কোরানের বানীগুলোর প্রকৃত অর্থ জানতে হলে কোন্ আয়াত কোন্ প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ নাজিল করেছিলেন তা জানা অত্যবশ্যক। না হলে এর প্রকৃত অর্থ জানা যেমন দু:সাধ্য তেমনি মনগড়া অর্থও করে একে বিকৃত করা যেতে পারে।এ ছাড়া কোরানে ব্যবহৃত হয়েছে ১৪০০ বছর আগেকার কুরাইশ উচ্চারণের আঞ্চলিক ভাষা।সুতরাং সেই তখন একটি শব্দ যা অর্থ প্রকাশ করত, বর্তমানে উক্ত শব্দ সেই অর্থ প্রকাশ না করে ভিন্ন অর্থ বা একটু বিস্তৃত অর্থও প্রকাশ করতে পারে।কোরান যারা নতুন করে অনুবাদ করছে তারা এর সুযোগ নিয়ে কোরানের অনেক আয়াতকে যুগপোযোগী করে অনুবাদ করছে। তথাকথিত কিছু ইসলামী পন্ডিতও তাদের ইচ্ছামতো অনেক শব্দের নিজস্ব অর্থ করে কোরানের আয়াতকে বিজ্ঞানময় করে সাজিয়ে তুলে কোরানকে অনেকটা বিজ্ঞান বই বানানোর জন্য বদ্ধ পরিকর।এ অধ্যায়ে কোরানকে বিজ্ঞান বইয়ে পরিনত করার প্রয়াসের সামান্য কিছু বর্ণনা দেয়া হবে।
বর্তমানে মিডিয়ার কল্যাণে প্রায় সবাই প্রসারমান মহাবিশ্ব, ব্লাকহোল ইত্যাদি শব্দগুলোর সাথে মোটামুটি পরিচিত। কিন্তু বিষয়গুলো যে আসলে কি সে সম্পর্কে যে সবাই পন্ডিত তা মনে করার কোন কারন নেই।সে সুবাদে ইসলামী পন্ডিতরা তো বটেই যারা তাদের ভক্ত তারাও কথায় কথায় খুব জোরের সাথে এ শব্দ গুলো উচ্চারণ করে থাকে, আর বলে ১৪০০ বছর আগে এসব কথা কোরানে লেখা হয়েছে।তারা কথায় কথায় আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং এসব বিজ্ঞানীদের নাম উচ্চারণ করে।কিন্তু তাদের কথা শুনে মনে হয় না, আপেক্ষিক তত্ত্ব বা প্রসরমান মহাবিশ্বের বিষয় সম্পর্কে তাদের বিন্দুমাত্র ধারণা আছে বা তারা তাদের তথাকথিত ইসলামি পন্ডিতদের বক্তৃতার আগে এসব সম্পর্কে আদৌ শুনেছে।যারা কম্পিউটার বা ইন্টারনেট নিয়ে নাড়া চাড়া করে(বস্তুত অনেকেই সেটা করে থাকে বর্তমানে) তারা কথায় কথায় নানা রকম ওয়েবসাইট, ইউটিউব এসবের লিংক প্রদান করে আর ভাবখানা এরকম তারা বিশ্ব বিজয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে।যাহোক এবার আসল কথায় আসা যাক। দেখা যাক নিচের কোরানের আয়াতটির মধ্যে কি বিপুল অজানা বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে যা এই কিছু দিন আগ পর্যন্ত অত্যাধুনিক অনুবাদকের আগ পর্যন্ত জানা যায় নি।
৫১:৪৭ আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মান করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যপক ক্ষমতাশালী।
সূত্র: http://www.ourholyquran.com
৫১:৪৭আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।
সূত্র: http://www.quranhadith.org/quran/
৫১:৪৭ আর মহাকাশমন্ডল, আমরা তা নির্মান করেছি হাতে,আর আমরাই বিশালতার নির্মাতা।
সূত্র: http://www.qurantoday.com
51:47 With power and skill did We construct the Firmament: for it is We Who create the vastness of pace. Yusuf Ali
51:47 And the heaven, We raised it high with power, and most surely We are the makers of things ample. Shakir
51:47 We have built the heaven with might, and We it is Who make the vast extent (thereof). Pickthal
51: 47 With power did We construct the heaven. Verily, We are Able to extend the vastness of space thereof. Dr. Muhasin
51:47 AND IT IS We who have built the universe [30] with [Our creative] power; and, verily, it is We who are steadily expanding it. [31] – Asad.
ডা: মোহাসিন খান- আফগান বংশোদ্ভুত পাকিস্তানী, জন্ম-১৯২৭, এর সম্পর্কে জানা যাবে- এখানে।
আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী- ভারতীয় বংশোদ্ভুত, জন্ম-১৮৭২-১৯৫৩,এর সম্পর্কে জানা যাবে- এখানে।
শাকির-মিশরীয় বংশোদ্ভুত, জন্ম-১৮৬৬-১৯৩৯,এর সম্পর্কে জানা যাবে- এখানে।
পিকথাল- বৃটিশ বংশোদ্ভুত ও ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত, জন্ম-১৮৭৬, মৃত্যূ-১৯৩৬,এর সম্পর্কে জানা যাবে- এখানে।
আসাদ- পোলিশ বংশোদ্ভুত ইহুদি, ইসলামে দীক্ষিত, জন্ম-১৯০০, মৃত্যু-১৯৯২, এর সম্পর্কে জানা যাবে- এখানে।
সর্বশেষ অনুবাদ হলো আসাদের যে একজন পোলিশ ইহুদি পরে ইসলাম গ্রহণ করেছে। এই ব্যক্তি একেবারে সরাসরি অনুবাদ করেছেন এই বলে যে- আমরা আমাদের ক্ষমতাবলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছি, আর আমরাই একে স্থির গতিতে সম্প্রসারন করছি। একেই বলে অনুবাদের কেরামতি। ১৯২৯ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবল তার বেতার টেলিস্কোপ দ্বারা আবিষ্কার করেন মহাবিশ্ব ক্রমশ: সম্প্রসারিত হচ্ছে আর এর কিছুকালের মধ্যে সকল জ্যোতির্বিজ্ঞানীই মহাবিশ্বের ক্রম সম্প্রসারনের ব্যপারে নিশ্চিত হন।এরও প্রায় ৫০ বছর পর নব্য মুসলিম আসাদ মিয়া তার কোরান প্রকাশ করেন ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম স্প্যানিশ ভাষায় পরে তা অন্যান্য ভাষায় অনুদিত হয়।তাহলে বোঝা যাচ্ছে- কেন উক্ত আয়াত এমন আধুনিক রূপ পরিগ্রহ করল। ইউসুফ আলী, শাকির বা পিকথাল- তাদের জীবন কাল বিচার করে দেখা যাচ্ছে- সম্প্রসারনশীল মহাবিশ্ব সম্পর্কে তখনও বিশ্বব্যপী তেমন প্রচার প্রচারনা ছিল না। যে কারনে তারা এটা নিয়ে মাথা ঘামায় নি। সে তুলনায় ডা: মোহসীন নবীন, আসাদের সমসাময়িক,তাই তার অনুবাদে বলা হচ্ছে- আমরা আমাদের শক্তি দিয়ে মহাবিশ্ব গঠন করেছি আর আমরাই এটার সম্প্রসারন করতে সক্ষম।বেচারা মোহসীন ডাক্তার মানুষ, সম্প্রসারনশীল বিশ্ব সম্পর্কে জানাশোনা থাকলেও কোরানে যেহেতু সেরকম কিছু সরাসরি বলছে না, তাই অত সাহস দেখাতে পারেন নি তিনি, তবে একটু হালকা আভাস তার অনুবাদে পাওয়া যাচ্ছে।এ ব্যপারে কোরানের মহাপন্ডিত ও প্রচন্ড দু:সাহসী আসাদ যে ব্যখ্যা দিয়েছেন তা হলো-
Note 31 (Quran Ref: 51:47 )
See note 38 on the first part of 21:30 . The phrase inna la-musi’un clearly foreshadows the modern notion of the “expanding universe” – that is, the fact that the cosmos, though finite in extent, is continuously expanding in space.(Quran Ref: 51:47 )
Note 38 (Quran Ref: 21:30 )
21:30 ARE, THEN, they who are bent on denying the truth not aware that the heavens and the earth were [once] one single entity, which We then parted asunder? – [38] and [that] We made out of water every living thing? Will they not, then, [begin to] believe? [39] Asad.
