নীলের গর্জন যখন দুর্বোধ্য গম্ভীর হয়ে যায়,
উপলব্ধিতে সূর্যটা অপার্থিব আলতো মত আলো ছড়ায়,
কালচেবেগুনি রঙ সিঁধুর মিশেলে পোঁচ কাটে ইচ্ছেমত,
একসাথে বালুবেলা ছাড়ে বেজায় শব্দে সব গাঙচিলগুলো,
নোনাশ্যাওলা গন্ধের ঝিরঝিরে আবেশে চোখ বুজে আসে,
জলকণারা বাতাসকে ভারী ক’রে ফের আমাকে জড়ায়,
একা হতে পারি তখন; সৈকতটাও আমার হয়।
একটা সময় ছিলো; একা হবার আনুষ্ঠানিকতা করতাম,
আসলে একা হতামনা; কিসব ঘিরে রাখতো আশপাশ,
ভাবতাম ওটাই আমার তৈরী সেই আপনবিলাসী জগৎ,
শঙ্কর মোজার্ট কিংবা আরো কোনো উচ্চমার্গীয় সঙ্গীত,
আবছা নরম ঘরোয়া আলো, ঘুরন্ত বিজলী বাতাস;
ঘিরে থাকতো আরো কত কত আয়েশী আয়োজন,
যদিও; তুলনার এই সৈকতটার দেখা পাইনি তখনো।
সময় একটু বাড়লেই, সৈকতটা আমায় অধিকার করবে;
আমিও, অন্য অনেক রাতের মত, ওতে মিশবো,
অনন্তের অচেনা গন্ধ ভাসবে, শব্দগুলো সঙ্গীত হবে,
আলো আধারীর খেলাটাও বেশ জমে উঠবে ওখানটায়;
আমি একা হবো, বারেবার হারাবো; শূন্য হবো,
নবায়নের সেই খেলাটা নতুন করে আবার খেলবো,
অনন্তবিন্দুর সৈকতখানা বিদায়ে বলবে, ভুলো না আমায়।
তাৎপর্যময়!
বরাবরের মত ভাল লেগেছে!
@কাজি মামুন,
(D)
ভাল লাগলো।
@হুতম পেঁচা,
(C)
কবিদের আবার ভয় আছে নাকি!এমন কবিতা পড়ে পাঠক ই যে ঝাঁকানি খাচ্ছে।
আমি আজ খাগড়াছড়িতে অফিসের কাজে। আর এ কবিতাট আমার একাকিত্বে ভাল সান্নিধ্য দিল।
কবির একাকিত্ব থেকে আরও অনেক কবিতা সৃষ্টি হয়ে আমাদের একাকিত্ব ঘুচাক।
@গীতা দাস,
(F)
@কাজী রহমান,
আপনি জব্বর লিখেছেন। সুন্দর লেখার জন্য- (F)
@আফরোজা আলম,
(F)
কি দারুন কবিতা। আজ বিকেলের সমুদ্র ভ্রমনের যথার্থ প্রকাশ! কবিকে প্রনাম!
অনেক ধন্যবাদ 🙂
অসাধারন।
একেই বোধয় বলে কাব্যের খেলা। (Y) (Y)
@অভ্র ব্যানার্জী,
:))
নিয়ম কানুন তেমন কিছুই যে মানছি না। ভয়ে আছি কে কখন ঝাঁকানি মারে। ইতিমধ্যে আনন্দে আছি, আপনাদের পাঠপ্রতিক্রিয়া দেখে দেখে। খুব ভালো থাকুন (D)
দিগন্তে সমূদ্র এবং আকাশ মিশে যেতে দেখা যায়। বাস্তবে আকাশ এবং সমূ্দ্র কখনও একত্রিত হয় না। কেউ কেউ জীবনভর দিগন্ত শিকারের পর জীবন সায়াহ্নের কোন এক সময় বুঝতে পারে এ বাস্তবতা। কেউ কেউ কখনই পারে না বুঝতে যে দিগন্ত একটা ভ্রম। তবে, এসব দেখে নীল সমূদ্র আর নীলাকাশ নিভৃতে, ‘একাকী’ মুচকী হাসে। একাকীত্ব একটা ধ্রুব বাস্তবতা আর সান্নিধ্য ‘সম্ভবত’ আপেক্ষিকতা।
@সংশপ্তক,
তবুও মানুষ
অগাস্তে রুদিনের ভাবুক ভাস্কর্য হয়ে ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে কোথাও আশ্রয় খোঁজে; খামোখাই হয়ত;
বাইরে ছুঁড়ে
হিসেবের খাতা, ভালোবাসে বিভ্রম; একা, আপন মনে।
একটা বেচারা ধরনের একাকী কবিতা
যেটা জন্মাবার সময় ভাবনার অধিকার পায়নি
যুক্তবাদী বিশ্লেষণী মানুষেরা ওকে কেটেচিরে কর্কশ করলো
অথচ কবিতাকে কবি বলতেই পেলোনা, ক্ষমতার অপপ্রয়োগের কথা।
…তবুওতো আমার আছে প্রকৃতি, আছে সুন্দর, আছে কবিতা। এই কি যথেষ্ট নয়?? তবে যথেষ্ট কী?
@অরণ্য,
যথেষ্ট বটে 🙂
ভাল লেগেছে।
@কলিম শরাফী,
আপনার সহজ মন্তব্যটিও আমার ভালো লেগেছে (C)
ভাবালুতা!
@সুষুপ্ত পাঠক,
ভবিষ্যৎ শব্দপ্রয়োগ মনতালিকায় ‘ভাবালুতা’ জুড়ে নিলাম।