আরিফ নামের এক কাটুনিস্ট বিড়াল শব্দের পূর্বে মোহাম্মদ লাগানোর কারণে এদেশীয় মুমিন বান্দাদের দিল’এ জব্বর এক চোট লাগে।যার পরিনতি আরিফের হাজত বাস এবং পরবর্তিতে দেশান্তর।শুধু আরিফই নয়,প্রথম আলো’কেও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়েছিল টিকে থাকার জন্য।
এদেশের সিংহ ভাগ মানুষ ইসলামের অনুসারী হলেও অনেক মানুষ আছেন যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে আলোকিত। তারা নিজে যেমন বিজ্ঞান পছন্দ করেন,তেমনি অপরকেও বিজ্ঞানের আলোয় আসার আহ্বান জানান। যদি কখনও কোন অখ্যাত মুমিন(মিরাজ রহমান) এই সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষদের দিলে আঘাত দেন,তাহলে তার শাস্তি কি হতে পারে??
মুমিন বান্দা জনাব মিরাজ রহমান আজকের কালের কন্ঠ (১৩.০৪.২০১২) পত্রিকার ধর্মপাতায় পরপর পাঁচজন স্বনামধন্য বিজ্ঞানীকে চোর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁদের একজন জন ডালটন। প্রখ্যাত রসায়নবিদ।তাঁর সম্পর্কে মিরাজ রহমান বলেন,
“জন ডালটন। ১৭৫৫ সালে জন্ম এবং ১৮৪৪ সালে মৃত্যু। প্রখ্যাত ইংরেজ রসায়নবিদ। পৃথিবীব্যাপী জন ডালটনের রসায়নবিষয়ক সমাধান ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞানভিত্তিক ইতিহাসের আলোচনা অনুযায়ী জন ডালটনই প্রথম ‘পরমাণুর তত্ত্ব’ প্রস্তাব করেছিলেন। যে প্রস্তাবনা বর্তমান সময় পর্যন্তও ‘ডালটনের পরমাণুবাদ’ হিসেবে পরিচিত। আমরা বলব, এটা ডালটনের নিজস্ব কোনো আবিষ্কার নয়। তিনি কেবল চিন্তা-গবেষণা করেছেন। পরমাণুবাদের এই থিওরি তিনি ধার নিয়েছেন। কোথা থেকে ধার নিয়েছেন? হ্যাঁ, পবিত্র কোরআন থেকে এই চিন্তাকে ধার নিয়েছেন ডালটন। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে এই পরমাণুবাদের আলোচনা স্থান লাভ করেছে।
সুরা জিলজালের ৭ ও ৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অতএব, কেউ অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলে, তা সে দেখবে। আর কেউ অণু পরিমাণ খারাপ বা মন্দ কাজ করলে, তা সে দেখবে।’
পবিত্র কোরআনের আলোচ্য আয়াতগুলোর মাঝে অণু-পরমাণুবিষয়ক আলোচনা স্থান পেয়েছে এবং শেষে উলি্লখিত আয়াতের আলোচনায় পরমাণুর সম্পর্কে স্পষ্ট বলা হয়েছে ‘একটি পরমাণুর ওজন সমপরিমাণের ভালো কাজ’। জন ডালটনের পরমাণুবাদের মূল থিওরি ছিল এমনটাই।পাঠক! একটু ভাবুন, ১৪০০ বছর আগে পরমাণুর ভর সম্পর্কে নবী করিম (সা.) কিভাবে নিশ্চিত হয়েছিলেন? নিশ্চিত হয়েছিলেন তিনি পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে। সুতরাং আমরা এখন এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, পরমাণুবাদ জন ডালটনের একক আবিষ্কার নয়; পবিত্র কোরআনের নিদের্শনাকে গ্রহণ করে তিনি কেবল সামনে এগিয়েছেন। শোনা যায়, গোপনে এই রসায়নবিদ বিজ্ঞানী (জন ডালটন) কোরআন পাঠ করতেন এবং শেষ জীবনে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।”
আরেকদল বিজ্ঞানী জেমস্ ওয়াট সন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক কে তিনি একই ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন ঐ পত্রিকায়।তিনি বলেন,
“জেমস ওয়াটসন (১৯২৮-মৃত্যু জানা যায়নি) এবং ফ্রান্সিস ক্রিক (১৯১৬-২০০৪)। উভয়ই মার্কিন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদদের প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী তারা ডিএনএ কাঠামোর প্রথম নির্ভুল মডেল নির্মাণ করেছিলেন। আমরাও স্বীকার করি, তারা তা করেছিলেন; কিন্তু আমরা ঠিক এভাবে বলছি না। আমরা বলতে চাই, এই ডিএনএ কাঠামো জেমস ওয়াটসন বা ফ্রান্সিসের নিজস্ব বা একক কোনো আবিষ্কার নয়; পবিত্র কোরআনের থিওরি ধার নিয়ে তাঁরা এ কাজ করেছেন। কারণ এই ডিএনএ কাঠামো সম্পর্কে তাঁদের সময়ের অনেক আগে নাজিল হওয়া পবিত্র কোরআনে আলোচনায় পাওয়া গেছে। পবিত্র কোরআনে সুরা আর-রাদের ৪ নম্বর আয়াতে ডিএনএ তত্ত্ব সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘আর জমিনে আছে পরস্পর পাশাপাশি ভুখণ্ড, আঙুর বাগান, শস্যক্ষেত, খেজুরগাছ, যেগুলোর মধ্যে কিছু একই মূল থেকে উদগত, যেগুলো একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি খাওয়ার ক্ষেত্রে একটিকে অপরটির তুলনায় উৎকৃষ্ট করে দিই। এর মাঝে নিদর্শন রয়েছে ওই জাতির জন্য যারা বোঝে।’ এই আয়াতের মূল মর্মকথা হলো, আল্লাহ গাছপালা এবং শাকসবজিতে তার তথ্যযুক্ত চিহ্ন রেখে দিয়েছেন।
এ ছাড়া সুরা আন-নাহলের ৬৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেছেন, ‘আর নিশ্চয়ই চতুষ্পদ জন্তুতে রয়েছে তোমাদের জন্য শিক্ষা। তার পেটের ভেতরের গোবর ও রক্তের মধ্যখান দিয়ে তোমাদের আমি দুধপান করাই, যা খাঁটি এবং পানকারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর।’সুরা মুমিনুন-এর ২১ নম্বর আয়াতেও একইভাবে আল্লাহ মহান বলেছেন, ‘আর নিশ্চয়ই গবাদিপশুর মাঝে তোমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় বিষয়।
‘গবাদিপশুতে এবং গাছপালার মাঝে তথ্যযুক্ত চিহ্ন রয়েছে- এ কথা বলে ডিএনএ তত্ত্ব আবিষ্কারের পথ উন্মোচিত করে দিয়েছেন আল্লাহ মহান। জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক সে উন্মোচনাকে কাজে লাগিয়ে এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন মাত্র।”
এর পরে তিনি আক্রমন করেছেন স্যামুয়েল মোর্স নামক আরেক আমেরিকান বিজ্ঞানীকে । তার আবিস্কৃত “মোর্স কোড”নাকি কোরানে বহাল তবিয়তেই রয়েছে।তিনি বলেন,
