এ কবিতাটি যাঁকে নিয়ে লেখা, সেই মহান শিল্পীর চরণকমলে এটি উৎসর্গ করলাম।
হে প্রিয়, প্রিয়, অতি প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর;
আপনার কণ্ঠস্বর কেন এতো সুমধুর!
আপনার আবৃত্তি আমার কাছে
সুধার অপার সমুদ্দুর।
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনি
আমি তন্ময় হয়ে শুনি,
শুনি মধ্যাহ্ন-নিশি-ভোর।
মম মনের গহনে বাজে যখন তখন
সেই সুমধুর অমৃত সুর।
হে প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর,
আমি বাস করি আপনা হতে
বহু বহুক্রোশ দূর।
তবুও শুনি আমি,
বাজে আমার হৃদয়ে
আপনার আবৃত্তির মধুর রিনিরিনি সুর।
আপনার তুলনায় ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র আমি,
নগণ্য ধূলিকণা সম।
তবুও প্রকাশিতে চাহে হৃদয় মম
আপনার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
হে গুণী, হে সুন্দর, হে প্রিয়তম।
আপনার বিশালত্বের কাছে
আমি সমুদ্রের তুচ্ছ ফেনার মত।
তবুও মম হৃদয় অবিরত
প্রকাশিতে চাহে আপনার প্রতি
তার ভালোবাসা ও ভক্তি যত।
আমি জানিনা,
আপনার তরে
এই ক্ষুদ্রের নিখাদ সম্মান ও প্রীতি আপনার কাছে
কভু পৌঁছুবে কিনা।
আপনার ঠিকানায় পৌঁছনোর মোর
নেই সাধ্য, নেইকো স্পর্ধা।
শুধু দূর থেকে আপনাকে
নিবেদন ক’রে যাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।
হে প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর,
আপনার কবিতা শুনি যতবার
আমারও কেঁপে উঠে ওষ্ঠাধার।
আপনার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দের সাথে
মোর অন্তর আবেশে কাঁপে থরথর।
মম চক্ষু হতে ঝরঝর
দুর্বোধ্য বারি ঝরে অনিবার।
আমি জানিনা
এই তুচ্ছ আমার দুর্নিবার
ভক্তি ও প্রীতি আপনার
কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা।
তবুও হৃদয় তার ভালোবাসা প্রকাশিতে চাহে,
তবুও হৃদয় অভিভূত হয়ে রহে,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাজে অহরহ
আপনার সুধাকণ্ঠের বীণা।
আসাদুজ্জামান নূরের আবৃত্তি ও অভিনয় সত্যিই খুব মনোমুগ্ধকর। তাকে নিয়ে লেখা কোনো কবিতা এই প্রথম পড়লাম। (Y)
পুনশ্চ:
কৌস্তুভের সঙ্গে এ ক ম ত।
@বিপ্লব রহমান,ধন্যবাদ (F)
আমার কিন্তু কবিতাটি বেশ লেগেছে।আজকাল বুদ্ধিজীবিদের ভীড়ে সাধারণ মানুষদের রুচিবোধ বিপন্ন। লেখকের নূর সাহেবে প্রতি এক প্রকার ছেলেমানুষি উন্মাদনা রয়েছে। অতি-ভক্তি জিনিসটায় পাগলামি, ছেলেমানুষি না থাকলে বিষয়টা খুব সাদামাটা লাগে। ভালো হয় কবিতাটার মান বিচারের ভার খোদ নূর সাহেবকে দেয়া। তবে ভাব প্রকাশ করার জন্য লেখক যদি এরচাইতে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তবে তার উচিত সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগানো। পরিশ্রম আর অধ্যবসায় যদি একটা উপস্থাপনাকে আরো সমৃদ্ধ করে তবে তাতে তো দোষের কিছু নেই। লেখককে পদ্য ছেড়ে দিয়ে গদ্যে মনোনিবেশ করার পরামর্শটাকে নিরুৎসাহিত করছি। লেখকের জন্য শুভকামনা রইল।
@নীল রোদ্দুর
//মাঝে মাঝে দেখি, আপনাকে ছদ্ম উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কিছু পাঠক।//
সাধারণ পাঠকেরা ছদ্ম উৎসাহ না,সত্যিকারের উৎসাহই দেয়।
উপরে দেখুন উনার বক্তব্য মতে কটূবাক্য,উপহাস, ঠাট্টা , মশকরা এগুলি ভালো নয়, কিন্তু উনি নিজেই টপিক বহির্ভূত হয়ে আমারে কিছু একটা সম্বধন করে কটূবাক্য,উপহাস, ঠাট্টা , মশকরা সব এ করল। আবার বলে , আমি নাকি উস্কানিমূলক কথা বলে থাকি , দেখুন তো এটা উস্কানিমূলক কথা কি না,
পাঠক আপনারাই দেখুন কে উষ্কানিমূলক কথা বলতেছে ।
যে কটূবাক্য ও উপহাস করতে আপনি ওস্তাদ সেই কটূবাক্য ও উপহাসে আপনি ব্যথা ও পান? চরম বিনোদন, এখনি তো আবার চিৎকার কইরা বলবেন প্রমাণ কি আমি যে কটূবাক্য ও উপহাস করি? দেখুন আপনার নিচের লেখাটা, :-s
এখানে আপনি আমারে মুমিন বলে কটূবাক্য,উপহাস ঠাট্টা , মশকরা সব এ করলেন এবং এটা রিতি মতো পার্সোনাল অ্যাটাক, আসলে আপনার মতো দুই নীতি ও দুই মুখো মানুষ দিয়ে সমাজ ভরে গেছে, যারা বলে কাওকে কটূবাক্য ও উপহাস করো না, কিন্তু তারা নিজেরাই করে, আবার তারা বলে ঘুস হল হারাম, দুর্নীতি প্রধান সমস্যা, ইত্যাদি ইত্যাদি…… কিন্তু তারা নিজেরাই এইসব বলার ও করার ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখে।
@বেয়াদপ পোলা,
মুমিনকে মুমিন বললে যে মুমিনের কাছে কটূ লাগে সে আবার কেমন মুমিন! নাকি ভেক ধরা মু্মিন?
আপনাকে সবসময় দেখি কখনো কোথাও বিতর্ক অথবা মতানৈক্য শুরু হলে আপনি সেখানে কিছু উষ্কানিমূলক কথা ব’লে থাকেন। এবং উষ্কানি দিতে বিনোদন উপভোগ করেন। এটাই কি আপনার বৈশিষ্ট্য?
