বাংলাদেশ এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে । জনগনের বিশাল সমথর্ন যে কোন সরকার তার দেশকে অনেক কিছু দিতে পারে। খেটে খাওয়া মানুষ কি চায়? উত্তর শুধু শান্তি আর শান্তি মানে সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে বাসায় ফিরে এক শান্তির ঘুম। জানি না তারা কতটুকু শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারছে। আমাদের দেশে তিন স্তরের লোকের বাস। সবাই নিশ্চয় জানেন উচু-মধ্যম-আর নিম্ন। বতর্মান দেশের যা অবস্থা উচু আর নিম্ন স্তরের জনগন মহা সুখে আছে। আর মধ্যম স্তরের জনগন …. কোন রকম বেচেঁ আছে। যা হোক অর্থনীতির বিশ্লেষন আমার মাথায় ঢুকে না। তাই হয়তো তেমন করে বোঝাতে পারবনা । তবে বলতে পারি আমি বেশ কিছু মধ্যম স্তরের পরিবারের সন্তানদের সাথে কথা বলে দেখেছি… ফলাফল এক কথায় তারা হতাশ !!!! প্রতিদিন বিডিজবস্ এর ওয়েব সাইটে লগিং করে বসে থাকে তারা। পড়াশুনার ফাকে যদি কিছু পার্ট টাইম… মানে পকেট মানি …!!! কিন্তু লাভ নেই । জব সাইটে যেসব জব অফার প্রতি দিন দেখা যায় তার অধিকাংশে এই সব বেকার বা আধা বেকার যুবক/যুবতীদের ঠাই নেই। অবশেষে হতাশা আর অবহেলায় নিজেকে গ্রাস করে মাদক। উচু/ নিম্ন শ্রেনীর কতিপয় যুবক/যুবতী মেতে উঠে মরন খেলায় ! তাই বলে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু সবার দিকে নয়, গুটিকয়েক বখাটের দিকে যারা এখন তাদের দল ভারি করছে মধ্যমদের নিয়ে। মাদক হতাশাকে গিলে খাচ্ছে আর আক্রান্ত এই সব হত দূর্ভাগারা সামাজিক অপরাধে ঝুকে পড়ছে। প্রত্যহ ছিনতাইকারীর হাতে আহত/নিহত, গুপ্ত হত্যা, ডাকাত দলের হাতে নিহত সহ নানা ইস্যুতে খবরের শিরনাম হচ্ছে খোদ মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী কোন জবাব না দিতে পেরে বা এমন সব আল্টিমেটাম দিয়ে যা বাস্তবায়ন করতে না পেরে। আমি বলবনা যে এখনো আর কোন সময় নেই যে, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়া যাবে না। নীতি নির্ধারকদের সচেতন হবার সময় ফুরিয়ে আসলেও আশা শেষ হয়ে যায় নি। অনেক সাধ করে বাংলদেশের নতুন ভোটাররা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতাধর আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার অনেক কারনগুলোর মধ্যে প্রধানতম হলো ১৯৭১ এর রাজাকার -আলবদর-আলসামসদের বিচার করা। সরকার এর সময়কালের সিংহভাগ সময় শেষ হয়ে গেলেও এই বিচারিক পক্রিয়ার গতি অনেক মন্থর !!! তাই সন্দেহ আর মনের গহিনে এক চাপা ভয় এই বিচার কি করে যেতে পারবে এই সরকার ?
নানা অভ্যন্তরীন সমস্যায় জর্জরিত সরকার ভাল আছে বলে আমার মনে হয় না যখন বিদেশী প্রভুরা তাদের শকুনী মনোভাবের দৃষ্টিপাত করে। সাথে একটি কথা না বলেলই নয় মানে ব্রাকেটে সংযুক্তি- আপনারা সবাই নিশ্চয় “নবাব সিরাজউদ্দৌলা বনাম মীর জাফর” এর ইতিহাস এর সাথে জ্ঞাত আছেন। তবে এর কি বিপরীত কিছু সরকার বনাম নোবেল জয়ী ইউনুস সাহেব ! মীর জাফর ইংরেজদের সাথে আতাত করেছে আর ইউনুস সাহেব মহাপরাশক্তি সম্রাজ্যবাদের সাথে।
বাংলাদেশ এখন বহুমুখী চাপে আছে। ভৌগলিক কারনে আমাদের দেশ এখন যে অবস্থানে আছে তা একটি কম্পিউটার সার্ভার নেটওয়ার্কের মত। বেশ কিছু পিসি(কম্পিউটার) কে যদি কোন নেটওয়াকর্রে আওতায় আনার প্রয়োজন হলে তবে সেখানে সার্ভার বসাতে হয়। সাধারনত কোন বড় কাজের সহজ এবং সুবিধাজনক উপায়ে তদারকির জন্য নেটওয়ার্ক সৃষ্টির প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। ঠিক এক বিষয় এর ব্যবহার এখন মহা পরাশক্তি করতে চাচ্ছে বাংলাদেশকে পলিটিক্যাল সার্ভার বা নেটওয়ার্ক হাব হিসাবে ব্যবহার করতে। সেদিন কোন এক খবরের অন্তরালের খবর দেখলাম মার্কিন মুখপাত্র মি: মজিনা বলছেন বিগত কয়েক বছরের দেনদরবারে সরকারকে টিকফা( ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট) চুক্তিতে রাজি করাতে পারেনি ! তাই এই মুখপাত্র বেশ হতাশ ! ইউনুস সাহেবও হতাশ ! এর পর পরেই গলাবাজদের নিয়ে চাঙ্গা আছেন ম্যাডাম ! সাংবাদিকদের নিয়ে বিব্রত বোধ করছেন খোদ মাননীয় অর্থমন্ত্রী ! সংবাদ সংস্থার গাড়ির লাইন আজকাল দুদুকের গেটের বাহিরে বেশ দেখা যাচ্ছে !
বাংলাদেশের উপকূলে এখন ৪/৫ নং বিপদ সংকেত !!! আবহাওয়া বার্তা সঠিক কিনা বুঝা যাচ্ছেনা। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনেই বলে দিবে বাংলাদেশের দূর্যোগটা কি ছিল অভ্যন্তরীন নাকি বহি: ?
আমাদের দুর্যোগের কারন আভ্যন্তরীণ, বহিঃ এবং সর্বপোরি সরকারের ব্যর্থতাও।
দুরগম-গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার হে,
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার ।