প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি বছর আগের পৃথিবী, স্থলের চেয়ে জলের ভাগ অনেক অনেক গুণ বেশী, সমস্ত কার্যক্রমই জলের নিচে, বা উপরিভাগে, তরুণ পৃথিবী ফুঁসে উঠছে ভাঙ্গা-গড়ার বুনো উম্মাদনায়, থেকে থেকে সমস্ত ক্রোধ যেন উগড়ে দিচ্ছে তার ফাটল দিয়ে জ্বলজ্বলে আগ্নেয় শিলার রূপে, সেই লাভা আবার তীব্র বেগে জলের স্তর ভেদ করে উপরে পবন দেবের ছোঁয়া পাওয়া মাত্রই কুঁকড়ে পরিণত হচ্ছে অভিশপ্ত কোন কুৎসিত ঘন কৃষ্ণবর্ণের পাথরে। এর মাঝে একরত্তি ভেলায় চেপে সেই বিক্ষুদ্ধ আদিসমুদ্র পাড়ি দিচ্ছি আমি।
না কোন কল্পনা নয়, আসলেই পাড়ি দিয়েছিলাম সেই প্রাচীন সাগর, কিন্তু সাড়ে তিনশ কোটি বছর আগে নয়, বছর দুই আগেই, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বখ্যাত স্টের্কফন্টেইন গুহার বিশাল প্রদর্শনী কেন্দ্রের অংশ এক অংশ সেই আদি পৃথিবীর আঁধার জগতে। বলা হয়েছিল এক রাবারের ভেলায় চেপে কৃত্রিম গুহার মধ্যে দিয়ে গেলে দেখা যাবে শত কোটি বছর আগের সেই বিধ্বংসী রূপ, ভূমির জন্ম এবং জীবনের আবির্ভাব। আর কি চাই, টিকেট কেটে চেপে পড়লাম সেই ভেলাতে, মিনিট কয় পরে সেখানের নিরাপত্তা প্রহরী ঝকঝকে সাদা দাঁত বাহির করে অভয়ের হাসি দিয়ে বলল- এখন মনে হচ্ছে আর কেউ আসবে না, তুমি একাই চলে যাও, ভেতরে অবশ্য আঁধার কিন্তু চোখ সইয়ে নেবে।
একাই যাব এই আঁধার গুহাতে? এমনিতে আপত্তি নেই কিন্তু নিকষ কালো জলের প্রবাহ দেখে পেটের ভেতর কেন যেন শূন্যতার তৈরি হয়, মনে হয় এই বুঝি গভীর থেকে কিছু তেড়ে এল মুখব্যাদান করে ! স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধ হবার সাথে সাথে সেই নৌযান চলা শুরু করল ঘুটঘুটে আঁধার চিরে, একটু আগেই দেখা শান্ত জলধারা যেন টগবগ করা শুরু করেছে, একটু পরেই দেখা গেল জলের নিচে আগুনের ফুলকির মত, সেগুলো অবিরাম বুদবুদের মত ছুটে আসছে উপরের দিকে! বোঝা গেল যে সময়ে আদি পৃথিবীর নব নব ভূখণ্ডের উদ্ভব ঘটেছিল অজস্র আগ্নেয়গিরি অবিরাম অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ঠিক সেই সময়ে নিয়ে গেছে এই কলকব্জা! টাইম মেশিন তো আর নেই, আপাতত কৃত্রিমতাই মূল ভরসা। এর অনেক পরে আসল আদি জীবনের উদ্ভব, জলের অনেক নিচে এক কোষী কিছু প্রাণী, ঝিম মেরে পড়ে থেকে পুষ্টি নিচ্ছে সাগরের খনিজ থেকে, মাঝে মাঝে চমকাচ্ছে বিদ্যুৎ। এদিকে ছোট্ট ভেলা মাঝে মাঝে সেই সুড়ঙ্গে গোত্তা খেয়ে টালমাটাল হয়ে চলছে অনন্তকাল ধরেই, এর মাঝে একাধিক মহাদেশে ভেঙ্গে অনেক গুলো মহাদেশ হলো, ডায়নোসরের দল শুরু করল আনাগোনা, ততক্ষণে বুঝে গেছি নিশ্চয়ই এক জল ফুঁড়ে বাহির হবে কোন বিকট দর্শন যন্ত্রচালিত ডাইনোসর, পিলে চমকে দেবার সাথে সাথে ভিজে কাক বানিয়ে ছাড়বে আমায় এক লহমায়। সেই সাথে আক্ষরিক অর্থেই জলে যাবে সাথে থাকা সাধের ক্যামেরাখানা।
সত্যি বলতে এমন একটা চমকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে হৃৎপিণ্ড আর অ্যাড্রিনালিন প্রবাহ মিলিয়ে বেশ এক অকথ্য অবস্থার সৃষ্টি করল, সেই আঁধারের মাঝে কাঁহাতক আর ভাল লাগে অজানা সরীসৃপের আক্রমণের অপেক্ষা?