@তামান্না ঝুমু,
কিছু মনে করবেন না, এই বাহাসটি ভালো লাগলো না। কবিতার বিষয়ে নীচে আলাদা মন্তব্যে বলেছি। ভালো থাকুন।
@বিপ্লব রহমান,
এই বাহাস আমারও ভাল লাগেনি দাদা। কাটা-ঘায়ে নুনের ছিটা লাগলে কেমন লাগে বলুন!মনটা এমনিতে ব্যথিত ছিল। তার উপরে তিনি এসেছেন নুন ছিটাতে। না ভেবে কিছু একটা ব’লে দিয়েছি। পরে ভেবে দেখলাম ভাল বলিনি।
কিছু মানুষ আছেন যারা সবারই প্রিয়। প্রিয় নূর বা প্রিয় বাকের ভাই, যে নামেই যেভাবেই বলেন না কেন বড় আপন লাগে। লোকটাকে যেকোনো ভাল কাজেই আপনি পাবেন। কবিতা উৎসব? হাজির! আনিসুজ্জামান স্যার এর জন্মবার্ষিকী? হাজির! …? হাজির! …?হাজির! শুধু উপস্থিতই থাকেন না, যেকোনো দায়িত্ব নিজ কাধে নেন নির্দ্বিধায়।
প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে আপনার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। তবে আবেগ আর ছন্দের মন্দ জালের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি নিজে মনে করি ভালোবাসা অবশ্যই ন্যকামো অর্থাৎ যে ভালোবাসায় ন্যাকামী পাগলামি নাই, তা অবশ্যই মিথ্যা।
ভালো থাকবেন।
@অরণ্য,আমি জানি এবং স্বীকার করি যে, আমার এই লেখাটি আবেগ বিজড়িত। আমার একজন প্রিয় ব্যক্তিত্বের প্রতি ভাললাগাটুকু আমি প্রকাশ করেছি। একটা লেখা কারো ভাল লাগবে, কারো লাগবে না। সেটা ত স্বাভাবিক। আমি মুক্তমনায় এ পর্যন্ত যে ক’টা লেখা পোস্ট করেছি তার মধ্যে এই লেখাটা কি সর্বনিম্নমানের? কেউ বলছে মানহীন, কেউ বলছে হাস্যকর। এ রকম মন্তব্য আমার আর কোনো লেখাতে পাইনি। ভাল থাকুন।
খুব ভাল লাগল। নূর সাহেব খুব ভাল লোক। আপনি সামনে আরো ভাল লিখবেন।ভাল থাকবেন। (Y)
@মাসুদ, ধন্যবাদ।
দিদি, আপনাকে আগেও যেমন বলেছি, আপনার কবিতার বক্তব্যের জন্য সেগুলো আমার ভালো লাগে। ইসলাম মহিলাদের কেমন সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে, সেই নিয়ে সেই সিস্টেমের মধ্য থেকেই কেউ কথা বলছে, এই দুর্লভ জিনিসটা ভারি উৎসাহব্যঞ্জক। আমার মত বেপাড়ার লোক সেসব নিয়ে কথা বলতে গেলে খামোকাই বাংলাদেশ-বিরোধী ভারতের দালাল, ইসলাম-বিরোধী হিন্দুত্ববাদের দালাল, এইসব তকমা আসে; সে যাক। কাব্যরস তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও বিষয়ের জন্যই আপনার লেখাগুলো পাঠযোগ্য – হয়তবা সে বিচারেই মুক্তমনার চেয়ে ধর্মকারী সেগুলোর উপযুক্ততর স্থান।
তবে এই কবিতাটায় যেহেতু সেই ফ্যাক্টরটা নেই, কাব্যরস-সহ সামগ্রিকভাবে কবিতাটা ঠিক মানোত্তীর্ণ হয়নি। আপনি নিজেই আরেকটু খুঁতখুঁতে হলে ভালো হয়। 🙂
@কৌস্তুভ,
একজন লেখক বা যেকোনো শিল্পীর সৃষ্টি সবগুলো একই মানের হয়না। অথবা কারো কাছে একটা ভাল লাগলে অন্য কারো কাছে অন্যটা ভাল লাগে। এই কবিতাটিও সেরকম। কারো ভাল লেগেছে, কারো লাগেনি। তবে আমি খুব যত্ন করে প্রাণ থেকে লিখার চেষ্টা করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। আপনাকে ইদানিং কম দেখা যায়। ব্যস্ত আছেন নাকি?
কম কি, আমাকে মুক্তমনা সচল কোথাও দেখাই যায় না, এমনই দৌড়ের উপর আছি। মহাদেশও বদলে ফেললাম কিনা। গুছিয়ে বসে তারপর নেটামু।
@কৌস্তুভ,
এতুকু বলতে পারি যে মুক্তমনায় সাধারণত এটা হয় না। আর যদি হয়ই তাইলে তো মুক্তমনার ফিয়ালেস লিডার মডুরা আছেনই, তাদের লেলিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে 🙂 । তোমার কাছ থেকে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করছি মুক্তমনায়।
@বন্যা আহমেদ,
:lotpot:
চরম সত্য কথা বলায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ছদ্ম উৎসাহ দিয়ে যাওয়া পাঠক এর সংখ্যা খুব বেশী, এই রকম মিথ্যা উৎসাহ পাওয়ার ফলে আরও বস্তা পছা লেখা কবিতার নাম এ পড়তে হয়, 😕
এটা ও ঠিক কথা, আমি নিজে এ হাসি, আপনার লেখার মাধ্যমে আজ কিছু সত্য প্রকাশ পেলো, আশা করি উনি বুঝতে পারবে এবং মনে রাখবে এটা পাবলিক ব্লগ । (Y)
@বেয়াদপ পোলা,
হাসাহাসি ত আপনাকে নিয়েও মুক্তমনায় কম হয়নি!
