আবুল কাশেম
উম হানীর ঘরে নবীর রাত্রি যাপন এবং মেরাজ
আগেই লিখা হয়েছে যে নবীর ঈস্রা এবং মেরাজ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। বিগত দেড় হাজার বছর ধরে এই বিতর্ক চলছে এবং ভবিষ্যতেও যে চলবে তাতে সন্দেহ নাই। কয়েকটি ব্যাপারে অনেক মতবিরোধ দেখা যায়। সেগুলি হল:
এই রাত্রি ভ্রমণ (ঈসরা এবং মেরাজ) কখন হয়েছিল?
এই রাত্রি ভ্রমণ কোথা হতে হয়েছিল?
উম হানীর সাথে নবীর এই রাত্রি সফরের কি সম্পর্ক?
প্রথম প্রশ্নের আংশিক উত্তর আগে দেওয়া হয়েছে। এখন একটু বিশেষ আলোচনার প্রয়োজন।
মুহাম্মদের এই রাত্রি ভ্রমণ যে মদিনায় হিজরতের আগেই হয়েছে তাতে কোন বিতর্ক নাই। অনেক নথিপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করে বুঝা যায় যে এই আশ্চর্যজনক ঘটনা খুব সম্ভবত: ৬১৯-৬২০ সালে হয়েছিল। আগেই জানানো হয়েছে যে এই ঘটনার আগে নবী সওদাকে বিবাহ করেন। কিন্তু মুহাম্মদের জীবনী থেকে এটা পরিষ্কার হয়না যে সওদাকে মুহাম্মদ কোথায় রাখতেন? সওদাকে যে তিনি কাবা ঘরে কিম্বা তার কাছাকাছি কোথাও রাখতেননা তা বুঝা যায়। খুব সম্ভবত: সওদা থাকতেন খদিজার গৃহে, কারণ সেখানেই ছিল মুহাম্মদের কন্যারা। সওদা তাদের দেখাশোনা করতেন এবং সাংসারিক অন্য কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আর মুহাম্মদ বেশীরভাগ সময়ই কাটাতেন কাবা প্রাঙ্গণে—জিকির, নামায আর কোরান আবৃত্তি করে। কাবা প্রাঙ্গণেই মুহাম্মদ অনেক রাত্রি কাটাতেন। আমরা আগেই দেখেছি কাবার যেখানে মুহাম্মদ কোরান পড়তেন সে স্থান উম হানীর ঘরের খুব সন্নিকটে ছিল—একেবারে পাশের বাড়ির মত। উম হানীর সাথে রাত্রে মিলিত হবার এর চাইতে ভাল অবস্থা আর কি হতে পারে? তাই বিশ্বাস করা যায় যে মুহাম্মদ অনেক সময়েই কাবা থেকে নিখোঁজ হয়ে যেতেন। অনেকেই এ নিয়ে হয়ত প্রশ্ন করত। তিনি হয়ত সদুত্তর দিতে পারতেন না। এই ভাবেই একবার তিনি সহসা রাত্রিকালে কাবা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। লোকে তাঁর খোঁজ করতে তাকে। নিখোঁজের কারণ হিসাবে নবী ঈস্রা এবং মেরাজের উল্লেখ করেন। এর সমর্থনে কিছু হাদিস এবং ঘটনার বিবরণ দেওয়া হবে। পাঠকদের মনে রাখা দরকার যে কাবার যে অংশে মুহাম্মদ কোরান পড়তেন এবং শুয়ে রাত্রি কাটাতেন সেই স্থানকে হিজর বলা হত। কাবার এই স্থানে কোরায়েশরা ব্যবস্থা করেছিল গরীব এবং পথিকদের বিশ্রাম অথবা নিদ্রার।
মার্টিন লিঙ্গস্-এর মতে এই ঘটনা হয়েছিল উম হানীর এবং আবু তালেবের অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের ইসলাম গ্রহণের পর—অর্থাৎ মুহাম্মদের মদিনায় হিজরত করার আগে। লক্ষ্য রাখতে হবে যে উম হানীর স্বামী হুবায়রা কক্ষনো ইসলাম গ্রহণ করেননি। তাই এক পৌত্তলিক স্বামী নিয়ে কি ভাবে উম হানী একই গৃহে বাস করেন তাও চিন্তার বিষয়। উম হানী তা করে থাকলে উনি নিশ্চয় ইসলামি আইন লঙ্ঘন করেছিলেন। যতটুকু ধারণা করা যায় উম হানীর স্বামী হুবায়রা গৃহে থাকতেন না। আমরা আগেই দেখেছি উম হানীর ইসলাম গ্রহণের সংবাদে হুবায়রা মনের দুঃখে কবিতা রচনা করেছিলেন এবং নির্বাসনে চলে যান।
