বাঙলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে হুমায়ুন আহমেদ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র, এতে কোন সন্দেহ নেই। হুমায়ুন আহমেদের মত পাঠকপ্রিয় লেখক এই বাঙলায় আর জন্মেনি, ভবিষ্যতে জন্মাবে এমনটাও আশা করা যায় না। তিনি এতটাই জনপ্রিয়, মানুষের হৃদয়ের এতটাই কাছে তার অবস্থান যে, তার একটি নাটকের কাল্পনিক ‘বাকের ভাই’ চরিত্রের জন্য ঢাকার রাস্তায় মিছিল হয়েছিল। তার ‘তুই রাজাকার’ গালিটাতে বাঙালী শিখেছিল রাজাকার আলবদরদের ঘৃণা করার কথা, যে সময়ে রাজাকার আলবদরদের কথা বলতেও মানুষ ভয় শিউরে উঠতো। এই ব্যাক্তিকে শ্রদ্ধা না করে, তার গুণমুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই, অন্তত সেই সময় পর্যন্ত। প্রয়াত আহমদ ছফা ছিলেন যার গুরু, যিনি হুমায়ুন আহমেদকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন, তিনিও হুমায়ুন সম্পর্কে দারুণ উৎসাহী ছিলেন। তিনি হুমায়ুনের মধ্যে প্রতিভার স্ফুরণ দেখেছিলেন, যেটা পরবর্তীতে পুরো বাঙলাদেশ দেখেছে। আহমদ ছফা এস এম সুলতান সম্পর্কে যেমন ভুল করেন নি, হুমায়ুনকে চিনতেও ভুল করেন নি।
কিন্তু জনপ্রিয় হওয়া যত সহজ, জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সম্ভবত ততটাই কঠিন। সবসময় সব পক্ষের মন রক্ষা করে কথা বলা সম্ভব নয়, আর হুমায়ুন আহমেদের মত জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে নানা ধরণের মতামত পাওয়া যাবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর এই রকমের গুরুত্বপুর্ণ ব্যাক্তিত্ব কোথায় কি বক্তব্য দিচ্ছেন, তা নিয়েও আমাদের চিন্তার অবকাশ তৈরি হয়। কারণ এরকম জনপ্রিয় লেখকের সামান্য ভুল বা বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য বাঙলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলন ব্যাহত হতে পারে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই হুমায়ুন আহমেদের বক্তব্যকে হালকা করে দেখার উপায় নেই, তার বক্তব্য অবশ্যই গুরুত্ত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
আমাদের দেশে বই প্রকাশ এবং বই বিক্রি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পাঠক তৈরি এবং প্রতিবছর টন টন বই উৎপাদন করে আমাদের সাহিত্যিকগণ বর্তমানে প্রচুর টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন, লেখালেখিকে একটি লাভজনক ব্যাবহায় পরিণত করেছেন। একটা সময়ে আমরা বই কিনতাম নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা জানার জন্য, ইতিহাস দর্শন সাহিত্যের চমৎকার সব অংশকে ভালভাবে বোঝার জন্য। কিন্তু বর্তমানে বই প্রকাশ একটা গুরুত্ত্বপুর্ণ বাণিজ্য, সাহিত্য রীতিমত একটি পণ্যে পরিণত হয়েছে। এখন আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজ বই কেনে ঘর সাজাবার উদ্দেশ্যে, দুপুর বেলা খাওয়া দাওয়া করে হালকা চটুল সুড়সুড়িমার্কা বিনোদন পেতে। হুমায়ুন আহমেদ-ইমদাদুল হক মিলন এরা বহুদিন ধরেই এই ধরণের পাঠক ধরবার চেষ্টায় লিপ্ত, এই ধরণের মানুষের সংখ্যা বেশি হবার কারণে সাহিত্যের সত্যিকারের পাঠকদের কথা বিবেচনা না করে আমাদের জনপ্রিয় সাহিত্যিকগণ বর্তমানে জনপ্রিয় ধারার উপন্যাস লিখে যাচ্ছেন। শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদ যার নাম দিয়ে ছিলেন ‘অপন্যাস’, আর এই ধরণের সাহিত্যিকের নাম দিয়েছিলেন ‘অপন্যাসিক’।
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ খুব শিক্ষিত নয়। তারা জটিল কথাবার্তা বোঝে না, সহজ সাধারণ জীবন যাপন করেন। এই ধরণের মানুষের মনস্তত্ত্বে হুমায়ুন আহমেদ নাড়া দিতে পারবেন খুব সহজেই। আসলে এই ধরণের পাঠক আকর্ষণ করতে খুব মেধাবী সাহিত্যিকের প্রয়োজন নেই, হুমায়ুন আহমেদের মেধা যে তাই অপাত্রে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
এই সাধারণ মানের পাঠকদের প্রভাবিত করবার ক্ষমতা হুমায়ুন আহমেদের রয়েছে, আর তাই হুমায়ুন আহমেদ একটি ভিন্ন আঙ্গিকে গুরুত্ত্বপুর্ণ হয়ে উঠেছেন। তার যেকোন কর্মকান্ড তাই সাধারণ মানুষের চিন্তা চেতনার উপরে প্রভাব ফেলতে পারে, আর তাই তার থেকে দায়িত্বশীলতা আশা করাটাও আমাদের কোন অযৌক্তিক দাবী নয়।
হুমায়ূন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য লেখা লিখেছেন, বহু সিনেমা বানিয়েছেন। বাঙলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কয়টি চমৎকার উপন্যাস রয়েছে, তার মধ্যে হুমায়ুন আহমেদের লেখা এবং তার চলচিত্র অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। আগুনের পরশমনির মত চলচিত্র যেমন লক্ষ লক্ষ দর্শককে কাঁদিয়েছে, তেমনি তার উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রকে বাঙালী হৃদয়ে স্থান দিয়েছে। হিমু আর মিসির আলীর মত জনপ্রিয় এবং অনন্য চরিত্র সৃষ্টিও বাঙলাদেশের পাঠকের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে।
কিন্তু আমাদের দেশে বই বিক্রি আর সাহিত্যকে ব্যবসায় পরিণত করার জন্যেও হুমায়ুন আহমেদকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। তিনি জনপ্রিয় থাকতে চেয়েছেন, সকল ধরণের পাঠক সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে অনেক পানি ঘোলাও করেছেন। আমরা বুঝি, জনপ্রিয়তার নেশা কাটানো মুশকিল, এবং দেশের প্রগতিশীলদের থেকে শুরু করে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় হবার তার আকাঙ্ক্ষা ধীরে ধীরে তাকে একজন পতিত বুদ্ধিজীবীতে পরিনত করছে কিনা, সেটাও ভেবে দেখবার সময় হয়েছে।
ইতিপুর্বে আমরা দেখেছি আল মাহমুদের মত শ্রেষ্ঠ কবিকে মৌলবাদী শিবিরে যোগ দিতে, দেখেছি ফরহাদ মজহারকে নষ্ট হয়ে যেতে। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন ‘একজন রাজাকার সবসময়ই রাজাকার কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়’, তেমনি একজন প্রগতিশীল লেখকও সবসময় প্রগতির পক্ষে থাকবেন, সেটা নাও হতে পারে। তাই হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে আমরা আশংকায় থাকি, কারণ একজন আল মাহমুদ আর একজন ফরহাদ মজহারের চেয়ে হুমায়ুন আহমেদ সাধারন পাঠকের কাছে অনেক শক্তিশালী, তার প্রভাব অনেক বেশি। তাই হুমায়ুন আহমেদের সামান্য অসতর্ক বক্তব্যকেও আমাদের আমলে নিতে হয়, এটা পাঠকের কাছে কিভাবে গৃহিত হচ্ছে তা ভাবতে হয়।
হুমায়ুন আহমেদকে জনপ্রিয়তা রক্ষা করে কথা বলতে হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতায় আক্রান্ত। পাকিস্তানের ভুত বিদায় নিয়েছে, কিন্তু আমরা আমাদের তরুণদের ভেতরে দেখা যায় নব্য পাকিস্তানের ছায়া। তারা স্লোগান দেয়, “বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান” অথবা মুসলমানিত্ত্বের কারণে তারা পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের সাপোর্টে পাকিস্তানের পতাকা গালে ছেপে স্টেডিয়ামে যায়, “ম্যারি মি আফ্রিদি” লিখে আমাদের তরুনীরা পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের সামনে গিয়ে যখন দাঁড়ায়, জাতি হিসেবে লজ্জায় মুখ দেখাবার উপায় থাকে না। ইসলামী ছাত্র শিবির আর জামাতে ইসলামীর কথা বলতে শুরু করলে শেষ করা যাবে না, তবে ছোট করে বললেও আমাদের দেশ মৌলবাদের জন্য একটা উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে।
তাই যখন দেখি হুমায়ুন আহমেদের মত সাহিত্যিক প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্য দিচ্ছেন, বা তার বক্তব্য ধর্মান্ধ জামাত শিবিরকে শক্তিশালী করছে, তখন আতংকিত হতে হয়। অসহায় লাগে, নিজেদের বিপন্ন মনে হয়। হুমায়ুন আহমেদ তো আমাদের কাছে আগে থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, তার আর কত জনপ্রিয়তা প্রয়োজন? আর কত টাকার বই বিক্রি হলে তিনি সন্তুষ্ট হবেন?
কিন্তু তিনি আসলে কি বলেছেন বা কি এমন করেছেন যার জন্য আমাদের এই ভয়, এই আতংক? এই আতংক অমূলক প্রমাণিত হোক, সেই প্রত্যাশা অবশ্যই আমরা করি, হুমায়ুন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্মনিরপেক্ষাতার অসাম্প্রদায়িক বাঙলাদেশের পক্ষের সোচ্চার কন্ঠস্বর হয়ে উঠুক, এটা চাইবার পরেও তার কিছু কর্মকান্ড এবং লেখার দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখি।
‘ঘরে-বাইরে হুমায়ূন আহমেদ হাজার প্রশ্ন’ বইটিতে ‘সমাজ ও রাজনীতি’ অধ্যায়ে তিনি বলেন,
“মুক্তিযুদ্ধেও সময় যারা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেছেন তাদের মধ্যে আমার নানাও একজন, যিনি মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে মারা গেছেন। আমার এই নানার মতো, মামার মতো ভদ্রলোক, পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত এত পরিপূর্ণ ভদ্রলোক এই জীবনে দেখিনি।
(অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া মানুষগুলো পরিপুর্ণ ভদ্রলোক হতে পারে! তারা খুব ভাল মানুষ হতে পারেন! হ্যা, এটা হতেই পারে, তবে এটা যখন প্রপাগান্ডা হিসেবে ব্যাবহৃত হবে, তখন সেটা জনগনের ভেতরে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সহানুভূতিও সৃষ্টি করতে পারে!)।
আমার নানা একটি আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছেন। একটি পূর্ণ মুসলিম রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতেন। কারণ বড় হওয়ার সময় এই অঞ্চলের হিন্দুদের দ্বারা প্রচণ্ড নির্যাতিত হয়েছিলেন। কোনো মিষ্টির দোকানে গেলে তাদের প্লেটে করে মিষ্টি দেয়া হতো না। তারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। তাদের হাতে দেয়া হতো। এটা শুধু মুসলমানদের সঙ্গেই না, নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গেও করতো। এটা ছিল হিন্দুদের কাস্ট সিস্টেম। এসব দেখে দেখে সে সময়ের মুসলমানরা বড় হয়েছেন এবং তাদের মনে হয়েছে একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রয়োজন। অনেক যুদ্ধের পর তারা তা পেয়েছেন। যখন তারা দেখলেন চোখের সামনে দিয়ে সেই রাষ্ট্র ভেঙে যাচ্ছে, তখন তারা মনে করেছেন আবার হিন্দু রাজত্ব শুরু হয়ে যাবে। তখন পাকিস্তানকে সাপোর্ট করা শুরু করেন। কিন্তু পাকিস্তান আর্মির অন্যায়গুলো ক্রমেই চোখে পড়তে থাকে। তারা দেখলেন পাকিস্তানি আর্মিরা তো কেবল হিন্দু মারছে না, সমানে মুসলমানদেরও খুন করছে। আমার নানা দেখলেন , তার অতি আদরের বড় মেয়ের পুলিশ অফিসার স্বামীকে (আমার বাবা) বেধে নিয়ে আর্মিরা গুলি করে মেরে মেরে ফেলল। তিনি হতভম্ব হয়ে গেলেন। কি হচ্ছে এসব? কোনদিকে যাবেন? তিনি কি পাকিস্তান আর্মির সঙ্গেই থাকবেন , নাকি কমন যে স্রোত আছে তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন?
এই নিয়ে কনফিউশন তৈরি হলো তার মধ্যে। তিনি এই কনফিউশন দূর করতে পারলেন না।
(তিনি কনফিউসড ছিলেন নাকি পাক আর্মীকেই সমর্থন করে গেছেন শেষ পর্যন্ত, সেটাকে হুমায়ুন আহমেদ খানিকটা টুইস্ট করে বলেছেন।)
এক্ষেত্রে তার যেমন দোষ ছিল, আমাদেরও ছিল। কারণ আমরা তাদের বোঝাতে পারিনি। কনফিউশন দূর করাতে পারিনি। তিনি মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে। এখন আমরা তাকে ক্ষমা করব কি করব না সেই প্রশ্ন। শেখ মুজিব সাহেব তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। আমি ক্ষমার পক্ষপাতি। ”(ঘরে-বাইরে হুমায়ূন আহমেদ হাজার প্রশ্ন, পৃ.৩১-৩২)
মুক্তিযোদ্ধা পিতা এবং রাজাকার নানার চরিত্র হুমায়ুন আহমেদের ভেতরে চমৎকার ভাবে মিলে মিশে ঢুকে গেছে বললে সম্ভবত খুব ভুল বলা হবে না। আমার লেখার পরবর্তী অংশে আমি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো কেন আমি এই কথাটুকু বললাম।
হুমায়ুন আহমেদ জনপ্রিয়তা রক্ষার কলাকৌশল খুব ভাল ভাবেই রপ্ত করেছেন। তার সাহিত্যের মান এখন কতটা উন্নত, তা সাহিত্যবোদ্ধাদের হাতে ছেড়ে দিতে হচ্ছে, তবে প্রতিবছর তিনি যেই হারে কেজিদরে একই জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাঠককে খাওয়াচ্ছেন, তা দেখে তার নির্লজ্জ ব্যাবসাবুদ্ধি এবং নিজের নাম ভাঙ্গিয়ে পাঠকের সাথে প্রতারণার দায়ে তাকে অবশ্যই অভিযুক্ত করা যায়। তার এক শ্রেনীর ভক্ত তৈরি হয়ে গেছে, তারা তাকে রীতিমত পীর পুজা শুরু করে দিয়েছে। কোথাও হুমায়ুন আহমেদের কোনরুপ সমালোচনা হওয়া মাত্রই তারা জিহাদী জোশে সমালোচকের উপরে ঝাঁপিয়ে পরছে, তাকে আক্রমন করছে। এটা কোন সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থা নয়। লেখক তার লেখা লিখবে, সমালোচক তার সমালোচনাও করবেন। এই পীর পুজা এবং ভক্তবাদের বান ডাকা আবেগ উচ্ছাস হুমায়ুন আহমেদকে ক্রমশই অহংকারী করে তুলছে, বর্তমানে তিনি ভেবেই নিয়েছেন তিনি যেই ছাই পাশই লিখুন না কেন, পাঠক হামলে পরেই তা গলধকরণ করবে! হচ্ছেও সেটা।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া পিতার সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী নানার বংশধর এই জনপ্রিয় সাহিত্যিক একবার তিনি জামায়াতের শীর্ষপর্যায়ের এক নেতার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। এই নিয়ে শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক মুনতাসির মামুন জনকন্ঠে একটি কলাম লিখেছিলেন। পরে যার কারণ হিসেবে হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন, ঐ জামাতের নেতার পুত্র তার ভক্ত, তাই তিনি গিয়েছিলেন। অথচ কি আশ্চর্য, ঢাকার শনির আখড়ার খেটে খাওয়া দিনমজুরের পুত্রও হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত, এরকম হাজারো হত দরিদ্র ঘরের কিশোর তরুণ পাঠক তার ভক্ত, তাদের বাসায় কখনও এই ধনী কথাশিল্পীর পদস্পর্শ পরলো না।
জোছনা এবং জননীর গল্পে তিনি লিখেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের সেই ভাষণটা শেষ করেছিলেন “জয় বাংলা, জিয়ে পাকিস্তান” বলে। অথচ ৭ মার্চের ভাষণকে আমরা জানি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষিত সনদ হিসেবে। অন্যান্য আরো কয়েকটা জায়গায় এই কথাটা বলা আছে(শামসুর রাহমান, নির্মল সেনের জীবনীতে), তবে এটা কতটা অথেন্টিক, তা জানা যায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণটির সাথে ‘জিয়ে পাকিস্তান’ কোনভাবেই উচ্চারিত হতে পারে বলে মনে হয় না।
এরপরে আমরা অত্যন্ত হতাশার সাথে দেখলাম, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সম্পর্কে ভয়ংকর রকম একটি অসতর্ক মন্তব্য দিয়ে হয়তো এক বিশেষ শ্রেনীর পাঠকের প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছেন, নিজের ভক্তকুলও বৃদ্ধি করেছেন। প্রগতিশীল ধ্যান ধারণার মানুষরা তো তার এমনিতেই ভক্ত, তিনি যা খাওয়াবেন সেটাই আমরা খেয়ে নেবো। তাই তিনি আর প্রগতিশীল সেক্যুলার ধ্যান ধারণার মানুষদের মন রক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করছেন না। তার দৃষ্টি এখন গিয়ে ঠেকেছে বাঙালী পাঠকের সেই অংশের দিকে, যারা হয়তো এখনও বই পড়া ভালভাবে শেখেনি। তাদের সংখ্যা ব্যাপক এবং তাদের কাছে দুটো বই বিক্রি করার জন্য শহীদ জননীকে অসম্মান করতেও দ্বিধা হয় না আমাদের এই জনপ্রিয় সাহিত্যিকের।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দেশদ্রোহিতার মামলা নিয়ে দিনের পর দিন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের অমৃতবচন,
“ওনাকে কেউ তো খুন করেনি। উনিতো ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। ওনাকে দেশদ্রোহী কখনোই বলা হয়নি। দেশদ্রোহী কথাটা ভুল ইনফরমেশন। তার বিরুদ্ধে কখনোই দেশদ্রোহীর মামলা হয়নি। তাছাড়া পুরো ব্যাপারটিই ছিল এত তুচ্ছ, আমরা জানি যে, পুরোটাই ছিল একটা সাজানো খেলা।… বাংলাদেশে মৌলবাদের সমস্যা- বড় কোনো সমস্যা এখনো হয়নি। জনগণ যদি ভোট দিয়ে মৌলবাদীদের নির্বাচন করে, তাহলে গণতান্ত্রিকভাবে কি তাদের বাদ দেওয়া যায়? হোক না তারা মৌলবাদী।”
তার এহেন বক্তব্যের উত্তরে শাহরিয়ার কবীর বলেছিলেন,
“জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল না, এটা বলা হুমায়ূন আহমেদের অজ্ঞতা। জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছিল, আমিও একজন আসামি ছিলাম। জাহানারা ইমামের বিষয়টি সাজানো খেলা, এটা অত্যন্ত আপত্তিকর কথা। ওই আন্দোলনের জন্য ওনাকে পুলিশ রাস্তায় পিটিয়েছে, হাসপাতালে যেতে হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এত বড় আন্দোলন আর কখনো হয়নি। জামায়াত শিবির ও যুদ্ধাপরাধীরাই এটাকে কেবল সাজানো খেলা বলতে পারে। হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন লেখকের এ ধরনের বক্তব্য জামায়াত শিবিরের পক্ষেই যায়।”
যেভাবেই হোক, যেমন করেই হোক, বইয়ের পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি করতেই হবে। আর তার জন্য স্রোতের সাথে সাথেই এগুতে হবে। তার এই কৌশলটি বাঙলার লেখক শ্রেনীর চরিত্র কিভাবে নষ্ট করবে, তা সহজেই অনুমেয়!
শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদের উপরে সেই ভয়াবহ চাপাতি আক্রমনকেও তিনি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া বলে পরোক্ষভাবে রায় দিয়েছিলেন! একজন লেখক যখন আরেকজন লেখকের উপরে নৃশংস চাপাতি আক্রমনকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন, তখন বুঝতে হয় তিনি সম্ভবত মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন, অথবা হুমায়ুন আজাদের বিপক্ষ শিবিরের বাহাবা কুড়াবার কামনায় এসব বলছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ
“তাহলে হুমায়ুন আজাদকে মরতে হলো কেন?” -এর জবাবে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের এককালের বন্ধু ও সহকর্মী হুমায়ূন আহমেদ বলেন,
“কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।”
হুমায়ুন আহমেদের অধিকাংশ পাঠকই তরুণ তরুনী বা কিশোর কিশোরী, যারা এত প্যাচ ঘোচ বোঝে না। সাহিত্যের বিশুদ্ধতা বা উচুমানের সাহিত্য নিয়ে তাদের খুব বেশি আগ্রহও নেই। তারা চায় একটু সস্তা বিনোদন, অবসরটুকু ভালভাবে কাটাবার জন্য একটা সময় কাটানোর মত বই। তারা এই কথাটি পড়ে কি শিখবে? তারা শিখবে, এরপরে যখন তাদের কাছে কোন বই বা গ্রন্থ কুৎসিত মনে হবে, তারা তাদের ধার দেয়া চাপাতিটা নিয়ে তার লেখকের উপরে ঝাঁপিয়ে পরতে পারবো। তাকে কোপাতে পারবো, রক্তাক্ত করতে পারবো! কারণ হিসেবে তারা বলবে, লেখাটি এতটাই কুৎসিত ছিল যে আমরা এটা পড়ে তাকে কোপাতে বাধ্য হয়েছিলাম।
আমরা সর্বদাই বলে থাকি, লেখার বিরুদ্ধে লেখনীকেই শক্তিশালী করতে হবে। যুক্তির বিপক্ষে যুক্তি আর কথার বিরুদ্ধে কথা। কোনমতেই কারো বাক-স্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ কোন সাফল্য নিয়ে আসে না। ধরে নিচ্ছি হুমায়ুন আজাদের সাহিত্য খুবই নিম্নমান সম্পন্ন, কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের লেখা যদি উচ্চমান সম্পন্নই হয়ে থাকে, তবে তিনি তার সুরুচি দিয়েই সেটার প্রতিবাদ করে তাকে বাতিল করে দিতে পারতেন। সেটা না করে তিনি সেই চাপাতিবাজ মৌলবাদীর চাপাতি মারাকেই যেভাবে সত্যায়িত করেছেন, সেটা সত্যিই আর মুখোশের আড়ালের মানুষটাকে বের করে দেয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তার সাহিত্য বা চলচিত্র একটু বুদ্ধিমান পাঠক বা দর্শক অনেকের মনেই দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে। খুবই আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করতে হয়, তার উপন্যাস বা চলচিত্রে ‘রাজাকার’ বলে কোন চরিত্র নেই। রাজাকার আলবদর আলশামস এই বাহিনীগুলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইসলাম এবং পাকিস্তানের নাম ভাঙ্গিয়ে ইতিহাসের অন্যতম গনহত্যার সহযোগীতা করেছিল। এই রাজাকার আলবদর আলশামস গোষ্ঠির চক্রান্তে ১৪ ডিসেম্বর আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা নির্মমভাবে নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হুমায়ুন আহমেদ সাহেব শর্ষিনার রাজাকার পীর সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে সেই রাজাকারের আশ্রয়ে পুরো পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার ঋণ শোধ কিনা জানি না, তিনি তার সাহিত্য এবং চলচিত্রে রাজাকার আলবদরদের সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন। ইসলামী ভাবাদর্শের রাজাকারদের দেখালে আমাদের ধর্মপ্রান মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে কিনা, তার পাঠক সংখ্যা কমে যায় কিনা, সেই ভয়ে তিনি গোপন করে গেছেন রাজাকারদের কর্মকান্ড।
একজন সেক্টর কমান্ডারের নাম এসেছে তার “জোছনা এবং জননীর গল্পে”; অবাক হয়ে দেখতে হচ্ছে, শুধুমাত্র মেজর জিয়া এবং তার স্ত্রীর নাম। অন্য আরো অনেক জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, তাদেরও স্ত্রী পুত্র ছিল। অথচ তারা হুমায়ুনের বইতে স্থান পাওয়ার মত যোগ্য হয়ে ওঠেন নি, কারণ মেজর জিয়ার নাম দেয়া হলে একটা রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকের সহানুভূতি পাওয়া যাবে, সেই দলের সমর্থকদের কাছে বইটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে। অন্য সেক্টর কমান্ডাররা পরে প্রেসিডেন্টও হন নি, বড় রাজনৈতিক দলও বানাতে পারেন নি। তাই হুমায়ুনও তাদের কথা এড়িয়ে গেছেন সচেতন ভাবে।
চ্যানেল আইয়ের এক সাক্ষাৎকারে তারই ছোটভাই জাফর ইকবাল সাহেব এ উপন্যাসের ব্যাপারে বলেছিল, ‘চরমভাবে আশাহত’! ‘রাজাকার’ ‘১৯৭১’ এ উপন্যাসে নেই, ‘আগুনের পরশমনি’তে নেই, ‘আনিল বাগচীর একদিন’ এ নেই, ‘শ্যামল ছায়া’তেও নেই(শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রে আছে একজন, এবং সে কিছুক্ষণ পরেই ভালো মানুষ হয়ে যায় নৌকা যাত্রীদের সাহায্য করে)।
এই সেদিন তিনি একটি লেখাতে বলেছেনঃ
“পৃথিবীর কোথাও আমি ছাত্রদের এবং শিক্ষকদের রাজনৈতিক দল করতে দেখিনি। এই অর্থহীন মূর্খামি বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার। এই মূর্খদের মধ্যে আমিও ছিলাম। ড. আহমদ শরীফ এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অতি শ্রদ্ধেয় দুজন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাদা দলে ইলেকশন করেছি। এখন নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়। মূর্খ মনে হয়। আমাদের ক্যানসার ইনস্টিটিউটে মূর্খদের প্রবেশাধিকার নেই।”
আহমদ শরীফ এবং সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কে এবং তাদের অবস্থান কোথায়, এটা আমাদের দেশের সচেতন নাগরিক মাত্রই জানেন। এখানে সাদা দল এবং শিক্ষক রাজনীতিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেটা পড়লেই যে কারো মনে হবে, আরে তাই তো। হুমায়ুন আহমেদ সাহেব তো ঠিকই বলেছেন। আহমদ শরীফ এবং সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীদের মত মর্খ এবং ক্ষুদ্রের চেয়ে হুমায়ুন আহমেদ অনেক বড়, আহমদ শরীফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাদা দলে ছিলেন, সুতরাং তারা মোটেও ভাল লোক হতে পারেন না।
হুমায়ুন আহমদের বক্তব্য যে মিথ্যা, তা প্রমাণ করতে খুব পন্ডিত হতে হয় না। পশ্চিম ইউরোপ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছাত্র-শিক্ষকের রাজনীতি আছে। বাঙলাদেশের রাজনীতির সাথে সেই রাজনীতির গুনগত পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ছাত্র শিক্ষকরা নির্বাচিত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ভুমিকা রাখছেন।
আজকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল বলে যাদের চিনি, অর্থাৎ যারা বিএনপি সমর্থকগোষ্ঠী এবং রাজনীতি করে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিকে নষ্ট করে দিতে গুরুত্ত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন (আওয়ামী গোষ্ঠীও সমান ভাবেই এই অপকর্মের জন্য দায়ী), কিন্তু এই অবস্থা সবসময় ছিল না। একটা সময়ে খুব প্রগতিশীল শিক্ষকগন সাদা দলের সাথে ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ক্রমশ এই সাদা দলটি বিএনপি জামায়াত মনষ্ক শিক্ষকদের দলে পরিণত হয়, এবং এখনকার অবস্থা দিয়ে কোনভাবেই সেই সময়ের রাজনীতি বোঝা সম্ভব নয়।
বিরাজনীতিকীকরণের হুমায়ুন আহমেদীয় প্রচার প্রপাগান্ডায় আমাদের তরুণরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। ফেসবুকে ঢুকে কারো প্রফাইল ঘাটলেই দেখা যায়, “আই হেইট পলিটিক্স”; রাজনীতি সম্পর্কে এই ধারণা সৃষ্টি আসলে যে রাজনীতির নষ্ট চক্রটাকেই টিকিয়ে রাখছে, লালন পালন করছে, সেটা বুঝতে বেশী কষ্ট করতে হয় না। আমাদের ‘সুশীল’ এবং ‘ভদ্রলোকরা’ রাজনীতিকে নষ্টদের হাতে ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিকে নোংরা বলে যখন হলুদ পাঞ্জাবী পরে রাত্রে বেলায় রাস্তায় ঘুরে মহাপুরুষ মহাপুরুষ খেলায় মেতে ওঠেন, চাদনী রাতে নগ্ন হয়ে জোছনায় গোছল করেন, আর আমাদের তেল গ্যাস পাচার হয়ে যায় পাশের দেশে, নদীকে কৌশলে হত্যা করে দেশকে মরুভুমি বানাবার ষড়যন্ত্র হয়, আর তারা চুপ করে থাকেন, এসব আমাদের তরুণদের উপরে আসলে কি প্রভাব ফেলছে সেটা ভেবে দেখা জরুরী।
এসবের পরেও হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে অপবিজ্ঞানের চর্চা, কুসংস্কার জিয়িয়ে রাখার চেষ্টা, রহস্যময়তার নামে আজগুবী কেচ্ছাকাহিনী পাঠককে গেলানোর কথা না হয় নাই বললাম। হ্যা, তার অবশ্যই বাক-স্বাধীনতা থাকবে, সেই সাথে আমাদেরও স্বাধীনতা থাকতে হবে তার সমালোচনা করার। তিনি যা গেলাবেন আমাদের সেটাই গিলতে হবে, তিনি ক্রমশই মৌলবাদ আর ধর্মান্ধতার পক্ষে পরোক্ষ অবস্থান নেবেন আর আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত তার রাজাকার নানার আদর্শ তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে জাগ্রত হয়ে উঠবে আর তা দেখে আমাদের হাততালি দিতে হবে, এতটা মূর্খ তিনি জনগনকে ভাবতে পারেন না।
সবশেষে হুমায়ুন আহমদেরই গুরু, তাকে তুলে নিয়ে আসায় যার অবদান অনস্বীকার্য, সেই প্রয়াত বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফার একটি সাক্ষাৎকারের অংশ তুলে দিতেই হচ্ছে।
আহমদ ছফাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি কী মনে করেন হুমায়ুন আহমেদ এখন শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের সমান জনপ্রিয় লেখক?”
জবাবে আহমদ ছফা মুচকি হেসে বলেছিলেন, “হুমায়ুন আহমেদ এখন শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের চেয়েও জনপ্রিয় লেখক। কিন্তু মেরিটের দিক দিয়ে সে নিমাই ভট্টাচার্যের সমান। হি রাইটস ওনলি ফর বাজার!”
মন্তব্য…তূর্য রায় আমি আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত।
আমি যতদূর জানি যে সাহিত্যে সবসময় রাজনীতি-সেক্স থাকবে তা নয়,সবসময় যে গণসাহিত্য রচনা করতে হবে এটাও একটা ভুল ধারণা।রাজনীতি-সেক্স সাহিত্যের কিছু উপাদান মাত্র। এডগার এল্যান পো’র ছোটগল্প The tell tale heart এ আপনি বোধহয় কোনো রাজনীতি খুঁজতে যাবেন না কিংবা সত্যজিত রায়ের কোনো লেখাতেই আপনি সেক্স খুঁজে পাবেন না।পাঠক যা নিতে চাইবে তাই সাহিত্য,ভালো লাগলে পড়বে,না লাগলে দূরে ছুড়ে ফেলবে।আর পুস্তক ব্যবসায়ী বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন? জনপ্রিয়? সস্তা? জনপ্রিয় মানে কিন্তু সস্তা নয়।সব লেখকের লেখাই বাজারে পাওয়া যায়,সেদিক থেকে সব লেখকেরাই বাজারিয়া,সস্তা আর হুমায়ূন আহমেদের বই একটু বেশী বিক্রি হয় বলে তিনি একটু বেশী বাজারীয়া,বেশী সস্তা!
আমি এটাই বলবো যে তিনি কোন প্রথাবিরোধী লেখক ছিলেন না,তিনি কোনো কাল অতিক্রম করেননি,আর তিনি অন্যকারো দ্বারা খুব একটা প্রভাবিতও ছিলেন না,তিনি কোনো ইজম দিয়ে সাহিত্য রচনা করেন নি।আমি বলবো তার ছোটগল্পগুলো মাস্টারপিস,বাংলা সাহিত্যের অমূল্য রতন,তার লেখায় মাদকতা আছে,স্পর্শকাতরতা আছে।আর নন্দিত নরকে বাংলা সাহিত্যের একটি মাইলফলক,সেন্টিমেন্টাল মধ্যবিত্তের সূক্ষ্ণ টানাপোড়েন তার লেখায় খুব গভীরভাবে আছে।তার অনেক লেখা ছুড়ে ফেলতে পারেন(যাকে কিনা আপনারা সস্তা,বাজারিয়া বলেন) কিন্তু লেখক হুমায়ূন আহমেদকে ছুড়ে ফেলা সম্ভব নয়।
Yes.
হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক ছিলেন। বিশেষ করে ওনার কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর আমি খুব ভক্ত ছিলাম। তাঁর মান নিয়ে কোনো কথা বলার জায়গা এটা নয়। লিখতে বসেছি আপনার লেখা পড়ে তাঁর রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ, হুমায়ুন আজাদ ও জাহানারা ইমাম সম্পর্কে কুৎসিত মন্তব্য পড়ে যে ধাক্কা খেলাম তাই জানাতে। আশ্চর্য লাগছে যে এসব খবর কী করে আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। পাকিস্তান সমর্থন অনেকেই করেছেন বিশেষ করে যাঁরা পশ্চিম বাংলা থেকে এসেছেন, যদিও ভুল যুক্তি থেকে। হিন্দুরা দোকানে ঢুকতে দেয় না-র মতো হাস্যকর যুক্তি নিয়ে পরে কথা বলা যেতে পারে। আমার আব্বাও এঁদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু ২৫শে মার্চের ভয়াবহতা দেখে সেদিনই তিনি মত পরিবর্তন করেন। তারপর কোনোদিন তাঁকে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলতে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। হুমায়ূন আহমেদের নানাকে সেই ভয়াবহ গণহত্যাগুলো নাড়াতে পারেনি। হুমায়ূনের কথাতেই রয়েছে তার চরম সাম্প্রদায়িক উদাহরণ, নানার খারাপ লেগেছে এই কারণে যে, পাকবাহিনী হিন্দুদের তো মারছে না, মুসলমানদেরও মারছে। অর্থাৎ শুধু হিন্দু মারলে ঠিক ছিল। যাই হোক, হুমায়ূন আহমেদের কুৎসিত চেহারাটি জানা হলো আপনার লেখা পড়ে। দেরীতে হলেও।
হুমায়ুন আহমেদ উঁচু মানের সাহিত্যিক না তবে তিনি প্রচুর পাঠক তৈরী করেছেন। যেটা আজাদ সাহেব পারেন নি। আজাদ সাহাবের পাক সারজমিন সাদ বাদ বলতে গেলে বলতে হয় যে এটা একটা নিম্ন মানের পর্ন সাহিত্য। বইটার শেষে রাজাকারকে তিনি ভাল মানুষে পরিনত করেছেন যা আমরা ১৯৭১ এর ইতিহাস ঘাটলেই জানি যে কোন রাজাকারই ভাল হয়ে যায়নি। আহমেদ সাহেব রাজাকার শব্দটি তার একটি ধারাবাহিক নাটকে বলেছেন। সেক্টর কমাণ্ডারদের মধ্যে তিনি খালদ মোশাররফ এর কথাও বলেছেন। তিনি তার নানার প্রশংসা করলেও তিনি কোথাও তার নানার কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন এটা পাই নি। তার কঢেকটা বই আমার কাছে কালোত্তীর্ণ মনে হয়েছে।আমরা সামান্য পাঠক, কিন্তু আপনি লেখক এবং সমালোচক, আপনার উচিৎ ছিল তথ্য সঠিকভাবে দেয়া।
হুমায়ুন আহমেদর কিছু বই পড়েছি, কিন্তু তা আমার কাছে ব্যাক্তিগত ভাবে কখনো অন্য গণ্য লেখকদের সাহিত্যর কাছাকাছি মনে হয় নি।
এক একটি বই পড়ার পর মনে হয়েছে হালকার উপর ঝাপসা চটি বই।
উনি লিখেছেন মেপে মেপে যা তরুন সমাজ পড়তে চায়।
(যা কে এখন কার দিনের ব্যবসাহিক সিনেমার সাথে তুলনা করা যায়।)
মাঝে হাসি লাগে এসব বই এর নিয়মিত পাঠক (যারা অন্য কোন লেখা পড়েন না) যখন নিজেদের, আগের যুগের পাঠকের সাথে তুলনা করে। হালকার উপর ঝাপসা চটি বই না পড়ে আসল জিনিষই পড়ুন।
আমার সমরেশ মজুমদার, সুনীল চন্দ্র চট্টপ্যাধায় (বাংলাদেশ থেকে) এক কিছু বই এর কিছু ঘটনা এখনো সিনেমার মতে চোখে ভাসে। যেসব বই শুধু টাকা উপার্জনের জন্য লেখা নয়।
অথচ হুমায়ুন আহমেদর বই এক কিছু বাজে শব্দ ছাড়া কিছু মনে পরে না।
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
হুমায়ুন আহমেদ কি নিজেকে কক্ষনো নিজকে বুদিজিবি বলেছেন? কেও কি তাঁকে বুদ্দিজিবি বলে সম্বোধন করেছেন? তাহলে যে বুদ্দিজিবিই ছিলেন না তিনি পতিত হবেন কেন? বরং আসিফ ই বুদ্দিজিবির ক্লাবে ঢুকতে চেষ্টা করছেন
আমি হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত,তাই বলে সমালোচনা গুলু ফুঁৎকারে উরিয়ে দিতে ছাচ্চি না। আমি যত টুকু জানি হুমায়ুন জাহানআরা ইমাম কে শ্রদ্ধা করতেন, এবং জাহানারা ইমামের কথায় তিনি রাজাকারের পত্রিকা ইনকিলাবে লেখা বন্ধ করে দেন এবং প্রতি মাসে পাঁচ হাজার করে টাকা তিনি ঘাধানিক এর তহবিলে দিতেন।
আর সাহিত্য বলতে কি বুজায়? কেন হুমায়ুন আহমেদের লেখা সাহিত্য হবে না? সৈয়দ সামশুল হক লিখলে সাহিত্য হবে হুমায়ুন লিখলে কেন হবে না? আখতারুযযামান ইলিয়াস চিলে কোঠার সেপাই- সাহিত্য হবে তাহলে তার তা কেন হবে না? মানিক বন্দপাদ্ধায় পদ্মা ন্দির মাঝিতে কুবের যখন তার বউএর সাথে সেক্স করে সেটা নান্দনিক হবে আর আমাদের দেলোয়ার ঝন্তু ক্রলী সেটা অশ্লীল হবে, তাই না ? শরৎচন্দ্র লিখলে সেটা মহা সাহিত্য হবে, কেননা সেটা সাধু ভাষায় লিখিত বলে? সেটা তে শুধু সমাজের দুঃখ, বেদনাম কষ্ট এগুলু উঠে আসে বলে? কেন হাসি তামাশা কি সাহিত্যের অঙ্গ হতে পারে না? সাহিত্য মানে কি গুরু- গাম্ভীর্য ? হুমায়ুন যদি অর্থের জন্যই লিখেন, অন্যায় তা কোথায়? শরৎচন্দ্র কি অর্থের জন্য লিখেন নাই? তার পেশা কি ছিল? অর্থের জন্য লিখলে সাহিত্য হবে না এটা কোন অভিদানে আছে? অর্থের জন্য হুমাউয়ন ফরিদি সিনেমা তে অভিনয় করেছে তাই বলে তার তা অভিনয় ধরা হবে না? যে লোকটি একটি যুব সমাজ কে বই পড়ার মধ্যে নিয়ে এসেছেন, যার দ্বারা একটি প্রকাশানা শিল্প উন্নতি করেছে তার কি মূল্যায়ন হবে না । বাংলা সাহিত্যের কি এমন ক্ষতি করেছেন তিনি। একজন লেখকের সব বই ভাল মানের হয় না, সব বই কালজয়ী হয় না, তার ক্ষেত্রে ও তাই হয়েছে। সুনিল গংপাদ্ধায় যা লিখবেন তাই সাহিত্যে স্থান করে নিবে, তাই বিরাট সাহিত্য হয়ে যাবে, এই ধারনা পরিবর্তন করুন।
ভাল
@ আসিফ মহিউদ্দিন
নিচের লেখাটা একটু পড়ে দেখতে পারেন। আদিল মাহমুদের লেখা।
এই ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বিষয়টি হুমায়ুন বই এর শুরুতে ভূমিকা (পূর্ব কথা) আকারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিছু ঐতিহাসিক বিভ্রান্তি বর্ননা করার সময় ব্যাখ্যা করেছেন। তার জবানীতেই শোনা যাক ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বিষয়ে আসলেই তিনি ‘জোছনা ওঁ জননীর গল্প’ বইতে কি লিখেছিলেন।
যখন কোন লেখা লিখবেন, তখন যদি দয়া করে পুরাপুরি রিসার্চ করে নেন তবে মনে হয়না যে এই সব সমস্যা গুলো হয়। এতে পাঠক বিভ্রান্তও হন না।
আবার দেখেন আপনি বলেছেন,
এখানে কিন্তু ইনাদের পূজনীয় আসনে বসানো হল।যদি কেউ কারো ভুল সমালচনা করেই থাকে, তবে বিখ্যাত লোক বলে কেন কাউকে কাউকে বেশি সমীহ করে কথা বলতে হবে, আর কেনই বা যারা কম বিখ্যাত এবং বিশেষ কেউ নন, তাদের ক্ষেত্রে সমান ট্রিটমেন্ট দেয়া হবে না, সেটা জানার ইচ্ছে ছিল।
ইনারা দুজন যে অবস্থানে আছে, রবীন্দ্রনাথের অবস্থান কিন্তু, তাঁদের চেয়ে অনেক অনেক উপরে, যদি আপনি খ্যাতি আর যোগ্যতার মাপকাঠিতে মানুষকে বিচার করেন।
বলে রাখা ভাল যে মুক্ত মনাতে কিন্তু কবিগুরু কে নিয়েও কাঁটা ছেঁড়া হয়েছে, আর এটা হতেই পারে। কারো আপত্তি থাকলে যুক্তির সাহায্য ডিফেন্ড করাটাই মনে হয় শ্রেয়তর ( তাঁদের খ্যাতি বিচারের চেয়ে)। ধন্যবাদ।
আসিফ মহিউদ্দীন……..রবি ঠাকুরের সমকক্ষ ব্যক্তি।
বই কি ফ্রী দিবে? পৃথিবীর কোনো লেখক কি বই লিখেন নিজে পুঁজো দেয়ার জন্য!! চেহারায় আঁতেল ভাব আছে মি.আসিফের তাই নিজেকে শুশীল ভাবতেই পারেন। তবে হুমায়ুন আহমেদের ১০০ ভাগের এক ভাগ জনপ্রিয়তা অর্জন করে প্রমান করুন তারপর সমালোচনা করুন। ওনার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি এমন তথ্য কোথায় পেলেন জনাব!!! তার মৃত্যুর পরে জনতার ঢল দেখছেন নাকি ঘুমিয়ে ছিলেন??
আব্দুল গাফফার চৌ এর মতো মৃত্য ব্যক্তি নিয়ে টানতে মজা লাগে নাকি?
@মামুন, ভাই আসলে এসব আজাইড়া ফরফরানিতে ক্যান দেবেন না । এখানে অনেকেকেই দেখলাম তেলা মাথায় তেলের সাথে সাথে মবিল, পেট্রল , ডিজেল ও মাখাইতে । এসব মাথা মোটা হাদা দের দেখে হাব না কাঁদব বুঝতে পারছি না ।
একটা লম্বা মন্তব্য লেখার ইচ্ছা হচ্ছে কিন্তু আফসোস বাংলা ভালো লিখতে পাই না ।
@মামুন,
হুমায়ুন আহমেদের ১০০ ভাগের ১ ভাগ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে না পারলে যে তার সমালোচনা করা যাবে না, এমন কোন আইন মনে হয় না লিখিত আছে। সবাই সবার সমালচনা করতে পারে, এবং কেউই সমালোচনার উর্দ্ধে নন। তবে এখানে লেখক কয়েকটি “কিন্তু ” রেখে দিয়েছেন। দাঁড়ান আগে লেখাটা ভাল করে পড়ে নেই।এইমাত্র চোখে পড়ল লেখাটা নতুন পথিকের মন্তব্য দেখে।
@মামুন, দারুন বলেছেন
অপন্যাসের কারিগর
চমৎকার লেখা ! ধন্যবাদ আপনাকে !
আপনার উপর নরপশুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে শাহবাগের সমাবেশ মিছিলে অংশগ্রহন করা ছিল অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল মুক্ত মানুষের মুক্ত বুদ্ধির চর্চার অধিকার আদায় এর জন্য । আসলে এই লেখাটা পড়ে আপনার লেখার গভীরতা উপলব্ধি করতে পারলাম , এর আগে আপনার লেখা তেমন পরা হয়নি । আগ্রহটা ব্যাপক হয় মূলত কয়েকদিন আগে সমকালে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর কলাম পড়ে , যেখানে আপনার উপর আক্ক্রমন এবং রাজীবের হত্যা বিষয়ে লিখেছেন ।
আরও লিখুন , আপনার সাথেই আছি ।
অসাধারণ এই লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সময় এবং সাধারণ মানুষের চেতনা সকল অসৎ, প্রতারক এবং কপট লেখক এবং লেখাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
বাংলা সাহিত্যের স্বাভবিক স্বতস্ফূর্ততার ধারা’র এই ঘাতকের অন্তর্হিত কদর্যতার ব্যবচ্ছেদ করার জন্য তার লেখার বিভ্রান্তকর সাহিত্যমানের দিকে আরেকটু দৃষ্টিপাত খুবই সহায়ক হত। যাই হোক, যখন বিশ্বব্যাপী মানুষকে অন্ধত্ব এবং ভুল তথ্যের বেড়াজালে অবরুদ্ধ করার যে চেষ্টা চলছে, সেরকম একটা সময়ে এমন সাহসী লেখা দ্বিধান্বিত বাঙালি লেখকদের প্রেরণা যোগাবে।
সহমত। তবে হুমায়ুন যে বাংলার পাঠক কে বই মুখি করেছে এই ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? এর কারন কি মনে করেন?
:guli:
লেখাটা ভালো , গোছানো। হুমায়ুন আহমেদ তার সাহিত্য এবং উপন্যাসে ভুল ইনফরমেশন দিয়েছেন, এটা সমাজের জন্য ক্ষতির কারন হয়েছে। কিন্তু তিনি পাঠক কে বই পড়তে শিখিয়েছেন । যিনি লেখালিখি পেশা হিসাবে নিয়েছেন , তিনি কি কেবল সাহিত্য রচনা করবেন,না কি তার জন্য বইয়ের ব্যবসা করা আগে দরকার- এটাও ভাবতে হবে।
বাংলাদেশে আগে ছিল সেবার বই, এখন হুমায়ুন । হাহ………… :-s
অনেক ভালো বলেছেন। ইদানিং দেশের সরকার প্রধানেরা ও উনার সাথে দেখা সাক্ষাত করছেন। তিনি তো শেখ হাসিনার প্রশংসায় মুখর(!)। বই ব্যাবসা তো আছেই। দেশের একটা অংশকে তিনি ডুবিয়ে রেখেছেন মরীচিকার মধ্যে। ছেলেপেলেদের চেতনা ভোঁতা করার প্রচেষ্টা! সমাজের শাসন শোষণ নিয়ে কোন ব্রুক্ষেপ নেই, সবকিছুতেই রসিকতা।
হুমায়ুনের লেখা ভালো লাগে পড়তে, ব্যস…
আসিফের এই লেখাটাও ভালো লাগলো।
দু’জনকেই দরকার।
খুব ভাল লাগল আপনার লিখাটা পড়ে । আমাদের গ্রামের ভাষায় একটা কথা বলে “কই জমিদার আর কই চৌখিদার!!!” শরৎচন্দ্র হতে হলে আবার জন্মাতে হবে.
আসিফ ভাই আপনার লেখা আমার ভাল লাগে।
কিন্তু হূমায়ূন আহমেদ এর সবকিছু বানিজ্যিক নয়।
তার লেখা অন্তঃসার শূন্য না।
রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আমার জ্ঞান খুবই কম।
তবে একটুকু সময়ে যা দেখেছি এই অভিজ্ঞত টা খুব বাজে।
ছাত্রদের রাজনীতি করতে হয় না
রাজনীতি করতে হয় নেতাদের।
হূমায়ূন রাজনীতি তে interest না ও হতে পারে।
হূমায়ূন জিয়ার কথা লিখেছেন এটা সমালোচিত হওয়ার আগে মাওলানা ভাসানীর নাম মুছে ফেলা নিয়ে মন্তব্য হওয়া উচিত।
হূমায়ন আজাদদের গ্রহন যোগ্যতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া আর সম্বভ নয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সবার মাঝে একটা confusion ছিল এটা অস্বীকার করা যায় না ।
সময়ের কারনে কেউ কেউ রাজাকরে পরিনত হয়েছে এটাও আপনি অস্বিকার করতে পারবেন না।
যা নিয়ে আমি নিজেই confused তা নিয়ে strong মন্ত্বব্য করা দুষ্কর.
সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক না ও হতে পারে।
ধর্মীয় বিষয় গুলি নিয়ে সারা বিশ্ব নিয়ে ব্যবসায় করছে সেখানে কিভাবে আমরা ধর্ম নিরেপেক্ষ রাষ্টের জন্য অপেক্ষা করি।
আমরা যুদ্ধ অপরাধী দের বিচার চাই
এটা আমার আপনার সবার দাবি
হয়ত হূমায়ূন ও চায়
তবে আমরা কি এটা করতে পারব
আদৈ কি সকল জীবিত যুদ্ধ অপরাধী চিহ্নিত হয়েছে???
সাগর রুনি হত্যা
পিল খানা ট্রাজেডি
সরা দেশের নিরীহ বিডিআর দের Automated সাজা
কোন জিনিস টা আপনার কাছে ঠিক মনে হচ্ছে??
আপনি যদি শুধুমাত্র পাঠক বৃদ্ধির জন্যে এটা লিখে থাকেন তাহলে এ লেখাটাকে সাধুবাদ জানাতে পারলাম না।
হূমায়ূন লেখা সস্তার কাতারে পরে না
তার লেখা অনেক informative
Mobile Facebook জমানায় কেউ যদি বই পরে এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য
হোক না এটা বানিজ্যিক
আসলে তিনি আমাদের যা দিয়েছেন তা অনক।
হয়ত অন্য দিতে পারেনি, পারবে ও না।
ধন্যবাদ।
পড়লাম । কোন মন্তব্য করব না । হুমায়ুন আহমেদের আমি ভক্ত হলেও কোন বিষয়ে আমি তার সমালোচক । বঙ্গদেশে ঘেটুপুত্র কমলা ছবি দেখানোর পক্ষে আমি নই । gay sexেএর আমদানী ।
সেটা নিয়ে লেখাতে একটু হুমায়ুন ভক্তদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে । তাই নো কমেন্ট । 🙁
অনেক সুন্দর হয়েছে লেখাটা।
– এই কথাটার কি মানে হতে পারে, আপনি হয় নীল দল, নয় নিরেপক্ষ, নয় বিএনপি-জামাত সমর্থিত শিক্ষক, কথাটা খুব ঠিক কিন্তু নীল দল মানেই যে শুধু আওয়ামীলীগ না, (আপনি আওয়ামী গোষ্ঠী বলেছে), তেমনি সাদা মানেও বিএনপি গোষ্ঠি তথা বিএনপি-জামাত না। অনেক বিএনপি সমর্থক আছেন যারা জামাতের সাথে সম্পৃক্ত কতে চান না। কিন্তু খুব দুঃখজনক যে তারা জাতীয় রাজনীতির ধারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতেও নিয়ে এসেছেন। একসময় গোলাপী দল ছিল অনেকটা সমাজপন্থী শিক্ষকদের জন্য, আজ আর তা দরকার হয় না, নীল দল এখন আওয়ামী গোষ্ঠী। হুমায়ুন আহমেদ ২০ বছর আগের সাদা দলের সম্মানিত কিছু শিক্ষককে ছোট করে নিজে বড় হতে চেয়েছেন। উনি হয়তো নিজেকে এখনকার জামাত সমর্থিত সাদা দলের সাথে নিজের সম্পৃক্ততা ভেবে লজ্জা পান। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ ও কেন “তুমি আওয়ামী পক্ষের না, স্বাধীনতা পক্ষের না, তাই তুমি বিএনপি-জামাত, তাই তুমি স্বাধীনতার বিপক্ষের” এরকমই একটা ছি ছি ভাব নিলেন বুঝি না। আমি নিজেও শিক্ষক রাজনীতির বিপক্ষে, কিন্তু যতদিন এই অসহ্য ব্যবস্থাটা আছে, “সাদা মানেই খারাপ, সব নষ্টের গোড়া(নীল ও সমান ভাবে দায়ী)” এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করি না। অর্ধেক খারাপ তাই পুরা সিস্টেম খারাপ পক্ষদুষ্ট কথা, আসলে পুরা সিস্টেমই খারাপ।
হুমায়ুন আহমেদ এর ইদানিং(গত অনেক বছর ধরে) সব লেখাই প্রায় জঘন্য, কিন্তু তার ‘এপিটাফ’ বইটি আমার সবচেয়ে পছন্দের বইয়ের তালিকায়, বছরে আমি অন্তত একবার আগুনের পরশমনি দেখে ১ ঘন্টা কাঁদি, আমাদের বাসার সেলফ এ ‘নন্দিত নরকে’ এর প্রথম সংস্করন আছে, যা নিয়ে আমি খুবি গর্ব বোধ করি। কিন্তু সে যদি তার বিচ্ছিরি লেখা বন্ধ করে আমি খুব খুশি হতাম। কিছু মানুষ যখন তার বিচ্ছিরি লেখা পড়ে ভাবে হুমায়ুন আহমেদ মহান লেখক, তখন ভাবতেই কষ্ট লাগে এরা কেউ এপিটাফ পড়ে নাই। আমি হুমায়ুন আহমেদ কে অপছন্দ করি আমার প্রিয় বইয়ের “লেখক”-কে অর্থ, নারী, অপবিজ্ঞান, খ্যাতির তোড়ে খুন করে ফেলার জন্য। তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নাই। কিন্তু সে যখন ওগুলো নিয়েই বই এর পর বই লিখে তখন ঘৃণা হয় আমার, কষ্ট হয় এপিটাফ এর জন্য।
আলোচনায় অংশ নেয়া সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আপাতত একটু অসুস্থ থাকায় কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নাই, দু’এক দিনের মধ্যেই সবগুলো মন্তব্য পড়বো এবং বিস্তারিত উত্তর দেবো। আলোচনা চলুক এবং এই লেখাটির যতটা সম্ভব সমালোচনা অব্যাহত থাকুক, আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসছি। আর হুমায়ুন সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য হাতে এসেছে এর মধ্যে, সম্ভব হলে এইখানে করা বিভিন্ন প্রশ্ন এবং নতুন তথ্যগুলো নিয়ে আরেকটা পর্ব লিখবো এবং পরের পর্বে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কি পরিমাণ বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে হুআ অপবিজ্ঞান প্রচার করতেছেন তা ভাবতেই অবাক লাগে।
ক্যান্সার হচ্ছে কিছু খারাপ ধরনের জিনের বংশবিস্তারের ফল। :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@রনবীর সরকার,
এইজন্যই মনে হয় ইনি নতুন করে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তুলতে চাইছেন যেখানে বাতনি চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হবে।
ভাল জিনিস নামাইছেন আসিফ ভাই। শেয়ার দিলাম
@অরণ্য, হা হা সত্য কথা বলতে এত সংকোচ কেনো?
আপনাকে এমন কোনো ইম্প্রেশন দেয়া হয়নি যে আমি মুক্তমনার লেখক । আমার ব্লগে , আমার মূল্যহীন শিল্পকর্মকে আপনার ব্যবিসায়িক মনে হওয়ার, কারণ ও আমার জানা । শেষ পর্যন্ততো আমরা ব্যক্তিগত আক্রমনকেই স্মার্টনেস ভাবি ।
*** তবে হয়তো মুক্তমনাদের নিয়মকানুনের মধ্যে এটা পড়ে না । ***
হু আ ‘র পাঠক এমন কথা বলতেই পারে সেটাইতো স্বাভাবিক ।
শুভকামনা ।
@আসমা সুলতানা,
চমৎকার! 🙂
সবই দেখি আপনার জানা। অনেক জানে এমন মানুষ আমি দেখেছি, কিন্তু সব জানা লোক- এই প্রথম!
আর হাঁ। হু আ ‘র পাঠক এমন কথা বলতেই পারে সেটাইতো স্বাভাবিক। তবে সবজান্তা যে না পড়েই সমালোচনায় মুখর হন, এটা কিন্তু অস্বাভাবিক!
ফেসবুকে বন্ধুদের অগুন্তি শেয়ার দেখে লেখাটা পড়তে আসলাম। সেইরম জিনিস হয়েছে। 🙂
(Y)
এখনও অনেকে তাই করে। সবাই হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পাগল না। আপনি এখন কি করেন জানি না। বই মেলায় হুমায়ূন আহমেদ ছাড়াও হাজার হাজার বই বিক্রি হয় এবং হচ্ছে। আমি তো নিয়মিত আজিজ মার্কেটে যাই। সেখানে তো হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে মাতামাতির কিছু দেখি না।
আর আপনার লেখায় ভূমিকাটা আরেকটু কম দিলে ভাল হত।
কোনো কিছুর চরমপন্থী হলেই তাকেই মৌলবাদি বলা যেতে পারে।
চরম নাস্তিক হয়ে কাউকে অনর্গল আঘাত করাও এক ধরনের মৌলবাদী মনোভাবের পরিচয় বহন করে।
সুবিধা পেলে অনেকেই হুমায়ুন আহমেদ হতে বাকী রাখত না। টাকা বলে কথা।
@আফরোজা আলম,
(Y)
পরথম দিনেই তো বই বাহির হইল দুইটা…একটা আগেই পরছিলাম…ঈদ সংখ্যায়..মেঘের উপর বাড়ি…পুরানা পাগলামির প্রত্যাবর্তন..
