সম্প্রতি আমাদের দেশ মেঘ মুক্ত হল আরো একটি গোপন সামরিক অভ্যুত্থানের কালো চক্রান্ত থেকে। বহু সংগ্রাম ও অসংখ্য জীবনের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া গণতন্ত্রটি বিরূপ পরিবেশে একপা দু’পা করে বন্ধুর পথে হাঁটতে শিখার পূর্বেই এর ঘাড় মটকাতে বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমে পড়েছে শরিয়া পন্থিরা এই চক্রান্ত সেই কথা আমাদের বিস্মৃত মনকে আবারো খোঁচা মেরে স্মরণ করিয়ে দিল। আমাদের সেনাবাহিনীর কিছু অফিসারের সময়মতো দূরদর্শী সিদ্ধান্ত সেই চক্রান্ত আপাতত নসাৎ করে এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছে গণতান্ত্রিক ধারা। যে হারে বিশ্বব্যাপী মৌলবাদের উত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে দেশে মৌলবাদীরা ক্ষমতায় বসছে তা একটি স্থিতিশীল বিশ্বের জন্য রীতিমত শংকার কথা। বেকারত্ব, দারিদ্রতা সেই সাথে পাশ্চাত্যের খোলামেলা অবাধ গণতন্ত্রের জুজুকে পুঁজি করে ধর্মান্ধরা ইতিমধ্যে অনেক দেশে পৌঁছে গেছে তাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইউরোপ, আফ্রিকা সহ আরো অনেক দেশে সেই লক্ষ্য অর্জনে নীরবেই চলছে অস্ত্র চালনা, বোমা তৈরী, হত্যা, শারীরিক নানা কসরত সহ উন্নত সব ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ। অবাধ অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, স্বেচ্ছাসেবী, মিডিয়া কোন কিছুর অভাব নেই আজ জঙ্গিদের ভান্ডারে। সব কিছু দিয়ে পূর্ণ আজ তাদের স্বপ্নের সংসার। শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার মত এটাকে শুধু নিছক মামুলি সন্দেহ বলে ধোকা দেয়ার দিন গত হয়েছে অনেক আগেই। এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য।
১৯৭৫ সালে স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর বাংলার ইতিহাসে বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলেও দু’বার দীর্ঘ সময়ের জন্য সামরিক শাসনের রুদ্ধদ্বারে বন্ধী হয়েছিল আমাদের দূর্ভাগা এই দেশ। প্রতিবার সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় এসে যে বিপদ জনক কাজটি সানন্দে করেছেন তা হল রাষ্ট্রিয় আনুকুল্যে ধর্মীয় নেশা বিস্তার । জনগণের চোখে মাদুলি পরিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন কে কত ধর্মভীরু তা প্রমাণে। একজন নিরপেক্ষ নিষ্কলুষ সংবিধান কেটেছিড়ে তাতে “বিসমিল্লাহ” সেঁটে দিয়ে একদিকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের অন্যদিকে রাজাকারদের ধর্মীয় রাজনীতির সুযোগ করে দিয়ে জাগ্রত সমর্থন পেতে চেয়েছেন ধর্মজীবিদের। আরেকজন স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতা মূলক ও সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার করে নজর কাড়তে চেয়েছেন ধর্মীয় কাঠ মোল্লাদের। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ছিল আরো ভয়াবহ, যে টুকু সংবাদপত্রে ফাঁস হয়েছে তা বিবেচনা সাপেক্ষে জানা যায় এইবার পরিকল্পনা ছিল আরো এক কাঠি সরস। ক্ষমতায় গিয়ে পরে ধর্মকে ব্যবহার নয় বরং ধর্মের পিঠে সাওয়ার হয়েই বন্দুক নিয়ে সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণ।