“ বিজ্ঞানের ছাত্র মাত্র সবারই জানা, স্যামুয়েল মোর্স নামক আমেরিকান বিজ্ঞানী মোর্স কোড আবিষ্কার করেছেন। আমরাও মানি তিনি আবিষ্কার করেছেন এই কোড তত্ত্ব; কিন্তু তিনি কখনোই যেটা স্বীকার করেননি সেটা হচ্ছে; এই আবিষ্কার তিনি কিভাবে করেছেন। তবে হ্যাঁ, আমরা এটা স্বীকার করছি এবং বলছি, মোর্স সাহেব কোরআন পাঠ করে মোর্স কোড তথা টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেছেন। কারণ তার সময়ের অনেক আগেই পবিত্র কোরআনে এই টেলিগ্রাফ বা বার্তাবিষয়ক আলোচনা স্থান লাভ করেছে। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ৩৭ নয় আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘Then Adam received from his Lord [some] words, and He accepted his repentance. Indeed, it is He who is the Accepting of repentance, the Merciful’
আলোচ্য আয়াতের Then Adam received from his Lord [some] words, এই অংশের বঙ্গানুবাদ করলে এভাবে বলতে হবে, ‘আদম লাভ করল তার প্রভুর থেকে সাংকেতিক বার্তা।’
আসমান বা আকাশ থেকে যে বার্তা পৃথিবীতে আগমন করে, একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ মাত্রই বুঝতে সমর্থ হবেন যে সেই বার্তা সাধারণ কোনো বার্তা নয়, তা ছিল সাংকেতিক বা কোডেড বার্তা। তাই এখানে ‘প্রভুর বাণী’কে প্রভুর সাংকেতিক বা কোডেড বার্তা হিসেবে ধরাটাই যেকোনো বিবেকবান এবং বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের উচিত।সুতরাং আমরা বলতে চাই, মোর্স কোড তথা টেলিগ্রাফের মূল আবিষ্কারক স্যামুয়েল মোর্স নন; তিনি কেবল গবেষণা করেছেন এবং পবিত্র কোরআনের থিওরিকে কাজে লাগিয়েছেন।”
এর পরে জনাব মিরাজ হাত তুলেছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেব যিনি স্বীকৃত,সেই আলবার্ট আইনস্টাইনের গায়ে।একজন মানুষের কিরকম সাহস থাকলে এরকম বিশ্ববরেণ্য একজন বিজ্ঞানীর গায়ে হাত তুলতে পারেন?? কালের কন্ঠে জনাব মিরাজ বলেন,
“আলবার্ট আইনস্টাইন। পৃথিবীখ্যাত বিজ্ঞানী। আইনস্টাইনের ব্যাপারে বলা হয়, নবীজি (সা.)-এর পর পৃথিবীর মানুষের মধ্যে মস্তিষ্কের সবোঁচ্চ ব্যবহারকারী ব্যক্তিত্ব হলেন তিনি। ১৮৭৯ তাঁর জন্ম এবং মৃত্যু ১৯৫৫ সালে। জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন এই পদার্থবিজ্ঞানী আপেক্ষিকতাবাদসহ বেশ কিছু তত্ত্বের আবিষ্কারক। আইনস্টাইন এই আপেক্ষিকতাবাদকেও আমরা মূলত এককভাবে তাঁর আবিষ্কার বলে মানতে রাজি নই। কারণ এই আপেক্ষিকতাবাদ সমপর্কে আইনস্টানের জন্মেরও অনেক আগে নাজিল হওয়া পবিত্র কোরআনে আলোচনা স্থান লাভ করেছে। অন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতো আইনস্টাইনও পবিত্র কোরআন রির্সাচ করেছেন এবং এ কোরআন থেকে থিওরি গ্রহণ করে আপেক্ষিকতাবাদ সৃষ্টি করেছেন। চলুন তাহলে দেখি পবিত্র কোরআন এই আপেক্ষিকতাবাদ সম্পর্কে কী বলেছে।
পবিত্র কোরআনের সুরা মাআরিজের ৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘ফেরেশতা ও রুহ এমন একদিনে আল্লাহর পানে ঊর্ধ্বগামী হয়, যার পরিমাণ ৫০ হাজার বছর।’ আলোচ্য আয়াতের মধ্যে আল্লাহ মহানের একদিন=মানুষের ৫০ বছর।
এ ছাড়া সুরা আস-সাজদার ৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মহান ইরশাদ করেছেন, ‘তিনি আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত সব কাজ পরিচালনা করেন। তারপর তা একদিন তাঁর কাছে উঠবে। আর সেদিনের পরিমাণ হবে তোমাদের গণনায় হাজার বছর।’ এই আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী বলতে হবে, আল্লাহ মহানের একদিন=মানুষের এক হাজার বছর।পবিত্র কুরআনে আপেক্ষিক তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে, খালি একটু খুঁজে বের করার মানসিকতাটা প্রয়োজন। আর এ কাজটিই করেছেন আইনস্টাইন। পবিত্র কোরআনের থিওরি গ্রহণ করে পৃথিবীর মানুষকে শুনিয়েছেন আপেক্ষিক তত্ত্বেও কথা। এ ছাড়া হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর মিরাজে গমন করার অলৌকিক এই ঘটনার মাঝে আপেক্ষিক তত্ত্বেও বিরাট খোরাক রয়েছে। পবিত্র কোরআনের ভাষায় বললে এভাবেই বলতে হয়, চিন্তাশীল মানুষের জন্য এর মাঝে রয়েছে যথেষ্ট চিন্তার খোরাক ও জোগান।”
সর্বশেষ তিনি হাত তোলেন চার্লস ডারউইনের উপর।যার বিবর্তন বাদে ধর্মকুল যায় যায় অবস্থা।ডারউইনের বিবর্তন বাদ সম্পর্কে জনাব মিরাজ বলেন,
“চার্লস ডারউইন। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। বিবর্তনবাদের তত্ত্ব আবিষ্কার করার জন্য দুনিয়াব্যাপী বিখ্যাত তিনি। ঠিক আছে, আমরাও মানছি তাঁর এই আবিষ্কার। তিনিই প্রথম পৃথিবীর মানুষকে শুনিয়েছেন বিবর্তনবাদের কথা। কিন্তু এই বিবর্তনবাদের চিন্তা তার মাথায় কিভাবে এসেছিল? কোথা থেকে পেলেন তিনি এই থিওরি? তা কিন্তু আমরা কখনো ভাবিনি। হ্যাঁ, এবার শুনুন তাহলে, পবিত্র কোরআন পড়েই তিনি প্রথম বিবর্তনবাদের প্রাথমিক সূত্র বুঝতে সক্ষম হন এবং পবিত্র কোরআনের থিওরির ওপর ভর করে বিবর্তনবাদের সূত্র আবিষ্কার করেন।
যদিও এখনো মুসলিম বিজ্ঞানীদের কাছে তার এই বিবর্তনবাদ সূত্র গ্রহণযোগ্য কোনো মতামত নয়, তবুও আমরা দেখাতে চাই যে তিনি যা বলেছেন পবিত্র কোরআন থেকেই বলেছেন। এবং এই বলার সাহস গ্রহণ করেছেন কোরআন থেকে।”
আল্লার মুমিন বান্দারা সেই গ্যালিলীও,ব্রুনোর আমল থেকেই বিজ্ঞানীদের পিছনে লেগে আছে।যখনই তাঁরা কিছু আবিস্কার করেছে তখনই মুমিন বান্দারা তাঁদের মাথার উপর খড়গ উঁচিয়ে ধরেছেন।এর পরেও যখন ক্ষমতা হয়নি যুক্তির সাথে পাল্লা দিতে,তখন বস্তাপচা কুরান তত্ত্ব আবিস্কার করে মানুষকে ধোকা দেওয়া শুরু করে।এভাবেই চলছে আজ অবধি,আজ আরও জোরে-শোরে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন সেখানে নয়,এই সর্বজন শ্রদ্ধেয় পাঁচ মহাবিজ্ঞানীকে চোর হিসেবে আখ্যায়িত করা হল,এতে আমার মত বিজ্ঞানপ্রিয় কোটি কোটি মানুষের দিলে বজ্রসম আঘাত আনা হল তার কি হবে??এক বিড়ালের পূর্বে মুহাম্মদ বসানোতেই যদি আরিফের জেল জুলুম ও দেশান্তর হতে হয়,তাইলে এই পাঁচ বিজ্ঞানী তথা বিজ্ঞানমনস্ক কোটি কোটি মানুষকে অপমান করার জন্য কেন কঠোর সাজা পেতে হবেনা জনাব মিরাজকে??কেন ক্ষমা চাইতে হবে না কালের কন্ঠের সম্পাদক কে??