আসলেই, ঐ কাল্পনিক হিমুকে আমাদের মাথা থেকে তাড়াতাড়ি ঝেড়ে ফেলা দরকার। ঐ আজগুবি হিমু কাহিনী পড়ে অনেকে নিজেকে হিমু বলে পরিচয় দেই। 😀 😀 😀 লাগে,ঐ হিমু পাগলাদের দেখলে।তাই বলি, হুআ পাগল ছাড়া কিছুই বানাই না।
লেখককে ধন্যবাদ (Y)
জ্ঞানপাপী হযরত হুআ সচেতনভাবেই অতিপ্রাকৃত এবং ধর্মীয় সুরসুরি দিচ্ছে। হুমু এরশাদ ভোটের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করত, আর হুআ বই বিক্রির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। এই দুই জনেরই বেশ কিছু অন্ধ ভক্ত আছে, যারা হুআ বা হুমু এরশাদকে পীরের মতোই অন্ধ আবেগে জড়িয়ে রাখে।
এ ব্যাটার বিজ্ঞান নিয়ে ভুলবাল লেখা, ধর্মীয় রাজনীতির পক্ষে সাফাই গাওয়া এবং হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্যের পরেও, যারা তার প্রেমে উতলা, সেই বেকুব বাঙ্গালদের প্রতি করুনা রইল।
আসিফ মহিউদ্দিনকে (F) , তার এই লেখাটির জন্য।
লেখাটি উদ্দেশ্যপূর্ণ কি-না বলতে পারবনা। তবে, হুমায়ুন আহমেদ সম্মন্ধে কিছু বলতে চাই। বিএনপি’র এই গত সময়ে হুমায়ুন সাহেব একটা মন্তব্য কলাম লিখেছিলেন প্রথম আলো-তে। বেশ রসালো কলাম। তিনি বলেছিলেন যে, নাজমুল হুদা তার মুক্তিযুধধের ছবি আগুনের পরশমণি তৈরির সময় অরথ সহায়তা করেছিলেন তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। এর প্রতিদানে উনি যখন-ই নুহাশ পল্লিতে যেতে চাইতেন তখন-ই তিনি নিজে এসে উনাকে বরন করতেন। কিন্তু একটা ফ্যাঁকড়া লেগে গেছে। নাজমুল সাহেব নাকি বলেছেন জামাত ৭১’এ কোন ভুল করেনি। এই কথার প্রেক্ষিতে হুমায়ুন সাহেব লিখেছেন উনি এখনও নুহাশ পল্লিতে স্বাগত কিন্তু আমি তাকে গ্রহন করতে পারবনা-উনি আসবেন দেখবেন, খাবেন চলে যাবেন।
মুক্তিযুধধ হৃদয়ের কতটা ঘভিরে গ্রথিত থাকলে এমন মন্তব্য কলাম আসতে পারে তা ভেবে দেখেছেন? একটা প্রজন্মের মগজ ধোলাই করে সস্থা সাহিত্য আর কলাম দিয়ে অর্থ উপার্জনের এমন নজির ইতিহাস হয়ে থাকবে।
রুহুল আমিন বাবুল স্যার একটি ঘটনা আমাকে বলেছিলেন সেটি পড়লে সবাই বুজবেন আহমেদ ছফা যেমন হুমায়ুন আহমেদকে প্রক্সি দিয়েছেন তেমনি সমালোচনাও করেছেন। তো ঘটনাটি হল জাতিয় গ্রন্থাগারের এক অনুষ্ঠানে হুমায়ুন সাহেব ছফা ভাইকে বলেছিলেন ছফা ভাই, জনপ্রিয় কিছু লিখেন যা পাঠক খায়। আর, উত্তরে ছফা ভাই বলেছিলেন, ছফারা বিড়ালের বাচ্চা প্রসব করেনা।
আর, এখন দেখছি বিড়ালের বাচ্চার জ্বালায় টিকে থাকাই দায়। বাঙালি সৃজনশীল প্রকাশনাকে অর্থ উপার্জনের এমন শিল্পে পরিণত করেছে যে এই বিড়াল কে হত্যা করবে তা ভেবে কূল পাচ্ছিনা।
@জামান,
গন্ডগোলটা এইখানেই। উনি একই সাথে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিমান করবেন আবার উনার উপন্যাসে কোনো রাজাকার চরিত্র রাখবেন না, রাজাকারদের পক্ষে সাফাই গাইবেন, জাহানারা ইমামকে কটাক্ষ করবেন, রাজাকার পুত্রের বিয়ে খেয়ে বেড়াবেন, ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিবেন…. এই রকম তেল মারা দ্বিমুখী চরিত্র(হীনতা) নীতিভ্রষ্টতার সামিল। এদের ব্যপারে এখনো সাবধান হতে না পারলে সেটা আমাদের ব্যর্থতাই হবে।
লেখা ভালো হয়েছে। কিন্তু হুমায়ুন আহমদের জনপ্রিয়তার জন্য অগনিত পাঠক কে একক দায়ী করা ঠিক হবে না। যার ভালো লাগবে তিনি পড়বেন, ভালো না লাগলে পড়বেন না।
যাই হোক বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলাম না।
অঃট; মুক্তমনায় অমর একুশের ব্যানার দেখতে পাচ্ছিনা কী ব্যাপার? বিষয়টার দিকে আডমিনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
এই সময়ে ব্লগ গুলোতে হুআ নিয়ে যত সমালোচনা হয়েছে তার মাঝে এই লেখাটাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত।
হুআ এর ব্যপারে লেখক যে যুক্তি গুলো দিয়েছেন এর বেশির ভাগই খুব জোরালো।
ভাল লেগেছে। (Y)
খেলার সাথে রাজনীতিকে মিলিয়ে ফেলা একটা বড় আপরাধ ।
অনেক ভাল লেগেছে দাদা…চালিয়ে যান (Y)
ক
লেখার অধিকার সবার আছে। লেখক তার লেখায় যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে শিরোনাম ব্যবহার করার অধিকার রাখেন, যেহেতু উনি লেখক। তাই লেখাটির শিরোনামের দিকে যাবো না।
অন্য প্রসঙ্গে আসি। ইহা যে সে লেখা নয় যথেষ্ট জ্ঞানগর্ভ সমালোচনাধর্মী লেখা। ইহাকেও এক প্রকার সাহিত্য বলতে হবে। একজন সাহিত্যিক দুঃখিত তাদের ভাষায় একজন অপন্যাসিক এর সমালোচনা লেখক এই পোস্টের মাধ্যমে করেছেন। ভালো কথা। কিন্তু শিরোনামের মতো জায়গায় ঐ অপন্যাসিক এর নামের ভুল বানান টা খুব করে চোখে লাগে। পোস্টে আরো অসংখ্য ভুল বানানের সাথে অনেক বার অপন্যাসিক সাহেবের নামের ভুল বানান লেখা হয়েছে। অন্য বানান গুলো ভুল কি শুদ্ধ ঐ দিকে বলা মনে হয় ঠিক হবে না। উনি যেহেতু বিশিষ্ট লেখক ওনার নিজস্ব বানানরীতি থাকতেই পারে। কিন্তু যার সমালোচনা করা হল তার নামের বানানটা ভুল। বিষয় টা কেমন না। আমি নিজেও যদি ভুল না করে থাকি তাহলে বোধ হয় শুদ্ধ বানান টা হবে হুমায়ূন আহমেদ।
খ
– এ বিষয়ে লেখকের কাছ থেকে তথ্যসুত্র দাবী করছি। যদি লেখকের সময় হয় তাহলে দয়া করে একটু তথ্যসুত্র জানিয়ে বাধিত করবেন।
গ
লেখক নিজে মনে হয় বইটি পড়ে নি; একবার পড়বার অনুরোধ রইল। নাচতে নেমে ঘোমটা দিয়ে লাভ নেই। সমালোচনা করতে এসে ধার করা তথ্য যাচাই বাছাই না করে ব্যবহার করাটা অনেকটা তথ্য সন্ত্রাসের পর্যায় পরে। আমার ভুল হলে আশা করি লেখক আমার ভুল ভেঙ্গে দিবেন।
ঘ
লেখকের কাছে পশিম ইউরোপের এমন কয়েকটি দেশের নাম জানতে চাচ্ছি। একটু বিস্তারিত যদি বলতেন এ বেপারে।
@আমরা চুশিল,
উত্তর এবং আলোচনা দেখার অপেক্ষায় আছি।
@আমরা চুশিল,
আcheap ভাই মুড়ি খেতে গেছে উত্তর দেয়ার টাইম পায় নাই…
@আমরা চুশিল, ঢাকার বাইরে যাবার কারনে সময় লাগলো। এখনও খুব ব্যাস্ত আছি, আশা করি আপনার সাথে ভাল আলোচনা হবে।
১। দ্রুত লেখা এবং পরে আর নিজের লেখা পড়ে দেখার ধৈর্য্যটুকু না থাকার কারণে কখনই বানানের দিকে খেয়াল দিতে পারি না। এই কারণে মুক্তমনাতেও কম আসি, তারপরেও খুবই দুঃখিত।
২। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং হুমায়ূন আহমেদের বহু লেখাতেই এটা পাওয়া যায়। উনারা বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করেছেন, আশ্রয় খুঁজেছেন। শর্ষীনার পীর সাহেব তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এইটা অনেক বইতেই বলা আছে, এই মূহুর্তে রেফারেন্স দিতে পারছি না, পরে অবশ্যই দেবো।
তিনি তরুন ছিলেন, তিনি যুদ্ধ করতে পারতেন। তা না করে তিনি তার কেমিস্ট্রি বই খাতা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন আর দেশে শান্তি আসার কামনা করছিলেন। মানলাম সকলের যুদ্ধে যেতে হবে না, কিন্তু তার বক্তব্যটুকু খেয়াল করে পড়ুন, অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।
“আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে কেমেস্ট্রির বইখাতা খুললাম। ধুলা ঝাড়লাম। সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে…আবারও কেমিস্ট্রের বইখাতা বন্ধ। …আসামি শেখ মুজিবর রহমান প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। আবার আমার স্বস্তির নিঃশ্বাস। যাক সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে। এখন ভাসানী কোন ঝামেলা না করলেই হলো। এই মানুষটা বাড়া ভাত নষ্ট করতে পারদর্শী। হে আল্লাহ, তাকে সুমতি দাও। সব যেন ঠিক হয়ে যায়। দেশ শান্ত হোক।” (মাতাল হাওয়া। পৃষ্ঠা নং: ১৯৫)
৩। মেজর জিয়া আর তার স্ত্রী(একসাথে), অন্য সেক্টর কমান্ডারদের কি স্ত্রী পুত্র ছিল না? তারা কি বিপদে ছিল না? এখানে মেজর জিয়া আর তার স্ত্রী এত বেশি গুরুত্ত্বপুর্ণ কিভাবে হয়ে উঠলো?
আমি জোছনা জননীর গল্প বেশ কিছুদিন আগে পড়েছি। এই লেখাটা লেখার জন্য হুমায়ূনের বই আবার খুলে পড়াটা সম্ভব ছিল না। এর কারণও আছে, হুমায়ূনের বই একবার পড়ার পরে আবার পড়ার মত শাস্তি মনেহয় আর কিছুতে নেই। আমার স্মরন নাই অন্য কোন কোন সেক্টর কমান্ডারের নাম ছিল। হয়তো অগুরুত্ত্বপুর্ণভাবে ছিল, তবে এতই হালকা ভাবে যে তাদের নাম আমার মনেই পড়ছে না। আর মেজর জিয়া আর তার স্ত্রীর নাম বেশ মনে পড়ছে।
পরে আবার আসছি।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আপনার দেখছি কিছুই মনে পরছেনা বা ভাল করে পড়া হয়নি। এমতাবস্থায় সমালোচনা লেখা যুক্তি যুক্ত হয়েছে কি? একজন মানুষ যিনি মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে দিন যাপন করছেন, কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়াই তার সমালোচনায় মুখর হওয়াটা শোভন হল কি?
আমার বাবা একটা গল্প বলেন, একদিন একজন ভুল করে বট গাছের বীজ খেয়ে ফেলেছিলো, কী আর করা?
কিছু দিন বাদে সেই লোকটির পেটের চামড়া ভেদ করে এক বিরাট বট গাছের জন্ম হয়। লোকটি ব্যাথায় কাতরাতেও পারছে না । কারণ তাতে তার ভুল ধরা পড়ে যাবে। সেটা সে জানাতে চাচ্ছে না । যখন সবাই জানতে চাইলো, তোমার কষ্ট হয় না? লোকটি উত্তরে বলতো ; আহা, মাথার উপরে কী ছায়া দিচ্ছে বটগাছটা দেখেছো ?
আমাদের সমাজের মানুষগুলো হলো সেই লোকটি মত, হু আ’ র ছায়াতেই তৃপ্ত । পেট ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কষ্ট এদের কাছে কিছুই না । হু আ কেমন লেখক বা কেমন ব্যক্তিত্ব সময়ই এখন প্রমাণ করে দিচ্ছে ।
ভালো লাগলো, শুভকামনা….
…. দু;খ জনক, যে দেশের মাটি হুমায়ূন আজাদের মত মেধাবী , সাহসী, চিরতরুন লেখকের রক্তে ভেজা, সেই দেশের মাটিতে হু আ’র মত লেখককে (? ) নিয়ে আদিক্ষেতা !!! …
আমাদের পক্ষেই কেবল সম্ভব এই ডাবল স্ট্যানর্ডাড !
শুভকামণা ….
হুমায়ূন আহমেদ এখন শুধু আজাইরা প্যাঁচাল পাড়েন তাতে সন্দেহ নাই। সময় কাটানোর জন্যে খারাপ না। যদিও দ্বিতীয় বার কেউ আর ঐ বই খুলেও দেখে না। তার বর্তমান লেখার শিল্পমান ঐটুকুই।
তিনি আমাদের দেশে বই প্রকাশ এবং বই বিক্রিকে একটি লাভজনক ব্যাবসায় পরিণত করেছেন।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ যদি টাকার কথা না ভেবে জনগনের তরে নিজেকে উজারও করে দিতেন নিজেকে তাহলে তার বর্তমান অবস্থা হত নিম্নরূপ_
আমরা ভাল লেখক, সাহিত্যিক বা শিল্পীদের করুন মৃত্যু দেখে যে কি মজা পাই তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যাই এনিয়ে। মৃত্যুর পরে আলোচনা সভা, স্বরণ সভায় চাপড়িয়ে টেবিল ভেঙ্গে ফেলি। এই আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ।
হুমায়ূন আহমেদ তার মত লেখেন। তিনি নিজের মেধাকে নষ্ট করছেন এক অর্থে। আবার ভিন্ন অর্থে তিনি টাকা উপার্জনে ভাল মেধার পরিচয় দিয়েছেন। অন্যদের এত মাথা বেথা কেন?
ভাল সাহিত্যিক কোথায় সব? কেন উঁচুমানের পণ্ডিত ব্যাক্তিরা চুপমেরে আছেন? হুমায়ূন আহমেদরা কেন সুযোগ পায় বাজার দখল করার? ভাল লেখা যদি লেখা হতো তা হলে মানুষ তা খুঁজে নিয়ে পড়ত। কাজের কাজ কিছুই নাই শুধু শূন্যতা সৃষ্টিতে সবাই উদগ্রীব।
হুমায়ূন আহমেদের ঐসব বস্তাপচা বই তবু কিছু মানুষ পড়ে। এবং আমি নিজের দেখেছি ঐ পাঠকের একটা বড় অংশের পড়ার মানুসিকতা তৈরি হয়ে যায়। অন্য লেখকরা যে ভাবে পাঠকদের পাঠ বিমুখ করতে জানপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাতে কিছুদিন পরে পাঠক জাদুঘরে স্থান পাবে।
@অরণ্য,
আচ্ছা এইটা কেমন প্যাচাল দেখুন তো। শুক্রবার মুসলমানদের পবিত্র দিন বলেই কি আমেরিকানরা ‘কালো শুক্রবার’ আবিষ্কার করল?
@অরণ্য, হুমায়ূন আহমেদ পাঠককে শুধু তার নিজের বই পড়তে শিখিয়েছেন । আমি একবার এসিয়াটিক সোসাইটির অনুদানের অনেক গুলো ভালো বই (যেগুলো অনেক পুরোনো বাংলা ও ইংরেজী সাহিত্যের ) বস্তা বেধে বিনে ফেলে দিয়ে, শেল্ফে হুমায়ূন আহমেদের বই সাজাতে দেখেছি । দু:খ জনক !
তবে কেনো অন্যরা এগিয়ে আসেন না এর ৫০% উত্তর আমি বলতে পারবো । আমি নিজে ছবি আঁকি সেই অভিজ্ঞতার আলোকে। আমাদেরকে যারা শেখাতেন তাদের মত লাল বা কালো দল হতে হবে , তাহলেই ভালো ফলাফল করা যাবে । ভালো ফল না করলে , সবাই জানবে কিভাবে কে ভালো আঁকে ? মাপকাঠি কি?
আবার এই একি শিক্ষকরাই থাকতেন শিল্পকলায় বা অনান্য আর্ট কম্পিটিশনের বিচারকার্যের দায়িত্বে … বা কোনো গ্যলিারীতে শিল্পকর্ম জমা দেবেন …এরাই সব জায়গাতেই !
আমার মত যারা কোনো দলের না তারা কোথায় যাবেন? আবশ্যই নিজেকে গুটিয়ে নেবেন । কারণ আমার মত অনেকেই চাইবেন না এদের মত মনমানসিকতার কাওকে সহকর্মী বলতে ….
