মানুষ মোহাম্মদ কেমন ছিলেন, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল সেটা জানা গেলে ইসলামের চরিত্র বোঝা সহজ হবে। আব্দুল্লাহর পূত্র মোহাম্মদ তাঁর জন্মের ছয়মাস আগেই তাঁর পিতাকে হারান অর্থাৎ এতিম হিসাবে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর জন্মের কিছু পরেই হালিমা নামের এক ধাত্রী তাঁকে নিয়ে যায় দুধমাতা হিসাবে লালন পালনের জন্য। তার বয়স যখন ৬ তখন তাঁর মা আমেনা মারা যায় এবং এতিম মোহাম্মদকে তাঁর পিতামহ মুত্তালিব লালন পালন করতে থাকেন কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মুত্তালিবও মারা যায় তখন এতিম ও অসহায় মোহাম্মদ তাঁর চাচা আবু তালিবের কাছে লালিত পালিত হতে থাকেন। তৎকালীন আরব ঐতিহ্য অনুযায়ী এতিম মোহাম্মদ উত্তরাধিকার সূত্রে কোন সম্পদের অধিকারী ছিলেন না, ফলত: একজন দীন হীন হত দরিদ্র এতিম বালক হিসাবে তিনি চাচা আবু তালিবের কাছে থাকতেন ও তার উট দুম্বা চরাতেন যার মাধ্যমে তার অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের সংস্থান হতো। সহজেই বোঝা যায় যে মোহাম্মদ প্রকৃত পক্ষে কখনোই স্বাভাবিক কোন শিশুর মত আদর ভালবাসাপূর্ন পরিবেশে লালিত পালিত হন নি। আবু তালিব তাঁর চাচা কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত বংশের একজন গণ্যমান্য ব্যাক্তি হলেও ছিলেন গরীব ও তার অনেকগুলো বাচ্চা কাচ্চা ছিল, এ ধরনের জনবহুল গরীব পরিবারে একজন এতিম বালক কিভাবে নিতান্ত অবহেলায় মানুষ হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। সুতরাং খুব ছোট বেলা থেকে অনাদর অবহেলায় লালিত পালিত মোহাম্মদের মনের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতাবোধ জন্ম নেয় যা তাকে পরে পরিণত করে প্রচন্ড একগুয়ে, এক রোখা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মানুষে । একই সাথে জন্মগতভাবে মোহাম্মদ ছিলেন ভীষণ বুদ্ধিমান ও মেধাবী। ইতিহাসের পাতা খুললেই দেখা যায়, এ ধরনের মানুষগুলো জীবনের এক পর্যায়ে দারুন সফলতা পায় তবে তাদের সফলতার কারনে প্রায়ই সমাজকে অনেক ভুগতে হয়। এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো- জার্মানীর এডলফ হিটলার। হিটলারের জীবনী থেকে জানা যায়, অষ্ট্রিয়ার এক গ্রামে খুব গরীব ঘরে তার জন্ম যদিও তাদের পরিবারের অবস্থা পরে একটু ভাল হয়।তবে তার পিতা ছিল ভীষণ রাগী মানুষ যে কিনা হিটলারকে সামান্য কারনে প্রহার করত। দেখা যায়, হিটলারের বাল্য জীবন খুব সুখকর ছিল না যা তাকে বেশ একগুয়ে করে তোলে। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে তার এ একগুয়েমীর কারনে তার তেমন কোন ব্ন্ধু ছিল না। পরবর্তী জীবনে তার এ একগুয়েমীর কারনেই সারা দুনিয়ার মানব জাতিকে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়। এক গুয়েমীর কারনেই তার মধ্যে উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তা ভাবনার উদ্রেক ঘটে।তারপরেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাদেরকে কিছুটা হলেও উপকার করেছে তা হলো- তখন যুদ্ধের প্রয়োজনেই নানা রকম প্রযুক্তির খুব দ্রুত আবিষ্কার হয় যার ফল আমরা আজকে ভোগ করছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ না হলে আজকে যে প্রযুক্তির যুগে আমরা বাস করি তা করতে পারতাম কিনা সন্দেহ। মোহাম্মদের জীবনী অনেকটা হিটলারের মতই। তার বাল্য ও যৌবনে খুব বেশী বন্ধুবান্ধব তার ছিল না। একা একা নির্জনে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। তখনই তার মনে জাগ্রত হয় আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার। এ চিন্তা থেকেই তার ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা। কারন তখন আধুনিক যুগের মত জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের পরিবেশ ছিল না। বিংশ শতাব্দীর পরিবেশ যদি হিটলার না পেত, তার যদি জন্ম হতো মধ্যযুগে তাহলে তার যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমরা দেখতে পাই তাতে করে তার পক্ষে একজন নবী হওয়া মোটেও কষ্টকর ছিল না। মোহাম্মদ যদি মধ্যযুগে আবির্ভুত না হয়ে বিংশ শতাব্দীতে আবির্ভূত হতেন তাহলে তাকে একজন সফল আরব জাতীয়তাবাদী নেতা হিসাবে দেখতে পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। ইসলাম থেকে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয়টা যদি বাদ দেয়া যায় তাহলে এটা একটা উগ্র আরব জাতীয়তাবাদী মতবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়।
শৈশব কৈশোরে তিনি যে কতটা অসহায় ছিলেন তার দীর্ঘশ্বাস কিন্তু কোরানেও পাওয়া যায়। যেমন, আল্লাহর বানীর নামে তিনি বলছেন-
তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না। সূরা আদ দোহা,৯৩: ০৬-১০
এখানে দেখা যায়, পরিনত বয়েসে তাঁর মনের দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছে। পিতা মাতা হারা গরীব এতিম বালকের কোন সামাজিক মর্যাদা ছিল না সেই সময়ের আরব ভূমিতে। এসব এতিমরা ছিল মানুষের করুণার পাত্র। সামাজিক এ অবস্থাই কিশোর মোহাম্মদের মনে বিরাট প্রভাব ফেলে। অবচেতন মনে তার মারাত্মক জেদ জমতে থাকে। জন্মের আগেই পিতা হারা, জন্মের পর থেকে ৫ বছর কেটেছে এক দুধমাতার কাছে, তার পর মায়ের সান্নিদ্ধে আসতে না আসতেই তারও মৃত্যু ঘটেছে। বাবা-মা এর স্নেহ আদর বঞ্চিত মোহাম্মদের হৃদয় সেই কৈশোর বয়েস থেকেই কঠোর হতে কঠোরতর হতে থাকে, যার ওপর প্রভাব পড়ে আবার মরুময় আরবের কঠোরতার। সব মিলে কৈশোর থেকেই মোহাম্মদ একটা পারমাণবিক বোমার মত বেড়ে উঠতে থাকেন ভবিষ্যতে বিস্ফোরণের অপেক্ষায় , ঠিক যেমন ঘটেছিল জার্মানীর হিটলারের বেলাতে। তিনি যা কিছু স্নেহ মমতা পান তাঁর পিতামহ আব্দুল মুত্তালিবের কাছ থেকে কিন্তু তিনিও অতি দ্রুত তাকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান।যখন তার বোঝার মত বয়েস হয়েছে তখন স্নেহ-মমতার কাঙাল মোহাম্মদ বুঝতে পারেন যে তার বিধবা মাতা ইচ্ছা করলে তাকে দুধমাতার কাছে না দিলেও পারত কারন তিনিই ছিলেন তার একমাত্র সন্তান। অথচ তাকে কোন রকম স্নেহ মমতা না দিয়েই সে হঠাৎ মরে যায় যা তার কাছে ছিল একটা বিরাট আঘাত যা তিনি পরিনত বয়েসে বুঝতে পারেন। আর তখন থেকেই তার অবচেতন মনে তাঁর মায়ে প্রতি বিদ্বেষ বাড়তে থাকে যা একটা পূরোপূরি সাইকোলজিক্যাল ব্যপার যার তেমন কোন বহি:প্রকাশ থাকে না। মায়ের প্রতি তার এ বিদ্বেষ অবচেতন মনে এতটাই শিকড় গেড়েছিল যার প্রমান পাওয়া যাবে একটি হাদিসে। এ হাদিসটি বলা হয়েছিল মোহাম্মদের মক্কা বিজয়ের পর। মক্কা বিজয়ের পর পরই তিনি তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করতে যান আর তখনই এ হাদিসটির সূত্রপাত ঘটে-
আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত, আমি নবীকে বলতে শুনেছি- আমি আমার মায়ের জন্য ক্ষমা ভিক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম কিন্তু তিনি তা মঞ্জুর করেন নি। আমি তার কবর জিয়ারত করার অনুমতি চেয়েছিলাম এবং তিনি তা মঞ্জুর করেছেন। সহি মুসলিম, বই-৪, হাদিস-২১২৯
কি এমন অন্যায় তাঁর মা তার সাথে করেছিল যে এমন কি আল্লাহর কাছে স্বয়ং নবীর প্রার্থনাও কাজে আসে নি ? লক্ষ্যনীয়, ইসলাম আবির্ভাবের অন্তত ৩৪ বছর আগে আমেনা মারা গেছে, যে কারনে তার পক্ষে ইসলাম কবুল করা সম্ভবও ছিল না আর তার জন্য আমেনা দায়ীও নয়। সেক্ষেত্রে আল্লাহর তো এমনিতেই তাকে ক্ষমা করে দেয়া উচিত, কেননা সে দ্বীনের দাওয়াতই পায় নি। তাই নয় কি ? অথচ নবীদের নবী, আল্লাহর দোস্ত যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ দুনিয়াই সৃষ্টি করতেন না , তিনি স্বয়ং তাঁর মা আমেনার জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করছেন অথচ আল্লাহ তা মঞ্জুর করলেন না, এটা কি অদ্ভুত শোনায় না ? এ থেকে এরকম ধারণা করা কি অমূলক হবে যে -আসলে আল্লাহ নয়, স্বয়ং দ্বীনের নবী নিজেই তাঁর মাকে ক্ষমা করেন নি। কারন ? ঐ যে তাঁর অবচেতন মনে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে ইচ্ছা করলে তাকে দুধমাতার কাছে পাঠিয়ে না দিলেও পারত, তাহলে তিনি স্নেহ ভালবাসার পরিবেশে সুন্দর মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারতেন। আর সে কারনেই তার কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসে- আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না। কারন এতিম হওয়ার যে যন্ত্রনা তা তাঁর চাইতে কেই বা বেশী বোঝে? ইসলামে যে এতিমদের নিয়ে এত বেশী কথা বার্তা আছে তার কারন এটাই। মাঝে মাঝে তো মনে হয় মোহাম্মদ বোধ হয় মূলত: এতিমদের জন্যই দুনিয়াতে ইসলামের প্রবর্তন করেছেন। উক্ত হাদিস থেকে আরও একটি প্রশ্ন করা যেতে পারে যে – তিনি তাঁর উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থণা জানালে তাও মঞ্জুর হবে কি না ? অত্যন্ত দু:খের বিষয় নবী শ্রেষ্ট মোহাম্মদ সত্যি সত্যি জানেন না যে তা মঞ্জুর হবে কি না, এমনই আমাদের দ্বীনের নবীর মাহাত্ম। এমন কি তিনি নিজেও জানেন না যে তাঁর সাথে আল্লাহ কি রকম আচরণ করবেন। শুনলে আশ্চর্য হতে হয় , তাই না ? কিন্তু আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, দেখা যাক নীচের আয়াত-
বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই। সূরা-আল আহক্বাফ, ৪৬:০৯
আল্লাহর সর্বশেষ নবী যার জন্য সারা জাহান তৈরী হয়েছে, যিনি আল্লাহর প্রিয় দোস্ত, যাকে আল্লাহ নিজেই স্বয়ং পাঠিয়েছে দুনিয়াতে দ্বীনের শিক্ষা দিতে সেই তিনি নিজেই জানেন না তাঁর সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবে। অর্থাৎ তিনি নিশ্চিত নন যে তাঁকেও বেহেস্তে যেতে দেয়া হবে কি না। হয়ত তাকেও দোজখে যেতে হতে পারে। আর আল্লাহ তাকে সেকথা জানাতেও ভুলে গেছে। বড়ই ভুলোমনা দেখা যাচ্ছে আল্লাহকে। তো আল্লাহ প্ররিত পুরুষই যদি না জানেন তাঁর সাথে আল্লাহ কিরকম আচরণ করবে তাহলে তাঁর উম্মতদের তো কোন কথাই নেই। এসব কিছু জানার পর যদি দুনিয়ার সব মুসলমানকে কেয়ামতের মাঠে বিচারের পর আল্লাহ সোজা দোজখের আগুনে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে কিন্তু তারা মোহাম্মদকে দোষ দিতে পারবে না। কারন উনি আগেই বলে খালাস যে তিনি কার সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন তা জানেন না, এমনকি নিজেও যে বেহেস্তে যাবেন সে ব্যপারেও নিশ্চিত নন, কারন আল্লাহ সেটাও তাকে জানাতে ভুলে গেছেন। তো তাঁর দ্বীনি শিক্ষার মাধ্যমে যে বেহেস্তের টিকেট পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা কোথায় সেখানে স্বয়ং শিক্ষকই পরীক্ষায় পাশ করার ব্যপারে নিশ্চিত নন? অযোগ্য শিক্ষক তো তার ছাত্রদেরকে ভূল শিক্ষাই দেবে নিশ্চিত। তাহলে ছাত্রদের কপালে যে নিশ্চিত ফেল নির্ধারিত এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে? যে শিক্ষক নিজের শিক্ষার মান ও যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় তার শিক্ষা গ্রহণ করে পরীক্ষায় পাশ করাটাও নিশ্চিত নয়। এ ধরণের অনিশ্চিত শিক্ষকের অনিশ্চিত শিক্ষা গ্রহণ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ কি না তা ভাবাটা বিশেষ জরুরী এই একবিংশ শতাব্দীতে। এমতাবস্থায়, মোহাম্মদসহ তাঁর কোটি কোটি উম্মত তথা ছাত্রকে যদি আল্লাহ দোজখে পাঠিয়ে দেয় তখন একটা দেখার মত দৃশ্য হবে নির্ঘাত।এটা অনেকটা লিবিয়ায় গাদ্দাফির তার সৈন্যদেরকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার মত হতে পারে। আর এভাবে পালাতে গেলে কি রকম অপমানকর মৃত্যূবরন করতে হয় তাতো গাদ্দাফি দেখিয়ে গেছে।আমরা জানি মোহাম্মদ নিজের ইচ্ছাতে কিছু করেন না , আল্লাহই তাকে দিকে সব কিছু করান, অথচ আল্লাহ তাঁকে বলতে ভুলে গেছে যে তাঁর সাথে সে কি আচরণ করবে। অথচ একথা বলতে ভোলেনি যে গণিমতের মাল হিসাবে পাওয়া বন্দী নারীদের সাথে কিভাবে সেক্স করতে হবে- বীর্য বাইরে ফেলতে হবে নাকি ভিতরে ফেলতে হবে, একথাও বলতে ভোলেনি যে যুদ্ধে প্রাপ্ত গণিমতের মালামাল থেকে এক পঞ্চমাংশ পরিমান নবী ও তার স্ত্রীদের খোরপোশের জন্য রাখতে হবে। খেয়াল করতে হবে উনি বলছেন- উনি শুধুই মাত্র একজন সতর্ককারী। তো শুধু সতর্ককারী হলে তাকে যুদ্ধ করে ইসলাম প্রচার করতে হয় কেন?কেন সাহাবীদেরকে বলতে হয়- যারা আল্লাহ ও তার নবীকে বিশ্বাস করবে না তাদেরকে মেরে কেটে সাফ করে দিতে? তাদের স্ত্রীদেরকে বন্দী করে তাদের সাথে সেক্স করতে? শিশুদেরকে ধরে দাস হিসাবে ব্যবহার করতে ?কেন তাঁকে অভিশাপ দিতে হয় অমুসলিমদেরকে? কেন তাঁকে একের পর এক বিয়ে করে যেতে হয়? তার অর্থ আল্লাহ নিজেই তার কথা পরিবর্তন করে ফেলেছে। তাহলে আল্লাহকেও হর হামেশা কথা পরিবর্তন করতে হয়? কি তাজ্জব কারবার। অথচ বলা হচ্ছে এই কোরান জগত সৃষ্টির ঠিক পরেই লিখে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষন করা আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে- হয় আল্লাহ না হয় জিব্রাইল না হয় খোদ মোহাম্মদ অবিরত লেখাগুলো মুছে ফেলে নতুন করে লিখছে। ফাক তালে শয়তানও লিখে রেখে যাচ্ছে যা নাকি আল্লাহ টের পাচ্ছে না।এর চাইতে উদ্ভট কথা কি আর হতে পারে ? এর চাইতেও আজব খবর হলো- মনে হয় এ ধরণের অনেক আয়াত যে নাজিল হয়েছিল তা তিনি ভুলে গেছিলেন এক সময়, আর মনে রাখাও কি সম্ভব যখন তাকে অহরহ যুদ্ধে যেতে হয়, ১৩ টি স্ত্রীর মন যুগিয়ে চলতে হয়? একজন পুরুষ একটা স্ত্রীকেই ঠিকমতো সামলাতে পারে না সেখানে ১৩ টি বউ তো বটেই তাছাড়াও ডজনখানে যৌন-দাসী। এতগুলো সামলানো কি চাট্টিখানি কথা? আর সেকারনেই কিছুদিন পর আবার তিনি কে বা কারা বেহেস্তে যাবে তা নিশ্চিত করে বলে দিয়েছিলেন, আর সেটা যে তিনি সেসব লোকদেরকে প্রলুব্ধ করার জন্য বলেছিলেন সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে ? দেখা যাক নীচের হাদিস-
সাইদ ইবনে যায়েদ বর্ণিত-আব্দুর রহমান ইবনে আল আখনাস বলেন যে তিনি যখন মসজিদে ছিলেন তখন একজন লোক আলীর নাম উল্লেখ করল। তখন সাইদ ইবনে যায়েদ উঠে দাড়ালেন এবং বললেন- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহর রসুল বলেছেন – দশ জন লোক বেহেস্তে যাবে, তাঁরা হলেন- নবী, আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী, তালহা, যুবায়ের, সা’দ ইবনে মালিক ও আব্দুর রহমান। যদি আমি বাদে দশম জনের নাম বলতে পারতাম। লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করল- সেই ব্যাক্তি কে ? তিনি চুপ রইলেন। তারা আবার জিজ্ঞেস করল। তিনি উত্তর দিলেন- সেই ব্যক্তি সাইদ ইবনে যায়েদ। সুনান আবু দাউদ, বই -৪০, হাদিস-৪৬৩২
আব্দুল রহমান বিন আওফ বলেন, নবী বলেছিলেন- আবু বকর, ওমর , ওসমান, আলী, তালহা, আল যুবায়ের, আব্দুল রহমান বিন আওফ, সাদ, সাইদ বিন যায়েদ ও ওবায়দা বিন যাররা বেহেস্তে যাবে। তিরমিযী, হাদিস-৩৭৪৭
স্নেহ ভালবাসা বঞ্চিত মোহাম্মদ স্নেহ ও ভালবাসার কাঙাল ছিলেন। কিন্তু তা না পাওয়াতে তার হৃদয় হয়ে রুক্ষ কঠিন। তার হৃদয় যে এত কঠিন ও নির্মম হয়ে উঠেছিল ভিতরে ভিতরে তা যতক্ষন না তিনি ক্ষমতা হাতে পেয়েছেন ততক্ষন বোঝা যায় নি। তিনি তৎকালীন আরব প্রথা অনুযায়ী কোন বীর পুরুষ ছিলেন না। কোন রকম অস্ত্র বিদ্যায় তার পারদর্শীতা ছিল না। ফলে তখন যুদ্ধ বিদ্যা সংক্রান্ত বা অন্য কোন রকম ক্রীড়া প্রতিযোগীতার মাধ্যমেও তার পক্ষে যৌবনে কারও মন পাওয়া হয়ে ওঠেনি। অথচ যুবক মোহাম্মদ নারীর প্রতি দারুন আকর্ষণ অনুভব করতেন যা ছিল অন্য যে কোন আরব যুবকের চাইতে বেশী। মোহাম্মদ যখন তার মিশনে সফলতা অর্জন করেন তখন তার এ নারী প্রীতির বহু নমূনা দেখা গেছে ব্যপকভাবে। বিভিন্ন সূত্র মতে তার বিবাহিত স্ত্রীর সংখ্যা ১৩ এবং এ ছাড়াও অনেক দাসী ছিল। হাদিস কোরানের কোন সূত্র ছাড়াই যে কেউ এটা সহজে বুঝতে সক্ষম। তবে যারা ইসলামী পন্ডিত তাদের অবশ্য নানা যুক্তি আছে মোহাম্মদের এ নারী প্রীতির ব্যপারে, যেমন-আল্লাহর নির্দেশে বা গোষ্ঠিগত সম্প্রীতি স্থাপন এসব কারনে এসব বিয়ে হয়েছিল। খাদিজার মৃত্যুর পর সওদাকে বিয়ে করাটাতে অন্যায় কিছু ছিল না। কিনকিন্তু ৬ বছরের আয়শা বা পালিত পূত্র বধূ জয়নাব ছাড়াও আরও অনেককে বিয়ে করার কি কারন ছিল? আল্লাহর দোস্ত ও সর্বশেষ নবী হিসাবে যে ধরণের ব্যাক্তির কল্পনা আমরা করে থাকি, এত সংখ্যক বিবাহ ও দাসী সমৃদ্ধ মোহাম্মদের ব্যক্তিত্ব ঠিক তার সাথে মানান সই নয়। উদাহরণ হিসাবে তার পূর্ববর্তী নবী যীশু খৃষ্টের কথা বলা যেতে পারে যিনি জীবনে কোন নারীকে স্পর্শ করেন নি। এমন কি তার পূর্ববর্তী উল্লেখযোগ্য নবীগণেরও ২/৩টির বেশী স্ত্রী ছিল না। যেমন ইব্রাহিমের ২টি, মূসার ২ টি এরকম। একমাত্র ব্যতিক্রম নবী সোলেমান তার নাকি ৭০০ পত্নী বা উপ-পত্নী ছিল। বোঝাই যাচ্ছে আমাদের মহানবী মোহাম্মদ নবী সোলেমানের পদাংক অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সময়ের অভাবে তা পারেন নি। বলাবাহুল্য, আরবদেশের মানুষদের নারীপ্রীতি সর্বজন বিদিত। নারীদের প্রতি তাদের তীব্র আকর্ষণের এ অভ্যাস আজিও আরবরা ধরে রেখেছে। পেট্রো ডলারের কল্যাণে ধণী আরবরা প্রায়শ:ই তাদের দেশের বাইরে বিশেষ করে থাইল্যান্ড, হংকং, পশ্চিমাদেশ সমূহতে যায় যথেচ্ছ যৌনাচার করতে। আমাদের মহানবী যে কতটা নারী আসক্ত ছিলেন তার কিছু নমুনা বিভিন্ন সূত্র থেকে উল্লেখ করা যেতে পারে-
আয়শা থেকে বর্ণিত- রোজা রাখা অবস্থায় নবী তার স্ত্রীদেরকে আলিঙ্গন ও চুমু খেতেন এবং তাঁর অন্য যে কোন মানুষের চাইতে বেশী রিপু দমন করার ক্ষমতা ছিল। সহী বুখারী, বই-৩১, হাদিস-১৪৯
আয়শা বর্ণিত- রোজা রাখা অবস্থায় নবী আমাকে চুম্বন করতেন ও আমার জিহ্বা লেহন করতেন। সুনান আবু দাউদ, বই-১৩, হাদিস-২৩৮০