এই সময় দেখি এক চিলতে আলো এসে পড়েছে সামনের দেয়ালের ফাটল থেকে, আহা, এই আলোর পিছনের আছে যেন আনন্দ উদ্ভাসিত মহাকাশ, মুক্তি মিলবে এই বিভীষিকা থেকে, অনেক হয়েছে আঁধারযাত্রা। কিন্তু সেই ফাটল প্রসস্থ হয়েই চলল, ধাতস্থ হয়ে দেখি সেটি আসলে আরেক স্বয়ংক্রিয় দরজা, এখানেই শেষ গন্তব্য, ভেলা ধরার জন্য দুই জন আফ্রিকান দাড়িয়েও আছে। কাছে যাবার পর দেখি তাদের চোখ বিস্ময়ে বড় বড় হয়ে উঠেছে, বোকা বোকা ভাবে বলে বসল- তুমি একা এসেছ? কোন আক্কেলে তোমাকে একা ছাড়ল এই সুড়ঙ্গে? আমি তার কি জানি! আর একা না আসায় হয়ত ভাল, কিন্তু বিদঘুটে সেই অভিজ্ঞতা তো মিলল প্রাচীন পৃথিবীর। বললাম- টিকে আছি, সব ঠিক আছে, তা সোনাচাঁদ- জাদুঘরখানা কোনদিকে সেইটি দেখিয়ে দাও, ধন্যবাদ।
বিশাল প্রান্তরের মাঝে ঢিবি আকৃতির এক স্থাপত্যের ভিতরে বিখ্যাত জাদুঘরটি, তবে সেখানে যেতে মূল রাস্তা ধরেই যেতে হবে, পাশে ঘেসো জমিতে সাইনবোর্ডে লেখা-সর্প হইতে সাবধান!
জাদুঘরের প্রথমেই নমস্য লেখক, দার্শনিক, জীববিদ রিচার্ড ডকিন্সের বহুল ব্যবহৃত একটি বিখ্যাত বাক্য লেখা,
তার পরপরই আদি সৌরজগতের আর পৃথিবীর মডেল, পর্যায় ক্রমে এল এক বিলবোর্ডে প্রচলিত ও জনপ্রিয় ধর্মমতগুলোর সৃষ্টি সম্পর্কিত অসার তত্ত্বকথার সমারোহ, বিভিন্ন ধর্মের প্রতীক দেখে বোঝা গেল কুসংস্কারের ক্ষেত্রে কেউ কারো চেয়ে কম যায় না!
এরপরে চমৎকার মডেলের সাহায্যে বোঝানো হয়েছে পৃথিবীর উদ্ভব, পানির আবির্ভাব, স্থল ভাগের জন্ম, প্যানজিয়া নামক মহাপ্রাচীন মহাদেশের বিভিন্ন ভাবে ভাগ হয়ে গোটা গ্রহে ছড়িয়ে পরে সাত মহাদেশ ও পাঁচ মহাসাগরের সৃষ্টি, চারশ কোটি বছর আগে আদি সাগরে এনজাইমের উদ্ভব, এক পর্যায়ে অ্যামাইনো অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়ায় অথবা উল্কা পিণ্ডের বয়ে আনা কোন অজানা মৌলের সুবাদে জীবনের আগমন আমাদের এই নীল গ্রহে।
বিশাল সংগ্রহশালার পরবর্তী গ্যালারিগুলোতে আদি জীবনের নানা স্মারক, তিনশ কোটি বছর আগের জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া অণুজীব, আরো অনেক পরে ভূ-ভাগে আবির্ভূত হওয়া গাছের প্রস্তরীভূত পাতা, প্রাচীন মাছ, নানা ধরনের উভচর প্রাণী, কোনটার মাথা কোনটার না পিছনের সামান্য অংশ উদ্ধার করা গেছে, কিন্তু আজকের দুনিয়ায় প্যালিওণ্টজিষ্টরা ক্ষুদে একটুকরো দাঁত বা হাড়ের ফসিল পেলেই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে একের পর এক নিরলস গবেষণার মাধ্যমে ভূগর্ভে লুকিয়ে থাকা সত্যটি খুড়ে নিয়ে আসতে পারেন জ্ঞানের আলোয়।