এছাড়া কোনো উপায় রাখা নেই জায়গা ছেড়ে দেয়া ছাড়া ……
শুভকামনা ।
@আসমা সুলতানা,
সকলেই তো আর সৈয়দ মুজতবা আলী নন। তাছাড়া অন্য লেখকেদের বই এর পাঠক না থাকার দায় হুমায়ূন আহমেদ কেন নেবেন।
কেউ এসিয়াটিক সোসাইটির বই ফেলে দিলে তা ঐ পাঠকের মূর্খতার পরিচয় হতে পারে। এসিয়াটিক সোসাইটি যদি তার মান হারিয়ে ফেলে তাও কি হুমায়ূনের দোষ? ওদের বর্তমানের বই গুলতে এত বানান ভুল যে পড়তে লজ্জা লাগে।
আমাদের শিক্ষাকদের বর্তমান যে অবস্থা তা খুবই উদ্বেগ জনক। স্থাপত্যের ছাত্র হিসেবে আমার অভিজ্ঞতাও খুব সুখের নয়। এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে হয়তো সনদ ছাড়াই পালাতে হবে আমাকে।
এ ব্যাপারে আমার উত্তর হবে না। জায়গা খালি করে দেয়াটা অবশ্যই ভুল হবে। কেননা প্রকৃতি কখনই শূন্যতা পছন্দ করেনা। সব কিছু নষ্টদের হয়ে গেছে বলে নিজেকে গুঁটিয়ে নেয়া মানে সব মেনে নেয়া।
তথাকথিত সুশীল সমাজের লেবু কচলানি অর্থহীন। কখনো কখনো ক্ষতিকরও বটে। নষ্টদের হাতে নৌকোর হাল ছেড়ে দিয়ে দূর থেকে চ্যাচালেও কোন কাজ হবে না। নৌকোর হাল ধরতে হবে।
@অরণ্য,
ধন্যবাদ ।
একি অভিজ্ঞতায় কেও হয় পাদ্রী কেও বিজ্ঞানী ।
আমাদের অভিজ্ঞতা এক, কিন্তু মতামত ভিন্ন। আমি একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ বলেই নিজেকে ভাবতে ভালোবাসি। আমি কোনো প্রশ্ন করিনা, জবাবের জন্য। আমি জানি আমাকে কি করতে হবে ।
সবাই যেমন ‘ সৈয়দ মুজতবা আলী’ নন, তেমনি সবাই হু আ ও নন, যে স্বত্তা বিকিয়ে দেবে সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য ।
এক লাইব্রেরীর কথা বলছিলাম উদহরণ হিসেবে, কারো পুস্তক প্রকাশের সমালোচনা নয়। যারা বাংলা ও ইংরেজীতে ছাপা অনেক মূল্যবান ( আমাদের জন্মের বহু আগে লেখা ও ছাপানো ) অনুদানের বইকেই আবর্জনা ভেবে ফেলে দিচ্ছেন। আর জায়গা দখল করছে হু আ র বই ….
এভাবেই হু আ ও তার পাঠকেরা সব দখল করে ফেলেছে ।
প্রশ্ন হলো ‘ হু আ’ কেনো দায়ভার নেবেন ? কেনো নেবেন না ?
ওনার যেটুকু দায়ভার নেয়া প্রয়োজন ততটুকুই নিতে হবে। আমি নিশ্চিত, উনি নিজেই আনেক ভালো জানেন উনি সমাজের কি ক্ষতি করেছেন ও তার আপরাধবোধ ও আছে সে জন্য ….
আপনাকে অনেক শুভকামনা আর্ট ও আর্কিটেকচারের ছাত্র হিসেবে ভবিষ্যতে আরো অনেক সুন্দর সাহিত্য ও শিল্পের জগত আবিষ্কার করবেন ও আমাদের উপহার দেবেন আপনার নান্দনিক শিল্পকর্মময় স্হাপত্য ! ( :
@আসমা সুলতানা,
ধন্যবাদের জন্যে শুভেচ্ছা। 🙂
তবে আমি আপনার মত অতটা আত্মবিশ্বাসী মানুষ নই। এবং আমাকে কি করতে হবে তার সবটুকুও আমি জানি না। জানার জন্যে আমাকে দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষে করতে হয়।
আপনার নামের উপর লিংক প্রদর্শন করছে দেখে আমি ভেবেছিলাম আপনিও বুঝি মুক্তমনার লেখক। কিন্ত আমার দুর্ভাগ্য 🙁 ঢুকে দেখি বিজ্ঞাপন! নিজ শিল্প(!) কর্ম প্রদর্শন বা ব্যাবসায়ীক পতিত শিল্প।
কিছু মনে করবেন না, দুঃখ লাগে যখন দেখি মানুষ মুখোশ পরে থাকে। ক্ষমা করবেন, আমার মনে হচ্ছে আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে ঠকাচ্ছে।
ভাল থাকবেন।
@অরণ্য,
আপনাকে কি বলব বুঝতে পারছিনা।যুক্তিতর্কের মধ্যে ব্যাক্তি আক্রমণ ছাগুদের কাজ।মুক্তমনায় অতিথিরাও মন্তব্য করতে পারেন।সেক্ষেত্রে কিছু তথ্য শেয়ার করতে হয়।যাদের নিজস্ব ব্লগ আছে তারা তাদের ব্লগের ঠিকানা লেখেন যা পরবর্তীতে লেখকের নামের সাথে লিঙ্ক হিসেবে আসে।
দয়াকরে এমন কোন মন্তব্য করবেননা যা মুল বিষয়ের বাইরে যায়।
@নাস্তিক দীপ,
ব্যাক্তি আক্রমণ ছাগুদের কাজ… হ্যাম! তা ঠিক ঠিক!
তবে মুল লেখাটা কি ব্যাক্তি আক্রমণাত্মক নয়?
লেখাটিকে লেখক কেবল নিজের ব্লগ পাতায় প্রকাশ করেছিলেন, নীড় পাতায় সেজন্য দেখা যাচ্ছিলো না। লেখাটির গুরুত্ব বিবেচনায় পাঠকদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে লেখাটিকে নীড় পাতায় নিয়ে আসা হোল।
লেখাটি নিঃসন্দেহে ভাল হয়েছে এতে সন্দেহ নেই। প্রশংসার জন্য কমেন্টস নয়, লেখাটি বাঙালি পাঠকদের বোঝার ক্ষমতা থাকাও জরুরী। ওইসকল পাঠকদের নিকট এই পোস্টের মূল বার্তা পৌঁছানোর একটা সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারলে ভাল হয়। হুআ এমনই প্রভাবশালী লেখকে পরিণত হয়েছিলেন যে, তাঁর লেখার সমালোচনা করে দেশের একটি বিশেষ শিক্ষিত (?) মহলের বিরাগভাজন হওয়ার মতো দুঃসাহস দেখাতে পারি নি, আপনি তা দেখিয়েছেন। আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষের কথা দেশের ওইসকল ‘শিক্ষিত’ মহল কেনইবা আমলে নিবে?
আসিফ মহিউদ্দীনের এই লেখায় আমার মতো অনেকেই সাহসে বুক বাঁধবেন যারা ধরতে পেরেছেন হুআ একজন ঠক পুস্তক ব্যবসায়ী এবং বুদ্ধিজীবি বনে যাওয়া একজন ভণ্ড প্রতারক। আমরা যারা আগে হুআ’র সমালোচনা করতে পারতাম না, আজ সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। হুআ’কে সাহিত্যের মানদণ্ডে বিচার-বিশ্লেষণ করে মাপতে পারছি। এটাই অর্জন।
ব্যক্তিগতভাবে হুআ’কে আমি সাহিত্যিক বলতে নারাজ। তাঁকে সহজ ভাষায় একজন ‘চটি লেখক’ হিসেবে অভিহিত করা অযৌক্তিক হবে বলে মনে হয় না। কিছু গুণগত পার্থক্য ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে রসময় গুপ্তের সাথে তাঁর তুলনা করা যায়!
লেখককে সাহসী এবং স্পষ্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আমার হুমায়ূন আহমেদ এর লিখা সব সময় ভালো লাগে। উনার লিখা পড়ে আমার কখনও মনে হয়নি উনি মুক্তিযুদ্ধকে কোনও ভাবে ছোট করেছেন সবসময় তাকে মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হিসাবেই আমরা দেখে আসছি। যে কারও তার লেখা খারাপ লাগতে পারে বা বাজারী মনে হতে পারে এটা তাদের নিজেদের বেপার। তার অনেক বই আছে, গল্প আছে, চরিত্র আছে যা অনবদ্য।
যে ব্যাক্তি সাহিত্যে নোবেল পায় জরুরী নয় তার সব লিখাই নোবেলের যোগ্য কিন্তু তাই বলে লেখকের সৃষ্টিকে ছোট করে দেখা যাবে না। জোছনা ও জননীর গল্প লেখকের অনবদ্য সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের জন্য এক সম্পদ এর মাঝে যদি কোনও ফাক থাকে আমাদের উচিত তা শুধরে দেয়া।
রাজাকার, আল বদর, আল শামস আমাদের জন্য ঘৃন্য পশু। তাদের বিচার এবং ফাসি আমরা চাই আরও চাই তাদের সমুল উতপাটন। এর জন্যে লেখক হুমায়ূনের কাছে আমরা কিছু জানতে চাইতেই পারি, কেন রাজাকার নিয়ে তার কোনও গল্প নেই তাও জিজ্ঞাসা করতে পারি। লেখক হিসাবে তার যেমন আমাদের প্রতি কর্তব্য পাঠক হিসাবে আমাদেরও কম নেই।
এতদিন তার যত বই আমার ভালো লেগেছে তার জন্য এই লেখা এবং লেখকের প্রতি আবেদন তিনি যেন আমাদের সংশয় দূর করেন
@রুবাইয়াত,
সুন্দর বক্তব্য।
(Y)
@আসিফ মহিউদ্দীন
শেষের অংশ ভালো লাগলো. ধন্যবাদ
@বেঙ্গলেনসিস
একজন নীতিবান মানুষ কখনো সব মানুষের কাছে ভালো হতে পারেন না। (Y)
এক কথায় অসাধারন লেগেছে! (Y)
আমিও তার অনেক বই পড়েছি, শুধু হাসি আর কৌতুকের নির্যাস টুকু নেয়ার প্রয়াসেই । কিন্তু এমন একজন লেখকের আসমানে উঠে যাবার পর, চোখের সামনে দিনের পর দিন যে অখাদ্য নাটকগুলোতে জোর করে হাসানোর চেষ্টা, অখাদ্য লিখাগুলো গেলানোর চেষ্টা, সর্বশেষ চ্যানেল আই এ “ক্ষুধে গানরাজ” প্রোগ্রামে শাওন কে নিয়ে রীতিমত গানের জাজ হয়ে ভাড়ামী করে ষোলকলা পূরণ করলো, তখনি তার পাঠক সংখা এবং দর্শক সংখা যাদের মধ্যে ছটাক পরিমান ঘিলু ও ছিল তাকে বর্জন করেছে ।
ওই যে বললেন কল্পনাশক্তির কথা, ওটা উনার মারাক্তক একটা শক্তি । এ দেশের মাথামোটা মানুষের দুর্বলতাগুলোকে উনি খুব ভালোভাবেই পড়ে ফেলতে পেরেছিলেন ।
তাইতো মানুষের ইমোশন কে অস্ত্র হিসেবে চূড়ান্তভাবে ব্যাবহার করতে তার একটু ও বেগ পোহাতে হয়নি । অনেকেই বলে সাধারণ মানুষের মনের কথা উনি বোঝেন তাই সহজ ভাষায় পাঠকের মাঝে পৌছতে পারেন । উনি যদি সত্যিকারের ভালো মানের এবং দেশপ্রেমিক লেখক হতেন তাহলে জনসচেতনতামূলক অনেক বড় বড় কাজ এই সাধারণ মানুষগুলোকে সাধারন কথা দিয়ে করিয়ে নিতে পারতেন । কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক এমন কোন কাজ উনি করতে পারেননি ।
প্রতিষ্ঠা, আর জনপ্রিয়তার লোভ তাকে অন্ধ করে ফেলেছে ।
একজন লেখক এর বইয়ের বিক্রির কাটতি দেখে কি তার মান বিচার করা সম্ভব? এই ভুল ধারনা নিয়ে যারা তর্কে যুদ্ধে আটসাট ভাবে নেমেছে, তাদেরকে জাস্ট ইগনোর লিস্টে ফেলে দেয়া ছাড়া আর কিছুই বলবার নেই ।
একজন লেখকের কলমে যেই ধার আছে তা একজন রাজনৈতিক ক্ষমতাধারী ব্যাক্তির চেয়েও অনেক শক্তিশালী হতে পারে বলেই আমার মনে হয়।
অসাধারণ!
যতদূর জানি, হুমায়ুন আহমেদ তার শিক্ষা জীবনে ও যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন…………… তিনি তার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রসায়ন বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেন…………… যেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় এর বৃত্তি নিয়ে পরবর্তীতে আমেরিকাতে পি এইচ ডি করতে যান………… এবং অনেকের মত সেখানে আবাস না গড়ে, আবার দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনায় যোগ দেন । তাই তার মেধা নিয়ে প্রশ্ন করাটা হাস্যকর মনে হয় নিজের কাছে………………………… @ আসিফ মহিউদ্দীন
@মোঃ নাজমুছ ছাকিব,
মেধা জিনিসটা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল আর আমেরিকা পিএইচডি করার মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকেনা, মেধার প্রকাশ পায় ব্যক্তির সামগ্রিক আচরণে। দয়া করে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন একটু, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক অনেক ছাত্র আমেরিকায় যাচ্ছে পিএইচডি করতে, কিন্তু সবাইকে তো আপনারা হুমায়ূন আহমেদের মত পূজার বেদীতে বসাচ্ছেন না। কি হেতু জানতে পারি?
পিএইচডি করে দেশে এসে গবেষণা না করে বাজারি বই লিখে যখন জনপ্রিয় হয়েছেন লেখক হুমায়ুন আহমেদ, তখন লেখক হুমায়ুন আহমেদের সমালোচনা করার সময় লেখা নিয়ে কথা বলুন, তার সুদূর অতীতে করা রসায়নে পিএইচডি নিয়ে নয়। যে মেধার পরিচয় তার লেখায় পাওয়া যায় না, সেই মেধা তার মগজে পচে নষ্ট হয়ে গেলেও আপনি দেখতে পাবেন না।
@নীল রোদ্দুর, চমৎকার উত্তর দিয়েছেন।
লেখা ভাল লাগলো। এই সময় এরকম একটা লেখার খুবই দরকার ছিল। হুমায়ুন আহমেদ নতুন আল মাহমুদ বা ফরহাদ মাজহার হলে দুঃখ পাবো সন্দেহ নেই কারণ তার কিছু লেখা এখনও মন ছুঁয়ে যায়। আশা করি জনপ্রিয়তার খাতিরে তিনি তার মেধার সাথে আর প্রতারণা করবেন না। একজন প্রগতিশীল মানুষকে ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়াশীলতায় ডুবে যেতে দেখাটা দুঃখজনক। লেখার জন্য শুভেচ্ছা। (F) (F)
সব লেখকের ই বাজারি কিছু লেখা থাকে তবে সেগুলো দিয়ে তার সব টুকু বিচার করা যায় না।
তা ছাড়া যুগ আর মানুসের রুচি ও অনেক চেঞ্জ হয়ে গেসে,তাই ভারী ভারী সব্দ ছাড়া সাহিত্য হবে না সেটা আশা করা যায় না।
@সাইফ, ভারী শব্দ দিয়ে সুসাহিত্য লিখতে বলি নাই ভাই। কিন্তু জঘন্য সব ভাঁড়ামো কিভাবে সাহিত্য হয়?
