১
উদাহরনটা সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম গডফাদারকে দিয়েই দেই। মারিও পুজোর লেখা এই কাল-অতিক্রম করা উপন্যাস থেকে আরেকটি কাল-অতিক্রম করা চলচ্চিত্রের জন্ম হয়েছিল ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা নামের এক হলিউডি দিকপাল ডিরেক্টরের মাথা থেকে। যাই হোক, এই মুভি কয়েকটি ইটালিয়ান মাফিয়া পরিবারের ক্ষমতার দন্দ্বের কাহিনী যেখানে গডফাদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলো আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডো। মুভির কাহিনী অসাধারন হলেও যে বিষয়টা দর্শকদের মনে রেশ রেখে যায় সেটা হল এই পরিবারটির উপরে তাদের এক অমোঘ টান এবং অবশ্যই এটা ভালো চলচ্চিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট যে কাহিনী, অভিনেতা অভিনেত্রীর উপরে দর্শকের অন্যরকম এক ভালো লাগা কিংবা আপন করে নেয়ার অনুভুতি সৃষ্টি হওয়া। বাস্তবে এমন একটা মাফিয়া পরিবারকে আপনি কীভাবে দেখবেন? ভালো লাগার দৃষ্টিতে? আমি জানি উত্তরটা মোটেই আপনার মাথাটাকে উপরে নিচে ঝাকাবে না, ঘোরাবে ডানে বায়ে।
প্রশ্ন তোলা যায়, এমন নির্মম, নির্দয় একটা পরিবারের উপরে, এমন অনৈতিক একটা গ্রুপের উপরে আমাদের একাত্নতা অনুভব করার অনুভুতিটা ঠিক কখন আসে? কেন আসে?
একটু খেয়াল করলেই বিষয়টা বোঝা যায়। যারা চলচ্চিত্র সম্পর্কে একটু খবর রাখেন মানে যারা একটু মুভি বেশি দেখেন তারা আগে থেকেই জানেন যে, একজন চরিত্রকে (যে কিনা ঐ নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রে একটা সমাজবিরোধী ক্যারেক্টার হিসাবে আছে) যখন মুভির বেশিরভাগ সময় দর্শকের সামনে রাখা হয়, যখন তার আবেগ ভালোবাসাগুলো খুবই কাছ থেকে দেখানো হয়, সুযোগ দেওয়া হয় চরিত্রের ভালো মন্দ পরিবেশের সাথে দর্শককে একাত্ম হবার। চলচ্চিত্র শেষে সে সমাজের জন্য একটা কীট হলেও তাকেই দর্শকের চোখে হিরো হিরো লাগে। অথচ যার হওয়ার কথা ছিল ভিলেইন।
মুভিতে এল পাচিনোকে যখন সমাজ বিরোধি বলে একজন সিনেটর(অনেক আগে দেখেছি ভুলও হতে পারে) গাল দিয়ে ওঠে তখন আমার চোখে সিনেটরকেই সমাজের জন্য অস্পৃশ্য মনে হয়েছিল, কারন আমি ততক্ষনে এল পাচিনোর ভালোবাসাবাসি থেকে শুরু করে তার ক্যারিজম্যাটিক অভিনয় গোগ্রাসে গিলছিলাম। যেখানে কর্লিয়নি পরিবারকে দেখলে আমাদের বমনিচ্ছা হবার কথা সেখানে আমরা অত্যন্ত রহস্যজনকভাবে কর্লিওনি পরিবারের প্রেমে পড়ে যাই। যার বিরহজনক সমাপ্তি ঘটে চলচ্চিত্রটির তৃতীয় খন্ডের শেষ দৃশ্যে মাইকেল কর্লিওনি(এল পাচিনো)র চেয়ার থেকে মৃতাবস্থায় বাগানের মাটিতে পড়ে যাওয়ার দৃশ্যের সাথে সাথে।
ব্যাপারটা খুবই চমকপ্রদ এবং একই সাথে কৌতুহলদ্দিপক।
২
Soldiers shoot dead 20-year-old man near Gaza border শিরোনামে maannews.net একটা খবর ছাপায় এ মাসেরই ৫ তারিখ সোমবারে(দয়া করে তারিখের ব্যাপারটা খেয়াল করবেন কারন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান লেখায়)। যেখানে বলা হয়ঃ
Israeli soldiers shot and killed a 20-year-old Palestinian man who approached a fence near Gaza’s border with Israel, medics said on Monday.
রিপোর্টটা পুরোটা পড়লে আমরা জানতে পারি যাকে হত্যা করা হয়েছিল তিনি একজন মানসিক রোগী যাকে কিনা আগেও একবার আটক করা হয়েছিল সীমান্তের কাছাকাছি নিষিদ্ধ এক জায়গাতে যাবার জন্য। যদিও পরবর্তীতে তার হেডকোয়ার্টারে ঝামেলা আছে বুঝতে পারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি মেডিকদের প্রায় ৬ ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছিল তার লাশ নেবার জন্য। এবং তারা আশংকা করেছিল ইজরায়েলিদের আদর সোহাগ সহ্য করতে না পেরেই হয়ত তার মৃত্যু হয়েছে।
খবরে শেষের দিকে আরেকটি খবর দিয়েছে সেটা হলঃ
On Friday, a Palestinian man was seriously wounded after Israeli artillery fired several shells in the same border area. The army said it had suspected he was planting an explosive device, but no explosion ensued.
একই ওয়েবসাইটে আরেকটি প্রায় একইরকম খবর প্রকাশিত হয় একই মাসের(মানে এ মাসে) ৮ তারিখ বৃহস্পতিবার যার শিরোনাম ছিল Medics: Israeli fire kills boy in south Gaza
মূল খবরঃ
GAZA CITY (Ma’an) — A 13-year-old Palestinian boy died Thursday in southern Gaza, in a shooting medical officials blamed on the Israeli military.
তেরো বছরের হামিদ ইউনিস আবু দাকা মারা গিয়েছিল মেশিনগানের গুলিতে।
প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস(PCHR) এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে
New Israeli Escalation against the Gaza Strip, 7 Palestinians, Including 3 Children, Killed and 52 Others, Including 6 Women and 12 Children, Wounded শিরোনামে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ১১ নভেম্বর রবিবার ২০১২। বলা হয়
Over the past 72 hours, the Israeli Occupation Forces (IOF) have escalated their aerial and ground attacks against the Gaza Strip. Five Palestinian civilians, including 3 children, have been killed, and 52 others, including 6 women and 12 children, have been wounded. Four of these deaths and 38 of the injuries resulted from an Israeli attack on a football playground in al-Shoja’iya neighborhood east of Gaza City. Additionally, 2 members of the Palestinian resistance were killed, and some civilian facilities were destroyed or damaged.
তার ঠিক পরের দিনই দুনিয়ার সমস্ত মিডিয়ার খবর প্রকাশিত হয়, হামাস ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। যেমন বিবিসিতেঃ
Israel hit by fresh volley of rockets from Gaza
কিংবা সিবিসিতেঃ
Gaza rocket fire raises pressure on Israel government
যেখানে আবেগঘন কন্ঠে(কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক মতিকন্ঠ) নেতানিয়াহু বলছেঃ
I don’t know of any of your governments who could accept such a thing. I don’t know of any of the citizens of your cities, who could find that acceptable and something that could proceed on a normal basis. I think the whole world understands that this is not acceptable
আহারে ভাই আমার! এমন সভ্য ভদ্র মানুষও হয়!!
আমি যখন লিখছি তখন ফিলিস্তিনিদের উপরে ইজরায়েলি হামলার ৭ম দিন। নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে অসামরিক ৫৩ জন। আহত ৮৪০ জন যার মধ্যে ২২৫ জন শিশু। আর হামাসের রকেট (পড়ুন ওয়েপন অফ মাস ডিস্ট্রাকশন) হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩!
নাউ গেস হু ইজ দ্যা টেরোরিস্ট?
ইউ গট ইট। হামাস!
৩
ইজরায়েলের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক Haaretz এর চালানো একটা পোল-এ দেখা গেছে ৯০ শতাংশের বেশি ইজরায়েলী জনগন ফিলিস্তিনিতে চলমান হামলার পক্ষপাতি। তিরিশভাগ রাজি একেবারে ট্যাংক নিয়ে ঢুকে যেতে।
Haaretz poll: More than 90 percent of Israeli Jews support Gaza war
নাস্তিককূলের মাওলানা গোত্রের ফতোয়া অনুযায়ী ঘুমিয়ে আছে আত্নঘাতি, সব মুসলিমের অন্তরে। একই সুত্র অনুযায়ী ইজরায়েলী এই ৯০ ভাগের বেশি জনগনকে কী বলা যায়? মুমিনেস্তো জিব্রায়েলিয়া?
ধর্মের ভিত্তিতে জাতীয়তাবোধ যদি ধর্মান্ধতা হয় তাহলে ইজরায়েল জাতিগোষ্ঠীর ধারনাটাই ধর্মান্ধতার সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরন। আপনি যদি ইহুদী হন আর দুনিয়ার যেকোন জায়গায় বসে একবার ইজরায়েলী মোসাদ মামাদের জানাতে পারেন আপনি সমস্যায় আছেন, দুনিয়ার সমস্ত ফোর্স নিয়ে তারা ছুটে আসবে আপনার কাছে, সসম্মানে ইজরায়েলে নিয়ে যাবার জন্য। নাস্তিক অনলি ইসলাম-গোত্রের মুফতিদের কাছে জাতি জানতে চায়, এটা যদি দুধের ধোয়া তুলশি পাতা হয় যেটা কিনা তাদের ফিকাহ শাস্ত্রের পাতা থেকে কোন ফতোয়া জারি করতে পারে না তাহলে মুসলিম জাতিয়তাবোধ এমন কী আলাদা যেটা তাদের নাওয়াখাওয়াঘুমসঙ্গম হারাম করে দিয়েছে শুধু মুসলিম মননে টেরোরিজম খুজে বার করতে?
৪
হামাসের রকেট হামলা মোটেও ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরুর জন্য করা হয় নি। এটা একটা ধারাবাহিক ইজরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কিন্তু আমরা কী জানতে পারলাম? নাটেরগুরু হামাস। সমস্ত দোষ ফিলিস্তিনির। এই মুসলমানরা সবসময়েই উগ্র। এদের সাথে কোন সময়েই আলোচনা করা সম্ভব না। এরা ইচ্ছা করে ইজরায়েলী ভু-খন্ডে হামলা চালায়। সুতরাং এদের কী করা উচিত? এদের অবশ্যই দাবড়ানি দিয়া বুঝিয়ে দেয়া উচিত ওহে, মাস্তানি করব আমরা। তোরা কে রে?
৫
প্রথমে আমি গডফাদার মুভির উদাহরনটা দিয়েছিলাম কী জন্য পাঠক হয়ত বুঝতে পেরেছেন। ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার খবর পশ্চিমা মিডিয়াতে এমনভাবে আসবে যেটা দেখলে আপনার মনে হবে বাস্তবে আসল ভিক্টিম হল ইজরায়েল। আর আগ্রাসন চালাচ্ছে হামাসের মতন ইসলামি টেরোরিস্ট(তথাকথিত) গ্রুপগুলো। গডফাদারের কর্লিওনি পরিবারের সাথে আমরা যেমন চলচ্চিত্রের পুরো সময়টুকু একাত্নতা অনুভব করি, এই দুইদেশের সমস্যায় অনলি-ইসলাম সমালোচনা ধর্মের মুফতিরা (একই সাথে পশ্চিমা বেশিরভাগ জনগন) শুধু ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলা দেখে। কারন লাইমলাইটে থাকে শুধু ইজরায়েলীদের কুম্ভিরাশ্রু। কিন্তু এটা যে ইজরায়েলের করা পশুবৃত্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী জনগনের প্রচন্ড চিৎকার সেটা তাদের চোখে তো দূরের কথা কানেও পৌছাতে পারে না, যার ফলশ্রুতিতে তারা একের পর এক ইসলামের আলোচনা(মতান্বরে আলুছানা) সমালোচনা করে মানবতার জয়গান গেয়ে যায়। আর মানবতার দেশ, মালালা আক্রমনে মানবতার আবেগ-বাষ্পে কেঁপে ওঠা দেশ আম্রিকার প্রেসিডেন্ট, যে কিনা এখন দেশে দেশে মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে যাচ্ছে ভার্চুয়ালী তিনি ফতোয়া দিয়েছেনঃ
Barack Obama: We fully support Israel’s right to defend itself
এটা কোন দোষ না, দোষ হল তালেবানদের মালালার উপরে হামলা চালানো। কেননা সেখানে মালালার উপরে হামলা করেছে মুসলমান জঙ্গীগ্রুপ আর এখানে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনিতে আন্তর্জাতিক ভালোবাসা উৎসব হচ্ছে। বাহ বাহ, কী চমৎকার দেখা গেলো!!
৬
আসুন লেখাটি পড়ে আমরা আমজামকাঁঠালজনতা মানবতার চর্চা করেছি এই ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সেঁটে একটা ঘুম দেই। ঘুমে স্বপ্ন দেখি, খবরদার দোষ যাতে না দেখি। আমেন!
আপডেটঃ শেষ খবর পাওয়া গেছে, ৮ দিনের গনহত্যার শেষে যুদ্ধবিরতিতে আসার পর, শুক্রবার তা ভঙ্গ করে আবার একজন ফিলিস্তিনি হত্যা করেছে এবং আহত করেছে ১৯ জন।
আজ থেকে পয়ষট্টি বছর পূর্বে অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছের বিরোদ্ধে, তীব্র প্রতিবাদের মুখে প্যালাষ্টাইনকে দুই ভাগে ভাগ করে অবৈধ ইসরাইয়েল রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া হয়েছিল। আজ ফিলিস্তিনিদের জন্যে এক স্ম্বরণীয় সুখের দিন। জাতিসংঘে ফিলিস্তিন আজ non-member observer থেকে non-member observer state এর মর্যাদা পেল।
পৃথিবী বদলে গেছে, কারো অন্যায় দাদাগিরি বেশি দিন ঠিকবেনা। ফিলিস্তিন যদি বিশ্বজনমত তার পক্ষে ধরে রাখতে পারে, আশা করা যায় তাদের হারানো প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা বিনা রক্তপাতে একদিন ফিরে পেতে পারে।
কয়েক হাজার বছর আগে কেউ একটা জায়গায় বাস করতো বলে হুট করে কয়েক হাজার বছর পরে এসে সেই জায়গার বর্তমান বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে দিয়ে ওখানে বসতি স্থাপন করতে চাইলে এটাকে বলা যায় ‘মগের মুল্লুক’ অথবা ‘জোর যার মুল্লুক তার’। কোন কারনে যারা একবার চলে গিয়েছে তাদেরকে পুনর্বাসন করার নামে অন্য লোকজনকে বাস্তুহারা করার মধ্যে আমি কোন যুক্তি দেখিনা এবং যে কোন যুক্তির বিচারে এটাকে অন্যায় বলে আমার মনে হয়। তারপরেও যদি হয় সেটা যে কোন ধর্ম ভিত্তিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা, সোজা কথায় সেটা হবে অগ্রহনযোগ্য। আর তা ছাড়া এক জাতির প্রতি অন্যায় আচরনের খেসারত অন্য জাতিকে বইতে হবে এটা কখনও ন্যায় সংগত হতে পারেনা।
আর ভবঘুরেকে বলতে চাই, আমার মনে হয় আপনি কোরানের আয়াতের উল্লেখ করে যে কথাটা সবাইকে বোঝাতে চাচ্ছেন সেটা হলো মুসলমানগন যে কোরানের বানীকে ধ্রুব সত্য বলে মানে সেই কোরানের বানী অনুযায়ী ইহুদিদের রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা ন্যায়সঙ্গত, কিন্তু এখানে মুসলমানগন উলটো আচরন দেখাচ্ছে আর এটাই হলো মুসলমানদের হিপোক্রেসি। কোরানে ইহুদিদেরকে যে ভুমি দেয়ার কথা বলা আছে সেটা হতে পারে তখনকার সময়ের একটা পরিস্থিতি, কিন্তু এটার সাথে বাস্তবের কোন সর্ম্পক নাই। এটাই প্রমান করে যে কোরানের মতো ফালতু, কল্পনা প্রসু্ত, সর্বোপরি জংগীবাদিতে ভরপুর একটি বইকে অনুসরন করা থেকে মুসলমানদের বিরত থাকতে হবে। তা না হলে হামাসের মতো জংগীবাদ সংগঠনেরই সৃষ্টি হতে থাকবে, মানুষ মরবে কোন লাভ হবেনা। তবে আমার মতে, হউক সেটা অপ্রাসংগিক, বার বার সত্য বক্তব্যকে উত্থাপন করার আপনার এই প্রচেস্টা ধন্যবাদ প্রাপ্য।
@ব্রাইট স্মাইল্, খুব ই সত্য কথা । আধুনিক ইসরায়েলের জন্ম প্রক্রিয়াটা ই ছিল অমানবিক । অনেক বড়
ঐতিহাসিক ভুল । আমেরিকা সেকুলার আবার ইসরায়েল ইহুদি-জাতিয়তা বাদি — মনে হয় যেন আওয়ামীলীগ
BNP আর জামাত রে সাপোরট করতেসে ।
মুসলমান ও কোরান নিয়া যা বোল্লেন সেটাও একদম ঠিক । সাইফুল ইসলাম এর লেখাটা পুরনাঙ্গ নয় ……… এই ধরনের লেখা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুসলমান দের খেপাইতে ব্যাবহার করা হয় । ( এই কথার মানে কিন্তু আমি
ইসরায়েলের মানুষ মারা সাপোর্ট করতেসি তা না । সাইফুল ইসলাম ও তার োস্ত রা তা মনে করতে পারে তাই
বললাম ।)
সাইফুল ইসলামের মত আচরণ যদি হয় একজন মুক্তমনার বৈশিষ্ট্য তাহলে অচিরেই মুক্তমনা বিষেশনটি ব্যাংগাত্মক অর্থে ব্যবহৃত হতে শুরু করবে ।তার সব জবাবের মুল টোন হচ্ছে-”আপ্নে আমাত্তে বেশি বুঝেন ? ”
মুক্তমনাতেও তথ্য যুক্তি ও বিষয় ভিত্তিক আলোচনা বাদ রেখে অপরিপক্ক ব্লগের মত ব্যাক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুড়ির দিকে মনোযোগ বেশী দেখলে খারাপ লাগে।
যে কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা যায়, কাউকে উপযুক্ত তথ্য প্রমান সহ ইসলাম বিদ্বেষী, জামাতী সবই চিহ্নিত করা যেতে পারে, তাতে দোষ নেই। আলোচনা হলে পাবলিক বিবেচনার সুযোগ পাবে। কিন্তু যে কোন পোষ্টে অতীতের তিক্ততার রেশ টানা যথেষ্ট বিরক্তিকর।
বোমার আঘাতে নিরপরাধ মানুষের করুণ মৃত্যু, বিধ্বস্ত বাড়ি ঘর, রক্তাক্ত মৃত শিশুর লাশ, প্রিয়জন হারানো অসহায় মানুষের হাহাকারের নিত্য ছবি আমাদের বিবেককে ক্ষত বিক্ষত করে প্রতিনিয়ত, অস্থির হয়ে কেঁপে উঠে আমাদের মানবিক সত্ত্বা। কিন্তু যৌক্তিক বিষয় গুলো পাশ কাটিয়ে সহজ সমাধানের কোন পথ খোলা আছে দেখি না। থাকলেও তা হয়তো কেউ মানবেনা। অসহায়ত্ব গ্রাস করা রিক্ত, শূন্য, আনমনে কিছু একটা করার তাড়না থেকেই ব্লগে ব্লগে হয়তো আমাদের এই চিৎকার। কোটি মানুষের সমঃস্বর চিৎকারে যদি কিছু একটা সাধিত হয় এই দূরাশায়!
ইস্রাইল ফিলিস্তিনের চলমান সংকট নিরসনে সহজ সমাধানের কোন পথ খোলা আছে বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না। দুটি দেশের মধ্যেই এই সংঘর্ষের রেশ সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো কোন সহজ সমাধানে পৌছা যেত কিন্তু এই সংঘর্ষের অন্তরালে এক দিকে যেমন জড়িয়ে আছে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অন্য দিকে কাজ করছে বৈশ্বিক রাজনীতি নামক প্রকান্ড ভূত। এক পক্ষে আছে ইসলামী বিশ্বের প্রকাশ্য সমর্থন অন্য পক্ষে কালো ছায়া হয়ে আছে আধুনিক সমরাস্ত্র করায়ত্ব খ্রীস্ট অধ্যুষিত পশ্চমা বিশ্বের রাষ্ট্রিয় সমর্থন। এই দুই প্রকান্ড শক্তির মান অভিমানের দাবার ছকে মূল্য দিচ্ছে সাধারণ মানুষ, ঝরে পড়ছে অকাল প্রাণ। সীমানা নির্ধারনের মত জটিল বির্তকিত ইস্যুকে সামনে রেখে অত্যাধুনিক অস্ত্রের জোরে দূর্বল ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সব হারানো বর্তমান স্যাটেলার(যদিও এক সময় আরবের অধিকাংশ দেশে তাদের আবাস ছিল) ইস্রাইলিরা দখল করতে চায় আরে প্রচুর ভূমি, বাড়াতে চায় রাষ্ট্রের সীমা, গড়তে চায় শক্তিশালী ইহুদি রাষ্ট্র। অন্যদিকে নির্যাতিত, নিপীড়িত ফিলিস্তানীরা গড়তে চায় প্রতিরোধ।
ইতিহাস বলে শক্তির জোরে ভূমি অধিকরণের দূর অভিসন্ধি মানুষের বহু বছরের পুরানো চর্চিত নিকৃষ্টতম পন্থা। সম্প্রতি আমরা দেখেছি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বেলায়, বাঙালি স্যাটেলারদের তা চর্চা করতে দেখি দূর্বল পাহাড়িদের ভূমি দখলের ক্ষেত্রে কিংবা দেখি চীনাদের তিব্বত দখলের বেলায়।
এই জটিল সমস্যাগুলির উত্তরণ খুব দ্রুত হয়তো সম্ভব নয়। তারপরেও আমরা আশাবাদী।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার ক্যামোফ্লাজে অনেক কিছুই গ্রহনযোগ্য নয়। কেউ গনহত্যা , পিডোফিলিয়া ইত্যাদি মহিমান্বিত করে প্রবন্ধ লিখলে তাকে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতি বিদ্বেষী এবং বর্ণবাদী মানসিকতাকে উস্কে দেয় এমন লেখার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। প্রমান ছাড়া কাউকে নাৎসী , ফ্যাসিস্ট কিংবা জামাতী বলাটা যেমন একটা ফৌজদারী অপরাধ এবং সেসব পড়ার পরে চুপ থেকে সমর্থন দান করাটা আইনত না হলেও নৈতিক অপরাধের পর্যায়ে পরে।
মুক্তমনায় একবার দেখলাম একজন এক লেখায় চল্লিশোর্ধ নারীদের অঙ্গ বিশেষকে ব্যঙ্গ করছে এবং সেই ব্যক্তিই আবার নিজেকে যুক্তিবাদী ও মুক্তচিন্তার ধারক বলে দাবী করছে। আরেকজন লেখক সুযোগ পেলেই ধর্মের গঠনমূলক সমালোচনার নামে যা লেখেন তাকে পর্নোগ্রাফি বললে ভুল হবে না । অন্য কোথাও এরকম লেখা লিখলে তাদের গালি দেওয়া হতো না, কারাগারে ধর্ষণের আসামীদের যেভাবে সডোমাইজ করা হয় , তেমনটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশী। মুখে যুক্তিবাদী বলে দাবী করলেও যুক্তিবিদ্যা নিয়ে প্রশ্ন করলে এসব ধর্মীয় ও পর্নো গবেষকদের পেট থেকে কোন বিদ্যা বের হবে না।
এখন এসব লেখা যখন একবার ছাপানোর ছাড়পত্র পেয়েই যায় , কেউ কেউ হতাশ হয়ে গালমন্দ করলে তাদের কি দোষ দেয় যায় ? আমরা নিশ্চয়ই চাইবো না যে , মুক্তমনা ঘৃণার চাষাবাদের অভয়ারণ্যে পরিনত হোক। ধরলাম না হয় যে , ছদ্মনামে ধর্মীয় পর্নোগ্রাফি লিখে লাপাত্তা হয়ে থাকে যায় কিন্তু এসবের দায় দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত পরিচিতজনদের উপরে গিয়েই বর্তাবে।
প্রকৃত নাস্তিকতা নিয়ে লেখায় কেউই আপত্তি করে না যদি তা যুক্তি এবং বিজ্ঞান মেনে লেখা হয়। তবে, কোন ছদ্মবেশী ধার্মিক যদি মুক্তমনাকে অপব্যবহার করে এখানে ঘৃণা ও বিদ্বেষের হুল ফোটানো পছন্দ করে , তাহলে শুধু সাইফুলের গালি কেন ? অনেক কিছুই ঘটতে পারে ! (8)
@সংশপ্তক,
চরম সহমত!
হুঁহু বাবা, আইনের লোক বলে কথা, এইবার ঠেলা সামলাও………………
@সংশপ্তক, (Y) (Y) (Y) অসাধারণ বলেছেন।
@অর্ফিউস, তবে গালি গালাজ কে কোনভাবেই আমি সমর্থন করি না আর করবও না।
@অর্ফিউস,
গালাগালি অবশ্যই বর্জনীয় এবং মুক্তমনার বিশেষত্বই হচ্ছে যে এখানে খামার ব্লগের মত গালাগালির চর্চা নেই। সুযোগ সন্ধানীরা এর সুযোগ নেয়। কিভাবে নেয় ?
আগ্রাসন দুই প্রকার – প্রত্যক্ষ আগ্রাসন এবং পরোক্ষ আগ্রাসন। নিজে গালি শুরু করাটা প্রত্যক্ষ আগ্রাসন এবং অন্য গালি দিতে বাধ্য করাটা পরোক্ষ আগ্রাসন। পরোক্ষ আগ্রাসন সাধারণত চতুর রাজনীতিবিদেরা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করেন। উদাহরণ – অহিংসা যদি মূল ও চুড়ান্ত উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে সেই উদ্দেশ্য দ্বারা প্রণোদিত কর্মকান্ডের চুড়ান্ত ফলাফল প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয়ভাবে অহিংসাই থাকবে এবং সেখানে সহিংসতার উদ্ভব হবে না। কিন্তু পরোক্ষ আগ্রাসী প্রক্রিয়ায় নিজে সরাসরি অহিংস থেকে অপর পক্ষকে সহিংস হতে ( দাঙ্গা , গন আত্মহত্যা ইত্যাদি) উস্কে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা হয়। অতএব, চুড়ান্ত ফলাফলটা দেখা যায় সহিংস থাকছে শেষ পর্যন্ত। (8)
অফটপিক : ক্রিকেট ?