জাদুঘরের পরের অংশে কোটি কোটি বছর দৌদন্ড প্রতাপে টিকে থাকা ডাইনোসরদের রাজত্ব, ১৬০ মিলিয়ন বছর যারা এই গ্রহের জলে- স্থলে- অন্তরীক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে ছিল একচ্ছত্র ভাবে, তাদের শিলীভূত দেহাবশেষের স্থান আজ সারা বিশ্বের প্রদর্শনী হলগুলোতে, পরিবেশগত কারণে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পরপরই আবির্ভাব ঘটে তাদেরই বংশধর পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের। এক ধরনের বৃক্ষচারী ক্ষুদে স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে মিলিয়ন বছরের বিবর্তনে আপন আপন পরিবেশে বিকাশ ঘটে হাজারো প্রাণীর, এর এক অংশ থেকে আবার উদ্ভব ঘটে উন্নত বুদ্ধিমত্তার প্রাণীর, যে দলে ছিল লিমার, নানা প্রজাতির বানর এবং এদের শেষ দলটিতে আসে এপ-রা।
এপ হচ্ছে লেজবিহীন, উন্নত মস্তিষ্ক বিশিষ্ট প্রাইমেট, যাদের সবাই প্রয়োজনবিধায় অল্পক্ষণের জন্য হলেও দুপায়ে মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়াতে পারে, বর্তমান জীবজগতে ৬ ধরনের এপ টিকে আছে- উল্লুক, ওরাং ওটাং, গরিলা, শিম্পাঞ্জী, বোনোবো এবং মানুষ।
পরের কক্ষটি ছিল এপদের আদিপুরুষদের নিয়ে আর এর মধ্যমণি হয়ে ছিল স্টের্কফনটেইন গুহায় পাওয়া ৩১ লক্ষ বছরের পুরনো সেই হোমিনিড জীবাশ্ম!
সমগ্র কঙ্কালটির বেশ অনেকখানিই উদ্ধার করা গেছে, করোটির কিছু অংশ আর নিচের চোয়ালসহ। তা থেকেই কম্পিউটারে নানা মডেলের সাহায্যে তাদের যে চেহারাখানি আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি তাতে সামান্য কল্পনার মিশেল থাকলেও বলা চলে বাস্তব জীবনের প্রায় নিরানব্বই শতাংশ কাছাকাছি। ২০ থেকে ৪০ লক্ষ বছর আগে অষ্ট্রেলিয়োপিথোকাসরা আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পরতে থাকে। তারা আমাদের অতি দূর সম্পর্কের আত্নার আত্মীয়। তাদের থেকেই সময়ের সাথে, পরিবেশের তাগিদে ও খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে উদ্ভব হয় হোমো হাবিলিস, হোমো ইরেকটাস ও সবার শেষে আমাদের হোমো স্যাপিয়েন্সদের।
কিন্তু এর মাঝে প্রকৃতিতে ঘটেছে আরেক ঘটনা, আমরা যেমন চিড়িয়াখানায় একসাথে নানা প্রজতির বানর, কুমির বা হরিণ দেখতে পায়, তেমনি বিশ্ব জুড়ে একই সময়ে ছিল নানা প্রজাতির মানুষের আস্তানা। আজ পর্যন্ত মাটি খুড়ে, সাগর সেঁচে আমরা কেবল ৩ প্রজাতির মানুষের কথা জানতে পেরেছি, যার একটি বাস করত বিচ্ছিন্ন ভাবে ইন্দোনেশিয়ার এক দ্বীপে, বামন মানব গোত্র- হোমো ফ্লোরেসিয়েনসিস, ইউরোপে বসবাসরত হোমো নিয়ান্ডারথাল বা নিয়ান্ডারথাল মানব এবং আমরা হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্সরা। এর মাঝে প্রায় পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার বছর আগে নিয়ান্ডারথালদের সাথে আমাদের পূর্বপুরুষরা মুখোমুখি হয় ইউরোপে, যার ফলাফল তাদের জন্য নিয়ে আসে বিলুপ্তি! জেনেটিকভাবে শতকরা নিরানব্বই ভাগেরও বেশী মিল থাকা এই জাতের মানুষদের সাথে নানা লড়াইয়ে লিপ্ত হয় ইউরোপে পদার্পণ করা প্রথম হোমোস্যাপিয়েন্সরা, অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ বলে আমাদের পূর্বপুরুষদের পেশীশক্তির প্রয়োগ ও হত্যাকাণ্ডের ফলেই বিলুপ্তির সম্মুখীন হয় তারা। এমনকি তাদের হয়ত খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করেছে আমাদের পূর্বপুরুষরা!
