ইসলাম ও কোরান কে বুঝতে হলে সেই সময়কার আরবী, বিশেষ করে মক্কা মদিনার আর্থ সামাজিক অবস্থা, কোন কোন ক্ষেত্রে আয়াত নাজিল হতো এবং কোরানের মধ্যে আয়াতের বিধান রহিত করন( Abrogation) বিষয়ে সম্যক ধারনা থাকতে হবে। এসব কিছু না জেনে কোরান পাঠ করলে প্রকৃত তথ্য জানা তো দুরের কথা, প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% । এ নিবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য সেগুলো।
অনেক গুলো ফ্যাক্টর ছিল সেই ১৪০০ বছর আগেকার মক্কা মদিনায় কেন ও কিভাবে ইসলাম প্রচার সম্ভব হয়েছিল ও অত:পর কিভাবে ইসলাম চারদিক ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে অনেক লেখা লেখি আছে তবে এ নিবন্ধে মূলত: কোরান হাদিস কিভাবে পড়তে হয় ও তার অর্থ বুঝতে হয় সে সম্পর্কে বিশেষভাবে আ লোকপাত করা হবে।কোরানের আয়াত কত রকম, কোথায় সেগুলো নাজিল হয়েছিল, নাজিলের পটভূমিকা কি ছিল এসব ভালমতো না জানলে যে কেউ কোরান পড়ে ভুল বুঝতে পারে, হতে পারে প্রতারিত।যেমন- নিচের বহুল প্রচলিত ও প্রচারিত আয়াত দুটি-
দ্বীন নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি নাই। সূরা-বাকারা, ০২: ২৫৬ ( মদিনায় অবতীর্ণ)
তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
কি সুন্দর একটি আয়াত ।ঠিক শান্তির মৃত সঞ্জিবনী সূরা প্রবাহের মত।যিনি কোরানের আয়াতের প্রকরণ, নাজিলের পটভূমিকা জানেন না, তিনি অতি সহজে ইসলামকে চুড়ান্ত রকম শান্তির ধর্ম হিসাবে বুঝে ফেলতে পারেন উক্ত আয়াত দুটি পড়ে।কিন্তু উক্ত আয়াত দুটি যে পরে বাতিল হয়ে গেছে অন্য আয়াত দ্বারা এ কথা জানে খুব কম মানুষ।তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতগন যারা ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসাবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধ পরিকর, তারা সদা সর্বদা উক্ত আয়াত দুটি আউড়ে গেলেও ঘুনাক্ষরেও তারা একথাটি বলে না যে , পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে নজিল হওয়া আয়াত দ্বারা উক্ত শান্তির আয়াত সমূহ বাতিল হয়ে গেছে।এ নিবন্ধের মূল আলোচ্য বিষয় এই আয়াত বাতিলকরন কি ও কোন্ কোন্ আয়াত বাতিল হয়ে গেছে সে সব নিয়ে আলোচনা করা। প্রথমেই দেখা যাক্ বাতিল করনের কোরানিক সমর্থন আছে কি না। তবে তার আগে বাতিলকরন বা Abrogation কি জিনিস সেটার একটু সংক্ষিপ্ত বর্ননা দেয়া যাক।বাতিল করন বা Abrogation হলো – ইসলামের প্রাথমিক যুগে (প্রধানত: মক্কায়) নাজিল কৃত নানা রকম আয়াত ( সাধারনত বিধি বিধাণ সম্পর্কিত) পরবর্তীতে মদিনায় অবতীর্ণ নতুন ও উন্নততর আয়াত দ্বারা রদ হয়ে যাওয়া।আরবিতে বলে আল নাসিক ওয়াল মানসুক- al-nāsikh wal-mansūkh (الناسخ والمنسوخ, “the abrogating and abrogated [verses]”). । আল নাসিক হলো- যে আয়াত দ্বারা বাতিল হয় বা Abrogating verse, এবং ওয়াল মানসুক হলো- যে আয়াত বাতিল হয়ে গেছে বা Abrogated Verse. এর সমর্থনে যে সব আয়াত কোরানে আছে তা নিম্নরূপ-
এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না। সূরা নাহল, ১৬: ১০১, মক্কায় অবতীর্ণ
আল্লাহ যা ইচ্ছা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন এবং মূলগ্রন্থ তাঁর কাছেই রয়েছে। সূরা রাদ, ১৬: ৩৯, মক্কায় অবতীর্ণ।
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? সূরা বাক্কারা, ২: ১০৬ মদিনায় অবতীর্ণ ,
ইসলামের প্রাথমিক যুগের আয়াত সমূহ যে পরবর্তী যুগে নাজিল হওয়া আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে তার বহু উল্লেখ হাদিসেও আছে , যেমন-
বুখারী, ভলিউম-৬, বই-৬০, হাদিস-৬৮ : ইবনের উম বর্নিত- যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান( ২:৮৪) পরবর্তীতে নাজিল হওয়া আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।
একই বক্তব্য নিচের হাদিসে-
Bukhari, Volume 6, Book 60, Number 69:
Narrated Marwan Al-Asghar: A man from the companions of Allah’s Apostle who I think, was Ibn ‘Umar said, “The Verse:–“Whether you show what is in your minds or conceal it….” was abrogated by the Verse following it.”
মুসলিম, বই-০০৩, হাদিস- ০৬৭৫: আবু আল আলা বি আ ল সিকখির বর্নিত- আল্লাহর রসুল কিছু বিধান অন্য বিধান দ্বারা রদ করে দেন, যেমন করে কোরান তার কিছু অংশ অন্য অংশ দ্বারা রদ করে।
এরকম আরো উদাহরন নিচে দেয়া হলো-
Bukhari , Volume 6, Book 60, Number 285: Narrated Al-Qasim bin Abi Bazza: That he asked Said bin Jubair, “Is there any repentance of the one who has murdered a believer intentionally?” Then I recited to him:–
“Nor kill such life as Allah has forbidden except for a just cause.” Said said, “I recited this very Verse before Ibn ‘Abbas as you have recited it before me. Ibn ‘Abbas said, ‘This Verse was revealed in Mecca and it has been abrogated by a Verse in Surat-An-Nisa which was later revealed in Medina.”
Muslim, Book 043, Number 7173:
Sa’id b. Jubair reported: I said to Ibn Abbas: Will the repentance of that person be accepted who kills a believer intentionally? He said: No. I recited to him this verse of Sura al-Furqan (xix.):” And those who call not upon another god with Allah and slay not the soul which Allah has forbidden except in the cause of justice” to the end of the verse. He said: This is a Meccan verse which has been abrogated by a verse revealed at Medina:” He who slays a believer intentionally, for him is the requital of Hell-Fire where he would abide for ever,” and in the narration of Ibn Hisham (the words are): I recited to him this verse of Sura al-Furqan:” Except one who made repentance.”
Muslim, Book 004, Number 1433:
Anas b. Malik reported that the Messenger of Allah (may peace be upon him) invoked curse in the morning (prayer) for thirty days upon those who killed the Companions (of the Holy Prophet) at Bi’r Ma’una. He cursed (the tribes) of Ri’l, Dhakwan, Lihyan, and Usayya, who had disobeyed Allah and His Messenger (may peace be upon him). Anas said: Allah the Exalted and Great revealed (a verse) regarding those who were killed at Bi’r Ma’una, and we recited it, till it was abrogated later on (and the verse was like this):, convey to it our people the tidings that we have met our Lord, and He was pleased with us and we were pleased with Him”.
উক্ত আয়াত সমূহ হলো রহিত করনের বৈধতা প্রদানের আয়াত। উক্ত আয়াত প্রথমেই যে প্রশ্নের উদ্রেক করে তা হলো- সর্ব শক্তিমান ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর জ্ঞানকে চ্যলেঞ্জ করে। তিনি মানুষের জন্য যদি কোন বিধি বা আইন প্রনয়ণ করেন তা হওয়া উচিত সর্বকালের জন্যই প্রযোজ্য ও আদর্শ। সময়ে সময়ে আইন পরিবর্তন করে একমাত্র মানুষ, যাদের মতি গতি , আচার আচরন , রুচির পরিবর্তন হয় সময়ে সময়ে আর তার সাথে তাল মিলিয়ে বিধির পরিবর্তন দরকার পড়ে, বর্তমানে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যা আমরা দেখি। কোরানে রহিতকরন আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ নিজেকে মানুষের কাতারে নামিয়ে ফেলেছে, অর্থাৎ এ আল্লাহর সার্বজনীন ও সর্বকালের জন্য আদর্শ আইন তৈরী করার ক্ষমতা বা জ্ঞান নেই।তারপরেও যদি ধরা হয় সুদীর্ঘ কালের জন্য মানব সমাজে কোন বিধি প্রনয়ণ সম্ভব নয় কারন সময়ের পরিবর্তনে সমাজের পরিবর্তন ঘটে যার ফলে দরকার পড়ে বিধি পরিবর্তনের।এ বিবেচনায় নবী ইব্রাহিমের বিধি মূসা নবী পরিবর্তন করে গেছেন, ইসা নবী করে গেছেন মূসা নবীর বিধি। সুতরাং অবশ্যম্ভাবী ভাবে মোহাম্মদ করে যাবেন ইসা নবীর বিধির পরিবর্তন।এটাই যদি হয় বাস্তবতা তাহলে মোহাম্মদ কোন্ বিচারে রায় দিয়ে যান যে তার বিধি ভবিষ্যতে আর কোন দিন পরিবর্তন হবে না বা পরিবর্তন করা যাবে না ? তারপরেও শুধুমাত্র যুক্তির খাতিরে যদি ধরে নেই যে মোহাম্মদের বিধাণই চুড়ান্ত বিধান যা সমাজে সব সময় চালু থাকবে ও একটা সমৃদ্ধশালী সমাজের জন্ম দিবে, সে ক্ষেত্রে দেখা যাক কত দ্রুত মোহাম্মদের আল্লাহ তার বিধি বিধাণ গুলো পরিবর্তন বা সংশোধন করছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- মোহাম্মদের আল্লাহ তার কোরানে মোহাম্মদের জীবনকালেই বার বার পরিবর্তন ও সংশোধন করছে।যা একজন সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহর বৈশিষ্ট্যের সাথে খুবই বেমানান।কারন বহুল প্রচলিত বিশ্বাস যে- আল্লাহ মানুষ সৃষ্টিরও বহু আগে কোরান রচনা করে লাওহে মাহফুজ নামক একটা যায়গায় সংরক্ষন করে রেখেছে।মোহাম্মদের জীবনকালেই বার বার কোরানের বিধি পাল্টানোর সাথে সাথে কি আল্লাহ তার সংরক্ষিত কোরানেও সংশোধনী এনেছে? যদি তা হয় তাহলে তা আবারও আল্লাহর সর্বজ্ঞানী বৈশিষ্ট্যের সাথে বেমানান।কারন একজন সর্ব শক্তিমান আল্লাহ যদি তার শেষ নবীর জন্য কোন বিধান বহু পূর্বেই করে থাকে তা একবারেই সার্বজনীন ও আদর্শভাবে করলেই সেটা হতো সর্বজ্ঞানী আল্লাহর জন্য মানানসই।কিছু দিন পর পর একই বিষয়ে বার বার আইন সংশোধনী সর্বজ্ঞানী আল্লাহর বৈশিষ্ট্যের সাথে খুবই বেমানান। এবারে দেখা যাক কোন কোন বিধান আল্লাহ অতি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই পাল্টে ফেলেছে। নিচের উদাহরন গুলো পড়া যাক-
(১) তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
দ্বীন নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি নাই। সূরা-বাকারা, ০২: ২৫৬ ( মদিনায় অবতীর্ণ)
উক্ত আয়াতের বিধান গুলো নিম্ন আয়াত গুলো দ্বারা রদ/বাতিল হয়ে গেছে-
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। সূরা আল ইমরান, ০৩: ৮৫ মদিনায় অবতীর্ণ
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আ ত-তাওবা, ০৯: ০৫মদিনায় অবতীর্ণ
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। আত তাওবা, ০৯: ২৯মদিনায় অবতীর্ণ
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। সূরা-নিসা. ০৪:৮৯ (মদিনায় অবতীর্ণ)
(২) নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। সূরা বাকারা, ০২:৬২ মদিনায় অবতীর্ণ
উক্ত আয়াত রদ/বাতিল হয়ে গেছে নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। সূরা আল ইমরান, ০৩: ৮৫মদিনায় অবতীর্ণ
(৩) আর যখন তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে তখন স্ত্রীদের ঘর থেকে বের না করে এক বছর পর্যন্ত তাদের খরচের ব্যাপারে ওসিয়ত করে যাবে। অতঃপর যদি সে স্ত্রীরা নিজে থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সে নারী যদি নিজের ব্যাপারে কোন উত্তম ব্যবস্থা করে, তবে তাতে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী বিজ্ঞতা সম্পন্ন। আল -বাকারা, ০২: ২৪০মদিনায় অবতীর্ণ
উক্ত আয়াত নিম্ন আয়াত দ্বারা রহিত/বাতিল হয়ে গেছে
আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে। আল -বাকারা, ০২: ২৩৪
বিষয়টি নিচের হাদিস দ্বারা সমর্থিত-
ভলিউম-৬, বই-৬০, হাদিস-৫৩: ইবনে আয যুবাইর বর্নিত- আমি উসমান বিন আফ্ফান (যখন তিনি কোরানের আয়াত সমূহ সংগ্রহ করছিলেন) জিজ্ঞেস এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম- “ যারা মৃত্যুবরন করার সময় স্ত্রীদের রেখে যায়——-” (কোরান, ২:২৪০) আয়াত এ আয়াত টি অন্য আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে। আপনি কেন তা কোরানে সংযুক্ত করছেন? উসমান উত্তর দিলেন- “ হে আমার ভ্রাতুষ্পূত্র, আমি কোন আয়াতকেই তার স্থান থেকে সরাব না”।
(৪) সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে। আল -বাকারা ০২: ২১৭ মদিনায় অবতীর্ণ
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে, যারা আল্লাহর সে দিনগুলো সম্পর্কে বিশ্বাস রাখে না যাতে তিনি কোন সম্প্রদায়কে কৃতকর্মের প্রতিফল দেন। আল জাসিয়া, ৪৫: ১৪, মক্কায় অবতীর্ণ
উক্ত আয়াত দ্বয়কে রহিত/বাতিল করে নিচের আয়াত
নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। সূরা আত- তাওবা, ০৯: ৩৬, মদিনায় অবতীর্ণ
(৫) তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার। আল – বাকারা, ২:২১৯ মদিনায় অবতীর্ণ
উক্ত আয়াত রদ/বাতিল হয় নিচের আয়াত দ্বারা
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূলের অনুগত হও এবং আত্মরক্ষা কর। কিন্তু যদি তোমরা বিমুখ হও, তবে জেনে রাখ, আমার রসূলের দায়িত্ব প্রকাশ্য প্রচার বৈ ত নয়। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সে জন্য তাদের কোন গোনাহ নেই যখন ভবিষ্যতের জন্যে সংযত হয়েছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। এরপর সংযত থাকে এবং বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর সংযত থাকে এবং সৎকর্ম করে। আল্লাহ সৎকর্মীদেরকে ভালবাসেন। সূরা আল – মায়েদা, ৫: ৯১-৯২মদিনায় অবতীর্ণ
এরকম রদ বা বাতিল হয়ে যাওয়া আরও অসংখ্য আয়াত আছে যার পরিপূর্ন বর্ননা পাওয়া যাবে নিচের সাইট গুলোতে-
রদ/বাতিল করন কি জিনিস জানা যাবে এখানে- http://en.wikipedia.org/wiki/Naskh_%28tafsir%29
http://wikiislam.net/wiki/List_of_Abrogations_in_the_Qur%27an
http://www.answering-islam.org/Quran/abrogatedverses.html
http://www.answering-islam.org/Silas/abrogation.htm
http://www.sikhphilosophy.net/islam/1754-abrogated-verses-in-the-koran.html
রদ/বাতিলকরন সম্পর্কে জাকির মিয়ার বয়ান পাওয়া যাবে এখানে-
http://www.youtube.com/watch?v=rlbFSWbcVVM
ভাল করে ভিডিওটি শুনলে দেখা যাবে কিভাবে জাকির মিয়া চাপাবাজি করতে পারে। তার বক্তব্য- নারীর ব্যভিচারের শাস্তি হলো তাকে ঘরের মধ্যে চিরতরে আটকে রাখা ও পরে কি হবে তা আল্লাহ জানে যার অর্থ পরে আল্লাহ ভিন্ন কোন শাস্তি প্রদান করবে, পরে সে শাস্তি রদ হয়ে একশত দোররায় পরিনত হয়। এতে নাকি কোন সমস্যা নেই। আসলেই সমস্যা নেই যদি আইন প্রণেতা মানুষ হয় কারন তারাই সময় সময় আইন পরিবর্তন করে। কিন্তু কোরানের আইন প্রণেতা তো মানুষ নয়, সর্বজ্ঞানী আল্লাহ। এ ধরণের ব্যভিচারের শাস্তি কি হবে তা স্থির করতে আল্লাহকে বার বার চিন্তা করতে হয়, যেন আল্লাহ মানুষ। কোরানের আল্লাহর এ ধরণের মানবিক স্বভাবের কারনেই কোরান যে আসলে মানুষ রচিত তা বুঝতে মহা পন্ডিত হওয়ার কোন দরকার আছে বলে মনে হয় না।
উক্ত (১) নম্বর বাতিল করন ঘটনার বিষয় বস্তু হলো ইহুদী, খৃষ্টান, কাফের এদের সাথে কিভাবে আচরন করতে হবে। এর উপরে মক্কা ও মদিনা দু জায়গাতেই আয়াত নাজিল হয়েছে। বাতিলকরন পদ্ধতি মোতাবেক পরে মদিনায় নাজিলকৃত আয়াত দ্বারা পূর্বে মক্কায় নাজিলকৃত আয়াত বাতিল হয়ে যাবে। এখন মদিনাতে নাজিল হওয়া আয়াত সমূহ থেকে যে বার্তা পাওয়া যায় তা কি কোন শান্তির কথা প্রচার করছে? অর্থাৎ যে আয়াতের কার্যকারিতা বহাল থাকল সেসব আয়াত থেকে কি কোন শান্তিপূর্ণ ইসলামের চেহারা পাওয়া যায় ? এভাবে ২,৩,৪,৫ নং এ কোন কোন বিষয় বাতিল হয়ে গেছে তা শুধুমাত্র আয়াতগুলো পড়লেই যে কোন সাধারন মানুষই তা বুঝে ফেলবে, এসব বুঝতে কোন রকম বিশাল দিগ্ গজ পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই।