তা্ছাড়া আমার লেখা ত আপনার ভাল লাগার কোনো কারণ নেই। আপ্নি মুমিন মানুষ। আমার লেখা পড়ে লোকে হাসে এও কম কী! মানুষকে হাসাতে পারা কিন্তু সহজ কাজ নয়। আপনি নাহয় কাঁদাকাঁদি টাইপের কিছু লিখে ফেলুন। হাসার পরে লোকে একটু কাঁদুক।
চালিয়ে জান তামান্না । একটা সময় আপনার হাত দিয়ে আরও ভাল ভাল কবিতা বের হয়ে আসবে। মনে রাখবেন মুক্তমনাতেই আপনার কবিতার সবচেয়ে ভাল বিচার হবে।
@মিথুন দাশ,ধন্যবাদ।
কবিতাটা মানসম্মত হয় নি বলেই মনে হয়। আমি তার লেখা আগে পড়ি নি কিন্তু ঘটনাক্রমে আজই আরেক সাইটে তার আরেকটা লেখা পড়লাম। ছোট ছোট ৫টা ছড়া। বেশ সুন্দর।
@বশির,একটা লেখা বা যেকোনো জিনিস কারো কাছে ভাল লাগে, কারো কাছে ভাল লাগেনা। খুব স্বাভাবিক। সবার পছন্দ আলাদা।তেমনি আমার এই লেখাটিও কারো ভাল লেগেছে, কারো লাগেনি। ধন্যবাদ।
একদম যাচ্ছেতাই হয়ে গেছে।
আপনার কবিতা থেকে অন্য লেখাগুলো ভাল হয়। একটু সময় নিয়ে লেখেন, আপনি ভাল লিখতে পারবেন বলে আমি মনে করি।
@সৈকত চৌধুরী, আপনার মতামত আমার কাছে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। লিখতে চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
আসাদুজ্জামান নূর আমারও একজন প্রিয় ব্যাক্তিত্ব। তার সাথে আমার ফোনালাপের ঘটনাটাতো আপনাকে বলেছিলাম।
আপনার ঠিক আগের পোস্টটিতে আমি আমার আরেকজন পছন্দের মানুষ জর্জ কারলিনকে নিয়ে লিখেছিলাম। আপনার পোস্টের দুলনায় আমার পোস্টটি সাইজে অনেক বড় হতে পারে, কিন্তু আপনি এই অল্প কথায় নূর স্যারের প্রতি যে সম্মান প্রদর্শন করতে পেরেছেন, আমি অত বড় পোস্ট লিখেও মনে হয় ততটুকু সম্মান কারলিনকে দেখাতে পারি নি। আপনার কাব্যিক প্রতিভাটা এখানেই অন্যদের চেয়ে আলাদা। :clap
@অভীক, আপনার লেখাটিও বেশ চমৎকার হয়েছে।অনেক সাধ ছিল তাঁকে নিয়ে কিছু লেখার। এই সামান্য লেখার মাধ্যমে তাঁর প্রতি আমার ভালবাসা, ভাললাগা কতটুকু প্রকাশ করতে পেরেছি জানিনা।তবে কিছুটা অন্তত প্রকাশ করতে পেরেছি, এজন্যে ভাল লাগছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মুক্তমনা পাঠকদের কারো সাথে যদি আসাদুজ্জামান নূরের যোগাযোগ থাকে তাকে অনুরোধ করছি, তিনি যাতে তাঁকে বলেন এই লেখাখানি পড়তে।
আপনার সুন্দর সুরের মূর্ছনায় মূর্ছিত আমি।ভাল থাকুন,ছন্দের সাধনা করতে থাকুন।আমার শুভকামনা জানবেন।
@অভ্র ব্যানার্জী,আপনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় আমিও মূর্ছিত।আপনার শুভ কামনা সাদরে গ্রহণ করলাম এবং আপনার প্রতিও অনুরূপ জ্ঞাপন করলাম(F)
পড়ে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি উনার খুব বড় একজন ভক্ত, আমিও তাই। কিন্তু আপনার মত এভাবে আমি হয়ত প্রকাশ করতে পারতামনা।
@লীনা রহমান,
আমিও ঠিকমত পেরেছি ব’লে মনে হয়না। ভাষা মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হলেও মনের সকল ভাব ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।
@তামান্না ঝুমু,
আসলে আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। এখানে লোকটির প্রতি আপনার ভক্তি প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু এটা ঠিক কবিতা হিসেবে ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয়না। এজন্যই বলেছি আমি এভাবে লিখতে পারতামনা, বা আসলে লিখতামনা। আচ্ছা, আপনি নিজেই নিজের এই লেখাটাকে কবিতা হিসেবে মূল্যায়ন করুন তো। আশা করি ব্যক্তিগতভাবে নেবেননা কথাগুলো, কবিতাটা এত দরিদ্র হয়েছে যে চুপ থাকার চেষ্টা করেও পারলামনা। আপনাকে কষ্ট দিতে চাইনি, লেখাটার সমালোচনা খোলাখুলি করেছি মাত্র।
@লীনা রহমান,
আমি ত আসলে কবিতার বিচারক নই। কোথাও যেন পড়েছিলাম মনের ভাব ভাষায় প্রকাশ করা হচ্ছে কবিতা। আমি আমার মনের ভাবটুকু প্রকাশ করতে চেয়েছি। এতই নিম্নমানের কি হয়েছে?
খোলাখুলি সমালোচনার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ। তবে হতদরিদ্র কয়েকটি লাইন তুলে দিলে এবং দরিদ্র লাইনগুলোও ধনী হলে কেমন হত তা বলে দিলে কিছু শিখতে পারতাম। মোটেই কষ্ট পাইনি। 🙂
@তামান্না ঝুমু, নিজের লেখা কতটুকু ভাল হয়েছে বা খারাপ হয়েছে এটা জানতে হলে বিচারক হতে হবে কে বলল। আমি খুবই কম লিখি এবং খারাপ লিখি, তার মধ্যেও আমি বলতে পারি কোনটা আমার অপেক্ষাকৃত ভাল লেখা আর কোনটা একেবারেই বস্তাপচা। আর আমি মূল্যায়নও করতে পারি যে আমি লেখক হিসেবে কত বড় ঘাটতি রাখি আমার ঝুলিতে। সবাই তা পারে। কেউ চেষ্টা করে, কেউ করেনা। এই…
দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, পুরো কবিতাটাই অন্ত্যমিলসহ পদ্যমাত্র। আপনিই বলুন, উপরে জওশন আপু যে কয়টা লাইন দিয়েছেন বিভিন্ন কবিতার সেগুলোর সৌন্দর্য আর আপনার কবিতার অবস্থান তার পাশে। আমি কয়েকটা লাইন দিচ্ছি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের শাশ্বতী কবিতার,
“একদা এমনই বাদল শেষের রাতে
মনে হয় যেন শত জনমের আগে
সে এসে সহসা হাত রেখেছিল হাতে
চেয়েছিল মুখে সহজিয়া অনুরাগে
সেদিনও এমনই ফসলবিলাসী হাওয়া
মেতেছিল তার চিকুরের পাকা ধানে
অনাদি কালের যত চাওয়া তত পাওয়া
পথ খুঁজেছিল আনত দিঠির মানে
