লিখেছেনঃ চারু হক
গণহত্যার ইতিহাসে স্বল্পতম সময়ে সর্বাধিক মানুষ নিহত হয়েছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কর্তৃক গণহত্যায়। কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়া এই নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিল এদেশের আপামর জনসাধারণ; এদেশের বাঙালি ছাড়াও অর্ধশতাধিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ, যারা কখনো আদিবাসী, কখনো উপজাতি, কখনো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন অভিধায় অভিহিত। অস্তিত্বে জড়িয়ে থাকা, চেতনায় মিশে থাকা প্রতিবাদের ভাষা দিয়ে ইতিহাসের অধ্যায়ে অধ্যায়ে সংগ্রামী মহাকাব্যের এ স্রষ্টারাই ভারতবর্ষে বিদেশী শাসকদের বিরুদ্ধে ১ম বিদ্রোহ করেছিল। সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৬০- ১৮০০), গারো বিদ্রোহ (১৭৭৫-১৮০২), চাকমা বিদ্রোহ (১৭৮০-১৮০০), খাসি বিদ্রোহ (১৭৮৩), ময়মনসিংহের কৃষক বিদ্রোহ (১৮১২-১৮৩০), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫-১৮৫৭), মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৫৭), তেভাগা বিদ্রোহ (১৯৪৬-১৯৪৭), টংক বিদ্রোহ, নাচোল বিদ্রোহ প্রভৃতির পথ ধরেই তাঁদের সমুখে আসে মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১)।
এ মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর বাঙালি জাতির পাশাপাশি রক্ত ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সনাতনসব অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত সমরদক্ষ পাকিস্তানী সেনাদের সমুখে দাঁড়িয়েছে বাঙালি ছাড়াও অর্ধ-শতাধিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ- সাঁওতাল, চাকমা, মারমা, মুরং, ত্রিপুরা, গারো, হাজং প্রভৃতি।
উপমহাদেশের বিদ্রোহ-সংগ্রামের ইতিহাসে সমুজ্জ্বল সাঁওতালদের বাংলাদেশে বসতি উত্তরবঙ্গের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে। উত্তরবঙ্গে পাকিস্তানীদের প্রধান ঘাঁটি রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ছিল ২৩তম ব্রিগেড হেড-কোয়ার্টার। ২৩ মার্চ পাকিস্তানি লে. আব্বাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রংপুরসহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হিন্দু বিবেচনা করে পার্শ্ববর্তী সাঁওতাল গ্রামগুলোতে চালায় অত্যাচারের স্টীমরোলার। এ পরিস্থিতিতে দা-কুড়াল, তীর-ধনুকের মতো আদিম অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রংপুর সেনানিবাস আক্রমণের মতো দুঃসাহসিক কাজে এগিয়ে আসে সাঁওতালরা। ২৮ মার্চ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ বাঙালি ও আদিবাসী সকাল ১১ টায় ক্যান্টনমেন্টের দিকে অগ্রসর হয়। গোপন চর মারফত আগেভাগেই ঘেরাও-এর কথা জেনে যাওয়া পাকিস্তানীরা রাতেই সেখানকার বাঙালি অফিসার ও সেনাদের বন্দি করে এবং ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার প্রস্ততি নেয়। পদব্রজে সহস্র মানুষের অগ্রগামী স্রোত দেখে পাশবিক আক্রোশে গর্জে ওঠে তাদের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। শত শত বাঙালি ও আদিবাসীর রক্তে রক্ত-বর্ণ হয়ে যায় ঘাঘট নদীর জল। এদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় ৩০ হাজার সাঁওতাল। তিনশ’রও বেশি সাঁওতাল কেবল রংপুর থেকেই প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দিনাজপুরের ওরাওঁ ও সাঁওতাল মিলে প্রায় ১০০০ জনের একটি বিশাল মুক্তিবাহিনী ঐ এলাকায় অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করে। একইভাবে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, নেত্রকোণার