তবে খেয়াল রাখতে হবে, বর্তমান পৃথিবীতে আমরা যত ধরনের মানুসেরা বসবাস করি- কালো, সাদা, হলুদ, আমাজন বা পাপুয়ার আদিবাসী- সবাই কিন্তু এক জাতি- হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স! এবং আমাদের কোন প্রজাতি নেই।
এটা আজ প্রমানিত, আমাদের পূর্বপুরুষদের যাত্রা শুরু হয়েছিল আফ্রিকার ঊষর প্রান্তর থেকে। তাই, দুই যুগ আগেও মানুষের উৎপত্তি এশিয়া না আফ্রিকা তাই নিয়ে তর্কের অবকাশ থাকলেও আজ সবাইই প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে মতৈক্যে পৌঁছেছেন আফ্রিকা আমাদের সবার আদি মাতৃভূমি। এর আগে এশিয়ার চীনে ও জাভায় যে প্রাচীন মানবজীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে তা আফ্রিকা থেকেই কোন এক পর্যায়ে রওনা দেয়া হোমো ইরেকটাসদের বন্ধুর পরিবেশে বিলুপ্ত হয়ে যাবার করুন ইতিহাস। আর হোমো স্যাপিয়েন্সদের বসবাস মূলত ছিল পূর্ব আফ্রিকা, বর্তমান তাঞ্জানিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়ায়।
পরবর্তী ঘরগুলোর অন্যতম আকর্ষণ এই এলাকার বিভিন্ন গুহায় পাওয়া প্রস্তরযুগের অস্ত্র, আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও কতই না শৈল্পিক দক্ষতায় আর পরম মমতায় গড়া হয়েছিল এইসব জীবন রক্ষাকারী অস্ত্র, প্রায় সবগুলোই পশুশিকারের কাজে এবং শিকার পরবর্তী চামড়া খোলা ও মাংস কাটার কাজে ব্যবহারের জন্য।
এর পরপরই আলোকপাত করা হয়েছে সেই ঘটনার উপরে যা সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছে মানুষের মানুষ হয়ে উঠতে- আগুনের ব্যবহার আবিস্কার! আমাদের পূর্বপুরুষেরা আগুনের ব্যবহার করত প্রথম দিকে হয়তবা কেবল নিরাপত্তা অথবা উষ্ণতার জন্য বা অস্ত্র গড়ার কাজে। তবে খাবার আগুনে রান্নার প্রক্রিয়া শুরু হয় আরো বেশ পরে, আর সেখানে থেকে মোড় ঘুরে যায় মানব সভ্যতার, ঘটা শুরু করে একের পর এক যুগান্তকারী পরিবর্তন-
আমাদের পূর্বপুরুষদের চোয়াল ছিল অনেক মোটা ও বড় হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত, কাঁচা মাংস ছিড়ে খাওয়ার উপযুক্ত, কিন্তু আগুনে ঝলসানো নরম মাংস খাওয়ার ফলে অসুখ-বিসুখতো কমলই, আবার চোয়াল কয়েক প্রজন্ম পরে হয়ে এল অনেক ছোট হয়ে,সেই কারণে ভারসাম্য রক্ষার্থে মানুষের আগের চাপা কপাল হয়ে গেল সামনে দিকে অনেক বড় অর্থাৎ অনেক বড় মাথার খুলির অধিকারী হল মানুষ ফলে মস্তিষ্কের আকার গেল অনেকখানি বেড়ে, বাড়ল বুদ্ধিমত্তা, যন্ত্র তৈরির ক্ষমতা, অজানাকে জানার ইচ্ছে। অবশেষে এই আফ্রিকা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের ২০০ জনের এক ক্ষুদে দল রওনা দিল বাইরের বিশ্বে সত্তর হাজার বছর আগে, তাদেরই বংশধররা, আধুনিক মানুষেরা আজ সারা গ্রহের শাসনকর্তা রূপে প্রতিটি জায়গায় বিরাজমান।
অসাধারণ জাদুঘরটি দেখার পর দিনের শেষ গন্তব্য হিসেবে যাওয়া হল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব সম্পদের মর্যাদা পাওয়া ক্রেডল অফ হিউম্যান কাইন্ডের মূল ফটকে সোজা বাঙলায় যাকে বলা হয় মানব জাতির আঁতুড়ঘর।
এখানে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়ানো বেশ কটি গভীর গুহা, পরিখা, সমতল ভূমি- যার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া গেছে অমূল্য জীবাশ্ম সম্ভার, খোড়া-খুড়ি চলছে আজো প্রতিনিয়ত। এই এলাকার চুনাপাথরের খনিগুলোতে নানা প্রাণীর জীবাশ্মে পরিণত হওয়া দেহাবশেষের সন্ধান মিলতে থাকে ১৮৯০ থেকে, কিন্তু বিশ্বের সত্যানুসন্ধানীদের মনে চিরতরে স্থান করে নেয় স্টের্কফনটেইন গুহা ১৯৪৭ সালে, যখন এখানে প্রথম হোমিনিড ( মানুষ ও অন্যান্য এপের মধ্যবর্তী পর্যায়, নরবানর বলা যেতে পারে) জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়, যার বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়, অষ্ট্রেলিয়োপিথোকাস আফ্রিকানোস।