এখন প্রশ্ন হলো- কিভাবে বোঝা যাবে, কোন কোন আয়াত বাতিল হয়ে গেছে ও তার পরিবর্তে নতুন আয়াত প্রতিস্থাপিত হয়েছে? বোঝা কিন্তু খুবই সোজা ও এর জন্যেও বিশাল পন্ডিত হওয়ার দরকার নেই। রাষ্ট্রে যেভাবে আইন বাতিল হয় এখানকার পদ্ধতি হুবহু একই রকম।ধরা যাক, নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে কোন একটা আইন বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রনীত হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে আইন দ্বারা দেশ শাসন করা যাচ্ছে না।তখন সংসদ উক্ত আইনটি কিছুটা পরিবর্তন করে সংশোধিত একটা আইন তৈরী করে তা সংসদে ২০১২ সালে পাশ করল।অত:পর কোন আইনটি দেশে কার্যকর হবে? এর উত্তর দিতে আইন বিশারদ হওয়ার দরকার নেই। সোজা উত্তর -অত:পর ২০১২ সালের আইন কার্যকর হবে ও ২০০১ সালের আইন বাতিল বলে গণ্য হবে।কোরানের ক্ষেত্রেও বিষয়টি হুবহু এক । ধরা যাক , ইসলামের প্রাথমিক যুগে ( যেমন – মক্কায়) কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে একটা বিধানের আয়াত নাজিল হয়েছিল , ঠিক উক্ত বিষয়ে যদি পরবর্তীতে ( যেমন- মদিনায়) অন্য একটা আয়াত নাজিল হয় তাহলে পূর্বোক্ত আয়াত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। যা কোরান ও হাদিসে বার বার উল্লেখ করা আছে যা উপরে দেয়া হয়েছে। এবার (১) নং বাতিলকরন আয়াত সমূহকে ব্যখ্যা করা যাক।
তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। কোরান, কাফিরুন- ১০৯:০৬ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
দ্বীন নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি নাই। সূরা-বাকারা, ০২: ২৫৬ ( মদিনায় অবতীর্ণ)
১০৯: ০৬ (সূরা কাফিরুন) ও ০২: ২৫৬ (সূরা বাক্কারা) আয়াত দ্বয় যথাক্রমে মক্কা ও মদিনাতে নাজিল হয়েছিল।সবাই জানেন যে , মক্কাতে মোহাম্মদ খুব দুর্বল ছিলেন, তাঁর অনুসারীর সংখ্যা নগণ্য, এরকম অবস্থায় মক্কায় কুরাইশ, ইহুদি ও খৃষ্টানদের সাথে সহাবস্থান করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। যে কারনে উক্ত ১০৯:০৬ আয়াত নাজিল হয়। ০২: ২৫৬ আয়াত নাজিল হয় মদিনাতে। খেয়াল করতে হবে এ আয়াত হলো সূরা বাক্কারার। এ সূরার সিংহ ভাগ নাজিল হয় কিন্তু মক্কাতে, বাকী অংশ নাজিল হয় মদিনাতে।সুতরাং উক্ত আয়াত মক্কাতেই আসলে নাজিল হয়েছিল।যেহেতু সিংহভাগ নাজিল হয়েছিল মক্কাতে সেহেতু তা মাক্কি সূরা হিসাবে প্রচলিত হওয়া উচিত ছিল।কিন্তু যারা কোরানের আয়াত সংকলন করেছিল তারা তাদের ইচ্ছামত আয়াত আগ পিছ করে অত:পর তাকে মাদানি সূরা হিসাবে পরিচিত করায়। এছাড়াও কিভাবে কোরানকে সংকলনকারীরা তাদের ইচ্ছামত সাজিয়েছে তাও বোঝা যাবে নিচের তালিকা থেকে। এর একটা উদ্দেশ্য আছে মনে হয় তা হলো যাতে করে মানুষ সঠিক তথ্য বুঝতে না পারে। বর্তমানে যে সংকলিত কোরান দেখি তাতে প্রথম দিকের সূরাগুলো সব মদিনার আর তাতে আছে হত্যা, খুন এসবের কথা বার্তা, এর পরের সূরাগুলো হলো মাক্কি যাতে আছে শান্তিপূর্ন সহাবস্থানের কথা। যে কোন পাঠক যদি ঐতিহাসিক সঠিক ক্রমবিন্যাস না জেনে কোরান পড়েন তিনি ভেবে বসতে পারেন যে প্রথম দিকে আল্লাহ মোহাম্মদকে অমুসলিমদের প্রতি কঠিন হওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর এক সময় সবার সাথে শান্তিপূর্ন সহাবস্থানের নির্দেশ দিয়েছিল।অথচ বাস্তবে হলো উল্টো। এখানে আরও খেয়াল করতে হবে মক্কায় বা মদিনার প্রাথমিক আমলে (যেমন সূরা – বাক্কারা) নাজিলকৃত বিশেষে করে জিহাদ সম্পর্কিত আয়াত গুলোর একটাও কিন্তু সূরা বাক্কারার কোন আয়াত দ্বারা বাতিল হয় নি। উপরের তালিকাতে দেখা যায় মাত্র একটা আয়াত বাতিল হয়েছে যা হলো বিধবা নারীর বিবাহ সম্পর্কিত। এর কারন সহজেই বোধগম্য। কারন মোহাম্মদ তখন সবেমাত্র মদিনাতে গমন করেছেন, তার সঙ্গী সাথী তখনও সেখানে বৃদ্ধি পায় নি বা তার ক্ষমতাও সেখানে কুক্ষিগত হয় নি। সেকারনে বাক্কারার আয়াত গুলোতে সেরকম কোন জিহাদী আয়াত নেই। মাক্কী বা বাক্কারার অনেক আয়াত বাতিল হয়েছে অনেক পরে নাজিল হওয়া সূরা আত-তাওবা, মায়েদা এসবের আয়াত দ্বারা। নিচের ক্রম সারনী থেকে দেখা যায় তাওবা ১১৩ ও মায়েদা ১১২ নম্বরে অবস্থান করছে অর্থাৎ কোরানের সর্ব শেষ নাজিলকৃত সূরাগুলোর অন্তর্গত এবং বলা বাহুল্য ততদিনে মোহাম্মদ মদিনায় তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ফেলেছেন ও একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী, আশ পাশের ইহুদি খৃষ্টান দের বসতি গুলো তাঁর দখলে চলে এসেছে ও তখন তার আর ইহুদি খৃষ্টানদেরকে ভয় করার কোন কারন নেই। তার তাই তখন তার দরকারও নেই পূর্বেকার শান্তিপূর্ন বিধান চালু রাখার। সুতরাং কিভাবে কোরান সংকলনকারীরা সূক্ষ্ম কারচুপি করেছে সেটা সহজেই বোধগম্য। সবার বোঝা জন্যে সূরা গুলো ক্রমবিন্যাশ নিচে দেয়া হলো-
Quran Verses in Chronological Order:
Chronological Order Sooreh Name Verses Revelation Traditional Order
1 Alaq (Al-) 19 Mecca 96
2 Qalam (Al-) 52 Mecca 68
3 Muzammil (Al-) 20 Mecca 73
4 Mudathir (Al-) 56 Mecca 74
5 Fatehah 7 Mecca 1
6 Masad (Al-) 5 Mecca 111
7 Takwir (Al-) 29 Mecca 81
8 A’la (Al-) 19 Mecca 87
9 Leyl (Al-) 21 Mecca 92
10 Fajr (Al-) 30 Mecca 89
11 Dhuha (Al-) 11 Mecca 93
12 Sharh (Al-) 8 Mecca 94
13 Asr (Al-) 3 Mecca 103
14 Aadiyat (Al-) 11 Mecca 100
15 Kauthar (Al-) 3 Mecca 108
16 Takathur (Al-) 8 Mecca 102
17 Ma’un (Al-) 7 Mecca 107
18 Kafirun (Al-) 6 Mecca 109
19 Fil (Al-) 5 Mecca 105
20 Falaq (Al-) 5 Mecca 113
21 Nas (Al-) 6 Mecca 114
22 Ikhlas (Al-) 4 Mecca 112
23 Najm (Al-) 62 Mecca 53
24 Abasa 42 Mecca 80
25 Qadr (Al-) 5 Mecca 97
26 Shams (Al-) 15 Mecca 91
27 Bhruj (Al-) 22 Mecca 85
28 T’in (Al-) 8 Mecca 95
29 Qureysh 4 Mecca 106
30 Qariah (Al-) 11 Mecca 101
31 Qiyamah (Al-) 40 Mecca 75
32 Humazah (Al-) 9 Mecca 104
33 Mursalat (Al-) 50 Mecca 77
34 Q’af 45 Mecca 50
35 Balad (Al-) 20 Mecca 90
36 Tariq (Al-) 17 Mecca 86
37 Qamr (Al-) 55 Mecca 54
38 Sad 88 Mecca 38
39 A’Raf (Al-) 206 Mecca 7
40 J’nn (Al-) 28 Mecca 72
41 Ya’sin 83 Mecca 36
42 Farqan (Al-) 77 Mecca 25
43 Fatir 45 Mecca 35
44 Maryam 98 Mecca 19
45 Ta Ha 135 Mecca 20
46 Waqiah (Al-) 96 Mecca 56
47 Shuara (Al-) 226 Mecca 26
48 Naml (Al-) 93 Mecca 27
49 Qasas (Al-) 88 Mecca 28
50 Israa (Al-) 111 Mecca 17
51 Yunus 109 Mecca 19
52 Hud 123 Mecca 11
53 Yousuf 111 Mecca 12
54 Hijr (Al-) 99 Mecca 15
55 Ana’m (Al-) 165 Mecca 6
56 Saffat (Al-) 182 Mecca 37
57 Luqman 34 Mecca 31
58 Saba 54 Mecca 34
59 Zamar (Al-) 75 Mecca 39
60 Ghafer 85 Mecca 40
61 Fazilat 54 Mecca 41
62 Shura (Al-) 53 Mecca 42
63 Zukhruf (Al-) 89 Mecca 43
64 Dukhan (Al-) 59 Mecca 44
65 Jathiyah (Al-) 37 Mecca 45
66 Ahqaf (Al-) 35 Mecca 46
67 Dhariyat (Al-) 60 Mecca 51
68 Ghashiya (Al-) 26 Mecca 88
69 Kahf (Al-) 110 Mecca 18
70 Nahl (Al-) 128 Mecca 16
71 Noah 28 Mecca 71
72 Ibhrahim 52 Mecca 14
73 Anbiya (Al-) 112 Mecca 21
74 Muminun (Al-) 118 Mecca 23
75 Sajdah (Al-) 30 Mecca 32
76 Tur (Al-) 49 Mecca 52
77 Mulk (Al-) 30 Mecca 67
78 Haqqah (Al-) 52 Mecca 69
79 Maarij (Al-) 44 Mecca 70
80 Naba (Al-) 40 Mecca 78
81 Naziat (Al-) 46 Mecca 79
82 Infitar (Al-) 19 Mecca 82
83 Inshiqaq (Al-) 25 Mecca 84
84 Rum (Al-) 60 Mecca 30
85 Ankabut (Al-) 69 Mecca 29
86 Motafefin (Al-) 36 Mecca 83
87 Baqarah (Al-) 286 Madina 2
88 Anfal (Al-) 75 Madina 8
89 Imran (Al-) 200 Madina 3
90 Ahzab (Al-) 73 Madina 33
91 Mumtahana (Al-) 13 Madina 60
92 Nisa (Al-) 176 Madina 4
93 Zilzaleh (Al-) 8 Madina 99
94 Hadid (Al-) 29 Madina 57
95 Muhammad 38 Madina 47
96 Ra’d (Al-) 43 Madina 13
97 Rahman (Al-) 78 Madina 55
98 Ensan (Al-) 31 Madina 76
99 Talaq (Al-) 12 Madina 65
100 Beyinnah (Al-) 8 Madina 98
101 Hashr (Al-) 24 Madina 59
102 Nur (Al-) 64 Madina 24
103 Hajj (Al-) 78 Madina 22
104 Munafiqun (Al-) 11 Madina 63
105 Mujadila (Al-) 22 Madina 58
106 Hujurat (Al-) 18 Madina 49
107 Tahrim (Al-) 12 Madina 66
108 Taghabun (Al-) 18 Madina 64
109 Saff (Al-) 14 Madina 61
110 Jumah (Al-) 11 Madina 62
111 Fath (Al-) 29 Madina 48
112 Maidah (Al-) 120 Madina 5
113 Taubah (Al-) 129 Madina 9
114 Nasr (Al-) 3 Madina 110
উপরে দেখা যায় ১ নং থেকে ৮৬ নং সূরা পর্যন্ত মক্কাতে নাজিল হয়েছিল আর তার পরে ৮৭ নং সূরা বাক্কারা মদিনাতে নাজিল হয় ও ১১৪ নং পর্যন্ত মদিনাতেই নাজিল হয়।
এখন ঠিক একই বিষয়ে পরে মদিনাতে নিচের আয়াত গুলো নাজিল হয়-
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। সূরা আল ইমরান, ০৩: ৮৫ মদিনায় অবতীর্ণ
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আ ত-তাওবা, ০৯: ০৫মদিনায় অবতীর্ণ
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। আত তাওবা, ০৯: ২৯মদিনায় অবতীর্ণ
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। সূরা-নিসা. ০৪:৮৯ (মদিনায় অবতীর্ণ)
এখন পাঠককেই প্রশ্ন করি, অত:পর কোন আয়াতের কার্যকারিতা থাকবে ? অমুসলিমদের সাথে কিভাবে আচরন করতে হবে তার ওপরে আগের মাক্কি আয়াতের বিধান নাকি পরের মাদানি আয়াতের বিধান ? এর উত্তর দিতে নিশ্চয়ই কোরান হাদিসে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। যার সামান্যতম সাধারণ জ্ঞান আছে সেই এর উত্তর দিতে পারবে। বিষয়টা এত সহজ হওয়াতেই বর্তমানে ইসলামকে কোন ক্রমেই শান্তির ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা যাচ্ছে না। ঠিক একারনেই তারা তারস্বরে চিৎকার করে বলছে- যে ওসব বাতিলকরন বা Abrogation শুধুমাত্র প্রযোজ্য হবে কোরানের আগেকার কিতাব যথা যবুর, তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব সম্পর্কে। অর্থাৎ কোরান আসার পর উক্ত কিতাব সমূহ বাতিল হয়ে গেছে আর এটাই হলো বাতিল করন। কিন্তু বিষয়টা যে মোটেও তা নয় তা উক্ত আয়াত সমূহ ও হাদিস সমূহ পড়লেই বোঝা যায়। আসলে শুধুমাত্র –আল্লাহ যা ইচ্ছা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন এবং মূলগ্রন্থ তাঁর কাছেই রয়েছে। সূরা রাদ, ১৬: ৩৯, মক্কায় অবতীর্ণ।– এ আয়াতটি দিয়ে পূর্ববর্তী কিতাবের কার্যকারিতা রদ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়, কিন্তু বস্তুত কোরানের কোথাও পূর্ববর্তী কিতাব তথা তৌরাত, ইঞ্জিল এসব বাতিলের সুস্পষ্ট বক্তব্য নাই। যা আছে তা হলো আয়াত বাতিলের কথা। যেমন-সূরা বাক্কারা, ২: ১০৬ ও সূরা নাহল, ১৬: ১০১- আয়াত দুটো শুধুমাত্র কোরানের আয়াত রদ করার কথা বলা হয়েছে। কারন উক্ত আয়াত দুটিতে পরিস্কারভাবে আয়াত পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে কোন কিতাব বাতিল করার কথা বলা হয় নি। গোটা কোরান ও হাদিসে এর স্বপক্ষে বহু প্রমানও আছে। তাহলে এসব পন্ডিতরা কিভাবে বলে এসব Abrogation হলো পূর্ববর্তী কিতাবের জন্য? আর কিছু কিছু আয়াত যে পরিবর্তন করা হয়েছে তার সাক্ষী উপরে উল্লেখিত হাদিসসমূহ। যা পরিস্কার ভাবে উপরে উল্লেখিত কোরানের বাতিলকরন ও বাতিল হওয়া আয়াত দ্বারা ও হাদিসের উদাহরন দ্বারা বোঝা যায়। পরবর্তীতে এ বিধানের আর কোন পরিবর্তন না হওয়ায় অত:পর তা কিয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকবে। এটাই অতি সাধারন নিয়ম। কারন মোহাম্মদ বলে গেছেন তাঁর পর আর কোন নবী আল্লাহর বিধান দিতে আসবে না। সুতরাং এর পর কিভাবে ইসলাম শান্তির ধর্ম হবে? এছাড়াও সর্বজ্ঞানী আল্লাহ অতি দ্রুত তার বিধান সমূহ পাল্টে ফেলে অস্থিরমতি মানুষের মতই আচরণ করেছে। এ থেকে কি পরিষ্কার বোঝা যায় না যে , বস্তুত মোহাম্মদ নিজেই আসলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের প্রণীত পূর্বোক্ত বিধান সমূহ পাল্টে ফেলে নতুন নতুন সুবিধামত আয়াত তৈরী করে তা আল্লাহর বানীর নামে প্রচার করেছে? বস্তুত: ইসলামী পন্ডিতরা বাতিল হওয়া আয়াত গুলোকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করে তারা সাধারণ মানুষকে অহরহ বিভ্রান্ত করছে, প্রতারিত করছে, এর শাস্তি কি হবে কিয়ামতের ময়দানে ? তা ছাড়া আমরাই বা এদের মত ধড়িবাজদের দ্বারা এভাবে কতদিন প্রতারিত হতে থাকব?
বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদের হাদিসের সাইট
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
@আঃ হাকিম চাকলাদার
সৃষ্টি করা আর বিস্তৃত করা কি একই কথা?
@ভবঘুরে
আমি কুরান পড়ার ক্ষেত্রে না,আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছিলাম ‘কুরান সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক নিদর্শন’ এটার বিরুদ্ধে বলতে গেলে আমাদের আরবি ব্যাকরণ ভালভাবে জানতে হবে।কারন আমি এখানে একজনকে দেখলাম সে আরবির সাথে বাংলার ছন্দ মিলাচ্ছে।
জাকির নায়েক সম্পর্কে বলার আগে দশবার ভাবা উচিত।কারন সে কুরানের যে ব্যাখ্যা দেয়,সেটাই কিন্তু প্রকৃত এবং যৌক্তিক।কারন তারা এগুলা নিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি জানে এবং গবেষণা করে।ইসলাম নিয়ে সে যতটা আত্মবিশ্বাসী,অন্য মতাবলম্বীদের (হিন্দু,নাস্তিক ইত্যাদি) কেউই ততটা নয়।সে শুধু ইসলাম ই নয়,অন্য সব ধর্ম নিয়েই আমাদের চেয়ে বেশি জানে।আপনি কি একমত?
আশা করি সত্যেরই জয় হবে।ধন্যবাদ।
কেউ আমাদের চেয়ে বেশী জানে এটাই যদি তার জ্ঞানের মাপকাঠি হয় তবে জানতে হবে আমরা কেমন জানি। তাই আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে তার জ্ঞান। সেজন্যে আপনি নিজে কোরআন বাংলায় পড়তে পারেন বা জোকারটার সবকিছু দেখে নিয়ে ভবঘুরের লেখার বিরোধিতা করে ওকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
আরবি ব্যাকরণ আপনারা কতটুকু জানেন?আন্দাজে কথা বলার তো কোন মানে নাই।মহানবি কুরান লিখসেন বললেই তো হলো না।সব সমীকরণ তো মিলাতে হবে।এখানে কুরানের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রসঙ্গ,প্রেক্ষাপট ছাড়া বাজে কথা বলা হচ্ছে।কুরান যদি মহানবী লিখতেন তাহলে সেখানে অনেক অসঙ্গতি থাকত।এখানে দেখলাম জাকির নায়েক কে অনেক বাঁশ দেওয়া হয়।জাকির নায়েক কে চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ আছে নাকি এখানে?ভাল থাকুন।
@রাফিদ,
আপনার জন্য একটি লেখা
কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ?
@রাফিদ,
একেবারেই আরবী ব্যকরণ আমরা জানি না। তাতে কি , তাহলে যারা আরবী জানে না তারা কোরান যথাযথভাবে বুঝতে কিভাবে ? আর বুঝতে না পারলে ইসলাম পালন করবে কিভাবে ?
সেই সমীকরণ টা আপনি একটু মিলিয়ে দিয়ে যান ও কোরানের সঠিক ব্যখ্যাটা কি সেটা বলে যান।
কোরানে অসংখ্য অসঙ্গতি আছে , আপনি নিজ ভাষায় কোরান পড়লে তা আপনার চোখেই পড়বে। এখন ইমানে কন, আপনি আপনার মাতৃভাষায় কোরান পড়েছেন ?
জাকির নায়েক স্রেফ একজন জোকার ছাড়া আর কিছু নয়। আপনি যদি জাকির নায়েকের লেকচার মন দিয়ে শোনেন , তাহলে দেখবেন সে কোরানের আয়াতের মধ্যে যে শব্দগুলো আছে তার নানা রকম নিজস্ব অর্থ করে তারপর আয়াতের অর্থকে নিজের মত বানিয়ে বলে। বাস্তবে কোরানের আয়াতের শব্দের একটাই সুনির্দিষ্ট অর্থ হবে, বহুরকম নয়। কারন আল্লাহ বলছেন – কোরান একটা সুস্পষ্ট গ্রন্থ। সুস্পষ্ট গ্রন্থের কোন শব্দের একাধিক অর্থ থাকতে পারে না। আর যদি থাকেও তা বাক্যটির গঠন দেখেই সরাসরি বোঝার কথা।
উদাহরণ: (১) সাকিব বাম হাতে ব্যাট করে।
(২) প্রধান মন্ত্রীর হাতে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা।
উক্ত বাক্য দুটি থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় হাত শব্দটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয় নি।
কোরানে সেটা বোঝা যায় না।কোরানে আজ একজন একরকম অর্থ করে তো কাল অন্যজন অন্যরকম। জোকার নায়েক এভাবেই তার ইচ্ছামত ব্যখ্যা করে প্রকারান্তরে কোরানের অপব্যখ্যা করে কোরানের বারোটা বাজাচ্ছে। একারনে বর্তমানে মোল্লা মৌলবিদের মধ্যেই জোকার মিয়ার অনেক বিরোধী লোক সৃষ্টি হয়ে গেছে।
@রাফিদ,
দেখুনতো নীচের দুইটি আয়াত পরস্পর সাংঘর্ষিক কিনা। প্রথম আয়াতে বলা হচ্ছে পৃথিবীকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে আর দ্বিতীয় আয়াতে বলা হচ্ছে আছমানকে আগে সৃষ্টি করা হয়েছে।
যিনি সৃষ্টি করলেন তারই নিজ মুখ দিয়ে কি করে এত বড় সাংঘর্ষিক বক্তব্য বের হওয়া সম্ভব? এ ধরনের সাংঘর্ষিক বক্তব্য হওয়া মানুষের গনাগুন গনাগুন নয় কি?
এটা কি একটি অসংগতি নয় ?