উক্ত হাদিস দুটি থেকে দেখা যাচ্ছে যখন তিনি রোজা রাখতেন তখনও তিনি নারীর প্রতি আসক্তি অনুভব করতেন অথচ ইসলামে রোজার অর্থ হলো সিয়াম সাধনা বা সংযম সাধনা। সকল রকম রিপুর তাড়না থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করার জন্যই রোজার প্রচলন করা হয় আর বলা বাহুল্য নারীর প্রতি আসক্তিও সেই সংযম সাধনার মধ্যে পড়ে, শুধুমাত্র খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকেই বিরত থাকা নয়। নবী নিজে ইসলামের নামে তার উম্মতদেরকে সংযম সাধনার কথা বলছেন অথচ নিজে কিন্তু তা পালন করতে ব্যর্থ। অর্থাৎ যখনই তিনি তার স্ত্রীদের কাছে আসতেন তখনই তিনি অধৈর্য হয়ে পড়তেন ও যাকে সামনে পেতেন তাকেই জড়িয়ে ধরতেন, গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে চুমু খেতেন, তাদের জিহ্বা চুষতেন। এর পরও যে আরও অগ্রসর হতেন না সেটা কি আর জোর করে বলা যায় ? কোন পুরুষ মানুষ তার উদ্ভিন্ন যৌবনা স্ত্রীকে আলিঙ্গন করে গভীর চুম্বনে লিপ্ত হলে তাদের উভয়ে দেহের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া ঘটে ও ফলে কি ঘটে সেটা তো প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ সবাই জানে, আর এও জানে যে এর পর তারা কি কর্মে লিপ্ত হয়। তখন আর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না তাদের মধ্যে। সুতরাং হাদিসে যে বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে তাতে করে মোহাম্মদও যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন সে ব্যপারে কি নিশ্চয়তা দেয়া যায় ? অথচ কি অদ্ভুত ব্যপার , একটা হাদিসে আয়শা বলছে- মোহাম্মদের রিপু দমন করার ক্ষমতা অন্য যে কোন মানুষের চাইতে বেশী। এটা কি অনেকটা- ঠাকুর ঘরে কে, আমি কলা খাইনি- এর মত একটা ঘটনা নয় ? যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রীকে কাছে পেলেই চুমাচাটি ও জিহ্বা লেহনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, সেই ব্যাক্তি সম্পর্কে বলা হচ্ছে তার রিপু দমন ক্ষমতা ছিল অন্য যে কোন মানুষের চাইতে বেশী। এটা যে আসলেই মোহাম্মদের আসল স্বভাবকে গোপণ করার অপচেষ্টা মাত্র তা কি কারও বুঝতে বাকী থাকে? এখানে বোঝা যাচ্ছে- আয়শা সম্ভবত: আসল কথাই বলেছিল আর তা হলো তখন মোহাম্মদ বাকী কাজও করতেন, সেটা করলে কিন্তু কোন অন্যায়ও হতো না, স্রেফ আল্লাহর তরফ থেকে একটা আয়াত নাজিল করে নিলেই হতো, এটা তো বিদিত যে আল্লাহ তার পেয়ারা নবীকে অনেক অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে যা সে সাধারন মানুষের জন্য দেয় নি, যেমন- নিজের জন্য যথেচ্ছ বিয়ে ও দাসী বাদি কিন্তু সাধারনের জন্য মাত্র ৪টি, তার নিজের জন্য তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে যাকে তাকে যখন তখন কাছে দুরে রাখতে পারেন কিন্তু সাধারন মানুষদের জন্য সব স্ত্রীদের সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে। যাহোক, মনে হয় পরবর্তীতে হাদিস সংকলনকারীরা উক্ত হাদিসের সম্ভাব্য পরিণতির কথা বুঝতে পেরে আসল বাক্যটাকে বাদ দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত একটা মনোমত বাক্য বসিয়ে দিয়েছে কিন্তু তাতে মাছ ঢাকা পড়েনি , বরং কাঁচা হাতের কাজ করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেছে। শুধু এটাই নয় নিজের রিপু দমন করতে না পেরেই অগত্যা তিনি আল্লাহর বানীর মাধ্যমে রমজান মাসে রোজার সময় রাতের বেলাতে স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের নির্দেশ দিয়েছেন । কেন ? কারন আগেই যেমন বলা হয়েছে আরবের লোকরা এই যৌন ব্যপারে অতি মাত্রায় সক্রিয়, মোহাম্মদও তার ব্যাতিক্রম নন ও তিনি নিজেই রিপু দমন করতে পারতেন না। এখন যা তিনি নিজেই দমন করতে পারতেন না সেখানে অন্য লোকদেরকে যদি বলা হয় রমজান মাসে সংযমের মাধ্যমে যৌন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে- তাহলে কেউ মোহাম্মদের ইসলাম গ্রহণ করত না।
দেখা যায়, শুধুমাত্র রিপু দমন করতে পারেন নি বলেই মোহাম্মদ তার পালিত পূত্র বধূ জয়নাবকে বিয়ে করেন। এ সম্পর্কে বিখ্যাত ইসলামি পন্ডিত আল তাবারীর বর্ননা(The History of al-Tabari, vol. 8, p. 4) থেকে জানা যায়-একদা মোহাম্মদ তাঁর পালিত পূত্র জায়েদের বাসায় যান, তখন জায়েদ বাড়ীতে ছিল না। ঘরের মধ্যে জয়নাব একটা চামড়া রং করছিল তখন তার পোষাক আলগা হয়ে গেছিল। মোহাম্মদের দৃষ্টি সেদিকে পতিত হলে তিনি মৃদু হাস্য করেন ও বলেন-আল্লাহ কার মন কখন পরিবর্তন করে দেয়। পালিত পূত্র হোক আর নিজের পূত্র হোক সে ত পূত্রই আর তার স্ত্রী হবে পূত্রবধূ। আরবের লোকরা জায়েদকে জানত মুহাম্মদের পূত্র বলে। এ পূত্রের স্ত্রীর অর্ধ নগ্ন শরীর দেখে যদি কোন শ্বশুর চোখ না ফিরিয়ে বরং মৃদু হাস্য করে, তার অর্থ কি হতে পারে ? আর এ ধরণের শ্বশুরকে কি ধরণের মানুষ বলা যাবে? এর পরের কাহিনী তো সবার জানা যে- পরে জায়েদকে দিয়ে তালাক দিয়ে মোহাম্মদ অত:পর জয়নব কে বধূ হিসাবে ঘরে তুলে নেন আর তা করতে তাঁকে আল্লাহর কাছ থেকে বানী ( কোরান,৩৩:০৪, ৩৩:৩৬-৪০) পর্যন্ত আমদানী করতে হয়। এটা করতে গিয়ে সন্তান দত্তক নিয়ে লালন পালন করার মত একটা মহৎ কাজকে নিষেধ করে দেয়া হলো। এটাকে কি আমরা বলতে পারি না যে- শুধু মাত্র মোহাম্মদের অনিয়ন্ত্রিত রিপুর কারনে এহেন সভ্য সমাজ বিবর্জিত, গর্হিত, লজ্জাকর, অমানবিক একটা ঘটনার উদ্ভব ঘটল? এ ব্যপারে মুমিন ভাইদের প্রশ্ন করলে তারা বিজ্ঞের মত উত্তর দেন- পশ্চিমা সমাজে তো অনেক পিতা তার সৎ কন্যাকে ধর্ষণ করে, ভাই তার বোনকে ধর্ষণ করে, তার চেয়ে এটা তো অনেক ভাল কাজ। কিন্তু তারা একবারও ভাবেন না যে, শুধু পশ্চিম না এই আমাদের মত দেশেও এ ধরনের ঘটনা বিরল নয় এবং এটা কোথাও ধর্ম বা রাষ্ট্রীয় আইন দ্বারা বৈধ নয়, সাধারন সভ্য মানুষ একে গর্হিত, জঘন্য, বর্বর আচরণ আর রাষ্ট্র এটাকে জঘন্য অপরাধ হিসাবেই গণ্য করে।সবচাইতে মজার যে যুক্তি আমরা শুনি তা হলো- পালক পিতার যদি কোন আসল সন্তান থাকে তাহলে তাদের পিতার সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হবে বলেই নাকি মোহাম্মদ তার পূত্রবধূকে বিয়ে করে নিদর্শন স্থাপন করেন যে এরকম কাজ অবৈধ নয়, বরং এটাই করা উচিত। কিন্তু যদি কেউ একটা এতিম বাচ্চাকে দত্তক নিয়ে লালন পালন করে, বড় হওয়ার পর তাকে সম্পত্তিতে অংশীদারীত্ব দেয়াটাই তো ছিল সব চাইতে মহৎ কাজ। কিন্তু মোহাম্মদের কাছে সেটা মহৎ নয়। কেন নয় ? কারন জয়নাব কে তাঁর মনে ধরেছে, তাকে বিয়ে করতে হবে অথচ সে তাঁর পালিত পূত্রবধূ। সুতরাং সেটাকে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সবকিছু করা যেতে পারে, প্রয়োজনে রদ করে দেয়া যেতে পারে সমাজে প্রচলিত ভাল প্রথাও, এমন কি নিজের করা ওয়াদাও খেলাপ করা যেতে পারে। জায়েদ মোহাম্মদের কেমন পূত্র ছিলেন সেটা ভাল করে একটু জানা যাক। জায়েদ মূলত বিবি খাদিজার একজন দাস ছিল একেবারে শৈশব থেকেই। সে শৈশবেই তার পিতা মাতার কাছ থেকে ছিনতাই হয়ে যায়, তারপর খাদিজা ক্রয় সূত্রে তার মালিক হয়। কিন্তু খাদিজা শিশু জায়েদকে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করতে থাকে। খাদিজাকে বিয়ে করার সূত্রে জায়েদ মোহাম্মদকে পিতা হিসাবে সম্বোধন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মোহাম্মদ নিজেই সর্ব সমক্ষে একটা জমায়েতে জায়েদকে নিজের পূত্র হিসাবে ঘোষণা দেন, যেমন-
হে লোকসকল, আমি জায়েদকে আমার পূত্র হিসাবে সর্ব সমক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছি, আর তোমরা সবাই তার সাক্ষী থাক। আজ থেকে আমি তার উত্তরাধিকারী আর সে আমার উত্তরাধিকারী। মিশকাত, ভলুম-৩, পৃ-৩৪০
সুতরাং এর পর মোহাম্মদ যদি জায়েদের স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য তাঁর সর্ব সমক্ষে দেয়া এ ঘোষণা তথা ওয়াদা বরখেলাপ করেন তাহলে তাকে কি বলা যেতে পারে ? রিপু তাড়িত হয়ে সমাজে মানুষ অনেক খারাপ কাজ করে, অনেকের সংসার ভেঙ্গে যায়, পরিবার উচ্ছন্নে যায়। কিন্তু মোহাম্মদের সে সমস্যা ছিল না, কারন তিনি তখন মদিনার রাজা , তাঁর বিরুদ্ধে টু শব্দ করারও কেউ নেই। তা ছাড়া উক্ত ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন মক্কাতে ,মদিনাতে নয়। অর্থাৎ স্থান ও অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে সাথে মোহাম্মদের নীতিবোধ ও আচরণ বিধির পরিবর্তন ঘটে গেছে। মহানবী বলে কথা! তার সব কাজের হদিস তুচ্ছ সাধারন মানুষ পাবে কেমনে ? সেটা শুধু আল্লাহই জানেন ।
কিন্তু মোহাম্মদের জীবনে এতকিছুর কোনটাই ঘটত না যদি শুধুমাত্র একটা ঘটনা তাঁর জীবনে ঘটত। অসহায় এতিম দরিদ্র মোহাম্মদ তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে থাকার সময় চাচাত বোন উম্মে হানি এর প্রেমে পড়েন তিনি। তিনি চাচার কাছে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু চাচা এতিম,চাল চুলোহীন মোহাম্মদের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে রাজী হয় নি। কারনটাও সহজে বোধগম্য। সেই সময়কার আরব সমাজে কোন পিতাই চাইত না তার কন্যার বিয়ে কোন চালচুলোহীন এতিম গরিবের সাথে হোক, বর্তমান কালেও কেউ চায় না। সমাজে অনেকটা অপাংক্তেয় মোহাম্মদের মনে এটা একটা বিরাট দাগ কাটে। বিষয়টা তাকে আরও জেদী করে তোলে। উম্মে হানিকে বিয়ে করতে পারলে হয়ত যুবক মোহাম্মদ শৈশব ও কৈশোরে না পাওয়া স্নেহ মমতার অভাব অনেকটাই ভুলে যেতেন। এর ফলে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়, যার ফলশ্রুতিতে মানব ইতিহাসেরও এক বিরাট দিক পরিবর্তন হয়, যার জের চলছে গত ১৪০০ বছরের বেশী কাল।