It is, as a rule, futile to make an explanation of the Qur’an dependent on “scientific findings” which may appear true today, but may equal well be disproved tomorrow by new findings. Nevertheless, The above unmistakable reference to the unitary origin of the universe – metonymic¬ally described in the Qur’an as “the heavens and the earth’’ – strikingly anticipates the view of almost all modern astrophysicists that this universe has originated from one entity, which became subsequently consolidated through gravity and then separated into individual nebulae, galaxies and solar systems, with further individual parts progressively breaking away to form new entities in the shape of stars, planets etc. (Regarding the Quranic reference to the phenomenon described by the term “expanding universe”, see 51:47 and the corresponding note 31.)(Quran Ref: 21:30 )
অথচ উক্ত ২১:৩০ আয়াত কি বলছে দেখা যাক,
২১:৩০ কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
এ আয়াত সম্পর্কে ইসলামী বিশ্বের সবচাইতে বিখ্যাত তফসিরকার ইবনে কাথিরের ব্যখ্যা দেখা যাক-
Ibne Kathir: (Have not those who disbelieve known) means, those who deny His Divine nature and worship others instead of Him, do they not realize that Allah is the One Who is Independent in His powers of creation and is running the affairs of all things with absolute power So how can it be appropriate to worship anything else beside Him or to associate others in worship with Him Do they not see that the heavens and the earth were joined together, i.e. in the beginning they were all one piece, attached to one another and piled up on top of one another, then He separated them from one another, and made the heavens seven and the earth seven, placing the air between the earth and the lowest heaven. সূত্র: http://www.qtafsir.com
ইবনে কাথির তার তাফসিরে বলছেন- in the beginning they were all one piece, attached to one another and piled up on top of one another, then He separated them from one another, and made the heavens seven and the earth seven, placing the air between the earth and the lowest heaven. তার অর্থ- অতীতে পৃথিবী ও আকাশ সমূহ স্তূপীকৃত ছিল, অনেকটা ইট যেভাবে একটার পর একটা রেখে স্তূপ করা হয় তেমন। আল্লাহ শুধু দয়া পরবশ হয়ে ইটগুলোকে পৃথক করে পৃথিবী ও আকাশ মন্ডলীকে পৃথক করে দিয়েছে। এ বিষয়ে বিশদ বর্ণনা আছে এখানে । এখন উক্ত ২১: ৩০ আয়াত এর বিভিন্ন অনুবাদ একটু দেখা যাক-
Yusuf Ali : Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?
Shakir: Do not those who disbelieve see that the heavens and the earth were closed up, but We have opened them; and We have made of water everything living, will they not then believe?
Pickthal: Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were of one piece, then We parted them, and we made every living thing of water? Will they not then believe?
Mohshin Khan: Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were joined together as one united piece, then We parted them? And We have made from water every living thing. Will they not then believe?
Asad: ARE, THEN, they who are bent on denying the truth not aware that the heavens and the earth were [once] one single entity, which We then parted asunder? – and [that] We made out of water every living thing? Will they not, then, [begin to] believe? Asad.
এখানে লক্ষ্যনীয় আসাদ মিয়া বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলানোর জন্য অনুবাদ করেছে এভাবে- Single Entity- যেন তা বিজ্ঞানের শূন্যবিন্দু Singularity এর সাথে মিল খায়।যেখানে অন্যান্য সকল অনুবাদকের অনুবাদে দেখা যাচ্ছে অতীতে পৃথিবী ও আকাশ সমূহ আসলে এক জায়গায় স্তূপীকৃত ছিল ইটের স্তূপের মত যা বিখ্যাত তফসিরকার ইবনে কাথিরের বর্ণনা থেকেও দেখা যাচ্ছে, সেখানে এক অনারবীয় নব্য মুসলিম এসে অনুবাদ করছে Single Entity.এটাকে অনেকটা প্রচলিত বাংলা প্রবাদের মত ধরা যায়- বাঁশের চাইতে কঞ্চি শক্ত।তার সমসাময়িক কিন্তু জাতিতে আফগান তথা পাকিস্তানী ছোট বেলা থেকে যিনি আরবী শিখেছেন তিনি অত দু:সাহসী হতে পারেন নি তবে বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলানোর জন্য কাছাকাছি গেছেন ও বলছেন- joined together as one united piece. সুতরাং অনুবাদকদের কারিশমায় কোরানের অর্থ কিভাবে অতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি খোলা চোখে। হয়ত আর কিছু দিন পর কোন এক কোরানিক মহাপন্ডিত এ আয়াতের অনুবাদ এভাবে করবে-
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, গোটা মহাবিশ্ব একটি শূন্য বিন্দুতে আবদ্ধ ছিল অতঃপর আমি তাকে খুলে দিলাম,তারা মহাবেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে অত:পর নিহারিকা সমূহ সৃষ্টি করল, আর একটা নিহারিকার একটা সূর্যের চারপাশে পৃথিবী সহ আরও সাতটি গ্রহ সৃষ্টি করলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
হতে পারে এরকম কোরানের ভাব অনুবাদ ইতোমধ্যেই করা হয়ে গেছে যা আমাদের হাতে তা এখনও পৌছেনি।এর অর্থ আল্লাহর অশেষ রহমতে কোরান আস্তে আস্তে মহাবিজ্ঞানময় গ্রন্থে রূপান্তরিত হতে আর বাকি নেই। আর খুবই আশ্চর্য ও পরিতাপের বিষয় এই যে- এত কিছুর পরেও ইহুদী, নাসারা, কাফির ও নব্য নাস্তিকরা এ বিজ্ঞানময় ঐশী কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছে না।
এখন মনে করা যেতে পারে যে, ইউসুফ আলী বা ইবনে কাথিররা কোরানের সঠিক অর্থ অনুধাবন করে তা যথার্থ অনুবাদ ও ব্যখ্যা করতে পারেন নি। এটাও মনে করা যেতে পারে যে,নব্য ইসলামি মহাপন্ডিত আসাদই যথার্থ অনুবাদ করতে পেরেছেন কোরানের। এমনও তো হতে পারে- মোহাম্মদ সেই ১৪০০ বছর পূর্বে এসব সৃষ্টি রহস্যাবলী এমন রহস্যজনক ভাবে বলেছেন( অনেকটা বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা নষ্ট্রাডামুস-http://www.nostradamus.org/ এর কায়দায়) যাতে সেই সময়কার মানুষগুলোকে সেসময়কার জ্ঞান বিজ্ঞান অনুযায়ী বুঝিয়েছেন তো বটেই সাথে সাথে ভবিষ্যতে যখন মানুষ বিজ্ঞান চর্চায় বহুদুর এগিয়ে যাবে তখন যেন তারা কোরানের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে পারে। আর ঠিক সেটাই বুঝতে পেরেছেন আমাদের আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান জানা আসাদ মিয়া, জাকির মিয়া, হারুন ইয়াহিয়া প্রমূখ দিকপাল ইসলামি পন্ডিতবর্গ। বিষয়টি সত্যি হলে, ইহুদি নাসারা কাফের তো বটেই, নব্য নাস্তিকদের কপালে যে ঢের দু:খ আছে তা বলাই বাহুল্য।কারন সেক্ষেত্রে তাদের জন্য নিশ্চিত জাহান্নামের আগুন অপেক্ষা করছে মরার পর আর ধারণা করা যেতে পারে, এদেরকে আল্লাহ মরার পর সরাসরি জাহান্নামেই পাঠাবে, কেয়ামতের বিচারের অপেক্ষায় রাখবে না। সুতরাং নব্য নাস্তিকরা পুরো বিষয়টি পূনরায় ভেবে দেখতে পারেন।আর একজন সতর্ককারী হিসাবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ শাস্তি থেকে রেহাই পেলে পেতেও পারি,তবে নিশ্চিত নই।