2:29
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
79: 27-30
27
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
28
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
29
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।
30
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।
ধন্যবাদ
@ফারুক,
এর কারন কি জানেন ? ঐ সময় কোরান রচনা করতে গিয়ে তখনকার ব্যকরণ অনুযায়ী অনেক ত্রুটি ধরা পড়ে।মোহাম্মদ ছিলেন শিক্ষা দীক্ষাহীন, আজগুবি গল্প বলতে শিক্ষার দরকার নেই কিন্তু তা লিখে রাখতে গেলে ব্যকরণের জ্ঞান থাকতে হয়, যা মোহাম্মদের ছিল না। পরবর্তীতে কোরানের ভাষা ও ব্যকরণ ত্রুটি হীন প্রমান করতেই মুসলিম শাসক গোষ্ঠী ও শাসকরা কোরানের জগাখিচুড়ী ব্যকরণকেই আদর্শ আরবী ব্যকরণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। এ জন্যেই কোরানে আল্লাহ নিজেকে একবার আমি , একবার তুমি একবার সে এভাবেই নিজেকে তুলে ধরছে । আর এখন ইসলামি পন্ডিতদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এটাই নাকি আরবী ব্যকরণের আসল রূপ। কি আজগুবি যুক্তি।
@ভবঘুরে,
ভাইজান, আপনি হয়তো জানেন না, বাল্যকালে হুজুর রা যখন আমাদেরকে মাদ্রাসায় আরবী ব্যকরন শিখাতেন তখন হুজুরদের মাঝে মাঝে বলতে শুনতাম, “কোরানে এই নিয়মটার সংগে কোন কোন আয়াতে গরমিল আছে, তবে যেহেতু কোরান আল্লাহর একান্ত নিজেরই কথা বার্তা একারনে ওখানে যাই কিছু থাকুক ওটার সব কিছুই সঠিক বলে মানতেই হবে।”
তখন এ সমস্ত কথার কোনই অর্থ বুঝতামনা।
বহু বৎসর পরে এখন বুঝতে পারছি হুজুররা তখন একথা কেন বলতেন।
ধন্যবাদ
,
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
”
হা হা হা , গরমিল থাকুক আর যাই থাকুক তা সব ঠিক আছে কারন তা আল্লাহর বানী। কিন্তু কেউ এ প্রশ্ন তোলে না যে ভাষায় গরমিল আছে তা আল্লাহর বানী হয় কি ভাবে?
আমি বেশ কিছু মহিলাদের সাথে আলাপ করে তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে তাদের জন্য বেহেস্তে কিছুই আল্লাহ সৃষ্টি করে নি যেখানে একজন পুরুষের জন্য ৭০ টা যৌনবতী হুরের ব্যবস্থা আছে। তখন তারা মন্তব্য করে তাহলে তো পুরুষদের আর চিন্তার কারন নেই। কিন্তু তারা ভুলেও এ প্রশ্নটা করে না – আল্লাহ যদি পরম দয়ালু হয় তাহলে সে কিভাবে এমন মহা পক্ষপাতিত্ব দেখাতে পারে?
তাহলে বুঝুন ঠেলা , কিভাবে এদের বোধ বুদ্ধি বদ্ধ হয়ে আছে ।
ফারুকের জবাবের অপেক্ষায় অনেকদিন পর ঢু মারলাম। ওর জবাবটা সত্যি দরকার ছিল। কারণ সে আমলে গ্রামার কি অবস্থায় ছিল তার একটা রূপরেখা পাওয়া যেত।
এই ভাবে কখনো লাভ হবে না। নিজের একটি বিকে রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। যত ক্ষণ বিশ্বস থাকবে ততক্ষণ নিজের কোন কল্যাণ হবে না।
@নুমন,
তাহলে কিভাবে লাভ হবে ? মানুষ যদি অন্ধই হয় বিবেক কাজে লাগাবে কেমনে ?
বহুদিন ধরেই শ্রদ্ধেয় ভবঘুরের বিশ্লেষণাত্মক অসাধারণ প্রবন্ধগুলো পড়ি। গভীর পাণ্ডিত্য এবং অমানুষিক পরিশ্রমের ফসল এই প্রবন্ধগুলি খালি ইসলামের নয় সব তথা কথিত ধর্মের শেকড়ে বিরাট আঘাত হানছে। লাখো সেলাম ভবঘুরে। মাননীয় ভবঘুরের লেখায় বড্ড বানান ভুল থাকে। ওগুলো এড়াতে পারলে প্রবন্ধগুলো সুখপাঠ্য এবং নয়নসুখকারী হত।
অধিকাংশ প্রবন্ধের বানান ভুল, গুরুচন্ডালী দোষ ইত্যাদি সংশোধন করে ওয়ার্ড ফাইল এবং তার পিডিএফও করে রেখেছি। মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধব ওগুলো ছাপিয়ে নিয়ে যান। ভবঘুরে, আপনি লিখে যান, আপনার দৌলতে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সারমেয়কুলের বৃথা গর্জনে কান দেবেন না।
@বস্তাপচা,
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য, বানানের ব্যপারে যথেষ্ট চেষ্টা করি কিন্তু তার পরেও বেশ ভুর রয়ে যায়।
আদৌ হচ্ছে কি না তা ঠিক বুঝি না কারন মুক্তমনাতে ঢু মারা পাবলিক অনেকটাই উদার , যারা কঠিন বিশ্বাসী তাদের কোন উপকার হচ্ছে কি না তা এখনও বুঝছি না।
হা হা হা, মক্তবের কথা বিশ্বাষ না হলে ধরে নিন মাদ্রাসায় বেশ কিছু দিনের কথা। আর আরবী ভাষাটা এমনি যে এর গ্রামার টা ভাল ভাবে পড়লেই ভাষার প্রায় ৯৭% বুঝতে পারা যায়।তবে ঐ লাইন ছেড়ে দেওয়ার পর দীর্ঘ দিন যাবৎ এর কোনই চর্চা ছিলনা।এইতো মাত্র অল্প কিছুদিন হল আমার এক বন্ধু পরামর্শ দিল, ভাই ধর্মটাকে একটু নিজে ভাল করে বুঝে নিয়েন। শুধু মৌলবী সাহেবদের উপর আস্থা করবেননা। তিনি আমাকে বল্লেন “It has gone seriously on wrong way” . তিনি শুধু ধর্মের উপরই দীর্ঘ ১৭ বৎসর ধরে গবষণা করেছেন ও এখনো করতেছেন।
তারপর তো জানেন , আপনাদের পাল্লায় পড়ে গেলাম। আর আপনিও তো ঐ একই কথা বলতে থাকলেন যে “কোরান হাদিছ নিজেরা বুঝে পড়ুন”
আর তাই একটু একটু বুঝতে যেয়েই তো দেখা যাচ্ছে ইছলামিক সন্ত্রাসীদের কোনই ত্রুটি নাই,তারাতো কোরান হাদিছকে আরো জোরালো ভাবে অনুসরন করতেছে। তাই সমস্ত ইসলামিক পন্ডিত,আলেম,ইমাম গন তাদের পূর্ণ সমর্থক।এমনকি তারা এই আমেরিকার খেয়ে পরেও গুনগান করে তালেবান আর আল কায়েদার। কি আশ্চর্য!!
ফারুক সাহেবের কী অবষ্থা। উনি বড় বেশী বাড়াবাড়ি করেন। উনি তো আমার মন্তব্যের ঊত্তর দিলেন না। উনি কী আর আসবেন এখানে?
ধন্যবাদ
অসাধারণ লাগলো এ পোস্টটা ! এবং বেশ কিছু বিষয়ে আমার ধারণা আরও পরিষ্কার হলো ! আগামীতে আপনার লেখাগুলো জড়ো করে গ্রন্থাকারে প্রকাশের আকুতি জানিয়ে রাখলাম। আমাদের জন্যে যা খুব কার্যকর একটা রেফারেন্স বই হয়ে উঠবে। বিষয়টা ভাবনায় রাখবেন আশা করি।
@রণদীপম বসু,
ধন্যবাদ। আমি বিখ্যাত হওয়ার জন্য লিখি না। সমাজের প্রতি দায় বদ্ধতা থেকে লিখি। এই এক বিংশ শতাব্দীতেও যেভাবে আমাদের দেশে অন্ধ বিশ্বাসী মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে তা দেখে মনে শংকা হয় কবে না জানি দেশটা পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে পরিনত হয়। সেটা যাতে না হতে পারে তারই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আমার লেখা। এ লেখা ওপেন সোর্স কোড, যে কেউ এটা সমাজ কল্যানে ব্যবহার করতে পারে, আমার কোন আপত্তি নেই।
@ভবঘুরে,
না ভাইজান, আমি কোনো দিনও কোরানের হাফেজ নই। তবে বাল্যকালে পিতার ইচ্ছায় কিছুকাল মক্তবে আরবী ভাষা শিখতে হয়েছিল। সেখানে আরবী গ্রামারটা ও পড়ার সুযোগ হয়েছিল। ঐ ততটুকুযা আরবী গ্রামার শিখেছিলাম। এরপর বহুদিন যাবৎ আর এটার চর্চা ছিলনা।
আর বর্তমানে আপনাদের পাল্লায় পড়ে কোরান হাদিছ চর্চা করতে হচ্ছে। আর এই সুবাদে সেই পুরাতন শিখা আরবী গ্রামার টার দিকেও একটু নজর দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে।
মুলতঃ কোরান হাদিছের অনুবাদ আমি কোন দিন ও পড়ি নাই। শুধু মৌলবী সাহেবরা যা বলতেন চোখ বুজে অন্ধের মত ধৈর্য্য ধরে শুনতে হত ও বিশ্বাষ করা ছাড়া উপায়ান্তর ছিলনা।
এর জন্য অনর্থক ভাবে বহুত মূল্যও দিতে হয়েছে।
এরপর ৯/১১ ঘটনা আমাদের চোখের সামনে ঘটার এবং সরাসরি এর ফলাফল ভোগ করার পর হতে এবং সারা বিশ্বে চলমান ইসলামী জঙ্গী কারবার দেখে আলেমদের বক্তব্যের উপর সন্দেহ হতে থাকে।
এমন সময় আপনাদের পাল্লায় পড়ে কোরান হাদিছের অর্থটা নিজে একটু ভাল করে উপল্দ্ধি করার সংগে সংগে ইসলামের ভয়ংকর রুপটি দেখে আৎকে উঠলাম। এভাবে আপনাদের মাধ্যমে চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি।
আপনি গবেষনা করে যা লিখেন এতে তো আমি কোন অন্যায় বা অপরাধ দেখিনা। আপনি যা লিখেন সবই তো সত্য এবং বাস্তব লিখেন। আপনার গবেষনা তো সত্যকে অনুসন্ধন করায়।
এগুলী তো আমাদের মত লোকদের পক্ষে ঘেটে ঘুটে পড়াও সম্ভব নয়। এর দ্বারা বহু লোকে উপকৃত হয়েছে ও হচ্ছে। আপনাদের এ প্রচেষ্টা না থাকলে আমরা তো সব বর্বর আল-কায়েদা ও তালেবানে পরিণত হয়ে যাব।
না,না আমি বুকে জোর রেখে বলতে পারি আল্লাহ আমাদের কখনোই দোজখে দিতে পারেননা,কারন আমরা কোন অন্যায় কাজ করছিনা।বরং তারাই ধর্মের লেবাসে বড় বড় অন্যায় করতেছে। বরং আল্লাহ তাদেরকেই দোজখে দিবে।আমরা জ্ঞ্যানের অনুসন্ধানী,সত্যের অনুসন্ধানী।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কি যে বলেন ভাইজান , আপনি যেভাবে আরবী ব্যকরণ বিশ্লেষণ করলেন তা দেখে মনে হয় যে এটা মক্তবে কয়দিন পড়ুয়া কোন লোকের পক্ষে করা সম্ভব। যদি কিছু মনে না করেন জানতে পারি আপনি কি আরবী পড়ে অর্থ বুঝতে পারেন ?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তা দেখে মনে হয় যে এর পরিবর্তে হবে তা দেখে মনে হয় না যে
@ভবঘুরে,
অভিনন্দন যোগ্য।
দাবী করা হচ্ছে যে , ২:৬২ ও ৫:৬৯ আয়াতে কিছু সংখ্যক ইহুদি ও খৃষ্টানের পরকালে পুরষ্কৃত হওয়ার কথা যা বলা হয়েছে , তা ৩:৮৫ আয়াত নাযিল হওয়ার পরে রহিত হয়ে গেছে , কারন ৩:৮৫ আয়াতে মুসলমান ছাড়া আর সকলেই ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
এই ভুল দাবীর মূলে ইসলাম শব্দের ভুল ব্যাখ্যা। যদিও কোরানের একাধিক আয়াতে সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে , ইসলাম নবী ইব্রাহিমের ধর্ম এবং উনিই ছিলেন প্রথম মুসলমান (দেখুন ২:১২৮ , ২:১৩১ , ২:১৩৩) , তদাপি আজকের মুসলমানদের দাবী তারাই একমাত্র ইসলামের ধারক ও বাহক এবং একমাত্র কোরানের অনুসারীরাই মুসলমান।
এটা যে একটা ভুল প্রচার তার প্রমান পাওয়া যায় ৩:৬৭ আয়াতে , যেখানে আল্লাহ বলছেন , “ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ (حَنِيفًا مُّسْلِمًا ) অর্থাৎ, সব মিথ্যা ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং আত্নসমর্পণকারী, এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না।” আল্লাহ ৫:১১১ আয়াতে বলছেন যে , যীশু ও তার অনুসারীরা মুসলমান ছিলেন। ২৭:৪৪ আয়াত দেখুন , যেখানে বলা হয়েছে সোলায়মান ও বিলকিস (রানী শেবা) ও আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করেছেন অর্থাৎ মুসলমান এবং ৫:৪৪ আয়াতে বলা হয়েছে তওরাতের অনুসারি সকল নবী ও তাদের অনুসারীরা মুসলমান।
এই সকল আয়াত পড়ে একটাই উপসংহারে আসা যায় , তা হলো তওরাত ও ইন্জিলের (বাইবেল) অনুসারীরাও মুসলমান , যাদের কোরান সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। এই মুসলমানরা দোজাহানের মালিক আল্লাহর নিকটেই আত্মসমর্পন করেছেন। ইব্রাহিম যে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা তা কোরানেও যেমন পাওয়া যায় , তেমনি তাওরাতেও পাওয়া যায়। কোরান থেকে আমরা এই শিক্ষাই পাই যে , সত্যিকারের মুসলমান সেই , যে এক আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পন করে এবং এক আল্লাহর আইন মেনে চলে এবং তারা শুধু কোরান অনুসারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
এখনকার খৃষ্টানদের মধ্যে যারা ‘God’ এর একত্বে বিশ্বাস করে ও যীশুর পূজা করে না , তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মুসলমান। ২:৬২ ও ৫:৬৯ আয়াত অনুযায়ী যেকোন ধর্মালম্বি যদি এক সৃষ্টিকর্তায় (আল্লাহ , ইয়াহয়ে , ‘God’ যে নামেই ডাকুন না কেনো) বিশ্বাস করে , আখেরাতে বিশ্বাস করে ও আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে , সে আল্লাহর দৃষ্টিতে মুসলমান। এবং এরা সকলেই তাদের ভালো কাজ অনুযায়ী পুরষ্কৃত হবে। এরা হলো কোরানিক মুসলিম বা ইহুদি মুসলিম বা খৃষ্টান মুসলিম বা হিন্দু মুসলিম …….।
সুতরাং ২:৬২ ও ৫:৬৯ আয়াতদ্বয় রহিত ও হয় নি বা ৩:৮৫ আয়াতের সাথে কোন কন্ট্রাডিকশন ও নেই।
@ফারুক,
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। সূরা আল ইমরান, ০৩: ৮৫ মদিনায় অবতীর্ণ
এখন বলুন উপরে উল্লেখিত আয়াতের মানে কি । আসুন যা সত্যি তা মেনে নেয়ার চেষ্ঠা করি ।
একজন গর্ভবতী নারী দেখলে যেমন বলার প্রয়োজন পরেনা মৈথুন বা টেষ্টটিউবের ফল ঠিক তেমনি ঐ আয়াত যখন লেখা হয় ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা বর্তমান ছিল ।
@ফারুক,
এটা বাক্কারার আয়াত যা মক্কা ও মদিনা উভয় জায়গাতেই নাজিল হয়েছিল। মদিনায় তখনও মোহাম্মদ ছিলেন নবাগত ও ক্ষমতাহীন। তার দরকার ছিল ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে দলে টানার ।তাই তিনি তাদের ধর্মকেও স্বীকার করে তাদেরকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছেন। আপনারাই বলেন যে কোন আয়াতকে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা না করতে অথচ এখন আপনিই সুবিধামত সেটাই করছেন। কারন তা করলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সুবিধা হয়।
এটার অর্থ কিন্তু পূর্বের ৬২।সুরা বাকারা এর মত নয়। এখানে এ আয়াতের অর্থ আসলে সবাই মুসলমান। কেন ? তাহলে এর আগের আয়াতটা পড়ুন:
এখানে বলা হচ্ছে- যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। এর অর্থ কি ? তারা যদি তাওরাত, ইঞ্জিল ও যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে ( কোরান) তা পালন না করে অর্থাৎ তারা যদি মুসলমান না হয়। কারন যে মানুষ কোরানের প্রতি বিশ্বাস আনবে সে তো মুসলমান।
তার অর্থ বাকারা ৬২ ও মায়েদার ৬৯ এর অর্থ এক নয়। বাকারার ৬২ আয়াতে খৃষ্টিয়ান, ইহুদি ও সাবিয়ানদের আলাদা অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়ে তারা যদি পূন্যের কাজ করে তাহলে তার পুরস্কার পাবে সেটা পরিস্কার করে বলছে। কারন ওটা ছিল ইসলামের প্রাথমিক যুগের আয়াতের অন্তর্গত একটা আয়াত আর তখন মোহাম্মদ ছিলেন ক্ষমতাহীন। পক্ষান্তরে মায়েদার ৬৯ আয়াতে বস্তুত: তাদেরকে আলাদাভাবে স্বীকার করা হয়নি স্বীকার করার কথাও নয় কারন মায়েদা হলো সব শেষ সূরার একটা আয়াত যখন মোহাম্মদ ইসলামী রাজ্যের রাজা ও ক্ষমতাশালী। আর এর ফলে এটা ৩:৮৫ এর সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারন উভয়ের অর্থই একই রকম। ঠিক একারনেই এটাকে মানসুকের আওতায় আনাও হয় নি। মজার ব্যপার হচ্ছে উক্ত মায়েদার ৬৯ আয়াতকে কিন্তু নাসেক মানসুক এর আওতায় আনাও হয় নি। আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে এটাকে মানসুকের আওতায় এনে বিষয়টাকে অনেকটা পানি ঘোলা করার তালে আছেন। আপনার বোধ বুদ্ধি আগে থাকতেই একটা বিষয়ে অন্ধ বিশ্বাসী তাই উক্ত দুটি আয়াতের গঠন এক হওয়ার সাথে সাথেই পটভূমিকার কথা চিন্তা না করেই তাদেরকে এক বলে রায় দিচ্ছেন।
কিন্তু বাকারার ৬২ আয়াত, ৩:৮৫ আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যাবে কারন উক্ত দুটি আয়াত ছিল মুসলমান ও অমুসলমান দের সহাবস্থান বিষয়ক। খেয়াল করতে হবে ৩:৮৫ হলো মদিনায় নাজিলকৃত আর তখন মোহাম্মদ মদিনাতে ক্ষমতা প্রায় কুক্ষিগত করে ফেলেছেন। তাই তার কোরানের আয়াতেরও প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে গেছে।
আয়াত বাতিল করন বিষয়টা যদি কোরান হাদিসে নাও থাকত, ইসলামি পন্ডিতরা যদি এর কোন আলোচনা সমালোচনা নাও করত তাহলে বর্তমান যুগে এটা অবশ্যম্ভাবীরূপে আলোচ্য হয়ে পড়ত। কারন কি জানেন ? কারন হচ্ছে- কোন একটা বিষয়ে যখন বিপরীত মূখী বিধান সমন্বিত আয়াত নাজিল মোহাম্মদ করে গেছেন তখন কোন বিধান টি কার্যকর হবে – এ প্রশ্ন অবধারিত ভাবে আসতই। সুতরাং এখানে বাতিল করন জানার জন্যে ইসলামী পন্ডিতদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করতে হতো না। আপনি জগাখিচুড়ীভাবে বুঝ দেয়ার চেষ্টা করে যেতে পারেন তবে যাদের মাথায় সামান্যতম বুদ্ধি শুদ্ধি আছে তারা যা বোঝার বুঝে যাবে আশা করি।
@ভবঘুরে,
এইসব আজগুবি কথা কোথায় পান? কোরানের আয়াত দুটো কি দেখেছেন? নিন আরবিতে দিলাম –
২:৬২ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحاً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
৫:৬৯ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَالَّذِينَ هَادُواْ وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وعَمِلَ صَالِحًا فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
আয়াত দুটির শব্দগুলো হুবহু এক , শুধু ২ টি পার্থক্য ছাড়া-
১) নাসারা ও সাবাই জায়গা বদল করেছে। وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ / وَالصَّابِؤُونَ وَالنَّصَارَى
২) ৬২ নং আয়াতে একটি অতিরিক্ত তথ্য সংযোজিত হয়েছে فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ – তাদের জন্য পুরষ্কার আছে তাদের প্রভুর নিকট।
@ফারুক,
ভাইজানে মনে হয় আমার মন্তব্য ভাল করে না পড়েই যা মনে হয়েছে সেটাই লিখে প্রকাশ করে ফেলেছেন। ৫:৬৯ ও ২:৬২ দেখতে একই রকম মনে হলেও অন্তর্নিহিত অর্থ কেন ভিন্ন সেটা ভাল মতো রেফারেন্স সহ ব্যখ্যা করা হয়েছে। সূরা মায়েদার ৬৮ নং আয়াতটা পড়ে তারপর ৬৯ নং টা যদি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। দয়া করে আবার পড়ুন , বুঝতে পারবেন। তারপর মন্তব্য করলে ভাল হবে।
@ভবঘুরে, নেন একটা গান শুনুন –
You say eether and I say eyether,
You say neether and I say nyther;
Eether, eyether, neether, nyther,
Let’s call the whole thing off!