গারো-হাজং-কোচ-ডালু প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৫০০ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সাঁওতালদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রেরণা যোগান সাঁওতালনেতা সাগরাম মাঝি। গোদাগাড়ি রাজশাহীর বিশ্বনাথ টুডু ছিলেন প্লাটুন কমান্ডার। মক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় সাঁওতাল খ্রিষ্টান যাজক ফাদার লুকাশ মারান্ডিকে, রাজশাহীর কাশিঘুটুতে ১১ জনকে এবং রংপুরের উপকণ্ঠে ২০০ জন সাঁওতালকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নির্মম লৈঙ্গিক নির্যাতন করা হয় গোদাগাড়ির আদাড়পাড়া গ্রামের মালতী টুডুসহ বেশ কয়েকজন নারীকে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধপর্বেই মণিপুরী-অধ্যুষিত মৌলভিবাজারের ভানুগাছ, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ছাতকের কোম্পানিগঞ্জ ও সিলেটে পাকসেনারা নৃশংসভাবে হত্যা করে নিরপরাধ ছাত্র, যুবা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে। আদিম লালসার শিকার হয় অসংখ্য মণিপুরী নারী। ১২ আগস্ট মৌলভীবাজারের ভানুবিলের মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ব্রাহ্মণ সার্বভৌম শর্মাকে হত্যা করা হয়। নিহত হন মাধবপুর গ্রামের গিরীন্দ্র সিংহ, গিরীন্দ্র সিংহ প্রমুখ। এভাবে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, বড়লেখা, চুনারুঘাট, মাধবপুর, বৈকুণ্ঠপুর, গোয়াইনঘাট, হবিগঞ্জের কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ৮৩ টি বাগান এলাকার আদিবাসী চা-জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ৬০২ জনকে হত্যা করে। কামারছড়ায় পাকসেনাদের ক্যাম্পে বাংকার খনন ও জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্যে পালাক্রমে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ্য করা হত ভানুবিলের প্রতিটি মণিপুরীকে। জঙ্গলে কাজ করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষ্ণ কুমার সিংহ, কুলেশ্বর সিংহসহ বেশ কয়েকজন আদিবাসী যুবক পালিয়ে ভারত গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কেবল গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধ নয়, শব্দশিল্প, চিত্রশিল্প, নৃত্যশিল্প প্রভৃতির মধ্যদিয়েও মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন অনিতা সিংহ, সাধন সিংহ, বানী সিনহা প্রমুখ। নন্দেশ্বর সিংহ, বিজয় সিংহ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক কয়েকশত মুক্তিসেনার বাহিনী গড়ে তুলতে অসীম ভূমিকা রাখেন।
বর্মিদের অত্যাচারে সবকিছু হারিয়ে এদেশে স্থিতু হয়েছিল রাখাইনরা। অভিজ্ঞতায় স্বাধীনতা হারানোর বেদনা, চেতনায় পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষার বশেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্ব রাখেন অসংখ্য রাখাইন। তেমন কয়েকজন উল্লেখযোগ্য বীরযোদ্ধা- কক্সবাজারের উ-মংয়াইন, উ-ক্যহ্লাচিং, পটুয়াখালী-বরগুনার উ-উসিটমং, রামুর মংয়াইন, মহেশখালীর মংহ্লা প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধকালে রাখাইনদের কেউ কেউ নিজেদের ‘চায়না বৌদ্ধ’ পরিচয় দিয়ে রক্ষা পেলেও পাকিস্তানি নৃশংসতায় নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অধিকাংশ রাখাইন জনপদ। মে মাসে মহেশখালীর ঠাকুরতলা বৌদ্ধ বিহারে পাকসেনারা অনুপ্রবেশ করে বিনা অপরাধে বিহারের মহাথেরো উ-তেজিন্দাসহ ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করে। বৌদ্ধ বিহারের ৬২টি রৌপ্য মূর্তি লুণ্ঠন ও কয়েকটি শ্বেত পাথরের মূর্তি ধ্বংস করে। দক্ষিণ রাখাইন পাড়ার বৌদ্ধ বিহারের সেবায় নিয়োজিত তিনজন নিরপরাধ রাখাইনকে আগুণে পুড়ে হত্যা করে।