ধর্মান্ধরা ভীত হয়ে পড়েছে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারসহ ধর্মের জারিজুরি প্রশ্নবিদ্ধ করে মিডিয়া ও ব্লগে ব্লগে মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন নব প্রজন্মের উত্তরন দেখে। তারা বুঝে গেছে ধর্মীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে আর বেশিদিন নিয়ন্ত্রনে রাখা যাবেনা ভবিষ্যতে। চলবে না ধর্ম ব্যাবসা। জুটবে না আদাব সালাম। তাই এখনি উপযুক্ত সময় মুক্তবুদ্ধি চর্চার সকল উৎস ধ্বংস করার। অঙ্কুরেই বিজ্ঞান মনষ্কদের বিনাশ করার। এনিয়ে তাদের প্রস্তুতিও চলছে আড়ালে আবডালে যা আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদ পত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তারা এখন অতীতের চেয়ে অনেক বেশী সংগঠিত। পাচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণীর মৌন সমর্থন। সরকারী বড় বড় প্রায় সব পদে তাদের বিশাল বিশ্বস্ত বাহিনী অপেক্ষা করছে কোন এক মহেন্দ্রক্ষণের। মাঠে ঘাটে প্রশিক্ষিত উত্তেজিত বাহিনী আজ ধৈর্যহারা। সবুজ সংকেত পেলেই চারিদিক শুরু করবে আক্রমণের ফল্গুধারা। তাদের লক্ষ্য এখন শুধু একটিবার রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার আস্বাদন। তারা বুঝে গেছে মাথার উপর থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছে মুরব্বি দেশগুলোর কোমল পরশ, সমাজতন্ত্র ঘৃণার বাহাবা আর নেই তার বদলে জুটছে রক্ত চক্ষুর উত্তপ্ত চাহনি। তালেবানি আদলে দেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টারা আজ কারাগারে। সময় নেই, হাতে একদম সময় নেই, তারা আজ ভীষন মরিয়া শেষ দংশনে।
মৌলবাদীদের ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত নিয়ে ১৯ জানুয়ারির প্রথম আলোর করা রির্পোট টি হুবহু তুলে দিলাম।
সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। সেনা সদর দপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক এই তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা সফল হতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা গত ১৩ ডিসেম্বর মেজর পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তাকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন। তবে ওই মেজর বিষয়টি তাঁর চেইন অব কমান্ডকে জানালে অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এই ঘৃণ্য পরিকল্পনার আরেক অংশীদার মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর কর্মরত অন্য এক সেনা কর্মকর্তাকে একই ধরনের কার্যক্রম চালানোর প্ররোচনা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে মেজর জিয়াউলের ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করা হয়। তাঁকে ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর ছুটিতে থাকার সময় মেজর জিয়াউল পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক (সাবভারসিভ) কার্যক্রম চালানোর পাঁয়তারা করেন এবং তিনি এখনো তা করে চলেছেন।এ ছাড়া, সুনিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তাকে সরকারের আনুগত্য থেকে বিরত থাকার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মেজর পদবির এক কর্মকর্তাকে গত ৩১ ডিসেম্বর সেনা আইনের ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া এবং কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর মেজর জিয়াউল তথাকথিত গ্রেপ্তার ও নির্যাতন-সংক্রান্ত অবিশ্বাস্য গল্প বর্ণনা করে একটি উসকানিমূলক ই-মেইল তাঁর পরিচিতদের পাঠান। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে সোলজারস ফোরাম নামের একটি পেইজে আবু সাঈদ নামক এক ব্যক্তি আপলোড করে দেন। পরে ওই কর্মকর্তা ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মধ্যম সারির কর্মকর্তারা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন’ শিরোনামে দুটি ই-মেইল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। ৩ জানুয়ারি মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেট বার্তাটি ‘আমার দেশ’ পত্রিকা প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জানুয়ারি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেটে পাঠানো ওই বার্তাটিকে ভিত্তি করে দেশব্যাপী উসকানিমূলক প্রচারপত্র ছড়ায়। ৯ জানুয়ারি এর ওপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীতে গুমের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক দুজন কর্মকর্তা ও চাকরিরত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থাকে উত্খাতের ঘৃণ্য চক্রান্তের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়, যার কার্যক্রম এখনো চলছে।
সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৯ ও ১০ জানুয়ারি মেজর জিয়াউল তাঁর অপারেশনের পরিকল্পনার কপি ই-মেইলে চাকরিরত কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর ১০ ও ১১ জানুয়ারি সেনা-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতির বিষয়ে মুঠোফোনে কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে মেজর জিয়াউল জানতে চান এবং তাঁদের বারবার এ কাজে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। একই রাতে মেজর জিয়াউল সম্ভবত হংকংয়ে বাংলাদেশি নাগরিক ইশরাক আহমেদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেনা-অভ্যুত্থানের বিষয়টি প্রচার করার জন্য বলেন।
মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, এরই মধ্যে এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত কিছু সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা তাঁদের সম্পৃক্ততার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে অক্ষুণ্ন রাখতে এবং সমৃদ্ধির পথকে সুগম করতে এ ধরনের ঘৃণ্য অপচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে হবে।
মেজর জিয়াউলের আইনগত নিরাপত্তা ও সঠিক বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার স্বার্থে সেনাবাহিনীতে তাঁর আত্মসমর্পণ করা খুবই জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত জজ জেনারেল লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাজ্জাদ।
ধারনা করা হচ্ছে সামরিক বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সব মিলে ১৪ থেকে ১৬ জন ব্যক্তি এই চক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত আছেন। এদের মধ্যে ১১ জন অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীর ফোনালাপ গোয়ান্দা সংস্থা হাতে আছে যারা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সাথে অভ্যুত্থান বিষয়ে নানা পরিকল্পনা করতেন। এদের মধ্যে একজন মেজর জেনারেল, একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, দুইজন লেফটেনেন্ট কর্নেল, ছয়জন মেজর ও একজন ক্যাপ্টেন। এদের সাথে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীসহ জঙ্গি সংগঠন গুলোর সম্পর্কের কথা ক্রমশ বেড়িয়ে আসছে।