You like potato and I like potahto,
You like tomato and I like tomahto;
Potato, potahto, tomato, tomahto!
Let’s call the whole thing off!
But oh! If we call the whole thing off,
Then we must part.
And oh! If we ever part,
Then that might break my heart!
So, if you like pajamas and I like pajahmas,
I’ll wear pajamas and give up pajahmas.
For we know we need each other,
So we better call the calling off off.
Let’s call the whole thing off!
httpv://www.youtube.com/watch?v=Dg2HKMFsers&feature=related
@ফারুক,
লক্ষ করুন প্রথম বাক্যে وَالصَّابِئِينَ ছাবিয়ীনা এবং দ্বিতীয় বাক্যটিতে الصَّابِؤُونَ ছাবিয়ুনা বসানো হয়েছে।
বাক্য তৈরীতে আরবী গ্রামার অনুসারে প্রথম বাক্যের وَالصَّابِئِينَ ছাবিয়ীনা শব্দটি সঠিক আছে এবং দ্বিতীয় বাক্যের الصَّابِؤُونَ ছাবিয়ুনা শব্দটি অশুদ্ধ বসানো হয়েছে।
কারন: যেমন একটি বাক্য গঠনে “উদ্দেশ্য” “বিধেয়” ইংরেজীত ‘SUBJECT” “PREDICATE’ থাকে ঠিক তেমনি ভাবে আরবীতে “উদ্দেশ্য” কে বলা হয় “মুবতাদা” এবং বিধেয়কে বলা হয় “খবর”
তবে আরবীতে উদ্দেশ্য(মুবতাদা) ও বিধেয়(খবর) এর ব্যবহার ইংরেজী ও বাংলার SUBJECT(উদ্দেশ্য) ও PREDICATE (বিধেয়) এর ব্যবহার মধ্যে বিরাট তফাৎ রয়েছে।
ইংরেজী বাংলায় উ্দেশ্য ও বিধেয় শব্দটির কি রুপ হইবে তার কোন বিশেষ নিয়ন্তক থাকেনা। কিন্তু আরবী ভষায় শব্দের রুপের নিয়ন্ত্রক রয়েছে। আরবীতে শব্দের নিয়ন্তকের নিয়ম মাফিক অবশই শব্দটির রুপ হতে হবে। এটা না মানলে বক্যটি একটি অশুদ্ধ বাক্য হইবে। শব্দের একবচনে এক ধরনের রুপান্তর ও শব্দের বহু বচনে আর এক ধরনের রুপান্তর হয়।
এবার তাহলে আগে একবচনের রুপান্তর উদাহরন হিসাবে দেখুন।
১। মুমিন ব্যক্তি দয়াশীল
২।নিশচয়ই মুমিন ব্যক্তি দয়াশীল
৩।মুমিন ব্যক্তি দয়াশীল ছিলেন।
এখানে লক্ষ করুন বাংলা ভাষায় মুমিন শব্দটি বাক্যের বিভিন্ন অর্থেও সব ক্ষেত্রে একই রুপে রয়েছে। ঠিক একইভাবে ইংরেজীতেও রুপের কোনই পরিবর্তন হবেনা।
এবার ঠিক এই বাক্য গুলীই যদি আরবীতে অনুবাদ করেন শব্দের রুপের পরিবর্তন হয়ে যাবে। এখানে আরবী ভাষায় লিখতে পারতেছিনা। তবে বাংলা অক্ষরে আরবী শব্দ লিখতেছি । যাদের আরবীতে কিছু জ্ঞান আছে তারা সহজে বুঝতে সক্ষম হবেন।
উক্ত বাক্য গুলীর আরবী অনুবাদ যথক্রমে এরুপ হইবে:
১। আল মু-মেনু রহমাননুন——–এখানে মু-মেনু–শেষে “নু”এসেছে।কোন আমেল না থাকায় এটা হালাতে রফা-য় পেশ হইয়াছে।
২। ইন্নাল মু-মিনা রহমানুন—— এখানে মু-মিনা-শেষে “না” এসেছে। আরবী ভাষায় এটাকে “নুন অক্ষরের উপর যবর বা নছব এসেছে বলা হয়। আরবীতেএকে বলা হয় “হালাতে নছব” । কোন এক বচন শব্দ “হালাতে নছবে এলে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া শব্দটির শেষ অক্ষরে সব সময় যবর বসবে। আরবীতে “ইন্না” শব্দটি সহ বেশ হরফ এই “হালাতে নছবে’ র রুপান্তর ঘটাইয়া উদ্দেশ্য শব্দের শেষে যবর বসইয়া রুপান্তর ঘটায়।
আরবীতে এ ধরনের রুপান্তর কারী হরফকে “আমেল” বলা হয়
৩। কা-নাল মু-মিনু রহমানান- এখানে লক্ষ করুন “মু-মিনু” “নুন র উপর পেশ বা রফা- বসেছে। একে বলা হয় ‘হালাতেরফা-” এখানে “কা-না হরফ শব্দটি এসে উদ্দেশ্য “মুমিন “শবদটিকে হালাতে রফা-তে এনে রফা-বা পেশ বসাইয়া রুপান্তর ঘটায়াছে।
এখাণে বলে রাখা দরকার উদ্দ্যেশ্য সংযোগ শব্দ যোগে একাধিক হইলেও তাদের উপর ও একই অবস্থা বর্তাইবে।
বাংলা বা ইংরেজীতে এরুপ কখনো ঘটেনা।
এবার দেখুন একই ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য যদি বহু বচন হয় তাহলে আরবী ভাসায় কী পরিবর্তন ঘটে।
১। মুমিন ব্যক্তিগন দয়ালীল।
২। নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তিগন দয়াশীল
৩। মুমিন ব্যক্তগন দয়াশীল ছিলেন।
এবার দেখুন আরবীতে এসমস্ত রুপান্তর কারী হরফ (আমেল) বহু বচন উদ্দেশ্য কে কী ধরনের রুপান্তর ঘটায়।
১।আল-মুমিনুনা রহমানুন- এখানে হালাতে রফা- (কোন আমেল না থাকায় )বহু বচনে “মুমিনুনা” হয়েছে।
২। ইন্নাল ম-মুমিনীনা রহমানুনা। এখানে “ইন্না” আমেলটি বহু বচন উদ্দশ্য “মুমিনুন”কে হালাতে নছবে এনে “মুমিনীন”করে দিয়েছে।
সমস্ত বহু বচন উদ্দেশ্যই যদি আমেলের হালাতে নছবের আওতায় এসে যায় তাহলে এই ভাবে পরিবরতিত হতে হবে, যেমন “কাফেরুনা” থেকে “কাফেরীনা” মুশরেকুনা” মুশরেকীনা” ইত্যাদি।
এধরনের পরিবর্তন না করলে বাক্যটি অশুদ্ধ হয়ে যাবে।
৩। কা-নাল মু-মিনুনা রহমানান। এখানে কা-না আমেল এসে ‘মুমেনুনা”করেছে।
এবার তাহলে দ্বিতীয় বাক্যে “ছাবেউনা”وَالصَّابِؤُونَ না হয়ে ছাবেয়ীনা وَالصَّابِئِينَ কেন হইবে তা আশা করি পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
এখনে “ইন্না” আমেলের পরে পথম উদ্দেশ্য الَّذِينَ আল্লাজীনা,এর পর ওয়াও সংযোগ হরফ দ্বারা দ্বিতীয় উদ্দেশ্য আর একটা الَّذِينَ আল্লাজীনা ,তারপর তৃতীয় উদ্দেশ্য وَالصَّابِؤُونَ ছাবিয়ুনা এসেছ।
অতএব এখানে وَالصَّابِؤُونَ ছাবিয়ুনা না হয়ে আরবী গ্রামার অনুসারে “ইন্না” আমেল দ্বারা হালাতে নছবে আসার কারনে وَالصَّابِئِينَ ছাবিয়ীনা হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
যে কোরানের নির্দেশ সমগ্র বিশ্ব বাসীর জন্য কেয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির মেনে চলার বিধান আবার তাও সর্বোজ্ঞ আল্লাহর নিজের বানী সেখানে তো সামান্য একটা জের,জবর, পেশ.নোক্তার ও ভূল থাকার কথা নয়,তাহলে এতবড় ব্যকরনিক ভূল কী করে হতে পারে?
তা হলে কি এটা আল্লাহরই বনী নয়?ধন্যবদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান দেখি কোরানে হাফেজ। তাহলে আমরা আপনার একটা বড় রকম অপকার করে ফেললাম। কোরান নিয়ে আপনার একটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে যা প্রকারান্তরে আপনাকে কুফরিতে আক্রান্ত করেছে। এর শাস্তি অনন্তকাল দোজখবাস। ভাই মাফ করে দিয়েন আমাদেরকে এহেন সীমাহীন অপরাধ করার জন্য।
আপনার সুমতি ফিরুক এ কামনাই করছি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ফারুক ভাইয়ের কথা বাদ দেন, আমাকে আগে বলেন আপনি আরবি গ্রামার জানেন কী ভাবে? আমার ঈশ্বরের ভাষা লেখাটায় আপনার কোন মন্তব্য দেখেছি বলে মনে পড়েনা। সেখানেও উল্লেখিত শব্দদুটো (সাবিয়ীন ও সাবিয়ুন) আছে, আছেন ফারুক ভাইও। একজন মাত্র পাঠক গ্রামার নিয়ে কিছু বলেছেন। একবার ভ্রমণ করে আসুন তো ঐ জায়গাটা।
ফারুক ভাইয়ের কথা কী বলবো? আমার ব্লগে মুক্তমনা শিরোনামে নালিশ করলেন- মুক্তমনা তার মন্তব্য প্রকাশ করেনা। আমার ব্লগের প্রায় সকলেই একবাক্যে বললো- তো আমরা কিতা করতাম? বারবার একই জবাব দেয়ার পরেও যখন তিনি মুক্তমনার সংজ্ঞা জানতে চাইলেন, তিক্ত-বিরক্ত লোকেরা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করলো। ভগ্ন হৃদয় নিয়ে হিজরত করলেন সদালাপে, কিছু সহানুভুতি কিছু আহলাদ করুণা প্রাপ্তির আশায়। এখানে এরা অবশ্য গালাগালি করে নাই কিন্তু দুয়ারে খাড়া কুষ্ঠরোগী তাড়ানোর অবস্থা করে ছেড়েছে। ঘর-ঘাট সব খোয়ায়ে ব্যাক টু মুক্তমনা। সদালাপে পোষ্ট আকারে যা লিখেছিলেন এখানে মন্তব্যে তা সম্পূর্ণই কপি-পেষ্ট করে ছেড়েছেন।
এখানে ফারুক সাহেবের কোট করা
বোল্ড করা কোরানের আয়াতটার শেষ লাইনটি লক্ষ্য করুন। নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি তাহারই পক্ষ হইতে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা। কথাটা আল্লাহর না মুহাম্মদের?
@আকাশ মালিক,
অনেক পূর্বে বাল্যকালে পিতার ইচ্ছায় কিছুকাল মাদ্রাসায় আরবী ভাষা শিখতে হয়েছিল। সেখানে আরবী গ্রামারটা ও পড়ার সুযোগ হয়েছিল। ঐ ততটুকু যা আরবী গ্রামার শিখেছিলাম। এরপর বহুদিন যাবৎ আর এটার কোন চর্চা ছিলনা। প্রায় ১ বৎসর হল মুক্তমনায় ঢুকার পর হতে আপনাদের সংগে কোরান হাদিছ চর্চা করার সুবাদে আরবী গ্রামারের দিকে মাঝে মাঝে একটু নজর দিতে হচ্ছে।
ঐ টা প্রকাশনার সময় আমি মুক্তমনায় ঢুকিনাই। তবে ওটা আমি ইতিমধ্যেই কয়েকবার পড়ে নিয়েছি ।আজকেও কিছুক্ষন পূরবে ওটা পড়েছি।এবং দেখেছি ঐ ভূল গুলি ঠিকই কোরানে গ্রামাটিক্যাল ভূল। এর পূর্বে আমি কোন দিনই কল্পনা করতে পারি নাই যে কোরানে আবার গ্রামাটিক্যাল ভূল থাকতে পারে এবং কেহ এটা ধরার ও সাহস রাখতে পারে। আপনার ঐ প্রবন্ধ টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ হয়েছে।
বস্তুত আমি ঐ নিবন্ধ হতেই কোরানের গ্রামাটিক্যাল ভূল বের করার উৎসাহ ও সাহস পেয়েছি।
এই ত্রুটিটাও, وَالصَّابِئِينَ ছাবিয়ীনা এবং দ্বিতীয় বাক্যটিতে الصَّابِؤُونَ ছাবিয়ুনা, আমি ওখানে পড়েছি। ওটা আপনার ১ নং এই বর্নিত আছে।
ফারুক সাহেবের এই আায়াত দেখে আপনার ওটার কথা আমার মনে এসে গেল।তথন আমি চিন্তা করলাম এমন সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবেনা। তাই সংগে সংগেই পোষ্ট করে দিলাম।
এটাতো এখানে আমি ও দেখেছিলাম। কিন্তু আশ্চর্য আমার দৃষ্টিতে তো এতবড় গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটিটা ধরা পড়েনাই। আমাকে এটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি এটা save করে রাখব এবং এটা প্রয়োজনে কাজে লাগাব।
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই, কথাটা মোহাম্মদের আর এর উত্তর বিশিষ্ট কোরান গবেষক জনাব সদর উদ্দিন আহমদ চিশতি’র কোরান দর্শনের ১ম খণ্ডে দেখতে পেলাম, যা এ লেখার একেবারে নিচের দিকে আছে। দুঃখিত, ওনার বক্তব্যের খানিকটা তুলে ধরতে হল। যেমন, ১।শুরুতে অনুবাদের ভিন্নতা যেমন, প্রচলিত অনুবাদ আছেঃ
অন্যদিকে তিনি অনুবাদ করেছেন এভাবে,
২।মোকাত্তাআত/ সাংকেতিক অক্ষর প্রসঙ্গেঃ তাঁর মতে, কোরান মানুষের জন্য প্রেরিত এর সবকিছুই মানুষের জ্ঞাতব্য। কাজেই সাংকেতিক অক্ষরগুলি আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না এ কথা ঠিক না। আমাদের ধারনা কোরানের সবকিছু মানুষের জানার জন্যই রয়েছে।
কোরানের ‘মোকাত্তাআত’ বা সাংকেতিক অক্ষর ১৪ প্রকার যা ২৯টি সূরার শুরুতে আছে। এগুলি রাসুল এবং তাঁর বংশের ১৪ মাসুমের প্রতীক। যেমন, আলিফ লাম মিম/ আলে মিম বা আলে মোহাম্মদ। আলিফ লাম রা/ আলে রা বা আলে রসূল ইত্যাদি।
৩। মদঃ অর্থপূর্ণ ছোট মদ দ্বারা আজীবন বা দীর্ঘকাল ভাব আর বড় মদ দ্বারা চিরস্থায়ী বা সার্বজনীন ভাব বহন করবে।
৪। আলঃ আল অর্থ বংশধর, অনুচর, দলবল ইত্যাদি যথাঃ আলে ফেরাউন বা ফেরাউনের দলবল, আলে মোহাম্মদ বা আলে রসুল অর্থাৎ মোহাম্মদের রক্তের ও আদর্শের বংশধর। রক্তের যোগ না থাকলেও তাঁর আদর্শের বংশধরই কোরান মতে আল যাঁদের উপস্থিতি মানব সমাজে চিরন্তন। পূর্ণতা প্রাপ্ত ব্যক্তিগণই রাসুলের আল।
৫। কেতাবঃ নুরে মোহাম্মদীর মাধ্যমে বিচিত্র সৃষ্টিরূপে বিকাশ বিজ্ঞানকে কেতাব বলে। উচ্চমানের বিশিষ্ট সাধকের উপর কেতাব জ্ঞান নাজেল হওয়া বিষয়টি সর্বকালের একটি চিরন্তন ব্যবস্থা। কেতাব হল বিশ্ব প্রকৃতির সামগ্রিক বিকাশ-বিজ্ঞান। মানুষের জন্য আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধানও কেতাবের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর বিকাশ বিজ্ঞানকে কেতাব বলে। যে যন্ত্রের মধ্যে বা যে সকল রূপের মধ্যে আল্লার উক্ত বিজ্ঞানময় বিকাশ ঘটে তার মধ্যে মানব দেহ সর্বশ্রেষ্ঠ। এজন্য মানব দেহ ‘আল কেতাব’ বলা হয়। আল কেতাবের জাহের রূপ ‘মানব দেহ’ এবং বাতেন প্রক্রিয়া ‘বিকাশ বিজ্ঞান’। আল কেতাবের উভয় প্রকার বিকাশের মূল উৎস নূর মোহাম্মদ। ‘আল কেতাব পাঠ করা’ অর্থ আপন দেহ পাঠ করা তথা আপন দেহের মধ্যে আত্মদর্শনের অনুশীলন করা। আপন দেহই সকল জ্ঞানের মূল উৎস। সহজ কথায় কেতাব অর্থ মানব দেহ। আল-কেতাব অর্থ বিশিষ্ট মানব দেহ বা সিদ্ধপুরুষ অর্থাৎ প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্ত একজন মহাপুরুষ। আল কেতাব হতে ধর্ম গ্রন্থের আগমন।
৬। আয়াতঃ অর্থ পরিচয়, চিহ্ন, নিদর্শন, বিদর্শন বা বিশেষ দর্শন। আল্লাহ এবং রাসুলের পরিচয়কে আয়াত বলে। আয়াত শব্দটি কোরানের শতাধিকবার উল্লেখ আছে, কিন্তু একবারও এর অর্থ কোরানের একটি বাক্য অর্থে বুঝায় নাই। বাক্য অর্থ বুঝাতে কোরানে “কালাম”
বলেছে। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থে এক একটি বাক্যকে এক একটি “আয়াত” বলে থাকি এ জন্য যে, এগুলি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পরিচয় দানকারী বাক্য বিশেষ; কিন্তু কোরানে এ অর্থে শব্দটির ব্যবহার এক জায়গায়ও করেন নাই।
কোরানের মতেঃ সৃষ্টিতে যা কিছু আছে সকলই আল্লার আয়াত। অর্থাৎ সৃষ্টি মাত্রই স্রষ্টার পরিচয় বা নিদর্শন বা চিহ্ন। যে কোন সৃষ্টির নিজস্ব কোন সেফাত (অর্থাৎ গুণাবলী) নাই। এর সকল সেফাত স্রষ্টা হতে সাময়িক আগত বা প্রাপ্ত। সুতারাং সৃষ্টির সেফাতগুলি স্রষ্টার সেফাতের পরিচয় শুধু দান করে। এ রূপে সারা সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার পরিচয়ই শুধু বিকশিত হচ্ছে। সারা সৃষ্টিই আল্লার আয়াত। এবং
৭।(১১ঃ১-২) ব্যাখ্যাঃ আলিফ লাম রা -‘আলে রা’ বা আলে রসূল বা রসুলের বংশধর।’আল’ এর উপর চিরস্থায়ী (বড়) মদ রয়েছে। রসুলের নুরের বা জ্ঞানের বংশধর সর্বযুগেই ছিলেন এবং আছেন। তারা হলেন কেতাবের এবং স্পষ্ট কোরানের আয়াত। অর্থাৎ পরিচয়, চিহ্ন, নিদর্শন, বিদর্শন। কোরানের স্পষ্ট মানবীয় ভাষায় আল কেতাবকে আংশিকভাবে প্রকাশ করেছে। সকল ধর্মগ্রন্থই কেতাবের অংশ (৪ঃ৫১)। সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার সামগ্রিক বিকাশ বিজ্ঞানকে বা রহস্যময় পদ্ধতিকে আল কেতাব বলে। আল কেতাব হতে অসংখ্য কেতাব অর্থাৎ বিভিন্ন প্রকার সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রকার বিকাশ পদ্ধতি সৃষ্টিময় বিরাজ করচ্ছে।
আল্লার হুকমত চালনা করার একমাত্র ন্যায়সঙ্গত অধকারি রসুলের বংশধরগণ। তাঁরা ছাড়া আল্লার বিধান অন্য লোকের পরিচালনায় কার্যকরী হতে পারে না। মহাজ্ঞানি এবং সর্বজ্ঞাতা আল্লার মনোনীত জীবনবিধানের সর্বদিক সম্বন্ধে সুপরিজ্ঞাত হলেন সর্বযুগের রসুলের বংশধরগণ। তাঁরা সকল সমস্যার সমাধান আল্লা হতে জ্ঞাত হতে পারেন। তাঁরা শাসনকর্তা নিয়োজিত না থাকলে মানুষ সর্ববিষয়ে যথাঃ অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, ইত্যাদি ক্ষেত্রে আল্লার দাসত্ব হতে বিচ্যুত্য হয়ে মানুষের দাসে পরিণত হয়ে যায়। এ জন্য এখানে মোহাম্মাদুর রসুলাল্লাহ (আঃ) নিশ্চিত করে বলেছেন, “আমি তোমাদের জন্য তা হতেই একজন সাবধানকারী এবং সুসংবাদদাতা, (তাঁর ক্ষমাপ্রার্থী করে তাঁর দিকে তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তনকারী বানাবার জন্য)”
গবেষক জনাব সদর উদ্দিন আহমদ চিশতি’র এবং অন্যান্য ইসলামী পণ্ডিতরা আমার আগের মন্তব্যের ৩ নম্বর ক্যাটাগরির [৩) কুরানের আসল অর্থকে ‘বিকৃত’ করে যুগোপযোগী রূপ দেয়ার চেষ্টা – ইসলামী পণ্ডিতরা এব্যাপারে খুবই সিদ্ধহস্ত।]। “মুহাম্মদের” প্রতি অবিশ্বাসে (বর্তমান পৃথিবীর ৭৪% জন গুষ্ঠি) তার দাবীকৃত /বর্ণিত “আল্লাহর” যে কোনই অস্তিত্ব নেই এই অতি সাধারণ সহজ সত্যটি ইসলাম বিশ্বাসীরা কখনোই বুঝতে পারেন না। মুহাম্মদ একজন মানুষ ছিলেন এবং কুরানের বানী মুহাম্মদেরই বানী। একজন মানুষের বানী। একজন মানুষ, সে যত তীক্ষ্ণ-বুদ্ধি ও মেধার অধিকারীই হউন না কেন তার স্মৃতি কখনোই শতভাগ শুদ্ধ নয়। কুরানের Abrogation “মুহাম্মদের মানবিক পরিচয়”: এর শানে নজুল হলো:
১) স্মৃতি বিস্মৃত মুহাম্মদ – অনেক সময়ই মুহাম্মদ তার আগের প্রচারিত বাণী ভুলে যেতেন (মানবিক বৈশিষ্ট্য)। যখন অবিশ্বাসীরা তাকে তার পূর্বের প্রচারিত বানী এবং পরের প্রচারিত বাণীটির মধ্যে “অসামঞ্জস্য ও বৈপরীত্য” নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন, তীক্ষ্ণ-বুদ্ধির মুহাম্মদ তার আত্মরক্ষার প্রয়োজনে এই আয়াতগুলো নাজিল করেন।
২) সময়ের প্রয়োজন – কোন মানুষই “ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা” হতে পারেন না (মানবিক বৈশিষ্ট্য)। সমাজ ও সংস্কৃতি এক চলমান (Dynamic) প্রক্রিয়া। কোন চলমান প্রক্রিয়াকেই কোন “স্থির (Static) বিধান বা মতবাদ” দিয়ে অনন্তকাল পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সময় ও পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে “আগের জারীকৃত আইন” পরিবর্তন অপরিহার্য। মুহাম্মদ তাই করেছিলেন।
কুরান মুহাম্মদের বানী। মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন কিনা সে বিতর্কে না গিয়েও আমরা নির্দ্বিধায় এটুকু বলতে পারি যে অনাথ মুহাম্মদ কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পান নাই। স্বাভাবিক কারণেই তার বানীতে এমন কিছু নেই যা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন না। তার প্রচারিত বানীকে বুঝার জন্য কোন বিশেষজ্ঞের সাহায্যের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন কল্পনার (Fantasy) অশরীরী জগত থেকে নীচে নেমে বাস্তবতার আলোকে মুহাম্মদকে “মানবীয় দৃষ্টিকোণ” থেকে বিচার করার মানসিকতা। ১৪০০ বছর পূর্বের মানুষ (মুহাম্মদ) রচিত অমানবিক, উদ্ভট, অবৈজ্ঞানিক মুহাম্মাদী বানীকে “ঐশ্বরিক ও যুগোপযোগী” করার জন্যই বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞেরা তা পারেন। কারণ,
“A scholar is a person who has the ability to explain simple thing in a confused way to make you understand that the confusion is from your part.”