যাহোক, উপরোক্ত কোরানের বানীগুলোকে অতিশয় রহস্যময় ধরা যেতে পারত যদি উক্ত একই বিষয়ের পরবর্তী বানীগুলো একটা সুসঙ্গত ধারাবাহিকতা রক্ষা করত। এখন পরীক্ষা করা যাক,সে ধারাবাহিকতা বা সামঞ্জস্য রক্ষা করা হয়েছে কি না।নীচের আয়াত গুলো লক্ষ্য করি-
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত। কোরান, ২:২৯
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। কোরান, ৭৯:২৭-৩০
এখানে ২:২৯ আয়াতে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ আগে জমীন তথা পৃথিবী সৃষ্টি করেছে সেই সাথে পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু, অত:পর সাত আসমান সৃষ্টিতে মনযোগ দিয়েছে।অথচ ৭৯:২৭-৩০ আয়াতে দেখা যাচ্ছে যে আল্লাহ আগে কঠিন আকাশ সৃষ্টি করেছে, শুধু সৃষ্টিই করে নি, বরং একে অনেক উচ্চ স্থানে স্থাপন করেছে, অত:পর একটা চলমান সূর্যকে আকাশে সেট করে দিয়ে দিনের বেলা আলোর ব্যবস্থা করেছে, না হলে তো সব সময় অন্ধকার থাকত।এত কিছু করার পরই আল্লাহ অবশেষে পৃথিবীকে বিস্তৃত করে একটা সুন্দর সমতল ভূমিতে পরিনত করেছে।আর এত কিছু করার পরও মানুষ কি ভীষণ অকৃতজ্ঞ, তারা আল্লাহর প্রতি না আনে বিশ্বাস, না দেখায় কৃতজ্ঞতা।
কিন্তু তখন মহা একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। তা হলো- ২১:৩০ আয়াত মোতাবেক যদি ধরা হয় মহাবিস্ফোরণ তথা বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে পৃথিবী ও আকাশ সমূহ সৃষ্টি হয়েছে,সেক্ষেত্রে তারা একই সাথে সৃষ্টি হবে, কেউ আগে কেউ পরে সৃষ্টি হবে না, তাহলে পরবর্তীতে ২:২৯ আয়াত মোতাবেক প্রথমে জমীন তথা পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার পর, পরে আসমান তথা আকাশসমূহ সৃষ্টি হয় কিভাবে সেটা বোধগম্য নয়। শুধু এখানেই শেষ নয়,আবার ৭৯:২৭-৩০ আয়াত মোতাবেক বলা হচ্ছে, আল্লাহ প্রথমে আকাশসমূহ সৃষ্টি করে পরে জমীন তথা পৃথিবী বিস্তৃত করেছে।সুতরাং আল্লাহর রহস্যময় সৃষ্টিতত্ত্ব চির রহস্যই থেকে গেল বলেই মনে হচ্ছে।ভেদ করা গেল না কিছুতেই। হয়ত এজন্য মানুষকে আরও বেশী জ্ঞান বিজ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।তাই আমাদেরকে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ছাড়া উপায় নেই।
তারপরেও কোরানিক বিজ্ঞানীদের পদ্ধতি মোতাবেক একটা ব্যখ্যা দেয়া যেতে পারে। যেমন-কোরানিক মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব মোতাবেক মহাবিশ্ব সৃষ্টি শুরু হওয়ার পর আকাশ সমূহ ও পৃথিবী একসাথেই সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু কোনটাই পরিপূর্ণভাবে সৃষ্টি হয় নি। আল্লাহ ২১: ৩০ আয়াত মোতাবেক প্রথমে কিছু সময় জমীনের প্রতি নজর দিয়ে পরে আকাশ সৃষ্টির দিকে মনে দেয়, তবে তখনো সৃষ্টি কাজ সস্পূর্ন হয় নি। অত:পর আল্লাহ ৭৯:২৭-৩০ মোতাবেক আকাশকে পরিপূর্ন ভাবে সজ্জিত করে অত:পর আবার পৃথিবীর সৃষ্টিকাজ সমাপ্ত করে। এর ফলে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে আল্লাহর এ সৃষ্টিকাজ কোন সংঘাত সৃষ্টি করে না।যুক্তি হিসাবে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হলেও, এ ধরণের ব্যখ্যা সর্বময় ক্ষমতাকে খর্ব করে।কারন আল্লাহই বলেছে, সে যখন কোন কার্য সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন শুধুমাত্র ‘হয়ে যাও’ বলে আর সাথে সাথেই হয়ে যায়। যেমন নিচের আয়াত বলছে-
যখন তিনি কোন কার্য সম্পাদনের সিন্ধান্ত নেন, তখন সেটিকে একথাই বলেন, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।কোরান, ০২: ১১৬
সুতরাং দেখা যাচ্ছে পূর্বোক্ত ২১:৩০ ও ৭৯:২৭-৩০ আয়াত মোতাবেক সৃষ্টি তত্ত্ব ২:১১৭ এর সৃষ্টি তত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক।বিশ্ব জগত সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহ ‘হয়ে যাও’ বললেও বিশ্ব জগত সম্পূর্ণ ভারসাম্যভাবে সৃষ্টি হয় নি, বরং তাকে প্রথমে পৃথিবীর উপরকার কিছু জিনিস সৃষ্টি ক’রে ,পরে আকাশের দিকে নজর দিতে হয়েছে।পূনরায় তাকে প্রথমে আকাশের দিকে নজর দিয়ে পরে পৃথিবীর দিকে নজর দিতে হয়েছে, যা তার সর্বময় ক্ষমতার বরখেলাপ। সুতরাং এ ব্যখ্যাও গ্রহণযোগ্য নয়।
এখন, আমরা খোদ কোরানের বক্তা দুনিয়ার শ্রেষ্ট মানুষ, শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী, শ্রেষ্ট নবী, আল্লাহর প্রিয় হাবিব যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ বিশ্ব জগতই সৃষ্টি করত না, সেই শ্রেষ্ট মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা:)এর কিছু বক্তব্যকেও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পারি।যদিও তাঁর সব কথাকেই আমাদের বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়া উচিত, তার পরেও জাহান্নামের আগুনের রিস্ক নিয়ে হলেও সেটা করা যেতে পারে।কারন নাচতে নেমে ঘোমটা দেয়ার কোন মানে হয় না। যদি দেখা যায় তার কথা বার্তা সব যুক্তি সঙ্গত ও বিজ্ঞান সিদ্ধ তাহলে তাঁর কোরান কথিত বিজ্ঞানকে আমরা গ্রহণ করতেই পারি আপাত না বুঝলেও এ শর্তে যে ভবিষ্যতে যখন আমাদের বিজ্ঞান আরও অনেক উন্নতি করবে তখন সম্ভবত আমরা সব বুঝতে পারব।হয়ত এখনই আমরা কোরানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিপুল বিজ্ঞান আমাদের সীমিত জ্ঞানের কারনে বুঝতে অপারগ।
কিন্তু এ ধরণের তালগোল পাকানোর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কারনটা সম্পূর্ন অন্য বলেই মনে হয়। সেটা হলো কোরানের ৭৯ নং সূরা হলো আল নাযিয়াত কিন্তু তা অবতীর্ণ হয়েছে মক্কায় আর নাজিলের ক্রম অনুসারে তা ৮১তম। আয়াত সংখ্যা-৪৬ ; পক্ষান্তরে কোরানের ২নং সূরা বাকারা নাজিল হয়েছিল মদিণাতে যা মোহাম্মদের কাছে অবতীর্ণ ৮৭তম সূরা, আয়াত সংখ্যা-২৮৬। দুটি সূরার মাঝখানে ৫ টা সূরা নাজিল হয়ে গেছে, শুধু তাই নয় এর মধ্যে মোহা্ম্মদ নানা ঘটনা ঘটিয়ে মক্কা থেকে মদিনাতে হিজরত করেছেন। সেখানে তাকে প্রাথমিকভাবে টিকে থাকতে নানা রকম সংগ্রাম ও কসরত করতে হয়েছে। এর ফলে বেশ কিছুদিন সূরা নাজিল বন্দও ছিল। নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না উক্ত দুটি সূরা নাজিল হওয়ার মধ্যেকার সময়ের ব্যবধান কত ছিল তবে তা এক বছরের কম ছিল না বলেই ধারণা করা যেতে পারে। সুতরাং একথা কি সঙ্গত মনে হয় না যে- সময়ের এ ব্যবধানের কারনে মোহাম্মদ আগের সূরায় কি বলেছিলেন, পরবর্তীতে ঠিক একই বিষয় এক বছর পর অন্য সূরায় বলার সময় তার ঠিক স্মরণ ছিল না যে আগের সূরার আয়াতে কি বলেছেন? সব রকম হাদিসের ঘটনা গুলো নিশ্চিত ভাবে প্রমান করে যে তিনি সম্পূর্ন কোরান তার মূখস্ত ছিল না, তাই তিনি তার সাহাবিদেরকে আয়াত লিখে রাখতে বলতেন। আর যেহেতু উক্ত দুটি সূরা নাজিলের ক্রম হলো – ৮১ ও ৮৭, তার মানে এর আগে বহু আয়াত নাজিল হয়েছে, ও বলা বাহুল্য তার সব তার মূখস্থ ছিল না। ফলেই উক্ত রূপ তালগোল পাকিয়ে গেছিল। ততদিনে মোহাম্মদ মদিনার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে গেছেন, সবাই তার গোলামে পরিণত হয়ে গেছে ও নিয়মিত বানিজ্য কাফেলায় হানা দিয়ে লুটপাট করে তার ভাগ পাচ্ছে তার সাহাবি ও মদিনাবাসীরাও, তাই কোন সূরার কোন আয়াতে মোহাম্মদ কি বলল না বলল তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা ছিল বলে মনে হয় না। বিষয়টি দু একজনের নজরে পড়লেও তা মোহাম্মদের কাছে বলার সাহস পায় নি।