হুমায়ুন আহমেদ এবং কাসেম বিন আবুবকর কালজয়ী মহান লেখক। তারা সহজ ভাষায় ল্যাখেন। তাদের লেখা ৯৮% জন্তার কাছে পৌছেঁ গেছে। হুঁহুঁ।
@নিটোল, (Y) :lotpot:
১। বলবিদ্যা সংক্রান্ত নিউটন এর ৩টা তত্ত্ব আছে। এখন যদি আমি সহ পৃথিবীর ৬০০ কোটি লোক দাবি করি তত্ত্বগুলো ভুল, কিছুই যাবে আসবে না। কারন তারা অকাট্য। এইবার মনে করেন চীন দেশের সবচেয়ে প্রখ্যাত খাদ্যরসিক তত্ত্ব দিল, তেলাপোকার সুপ হল বিশ্বের সবচেয়ে উপাদেয় খাবার। অবশ্যই এই তত্ত্ব মানতে আমি বাধ্য নই। কারন প্রথমত, এটি ব্যক্তিগত স্বাদের ব্যাপার এবং দ্বিতীয়ত, এটি সার্বজনীন কোন দাবী নয়। কিন্তু একজন সভ্য মানুষ হিসাবে যে কাজটি করার অধিকার আমার নেই, তা হল ওই ব্যক্তির স্বাদকে বিকৃত বা নিম্নমানের রায় দেয়া। এটা করা আর পৃথিবীর সব অমুসলিম দোজখবাসী হবে এই রায় দেয়ার মাঝে কোন ফারাক নাই।
২। সুসাহিত্য। দুঃখিত, এর কোন অকাট্য সংজ্ঞা আছে বলে মানতে পারলাম না। কোন “সহজবোধ্য” লেখা যদি তীব্রভাবে কারো আবেগকে নাড়া দিয়ে যায় এবং সাবলীলভাবে তার জীবনের নানা রূপকে প্রতিফলিত করে, অবশ্যই তাকে “সুসাহিত্য” মনে করার সকল অধিকার ওই পাঠকের আছে। তার সাহিত্যস্বাদকে যে “সুসাহিত্য” এর সাথে তুলনাপূর্বক নিম্নমানের দাবী করা হচ্ছে, সেটার গুণগত মান কোন্ অলঙ্ঘনীয় যুক্তিতে নির্নয় করা হয়েছে জানার ইচ্ছা রইল।
৩। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির একটা কথা আছে, “Simplicity is the ultimate sophistication”. কঠিন ভাবে লেখা সহজ কথার মর্মোদ্ধার করার “অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা” যে এহেন “Superiority Complex” এর জন্ম দিতে পারে তা দেখে আশ্চর্যই হলাম।
@কায়সার,
আপনার চমৎকার মন্তব্য ভাল লেগেছে।
(Y) (Y)
@কায়সার,
১। ব্যাক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত করা যাবে না, ব্যাক্তিগত রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এই সব কথা আমার কাছে ঠিক মনে হয় না। অবশ্যই ব্যাক্তিগত রুচি, বিশ্বাস নিয়ে আলচনা করতে হবে, এবং তা সমাজের উপরে কি প্রভাব ফেলছে তা বিবেচনা করতে হবে। এখনকার ছেলেপেলে হিন্দী সিরিয়াল দেখে হিন্দীতে কথা বলা শুরু করেছে। এটাকেও কি ব্যাক্তিগত রুচি বলে মেনে নেয়া উচিৎ?
২। নানান ধরণের পাঠক রয়েছে, নানান ধরণের লেখক রয়েছে। কোনটা সুসাহিত্য আর কোনটা নিম্নমানের, তার গুনগত মান নির্ণয় করা যদি অযৌক্তিক হয়ে থাকে, তবে সাহিত্যে নোবেল এবং বুকার পুরষ্কারগুলো কেন দেয়া হচ্ছে?
৩। কঠিন ভাবে লেখা সহজ কথা লেখা এক জিনিস আর, “আপনের কি বিবাহ হইছে, বিবাহ না হইলে আমি আপনেরে বিবাহ করবো” টাইপ ভাঁড়ামো আরেক জিনিস।
দারুন লাগল!
হুমায়ূন খুব ভালো করেই বুঝেছেন আমাদের দেশে প্রগতশীলদের সংখ্যা কম তাই এই দলকে হাতে ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা তিনি বোধ করেন নি।
একজন লেখকের জানা উচিৎ কোথায় শুরু করতে হবে এবং কোথায় শেষ। হুমায়ূন শুরু করেছেন কিন্তু শেষ করতে ভুলে গিয়েছেন।
আমরা খুব আবেগপ্রবণ জাতি। আর তাই আবেগকেই পুঁজি করে তার লেখা। কিন্তু এই আবেগকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় তিনি বিজ্ঞানকে এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন।
আমাদের তরুন তরুনীর বেশিরভাগই তার ‘হিমু’ চরিত্রের মতই জগতকে রহস্যময় ভাবতে এবং রহস্যময় আচরন করতে পছন্দ করে। বিরাট চিন্তার বিষয়!
@রাহনুমা রাখী, ঠিক বলেছেন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবার বাসনায় তিনি এখন নানান কান্ডকারখানা করছেন। আর সে ছাই পাশ যাই লিখুক, পাঠকও যেভাবে তার বই গিলে যাচ্ছে, তা দেখলে হতাশ লাগে।
আপনার এ পোস্টটি কি নিজস্ব ব্লগে প্রকাশ করেছেন?কারণ নীড় পাতায় লেখাটি দেখতে পাচ্ছিনা। এবার বুড়োর ভীমরতির উপরে একটি লেখা লিখেন।
ভালো লাগলো । এ ধরনের লেখা দরকার ছিল। হুমায়ুন যদিও আমার প্রিয় লেখকদের একজন ছিলেন,তারপর ও তার দ্বিচারীতা ও ভন্ডামী কখন ই ভালো লাগেনি ।
এই প্যারাটা পড়ে আপনার উপর (হুমায়নিয়সমালোচনা জনিত) রাগ মুছে ফেললাম…
@অনিক আহাসান, হুমায়ুনের সমালোচনা করলেই রাগ কেন করতে হবে অনিক ভাই? এই অতিভক্তির কারণ কি?
“বিরাজনীতিকিকরণের হুমায়ুন আহমেদীয় প্রচার প্রপাগান্ডায় আমাদের তরুনরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। ফেসবুকে ঢুকে কারো প্রফাইল ঘাটলেই দেখা যায়, “আই হেইট পলিটিক্স”; রাজনীতি সম্পর্কে এই ধারণা সৃষ্টি আসলে যে রাজনীতির নষ্ট চক্রটাকেই টিকিয়ে রাখছে, লালন পালন করছে, সেটা বুঝতে বেশী কষ্ট করতে হয় না। আমাদের ‘সুশীল’ এবং ‘ভদ্রলোকরা’ রাজনীতিকে নষ্টদের হাতে ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিকে নোংরা বলে যখন হলুদ পাঞ্জাবী পরে রাত্রে বেলায় রাস্তায় ঘুরে মহাপুরুষ মহাপুরুষ খেলায় মেতে ওঠেন, চাদনী রাতে নগ্ন হয়ে জোছনায় গোছল করেন, আর আমাদের তেল গ্যাস পাচার হয়ে যায় পাশের দেশে, নদীকে কৌশলে হত্যা করে দেশকে মরুভ
হুমায়ন আহমেদ সম্পর্কে না জেনে ২ টা বই মনে হয় ১০-১১ বছর আগে পড়েছিলাম। লেখাগুলো এতো জঘন্য লেগেছিলো যে আর ফিরতি তার লেখা পড়ি নি। এই লেখায় তার চরিত্র আর লেখাগুলো সম্পর্কে, বিশেষত রাজাকারদের লেখায় না এনে যে রাজাকারী করেছেন সেগুলো চোখে পড়ে গেলো। :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru:
অনেক দিন পরে, আপনার লেখা পড়ে মনে হলো, গুছিয়ে লিখে, প্রতিবাদ করার মতো প্রতিভাবান মানুষ এখনো আছে . মাঝে একদিন মিলনের লেখা হুমায়ুন আহমেদের উপর একট কলাম পড়ছিলাম এত তেলতেলে লেখা, বোঝা যায় চোরে চোরে মাসতুতোভাই ( লেখক ব্যবসায়ী ভাই). তখন মনে হয়েছিল , কেউ বুঝি নেই এই লোকের পাকামো ধরার মতো. আপনাকে ধন্যবাদ
লেখাটা পরে অনেক ভাল লাগলো!
কিন্তু, আমার একটা প্রশ্ন ছিল…
জামায়াত মানেই কি রাজাকার? নাকি মিডিয়ার প্রয়োজন? মুক্ত মনে চিন্তা করার জন্য আমার ছোট্ট এই (ভুল হতেই পারে) প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার আগে একবার এই লেখাটি পড়ে নিন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/smnawed/29532160
@নাওয়েদ, জামাত মানেই রাজাকার।জামাতের বাইরেও রাজাকার আলবদর আলশামস আছে, তবে জামাত অবশ্যই রাজাকারের দল। ৭১ এ গনহত্যা এবনহ ধর্ষনযজ্ঞ কোন ব্যাক্তিবিশেষের সিদ্ধান্ত ছিল না, জামায়াত ইসলামীর দলগত সিদ্ধান্ত ছিল। তাই জামায়াত ইসলামীকেও আমি নিষিদ্ধ করতে বলি, শুধু তাই না, ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকেই নিষিদ্ধ করতে হবে।
জামাত মানেই রাজাকার ১০০% খাটি কথা
পাঠকই তো নাই, রুচি তো দূরের কথা। বছরে শুধু এক মাস বই পড়লে পাঠক হওয়া যায় নাকি!
ভাল লাগল। হুমায়ুন আহমেদ একজন জনপ্রিয়তালোভী সাহিত্যিক। আমার বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধব তার ডাই হার্ড ফ্যান। আমার কাছে যদিও তার দু একটি সাহিত্যকর্ম বাদে বাকিগুলো আবর্জনাই মনে হয়। আমি ভাবতাম, আমিই হয়তো হুমায়ুনের কদর বুঝি না। হয়তো তার সাহিত্যে বিশাল কোন দর্শন লুকিয়ে আছে, যেটা শুধু আমার ওই বন্ধুরাই বুঝতে পারে। আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু পরিষ্কার হল, ধন্যবাদ।
ও, আরেকটা কথা।
‘গুনমুগ্ধ’, ‘দারুন’, ‘স্ফুরণ’, ‘ব্যাক্তিত্ত্ব’, ‘গুরুত্ত্বপুর্ণ’, ‘গনতান্ত্রিক’, ‘ব্যাবস্থা’, ‘সাহিত্যিকগন’, ‘বুদ্ধিজীবি’, ‘দিয়ে ছলেন’, ‘দায়িত্ত্বশীলতা’, ‘ভুত’, ‘তরুন’, ‘শ্রেষ্ট’, ‘মুর্খ’, ‘বিরাজনীতিকিকরণের’, ‘পন্ডিত’ – এ বানানগুলো কি ঠিক আছে? আরেকবার প্রুফরিডিং করে দিলে মনে হয় ভাল হত। আপনার লেখা কিন্তু অনেকেই পছন্দ করে, ভুল বানান দেখে অনেকে সেগুলোকেই সঠিক মনে করতে পারে। আমার কাছে দৃষ্টিকটু লাগল, তাই বললাম। আমারও ভুল হতে পারে, সেক্ষেত্রে আশা করি ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।
@ক্ষুদ্র সত্তা, অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই বানানের ঝামেলাটার কারণেই মুক্তমনাতে নিয়মিত হতে পারছি না। খুব দ্রুত লিখি, লেখার পরে আবার সেটা পড়তে ইচ্ছা করে না। এইকারণে প্রচুর সমস্যাও হচ্ছে।
অসাধারন লেখা। ক’দিন আগে একটা পোস্টে দেখলাম একজন লিখেছে, “হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়ার জন্য মাথা থাকলেই যথেষ্ট, মগজ থাকা লাগে না”। ক্যান্সার হওয়ার পর ওনার লেখাগুলো পড়ে একটা জিনিসই মনে হতো, লেখাগুলো সেন্টিমেন্ট আদায়ের চেষ্টা আর নিজেকে হিরো বানানোর চেষ্টা (ওনার শেষ লেখাটা পড়ে তা-ই মনে হচ্ছে)।
@সৌরদীপ, ধন্যবাদ সৌরদীপ। তুমিও মুক্তমনায় লেখা চালিয়ে যাও।
@সৌরদীপ,
হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যের সমালোচনা করছেন আবার সব লেখা পড়ছেনও। এমনকি সাম্প্রতিক লিখাগুলিও পড়েছেন। বোঝা যাচ্ছে এখন,আপনাদের জন্যই উনি লিখে যাচ্ছেন… তাহলে আর নিম্নমানের পাঠক বলছেন কাদের? আমি তো ১২/১৩ বছর আগেই ওনার বই পড়া ছেড়ে দিয়েছি। আমি একজন শিক্ষিত মধ্যবিত্য পরিবারের সদস্য।
আসিফ মহিউদ্দীন একটু ঢালাও মন্তব্য করেছেন পাঠকদের সম্পর্কে। আপনার এতটা স্পর্ধা দেখানো ঠিক হয়নি বোধহয়। হুমায়ুন আহমেদের সমালোচনা করতে চান করুন, লক্ষ-কোটিবার করুন আমাদের কারো আপত্তি নেই। দয়া করে নিরীহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পাঠকদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন না ।
“যত দোষ নন্দ ঘোষ” এর মত সকল প্রকার যাবতীয় দোষ সবসময়ই কেন বেচারা শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ঘাড়েই চাপানো হয়। দয়া করুন আসিফ বাবু।
আর হুমায়ুন আহমেদ, সে তো দুই নৌকায় পা দিয়েছে বহুদিন আগেই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছিলেন রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা, পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা-সিনেমার প্রযোজক/পরিচালক (খুব সম্ভবত শেষের দিকে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছিলেন ), পারিবারিক জীবনেও গুলকেতিন-মেয়ের বান্ধবি নামটা যেন কি ভুলেই তো গেলাম (যাক নাম দিয়ে আর কোন কাজ নেই। এরকম একটা বাজে মনমানসিকতার লোকের লেখা পড়ে এবং তার সমালোচনা করে কেন তাকে টেনে উপরে তুলছেন আমি বুঝতে পারছি না।
ছি!!! তার নামটা মনে হলেই আমার নিজের উপর নিজের রাগ উঠে যে একসময় পাগলের মত তার বই কিনে পড়তাম। তার কোন বই-ই এখন আর আমার বাসায় নেই।
অনেকের কাছেই দেখলাম লেখাটা আগুন মনে হইছে। আমার কাছে হুমায়ূন আহমেদের লেখার মতনই প্যনপ্যান মনে হইছে। আপনার সম্পর্কে যা শুনছি তাইতে তো আপনারে প্যানপ্যান করা পাবলিক মনে হয় নাই। তো এতক্ষন এমন প্যানপ্যান করলেন কেন?
আমি আপনার অভিযোগগুলার সাথে একমত। কিন্তু একটা ব্যাপার আমার মাথায় আসে না ঐটা হইল, খালি হুমায়ূনরে দোষ দিয়া হয়ত আপনি পার পাইয়া যাইতে পারেন। কিন্তু ঐটা মোটেই যৌক্তিক হইব না। আপনার বুঝতে হইব বাঙালি পাঠকের মতন নিম্ন রুচির পাঠক খুব একটা দেখা যায় না। এখন হুমায়ূন যদি ঐ পাঠকগুলারে ভাইঙ্গা খায় তাইলে হুমায়ূনরে দোষ হয়ত দেয়ন যায় কিন্তু তাইতে আমাগোর মেধাহীনতা ঢাকা যায় না। আমরা পারি নাই হুমায়ূনের বিপরীতে কোন লেখক বাইর করতে। যার জন্যই হুমায়ূনের লাহান মাঝারী মেধার কলমচিরা কইরা খাইতাছে।
যেমন ধরেন আপনার লেখাটা। প্রচুর পরিমানে অপ্রয়োজনীয় লাইন দিয়া লেখাটা ভর্তি যেইটা লেখকের অযোগ্যতা প্রমান করে। বিশেষ কইরা প্রথম অর্ধেকতো পাঠের কোনভাবেই যোগ্য না। আমার মতে সমালোচনা হইতে হইব লেখার থিকাও শক্তিশালী। আপনার এই লেখার হুমায়ূনের লেখারে সমালোচনা করার কোন কোয়ালিটি নাই। কিন্তু আপনি কিন্তু একাধিক পৃষ্টার একটা সমালোচনা লেইখ্যা ফেলছেন। এহন কন এইটার ফলাফল আপনি কী আশা করেন?