কয়েক মিলিয়ন বছরের পুরনো হলেও খুলি দেখে বোঝা যায় আধুনিক মানুষের কত কাছাকাছি ছিল তারা, বুদ্ধিমান মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় বড় করোটি, দুই পায়ে দাঁড়াবার ক্ষমতা ইত্যাদি ছিল প্রায় আমাদের ধাচেরই, আর এর পরেই মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের পুরনো চুনাপাথরের নিচের স্তরগুলোতে ঘটতে থাকে একের পর এক চমক জাগানো আবিষ্কার।
ওহ, মানে দিনের শেষ ভ্রমণের কথা বললেও বলা হয়নি, দিন শুরুই হয়েছিল স্টের্কফনটেইন গুহার একেবারে গভীরে যাত্রার মাধ্যমেই, ঠিক সেই জায়গাতে গিয়েছিলাম আমরা যেখানে ১৯৯৭ সালে পাওয়া গিয়েছিল অষ্ট্রেলিয়োপিথোকাস আফ্রিকানোসের এক পরিপূর্ণ কঙ্কাল, তেত্রিশ লক্ষ বছরের পুরনো এক শিশুর, যে কারণে এর নাম দেওয়া হয়েছিল লিটল ফুট। আদিপুরুষের সেই আবাসের কথা আরেক দিনের জন্য তোলা থাকল—–
( লেখার কিছু তথ্য বেশ আগে রুটস জার্নালের একটি আর্টিকেলে ছাপা হয়েছিল, অধিকাংশ ছবিই সেখানে কাঁপা কাঁপা এসেছিল বলে দুঃখিত)
আর্টিকেলটি পড়ে হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের কথা মনে পড়লো। আশ্চর্য রকম চিন্তা-চেতনা কাজ করতো তার মধ্যে, যেনো সারা পৃথিবীকে দুইচোখ দিয়ে দেখতে পেতেন এক নিমিষে। তবে সবচয়ে অবাক হয়েছি তার ‘Allan Quatermain & the Ice God’ বইটি পড়ে। তিনি অদ্ভূদভাবে চিত্রিত করলেন বরফযুগে বসবাসরত মানুষদের!! তিনি কি তাহলে দেখতে পেতেন বহুবছর পূর্বের সময়কেও!!!
@কবির, ধন্যবাদ, ঐ বইটি আমার খুবই প্রিয়, অনেক অনেক বার পড়েছি। অ্যালানকে নিয়ে একটা লেখা লিখার ইচ্ছা আছে, দেখা যাক।
“অবশেষে এই আফ্রিকা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের ২০০ জনের এক ক্ষুদে দল রওনা দিল বাইরের বিশ্বে সত্তর হাজার বছর আগে, তাদেরই বংশধররা, আধুনিক মানুষেরা আজ সারা গ্রহের শাসনকর্তা রূপে প্রতিটি জায়গায় বিরাজমান।”
২০০ জনের এই সংখ্যাটি কিভাবে জানা গেল, জানাবেন কি ? আপনার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
@সাগর, বিবিসি তথ্যচিত্র থেকে THE GREATEST JOURNEY , তারা মনে হয় অনেকগুলো সুচক হিসেব করে বাহির করেছেন যে দেড়শ- দুইশ মানুষ ছিল সেই দলে।
নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য নেই। আপনার চোখ দিয়ে দেখলুম,শুনলুম এবং অভিভূত হলুম। অনেক ধন্যবাদ।
@অশোক, অনেক ধন্যবাদ। অবশ্যই আপনিও দেখবেন একদিন, কেবল আশাটাকে ধরে রাখুন।
সচলায়তনে তারেক অণুর ভ্রমণ কাহিনী পড়ার জন্য আমাকে একজন (উৎপল বসু) পরামর্শ দিল। পড়ে ভ্রমণ খনির সন্ধান পেলাম। আফসোস হল কেন আগে পড়ে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে যাইনি। তাহলে দেখার মন ও চোখ বদলে যেত। মুক্ত-মনায় আপনাকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি। লেখা অব্যাহত থাকুক।
@গীতা দাস, অস্ট্রেলিয়া এখনো যায় নি 🙁 যাওয়া হয় নি পলিনেশিয়া।
আপনার উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ, ভ্রমণ অব্যাহত থাকুক।
তারেক ভাইয়ের লেখাটির জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বেশ লেগেছে লেখাটি। সত্যিই অসামান্যতায় ভরপুর।
@শনিবারের চিঠি, চেষ্টা করেছি, আপনার উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ, গুহার ভিতরটা নিয়ে পরে লিখতে হবে।
@তারেক অণু,
প্রতীক্ষায় রইলাম।
@শনিবারের চিঠি, আমিও !