ভাই সকল মিরাজ রহমান গা বাঁচিয়ে (আদালত কে রুল দেবার সুযোগ না দিয়া) নিজের জান বাজি না রেখে অভিজিৎদার কত্থাই লিখেছে। :))
ধর্মপরায়ন লোকগুলো কি কখনও জেনেশুনে এবং বুঝে কিছু করবেনা ?
এই ছেলের ফেইসবুক পেইজের ওয়ালে যেয়ে দেখেন কি গর্বের সাথে এই সব লেখা শেয়ার দিচ্ছে, অনেকে আবার বাহাবাও দিচ্ছে। এমন গর্দভ কেমন করে একটি পত্রিকাতে চাকুরি পায়, বুঝি না। কালের কন্ঠ না বালের কন্ঠ আসলেই বুঝা দায়। এই পোলার আরো লেখা।
নাসার নভোচারী সুনিতা এখন মুসলমান
এই গর্দভ কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে এটাই বুঝতে পারে না। ইন্টারনেটে যা পায় তাই সত্যি ভেবে পত্রিকায় ছেপে দেয়। মনে হচ্ছে এ পত্রিকায় কাজই পেয়েছে ইন্টারনেট থেকে ইসলামের খবর নিয়ে সেগুলো প্রচারের।
@স্বাধীন,
পোলার ফেইসবুক পেইজ
আসিফ মহিউদ্দিনের স্যাটায়ার লিখাটা মেরে দিয়ে নিজের নামে মিথ্যাচার করা… এইখানে!…!!!
ব্যাটা রামছাগল একটা স্যাটায়ার লিখাও বুঝতে পারে না নয়তো ভন্ড!
বিপ্লব পালের সাথে একমত পোষন করছি। ধর্মকারী সাইটটিতে নির্বাক বা সবাক হাঁসাহাসি এবং বিনোদনের বনভোজন এর কিছু ব্যবস্থা আছে।
ধন্যবাদ লেখককে।
বোকা দা, দারুন লিখেছেন।
যেহেতু ধর্ম এখন আর স্বয়ং GOD ও রক্ষা করতে পারছে না ,সেজন্যই এখন তাদেরকে গবেষকদের মৌলিক বিষয় চুরি করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করতে হচ্ছে এছাড়া অন্য কিছু কী ????????????
কে বলে কোরানে বিজ্ঞান নাই?
ভালো ভাবে বুঝার জন্য যে আয়াতটিতে আল্লাহ পাক কোরানে প্রকাশ্য ভাবে BLACK HOLE এর কথা বলে দিয়েছেন তার বংগানুবাদ সহ নীচে তুলে ধরলাম।
কোন একজন ইসলামিক পন্ডিত কোন একটি মসজিদে প্রায়ই শুক্রবারে উক্ত আয়াতটি পড়িয়া ওয়াজ করে থাকেন “আল্লাহ পাক এই আয়াতে BLACK HOLE এর কথা বলে দিয়েছেন, যা বিজ্ঞানীরা এখান থেকে লয়ে পরবর্তিতে আবিস্কার করেছেন।”
একজন বাদে সমস্ত নামাজীরা মন্তব্য করেন এরকম জ্ঞানী আলেম আর দেখা যায়না।
কিন্তু একজনে সে তারপর হতে ঐ বিজ্ঞ আলেমের পিছে আর নামাজ পড়া বন্ধ করল। তাকে তার একজন আত্মীয় তাকে জিজ্ঞাসা করিল “আপনি কেন আর ওখানে নামাজ পড়তে যান না?
তখন সে উত্তর দিল ঐ বিজ্ঞ আলেমদের সংগে নামাজ পড়লে আল্লাহ নিশ্চিত ভাবে জাহান্নামে দিবেন তাতে কোন সন্দেহ নাই।
কারন উনি কোরানের আয়াত এর অর্থ ভূল করে মানুষদের কে বুঝান।
এরপর তাকে আয়াতটি অর্থ সহ দেখালে তিনিও স্বীকার করলেন যে ইসলামিক পন্ডিত সাহেব কোরানের ভূল অর্থ করে অজ্ঞ শিক্ষীত লোকদের নিকট থেকে বাহ বাহ কুড়াইতে অত্যন্ত পটু।
আপনারা দেখুনতো নীচের আয়াতটিতে কোথাও BLACK HOLE এর নাম গন্ধটুকু পান নাকি,আমিতো পাইলামনা।
তবে হ্যাঁ এভাবেই কোরানে সমস্ত বিজ্ঞান রয়ে গিয়েছে।
ধোকাবাজীরও একটা সীমা থাকে!!
আয়াতটি:
ছুরা ওয়াকিয়া 56:75
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
আমার মনে হচ্ছে গত দশকটা মুক্তমনার পাল্লায় পড়ে, এই সব ধর্মীয় লোকেদের পেছনে সিরিয়াস কিছু প্রবন্ধ এবং লেখালেখি করতে গিয়ে প্রচুর সময় নষ্ট করেছি। বরং কার্টুনে কাজ বেশী দিত। আমি স্বীকার করে নিয়েছি ধর্মই সকল বিনোদনের উৎস :lotpot: এই ধরনের লেখা যারা লেখে ধর্ম নিয়ে, তাদের নিয়ে নির্বাক বা সবাক হাঁসাহাসি এবং বিনোদনের বনভোজন হৌক। লেখালেখি কেন?
ধর্মে বিশ্বাসী লোকেদের প্রায় সবাই অর্ধশিক্ষিত এবং ইন্টেলেকচুয়ালী এতই নিম্নমানের লোকজন যে এদের সাথে আলোচনা এবং বিতর্কে যেতে হলে, যে লেভেলে নামতে হবে, তা নেহাতই সময়ের বিরাট অপব্যয়!!!
@বিপ্লব পাল,
কথা সত্য কিন্তু এটাও সত্য যে মুক্তমনার মত একটা ব্লগ আছে বলেই দেশে কিছু মুক্তমনা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে।তারা অন্ততঃ কিছু মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে ঈশ্বর কাল্পনিক।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
সুতরাং গি-আন্ কুক্ষিগত করা যাক,
জ্ঞানীদের জন্য; নয় যারা বুড়বাক;
আহা হা , বেশ; বে-এ-এশ্ চমেৎকার :clap
@নিশাচর,
আশা করি পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষের একসময় বোধোদয় হবে!