আপনি এক জায়গায় হুমায়ুন আজাদরে নিম্নমানের সাহিত্যিক হিসাবে তর্কের খাতিরে মাইনা নিছেন যেইটা চরম ভুল একটা কাজ হইছে। আহমেদ আর আজাদ, এই দুইজনরে কোনভাবেই সাহিত্যিক হিসাবে পাশাপাশি রাখন যাইব না। এমন কি তর্কের খাতিরেও না। কারন হইল গাধা বাঙালি তাইলে আপনার তর্কের খাতিরের কথাটারেই সত্য মনে করব। হুমায়ুন আজাদ যে অল্প কয়েকটা উপন্যাস লিখছেন, তার একটার ওজনও হুমায়ূনের সমগ্র সাহিত্য কর্মের থিকা কয়েকগুন বেশী। সুতরাং তর্কের খাতিরে রাম শামরে গাধা কয়ন যায়, কিন্তু সিংহরে সিংহই কয়ন লাগে। কারন আপনি ডিল করতাছেন গাধার লগে।
মেজাজটাই ভাই খারাপ অইয়া গেল হুমায়ুনরে নিয়া এত আলোচনা দেইখ্যা। যেইডার থাকার কতা আছিল ডাস্টবীনে ঐডা এহন রাজা অইয়া বাঙালি প্রজার কূর্ণিশ পায়। আর হুমায়ূনের জন্য সবচাইয়া বড় সমালোচনা অইলঃ
ও একটা বাইগুন। ভাইজ্যা খাইলে ভালোই লাগে। সত্যি কতা অইল কত্তগুলা বিচি ছাড়া আর কিছুই নাই ভিতরে।
@সাইফুল ইসলাম, আপনার অভিযোগ মেনে নিচ্ছি। ইতিপুর্বে একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং লেখা দিয়েছিলাম, সেটাকে বেশিরভাগ পাঠকই বললো অতিরিক্ত আক্রমনাত্মক হয়ে গিয়েছে। তাই এই লেখায় যতটা সম্ভব হুমায়ুন আহমেদ পাঠকের মনস্তত্ত্ব বিবেচনায় এনে তাদের মত করে লেখা হয়েছে। এই লেখার মুল টার্গেট পাঠক তারাই, আর যাদের সাহিত্য সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান আছে, তারা জানে হুমায়ুন আহমেদের বই কখন কমোডে ফেলে ফ্লাশ করতে হয়।
@আসিফ মহিউদ্দীন, ভালই জবাব দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
মানতেই হচ্ছে। জীবন থেকে নেয়া।
চমৎকার লিখেছেন আসিফ ভাই ! ঐ লোকটাকে আমার ম্যানিয়াক ছাড়া কিছু মনে হয় না !
@রঞ্জন, বৃদ্ধ বয়সে অনেকেরই অনেক ধরণের ভীমরতি হয়।
সহমত।
শিরোনামে মনে হল কিছু সমস্যা আছে লেখক। পতিত পুস্তক ব্যবসায়ী বলতে পুস্তক ব্যবসায়ী হিসেবে উনার পতন ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। পতিত লেখক/বুদ্ধীজীবী বললে ভালো হত। “হুমায়ুন আহমেদঃ পতিত লেখক, পুস্তক ব্যাবসায়ী অথবা পাল্টে যাওয়া বুদ্ধিজীবি!”
@মানুষ, ঠিক বলেছেন, আমিও ভাবছিলাম শিরোনামে একটা সমস্যা আছে। পাল্টে দিচ্ছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
হুমায়ূন আহমেদ মেধার অপচয়। আসিফ ভাই দারুণ লিখেছেন। তবে আমি পারভেজ ভাইয়ের সাথে একমত ঐ পাঠকদের মানের ব্যাপারে।
@সায়েম চৌধুরী, হ্যা, ঐভাবেও চিন্তা করা যেতে পারে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ সায়েম ভাই।
দারুন লিখেছেন আছিফ ভাই।
@মহন, ধন্যবাদ মহন ভাই।
(Y) (Y) (Y) (Y)
@লাট্টু গোপাল, ধন্যবাদ। 🙂
লেখাটা দুর্দান্ত হইছে সন্দেহ নাই। এর আগে ফেসবুকে এর অংশবিশেষ পড়েছিলাম। তার তুলনায় অনেক পূর্ণাঙ্গ এবং বস্তুনিষ্ঠ হইছে। তবে লেখার ভালোদিকের বদলে যেই দিকটা আমার কাছে খারাপ লেগেছে সেইটা নিয়া আলাপ করতে চাই।
শুধু এই লেখাতেই না, গত কয়দিনে এই ইস্যুর আলাপে আপনারে এবং আরো কয়েকজনরে মোটামুটি এইরকম বলতে দেখেছি যে, “বাংলাদেশের বেশিরভাগ পাঠক সহজ সরল এবং তারা স্বস্তা সাহিত্য পছন্দ করে, আর হুআর মতো লেখকরা এদের বাজার ধরে রাখতে গিয়াই সাহিত্যের বদলে বানিজ্য করেন”। এই যে গড়পরতা হুআপ্রেমী পাঠক, অথবা বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঠককে ‘নিন্মশ্রেণী’র পাঠক অথবা ‘স্বস্তা পাঠক’ হিসাবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া এইটাতে আমার প্রবল আপত্তি আছে। এর আগে ‘এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও রবীন্দ্র সঙ্গীত কেনো বাঙলার আপামর জনগণের পছন্দের সঙ্গীত না হয়ে শুধুমাত্র শিক্ষিত মধ্যবিত্ত্বের পছন্দের সঙ্গীত রয়ে গেলো’ তার উত্তর দিতে গিয়া অনেককে কাছাকাছি বক্তব্য দিতে দেখেছি। এই বক্তব্য সঠিক না। গ্রাম বাঙলার বহু জনপ্রিয় বাউল, কবিয়ালদের গানের উপমার জটিলতা, দর্শনের গভিরতা রবিন্দ্র সঙ্গীতের চেয়ে কোন অংশে কম না, কিন্তু তারা জনপ্রিয়। সুতরাং দেশের আপামর জনসাধারণের বুদ্ধিবৃত্তিক মানের দারীদ্রতাকে হুআ’র জনপ্রিয়তার পেছনের কারন হিসাবে চিহ্নিত করায় আমার আপত্তি আছে।
আমি বলছিনা যে হুআ কবিয়াল/বাউলদের মতো বাঙলার আপামর জনগণের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌছানোর ক্ষমতা আয়ত্ব করেছেন। খেয়াল করলে দেখবেন যে ওনার পাঠকও নেহায়েতই শিক্ষিত মধ্যবিত্ত্ব, অন্তত তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণী। বাজারটা এই শ্রেণীতেই। হুআকে বড়জোর সঙ্গীতের সেইসব রিমিক্স ব্যাবসায়ীদের সাথে তুলনা করা যায় যারা এদেশীয় ভাবের আদলের সাথে নানান মিশেল মিশিয়ে সাময়িক বিনোদনের উপযোগী ‘পন্য’ প্রস্তুত করতে পারেন। হুআ কেনো জনপ্রিয় সেই প্রশ্নের উত্তর দিনশেষে অতিমাত্রায় ‘রাজনৈতিক’। শহুরে মধ্যবিত্ত্ব শ্রেনীর নির্যাতিত মানসে, অরাজনৈতিক সুবিধাবাদী জীবন সংগ্রামে পন্য ফেটিশের মাধ্যমে সাময়িক ‘মুক্তি’র যেই বাসনা সেইখানে হুআ’র প্রোডাক্ট অত্যন্ত জরুরি প্রোডাক্ট। এই প্রোডাক্টের যেই ভুমিকা তা অত্যন্ত রাজনৈতিক, এয়াটেল সিমএর চেয়েও বেশি বানিজ্যিক। এইখানে জনতার বোধের ‘নিন্মমান’কে অভিযুক্ত করা ভুল। সাহিত্যের বানিজ্য কনডমের বানিজ্যের চেয়ে আলাদা কিছু না। ‘হিরো কনডম’ অথবা ‘হিমুর হিরোয়িজম’ এই দুইকে আলাদা করে দেখার কিছুনাই। একটা নিরাপদ যৌনসঙ্গমের মধ্য দিয়া হিরো হওয়া, আরেকটা নিরাপদ অরাজনৈতিক ছাগলামির মধ্য দিয়া হিরো হয়ে ওঠা। দুইটাই প্রকৃতপক্ষে অনিরাপত্তায় বসবাসরত জনগণকে পন্য ব্যাবহারের মধ্য দিয়া সাময়িক নিরাপত্তার অনুভুতির প্রয়োজন মেটায়।
@পারভেজ আলম, আপনার মন্তব্যটা খুবই ভাল লাগলো। এইভাবেও ভাবা যাইতে পারে। আমি অবশ্য হুমায়ুন আহমেদের শ্রেনী চরিত্রের চেয়ে তার পাঠকের মনস্তত্ত্বে বেশি গুরুত্ত্ব দিছি।
@পারভেজ আলম,
সহমত। (Y)
@পারভেজ আলম, মন্তব্যটি চমৎকার ছিল !
আসিফ
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার দুঃখ নেই যে আমি হুমায়ুন আহমেদের বই পড়তাম,কারন আমি দস্যু বনহুর ও পড়তাম। আমি পড়তে শেখার জন্য পড়েছি কারন ভাল বই সহজলভ্য ছিল না। তাতে কি যায় আসে? বরং ইতিহাস বিকৃত এবং মুছে ফেলার জন্য যে “শেখ মুজিবকে” “বঙ্গবন্ধু” ডাকতে আমাকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে সে জন্য আমি “হুমায়ুন আহমেদ দের” ক্ষমা করব না( বঙ্গবন্ধুর বিফলতাকে স্বীকার করেই বীপরিতে সফলতার পাল্লায় ওজন করে), আমার এর পরের লেখা মুক্তমনায় এ বিষয় এর উপরেই।
হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন “… জিয়ে পাকিস্তান…” বলা হয়েছিল , যা মিথ্যার বেসাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ৮ই মার্চে প্রচার করা হয়েছিল সে ভাষণ এর চুল চেরা ব্যবচ্ছেদ করেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি, টেলিভিশনে ভাষণের ভিডিও এখনো অবিকৃত ভাবে সংরখিত আছে( গোলাম মুরশিদ এর বই “মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর – একটি নির্দলীয় ইতিহাস ” এর পৃষ্ঠা ৭০,প্রকাশ কাল ২০১০ ,জানুয়ারি) । একই বই(জোৎসনা ও জননী ) এ হুমায়ুন দাবি করেছেন , জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, অথচ সবাই জানে জিয়া পাঠক এবং প্রথম বার জিয়া নিজেকে “হেড অফ দা ষ্টেট” ঘোষনা করেছিলেন, পড়ে তৎকালীন আওয়ামীলীগের চট্রগ্রামের নেতা এম,আর,সিদ্দিকি কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে এসে জিয়াকে ধমক দিলে তিনি তা পরিবর্তন করে ,বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন এবং নয়জন পাঠকের মাঝে একজন হন। বর্তমান বি,এন,পি র উপদেস্টা শমসের মবিন চৌধুরীও একজন পাঠক,হান্নান সাহেবের কথা ত আমরা জানি যিনি প্রথম পাঠক। এসব তথ্যের সত্যতা যথাক্রমে আহমেদ শরিফ ,গোলাম মুরশিদ এবং আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখায় একই রকম পেয়েছি ।
@সপ্তক, হ্যা ঠিক বলেছেন। জিয়ে পাকিস্তান বলা হয়েছিল তার বইতে। ঠিক করে দিচ্ছি পরে। অনেক ধন্যবাদ ধরিয়ে দেবার জন্য।
উনি বড় ভুল করে ফেলেছেন এইসব লেখা লেখে । উনার উচিত ছিল দেশবরণ্য চিন্তাবিদ, বীর সন্তান আসিফ মহিউদ্দীনকে প্রতিবার জিজ্ঞাস করে নেয়া । ভাই উনাকে মাফ করে দেন । উনিতো আর আপনার জ্ঞানগর্ভ ব্লগগুলো পড়েন নাই, তাই বুঝতেও পারেন নাই যে আপনি কত বড় মাপের লেখক এবং বিশ্বের সবকিছু সমালোচনা করা ঠেকা ঈশ্বর হুমায়ন আজাদ যে আপনাকেই দিয়েছেন । আপনাকেও আমি দুই চার ডজন উপন্যাস লেখার আহবান জানচ্ছি । দেশের বেকুবদল বুঝক অপন্যাস আর সহীহ উপন্যাসের পার্থক্য ।
@শরীফ মাহমুদ,
বেশি বই লিখলেই বড় লেখক হওয়া যায় এই ধারনা আপনি পেলেন কোথায়?
চমৎকার করে আর বুঝিয়ে বলবার জন্য এই লেখাটা অনেক পড়া হবে বলে আমার মনে হয়।
খুব ধারালো আর খুব ভোঁতা এই দুটো খুব’এর বাইরে মানুষের কাছে পৌঁছানোর মত খুব কাজের লেখা যে আছে, এই লেখাটা তারই প্রমান।
এই রকম লেখা আরো লিখুন। মানুষের আরো কাছে পৌঁছে যান, পৌঁছে দিন আরো অনেককে (C)
@কাজী রহমান, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার। শুরুর চেয়ে শেষাংশটা বেশি ভাল লেগেছে, আসিফ!
@অভিজিৎ, পরীক্ষামূলক লেখা অভিজিৎ দা। হুমায়ুন আহমেদ পাঠকের যতটা সম্ভব কাছাকাছি না যেতে পারলে লেখার মূল উদ্দেশ্যটা ব্যার্থ হবে।
লেখাটাটা ভাল ছিল। উদ্ধৃত এই প্যারাটা একমাত্র গলদ। শিক্ষককা রাজনীতি করে শুধু বাংলাদেশে, হয়ত পশ্চিম বংগে। ভারতের সর্বত্রও শিক্ষকদের রাজনীতি নেই।
চমৎকার লিখেছেন। শৈশবকালীন একটা দীর্ঘ সময় কেটেছে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে। আমার সৌভাগ্য যে, হুমায়ুনের পাশাপাশি অন্যান্য লেখকের বই পড়ার অভ্যাসও আমার মধ্যে তৈরি হয়েছিল। তাই যৌবন শুরুর আগেই তার বইয়ের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমি সর্বদা একটি শ্রেনীর মানুষকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি আর সেটি হচ্ছে, সব মানুষের কাছে ‘ভাল’ শ্রেনী। একজন নীতিবান মানুষ কখনো সব মানুষের কাছে ভালো হতে পারেন না। এই লোকটির একটা গুণের কথা অবশ্য স্বীকার করতে হয়, তা হল তার কল্পনা শক্তি। এর আগেও তার বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে আপত্তি থাকলেও সেগুলো নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাইনি, জনপ্রিয়তা লাভের প্রচেষ্টা হিসেবে ধরে নিয়েছি। কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার পর, তিনি হয়তো উপলব্ধি করেছেন, দিনক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। তাই নিজেকে শুধু হিরো নয়, একেবারে সুপার হিরো ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, ঐ প্রবন্ধ সিরিজে পাঠককুলের জন্য আরো অনেক উৎকট রুচিহীনতা অপেক্ষা করছে। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@বেঙ্গলেনসিস, ঠিক বলেছেন। নষ্টরাই সবার কাছে গ্রহনযোগ্য। অনেক ধন্যবাদ।
@আসিফ মহিউদ্দীন, হুমায়ুন অাহমেদ ছিলেন অত্যন্ত ব্যবসায়িক ো প্রতিিক্রয়াশীল ো শেষ বিচারে রক্ষনষশীল…ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
খুব সুন্দর একটি লেখা। (Y)
অনেক ধন্যবাদ ধ্রুবণীল।
@ধ্রুবণীল, ভালো লেখার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