভাইয়া। গল্পের বই। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
“এক দল পাথরের গল্প” আমার পড়া আপনার শ্রেষ্ঠ গল্প!
http://blog.mukto-mona.com/?p=31165
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, গল্পটি পরে আর একটু বাড়িয়ে খানিকটা এডিট করা হয়েছে। আশা করছি, দ্বিতীয় পাঠ আরও ভাল লাগবে। আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন নিশ্চয়।
@মোজাফফর হোসেন,
ধন্যবাদ, যোগ করে দিব শিগগিরই।
শুভেচ্ছা রইলো।
@অভিজিৎ, নিশ্চয়। ধন্যবাদ।
@মোজাফফর হোসেন,
দিলাম যোগ করে …
কাজের ভেজালে থাকি তাই ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ফেরা হয়না আর। আর কবে হবে তারও ঠিক নেই। তবে এবার এক বন্ধু বলেছি আমার জন্য কিছু বই কিনে পাঠাতে। মুক্তমনাতে রিভিউ পড়ার পর থেকেই বইগুলো খুব পড়তে ইচ্ছে করছে!
আমাকে কি কেউ জানাতে পারবেন নিচের বইগুলো বই মেলার কোন কোন ষ্টলে পাওয়া যেতে পারে?
১। শাহাদুজ্জামানের “পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ”, “কয়েকটি বিহ্বল গল্প”, এবং “কেশের আড়ে পাহাড়”
২। আহমদ ছফার “ওঙ্কার”
৩। স্বকৃত নোমানের “ধুপকুশী”, “রাজনটি”, “হীরকডানা”, এবং “বেগানা”
৪। শহীদুল জহিরের “জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা”
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
সম্ভবত শহীদুল জহির ও শাহাদুজ্জামানের বই ‘পাঠক সমাবেশ’ বের করেছিল। আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ।
লেখাটি আগেই পড়ে ফেলেছি ফেইসবুকে।
‘আমার চোখে একাত্তর’ সংগ্রহের ইচ্ছা আছে। আর দীপেনদার গল্পের ভক্ত আমিও। তবে দীতার ঘড়ি কি সায়েন্স ফিকশন?
গতবার আপনার সাথে দেখা হওয়ার স্মৃতি এখনো মনের কোনে জ্বলজ্বল করছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ছিল, আপনার ‘ভালবাসা কারে কয়’ বইটি আপনার হাত থেকে নেয়ার ইচ্ছা থাকলেও নিতে পারিনি; যদিও সংগ্রহ করেছি পরে।
আপনার বই নেই কেন, জাতি জান্তে চায়।
পরিশেষে, ফাগুন ও একুশের যুগল শুভেচ্ছা! (F) (F)
@কাজি মামুন,
‘আমার চোখে একাত্তর’ বইটি র্যামন প্রকাশনী, স্টল # ৫৮৫৯ পাওয়া যাচ্ছে । কাল রাত থেকেই পাওয়া যাচ্ছে ।