@সংশপ্তক, আসলে গালি না দিয়েও মানুষকে সোজা করা যায়।আপনি দেখুন উপরের বেশিরভাগ ব্লগার/মন্তব্য কারী অতিথি ( আমি সহ), সবাই কিন্তু ভবঘুরে আর চাকলাদারের প্রবল বিরোধিতা করেছে। আপনিও তাদের সমর্থন করেন নি।
কিন্তু এখানে কিন্তু আমাদের দরকার হচ্ছে না গালিগালাজ করার।যা হোক এ নিয়ে মনে হয় আর কথা না বাড়ানই ভাল, যেহেতু ব্যাপারটা থেমে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। ক্যাচাল যত এড়িয়ে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল।
বুঝলাম না আপনার প্রশ্ন টা!
@অর্ফিউস,
এ পর্যন্ত আসতে এতো ভন্ডামী করতে হলো? নিকটা নতুন নিয়েছেন বুঝি? সহসাই কাত্তিমাইয়া ছাগল ছানার মতো তিড়িং বিড়িং লাফালাফিটা একটু বেশী হয়ে যাচ্ছেনা? রুঢ়তার জবাব রুঢ় ভাষায় দিতে হয়। চামচাগিরি করা ভাল না। এখানে আকাশ মালিকের জীবিকা, পেশা, তার বউয়ের বিশ্বাস, তার ডি এন এ টেষ্ট, তার জীবনাচরণ নিয়ে পোষ্ট লেখা হচ্ছেনা। এখানে আলোচ্য বিষয় হলো ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসন, এবারের যুদ্ধে কে আগে আক্রমণ করেছিল। ইফ ইউ গট নাথিং টু সে এবাউট দিস, দ্যান শ্যাট—– ইউর—– ফাকিং——-গব।
@আকাশ মালিক,
আমরা কি পুর্ব পরিচিত? আপনার কাকে সন্দেহ হয় বলেনতো :-s
কার চামচাগিরি করলাম?
আমি কি একবারও তা করেছি? আপনার একটা লেখা কে নিয়ে কিছু বলা আর আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করা এক না।
আপনি প্রতিক্রিয়াশীলদের মত আচরন করছেন কেন? আপনি যদি সত্যি মনে করেন যে আপনার ওই পোষ্ট তা কান্নাকাটি ছিল না,তবে আপনার তো রাগার কথা না।
আমি আমার প্রায় প্রতিটা মন্তব্যেই এই লেখাটার বিষয়টার উপরেই করেছি।আপনার লিঙ্ক টা আমার কাছে চলে এসেছে ফরিদ ভাইয়ের মাধ্যমে, পড়ে আমার কাছে যা( কান্নাকাটি) মনে হয়েছে তাই বলেছি যাহোক আপনি যদি মুক্ত মনার অ্যাডমিন প্যানেলের কেউ হন( আমি নিশ্চিত আপনি তা নন, হলে এত প্রতিক্রিয়াশীলতা দেখাতেন না) তবে আমাকে সতর্ক করে দিন, সঠিক নিয়মে।
যদি মন্তব্য এতই গায়ে জ্বালা ধরায় তবে প্যানপ্যানানী লেখা লেখেন কেন?
আর যদি সেটা না হন তবে আমি শুধু এটুকুই বলব যে আমাকে আদেশ করার কোন পজিশনে আপনি নেই।
আর শুনেন ইংরেজি টা কম কপচান। বাংলা কপচিয়েও স্মার্ট থাকা যায়।
আপনার কথামতই আপনাকে জবাব দিলাম।
@আকাশ মালিক,
ডিএনএ টেষ্টের মেইলটি আমার পাঠানো, অর্ফিউসের নয় ! তবে এখানে ‘চামচাগিরি’ কোথায় হল বুঝতে পারছি না। গতকাল হাল্কা মেইলটি পাঠানোর সময় তাড়াহুড়োয় খেয়াল করিনি, কিন্তু আপনার উপরের মন্তব্য পড়ার পর মনে হচ্ছে ‘লন্ডনী হুজুর’ আর আকাশ মালিক সম্ভবত একই ব্যক্তি। যদি তাই হয় তাহলে আপনার অগনিত পাঠককে (আমি সহ) বিষয়টি ব্যাখ্যা করা আপনার মরাল অবলিগেশন বলে মনে করি। আর সত্যি না হলে ক্ষমা প্রার্থনাসহ আপনার সম্পর্কে এধরনের অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।
@মনজুর মুরশেদ,
ওহ তাহলে এই ব্যাপার?আপনি আকাশ মালিক কে মেইল দিয়েছেন আর সে না বুঝে ভেবেছে যে আমি মেইল দিয়েছি!আমার উপরে ঝাল ঝাড়ছে? :-O
কি সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার!আমি তো তার মেইল এড্রেস জানিই না মেইল দিব কি!এটা তার বুঝা উচিত ছিল!!
@অর্ফিউস,
আর তাই
@অর্ফিউস,
আসলে মেইল করিনি, উপরের মন্তব্যটি আমি পোষ্ট করেছি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। আকাশ মালিকের মেইল আড্রেস আমার কাছে নেই। ভুল বোঝানোর জন্য দুঃখিত।
@আকাশ মালিক,
ভন্ডামী?? অন্যকে ভন্ড বলার আগে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুন। আপনি অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে নিজের দুর্বলতা আর ভীতিই প্রকাশ করছেন, যা আপনার জন্য বেমানান।
@সংশপ্তক,
সহমত (Y)
বাংগালী’র গালাগাল এবং ক্যাচালপ্রিয়তা তাদের নিজের কাছেই legendary। এখানে ভবঘুরে সাহেবের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানূভুতি না রেখে বলছি যে তার প্রতি আক্রমন শালীনতার সীমা ছাড়িয়েছে। বাংলার অনেক ব্লগ আছে যা এক্সটিংকশনের পথে গেছে কেবল গালাগালি প্রশ্রয় দেবার কারনে।
মুক্তমন-মুক্তচিন্তা’র প্রসার যার একমাত্র লক্ষ্য, সেই ফোরাম গালাগালিকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। চিন্তার আদানপ্রদানে বড়ো নিয়মই হলো যে প্রথমে গালি দেবে সে আর্গুমেন্ট লুজ করবে। গালি না দিয়েও কাউকে ধুইয়ে সাদা করে ফেলা যায় এবং সেটা অনেক বেশী এফেক্টিভ।
আর সারাক্ষন মেজাজ উচ্চমাত্রায় রেখে আন্চলিক কথ্যভাষায় আলোচনা চালানো কারো কাছে স্মার্টনেস বলে প্রতিভাত হতে পারে কিন্তু অধিকাংশের কাছে এটা বিরক্তিকর।
@সফিক,
গালাগালিতে ভবঘুরেও কিন্তু কম যায় নি। কাউকে বিনা প্রমাণে জামাত বলাটা চ বর্গীয় গালির চেয়েও খারাপ গালি।
@ফরিদ আহমেদ,বিনা যুক্তিতে কাউকে জামাতী, নাৎসী এসব বলা কাউকে ‘মাদা–র’ বলার চেয়ে অনেক খারাপ এটা অস্বীকার করছি না। কারনে প্রথমগুলি মানুষের চেতনা-বিশ্বাসকে আহত করে আর পরেরগুলি স্রেফ সংবেদনবিহীন কমন গালি। কিন্তু সভ্য- আদানপ্রদানের arbitrary নিয়ম অনুযায়ী প্রথমগুলিকে অশ্লীল বলে না কিন্তু দ্বিতীয়গুলিকে বলে।
ভবঘুরে’র monomania এবং যুক্তিহীনতা কে অনেক এফেক্টিভ ভাবেই আঘাত করা যায় গালি গালাজ ছাড়াই। আপনি নিজেও বোঝেন যে গালিগালাজের পথ খুলে দেয়া কখনোই মুক্তমনা’র জন্যে ভালো হবে না।
@সফিক,
একমত, গালিগালাজের পথ খুলে দেয়া কখনোই মুক্তমনা’র জন্যে ভালো হবে না, কিন্তু ভবঘুরে আর তার চেলার মন্তব্য আর কুযুক্তি আমার মত নির্বিষ জীবেরও ক্ষেপে ওঠার জন্য যথেষ্ট। কী বোর্ডের দুটো বাটন অলরেডী নড়বড়ে হয়ে গেছে :-X
@সফিক,
অবশ্যই ভাল হবে না। মুক্তমনা অন্য যে কোনো ব্লগের চেয়ে এই জায়গাটাতেই অনেকখানি এগিয়ে। তুমুল উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক, বাক-বিতণ্ডার মধ্যেও আমরা গালিগালাজ থেকে সযত্নে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
গালির প্রসঙ্গ আমি এনেছি শুধু এইটুকু দেখানোর জন্য যে, ভবঘুরে একতরফাভাবে শুধু গালিরই শিকার হন নি, বরং নিজেও গালাগালিতে অংশ নিয়েছেন।
@সফিক,
(Y) আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত এইখানটায়।গালিগালাজ কোনদিনই গ্রহণযোগ্য না ভদ্র সমাজে।
@অর্ফিউস,
আমার পোস্ট ডিফল্ট হিসাবে অভদ্র ধইরা নিবেন।
আমার গ্রামের বাড়িতে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পাগলের শেষ চিকিৎসা হইল পুকুরে নামাইয়া চুবানো। এইখানে যেই সমস্ত আবালকুল ইজরায়েরলের প্রেমে কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়াইতে পারতেছে না এগোরে আপনার কী মনে হয় ১০ বছরের পিচ্চি? এরা সবাই চুল পাঁকানো বদমাইশ একেকটা। এগোরে তো বুঝানোর কিছু নাই। বিশেষ কইরা যেইখানে গনহত্যারে এরা সাপোর্ট করতেছে। যেই প্রানী(অত্যন্ত সচেতনভাবেই আমি এগোরে মানুষ বলতেছি না) গনহত্যারে সাপোর্ট করে এগোরে তো ভাব ভালোবাসা দিয়া ঠিক করা যাইব না।
এরা গনহত্যা মানতে পারে কিন্তু গালি মানতে পারে না। আপনার এগোর ভন্ডামীর, অমানুষীর লেভেল তো বুঝতে হইব। এত ডলা দেওয়ার পরেও এরা পোস্ট থিকা যায় না কেন আপনি বুঝতে পারেন? কারন এরা মানুষ না। পরিস্কার জন্তু।
@সফিক,
এবং এই কাজটা যে করেতেছে সে সেই সমস্ত “অধিকাংশের” ধার না ধইরাই করতেছে। যারা বিরক্তি প্রকাশ করে আপনি যদি চেনেন তাইলে জানাইয়া দিয়েন পোস্টের লেখক ঐ সমস্ত পাতি ভদ্রলোকদের তার লেখায় আসতে নিষেধ করছে। কারন কলোনাইজড ভদ্রলোকিতে লেখকের যথেষ্ট আপত্তি আছে। এর বিকট দূর্গন্ধ থিকে বাচতে লেখকরে আক্ষরিক অর্থেই নাক ঢাকতে হয়।
পুরো লেখার এই অংশের সাথে কিছুতেই একমত হতে পারলাম না। কথায় কথায় মালালা-কে টেনে আনার উদাহরণ এখন প্রায় সর্বত্র। এতে মালালাকে যে অপমান করা হয়, তা যে কেন লোকজন বোঝেন না, তাইই বুঝি না। না এতে ফিলিস্তিন আন্দোলনের কোনো লাভ হয়, না মালালার সংগ্রামের প্রতি সুবিচার করা হয়।
মালালা এই সময়ের সবচেয়ে আশা জাগানিয়া একটি নাম, একটি বিপ্লব। তার তুলনা এভাবে হয় না, অন্তত এর সাথে না।
এছাড়া এবার বোধহয় সময় এসেছে ফিলিস্তিন আন্দোলন অন্যভাবে পরিচালিত করার। আবেগ বাদ দিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে দেখব হামাস সত্যিই তার জনগণের কথা খুব একটা চিন্তা করে না। মানবঢাল হিসাবেই সে তার জনগনকে ব্যবহার করে।
সামরিক কৌশল হিসাবেও এই পন্থাটি অতি ব্যবহ্রত ও এক্ষেত্রে প্রায় অকার্যকর।
হামাস এই অবস্থা থেকেও সুবিধা আদায় করতে পারত, যদি তার রকেট আক্রমন আরো তীব্র এবং কার্যকর হতো। আমার এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, সংগঠন হিসাবে সে এটা করতে অপারগ।
সবশেষে বলতে হয়, ৯/১১ যেমন আমেরিকাকে সারা পৃথিবীতে মোড়লই করার লাইসেন্স দিয়েছে। তেমনি প্যল্যাস্টাইন নামক রাষ্ট্র, একটি অতি সংবেদনশীল, অতি উগ্র জাতিগোষ্ঠীকে জেহাদী জোসে উন্মাদ করে তুলছে, তাও কয়েক হাজার বছর ধরে। তাই মুসলমান হিসাবে নয়, শুধু ফিলিস্তিনি হিসাবে পরিচালিত হতে পারলেই বিশ্বজনমত তাদের পক্ষে থাকবে। নয়তো, সারা পৃথিবী এমনিতেই ইসলাম ও তার অনুসারীদের উপর বিরক্ত, তাই ৬৪ বছর ধরে চলে আসা এই conflict [????], সকালের সংবাদপত্রের দুঃখজনক খবর হয়েই থাকবে।
আমি বুঝলাম না!!!!! কিছু কিছু মানুষ যেমন সব কিছুতেই অতি প্রাকৃতিক কিছু খুঁজে বেরায় তেমন কিছু কিছু মানুষ সব কিছুতেই অতি প্রাকৃতিক আলোচনা-সমালোচনা জোর করে নিয়ে আসে!!!!
এখানে অনেকে মূল আর্গুমেন্ট হতে বের হয়ে অতি প্রাকৃতিক আলোচনা শুরু করে দিয়েছে!!!! পক্ষে কিংবা বিপক্ষে!!!
অবস্তা দে খে মনে হয় আমাদের দেশের আলিম সমাজ ধরমকে মসজিদের ভিতর ভরে ফেলতে পারলেই নিজেদের
সফল ভাবেন ৷ অথচ মুসলিম হতে হলে সমাজ পরিবেশ ইসলাম সমমত হতে হবে এ ব্যপারে তারা কোন
চিন্তাও করেন বলে মনে হবে না , যেমন সুদ ঘুষের হারাম টাকায় আপনার নামাজ রোজা হজজ যাকাত
কিছুই কবুল হবে না তা সজোরে বলেন না
@নুরুজ্জামান১৯৬৩,
ভাই দেখেন, দুনিয়া আপনি যেইরকম সহজভাবে ইসলামের দৃষ্টিতে দেখতেছেন ঐ রকম সহজ ভাবে চলে না আসলে। এইটাতো অস্বীকার করার উপায় নাই যে ইসলামে অনেক চমৎকার কথা আছে যেইটা আছে অন্যান্য সমস্ত ধর্মেই। কারন প্রচলনের সময় ধর্মের মূল কাজ ছিল কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম নীতিমালার প্রবর্তন যেগুলো সমাজে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করত। কিন্তু সেই সময় মানুষ পার করে আসছে। মানুষের চিন্তাভাবনা আগাইছে সময়েরও আগে। যার জন্য ঐ সমস্ত নীতিমালা এখন মানুষের দরকার নাই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঐ নীতিমালা মানুষ মানতেও পারবে না। আপনি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ধর্ম পালন করতে চান, ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম। কিন্তু ঐটাকে আরেকজনের উপরে চাপায়ে দিয়েন না। কে ধর্ম পালন করল আর কে করল না এইটা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আরেকজনের উপরে ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের মতন হইয়া যায়।
আর সমস্ত কিছুতেই কেউ কোন কাজ ধর্মের মতন করল না এইটা ভাবা খুবই সীমাবদ্ধ চিন্তাভাবনা।
যাই হউক, অপ্রাসঙ্গিক কথা বললাম অনেক আপনার কথার সূত্রে। ফিলিস্তিন-ইজরায়েল সমস্যায় কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন।
CNN-র সময়রেখা এখানে দেখতে পারেন
@মনজুর মুরশেদ,
CNN-র সময়রেখা এখানে দেখতে পারেন
http://www.cnn.com/2012/11/20/world/timeline-gaza-israel-conflict/index.html?hpt=hp_t1
এখানে যারা ইসরায়েলের যুক্তির কথা বলছে তাদের একটু ইতিহাস নিয়ে ঘাটা ঘাঁটি করা উচিৎ…… বেশি দূর অতীতে যাবার প্রয়োজন নেই। ১৮০০-২০১২ পর্যন্ত দেখলেই চলবে। সবচাইতে বড় কথা এই ২০০ বছরের ব্যাপার স্যাপার পাথরে কিংবা পার্চমেন্টে লেখা নেই কিংবা ছবি/মুর্যাল আকারেও নেই। এই সময়টি একেবারে আধুনিক যুগ। সংবাদপত্র – ম্যাগাজিন কিংবা পুরোন বইয়ের আর্কাইভে গেলেই পাওয়া যাবে। খুব সহজেই জানা যাবে!
তবে এতুটুকু বলতে চাই ইতিহাস বড়ই কৌতুকর –
ইসরাইলিরা সবসময় ইতিহাসের (বলা ভালো প্রাগৌতিহাসের ) দোহাই দেয় তাইঃ
১. হিটলারের অনেক প্ল্যানের একটি ছিল পূর্ব ইউরোপের স্লাভিক অঞ্চলগুলোতে ক্রমবর্ধমান জার্মানদের জন্য নতুন বসতির ব্যবস্থা করা। হিটলারের পতনের কয়েক বছরের মধ্যই তারই হাতে এক সময় নির্যার্তিত বহিরাগত ইহুদিরা, স্থানীয় প্যালেস্টানিয় আরবদেরদের সরিয়ে এই জেরুজালেম এবং পার্শবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন শুরু করে ১৯৪৫ এর পর থেকে !
২. ইসরায়েল ইহুদিদের বর্তমানের সবচাইতে বড় শত্রু ইরান। এই ইরানিরাই এক সময় ইরানি সম্রাট সাইরাসের নেতৃত্বে ইহুদিদের তৎকালীন ব্যাবীলনীয় শাসকদের দের থেকে মুক্ত করে। (ইতিহাস)
৩.ইসরায়েলে বসবাসকারী ইহুদিরা, যাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ ১৯৪৫ সালের পর এই অঞ্চলে প্রবেশ করেছে তাদের দাবী, তাদের পূর্বপুরুষরা এখানে ২০০০ বছর আগে বসবাস করত!!! কিন্তু এই ২০০০ বছরের হিসেব দিতে তারা পারেননা। এর হিসেবেও তারা দিতে পারেননা তাদের পূর্ব পুরুষদের কয়জন ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে খৃস্টান কিংবা মুসলিম হয়েছে এবং অন্য অঞ্চলে মাইগ্রেট না করে এখানেই বসবাস করত!
৪.সেই অনুযায়ী মনে হয় পৃথিবীর সব মানুষেরই আফ্রিকার উপর এক বিশেষ অধিকার আছে! আজ পর্জন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে মানুষের আদি নিবাশ আফ্রিকা।
@সংবাদিকা,
বুঝলাম আপনার বক্তব্য । আমার বিশ্বাস আপনি একজন ধর্মপ্রান মুসলমান। নিশ্চয়ই তাহলে কোরানের বক্তব্যকে আল্লাহ প্রেরিত বানী বলে বিশ্বাস করেন। এখন দয়া করে আমাদেরকে নিচের আয়াতটির একটু ব্যখ্যা করে দিন-
তারপর আমি বনী ইসরাঈলকে বললামঃ এ দেশে তোমরা বসবাস কর। অতঃপর যখন পরকালের ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে, তখন তোমাদের কে জড়ো করে নিয়ে উপস্থিত হব। সূরা বনী ইসরাইল- ১৭:১০৪
এখানে বনী ইসরাইল কারা, আর আল্লাহ কোথায়ই বা তাদেরকে বসবাস করার অনুমতি দিচ্ছে। অত:পর এ অনুমতি দেয়ার পরে কখনো কি আল্লাহ তাদেরকে বলেছে যে এ যায়গায় আর বসবাস করতে পারবে না বা এ যায়গা আর তোমাদের নয় ?
@ভবঘুরে,
আপনারে ইসলামী শিট আমার পোস্টে ল্যাদাইতে মানা করছিলাম তারপরেও আপনার শিটের দূর্গন্ধে আমি পোস্টে ঢুকতেই পারতেছি না। ক্রমাগত ল্যাদাইয়াই যাইতেছেন। মেরুদন্ড নাই ঐটা আগেই জানতাম কিন্তু আলাদা কইরা উল্লেখ করার পরেও যে ঐটার একটা ডামি ভার্শনও দেখাইতে ব্যার্থ হইবেন তা ভাবি নাই।
আপনার সমস্ত ইসলামী পোস্টে, সমস্ত ইসলামী কথার মুখে আমি ছ্যাড় ছ্যাড় কইরা মু*ত্যা দেই।
যান, দূরে গিয়া মরেন।
আপনি কইরা ডাকার কোন কারন না থাকলেও ডাকলাম কারন অনেকেই বিব্রতবোধ করব। নইলে আপনারে তুই তুমির উপ্রে কিছু ভাবা যথেষ্টই কঠিন।
@সাইফুল ইসলাম,
মুক্ত মনার মুক্ত পরিবেশে উল্টা পাল্টা পোষ্ট ছাপিয়ে বাহবা নিয়ে যাবেন এটা তো হয় না। যা বলার আগের মন্তব্যে বলেছি যুক্তি থাকলে সেগুলো খন্ডন করুন, না পারলে কেটে পড়ুন।
ঠিক, কারন সেটাই আপনার লেভেল। প্রকাশ করে দিয়ে ভালই করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আসল চেহারা প্রকাশের জন্য।
বোকাচোদার মাতায় যদি কিছু থাকত। নিদেনপক্ষে লজ্জা শরমের কোন নাম নিশানা। আমার লেভেল যহন জাইন্যাই ফেলাইছ চাঁদু তহন আমার এইহানেই পইড়া আছো কেন? নিজের পোস্টে যাইয়া মুক্ত পরিবেশ পোন**ও না তাইলেই কাহিনী শেষ অইয়া যায়। ও, সাথে চাকল্যাদা রে লইয়া লইও।
@এডমিন
মুক্তমনা কি এখন গালাগালি আর ব্যক্তি আক্রমনের ফোরাম হয়ে গেল নাকি ? মনে হচ্ছে মুক্তমনাতে কিছু ভাইরাস ঢুকে পড়েছে। এ বিষয়ে এডমিনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@ভবঘুরে,
এডমিনকে ডাকছেন কেনো? যে অভিযোগ জানাচ্ছেন, সেই অভিযোগে নিজেওতো ফেঁসে যাবেন ভায়া। একটু আগেই না কোথাকার কোন পাবলিকের হুক্কা হুয়া রব শুনে আপনি আমাকে জামাত বললেন। এটাতো সেরা গালি আর ব্যক্তি আক্রমণ। ভাইরাসতো আপনাকেও ভালভাবেই ধরেছে দেখছি।
@ভবঘুরে,
ঘটনা সত্য, এইটা এখন গালাগালির ফোরাম। ভবঘুরের মতন ভদ্রলোক এইখানে মানায় না। সো, গেট ইউর পোদ আউটা হিয়ার।
@ভবঘুরে,
তবে কি করবেন? আপনিও কি এইরকম কান্নাকাটি শুরু করবেন অভিজিৎ দার সমীপে? 😉 আর তারপর মুক্ত মনা থেকে বের হয়ে যেতে চাইবেন?
ভাইরাস কিন্তু এমনি এমনি ঢোকে না, সে পরিবেশ গুলো সৃষ্টি না করলে। সমালোচনা যদি করতেই চান তবে সমালোচনা সহ্য করার মত সৎসাহস থাকতে হবে।
কিছু মনে করবেন না , একটা পরামর্শ দেই ( যদিও কাউকে পরামর্শ বা উপদেশ কোনটাই আমার দেয়া স্বভাব না ),উপর দিকে দয়া করে থুতু ফেলবেন না, এটা নিজের গায়েই চলে আসবে। 🙂
ভাল থাকবেন।
@ভবঘুরে, আপনি কি নিপাট নাস্তিক নাকি কেবল একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী তা আমার জানা নেই। আমি আমার মন্তব্য কোন ধর্মের কথা বলিনি, না কোন ধর্ম গ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি দিয়েছি। এখানে যা বলেছি, ইতিহাস বই পড়ে এবং বিভিন্ন আর্কাইভ থেকে যতটুকু জেনেছি তার মধ্যই বলেছি।
আপনি যা জানতে চেয়েছেন, ওটা সম্পর্কে আপনি বেশি আগ্রহী হলে এ সম্পর্কে কোন বিশেষজ্ঞ হতে জেনে নেওয়া কিংবা বিতর্ক করা কি শ্রেয় নয় ???? তার থেকেও আগে আপনি যদি থিওলজি-ডিভিনিটি (বিশেষত ইসলামিক) র সাথে সাথে জ্ঞানের আরেক জগত “ডেমোগ্রাফি” নিয়ে কিছু ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলে আরো ভালো হয়, বিশেষত এই সম্পর্কে।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
আপনার ঐসব তথাকথিত বিশেষজ্ঞরাই তো আমাদের মাথাটা খেয়েছে। তারা সব সময় নিজেদের মন গড়া তথ্য ও ব্যখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। তাই নিজেরাই এখন কিতাবগুলো খুলে পড়াশুনা করে বোঝার চেষ্টা করি। আপনিও নিজে একটু পড়ুন , তাহলে আসল সত্যটা জানতে পারবেন।
ইসরাইল, ইহুদি, মুসলিম সংঘর্ষ এগুলো আসলেই ধর্ম সেখানে আসতে বাধ্য। কান টানলে মাথা আসে। এটা জানেন না ? দুনিয়ায় এত যায়গা থাকতে ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা কেন মরতে মধ্যপ্রাচ্যের ঐ যায়গায় গিয়ে রাষ্ট্র গঠন করতে গেল? সেটা জানবেন না ? এত খবর রাখেন আর এই সামান্য খবরটুকু রাখবেন না এটা তো হয় না।
@ভবঘুরে,
সংবাদিকা তো হিটলার, সাইরাস, রাজনৈতিক মাইগ্রেশন আর আফ্রিকা অনুকল্প নিয়ে কথা বলেছে। আপনি এখানেও আয়াত মেরে দিলেন। কিসের মধ্যে কি আর পান্তা ভাতে ঘি! কোরানের ভারে নুয়ে গেলেন দেখছি। ছুটি ছাটা নেন ভায়া, গান টান শোনেন; নিদেন পক্ষে দু চারটা কবিতা পড়েন না হয় (I)
@কাজী রহমান,
ভাই দুনিয়া ব্যপী এই যে ইহুদিদের প্রতি মুসলমানদের একটা সহজাত ঘৃণা বা বিদ্বেষ , এর কারন আপনি কি মনে করেন ? এটা কি কোরানের আয়াতের কারনে নয় ? স্মরণ করুন ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা। অধিকাংশ আরব দেশ তখন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল যদিও যে যুদ্ধে মূলত: মুসলমানরাই মুসলমানদেরকে হত্যা করছিল। এর কারন কি , কোরান হাদিস নয় ? পাকিস্তান অত্যন্ত সার্থকভাবে আরব দেশগুলোর কাছে প্রমান করতে পেরেছিল যে – তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় আগ্রাসন ঘটেছে , তাদের পাল্লায় পড়ে বিরাট সংখ্যক মানুষ ইসলামের বিরোধীতা করে মুনাফেক হয়ে গেছে। ইসলামে মুনাফেকীর শাস্তি কি ? জানেন ? সেটা আছে কোরানের ৪:৮৯ আয়াতে- তাদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর। তাই প্রায় সকল আরব মুসলিম দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল তাদের গণ হত্যার কাজে। তা না হলে, পৃথিবীর কোন দেশের সুস্থ মানুষ অন্য কোন দেশের গনহত্যায় সাহায্য ও সমর্থন করে ? এই যে ইসরাইল ফিলিস্তিন সংঘর্ষ। এখানে যে সাধারন ফিলিস্তিনী মানুষ মারা যাচ্ছে , দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ তার বিরোধীতা করে। কিন্তু কাদের দোষে তারা মারা যাচ্ছে ? ইসরাইলের দোষে নাকি হামাসের অবিমৃশ্যকারিতার জন্য ? যখন আসল কারন বের করা হবে তখন দেখা যাবে , ইসরাইলকে যে ভাবে দোষী করা হয় তারা অতটা দোষী নয়। এখানে কেন ইসরাইলের সাধারণ মানুষ তেমন মারা যায় না ? কারন তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা। আর তারা সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহারও করে না। এদুটোর কোনটাই না করলে ইসরাইলেও শত শত মানুষ মারা যেত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে- ইসরাইলিরা যেখানে প্রতিটি মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করে , হামাস ফিলিস্তিনীদের জীবনকে অতটা মূল্যবান মনে করে না। কেন তারা সেটা করে না , কারন টা বুঝতে হবে। কারন তাদের কাছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুধুমাত্র তাদের ভূমি উদ্ধারই নয় এটা জিহাদী দায়ীত্বও বটে। যা তাদের শ্লোগান ও রাজনৈতিক মেনুফেষ্টোতেও দেখা যায়। এত সব কিছু বাদ দিয়ে খালি উপরে উপরে দেখে কোন কিছু বলা তো ঠিক নয়। কোন ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমনে শরীরের কোথাও ঘা হলে , খালি মলম দিলেই রোগ সারবে না, এন্টি বায়োটিক ওষুধও খেতে হবে। নইলে রোগ সারবে না।
@ভবঘুরে,
কি বলেন, এন্টি বায়োটিক! ওটা তো ভালো মন্দ কিছুই বিচার করে না, সবটাকেই অন্ধ ভাবে মারে। এইটা কেমন প্রেসক্রিপশন?