মেজর জিয়াউল হক সিলেটের মৌলভী বাজারের সন্তান। আশ্চর্যজনক ভাবে আরেক উগ্রপন্থি বাংলাভাইকে(বেহেস্তবাসী) বন্ধী করা হয়েছিল সিলেট থেকে। প্রাক্তন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে বোমা মারা হয়েছিল এই সিলেটেই। তাই সিলেটের নামটি কাকতালীয় ভাবে বারবার জঙ্গি তালিকায় এসে যাচ্ছে নাকি সিলেট আসলেই জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমিতে পরিণত হচ্ছে এই ধরনের একটা সন্দেহ কাটার মতই কেন জানি মনে খচখচ করে।
বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক মেরুকরণের পালা বদলের ফলে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল দেশে বহিঃবিশ্বের স্বীকৃতি ছাড়া জোর করে রাজনৈতিক ক্ষমতা অধিগ্রহণ করে টিকে থাকা কোন দল বা ব্যক্তির পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। এই নির্ভেজাল সত্যটুকু উগ্রপন্থিরা যেমন জানে তেমনি আমাদের সরকার জানে না তা ভাবা নেহায়েত বোকামি ছাড়া কিছু নয়। তাই সম্প্রতি ফাঁস হওয়া চক্রান্তটিকে শুধু দেশি গুটি কয়েক লোকের চক্রান্ত বা বিরোধী দলের চক্রান্ত হিসাবে বাকসর্বস্ব বিবাদে না জড়িয়ে সরকারের উচিত বিদেশী সেই চক্রটিকে যথাসম্ভব খুজে বের করে সচেতন হওয়া আর দেশীয় অনুচরদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। তা না হলে সরকারের এই অবহেলার দায়ভার যুগ যুগ ধরে রক্ত দিয়েই শোধ করতে হবে পুরো জাতিকেই।
সময়পোযোগী লেখা। (Y)
ঘটনা ১- কর্নেল রশিদ,মেজর ডালিম সহ আরও কিছু বিপথগামী অফিসার তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে নিখুঁত পরিকল্পনা করে এসাসিনেট করে ঘোষণা দেয় তারা ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের উদ্যোগে এই অপারেশন চালিয়েছে।খন্দকার মুশতাক আহমেদ ক্ষমতায় এসে ইনডেমিনিটি এক্ট পাশ করেন।যে আইনে খুনিদের বিচার রহিত করা হয়।পরবর্তীতে এদের ডানপন্থী কিছু ইসলামি রাষ্ট্রে বিভিন্ন কূটনৈতিক দায়িত্তে নিয়োগ দেয়া হয় এবং তিন বাহিনীর প্রধানগন মুশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
(কর্নেল রশিদ টিভি সাক্ষাৎকারে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের কথা স্বীকার করেন)
ঘটনা ২- প্রেসিডেন্ট জিয়ার এসাসিনেশন এর পর তার দেখানো পথ ধরে রক্তপাতহীন ক্যু এর মাধ্যমে জনগণকে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখিয়ে গদিতে বসেন লে যে হু মু এরশাদ। প্রায় শুক্রবার আল্লাহ্ ওনাকে স্বপ্ন দেখাতেন কোন মসজিদে জুমার নামায পড়তে হবে,উনি সেখানে দৌড়ে যেতেন নামায পড়তে।কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিয়ার ঘটনার পর রিস্ক নেবার মত অপশন তার হাতে ছিল না।তাই স্বপ্ন দেখার আগেই উনি মশজিদে নিরাপত্তার আয়োজন করতেন,তারপর স্বপ্নে দেখতেন।
(বন্দুকের নল সকল ক্ষমতার উৎস+ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম)এই ফর্মুলার যে সুস্বাদু পিল বহু আগেই আমাদের গেলানো হয়েছিল, আজও আমরা সেই পিলের ঢেঁকুর তুলি।
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড,
😀 অতি সত্যি কথা। সাক্ষী দিতে পারবো।
কথাটা হবে
খন্দকার মুশতাক আহমেদ ক্ষমতায় এসে ইনডেমিনিটি এক্ট পাশ করে
ঐ সব খুনী বদমাশদের করেন মরেন বলার মানে কি বুঝি না। আর ধৈর্যে কুলাচ্ছে না।
হাঁ, মনে হচ্ছে অতি ধীরে ধীরে কিছু কিছু বাঙালি মুসলিম বুঝতে পারছে ইসলামের অসারতা। এই পরিবর্ত্তন হতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের জন্যই। ছাপানোর প্রযুক্তি যেমন খৃষ্টধর্মের অসারতা দেখিয়েছে—যেহেতু ছাপানো অনুবাদিত বাইবেল শত সহস্র ব্যক্তির হাতের মাঝে এসে গেছিল। আসলে ছাপানো বাইবেলের মাঝেই নিহিত ছিল বাইবেলের অসারতার বিস্তীর্ণ প্রচার।