নবি মোহাম্মদকে আমরা কিভাবে চিনি বা জানি? তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম তাঁকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর সেই উপস্থাপনার ভিত্তি মূলতঃ কোরান-হাদিস। আর সেই কোরান-হাদিস রচনা,সংকলন এর যে ইতিহাস যা আমাদের সবারই জানা। কাজেই কোরানের আসল অর্থ বলতে কি বুঝায়? কোরানের আসল অর্থ কোথায়? নবি মোহাম্মদ এবং আলে মোহাম্মদগণের বিরোধী সে-ই রাজশক্তি, যারা তাদেরকে নিচিহ্ন, নির্যাতিত ও হত্যা করেছে; তাদের রচিত অর্থকে আমরা আসল অর্থ বলবো?
ইহুদী জাতির মধ্যে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনীগুলিকে বহুক্ষেত্রে কোরানের শানে নজুল গ্রহণ করে ক্ষমতাসীন রাজশক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অর্থের বিকৃতি রচনা করেছে, দলীয় কোন্দলের ফলে বহু জায়গায় অর্থের ব্যাঘাত ঘটেছে।
নবির পরে তাঁর প্রচারিত ইসলামের উপরে শাসকগনের অত্যাধিক অস্ত্রোপাচার এবং রদবদলের ফলে ইসলাম ধর্ম ছিন্নভিন্ন হয়ে ক্রমে বহুরূপ ধারন করেছে।এবস্থায় সত্য উদঘাটন বিষম দুরহ ব্যপার! ধর্মের নামে যেসব বিধান চলচ্ছে তা আসলেই ‘রাজকীয় ধর্ম’।মুসলমানরা আজ আরব সাম্রাজ্যবাদের দাসে পরিণত।
বিধান পরিবর্তনশীল কিন্তু দর্শন অপরিবর্তনীয়। বস্তুর ভিড় সরিয়ে যে দেখে, সে সত্য দেখে এবং সে-ই দ্রষ্টা। আত্মদর্শনমূলক জীবন দর্শন করেই জীবন বিধান দান করা হয়।
@শামিম মিঠু,
আসল অর্থ যাই হোক , কোরানে আল্লাহ যেহেতু বলছে সেই হলো কোরানের সংরক্ষক আর পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে সে কোরান সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয় নি, তার সোজা অর্থ কোরান আল্লাহর কাছ থেকে আসে নি। এখন কে বা কারা পরিবর্তন করে কি সাম্রাজ্য সৃষ্টি করল সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হলো- একটা ডাহা মিথ্যাকে বিগত ১৪০০ বছর ধরে লালন করে বর্তমানে প্রায় দেড় বিলিয়ন মানুষকে অন্ধ করে রেখেছে। শুধু অন্ধই করে নি এ বিপুল সংখ্যক মানুষ ইসলাম বলতে অজ্ঞান, এরা শিক্ষা বিমূখী, প্রগতি বিমূখী, বরং সভ্যতাকে পিছনে ফিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব। যা গোটা মানব সভ্যতাকে একটা হুমকির সম্মুখিন করেছে। এর একটাই সমাধান – হয় এদেরকে এদের চিহ্ন দুনিয়া থেকে মুছে দিতে হবে নইলে এদের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। মাঝামাঝি কোন পথ খোলা নেই। আমরা দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়ে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অন্যদিকে ,আপনি কি চান এটা চলতেই থাকবে? একটা বিরাট মিথ্যা এ বিপুল সংখ্যক মানুষকে এ এক বিংশ শতাব্দিতে অন্ধ ও বধির করে রাখবে ? আপনার আকাংখাটা একটু পরিষ্কার করলে ভাল হতো।
@ভবঘুরে,
আসল অর্থ যাই হোক বল্লে তো ভাইজান, নিরপেক্ষ থাকা যায় না।
কোরানের কোথাও বলা নাই যে, কোরান আল্লাহ সংরক্ষিত করবে। কোরানের যে বাক্যেটি দিয়ে আলেম সমাজ এ কথা বলে তা মিথ্যা এবং ভুল। সে বাক্যটি হল ১৫নং সূরা হিজরের ৯নং বাক্য, “ইন্না নাহনু নাজ্জালনাজ জিকরা অইন্না- লাহু লাহা-ফিজুন”
প্রচলিতনুবাদ বলা হয়, “আমি (আল্লাহ) কোরান নাজেল করেছি, এবং হেফাজতকারিও আমি।”
‘আনা’ অর্থ আমি কিন্তু ‘নাহনু’ কি করে আমি হয়? নাহনু অর্থ তো আমরা। আর ‘জিকির’ অর্থ তো স্মরণ ও সংযোগ, এটা কি করে ‘কোরান’ অর্থ হয়? কাজেই এর অর্থ, “নিশ্চয় আমরা সংযোগ নাজেল করেছি এবং নিশ্চয় উহার জন্য আমরাই হেফাজতকারিরূপে রয়েছি।
তৎকালীন পশু-প্রকৃতির উগ্র গোয়ার মূর্খ রাজশক্তি-মরুবাসির কলঙ্কিত সমস্ত দায়ভার সব কিছু নবি-মোহাম্মদ উপর চাপিয়ে দিচ্ছি না?
আমারও আকাংখা, বিগত ১৪০০ বছরে গড়ে উঠা হিমালয় সমান কলুষিত মিথ্যা পাহাড়কে ভেঙ্গে আমরা প্রকৃত সত্য সুন্দরকে তুলে ধরি বিশ্বের বুকে…।
@শামিম মিঠু,
আপনার মন্তব্যগুলো খুব মনোযোগের সাথে খেয়াল করছি। দেখুন শামিম মিঠু, আপনি যে প্রশ্ন গুলো উত্থাপন করছেন তা নতুন কোন বিষয় নয়। মুক্তমনাতে এ নিয়ে আগে অনেক আলোচনা হয়েছে। দেখুন, এই লিখায় আমার অন্যান্য প্রাসঙ্গিক মন্তব্যগুলো:
আরও দেখুন: এখানে, এখানে এবং এখানে।
যুগে যুগে “ইসলামের মূল শিক্ষার বীভৎসতা” নিয়ে যখনই মুক্তমনারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে। এর উৎস মুহাম্মদ স্বয়ং! এটা মুহাম্মদের শিক্ষা! মুহাম্মদ তার প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে তার অনুসারীদের দ্বারা তা করিয়েছেন এবং ভবিষ্যৎ অনুসারীরাও যেন তার সে অমানবিক শিক্ষাকে কিয়ামত পর্যন্ত চালু রাখেন তার ব্যবস্থা করেছেন। সে জের চলছে আজও। এই অমনাবিক শিক্ষাগুলোকে যে সমস্ত
“ত্যানা প্যচানো” যুক্তি দিয়ে “ইসলামীষ্টরা” সাধারণ পাঠকদের/মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন, ইসলামকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেন তা হলো নিম্নরূপ:
১) আরবি না জানলে কুরানের আসল অর্থ বুঝা যায় না -এ দাবীটি সত্য হলে সব আরবিভাষীরা একইভাবে কুরানকে বুঝত।
২) ভুল অথবা বিকৃত অনুবাদ -কুরানের কোন অনুবাদ সর্বজনসম্মত আছে বলে আমাদের জানা নেই। একে অপরকে ‘সহি অর্থ” না জানা এবং পালন না করা নিয়ে দোষারোপ-মারামারি-যুদ্ধ ইসলামে কোন নতুন খবর নয়। গত ১৪০০ বছর ধরে এই বিতর্ক চলছে এবং চলবে। কারণ, এর বীজ হলো কুরানের অস্পষ্টতা। যে নির্দেশিকার অর্থ একেক জনের কাছে একেক রকম তা “অস্পষ্ট”। কুরানের লেখক/ প্রবর্তক কোন ভাবেই এ দায় থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন না।
৩) পরিপার্শ্বিক পরিস্থিতি (Situational Ethics)-উদাহরণ, “সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা ছিল যথার্থ”। এ দাবীটি সত্যি হলে “ইসলাম” সার্বজনীন নয়। যা ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থী।
৪) তুলনামূলক নৈতিকতা (Moral relativism)-‘পরিপার্শ্বিক পরিস্থিতির’ মতই এ দাবীটি সত্যি হলে “ইসলাম” সার্বজনীন নয়, যা ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থী।
আপনাকেও তার ব্যতিক্রম বলে মনে হচ্ছে না! সবাইকে সন্দেহ করা (Paranoid idea) মানসিক রোগের উপসর্গ। এই উপসর্গ মুহাম্মদের ছিল প্রকট। তার শিক্ষায় শিক্ষিত সমস্ত মানুষের মধ্যে তা হয়েছে সংক্রামিত। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা:
ভাল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
বুঝলাম আপনি আরবি গ্রামার বিশেষজ্ঞ। এখন বলুন কোনটা আগে এসেছে? কোরান নাকি আরবি গ্রামার? আপনি জানেন কিনা জানি না , কোরানের উপরে ভিত্তি করেই আরবি গ্রামার রচনা করা হয় ৮ম শতাব্দির শেষ ভাগে। সমস্যাটা কোরানের নয় , সমস্যা হলো গ্রামার বিশেষজ্ঞদের। এরা গ্রামারের নিয়ম তৈরি করে , সেই নিয়মের মাঝে কোরানকে ভরতে চায়। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়লে যে অবস্থা হয় তেমনি।
সাবায়িন ও সাবিউন নিয়ে এই যে প্রশ্ন , এর কতটুকু আপনার মাথা থেকে এসেছে জানি না , তবে এই প্রশ্ন অনেক আগেই কোরান স্কেপ্টিকরা করেছে। একটু যদি গুগলিং করতেন তাহলে জবাব পেয়ে যেতেন। http://www.answering-christianity.com/saabioon_and_saabieen.htm এখান থেকে একটু ঘুরে আসুন , জবাব পেয়ে যাবেন আশা করি।
আর জের জবর পেশ নোক্তা এগুলো ও অরিজিনাল কোরানের অংশ নয়। এগুলো অনেক পরে আমাদের মতো অনারবদের সঠিক(?) ভাবে পড়ার জন্য কোরানের মুসহাফে মানুষই সংযোজন করেছে।
আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতি শঙ্কিত করেছিলো না জানি কোন মৌলবাদীর খপ্পড়ে পড়ে প্রানটা যায়।আরেকটি সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আপনার প্রতি অনেক ভালবাসা এবং দীর্ঘায়ূ কামনা রইল।
@সত্যের সাধক,
এখনো সেরকম খপ্পরে পড়িনি, তবে পড়তে কতক্ষন? আসলে এসব লেখা লিখতে প্রচুর স্টাডি করতে হয়, তাই সময় দরকার, ব্যস্ততার কারনে অনেক সময় তা হয়ে ওঠে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
নাসেখ ও মানসূখ – একটি মিথ্যা প্রচারনা
নাসেখ মানসূখের এই কোরান বিরোধী মিথ্যা প্রথমে চালু হয় ৪০০ হিঃ বা ১০০০সনের শেষের দিকে তখনকার কিছু আলেম ওলামা কতৃক , যাদের অন্যতম আহমেদ বিন ইশাক আল দিনারি(মৃঃ ৩১৮ হিঃ), মোহাম্মদ বিন বাহার আল-আসবাহানি (মৃঃ ৩২২হিঃ) , হেবাতাল্লাহ বিন সালামাহ (মৃঃ ৪১০হিঃ) এবং মুহাম্মাদ মূসা আল-হাজমি (মৃঃ ৫৪৮ হিঃ)। তাদের দাবী , কোরানের কিছু আয়াত বাতিল বা প্রতিস্থাপিত হয়েছে কোরানের অন্য আয়াত দ্বারা। যে আয়াত অন্য আয়াতকে বাতিল করেছে , তাকে বলা হয় ‘নাসেখ’ এবং বাতিলকৃত আয়াত – ‘মানসূখ’।
আসলেই কোরানের কোন আয়াত মানসূখ বা বাতিল হয়নি এবং কোরানের দুটি আয়াতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। অমুসলিমরা ও কোরানস্কেপ্টিকরা এই আয়াতগুলি ব্যবহার করে দুটি আয়াতের ভিতরে বিরোধ দেখিয়ে এটা প্রমান করতে যে , কোরান পারফেক্ট নয় ।
যে দুটি আয়াতের উপর ভিত্তি করে আলেমরা নাসেখ মানসুখের দাবী করেন , চলুন সেই আয়াত দুটি বিশ্লেষন করা যাক –
প্রথম আয়াত ২:১০৬
“আমি কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?”
আলেমদের দাবী এই আয়াত প্রমান করে যে কোরানের কিছু আয়াত অন্য আয়াত দিয়ে বাতিল করা হয়েছে। তারা ‘আয়াত’ এর শব্দগত মানে করেছে কোরানের আয়াত , যদিও কোরানে আমরা ‘আয়াত’ এর ৪ রকমের শব্দগত মানে পাই।
১) ‘আয়াত’ = অলৌকিক ঘটনা (miracle)
“১৭:১০১ আপনি বণী-ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করুন, আমি মূসাকে নয়টি প্রকাশ্য নিদর্শন( آيَاتٍ ) দান করেছি।”
২) ‘আয়াত’ = উদাহরন (example)
“২৫:৩৭ নূহের সম্প্রদায় যখন রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করল, তখন আমি তাদেরকে নিমজ্জত করলাম এবং তাদেরকে মানবমন্ডলীর জন্যে নিদর্শন(آيَةً) করে দিলাম।”
৩) ‘আয়াত’ = চিহ্ন (sighn)
“১৯:১০ সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন(آيَةً) দিন। তিনি বললেন তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন মানুষের সাথে কথাবার্তা বলবে না।”
৪) ‘আয়াত’ = কোরানের আয়াত।
“৩৮:২৯ এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ(آيَاتِهِ) লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।”
এখন
আয়াতটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে প্রতীয়মান হয় যে , এই আয়াতে ‘আয়াত’ এর মানে কোরানের আয়াত না হয়ে বাকি ৩ টি মানেই বেশি যুক্তিযুক্ত। কারন – এই আয়াতেরি কয়েকটি শব্দের দিকে খেয়াল করুন –
১) “বিস্মৃত করিয়ে দিলে”- কোরানের আয়াত বিস্মৃত হয়ে যাওয়া কিভাবে সম্ভব? বেশিরভাগ হাফেজ ভুলে গেলেও কারো না কারো তো মনে থাকার কথা , তদুপরি কোরান একবার লেখা হয়ে গেলে তো আর ভোলা সম্ভব নয়। যদি মেনেও নেই আয়াতটি বাতিল হয়ে গেছে , তবুও সেটা কোরানেই লেখা থাকবে এবং সেটা ভুলে যাওয়া কখনৈ সম্ভব নয়। অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন ভুলে যাওয়া সম্ভব।
২) “সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন” – একটি কোরানের আয়াত বাতিল করে তারি মতো সমপর্যায়ের আরেকটি আয়াত আনয়নের মধ্যে কোন যুক্তি আছে কি? আল্লাহ কি খেলা করছেন? (আল্লাহ মাফ করুন)। বরং মূসা বা অন্য রসূলের কাছে এমন কোন অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন দেয়া হয়েছিল যা মানুষ ভুলে গেলে উত্তম বা সমপর্যায়ের অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরন আনয়ন বেশি অর্থবহ।
৩) আপনি যদি এই আয়াতের কন্টেক্সট দেখেন অর্থাৎ আগে পিছের আয়াত পড়েন , তাহলে বুঝবেন , ২:১০৬ নং আয়াতে ‘আয়াত’ এর মানে কোরানের আয়াত নয়। এখানে ‘আয়াত’ শব্দটি দিয়ে আল্লাহর কুদরতের কথা বলা হয়েছে যা অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরনের সমার্থক।
আল্লাহ মানুষকে বোঝানোর জন্য যখনি কোন (আয়াতের) অলৌকিক ঘটনা বা চিহ্ন বা উদাহরনের আনয়ন করেন , তখন তা পূর্ববর্তী আয়াতের সমান বা বৃহৎ হয়ে থাকে।
২য় আয়াত ১৬:১০১
“এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।”
এখানে কোন আয়াতের প্রতিস্থাপনের কথা বলা হচ্ছে , তা বুঝতে হলে , এই আয়াতেরি শেষের অংশটি খেয়াল করুন – “তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।” এখানে এই ‘তারা’ টা কারা? যারা রসূলকে মনগড়া বা বানিয়ে কথা বলার দায়ে অভিযুক্ত করছে? এরা নিশ্চয় রসূলের অনুসারীরা না। এমন কথা মূসলমানেরা তাদের রসূলকে বলতে পারে না।
এরা হলো তারাই , যারা রসূলকে বিশ্বাস করে না এবং রসূলের কাছে নাযিলকৃত কোরানের আয়াত তাদের কাছে রক্ষিত আল্লাহর আয়াত থেকে ভিন্ন। ফলে তারা রসূলকে মনগড়া উক্তি করার দায়ে অভিযুক্ত করছে। বোঝা গেল এরা হলো আহলে কিতাবের অনুসারীরা (ইহুদী ও খৃষ্টানরা)। শুধু এই আয়াতের মাধ্যমেই নয় , অন্য আয়াতের মাধ্যমেও আল্লাহ জানিয়েছেন যে , কোরান অনুসারীদের জন্য পূর্বের রসূলগনের জন্য নাযিলকৃত কিছু কিছু আয়াত বা আইনের পরিবর্তন করেছেন। আল্লাহ কোরানে একটি আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করলেন কিনা তা ইহুদী ও খৃষ্টানদের যেমন জানার কথা নয় , তেমনি তাদের জন্য কোন মাথা ব্যাথার কারন হতে পারেনা বা তার জন্য ক্ষেপে যেয়ে রসূলকে মনগড়া উক্তি করার দায়ে অভিযুক্ত করতে পারেনা। সর্বশক্তিমান আল্লাহ “আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন” এই বাক্য দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে , এই আয়াতে কোরানের আয়াত প্রতিস্থাপনের কথা বলা হয় নি । বরং আহলে কিতাবদের গ্রন্থে যে আয়াত আছে , তার স্থলে নুতন বা উত্তম আয়াত রসূলের কাছে নাযিলের কথা বলা হয়েছে।
@ফারুক,
ভাই জান ,
গম আছোন নি কোন ? অন্নেরে আই বহুত দিন ন দেহি ও বদ্দা।ক্যান আছোন?