একটি কথার দ্বিধা থরথর চূড়ে
ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী
একটি নিমেষ দাড়াল সরণী জুড়ে
থামিল কালের চির চঞ্চল গতি”
এর কাব্যিকতা ও সৌন্দর্যের পাশে রাখলেই বুঝবেন কবিতাটার দারিদ্র্য। দেখুন, আপনাকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়, আর আপনার কবিতাকে অকবিতা বললে যে আমাকে ঐ একই বিষয়ে উৎকৃষ্ট কবিতা লিখে বোঝাতে হবে যে আমি সমালোচনা করার যোগ্যতা রাখি এমন ভাবাটা খুবই হাস্যকর। আমি কবিতা পড়ার চেষ্টা করি এবং কবিতা ও অকবিতার পার্থক্য ধরতে পারি। আমার মনে হচ্ছিল আপনার যথাযথ সমালোচনা না হলে এধরণের কবিতা পোস্ট করে আপনি হাসির পাত্র হতে পারেন, হয়ত মানুষ আপনার পরবর্তী ভাল কোন লেখাও আপনার নাম দেখে ইগনোর করে যেতে পারে। আমি আপনার একটা কবিতা পছন্দ করেছিলাম মোটামুটি, কিন্তু এরপর আপনার কবিতা কয়েকটা পড়ে দেখেছি সেগুলো খুব খারাপ হয়েছে তাই আপনার লেখা আমি এড়িয়ে যেতাম। ভাবুন একবার, এই কারণে হয়ত ঐ লেখাগুলোর ভিড়ে আপনার কোন একটা ভাল লেখা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। এমন কি কাম্য? ইম্প্রোভাইজেশনের জায়গা থাকলে তা স্বীকার করে সেদিকে মন দেয়াটাই উত্তম নয় কি? আমি ঝামেলা চাইনা বলে আপনার অন্য অপছন্দনীয় লেখায় কমেন্ট করিনি, এটাতে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেই চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আপনি এভাবে অযৌক্তিক উত্তর দিতে থাকলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলব আলোচনার। ধন্যবাদ।
না জিগায়ে পারলাম না,
আপনার প্রিয়তম কয় জনা? :-s
মশকরার জন্য ক্ষমা চাহি,
হে প্রিয় কবি… (F)
@নীল রোদ্দুর,
অসংখ্য জনা,
যাইবে না গনা।
আপনিও একজন প্রিয় মম।
বন্ধুকে বন্ধুর তরফ হইতে কোনো ক্ষমা নাহি
হে প্রিয়তম। (L) (F)
@তামান্না ঝুমু, আপু, সত্যিই বন্ধুর মত ভেবে থাকলে কিছু কথা বলি…
কবিতা মানে কেবল শব্দের পর শব্দ, লাইনের পর লাইন অন্তমিল দিয়ে লিখে যাওয়া নয়। কবিতায় ভাব, বিদ্রোহ, ক্রোধ, ভালোবাসা জীবন দর্শন … এমন অনেককিছু সমন্বয়ে একটা বক্তব্য থাকে, বক্তব্যের প্রকাশভঙ্গি, বক্তব্যের গভীরতা সবকিছু মিলিয়ে পাঠকের মনের মধ্যে একটা আবহ সৃষ্টি হয়, লেখকের মনের একটা ভাব প্রকাশ পায়। কবিতা একটি বিমূর্ত শিল্প, যেখানে আক্ষরিক অর্থকে ছাপিয়ে বিমূর্ত অর্থ প্রকাশ করা সম্ভব।
চুলে মাখি আলতা
আম কাঠাল চালতা…
এটা কোন কবিতা না… এই শব্দগুচ্ছের কোন অর্থ নেই, অবুঝ বাচ্চাদের হিজিবিজি হিজিবিজি শব্দের মত।
আবুল হাসানের একটি কবিতার চরণ লিখছি,
“এখন প্রেমিক নেই, যারা আছে তারা সব পশুর আকৃতি”… এই কবিতাটা পারলে পড়ে দেখেন, কোন ছন্দ মিল নেই, কিন্তু অস্মভব রকম দৃঢ় সুস্পষ্ট বক্তব্য আছে…
শক্তি চট্টোপধ্যায় এর একটা কবিতার লাইন,
“বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল
চিঠি-পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই – পাথরের ফাঁক-ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল –
অনেক সময় তো ঘর গড়তেও মন চায় |”
কবিতায় অন্তমিল নেই… সুস্পষ্ট বক্তব্য আছে, বক্তব্যের শিল্পিত বহিঃপ্রকাশ আছে।
আমি জানিনা, আপনি কতজন বাংলাভাষী কবির কবিতা পড়েছেন, কবিতা যদি লিখতেই চান, তবে লেখার আগে কবিতার অর্থকে জানুন। আপনার দুএকটা কবিতা আমার ভালো লেগেছে, কিন্তু অধিকাংশ কবিতায় পড়ে দেখার ইচ্ছে জাগেনি… কারন, আপনার কবিতায় আমি কবিতার অর্থ, মান কোনকিছুই খুঁজে পাইনি। মাঝে মাঝে দেখি, আপনাকে ছদ্ম উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কিছু পাঠক। কিন্তু কেউ আপনাকে আসল সত্যটা বলছে না, আপনি বুঝতে পারছেন কিনা জানিনা… আমার যা মনে হয়, আমি তাই বললাম। ছদ্ম উৎসাহ দানকারীদের দলে কখনও আমাকে পাবেন না, আমি যা মনে করি, তাই প্রকাশ করি… তাই আপনার মনোরঞ্জনে কখনো আপনার কবিতায় মন্তব্যও করিনি, এই প্রথম করেছি। যাই হোক, বক্তব্য পরিষ্কার করে বলি, আগে কবিতাকে বুঝতে শিখুন, শিল্পকে অনুভব করতে শিখুন, কবিতা পড়ুন… তারপর নাহয় লিখবেন…
পারসোনাল ব্লগে যা ইচ্ছে তাই লিখতে কারর কিছু আসা বা যাওয়া উচিত না… আমার ব্লগ আমার যা ইচ্ছা তাই করব, লিখব বলব। কিন্তু পাবলিক ব্লগে কবিতার উদ্দেশ্য বিধেয়র মাথা খেয়ে মানহীন কবিতা লেখাটা খানিকটা মানসম্মানের ব্যাপার বটে। মুখে কয়েকজন আপনাকে ভালো ভালো বললেও আড়ালে ঠিকই মুখ টিপে হাসছে… আর আপনি বুঝতেই পারছেন না… ব্যাপারটা আসলেই খুব করুণ।
আমার এইসব কথার কারনে আপনি রাগ করতে পারেন, কষ্ট পেতে পারেন, ইচ্ছে হলে আমাকে দুটো গালিও দিতে পারেন, কিছু মনে করব না… শুধু আপনি সত্যটা বুঝতে পারলেই আনন্দিত হব। মুক্তমনায় লেখা অজস্র কবিতার মধ্যে দুয়েকতা কবিতা ঠিকই আছে, যেগুলো সত্যিই ভালো লিখেছিলেন। অগুলো যখন লিখতে পেরেছেন, ভবিষ্যতেও পারবেন, যদি নিজের কবিতার মান নিজে যাচাই করতে শিখতে পারেন, পাবলিক ব্লগে দেয়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখতে পারেন।
@নীল রোদ্দুর,