খুব অল্প বয়েস থেকেই যে মোহাম্মদ অত্যন্ত জেদী ও একগুয়ে হয়ে ওঠেন তার পরিচয় পাওয়া যায় একটি ঘটনায়। তাঁর চাচা আবু তালেব মক্কা ও সিরিয়ার মধ্যে বানিজ্য কাফেলা পরিচালনা করত। একবার আবু তালেব বানিজ্য কাফেলা তৈরী করে উটের পিঠে চড়ে বসেন রওনা দেওয়ার জন্য। এমন সময় ১২ বছরের কিশোর মোহাম্মদ এসে উটের দড়ি ধরে বায়না ধরেন তাঁকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। বিষয়টা মামাবাড়ী যাওয়ার মত ঘটনা ছিল না। মক্কা থেকে সিরিয়ার দুরত্ব প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার। কঠিন মরুভূমির মধ্য দিয়ে উটের পিঠে চড়ে সে পথ চলা ছিল শুধু অতি কঠিনই নয়, ছিল প্রাণঘাতীও। কিশোর মোহাম্মদও তা ভালমতো জানতেন কারণ তিনি দেখেছেন যারা আগে এরকম বানিজ্য করতে গেছে তাদের ফিরে আসতে মাসের পর মাস পার হয়ে গেছে। নাছোড়বান্ধা ভাতিজাকে নিরস্ত করতে না পেরে অগত্যা তাঁকে সাথে নিতে বাধ্য হয় তাঁর চাচা।( সূত্র:মূইর, পৃ:৩৩) তিনি কোনরকম সমস্যা ছাড়াই সিরিয়াতে পৌছে যান ও ফিরে আসেন। এ অভিযাত্রার ফলে বুদ্ধিমান ও চতুর মোহাম্মদের জীবনে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।তিনি বহির্জগতের সাথে পরিচিত হন, দেখতে পান তৎকালীন সিরিয়ার উন্নত সমাজব্যবস্থা, চাকচিক্য ও শান শওকত এবং বুঝতে পারেন তার মক্কার মানুষের সমাজ সিরিয়ার তুলনায় কতটা পিছিয়ে আছে। কৌতুহলী বালকের মধ্যে একটা স্বপ্নের জন্ম তখনই শুরু হয়ে যায়।১২ বছরের একটা বালকের জন্য এটা ঘটা খুবই সহজ যদি সে অত্যন্ত বুদ্ধিমান হয়।
এছাড়াও মোহাম্মদের মানসিক অবস্থার একটা অস্বাভাবিকত্ব সেই শৈশবেই ধরা পড়ে যার প্রমান পাওয়া যায় তাঁর দুধমাতার বর্ণনা হ’তে-
হালিমার স্বামী আমেনাকে বলল- আমি আশংকা করছিলাম যে এ শিশুটির কোন মারাত্মক মানসিক দুর্ঘটনা ঘটেছে আর তাই কোন কিছু ঘটার আগেই আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দিতে এসেছি।—আমেনা জিজ্ঞেস করল তার কি ঘটেছিল এবং যে পর্যন্ত না আমি সব কিছু খুলে বললাম ততক্ষন আমি স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। যখন সে আরও জিজ্ঞেস করল- আমি শিশুটিকে কোন অশুভ আত্মায় পেয়েছে কি না আমি তখন বললাম- হ্যা। (Guillaume’s translation of Ibn Ishaq, page 72)
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, অতি শৈশবেই মোহাম্মদের মানসিক সমস্যা ছিল যে কারনে তাঁর মানসিক বৈকল্য দেখা যেত মাঝে মাঝে। তবে সেটা এত প্রকট ছিল না যে তা সাধারন জীবনযাত্রাকে ব্যহত করত। এ ধরনের মানসিক সমস্যা সমাজে অনেক মানুষেরই থাকে আর তারা প্রায় সারা জীবন সেটা নিয়েই স্বাভাবিক জীবন কাটিয়ে দেয়। এ ধরণের সমস্যা যাদের হয় আমাদের সমাজে তাদেরকে প্রায়ই বলতে শোনা যায় – তারা জ্বীন বা পরী দেখেছে, নানা রকম বর্ণনাও দেয় তারা , এমনও দাবী করে যে তাদের সাথে জ্বীন বা পরী কথাও বলে। এটা গ্রাম গঞ্জে যারা থাকেন তারা এরকম অনেক ঘটনাই অতীতে এবং এখনও শুনে থাকতে পারেন। বর্তমানকালে মনোবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে একে এক ধরণের মনরোগ হিসাবে চিহ্ণিত করা হয় এবং এর চিকিৎসাও আছে। এসব ঘটনাকেই মুমিন বান্দারা এ বলে বিশ্বাস করে যে , সেই অতি শৈশবেই মোহাম্মদের সাথে জিব্রাইল ফিরিস্তা দেখা সাক্ষাত করত, তার তত্ত্বাবধান করত। সেটা সত্যি হলে- এখনও গ্রাম বাংলায় হাজার হাজার নারী পুরুষ যারা এ ধরণের মানসিক সমস্যায় ভোগে তাদেরকে নিশ্চয়ই জিব্রাইল ফিরিস্তা না হোক অন্য কোন ফিরিস্তা বা হুর দেখা শোনা করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বর্তমানে এ ধরণের সমস্যায় আমরা রোগীতে অতি সত্ত্বর মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই, রোগের প্রকোপ বেশী হলে পাবনার হেমায়েতপুর পাগলা গারদে ভর্তি করে দেই। কাউকে আল্লাহর তরফ থেকে কোন ওহী নাজিলের অপেক্ষা করতে দেয়া হয় না। হয়ত এটা একারনে যে, মহানবী মোহাম্মদ বলে গেছেন যে তাঁর পর আর কেউ আল্লাহর তরফ থেকে কোন ওহী পাবে না।আমাদের রক্ষা যে , ওহী আসার এ নিষেধাজ্ঞাটি জারী না করে গেলে হয়তবা আমাদেরকে নিত্য নৈমিত্তিক অনেক নবী পয়গম্বরদের পাল্লায় পড়তে হতো আর তাতে নাভিশ্বাস উঠত। এত কিছুর পরেও যে হারে আমাদের দেশে আনাচে কানাচে পীর ফকিররা মহানবীকে স্বপ্নে দেখছে তার ধাক্কাতেই আমরা অস্থির। হিন্দুদের ধর্মের গীতাতে বলা আছে- যখন দুনিয়াতে সাধু মানুষদের ওপর অত্যাচার হয়, তখন নাকি স্বয়ং ভগবান ধরাধামে আবির্ভূত হয়ে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করে থাকে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে নির্দিষ্ট সংখ্যক কোন অবতার নেই। আর এক শ্রেনীর টাউট বাটপার শ্রেনীর লোক সেটাকেই মোক্ষম উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতে। যে কারনে এই একবিংশ শতাব্দীতেও ভারতে প্রতি বছর দু চারটি অবতারের উপদ্রব ঘটে। আর এসব ভন্ড অবতারের ভক্ত জুটতেও তেমন সময় লাগে না। লক্ষ লক্ষ ভক্ত জুটে যায় অনেকের। এই একবিংশ শতাব্দীর মানুষদেরই যদি এ অবস্থা হয়, ১৪০০ বছর আগেকার আধা সভ্য আরবদের মধ্যে আল্লাহ প্রেরিত নবী হওয়া কি খুব কঠিন কাজ নাকি এর চাইতে ?
যে রোগে মানুষ জ্বীন পরীর দেখা পায় সে রোগকে সাধারণত: মৃগীরোগ বলা হয়। এটা একটা সাধারন নাম।মৃগী রোগের বিভিন্ন রকম ফের আছে। কোন ক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে গো গো শব্দ করতে থাকে, কোন ক্ষেত্রে রোগী থমকে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে নানা রকম অলীক দৃশ্য দেখতে থাকে, এমন কি সেসব দৃশ্যাবলীর কাল্পনিক চরিত্রের সাথে কথাও বলে, তখন তার শরীর ঘামতে থাকে, চোখ মুখ লাল হয়ে যায়-মনে হয় অশরিরী কোন আত্মা তাকে ভর করেছে। আমাদের মহানবীর কাছে জিব্রাইল ফিরিস্তা আল্লাহর ওহী নিয়ে আসতেন তখন তার শরীরেও ঠিক এরকমই লক্ষন প্রস্ফুটিত হতো। এখন আমাদের দেখতে হবে মোহাম্মদেরও এ ধরণের কোন রোগ ছিল কি না।
ধন্যবাদ। খুব ভাল লাগ্ল বিশ্লেষনধর্মী লেখা পড়ে। এত কিছু জানতাম ই না। :((
আমি মনে করি যারা ধর্মান্ধ কিংবা বিশ্বাসের জালে অন্ধ তারা কোখনই স্বাধীন নয় । পাহারাদার এবং রাতুল আপনাদের মত অনেকেই এখানে আছেন যারা অনেক যুক্তি তর্ক দিয়ে কমেন্ট করেন ।
আর আপনি একটু দেরী করে ফেলেছেন। এর পরে অনেক কিছুই লিখা হয়ে গেছে । আর হ্যা বেহেশত এর আশায় আমরা অনেক কিছুই তো করি. . . তাই আপনিও করছেন। একটু আগে যদি কমেন্ট টা করতেন তাহলে ভালই হত । আরো কিছু জানা হত ।
নাস্তিক মানে মুক্তমনা এটা আপনাদের কে বলেছে ? এখানে ধর্মীয় গোড়ামী টা নেই ।
অবশেষে ভবগুরে কে ধন্যবাদ এত কষ্ট করে লিখার জন্য । (F) (F) (F)
পরে ফেললাম । অনেক সুন্দর অনেক মজার । কিভাবে একজন মহান মানব সম্পর্কে এতটা সমালোচনা করা যায় । তার মনে অবশ্যই কিছু খারাপ ক্লু ছিল ওই ব্যাটার মাঝে । এতগুলো প্রমান থাকার পরো অন্ধ লোকেরা বুঝতে চায় না কেন ?
ধন্যবাদ রাতুল ভাই। তবে আর মাত্র বড়জোর চার-পাঁচটি কমেন্টস পর্যন্তই। এরপরেই আপনি আমি ব্লক হয়ে যাব। যতই যুক্তির ভেতর প্রবেশ করবেন ততই ব্লকের সম্ভাবনা বাড়বে। যুক্তির নামে যা খুশি তাই বলে আল্লাহ, ইসলাম, নবী মোহাম্মদ (সঃ) এবং দাঁড়ি-টুপিওয়ালাদের গালাগাল করে চৌদগুষ্ঠি উদ্ধার না করলে প্রগতিশীল হওয়া যায় না। আমি এই সাইটের নীতিমালা পড়ে দেখেছি। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সকল সম্ভাবনাই এখানে রহিত। অথচ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের কথাটাই সোচ্চারে এরা প্রকাশ করে। আপনি নাস্তিক সাজুন। যা খুশি তাই বলার অবাধ লাইসেন্স পেয়ে যাবেন নির্দ্বিধায়। প্রচার এবং প্রসার এ যুগে অবধারিত। শেষ যামানার কোরআন এবং হাদিস ভিত্তিক আলামত তো সুস্পষ্ট।
@পাহারাদার, আপনাদের ভয়ে কিম্বা আপনাদের প্রতি বিরক্তিতে যাই বলুন অনেক দিন এসব বিষয়ে আলাপ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি. কিন্তু চিন্তায় তো এর পীড়ন চলতেই থাকে. হঠাত একদিন ফব এর কল্যাণে মুক্ত মনার খোজ পেয়ে নিজেকে আর alienated মনে হয়না. কবে আপনারা একটু মানুষ হয়ে উঠবেন বলতে পারেন? একজন কোনো ধর্মবাজ মোড়ল আছেন যিনি এই যুক্তি গুলোর বিপরীতে একটিও শব্দ উচ্চারণের ক্ষমতা রাখেন? অবিবেচক, ভয়ঙ্কর, প্রতিহিংসাপরায়ন, ক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ, নিষ্ঠুর, জঘন্য এক জানওয়ারের পূজা করেন বলেই হয়ত এই গুন গুলো নিজেরাও রপ্ত করে ফেলেছেন. আপনাদের জন্য করুনাই হয় বড্ড.
আমার সুস্থতা নিয়ে কূটপ্রশ্ন তোলার প্রয়োজন হবে না। নিজের মানসিক সুস্থতা ভালো করে যাচাই করুন। কোরআনের রেফারেন্স দিয়েছেন। বলছেন রেফারেন্স তো দিলাম। বেশ বেশ। তা তো দেখছিই। কোরানের রেফারেন্স তো আপনি ভুল ব্যাখ্যায় ভুলভাবে উপস্থাপন করে নবীজিকে নিয়ে অসুস্থ মশকরায় মেতেছেন। নবীজির মানসিক বৈকল্য আজ ১৫০০ বছর পর আপনি আবিস্কার করলেন! জগত পেল একজন অনন্য অসাধারণ মনস্তত্ববিদ! অনেকেই হাতির পাঁচ পা দেখানোর চেষ্টা করে। এ তো দেখছি হাতির প্রতিটি পশমকেই একটি করে পা বানিয়ে উপস্থাপনের অতি অসাধারণ প্রশংসামূলক কার্যক্রম! ঐতিহাসিকদের উপস্থাপনায় নবী মোহাম্মদ (সঃ)কে আর চিনতে হবে না। আপনিই চিনিয়ে দেবেন। ইসলাম এবং মোহাম্মদের বিপক্ষে বললে পকেট ভারী হওয়ার অঢেল এবং অপার ঝুঁকিহীন সম্ভাবনা! তা করুন। আমার মতো অসুস্থ মানুষ না হয় মুগ্ধ দৃষ্টি নিয়েই দেখতে থাকবে। তবে শান্তির পথে ফিরে আসার পথ সর্বদাই আল্লাহ সকরের জন্য খোলা রাখেন।
@পাহারাদার,
আপ্ নার সাথে আমিও এক মত
রেফারেন্স ছাড়া আজেবাজে মনগড়া ছাইপাশ বেশ ভালোই তো লিছে যাচ্ছেন! নবী মুহম্মদ (সঃ) কোরআন লিখেছেন বলেন আবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেন আল্লাহ তাঁর সাথে কেমন আচরণ করবেন তা তিনি নিজেও জানতেন না, তাই এমন লোকের কথায় চলা উচিত না! কি মশকরা!