আপনি তো আমাকে বিভ্রান্ত করে দিচ্ছেন। ইস্রায়েলী ইহুদি তো তাদের পবিত্র তাওরাত পড়ে বিশ্বাস করে, “যে মাবুদের নাম লইয়া কুফরি করিবে তাহাকে হত্যা করিতেই হইবে। ইস্রায়েলীই হোক বা তাহাদের মধ্যে বসবাসকারী অন্য জাতির লোকই হোক, তাহাকে হত্যা করিতেই হইবে” ( Leviticus 24:16)।
একটা বা দুটা ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করলে অসুখ সেরে যাবে? এর চেয়ে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখাটা কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?
@কাজী রহমান,
মানুষ= ব্যাকটেরিয়া 😛
@কাজী রহমান,
আমার মানি হয় কি জানেন? ভবঘুরে নিজেই ওই আয়াতগুলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন আর তাই বার বার আয়াত মেরে আর অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেই নিজেকে সান্তনা দিচ্ছেন এই বলে যে আসলে তো তাঁর এই আয়াত গুলো বিশ্বাস করার কথা না উনি বিশ্বাস করেন না।ওইযে বাচ্চাকালে মাস্টারবেশন করার পর যেমন ছোট খাট বালকদের মধ্যে এক ধরনের পাপবোধ জন্ম হয় আর অনুশোচনা আসে ভবঘুরে সাহেবেরও তেমনি হচ্ছে। মানে উনি নিজেই হয়ত নিজেকেই জোর করে বিশ্বাস করাতে চাইছেন যে উনি নাস্তি আর মুক্ত মনের অধিকারী। তাই মনে হয় এই অবস্থা। 😉
@ভবঘুরে,
আপনার মাছের তেলে মাছ ভাজার দুর্বল চেষ্টা দেখে হাসি পাচ্ছে :))
উপরে এই আয়াত প্রসঙ্গে বলেছি, দয়া করে দেখে নিন।
প্রীয় পাঠক বর্গ,
আজ সকাল ৭:৩০ এর বিবিসি বাংলার সংবাদটা শুনে দেখুন এখানে।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সকালেই শিয়া মুসলমানদের একটি পবিত্র ধর্মীয় শোভাযাত্রায় এর বিপক্ষীয় মুসলমান পক্ষ হতে আত্মঘাতি বোম্ব আক্রমনের দ্বারা নিস্পাপী শিশু সহ ১০ জনকে তাৎক্ষনিক জায়গায় নিহত করেছে,এবং অসংখ্য আহত হয়েছে।
মসজিদের দেওয়াল ও বোমায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
তবে কেন মুসলমানদের একটি দল আর একটি দলকে বিনা উস্কানীতে,বিনা কারনে অন্য আর একটি দলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বুকে বোম্ব বেধে নিজের মৃত্যুকে নিশ্চিত করে আক্রমন করে হত্যা করতে যায়?
এমনকি নিরপরাধ শিশুরাও রক্ষা পায়না।
এদের পরস্পরের মধ্যে তো আর ইসরাঈল-প্যালেষ্টাইনের মত তো জায়গা লয়েও শত্রুতা নাই।
এবং এরা উভয়েই সঠিক মুসলমান হওয়ার দাবীদার। এবং আক্রান্ত পক্ষ এদেরকে আক্রমন ও করতে আসেনাই যে বলবে আমরা এটা আত্মরক্ষার জন্য করেছি।
তারা নিতান্ত শান্ত শিষ্ঠ ও ভদ্রভাবে শিশু সহ ধর্মীয় শোভাযাত্রা করতেছিল মাত্র।
এটাই তাদের একমাত্র অপরাধ?
তবে এর পরেও কেন এরা নিজেদেরকে বোমায় উড়িয়ে দিয়ে এই অপর পক্ষীয় মুসলমানদের হত্যা করিল?
কেহ কি এর একটু ব্যাখ্যা দিবেন?
এর একটি মাত্রই কারণ, এই আক্রমন কারীরা মনে করে একমাত্র তারাই এই পৃথিবীতে কোরান ও হাদিছ অনুসারে সঠিক ধর্মীয় পথে আছে।
এবং অন্য সমস্ত ধর্ম ও দলই বিপথে আছে এবং তাহারা আল্লাহ ও নবীর শত্রু।
আর আল্লাহর শত্রদের কে কোরান হাদিছে অসংখ্য জয়গায় এই পৃথিবী হতে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জোরাল নির্দেশ রয়েছে।
এবং কোরান হাদিছে স্বচ্ছ ওয়দাও করা হয়েছে যারা তাদের মারতে গিয়ে নিহত হবে তারা “শহীদ” হইবে এবং সগে সংগে বেহেশতে যাইতে পারিবে।
এমন কোনো তরুন কি আছে যে এমন তাৎক্ষনিক লাভের কথা সামলাতে পারবে?
তাই তারা মা-বাপের কোল শূন্য করে নিজেদের বোমায় উড়িয়ে দিয়ে বিপক্ষীয় মতলম্বীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পথে অগ্রসর হয়।
এই সমস্ত তরুনেরা মূলতঃ এহেন জঘন্য অপরাধের কাজ করে যে জাহান্নামের পাওনাদার হয়ে যায় এই তথ্যটা তাদের কেউই কখনো দেয়না।
তাহলে কোরান হাদিছের এহেন অসংখ্য নির্মম বানীর মধ্য হতে খুব ক্ষুদ্র একটা বানী নীচে লক্ষ করুন-
ধন্যবাদ
আনন্দবাজার থেকে
গত দুই বছরে পশ্চিম এশিয়ায় পুরোনো স্বৈরতন্ত্রী শাসকরা সরে গিয়ে যে নতুন জননেতা শাসকরা এসেছেন, তাঁরা সকলেই অনেক বেশি রক্ষণশীল, ইসলাম-পন্থী, এমনকী মৌলবাদ-প্রভাবিত। সকলেই প্যালেস্তাইনের জন্য জান লড়াতে প্রস্তুত। নতুন টিউনিসিয়ার সাফ কথা, তারা প্যালেস্তাইনের সঙ্গে রয়েছে, রইবে। লিবিয়াও তা-ই। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। যে মিশর আগে মধ্যস্থের ভূমিকা পালন করত, জঙ্গি ইসলামকে ঠেকাত, হামাস-এর সঙ্গে লেনাদেনা করত না, সেই মিশর এখন হামাসেরই পিতৃ-সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের শাসনে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যে হঠাৎই ধেয়ে এল জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের রকেট-ঝাঁক, শুরু হল একপক্ষীয় হানা, এবং ইজরায়েল যে পরের দিনই বহুগুণ বেশি সামর্থ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল, অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন রকেটে ছারখার করতে শুরু করল গাজা এই সব কিছুর পিছনেই আরব বসন্তের রক্তিম মঞ্চ উদ্ভাসিত। উগ্রবাদী প্যালেস্তিনীয়রা জানে, তারা সমর্থন-সমৃদ্ধ, ইজরায়েলই একঘরে। আরব দুনিয়ার পুনরুজ্জীবনের জ্বালানিতেই জ্বলছে তাদের এ বারের আত্মপরঘাতী বহ্নি। ইজরায়েলের সঙ্গে কোনও মতেই সামরিক শক্তিতে পাল্লা দিতে পারবে না জেনেও হামাসের এই অবিমৃশ্যকারিতার লক্ষ্য, ইজরায়েলের বেদম স্পর্ধা এবং প্যালেস্তাইনের নতুন সমর্থনের দিকে বিশ্বদুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ। ক’দিন আগেই গাজায় এসেছিলেন কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান। সংঘর্ষ শুরু হতেই মিশরের প্রধানমন্ত্রীর পরে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীও সত্বর চলে এসেছেন গাজায়, প্যালেস্তিনীয় মৃতদেহ নিয়ে তাঁরও ছবি দেখা গিয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীও আসছেন। (মনে রাখতে হবে তুরস্ক কিন্তু ‘নেটো’রও সদস্য!) হামাসের অভ্যন্তরেও আরব বসন্তের প্রভাবে রদবদল শুরু হয়েছে, রক্ষণশীলদের সরিয়ে উঠে আসছে জঙ্গি-তর উপগোষ্ঠীগুলি, সালাফি এবং জিহাদিরা। সিনাই অঞ্চল পেরিয়ে মিশর থেকে গাজায় ঢুকছে সালাফিরা, মিশরের নতুন জমানায় তারা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিধর, অস্ত্রধর। বাইরে থেকে যেমনই দেখাক, ভেতরে ভেতরে হামাসও আসলে নানা দ্বন্দ্বে দীর্ণ, তার মধ্যেও চুক্তিবাদী ও জিহাদিদের তিক্ত বিভাজন। কখনও কখনও কট্টরতর অংশের কাছে আত্মসমর্পণ করেই সাংগঠনিক স্থিতি বজায় রাখে হামাস। তেমনই এক মুহূর্ত এখন। অর্থাৎ, এখানেও সেই আরব বসন্তেরই ছায়া। সেই ছায়াই জমাট বেঁধে আগুনের ফুলকি হয়ে গিয়েছে।
মুক্ত মনার যে সকল সদস্য যারা ইসরাইল বা ফিলিস্তাইন এর অতীত ইতিহাস নিযা গবেসনায মত্ত তাদের জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আপনাদের কি মনে হয কোন অজুহাতই এই যুদ্ধকে ।জায়েজ করার জন্য যথেষ্ট`?অথবা ঘ্রিনা দিয়ে কি গড়া যায় সুন্দর ভবিষ্য।রক্তাক্ত শিশুর মৃতদেহ জায়েজ হয় কোন জুক্তিতে।তাহলে পৃথিবীতে তারাই কি সন্মানিত যারা বিজয়ী। আমি একজন সামান্য বুদ্ধির মানুষ তাই আপনাদের মতামতটা জানতে আগ্রহি।
@রতন কুমার সাহা রায়,
না ভাই। আমি অন্তত মনে করি না এই যুদ্ধ যৌক্তিক। আমি খুবই সামান্য, খুবই অল্প সময়ের একটা ঘটনাক্রম এইখানে দেখাইলাম। ইজরায়েল ফিলিস্তিনির উপরে যা করছে এবং যা করতেছে এইটা দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই সমর্থন করে না। এইখানে কয়েকটা ফ্যানাটিক মুসলমান বিদ্বেষী দেখে আপনি মনে কইরেন না যে দুনিয়া এই সমস্ত কাঠবলদদের দিয়া ভইরা গেছে। কাঠবলদরা দুনিয়ার আদি হইতে এখন পর্যন্ত হইয়া শেষ পর্যন্ত থাকব।
@সাইফুল ইসলাম,
কয়েকটা না, বেশ ভালো সংখ্যাতেই আছে। এগুলোর এক অংশ হচ্ছে অন্য ধর্মসমূহে গভীরভাবে বিশ্বাসী (কেউ গোঁড়া হিন্দু, কেউ বা গোঁড়া বৌদ্ধ, কেউ বা গোঁড়া খ্রিস্টান), স্বনামে বা বেনামে এসে ইসলাম আর মুসলমানদের পিটিয়ে যায়। আরেক অংশ আছে ইসলামের অনুসারী। এদের কেউ সমাজে আলখেল্লা, টুপি পরা দাঁড়িওয়ালা হুজুর সেজে থেকে ইসলাম বেচে খায়, কেউ কেউ নিয়মিত মসজিদে গিয়ে কোরান হাদিস নিয়ে আলোচনা করে, আর রাতের বেলায় ছদ্মনাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে তলোয়ার নিয়ে লড়াইয়ে নামে। মুক্তমনার ধর্মবিরোধী অবস্থানটাকে এরা সুকৌশলে নিজেদের আক্রোশ, ঘৃণা, ক্ষোভ আর প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে। এরা কেউ-ই নাস্তিক না। একজন প্রকৃত নাস্তিকের কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি ঘৃণা আসার কথা নয় বা পুরোপুরি একপেশে অবস্থান নেওয়া সম্ভবপর নয়।
আচ্ছা, চাকলাদার নামের ভবঘুরের এই একনিষ্ঠ চামচাটার স্থূল মন্তব্যগুলো মুক্তমনায় প্রকাশ করে কে? মডারেটররা কি মন্তব্যের মান যাচাই করা ছেড়ে দিয়েছেন নাকি? এই লোকের মন্তব্য দেখার পরে মুক্তমনায় আর মন্তব্য করতে ইচ্ছা করে না।
পনস পাতা চিবানো মহাত্মার দুগ্ধমাতা শুধু ইসলামিস্টরাই হয় না, ইসলাম বিদ্বেষীরাও হয়।
@ফরিদ আহমেদ,
(Y)
@ফরিদ আহমেদ,
হা হা হা , অবশেষে একটা মন্তব্য করলেন যা কিনা সবচাইতে স্থূল হয়ে গেল, তাই নয় কি ? আপনার মত উচ্চ মনের মানুষের কাছ থেকে এটা সত্যিই আশা করিনি।
@ভবঘুরে,
যাক, স্থূল মন্তব্য কাকে বলে সেটা বুঝতে শিখেছেন এতদিনে। গুড, ভেরি গুড। আশা করছি যে, আপনার চামচা চাকলাদারের মন্তব্যগুলোও এখন থেকে স্থূল হয়েই ধরা দেবে আপনার চোখে।
কোনো স্থূলরুচির মানুষের চটকানা প্রাপ্য হলে আমি তাকে চটকানাই দেই। চটকানা মারাটা স্থূল না অস্থূল, সেটা যাচাই বাছাই করি না।
@ফরিদ আহমেদ,
যেহেতু আপনি সবচাইতে বড় একটা স্থূল মন্তব্য করেছেন ও করে যাচ্ছেন ,তাহলে চটকনাটা কি এখন আপনার মুখে মারছেন ?? তবে মুসকিল যেটা , সেটা হলো আমরা আমাদের কোন মন্তব্যই অযৌক্তিক দেই না । সেকারনে আমাদের মন্তব্যটা খন্ডন করাও কঠিন। এখন সেটা যদি আপনার কাছে স্থূল হয়ে ধরা পড়ে , তাহলে তো ভাই আপনার ক্লাশ নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। মানে এতদিন যেমন উচু দরের মানুষ মনে করতাম সেটা হয়ত ভূল ছিল, কি বলেন ? কারন দেখা যাচ্ছে যেচে পড়ে ঝগড়াই করতে চাইছেন আর বলা বাহুল্য , এ ধরনের মানুষ কোন ক্লাশে পড়ে তা আর বুঝতে আপনার কষ্ট হওয়ার কথা নয়। কি বলেন ?
@ভবঘুরে,
হাহাহা।আপনি পৃথিবীটাকে দেখেন এক চোখ বন্ধ করে। কাজেই আমার মন্তব্যের একটা অংশ ধরা পড়বে আপনার চোখে, সেটাই স্বাভাবিক। আর সেই অংশবিশেষ দেখা অংশ দিয়ে আমাকে ঘায়েল করতে চাইছেন। চটকানা কার মুখে পড়ছে, দুই চোখ খোলা থাকলে ঠিকই দেখতে পেতেন আপনি। এখন আবার বলেন না যে, দেখতে পাচ্ছি আপনার মুখে। এগুলো স্থূল কৌশল।
উরে বাপস!! গ্রেট ডিবেটরস!!! নিজে নিজে হাতি ঘোড়া মেরে চলেছেন। আপনার সাথে বহুবার আমি নিজেই ডিবেট করেছি। সবগুলোতেই তাহলে আপনি জয়ী ছিলেন? কামেল লোক আপনি।
শোনেন, আপনি আমাকে কী মনে করতেন, সেটা অনুমান করতে পারি আমি। আপনাদের এই প্রবল ইসলাম বিদ্বেষী অংশটার চোখে আমি কী, সেটা জানি আমি। খামোখা আমাকে উঁচু দরের মানুষ বলে মনে করতেন, এইসব ভণ্ডামি করে লাভ নেই। আপনার সম্পর্কে আমার ধারণাটাও স্পষ্ট করে দেই এই সুযোগে। আমি আপনাকে নাস্তিক বলে মনে করি না, বরং একজন ছদ্মবেশী হিন্দুত্ববাদী বলেই সন্দেহ করি।
@ফরিদ আহমেদ,
ভাল বলেছেন। আপনি আপনার মন্তব্য করেছেন। এবার আমি পাল্টা মন্তব্য টা করি। যেভাবে অকারনে আপনি মানুষের নাম ধরে উল্টা পাল্টা উদ্দেশ্যপূর্ণ মন্তব্য করছেন এবং অতীতেও করেছিলেন তাতে মনে হচ্ছে- আপনি মুক্তমনার পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছেন। মুক্তমনা সাইটটি যদি আপনার ব্যক্তিগত হয়ে থাকে সেটা আপনি করতে পারেন। আমাদের বলার কিছু নেই। তবে এখন মনে হচ্ছে কিছুকাল আগে আপনার সম্পর্কে একটা রব উঠেছিল আপনি হলেন জামাত শিবিরের গোপন লোক। তখন বিষয়টাকে আমল দেই নি। এখন কিন্তু সেটাকে আমল দেয়ার যথেষ্ট কারন ঘটে গেল। তবে আপনার আদর্শ কি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আপনার স্বাধীনতা, কিন্তু কোন কারন ছাড়াই নাম ধরে ধরে বাজে মন্তব্য করার আসল উদ্দেশ্যটা কি একটু খোলাসা করা যাবে ? যতদুর দেখেছি, আপনার নাম ধরে উদ্দেশ্যমূলক বাজে মন্তব্য করতে ইতোপূর্বে কাউকে দেখিনি। তাহলে আপনি এটা করছেন কেন ? আপনার আসল উদ্দেশ্যটা কি , একটু ঝেড়ে কাসুন ।
@ভবঘুরে,
আমি পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছি কি না, সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। মুক্তমনায় এক গাদা মডারেটর আছে। তাঁদের ভাবতে দিন।
মুক্তমনা সাইট আমার না। আমি একসময় এর মডারেশনের সাথে যুক্ত ছিলাম। এখন নেই। আপনি এখানে যা, আমিও তাই। মডারেটরদের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পাবার আশংকা মাথায় রেখেই আমাকে গান্ধীর দুগ্ধমাতাদের পিটুনি দিতে হয়।
রব উঠে নাই। এক লণ্ডনি হুজুর আমার পিটুনি সহ্য করতে না পেরে তার এক পেয়ারের লোকের রেফারেন্স দিয়ে এই মুক্তমনাতেই পোস্ট করেছিল সেটা। তবে, খামোকাই হুজুর সাহেব এই কাজ করেছিলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেই আমি সত্যটা বলে দিতাম। জ্বী, আমি জামাতের লোক। তো হইছেটা কী? এতে করে আপনার চামচা ওই চাকলাদারকে পিটানো যাবে না মনে করেছেন? আলবত যাবে। ও ব্যাটা নিজেইতো মুসলমান। নিয়মিত মসজিদে যায়। তার নিজের উচিত বোমা ফাটিয়ে আত্মহত্যা করা। তার আগে নিজের বাবা-মা, বউ বাচ্চা, আত্মীয় স্বজন সবাইকে বোমা মেরে মেরে ফেলা। তাহলে সকলে মিলে দ্রুত বেহেশতে যেতে পারবে।
আমার নামে বহুবার পোস্ট দেওয়া হয়েছে। বহু লোকেই গালি দিয়েছে আমাকে। তখন মডারেটর ছিলাম বলে হাত পা বাধা ছিল আমার। নৈতিকভাবে আটকে ছিলাম। এর জন্য উত্তর দিতে পারি নাই কোনো। আকাশ মালিক যখন আমাকে জামাতি বলে পোস্ট দিয়েছিল, তখনও সেই একই সমস্যা ছিল। ফলে, নীরব থাকতে হয়েছিল। এখন আর পথের কোনো বাধা নেই। আপনাদের মত একচোখা লোকজন এবং সেই সাথে পনস পাতা খাওয়া দুগ্ধমাতাদের আর ছাড় দেব না বলেই পণ করেছি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
মনে হয় লন্ডনী হুজুর আর চাক্লাদারের DNA ১০০% ম্যাচ হইব। স্যাম্পল পাইলে পাঠায়া দিয়েন, কইয়া দিমুনে :))
স্যাম্পল পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। দুজনেই অদৃশ্য মানব। ধার্মিকদের ভীড়ে লুকিয়ে থেকে প্রবল গোপনীয়তা বজায় রেখে মিশন চালান তাঁরা। এতই গোপন যে, তাঁদের স্ত্রীরাও তাঁদের পরিচয় জানেন না। ভরসা শুধু বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর দুর্ধর্ষ এজেন্ট সংশপ্তক। একমাত্র তিনিই পারবেন গোপনীয়তার এই ব্যুহ ভেঙে স্যাম্পল জোগাড় করতে। সাথে অবশ্য রূপা বা সোহানা কাউকে লাগবে তাঁর লজিস্টিক সাপোর্ট যোগানোর জন্য। 🙂
@ভবঘুরে,
:lotpot: হাহাহা ভবঘুরে হাসতে হাসতে আমার পেট ফেটে যাচ্ছে, আর সেই সাথে আমার কাছে আরেকটা জিনিস পরিষ্কার হচ্ছে।আমার যতদুর মনে হয় ফরিদ আহমেদ এই ব্লগের অ্যাডমিন প্যানেলের একজন( ভুল হলে যে কেউ সংশোধন করে দেবেন),তা সত্যিই কি উনার সম্পর্কে জামাত গুজব উঠেছিল? নাকি এটাও আপনার উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা?যাই হোক যদি উনার সম্পর্কে কেউ জামাত গুজব তুলেই থাকে তবে আমার মনে হয় যে সে আসলে আপনার মতই আরেকটা বাচাল।
যাই হোক ব্যপারটা যেহেতু জানি না কারন মাঝে মাঝে আগে এই ব্লগ ব্রাউজ করতাম কাজেই কোন মন্তব্য করব না।তবে আপনার কথার পিঠে আরেকটি মন্তব্য করব আর তা হল, এখন তাহলে আপনি আগের তথাকথিত গুজব ( যেটা নাকি উঠেছিল) আগে আমল দেন নি তবে এখন আম দেবার যথেষ্ট কারণ কেন ঘটল? বিখ্যাত নাস্তিক নবী ভবঘুরে আর তার সাহাবী ( ওমরের বিকল্প) চাকলাদারের সমালোচনা করার মহা পাপে? :hahahee: ।
ওপরে আপনি ফরিদ সাহেবের ক্লাশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এখন তো আমার নিজেরই চিন্তা হচ্ছে যে আপনার নিজেরই আদৌ কোন ক্লাস আছে কিনা!!যাক প্রলাপে মন্তব্য করা অর্থিহীন মনে হচ্ছে আমার কাছে।নষ্ট করার মত সময় আমার হাতে খুব কম আছে। ভাল থাকবেন।
@ফরিদ আহমেদ, ব্যাপার কি ভাই ভবঘুরে আপনার মাঝে জামাত দেখছে কেন?কোন পোষ্টে আপনার কমেন্টের বিপরীতে আপনাকে এই অপবাদ সহ্য করতে হয়েছিল জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। নিশ্চয়ই তারই
( ভবঘুরের) মত কোন মৌলবাদী নাস্তিকের একপেশে লেখার সমালোচনা করেছিলেন সেটাই কি কারণ? সেটাই কারন হলে তো আমরা সবাই জামাত আর রাজাকার ( আমি সহ :rotfl: )।
@অর্ফিউস,
ভাই , ফরিদ আহমদ নিজেই তার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন , পড়ে দেখুন। ফালতু কথা বলা আমার অভ্যাস নয়।
@অর্ফিউস,
অপবাদ বলছেন কেন? এতো আমার পুরস্কার। সারাদিন নামাজ রোজা করে বেড়ানো এক হুজুর, যিনি গভীর রাতে সবার অগোচরে লুকিয়ে লুকিয়ে মুক্তমনা সাজেন, তিনি আমাকে আদর করে জামাত বলেছিলেন। শেষ চিঠি নামের এক না শেষ চিঠি লিখে কান্নাকাটি করেছিলেন। এটা পড়লেই বুঝতে পারবেন কীভাবে উদঘাটিত হয়েছিল আমার জামাতি পরিচয়।
@অর্ফিউস,
আসল কমেন্টটা ছিল এই লেখায়। আপনাকে এটার লিংক দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। এই লেখার এক মন্তব্য থেকেই দুনিয়া কাঁপানো এক সত্য বের হয়ে আসে। জানা যায় যে মুক্তমনার মডারেটর ফরিদ আহমেদ আসলে জামাতের লোক এবং তাঁর মুহাম্মদানুভুতিও প্রখর।
@ফরিদ আহমেদ,
মানে আমি বলতে চেয়েছি যে ওটা আপনি কি এখন ব্যবহার করেন?করলে মেইল দিতে পারতাম একটা।
@ অর্ফিউস,
হ্যাঁ, ওটাই আমার ইমেইল এড্রেস।
@ফরিদ আহমেদ,
ভাই আপনাকে একটা ইমেইল দিয়েছি।সময় করে একটু দেখে নিয়েন।
@ভবঘুরে,
আমাদের বলতে কি আপনার আর চাকলাদারের কথা বোঝাচ্ছেন?সেক্ষেত্রে আপনারা দুজন শুধু যে অযৌক্তিক মন্তব্য দেন তাই নয়, বরং অন্যদের ব্লগে আপনাদের করা বেশিরভাগ মন্তব্যই ( আমি যতগুলো পড়েছি) অপ্রাসঙ্গিক আর ক্ষেত্র বিশেষে অমানবিক।
যেমন অনেকদিন আগে একবার মুক্ত মনা ওপেন করে আপনার একটা লেখা দেখেছিলাম আর সেটি ছিল লঞ্চ ডুবি নিয়ে। খুবই বিস্ময়কর যে ওখানেও আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ইসলাম কে ব্যাশ করছিলেন,কিন্তু সেটা বড় কথা না, আপনার ব্যাশ করার দরকার করবেন, কিন্তু মৃত মানুষদের নিয়ে এমন অমানবিক রসিকতা করার অধিকার আপনাকে কে দিল জানতে পারি কি? ।
নিজের লেখাটার একটু অংশ আবার পড়েনতো
পড়ে দেখুন ওগুলো আপনারই লেখা আমি শুধু কপি পেস্ট করে দিয়েছি।আপনার মধ্য যদি সামান্যতম মানবতা থাকত আপনি এইসব কথাগুলি লিখতে পারতেন না।
আর যদি সামান্য অন্য চিন্তা করার ক্ষমতা থাকতো মুসলিম বিদ্বেষ ছাড়া,তবে এটা বুঝতেন যে ওই লঞ্চ ডুবিতে যারা মারা গেছে তাদের ভিতরে অমুসলিমও থাকতে পারে, এবং থাকাটাই স্বাভাবিক। তাদের তো বেহেশতে যাবার কথা না তাই না? তাহলে তাদের জন্যেও কি কোন সহানুভূতি জাগে না আপনার? আর যদি তাদের জন্যে আপনার সহানুভুতি থেকে থাকে, তবে বাকিদের প্রতি এই বিদ্রুপ কেন? শুধি কি তারা মুসলিম বলে?আচ্ছা আপনার মুসলিম বাবা মা ( ধরেই নিচ্ছি আপনি মুসলিম পরিবারের সন্তান), ভাই বোন কেউ যদি ওভাবে মারা যেতেন তবু কি এইভাবে বলতে পারতেন?