শেখা-পড়া ছাড়া কবিতা লেখা যায় না? ছন্দ, ব্যাকরণ, শিল্প-চেতনা, চিত্রকল্পের উপর বিশাল বিশাল বই নিয়ে পড়ে থাকতে হবে? সমস্যা হচ্ছে, এগুলো পড়তে গেলে শুধু ধন্দই বাড়বে, কারণ কোন সুনির্দিষ্ট নিয়ম আবিষ্কার করা কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না; এতটাই বদলে যায় তা স্থান-কাল-পাত্রের হেরফেরে! বস্তুত শিল্প ও সাহিত্য কলার ব্যাপারগুলোই এমন, কোন সুনির্দিষ্ট ফর্মে কখনো এগুলোকে বেঁধে রাখা যায়নি, কারণ এগুলো মনের গভীর থেকে উঠে আসে, কোন গবেষণাগারে এগুলোর উৎপাদন হয় না।
কবিতা লেখা হত অন্ত্যমিল সহকারে, ছন্দের বিভিন্ন ফর্মেটে, এখন বলা হয় মুক্ত ছন্দের যুগ। গদ্য কবিতাই এ সময়ে সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়। তা এই জনপ্রিয়তার মাপকাঠি আছে কোন? একজন লেখক তার অনুভূতিগুলো, চিন্তাগুলো নিয়ে লেখেন। ধরুন, সেটা কবিতা নয়, গল্প নয়, উপন্যাস নয়, প্রবন্ধ নয় – এমনকি আমাদের চেনা কোন সাহিত্যিক ক্লাসেই তাকে ভর্তি করতে পারলেন না? তো, তৎক্ষণাৎ তাকে ছুঁড়ে ফেলবেন? আপনার কথা জানি না, তবে আমি কিন্তু ছুঁড়ে ফেলব না, আমার যদি ভাল লাগে, তাকে আদর করে আমার বুকশেলফে স্থান দেব। তবে আমি মানি, সবার একই কবিতা ভাল লাগবে না যেহেতু রুচির ভিন্নতা আছে; তবে সেই সঙ্গে এও মানি, আমার ভাল লাগছে না বলে অন্য সবারও ভাল লাগছে না, এমন গনরায় ঘোষণার অধিকারও আমার নেই।
আলোচ্য লেখিকার কবিতায় অন্ত্যমিল থাকে; ইতিমধ্যে বোদ্ধারা স্বীকার করে নিয়েছেন, কবিতায় অন্ত্যমিল অপরিহার্য নয়। তবে অন্ত্যমিল থাকলেই কবিতা অনাধুনিক হয়ে যাবে, তাও কিন্তু নয়। তাছাড়া, লেখিকার কবিতা শুধু অন্ত্যমিল সর্বস্ব তাও মনে হয়নি আমার, অনেক সমাজ চেতনাও দেখতে পেয়েছি সেখানে।
সবশেষে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী থেকে কোট করছি:
@কাজি মামুন,
আমি কবিতাকে কোন শিল্পকলা অ্যাকাডেমীতে ভর্তিতে হয়ে গ্রামার মেনে শেখার কথা বলিনি, আমি যা বলেছি সেটা একটা অনুভবের কথা, একটা অন্তর্দৃষ্টির কথা। গ্রামার মেনে কোনদিন কখনও শিল্পকে ধরা যায় না। রবীন্দ্রসংগীত গাইতে শেখা যায় সত্যি, কিন্তু হৃদয় দিয়ে কিভাবে অনুভব করতে হয়, সেটা শেখা যায় না। এই জিনিসটা প্রত্যেকটা মানুষকে নিজের মত করে গড়ে নিতে হয়। শিল্প বলুন, বিজ্ঞান বলুন, দর্শন বলুন… সবকিছুই কিন্তু সাধনার ব্যাপার। কবিতায় যে অ্যাবস্ট্রাক্ট আইডিয়াটা থাকে, সেটাও সাধনা দিয়েই অর্জন করতে হয়। জীবনানন্দ দাশ একদিনে জীবনানন্দ দাশ হয়নি… রবীন্দ্রনাথ শিশুতোষ জল পড়ে, পাতা নড়ে ধরণের বাক্য শব্দ দিয়েই শুরু করেছিলেন… কিন্তু তিনিই বাংলা সাহিত্যকে নোবেল মঞ্চেও তুলেছেন… নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রথাকে ছুড়ে ফেলার যে স্পৃহা, তাও এসেছে তার অন্তর্দৃষ্টি থেকেই।
আমি ঝুমু আপুর চিন্তাকে মোটেও ছোট করে দেখিনি… আমি বলেছি, বক্তব্যের একটা উপস্থাপনার কথা, বক্তব্যের ফ্লো এর কথা যা পাঠককে একটি শব্দ পেরিয়ে আরেকটি শব্দে নিয়ে যায়, একটি লাইনের পরের লাইনে কি আছে লেখা তা পড়তে আগ্রহী করে, কবিতার সমগ্র কল্পচিত্রকে মনের মধ্যে গেথে দেয়, কবিতাকে আর শিল্পিত করে কন্ঠে তুলে আনে, মঞ্চে তুলে আনে, সময়ের কাতায় চিহ্নিত করে দেয়, লোক মুখে ফেরায়।
আমি গত এক ঘন্টা ধরে দুটো লাইন লেখার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি বারবার লিখেও মুছে ফেলছি, কারন স্পষ্টতই আমি দেখতে পাচ্ছি, যা বলতে চাচ্ছি, সেই বক্তব্য প্রকাশ পায়নি আমার লেখা বাক্যে। পাঠককে যদি আমি আমার অনুধাবনটা বুঝতে উৎসাহিত করতে নাই পারি… কি হবে লিখে তবে?
আমি বারবার আনমনে আউড়াই, “বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল – ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়” কারণ কবি আমাকে তার অনুধাবণটা অনুভব করাতে পেরেছেন… এটা এখন আর কবির একার বক্তব্য না, এটা এখন আমারও বক্তব্য হয়ে গেছে… আর এটা সম্ভব হয়ে তার শব্দগাঁথুনির জন্যই।
আমি মনেপ্রাণে জানি, শিল্পের “আহা!” অনুভুতিটা অর্জন করতে কেউ কোনদিন কাউকে শেখাতে পারেনি, প্রত্যেকটা মানুষের “আহা” অনুভূতিটা প্রত্যেকটা মানুষ নিজে অর্জন করেছে, ঐটার অর্থ কেবল সেই জানে! আমি যা বলেছি, তা ঐ অনুভূতিটা অর্জনের সাধনাটার কথা!
@নীল রোদ্দুর,
কবিতা বোঝাটাই যে সমস্ত কথা, এমনকি মস্ত কথা, তা আমি মানতে ইচ্ছুক নই। কোনো কবিতায় হয়ত ছন্দের দোলাটাই শুধু উপভোগ করি; কোনো কবিতা বিশেষ-একটা উপমা কি রূপক-ব্যঞ্জনার জন্যই মূল্যবান মনে হয়। কোন কবিতার দুটো লাইন হঠাৎ মনের মধ্যে এমনভাবে গাঁথা হয়ে যায় যে পথে চলতে চলতে হঠাৎ নিজেকে তা গুনগুন করতে শুনি। ্কালের পুতুল; বুদ্ধদেব বসু।
আপনি বোধ হয় বুদ্ধদেব বসুর চেয়ে ভাল কবিতা বোঝেন।
আমাকে ছদ্ম উৎসাহ কোনো পাঠক কেন দিতে যাবেন? কারো সাথেই ত আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। কারো যদি ভাল লেগে থাকে সেটা তারা জানান। আপনার ভাল নাও লাগতে পারে কোন লেখা বা অন্য কোনো জিনিস। তাই বলে কি তা আর কারো ভাল লাগতে পারেনা!অথবা যাদের ভাল লেগে থাকে তারা কি কিছুই বোঝেন না!নাকি যা আপনার ভাল লাগেনা তা অন্যের ভাল লাগল কেন তা আপনি মেনে নিতে পারেন না!