@পাহারাদার,
ভাই কোনটা রেফারেন্স ছাড়া লেখা ? আপনি অন্ধ নাকি ? দেখতে পান না প্রতি টা বক্তব্য লেখা হয়েছে উপযুক্ত রেফারেন্স দিয়ে , হয় কোরান না হয়ে বুখারী থেকে ?
তো একথা কি আমার নাকি ? এটাও তো সেই কোরানের কথা।আপনি দেখেনি নি সেটা কোন সূরার কোন আয়াত ?
আপনি কি সুস্থ আছেন ভাই ?
ভবঘুরে আয়াত গুলা িঠক । ব্যাখ্যা মন গড়া
@রাতুল,
আয়াতগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা আপনি করে দিন দয়া ক’রে।
@রাতুল,
ব্যাখ্যা মন গড়া হলে আয়াত গুলা ঠিক নয়। কারণ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে আয়াতগুলো সুপষ্ট। সুস্পষ্ট আয়াতের একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে না। সুস্পষ্ট আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যাও সম্ভব নয়। সুস্পষ্ট সবার জন্য সুস্পষ্ট। যেমন ২+২ = ৪ কে হিন্দু মুসলিম খ্রীষ্টান সবাই একই মানে করে।
22:16- এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি
24:34 আমি তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ
24:46- আমি তো সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবর্তীর্ণ করেছি
@রাতুল, বাবা-মা এর স্নেহ আদর বঞ্চিত মোহাম্মদের হৃদয় সেই কৈশোর বয়েস থেকেই কঠোর হতে কঠোরতর হতে থাকে, যার ওপর প্রভাব পড়ে আবার মরুময় আরবের কঠোরতার। সব মিলে কৈশোর থেকেই মোহাম্মদ একটা পারমাণবিক বোমার মত বেড়ে উঠতে থাকেন ভবিষ্যতে বিস্ফোরণের অপেক্ষায় , ঠিক যেমন ঘটেছিল জার্মানীর হিটলারের বেলাতে।
সুস্পষ্ট আয়াতের েয একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে সেটা তো দেখতেই পাচছি। মোহাম্মদ (সাঃ) এতিম ছিলেন তাই তিনি মানসিক রোগি,কঠোর,হিটলার,জেদি সব নেতিবাচক ।তার মানে কঠোর,মানসিক রোগি,হিটলার,জেদি হলেই সে এতিম হবে।আমাদের দেশের বড় বড় Criminal রা তাহলে কি সবাই এতিম ।আর মোহাম্মদ (সাঃ) আরব দেশের আল-আমিন ছিলেন সেটা মনে হয় আপ্ নার আলোচনার ব্যাপার না তাই না। আর আপ্ নাদের কথা কিন্তু ১৪০০ বছর আগেই পবিএ কোরানে লিখা আছে। কেয়ামতের আগে েয আপ্ নাদের আবির্ভাব হবে,পবিএ কোরানের আয়াত বিকৃত হবে সেটাও বলা আছে।
উক্ত আয়াত সম্পর্কে আমি কিছু মৌলভীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তাদের উত্তর ছিল এরকম-
এটার মাধ্যমে নবী বিনয়ের প্রকাশ ঘটিয়েছেন ও ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন না করে সে ব্যপারে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও তারা প্রায় সবাই বলেন যে- কোরাণ ও হাদিস এর অর্থ ভালভাবে বুঝতে হলে পরিপূর্ন বিশ্বাস ও এলেম থাকতে হবে। আর তাই আমরা কোরাণ ও হাদিসের কোন অর্থই নাকি ভাল মতো বুঝতে পারি না। অথচ কোরাণে আল্লাহ বার বার বলছে-
তার অর্থ- মৌলভীরা খোদ কোরাণের বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে।
উক্ত বিষয়ে পাঠকদের মন্তব্য আশা করছি।
@ভবঘুরে,
এটার রেফারেন্সটা দিবেন কি ?
কোরানের বংগানুবাদ পড়তে গেলে অনেক বাক্যের অসংলগ্নতা এবং অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা, অনেক অপ্রয়োজনীয় কাহিনী দৃষ্টিগোচরে আসে। কেহ এটা সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে গেলে তাকে নিজেই প্রতিদিন ভোর বেলায় ফজরের নামাজের পর পরই অত্যন্ত খালেস নিয়তে বসিয়া কিছুক্ষনের জন্য পবিত্র কোরান হইতে কিছু কিছু অংস করে দৈনিক পড়তে থাকতে হবে।
তবে তোতা পাখির মত অর্থ না বুঝিয়া শুধূ আরবী ভাষায় নয়। নিজের ভাষায় প্রতিটি বাক্যের অর্থ বুঝিয়া পক্ষপাতদুষ্ট হীন দৃষ্টি লইয়া বুঝিতে হইবে।
আর আল্লাহ পাকের ও এটাই উদ্দেশ্য যে তার বান্দাগন তার এই গ্রন্থখানি ভাল করিয়া বুঝিয়া লয়। এবং এতে( আলেমদের মুখে শুনা) বহুত নেকী ও আছে।
নীচের আয়াতটি লক্ষ করুন, স্বয়ং আল্লাহ পাক কেন তারই নবীকে তারই নাজিলকৃত আয়াতকে সন্দেহ করিতে নিষেধ করিতেছেন তাহা আমার মোটেই বোধগম্য হলনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?সূরা-কামার-৫৪: ১৭
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা-কামার-৫৪:২২
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা-কামার-৫৪:৩২
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা-কামার-৫৪:৪০
এর পরে যদি কেউ বলে কোরাণ পড়ে বোঝা সহজ নয়, তারা হয় কোরাণ পড়ে নি, অথবা ধান্ধাবাজ। সবচাইতে বড় কথা কোরাণে এত বেশী অপ্রাসঙ্গিক, ধারাবাহিকতাহীনতা, পূনরাবৃত্তি আছে যে যে কোন মানুষ তা পড়বে সাথে সাথে বুঝে ফেলবে এটা কোনমতেই সর্বজ্ঞানী আল্লাহর হতে পারে না। রচণা শৈলী ভীষণভাবে নিম্নমানের, ব্যাকরণগত ভূলে ভরপুর, চরম বিরক্তিকর একটা বই এই কোরাণ। তবে আরবী কোরাণ তেলাওয়াত শুনতে কিন্তু খারাপ লাগে না, কিন্তু মনে হয় আরবীতে গালাগালি করে তা কোরাণের মত সুর করে পড়লে তাও নিশ্চয়ই কোরান তেলাওয়াতের মতই শোনাবে। 🙁
একদম ঠিক কথা। আরো উদাহরন (কুরান থেকে)ঃ
সুস্পষ্ঠ কোন কিছু বুঝার জন্যে যদি বিশেষজ্ঞের সহায়তা লাগে তাহলে এই সব বহুসংখক আল্লাহর (মুহাম্মাদের) বানী “মিথ্যা”। আর যদি তা না হয় ঐ তথাকথিত পন্ডিতরা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তা প্রচার করে আসছে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। কেন করছে? এ প্রচারনর পিছনে সম্ভাব্য যে কারনগুলি (Motive) তা হলোঃ
১) সাধারন লোকেরা তাদের নিজেদের ভাষায় কুরান পড়ে এর অন্তর্নিহিত অসংখ্য ‘ঘৃনা ও সন্ত্রাসের বানী‘ যাতে জানতে না পারে।
২) আল্লাহর “সহজ বানীকে” তাদের মনের মতো করে ব্যাখা দেয়া
২) বুঝাতে চান যে তারা কত জ্ঞানী। ধারনা দিতে চান যে কুরানের মমার্থ বুঝা সাধারন মানুষের কর্ম নয়, তা সে যত বড় বিজ্ঞানী, ডাক্তার, প্রকৌশলী ইত্যাদি বিষয়ে যত জ্ঞানীই হোক না কেন!
৪) তাদের “ধর্ম ব্যবাসাকে” টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এ প্রচারণা অত্যন্ত জরুরী।
আর একটা প্রশ্ন, “আরবী ভাষায়” কুরান কার জন্যে? এটা কি শুধু আরবী ভাষী লোকদের জন্যে? নাকি এই আরবী কুরান পৃথিবীর সমস্ত ভাষার লোকের জন্যেই? দেখা যাক এ ব্যপারে কুরান কি বলেঃ
অল্প সংখ্যক আরবী ভাষাভাষী জনগুষ্ঠী ছাড়া বিশ্বের কোটী কোটী অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের কাছে “আরবী ভাষায় কুরান বুঝা অসম্ভব”। তাহলে অ-আরবীভাষী (Non-Arab) অসংখ্য মানুষের জন্যে আল্লাহর (মুহাম্মাদের) এ সকল বানী সার্বজানিন হওয়াও অসম্ভব।সত্য হচ্ছে, আল্লাহ (মুহাম্মাদ) স্বপ্নেও ভাবতে পারে নাই যে তার “Manual of Hatred” মতবাদটি কোনকালে আরব এবং তার আশেপাশের আরবী-ভাষী জনগুষ্ঠীর বাইরে প্রচারিত ও প্রসারিত হওয়ার সামান্যতম সম্ভাবনা আছে।
@গোলাপ,
সম্পূর্ণ একমত। একেবারে সঠিক ও যুক্তিপূর্ণ কথাটি বলেছেন।
ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ রেফারেন্স গুলী দেওয়ার জন্য। এগুলী আমার দরকার হয় সময় বিশেষে কারো কারো মুখোমুখি হওয়ার সময়। আমি এগুলী save করিয়া রাখিলাম।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তার মানে আপনি চিন্তাশীল ব্যাক্তি। আমার তো মনে হয়, মোহাম্মদ কোরানে এ কথাগুলি ঢুকিয়ে নিজেই নিজের পতনের ভবিষ্যদ্বানী করে গেছেন।
:clap :guru: :clap
ক্যমনে লেহেন ভাই এত্ত বিরাট গবেষনা ? পড়তে পড়তে টাসকি খাইয়া যাই। আপনের জন্য (F) (W) (F) (C) (B) (D) (G) (Y)
অসাধারন লেখা, চালিয়ে যান। (Y)
আসলে আমরা সবাই জানি যে দাউদ বা সোলেমান কেউ ওল্ড টেস্টামেন্ট এ নবী নন, তাই হুজুরে পাক মুহম্মাদ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নবী হয়েও কেন যে ওদের নবী বানাতে গেলেন, তা তিনি নিজেই ভাল জানেন। তেমনি হুদ আর সালেহ। বাইবেল এ এই দুই নামের কোন মানুষ আছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই ভাইয়া। এমন কোন নাম আছে কিনা, জানলে আমাকে একটু জানাবার অনুরোধ রাখলাম ( যে কেউ যদি জেনে থাকেন একটু জানাবেন প্লিজ)।আমি শুনেছিলাম যে সব ইসলামিক নবীদের নাম নাকি বাইবেল আ আছে। কিন্তু ঐ দুই লোকের নাম পেলাম না!! তবু না হয় বুঝলাম যে নবীজি মহান দয়ালু, তাই সব জাতির কাছেই নবী হাজির করেছেন, কিন্তু আদম কেও উনি কেন নবী বানিয়ে দিলেন এইটা আমার মাথায় আসেনা কোনদিনই 😀 ।
@ভবঘুরে,
অনেকেই এই কথাটা বলে কোরআন এর স্বকীয়তা প্রমাণের চেষ্টা করেন যে,
“এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত। ”
কোরআন এর স্ববিরোধী ও বৈপরিত্য প্রদর্শনকারী সূরা থেকে থাকলে এদের কোথায় পাওয়া যাবে ? আপনার যদি সংগ্রহে থাকে শেয়ার করলে উপকৃত হব । ধন্যবাদ ।
@অগ্নি,
এ বিষয়ে এ মুক্তমনাতেই অনেক লেখা আছে। আপনি সৈকত চৌধুরী, আবুল কাশেম, আকাশ মালিক, ভবঘুরে, কাজি রহমান, এসব লেখকের প্রোফাইলে চলে যান তাদের নাম বক্সে সিলেক্ট করে, সেখানে সবার লেখা পাবেন।
@ভবঘুরে, আমি নিজে অনেকবার মহানবীর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে তার মনোজগতের কথা চিন্তা করেছি। অনেক লোকের বাস্তব জীবন দেখেছি। যারা ছোটবেলায় অবশ্যপ্রাপ্য জিনিস গুলো থেকে বঞ্চিত হয় বা খারাপ আচরণের শিকার হয়, সুযোগ পেলেই তার শোধ নিতে ছাড়ে না । যা অবশ্যই মানসিক সমস্যার কারণে ঘটে থাকে।তবে একটা সময় সেই সমস্যা সুপ্ত হয়ে যায় অবস্থার পরিবর্তনের কারণে কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সেই পোড় খাওয়া ঘটনা সব সময়ই প্রভাব রাখে। অর্থাৎ কাজটা হয় ঠান্ডা মাথায় কিন্তু প্রভাব থাকে পূর্বের ঘটনার।