সন্ত্রাসী নাফিস কে নিয়েও আপনার লেখা দেখলাম। যেই লাউ সেই কদু। পুরোটাই বিষয়বস্তুহীন ।ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা যে, ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটা ঠিকই আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর আপনার “মুহাম্মদ ও ইসলাম” নামের মহাভারত, যেটিকে আপনি টেনে টেনে হিন্দি সিরিয়ালের মত লম্বা করে চলেছেন সেটার শুরুটা ভালই ছিল।( যদিও খুব কম আসতাম এখানে আর মন্তব্য করি নি কখনো কারো লেখাতে)কিন্তু পরের পর্বগুলিতে আপনি অনেক কিছুরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, কৌশলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, আর সেই সাথে একই কথার পুনরাবৃত্তি। লেখার কি বিষয় বস্তু পান না যে বার বার একই জিনিস কায়দা কৌশলে প্যাঁচাতে হয়?লেখাটাই কি বড় আপনার কাছে?যেনে রাখবেন মানসম্মত একটা লেখাই বস্তা পচা ১০০টা লেখার চেয়ে অনেক সুখপাঠ্য।
এই লেখাটিতেও( সাইফুল ইসলামের) যেভাবে সেই ইসলামের পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটছেন এটাও অপ্রাসঙ্গিকই শুধু না,ভীষণ রকম অমানবিকও বটে। মানুষের মৃত্যু নিয়ে যেখানে কথা বার্তা হচ্ছে সেখানে আপনারা কিভাবে রসিকতা করতে পারেন? ইসরায়েল , ফিলিস্তীনের পক্ষে বিপক্ষে মানুষের স্ট্যান্ড থাকতেই পারে তাই বলে মানুষের মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা মস্করা করার মতন অমানবিক কাজকার করাটা কতখানি কুরুচিপুর্ন সেই ধারণাও আপনাদের নেই।
সাধারণত কোন মানুষের প্রেমিকা বা বউ যদি চিট করে অন্য কারো হাত ধরে বের হয়ে যায় আর সেই লোকটি আবিষ্কার করে যে, যে বাচ্চাটিকে সে নিজের বলে ভাবত, সেটিও আসলে তার নিজের নয় বরং বউ/প্রেমিকা যার হাত ধরে পালিয়েছে তার বাচ্চা তবে লোকটির ( যার বউ পালিয়েছে) যে ভয়াবহ ধরণের অসুস্থ আক্রোশ জন্ম নেয় সেই পুরাতন প্রেমিকা/বউয়ের প্রতি(স্বাভাবিক, কেউ যদি দেখে যে শুরুথেকে এযাবৎ সে এরকম করুণ ভাবে প্রতারিত হয়েছে তার এমন আক্রোশ থাকবেই) ইসলাম, মুহাম্মদের আর মুসলিমদের প্রতি আপনার আক্রোশটা একেবারে সেইরকম।আর এটা দিনে দিনে জিঘাংসার পর্যায়ে চলে গেছে।
আর আপনার ভাবশিষ্য চাকলাদাররে কথা আর কিছু বললাম না,তবে যারা পর্যবেক্ষন করেছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন সব কিছু।শুধু একটা উদাহরণ দেই, ছোট বেলাতে মোসাহেব বা সম্ভবত এই জাতীয় নামের একটা ছড়া পড়েছিলাম।যে রাজা যদি বলেন যে আজকের দিনটা খুব খারাপ, সাথে সাথে তার চেলা বলছে , হা হুজুর আজকের দিনের মত কুৎসিত দিন আর হতেই পারেনা। একটু পরেই রাজা আবার বলছে যে নাহ আজকের দিনটা খুবি ভাল, চেলা আবার বলছে আহা হুজুর আজকের মত এমন সুন্দর দিন আমার জীবনে আর আসেনি।
দেখা যাচ্ছে যে আপনি যদি বলেন যে সুর্য আজ পশ্চিম দিক থেকে উঠেছে, চাকলাদারও সেটাকে বিনা দ্বিধায় স্বীকার করে নেবেন।
মনে রাখবেন সব কিছুতেই বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে,কোন কিছুর সমালোচনা করা, আর মানসিক প্রতিবন্ধীর মত আচরন করা এক জিনিস না।
@ভবঘুরে
আপনাদের লেখা পড়লে মনে হয় ইসলাম নিয়ে আপনারা একেবারেই অবসেসড হয়ে গেছেন। আপনাদের লক্ষ্য একটাই, যেকোন মূল্যে ইসলাম/মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াতে হবে। উপরে অর্ফিউসের মন্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে বলতে হচ্ছে আপনি ও আপনার সাইডকিক চাক্লাদার এই আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যে নিহতদের সম্পর্কে যে মন্তব্য গুলো করছেন তা শুধু অপ্রাসঙ্গিকই নয় অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অমানবিক। কিন্তু আপনারা তা বুঝতে পারছেন না বা বুঝতে চাইছেন না।
মানছি আপনারা কোরান-হাদীসের মত অসার, কখনো দুর্বোধ্য, মধ্যযুগীয় কিতাব পড়ে তার ভুলত্রূটি বের করে চলেছেন। কিন্তু মুক্তমনার বেশীরভাগ লেখক-পাঠক যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন তাদের কাছে বিষয়টি এখন বিরক্তিকর ভাঙ্গা রেকর্ডের মত হয়ে যাচ্ছে। এজন্য নয় যে সবাই হটাৎ করে ইসলাম ধর্মের প্রতি সদয় হয়ে পড়েছেন বরং আপনাদের আলোচনার মধ্যে আর নতুন কিছু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আপনাদের এই আলোচনাগুলোয় সচরাচর কোন বাস্তব সমাধানের দিকনির্দেশনা থাকে না তাই এগুলো গঠনমূলক সমালোচনাও হয়ে ওঠে না।
প্রশ্ন থাকে এই লেখাগুলোর উদ্দেশ্য কি, কাদের জন্য আপনারা লিখছেন? নিশ্চই শুধু একে অপরের পিঠ চাপড়ানোর জন্য নয়। ধরা যাক, আপনারা লিখছেন বাংলাভাষী ধর্মপ্রান মুসলিমদের জন্য যাতে করে তারা ধর্ম ছেড়ে বেরিয়ে আসে। যদি উদ্দেশ্য তাই হয়, তাহলে বলতে হচ্ছে আপনারা তাদের কাছে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তার উপর আপনাদের লেখার ধরন মোটামুটিভাবে একপেশে এবং বিদ্রুপাত্নক হওয়ায় ধর্মপ্রান মুসলিম পাঠকরা আপনাদের লেখা এড়িয়ে যেতে পারে।
আপনাদের লেখায়/মন্তব্যে স্বাভাবিক মানবিকতার অভাব খুবই দৃষ্টিকটু যা আপনাদের আসল পরিচয় ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ জাগায়।
@মনজুর মুরশেদ ও অর্ফিউস
আপনাদের আবেগটা বুঝি। কিন্তু আপনাদের বুঝতে হবে বিষয়গুলোকে আমি যেভাবে ব্যখ্যা করি তাতে কোন ত্রুটি আছে কি না । ইসলাম কি সত্যি সত্যি মানবিক ? ইসলাম বস্তুত মানুষকে রোবটে পরিণত করে। এরপর একজন মোমিন বান্দার আর কোন স্বাধীন চিন্তা ভাবনা থাকে না, করতেও পারে না। তারা তখন তাদের অন্যের জীবন তো দুরের কথা নিজের জীবনকেও তারা দাম দেয় না। এই যেমন হামাস ও ইসরাইলের সংঘর্ষ। আপনি কি জানেন কেন নারী ও শিশুরা বেঘোরে প্রান হারাচ্ছে ? কারন হলো হামাসের লোকজন ঘরের আঙ্গিনা বা স্কুলের আঙ্গিনা বা হাসপাতালে আঙ্গিনা থেকে তাদের রকেট ছুড়ছে। ইসরাইল বিমানের নিখুত ইলেকট্রনিক যন্ত্র তো রকেট উৎক্ষেপন অবস্থান সনাক্ত করে সেখানে বোমা ফেলছে বা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তার ফলে কি ঘটছে? হয়ত যে লোক রকেট নিক্ষেপ করেছিল যে সেখান থেকে দ্রুত সরে পড়েছে , কিন্তু ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় মারা যাচ্ছে নিরীহ নারী ও শিশু বা নিরীহ মানুষ। এর পর যখন মিডিয়াতে খবর আসছে তখন কি দেখা যাচ্ছে? দেখা যাচ্ছে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিরীহ নারী শিশু মারা গেছে। টি ভি এর পর্দায় ভেসে উঠছে তাদের বিদীর্ণ শরীর। তখন সব দোষ নন্দ ঘোষের মত ইসরাইলের ওপর পড়ছে। প্রচার করা হচ্ছে তারা কতটা বর্বর ও পাষন্ড। এখন আপনারাই বলুন আসলে দোষটা কাদের ? যারা অসহায় নারী ও শিশুদেরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তাদেরকে নিহত হতে সাহায্য করল তাদের নাকি যাদের বোমা হামলায় তারা তাদেরকে নিহত করল তাদের? এসব নিরীহ নারী ও শিশুর প্রতি ন্যুনতম ভালবাসা ও মায়া মমতা হামাসদের থাকলে তারা এটা করতে পারত ? প্রশ্ন হলো কেন হামাস তাদের প্রতি সামান্যতম ভালবাসা ও মমতা দেখায় না ? সত্যি বলতে গেলে এটার পিছনে কাজ করে ইসলাম। কারন তারা বিশ্বাস করে ইহুদিদের সাথে যুদ্ধ করা তাদের ইসলামি ইমানি দায়িত্ব। আর সে যুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থাই নেয়া যেতে পারে, তাতে কিছু নারী ও শিশুর জীবন গেলেও তাতে কোন ক্ষতি নেই, তারা বরং ইসলামের জন্যই জীবন দিল। বিষয়টা কি আসলেই তাই নয় ? আপনারা যদি সমস্যাটাকে উপর থেকে দেখেন তাহলে তো হবে না , আপনাকে সমস্যার গভীরে যেতে হবে , তাহলে সেটা বোঝা যাবে ও তার সমাধান সূত্র বের হয়ে আসবে। তাই নয় কি ? এই যে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সমস্যা, এর সমাধান কোথায় ? একমাত্র সমাধান হলো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া। এর পর ইসরাইল যদি ফিলিস্তিনীদের প্রতি সামান্যতম অন্যায় করে তাহলে গোটা দুনিয়ার লোক ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠবে- ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে। তখন ইসরাইল সামান্যতম ফাজলামি করার সাহস পাবে না। কিন্তু বাস্তবতাটা কি ? তারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া তো দুরের কথা , তাদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে সেভাবেই যখন তখন ইসরাইলের ওপর আক্রমন করে চলেছে। এখন ইসরাইলের তো আত্মরক্ষার অধিকার আছে তাই নয় কি ? এখন যদি বলেন ইসরাইল রাষ্ট্রটাই তো অবৈধ। তাই তার বিরুদ্ধে যে কোন সময় আক্রমন করা সেটাই বৈধ। সেক্ষেত্রে আবারও ইসলাম চলে আসে। যারা ইসলামে বিশ্বাসী তারা কোরানে বিশ্বাসী। কোরানের ১৭:১০৪ নম্বর আয়াতে পরিস্কার বলছে- আমি বনি ইসরাইলকে বললাম- এ ভুমিতে তোমরা বাস কর।। তার মানে উক্ত ভুমিতে বাস করার অধিকার ইহুদিরা আল্লার কাছ থেকেই পেয়েছে । তার ফলে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হলেও তা ইসলামের দৃষ্টিতে তা মোটেও অবৈধ নয়। তাহলে দুনিয়ার মুসলমান ও ফিলিস্তিনিরা কিভাবে তাকে অবৈধ বলে রায় দেয় ? এটা কি স্ববিরোধীতা নয় ?
@ভবঘুরে,
ইসলাম মানবিক তা আমি একবারও দাবী করিনি। আর তাছাড়াও ইসলাম মানবিক নাকি অমানবিক সেটা আপনি আলোচনা করার জন্য আরো অন্য কোন লেখা পেতেন।
নিজেও এ নিয়ে যথেষ্ট লেখালেখি করছেন ( সেগুলোর মান বিচার করতে চাই না, কারন এই লেখাটি আপনার লেখার মান বিচার করার জায়গা নয় ),কিন্তু সাইফুল ইসলামের এই লেখাটি কোনভাবেই “ইসলাম মানবিক কি অমানবিক” এটা বিচার করার জায়গা না্, এমন কি এটা ইসলাম সঙ্ক্রান্ত কোন পোষ্টও না।
এটা শুধুই হামাস আর ইসরায়েলের মধ্য যে সংঘর্ষ চলছে সেই সঙ্ক্রান্ত পোষ্ট। কাজেই এখানে আপনার অবস্থান ৩ রকম হতে পারে,
প্রথমত একপেশে ভাবে ফিলিস্তিন তথা হামাস সে সমর্থন দেয়া, দ্বিতীয়ত একপেশে ভাবে ইসরায়েল কে সমর্থন করা, আর তৃতীয়ত মানবতা কে সমর্থন করা, তথা কিভাবে এই সঙ্কট সমাধান হতে পারে, সমঝোতার মাধ্যমে ২ পক্ষকেই একটা স্থায়ী চুক্তির ভিতর আনা যেতে পারে, আর এই সব অনাকাঙ্খিত সঙ্ঘর্ষ এড়িয়ে যাওয়া যায় সেটা নিয়ে আলাপ করা।
আমি মনে করি এই তিনটি অবস্থানের বাইরে যেকোনো ধরনের আলাপ করাটা অপ্রাসঙ্গিক।
ইসলাম বস্তুত মানুষকে রোবটে পরিণত করে।ইসলাম বস্তুত মানুষকে রোবটে পরিণত করে। এরপর একজন মোমিন বান্দার আর কোন স্বাধীন চিন্তা ভাবনা থাকে না, করতেও পারে না। তারা তখন তাদের অন্যের জীবন তো দুরের কথা নিজের জীবনকেও তারা দাম দেয় না।
এটার উত্তর আশা করি উপরের কথা গুলোতে পেয়ে গেছেন।
ঠিক বলেছেন।
অসাধারন কথা। এইসব কথাগুলি আগেও বলতে পারতেন।যাক আপনার উপলব্ধি করার জন্য অন্তত একটা ধন্যবাদ আপনার পাওনা হয়েছে।
দোষ আপাত দৃষ্টিতে হামাসেরই, কারন তারাই বরাবর আগে রকেট হামলা করে থাকে।যদিও এবার নাকি উলটোটা ঘটেছে্ ঠিক জানিনা আমি।
অবশ্যই মানব ঢাল হিসাবে যারা নারী ও শিশুদের ব্যবহার করে তারাই দোষী। আর হামাসের দয়া মায়া আছে এমনটা কোন সচেতন মানুষ বলবে না।
তবে এই নিয়ে আরো কিছু বলব একটু পরে।
এটা আবার ইসলাম বিশ্লেষণ।করেন সমস্যা নেই, তবে এইখানে কেন?এটা সেই জায়গা নয় কারন শিশু হত্যার কোন বিধান ইসলামে আছে বলে আমার মনে পড়ছে না।
তবে হ্যাঁ ধর্মীয় প্রভাব থেকেই সন্ত্রাসীরা এই কাজ করে থাকে,শুধু সন্ত্রাসীরা না ধর্মের নামে অমানবিক নির্যাতন করে থাকে কিছু আরব রাষ্ট্র, তালেবান আর নানা দেশের মোল্লারা।
কিন্তু একটা জিনিস ভুলে গেলে চলবে না, আর তা হল ঠিক একই কাজ, অথবা তারথেকেও অমানবিক কাজ করতো ক্যাথলিক চার্চ মধ্যযুগে।
ইনকুইজিশন বিশেষ করে স্প্যানিশ ইনকুইজিশন যে কি মারাত্বক ছিল আপনি না কল্পনাও করতে পারছেন না? মানুষ কে প্রথমে পাপ স্বীকার করানোর নামে নাৎসি কায়দায় টর্চার করা( যতক্ষন পর্যন্ত পাপ স্বীকার না করে;সেই তথাকথিত অপরাধী পাপ করুক বা না করুক, স্বীকার করার আগ পর্যন্ত নির্যাতন চলতেই থাকবে),
আর তারপর পাপ স্বীকার করার পর তাকে জলন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা।
আমি তো এই ইনকুইজিশনকে
সতীদাহের চেয়েও মারাত্বক বলব কারন সতিদাহে প্রথমেই মেয়েটিকে স্বামীর চিতায় জোর করে তুলে দেয়া হত,ইনকুইজিশনে পোড়ানর আগে নাৎসি কায়দায় অমানবিক নির্যাতন কি যেকোনো সন্ত্রাসের চেয়েও ভয়াবহ না?সেক্ষেত্রেও কিন্তু খৃস্টান ধর্মই দায়ী।
দেখেন আপনার লেখা ” মোহাম্মদ ও ইসলাম ২০” এই পর্বে আমি কিছু বাইবেল ভার্স পোষ্ট করেছি, ওখানে শিশু হত্যার বর্ননা আছে। Judges 21 এর পুরা অধ্যায় টা পড়লেই জানবেন। এমন আরো ভুরি ভুরি উদাহর ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে সেয়া যায়। ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যা এটা কিন্তু প্রথমে ওল্ড টেস্টামেন্ট লেখা হয়, পরে মুহাম্মদ কপি করে কোরানে পেস্ট করে দেয়।
তাহলে আজ যে শরিয়াহ আইনে মোল্লারা পাথর মেরে হত্যা করছে সে জন্যে ওল্ডটেস্টামেন্ট কে দোষ দেই কি বলেন? যেহেতু ওটাই রুট?তবু বলা যায় যে কাজ টা তো মুসলিম রা করছে, তাই এটা ইসলামের দোষ। হা এটা অবশ্যই ইসলামের দোষ, ঠিক যেমন ইনকুইজিশন করতো খ্রিষ্টান মোল্লা রা এটা খ্রিষ্ট ধর্মের দোষ।
কাজেই দুনিয়াতে সহিংসতার জন্যে শুধু এক চোখে দেখে ইসলাম কে একা দুষলে হবে কেন?
অতি সরলীকরণ হয়ে গেল ব্যপারটা। ইসরায়েলকে স্বীকৃত দেয়া অবশ্যই জরুরি এটার গুরত্ব আমিও বুঝি কিন্তু স্বীকৃতি দিলেই ইসরায়েল ফাজলামি করার সাহস পাবে না আপনি এতটা নিশ্চিত কিভাবে হচ্ছেন? তারা কিন্তু ইহুদী বসতি স্থাপন বন্ধ করে নি। আর ইসরায়েলের শক্তি (পারমানবিক শক্তি বাদে) গোটা আরব ভুবন কে একাট্টা করলে যা হয় তার থেকেও বেশি, কাজেই ইসরায়েলকেও স্বদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে ইহুদী বসতি বন্ধ করে।তবেই আরব রাও ভরসা পাবে। আসলে আগে থেকে কিছুই বলা যায় না। দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে। শুধু ইসরায়েল কে স্বীকৃত দিলেই হবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ইসরায়েল তার সেটলমেন্ট বন্ধ করবে পশ্চিম তীর ও গাজা তে।
আর এইভাবে দুপক্ষের সহনশীলতা আর সদিচ্ছার মাধ্যমেই শান্তির পথ অধিকতর প্রশস্ত হবে।
ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা ন্যায্য ভাবে হয়নি।তবে যা হবার তা হয়ে গেছে কাজেই এখন ইসরায়েল কে অবশ্যই জাতিসংঘের সীমানা মেনে চলতে হবে,এতে শান্তির পথ প্রশস্ত হবে। আর ফিলিস্তিনের জনগণকেও সহনশীল হতে হবে,যদিও আমি ফিলিস্তিনের নাস্তুহারা হলে এই কথা আমি বলতে পারতাম না, তবু বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি আর ইসরায়েলী দের পরস্পর সমঝোতা করতেই হবে।
মাফ চাই ভাই। আমি কান ধরছি,এখানে আমি এটা নিয়ে আলাপ করতে রাজি না, কারণ এখানে শুধু সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে,ধর্মের কিছু ব্যাপার না।
আপনি এরকম একটা লেখা দিন, আমরা সানন্দে আলোচনা করব ।
ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
উপরে অর্ফিউস যা বলেছেন তার সাথে একমত।
ইসরাইল এখন একটি বাস্তবতা, চিরস্থায়ী শান্তি চাইলে ইসরাইলকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু তার আগে ইসরাইল তার সীমানার বাইরে যে জায়গা দখল করে রেখেছে তা ছেড়ে দিতে রাজী হোক, দখল করা জায়গায় নতুন সেটেলমেন্ট করা বন্ধ করুক, জেরুজালেম ভাগ করা নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তা সমাধানের চেষ্টা করুক (যতদূর জানি এধরনের একটা সমাধান সৌদি আরব দিয়েছিল); এগুলো সবই যুক্তিসঙ্গত দাবী। আপনি যেমন আরবদের গোঁড়ামীর সমালোচনা করছেন, তাদের কি করা উচিত বলছেন তেমনি ইসরাইলের কি করনীয় সেটাও আপনাকে বলতে হবে। সমস্যাটা তো একপক্ষীয় না, একতরফা ভাবে এর সমাধানও সম্ভব না।
আপনি বারবার উপরের আয়াতটি উল্লেখ করে নিজেকে যুক্তিবাদী প্রমানের চেষ্টা করছেন যা হাস্যকর। ধরা যাক এর প্রেক্ষিতে জনৈক হুজুরে কিবলা মোরগাবাদী বলে বসলেন উপরের আয়াতে মহান আল্লাহপাক তার কোরানপূর্ব কিতাবে ইসরাইলীদের কি বলেছিলেন তার উল্লেখ করছেন মাত্র। কিন্তু কোরান নাযিলের পর আল্লাহপাকের ঘোষনা অনুযায়ী যেহেতু পূর্বের সব কিতাব বাতিল হয়ে গিয়েছে, সেহেতু ইসরাইলীদের বলা এই কথার আর কোন মূল্য নেই। তাছাড়া মহান আল্লাহপাক ইসরাইলী-সহ সবাইকে ইসলামের পথে আশার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরাইলীরা ইসলামের পথে না আসলে তার আর ঐ নেয়ামত (বাস করার অধিকার) দাবী করতে পারে না। এরপর পুব দেশীয় বিখ্যাত ফাজিল কাতিলে-হিন্দ ইসরাইলকে অবৈধ রাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে যুক্তি দিলেন, আল্লাহপাক বাস করার কথা বলেছেন, দেশ পাবার অধিকার তো দেন নি…ইত্যাদি ইত্যাদি চলতেই থাকলো। আপনি আপনার যুক্তির কথা বলেন, তারা বলেন তাদের যুক্তির কথা। মোটের উপর এভাবে ধর্মগ্রন্থের উপর ছেড়ে দিলে তো কখনই এই সমস্যার সমাধান হবে না। তার চেয়ে আপনার নিজ বিবেচনা অনুযায়ী কি করে এই সমস্যার একটা গ্রহনযোগ্য সমাধান হয় তাই বলুন না।
মুক্ত মনা মডারেটরের এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।কোন ভাবেই কি নতুন মন্তব্যের নোটিফিকেশান এ মেইল এ পাওয়া সম্ভব?যদি সেটা সম্ভব হয় তবে কিভাবে সেটা আমি পেতে পারি দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
@অর্ফিউস, সরি পেয়েছি নোটিফিকেশান । কিন্তু সব junk folder এ!খুব অবাক লাগছে!