মানহীন যা ইচ্ছা তা লিখে দেব আমি, মুক্তমনায় ছেপে যাবো আর মডারেটর, এডমিন,মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ কিছুই বলবেন না! আমার লেখা পাবলিক ব্লগে ছাপার অনুপযোগী হলে উনারা নিশ্চই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেন না কি? আপনিও ত লিখে থাকেন। কবিতাও লিখেন। সেগুলো কি খুব বেশি শিল্প-উত্তীর্ণ? আড়ালে আমায় নিয়ে যারা মুখ টিপে হাসে তারা কি এই গোপন ব্যাপারটি আপনাকে জানিয়েছেন? আপনি জানলেন কী করে? আমার কাছে ত আপনার ব্যাপার করুণ লাগছে।
@তামান্না ঝুমু,
আমি কবিতা লিখি, তবে মূলত আমার ব্যক্তিগত ব্লগে… এখানে নয়। যা আমি আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখি, তার আলোচনাও আমি ব্যক্তিগত ব্লগেই করতে আগ্রহী, পাবলিক ব্লগে নয়।
মুক্তমনায় আমার লেখা বিজ্ঞান কেন্দ্রিক যার কিছু বক্তব্য থাকে, উপমা দিয়ে ব্যঞ্জনাময় করার প্রয়োজন বিজ্ঞানের পড়ে না। বিজ্ঞানের লেখায় শিল্পের পরোয়া আমি করিনা, নিজে পড়ার সময় কতটুকু বুঝলাম, আর যাদের উদ্দেশ্য লিখছি, তাদের কতটা সহজ প্রাঞ্জল ভাবে বোঝাতে পারলাম, সেটা নিয়েই আমি আগ্রহী, বাকিটা অযৌক্তিক। 🙂
একটা জিনিস বুঝলাম… আপনি বুঝবেন না, তাই আপনাকে আর কখনও বোঝাবার ব্যর্থ চেষ্টাও করব না। শুধু শুধু সময়ের অপব্যবহারের মানে নেই কোন। 🙂
ভাল থাকুন।
@নীল রোদ্দুর,
কিছু মনে করলে করতে পারেন (U) কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়, শিল্প সবসময়ই পাবলিক বিষয়। কারো
ব্যক্তিগত(x3) খাতায় লিখা কবিতা(!) কিন্তু শিল্প নয়। বরং পাবলিক ব্লগ এ প্রকাশিত কাব্যগুলো কখনো কখনো কবিতা হয়ে উঠ। শিল্পগুণে কম বেশি হতে পারে তবে। কিন্তু ব্যক্তিগত করে রাখা কিছু কোনভাবেই শিল্পের বিচারে আসতে পারে না।
@অরণ্য,
এই কথাটা কি এটাই প্রমাণ করে না, আমার কবি হয়ে ওঠার কোন রকম খায়েশ নেই। থাকলে ওগুলো আমার ব্যক্তিগত খাতায় সীমাবদ্ধ থাকতো না। আর কার ডায়রীতে কি লেখা আছে, সেটা শিল্পোর্ত্তীণ কিনা সেই প্রশ্ন করাটাই যে অবান্তর, সেটা বোঝাতেই আমি এই লাইনটা লিখেছিলাম।
কিছু মানুষ নিজের জন্য গান গায়, নিজের জন্য লিখে জানেন এটা? আমি মুক্তমনায় বিজ্ঞান নিয়ে লিখি সামাজিক দ্বায়িত্বশীলতা থেকে, একটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে। আর আমার নিজের ব্লগে আমি লিখি কেবল মাত্র আমার জন্য। সেখানে আবেগ অনুভূতি অনেক কিছু থাকে… যেটা জেনে পাঠকের কোন উপকার আছে বলে আমি মনে করিনা। ব্যক্তিগতভাবে সেগুলো বিক্রয় করে কবি নাম কেনার আমি ঘোরতর বিরোধী বলেই সেসব নিয়ে অবুঝ প্রশ্নকারীদের সাথে আর এখানে আলোচনাও করতে চাই না। এতোক্ষণ ভদ্রভাবে মৃদুভাবে বলেছি, এখন একটু সরাসরিই বললাম। আপনারা বুঝলে কৃতার্থ হব।
@নীল রোদ্দুর,
স্বল্প জ্ঞানে যতটুকু বুঝি, কবিতা মাত্রেই আবেগ, কবিতা মাত্রেই অনুভূতি। আর এই আবেগ-অনুভূতি একান্তই লেখকের। তবু দুনিয়াসুদ্ধ মানুষ কবিতা পড়ে; তো এত্ত এত্ত পাঠক খামোখাই লেখকের ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি নিয়ে মেতে থাকে কেন বলুনতো?
তাহলে কবিতা বিক্রয় করেও কবি নাম কেনা যায়? এমন কয়েকজন কবির নাম জানানো যায়?
শিল্পোত্তীর্ণতা যাচাইয়ের সব ভার লেখকের উপর চাপিয়ে দেবেন? আমি তো জানতাম, শিল্পোত্তীর্ণতা যাচাইয়ের ভার পাঠকের হাতে, সাহিত্যবোদ্ধাদের হাতে। দুনিয়ার সেরা লেখকও কি নিশ্চিত হতে পারেন, তার লেখা শিল্পোত্তীর্ণ হয়েছে কিনা? যদি তাই হতেন, তাদের সব লেখাই শিল্পোত্তীর্ণ হতে পারত। কেননা, অ-শিল্পোত্তীর্ণ লেখা তারা বাজারেই ছাড়তেন না! কিন্তু বাস্তব তো এই যে, এমনকি অনেক বড় লেখকের হাত দিয়েও অনেক অ-শিল্পোত্তীর্ণ লেখা তাদের লেখার ডায়েরি থেকে মুদ্রণযন্ত্রের দৈত্যের কাঁধে ভর করে বেরিয়ে পড়েছে।
@কাজি মামুন,একজন বড় লেখক বা শিল্পীরও সব লেখা বা শিল্প একই মানের বা সম-আবেদনের হয়না। অথবা যা আমার কাছে ভাল লাগে তা অন্যের কাছে মন্দ লাগতে পারে এবং/ অথবা অন্যের কাছে যা ভাল লাগে তা আমার কাছে মন্দ লাগতে পারে। তাই বলে অন্যের ভাল লাগাকে আমি কি ছদ্ম বলতে পারি? আমার সবগুলো লেখাও যদি কারো কাছে পচা লেগে থেকে তার প্রতি আমার অভিযোগ বা আপত্তি নেই। কিন্তু অন্যের ভাললাগাকে যে ছদ্মামী বলা হয়েছে সেটাই ভাল লাগেনি। আমি কথা বলেছিলাম উনার মুক্তমনায় প্রকাশিত লেখা নিয়ে। কারো ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত লেখা নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। (F) (F)
@তামান্না ঝুমু,
অন্যদের কথা বলতে পারব না; আপনার কোন লেখায় আমি ছদ্ম উৎসাহ দেইনি। বেশী ভাল লাগলে বেশী ভাল বলেছি; কোন বিশেষ জায়গা ভাল লাগলে শুধু সেটুকুই কোট করেছি। অত ভাল না লাগলে হয়ত মন্তব্যে বিরত থেকেছি।
লেখকরা কি কখনো নিজের লেখা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেন? অনেক বড় লেখকেরও ভুরি ভুরি বাজে লেখা পাওয়া যায়। শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আযাদ স্যার তো বলতেন, রবীন্দ্র সাহিত্যের বেশীরভাগই বাহির থেকে ধার করা। আর নজরুলকে তো একজন অন্ত্যমিলকারী ছাড়া কিছুই ভাবতেন না।
তবে একটি কথা না বললেই নয়; তা হল, আপনার দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই; পাঠক আপনার কাছে শক্তি চট্রোপাধ্যায়ের মত শক্তিশালী কবিতা চাইছে। ফরিদ ভাইয়ের কথাতেই বলতে হয়, হয়ত এই পাঠকেরাই ‘সবচেয়ে বড় বন্ধু আপনার’; যদি কখনো শক্তি চট্রোপাধ্যায়কে ছুঁতে পারেন বা ছাড়িয়ে যান, তাহলে এদের ঋণ আপনাকে স্বীকার করতেই হবে।
আপনি হতোদ্যম হলে খুব খারাপ লাগবে। আপনার কাছ থেকে দ্রুতই কোন শক্তিশালী লেখা প্রত্যাশা করছি! ভাল থাকুন!