মিরাজ মিয়া তো তবু নামের আগে পরে “ডঃ” লাগাই নি। সে হিসেবে বলা যাই ঐ পাগলের লেখাটা পুরোটাই অনুর্বর মস্থিস্কের অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছুই নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তাদের নিয়ে যারা ডঃ উপাধি নিয়ে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন আর সদা চেষ্টায় আছেন কুরান কে বিজ্ঞান্ময় প্রমানের। এর মধ্যে একজন হলেন, “ডঃ মুহাম্মদ আব্দুল মুনিম খান”। এই ভদ্রলোক প্রথম আলোর কলামিস্ট। ঐ ব্যাটার কিছু লেখা নিয়ে কতভাবে চেষ্টা করেছি এই ব্যাটার সাথে যোগাযোগের (ফেসবুক,মেইল) কিন্তু সে সাড়া দেয় নি আজ পর্যন্ত। শুধু কালের কণ্ঠ নয়, banglanews24.com কালের কণ্ঠের আরেকটি শাখা যেখানে এইরকম প্রবন্ধ ও ছাপা হয়। আমি কতবার ফোন করেছি,মেইল করেছি banglanews24.com এর এডিটর কে শুধু এই লেখকের কন্ট্যাক ডিটেইলের জন্য। আজও পেলাম না। একটা কিছু করা উচিৎ এই সব তথাকথিত লেখকদের বিরুদ্ধে।
এ লেখাটি পড়ে আমার একটা গল্প মনে পড়ে গেল গল্পটা এ রকম- এক দেশে এক রাজা ছিল সে দেশে অনাবৃষ্টিতে চারিদিকে পুড়ে খাঁ খাঁ অবস্থা । দেশের জনগণ গেলেন রাজার কাছে রাজা মহাশয় আপনি তো সব জানেন আমরা তো খরায় মরে শেষ হয়ে যাচ্ছি দত দু বছর যাবত বৃষ্টি নাই এ বছর কেমন বৃষ্টি হবে বলুন ? রাজা মহাশয় একটু চিন্তায় পড়লেন তাইতো কি বলাযায় উজির মহাশয় বললেন জোতিষির আশ্রয় নেয়া যায়, যেই ভাবা সেই কাজ ডাকো জোতিষি। জোতিষি আসল রাজা বললেন বল সঠিক গণনা করে এ বছর কেমন বৃষ্টি হবে তোমার কথা ঠিক না হলে তুমি রাজ দন্ডে দন্ডিত হবে মানে তারে প্রাণ বির্ষজন দিতে হবে। জোতিষি মহা বিপদে পড়লেন কি বলা যায় বেশী বৃষ্টি হলেও বিপদ কম হলেও বিপদ । তাই তিনি চিন্তা করে বললেন এবার বৃষ্টি হবে কাশ বণ তল তল। রাজা শুনে আশ্বস্ত হলেন। জোতিষি বললেন যাক প্রাণে বাচা যাবে বেশী বৃষ্টি হলে বলব আমি সঠিক গণনা করে বলেছি কাশবণ তলিয়ে যাবে বৃষ্টির জলে, আর কম হলে বলব কাশবণের তলে অর্থাত নীচেই বৃষ্টির জল থাকবে তা তো আমার গণনায় পূর্বেই বলেছি। এ অবস্থা আমাদের ধর্ম গ্রন্থের একটা আবিস্কারে মুরোধ নাই আর আবিস্কার হলেই বলে এটা তো ১৪০০ বছর আগেই বলে গেছে। ধর্মের ধজাধারীদের বলি বলুন এইডস্ রোগের প্রতিষেধক কোন পাতায় আছে? পৃথিবীর কোথায় দোয়া দিয়ে শুধু চিকিতসা দেয় হয়? ধর্ম গ্রন্থে কেন আমেরিকার কথা নাই কেন উত্তর মেরু দক্ষিন মেরুর কথা নাই। কেন বলা হয়েছে সুর্য পঙ্কিল কাদায় অস্ত যায় ?
@মফিজ উদ্দিন,
ধর্মের ধজাধারীদের বলি বলুন এইডস্ রোগের প্রতিষেধক কোন পাতায় আছে? পৃথিবীর কোথায় দোয়া দিয়ে শুধু চিকিতসা দেয় হয়?
আসিফের উচিত প্রতিবাদ না করে এই ধরনের আরো লেখা বের করা ।বেকুব মাহফুজ শান্ত তো এমন তত্ত্বই সাপ্লাই দেয় ।
লখাটায় মিরাজ রহমানের অপবাদের জবাব থাকলে আরও ভালো হত ।
@মাসুদ,
হ্যাঁ তা হতো।কিন্তু একটু তাড়াহুড়োর কারণে হাদীস কোরান তল্লাশ করা সম্ভব হল না।তাই এই অবস্থা।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আকাশ মালিকের একটা বই পড়েছিলাম science in Religion-নাস্তিকের ধর্মকথা- “নিম গাছে আমের সন্ধান”।অনুবাদের মাধ্যমে যে কথখানি তেলেস্মাতি করা যায় তা ঐ বইটি না পরলে হয়ত বুঝতাম না।আসিফ মহিউদ্দিনের স্যাটায়ারটাকে আমাদের নির্বোধ বিজ্ঞানী মিরাজ সাহেব যে সত্যি ভেবে নিয়েছেন তাতে আমার একটুও অভিযোগ নেই কারন নির্বোধ শত্রুর আস্ফালন কিছুটা হাসির খোরাক যোগায়। বিজ্ঞানের কয়েকটা টপিক মুখস্ত করে এই গাযাখোরগুলা বিজ্ঞানকে মনের মাধুরী মিশিয়ে ধর্মের সাথে মেশাবে, তাতে কাঠমোল্লাদের কাছ থেকে বাহবা ও আখেরাতের ৭২ খানা কচি হুরের নিশ্চয়তাও পাওয়া যাবে।
@ বন্যা আপাঃ
:)) :))
:lotpot: :lotpot:
মজা পাইলাম ।
জনাব মিরাজ এর কাছ থেকে নিয়মিতই এই ধরনের স্যটায়ার পাবো আশা করছি (!!!!)
:guru: :guru: :guru:
@রনি রনউক,
মিরাজ আস্তিক না নাস্তিক সেটাই এখন বিবেচনার বিষয়।
@বোকা বলাকা,
আমি হলপ করে বলতে পারি উনি ১০০% আস্তিক এবং এইধরনের বিদ্রুপ উনার পত্রিকাই প্রকাশ করে উনি এক ঢিলে দুই পাখী শিকার করেছেন। অর্থাৎ প্রথমত উনি নাস্তিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উতকচ গ্রহন করেছেন আর দ্বিতীয়ত এই সুবাদে উনার পত্রিকার কাটতিও গেছে বেড়ে । মিরাজ ভাই চালাইয়া যান!!!!!!!!!!!!!!!!!