@অর্ফিউস,
এ বছরের শুরুতে সার্ভার বদলের পর মেইলগুলো স্প্যাম ফোল্ডারে যাচ্ছে, আপনি not spam সিলেক্ট করে দিলেই এরপর থেকে ইনবক্সে যাবে।
উগ্র সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে লেখা পোস্ট ।এধরনের মনোভাব ইহুদীবিদ্বেষই বাড়াবে ,লাভ হবে ইস্রাইল সরকার ও হামাসের ।এরা সেই উদ্যেশ্য নিয়ে কাজ করে কিনা কে জানে ?মানবতাবাদীর ভান ধরলেই মানবতাবাদী হওয়া যায় না ,ওটা একটু কঠিন ।মার্ক্সবাদ ,মাওবাদ এসব ‘বাদ’ বাদ দিয়ে খোলামনে দেখুন ।
বিশ্ব মুসলিমভাতৃত্ববোধে উজ্জ্বীবিত সাইফুল ভাইয়ের কাছে চীনের উইঘুর মুসলিম নির্যাতন নিয়ে একটি লেখা আশা করছি ।আঞ্চলিক ভাষায় না লেখলেও চলবে ,আপনি যে মানবতাবাদি সেটা বুঝে নেব ।
@মনিরুল ইসলাম,
না আমার তা মনে হচ্ছে না।শুধুই একটু বেশি আবেগ নিয়ে লেখা।
হ্যাঁ দুর্ভাগ্য জনক হলেও এটাই সত্যি।মুক্ত মনা একজন ব্লগারের কাছ থেকে আরেকটু যুক্তি নির্ভর লেখা আশা করেছিলাম, এমন একপেশে আবেগপুর্ন লেখা নয়। তবু ওটা লেখকের ব্যক্তি স্বাধীনতা, আর ব্যক্তিস্বাধীনতা কে পুরো সম্মান দেয়াটাই মুক্ত মনের মানুষের পরিচয় বলে আমি মনে করি।
সবচেয়ে বড় কথা হল সহিংসতা বন্ধ করা, সেটা উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।একতরফা ভাবে কাউকে দোষারোপ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয় মাঝ থেকে মারা যায় ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলের সাধারণ জনতা।
আমার মনে হয় ইসরায়েল এবং হামাস অথবা আরো সব মুসলিম সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলোকে একটা চুক্তি তে স্বাক্ষর করানো আর সেটা মেনে চলতে বাধ্য করা। আর সেটা হল প্রথমের আমরা আক্রমণ করব না।
আর এটা যদি উভয়পক্ষই মেনে চলে তবে সেটাই ভাল। না চললে যে আগে আক্রমন করবে এই চুক্তি ভেঙ্গে জাতি সঙ্ঘের উচিত হবে সেই চুক্তি ভঙ্গকারীর উপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। এবং অবশ্যই সাধারণ জনতার প্রাণের নিরাপত্তা।
@অর্ফিউস,
নিশ্চিত করা
[img]https://fbcdn-sphotos-a-a.akamaihd.net/hphotos-ak-snc6/188522_4552127836231_128631824_n.jpg[/img]
সাতের দশকের শেষ ভাগে ঢাকায় পালেস্টাইন স্বাধীন করার জন্য স্বেচ্ছায় সৈন্য নেওয়া শুরু হয়। সে সময় শুধু ধর্মীয় আবেগে নয়, মানবতার লড়াই লড়তেই আমাদের পাড়া থেকে দলে দলে যুবকেরা স্বেচ্ছাবেবক হিসেবে সৈন্যদলে নাম লিখিয়েছিলো।
বাড়িতে বড় ভাই একটি লং প্লেয়ারে রেকর্ড বাজাতেন: ক্যান্ট ইউ হিয়ার? দি এগনি অব প্যালেস্টাইন, প্যালেস্টাইন…
পরে পেশাগত জীবনে এসে প্যালেস্টাইন ফেরৎ যোদ্ধা সহকর্মীও পেয়েছি। ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ একদিন প্যালেস্টাইনের জন্য অস্ত্র ধরেছিলো, এই তথ্য এখন আর কোথাও উচ্চারিত হয় না। কেনো, কে জানে! 😕
___
ছবি: গুরুচন্ডা৯’র ফেবু গ্রুপ থেকে। লিংক।
@বিপ্লব রহমান,
আমারো মনে পড়ে। ‘৭০ এর শেষে বেশ কিছু ছেলে প্যালেষ্টাইন গেছিল। তারা কিন্তু আফগান মুজাহিদ্গামিদের মত মাদ্রাসা লাইনের ছেলেপিলে ছিল না। অবস্থাপন্ন শিক্ষিত ঘরের ছেলেপিলেই গেছিল। তখন কিন্তু ইসলামী আদর্শ, মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ ফোধ এসব নিয়ে এরা মাথা ঘামায়নি। বিশুদ্ধ মানবিকতার টানেই গেছিল। আর নানান আদর্শ দৃঢ় হয়েছে, কেবল কাজের লোক নেই।
মনে পড়ে ঢাঃবিঃ এর নীরু-অভি গ্রুপে বাবু নামের এক প্যালেষ্টাইন ফেরত ক্যাডার ছিল, তার নামই হয়ে গেছিল পিএলও বাবু।
ধন্যবাদ সায়ফুল একটা মূল্যবান নিবন্ধ দেওয়ার জন্য।
তবে আমার বুঝে আসেনা যদি ঈহুদীরা শত শত ,হাজার হাজার মুসলমানদের এই যুদ্ধে মেরে ফেলে তাহলে এত দুখের কি আছে? মুসলমানেরা তো কিছুই হারাইলনা। বরং এই শত্রুরাই আরো এই পৃথিবী হতে আরো অনেক বেশী উন্নত এবং চিরস্থায়ী সুখের বাসস্থান বেহেশতের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
মুসলমান দের প্রতি এই অবদানের জন্য বরং ঈহুদীদের আরো বেশী ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার।
আর তা ছাড়াও তাদের কে এই পৃথিবী হতে চিরতরে নিশচিহ্ন করার জন্য তো আমরা ১৪০০ বছর আগে, আমাদের জন্ম লগ্ন থেকেই যুদ্ধ ঘোষনা করে দিয়েছি এবং তা সঠিক ভাবে চালিয়ে ও যাচ্ছি। এর জন্য তো আমরা নিজেরাই বেহেশত পাওয়ার জন্য প্রতিদিন আমাদের সম্ভাবনাময়ী তরুনদের বুকে বোম্ব বেধে দিয়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছি।
যেটা পাওয়ার জন্য আমরা নিজেরাই অতিশয় উদগ্রীব সেটা যদি এই ঈহুদীরা নিজ থেকে যেঁচে এসে দিয়ে যায়, তাতে অসুবিধাটা কোথায়?
তারা তো আমাদের আকাংখিত বস্তুটাই দিচ্ছে। তাতে আবার অসুবিধা কি করে হতে পারে?
বরং তাদেরকে সমগ্র ঈমানদার মুসলমানদের আরো বেশী করে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ।
তাই নয়কি?
নাকি তাহলে আমরা বেহেশতে বিশ্বাষী নই? অথবা আমরা বেহেশতে যাইতে আগ্রহী নই?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এইবার দেখলেন ভাইজান যারা ইসলামকে একমাত্র সত্য ধর্ম মনে করে তারা কত বড় ভন্ড ? কোরান ও হাদিসে আল্লাহ ও মোহাম্মদ ইহুদীদেরকে সব চাইতে বড় শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছে, তাদেরকে যেভাবে পারা যায় মুসলিম রাস্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় যুদ্ধ করতে বলেছে, যেটা স্বয়ং মোহাম্মদও করেছিলেন তার জীবনে , মক্কা মদিনার আশ পাশের সকল ইহুদিদেরকে তাদের পৈত্রিক ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করে। হামাস বা ফিলিস্তিনীরা সবাই সেই কাজই করে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে মিশর জর্ডান এরাও করার চেষ্টা করেছিল। বলাবাহুল্য এগুলো সবই ছিল ইসলাম সম্মত, একই ভাবে জিহাদি কাজ। একাজে যারা মারা যাবে তারা শহিদ হয়ে সরাসরি বেহেস্তে চলে যাবে। ইহুদিরা ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি তৈরী করে মুসলমানদের জন্য বেহেস্তে যাওয়ার এত সুন্দর ও সহজ পথ বাতলে দেয়ার পরেও তারা ইসরাইলকে সমালোচনা করে , এর চাইতে নিমকহারামি আর কি হতে পারে ? যে বেহেস্তে যাওয়ার জন্য প্রতিটি মুসলমান রাত দিন আল্লাহ ও মোহাম্মদের নাম জপ করে , সেই বেহেস্তে যাওয়ার এত সহজ তরিকা বের করে দেয়ার জন্য সকল মুসলমানের তো ইসরাইল তথা ইহুদিদেরকে ধন্যবাদ দেয়া ও চির কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। , তাই নয় কি ? আসলে ইসলামের শিক্ষাই হলো নিমকহারামি করা ও অকৃতজ্ঞ হওয়া আর মহাজোরে মিথ্যা প্রপাগান্ডা করে যাওয়া। এসব কাজেই মুসলমান জাতি রাত দিন ব্যস্ত থাকে , সেকারনে তারা ইহজাগতিক কোন উন্নতি করতে পারে না । পক্ষান্তরে ইহুদিরা Iron Dome তৈরী করে হামাসের রকেটকে আকাশেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। সুতরাং বর্তমানে যারা ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিতে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত লাফালাফি করে তাদের চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারন রয়েছে বলেই আমি মনে করি। ছোট খাট রকেটকে যদি ইসরাইল Iron Dome দিয়ে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে পারে , ব্যলেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের মত বড় রকেটকে তারা খুব সহজেই সনাক্ত করে ইসরাইলের বাইরেই ধ্বংস করে দিতে যে সক্ষম তা কিন্তু ইসরাইল ইতোমধ্যে প্রমান করে ফেলেছে। যতদুর জানা যাচ্ছে Iron Dome শুধুমাত্র ইসরাইলেরই কৃতিত্ব। আমেরিকা বা অন্য দেশের বিশাল আকারের ব্যলেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেপনাস্ত্র থাকলেও ছোট ছোট রকেট ধ্বংস করার মত প্রযুক্তি নেই। সুতরাং আরব দেশগুলোর উচিত ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা না খেলে তাদের সাথে শান্তিপূর্ন সহাবস্থান বজায় রাখা ও সহযোগীতা করা , তাহলে তারা ইহুদিদের অসাধারণ মেধার দ্বারা সৃষ্ট নানা রকম প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারে। সেটা যদি না করে তারা ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়ার পায়তারা করে , তাহলে গোটা আরব দেশগুলো তাদের ধ্বংস ডেকে আনছে তা বলাই বাহুল্য। কারন ইসরাইল প্রমান করেছে- নিজের মাটিতে কোন রকম ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাত ঘটাতে না দিয়ে পাল্টা তারা যে কোন আরব দেশকে যখন তখন আঘাত হানতে সক্ষম। এ থেকে আরব দেশগুলো যত তাড়াতাড়ি শিক্ষা নেবে ততই মঙ্গল। মুসলমানরা যতই মক্কা মদিনায় ও সারা দুনিয়াতে আল্লাহ আল্লাহ বলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করুক না কেন ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তা তাদের কোনই কাজে আসবে না , এটা মুসলমানদের বোঝা উচিত।
@ভবঘুরে,
ভাইজান,
এটা আপনার বক্তব্য নয়। এটা আমার মনের কথাটা আপনার মুখের দ্বারা প্রকাশ মাত্র।
ধন্যবাদ আমার অন্তরের কথাটা প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য।
ভন্ডামী তার সাক্ষাৎ প্রমান একদিকে আমরা আমাদের তরুনদের বেহেশতে যাওয়ার আসা দিয়ে ঈহুদী খৃষ্টানদের মারতে বুকে বোম্ব বেধে তাদের মারতে ও নিজেকে মরতে পাঠিয়ে দেই। আর অন্যদিকে ঠিক তারা যখন এদেরকে মেরে বেহেশতে পাঠিয়ে দেয় তখন এত চেচামেচি কেন?
তারা তো আমাদের একমাত্র কাম্য বেহেশত পাওয়ার পথ আরো বেশী করে সুগম করে দিচ্ছে।
কাজেই তাদেরকে একাজে আমাদের আরো বেশী করে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করা উচিৎ।
কারন তারা তো আমাদেরই মঙ্গলের জন্য করতেছে।
তাহলে বেহেশত পাইতেআমাদের এত ভয় কেন?
একটু আমাদেরকে ব্যাখ্যা দিতে পারেন?
তারপর আবার তাদের সংগে নবী চিরকালের জন্য শত্রুতা করার ও যুদ্ধ ঘোষনা দিয়ে গিয়েছেন সেখানে তো আমাদেরকেও তাদের নিকট থেকে ঠিক তদ্রুপই ব্যবহার আসা করা যেতে পারে।
সেখানে তাদের নিকট থেকে তো আর আমরা দুধ কলা আসা করতে পারিনা।
অন্য কোন ধর্মামলম্বী তাদেরকে শত্রু হিসাবে পোষন করেনা, তাই তারাও তাদেরকে শত্রু মনে করেনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তা আপনার বক্তব্য বেশির ভাগ সময় উনার মাধ্যমে আসে কেন? আপনারা কি হরিহরাত্মা? 🙂
পৃথিবীতে একমাত্র সত্য বলে আসলেই কিছু নেই, কাজেই এটা যারা দাবী করে তারা যে ভণ্ড সেটা আমি নিজেও স্বীকার করি। তার মানে এই না যে হামাস আর ইসরায়েলের কামড়াকামড়ি তে যে নিরীহ মানুষ গুলো মারা যাচ্ছে তাদের নিয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারবে না।আর আপনার কি এটাই মনে হয় যে সব মুসলিম পিতামাতাই( যারা ধর্ম মেনে চলেন) তাঁদের সন্তানদের বোমা বেঁধে আত্মহত্যা করতে পাঠান? নাকি যেহেতু ইসলামকে পরিপুর্ন ভাবে মানতে গেলে এটা জরুরী ( আপনাদের ভাষ্যমতে) তাই যারা এই কাজ গুলি করেন না তারা মুসলিম না?
আপনাদের প্রধান উদ্দেশ্য টা কি , কে মুসলিম আর কে মুসলিম না কে কোরান ফলো করছে আর ফলো করছে না( বোমা বুকে বেঁধে) সেটা দেখা নাকি এইসব অপকর্ম যাতে বন্ধ হয় সেই চেষ্টা করা?
এখন তো দেখা যাচ্ছে যে যদি মুসলিম রা তাদের ধর্ম সংস্কারও করতে চায় তবে আপনাদের মত একশ্রেণীর নিও নাস্তিক ( নাকি নাস্তিক মৌলবাদী)সেটা নিয়েও বিদ্রুপ করবেন।
কাজেই আপনাদের একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলতে হবে যে আপনারা কি আসলে ইসলামের যে ধর্মান্ধতা আছে সেটিকে বিলুপ্ত করার জন্য কাজ করবেন, নাকি ইসলাম কে বিলুপ্ত করতে?
পরেরটা হলে একেবারে বাজি রাখতে পারেন যে আওনারা ব্যর্থ তো হবেনই, বরং মানুষের কাছে সব গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন,আর ফলশ্রুতিতে কপালে খালি লাঞ্ছনা আর গলাধাক্কাই জুটবে।
খ্রিষ্টান ধর্মের ভণ্ডামি আর নির্যাতন কিন্তু মুক্ত মনের মানুষ দের প্রচেষ্টার ফলেই নিয়ন্ত্রনে এসেছিল।সেইসব মানুষ কিন্তু শুধু খ্রিষ্ট ধর্মের তৎকালীন সহিংসতার বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ধর্মটির বিরুদ্ধে না।
কারণ তারা জানতেন যে হাজার বছর ধরে চলে আসা একটা ধর্মকে ধ্বংস করা যায় না, বরং ঘসে মেজে সেটির ময়লাগুলো সরিয়ে সেটিকে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে হয়।
কাজেই কিভাবে মুসলিমদের ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তাদেরকে বুঝিয়ে এইসব থেকে মুক্ত করা যায়, সেইসব গঠনমুলক আলচনা করুন।
অপ্রাসঙ্গিক আর অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে অযথাই মানুষের ধর্মান্ধতাকে আরো উস্কে দেবেন না।
মনে রাখবে একটা ব্লগে কিছু মানুষের পাইকারী হাত তালি পাওয়া আর গোটা একটা সিস্টেমের পরিবর্তন আনার ভিতরে আকাশ পাতাল ফারাক।
কাজেই সত্যই যদি ইসলামী সহিংসতার বিরুদ্ধে মুসলিমদের সচেতন করতে চান তবে গঠনমুলক কিছু করে দেখান,বিজাতীয় বিদ্বেষের পরিবর্তে।
কারন বিজাতীয় বিদ্বেষ দেখান হল ধর্মান্ধ মুসলিম দের কাজ কোন মুক্ত মনের অধিকারী মানুষের কাজ সেটা নয়।
@চাকল্যাদার, ভবঘুরে,
এই লেখাটা ইসলাম সমালোচনা করার টয়লেট না। এই সমস্ত বুলশিট আপনাগোর ব্লগে যাইয়া ল্যাদান। এইখানে বালছাল প্যাচাল পাড়বেন না। ইসলাম পোন্দানো ছাড়া আমার(আমি বিশ্বাস করি এইখানে আরো অনেকেরই) আরো বহুত কাম আছে।
এই মন্তব্যের পর মেরুদন্ড থাকলে এইহানে আপনারা দুইজন আর কোন মন্তব্য করবেন না ইসলাম সম্পর্কিত।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ঠিকই বলেছেন, আপনার কাছে ‘দুখের’ কিছু নেই, কারন আপনি মৃতদের দেখছেন মুসলিম হিসেবে আর সাইফুল তাদের দেখছেন মানুষ হিসেবে। আপনি কি নিশ্চিত মৃতদের সবাই বুকে বোমা বেঁধে বেহেশতে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন? মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও আছে, আবার ফিলিস্তিনীদের অনেকে খৃষ্টান—-তাদের ব্যাপারে আপনার কি ফতোয়া? মৃতরা ইসরাইলী বোমায় নিহত ফিলিস্তিনী হোক আর ফিলিস্তিনীদের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ইসরাইলী নাগরিক হোক, যেকোন হত্যাই নিন্দনীয়। আপনার মন্তব্যে মৃতদের প্রতি অশ্রদ্ধাই প্রকাশ পেয়েছে।
এবং কারো কারো ‘মাথার উপর’ দিয়ে যাবে !
কিন্তু আমি বিস্মিত হইনা । এসবই পারসেপশন ম্যানেজমেন্ট। যারা পারে তারা কামিয়াব হয় , যারা পারে না তারা প্রাকৃতিক নির্বাচনে টিকতে না পেরে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির শিকার হয়। আমরা অবাক হই যখন কয়েক লাখ পূর্ব ইউরোপীয় জাতের আশকেনাজি ইহুদিকে শতকোটি মুসলিমদের ৬০ বছর যাবৎ চড় থাপ্পর দিয়ে সাইজ করতে দেখি। কিন্তু আমরা অবাক হই না যখন মাত্র কয়েক শতাংশ তুর্কী-ফার্সীভাষী বিশাল ভারতবর্যকে এক হাজার বছর বগলে নিয়ে শাসন করে , কিংবা কয়েকশ ইংরেশ ভারতবর্ষে দুই শতাব্দীর উপনেবেশিক শাসনের ভিত্তি স্হাপন করে। কিভাবে করে ? এই প্রশ্ন আমরা করি না। আজকের সাংবাদিকেরা সে সময় হাজির থাকলে হয়তো লিখতেন যে , মীর জাফর তো দেশ প্রেমিক ছিলেন ! তিনি দেশকে বিশাল এক রক্তপাত থেকে রক্ষা করেছেন। কিসের কি ‘কাশিম বাজার’ ষড়যন্ত্র ? নন সেন্স , সবই ‘কন্সপিরেসি থিওরী ! নবাবের বিশাল বাহিনীর গোলা বারদ সবই বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল এবং নাচতে না জানলে তো উঠোন বাঁকা হবেই ! হেরে গিয়ে এখন মীর জাফরকে দুষছেন!
আসলে আমাদের চোখে যেটা পড়েনা সেটা হল যে আমরা চাক্ষুষ নম্বর নিয়ে বড় বেশী মাথা ঘামাই কিন্তু এর পেছনের মনস্তাতাত্ত্বিক চলকগুলো আমাদের মাথার উপর দিয়েই যায়। তাহলে শুনুন শুধু সংখ্যা আর রসদ দিয়ে চুড়ান্ত যুদ্ধ জেতা যায় না। চুড়ান্ত যুদ্ধ জিততে হলে অন্য রকম রণকৌশলে প্রয়োজন যা সেই যুগে বাবর , রবার্ট ক্লাইভ এবং এ যুগের বেন গেরিনরা ভালই জানলেও এখনকার কাগুজে পন্ডিতেরা বুঝতে চাননা। আসুন আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই psychological warfare বা মনস্তাত্ত্বিক রনকৌশলের সাথে। যারা ইতিমধ্যে War college এ পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তাদের কাছে এটা অচেনা নয়।
জার্মান যুদ্ধবিদ মেজর জেনারেল ক্লাউজাভিৎস তার Vom Kriege বইয়ে লিখেছেন:
বিশ্বের প্রধান এবং সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোট ন্যাটোর সামরিক ডক্ট্রিনে PSYOP বা সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের গুরুত্ব উ্ল্লেখ করে বলা হয়েছে :
PSYOP (সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার) are planned operations that convey selected information and
indicators to foreign target audiences (TAs) to influence their emotions, motives, objective reasoning, and ultimately, the behavior of foreign governments, organizations, groups, and individuals. The purpose of all PSYOP is to create in neutral, friendly, or hostile foreign groups the emotions, attitudes, or desired behavior that support the achievement of
our objectives and the military mission.
In doing so, PSYOP influence not only policy and decisions, but also the ability to govern, the ability to command, the will to fight, the will to obey, and the will to support.
অতএব , এমন নির্মম, নির্দয় একটা পরিবারের উপরে, এমন অনৈতিক একটা গ্রুপের উপরে আমাদের একাত্নতা অনুভব করার অনুভুতিটা ঠিক কখন আসে? কেন আসে? এমনি এমনি আসে না। এর পেছনে সুপরিকল্পিত ছক কাজ করে যা ধৈর্য নিয়ে, কষ্ট করে শিখতে হয়।
@সংশপ্তক,
একজ্যাক্টলি।
ইসরায়েল গাছেরও খাবে, তলারও কুড়োবে। গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাংক-কে তারা ইসরায়েলের অংশ মনে করে কি করে না? করলে, সেটাকে ইসরায়েলের অংশ করে ফেলুক বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দিয়ে। না করলে, বেরিয়ে যাক। স্বাধীন প্যালেস্টাইন যদি তখনও ইসরায়েলে রকেট মারতে থাকে, তখন retaliation এর জোরদার অধিকার থাকবে ইসরায়েলের। আসলে তারা জমি চায়, মানুষ ছাড়া।
@রৌরব,
মোশে ডায়ান কী বলছি জানেন?
“We have no solution, you shall continue to live like dogs, and whoever wishes may leave, and we will see where this process leads.”
@সাইফুল ইসলাম,
মোশে দায়ান খারাপ কিছু বলেছে বলে তো মনে হচ্ছে না। কোরানে ইহুদীদেরকে বানর, শুকর ও ইতর প্রানীর সাথে তুলনা করেছে। গালি তো একতরফা হয় না। আপনি আমাকে কুত্তা বলে গালি দিলে আমিও আপনাকে শুকর বলে গালি দিতে পারি। তাই না ? শুধু মুসলমানরা ইহুদিদেরকে গালি দিয়ে যাবে , পাল্টা গালি শুনবে না , এটা কি মামা বাড়ীর আবদার নয় ?