তেমনি করেই ইন্টারনেট এবং ব্লগ ইসলাম নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে–বিশেষতঃ অনেক বাঙালি মুসলিমদের মাঝে। এই বীজ একদিন এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হবে।
তবে, আমার মনে হয় ইসলামের বিষ দাঁত ভাঙতে অনেক সময় লাগবে। আজ মিশর, তিউনিসিয়ায় যা ঘটতে যাচ্ছে–তা দেখে আমাদের মোটেই আশ্মবিত হবার কিছু নাই। মনে হচ্ছে সমগ্র আরব বিশ্ব আরও এক গভীর তিমিরে আবৃত হতে যচ্ছে। এর ঢেউ বাংলাদেশেও আসবে–যার প্রমাণ হয়ত এই নিষ্ফল সামরিক অভ্যুথান। অদুর ভবিষ্যতে যে এই ধরণের অভ্যুথান হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
শুধু সিলেট নয়, সারা বাংলাদেশই জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমিতে পরিণত হচ্ছে।
ধর্মান্ধদের একটা বড় চক্রান্ত থেকে বেঁচে গেল বাংলাদেশ। তবে বোঝা যাচ্ছে তাদের বিষদাঁত এখনও পুরোপুরি ভেঙে দেয়া যায়নি। তলে তলে এখনও তারা এই দেশকে ইসলাম নামক আরবীয় সাম্রাজ্যবাদের অধীন করতে চাচ্ছে। সেনাবাহিনীকে সাধুবাদ জানাই এই চক্রান্তকে অঙ্কুরেই বিনাশ করার জন্য।
@আলোকের অভিযাত্রী,
আমি আল বদর বলছি এই বইটা কারো পড়া না থাকলে পড়তে পারেন। মূল (পিডিএফ) বইটা শুরু হয়েছে সুরা নিসার ৭৫ নং আয়াত দিয়ে-
তারপর আছে কারবালা, আছে মক্কা বিজয় সহ ইসলামের তাহজিব ও তামাদ্দুনের কথা।
@আকাশ মালিক,
অসাধারণ একটা সাইটের খোঁজ দিলেন মালিক ভাই। পাকিস্তানপন্থীরা যে এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কতটা সক্রিয় তা আবার অনুধাবন করলাম। এই দালালদের সবারই চিনে রাখা দরকার। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। (F) (F)
সময় উপযোগি লেখার জন্যে লেখক’কে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সেই সাথে ,
@ সপ্তক
এই কথার সাথে আমি সহমত। কোনো দলের আলোচনা সমালোচনা করতে গেলেই তাকে ঠেলে এক দলে অন্তর্ভুক্ত করা এই দেশের মানুষের রেয়াজ।
@আফরোজা আলম,
আচ্ছা আফরোজা আলম , লেখার সময় যে প্রথম পরব,দিতিয় পর্ব হিসেবে লেখা হয় তখন দ্বিতীয় পর্বে “প্রথম পর্ব” হাইলাইট করা থাকে যেখানে মানে প্রথম পর্বে ক্লিক করলে প্রথম পর্বে যাওয়া যায়, এটা কিভাবে করে?। দয়া করে একটু জানাবেন । এডমিনকে মেইল দিয়েছিলাম জানার জন্য উত্তর ত পাই নাই। 🙂
@সপ্তক,
১ পর্ব লিখে লিঙ্ক দেবেন। তাহলে ক্লিক করলে পাঠকেরা পড়তে পারবে।
@সপ্তক,
প্রথমে লিখবেন পর্ব সংখ্যা। তারপর সেই পর্ব সংখ্যার উপর কপি/কাট যেভাবে করেন সেই ভাবে মার্ক করে প্রয়োজনীয় লিংকটি কপি করে লেখা বা মন্তব্যের ঘরে গিয়ে লিংক বাটনটি ক্লিপ করুন। তারপরে দেখবেন সব ফকফকা। 🙂
@রাজেশ তালুকদার,
ধন্যবাদ
@ রাজেশ তালুকদার, আপনার সময়োপযোগী লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
তবে রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তবে কি বলবেন। যদি আমি বলি বিডিআর হত্যাকান্ডের রেশ এখনো কাটেনি। প্রকৃত হত্যাকারীরা ধরা না পড়ার কারণ হিসেবে সরকার নিশ্চুপ মনোভাব ও অতিরিক্ত হিসেবে মিল খুঁজে না পাওয়া অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবে এই আওয়ামী লীগ সরকার।
যেমন = এখানে দেখুন
যতদূর জানি বিডিআর হত্যাকান্ডের বেশির ভাই মেজর জেনারেল, বিগেডিয়ার জেনারেল, ও ক্যাপ্টেনরা ছিলেন বিএনপি পন্থী! এটাও কি অন্যতম কারণ?