@কাজি মামুন,প্রত্যাশা পুরো করতে চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ এই অনুপ্রেরণার জন্য।
@তামান্না ঝুমু,
মুক্তমনায় ছাপা হয়েছে মানেই সেটি মানসম্মত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। একজন ব্যক্তির লেখার সম্ভাবনা দেখেই তাঁকে মুক্তমনার সদস্যপদ দেওয়া হয়। সদস্যপদ পাওয়ার পরে তিনি নিজেই পোস্ট দেন। সেগুলোর সব মানসম্মত হবে এমনতর ভাবাটা অমূলক। এখন এর প্রত্যেকটা লেখাকে যাচাই বাছাই করে দৃষ্টি আকর্ষণ করাটা বাস্তবসম্মত নয় মডারেটরদের পক্ষে। মুক্তমনার বিশাল পাঠকগোষ্ঠী আছে। তাঁরাই মূলত লেখার সমালোচক হিসাবে কাজ করে থাকেন। তাঁরা কী বলছেন, সেটা মনোযোগ দিয়ে শোনাটাই একজন লেখকের সবচেয়ে জরুরী কাজ।
অনুকূলের মন্তব্যগুলো নয়, বরং প্রতিকূলের গুলোই বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত এ ক্ষেত্রে। সমালোচনা করছে মানেই তাঁরা শত্রু নয় আপনার। হয়তো তাঁরাই সবচেয়ে বড় বন্ধু আপনার, সাহায্য করছে আপনাকে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন, সবকিছু সহজ হয়ে যাবে আপনার কাছে।
সব লেখকের সব লেখা সবসময় ভালো হয় না। এর মানে এই না যে তিনি লিখতে পারেন না। আপনি এই সমালোচনাকে সহজভাবে নিন, এটা ভবিষ্যতে আপনার লেখাকেই সমৃদ্ধ করবে। হতাশ হবার কিছু নেই। আপনার জন্য একটা তথ্য দিয়ে যাই এখানে। এই মুক্তমনাতেই আমার একটা লেখাকে একবার ইরতিশাদ ভাই এবং অভি সরাসরি ছাইপাশ হিসাবে উল্লেখ করেছিল। অভির একটা লেখাতেও ওকে আমরা কাঁদিয়ে ছেড়েছিলাম।
@ফরিদ আহমেদ, আমি যখন প্রথম প্রথম মুক্তমনায় লেখা শুরু করি তখন আমার প্রচুর বানান ভুল হত। এখনও হয়না যে তা নয়, তবে আগের চেয়ে তুলনামূলক কম। তখন আমি কিছুই জানতাম না ব্লগের নিয়ম-পদ্ধতি। আমার সাহায্যার্থে অনেক সুহৃদই এগিয়ে এসেছিলেন। আমি সবাইকে প্রশ্ন করতাম এটা কীভাবে করতে হয়, ওটা কীভাবে করতে হয়? সাহায্য পেয়েছি সবার কাছ থেকে। বানানে ভুল দেখলে অনেকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতার্থ হয়েছি, আজো আছি। কারণ নিজের ভুল সাধারনত নিজের চোখে পড়েনা। তারা যদি ধরিয়ে না দিতেন তাহলে আজো হয়ত সেসব লেখায় অনেক ভুল থেকে যেত। যারা কারো ভুলত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিয়ে বা সংশোধন করতে সহায়তা করেন তারা শত্রু নন, প্রকৃত বন্ধু। আলোচ্য লেখাটির ব্যাপারে একজন বলেছেন, আমাকে নিয়ে লোকে আড়ালে মুখ টিপে হাসে আবার বলেছেন কেউ কেউ আমায় ছদ্ম উৎসাহ দেয়। আরেকজন বলেছেন, আমার লেখা এতই মানহীন যে তিনি পড়াই ছেড়ে দিয়েছেন। এ কথাগুলো তারা তাদের ২য় মন্তব্যে বলেছেন। তাদের ১ম মন্তব্যে লেখাটি যে মোটেও ভাল লাগেনি তার কোনো ইংগিতও ছিলনা। অবাক কাণ্ড! আমার এই লেখাটি অথবা যেকোন লেখাই যেকারো ভাল না লাগতে পারে। তাতে অবাক হবার কিছুই নেই।এই লেখাটি আরো কয়েকজনেরও ভাল লাগেনি। তারাও সেটা জানিয়েছেন। কিন্তু প্রকাশের ভাষা ও ভঙ্গিটা ভিন্ন নয় কি?