@ভবঘুরে,
এখানে গালাগালিটা মূল বিষয় না। মূল বিষয় রৌরব যা বলেছেন, ‘আসলে তারা জমি চায়, মানুষ ছাড়া’। ইংরেজী বাক্যটিতে তার ইঙ্গিত আছে।
@ভবঘুরে,
আসলে প্রধান সমস্যাটা এখানেই। মুসলিমরা ইহুদীদেরকেই শুধু না খ্রিষ্টান দের কেও প্রায় একই চোখে দেখে।অবশ্য ধর্ম প্রন্থের কারনে ইহুদীদের কে বেশি ঘৃণা করে। কিন্তু এইযে ব্যাপারটা দেখেন মুসলিম রা ইহুদীদের শুওর থেকে শুরু করে হেন কোন গালি নেই যা দেয় না।তেমনি অমুসলিমদের ধর্ম নিয়েও খুবি বাজে মন্তব্য করে থাকে কিন্তু যদি ইসলাম ধর্মের কোন গঠন মুলক সমালোচনাও করা যায় তবেই একেবারে জিহাদী জোশে তেড়ে আসে উগ্রপন্থী বলেন আর মধ্যপন্থী বলেন সবাই।আসলে তালগাছ টা আমার এই প্রবণতাটা কাজ করে মুসলিমদের ভিতর খুব বেশি। আর এটাই হল বর্তমানের অন্যতম প্রধান সঙ্কট। এই মনোভাব থেকে যতদিন মুসলিম জাতি বেরিয়ে না আসতে পারবে ততদিন আসলে অবস্থার কোন উন্নতিই হবে না। কিন্তু আপনি দেখেন যে শিক্ষিত মুসলিম যাদের দায়িত্ব হল গোঁড়ামি কে পিছনে ফেলে সমাজ কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, অথচ তারাই করছে বেশি গোঁড়ামি। আর এই জন্যেই মনে হয় না যে এই সমাজ ব্যাবস্থায় পরিবর্তন খুব সহজেই আসবে অথবা আদৌ আসবে কিনা আমার জানা নেই।
@সাইফুল ইসলাম,
জীবন-অসম্ভব-করে-তোলা-কে গণহত্যার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার উদাহরণ আগেও আছে, কিন্তু ইসরায়েল আধুনিক যুগের এর সবচেয়ে সফল প্র্যাকটিশনার।
@সাইফুল ইসলাম,
বাই দ্য ওয়ে, কাকতালীয় ভাবে আপনার কোটটা আমার চমস্কি সংক্রান্ত উপরে করা মন্তব্যকে সমর্থন করে। একটু রিসার্চ করে দেখেন। অর্থাৎ, আপনার ওভার-অল পয়েন্টের সাথে (মোটামুটি) একমত হলেও আবার বলি, প্রপাগান্ডিস্ট চমস্কি হইতে সাবধান। আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি ওই লোকের চেয়ে উপরে হওয়া উচিত।
@রৌরব,হ্যাবিচুয়াল আমেরিকা-ইজরায়েল বিরোধিতার কারনে নোয়াম চমস্কি আজকের মুসলিম বিশ্বে বিরাট হিরো কিন্তু তার বিভিন্ন সময়ে নানা বক্তব্য রিসার্চ করলে অনেকেরই পিলে চমকে যাবে। বিশেষ করে বসনিয়ায় সার্ব কতৃক মুসলিম গনহত্যা কিংবা কসোভোতে আমেরিকান হস্তক্ষেপ নিয়ে চমস্কির কন্ট্রোভার্সিয়াল কথাবার্তা অনেকেরই অজানা। বিভিন্ন সময়ে চমস্কি’র নানা বিতর্কিত কথার একটা সংক্ষিপ্ত কালেকশন
http://www.paulbogdanor.com/chomskyhoax.html
কিন্তু তাই বলে মানুষের কগনিটিভ ডেভেলাপমেন্টে চমস্কির মৌলিক অবদান এবং বিশ্বসমাজে মুক্তচিন্তা প্রসারে চমস্কি’র প্রভাবকে তার সবচেয়ে বড়ো সমালোচকও belittle করতে পারবে না।
@সফিক,
আর কম্বোডিয়ার কথা বাদই দিলাম।
লোকটা ডিস-অনেস্ট। তবে তাকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ক্রাইমের একটা (প্রচণ্ড ত্রুটিযুক্ত) এনসাইক্লোপিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করা চলে। আমিও করি।
@রৌরব,
ঐ কোটেশনটা ব্যাবহার করলাম আমার কাছে মনে হইল এক ইজরায়েলী নেতাকে দিয়া এই কথা বলা সম্ভব, আর ধরেন চমস্কির একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তো আমার কাছে ছিলই। আমি নিশ্চিত না হইয়া মন্তব্য করতেছি না। মানে এই কোটেশনের ব্যাপারে আর কী। 🙂
আর চমস্কির বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন কেন মিয়া? :))
@সাইফুল ইসলাম,
বহুদিনের গবেষণার ফল (ক্ষেপাটা) 🙂
আমার কাছে তার কোন বিশ্বাসযোগ্যতাই নাই, না তথ্যগতভাবে, না বিশ্লেষণ হিসাবে :))
@রৌরব,
হাহা, ওকে, এখন থিকা আরো কঠিনভাবে পাঠ করতে হইব তারে। :))
নিবন্ধটা অতি আবেগ দোষে দুষ্ট মনে হয়েছে। মনে হয়েছে- যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা।
বর্তমান হামাস ও ইসরাইলের সংঘর্ষের সূত্রপাত হামাস করেছে ও প্রায় শতাধিক রকেট ইসরাইলের মধ্যে বিনা উস্কানিতে নিক্ষেপ করার পর অত:পর ইসরাইল পাল্টা আঘাত হানা শুরু করেছে। এখন হেন তেন নানা সূত্র উল্লেখ করে যতই প্রমান করার চেষ্টা করা হোক না কেন এটা ইসরাইল শুরু করেছে তা স্রেফ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি রা ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের জন্মের পর থেকেই এভাবে পরস্পর পরস্পরকে আক্রমন করে চলেছে। কারন এখন যেখানে ইসরাইল রাষ্ট্র আছে সেটা আগে ফিলিস্তিনীদের ছিল। মুসলমান ফিলিস্তিনীদেরকে উচ্ছেদ করে সেখানে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করা যদি অবৈধ দখলদারিত্ব হয় তাহলে শুধুমাত্র উক্ত কারনে ফিলিস্তিনী মুসলমানরা সব সময়ই ইসরাইলের মধ্যে রকেট ছুড়তে পারে , চালাতে পারে আত্মঘাতী হামলা তাদে দোষের কিছু নেই। কিন্তু যদি ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া হয় তাহলে ইসরাইলে এধরনের যে কোন হামলাকে মারত্মক অপরাধ হিসাবে গণ্য করতেই হবে। এখন প্রশ্ন হলো – ফিলিস্তিনীরা কোনটা অনুসরণ করে? তারা কি ইসরাইলের অস্তিত্ব বিধি সঙ্গত ভাবে স্বীকার করে ? নাকি করে না ? ফিলিস্তিনীদের মধ্যে মোটা দাগে দুইটা গ্রুপ- একটা ফাতাহ যার নেতা আগে ছিলেন ইয়াছির আরাফাত ও বর্তমানে মাহমুদ আব্বাস আর অন্যটা হলো হামাস যার বর্তমান নেতা ইসমাইল হানিয়া যাদের ধর্মগুরুর নাম হলো – খালিদ মিশাল। ইয়াছির আরাফাতের ফাতাহ ইসরাইলকে স্বীকার করে নিয়ে তাদের সাথে একটা চুক্তিও করেছিলেন সম্ভবত : ১৯৯৪ সালের দিকে। যার ফলশ্রুতিতে পরে পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইহুদিরা তাদের বসতি গুটিয়ে নেয় ও অত:পর সেখানে ফিলিস্তিনীরা তাদের নির্বাচিত সরকার গঠন করে। বর্তমানের হামাস এর ইসমাইল হানিয়া বা ধর্মগুরু খালিদ মিশাল ইসরাইলের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। এই হামাস-এর ধর্মীয় আদর্শ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড আর একই সাথে ইরানও এদেরকে আদর্শিক, আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে গোপনে। যেমন ধারনা করা হয় বর্তমানে হামাস যে একটু দুর পাল্লার রকেট দিয়ে তেল আবিব ও যেরুযালেমকে আক্রমন করছে তা ইরান কর্তৃক প্রদত্ত। যাহোক, ফিলিস্তিনী এ উগ্রপন্থি মুসলমানরা মূলত: ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকেই ইহুদিদেরকে ঘৃণা করে ও তাদের দেশ ইসরাইলকে স্বীকার করে না আর তাই তাদের কাছে যখন তখন ইসরাইলের ওপর রকেট আক্রমনকে তার নীতিগতভাবে বৈধ মনে করে। খুবই ভাল কথা , মুসলমানদেরকে উচ্ছেদ করে দিয়ে জোর করে দখল করে প্রতিষ্ঠিত ইসরাইলকে বৈধ রাষ্ট্র মনে করার কারনও নেই কোন। এখন আমরা একটু কোরানের পাতা উল্টাই দেখি সেখানে কি লেখা –
তারপর আমি বনী ইসলাঈলকে বললামঃ এ দেশে তোমরা বসবাস কর। অতঃপর যখন পরকালের ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে, তখন তোমাদের কে জড়ো করে নিয়ে উপস্থিত হব। সূরা বনী ইসরাইল- ১৭:১০৪
এখানে দেখা যাচ্ছে কোরানের আল্লাহ বনী ইসরাইল তথা ইহুদিদেরকে একটা দেশে বসবাস করার অনুমতি দিচ্ছে। সে দেশটি কোনটা ? মূসা নবীর নেতৃত্বে যখন ইহুদিরা মিশর থেকে চলে আসে তখনই আল্লাহ তাকে এই কথিত দেশে বাস করার অনুমতি দিচ্ছে। বলাবাহুল্য সেই কথিত দেশটি হলো বর্তমানের ইসরাইল রাষ্ট্রটি ও বস্তুত: সেটা বর্তমান ইসরাইলের চাইতে অনেক বড় অঞ্চল ব্যপী বিস্তৃত ছিল অতীতে। দাউদ ও সোলায়মান রাজার সময় ইহুদিরা এখানে এক জাক জমকপূর্ন সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল। যাহোক, বরং বর্তমান ইসরাইল অনেক কম অঞ্চল অধিকার করে অবস্থান করছে। এখন বলা হতে পারে , তারা বহুকাল আগে থেকে সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। শত শত বছর ধরে তাদের সেখানে দখলদারিত্ব ছিল না তাই তাদের কোন অধিকার সেখানে নেই। খুব ভাল কথা , যৌক্তিকও বটে। কিন্তু কথা হলো কারা এ ধরনের যুক্তি তুলে ধরছে? তারাই যারা উগ্রপন্থি মুসলমান ও দুনিয়ার প্রায় সকল ধর্মপ্রান মুসলমান, যারা মনে করে কোরান ও হাদিসের কথাই চুড়ান্ত। তো কোরানে বলা আছে আল্লাহ উক্ত দেশ ইহুদিদেরকে প্রদান করেছে। আল্লাহ যদি কোন কিছু কাউকে প্রদান করে তা কি কোন দিন আর ফেরত নিতে পারে ? তা ছাড়া কোরানের কোথাও বলাও নেই যে- পরবর্তীতে আল্লাহ ইহুদিদের কাছ থেকে উক্ত দেশ কেড়ে নিয়েছে বা বলেছে এদেশের উপর তোমাদের আর কোন অধিকার নেই। হতে পারে তারা শত শত বছর বিভিন্ন কারনে দেশে দেশে নির্বাসিত অবস্থায় ছিল, কিন্তু তাতে করে তো আল্লাহ প্রদত্ত ভূমির ওপর থেকে তাদের অধিকার হরণ হয়ে যেতে পারে না । আল্লাহ প্রদত্ত ভূমি থেকে কে-ই বা ইহুদিদেরকে অধিকার চ্যুত করতে পারে ? ১৯৪৮ সালে এসে নির্বাসিত ইহুদিরা একত্রিত হয়ে নানা কায়দায় উক্ত ভূমিতে একত্রিত হয়ে একটা দেশ ইসরাইল গঠন করে। এতে তো বরং মুসলমানদের খুশী হওয়া উচিত এ ভেবে আল্লাহ প্রদত্ত ভূমিতে অবশেষে ইহুদিরা ফিরতে পারল যা ছিল আল্লাহর প্রতিশ্রুত এবং একারনে তাদের উচিত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা। আর যেহেতু আল্লাহ প্রদত্ত ভূমিতে ইহুদিরা তাদের দেশ গঠন করতে পারল, যা ছিল আল্লাহর প্রতিশ্রুত, তার অর্থ দুনিয়াতে ইসরাইলই হলো একমাত্র দেশ যার বৈধতা আল্লাহ কর্তৃক স্বীকৃত যেখানে বাকী সকল দেশকেই মানব সৃষ্ট তথা তাগুতি আইনে সৃষ্ট। এর ফলে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদেরকে বরং অন্য সকল দেশকে ইসলামী বিধাণ অনুযায়ী অবৈধ বলে রায় দিয়ে ইসরাইলকেই একমাত্র আল্লাহর স্বীকৃত বৈধ রাষ্ট্র হিসাবে গ্রহন করা উচিত। বাস্তবে সেটা না করে তারা যখন তখন ইসরাইলে রকেট আক্রমন করছে অথবা নানা কায়দায় ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেয়ার পায়তারা করছে বা হুংকার দিচ্ছে। তার অর্থ প্রকারান্তরে তারা আল্লাহর সৃষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তথা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এর ফলে তারা কি আর মুসলমান থাকতে পারে ? আমার তো মনে হচ্ছে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মুসলমানরা নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনছে যা তারা বুঝতে পারছে না। মনে হচ্ছে-তাদের ধ্বংস অনিবার্য কারন দুনিয়ার ৯৯% মুসলমানই সম্ভবত ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকার করে না ও তারা মনে মনে , কখনো বা প্রকাশ্যে তার ধ্বংস কামনা করে। এভাবে আল্লাহর সৃষ্ট রাষ্ট্রের ধ্বংস কামনা অর্থ আল্লাহর বিধানের ধবংস কামনা করা তথা আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। সুদুর অতীতে আল্লাহর বিরুদ্ধে এভাবে বিদ্রোহ করার কারনে সামুদ ও আদ জাতি সমূলে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে যা বর্ণিত আছে কোরান ও হাদিসে। তাই আমার আশংকা হচ্ছে- আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এভাবে বর্তমান মুসলমানরা নিজেদের সমূলে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিপদেই রয়েছে। বিষয়টা কি সত্যিই তাই নয় ?
সাইফুল,
গুরুত্বপূর্ণ লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। গাজাকে মনে হচ্ছে নেক্সট হিরোশিমা বানিয়ে ফেলছে ইসরায়েল। আমি নিজে একসময় প্যালেস্টাইনের অধিকার প্রেচেষ্টার সংগ্রামে কাজ করেছি, পিটিশনও করেছিলাম। আর এগুলো করে তথাকথিত ‘এন্টিইসলামিক নাস্তিক’দের বিরাগভাজন হয়েছিলাম। মুক্তমনায় খুঁজলেই কেউ পাবেন। এখন রীতিমত হতাশ হয়ে গেছি। কিন্তু হতাশার গহীন আঁধারেও সাইফুলের মত কেউ থাকেন যিনি ইতিহাসের সঠিক পক্ষ নির্ধারণ করতে জানেন, গহীন আঁধারেও বাতি জ্বালানোর উদ্যোগ নেন।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
লিঙ্কটা দিয়া দিলাম এইখানে।
বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
তবে লেখার মূল ভাব অনেকটা ক্ষুন্ন হয়েছে ব্যাক্তিগত কিছু মান অভিমানের সুরে, যার ফলে এসেছে কিছু সুড়সুড়ি দায়ক বিষয়ক যেগুলি আলোচনা সহজেই নিতে পারে ভিন্ন ভিন্ন দিকে, জন্ম দেবে আরো অনর্থক তিক্ততার, আমার ধারনা এই আশংকা থেকেই এই পোষ্টে অনেকে মন্তব্য করবে না, বিশেষ করে এই পোষ্টের সাথে কোন রকমের মতভিন্নতা বা তথ্যগত ভিন্নতা থাকলেও বলবে না। তাতেও মনে হয় ফল হবে আরো উলটো, তাতে আবারো প্রমান হয়ে যাবে যে এক শ্রেনীর ছদ্ম মানবতাবাদীর কলম থেকে এক মালালা অশিক্ষিত তালেবানদের হাতে আহত হলে আগুন ঝরে আর ১০০ প্যালেষ্টাইনী শিশুর রক্তাক্ত লাশ দেখেও তাদের কোন বিকার ঘটে না। কিছু কথার তেমন অর্থ বা সংশ্লিষ্টতা আমি অন্তত পাচ্ছি না, নেহায়েতই মনে হয়েছে অতি আবেগ আর অতীতের ক্যাঁচালের জের।
– ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ অবশ্যই অত্যন্ত খারাপ কিছু হতেই হবে এমন কথা আমি অন্তত কোনদিন বলিনি। খারাপ হতে পারে তখনই যখন সে জাতীয়তাবোধের শিক্ষায় অন্য ধর্মবোধের জাতির অধিকার অস্বীকার করা হয় তখন। সেটা শুধু ধর্মীয় নয়, বর্নভিত্তিক কিংবা ভৌগলিক বা ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবোধ ভিত্তিকও হতে পারে, বর্তমান বিশ্বের নানান যায়গায় সেসবও ঘটছে। আলোচিত অংশের মাঝে ইজরায়েলী বা ইহুদী জাতীয়তাবোধের খারাপ কিছু আমি অন্তত দেখি না। কেউ বিপদে পড়লে তাকে উদ্ধার করার মাঝে আপত্তিজনক ঠিক কি হতে পারে বুঝি না। একজন কানাডিয়ান হিসেবে আমি বাংলাদেশে আজ বিপদে পড়লে কানাডা সরকারও যথাসাধ্য চেষ্টা করবে আমাকে উদ্ধার করতে। লেবানন থেকে ২০০৫ সালের দিকে কানাডা ৫০ হাজার দ্বৈত নাগরিককে উদ্ধার করে কিছুটা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল দেশে, কারন অনেকে যুক্তি তুলেছিল যে তারা সিটিজেন অফ কনভেনিয়েন্স। ইসরাঈল যদি এমন কিছু ধর্মের ভিত্তিতে করে তাতে আমার সমস্যা কি? অন্যের ক্ষতি যতক্ষন না করে তাহলেই হল। এর সাথে সুইসাইড বোম্বার ইস্যু কিংবা সুইসাইড বোম্বার কেন হয় তার সম্পর্ক কোথায়? মোসাদ মামা ইসরাঈলীরা কি বিপদে পড়া ইহুদীকে সুইসাইড বোমা ফাটিয়ে নিয়ে যায়?
এই ইসরাইল প্যালেষ্টাইন ইস্যু নিয়ে ভেবে আমি একেবারে সলিড কোন ষ্ট্যান্ড নিতে পারি না, তার মানে অবশ্যই এই না যে ইসরাইল যেভাবে তার নিরাপত্তা রক্ষার দোহাই দিয়ে যা করে আসছে তার সমর্থন দিচ্ছি। কারন ব্যাখ্যা করছি নীচে। এই ধরনের হামলা পালটা হামলা ঘটে আসছে বহু বছর ধরে, প্রত্যেক পক্ষের দাবী তারা আক্রমনকারী নয়, অপর পক্ষই হামলাকারী সুতরাং তারাই দায়ী। ২০০০ সালে ঘটেছে, সে সময় একটি ছবি খুব আলোড়ন তুলেছিল, ইসরায়েলী সৈন্যের গুলি থেকে বাঁচাতে এক প্যালেষ্টাইনী বাবা তার ছেলেকে দেওয়ালের আড়ালে রক্ষা করার চেষ্টা করছে, সৈন্য দেখে শুনেও গুলি করে বাচ্চাকে মেরে ফেলল। সে ছবি দেখে ক্লিন্টন সাহেবও আই এম মুভড মন্তব্য করেছিলেন। সে সময় আমরা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের মসুলমান ছাত্ররা আমেরিকান ছেলেদের ডেকে ডেকে সেসব ইসরাঈলী নৃশংসতার ছবি দেখাতাম। সে সময় আমি একদিন একটু কঠিন নাড়া খাই, অন্তত বুজতে চেষ্টা করা শুরু করি যে অপরপক্ষেরও কিছু বলার থাকলেও থাকতে পারে, তার আগ পর্যন্ত আমার সেটাও কোনদিন মনে হয়নি। এক আমেরিকান ছেলে আমার পাঠানো ছবিগুলি দেখল, দূঃখ প্রকাশ করল, তারপর আমাকে কিছু ছবি দেখালো প্যালেষ্টাইনী সুইসাইড বোম্বার জাতীয় হামলায় নিহত ইসরাঈলী সিভিলিয়ানদের রক্তাক্ত লাশের।
২০০৮ সালেও ঘটল, রকেট হামলা পালটা রকেট হামলা……এবারো তাই ঘটছে। কথা হল দায়ী কে? আরো গুরুত্বপূর্ন মনে হয় দায়ী করা হবে ঠিক কিসের ভিত্তিতে? এ বিষয়ে পরে আসছি। আমি আসলে এখানে অনেকটাই বিভ্রান্ত, মিডিয়ার কল্যানে হতে পারে, নিজের কম জানার কারনেও হতে পারে।
অন্য কোন বিবেচনা না টেনে বিশুদ্ধ মানবতার বিচারে বর্তমান নিরপেক্ষ চোখের বিচারে ইসরাইল অবশ্যই অপরাধী, এর মূল কারন সম্ভবত বডি কাউন্ট। কারন হামাস রকেট হামলা চালালেও সে রকেটে ইসরাঈলী ক্ষয়ক্ষতি/প্রানহানী প্যালেষ্টাইনী পক্ষের তূলনায় অনেক কম। কোন ভাবে যদি এই সমীকরন উলটে যেত তাহলে কিন্তু মানবতার বিচারের রায়ও অনেকটা পালটে যেত। অনেকের এই লাইনে শুনতে ভাল লাগবে না জানি, তবে আমি যতটা বুঝেছি এ ক্ষেত্রে ইসরাইল সুবিধে পাচ্ছে উন্নত টেকনোলজির, তারা আগে থেকে যেসব এলাকায় হামাসের রকেট হামলা হবে সে সব এলাকা খালি করেছে দ্রুততার সাথে। যেমন একটি খালি করা স্কুলে রকেট পড়েছে, সেটি খালি করা না হলে বেশ কিছু ইসরাইলী শিশুও অবশ্যই মারা যেতে পারত। প্যালেষ্টাইনীদের গোয়েন্দা ব্যাবস্থা ইসরাঈলের মত অত্যাধুনিক নিশ্চয়ই নয়, তাদের এফ-১৬ জাতীয় কিছুও নেই, কিছু রকেট জাতের অস্ত্রই ভরসা যা কেবল নিজেদের এলাকা থেকে আল টপকা মারতে মারে। আগে থেকে সিভিলিয়ান এলাকা খালি করার মত কৌশলও ইসরাইলের মত তাদের নেই। ফলাফল যা হবার তাই, তাদের পক্ষে নিহতও হচ্ছে বেশী, তারা মারতে পারছেও কম।
এটা ইসরাঈলী নৃশংসতার কোন এক্সিউজ নয় আশা করি বুঝবেন। একই কথা প্যালেষ্টাইনীদের হাতে ইসরাইলি সিভিলিয়ান শিশু বেশী নিহত হলে সেক্ষেত্রেও বলতে হত।
– আগেই বলেছি যে এই পয়েন্ট হল আলোচনার কি পয়েন্ট যাতে আমি পুরোই বিভ্রান্ত। ইসরায়েলী আগ্রাসান বলতে আমরা ঠিক কি বোঝাব? মানে এই নভেম্বর মাসে কোন পক্ষ শুরু করেছিল সেটা?
নাকি ইসরাইলের জন্মকেই আমরা আগ্রাসন ধরে নেব? আমার মনে হয় এটা পরিষ্কার করা উচিত। ‘৪৮ সালের ইসরাইল প্রতিষ্ঠাই যদি না কেউ না মানে তবে তার কাছে কোন রকম উষ্কানি ছাড়া বর্তমান ইসরাইলে যে কোন রকম হামলা চালানো সম্পূর্ন জায়েয। ইসরাইলের আগে থেকে হামলা চালাতে হবে নট নেসেসারি। সেক্ষেত্রে তেমন আলোচনা বা বিভ্রান্তির কিছু থাকে না। আমার মনে হয় এক বড় সংখ্যক লোকে ইসরাইলের অস্তিত্বই মানসিকভাবে মেনে নিতে প্রস্তুত নন।
আর যদি অন্তত ইসরাইলের অস্তিত্ব মেনে নেন তবে আলোচনা বা বিতর্ক হতে পারে এবারের এই রক্তক্ষয়ি সঙ্ঘর্ষের শুরুটা করেছিল ঠিক কোন পক্ষ? আপনার দাবীমত বিবিসি বা পশ্চীমা মিডিয়াদের দাবী করা হামাস আগে হামলা করেছে এই দাবী মিথ্যা, প্রথম হামলাকারি আসলে ইসরাইল। হামাস কেবল আত্মরক্ষাকারী। এই দাবীতেও আমি বেশ বিভ্রান্ত। আপনার দেওয়া প্যালেষ্টাইনী মানবাধিকার সংস্থার দাবী অবশ্যই মিথ্যা নয়। সেটা মেনে নিয়েও কিন্তু দেখা যায় যে হামাসের আক্রমন ইসরাঈলের ওপর নভেম্বর কেন তার আগেও হয়ে আসছে। এখানে দেখুন ২০১২ সালের খতিয়ান। ইসরাঈলীরাও নিশ্চয়ই বসে থাকেনি, তারাও হামলাবাজি করেছে। আমি সেই হিসেবে দেখছি সিজ ফায়ারও হয়েছে, আবারো সেটা ভংগ করে হামলা চলেছে। কথা হল আমরা ঠিক কোন পয়েন্ট থেকে কাউন্ট ডাউন করব যাতে করে বলা যায় যে এই পক্ষই আসলে ক্যাঁচাল্টা শুরু করেছে? মূলত কি সেই ‘৪৮ সালের ইসরাইল সৃষ্টির প্রশ্নেই ফিরে যেতে হবে?