এখানে কোরানে বর্ণিত সূরা ক্রম ও তাদের নাজিলের ক্রমের তালিকা পাওয়া যাবে –এখানে ।
তারপরেও সবার দেখার স্বার্থে নিচে দেয়া হলো-
Revelation Order of the Qur’an
Revelation Order /Surah Number/ Surah Name Arabic Name/ Total Verses/ Revelation Place
1 96 Alaq 19 Macca
2 68 Qalam 52 Macca
3 73 Muzammil 20 Macca
4 74 Mudathir 56 Macca
5 1 Fatehah 7 Macca
6 111 Lahab 5 Macca
7 81 Takwir 29 Macca
8 87 A’la 19 Macca
9 92 Leyl 21 Macca
10 89 Fajr 30 Macca
11 93 Duha 11 Macca
12 94 Inshira 8 Macca
13 103 Asr 3 Macca
14 100 Aadiyat 11 Macca
15 108 Kauthar 3 Macca
16 102 Takatur 8 Macca
17 107 Alma’un 7 Macca
18 109 Kafirun 6 Macca
19 105 Fil 5 Macca
20 113 Falaq 5 Macca
21 114 Nas 6 Macca
22 112 Iklas 4 Macca
23 53 Najm 62 Macca
24 80 Abasa 42 Macca
25 97 Qadr 5 Macca
26 91 Shams 15 Macca
27 85 Buruj 22 Macca
28 95 T’in 8 Macca
29 106 Qureysh 4 Macca
30 101 Qariah 11 Macca
31 75 Qiyamah 40 Macca
32 104 Humazah 9 Macca
33 77 Mursalat 50 Macca
34 50 Q’af 45 Macca
35 90 Balad 20 Macca
36 86 Tariq 17 Macca
37 54 Qamr 55 Macca
38 38 Sad 88 Macca
39 7 A’Raf 206 Macca
40 72 Jinn 28 Macca
41 36 Ya’sin 83 Macca
42 25 Furqan 77 Macca
43 35 Fatir 45 Macca
44 19 Maryam 98 Macca
45 20 Ta Ha 135 Macca
46 56 Waqiah 96 Macca
47 26 Shuara 227 Macca
48 27 Naml 93 Macca
49 28 Qasas 88 Macca
50 17 Bani Israil 111 Macca
51 10 Yunus 109 Macca
52 11 Hud 123 Macca
53 12 Yousuf 111 Macca
54 15 Hijr 99 Macca
55 6 Anam 165 Macca
56 37 Saffat 182 Macca
57 31 Luqman 34 Macca
58 34 Saba 54 Macca
59 39 Zumar 75 Macca
60 40 Mumin 85 Macca
61 41 Hamim Sajdah 54 Macca
62 42 Shura 53 Macca
63 43 Zukhruf 89 Macca
64 44 Dukhan 59 Macca
65 45 Jathiyah 37 Macca
66 46 Ahqaf 35 Macca
67 51 Dhariyat 60 Macca
68 88 Ghashiya 26 Madina
69 18 Kahf 110 Macca
70 16 Nahl 128 Macca
71 71 Noah 28 Macca
72 14 I brahim 52 Macca
73 21 Anbiya 112 Macca
74 23 Muminun 118 Macca
75 32 Sajdah 30 Macca
76 52 Tur 49 Macca
77 67 Mulk 30 Macca
78 69 Haqqah 52 Macca
79 70 Maarij 44 Macca
80 78 Naba 40 Macca
81 79 Naziat 46 Macca
82 82 Infitar 19 Macca
83 84 Inshiqaq 25 Macca
84 30 Rum 60 Macca
85 29 Ankabut 85 Macca
86 83 Tatfif 36 Macca
87 2 Baqarah 286 Madina
88 8 Anfal 75 Madina
89 3 Aal-e-Imran 200 Madina
90 33 Ahzab 73 Madina
91 60 Mumtahana 13 Madina
92 4 Nisa 176 Madina
93 99 Zilzal 8 Macca
94 57 Hadid 29 Madina
95 47 Muhammad 38 Madina
96 13 Ra’d 43 Madina
97 55 Rahman 78 Macca
98 76 Dahr 31 Madina
99 65 Talaq 12 Madina
100 98 Beyinnah 8 Madina
101 59 Hashr 24 Madina
102 24 Nur 64 Madina
103 22 Hajj 78 Madina
104 63 Munafiqun 11 Madina
105 58 Mujadila 22 Madina
106 49 Hujurat 18 Madina
107 66 Tahrim 12 Madina
108 64 Taghabun 18 Madina
109 61 Saff 14 Madina
110 62 Jumah 11 Madina
111 48 Fath 29 Madina
112 5 Maidah 120 Madina
113 9 Taubah 129 Madina
114 110 Nasr 3 Madina
কিন্তু আমাদের জ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে ক্রমশ: প্রকাশ্য।
প্রথমেই বলা যেতে পারে সহি বুখারী, বই নং-৫৪, হাদিস নং-৪২১।এখানে বলা হয়েছে- সূর্য অস্ত গিয়ে আল্লাহর আরশের নিচে গিয়ে পূনরায় উদয় হওয়ার জন্য সিজদা করতে থাকে,এক সময় আল্লাহ অনুমতি দিলে পরদিন সকালে সে আবার পূর্ব দিকে উদিত হয়। বিস্তারিত এখানে
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, তিনি(নবী) বলেন, রোজ কিয়ামতের দিন চন্দ্র-সূর্যকে সংকুচিত করা হইবে (অর্থাৎ চন্দ্র সূর্যকে সেইদিন নিস্প্রভ করে দেওয়া হইবে)।সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪২২
এখন বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হলো কমপক্ষে আরও ৫০০ কোটি বছর সূর্য্য সহি সালামতে বেঁচে থাকবে। তার অর্থ আগামী ৫০০ কোটি বছরের মধ্যে কেয়ামত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।অথচ মোহাম্মদ সেই ১৪০০ বছর আগেই যে কোন সময় কেয়ামতের ভয়ে ভীত থাকতেন সব সময়, যেমন-
আয়শা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুজুরের অভ্যাস ছিল, যখন আসমানে তিনি মেঘ দেখিতেন, তখন একবার সম্মুখে অগ্রসর হইতেন, আবার পিছনে হটিয়া আসিতেন। কখনও ঘরে ঢুকিতেন আবার বাহিরে আসিতেন এবং তার চেহারা বিবর্ণ হইয়া যাইত।পরে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করিলে তাঁহার এই অবস্থার সমাপ্তি ঘটিত। আয়শা এই অবস্থা সম্পর্কে তাঁহার সহিত আলোচনা করিলে হুজুর বলিলেন, জানি না গজবের মেঘ দেখিয়া আদ জাতি যে উক্তি করিয়াছিল এই মেঘ তদ্রুপ গজবের মেঘও তো হইতে পারে।সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪২৮
অর্থাৎ সূর্য্য বা চাঁদ কতদিন ঠিকমতো টিকে থাকবে সে সম্পর্কে মোহাম্মদের কোন ধারণা ছিল বলে মনে হয় না।ধারণা থাকার কথাও না, কারন তাঁর তো বিশ্বাস ছিল সূর্য্য ও চাঁদ কে আল্লাহ আকাশে আলো দেয়ার জন্য স্থাপন করে দিয়েছে,আল্লাহ যে কোন সময় তাদেরকে নিভিয়ে দিতে পারে।
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর বলিয়াছেন, দোজখ তাহার প্রভুর কাছে অভিযোগ করে এবং বলে, হে মাবুদ! আমার এক অংশ অপর অংশকে খাইয়া ফেলিয়াছে। তখন আল্লাহতালা তাহাকে দুইটি নি:শ্বাস ছাড়িবার অনুমতি দেন। একটি নি:শ্বাস ছাড়িবার অনুমতি দেন শীতকালে ও অপরটি গ্রীষ্মকালে। সুতরাং তোমরা যে শীতের তীব্রতা ও গ্রীষ্মের প্রচন্ডতা অনুভব করা তাহা ঐ নি:শ্বাসের ফল।সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪৮২
সুতরাং আমরা শীতে যে ঠান্ডা অনুভব করি আর গ্রীষ্মকালে গরম অনুভব করি তা আসলে দোজখের শ্বাস নি:শ্বাস গ্রহন ও ত্যাগের কারনে। শ্বাস গ্রহণ করলে শীতের ঠান্ডা ও প্রশ্বাস ছাড়লে দোজখের আগুন বাইরে বেরিয়ে আসে যে কারনে গ্রীষ্মকাল আসে ও আমরা গরম অনুভব করি। এ থেকে এটাও বোঝা যায় যে দোজখ পৃথিবী থেকে খুব বেশী দুরে নয়।
আবু জামরাহ জুবাই হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস এর নিকট বসিতাম। একদিন আমি জ্বরে আক্রান্ত হইলাম, তখন ইবনে আব্বাস বলিলেন, তোমার শরীরের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। কেননা হুযুর বলিয়াছেন, জ্বর দোজখের তেজ হইতেই হইয়া থাকে। তাই তাহা পানি দ্বারা কিংবা বলিয়াছেন যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৩
আয়শা হইতে বর্ণিত,জ্বরের তাপ দোজখের তাপ হইতেই আসে, তাই তা পানি দ্বারা ঠান্ডা করতে হয়।সহি বুখারি হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৫
ইবনে ওমর হইতে বর্ণিত, হুযুর বলিয়াছেন, জ্বরের তাপ আসে দোজখের তাপ হইতে।তাই তা পানি দিয়ে প্রশমন কর। সহি বুখারী হাদিস , বই-৫৪, হাদিস-৪৮৬