অন্যদিকে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় একাত্তরে পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করায় সকল চাকমাদের ঢালাওভাবে পাকিস্তানের দালাল বলা হয়। পাকিস্তানপর্বে এদেরকে ভারতপন্থী, আবার ’৭১ ও পরবর্তীপর্বে বলা হয় পাকিস্তানপন্থী। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন রকম। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাকমারা। ১ লক্ষ চাকমা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তাদের মধ্যে পাকসরকারের প্রতি ক্ষোভ ছিল সহজাত। তাই চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় ’৭১-এ পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও চাকমা রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য কে. কে রায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রখ্যাত চাকমা নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার নেতৃত্বে সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রস্তুতি নিয়েছিল অসংখ্য চাকমা ছাত্র ও যুবক। তাঁদের ভাষ্যমতে, পার্বত্য চট্টগ্রামের তদানীন্তন জেলা প্রশাসক এইচ.টি.ইমাম এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাইদুর রহমানের ষড়যন্ত্রে চাকমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এর অনেক প্রামাণ্য উদাহরণের মধ্যে উল্লেখ্য- রসময় চাকমা, তাতিন্দ্রলাল চাকমা প্রমুখ। প্রশিক্ষণের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারত গিয়েও বিফল মনোরথে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁদের। সঙ্গে ছিলেন আরও অনেক আদিবাসী তরুণ যুবক। যুদ্ধে অংশ নিতে না পেরে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের সনাতন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুযোগ বুঝে বিচ্ছিন্নভাবে পাকিস্তানীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন এবং অন্যদিকে কেউ কেউ হতাশ হয়ে পাকিস্তানীদের ইন্ধনে রাজাকার বাহিনীতে নিযুক্ত হয়েছেন। অথচ পরবর্তী সময়ে এ কতিপয় চাকমা রাজাকারের জন্য নির্মম মাশুল দিতে হয়েছে আপামর চাকমা জনগোষ্ঠীকে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়োত্তর অব্যাহতিকালেই মুক্তিযোদ্ধা নামধারী কতিপয় দল চাকমাপ্রধান কুকিছড়া, পানছড়ি, কানুনগোপাড়ায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা ও লুটপাটের মহোৎসব চালায়। খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গার আসালং, বড়বিল, তাইন্দ্যং এবং তবলছড়ি মৌড়ার গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষে যে দলটি মাটিরাঙ্গা হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে, সে দলটি পানছড়ি এবং দীঘিনালার বেশ কয়েকটি আদিবাসী গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং কিছুসংখ্যক আদিবাসীকে হত্যা করে। আবার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যেসকল চাকমা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাঁদের প্রতি পরবর্তীতে শীতল আচরণ করা হয়। যুদ্ধকালীন বীরত্বের স্বীকৃতির রেকর্ড অনুযায়ী ৩ জন চাকমা মুক্তিযোদ্ধাকে বিধান মোতাবেক খেতাবে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, পরবর্তীতে তা অকার্যকর রয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি মং রাজা মং প্রু সেইন সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধকালে মানিকছড়ি রাজবাড়িতে আশ্রয়শিবির এবং ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, মুজিবনগর সরকারকে অর্থ-সহায়তা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিজের কয়েকটি গাড়ি এবং ত্রিশটির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদান করেছেন। এরপর তিনি ত্রিপুরার সাব্রুম এবং সেখান থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে রূপাইছড়ি শরণার্থী-শিবিরে অবস্থান গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের কাজে নিয়োজিত হন। এরপর নিরাপত্তার খাতিরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে আগরতলায় পাঠিয়ে অনারারি কর্নেল উপাধি দেয়। এসময় তিনি আখাউড়া অপারেশনসহ বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনে পুরোভাগে থেকে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ করেন।
অথচ সংবিধানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব অস্বীকার করার মতই মক্তিযুদ্ধে তাঁদের ত্যাগ ও অবদানকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ইতিহাসবিদ ও গবেষকগণ এড়িয়ে গেছেন মুক্তিযুদ্ধের এ সাহসী উপাদানগুলো। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণার আকড়গ্রন্থ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ১৫ খন্ডের দলিলপত্রে উল্লেখ নেই এঁদের অবদানগাঁথা। এমনকি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ কর্তৃক শ্রেষ্ঠ ইতিহাস গ্রন্থের মর্যাদা লাভকারী মূলধারা ’৭১ (মঈদুল হাসান) এও আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান ঊপেক্ষিত।
লেখক পরিচিতি : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। পেশাগতভাবে গবেষক ও লেখক। প্রথম গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী (ঐতিহ্য ২০০৮)। পাশাপাশি আদিবাসী ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে আরও কিছু গ্রন্থ রচনার প্রয়াস পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু গ্রন্থ প্রকাশিতব্য। প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী লেখক আস্থা রাখেন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র ও উদার মানবতাবাদে।
” />মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট মহেসখালী মাতারবাড়ী মুক্তিযোদ্বা রমিজ আহমদের চৌং বি,এ আবেদন। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর হলে ও মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের তিতামাঝির পাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্বা রমিজ আহমেদ চৌং এর নাম মুক্তিযোদ্বাদের মৃল তালিকায় অন্তর ভুক্ত হয়নি। শহীদ মৃক্তিযোদ্বা ও বঙ্গবনৃধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিশ্রদ্বা নিবেদন করে এই । প্রতিবেদক কে কান্না জড়িত কন্ঠে মুক্তিযোদ্বা রমিজ আহমেদ বি,এ জানান ১৯৭১ সালের ২৭ শে মার্চ সময় পাক হানাধার বাহীনি নিরহ নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর বর্র বর্র হামলা ও নির্যাতন শুরুকরে ।তখন মাতারবাড়ীর সন্তান রমিজ আহমেদ চট্রগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ অধ্যায়ন রত ছাত্র কালুঘাট এলাকায় ব্যপক ্যুদ্ব হচেছ খবর পেয়ে,রমিজ আহমেদ বি,এ মাতৃভুমি রক্ষার্থে চট্রগ্রামের ১ নং সেক্টরে কামান্ডার রফিকুল ইসলাম এর অধীনে সত্রি্য়ভাবে পাক হানাধার বাহীনির বিরোদ্বে য়ুদ্বে অংশগ্রহণ করেন । চট্রগ্রাম যুব ক্যাম্পের অধীনে, রমিজ আহমেদ অন্যান্য মুক্তিযুদ্বাররা সহ একাধিক বহীনির বিরোদ্বে যুদ্বে অংশগ্র্হণ করেন ।