মুক্তমনায় স্বাগতম।
চমৎকার পোস্ট।
@সবুজ পাহাড়ের রাজা, 🙂
অনু তারেক ভাই এর লেখটা খুবি ভাল লাগল
@RifaTz Ahin, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই আপনি দেখি কোন কিছুই বাদ রাখবেন না। 🙂 মুক্তমনায় স্বাগতম
@অনিমেষ, একটাই জীবন!
মুক্তমনায় স্বাগতম। ভ্রমণ কাহিনী পড়তে খুব ভাল লাগে। তার মধ্যে যদি এরকম কোন রহস্যময় গুহা নিয়ে হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। লেখককে ধন্যবাদ। তিনি আরও লিখুন। এরকম কাহিনী আরও পড়তে চাই।
@অনন্যা, ধন্যবাদ। বিজ্ঞানের ইতিহাসময় জায়গা নিয়ে নিয়মিত লিখার ইচ্ছে আছে।
স্বাগতম মুক্তমনায়! (F)
কানে কানে একটা কথা বলে রাখি – এখানে লোকজন কিন্তু বিজ্ঞানের একটু হেরফের হলেই ধরবে! প্রমাণতো নিজের হাতেই পেয়ে গেছেন। তবে এরা কিন্তু কেবল সমালোচনা করার জন্য নয়, বরং বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে জানা ও আলোচনার জন্য বলে। ভালো থাকবেন।
@প্রতিফলন, 🙂
মুক্তমনায় স্বাগতম। আমার যদিও বেশ কিছু প্রশ্ন আছে , একটা প্রশ্ন দিয়েই আপাতত শুরু করি :
জেনেটিকভাবে কাদের সাথে কাদের ৯০% মিল পাওয়া গেছে এবং ‘জেনেটিক মিল’ বলতে এখানে কি ধরনের মিল বোঝাচ্ছেন ? এ ব্যপারে কি কোন সাম্প্রতিক গবেষণার রেফারেন্স দেয়া যায় ? নিয়ান্দারথালদের জিনোম সিকোয়েন্স সংক্রান্ত কিছু সাম্প্রতিক গবেষণার সাথে আমার পরিচয় আছে বিধায় এ বিষয়ে আমি যথেষ্ট কৌতুহলী। ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক, ডি এন এ-র মিল হবে।
তারেক অণু, স্বাগতম মুক্তমনায়। লেখার শুরুটা চমৎকার লাগলো, আমিও পড়তে পড়তে ভাবছিলাম ওরা আপনাকে এভাবে এক্কেবারে একা যেতে দিল! ২০০৫ সালে স্টের্কফনটেইন গুহাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পর থেকেই এ নিয়ে অনেক লেখালিখি পড়েছি। আপনি যে সেখানে গিয়েও হাজির হয়েছেন দেখে যারপর নাই হিংসে হচ্ছে। স্মিথসোনিয়ানে Gruche এর কাজগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম, স্টের্কফনটেইন এর জাদুঘরের কাজগুলোও বোধ হয় তারই করা, তাই না?
আশা করি ভবিষ্যতেও আপনার কাছ থেকে এরকম আরও লেখা উপহার পাবো। মুক্তমনার লেখকেরা খুব অলস(আমি নিজেও তার মধ্যে একজন), আশা করি আপনিও সেই রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবেন না। একটাই উপদেশ দেই, রামগড়ুড়ের ছানাের কাছ থেকে একটু দূরে দূরে থাকবেন, ওর কথা বেশী শুনবেন না, ও শুধু সবাইকে অলসই বানায় না, বিবর্তন নিয়েও সারাক্ষণ অনেক বাজে কথা বলেঃ)।
কয়েকটা প্রশ্ন করি, আশা করি কিছু মনে করবেন না …
আপনি কি ‘তিন প্রজাতির মানুষ’ বলতে একসাথে পৃথিবীতে বিচরণ করেছে এই তিন প্রজাতি সেটা বোঝাতে চেয়েছেন নাকি শুধু হোমো দের কথা বলতে চেয়েছেন? অবশ্য ‘মানুষ’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন সেটাও বোধ হয় একটা প্রশ্ন। অস্ট্রালোপিথেসাইন, আদিম হোমো, আধুনিক হোমো ইত্যাদি সব ক্যাচাল ধরলে তো প্রজাতির সংখ্যা অনেক বেশী হয় আর শুধু হোমো ধরলেও তো ৩ টার বেশী প্রজাতি থাকার কথা।