সুতরাং বোঝা গেল চিকিৎসা বিজ্ঞান হলো ভুয়া কারন এ বিজ্ঞান বলে শরীরের তাপ উৎপন্ন হয় শরীরের ভিতরকার আভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের কারনে।তবে জ্বর সারানোর জন্য পানির ব্যবহার বলাই বাহুল্য মোহাম্মদের আবিষ্কার, তার জন্য তাঁর কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
আব্দুল্লাহ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর এর নিকট এক ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করা হইল, যে সারারাত্রি ভোর হওয়া পর্যন্ত ঘুমাইয়া থাকিত। হুযুর তখন বলিলেন, এই লোকটির উভয় কানে অথবা বলিলেন এক কানে শয়তান প্রসাব করিয়াছে।সহি হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৯২
সুতরাং জানা গেল শয়তান যাদের কানের মধ্যে প্রসাব করে তারাই ভোর পর্যন্ত ঘুমায়। শয়তানের মূত্র থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক থাকা একান্ত জরুরী।
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, হুযুর বলিয়াছেন, হাই শয়তান হইতেই আসে, সুতরাং যখন কাহারো হাই আসিবে, যথাসাধ্য তাহা দমন করিবে। কেননা যখন কেহ হাই তোলার সময় হা করে, তখন শয়তান হাসিতে থাকে।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫০৯
সুতরাং কারও ভুলক্রমেও হাই দেয়া উচিত নয়।
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, হুযুর বলিয়াছেন, বনী ইস্রাইলের একদল লোক নিরুদ্দেশ হইয়া গিয়াছিল। কেহ জানে না তাহারা কি করিয়াছিল। আমি ধারণা করি- এই ইঁদুরই ( পরিবর্তিত আকৃতিতে) সেই নিরুদ্দিষ্ট সম্প্রদায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৪
বিজ্ঞানীরা খামোখাই ইঁদুররা কোথা থেকে কিভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে দুনিয়াতে আবির্ভুত হয়েছিল তা নিয়ে সময় নষ্ট করছে।বরং তাদের এ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা উচিত যে মানুষরাই(ইহুদিরা) আসলে বিবর্তনের মাধ্যমে ইঁদুরে পরিনত হয়েছে। এটা প্রকারান্তরে বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে। অথচ কোরান নিজেই আবার সেটাকে নাকচ করে।ইসলামি পন্ডিতরা তো এটা নিয়ে একটা নতুন তত্ত্ব দাড় করাতে পারে। কেন যে করছে না সেটাই আশ্চর্য্য ব্যপার।
আয়শা হইতে বর্ণিত, হুযুর লেজ-কাটা সাপ মারিয়া ফেলিবার নির্দেশ দিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, এই জাতীয় সাপ চক্ষুর জ্যোতি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৭
আয়শা হইতে বর্ণিত, হুযুর নির্দেশ দিয়াছেন- পিঠে দুইটি দীর্ঘ সাদা রেখাবিশিষ্ট সাপ মারিয়া ফেল। কেননা এই জাতীয় সাপ চক্ষুর দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করে ও গর্ভপাত ঘটায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৮
সুতরাং আমাদের আশ পাশে যত ঐ ধরণের সাপ আছে সব মেরে ফেলা উচিত।নইলে ভীষণ ক্ষতি হয়ে যাবে।
আব্দুল্লাহ বিন উমর বর্ণিত,হুযুর বলিয়াছেন কুকুরকে মারিয়া ফেলা উচিত।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫৪০
সুতরাং ভুলেও কারও কুকুর পোষা উচিত নয়, যেখানে যত কুকুর আছে সব মেরে ফেলা উচিত।শোনা যায়, একারনে সৌদি আরবে কোন কুকুর নেই।
উবাইদ ইবনে হুনাইন হইতে বর্ণিত, আমি আবু হুরায়রাকে বলতে শুনিয়াছি, হুযুর বলিয়াছেন, তোমাদের কাহারও পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়িলে উহাকে তাহাতে ডুবাইয়া দিতে হইবে। তারপর উহাকে অবশ্যই বাহির করিয়া ফেলিয়া দিবে।কেননা, তাহার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে আর অপর ডানায় তার প্রতিষেধক থাকে। সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫৩৭
এর পর থেকে কারও আর মাছির ভয় করা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, বরং রোগ জীবানুর হাত থেকে বাঁচার জন্য মাছিকে ব্যবহার করা যেতে পারে ব্যপকভাবে। রোগ জীবানুর হাত থেকে বাঁচার জন্য আর কোন ওষুধ দরকার নেই, মাছিই যথেষ্ট।
তবে, উপরোক্ত হাদিসগুলো আমাদেরকে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্ঞানী ব্যক্তি দ্বীনের নবী মোহাম্মদের সাধারণ জ্ঞান গম্যি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। এর ফলে তার কথিত কোরানের আয়াতে আয়াতে কি বিপুল জ্ঞান বিজ্ঞানের সমাহার তা যার একটুও সাধারণ জ্ঞান আছে তার বোঝার কথা। এত কিছু জানার পরও যদি মানুষ অন্ধভাবে কোন কিছুকে বিশ্বাস করে , তাহলে তা এক বিরাট দু:শ্চিন্তার বিষয় বৈ কি।
এ বিষয়ে দু একজনের সাথে বাস্তবে আলাপ হয়েছে। বুখারী শরিফ বের করে এক পরিচিত ব্যক্তি যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাকে উক্ত হাদিস গুলো পড়তে দিয়েছিলাম। পড়ার পর ওনার প্রতিক্রিয়া হয়েছিল দেখার মত। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- সূর্যের আল্লাহর আরশে গিয়ে সিজদা করা, শয়তানের কানে প্রসাব করা, মাছির রোগজীবানু প্রতিষেধের ক্ষমতায় তার বিশ্বাস আছে কি না। বা তিনি মনে করেন কি না যে শীত গ্রীষ্ম হয় দোজখের শ্বাস প্রশ্বাসের কারনে আর শরীরে জ্বরের তাপও আসে দোজখ থেকে। লোকটি আমতা আমতা করতে করতে খালি বলতে লাগল- আমি তো আগে জীবনেও এসব পড়িনি বা শুনিও নি।
এটাই হলো আসল সমস্যা। মুমিন বান্দারা জীবনেও তাদের অতি মূল্যবান ঐশি কিতাবগুলো নিজের মাতৃভাষায় পড়ে দেখার তাগিদ অনুভব করেন না। ওয়াজে, মসজিদে অশিক্ষিত মোল্লারা যা বলে সেটাই চোখ বুজে বিশ্বাস করে তা সে নিজে যতই শিক্ষিত হোক না কেন। তাদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ, দয়া করে আপনারা আপনাদের কিতাবগুলো একটু খুলে পড়ে দেখুন। আর দেখুন তাতে কি সমস্ত কিচ্ছা কাহিনী লেখা আছে। এর পর যদি মনে করেন এসব সত্যি, তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু পড়বেন না , জানবেন না , দেখবেন না কিতাবে কি লেখা আছে, অথচ মনে করবেন কোরান হলো বিজ্ঞানময় ঐশি গ্রন্থ, মোহাম্মদ হলো দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী, তাহলে মাথার মধ্যে কেজিরও বেশী ঘিলু নিয়ে চলা ফেরা করার কি অর্থ থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়। অথবা এ ধরণের মানব জীবনের কি সার্থকতা সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদের হাদিসের সাইট
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
[…] মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১০ […]
আগুনের ভয় আর গ্রাল ফ্রেন্ড এর লোভে সব আবোল-তাবোল কথাই মহা মূল্যবান লাগছে।
@ ভবঘুরে,
একেবারে সঠিক কথা,এসব লেখালেখি ছাড়া আমার পক্ষে এসব জানা কখনই সম্ভব ছিলনা।
জন্মের পর থেকেই শুনতে শুনতে এসেছি হযরত মুহাম্মদ এ জগতের সর্বশ্রে্ষ্ঠ জ্ঞ্যানী ব্যক্তি।দো-জাহানের সর্বোত্তম এক অতি মানব ব্যক্তি। তার কথায় যারা বিশ্বাষ স্থাপন না করবে তারা দোজখী।
এ সমস্ত কথার বাইরে আর কিছুই শুনা যায় নাই।
না,না, আপনি কোন মিথ্যা তথ্য দেন নাই বা নিজের ইচ্ছা মত কিছু বানিয়েও লিখেন নাই বরং তথ্য উপাত্ত যা দিচ্ছেন তাতো সেই খোদ আল্লাহর কোরান বা নবীর হাদিছ হইতেই দিতেছেন-নবীর বিরুদ্ধ বাদীদের কোন বক্তব্য দিচ্ছেন না তো।
আর আপনি যা-তা একটা কিছু তথ্য দিলেই কি অমনি হয়ে গেল? অজস্র বিজ্ঞ্য পন্ডিতেরা হা করে বসে আছেন আপনার ত্রুটি ধরার জন্য।
কোন ত্রুটি পেলে তারা কি আর ছেড়ে দিবে?