অনায় কন নাসেক মানসুক হগলতেই মিছা? ইবা কি অন্নের কতা নাকি আলেমদের কতা ?
@ভবঘুরে,
অবুক আঁর বদ্দা তো খাডি চিটাইংগা মারের দে। চিটাং কলেজ মহসিন কলেজের সামন্ন দি ন হাইট্টন। হাত ঠেং কাডি ফালাইবো।
@ফারুক,
কথাটি সঠিক নয়।
যে সমস্ত ধর্ম ভিরু মুফাছ্ছির গন(কোরানের ব্যাখ্যা কারী) আজীবন কোরান হাদিছের চর্চা করে গেছেন,তারা সবাই কি একত্র ও একমত হয়ে ভূল অর্থ করতে গেলেন?
এমন অযৌক্তিক কথা কি কেহ মানবে?
তাহলে নীচে কিছু নির্ভর যোগ্য তাফছীর কারকদের অনুবাদ দেখুন।
আপনার ব্যক্তিগত মতামতের সংগে এদের কারুরই মিল নাই।
তা হলে কী বলতে চান এরা সবাই কোরানের ভূল অনুবাদ করেছেন?
2:106
1.lbne kathir:
106. Whatever a verse (revelation) do Nansakh (We abrogate) or Nunsiha (cause to be forgotten), We bring a better one or similar to it. Know you not that Allah is Able to do all things) (107. Know you not that it is Allah to Whom belongs the dominion of the heavens and the earth And besides Allah you have neither any Wali (protector or guardian) nor any helper.)
Sahih International
We do not abrogate a verse or cause it to be forgotten except that We bring forth [one] better than it or similar to it. Do you not know that Allah is over all things competent?
Muhsin Khan
Whatever a Verse (revelation) do We abrogate or cause to be forgotten, We bring a better one or similar to it. Know you not that Allah is able to do all things?
Pickthall
Nothing of our revelation (even a single verse) do we abrogate or cause be forgotten, but we bring (in place) one better or the like thereof. Knowest thou not that Allah is Able to do all things?
Yusuf Ali
None of Our revelations do We abrogate or cause to be forgotten, but We substitute something better or similar: Knowest thou not that Allah Hath power over all things?
Shakir
Whatever communications We abrogate or cause to be forgotten, We bring one better than it or like it. Do you not know that Allah has power over all things?
Dr. Ghali
In no way do We abrogate any ayah (i.e. verse, sign) whatsoever or cause it to be forgotten (except that) We come up with (i.e., bring) a more charitable one or the like of it. Do you not know that Allah is Ever-Determiner over everything?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এবার আমি ইচ্ছা করেই ফারুক সাহেবের কথার কোন উত্তর দেই নাই। আপনার অপেক্ষাতেই ছিলাম। ধারনা ছিল আপনি তার যুক্তির উত্তর দিতে সক্ষম। কোরান হাদিস বিষয়ে আপনার দ্রুত উন্নতি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে বলে আমার ধারনা। তবে ফারুক সাহেবের বক্তব্য কোরানের নিম্ন আয়াতের সাথেও সাংঘর্ষিক:
আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।কোরান, ১৬:৮৯
কারন কোরান পাঠ করে উনি এক ধরনের অর্থ বুঝছেন, আপনি বা অন্যান্যরা অন্য অর্থ বুঝছেন। তাহলে প্রশ্ন- কোরানের সঠিক অর্থ বোঝার কায়দাটা কি ? কার অর্থ বা তফসির শতভাগ নির্ভরযোগ্য? আর তার নির্ভরযোগ্যতার মাপকাঠি বা ভিত্তিটা কি ?
@ভবঘুরে,
@ভবঘুরে,
আপনার এ সংগ্রহ টি অত্যন্ত বড় দলিল, যা বহু জায়গায় প্রযোজ্য ও বহু সমস্যার সমাধান। এটা save করে রাখলাম। কাজে লাগবে।
আনন্দিত।
তবে আমি কারো সংগে তর্ক বিতর্ক করতে চাইনা। আমি যেটা পছন্দ করি তা হল মানুষ ঘুরিয়ে পেচিয়ে ভূল টা না বুঝে স্পষ্ট সঠিক বিষয়টি বুঝুক।
ধন্যবাদ
@ফারুক,
ধরে নিলাম আপনার কথাই ঠিক , বলা হয়ে থাকে ঈহুদি,খ্রিষ্টানরা বাইবেলের অনেক আয়াত পরিবর্তন করে ফেলেছে যা কোন ভাবেই সম্ভব নয় যদি কোরানের নিম্নলিখিত আয়াতটি সঠিক হয়
(মক্কায় অবতীর্ণ) আপনার পূর্ববর্তী অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাঁরা এতে সবর করেছেন। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছানো পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছেন। আল্লাহর বানী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আপনার কাছে পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে।৬;৩৪
ধন্যবাদ
@আস্তরিন,
কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইহুদি খৃষ্টানরাই নয় , খোদ মোহাম্মদও বহুবার তা পরিবর্তন করেছেন।
@ফারুক,
“নসখ” এর মূল রচয়িতা খেলাফত।
মধ্যযুগীয় মোসলিম সাহিত্যের সকল ধর্মীয় লেখকগণ “নসখ ও মনসুখ” কথাটির উপর যে ধর্মনীতি রচনা করছেন তার পরিমাণ এত বেশি যে, একে হিমালয়ের মত বিরাট একটি মিথ্যার বোঝা মোসলিম জাতির উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না। তাদের রচিত হাদিস তফসির এবং ফেকা শাস্রের মধ্যে “নসখ ও মনসুখ” বিষয়ে ভূরি ভূরি যতসব আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে এদের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত মুলতঃ তিন প্রকার যথা,
১। নসখ আল হুকুম ওয়া আল তিলওয়াঃ আদেশ এবং পাঠ উভয়ই বাতিল।
২। নসখ আল হুকুম দুলা তিলওয়াঃ পাঠ রয়েছে কিন্তু এর আদেশ রহিত করা হল। অর্থাৎ কোরানে এর কথা পঠনীয় থাকবে কিন্তু কথাটি পালনীয় থাকবে না, তথা আমলে আনা যাবে না।
৩। নসখ আল তিলওয়া দুনা হুকুমঃ পঠন থাকবে না কিন্তু নিয়ম পালনীয় থাকবে। অর্থাৎ কোরান হতে কথাটি রহিত করা হল, কিন্তু এর আদেশ-নির্দেশ পালিত হতে থাকবে।
ব্যাখ্যাঃ ১।এ শ্রেণীর বাক্যগুলি কোরানের অংশ হিসাবে আল্লাহ রাসুলের নিকট নাজেল করেছিলেন রাসুলের উম্মতের জন্য পালনীয় ও পঠনীয় আদেশরূপে। কিছুকাল পরে ঐ গুলি অপ্রযোজ্য মনে করে হোক বা অন্য কোন কারনে হোক আল্লাহ নিজেই বাতিল বা রহিত করে দিলেন। বানিগুলি রাসুলাল্লাহর কণ্ঠস্থ ছিল এবং তিনি লিখে রেখেছিলেন। আল্লাহ তার স্মৃতি হতে কথাগুলি ভুলিয়ে দিলেন এবং লেখার সামগ্রী হতে লিখিত কথাগুলি মুছে দিলেন। উম্মত গণের মধ্যে যারা কণ্ঠস্থ করেছেন এবং লেখে রেখেছিলেন তাদের সকলে স্মৃতি হতে এবং লেখার সামগ্রী হতে লিখিত কথাগুলি আল্লাহ মুছে ফেললেন। কোন কোন ক্ষেত্রে শুধু রাসুলকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু মুখস্থকারি জনগণ অনেককাল পর্যন্ত তা একেবারে ভুলে যায় নাই। ভুলিতে বেশ সময় লেগেছিল। বর্তমান যুগে এ শ্রেণীর কথাগুলির কিছুই আমাদের আর জানার কথা নয়। এ গুলি বিস্মৃতির অতল তলে চিরতরে ডুবেছে।
২। নসখ আল হুকুম দুনা তিলওয়াঃ- এ শ্রেণীর কথাগুলি শুধুমাত্র পাঠ হিসাবে কোরানে আছে কিন্তু এদের মধ্যে নিহিত আদেশ ও নির্দেশগুলি পালনীয় আর থাকবে না। এর কারণ এর হতে উত্তম অথবা এর সমতুল্য ওজনের মূল্যমান ব্যবস্থা কিছুকাল পরে আল্লাহ নাজেল করলেন, যার কারনে পূর্ববর্তী নাজেল করা কথাগুলি কোরানে লিখিত থাকলেও সেগুলি আর আমল করা চলবে না। এদের সংখ্যাও কোরান কম নহে। অবশ্য এদের সংখ্যা বিষয়েও পণ্ডিতগণের মধ্যে মতভেদের অন্ত নাই। এ রূপে মতভেদের সীমা ১৭ হতে ৫০০ বাক্য পর্যন্ত বিস্তৃত।
৩। নসখ আল তিলওয়া দুনা হুকুমঃ এ শ্রেণীর কথাগুলি কোরান হতে আল্লাহ উঠিয়ে ফেলেছেন কিন্তু এদের মধ্যে নিহিত যে সকল আদেশ ছিল তা পালন করবার হুকুম বলবৎ থাকচ্ছে। এ জাতীয় কথা নাজেল হলে পর রাসুলাল্লাহ এর আমল করতে থাকলেন এবং কোরানের মুসাফ হিসেবে লেখেও রাখলেন। সাহাবিগণও কেউ কেউ মুখস্থ করে লেখেও রেখেও রেখেছিলেন। আল্লাহ এর পাঠ মানুষের মন হতে এবং লেখার বস্তু হতে এর লেখা মুছে দিলেন। কিন্তু এর আমল যা চলেছিল তা উঠালেন না।
কোরান ও সুন্নার বাক্যদি বাতিল বা রহিত(নসখ) করা বিষয়ে যতসব অদ্ভুত ও যুক্তিহীন ধর্মীয় সাহিত্য আমাদের মধ্যযুগীয় পণ্ডিতগণের দ্বারা লেখা হয়েছে তা সত্যই হাস্যাস্পদ এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলকম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক। আল্লাহ তাঁর আপন অবতীর্ণ কোন কোন বানী কোরান হতে উঠিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য রাসুলকে প্রথমতঃ তা ভুলিয়ে দিলেন, রাসুলের দ্বারা লিখিত ফলক হতে তা মুছে দিলেন, কিন্তু জনসমাজে সে কথাগুলি চলতেই থাকল। পরে অবশ্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশনুযায়ী লোকেরা ঐ সব কথা বাদ দিয়ে চলতে লাগলো। ভুলতে শুরু করলেও তা সমাজে অনেককাল আলোচিত হচ্ছছিল ইত্যাদি অনেক কিছুই বলা হয়ে থাকে।
(বি\দ্রঃ উপরোক্ত উল্লেখ্য বিষয়গুলি সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতী রচিত”মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মতভেদের কারণ” বইটি হতে সংগৃহিত)
@শামিম মিঠু, মন্তব্য ও আমার জন্য নুতন তথ্য সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ। নিজেকে এখন ভিন্ডিকেটেড মনে হচ্ছে।
@শামিম মিঠু,
সদর উদ্দিন চিশতির লেখা বিশ্বাস করার হেতু কি? তার কথা বিশ্বাসই বা করব কেন ? মোহাম্মদ মারা যাবার কত বছর পর তিনি এ লেখা লিখেছেন? তিনি লিখলেই সেটা সত্য হয়ে যাবে নাকি ?
@ভবঘুরে,
যে কোন লেখা বিশ্বাস করার বা সত্য হওয়ার হেতু হল তার মধ্যে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ ও পারস্পারিক ধারাবাহিক মিল অব্যাহত থাকা। সেক্ষেত্রে চিশতী সাহেবের রচিত “মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মতভেদের কারণ” বইটি অনন্য(এ ছাড়া islam against inequity and maudooi’s corruptions, কোরান দর্শন, সিয়াম দর্শন, কোরবানি প্রভৃতি)। বইটির বিরুদ্ধে ৮৩সালে সরকার মামলা করেন এবং মন্তব্যে বলেন, “with the deliberate and malicious intention of outraging the religious feelings of the muslim of the bangladesh, which is an offence publishable u/s 295a b.p.c.” এবং আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০০০/টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৪ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।পরে আপিল করলে ৯০সালে রায় ও জরিমানা বাতিল হয়।
শুধু তাই নয়, ৯১তে মৌলবাদীরা তাঁকে কাফের ফতোয়া দেয় এবং তার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। সরকার তাঁকে এরেস্ট করেন এবং তার লিখিত বইগুলি বাজেয়াপ্ত করেন।
পরে অবশ্য তিনি মুক্তি পান।
ভাইজান, আপনি ধর্মীয় সাহিত্য রচনা করেন ( যদি সম্ভব হয় ওনার বইগুলি একবার দেখে নিতেন) ধন্যবাদ আপনি ভাল থাকুন…।
@শামিম মিঠু,
এতে কিছুই যায় আসে না, মওদুদীকেও পাকিস্তান সরকার ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল তার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর জন্য । তাতে কি তার প্রবর্তিত ইসলাম ও তার ব্যখ্যা মানুষ ত্যাগ করেছে? আর ইসলাম ব্যখ্যা করতে কোরান ও হাদিস যথেষ্ট, কোন ইসলামী পন্ডিতদের কিতাব বা ব্যখ্যা নিস্প্রয়োজন। কারন তাদের ব্যখ্যা যদি আপনাদের বিপক্ষে যায় তা তো গ্রহন করবেন না। সেকারনেই আমি কোরান হাদিসের বাইরে সাধারনত: রেফারেন্স দেই না।
@ভবঘুরে,
ভাইজান, “কোরান ও হাদিসে’র সংকলনের ইতিহাস থেকে জানা যায় এগুলি মানুষ বা কোন না কোন ইসলামী পণ্ডিতদেরই দ্বারা সংকলিত বা রচিত। আর তাতে অসামঞ্জস্য, স্ববিরোধী এবং মতভেদের অন্ত নাই।
যেখানে কোরানে বার বার বলা আছে, “সুন্নাতাল্লাহে লা তাবদিলা/আল্লার সুন্নতের অর্থাৎ কাজ ও কথার কোন বদল হয় না” কিংবা “অলান তাজিদালে সুন্নাতিল্লাহে তাবতিলা/তোমরা আল্লার সুন্নতের বদল দেখতে পাবে না” সেক্ষেত্রে কোরানের কোন একটি বাক্য অন্য বাক্য দ্বারা মনসুখ বা রহিত হয় কিভাবে? আর যদি হয় তাহলে উপরের কোরানের বাক্যদ্বয় মিথ্যা এবং আল্লাহ চঞ্চলমতি, সংশোধনবাদী, অপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী বলে প্রমানিত হন।
@শামিম মিঠু,
নাসিক ও মানসুক তো সেটাই প্রমান করে যে আল্লাহ নিতান্তই একজন মানবিক চরিত্রের অধিকারী। অর্থাৎ প্রকারান্তরে কোরানের আল্লাহ স্বয়ং মোহাম্মদ নিজে। নিজের কথাই তিনি আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দিয়েছেন।
@ভবঘুরে,
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন ভাইজান, আর এই নসখ ও মনসুখ এর সৃষ্টিকারী সেই সে খেলাফতি/উমাইয়া/আব্বাসিয়া রাজশক্তি সেটাই প্রমান করতে চেয়েছেন এবং তারা সার্থক হয়েছেন নিঃসন্দেহে।
কোরানের আল্লাহ স্বয়ং মোহাম্মদ নিজে, কথা সত্য। কারন তিনি বলেছেন, “আউয়ালুনা মোহাম্মদ, আখেরুনা মোহাম্মদ, আওসাতুনা মোহাম্মদ, কুল্লানা মোহাম্মদ/ আদি অন্ত মধ্য সর্বকালেই মোহাম্মদরূপে আমরা বিরাজিত”
নিজের কথাই তিনি আল্লাহর বানী বলে চালিয়েছেন, আর এজন্যই কোরানে আছে, “ইন্না হু লা কাউলুল রাসুলিল কারিম/ নিশ্চয় উহা (কোরান ) রাসুল করিমের কথা”
@শামিম মিঠু,
উক্ত বানীগুলো সূরা ও আয়াত নম্বর দেয়া যায় ? দারুন দরকার।
@ভবঘুরে,
১ম বাক্যটি হাদিসে কুদসি। এবং
২য় বাক্যটি উসমানীয়া ক্রমিকনুসারে ৮১।নং সুরা তাকবিরের ১৯নং বাক্যে এবং ৫২নং সুরা হাক্কার ৪০নং বাক্যে উল্লেখ আছে।
ভাইজান, আপনার ই-মেইল এড্রেসটা দেয়া যায়?
@শামিম মিঠু,
ঠিক নয়। এটা হবে ৬৯ নং সুরার ৪০নং আয়াতে।
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
(নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের কথা।)
আরবী কুরাণে এই রসূল (বার্তাবাহক অর্থে) যে কে তাহা বলা নেই। তবে রসূল যেহেতু মোহাম্মদের বেলায় সব সময় ব্যবহৃত হয় তাই রসূল দিয়ে মোহাম্মদ বোঝান হয়েছে ভাবলে ভুল হবে না, বিশেষ করে শুধু কুরাণের উপর নির্ভর করলে। আর যদি রসূল বলতে জিব্রাইল বোঝান হয় তাহলেও এটা যে আল্লাহর কথা নয় সেটা ঠিকই থাকছে। ইসলামিস্টরা নিজের মত করে যুক্তি দেয় এই আয়াতে আল্লাহ বলতে চাইছেন যে এটা আল্লাহর কথা যেটা জিব্রাইল বার্তাবাহক হয়ে মোহাম্মদের কাছে নিয়ে এসেছেন। মানে আল্লাহর বাণী মানুষ এর কাছে দুই মধ্যসত্ত্বার মাধ্যমে এসেছে। কিন্তু ইসলামিস্টদের ব্যাখ্যা তো তাদের নিজের ব্যাখ্যা। আল্লাহ নিজে তো এরকম স্পষ্ট করে আয়াতটিতে বলেন নি এটা কার কথা। একজন কুরানে বিশ্বসী কেউ আয়াত দুটো পড়লে তো এটা যে মোহাম্মদের কথা সেটাই তো মনে করবে। আয়াতে তো সেটাই স্পষ্ট বলছে (অনুবাদে নয়, সুচতুর অনুবাদকরা নিজের মাধুরী মিশিয়ে দেয়)। কুরাণের বাণী নাকি দ্ব্যর্থহীন, স্পষ্ট। দেখাই যাচ্ছে কেমন স্পষ্ট!।
@যাযাবর
ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ, সূরা হাক্কা ৬৯নং এ আছে।
@ভবঘুরে,
সূরা রাদ ক্রমিকনুসারে ১৬ নং এ নয়, ১৩নং আছে।
১৩:৩৯। ইয়াহুল্লা লা হু মাইয়াশায়ু ওয়া ইনদাহু উম্মুল কেতাব।
এ বাক্যে ‘উম্মুল কেতাব’ অর্থ মূলগ্রন্থ হয় কিভাবে? মূলগ্রন্থ বলতে কি বুঝায়?
আমরা তো জানি ‘উম্মুল কেতাব’ অর্থ তো আল-কেতাবের মা।
@ফারুক,
ফারুক সাহেবকে সরাসরি কয়েকটি প্রশ্ন করছিঃ
১। আল্লাহ নিখুঁত কি না (হ্যাঁ/না?)
২। কুরান সম্পূর্ণ,ও নিঁখুত বই কি না। (হ্যাঁ/না ?)
৩। কুরান স্বয়ংসম্পূর্ণ বই কি না, অর্থাৎ এটা বুঝতে হলে অন্য কোন জ্ঞান বা বইয়ের দরকার নেই কি না?।
( হ্যাঁ/না ?)
৪। কুরান বুঝতে হলে কি খুব বুদ্ধিমান হতে হবে কি না ? (হ্যাঁ/না )
এখন আসি আপনারই দেয়া আয়াতেঃ
প্রথম আয়াত ২:১০৬
“আমি কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি।
ক) এখন বলুন নিঁখুত আলাহ কেন তাঁর নিঁখুত ও সর্বশ্রেষ্ঠ বইএর কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করে দেন? তার মানে রহিত করে দেয়া আয়াতের কোন খুঁত ছিল? রহিত করা তো ছেলে খেলার ব্যাপার নয়। তাহলে (১) ও (২) এর উত্তর কি “না?” । আয়াতের যে অর্থই করুন না কেন আয়াত তো আল্লাহরই পাঠান, না কি?