বুঝতে পারছি আপনি হাল্কাভাবেই বলেছেন কথাগুলো, নো বিগ ডিল। কিন্তু এখানে বিবর্তন নিয়ে অনেক বিতর্ক হয় বলে (এবং কুতর্কগুলো এড়ানোর জন্যও বলতে পারেন) একটু বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করি, এই যা। বিবর্তন নিয়ে বেশ গভীর ধারণা না থাকলে অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে আগুনে ঝলসানো নরম মাংস খাওয়ার ফলেই হয়তো মস্তিষ্কের আকার এরকম বড় হয়ে গিয়েছিল। আমি নিশ্চিত আপনি তা বলতে চাননি এবং আমি যা বলছি তা আপনি খুব ভালোভাবেই জানেন। তাও পাঠকদের জন্য ফর দ্য রেকর্ড বলছি যে, বিবর্তনে ঠিক এভাবে সরাসরিভাবে কার্যকরণগুলো কাজ করে না। পরিবেশগত বা বাহ্যিক কোন কারণে সরাসরি বিবর্তন ঘটে না, পরিবর্তন বা মিউটেশনগুলো জেনেটিক লেভেলে প্রথমে ঘটতে হয়। তারপর, কোন কোন পরিবর্তনগুলো টিকে যাবে তা নির্ভর করে বা করতে পারে অথবা প্রভাবিত হতে পারে এধরণের অভ্যেসগত বা পরিবেশগত বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর। বড় মস্তিষ্কের বিবর্তনের পেছনে ‘আগুনে ঝলসানো নরম মাংস খাওয়ার ব্যাপারটা’ সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকতেই পারে।
@বন্যা আহমেদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা আপনার উৎসাহের জন্য।
হোমো প্রজাতির কি ৩ টের বেশী একসাথে মানে এক সময়ে অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া গেছে? আমি শেষ হিসেবে ৩ টের খবরই জানলাম, আবার অনেকেই সেই হবিট মানবদের দ্বীপবাসী হোমো স্যাপিয়েন্স হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে গেছে অবিরাম। এই তিনের বাহিরে অন্য তথ্য থাকলে জানিয়েন কিন্তু।
অন্য ব্যাপারটা খুব ভাল বলেছেন, অবশ্যই চেষ্টা করব এরপর থেকে ডিটেইলে লেখার, শুভেচ্ছা
দ্যাখেন জনগণ, এই তারেকাণুকে লন্ডনভ্রমণকালে আমি এত বোঝালাম মুক্তমনায় লিখবার জন্য, তবেই আজকে এই লেখা পড়তে পাচ্ছেন। অতএব লেখা পড়ে যাওয়ার সময় আমাকে দুই পয়সা সম্মানী দিয়ে যাইয়েন।
@কৌস্তুভ, তালিয়া, দুই পয়সা, দুই পয়সা! :))
@কৌস্তুভ,
[imghttp://www.bangladesh-bank.org/images/currmuse/coin25pr.gif[/img]
২৫ পয়সা দিলাম,চলবে? এখন আরো ২টা লেখক নিয়ে আসেন :)) ।
@রামগড়ুড়ের ছানা, :clap :hahahee:
😀 (Y)
খুব ভাল লাগল।সাধুবাদ জানাচ্ছি এরকম একটা লিখার জন্য।আপনার একজন নিয়মিত পাঠক বলতে পারেন।প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানতে পারছি।শুভ কামনা রইল।
@সাব্বির শওকত শাওন, চেষ্টা করব বড় আকারে লেখার, উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
@অনু ভাই,
এম্নিতে আমি একজন নীরব পাঠক। মন্তব্য করি না সহজে। সচলে ঢুঁ মারতাম শুধু আপনার ভ্রমন কাহিনী আর ছবি দেখার জন্য। দারুণ দারুণ পোস্টগুলো পড়ে, দেখে যখন বুঝলাম আমার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়, সচলে যাওয়া অনেকটাই বন্ধ করে দিলাম। এখন দেখি আপনি মুক্তমনাতে আসছেন জ্বালানোর জন্য। 🙂
মুক্তমনাতে স্বাগতম আপনাকে। আশা করছি মুক্তমনা আরো সমৃদ্ধ হবে আপনার পোস্ট গুলো পেয়ে।
(Y)
@সুকান্ত, নারে ভাই মাথা খারাপের কিছু নাই! বরং সবটুকুই উপভোগের।
অণু ভাই,
আপনাকে মুক্তমনায় ভীষন আনন্দ হচ্ছে, মনে হচ্ছে, ঈদের চাঁদ হাতে পেলাম!
মুক্তমনায় আপনার লেখার মুক্তো নিয়মিত পাওয়া যাবে, এই প্রত্যাশা করছি।
আর লেখার কথা কি বলব! বরাবরের মতই অসাধারণ! অনবদ্য! রোমাঞ্চকর!