অন্যান্য মুক্তিযোদ্বারা সহ একাধিক বার পান্জাবি হানাধার বিরোদ্বে সুন্মুখ যোদ্বা অংশগ্রহণ করেন বলেন ,জানান রমিজ আহমেদ অনেক ত্যাগের বিনিময়ে দেশ শতৃরু মুক্তি হবার পর নাড়ীর টানে মাতৃভুমির নিজ গ্রামের চলে আসলে । রমিজ আহমেদ, তিনি হতশায় শুরে বলেন নিজ গ্রামে এসে দেখি পান্জাবিরা আমাদের ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে সর্বস্ব নির্স্ব করে দিয়েছে । আমার পরিবার লোকজন অন্যত্রে আশ্রয় নিয়ে কোন মতে দিন আতিপাত করে প্রাণে বেঁচে ছিল । বিভিষিকাময় কালো অধ্যায়ের করুণ বর্ণানা দিলেন মুক্তিযোদ্বা রমিজ আহমেদ ও তাহার আত্মীয় ষজন ।স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হলে ও আমারর নামটা মুক্তিযোদ্বাদের মৃল তালিকায় অন্তর ভৃক্ত হয়নি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে গেছি বয়স এখন ৭৫ চলছে ,জীবন মৃতযুর সন্বিক্ষণের এই মুহুর্তে দেশ মাতৃকার লড়াকু সৈনিক হিসেবে মুক্তিযোদ্বাদের মৃল তালিকায় আমার নামটি অন্তর ভৃক্ত করতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবনধুর কণ্যা দেশরত শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাছি। ১৯৯১ সালের প্রবল ঘৃর্ণিঝড়ে আমার বাড়ীঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল । ওই সময় আমার বাড়ীতে রক্ষিত দালিলিক কাগজ পত্র লোনাপানিতে নস্ট হয়ে গিয়েছিল , একাড়েমিক সাটিফিকেটর সাথে মুক্তিযোদ্বা অংশগহণ করার সাটিফিকেট টি পেয়েছি, যাহার ক্রমিক নান্বার ১১৭৯৯৩ নাম রমিজ আহমদ চৌং,বি,এ পিতা তমমি গোলাল, মাতা,বদিজজামান গ্রাম,তিতামাঝির,পাড়া ইউনিয়ন মাতারবাড়ী উপজেলা মহেসখালী জেলা কক্সসবাজার মোবাইল ০১৭২৫৫০৫৫৬৯,ছবির ক্যাপশন রমিজ আহমেদ সাটিফিকেট ।<img style="width:400px" src="
ক্ষমতা থাকলে সব ফেরেসতাই একনায়ক হয়ে যায়। পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি যেমন মনোভাব পোষন করা হত, বাঙলাদেশের পক্ষ থেকে সবুজের বন্যা ছাপিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পার্বত্য অঞ্চলের দিকের তেমন মনোভাব পোষন করা হয়। হয়ত কম বেশী হতে পারে ব্যাপারটা। কিন্তু এমনটা কোন যুক্তিবাদী মানুষেরই কাম্য নয়।
প্রবন্ধের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আরো লিখুন।
খুবই তথ্য নির্ভর এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখা। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা চারু হক।
তবে লেখায় তথ্যসূত্রসমূহ উল্লেখ করলে আরো ভালো হতো।
মুক্তমনায় পাহাড়ের মুক্তিযুদ্ধের ওপর আমার একটি ধারাবাহিক শুরু হয়েছে, দেখেছেন নিশ্চয়ই। আপনার এই লেখাটির পর আমার ধারাবাহিকটির কাজ অনেক সহজ হয়ে গেলো।
আশাকরছি, মুক্তমনায় নিয়মিত লিখবেন।
—
এই লেখাটি ফেসবুক গ্রুপ ও গুগল+ পেইজ ‘পাহাড়ের রূদ্ধকণ্ঠ CHT Voice’ এ এবং গুরুচণ্ডা৯ ডটকম-এর মুক্ত আলোচনার মঞ্চ ‘মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী’ নামক টইপত্রে শেয়ার করলাম।
সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ, পেইজ ও মঞ্চে যোগ দেওয়ার।
চলুক। (Y)
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিটি অংশই আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। আপনাকে শুভেচ্ছা।
কিন্তু আপনি কোনো তথ্য-সূত্র উল্লেখ করেন নি। সবগুলো তথ্যেরই উৎস উল্লেখ করা দরকার, এক্ষেত্রে আপনি নিজে যদি কোনো ঘটনার সাক্ষী/উৎস হোন, তবে তাও উল্লেখ করা প্রয়োজন। তথ্যসূত্র যোগ করলে আপনার লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
[ইউনিকোডে লেখা পাঠাবেন, বিজয়ে লেখে পাঠালে তা সাধারণত প্রকাশ করা হয়না। বিজয় থেকে ইউনিকোডে কনভার্ট করতে পারেন এখান থেকে। ইউনিকোডে বাংলা লেখার জন্য অভ্র ডাউনলোড করে নেন।]