@ইমানদার,
ভুল বললেন।নাস্তিকরা নাস্তিকতা ফলাতে কখনও ঘুষ দেয়না।মিরাজের খাওয়া বোধ হয় বন্ধই হয়ে যায়!একই সংগে ালের কন্ঠও ডুবতে বসেছে।
@বোকা বলাকা,
আরে ভাই, ঘুষ শব্দটা শুনতে খুব খারাপ তো তাই লক্ষ্য করে দেখুন তার বদলে আমি ব্যবহার করেছি ” উতকচ” শব্দটা । আর আমরা সবাই জানি কোটি ডলার এর উতকচ এর তুলনাই একজন নাস্তিকের কলমের খোঁচার ভার অনেক অনেক বেশী । আমি শুধু বিদ্রুপ করে বিদ্রুপের জবাব দিয়েছি শুধুমাত্র । বোকা বলাকা ভাই, আপনাকে প্রান ভরা অভিনন্দন জানাচ্ছি এইজন্য যে অতি স্বল্প সময়ের বেবধানে আপনার লেখাটি অধিক সংখ্যক পাঠক কর্তৃক পঠিত হয়েছে ।
আপনার জন্য আমার নিজের হাতে লাগানো Alps পাহাড়ের বাগানের মরিচ গাছের ১ পোয়া মিঠা কাঁচা মরিচ হিমঘরে রেখে দিলাম। যথা সময়ে পেয়ে যাবেন ।
শুভেচ্ছা ।
এখানে আমাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগার মত তো কিসসু দেখলাম না 😀 । বরং এটাকে তো ধার্মিক মুসলমানদের আইকিউর উপর আঘাত হানা একটা লেখা বলে মনে হল!! আমি তো অজ্জিনাল লেখার অংশগুলো পড়ে হাসতে হাসতেই মরে গেলাম। সাদৃশ্যগুলোর ছিরি দেখে কিন্তু আমার সন্দেহ হচ্ছে এটা হয়তো স্যটায়ার কোন লেখা, ধর্মান্ধ মুসলমানদের চটানোর জন্য লেখা হয়েছিল কিন্তু কালের কন্ঠ সেটা বুঝতে না পেরে সিরিয়াস প্রবন্ধ হিসেবে ছাপিয়ে দিয়েছে। আল্লাহর পাঠানো সংকেতের সাথে তাও না হয় বুঝলাম টেলিগ্রাফের কোন আজগুবি মিল থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু আইনস্টাইন বা ওয়াটসনের অংশগুলোর মধ্যে তো আজগুবি কোন মিলও বের করা সম্ভব না! আমি মুমিন মুসলমান হইলে তো আমার ধম্ম নিয়া এমন ফাতরামি করার জন্য এবং বেবাক মুস্লিম ব্রেদারহুডরে বেউকুফ ঠাওরানোর জন্য উলটা এই পত্তিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনতাম!!
@বন্যা আহমেদ,
মুমিন মুসলমানরা সে সুযোগ হাতছাড়া করবে বলে মনে হয় না।
আবেদ খান কে যেদিন কালের কণ্ঠ থেকে বিদায় নিলেন সেদিন বুঝেছিলাম কোথায় যাচ্ছে কালের কণ্ঠ। ওই ব্যাটা মিলন তো একটা মৌলবাদী উপন্যাসিক! ও বিজ্ঞানের কি বুঝে? আর মিরাজের এইরুপ জ্ঞানহীনতার জন্য আমার করুণা হয় তার প্রতি। কবে দেখবেন মিরাজের মত নাদানেরা বলবে যে বিকিনির ডিজাইনাররা পবিত্র কোরান এর সুরা নুর এর ২৮-৩৪ নং আয়াত গবেষণা করে প্যান্টি, ব্রা, বিকিনি, সুইমসুট, নাইটি ইত্যাদির ডিজাইন করেছে !!
@মাসুদ রানা,
আবেদখান যাওয়ার সময় “কালের কন্ঠ” সাথে নিয়ে যায়,”ালের কন্ঠ”রেখে যায়।তাই তার এত দূর্গতি।
@মাসুদ রানা,
@মাসুদ রানা,
বিকিনির ডিজাইনাররা পবিত্র কোরান পড়ে গবেষণা করেই প্যান্টি, ব্রা, বিকিনি, সুইমসুট, নাইটি ইত্যাদির ডিজাইন করেছে। দেখুন বিকিনির আইডিয়া তারা কোথায় পেলো?
সুরা নূর আয়াত নং ৩১ এ আল্লাহ বুদ্ধিমান জ্ঞানী সমজদারদের জন্যে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন-
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ
وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।
And tell the believing women to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts
ইয়াহফুজুনা وَيَحْفَظْنَ অর্থ- হেফাজত করা, আর ফুরুজাহুন্না فُرُوجَهُنَّ প্রাইভেট পার্ট অর্থাৎ যৌনাঙ্গ।
প্রাইভেট পার্ট হেফাজতের আইডিয়া করতে করতে কোন দিশা না পেয়ে শেষে বহুদিন কোরান গবেষণা করে ডিজাইনাররা এখান থেকে বিকিনি আবিষ্কার করলো।
এর সাথেই আছে- وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ
তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে
এখান থেকে এসেছে ব্রা তৈরীর আইডিয়া। এক কথায় কোন বৈজ্ঞানিকের বাবারও ক্ষমতা নাই দাবী করতে পারে যে, সে অতীতে কিছু আবিষ্কার করেছে বা ভবিষ্যতে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারবে যার কোড বা সংকেত কোরানে নাই।
সেদিন আর বেশী দূরে নয়, হারুন ইয়াহিয়ার ‘দ্যা এটলাস অফ ক্রিয়েশন’ বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হবে ইনশাল্লাহ।
@আকাশ মালিক, এতোক্ষণ কোরান কে একটা বিজ্ঞান এর বিষয় বোই হিসাবে যানলাম | এবার তো দেখছি ফ্যাশন ডিজাইন বোই হিসাবেয়ো বাদ দেয়োয়া যায় না,তা সেকাথা থাক আপনি বোলেছেন {ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।}তবে কথা হোলো কোরান আসার আগে ঈমানদার নারীগন তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত কোরতোনা | না কি তার আগে পোশাক,আসাক পরার কোন চলোনই ছিলোনা |
আমাদের মিরাজ সাগু (রাঃ) কোরান ও বিজ্ঞান নিয়ে যে পর্যালোচনা করেছেন তা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারছিনা!!!
কিছুনা কিছু ছোট-বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার প্রতিনিয়তই হচ্ছে, অতীতে হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে আর ভবিষ্যতেও হবে। আমার প্রশ্ন, অতীতে না হয় ইহুদি-নাসেররা কোরান চুপি চুপি পড়ে চুরি করে সব আবিষ্কার করে ফেলেছে, কিন্তু এখনতো আমাদের ইসলামি পন্ডিত সাগু (রাঃ) আনহুরা সব জেনে গেছে তবে এখন কেন বিজ্ঞানময় আসমানি কিতাব পানি দিয়ে গুলিয়ে খেয়ে বাকি আবিষ্কারগুলো করতে পারছেনা??? যখনি বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে নব-যুগান্তকারী আবিষ্কার মানব জাতিকে উপহার দিবে আর উমনি আমাদের সাগু (রা) বলবে এটাও আমাদের ঐশী কিতাবের মহিমা, নিশ্চই সেখান থেকেই চুরি করে এই আবিষ্কার করেছে!!!
সময় এসেছে এই সাগুদের প্রতিহত করার। না হলে এই এক মিরাজ সাগু পন্ডিতের পিছু পিছু ঘাস খেতে খেতে না বুঝে হাটা শুরু করবে লক্ষ লক্ষ বিশ্বাসী সাগুর দল।
@জিল্লুর রহমান,
একমত।
@জিল্লুর রহমান,
ভাই, রাঃ মানে কি রামছাগল ( :-s :-X )?