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ
@তারেক অণু,
কতবার ভেবেছি শুধু আপনার লেখায় মন্তব্য করার জন্যে সচলে সদস্য হই, তার মানে আপনার কোন লেখাই বাদ পড়েনা। এখানে আপনাকে পেয়ে খুন আনন্দ লাগছে, প্রথম লেখার বিষয়টাও নিয়েছেন দারুণ আকর্ষণীয়। মুক্তমনায় স্বাগতম- (Y) (F)
@আকাশ মালিক, ধন্যবাদ। ফুলেল শুভেচ্ছা
অণু ভাই,
আপনাকে মুক্তমনায় ভীষন আনন্দ হচ্ছে, মনে হচ্ছে, ঈদের চাঁদ হাতে পেলাম!
মুক্তমনায় আপনার লেখার মুক্তো নিয়মিত পাওয়া যাবে, এই প্রত্যাশা করছি।
আর লেখার কথা কি বলব! বরাবরের মতই অসাধারণ! অনবদ্য! রোমাঞ্চকর!
@কাজি মামুন, ধন্যবাদ, চেষ্টা করব।
তারেক মানে নক্ষত্র। সচলে দেখছি,আমাদের মুক্তমনায় পেলাম-সে নক্ষত্রকে। ভালো থাকবেন। (Y)
@অসীম,
আহা, নামটা বাংলা করে ফেলা দরকার।
অনুদা, স্বাগতম মুক্তমনায়। মুক্তমনার ওজনবুঝি এখন আরেকটুকু বাড়লো। অনেক ভালো লাগছে আপনাকে এখানে পেয়ে।
লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । হোমো হাইডেলবারগেনসিস দের সমন্ধে লেখা দেখলামনা …
@ম্যাক্স ইথার,
হাইডেলবার্গ ঘুরে আসি ! হে হে, আসিতেছে–
–
চমৎকার!
তারেক অণুকে স্বাগতম।
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ
(Y)
ভাবতেই অদ্ভুত লাগে যে ডাইনোসররা যদি তাদের অস্বাভাবিক পরিণতির মুখোমুখি না হত, তাহলে আজকে হয়ত আমরা থাকতামই না।
@পৃথ্বী,
একেবারেই সত্যি কথা। সেই অজানা দুর্ঘটনায় প্রায় ৬ কোটি বছর আগে দুনিয়ার তামাম ডাইনোসররা অক্কা না পেলে আজকে এসব নিয়ে গবেষণা করার মত কোন বুদ্ধিমান জীব থাকতো না। তবে এমনো তো হতে পারে ধর্মীয় কিতাবে যাকে বলা হয় মহাপ্লাবন সেটাতেই তারা সব নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে আর তা বলা বাহুল্য আল্লাহর নির্দেশে কারন তিনি চেয়েছিলেন দুনিয়াতে মানুষ নামের উদ্ভট জন্তুর আগমন ঘটুক যারা নিজেরা নিজেরা মারামারি কাটাকাটি করবে আর তা দেখে আল্লাহ খুশীতে বগল বাজাবে।
@ভবঘুরে, হা হা, এমন কোন সম্ভাবনা নেই!
@ভবঘুরে,
এই আলোচনায় আল্লাহকে নিয়ে আসাটা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল না কি? এখানে আল্লাহকে দূরে সরিয়ে রাখলেই ভাল হতো না কি?
@প্রতিফলন, আনারই কি দরকার!
@পৃথ্বী, কিছুই বলা যায় না, প্রকৃতি তো নিয়ম ভেঙ্গেই নতুন নিয়মের সৃষ্টি করে-
স্বাগতম তারেক অণু! মুক্তমনায় আপনাকে দেখে খুব খুব খুব খুশি হয়েছি! এইরকম দুহাত খুলে লিখে যাওয়া একজন মানুষ মুক্তমনায়— নীড়পাতায় নতুন লেখা নাই, এইকথা আর কেউ কইতে পারবে না 🙂
@নীল রোদ্দুর,
হে হে, চেষ্টা করব, শুভেচ্ছা
আপনি দেখি সচলের পর মানুষকে হিংসায় জ্বালাইতে এখানেও চলে আসছেন!!
খুবই ভালো লাগলো মুক্তমনায় আপনার লেখা দেখে (F) । লেখার শুরুর অংশ পড়ে হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের অ্যাডভেঞ্চার গুলোর কথা মনে পড়লো।
@রামগড়ুড়ের ছানা, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের উপরে একটা আলাদা লেখা দিতে হবে, উনার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
ধন্যবাদ-
@ লেখাটির অপেক্ষায় থাকলাম । হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড আমার কাছে একজন রহস্যমানবের নাম ।
@রঞ্জন, আমার কাছেও-