ধন্যবাদ
অফিসের কম্পুটারে ভালোমত মুক্তমনা দেখা যায় না বেশ অনেক দিন যাবৎ, তাই আপনার লেখার উপর সময়মত মন্তব্য করতে পারছি না।
আগের মতই এই পর্বটাও চমৎকার হয়েছে।
আর কত পর্ব বাকী রয়েছে?
@আবুল কাশেম,
ঠিক জানি না, কিছু কিছু কোরান হাদিস পড়ি, অসঙ্গতি দেখলেই লিখে ফেলে একটা পর্ব করে প্রকাশ করে ফেলি। যে কারনে পর্বটা অনেকটাই আগোছাল। সেটা মনে হয় খেয়াল করেছেন। আসলে লেখালেখির তেমন অভ্যাস নেই তো , তাই এরকম হচ্ছে। কোনদিন লিখতে হবে, চিন্তা করিনি তো তাই।
@ভবঘুরে,
ভাই, আপনার লেখা পড়ে শেষ করতে আমার খবরই হয়ে যাচ্ছে। ধারনা করতে পারছি কতটুকু কষ্ট করতে হচ্ছে আপনার এই তথ্যবহুল প্রবন্ধ গুলো লিখতে। অসংখ্য ধন্যবাদ :guli: :guli: আশা রাখতে পারি আপনার জন্য দোজখ নির্ধারিত হয়েই আছে। :hahahee: :hahahee:
আপনি যে বইয়ের উপর লিখছেন, সেটা তো পুরোটাই আগোছাল। ঐ বইতে, এক সূরাতে একটা বলে তো পরের সুরা তে টোটালই অন্য বিষয়। পুরোটাই আওলাজাওলা। মনে হয়, মুহম্মদ সুরা নাজিল করার সময় নস্যি নিত। যাই হোক, আপনার বা আবুল কাশেম ভাইয়ের কাছে কি জমজম কুয়া এর ব্যাপারে কোন তথ্য আছে? আমি তন্ন তন্ন করে খুজে তেমন কোন রিসার্চ ইনফরমেশন পাচ্ছি না শুধুমাত্র বিবিসি রিপোর্ট আর একটা জাপানী সাইন্টিস্ট এর বেসিক রিপোর্ট ছাড়া (কিছু ছাগুদের বোঝানোর চেষ্টা করা যে এটা কোন মিরাকল না)। জানালে কৃতজ্ঞ হব। ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
সাবধান!! মুসলমানদের জ্ঞ্যান অর্জন করে সমাজে প্রকাশ করার ফলাফল কি তাকি জানা আছে? আমার তো আপনাকে লয়ে মাঝে মাঝে ভয় হয়। যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। আল্লাহ রক্ষা করুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার সতর্কবানীর জন্য ধন্যবাদ।
ভালই জানা আছে এসব প্রকাশের ফলাফল। এই যে আপনি আগে জানতেন না এখন জানেন। এটা কি সম্ভব হতো এসব লেখা লেখি ছাড়া? আ্পনি তো ধার্মিক একজন লোক, বুকে হাত দিয়ে বলুন, কবে কোন নিবন্ধে মিথ্যা বা মনগড়া কথা বা তথ্য দেয়া হয়েছে?
এক লোকের সাথে এই নেটেই আলোচনা হচ্ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- যার অস্তিত্ব বিশ্বাসের ওপর ১০০% নির্ভরশীল তা কিভাবে ১০০% সত্য হয়? সে বলল- সেটা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা ৫০/৫০।তখন আমি বললাম ইসলামের প্রথম ও প্রধান স্তম্ভ হলো ঈমান বা বিশ্বাস। তাহলে তা কিভাবে ১০০% সত্য হয়? সে কোন উত্তর দিতে পারে নি। এর পর বললাম- সেই বিশ্বাস কেউ যদি পোষণ করে নিজের মধ্যে রাখে তাতে আর কারও সমস্যা নেই , কিন্তু সেটা যদি সে অন্যের ওপর জোর করে চাপিয়ে দিতে চায়, সেটা কি ঠিক? সে কোন উত্তর দিতে পারে নি। ভাই এত কিছুর মধ্যেও কায়দা করে আলোচনা করলে ওরা ধরা খেয়ে যায়। শুধু জানতে হবে কায়দাটা।
কাজ করছে না তো
@কাজী রহমান,
১। বুখারী-মুসলিম-আবু দাউদ-মুয়াত্তা হাদিস
২। বুখারী-মুসলিম-আবু দাউদ-মুয়াত্তা হাদিস
৩। ইবনে কাথিরের তাফসির
হাদিসের এই তথ্য অনুসরণ করেই সম্ভবত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নতুন কোন ঔষধ আবিষ্কারের পর ইঁদুরের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে তা মানব দেহে প্রয়োগের উপযুক্ত কিনা নিশ্চিত হন। এতে আবারো প্রমাণিত হয় ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন।
@রাজেশ তালুকদার,
না ভাই ভুল বললেন। এর দ্বারা এই প্রমান হয় যে মানুষ সত্যি সত্যি ইঁদুরে পরিণত হয়ে গেছিল। না হলে যে ওষুধ ইঁদুরের ওপর কাজ করে তা আবার মানুষের ওপর কাজ করে কেমনে ?
@ভবঘুরে,
আমিও এই কথাটা বলতে চেয়েছি। সর্টকাট মন্তব্য করাতে আমার বক্তব্যটা আপনি হয়তো অনুধাবন করতে পারেন নি কিংবা আমি বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।
@ভবঘুরে
আমার আবস্কারের উপর এ প্রবন্ধটি লিখেছেন যেনে নিজেকে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত অনুভব করছি। ধন্যবাদ আমার আবিস্কারের উপর লেখার জন্য।
আমি নিজেকে এখন আগের চাইতে যথেষ্ট জ্ঞানী ও সচেতন অনুভব করছি। অনেক চতুরতাই মনে হচ্ছে আমার দৃষ্টিতে ধরা পড়ে যাচ্ছে। কোরানের ব্যাপারে ইতিমধ্যে একটা কিছু বুঝে ফেলেছি। তবুও এ রহস্যের আরো অনেক কিছু দৃষ্টিগোচরে আনতে ইচ্ছুক।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তার মানে যতক্ষন আপনি কোরান হাদিস নিজে না পড়তেন ততদিন আপনি ছিলেন প্রকৃত বিশ্বাসী মুমিন বান্দা। যখন পড়া শুরু করেছেন তখন হয়ে পড়েছেন সন্দেহপ্রবণ বান্দা। এই হলো ইসলাম ধর্ম। যতক্ষন আপনি মূর্খ থাকবেন ততক্ষণই আপনি বিশ্বাসী বান্দা, যেই জ্ঞান অর্জন করতে থাকবেন তখন আপনি হয়ে পড়বেন কাফির মুরতাদ।
@ভবঘুরে,
মোটেই নয়। কেহ যদি সারাটা দিন আগুনের পার্শে থেকে কাজ করে,সেই আগুনের উত্তাপে তার কোন দিনও জ্বর হইবেনা।জ্বর হওয়ার অনেক কারনের মধ্যে প্রধান কারন কোন ধরনের জীবানু বা জীবানু জাতীয় দ্বারা মানব দেহ আক্রান্ত হওয়া।এসময় এদের সংগে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যুহের সংগে প্রচন্ড ষুদ্ধ আরম্ভ হয়।এর পর মস্তিস্কে অবস্থিত “তাপ নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র”শরীরে তাপ বাড়িয়ে দেয়। আরো অনেক জটিল ব্যাপার এর সংগে জড়িত রয়েছে।
আল্লাহ পাককে দোজখ হতে অনর্থক তাপ বইয়ে আনিয়ে প্রতি রোগীকে উত্তপ্ত করার দরকার হয়না।
আপনার পরে যোগকৃত অংশটুকুও চমৎকার।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তাহলে আপনি বলতে চান, বিশ্বের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী , আল্লাহর রসুল, আল-আমীন হযরত মোহাম্মদ(সা:) প্রলাপ বকেছেন? অবশ্য এক মুমিন বান্দাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল- এসব নাকি উপমা। আমি যখন বললাম, মোহাম্মদের কথা যখন আজগুবি বা উদ্ভট মনে হবে তখন সেটাকে উপমা হিসাবে ধরতে হবে? এর পর আর কোন উত্তর দেয় নাই।
সহি বুখারী থেকে আরো কিছু ডাক্তারী জ্ঞান পাঠকরা জানতে পারেন।
১) “উটের মুত্র” স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী
২) “মুখের থুতু” দিয়ে ঘায়ের চিকিৎসা
৩) চোখের কোন সমস্যা হলে তার চিকিৎসা – সেই চোখে “ওয়াক থু করে থুতু” মেরে দোয়া
৪) বাচ্চা ভূমিষ্ট হওয়ার সময় কাঁদে কেন? মোক্ষম উত্তর, “শয়তানের ছোঁয়ায়”।
কুরান-হাদিসে যারা “বিজ্ঞান খোঁজেন” তারা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন, অথবা বিজ্ঞানে “বিশেষ-অজ্ঞ”।
@গোলাপ,
আরব দেশে উট ছিল বলেই মনে হয় এ নিদান। পক্ষান্তরে ভারতে হিন্দুদের শাস্ত্রে আছে গরুর মূত্রও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ভারতে কিছু কিছু ধর্মীয় মন্দিরে গরুর মুত নাকি বিক্রিও হয় , বিশেষ করে কৃষ্ণ মন্দিরে। আরব দেশে উটের মুত বিক্রি হয় কি না কিছু জানেন ? তবে সেই যুগে উট, দুম্বা বা গরুর মুত ছাড়া অন্য ওষুধ তো ছিলও না। মোহাম্মদ চাইলেও নানা রকম এন্টিবায়োটিকের নিদান দিতে পারতেন না, এটাও বোঝা দরকার।
@ভবঘুরে,
মুতের ছবি পাইলামঃ
[img]http://4.bp.blogspot.com/-v8A4P4uDd14/Tw3MmssjSwI/AAAAAAAAEC8/gJna3LoTB48/s1600/amini3.jpg[/img]
সংগ্রহঃ ধর্মকারী
আর এটাও মজা পেতে দেখতে পারেন
কুত কুত কুত কুতকুত কুত
না বুঝে খাস উটের মূত;
দিসনে হতে নিজকে লুট,
কুত কুত কুত কুতকুত কুত।
@কাজী রহমান,
হা হা হা , ধন্যবাদ ছবি দেয়ার জন্য।
তবে গরুর মুতের কি কি গুণাগুণ তার একটা ফিরিস্তি দিলে, পাব্লিক বেশী উপকৃত হতো। হয়তবা কেউ কেউ তা একটা পরখ করে দেখতেও পারত। :))
আপনারই প্রবন্ধ হতে:
এখানে দেখা যাচ্ছে .প্রথম বাক্যে আল্লাহ বলতেছেন তিনি আগে সৃষ্টি করয়াছেন ” পথিবী”কে। আর পরবর্তী বক্যে বলতেছেন আগে সৃষ্টি করিয়াছেন “আছমান”কে।
আল্লাহ পাক এধরনের বিপরীত মুখি কথা নিজ মুখে কেন বলতে যাবেন?