তাহলে, এখন থেকে সব পরীক্ষা নিরীক্ষা বাদ দিইএ যন্ত্রপাতী ব্যবহার না করে ,সবার উচিত কুরআন নিএ বসে ভালভাবে পরে ভবিস্যত এর সব কিছু আবিস্কার করা>>হুদাই যন্ত্র পাতী দিআ সময় নস্ট করে লাভ কী?? :lotpot: @জিল্লুর রহমান,
@ক্ ম ল, এক্ মত হএই কিন্তু কমেন্ট তা করসি>>
ইদানিং কোরান নিয়া ঘাঁটাঘাটি করতে গিয়ে আমারও মনে হইচ্ছে “সব বিজ্ঞানই কোরানে আছে”।;-( কিন্তু সমস্যাটা হল সব কাফের ইহা চুরি করিয়া নিতাছে।:-X
আল্লা বইসা বইসা কি করে? আমার মনে হইতাছে কাফেরদের কাছ থাইকা আল্লা ঘুষ খাইতাছেন।:-D
আল্লা কি কইরা উনার অবিশ্বাসীদের পক্ষ নেন খুজিঁয়া পাই না?:-Y
আমি কুরান অবতীর্ণ করিয়াছি এবং আমি উহার রক্ষক। (১৪ : ৯):hahahee:
অত এব এখানে আসল দোষ কার বলুন তো? বিজ্ঞানীদের,মিরাজ রহমানের,কালের কন্ঠ নাকি আল্লার?:-s
সব কিছুর মূল ব্যাটার নাম নিলাম না। 😛
@সুমিত দেবনাথ,
হাঃ হাঃ হাঃ দারুন বলেছেন।
আপনি কোরআন ভালোমত পড়ুন–সব কিছুই সেখানে আছে। কাজেই মিরাজ রহমান যা লিখেছেন সবই সত্যি।
এটা শুধু আমার কথা নয়। বাঙলাদেশের প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক ড শমশের আলীও তাই-ই বলেছেন। বাঙলদেশের সরকারও তাই-ই মনে করে তা বি এন পি হউক বা আওয়ামী লীগ–কোরআনেই আছে সর্ব বিজ্ঞান। হারামি কাফের বৈজ্ঞানিকেরা সবকিছুই চুরি করেছে কোরাআন থেকে।
আপনার বিজ্ঞানুভুতিতে যতই আঘাত লাগুক তাতে কিচ্ছু আসে যায় না। সমস্ত ইসলামি বিশ্ব মিরাজ রহমান ও ড শমশের আলীর সমর্থক। আপনি খালেদা, হাসিনা যাকেই জিজ্ঞাসা করবেন তারাই এদের সমর্থনে উত্তর দিবে।
@আবুল কাশেম,
গনতন্ত্রের এটাই তো বড় সমস্যা।সবাই ভোটের পিছনে ছোটে।
আমার বিজ্ঞাননুভূতিতে আঘাত লাগলেও কোন ধর্মবাদীর ন্যায় কল্লা উড়াতে পারব না এটাই আফসোস।এই পত্রিকাটা আদতে “কন্ঠ কালের ভাব আবালের” তাই এসব মিরাজ বাবাদের ছাইপাশ লেখা ছাপায়।এর আগেও এরা প্রথম আলোকে বাঁশ দিতে গিয়ে উটের বালিতে মাথা ঢুকানোকে নামাজের সিজদার অবমাননার সাথে মিলিয়ে ফালতু রিপোর্ট ছেপেছে। :guli:
@ডেথনাইট,
ালের কন্ঠ এখন ছাগুদের ছাইপাশ লেখার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।আবেদ খান যাওয়ার পর থেকে এই অবস্থা।
লেখাটি পড়ে হতবাক হয়ে গেলাম! এরা মানুষকে কি মনে করে? মানুষের সুস্থ-স্বাভাবিক চিন্তাশীলতাকেই প্রকারন্তরে অপমান করা হয়েছে। তবে ‘পুস্তকেই আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব রয়েছে’ এমন উক্তি করতে দেখেছি অনেককেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষও রয়েছে তার মাঝে।
বিজ্ঞানের সাথে না পেরে এখন বিজ্ঞান দিয়েই জায়েয করা হচ্ছে নিজেদের বিশ্বাসকে। সবচেয়ে অবাক লাগে, যে বিবর্তন এইসব বিশ্বাসের মূলে আঘাত হেনেছে, তাকে পর্যন্ত নিজেদের করে নেয়ার নগ্ন প্রতিযোগীতায় নেমেছে প্রচলিত বিশ্বাসগুলো। অভিজিৎদার ‘বিজ্ঞানময় কিতাব’ এ বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
লেখকের সাথে সম্পূর্ণ একমত। দেশের সকল বিজ্ঞানীর উচিত এর প্রতিবাদ করা। শুধু বিজ্ঞানি কেন, যেকোন স্বাভাবিক বিবেকসম্পন্ন মানুষেরই উচিত এইসব বিকৃতমস্তিষ্ক চিন্তার প্রতিবাদ করা!
@কাজি মামুন,
সম্পূর্ণ একমত।
এই বিশিষ্ট উর্বরমস্তিষ্ক ব্যক্তির একটা বিষয় পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করতে হলে অবশ্যই কাফের নাসারা হইতে হইবেক এবং লুকিয়ে লুকিয়ে কুরান পড়তে হইবেক। মুমিন বান্দারা যারা দিনরাত প্রকাশ্যে কুরান পড়েন তারা মহান আল্লাপাকের ইশারাগুলো ধরতেও পারবেননা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারও করতে পারবেননা 😉
@লীনা রহমান,
আর কিছুদিন পর মানুষ সত্য সত্যই প্রকাশ্যে কোরান নামক গ্রন্থখানা পাঠ করিতে লজ্জ্বা পাইবে।
আসল মজাটাই তো লেখলেন না। লেখক নামক বেকুবটা একটা স্যাটায়ার পোষ্টকে সত্যি ভেবে চালিয়ে দিয়েছে। তবে এটা নিয়ে একটু নড়াচড়া করতে পারলে মন্দ হত না। অন্ধ বিশ্বাস মানুষকে কতটুকু গাধায় পরিণত করে তার জলজ্যান্ত প্রমান ঐ লেখাটা।
@অ বিষ শ্বাসী,
আপনাকে লগ ইন তথ্য পাঠানো হয়েছিলো ইমেইলে। আপনি লগ ইন করে মন্তব্য করতে পারেন। কোন কারনে ইমেইল না পেলে মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
@অ বিষ শ্বাসী,
এই রকম বেকুব আমাদের দেশসহ অনেক দেশেই অনেক আছে।তাতে আমার মজা লুটতে অসুবিধা নাই কিন্তু কালের কন্ঠ নামক একখানা প্রথম শ্রেনীর পত্রিকা এই স্যাটায়ার কে কিভাবে প্রকাশ করিল।কোন ধর্মজীবি যদি কালের কন্ঠের বিরুদ্ধে মামলা করে এই ভেবে যে একজন নাস্তিককে দিয়ে কুরান অবমাননা করা হইয়াছে।তাহলে কিন্তু কালের কন্ঠের খবর আছে।
Euclid কে আমরা Line বা straight line এর প্রথম ধারনাদাতা হিসাবে জানি । কিন্তু একি !! এটাও তো কোরআনে দেওয়া আছেঃ
সুরা ফাতিহা, আয়াত ৬
যত দূর জানি, তিনি তো কোরআন নাজিলের আগের দার্শনিক । তাহলে উনি তো আরও বড় চোর । ঊনি সরাসরি লউহে মাহফুয থেকে চুরি করছেন । দেখছেন কি কারবার …নাউযুবিল্লাহ
জনাব মিরাজ , মাধ্যমটা কি ছিল ? ইথার ? বিজ্ঞানময় কুরআন কি বলে ?