@তামান্না ঝুমু,
লীনার প্রথম মন্তব্যটা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ছিল, এটা ঠিক, তবে নীলেরটা ছিল না। আপনি খুব সরল মনের একজন মানুষ বলে ঠিকমত ধরতে পারেন নি বিষয়টা। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে, শুরুতে তাঁরাও কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিল আপনাকে আঘাত না দিয়ে কীভাবে বোঝানো যায় সেই বিষয়ে। নীল বা লীনা তাঁদের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় মন্তব্যে কী কী বলেছে সে বিষয়ে আমি সুনির্দিষ্ট করতে চাচ্ছি না। আমার সবগুলো মন্তব্য পড়ে এই ধারণাই হয়েছে যে, লেখাটির মান নিয়েই তাঁদের মূল উৎকণ্ঠা ছিল। আপনার প্রতি ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ বা বিদ্বেষ সেখানে পরিলক্ষিত হয় নি। বরং তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট সমবেদনা এবং সচেতনতা কাজ করেছে, যাতে করে আপনি আঘাতপ্রাপ্ত না হোন।
আপনি যেহেতু ভুল ধরিয়ে দিলে শিখে নেন, অন্য অনেকের মত ইগোর সমস্যায় ভোগেন না, আপনার জন্য আজকের এই পরিস্থিতিটা সামাল দেওয়া অনেকখানি সহজতর। জানি, আজকে আপনার জন্য খুব কঠিন একটা সময় গিয়েছে, তারপরেও শুধু এইটুকু বিশ্বাস করতে বলবো যে, মুক্তমনায় কেউ আপনার কোনো ক্ষতি চায় না, খারাপ চায় না। আমার পরামর্শ থাকবে, এর পর থেকে কোনো লেখা প্রকাশ করার আগে নিজেই সেটার সমালোচক হবেন। লেখার সাথে সাথেই পোস্ট দেবার প্রয়োজন নেই। কয়েকদিন রেখে দিন কোথাও সেটাকে। লেখার সময়কার আবেগটা কেটে গেলে তারপর বের করুন কবিতাটা। এবার নির্মোহ সমালোচকের চোখে দেখুন সেটা কেমন হয়েছে। তারপর পোস্ট দিন।
লেখালেখিটা ক্রিকেট খেলার মত। সব খেলোয়াড়কেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ব্যাড প্যাচের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মনে করুন আজকের দিনটা আপনার সেরকমই ছিল। জীবনের কোনো অভিজ্ঞতাই বৃথা যায় না। না সফল না বিফল, কোনোটাই নয়।
@ফরিদ আহমেদ,এই লেখাটি কয়েক মাস আগে লেখা। লেখাটি তাদের ভাল লাগেনি সেজন্য ব্যথা পাইনি। ব্যথা পেয়েছি কটূবাক্য ও উপহাসে।
@তামান্না ঝুমু,
আরে ধূর! এটা কোনো ব্যাপার হলো নাকি? এরকম কটুবাক্য, উপহাস, গালিগালাজ কত কিছু পেয়েছি আমি এখানে। এর বিপরীতটা চিন্তা করেন। এখানে না দেখা সব মানুষজনের যে ভালবাসা, প্রীতি, মায়া-মমতা পেয়েছেন, সেগুলো কম কিসে? ভালোটাকে ভেবে খারাপগুলো ভবপারে পাঠিয়ে দিন।
আপাতত কবিতা বাদ দিন কিছু দিনের জন্য। একটা গদ্য লিখে ফেলুন যত্ন করে। আপনার গদ্যের ভাষাতো বেশ ঝরঝরে।
@ফরিদ আহমেদ,আমি প্রায়শই দেখি যে, কোথাও বিতর্ক হচ্ছে;আর সেখানে আপনাকে অপ্রাসঙ্গিকভাবেই টেনে আনা হচ্ছে এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবেই “মডারেটর” “মডু” ইত্যাদি বিশেষয় বিশেষণে ডাকা হচ্ছে। আমি সাধারণত এ রকম আলোচনায় অংশ নেইনা। আমার খুব খারাপ লাগে। মনে হয় আপনি কী করে এত আঘাত নিতে পারেন!এখন সেটা উপলব্ধি করছি।
@তামান্না ঝুমু, আমার প্রথম মন্তব্য করার আগে আমি ইতস্তত করছিলাম যে আপনাকে সরাসরি বলব কিনা? পরে ভাবলাম বলাই উচিত। খোলাখুলি ভাবে বলার পর আপনি ব্যাপারটা ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে নিলেন এবং অযৌক্তিক প্রশ্ন শুরু করলেন, যেমন আপনার লেখাটা কিভাবে লিখলে সেটা ধনী হত ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন বিরক্ত হয়ে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছি এবং সত্যিউ কথা বলেছি যে আপনার লেখা আমি পড়া ছেড়ে দিয়েছি। কারণ অবুঝের মত আপনার নিজেকে খেলো করা আমার সহ্য হচ্ছিলনা। আর জওশন আপুর ব্যাপারে তো আপনি পুরোপুরি ব্যক্তি আক্রমণেই চলে গেছেন। তারপরেও দেখুন তিনি কিন্তু যুক্তিপূর্ণ জবাবই দিয়েছেন। দেখুন, আপনার সাথে শত্রুতা করা বা খামোখা ঝামেলা করে আমার কি লাভ আর আপনারই বা কি ক্ষতি? এই মুক্তমনাতেই সবার লেখার সমালোচনা হয়, আমার লেখা নিয়ে বহুবার আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, আমি কিন্তু কোনকিছুকেই ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেইনি। কারণ আমি যখন তাদের কথাগুলো শুনেছি এবং নিজের লেখার ইম্প্রোভাইজেশনের জায়গাগুলো দেখেছি আমি সেগুলোর উপর কাজ করেছি। এখানে মোটামুটি সবাই তাই করে থাকে। এরপরও আপনি না বুঝলে কি আর বলব, আর কখনো আপনাকে কিছু বলতে আগ্রহী হবনা। ধন্যবাদ।
@লীনা রহমান,যেকোনো লেখা ত পাঠকের জন্য। যদিও লেখক তার ভাললাগ আ মন্দলাগা বা কোনো পরিস্থিতির উপর লিখেন সাধারণত; তবু সর্বদা পাঠকের তা কেমন লাগল সেটা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। একেকজনের একেক রকম গালতে পারে একটি লেখা। সবার মতামতই মূল্যবান। আপনি যদি মন্তব্যগুলো প’ড়ে থাকেন, দেখে থাকবেন যে আরো কয়েকজন এই লেখাটি পছন্দ করেননি। তারা সেটা সরাসরিই জানিয়েছেন। আমি তাদের মতামত জানতে পেরে খুশি হয়েছি। তাদের প্রতি আমার প্রতি-মন্তব্যগুলোতে পাবেন তাদের প্রতি আমি মোটেই অসন্তুষ্ট হইনি। আপানার ও নীলেরও ভাল লাগেনি কবিতাটি। সেজন্য আমার কোনো আপত্তি বা কষ্ট নেই। শুধু খারাপ লেগেছে ক’টি বাক্য।
@নীল রোদ্দুর,
আমাকে এভাবে বললে, আমি আপনাকে অভিনন্দিত করতাম।
ভালো লাগল। আমারও মনের কথা। আমার অন্যতম প্রিয় ব্যক্তিত্ব। 🙂
একটা মানুষ এত সুন্দর কন্ঠে কিভাবে আবৃত্তি করে?
@জাফর সাদিক চৌধুরী
সেটা আমারও প্রশ্ন। শুধু মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়ে থাকি।
আসাদুজ্জামান নূর আমার খুবই প্রিয় অভিনেতা এবং আবৃত্তিকার। তাকে নিয়ে লেখা অনেক প্রবন্ধ পড়েছি,তবে এরকম মনে হয় এই প্রথম 🙂
@আমি কোন অভ্যাগত নই, অনেক ধন্যবাদ কবিতাটি পড়া এবং মন্তব্য করার জন্যে।