বেশি বলার কিছুই নেই। এখানে একটা লিঙ্কটা দিলাম – “বিডিআর হত্যাকান্ডের গোপনীয় অধ্যায়” । ডাউনলোড করে পড়ে নিবেন পাঠকরা। বাকীটুকু আপনাদের উপর হাতে ন্যস্ত। ধন্যবাদ।
@সবুজ বডুয়া,
আপনার লিঙ্কটিতে একটু চোখ বুলালাম। ভালই ত গল্প ফাঁদতে পারেন দেখি আপনারা। যেমন,বিপদ দেখলে ভারতীয় সেনাবাহিনী নামবে, বিমান হামলা চালাবে ভারত। তা বড়ুয়া সাহেব ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট ভারত এগুলা করে নাই কেন?। তখন আপনাদের মত দেশপ্রেমিক রা এটা প্রচার করেছিল যে হেলিকাপ্টারে করে নাকি বাংলাদেশের দলিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ভারতে বাংলাদেশেকে বিক্রি করার জন্য। দেশের আবার দলিল থাকে?। পারেনও আপনারা ,বাঙ্গালী কি এখনো ঘাস খায় বলেই আপনাদের ধারনা?। ভারতের কি খেয়ে আর কাজ নাই তারা হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য শক্তি ক্ষয় করবে, বঙ্গবন্ধুকে ত বাচাতে আসে নাই। বেনামি এসমস্ত গবেষণা আর তদন্ত বাঙ্গালী অনেক দেখেছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নাকি ভুট্রর রচনা ছিল?…আপ্নারাই ত বলেন। তাজউদ্দীন সাহেব সহ আওয়ামীলীগের সব নেতা নাকি ৭১ এ কলকাতায় গিয়ে নারী নিয়ে মউয করেছে। আপ্নারাই বলেন। আমরা বলি সত্যকথা। আওয়ামীলীগ বর্তমানে ব্যর্থ দেশ পরিচালনায়, বর্তমান সরকারের কোন অরযন নেই। এরা দুর্নীতি গ্রস্থ। কিন্তু মিথ্যার বেসাতি করি না। এসব ব্যবসা ছাড়েন দাদা। এসবের দিন শেষ।
@সপ্তক,
কেন? দিন বদলের পালা নিয়ে এসেছেন বিধায় সেই সব দিন ছেড়ে চলে গিয়েছে নাকি দাদা! আর আপনার এত মাথাব্যথা কেন একটু শুনি? আপনি কি আওয়ামীলীগ পন্থীর হয়ে দিন বদলের গান গাইতে এসেছেন। বলুন তো দেখি, কেন আজ তিন বছর হতে চলল এই হত্যাকান্ডের কোনো অগ্রগতি হল না? তাজ, নানকরা কেনো বিজি০৫৯ বিমান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন? ২০০মিনিট ধরে ডিএডি’র সঙ্গে কার কথা হচ্ছিল? আর শেখ হাসিনার কাছে কি আগের রাত্রে ওহী নাজিল হইছিল, তিনি হঠাৎ প্রোগ্রাম বাতিল করেন? :-X কারাই বা হত্যাকান্ডের দুইদিন পর বিজি০৫৯ করে মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন?