@রনি রনউক,
এক্ষেত্রে কোরানই চুরি করেছে ইউক্লিডের তথ্য।
@রনি রনউক,
:lotpot: :lotpot:
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
স্টিফেন হকিং সাহেব- দ্য গ্রান্ড ডিজাইনের’ সবকিছু বোধয় “কোরান”থেকে নিয়ে ছেন। যেহেতু “কোরান” সব আছে!
@ডারউইনের ভুত,
মুক্তমনার ধারণাটাও আমরা কোরান থেকেই চুরি করেছি।
@ফরিদ আহমেদ,
দারুন! কোনদিন হয়তো ধর্মজীবিরা এটাকেই সত্য মনে করবে।
@বোকা বলাকা, দাদা আপনি হয়ত জানেন না কিভাবে বদনা আবিস্কার হল- আবিস্কারকের নাম জানিনা তবে শুনেছি তিনি কোরান ঘেটে বদনা বানিয়েছেন। :rotfl:
মন্তব্যে বোকা বলাকার লেখার বিষয়বস্তুর স্বপক্ষে যুক্তির চেয়েও প্রয়োজন তার নীচের কথাগুলোকে গুরুত্ব দেয়া—
কাজেই এ বিষয়ে কিছু করার ব্যবস্থা করা উচিত। আর এ ব্যাপারে বাংলাদেশে শিক্ষা মঞ্চ আন্দোলন কিছু করার জন্য কি এগিয়ে আসতে পারে না?
আর অভিজিৎ রায়কে তা অজয় স্যারের সাথে আলাপ করার জন্য অনুরোধ করছি।
@গীতা দাস,
পুরো একমত।
মুহাম্মদ(করুণার পাত্র) মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার ক’রেই ত কুরানের মত নিকৃষ্টতম পুস্তক রচনা করতে পেরেছিল। সেটা ত আমরা জানি। তাহলে মিরাজ(সঃ)ও সেটা স্বীকার করছেন! আল্লাই যদি কুরানের রচয়িতা হয় তাহলে মুহাম্মদ মস্তিষ্কের ব্যবহার করে কী করলেন? মিরাজ মিয়া বড় বড় বিজ্ঞানীদেরকে চোর উপাধি দিয়ে দিল, কিন্তু মহামানব যে দস্যু ছিল সে ব্যাপারে উনার মতামত কি?
@তামান্না ঝুমু,
আল্লাহ মুহম্মদের মাধ্যমে অশ্বডিম্ব পয়দা করেছিল,যার ফলে সমগ্র পৃথিবীটা জ্বলছে।
এ আর নুতন কি?। বিগ ব্যাং থিওরি ও আছে কোরানে, নাই কি কোরানে?,সব আছে। কোরানে যতটুকুন শব্দই ত্থাকুক না কেন তার পারমুটেশান কম্বিনেশান করলে যা ফল আসবে সেই সংখ্যক শব্দ দিয়ে অনাদিকাল লিখা যোখা করা যাবে( যা একটি যে কোন চটি বইয়ের ক্ষেত্রেও প্রজোয্য),কাজেই চিন্তার কিছুই নেই, যে কোন নুতন আবিস্কারকে কোরানে গলধকরনের কাজও অনাদিকাল চালানো যাবে। :lotpot:
@সপ্তক,
ছাগলেরও কিছু বুদ্ধি আছে,কিন্তু আমাদের এই মিরাজ রহমানকে ছাগলেরও অধম মনে হয়।তার বুঝা উচিত ছিল যে মানুষ আর অতটা অন্ধ নয়।গোমর ফাঁক করে দেয়ার মানুষ অনেক জন্ম নিয়েছে।আর কালের কন্ঠ কি সুযোগ খুজছে কে জানে।
হুমম …
প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধর্মগ্রন্থে ‘আধুনিক বিজ্ঞানের’ সন্ধান পাওয়া যায়, বৈজ্ঞানিক আবিস্কারগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর, তার আগে নয়। কারণ বিজ্ঞানের দায় পড়ে নি ধর্মগ্রন্থ থেকে সবক নিয়ে আলোর সন্ধান লাভ করতে, বরং ধর্মগুলোই জেনে গেছে, বিজ্ঞান ছাড়া তারা টিকে থাকতে পারবে না। কাজেই, নিত্য-নতুন বৈজ্ঞানিক আবিস্কারগুলোকে ধর্মগ্রন্থের সাথে জুরে দেবার জন্য ধর্মবাদীরা এখন মুখিয়ে থাকে।
কোরাণে যদি বিজ্ঞানের ব্যাপারে এতই ইংগিত থেকে থাকত, তাহলে পৃথিবীর সমস্ত জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ মুসলমান হলেও বর্তমানে সমস্ত পৃথিবীতে মুসলমান বিজ্ঞানীদের সংখ্যা এক শতাংশের ও কম! সহজ করেই বলি – পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম দেশে যত বিজ্ঞানী রয়েছে, অমুসলিম ইসরাইলের একা রয়েছে তার চাইতে দ্বিগুন সংখ্যক বিজ্ঞানী? কোরানে বিজ্ঞান না খুঁজ়ে তাদের চেষ্টা উচিৎ সাড়া পৃথিবীতে বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বাড়ানো। একথাগুলো আমি বলেছিলাম আমার আর রায়হানের লেখা ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ে।
আমি আমাদের বইটিতে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পারভেজ হুদোভয়ের উল্লেখও করেছিলাম, যিনি বলেন, কোরানে যদি এত ‘সায়েন্টিফিক ইন্ডিকেশন’ থেকেই থাকে তবে মুসলিমরা সারাজীবন ধরে কোরাণ পড়ার পরও সেগুলো আবিস্কার করতে পারেন না কেন, তা এক বিরাট রহস্য। কোরানে এটমের কথা আছে, অথচ মুসলিমরা সারা জীবন কোরান পড়েও সেটা বের করতে পারেন না, পারেন ডাল্টন। কোরানে বিবর্তনের কথা আছে অথচ ‘মুসলিম স্কলাররা’ না বের করতে পারলেও সেটা পেরে গেলেন চার্লস ডারউইন। অদ্ভুত না? পারভেজ হুদভয় তার ‘When Science Teaching Becomes A Subversive Activity’ প্রবন্ধে বলেন –
The problem with such claims to ownership is that they lack an explanation for why quantum mechanics, molecular genetics, etc., had to await discovery elsewhere. Nor is any kind of testable prediction ever made. No reason is offered as to why antibiotics, aspirin, steam engines, electricity, aircraft, or computers were not first invented by Muslims. But even to ask such questions is considered offensive.
আর কিভাবে কোরানের কথা ডারউনীয় বিবর্তনবাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তাও আমার বোধগম্য হল না। সিরিয়াসলি! বিবর্তন বলছে আমরা এসেছি বানর জাতীয় পূর্বসূরীদের থেকে বিবর্তিত হয়, আর কোরান বলছে সীমা লঙ্ঘনের জন্য আল্লাহ ইহুদীদের মানুষ থেকে বানর বানিয়ে দিলেন। দুটো বিপরীত ব্যাপার কি করে এক হয়ে গেল?