খ) আর বলুন কোন আয়াতকে(গুলিকে) রহিত করা হয়েছিল এবং কেন ? । কুরাণের দ্বারাই এর উত্তর দিতে হবে যদি (৩) এর উত্তর হ্যাঁ হয়।
রহিত করার মত “বিস্মৃত করার” ব্যাপারেও উপরের ক-খ এর উত্তর চাই।
আপনার উক্তিঃ
এবার বলুন আল্লাহ বিস্মৃত “করিয়ে” দিলে মানুষের পক্ষে বিস্মৃত “হয়ে” যাওয়া অসম্ভব কিভাবে? আর বলুন আল্লাহ যদি “উদাহরণ”, “চিহ্ণ” অর্থের আয়াতকে বিস্মৃত করিয়ে দিতে পারেন তাহলে কুরাণের আয়াত অর্থে আয়াতকে বিস্মৃত করিয়ে দিতে পারবেন না কেন?
আরও বলুন ২:১০৬ এর উল্লেখিত “আয়াত” যে আল্লাহ “উদাহরণ”, “চিহ্ণ” বা “অলৌকিক” অর্থে ব্যবহার করেছেন, কুরাণের আয়াত অর্থে নয়, সেটা আল্লাহ নিজেই কেন পরিস্কার করে বলে দিলেন না। আপনাকে কেন ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে আমাকে? আমার কাছে তো কুরাণের আয়াত অর্থটাই বেশি সম্ভাব্য মনে হচ্ছে আপনার ব্যাখ্যার পরও। তাহলে কি কুরাণের সঠিক অর্থ বুঝতে হলে অন্য কোন জ্ঞান দরকার যেটা আপনার আছে আমার নেই? তাহলে কি (৩) এর উত্তর না ও (৪) এর উত্তর হ্যাঁ?
হেঁয়ালীপূর্ণ বা ঘোলা ভাষায় (Beat around the bush) উত্তর না দিয়ে সোজা সাপ্টা ভাষায় উত্তর দিবেন, তাতে আপনার আমার উভয়েরই লাভ। ধন্যবাদ।
@যাযাবর,
আমার নিজস্ব মতামতের মূল্য আপনার কাছে না থাকারি কথা। সে কারনে কোরান ও আল্লাহ নিয়ে যখন প্রশ্ন করেছেন তখন কোরানে যদি তার কোন উত্তর থাকে , তাহলে সেই আয়াতটির উদ্ধৃতি দেব , অন্যথায় বলব এর উত্তর কোরানে নেই।
এর উত্তর কোরানে নেই।
২:২ এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
১০:৩৭ আর কোরআন সে জিনিস নয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ তা বানিয়ে নেবে। অবশ্য এটি পূর্ববর্তী কালামের সত্যায়ন করে এবং সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ দান করে যা তোমার প্রতি দেয়া হয়েছে, যাতে কোন সন্দেহ নেই-তোমার বিশ্বপালনকর্তার পক্ষ থেকে।
১১:১-২ “আলিফ লাম রা , এটি এমন এক বই , যার আয়াতসমূহ নিখুত নির্ভুল (perfect) এবং এক মহাজ্ঞাণী সর্বজ্ঞ সত্বার পক্ষ হইতে সবিস্তার ব্যাখ্যা সহ বর্ণীত। যেনো তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বন্দেগী না কর। নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি তাহারই পক্ষ হইতে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
১৪:৫২ “এটা (কোরান) মানুষের জন্য এক পরিস্কার বার্তা(Clear message) এবং এদ্বারা সাবধান করা হচ্ছে ও জানানো যাচ্ছে যে , উপাস্য তিনিই একক এবং যাতে বুদ্ধিমানরা চিন্তা ভাবনা করে।”
৪১:১-২ “পরম করুনাময় দয়ালুর পক্ষ হইতে এই বই , আরবি কোরান , যার আয়াত সমূহ বিশদব্যাখ্যাসহ অবতীর্ন হয়েছে তাদের জন্য , যারা জানে।”
. কোরানের কোন আয়াত কখনো রহিত হয় নি। এইটার উত্তর দিয়েছি কোরান থেকেই। না বুঝলে উপরে দেয়া আমার মন্তব্যটি আবার পড়ুন। আয়াত যেখানে রহিত হয় নি , সেখানে খুঁত থাকার প্রশ্ন আসে কিভাবে।
প্রশ্ন উঠা উচিৎ , কোরান যদি সহজ পরিস্কার ভাষায় লেখা হয়ে থাকে , তাহলে একেকজনে একেক রকম মানেই বা করে কেন বা একেক রকম বোঝে কেন? এর প্রধান কারন হলো – রসূল পরবর্তি সময়ে খলিফারা নিজেদের শাসনকে বৈধতা দেয়ার জন্য দরবারি মোল্লাদের দিয়ে কোরানের যে বিকৃত মানে ও ব্যখ্যা দিয়েছে , সেটাই মাথা হারানো ও ধর্মচ্যুতির ভয়ে পরবর্তি সকল অনুবাদক সেই মানে ও ব্যাখ্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ২য়ত- প্রতিটি মানুষ ভিন্ন , সেকারনে প্রত্যেকের বুঝ ও ভিন্ন।
১৮:৫৪ নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
@ফারুক,
অ্যাঁ, কুরাণে নেই? কি বল্লেন। তাহলে যদি জানতে ইচ্ছে হয় আল্লাহ নিখুঁত কিনা জানব কিভাবে? আপনি জানেন কি? কিভাবে জানলেন, যদি জেনে থাকেন?
আপনি আবার বলছেনঃ
আবার কুরাণের আয়াত ২:১০৬ উদ্ধৃত করছেনঃ
“আমি কোন আয়াত(آيَةٍ) রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি।”
যেখানে আল্লাহ স্পষ্ট রহিত করার কথা বলছেন।
আল্লাহ যদি কোন আয়াত(তা সে যে অর্থেই ধরুন না কেন) রহিতই না করেন (আপনার মতে) তাহলে এই আয়াত বলার কারণ কি? এটা অনেকটা এরকম বলা যে “আমি যদি কাকের রং কালো না করতাম তাহলে সাদা করতাম”। এটা জেনে কি লাভ বা উপকার হচ্ছে মানুষের? কি হলে কি হত, অথচ কি হলটা হলই না এবং হবেও না। এই হেঁয়ালি কি করে সম্ভব সেখানে ১১:১-২ “আলিফ লাম রা, এটি এমন এক বই , যার আয়াতসমূহ নিখুত নির্ভুল (perfect) এবং এক মহাজ্ঞাণী সর্বজ্ঞ সত্বার পক্ষ হইতে সবিস্তার ব্যাখ্যা সহ বর্ণীত” ?
পরিস্কার বার্তা যাতে “বুদ্ধিমানরা” চিন্তা করতে পারে? তাহলে আমাদের মত বুদ্ধুদের জন্য কোন বার্তা? পরিস্কার বার্তা তো জানি যাদের বুদ্ধি সুদ্ধি একটু কম তাদের জন্য দরকার হয়। তার মানে আমাদের মত বুদ্ধুদের জন্য কুরাণ নয়? কিন্তু বুদ্ধুত তা আমি নিজের সিদ্ধান্তে হই নি। আমি তো যথাসাধ্য চেষ্টা করছি বুদ্ধিমান হবার অন্য।
তাহলে কুরাণ আরবীতে অবতীর্ণ হয়েছে যারা (আরবী?) জানে তাদের জন্য? যারা জানে না তাদের জন্য নয়? আজব ব্যাপার।
আয়াত যদি স্পষ্টই হয়, সহজ পরিস্কার ভাষায় লেখা হয় তাহলে তো কুরাণ সরসরি পড়লেই যথেষ্ঠ। কে বিকৃত মানে ও ব্যখ্যা দিল তাতে কি আসে যায়। কুরাণের বিকৃত মানে ও ব্যখ্যাকারীরা কি এতই প্রভাবশালী যে বিশাল সংখ্যক মানুষকে ভুল মানে গিলাবে যেখানে আল্লাহ নিজে স্পষ্ট করে আয়াতগুলি পাঠিয়েছেন যা সরাসরি পড়ে বুঝতে পারার কথা। তাহলে কি আল্লাহর ক্ষমতা নেই তাঁর নিজের পাঠান আয়াতকে হেফাজত করা ও বিকৃত ব্যখ্যাকারীদের থেকে কুরাণকে রক্ষা করার? কুরাণেই তো বলা হয়েছে কেউ কুরাণের কথাকে বিকৃত করতে পারবে না (আয়াত 6:34,6:115,10:64,18:27)। আপনি তো দেখছি প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছেন এই সব বলে।
@যাযাবর,
এটা জানতে আপনাকে ফারুক সাহেবের স্মরনাপন্ন হতে হবে। মজার ব্যপার হচ্ছে ওনাকে ইসলামী সাইটেও তুলা ধুনা করা হয়। বেচারা উভয় সংকটে আছেন। তার প্রতি আমাদের একটু সহানুভূতিশীল হওয়া দরকার।
@যাযাবর, অ্যাঁ,
কোরানে কি বলা হয়েছে , এটা বিশ্ব কোষ? তাহলে আপনার মনে যে প্রশ্নই জাগুক , তার উত্তর কোরানে পাওয়ার আশা করাটাকে কি বলা যায়? কোরান কার জন্য , কিসের জন্য , কোরান মানা বাধ্যতামূলক কিনা , সেটা আগে জানুন।
তর্ক যখন করতেই চাচ্ছেন , তাহলে একটা প্রশ্ন করি। নিখুঁত বলতে আপনি কি বোঝেন? আপনার চাওয়া নিখুঁতের বর্ণনার সাথে আমি বা অন্য কেউ একমত হবে তার গ্যারান্টি কী? কেউ দেখে চাঁদের কলঙ্ক , আবার কেউ চাঁদের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়। আবার চাঁদ দেখে কারো মনে কোন ভাবেরি উদয় হয় না। কে ঠিক?
কোরান থেকেই উদাহরন দেই। ইহুদীরা যখন খাবারের অভাবে কষ্ট পাচ্ছিল , তখন আল্লাহ তাদেরকে মান্না ও সালওয়া পাঠাতে শুরু করেন তাদের খাওয়ার জন্য। এটা অলৌকিক ঘটনা (আয়াত) , এটা তো স্বীকার করবেন। তারপর যখন একি খাবার প্রতিদিন খেতে খেতে তাদের কাছে একঘেয়ে হয়ে যায় ও তারা মুসাকে বলে এর বদলে পেয়াজ রসুন এই জাতীয় পার্থিব খাবারের জন্য আল্লার কাছে বলতে। আল্লাহ মান্না সলওয়া পাঠানো বন্ধ করে দেন। এই বন্ধ করে দেয়াকে, রহিত করন বলা যায় কিনা? ফেরাউনকে শাস্তি দেয়ার জন্য আল্লাহ বিভিন্ন বালা মুসিবত (আয়াত) পাঠান , পরে আবার মুসার অনুরোধে সেগুলো রহিত করেন।
ঠিকি ধরেছেন। আরবী ভাষীদের জন্যই কোরান। কোরানে বলায় আছে , প্রতিটি উম্মতের জন্য তাদের নিজস্ব ভাষায় স্ব স্ব নবী রসূল প্রেরণ করা হয়েছে।
১৪:৪ আমি সব রসূলকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, পথঃভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।
অবশ্যই। সমস্যা তো আমাদের মাঝে। আমরা পরের মুখে ঝাল খেতে পছন্দ করি। কোরান নিজে পড়ে বোঝার চেষ্টা না করে , অধিকাংশই মোল্লা মৌলভিদের মুখে শোনা কথাকেই ইসলাম মনে করে জীবণ কাটিয়ে চলেছি।
অবশ্যই আছে এবং তার প্রমাণ স্বরুপ অবিকৃত আরবী কোরান বিদ্যমান। বিকৃত হয়েছে এর মানে। মাথা থেকে হাদীস তফসির শানে নযূল ও ইসলাম সম্পর্কে প্রচলিত ধারনা বাদ দিয়ে ডিক্সনারি নিয়ে কোরানের মানে পড়ুন (যেহেতু আপনি আরবী জানেন না) , দেখবেন সব জলবৎ তরলং।
প্রশ্ন করতে পারেন , এত কষ্টের দরকার কী? উত্তর হলো – গরজ টা কার? আল্লাহর নাকি যে পড়বে তার। একটা কথা মাথায় রাখুন , আপনি মুসলমান হলেন কি না , তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না বা আপনার উপাসনার লোভ ও আল্লাহর নেই। তিনি কোন কিছুর মুখাপেক্ষি নন। ধর্ম যারা মানে , নিজের গরজেই মানে। গরজ থাকলে আর বুদ্ধিমান হলে , সোর্স থেকে সত্যটা জানা উচিৎ , অন্যের মুখে ঝাল খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
@ফারুক,
সরি ফারুক ভাই, তবে এই ব্যাপারটা আমার মাথায় ঢুকতেছে না একেবারেই! কোরান স্বয়ংসম্পূর্ণ এর প্রমাণ স্বরূপ আল্লাহ কোরানে যে আয়াতে বলছেন যে এটা “সবিস্তার ব্যাখ্যা সহ বর্ণীত”, সেই আয়াতটাই শুরু করলেন “আলিফ লাম রা”র মতো অবিস্তারে বা একেবারেই প্রায় না-বিস্তারে ব্যাখেয় বস্তু দিয়ে? 😕
@রূপম (ধ্রুব), আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন কোরানের এই আয়াতে-
৩:৭ তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।
@ফারুক,
মাগার ফারুকভাই, তাইলে গ্রন্থটার “আয়াতসমূহ সবিস্তার ব্যাখ্যা সহ বর্ণীত” আর থাকে কি? কিছু কিছু বা আংশিক কথাটা লাগানো দরকার ছিলো না? আর আংশিক কথাটা লাগালে আপনি কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রন্থের প্রমাণ হিসেবে এই আয়াতটা ব্যবহারও আর করতে পারতেন বলে মনে হয় না।
ধরেন, আপনি নিশাতরে জিগাইলেন তিনি ছেলে না মেয়ে, নিশাত তখন কইলেন যে তিনি তার বইতে বলছেন, “ছেলেরাই নিশাত হয়।” তারপর আপনি তারে জিগাইলেন যে তাইলে নিশাত মেয়ের মতো দেখতে ক্যান, তখন তিনি আবার কইলেন যে তিনি তার বইতে এও বলছেন যে “নিশাতরা মেয়ে হয়।” দুনিয়ার সবকিছু নিয়াই নিশাতের বইতে একটা লাইন লেখা আছে। কিন্তু কন্ট্রাডিক্শান নামে একটা সমস্যা যে সেখানে আছে সেইটা কি বুঝতেছেন?
@রূপম (ধ্রুব),
আপ্নে এত আজাইরা প্রশ্ন জিগান ক্যান। নিশাত হয়ত ট্রান্সজেন্ডার। তাইলেই সমস্যা থাহে না। আপনে মিয়া মহাজ্ঞানীর ঈশারা বুঝেন না। জয়নাল ব্যাপারীর আরত থেইকা নাজিল হওয়া চিডির কথাডা মনে নাই?
যাউকগগা, আপনে কি এই দুইটা নির্দেশনার থুড়ি বাক্যের মধ্যে পরষ্পরবিরোধিতা দেখতে পান?
আপনে আমি পাইলেও মোকলেছরা পায় না। কি আর করা।
এইগুলান আজাইরা প্রশ্ন বাদ দিয়া আসেন আমরা হগগলতে মোকলেসের লাহান ঈমান আইনা জয়নাল ব্যাপারীর পাছায় চুম্মা দেই গিয়া। উহাতেই শান্তি। ওম শান্তি।
@অভিজিৎ,
সেইরকম!
@অভিজিৎ, Level playing field না হলে কোন বিতর্কই জমে না। আপনি আমার ও রূপমের মাঝে ঢুকে পড়েছেন বলেই এই কথা গুলো আপনাকে বলছি। আপনার তো যা ইচ্ছা বলতে কোন বাধা নেই কিন্তু পাল্টা জবাব শোনার সাহস নেই। যে কারনে আপনার পোস্টে করা আমার জবাবটি মডারেশনের আওতায় এনে আজো আলোর মুখ দেখতে দেন নি , শুধু তাই নয় আমার সকল মন্তব্য মডারেশনের আওতায় এনেছেন। জানতে পরি কি , মুক্তমনার কোন নীতিমালার আওতায় আমার মন্তব্যটি মডারেশন করেছিলেন?
আপনার যদি সত্যিই সুস্থ বিতর্ক করার ইচ্ছ থাকে ও সাহস থাকে , তাহলে আমার মন্তব্যগুলো আগের মতোই মডারেশন বিহীন করে দিন। আশা করি বনগাঁয়ে শিয়ালের মতো রাজা হওয়ার ইচ্ছা আপনার নেই।
@ফারুক,
এই ব্লগ কি আপনার একার সম্পত্তি নাকি, যে ‘আপনার আর রূপমের’ মাঝে কেউ ঢুকতে পারবে না? আর তাছাড়া আপনাকে তো আমি উত্তর দেই নাই। আমি উত্তর দিয়েছি রূপমকে। যদি বাইন মাছের লাহান পিছলাইয়া ঢোকার মত কেউ সত্যই থেকে থাকে এখানে সেটি হচ্ছে আপনি। সোজা বাম হাত ভরে দিয়েছেন আমাদের আলোচনায়, কি বলেন?
আহারে কি ভিক্টিম! আপনার মত ধর্মান্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এক ব্যক্তিকে একসময় মুক্তমনায় এক্সেস দেয়া হয়েছিল, সেটা আমার (এবং ফরিদ ভাইয়ের) বদান্যতাতেই। আপনাকে সদস্য করার সময় বহু সদস্যই তে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ আপনার লেখা এবং মন্তব্য কোনটাই মুক্তমনার উদ্দেশ্যের সাথে যায় না। তারপরেও আপনাকে সদস্য করা হয়েছিল, আপনার হয়ে আমি লড়াই পর্যন্ত করেছিলাম – কারণ, আপনি বলেছিলেন আপনি নাকি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননা, আপনি সুস্থ বিতর্ক চান ইত্যাদি। কিন্তু আপনার স্বরূপ প্রকাশ পেতে দেরী হয়নি। একে তো আপনি ধর্মান্ধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ইংরেজি সাইট থেকে কপি পেস্ট করে নিজের নামে রেফারেন্স ছাড়া লেখা দেন, তারপরে উপরি পাওনা হিসেবে যখন যুক্তিতে পারেননা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। একটা উদাহরণ দেই। আপনাকে আমি ক্রেগ ভেন্টরের পোস্টে বৈজ্ঞানিক জার্নাল আর পেপারের রেফারেন্স দিয়ে জবাব দিয়েছিলাম, আপনি আমাকে ‘বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী’ বিশেষণ ব্যবহার করে এর উত্তর দিয়েছিলেন। এর কোন দরকার ছিল? আপনার ‘বিশ্বাসের’ সাথে কারো না মিললেই বিশেষণ শ্রবণ করতে হবে তার তো কথা নেই, তাই না? আবার বইলেন না যে আপনাকেও আমি অনেক কিছু বলেছি। আপনাকে যা বলেছি আপনার বলা বিশেষণের পর, আগে নয়। আপনি আসলে আসেনই মুক্তমনায় উস্কানি দিতে, আপনার বহু মন্তব্যেই এর প্রমাণ আছে।
আরেকটা কথা – আপনার মন্তব্য ব্লক করা হয়নি, হলে এই অভিযোগ সম্বলিত মন্তব্যও প্রকাশিত হত না, তাই না? তবে ফ্রি মাঠ পেয়ে গার্বেজ ঢেলে দেবেন, আর একে ওকে অশিক্ষিত, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এগুলো বলে চলে যাবেন, তা তো হয় না ভাইজান। আপনার লেখা এবং মন্তব্যের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা মডারেটরদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। এই থ্রেডে আমার কাছে এসে অপ্রাসঙ্গিক-ভাবে ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করে লাভ নাই।
কান্দেন যত ইচ্ছা। গাল ফুলাইয়া, চিক্কুর পাইড়া গলা ফাডায়া ভেউ ভেউ কইরা কান্দেন।
@অভিজিৎ,না কান্দনের কোন ইচ্ছাই নেই। আপনাকে ফ্রি মাঠ দিয়ে গেলাম। ফ্রি মাঠ পেয়ে যা ইচ্ছা ঢালুন। মুক্তমনা যদি কোন দিন আমাকে মডারেশন ফ্রি মন্তব্যের সুযোগ দেয় , তাহলে আবার মন্তব্য করব , অন্যথায় নয়। এটাই মুক্তমনায় আমার শেষ মন্তব্য।
ভাল থাকুন , শান্তিতে থাকুন।
@ফারুক,
অন্তরে কুটিলতা কোথা হতে আসে? আল্লা মানুষের হৃদয়ে সীলমোহর লাগিয়ে দেন কেন? যেমন আমার হৃদয়ে আগে সীল ছিলনা, কোরান পড়ার পরে আল্লা লাগিয়ে দিলেন। কেন?