কোরান লেখকগন উক্ত স্ববিরোধী বাক্যদ্বয় আল্লাহ পাকের বানী বলে চালিয়ে দিয়ে শুধু গোটা কোরানকেই মিথ্যা প্রমানিত করিয়া ছাড়েন নাই বরং স্বয়ং আল্লাহ পাকের অসীম মর্যাদারও হানী করিয়া ছাড়িয়াছেন।
আল্লাহ পাক একই বিষয়ের উপর নিজে ২ রকম বক্তব্য রাখতে যাবেন তা তো কোন একজন পাক্কা ইমানদার বান্দাও বিস্বাষ করবেন না ।
এটা বুঝতে হবে কোরান কোন মানুষের বানী নয়।এটা আল্লাহ পাকের নিজের মুখের কথা বার্তা,ঠিক যেমনটা আমরা একজন আর একজনের সংগে কথা বার্তা বলে মনের ভাবটা প্রকাশ করে থাকি।
একটু চিন্তা করলে ব্যাপারটা অতটা সহজ ব্যাপার নয়। আল্লাহ পাক যে গ্রন্থ খানি মানব জাতির জন্য অনন্ত কাল ব্যাপী জীবন ব্যবস্থার নির্দেশ নামা দিচ্ছেন,তাতে আবার বিন্দু পরিমান ও ভূল থাকিবে?
মানুষের কথা বার্তা ও আল্লাহর কথা বার্তায় পার্থক্য হল মানুষ মাত্রই সর্বক্ষন অপরিসীম দুর্বলতা ও ভূলত্রুটির মধ্যে আবদ্ধ তাই সে যতই গুন সম্পন্ন ব্যক্তি হইক না কেন তার কথা বার্তায় যে কোন সময় কিছু না কিছু ভূল ত্রুটি থাকবেই।
কিন্তু আল্লাহ পাক সম্পূর্ণ মাত্রায় যে কোন ধরনের দুর্বলতা ও ভূল ত্রুটি হতে মুক্ত। আর তা না হলে তিনি তো এই মহাবিশ্ব চালাতেও অক্ষম হইয়া পড়িবেন।
অতএব যখনই যে কোনো গ্রন্থকে আল্লাহ পাকের গ্রন্থ বলে দাবী করা হইল তখনই তার উপর স্বাভাবিক ভাবেই এই শর্তটি জোরালো ভবে আরোপিত হয়ে যায় যে এর মধ্যে বিন্দু পরিমান ও যে কোনো ধরনের ভূল ভ্রান্তি,ব্যকরনিক ভূল ভ্রান্তি,স্ববিরোধিতা বা স্বতসিদ্ধ বিজ্ঞান বহির্ভূত কিছুই থাকিবেনা।
সেখানে একাধিক ভূলত্রুটি পাওয়ার ও কোনই দরকার হয়না।
সেখানে একটি মাত্র প্রমানিত ভূল পাওয়াই যথেষ্ট হয়ে দাড়ায় যে এটা কখনোই আল্লাহর বানী হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা।
তাই নয়কী?
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তাহলে আপনি তো এ পর্যন্ত যথেষ্ট অবগত হলেন তথ্য প্রমান সহ যে কোরানে কোন ভুল ভ্রান্তি আছে কি না। আপনি নিজেও দু্ একটি আবিষ্কার করেছেন। বস্তুত: আপনার আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করেই এ পর্ব লেখা।
এখন আপনার কি অভিমত, কোরানের ব্যপারে? এটা কি সত্যি সত্যি আল্লাহর বানী ?
অথচ বিজ্ঞান জার্নাল গুলোতে কোরানকে ব্যাবহার করা হয়না।
@কাজী রহমান,
চিন্তার কারন নাই, অচিরেই কোরানকে বিজ্ঞানের জার্নালে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
@ভবঘুরে,
বটেই তো, বটেই তো, ছদ্মবিজ্ঞানীদের তো আর অভাব নেই এখন। যে গ্রন্থের জন্মেরই ঠিক নেই, বেড়ে ওঠা লোভী বিকৃতিতে মানুষের হাতে, যে বই বিমূর্ত, যেটি পরীক্ষা প্রমানের উর্ধ্বে, সেটি বিজ্ঞানময় তো বটেই।
@ভবঘুরে,
আপনি রঙ পারস্যানকে প্রশ্ন করলে তো এমন উত্তর পাবেনই। প্রশ্নটা এখানে চালান করে দিন আর দেখুন অবস্থা কী হয়। আরো দেখুন সুরা ফাতিহা কী ভাবে বৈজ্ঞানিক জার্নালের সারাংশের মতো আর কোরানের প্রথম সুরা হয়। সুরা ফাতিহা যে কোরানের কতো নং সুরা, কখন মুহাম্মদ আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেছিলেন, কে এই দোয়াকে কখন কোরানে এনে একেবারে প্রথম পৃষ্টায় লাগিয়ে দিয়েছে, এটা যে আদৌ কোরানের অংশ নয় তা কেউ জিজ্ঞাসাই করেনা। বুঝা যায় ১৫ শো বছর পূর্বে মুহাম্মদের সামনে উপস্থিত মানুষ আর আজকের যুগের কিছু মানুষের চিন্তাশক্তির কতটুকু উন্নত হয়েছে।
@আকাশ মালিক,
এ ব্যপারে বিস্তারিত জানা যাবে কিভাবে?
@ভবঘুরে,
কোরানের বিবর্তনীয় রূপ বা কী ভাবে, কতো দিনে, কোন সময়ে, কার দ্বারা কোরানকে আজকের রূপে সাজানো হয়েছে তা সে কালের আরবিভাষী সাক্ষীগনই লিখে রেখেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত, পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত তাফসিরকারক, আরবী বিশেষজ্ঞ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শফির (রঃ) উর্দুতে লেখা মা’রেফুল কোরানের বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। এর প্রথম খন্ডটা সংগ্রহ করতে পারলে দেখবেন সেখানে প্রচুর তথ্য রেফারেন্স দিয়ে দেখানো হয়েছে কোরানের বিবর্তনীয় রূপ।
সুরা ফাতিহার কথা জানতে চেয়েছেন। আমার যে সত্য বলা হয়নি বইয়ে এর কিছুটা বিবরণ উল্লেখ আছে, দেখে নিবেন। কোরানের সুরা-ক্রম মুহাম্মদ সাজিয়েছিলেন এমন কথা তার দুষমনেও বলার সাহস করবেনা।
এবার মুহাম্মদের লেখা কোরানের পাথুরে পাহাড় রচনাটি সম্পূর্ণ পড়ে নিন। দেখুন কতো বিজ্ঞানময় বইখানি, কতো সুন্দর কাব্যিক ভাষা। পড়ে হাসাহাসি থেমে গেলে একবার রচনাটির ৮৭ নং বাক্যের মর্মোদ্ধার করায় মনোনিবেশ করুন। আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে দিয়েছি বারবার পঠিত সাতটি, আর এক সুমহান কোরান। এই বারবার পঠিত সাতটি হলো দোয়া ফাতিহা আর বাকি সব কোরান। তবে আরেকখান কথা। সুরা ফাতিহায় বাক্য কয়টি? সাতটি না আটটি? পাগলের প্রলাপের কথার মর্মোদ্ধার করতে আপনাকেও এক পর্যায়ে পাগল হতে হবে। এখানে দেখুন বিসমিল্লাহ ছাড়াই বাক্য সাতটি। আর এখানে বিসমিল্লাহ সহ বাক্য সাতটি। দর্জির মতো কোরানে উপর অস্ত্রোপাচার, কাঁচি চালাচালি করলেন কারা?