যেমনঃ এমি দেখেছি যে ছেলে ছোটবেলায় পড়ার সময় অমনোযোগীতার কারণে মাস্টার-মশাই এর অনেক বকুনি/ মার খেয়েছে সে নিজে ছাত্র পড়ানোর সময়ও ঠিক সে রকম আচরণ ই করে । (ব্যতিক্রম থাকতে পারে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রকমই দেখেছি)।
আর একটা কথা যারা লেবু কপচানোর কথা বলছেন বিজ্ঞানের ধুয়া তুলে, তাদের বলবো নিজে কয়জনকে মুক্তির বাণী দেয়ার সাহস করেছেন?? খোদ আমেরিকায় বিশেষত যুক্তরাজ্যে যখন আজ ওয়াজ আর বোরখা ফেটিশ দেখা দিচ্ছে সেখানে নিজ দেশের কথা না হয় বাদ ই দিলাম । আমি বলবো এটা আসলে কাপুরুষতা আর পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাওয়া ।
@অগ্নি,
যারা লেবু কচলানোর কথা বলেন তাদেরকে আমার কাছে হয় জ্ঞানপাপী না হলে মতলববাদী বলে মনে হয়। ইসলাম যেখানে খোদ সভ্যতার ভিত্তি মূলে আঘাত হেনে দুনিয়ায় এক বর্বরতন্ত্র কায়েম করতে চায়, সেটা তাদের মাথায় কেন ঢুকতে চায় না তা আমি বুঝতে অক্ষম।
বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্তি বা বাস্তব বাদী করে তোলা সম্ভব। কিন্তু যে মানুষটি জন্মের পর পরই ধর্মের আফিম খেয়ে বসে আছে সে মানুষকে বিজ্ঞানের বিশাল পন্ডিত হয়েও ভক্তিভরে কালী পূজো করতে বা তাবলিগের নামে মসজিদে মসজিদে ঘুরে বেড়াতে বহু দেখেছি।
@ভবঘুরে,
বাঙলাদেশের বিশাল বিশাল বৈজ্ঞানিকেরা বেশিরভাগই মনে হয় ইসলামের ভক্ত। হাজার হাজার বিজ্ঞান ভিত্তিক রচনা পড়েও তাঁদের মানসিকতার কোন পরিবর্তনই হয় নাই।
বিজ্ঞানের ছাত্ররা যতই বিজ্ঞানভিত্তিক রচনা পড়ছে ততই তারা ধর্মের দিকে ঝুকছে–যতই তারা বিবর্তনবাদ পড়ছে ততই তারা আল্লার কুদরতে বিশ্বাস করছে।
এ এক আজব কাণ্ড।
এটা নবীর মুখে একটা অসম্পূর্ন ও অযৌক্তিক কথা নয় কি ?
তার পিতা ও দাদার ক্ষমার জন্য কখনো আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেননা অথবা করলেও তার ফলাফলের কথা একটুও জানালেননা । তাদের ব্যাপারে নবী কি কোন হাদিছে জানিয়েছেন ? আমার তো জানা নাই,কারো জানা থাকলে একটু জানাবেন।
আর তা ছাড়াও যারা ধর্মের দাওয়াতই পান নাই, তাদের শাশ্তি পাওয়ার সম্পর্কে নবীর কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা বা অধিকার কতটুকু থাকতে পারে ?
আপনি যদি এভাবে হাদিছগুলীর সুপ্ত দুর্বলতা গুলী একেরপর এক হাদিছে অজ্ঞ জনসাধাধারনের কাছে তুলে ধরতে থাকেন, তাহলে তো আমার মনে হচ্ছে অচিরেই বিশ্বের এই সেরা ধর্মটির গ্রহন যোগ্যতা বিশ্বের এক বিপুল সংখক মানুষের নিকট সম্পূর্ণ রুপে হারিয়ে যাবে।
তখন জনগন ই আওয়াজ তুলবে, “মোহাম্মদ, তুমি ১৪০০ বছর আগে জন্ম লয়েও বিশ্ব নবীর দাবীদার হয়ে আমাদের মতআহম্মকের সম্পূর্ণ মগজ টুকু দখল করে লয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রক হয়ে বসে আছ, আমাদের ধোকা দিয়াছ ও আমাদের ভূল ও মিথ্যা পথে চালিয়ে দিয়েছ। তোমার চাতুরতা বুঝতেই আমাদের ১৪০০ বৎসর লেগে গিয়েছে। আর নয়।
আমরা আর তোমার চাতুরতায় ভূলতেছিনা। আমরা এখন থেকে তোমার বন্দীজাল থেকে মুক্ত।“
তাই নয় কি ? আমার তো মনে হয় এদিন খুব শীঘ্রই এসে যাচ্ছে। শুধু পরিশ্রম করে একটু চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তা
আপনি সঠিক পয়েন্টেই ধরেছেন দেখছি। বিষয়টা আসলেই আমার মাথাতে আসে নি। মোহাম্মদ যদি তার মায়ের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করতে পারেন তাহলে তার পিতা ও দাদার জন্য কেন করবেন না ? তবে তিনি তার চাচা আবু তালেবের জন্য করেছিলেন যা অর্ধেক মঞ্জুর হয়েছিল।
যা বলে যাচ্ছিলেন, ভাল লাগা আর প্রকাশ করিনি। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা যে স্বর্গীয় পৃথিবী রচনা করেছি এবং ভোগ করছি স্বর্গ সুখ , এ নিয়ে আলাদা একটা লেখার অনুরোধ রইলো।
এখানে এ নিয়ে কথা বাড়িয়ে মূল স্রোত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন চেষ্টা থেকে বিরত।
ভাল থাকুন।
লেখাটি যে খুব সুন্দর হয়েছে- তা বলার জন্য মন্তব্য না করে পারলাম না। এর আগের পর্বগুলিও ভাল হয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয়- কিছু কিছু প্রসঙ্গ একাধিক পর্বে উঠে এসেছে। এর জন্য কেমন যেন মিল মিল লাগছিল।
ধন্যবাদ- এমন একটি সিরিজ আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। (F)
চলুক…….
@ডিজিটাল আসলাম,
আসলে ভিন্ন প্রেক্ষিতে ভিন্ন ব্যখ্যার প্রয়োজনে মাঝে মাঝে একই প্রসঙ্গ চলে আসে। তাছাড়া এটা একটু হালকাভাবে করতে হয় নতুন পাঠকদের জন্য যারা ধরুন আজকেই এ সাইটে ঢু মারল ও আগের কোন পর্ব পড়েনি। তবে ভবিষ্যতে দ্বিরুক্তির ব্যপারে আরও সতর্ক থাকব। ধন্যবাদ আপনার মতামতো জন্য।
সত্যি কথা। তখনকার আরব সমাজে মৃগী (epilepsy) রুগীদেরকে সম্মানের চক্ষে দেখা হত। তারা মনে করত মৃগী রুগীরা দৈব বাণী পেয়ে থাকে।
তবে আমার মনে হয় নবীর এই মৃগী রোগ একটা উপলক্ষ মাত্র। সময় সময় হয়ত তাঁকে ‘খিঁচুনী’ (seizure) ধরত–কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই উনি সুস্থ ও স্বভাবিক থাকতেন। কোরআন যদি কালক্রমিক ভাবে পড়া হয় এবং হাদীস ও সিরা ভালমত পাঠ করলে পরিষ্কার বুঝা যায় যে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই মৃগী রোগের প্রকোপ অনেক কমে গিয়েছিল।
মদিনায় থাকাকালীন উনি যে সব অহী লিখিয়েছেন–আমার ত মনে হয় সব গুলোই ছিল নিজের অথবা ওমরের কথা বার্তা। নবী নিজেই বলেছেন যে কোরাআনের অনেক আয়াতই এসেছে ওমরের কাছ থেকে।
এছাড়াও নবী যখন লুট তরাজ করতেন, গণহত্যা চালাতেন, যৌনদাসীদের সাথে যৌন উপভোগ…ইত্যাদি করতেন তখন কোন প্রকার মৃগী রোগের উদাহরণ দেখা যায় না।
আমার মনে হয় নবী যত অপকর্ম করেছেন সবই সুস্থ, ঠাণ্ডা মস্তিষ্কে করেছেন–এ সবে মৃগীরোগের কোন প্রভাব ছিল না। সেই জন্যেই নবীর ক্রিয়া কলাপ বিপদজনক ও বর্বর।
আগের মতই ভবঘুরের এই পর্ব্বটাও সুন্দর এবং সাবলীল হয়েছে। এবারও এক নাগাঢ়ে পরে নিলাম।
@আবুল কাশেম,
আপনার সাথে একমত। মৃগী রোগ বা হ্যলুসিনেশন জাতিয় কিছু একটা সমস্যা তার ছিলই। তবে অধিকাংশ সময় তিনি সুস্থ থাকতেন। তখন তিনি চিন্তা ভাবনা করে নিতেন যে এর পর কোন আয়াত নাজিল করা যায়। দেখা যায়- যখন লোকজন কোন সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসত তিনি সাথে সাথে তার কোন সমাধান দিতেন না, অপেক্ষা করতেন, এ ব্যপারে চিন্তা ভাবনা করতেন, আত:পর সূরা নাজিল করতেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে একেবারে তড়িৎ গতিতে আয়াত নাজিল হতো। যেমন- জয়নাবকে বিয়ের করার আয়াত। এ বিষয়টি আমাকে এতটাই অবাক করেছে যে বিষয়টি বার বার উল্লেখ করি বিশেষ করে নতুন পাঠকদের জন্য যাতে তারা চিন্তার খোরাক পায়। আমি চিন্তাই করতে পারিনি যে নবী জয়নাবকে বিয়ে করার জন্য এতটা উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারেন। আপনি দেখুন, জায়েদকে জয়নাবের কাছে পঠিয়ে দেয়ার পর যখন শুনলেন জয়নাব আল্লার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে, তখন মুহূর্ত মধ্যে আয়াত নাজিল হয়, মোহাম্মদ দৌড়াতে দৌড়াতে জয়নাবের কাছে আসে , আল্লাহর ওহীর কথা বলে , তখনই বিয়ে করে। বিয়ের অনুষ্ঠানে খানা পিনার পর লোকজন চলে না যাওয়াতে মোহাম্মদ জয়নাবের সাথে মিলিত হতে পারছিলেন না আর তখন সাথে সাথেই আর একটা আয়াত নাজিল হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে কিন্তু একটুও সময় লাগেনি আল্লাহর আয়াত পাঠাতে। অথচ অন্য কোন সামাজিক সমস্যার সমাধান দেয়ার জন্য আল্লাহ বহু সময় নিতেন আয়াত নাজিলের। আমি তো মনে করি মোহাম্মদের আসল রূপ বোঝার জন্য শুধুমাত্র এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
@ভবঘুরে,
এই উপাখ্যান নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে মৃগী রোগ একটা বালাই মাত্র। আসলে নবী সব কিছুই জেনে শুনে, ঠাণ্ডা মাথায় করেছেন। জয়নবের ব্যাপারেও তাই–উনি যদি মৃগীরোগের খিচুনীর (seizure) অপেক্ষে করতেন তবে হয়ত অনেক সময় লেগে যেত অহী পেতে। তাই তড়িঘড়ি নবী অহী বানিয়ে নিলেন–নিজের কাম বিলাস চরিতার্থ করতে।
শুভস্য শীঘ্রম! আল্লাহ পাক মনে হয় এই সংস্কৃতি প্রবাদ ভালভাবেই জানতেন।
@ভবঘুরে,
আপনার সাথে একমত। জীবনের প্রথম দিকে মোহাম্মদ মৃগীরোগ জাতীয় কিছুতে ভুগলেও পরে তার সে সমস্যা আস্তে আস্তে চলে যায় আল্লার কুদরতে মনে হয়। যে কারনেই দেখা যায় পরবর্তীতে চাহিবা মাত্র আয়াত নাজিল হতো। মৃগী রোগের জন্য অপেক্ষা করতে হতো না।
@ভবঘুরে,
একেবারে সত্যি কথা সেই জন্যই ত নবীর ক্রিয়া কলাপ বিপদজনক।
দেখা যায় যে মৃগীরোগের প্রলাপের বাণী গুলিতে মার মার কাট কাট, রক্ত ঝরাও, জিহাদের বাণী তেমন নাই।
@আবুল কাশেম,
আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত ভাইয়া। আমি নবীজি কে ইতিহাসের সবথেকে বড়, দুর্বৃত্ত বলেই মনে করি।
তাই উনাকে এমনকি করুণা করেও কোন দিকে ছাড় দিতে আমার ইচ্ছে করে না।হিটলার উনার কাছে দুধের বাচ্চা ছিলেন।আর উনি যদি জীবিত কালে সুযোগ পেতেন, আমার ত মনে হয়না যে উনি দুনিয়াতে খ্রিস্ট বা ইহুদী ধর্মের কোন নাম নিশানা রেখে যেতেন।ভাগ্য ভাল অই হত ভাগা গুলোর, কারন মানুষ আসলেই কল্পনার নুহ নবীর মত ১০০০ বছর বাঁচে না। না হলে চিন্তা করেন ভাইয়া, যদি ১৬১০ সাল পর্যন্ত মুহাম্মদ বেঁচে থাকতেন, দুনিয়ার কি হাল তিনি করে যেতে পারতেন। ভাবতেই গা কাঁটা দিয়ে ওঠে।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই,
বিরাট একটা রেফারেন্ছ হবে এইটা। হাদিস নং টা দিবেন Plz.