@তামান্না ঝুমু,
আপনি বোধহয় শয়তানের কথা একেবারেই ভুলে গেছেন! 🙂
অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। আপনার সুস্পস্ট বক্তব্য এবং উপস্থাপনা আমার খুব ভাল লাগে। (Y) (F)
@তামান্না ঝুমু,
ধন্যবাদ আপনার তারিফের জন্য।
মোটা দাগে আসল কথা, এইটাই।
কোরান সংকলনকারীদের কারচুপির আর ধরা খাওয়া বিষয়ে আসল সময়ক্রম অনুযায়ী আরো কিছু আয়াত যেগুলো নিজেই নিজের হাস্যকর ধরা খাওয়ার ব্যাখা দেয়ঃ
১৫:৯ (মক্কায় অবতীর্ণ) আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
৬:৩৪ (মক্কায় অবতীর্ণ) আপনার পূর্ববর্তী অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাঁরা এতে সবর করেছেন। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছানো পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছেন। আল্লাহর বানী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আপনার কাছে পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে।
১৮:২৭ (মক্কায় অবতীর্ণ) আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয়স্থল পাবেন না।
কিন্তু আজকের কোরান জুড়ে রয়েছে অনেক স্ববিরোধী, বিভ্রান্তিকর আর কাঁচা হাতে প্রতিস্থাপিত আয়াত; আর বৈপরিত্যের ব্যাপারে বিশাল গ্যাঞ্জাম লেগে যায় এই (আসল ক্রমানুসারে) আয়াতেঃ
৪:৮২ (মদীনায় অবতীর্ণ)এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত।
@কাজী রহমান,
অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন দলিল আবিস্কার করেছেন ভাই। আমি এটা SAVE করে রাখলাম।কাজে লাগবে।এই আয়াতের দ্বারা কোরান নিজের জন্যই নিজে বড়
ঘাতকে পরিনত হয়েছে। কারন কোরানে অসংখ্য বড় বড় বৈপরিত্য বিদ্যমান রহিয়াছে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ঠিক তাই
চাকলাদার ভাই :))
@কাজী রহমান,
আপনি তো দেখি ইসলামী পন্ডিতের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেললেন। পিস টিভি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, হয়ত সেখানে মোটা মাইনের একটা চাকরী জুটে যেতে পারে 😀
@ভবঘুরে,
হ, ইকোনমিক মেল্টডাঊনের কালে আইডিয়াটা খ্রাপ না :))
@কাজী রহমান,
এ আয়াত টা সংগ্রহ করে রাখলাম , ভবিষ্যতে এর উপর বিস্তারিত লিখতে হবে বলে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সাহায্য করার জন্য।
কুরান বলছে:
বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানই আরবি ভাষাভাষী নয়। তারা আরবি “পড়া” শিখে, অর্থ জানে না। তারা ভক্তিভরে কুরান “তেলাওয়াত করে” প্রায় সব ক্ষেত্রেই কোন অর্থ না বুঝেই। মুখস্থ করে মক্কী সুরাগুলো। যার অধিকাংশই ছোট ছোট। অল্প কিছু লোক এই মক্কী সুরাগুলোরই “অর্থ” কালে ভদ্রে জানার চেষ্টা করে। সম্পূর্ণ কুরান বুঝে পড়েছে এমন মুসলমানের সংখ্যা খুবই অল্প। যারা পড়েছে তাদের অনেকেই এই “Abrogation” নিয়মটি জানে না। ফলে তারা “Pick and Choose” নীতি ব্যবহার করে। কিন্তু যারা সত্যই কুরানের অর্থ বুঝেন এবং জানেন যে পূর্ববর্তী সহনশীল আয়াতগুলো পরবর্তীতে “বাতিল” হয়ে অমুসলিমদেরকে ঘৃণা-খুন-হুমকি-তাচ্ছিল্য ইত্যাদি যাবতীয় অমানবিক বিধান জারী হয়েছে; তাদের সামনে যে পথগুলো খোলা আছে তা হলো:
১) “ইসলামে পূর্ণ সমর্থন” স্থাপন করে কুরান হাদিসের শিক্ষার বাস্তবায়ন করা
-এরাই হলেন সত্যিকারের মুসলমান।যাদেরকে সাধারণ মুসলমানেরা অজ্ঞানতা হেতু “মৌলবাদী” আখ্যা দেয়।
২) হিপক্রাইট হওয়া। “সত্যকে” মিথ্যার আড়ালে প্রয়োজনমত ব্যবহার (Taqiyya)
৩) কুরানের আসল অর্থকে ‘বিকৃত’ করে যুগোপযোগী রূপ দেয়ার চেষ্টা – ইসলামী পণ্ডিতরা এব্যাপারে খুবই সিদ্ধহস্ত।
৪) ইসলাম বর্জন (প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে) – জেনে বুঝে “মানবতা বিরোধী” এই জীবন বিধানকে সমর্থন করা কোন ভালমানুষের কাজ হতে পারে না।
@ভবঘুরে,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কুরানকে বুঝার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর লিখার জন্য। (Y) (F)
@গোলাপ,
এর চেয়ে সত্য কথা আর হতে পারে না। কোরান পড়ে অর্থ করতেই যে পারে না , সে আবার abrogation জানবে কোথা থেকে? অনেক চিন্তা ভাবনার পর মনে হলো কোরানকে পড়তে গেলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা দরকার। তার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন নিয়ম হলো- Abrogation. যারা এ নিয়ম অনুসরণ করে না, তারা কোরান পড়ে সম্পূর্ন উল্টো বুঝতে পারে ও হতে পারে প্রতারিত।
কোন মুমিন ভাই কি আসবেননা আজকের এই লেখাটাকে খন্ডন করার জন্য ! please…………
এত সুন্দর লেখাটির জন্য অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ । (F)
@আস্তরিন,
কোরান হাদিছ উপস্থাপন সহ যথোপযুক্ত বিশ্লেষন সহকারে উপস্থাপন করা এ প্রবন্ধ । আমার মনে হয়না কোন ইসলামিক পন্ডিতের পক্ষেও এ বক্তব্য খন্ডন করা সম্ভব।
তবে দেখা যাক কেহ আসেন নাকি।
ধন্যবাদ আস্তরিন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই আপনার মনের আশা অশেষ মেহেরবান আল্লাপাক জানতে পেরে একজন পন্ডিতকে অতি সত্ত্বর নাজিল করেছেন যিনি এই নিবন্ধের রিফিউট করেছেন অন্য একটি সাইটে, দেখুন এখানে।
@ভবঘুরে,
ভাই,
উনার কথা আর বলেননা। উনি “রাশাদ খলিফার”অনুদিত কোরান হতে একটি আয়াতের অনুবাদ এনেছিলেন যেটা ভূল ছিল। আমি এবং ভাই আকাশ মালিক বিতর্ক করেছিলাম।শেষ পর্যন্ত আমাদের যুক্তির ছামনে উনার যুক্তি টিকতে পেরেছিলনা।
তবে উনি আমাদের সঠিক অনুবাদটা মেনে নিয়েছিলেন।
বিতর্কটি নিম্ন স্থানে মন্তব্যে গিয়ে দেখুনঃ
http://blog.mukto-mona.com/?p=25259
হতবুদ্ধি হতবাক : দ্বিতীয় পর্ব
লিখেছেন: মীজান রহমান বিভাগ: ব্লগাড্ডা তারিখ: ১৫ বৈশাখ ১৪১৯ (এপ্রিল ২৮, ২০১২
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ও তাই নাকি , আপনি তাহলে তাকে চেনেন ? উনি তো দেখি যে পোষ্ট লিখেছেন ওনাদের সাইটে সেখানে ওনাদের নিজেদের লোকরাই তার লেখার বিরোধীতা করছেন। তবে অভিযোগ করেছেন যে এ ব্লগে নাকি তার বক্তব্য প্রকাশ করা হয় নি অর্থাৎ এ ব্লগের মডারেটরা নাকি সেন্সর করেছেন। বিষয়টি গুরুতর।
@ মডারেটর
ফারুক সাহেবের মন্তব্য প্রকাশ করা যায় না এখানে? তাহলে সবাই জানতে পারত আসল সত্য কোন টা ?
@ভবঘুরে,
আমার যতদূর বিশ্বাষ উনার লেখা মডারেটররা সেন্সর করেন নাই। বরং সম্ভবতঃ উনি উনার লেখা নিজেই এখানে পাঠাতে চাচ্ছেননা।
উনি আরবী ভাষার শব্দের অর্থ,আরবী বাক্যে ব্যবহৃত আরবী গ্রামার নিজের মনগড়া পদ্ধতিতে তৈরী করিয়া বাক্যের অর্থ নিজের পছন্দমত করতে চেষ্টা চালান,যেমনটা উপরে উল্লেখিত স্থানে করতে গিয়েছিলেন। যেটা করতে গিয়ে উনি আমাদের নিকট পরাভূত হয়ে গিয়েছিলেন।এবং এটা যে কোন যায়গাতেই হবে।
কাজেই উনি এখানে কোন লেখা পাঠাবেন আমার বিশ্বাষ হয়না
ধন্যবাদ
@ভবঘুরে, ভাই কি যে বলেন সদালাপে গিয়ে দেখি আহাম্মকে ভরা যুক্তি নাই চেছামেচি বেশি…। অই ধারমিক ভাইজানের লেখাটা পইরা সময় বরবাদ…হইছে খালি…।।
@সাগর,
যেখানে যুক্তি নাই সেখানেই চেচামেচি। আমিও ঢু মেরেছিলাম। সেখানে দেখলাম ফারুক সাহেবকে তার সাথীরাই আক্রমন করেছে। একজন তো নাসেক মানসুক যে সত্য সেটা প্রমান করার জন্য একটা বিরাট নিবন্ধও ছেপেছে। বোঝাই যাচ্ছে আমাদের এ প্রবন্ধ তাদের কলিজায় আঘাত করেছে। যুক্তি ছাড়া যতই তারা চিল্লাচিল্লি করবে ততই তাদের আহাম্মকি ধরা পড়বে। আমাদের কিছু করা লাগবে না।
লিঙ্কে তো বালকসুলভ যুক্তি দেয়া হয়েছে। হাদীসগুলো সম্পুর্ন উড়িয়ে দেয়া হয়েছে! অবাক করার মত ক্যাচাল! মানুষ এতো অন্ধ হয় কি করে! কাদের জন্যে এতো শ্রম!!!
@আস্তরিন,
দেখুন আল্লায় খামোখা ত্যানা ফেছানী আর ফ্যাসাদ ভালা ফাইন না। ফ্যাসাদ অইলো, যেমন ধরুন আল্লায় কইছে- পাহাড় পর্বত দুনিয়ার খুঁটি, নইলে দুনিয়া কাইত হইয়া মানুষের ভারে অনেক আগেই উল্টিয়া যাইতো। কিংবা ধরুন আল্লায় কইছে- কোরান আমার বাণী, কোরান কইছে মুহাম্মদ আল্লাহর নবী, মুহাম্মদ কইছেন আমাকে নবী মানো নাইলে ট্যাকা ফালাও। এখন কেউ যদি এইটা না মানে, বিশ্বাস না করে, ট্যাকাও না দেয় তাইলে সে ফ্যসাদকারী। অবশ্য ট্যাকার কথা আল্লায় মক্কায় থাকতে কোনদিন দাবী করেন নাই, কারণ তখন (খাদিজা দুনিয়ায় থাকতে) তার ট্যাকার দরকারও ছিলনা। আল্লাহর আদেশ হইলো এদেরকে কচুকাটা দাও, হাত কাটো গলা কাটো, একেবারে সাপ বিচ্ছুর মতো কতল করে সাফ করে দাও। কারণ আল্লায় ফ্যাসাদ ভালা ফাইন না। এবার তাফসির দেখুন-
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/TAFSIR.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
একেবাবের নির্যাস কথা। ইসলামে আসলেই ফ্যাসাদকারী হলো এরা।
এটা তো আপনার খুব সুন্দর ফর্মুলা আবিস্কার। এটাতো কখনো মাথায় আসে নাই। সংকলনকারীদের মাদানী সুরা গুলিকে প্রথমে আনা ও মক্কী ছুরা গুলীকে পরে সাজানোর মধ্যে যে দুরভিসন্ধী রয়েছে এটাও তো এখন বুঝা যাচ্ছে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূরণ পয়েন্ট ধরে ফেলেছেন।
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এত সব ফর্মূলা আবিস্কার করেও তো ইসলামী পন্ডিত হতে পারলাম না, বরং ইসলামিষ্টদের গালা গালি হুমকি ধামকি শুনতে হয় নিয়মিত।
@ভবঘুরে, বরং ইসলামিষ্টদের গালা গালি হুমকি ধামকি শুনতে হয় নিয়মিত। ভাই যুক্তি না থাক্ লে গালি তো আছে…।।এটাই হল ভাল পথ…।না হলে তাদের আল্লাহ তাদের বেহেস্ত দেবেন কেন?
অনেক দিন পরে আপনার পোষ্ট পেলাম একটু মন খারাপ ছিলো আপনার উপর, কিন্তু এত সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়ে তা দূড় করে দিয়েছেন।
আপনার থেকে একটা বিষয় জানতে চাই তা হলো,
সুরা আল বাকারা তে বকনা বাছুর নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে, এর পটভুমি টা জানতে চাই, অথবা কোন সাইট কি আছে যেখানে প্রতিটা আয়াত আর সুরার পটভুমি দেয়া থাকবে ।
অনেকদিন আগে এমন একটা দেখেছিলাম মনে হয়, কিন্তু নাম মনে পরছেনা।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
হা হা হা :hahahee: :hahahee: মনে হচ্ছে আল্লাহ অবিমৃষ্যকারী। যাইহোক আপনার লেখা গুলো আমি গগ্রাসে গিলি।
এই লেখা গুলো পড়ে অনেকেই আলোকিত হচ্ছেন অনেকের মাঝেই “প্রশ্ন” জাগছে।
@অগ্নি,
জানিনা আসলে এসব লেখায় কোন মানুষ উপকৃত হচ্ছে কি না। মুক্ত মনাতে লেখা অনেকটা মুক্ত মানুষদের কাছে মুক্তির কথা বলার মত। অনেকটা যেমন মুমিন মুসলমানদের নিকট ইসলাম প্রচার করা হয়। তাই বোঝা মুসকিল যাদের উদ্দেশ্যে এ লেখা তারা ঠিক মতো পড়ে কি না। অনেককেই বলতে শুনেছি মুক্তমনা হলো নাস্তিকদের সাইট, তারা তাই ঘৃণাভরে এখানে আসে না। তো না আসলে তারা জানবে কিভাবে যে এখানে নাস্তিক্য নয়, বরং আলো ছড়ানোর চেষ্টা করা হয় যুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
ভাইজান,
অনেক দিন পর আপনাকে আমরা পাইলাম। আপনার অভাব বোধ করতেছিলাম।আপনার অনুপস্থিতিতে কোরান হাদিছ চর্চা একরকম বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। আপনার কোরান হাদিছের যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় বহু পাঠকেরা সঠিক তথ্যটি অবগত হয়ে আলোকিত হয়েছেন এবং ধর্মের নামে বহুত ধোকাবাজদের আসল রুপ চিনতে শিখেছেন ও তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে শিখেছেন।
সে যাই হোক,এবার যে আলোচনাটি এনেছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অর্থাৎ নাছেক ও মনছুখ।
কোরানে যদি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নাছেক ও মানছুখের ব্যবস্থাই থাকল তা হলে তো কোরানকে তো আর বানী চিরন্তনী বা চির সত্য বানী বলে দাবী করার আর কিছুই থাকলনা।
তখনকার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাও শুধু মাত্র আরবে যদি এত পরিমান নাছেখ মানছুখ হইতে পারে, তহলে সারা বিশ্বব্যাপী ১৪০০ বছর ধরে কত বেশী পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে, সেক্ষেত্রে তো সমস্ত কোরানই নাছেখ মানছুখ হয়ে যাওয়া উচিৎ।
প্রবন্ধটি এখনো ভালো করে পড়ে পারি নাই। আস্তে আস্তে পড়তে হবে। এবারের লেখাটির মান অনেক বেশী উন্নত হয়েছে।
ধন্যবাদ
ভাল থাকেন
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান অত্যধিক ব্যস্ত ছিলাম লেখার সময় ছিল না। আপনাদের সুবিধার্থেই কোরান হাদিসের সঠিক চর্চার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারার তা থেকে উপকৃত হচ্ছেন শুনে কৃতার্থ হলাম।
কোরানের নাছেক ও মানসুক তত্ত্ব মতে আসলেই ১৪০০ বছর পর কোরানের কোন বিধানই চালু থাকার কথা নয়। অত্যন্ত বুদ্ধিমান মোহাম্মদ ভবিষ্যতে যে কোরান অকার্যকর হয়ে পড়বে সেটা বুঝতে পেরেই কিন্তু এটা চালু করে গেছিলেন বলে আমার মনে হয়। অথচ আজকে আমরা মুসলমানরা এতটাই বোকা যে কোরান হাদিস চর্চা করে তা বুঝতে পারছি না। আমরা আসলেই হতভাগা জাতি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@ভবঘুরে,
আপনি অনেকদিন পরে এলেন। অনেক দিন আপনার লেখা থেকে পাঠক বঞ্চিত ছিল। আশা রাখি এইবার নিয়মিত লেখা পড়তে পারা যাবে।
@আফরোজা আলম,
পেটের ধান্ধায় যখন খুব বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়ি তখন লেখা সম্ভব হয় না। তবে চেষ্টা করব, ধন্যবাদ আপনাকে।
লা ইকরাহ ফি দ্বীন মানে ধর্মের মধ্যে কদর্যতা নাই (অর্থাৎ অবাঞ্ছিত গুণ মিশ্রিত নাই) কারন লা মানে নাই বা নহে, ইকরাহ অর্থ বিরক্তি, অবাঞ্ছিত বিষয়, ভীতি, ঘৃণা, অপছন্দ।ফি মানে মধ্যে, দ্বীন মানে ধর্ম অর্থাৎ স্বভাব-প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য। যে সব বিষয় যার চিত্ত চেতনার মধ্যে আগমন করে সেই সব বিষয়গুলিই তার ধর্ম। সপ্ত ইন্দ্রিয় দ্বার পথে যাকিছু উদয়-বিলয় হয়; যথা চোখ দিয়ে দৃশ্য, কান দিয়ে শব্দ, মন দিয়ে ভাব, জিহ্বা দিয়ে স্বাদ, ত্বক দিয়ে স্পর্শ, মুখ দিয়ে কথা এবং নাক দিয়ে ঘ্রাণ প্রভৃতি ধর্ম। “ধর্মের মধ্যে জবরদস্তি নাই/ দ্বীন নিয়ে কোন বাড়া বাড়ি নাই” ইহা সত্য নয়। আসলে এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের জবরদস্তি হওয়াই প্রকৃতির নিয়ম। জীবদেহ ধর্মের সমষ্টি। শক্তিশালী জীব দুর্বল জীবকে খেয়ে ফেলে। এরূপে এক ধর্মের উপর অন্য ধর্মের বল প্রয়োগ চলেই আসছে। এখানে কথাটি ‘বল বা বাড়াবাড়ি’ নয় বরং ইহা হল ‘অবাঞ্ছিত কলুষ’ । কোন ধর্মের মধ্যে ক্ষতিকর কলুষ বিদ্যমান নাই, যদি মনের দ্বারা উহা হতে কলুষ-কালিমা সংগ্রহ করা না হয়। এরূপে কোরানের আরো কিছু বাক্য বিদ্যমান আছে। যেমনঃ
অনেক দিন আপনার লেখা পড়লাম আপনাকে ধন্যবাদ।
@শামিম মিঠু,
কিন্তু ইসলামে জবরদস্তি নেই বলে তারস্বরে চিৎকার চেচামেচি করে যাচ্ছে কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত যদিও কোরান ভর্তি জবরদস্তি মূলক আয়াতে। এখন কে তাদের বোঝাবে সে কথা? পাব্লিক ও দেখি তাদের কথা বিশ্বাস করার জন্য মুখিয়ে থাকে, কোথায় যে যাই। সব কিছু দেখে মনে হয়- মানুষ অন্ধ থাকার জন্যেই মুখিয়ে আছে।
আপনার মন্তব্য পরলাম উপরের যে আয়াত গুলো বললেন এগুলো রহিত হয়েগেছে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা ফাতেহার পর যে সূরা শুরু হয় সেখানে দ্বিতীয় আয়াতে বলা হেয়েছে যে, ‘যা লেকাল কিতাবু লা রায়বা ফি হুদাল্লিল মোত্তাকিন’
তহলে এর মানে কি করবেন? আমাকে যানালে ভাল হতো।
ধন্যবাদ
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলমে।
আপনার প্রবন্ধটি অত্যন্ত শক্তিশালী, তথ্যসমৃদ্ধ ও যুক্তিযুক্ত হয়েছে। সবগুলো পর্বই মন দিয়ে পড়েছি। আপনি যদি নিয়মিত লেখতেন তবে খুবই খুশি হতাম। (F)
@অমিত,
ভাই এসব লেখা লিখতে গেলে প্রচুর পড়া শুনা করতে হয়। তা না করে লিখলে লেখার মান যেমন খারাপ হয় তেমনি তা মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতাও পায় না। এখানে লিখে তো আর পয়সা পাওয়া যায় না, মানুষ ও সমাজের প্রতি ভালবাসার তাগিদ থেকেই লিখি। পেটের ধান্ধায় ব্যস্ত থাকলে পড়াশুনার সময় পাওয়া যায় না সব সময় তাই নিয়মিত লেখাও হয়ে ওঠে না, ভাই।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।