আশা করি এই প্রশ্নটা নিরপেক্ষ এবং যৌক্তিক দৃষ্টিতে দেবেন, আপনার দৃষ্টিভংগী কি সেটা অবশ্যই আপনার স্বাধীনতা।
আমার নিজে কথা, নিজে আম পাবলিক হিসেবে যা বুঝি, কে হামলা আগে করেছে কার দায় বেশী, এসব এক্সিউজ খোঁজা বাদ দিয়ে এক সাথে হামলাবাজি বন্ধ কর, শান্তিচুক্তি কর যাতে এমন আর না হয়। বড় শক্তিকগুলার দায়িত্ব অবশ্যই বেশী, এক তরফা ভন্ডামি না করে উচিত নিরপেক্ষ বাহিনী সীমান্তে নিয়োগ করা অন্তত একটা উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য যারা দুই পক্ষের যারাই গোলমাল করে তাদের ঠ্যাংগায়।
@আদিল মাহমুদ,
যেই সমস্ত ভন্ড মানবতাবাদীরা একজায়গায় মানবতা লংঘন দেখলে হাউকাউ শুরু করে(যেইটা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবেই পরিকল্পিত একটা নাটক। বর্তমান আগ্রাসনে মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্য শুনছে তো?) আর অন্য জায়গায় নিজের ইমেজ রক্ষা করতে কিংবা ইগো সমস্যার কারনে চুপচাপ থাকে তারা আমার পোষ্টে আসল কি না আসল না তাইতে আসলে কারোরই কিছু আসে যায় না। আমি মনে করি যেইটা সত্য সেইটা যেই বলুক, তার সাথে গলা মিলাইতে হইব।
ধরে নিতেছি আপনি মনে করছেন আপনার বর্তমান সিরিজের কথা মাথায় রাইখাই আমি এই কথা বলছি(যেহেতু স্পেসিফিকভাবে আপনার কথা বলতেছেন)। আমি আসলে সময় কইরা এখনও আপনার সিরিজটা পড়তেই পারি নাই। সময়ের জন্য এমন কি এই পোষ্টে মন্তব্যগুলাও একসাথে করতে পারতেছি না। যার জন্য সিরিজে আপনার বক্তব্য সম্পর্কে আমি সম্পূর্নই অজ্ঞ। আমি বলছিলাম, বর্তমানে ইসলামের সমালোচনার নামে যেমনে মুসলমানগোরে পাদ মারলে এটম বোমা ফাটানোর দোষ দেওয়া হইতাছে সেই থিওরী মাথায় রাইখা। আপনি মুক্তমনার দিকপাল ইসলামী গবেষকগোর লেখাই একটু পইড়া দেখেন না, দেখবেন কেমনে দুনিয়ার সমস্ত সমস্যার মূলে ইসলাম আর মুসলমান প্রমান কইরা ফেলতেছে।
ধর্মীয় জাতিয়তাবোধ ভালো কি খারাপ ঐ বিশ্লেষনেই আমি যাইতে চাই নাই আসলে। আমি খালি একটা উদাহরনই দিয়া দেখাইতে চেষ্টা করলাম শুধু। মিলিটারি ডিক্টেটরের আন্ডারেও দেশের উন্নতি সম্ভব। অন্তত সম্ভাবিলিটি আছে। নাই এইটাতো বলা যায় না। আমার মূল বক্তব্য ছিল, যদি খারাপই হয় তাইলে বর্তমানে উন্নতির শিখর ছাড়াইয়া যাওয়া ইজরায়েল কেমনে ধর্মীয় জাতিয়তাবোধের মাধ্যমেই টিক্কা আছে যেইটা এই গবেষকদের চক্ষুতে খারাপ লাগতেছে না? এমন কি বর্তমানে চলতে থাকা আগ্রাসনরেও দেখেন ইতিমধ্যেই সমর্থন দিয়া ফেলাইছে কয়েকজনে।
এই পোস্টে আদিল ভাই এইটা বাদ দেই, কথা দিতেছি এইটা নিয়া ভবিষ্যতে তুমুল আলোচনা হইল।
পরের কথার মূল বক্তব্য যেহেতু একই, আলাদা ভাবে কোট না করেই বলি। বা খুবই সংক্ষেপেই বলি। বর্তমানের কনফ্লিক্টে ইজরায়েলের জন্ম নিয়া আলোচনা যদিও বাদও দেই তারপরেও ফিলিস্তিনিগোর উপরে আম্রিকা আর ইজরায়েলের যা করছে তার জন্যই ইজরায়েল দেশরে উড়াইয়া দেওয়ার মতন যথেষ্ট যুক্তি আছে। কিন্তু ঐটাতো আর মোটেই বাস্তব কোন সমাধান না। আপনি জেনেভা চুক্তির প্রস্তাবনাগুলা একটু পইড়া দেখেন। আমার মতে এইটাই সবচাইতে যৌক্তিক বাস্তব সমাধান। তারপরে আপনি আপনার মতামত বলেন। আলোচনা করা যাইব।
@সাইফুল ইসলাম,
– এই ধরনের মানসিকতা কেউ দেখালে তাকে ভন্ড বলতেই হবে, না বলে কোন উপায় নাই। যদিও আমি এই মুর্হুতে এটাকে কতটা নাটক বলা যেতে পারে (যে পক্ষেরই রচনা হোক) সে নিয়ে আলোচনা বা সেটাকে বড় করে দেখতেও চাই না। এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় বিবেচনা ছিল নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে অবোধ শিশুরা নির্মম ভাবে নিহত হচ্ছে। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক, এটা সমগ্র মানব সভ্যতার কলংক। বন্ধ করার পরে বিবেচনা করা যাবে কার দোষ কোথায় কতটুকু ছিল, কিভাবে ভবিষ্যতে যেন আর এমন না ঘটে সেসবের উপায়। এ মুহুর্তে কার দোষ কতটা, কে আগে হামলা করেছে এসব নিয়ে বিতর্ক চালাতে থাকলে এর কোন শেষ হবে না, অন্য কথায় হত্যাযজ্ঞ চলতেই থাকবে।
আপনার তাদের কথা মাথায় রেখে (আমিও আছি কিনা কে জানে) উচিত ছিল ফাদ পাতা, মানে এই জাতীয় উক্তি না করা, তারা তো এখন এখানে পদধূলি না রাখার পক্ষে আপনার উষ্কানিমূলক কথার ছূতা দিতেই পারে 🙂 ।
– ঠিক তা নয়। আপনি আমার কথা মাথায় রেখে এমন বলেছেন আমার মনে হয় নি। তবে আপনার কথাঊ সুইসাইড বোম্বার ঘটিত কিছু ব্যাপার আছে, যেগুলি আলোচনা করতে গেলে ইসলামী ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার কথা এসেই পড়ে। আমি নিজে সেই ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার সমালোচনা অবশ্যই করি কারন আমি যে দেশে জন্ম নিয়েছিলাম সেই দেশের জন্মের বিরুদ্ধে এই জাতীয়তাবোধ ‘৭১ সালে কাজ করেছে, আজকের দিনেও দেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে, সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই জাতীয়তাবোধকে এক হুমকি হিসেবে এর ধারক বাহকরা ইমোশনাল ব্ল্যাক মেল হিসেবে ব্যাবহার করছে, এর আড়ালে ঘাতক দালাল রাজাকার গোছের বেইল পেয়ে পেয়ে ধর্মগুরু বনে যাচ্ছে। আমেরিকায় বোমা ফুটলে আমি অত বিচলিত হই না। ধর্মভিত্তিক জাতীয়তা এখনো সব ধর্মের লোকের ভেতরেই কম বেশী আছে, সব সময় এটা খারাপ হবে তা নয়। আমাদের রামুতে বৌদ্ধদের ওপর হামলা হয়েছে, এখন জাপানী বৌদ্ধরা যদি এর জের ধরে সেখানকার মুসলমানদের ওপর হামলা শুরু করে কিংবা তাদের ছেলেপিলের স্কুলে শেখায় মুসলমানরা তোমাদের জাতিগত ভাবে শত্রু তবে অবশ্যই সেটা নিন্দনীয়।
আপনার উদাহরনটা আসলে তেমন জুতের হয়নি। আপনার কথায় শক্ত যুক্তি আছে মানা যেত যদি দেখাতে পারতেন যে হামাসের হামলার (হতে পারে নাটক) জের ধরে ইসরাইল আমেরিকায় বসবাসরত মুসলমানদের ওপর হামলার উষ্কানি দিচ্ছে, কিংবা বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর হামলা করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এমন। এ মুহুর্তে হাওয়ার বিরুদ্ধেও বলতে হয় যে তাদের নিজেদের দেশেরই কিন্তু বড় সংখ্যক নাগরিক মুসলমান, তাদের ওপর জাতিগতভাবে ইসরায়েল সরকার বা ইহুদীরা অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে এমন তথ্য প্রমান কিন্তু সচরাচর দেখা যায় না। তাদের নিজেদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভালই আছে। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশেও কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দিনে দুপুরে হজম করে ফেলার আইন সরকারী আইন হিসেবে অর্ধ শতাব্দী ধরে আছে, কেউ তেমন প্রতিবাদ করেনি। কাজেই আমার বিবেচনায় ইসরায়েল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার ভিত্তিতে টিকে থাকলেও সেটা তাদের এক নম্বর শত্রু বলে ধর্মীয় জাতীয়তা হিসেবে যাদের ধরা যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করছে না। তাদের ক্যাঁচাল প্যালেষ্টাইনী এবং তত সংশ্লিষ্টদের সাথে, বিশ্বব্যাপী বা তাদের নিজেদের দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধেও নয়। এ কারনেই আমি তাদের ধর্মভিত্তিক জাতীয়তায় সমস্যা আপাতত দেখছি না।
ইসরায়েল ধর্মীয় জাতীয়তাবোধের ওপর টিকে থাকলেও কিন্তু খুব ভাল আছে তা নয়। ভবিষ্যতে তুমুল আলোচনা মনে হয় ভালই জমবে।
– কথাটা সত্য। শান্তিচুক্তি ফুক্তি যাইই হোক, যার নিরীহ শিশু বর্বর হামলায় মারা গেছে তার কাছে সেসবের মূল্য শূন্য। তার আবেগের কোন ক্ষতিপূরন কোন চুক্তি কিংবা জাগতিক কিছু দিয়ে হয় না।
তবে যাইই বলেন, ইসরায়েলের জন্ম আদৌ মানেন কি না এই মৌলিক প্রশ্ন এড়িয়ে কিন্তু মূল সমাধান কোনদিন সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সুষ্পষ্ট দৃষ্টিভংগী অবশ্যই থাকতে হবে। নইলে এর সুযোগ ইসরায়েলই আরো বেশী নেবে, প্যালেষ্টাইনীদেরই ক্ষতিটা হবে বেশী। জগতে বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতে কম বেশী অন্যায় সকলেই কিছু না কিছু মানি। আমি তাই ইসরায়েলের জন্ম বাস্তবতার বিবেচনায় মেনে নিয়ে সেখান থেকেই সমাধানের পক্ষপাতি।
জেনেভা প্রস্তাব পরে পড়ে দেখব।
@আদিল মাহমুদ,
ইজরায়েলের জন্ম যৌক্তিকভাবে হইছে এইটা মানি আর না মানি, একটা জাতিগোষ্ঠি যে ঐখানে আছে এইটা তো আর না মানার কোন কারন নাই। ঐ বিশেষ জাতিগোষ্ঠি একটা নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড আরেক জাতিগোষ্ঠির কাছ থিকা জোরপূর্বক নিয়া নিছে। আজকে ইজরায়েল যেমন করতেছে এইটা যদি ইজরায়েলের সাথে করে কেউ তাইলে পরে ঐটা শুধু সহিংসতারই জন্ম দিবো। কোন সমাধান হইব না। এই জন্যই আপনারে জেনেভা চুক্তিটা দেখতে বলছিলাম। আমার কাছে বেশ ফেয়ার মনে হইছে, এইটার আন্তর্জাতিক সমর্থনও আছে। নাই খালি আম্রিকা আর ইজরায়েলের। কিছু কিছু ফিলিস্তিনিও সমর্থন করে না। কিন্তু এইটাই সমাধানের সবচাইতে যৌক্তিক পথ। ইয়াসির আরাফাত এইটারে স্বাগতম জানাইছিল।
@সাইফুল ইসলাম,
পড়ে দেখব অবশ্যই।
আরাফাত চাচা আর র্যাবিন তো ভাবছিলাম ‘৯৪ সালেই সুরাহা করে ফেলল। কিন্তু কিসের কি। মনে হয় এই সমস্যা কেয়ামত তক থাকবে।
দুনিয়ায় এখনো গায়ের জোর যার তারই মূলুক।
@সাইফুল ইসলাম,
” আপনি মুক্তমনার দিকপাল ইসলামী গবেষকগোর লেখাই একটু পইড়া দেখেন না, দেখবেন কেমনে দুনিয়ার সমস্ত সমস্যার মূলে ইসলাম আর মুসলমান প্রমান কইরা ফেলতেছে”
”মিলিটারি ডিক্টেটরের আন্ডারেও দেশের উন্নতি সম্ভব”
এইবার আপনার মানসিকতার পরিচয় একটু পাওয়া গেল।বাংলাদেশেও কারা কারা যেন একই মত প্রচার করে
@আদিল মাহমুদ,
অনেকেই একে বাইবেলিয় কাজিনদের ঝগড়া-ফ্যাসাদ হিসেবে দেখে, উর্বর মৌলবাদের উল্লম্ফন দুদিকেই, তবু কিছু কিছু বিষয় থাকে, যেমন, এই নিউজটি।
সলিড স্ট্যান্ড কখনো কখনো খুব সহজ হয়ে যায় বৈকি!
@কাজি মামুন,
সলিড ষ্ট্যান্ড মানে কিন্তু অন্য কিছু হতে পারে, আগেই কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি। আমি সলিড ষ্ট্যান্ড মানে বুঝি যে কার দোষ আগে অর্থাৎ ক্যাঁচালের জন্য দায়ী করা যায় কাকে সেটা বিচার করতে গেলে ঠিক করা দরকার যে ঠিক কোন সময় থেকে আমরা এটা বিবেচনা শুরু করব।
আপনি যদি ইসরাইলের জন্ম অন্যায়, (যেটা অবশ্যই সত্য) সেই ষ্ট্যান্ড ধরে বসে থাকেন তবে সলিড ষ্ট্যান্ড এর কোন প্রশ্ন আর থাকে না। অত্যন্ত পরিষ্কার, ইসরাঈলের জন্ম হয়েছে অন্যায় করে, কাজেই এর অস্তিত্ব মানা যাবে না, যাদের অস্তিত্বই মানি না তাদের সাথে কোন রকমের চুক্তি ফুক্তি এসবেরও কথা আসে না। একজন বাস্তুচ্যূত প্যালেষ্টাইনী এই ষ্ট্যান্ড নিয়ে থাকলে আমি তাকে কোনমতেই দোষ দিতে পারি না। এই অবস্থান যার তার কাছে কিন্তু এবারের ক্যাঁচাল ইসরাইল শুরু করেছে এমন তথ্য প্রমানের কোন দরকার নেই। আছে কি? সেক্ষেত্রে এমনকি এবারকার নেগোসিয়শনও কিন্তু অর্থহীন। আবারো বছর কয়েক এমনকি হয়ত সামনের বছরই সেই একই ঘটনা ঘটতে থাকবে। এর কোন শেষ আমি অন্তত দেখি না।
আরাফাত ইসরাইলের অস্তিত্ব মেনেই ‘৯৪ সালে শান্তিচুক্তি করেছিলেন। তিক্ততা শেষ হয়ে সেখান থেকে নুতন দিনের শুরু হলেও হতে পারত। হল না। কেন হচ্ছে না? আসলে কি মোটা দাগে দুই পক্ষের কেউই শান্তিচুক্তি চায়নি বা চায় না? নাকি কোন এক পক্ষই চায় না? আমি প্যালেষ্টাইনীদের এক তরফা ইংগিত করছি না। ইসরাইল ‘৪৮ সালেও ইউএনের যেসব শর্ত মেনে ইসরাইল গঠন করা হবে আশ্বাস দিয়েছিল তারও বেশ কিছু শর্ত মানেনি। ‘৬৭ সালের অধিকৃত এলাকাও পরে নানান ছূতায় বাড়িয়েছে। প্যালেষ্টাইনী তরফ থেকেও ছোট থেকে মাঝারি আল টপকা হামলাবাজি চলেই আসছে।
যদি ইসরাইলের জন্ম অন্যায় হলেও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে মেনে নেন তাহলে এই মাসের রক্তাক্ত পরিস্থিতি কারা শুরু করল সে প্রশ্ন আসা যুক্তিসংগত। সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তথ্য মিডিয়ার রিপোর্ট এনালাইসিস করে দেখতে হবে কারা অশান্তিটা শুরু করল। মিডিয়া পশ্চীমা ইনফ্লুয়েন্স থাকা সত্ত্বেও আজকের দিনে সত্য বার করা খুব একটা কষ্টকর নয়। আর যদি ইসরাইলের অস্তিত্বই প্রথমে না মানার ষ্ট্যান্ড নেন তবে হামাস প্রথম আক্রমনকারী হলেও হামাসের দোষ নিশ্চয়ই দেবেন না। এ কথাই সাইফুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তার ষ্ট্যান্ডটা ঠিক কোথায়। সে মিডিয়া রিপোর্ট দিয়ে দেখাচ্ছিল যে আক্রমন হামাস নয়, শুরু করেছিল ইসরাইলিরাই। তার মানে সম্ভবত হামাস আগে আক্রমন করলে তাতে তার সায় থাকত না, অন্য কথায় ইসরাইলের অস্তিত্ব সে মেনে নিতে রাজী? আমি এতেই বিভ্রান্ত হয়েছি অনেক বেশী, কারন মিডিয়ার বহু রিপোর্ট আছে যে ইসরাইলে হামলা এ বছর নভেম্বরই শুধু নয়, আরো অনেক থেকেই হচ্ছে। ইসরাইলিরাও অধিকৃত এলাকায় নিত্যই পেটাপেটি, গায়ের জোর দেখানো করে আসছে। গায়ের জোরে, অর্থবিত্তে টেকনোলজিতে অনেক শক্তিশালী বলে ইসরাইলীদেরই কোর্টে বল থাকছে। কিন্তু রাজনৈতিক দায় এর প্রশ্ন খুব সহজ নয়।
মৌলিক মানবিক অধিকার বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় কার দায় দেব সেটা আমি ঠিক কোন সময় থেকে বিবেচনা করব তার একটা সময় সীমা তো লাগবে। সেটা কি এই নভেম্বর মাস, নাকি এই বছর, নাকি ‘৯৪, ‘৬৭, ‘৪৮, নাকি ১৪০০ বছর কিংবা তারো আগ থেকে?
সলিড ষ্ট্যান্ড নেওয়ার সমস্যা মনে হয় আমার একার না, আরো অনেকেরই আছে। এই মৌলিক প্রশ্নে অষ্পষ্টতা রেখে আদৌ কোন সমাধানে আসা কোনদিন সম্ভব? আর মাঝখান থেকে তৃতীয় চথুর্ত বহু পক্ষ যোগ দিয়ে জল আরো অনেক ঘোলা করছে, ধর্মীয় উন্মাদনাও যোগ হচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ, চমৎকার ! আপনি একবারে আসল জায়গায় হাত দিসেন ! (Y)
@অচেনা,দারুন বলেছেন।
মৌসুমী ধার্মিকরা যেমন কোরবানী বা শবে বরাত এর নামাজ খুব উতসাহ নিয়ে পড়ে মুসলমান পরিচয় ধরে রাখে ,তেমনি মৌসুমী মানবতাবাদীদের জন্য ব্যবস্থা হচ্ছে ইস্রাইল প্রসংগ ।গালাগালির সবচে সেইফ জায়গা এটা ।সবাই সহজেই একমত হবে ,কেউ কোন রেফারেন্স চাইবে না ।ফেসবুক ও ব্লগে ইস্রাইলবিরোধী মানবতাবাদীদের প্রোফাইলে ঘুরলে দেখবেন এরা অন্যকোন মুসলিম নির্যাতন (যেমন কুর্দি বা সিরিয়া) এর ব্যাপারে নিশ্চুপ ।শুধু রোহিংগা আর ইস্রাইল এলেই তারা নড়েচড়ে বসে ।এমন আচরণ দেখলে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করা ছাড়া উপায় থাকে না ।
@মনিরুল ইসলাম,
এই দেহি আরেকটা। একই মাল, দুই প্যাকেট।
@সাইফুল ইসলাম,
তাই নাকি ? আপনার মত চাইনীজ মাল না অন্তত ।
@মনিরুল ইসলাম,
আফনে আম্রিকান মাল। খুশি অইছেন? এইবার আমারে ক্ষ্যমা দেন। অন্যান্য যেসব ইসলামী গবেষক মুসলমান লইয়া গো-এষনায় ব্যাস্ত হেগোর ঐহানে যান।
@সাইফুল ইসলাম,
কিছুই তো বুঝলাম না!
আসলে কি জানেন,একতরফা ইসরায়েলের সমালোচনা আজকে একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।মুসলিম, মুক্ত মনের অধিকারী কিছু মানুষ কেউ বাদ যাচ্ছে না। আগেও এখানে এরকম একটা লেখা পরেছিলাম কিন্তু এই লেখাটা বড়ই একপেশে।
আরো একটু ভেবেচিন্তে প্রমান সহকারে এই জিনিসগুলি লেখার দরকার যদিও আমরা সেটা করিনা কারন আমেরিকার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে মুক্ত মনের অধিকারী কিছু মানুষ প্রমান চাইতে পারে, কিন্তু ইসরায়েল এর বিরুদ্ধে কিছু লিখলে কোন প্রমাণের দরকার হয় না। এগুলো হটকেক। যেহেতু ইহুদীরা শুওরের বংশ আর বেজন্মা কাজেই ওরা এমন করবে না তো কারা করবে এবং ভাল কিছু ওদের দ্বারা সম্ভব না এইসব এই ধারনা থেকেই মানুষ এসব কথাবার্তা মোটামুটি গিলবে, এমনকি পরকিয়া প্রেমের খবর মনে হয় না মানুষ এত আনন্দ নিয়ে খায়।কিন্তু কেউ ভেবেও দেখেনা যে এর উল্টোটাও হতে পারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই,এমনও হতে পারে যে ইসরায়েল ক্রমাগত রকেট হামলার শিকার হয়ে বাধ্য হয়েই আত্মরক্ষার পথ বেছে নিতে হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালায়,আর হামাস সাধারণ জনতাকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে।তাহলে মানবতা কি? সোজা কথায় সব সন্ত্রাসী মিলে ইসরায়েলে প্রচণ্ড আত্মঘাতি হামলা শুরু করুক আর ইসরায়েল মানবতার খাতিরে সেগুলোর বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন না নিয়ে চুপচাপ বসে থেকে মুখবুঝে সহ্য করুক আর তারপর মানব দরদী জাতিসংঘ বার বার হামাসের আক্রমনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করুক।আর হামাস বলতে থাকুক যে ইহুদী হারামীদের প্রতি হামলা চলতেই থাকবে, এটা জিহাদ।আর ইসরায়েলকে চুপ থাকতে হবে তাদের মানুষ কে তারা বাচাতে পারবে না, কারন এতে যে হামাস কে আক্রমণ করতে গিয়ে ফিলিস্তিনিরা মারা যায় যদিও হামাসই ফিলিস্তিনের লোকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে,তাই প্রতিরোধ করতে গেলেতো মানুষ মারা যাবে।আর তাহলে নিজেদের দেশের মানুশদের কিভাবে বাচাবে ইসরায়েল? না ইসরায়েলের মানুষ রা মানুষ না, এরা হল ইহুদী, এরা হল শুওরের জাত, তাই এই শুওরের জাত কে মার খেতেই হবে তবে হা এদেরও কিছু টা করুণা করতে পারে ফিলিস্তিন সহ অন্যরা, এর শর্ত হল, দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যাও মুসলিমদের দেশ পুরোটাই মুসলিম দের দিয়ে দাও, সমস্যা নেই আর কেউ গ্যাস চেম্বারে পোড়াবে না। আর পোড়ালেই বা কি যেহেতু ইহুদীরা আদৌ মানুষ না কাজেই তারা বাচলেই কি আর মরলেই বা কি?বরং মরে যাওয়াই ভাল। এতে সুবিধা জনসংখ্যা কমবে, আর দুনিয়াতে জান্নাতী সুবাতাস বইবে।আমীন সুম্মা আমীন।
সুতরাং আমি ইহুদী এটাই আমার অপরাধ, আমাকে কোরবানি দাও আর অশেষ নেকি হাসিল কর, আর জারা এই কথার বিরোধীতারা আমাদের ভিক্ষা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখ, অথবা সাইবেরিয়া তে পাঠাও আমরা কাজ করে খাই, আর মার্ক্স ,লেনিনের জয়গান করি।
মুসলিমদের তো আর গ্যাস চেম্বারে দেয়া হয়নি, কাজেই মোসাদ যদি এখন সব দেশের ইহুদীদের ধরে ইসরায়েলে নেয় তাতে সমস্যা কি?ইসরায়েল তো ইহুদীদের একটা আশ্রয় হিসাবেই
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নাকি? অন্যদেশে তো মুসলিম দেশের সংখ্যা খুবই বেশি আর মুসলিম দের গলা কাটার সাহসও কারও নেই। আচ্ছা সাইফুল ইসলাম সাহেব, আপনি তো সমাজতন্ত্রী তাই না?আপনার কিছু মন্তব্য পড়ে আমার এমন্টাই মনে হয়েছে।তা সমাজতন্ত্রী হলেই কি রাশিয়ার কায়দায় ইসরায়েল বিদ্বেষী হতে হবে শুধুমাত্র আমেরিকা ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষক বলে?তা ভাই রাশিয়া যদি ঐ কাজটী করত তবে তো আর আমেরিকার লেজ ধরতে হত না ইসরায়েল কে, টিকে থাকার আশায়।সত্যি বলতে কি সমাজতন্ত্র আমারো বেশ পছন্দ।অবশ্যই আমারিকার পুজিবাদের থেকে এটা অনেক ভাল বলেই আমার মনে হয়। তবু মাঝে মাঝে কেন জানি গন্ধ লাগে, সমাজতন্ত্রীদের অন্য অনেক ক্ষেত্রে উদারতার পাশাপাশি এই মারাত্মক ইহুদী বিদ্বেষ দেখে।রাশিয়াও কি আজ তবে আমেরিকার পথ ধরে লাদেনের মত নতুন সন্ত্রাসী তৈরি করতে চায়?যারা হবে আগামী দিনের মুসলিম সন্ত্রাসী? তখন দেখবেন যে আজ যেমন আমেরিকা হন্যে হয়ে লাদেন বধে নেমেছিল, একদিন রাশিয়াকেও এই কাজ করতে হবে।সোভিয়েত ভেঙ্গে গেছে, কাগজে কলমে আজ হয়ত রাশিয়া আজ আর সমাজতন্ত্রী নয়, তবু হারানো গৌরব ভুলতে না পেরেই মনে হয় এরা অন্ধ ভাবে মুসলিম দেশগুলোর সমর্থক সাজে শুধুই আমেরিকাকে এক হাত নেয়ার জন্য।
@অচেনা,
আশ্চর্য লাগছে, আমাদের বাংলাদেশের সাইফুল ভাই, হামলার ঘটনাগুলো সম্পর্কে এত নিশ্চিত হলেন কি করে? এগুলো বানানো নয় তো? মিডিয়ার কথা এভাবে পুরো বিশ্বাস করা উচিত? আমরা তো এখন শিখেছি, মিডিয়ায় কোন সংবাদ দেখলেই তার তালে নেচে উঠতে হয় না, খবর দেখে মনে কোন ক্ষোভ জমা হলেও তা নিয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে হয় না, বরং ঘটনার পেছনে আসলে কে দায়ী তা বের করার জন্য শ্রমসাধ্য গবেষনা ও ব্যাপক অনুসন্ধান করতে হয়। মনে হয়, আপনার কথাই ঠিক, ইসরায়েলী হামলার খবর আসলে অনুসন্ধানের প্রয়োজনই হয়ত নেই (কে না জানে, চেনা বামুনের পৈতা লাগে না), কিন্তু তালেবানী হামলার সত্যতা যাচাই করে নেয়ার আবশ্যকতা অনস্বীকার্য!
ইসরায়েলের চুপ থাকা বলতে কি বোঝাচ্ছেন? ইসরায়েল রকেট হামলা না করলে যে বাকী সময়টা চুপ থাকে, তা আপনাকে কে বলল? ইসরায়েল সেটলমেন্ট কি বন্ধ থাকে কখনো? আর তাছাড়া, দৈনন্দিন ইসরাইলি ফোর্সের হাতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের যে নিগৃহিত হবার ঘটনা ঘটে, তাকে আপনি চুপ করে থাকা বলবেন? আপনি বোধহয় জানেন না, ফিলিস্তিন কিন্তু স্বাধীন না, ইসরায়েল সার্বক্ষনিক সেখানে মিলিটারি কর্তৃত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের অবস্থার কিছু মিল পাওয়া যেতে পারে ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরিদের সাথে। তবে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা কাশ্মিরিদেরও চেয়েও অনেক শোচনীয়।
বাস্তব হল, একটা বড় সংখ্যক মৌলবাদী মনোভাবাপন্ন মানুষ তেমনই মনে করেন। নীচে আদিল ভাই যেমনটা বলেছেন, ইসরায়েলিদের দেশ গঠনকেই যদি আমরা আগ্রাসন হিসেবে দেখি বা সব নস্টের গোঁড়া ভাবি, তা হলে আর বিতর্ক চলতে পারে না। তবে বেশিরভাগ মুক্তমনা মানুষই কিন্তু ইসরায়েলের অস্তিত্ব মেনে নিয়ে টু স্টেট সলিউশনকেই সর্বোত্তম মনে করেন, যার মূল প্রবক্তা চিলেন যুগান্তকারী চিন্তাবিদ এডওয়ার্ড সাঈদ, যিনি শান্তি চুক্তির কয়েক দশক আগেই ইসরাইলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, যা কিনা তখনকার বেশিরভাগ আরবীয় চিন্তাবিদ ও দার্শনিক স্বপ্নেও ভাবতেন না!