ধন্যবাদ
@Triple A,
হাদীস বই হাতের কাছে নাই। সময় পেলে খোঁজা যাবে।
স্মৃতি থেকে লিখেছিলাম, বলতে ভুলে গেছিলাম।
@আবুল কাশেম,
কোরানের তিনটা সুরায় মুহাম্মদ তার শাশুড় ওমরের পরামর্শানুযায়ী বাক্য বসায়েছেন। সুরা বাকারা- আয়াত ১২৫, সুরা আহজাব-আয়াত ৫৯, ও সুরা আত তাহরিমের আয়াত ৫। তিনটা সুরাই মদিনায় রচিত। এই নিন হাদিস, সহিহ বোখারি থেকে-
Narrated: Umar bin Al-Khattab
My Lord agreed with me in three things:
1. I said,”O Allah’s Apostle, I wish we took the station of Abraham as our praying place (for some of our prayers). So came the Divine Inspiration: And take you (people) the station of Abraham as a place of prayer (for some of your prayers e.g. two Rakat of Tawaf of Ka’ba)”. (2.125)
2. And as regards the (verse of) the veiling of the women, I said, ‘O Allah’s Apostle! I wish you ordered your wives to cover themselves from the men because good and bad ones talk to them.’ So the verse of the veiling of the women was revealed. (33.59)
3. Once the wives of the Prophet made a united front against the Prophet and I said to them, ‘It may be if he (the Prophet) divorced you, (all) that his Lord (Allah) will give him instead of you wives better than you.’ So this verse (the same as I had said) was revealed.” (66.5).
(Sahih Bukhari Volume 1, Book 8, Number 395)
(কানেকানে কানকথা- প্রথম আয়াতঃ বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে কা’বা মূখী হওয়ার শুরু, দ্বিতীয় আয়াতঃ নবী পত্নীগণের খোলা আকাশের নীচে কাপড় উঠায়ে পেশাব পায়খানা করা বন্ধ, তৃতীয় আয়াতঃ ম্যারিয়ার সাথে মুহাম্মদের সেক্স স্ক্যান্ডেল ফাঁস করে দেয়ার পরিণতি)
@আকাশ মালিক,
আমার অনেক সময় বাঁচিয়ে দিলেন।
আপনাকে এখন শায়খ হাদিসুল মালিক উপাধি দিলাম।
প্রচুর ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
শায়খুল হাদিস মালিকি উপাধি দিলে আরও শ্রুতি মধুর হতো না ? :))
@ভবঘুরে,
হাঁ। এইটাই যথাযথ।
@আকাশ মালিক, অনেক অনেক ধন্যবাদ শায়খুল হাদিস মালিকি ভাই। 🙂
@আবুল কাশেম,
আমারও তাই ধারণা। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর তার আর মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়ে ওহী নাজিলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় নি। তবে এ পরও যে মৃগী রোগে মাঝে মাঝে আক্রান্ত হতেন তার অনেক লক্ষন হাদিস থেকে জানা যায়। যেমন তাঁর ভুতে পাওয়া তথা যাদুগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা।
@ভবঘুরে,
ব্যাপারটা সত্যি। তবে তখনকার দিনে ভুতে পাওয়া, জিনে ধরা, পরীতে ধরা—এই ধরণের প্রথার অনেক চলন ছিল। কিন্তু এমন উদাহরণ দেখা যায় না যে নবীকে ভুতে পাওয়া অথবা জিনে ধরা অবস্থায় জিহাদের বাণী, হত্যার বাণী, যাকাতের বাণী, যৌন উপভোগের বাণী–ইত্যাদি এসেছিল। জিন অথবা ভুতদের ঐসব ব্যাপারে তেমন মাথাব্যাথা ছিল বলে হয় না।
নবীকে ভুতে ধরার ঘটনাকে আমি তেমন গুরুত্ব দেই না। মনে হয় নবী এটা ভাঁওতাবাজী করেছিলেন, নিজের স্ত্রীদেরকে ঠাণ্ডা করার জন্য–হেরেমে কিছু শান্তি আনার জন্য।
নবীর জীবনী বাল্যকাল হতেই বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ও অপ্রীতিকর পরিবেশ ও পরি্স্থিতির মধ্যদিয়া অতিবাহিত হওয়ায় কর্মময় জীবনে কি ধরনের মানসিকতার আভির্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় তার একটা সুন্দর বিশ্লেষন হয়েছে।
তার বাল্য জীবন থেকে শুরু করে অনেক ঘটনা ও হাদিছ জানতে পারলাম।
এ ছাড়াও মানসিক বিকার গ্রস্থ ব্যক্তিদের একটি অস্বাভাবিক মানসিক লক্ষন দেখা যেতে পারে।
এই লক্ষনটার নাম ইংরেজীতে বলা হয় “HALLUCINATION”। এর বাংলা পরিভাসা আমার জানা নাই। এতে রোগীর মধ্যে নিম্ন বর্ণিত লক্ষনগুলী দেখা যায়। যেমন:
১।এতে দৃষ্টি বিভ্রম ঘটতে পারে। যে বস্তু তার সম্মুখে একেবারেই বাস্তব উপস্থিত নাই সেই সমস্ত বস্তু সে দিব্বি পরিস্কার ভাবে দেখিতে পারতেছে বলিয়া দাবী করিতে পারে,যা বাস্তবে তার পার্শবর্তি কেউই দেখিতে পায়না।
২। এতে শ্রুতি বিভ্রম ঘটতে পারে। সে অস্বাভাবিক সব শব্দ শুনার দাবী করিতে পারে, যা বাস্তবে তার পার্শবর্তি কেউই শুনিতে পায়না।
৩। তার অনুভূতির বিভ্রম ঘটতে পারে। সে এমন কিছু অনুভব করতে পারে যা বাস্তবে একজন সুস্থ ব্যক্তির পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়।
৪।তার ঘ্রান শক্তির বিভ্রম ঘটতে পারে। কোন সুগন্ধি বা দুর্গন্ধের বাস্তব উপস্তিত ছাড়াই সে তার টের পাচ্ছে বলে দাবী করতে পারে।
এ ধরনের আরো বহু প্রকারের অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার সে দাবী করিতে পারে।
সাধারন জনগন এমন ব্যক্তিকে কোন অস্বাভাবিক ক্ষমতার অধিকারী বলিয়া বিবেচনা করিতে পারে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মোহাম্মদের মহানবী হয়ে ওঠার পেছনে এটাই সবচাইতে বড় কারণ বলেই মনে হয়। আপনি যদি কোরান হাদিস সিরাত এসব পড়েন তাহলে তা ক্রমশ: বোঝা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেউ মোহাম্মদের বাল্য, কৈশোর ও যৌবনের পুরা বর্ণনা লিখে রেখে যায় নি। ভাসা ভাসা কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু মোহাম্মদকে বোঝার জন্য ওটুকুই যথেষ্ট।
আমাদের দেশে যে সব তথাকথিত বিখ্যাত সব পীর ফকির আছে তাদের প্রত্যেকেরই মনে হয় এ ধরনের ক্ষমতা কম বেশী আছে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
একদম সত্যি কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন নাই? যদি শিশুকাল থেকেই তার মধ্যে “দৃষ্টান্তমূলক বিশেষ প্রতিভা” থাকতো, যার মাধ্যমে মুহাম্মাদকে তার সমবয়েসী ‘শৈশোব-কৈশোর-যুবকদের’ থেকে তাকে আলাদাভাবে বিবেচিত করা হতো, তাহলে তার পরিপার্শ্বের লোকজন তা মনে রাখতো এবং পরবর্তীতে তা বর্ননা করতো। কিন্তু তা নাই। মানব ইতিহাসে মুহাম্মাদই ‘একমাত্র ব্যক্তি’ যার জীবনের অত্যন্ত খুঁটিনাটি বিষয়ও তার অনুসারীরা অত্যন্ত যত্ন ও একাগ্রতায় পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে লিপিবদ্ধ করেছেন। তা সত্বেও তার জীবন ইতিহাসের প্রথম দুই-তৃতীয়াংশের (চল্লিশ বছর) বর্ননাই ভাষাভাষা। যা বা আছে তার কিছুটা অলৌকিক (হালিমার ছাগলের দুধ বৃদ্ধি), কিছুটা আবস্তব (আকাশের মেঘ তার মাথায় ছায়া দেয়), কিছুটা অশরীরী (৫ বছর বয়সে ফেরেস্তা কতৃক তার বুক-পেট চিরে পাপ-ধৌত [ইবনে ইশাক পৃঃ ৭১, কুরান ৯৪ঃ১-২] । বাস্তব সম্পন্ন উল্লেখযোগ্য তেমন কোন কিছুই নেই। এতে এটাই প্রমানিত হয় যে ‘স্বঘোষীতো-নবুয়তপ্রাপ্তি’ পূর্ব মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালেবের চল্লিশ-পূর্ব জীবন ততকালীন অন্যান্য সাধারন আরব সন্তানদের মতই অনুল্লেখযোগ্য। পরবর্তীতে আল্লাহ (কুরান) এবং অনুসারীদের দেয়া ‘বড় বড় খেতাব’ – যেমন, আল-আমীন, নীতিবান, ন্যায়নিষ্ঠ, মহৎ চরিত্রের অধিকারী’ ইত্যাদী পদপিগুলো অতিরঞ্জিত কিংবা অসত্য। কুরান সাক্ষী দেয় যে কুরাইশরা তাকে এসব উপাধির বিপরীত রুপেই জানতো (দেখুন এখানে)।।
ইসলামকে সহি ভাবে জানতে হলে “মুহাম্মাদকে” জানতেই হবে। বলা হয় যে মুহাম্মাদকে জানে সে ইসলাম জানে, যে মুহাম্মাদকে জানে না সে ইসলাম জানে না। তার জীবন চার পর্বে বিভক্তঃ
১) জন্ম থেকে ২৫ বছর – পিতৃমাতৃহীন অনাথ বালক /যুবকের সাধারন কর্মময় জীবন
২) ২৫ থেকে চল্লিশ – ‘ঘরজামাই’ মুহাম্মাদ, ধনী বৌয়ের আয়ে পোষ্য সংসার নির্লিপ্ত –বৈরাগী মুহাম্মাদ
৩) ৪০ থেকে ৫২ – পূর্ব-পুরুষদের “ধর্ম ও কর্মের” -তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকারী শাপ-অভিশাপ-বাক -বিতন্ডা-ভীতি- হুমকি-শাসানী দল মক্কার আয়াত) -শান্তি (ইসলাম) পার্টির দলপতি মধ্যবয়েসী একগুঁয়ে –স্বঘোষীত নবী মুহাম্মাদ
৪) ৫২ থেকে ৬২ বছর বয়স – আগ্রাসী, নৃশংস, ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী – রাজনীতিবাজ মুহাম্মাদ।
এ হচ্ছে মক্কার নবী মুহাম্মাদের বক্তব্য- আরো কিছু উদাহরন (কুরান থেকে)
কিন্তু মদীনার মুহাম্মাদ আল্লাহর শাস্তিতে সন্তুষ্ঠ নয়। এখন সে ক্ষমতাধর, শুধু হুমকীতে ক্ষান্ত নয়। এখন সে নিজেই ‘আল্লাহর’ দোজখ দুনিয়াতেই প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা রাখে। আগ্রাসী, নৃশংস, ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী – রাজনীতিবাজ মুহাম্মাদ। কেউ তাকে আক্রমন করে নাই, সেই সবাইকে আক্রমন করেছে (আগ্রাসী), প্রচন্ড নৃশংসতায়। আক্রান্ত জনগুষ্ঠী করেছে জান-মাল ও তাদের ধর্ম রক্ষার চেষ্ট। আল্লাহ (মুহাম্মাদের) বানী ও কর্মে ‘সন্ত্রাসীর’ চেহারাঃ