তা দয়া করে এসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন কি সপ্তক দাদা!? (I)
এই যদি আপনাদের দিন বদল হয়, তাহলে বলতে হয় – এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে… :))
@সবুজ বডুয়া,
এসব প্রশ্নের উত্তর আপনারা যারা তদন্ত করছেন তারা বের করুন। দিন বদলের পালার কথা আমি বলেছি নাকি?। আগবাড়ায়ায়ে বলেন কেন?। আওয়ামীলীগের চামচামি করতে এখানে কেও আসে নাই। তবে আপনাদের মত স্বঘোষিত তদন্তকারীদের থেকে দেশবাসীকে সাবধান ত হতে হবেই। আপনাদের কাল্পনিক তদন্তে তাজও বাদ যায়নি, এই তাজের পরিনতি সবাই জানে। আওয়ামীলীগের মনরঞ্জন না করতে পারায় তাঁর অবস্থা কি হয়েছিল সবাই জানে। আপ্নারাই বলেন বঙ্গবন্ধু ভারতের দালাল, আর কত?। আপনাদের এখন মানুষ চেনে। আপনারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ভারতের দালাল বানাতে চান ,এইসব জারিজুরি মানুষ বুঝে। আওউয়ামিলিগ খারাপ এটা সবাই যেমন জানে তেমনিভাবে এটাও জানে যে বি,এন,পি এখন জামাত এ ইসলাম এর কন্ডম যা পরিধান করে গোলাম আজম দেশকে ৩৪ বছর যাবত ধর্ষণ করছে আর আপনারা হলেন সেইসব মানুষ যারা এসব কুলাঙ্গারদের সহযগি ।
@সপ্তক,
আগ বাড়িয়ে তো আমি যাইনি আপনার কাছে, আপনিই বরং আমার দিকে তেড়ে এসেছেন। তা আপনার কাছে কোনো প্রমাণ থাকলে তুলে ধরতে আপত্তি কোথায়? সত্য জানা থাকলে জানাতে দোষের কিছু তো দেখছি না।
তা আপনি কি জানেন একটু দয়া করে জানাবেন কি? কি মনোরঞ্জন তিনি করিতে পারে নাই?
উপরে আমার পোষ্ট দেয়া আছে আপনি আবার ভালোভাবে পড়ুন, তার পর বলুন, আমি একবারের জন্যও বংগবন্ধুর নাম উল্লেখ করি নি। যাক, সেই প্রসঙ্গে না গেলাম। শুনুন মিস্টার, আমি আপনার সংগে এ ব্যাপারে তর্কে যেতে আগ্রহী নই। প্রমাণ থাকলে তুলে ধরুন।
তা-ই!!! ভাই মাফ করেন, আওয়ামীলীগ হলে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি হওয়া যায়! জারিজুরির কই দেখলেন? আর এমনভাবে বলছেন যেন এই লেখাটার লেখক আমি নিজেই!
:lotpot:
আর আপনারা হলেন সেইসব মানুষ যারা এসব কুলাঙ্গারদের সহযগি ।
@সবুজ বডুয়া,
আমরা দ্বারা এখানে কি বুঝাতে চেয়েছেন, দয়া করে খোলসা করুন। আমার বক্তব্যে এমন কি কথা উঠে এসেছে, তা প্রমাণ করুন। আজ-বাজে বকবেন না, দয়া করে। :-Y
@সবুজ বডুয়া,
”
এত বড় একটা তদন্ত প্রতিবেদন এর লিঙ্ক মেরে দিলেন যার কোন নাম ধাম সুত্র কিছুই নাই আর আমরা নাকি আজেবাজে বকি!!!,মুক্তমনায় যখন আসেন তখন বেনামী তদন্তের জন্য সলিড তথ্য প্রমান (অডীও,ভিডিও ,চিত্র, সাক্ষাৎকার লাগে)বায়বিয় তদন্ত প্রতিবেদন “উন্মাদ” পত্রিকায় গিয়ে ছাপান। 😀
@সপ্তক,
পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়,
আপনার সাথে তর্ক করার আমার কোনো ইচ্ছা নায়। :rotfl: :lotpot:
@সবুজ বডুয়া,
রাম ছাগলরা সবাইকে ছাগল ভাববে এটাই স্বাভাবিক। আপনার মত রামছাগলের কাছে এর চেয়ে ভালো মন্ত্যব্য আর কি ই বা আশা করা যায়?