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ইসরাইল ইহুদিদের জন্যই প্রতিষ্ঠিত এবং ইহুদিদেরই দেশ ছিল। কিন্তু শুধু এই যুক্তিতেই কি ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে আবার হাজার বছর আগের ভূগোল ফিরিয়ে আনতে হবে? কতটা যুক্তিযুক্ত? আসলে এই যুক্তি ধোপে টিকে না, কারণ এই যুক্তিতে আমেরিকানদের উচ্ছেদ করে রেড ইন্ডিয়ানদের নিজেদের দেশ ফিরিয়ে দিতে হবে, অস্ট্রেলিয়ানদের উচ্ছেদ করে আদিবাদীদের তাদের জায়গা-জমি ফিরিয়ে দিতে হয়।
তবে হ্যা, আপনি যে গ্যাস চেম্বারের কথা বলেছেন, সেটা একটা যুক্তি হিসেবে অবশ্যই কাজ করেছিলেন জায়নাবাদ আন্দোলনের স্বপক্ষে বিশ্বব্যাপি জোরালো সমর্থনের পেছনে। দেখুন, ইহুদিরা কি সীমাহীন নীপিড়নের স্বীকার হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, আর তাদের একটা রাষ্ট্রের আন্দোলন তখন অনেকেই মানবিক দৃষ্টিতে দেখেছিল, এমনকি রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু ইহুদিরা যখন প্যালেস্টাইনে আসতে শুরু করে, তখন অব্যবহৃত জমিগুলোতেই তারা সেট্ল করত। আর এখন, প্রায় পুরো প্যালেস্টাইন তারা দখল করে নিয়েছে, এমনকি আশেপাশের আরব দেশগুলোর অনেক জায়গাও তাদের দখলে।
এখন আপনি বলুন, জার্মান কর্তৃক ইহুদি নির্যাতনের দায় আর কতকাল ভোগ করবে ফিলিস্তিনিরা? গ্যাস চেম্বারকে আর কতকাল যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হবে? এডওয়ার্ড সাঈদ এটাই বলতে চেয়েছেন। তাদের জায়গা সংকুচিত হতে হতে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এরপরও কি আপনি ইসরাইলের কোন দোষ দেখতে পান না?
@কাজি মামুন,
আমি কিন্তু বলিনি যে ইসরায়েলের দোষ নেই। কিন্তু শুধু ইসরায়েলের ব্যপারটা নিয়েই কামড়াকামড়ি হয় খুবই বেশি,হামাস রকেট হামলা করলে শুধু নিন্দা করা হয়, কিন্তু মামুন ভাই আপনি জানেন যে শুধু নিন্দা করে বসে থাকলে ইসরায়েলের দফা রফা হয়ে যাবে। তাই আমি বিশ্বাস করি যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস রকেট হামলা বন্ধু করুক আরব দেশ গুলি ইসরায়েল কে স্বীকৃতি দিক। আশা করি এই ঝামেলা আর থাকবে না। তার পরেও যদি ইসরায়েল বিনা কারণে এমন করে তবে ত আর “ইস্রায়লের আত্ম রক্ষার অধিকার আছে এই যুক্তি খাটে না, যদি আগে থেকেই কেউ আক্রমণ না করার পরেও ইসরায়েল হামলা চালায়”
আমি শুধু এটাই বলতে চেয়েছি।কিন্তু শুধু একপেশে লেখা আর তা ইসরাইলের বিরুদ্ধে আর সেখানে প্রমাণের চেষ্টা করা হয় যে সব দোষ ইস্রায়েলের এতাই আমার আপত্তির কারন। ধন্যবাদ।
@অচেনা,
ইহুদীদের সম্পর্কে উপরের বিশেষণগুলো কিন্তু এখানে কেউ ব্যবহার করেন নি। এমনকি লেখকও ইহুদীদের সম্পরকে এমনটা ভেবে এই পোষ্টটা দিয়েছেন তা ভাবলে অত্যন্ত ভুল হবে। মন্তব্যকারীদের (আমি সহ) অনেকেই উত্তর আমেরিকায় থাকেন এবং খুবসম্ভব কর্মসূত্রে কোন না কোন ইহুদী ধর্মাবলম্বীকে চেনেন, জানেন। আমি মনে করি না এদের বেশীরভাগই ইহুদীদের সম্পর্কে কোন জেনফোবিয়ায় ভোগেন। এইতো গেল সপ্তাহে প্রথম আলোয় হিটলারের উপরে লেখা একটি রচনায় আমার আমার মন্তব্য ছিল এরকমঃ
আরও বলি, কেরিয়ার গড়ার জন্য আমার বাবার পরে যে মানুষটার কাছ থেকে সবচে’ বেশী সাহায্য পেয়েছি তিনি একজন ইহুদী এবং আমি তাঁকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি ও ভালবাসি। কিন্তু তারপরও আমি ইসরাইল প্যালেষ্টাইনীদের সাথে যা করছে তার সমালোচনা করি। বাপ-দাদার ভূমি থেকে উৎখাত করে প্যালেষ্টাইনীদের ক্যাম্পে পাঠানোয় মানবতার লঙ্ঘন হয়েছে, ইসরাইল অতিরিক্ত আরবভূমি দখল করে রেখে অন্যায় করছে আর দখল করা জায়গায় সেটেলমেণ্ট বাড়িয়ে তারা চাতুরী করছে। ইসরাইল একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র আর ধর্মভিত্তিক রাস্ট্রে বিধর্মীরা সবসময়ই অপাংতেয়।
আপনার ইসলাম/মুসলিম বিদ্বেষ এতই প্রবল যে আপনি একটি মানবিক সমস্যাকে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি লেখককে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন আপনার মন্তব্যেই যেন তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।
@মনজুর মুরশেদ,
কাজী মামুন কে আমি একটা উত্তর দিয়েছি। কষ্ট করে পড়ে নিয়েন।লেখক কি বলেছেন এটা বড় না। মুসলিম দের বৃহত্তর অংশ যে ইহুদীদের বেজন্মা আর শুওরের বাচ্চাই ভাবে এটা কি অস্বীকার করতে চান?আপনার হয়ত একটা সমঝোতার মানসিকতা আছে কিন্তু তাই বলে সবার সেটা থাকবে ভাবছেন কেন?
@অচেনা,
শুধু ‘মুসলিমদের বৃহত্তর অংশ’ কেন আমার পরিচিত অনেক অমুসলিমকেও ইহুদীদের বিভিন্ন বিশেষনে বিশেষায়িত করতে শুনি; কিন্তু আমার মন্তব্য ‘মুসলিমদের বৃহত্তর অংশ’ কি ভাবছে তা নিয়ে নয়। আপনার মন্তব্যের শুরুতে বলেছেন, ” ইসরায়েলের সমালোচনা আজকে একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।মুসলিম, মুক্ত মনের অধিকারী কিছু মানুষ কেউ বাদ যাচ্ছে না”। আমার মনে হয়েছে লেখকসহ অন্যান্য মন্তব্যকারী যারা ইসরাইলের সমালোচনা করছে আপনি তাদের সমালোচনাকে ফ্যাশন বলতে চাইছেন, আমার আপত্তি এখানেই। আমার ধারনা ভুল হলে এনিয়ে আলোচনার দরকার নেই।
কাজী মামুনকে লিখেছেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস রকেট হামলা বন্ধু করুক আরব দেশ গুলি ইসরায়েল কে স্বীকৃতি দিক। আশা করি এই ঝামেলা আর থাকবে না।” সত্যি কি বিষয়টি এত একতরফা? ইসরাইলকে কি করতে হবে সেটাও বলুন। তারা কি নিজেদের সীমানার বাইরে যে আরবভূমি দখল করে রেখেছে তা ফেরত দেবে? দখল করা জায়গায় নতুন সেটেলমেন্ট বন্ধ করবে? নাজী জার্মানীর ইহুদী নির্যাতনের দায় ফিলিস্তিনীদের কাঁধে ফেলা কতটা যুক্তিযুক্ত?
@অচেনা,
তাই নাকি?!!!!!
নিজেরে মুক্তমনা দাবী করা কেউ এমন ফ্যশন শো করতেছে আমারে একটু দেখান তো ভাই। আমি তো বরঞ্চ দেখতাছি আম্রিকারে দুনিয়ার স্বর্গ কওয়াডা একতা বাতিকে পরিনত হইছে।
একমুখে এত আবর্জনা আমি খুব কমই শুনছি। যেই ইজরায়েলের পেয়ারে আপনার বুক বিদির্ন হইয়া যাইতেছে ঐ ইজরায়েলের ফেবারে কোন রেফারেন্স না দিয়া এমনে ভালোবাসা উগরাইলে হইব? আপনার পেয়ারের ইজরায়েল কিন্তু আপনের লাহান এত আবর্জনা প্রসব করে না। হেরা হেগোর কাম কিন্তু ঠিকই কইরা যাইতাছে। আমি আমার লেখায় ক্রিস্টাল ক্লিয়ার এভিডেন্স, রেফারেন্স দিছি। পারলে ঐগুলার বিরুদ্ধে কিছু কন নইলে এই সমস্ত বালখিল্যতা পরিত্যাগ কইরা ম্যাচিউরিটির পথে হাটা শিখেন। ফাও প্যাচালে কারোরই লাভ নাই।
এইরম বিমল আনন্দ আপনে দিতে পারেন আগে কইবেন না??!!
ধরনী দ্বিধা হও, আমি ঢুইক্যা যাই। আল্লা রশি ফেলাও, আমি উইঠ্যা যাই।
@সাইফুল ইসলাম,
যেমন আপনি করছেন।আপনার কথাত সাথে কেউ দ্বিমত পোষণ করলেই আপনি যেভাবে আঞ্চলিক ভাষার সার্কাস শুরু করেন সেটা ফ্যাশন শোর থেকেও কিছুটা বেশি আনন্দ দায়ক।
আমার মনে হয় চোখের দোষ আছে তাই আমি দেখতে পাচ্ছি না। একটু যদি দয়া করে দেখিয়ে দিতেন। আসলে আমেরিকা মোটেও আমার পছন্দের বিষয় না।এজন্যেই মনে হয় চোখ এড়িয়ে গেছে এমনটাও হতে পারে।
শুনেন ইসরায়েলের জন্যে আমি ভালবাসা উগরাচ্ছি না,আমার বুক বিদির্নও হচ্ছে না।আপনি যখন একটা ইহুদী পত্রিকার বরাত দিলেন আমিও একটা ইহুদী ওয়েব সাইটের বরাত দেই।
http://www.aish.com/jw/id/Gaza-Escalation.html
আমি শুধু এই এই কথাটিতে বিশ্বাস করি যে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, কিন্তু বেশিরভাগ মুসলিম সেটা মানতে চায় না।শুধু এটুকুই আমার বলার ছিল।
নিচে আদিল ভাইয়ের লেখাটা দেখেন।আমি উনার মত গুছিয়ে বলতে পারি না, কিন্তু পারলে ওইরকম সুন্দর করেই বলার চেষ্টা করতাম।
শুনেন আমি কিছু কথা বলেছিলাম যা কিনা বেশিরভাগ মুসলিম রা বলে। আজকে আপনার লেখাটা দেখে ওগুলা উগরে দিলাম। ভাবি নাই যে একজন মুক্ত মনা একজন মুমিন বান্দার মত একই তরিকায় ভাবে এক চোখে খালি ইসরায়েলের দোষ দেখে। আত্মঘাতী হামলা তো আগে হামাস করে তারপর ইসরায়েল চালায়।আগে নেট সার্চ দিয়া সেরকমি পেতাম।
আচ্ছা আমি না হয় কড়া করে বলেছি কিন্তু রনি তো তেমন কিছুই বলেনি নাকি?
দেখেনতো
কেন রনির এই সাধারণ কথার জবাবে তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে কি নিজেই প্রমান করলেন না যে ওই জায়গাটা আপনার জন্যেই উপযুক্ত?
যাক আগে নিজে সমালোচনা সহ্য করতে শেখেন তারপর অন্যকে উপদেশ দিয়েন।
@অচেনা,
এই কথার মানে কী? ইজরায়েল দুধে ধোয়া কলাপাতা?
আপনের দেওয়া লিঙ্ক পড়লাম(বেশি না, প্রথম দুই চাইর লাইন পড়ছি)। আপনেরর হেডকোয়ার্টার যদি সাংঘাতিক রকমের খালি না হইত তাইলে এই লিঙ্ক দিতেন না। বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি কোন বলদ পাইক্কাগো অনুভুতি কেমন আছিল, দোষ কাগো আসলে এইটা জানতে কোন পাইক্কা আর্মির মুখ দিয়া শুনাইত ঐডা যেমন একটা কাঠবলদীয় কাম অইত আপনার কামডাও একই রকম অইছে।
আমি এইখানে পরিষ্কার ধারাবাহিক ঘটনা প্রবাহের বর্ননা দিছি । যা দেখলে বোঝা যায় হামাস প্রথমে হামলা চালায় নাই। আকাম শুরু করছে ইজরায়েল। আকাম শুরু করার পরে যহন হামাস রকেট হামলা করছে তহনই আপনার ইজরায়েলের জন্য হৃদয় ভাঙা ঢেউ(Heart Breaking Blow) শুরু হইছে আত্নরক্ষার ব্যানারে।
আর রনি সাবরে কী কওয়ার আছে? আমি পোস্টের ২ নাম্বার অংশ রাখছিই এইটা দেহাইতে যে আসলে সমস্যার শুরু করছে ইজরায়েল। উনি যদি লেখা পড়তই এইরম অর্থহীন একটা প্রশ্ন কেমনে করল?
@সাইফুল ইসলাম
হামাস হামলা চালালে ইসরাইল কেন তার জবাব দিবে না সেই যুক্তিগুলো যদি একটু বলতেন ভাল হত ,জ্ঞানচক্ষু খুলে যেত ।
@রনি, হামাস কিন্তু এবার শুরু করেনি হামলা, ইসরায়েলই করেছে। এই আর্টিকেল পড়তে পারেন।
@রনি,
আপনি তো আমার লেখাই পড়েনই নাই দেখা যাইতেছে। লেখা আবার পড়েন। তারপরেও যদি না বুঝেন আরেকবার পড়েন, এইবার অবশ্যই চোক্ষু থিকা মুসলমানবিদ্বেষী চশমাটা খুইল্যা। হেরপরেও যদি না বুঝেন তাইলে শেরে বাঙলা নগরে সরকারী মানসিক হাসপাতালে স্থায়ী নিবন্ধন করান। আপনার অবস্থা সুবিধার ঠেকতাছি না।
@সাইফুল ইসলাম,
একটা ছোট কথা, ভাইজান আগে নিজে চোখ থেকে ইসলাম প্রেমের পর্দা সরান তারপরে অন্যকে ইসলাম বিদ্বেষী বইলেন।আপনার মত ছদ্মবেশি মুক্তমনারাই না মুসলিম সন্ত্রাসবাদ উস্কে দিতে সাহায্য করে থাকেন। যাক এইবার আমারে দ্যান একটা প্যাঁদানি। আপনার সাথে দ্বিমত করে মহা পাপ কামাইলাম না? আমিন সুম্মা আমীন।
@অচেনা,
আপনি বলেছেন মুসলিম বিদ্বেষ, কিন্তু আমার বিশ্বাস আপনি ২টাকেই এক করে দেখেন।
ইসরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে মুক্তমনায় লেখাটা পেয়ে ভালো লাগলো। এইসব ঘৃণ্য হামলাকে আর কতকাল যে ‘আত্মরক্ষা’ বলে চালাবে কে জানে! তবে উপরের মন্তব্যের সাথেও একমত, হামাসও ফিলিস্তিনি জনগণের ইন্টেরেস্টে কাজ করছে না, একটা দল যদি তাদের অব্জেক্টিভেই লিখে দেয় যে তারা ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চায়, তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই অনেকেরই সমর্থন হারায়।
গডফাদারের যে উদাহরণ টেনেছেন, বেশ প্রাসঙ্গিক। খোদ বিবিসি’র অবস্থাই দেখেন এখানে।
@রিজওয়ান,
একটু ভালো করে ধারাবাহিকতাটা খেয়াল করেন, মনে হয় বুঝতে পারবেন সমস্যাটা কোন জায়গায়।
১৯৭৬ এ জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে বেশির ভাগ আরব স্টেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানা(pre-1967 borders) অনুসারে ইজরায়েল ফিলিস্তিনি দুই দেশ সমাধানের জন্য একটা খসরা পেশ করে। ইজরায়েল এই সেশনে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। আম্রিকা ভেটো দেয়। ১৯৮০তেও আম্রিকা একই কাজ করে। সারা দুনিয়া এই সীমানা সমর্থন করে(ইরান, হামাস সহ)।
২০০০ সালের ব্যার্থ ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির অসারতা, অযৌক্তিকতা বুঝতে পেরে ক্লিন্টন সাব ঐ বছরেরই ডিসেম্বর মাসে আরেকটা প্রস্তাব রাখে যেইটা নিখুত না হইলেও কাজ চালানোর মতন।
আম্রিকার ডাকে ইজরায়েল ফিলিস্তিন থিকে নেগোশিয়েটররা মিশরের তাবায় পরের বছর অর্থাৎ ২০০১ সালের জানুয়ারিতে আলোচনায় বসে। জানা যায় যে খুবই ভালো ভাবে আলোচনা আগাইতেছে। ফাইনাল প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, আর অল্প সময় পরেই একটা স্থায়ী চুক্তিতে যারার সম্ভবনা আছে। ইজরায়েলী ভায়েরা হঠাৎই আলোচনা বন্ধ কইরা দেয় অফিশিয়ালী, যদিও আন-অফিশিয়ালী উপরের মহলে আলোচনা চলতে থাকে যেইটার ফলাফল জেনেভা চুক্তি।
আম্রিকা ইজরায়েল যেইটা মাইনা নেয় নাই। বুঝতেই পারতাছেন সমস্ত কষ্ট পানি ভাইসা গেলো।
মাহমুদ আল যাহার হামাসের প্রথম সারীর নেতা এক জায়গায় বলছিল : ইজরায়েল যদি ১৯৬৭ পূর্ব সীমানা মানে আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছাড়ে তাইলে হামাস ইজরায়েলের সাথে দীর্ঘ যুদ্ধ বিরতিতে যাইতে রাজি আছে।
একই কথা বিবিসিতে ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০০৬-এ দেওয়া এক এক সাক্ষাতকারে বলছিল হামাসের আরেক নেতা
খালেদ মাশাল । আমি জানি খালি লিঙ্ক দিলে অনেকেই পড়ে না ঠিকভাবে। এই জন্য সাক্ষাতকারটা এইখানে উঠাইয়া দিলাম সবার সুবিধার জন্যঃ
Hamas’ political leader, Khaled Meshaal, has told the BBC’s Middle East editor, Jeremy Bowen, that his organisation is ready to offer a long-term truce to Israel – as long as certain Palestinian rights are honoured. Here is a full transcript of the interview.
Q: Would Hamas renounce violence?
A: When countries are free and you are independent, of course democracy does not go with violence.
We would practise democracy peacefully without violence – but when there is occupation, there is no contradiction between democracy and what the West calls violence, which is in this case resistance.
Violence in independent countries is totally rejected. But when you resist occupation, resistance is legal and democracy is a mechanism to choose Palestinian leaders based on democracy and sharing of authority.
Q: So does that mean then that you are not going to change the Hamas charter as the big donor countries have requested?
A: Why doesn’t the international community ask Israel to determine its borders? Why doesn’t it ask Israel to recognise Palestinian rights? Why doesn’t the international community put pressure on Israel to implement agreements it has signed with Palestine?
Why is pressure always applied on the weak side, the one that is under occupation and suffers from killing, assassination, the building of the wall, confiscation of land and building of settlements?
Why does the international community always stand with the strong side, even though he is the aggressor, and stands against the weak, even though he is being attacked and has all the rights?
Q: Hamas has been democratically elected but Hamas is an organisation that is listed by the Americans and the EU as a terrorist group. So they will continue to put more pressure on you, we can assume, than they put on the Israelis. So what are you going to do about it? Will you want to stick with your truce or are you going to go back to attacks on Israelis?
A: This is not our problem. This is the problem of the international community and the nations that deal with the Israeli-Palestinian conflict.
Hamas won an election. It acquired the legal mandate through voting and at the same time Hamas practises its right to resist the occupation.
Now the international community faces a contradiction. It considers Hamas a terror organisation and this is an unfair description of Hamas because Hamas does what the British and French did when they were up against the Nazi occupation.
Q: Here’s a situation. Imagine that after the Israeli elections, the next Israeli government says to Hamas: we’ll negotiate, we’re prepared to talk about everything. What would your answer be?
A: Previous Israeli governments had the chance to negotiate with Yasser Arafat and then with Mahmoud Abbas.
What did Israel do? Israel welcomed the coming of Mahmoud Abbas to power a year ago. In spite of that, it did not negotiate with him, didn’t take one step towards achieving Palestinian rights.
Do you think the upcoming Israeli government after the elections will take a step towards Hamas and to recognise the rights of the Palestinian people?
When Israel says that it will recognise Palestinian rights and will withdraw from the West Bank and East Jerusalem and grant the right of return, stop settlements and recognise the rights of the Palestinians to self-determination – only then will Hamas be ready to take a serious step.
Q: Let’s get this clear – you are saying there’s no problem with a two-state solution if Israel retreats, goes back to the boundaries that existed just before the 1967 borders?
A:If Israel withdrew to the 1967 borders and recognised the rights of the Palestinian people – including the right of those in the diaspora to return to their land and to East Jerusalem and to dismantle the settlements – Hamas can then state its position and possibly give a long-term truce with Israel, as Sheikh Yassin said.
This is a position that Hamas could take but only after Israel recognises the right of the Palestinians, to show and confirm its willingness to withdraw to the 1967 borders.
Q: Hamas has talked about this truce before and Israel has answered that it would just be a breathing space while Hamas tried to gather its forces to attack the territory that Israel had between 1948 and 1967, the original part of Israel. Would this truce that you are talking about be a long-term thing or a permanent thing or just a respite in the war?
A: Truce would be long term but limited because there is a Palestinian reality that the international community must deal with. There are those kicked out of their land in 1948 – the international community must find a solution for those people.
The international community now speaks of lasting and just peace but how can we achieve such a peace if there are Palestinians who did not get their rights? There is a problem that happened to the Palestinians. They were a people that used to live on their land and did not find justice from the international community.
There are roots to the problem. But in reality, we now say that if Israel withdraws to the 1967 borders there could be peace and security in the region and agreements between the sides until the international community finds a way to solve everybody’s problems and to find a way to give back the rights to the people, to end the oppression of those who used to live on their land and were forced out of it.
Q: Is there any solution that you see that would involve Palestine existing alongside the Jewish state of Israel permanently?
A: If the international community is talking about a permanent solution then it has to find out what the roots to the problem are and what the Palestinian rights are.
The search for a final solution requires us to go back to the roots of the problem and how it began. Israel doesn’t even recognise our basic rights, the international community doesn’t either.
Even when Yasser Arafat announced that he accepted a permanent solution on the 1967 borders, Israel didn’t implement it. The problem is not for a Palestinian to come and say I consider this a permanent solution and then Israel will implement everything.
Q: So if Israel changed would you change? Do you accept Israel? Would you recognise them? Would you live in peace alongside them?
A: When Israel changes, come and ask me to change.
নোয়াম চমস্কির একটা আর্টিকেল থিকে একটু উদ্ধৃত দেইঃ
সম্পূর্ন লেখাটা এইখানে।
ফিলিস্তিনিদেরই সব করতে হইব, ইজরায়েলরে স্বীকৃতি দিতে হইব, হামলা বন্ধ করতে হইব, বিরালের মতন চুপচাপ নিজেগোর মাইর খাইতে হইব, যেইখানে ইজরায়েল রোড ম্যাপের বিপরীতে পরিষ্কার বইলা দিছে যে রোড ম্যাপে এমন কোন উল্লেখ থাকতে পারব না যে ইজরালেয় ফিলিস্তিনিতে হামলা চালাইতে পারব না।
ফাইজলামির একটা সীমা থাকা দরকার না ভাই?
এই পরিস্থিতিতে উপরে দেওয়া সাক্ষাতকারের শেষের লাইনটা খুবই মিল খায়।
When Israel changes, come and ask me to change.
এত এত অযৌক্তিক কাম ইজরায়েল আম্রিকা করছে এই বিশেষ ইস্যুতে, বিশ্বাস করেন সব কইতে গেলে এইহানে মহাকাব্য হইয়া যাইব।
তারপরেও বিবিসি আম্রিকান মিডিয়া থিকা বেশ পরিস্কার খবরই দেয়। হয়ত কলোনিয়াল সময়ের যৌবন না থাকাই একমাত্র কারন।
@সাইফুল ইসলাম,
চমস্কি হইতে একটু সাবধান কিন্তু 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার ওই লিংক ২টা ওপেন হচ্ছে না। not found error 404 দেখায় বিকল্প লিংক দেনতো।
ইসরায়েলে নির্বাচন আসন্ন। বর্তমান সরকার মিলিটারি আক্রমণের স্বল্পতা নিয়ে দেশে সমালোচনার মধ্যে ছিলো। এখন দেশের সরকার বিরোধীদের মুখ বন্ধ আছে আপাতত।
হামাসও রাজনৈতিক দল। করে খেতে হয়। এখানে তাদের সে তুলনায় অনেক অল্প হলেও লাভ আছে। কোনোপক্ষই তাদের জনগোষ্ঠির বেস্ট ইন্টারেস্টে কাজ করছে না। বরং মানুষের ভেতরের আবেগপ্রসূত হিংস্র চাওয়াগুলোকে কালেভদ্রে রিইনফোর্স করার মাধ্যমে করে খেয়ে টিকে আছে তাদের রাজনীতি। এর বলি গোটা ফিলিস্তিন জনগোষ্ঠি। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে।
@রূপম (ধ্রুব),
ইজরায়েলের নির্বাচন কারো কারো মতে বর্তমান সমস্যার একটা বড় কারন। হওয়া সম্ভব। ইজরায়েলী নির্বাচনী ইতিহাসে এইতা উদাহরন পাওয়া যায় যে তুলনামূলক উগ্ররা নির্বাচনে ভালো ফল পায়।
দেখেন আমার কাছে সমস্যাটা অত সহজ মনে হয় না। নিখুত কোন মতবাদ বা রাজনৈতিক দলতো হওয়া সম্ভব না। ২০০৬ এ যখন হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়া ভোটে নির্বাচিত হয় তখন সেইটা কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগনের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশই ছিল। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অতন্দ্র প্রহরী আম্রিকা সেই নির্বাচন মানে নাই। আর ইজরায়েলতো না ই। উলটা আন্তর্জাতিক ইকোনমিক নিষেধাজ্ঞা চালু করছিল। কেন? হামাস তো ভোটের মাধ্যমেই হইছিল। একটা সরকার যদি কাজ করার চান্সই না পায়, থাকতে হয় যুদ্ধাবস্থায়, ঐ সরকার কি জনগনের ইন্টারেস্টে কাজ করে নাকি কার ইন্টারেস্টে কাজ করে ঐটা বলা আমার জন্য বেশ কঠিন।
ফাতাহ’র নির্বাচনে হারার কারন ছিল কিন্তু দূর্নীতি। অথচ মাহমুদ আব্বাসরে ক্ষমতায় আনার জন্য আম্রিকা, ইইউ আর ইজরায়েল নাকি কান্না কানছিল। সেলুকাস দুনিয়া ভাই!