কালের কন্ঠে মিরাজ রহমানের প্রবন্ধ তার আদর্শ পুরুষ মহানবীর মিরাজের ঘটনার মতোই হাস্যকর। নো ওয়ান্ডার আজকের পত্রপত্রিকার এই দূর্গতি।
কোরানের দৃষ্টিতে বিবর্তন – যেই ‘আইডিয়া’ ডারউইন চুরি করেছিলেন 🙂
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2012/04/quranic_evolution.jpg[/img]
@অভিজিৎ,
দাদা এই যে ধর্মান্ধরা উল্টোপাল্টা বকছে আর তাতে কালের কন্ঠ নামক একখান পত্রিকা ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে, এর কি কোন বিহিত নাই? মিরাজের চেয়ে কালের কন্ঠকে আমি বেশী গুরুত্ত্ব দিতে ইচ্ছুক।কোন লোভে তারা এমন বিজ্ঞান বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে তা প্রকাশ হওয়া উচিত।
@বোকা বলাকা,
এখন তো দেখা যাচ্ছে এই মিরাজ ব্যাটা আমাদের আসিফ মহীউদ্দিনের একটা পুরানা স্যাটায়ারকে সত্যি ভেবে নিয়ে সেটার অংশবিশেষের উপর ভর করে কালের কন্ঠের গভীর তাৎপর্যময় আর্টিকেলখানা লিখে ফেলেছেন। এনিয়ে আসিফ দেখলাম ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে দেখলাম।
এখন মনে হয় স্যাটায়ারের উপরে লিখে দিতে হবে “ইহা স্যাটায়ার, সত্যি নহে!”, নাইলে মিরাজের মত হাবিল কাবিল সেটাকে সত্য ভেবে নিয়ে পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখে বসবে।
এইসব সাংবাদিক আর সংবাদপত্রের কলামিস্ট আর ‘লেখক’দের লেখা দেখে আমি যতটা বিনোদিত, ঠিক ততটাই আবার হতাশ!
@অভিজিৎ,
ঐ আবাল মিরাজ রহমান না হয় ছাগল হইল। কোনটা আসল কোনটা নকল তা বুঝিবার সাধ্য তার নাও থাকতে পারে(যেহেতু ছাগল সম)।কিন্তু আমাগো কালের কন্ঠ কোনদিন হইতে দাড়ি রাখা ধরিল তাতো বুঝিলাম না।
@অভিজিৎ,
মুসলমানেরা ১৪০০ বছর ধরে কোরান পড়ে নিজেরা কোরানের মধ্যে কোন বিজ্ঞান খুজে পায় নি কারন তারা কোরানের মধ্যে বিয়ে আর বিয়ে বিচ্ছেদের আয়াত সমুহের ব্যাপারে ব্যাপক গবেষনায় বেশি আগ্রহি ছিল এবং সেটার মধ্যেই নিজেদের মহাব্যাস্ত রেখেছিল। সুরা আন নিসা’র ৩ নম্বর আয়াত, ‘আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।’ এই আয়াতে শুধু এতিম মেয়ে যারা সুন্দরি এবং যদি হক পুরন না করা যায় তাহলে তাদের চার জন পর্যন্ত বিয়ে করতে বলা হয়েছে। কিন্তু মুসলমানেরা এই আয়াতের ভিত্তিতে চারটা পর্যন্ত বিয়ে করা গ্রহনযোগ্য বাখ্যা দিয়ে একাধিক বিয়ে করাতে ব্যাস্ত ছিল, আছে এবং থকবে। তেমনি ৬৬ নম্বর সুরার ভিত্তিতে যেকোন বয়সের মেয়েকে বিয়ে করার গবেষনা করতে মুসলমানেরা বাস্ত ছিল, আছে এবং থকবে। তাই মুসলমানেরা কোরানের মধ্যে যে বৈজ্ঞানিক সুত্র আছে তা নিজেরা ১৪০০ বছর ধরে খুজে পায়নি, আগামিতেও পাবেনা।
কালের কন্ঠ দেখছি কোরান কলকণ্ঠ হয়ে উঠছে দিন দিন। 🙂
কোরান আসার আগে গ্রীক, রোমান, মিশরীয়, ভারতীয় বা চৈনিক সভ্যতার বিজ্ঞানীরা কোথা থেকে আইডিয়া চুরি করতো কে জানে? লাও মে মাহফুজ না কী যেন একটা জায়গায় রাখা ছিল এটা, সেখানে তাঁরা মাঝে মধ্যে হানা দিত মনে হয়।
@ফরিদ আহমেদ,
:hahahee:
@ফরিদ আহমেদ,
বাড়ির কাছে আরশি নগর – সেই নগরে আকাশ যুদ্ধে বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। পারমানিক যুদ্ধের ধারণা – মনে হয়, ‘মহাভারতের’ ব্রহ্মাস্ত্র থেকে পেয়ে থাকবে বিজ্ঞানীরা।
আসল কথাঃ বিবর্তনবাদ নিয়ে অনেক লেখা হচ্ছে, হয়, হবে। তো সংবাদপত্রের বিবর্তন নিয়ে একটা লেখা এলে খুব ভাল হতো। মুক্তমনায় অনেক অনেক লেখক আছেন, যাদের লেখা পড়ে আমরা অনেককিছু জানতে পারছি, যা আগে সহজ ছিল না।
এ বিষয়ে শ্রীযুক্ত ফরিদ আহমেদ এবং জনাব অভিজিৎ রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জানি না, এ অধম পাঠকের অনুরোধ আপনাদের চোখ পর্যন্ত পৌছঁবে কি-না?
হ্যাঁ, সমর্থনযোগ্য প্রস্তাব। বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে মিথ্যা ও আজেবাজে কথা বলার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কোন উপায় বাংলাদেশে আছে কি?
আমি এই জনাব মিরাজ রহমান নামক মুর্খের আস্ফালনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তার শাস্তি দাবী করছি।
@মুক্ত,
আমরা সবাই যদি এভাবে প্রতিবাদ করতে থাকি তাহলে তারা কিছুটা হলেও পিছাবে।নইলে আশকারা পেয়ে বানরের মত মাথায় উঠে বসবে।
@বোকা বলাকা,
আমাদের অন্ধ ধর্মবিশ্বাস অনেক আগেই আশকারা দিয়ে এদেরকে সসন্মানে মাথায় উঠিয়ে রেখেছে এবং আমরাই তাদেরকে গাছের উৎকৃষ্ট মর্তমান কলা দিয়ে জামাই আদরে রেখেছি। সুতরাং এই সমস্ত বাঁদরদের আর নূতন করে মাথায় উঠে বসার কিছুই নেই। সুতরাং এদেরকে মাথা থেকে নামানোর যদি কোন পদ্ধতি থেকে থাকে সেটা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। (আমার মতে আজ পর্যন্ত কোন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হইনি এবং এর জন্য সম্ভবত আমাদেরকে আরেকজন A. Einstein এর অপেক্ষাই থাকতে হবে) ।
@পিটার মণ্ডল,
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ধর্মের ব্যবসা জমজমাট।তার পরেও অনেক দেশ পুরোপুরি ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলেও অনেক এগিয়েছে।পার্শ্ববর্তী ভারতও অনেক এগিয়েছে বলেই আমার মনে হয়।মুসলীম প্রধান দেশগুলোতে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়।আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয় ।তবে আশার কথা অন্যান্য মুসলীম অধ্যুষিত দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ধর্মান্ধরা খুব বেশী ফায়দা করতে পারছে না।এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।পাশাপাশি ধর্মের সমালোচনা করার দায়ে যারা হেনস্থার স্বীকার হচ্ছে তাদের সর্বাত্মক সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরই।এভাবেই আমাদের মাঝেই হয়তো আইনস্টাইনের (আপনার ভাষায়) জন্ম হয়ে যেতে পারে।তাই আমাদের বসে না থেকে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।