ও হ্যাঁ, কোরানের প্রধান ও মুহাম্মদ কর্তৃক স্বীকৃত কাতিব ইবনে মাসউদের কোরানে সুরা ফাতিহা নেই। ইবনে মাসউদ, আব্দুল্লাহ বিন আবি সারাহ আর হজরত আলীকে বাদ দিয়ে কোরান সংকলন করা হয়, আর হাফসার হাতের কোরান কপি করে আবার পুড়িয়ে ফেলা হয় কেন? হাফসার কোরানে কি ভুল থাকার সম্ভাবনা ছিল?
আজ যে আমরা জের, জবর, পেশ, তাশকিল বলি এ সব কী? কোরানে রুকু কী? রুকু নির্দেশক অক্ষর ﻉ (আইন) কোরানে কে বসায়াছে, মুহাম্মদ না আল্লাহ?
কমপক্ষে সাত রকম সাত ভাবে লিখিত কোরান পাওয়া গেলেও খুবই যুক্তিসঙ্গতভাবেই বলা যায় এর আরো বহু রূপ ছিল, যা এখন হয়তো আর পাওয়াই যাবেনা। শুধু উচ্চারণ নয়, শব্দ, অক্ষর এমন কি বাক্যের কাল বা সময় পরিবর্তিত ভিন্ন রূপে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আজও কোরান পঠিত হয়।
@আকাশ মালিক,
এ বইএর লিংক টা তো দেখলাম না।
আমার মনে হয় ফিরিস্তারা। আজব ব্যপার হলো- এসব নিয়ে সাধারণ মুমিন বান্দাদের সাথে কোন কথাই বলা যায় না। বলতে গেলেই তারা বলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা তর্ক করা নিষেধ। এর মানে কি তারা মনে করে- এসব নিয়ে কথা বলতে গেলেই আসল গোমর ফাক হয়ে যাবে?
@ভবঘুরে,
আমার সন্দেহ হয়েছিল আপনি ধাঁধায় পড়ে যেতে পারেন। আল্লাহর গরু নামের রচনায় গরুর বর্ণনা থাকেনা, পাথুরে পাহাড় নামের রচনায় পাথর আর পাহাড়ের জন্ম বৃত্তান্ত থাকেনা, কারণ আল্লাহ সর্বজ্ঞ মহা জ্ঞানী ! ! ! এটা কোরানের ১৫ নং সুরা আল-হিজর। এই সুরার ৮৭ নং বাক্যের অর্থ হলো- আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে দিয়েছি বারবার পঠিত সাতটি, আর এক সুমহান কোরান।
এই বারবার পঠিত সাতটি বাক্য সম্বলিত দোয়ার নাম ফাতিহা আর বাকি সব কোরান। অর্থাৎ এটা একটা দোয়া যেমন নামাজের আত্যাহিয়্যাতু, দোয়া কুনুত। ফাতিহা কোরান নয়, দোয়া। দোয়া ফাতিহার আগে বিসমিল্লাহ বসায়ে একে সুরা বানানো হয়েছে।
ইমাম আবু হানিফা বিসমিল্লাহকে কোরানের বাণী হিসেবে কোনদিনই মেনে নেন নি। আল্লাহ কেন বলবেন- আমি শুরু করছি পরম করুণাময় আল্লাহর নামে? সাহাবী ইবনে মাসুদ দোয়া ফাতিহাকে কোরানের সুরা হিসেবে কোন দিন স্বীকার করেন নি। আল্লামা জালালুদ্দীন সিয়ুতির আল-ইতকান কিতাবের ১৭৩ পৃষ্টায় একেবারে নীচে আন্ডারলাইন করা বাক্যগুলোটি দেখুন।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/itqan_v1_173.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
সূরার মত দোয়াগুলোও কি নাজিল হয়েছিল? দোয়া কুনুত, ওজুর দোয়া, গোসলের দোয়া, নামাজের নিয়ত ইত্যাদি দোয়াগুলোর কাহিনী কি?
@আকাশ মালিক,
আপনার ওখান একটা আজব জায়গা। একবিংশ শতাব্দীতেও এরকম মাথা খারাপ , পাগল , উদ্ভট , উদ্ভ্রান্ত মানুষ দুনিয়ার বুকে থাকতে পারে তা ওখানে না গেলে বিশ্বাস করা কঠিন।
চমৎকার। মুল্যবান সব বৈজ্ঞ্যানিক হাদিছ সমুহ উপহার দিলেন তো।এই গুলিইতো এখন গবেষনা করিয়া মুসলমানদের উন্নতির পথ দেখাইয়া দিবে।শুনেছি করাচী বা মিসরের আলআজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ে নাকি ইসলামিক গবেষনা কেন্দ্র আছে। সউদীতেও থাকা স্বাভাবিক।
এসমস্ত গবেষনা কেন্দ্রে নিশ্চয়ই বোখারীতে বর্নিত এ সব হাদিছের উপর গবেষনা করিয়া “তাপ”বিজ্ঞানের উপর হয়তো কিছু আবিস্কার করিয়া থাকতে পারেন।
এসব ইসলামিক আবিস্কারের কিছু খবর দিবেন কী?
আর কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে তারা ইসলামের কিসের উপর গবেষনা করে থাকেন?
জ্বরের তাপ হয় দোজখের আগুনের তাপের ফলে। তার অর্থ দোজখ টা তখন রোগীটার একেবারেই নিকটেই চলে আসে এবং শুধুমাত্র রোগী ব্যক্তিটাকেই সনাক্ত করে তাকেই তাপ দিতে থাকে।
দূর থেকে তাপ দিলে তো পৃথিবীর সমস্ত মানুষই এক সংগেই জ্বরে আক্রান্ত হইয়া পড়িত।আর দোজখটার এমন কৌশল রয়েছে যে সে চিনতে পারে কে সুস্থ আর কে অশুস্থ । এবং দোজখের তাপটা সুস্থ ব্যক্তিদেরকে এড়িয়ে এড়িয়ে ঠিকই শুধুমাত্র লক্ষকৃত রোগী ব্যক্তিটাকেই সনাক্ত করে তাপ দেয়।
এখানে দোজখের তাপের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট দেখা যাচ্ছে,যা এই পৃথিবীর তাপ বিজ্ঞানের ধর্মে পাওয়া যাচ্ছেনা। পৃথিবীর তাপ সমান ভাবেই প্রসারিত হয়। তাপ একজন কে বাদ দিয়ে আর একজনের শরীরকে আঘাত করতে পারেনা।
এখানে আরো একটি বিষয় পরিস্কার হল যে দোজখ শুধু মৃত্যুর পরেই কার্যকরী নয়,বরং দোজখ এই পৃথিবীর উপরও কর্মকান্ড চালাচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের অতি নিকটেই রয়েছে।
তা হলে এখন একে সন্ধান করে ফেলা যেতে পারে।
অতএব এই হাদিছের সূত্র ধরিয়া ইসলামিক গবেষক গন তাপের উপর গবেষনা করিয়া তাপ বিজ্ঞানের উপর মস্তবড় অবদান রাখতে পারেন আশা রাখছি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হ্যা তাই তো, এভাবে তো আমি ভাবিনি। দেখা যাচ্ছে, আমার চাইতে মাথা আপনার বেশী খুলছে। আপনার বক্তব্য অকাট্য। এটাই তো বড় আশ্চর্য্যের, কিভাবে দোজখের আগুন সবাইকে ফাকি দিয়ে শুধুমাত্র জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যেই প্রবেশ করে। আমার মনে হয় এটা আল্লাহর ইচ্ছা আর এ রহস্য একমাত্র আল্লাহই জানেন, কি বলেন ভাইজান?
ওহ, হ্যা, নিবন্ধে আর একটু বিষয় যোগ করা হয়েছে, আপনি পড়লে মজা পেতে পারেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ওহ হো ভুল হয়ে গেছিল বলতে,
আপনি কি জানেন জিয়াউল হকের আমলে পাকিস্তানে একটা গবেষণা সেল খুলেছিল দোজখের তাপমাত্রা নির্নয় করার জন্য?