@সবুজ বডুয়া,
ফাঁস করার দায়িত্ত আপনারা নিয়েছেন আপ্নারাই ফাঁস করুন, আমরা না হয় মজা দেখি ভানু মারা গেছে আপনারা ত আছেন। :lotpot:
@সপ্তক,
নেন, এবাব গলাদকরণ করুন, নাম সহ কিছু Evidence তুলে ধরলাম। :rotfl:
@সবুজ বডুয়া,
আপনার লিঙ্ক ওপেন হয় না ঘন্টা পাঁড় হয়ে যায়। এসব লিঙ্কের একটা সামারি করে দেলোয়ার হোসেন ঝন্টূ কে দিন। ভালো সিনেমা হবে।
@সপ্তক,
এড়াম কলা খাইলে যাই হয় আর কি। ফালতু … নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা!!! :hahahee:
কেন! উনি কি আপনার বেয়াই লাগে নাকি??? :lotpot:
@সবুজ বডুয়া,
কুকুরের কাজ কুকুর করিয়াছে কামড় দিয়াছে পায়
তাই বলিয়া কি কুকুরের পায়ে কামড় দেয়া শভা পায়!!
কুকুরেরকে কামড় দেয়া শোভা পায় না তাই আপনার মন্তব্যের জবাব দেয়া গেল না। :-[
এখন আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচনা করলে যেমন রাজাকার উপাধি পেতে হয় ঠিক তেমনি ভাবে মউলবাদির সমালোচনা করলে ভারতের দালাল উপাধি কপালে জোটে। মৌলবাদীদের প্রধান অস্র ভারত বিরোধিতা, সেই দেশ ভাগের সময় থেকেই।এর মাঝেই আমরা এটাকে আরও এক কাঠি উস্কে দিয়েছি সিমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনা গুলোর জন্য । হিন্দুরা আমাদের বাংলাদেশ দখল করে নেবে এটা এখন মউলবাদিরা মন্তের মত জপে, যেমন জপত স্বাধীনতার সময়। সমালচনার শুরু হলে আমরা মৌলবাদীদের চেয়ে কম গেলাম কোথায়?। ভারতের বি,এস,এফ এর ১৪ জন সদস্যকে ১৯৯৬/৯৭ এ ততকালিন বি,ডি,আর খুন করে বাঁশে ঝুলিয়ে আনন্দ মিছিল করেছিল। কই ভারতে এত সমালোচনা হয়েছিল বলে ত শুনি নাই। বরং শুনেছিলাম বি,এস,এফ এর অইসব সদস্যরা বেআইনি ভাবে বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করেছিল, এই যদি হয়ে থাকে ওদের অপরাধ, হাবু শেখ ও ত অবৈধ চরাচালানিই করতে গিয়েছিল। নিজেদের বেলায় যুক্তি নিজেদের পক্ষে কেন?। ভারতের সাথে অনেক সমস্যা আছে কিন্তু তাঁর মানে ত এই না যে , গোলাম আজমকে পাকিস্তানের দালাল বললে তাঁর বিপক্ষয়ে শাহরিয়ার কবীরকে ভারতের দালাল বলতে হবে। আর যদি তাই হয় তাইলে ত পাকিস্তান ই ভাল ছিল যারা বলে তারা ঠিকই বলে।
ভারতকে করিডর দেয়া, পানির হস্যা না পাওয়া, টিপাইমুখি বাধ এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার সব বাংলাদেশি বাঙ্গালী এবং এটাই স্বাভাবিক। কানাডা থেকে আমারিকাতে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল রফতানীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার কানাডিয়ানরা কিন্তু আমেরিকা বিরোধী স্লোগান ত কানাডিয়ান রা দেয় না। আমরা নিন্দা করতে গিয়ে পারলে ভারতকে পায়ের জুতা খুলে মারতে যাই। আমাদের এই অতি সচেতনতা ই আমাদের পতনের মূল। খতিগ্রস্থদের জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া ছিল আমাদের কাজ , ভারত সরকারের কাছে, এবং বিচার, অপরাধ ঘটবে না এটা মনে করলে বলার কিছু নাই। ঘটলে খতিপুয়রন এবং বিচার চাই এটাই হওয়া উচিৎ আগে।
@সপ্তক, ভাল বলেছেন… “আমাদের এই অতি সচেতনতা ই আমাদের পতনের মূল”!!!
ধন্যবাদ,একটা জাতির অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য।
একেবার বাস্তব কথা।