এ হলো মুহাম্মাদের সর্বশেষ রুপ। সুরা তাওবা (চ্যাপ্টার ৯) আল্লাহ (মুহাম্মাদের) শেষ উপদেশ (Revelation)। সহি এবং একমাত্র ইসলাম।
শুধু কি তাই, সে নবী কিনা সে ব্যাপারেও মুহাম্মাদ সন্দেহ পোষন করতো। মুহাম্মাদের সন্দেহ দূরীকরনে আল্লাহ তাকে কি পরামর্শ দিচ্ছে, দেখা যাকঃ
@ ভবঘুরে,
আমার মনে হয় অন্যান্য পর্বের লিঙ্কগুলো জুড়ে দিলে পাঠকদের সুবিধা হতো।
(F) (Y)
@গোলাপ,
–
ভাই, এটা গরুত্বপূর্ণ দলিল। রেফারেন্সটা একটু আমাকে দিবেন ?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দুঃখিত, রেফারেন্সটা বাদ পরেছে।
কুরানঃ সুরা ইউনুস, আয়াত ৯৪ (10:94)
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
ধন্যবাদ,
রেফারেন্সটা দেওয়ার জন্য। আমি SAVE করিয়া রাখিলাম। এটা কোরানের একটা মারাত্মক আত্মঘাতি অস্ত্র। আমার প্রয়োজন হবে।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
ধণ্যবাদ ভাই। আমি আপনার সমস্ত উদ্ধৃতি একটা ফাইল করে সেভ করে রাখছি ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য। আপনি অনেক উপকার করলেন। মাথায় নানা রকম চিন্তা আসে অনেক সময় কিন্তু দেখা যায় তখন উদ্ধৃতি গুলো মনে থাকে না বা খুজে বের করাও অনেক ঝক্কির ব্যপার হয়ে পড়ে। আপনি সে পরিশ্রম অনেক লাঘব করলেন।
চমৎকার মিলিয়েছেন। :clap
এরকম কিছু প্রযুক্তির নাম উল্লেখ করবেন কি? এতে বক্তব্যটি জোড়ালো হতো।
লেখাটি হয়তো সম্পূর্ণ আসেনি।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
যেমন রাডার , পারমানবিক প্রযুক্তির সামরিক ব্যবহার, নানা রকম এন্টিবায়োটিক ওষুধ, নানা রকম ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এসব। আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই হয়ত এসব কিছুর তাত্ত্বিক বিষয় গুলো জানা ছিল কিন্তু প্রাযুক্তিক অগ্রগতি ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এসব তাত্ত্বিক বিষয়ের প্রাযুক্তিক প্রয়োগকে দ্রুততর করে। আমেরিকা কিভাবে প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরী করে অতি দ্রুত গতিতে যদি তার ইতিহাস দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
আর কত?… ইসলাম একটি কচলানো লেবুর গল্প,বিপ্লব পাল এর মতে। বাদ দেয়া যায় না এসব ফালতু আলোচনা।
@সপ্তক,
লেবু কচলাচ্ছে কারা? যারা দিনের পর দিন ঘটার পর ঘন্টা মাইকে কান ফাটান ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে আল্লাহ মহান তাঁর ইবাদত কর, কুরাণে যে কত বিজ্ঞানময় কিতাব কান ঝালাপাল করে তার বয়ান দিচ্ছে কেবল চ্যানেলে, প্রত্যেক শুক্রবার রাস্তা ঘাট বন্ধ করে খুতবার কান ফাটান চিতকার শুনাচ্ছে শুনতে অনিচ্ছুক তাদেরও, কাজের ক্ষতি করে ঘন্টার পর ঘন্টা নামাজ ধর্মীয় মেলায় (চিল্লাহ, তবলীগ ইত্যাদি)। কুরবানীত পশু বলী দিয়ে রক্তের হলি খেলে রাস্তা ঘাট পুঁতি দির্গন্ধময় করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে কিভাবে আল্লাহকে খুশি রাখতে হবে। এগুলির বিরুদ্ধে তো লেবু কপচলানোর কোন অভিযোগ শুনি না। স্পস্টত এই লেখা আপনার জন্য নয়। এই লেখায় অনেকের টনক নড়ছে। ইসলামিস্টদের বিশHক্ত লেবু কচলানোর বিরুদ্ধে এটাই মোক্ষম বিকল্প। এত কাজও হচ্ছে। আপনাকে অনুরোধ অন্যদিকে নজর ফেরান।
@যাযাবর,
“আপনাকে অনুরোধ অন্যদিকে নজর ফেরান।”
একমত। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়,কুকুর কামর দিলে কুকুর কে কামর দেয়া যায় কি না?। ভাই এখন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতেই রুচিতে বাঁধে। এটা সভ্যতার সবচেয়ে পুরনো বেবসার মধ্যে একটি, ধর্ম ব্যাবসা। ঘেন্না ধরে গেছে। ধর্মের কি মৃত্যু নেই?
@যাযাবর,
দারুন লিখেছেন। একেবারে আমার মনের কথা স্পষ্ট করে বলেছেন। আমরা যখন ইসলামিস্ট এবং তাদের দোসদেরকে প্রশ্ন করি–তখন তার কোন সদুত্তর না দিতে পেরে আমাদের ঘাড়েই দোষ চাপাতে চান–যেন আমরাই দোষী–ইসলামের বর্বরতার জন্য। আরও যুক্তি চলে—সব ধর্মেই বর্বরতা, কাণ্ডজ্ঞানহীনতা…আছে–তাই শুধু ইসলামকে কেন দোষ দিচ্ছি আমরা?
এই বালখিল্য প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেকবার দিয়েছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমরা অনুরোধও করেছি যাঁরা অন্য ধর্মে পারদর্শী তাঁরা কেন লিখছেন না তাঁদের ধর্মের কুৎসিত রূপ তুলে ধরতে।
কিন্তু তার উত্তর নাই।
তাই এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যাঁরা আমাদেরকে বলছেন ইসলাম নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া না করার জন্য আসলে তাঁরাই হচ্ছেন ইসলামিস্টদের সহায় এবং বন্ধু। ইসলামিস্টরা তাদেরকে কতই না ধন্যবাদ দিচ্ছে।
আসলে আপনি, ভবঘুরে, তামান্না ঝুমু, গোলাপ, আকাশ মালিক, সৈকত চৌধুরী, কাজী রহমান ও অনেক লেখকের লেখা এতই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে তা ইসলামের আঁতে ঘা দিয়েছে—সেই জন্যেই ইসলামের রক্ষ কর্তারা চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন।
@যাযাবর,
এখানে আর একটু উল্লেখ করতে হবে তা হলো – শুক্রবার জুমার দিন মসজিদের সামনের যে কোন রাস্তা এমনকি প্রধান সড়ক পর্যন্ত দখল করে তা বন্দ করে দিয়ে লম্বা নামাজ পড়ে জনগনের চলাচলের বিঘ্ন ঘটানোকে কি বলা যাবে ? পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে এভাবে অন্যের স্বাধীন চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়ে ধর্মাচরণ করা হয় ?
@সপ্তক,
এই ব্লগে আপনাকে লেখা এটাই আমার প্রথম মন্তব্য। তাই বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি আপনি যেন আমার মন্তব্যটিকে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে ভুল বুঝে ব্যথিত না হন।
আসলে, আপনার কাছে ধর্মের অসারতা হয়ত বহু আগেই উপলদ্ধ যার কারণে কচলানো লেবুর মতই মনে হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু, বিশ্বাস করুন, অনেক পাঠক আছেন যারা এসব তথ্য জানেন না, বা অনেকেরই ব্লগের পুরনো পোষ্টগুলো পড়া হয় নি, তাদের জন্য উপকারী বলেই আমার মনে হয় এসব লেখাগুলো। যাদের অলরেডি ধর্মের বুজরুকি বোঝা হয়ে গেছে, তারা না হয়, ধর্ম বিষয়ক পোষ্ট না পড়লেই পারি। যেমন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নোংরামী আওয়ামী লীগ/বি.এন.পি, আরও কি কি দুর্নীতি করল, এসব পড়তে পড়তে আমার কাছেও তিতে হয়ে গেছে, তাই এসব খবর কখনই আর পড়ার আগ্রহ পাই না, কিন্তু অনেক নতুন পাঠক আছেন যাদের ব্রেইন টা রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যে বুলি দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ হওয়ার পথে, তাদের জন্য হলেও প্রয়োজন আছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারা কৃত দুর্নীতি নিয়ে অবিরাম লিখে যাওয়ার; তা আমার বা আমাদের কাছে যতই কচলানো লেবু মনে হক না কেন।
কেউ কষ্ট করে খেটে খুটে একটা লেখা লিখল, সেটার উদ্দ্যেশ্য যদি মানুষকে সচেতন করা হয় এবং ভুল/মিথ্যে তথ্য না থাকে, আমার কাছে তিতে হলেও লেখক কে ধন্যবাদ জানাই।
@এমরান এইচ,
“কেউ কষ্ট করে খেটে খুটে একটা লেখা লিখল, সেটার উদ্দ্যেশ্য যদি মানুষকে সচেতন করা হয় এবং ভুল/মিথ্যে তথ্য না থাকে, আমার কাছে তিতে হলেও লেখক কে ধন্যবাদ জানাই।”
আসলে আমার মন্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।আমার মন্তব্য ছিল ,এসব ফালতু আলচনা।আমার কাছে ধর্ম একটি ফালতু ব্যপার,তাই এসম্পরকে আলোচনা ফালতু মনে হয়।কিন্তু যেখানে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এই ধর্মকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায় সেখানে ধর্মকে ফালতু আসলে বলা যায় না। তারপরেও আমার মনে হয় ধর্মের মত ফালতু ব্যপারের পেছনে আমরা কেন এত টা শ্রম আর সময় অপচয় করছি।মুক্তমনার নীড় পাতায় সবসময় ধর্মের অসারতা প্রমানের জন্য একাধিক ,কোন কোন সময় পুরোটাই ধর্মের অসারতা প্রমান বিষয়ক লেখায় জজরিত থাকে। সমাজ বিজ্ঞান,বিজ্ঞান,অরথনিতি,মনবিজ্ঞান এসব বিষয় লেখা বেশী দেখতে চাই। এতে করে আমার মনে হয় ধর্মের অসারতা প্রমান আরও সহজ হবে।কারন বাংলা ভাষায় এসব লেখা পাওয়া দুস্কর,যা ইতিমধ্যে কিছু লিখেছেন ,অভিজিত,বন্যা,ফরিদ সহ আরও অনেকে।
@সপ্তক, ভাই ধর্মইতো এই পৃথিবীর সকল সমস্যার মুলে, যতদিন পর্যন্ত এই বিষ থেকে বিশ্ব মুক্ত না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই আলোচনা চলতে থাকতে হবে ।হয়ত আপনি সব বুঝে গেছেন কিন্তু আমরা এখন অনেকেই বাকি ।
@আস্তরিন,
“হয়ত আপনি সব বুঝে গেছেন কিন্তু আমরা এখন অনেকেই বাকি ।”
না ভাই সবকিছু বুঝি নাই।আসলে ধর্মে বুঝার আছে টা কি তাই আমি বুঝি না! স্টিফেন হকিং এর মতে ,ঈশ্বর ইজ আ ফেয়ারি টেল। রুপকথার গল্পের অসাড়তা প্রমান এ আমরা লিপ্ত। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় ,শ্রম আর সময় এর অপচয়।