দেখা যাক মার্টিন লিঙ্গস্ কি লিখেছেন ঈসরা এবং মেরাজ সম্পর্কে:
একবার উনারা সবাই নবীর পিছনে নামাজ পড়লেন। এর পর উম হানী নবীকে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁদের সাথে রাত্রি যাপনের। মুহাম্মদ সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। কিন্তু অল্প কিছুক্ষণ ঘুমের পরই উঠলেন এবং মসজিদে চলে গেলেন। কেননা কাবায় রাত্রি কাটাতে নবী অতিশয় পছন্দ করতেন। সেখানে যাবার পর নবীর ঘুম আসতে থাকল; তিনি হিজরে ঘুমিয়ে পড়লেন।
তিনি বললেন, “আমি যখন যখন হিজরে ঘুমিয়ে ছিলাম তখন তখন জিব্রাঈল আমার কাছে আসলেন এবং তাঁর পা দিয়ে লাথি মারলেন। আমি সোজা হয়ে বসলাম। কিন্তু কিছুই দেখলাম না। তাই আবার শুয়ে পড়লাম। দ্বিতীয়বার জিব্রাঈল আসলেন। তারপর তৃতীয়বার। এইবার তিনি আমার হাত ধরলেন। আমি উঠলাম এবং জিব্রাঈলের পাশে দাঁড়ালাম। জিব্রাঈল আমাকে নিয়ে মসজিদের দরজার বাইরে এলেন। বাইরে একটা সাদা জানোয়ার দেখলাম। দেখতে গাধা এবং খচ্চরের মাঝামাঝি। জানোয়ারটির দুই পাশে ডানা ছিল। তার দ্বারা সে তার পা নাড়াচাড়া করছিল। তার প্রত্যেক পদক্ষেপ ছিল দৃষ্টির সীমানা পর্যন্ত। (লিঙ্গস্, পৃঃ ১০১)
এরপর মার্টিন লিঙ্গস্ বর্ণনা দিয়েছেন নবীর আকাশ ভ্রমণ, যার বিস্তারিত বিবরণ আমরা পরে দেখব। মজার ব্যাপার হল রাত্রি শেষ হবার আগেই নবী আবার চলে যান উম হানীর গৃহে। এবং তাঁকে বর্ণনা করেন রাত্রি ভ্রমণের কথা। এই থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে হিজর এবং উম হানীর গৃহ ছিল খুবই নিকটবর্তী যা আগেই বলা হয়েছে। তা না হলে মুহাম্মদের পক্ষে হুট করে, রাত থাকতে থাকতে আবার উম হানীর গৃহে যাওয়া সম্ভব হত না।
দেখা যাক মার্টিন লিঙ্গস্ কি লিখেছেন:
যখন নবী এবং জিব্রাঈল জেরুজালেমের মসজিদে অবতরণ করলেন তখন মক্কায় ফিরে গেলেন যে পথ ধরে এসেছিলেন সেই পথ ধরে। ফিরার পথে অনেক দক্ষিণ-গামী কাফেলাকে অতিক্রম করলেন। যখন কাবায় ফিরে আসলেন তখনও গভীর রাত ছিল। কাবা থেকে নবী আবার গেলেন তাঁর চাচাত বোনের গৃহে। উম হানী নিজের ভাষায় বর্ণনা করেছেন এই ভাবে: “ভোর হবার অল্পক্ষণ পূর্বেই নবী আমাদেরকে ঘুম হতে উঠালেন। এরপর আমরা ভোরের (ফজরের) নামায শেষ করলাম। তিনি বললেন: ‘ওগো উম হানী! তুমি ত জানই, আমি তোমার সাথে এই উপত্যকাতেই গতকালের সন্ধ্যা নামায পড়েছিলাম। এর পর আমি জেরুজালেমে যাই। সেখানেও নামায পড়লাম। এখন ত তুমি দেখছ, আমি তোমার সাথে ভোরের নামায পড়লাম।‘ নবী উঠলেন চলে যাবার জন্য। আমি তাঁর পরনের ধুতি ধরে এত জোরে টানাটানি করলাম যাতে ধুতি আলগা হয়ে পড়ে গেল। এর ফলে আমি তাঁর পেট দেখে ফেললাম। তাঁর পেট মনে হচ্ছিল যেন তুলা দিয়ে ঢাকা। আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর নবী। এই কথা লোকজনকে জানাবেন না। কেননা তারা আপনাকে মিথ্যুক বলবে আর অপমান করবে।‘ নবী বললেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি তাদেরকে বলব।‘(লিঙ্গস্, পৃঃ ১০৩)
এখন ইবনে সা’দের লেখা আল তাবাকাত আল কবির থেকে কিছু জানা যাক।
ইবনে সা’দ লিখেছেন ঈস্রা এবং মেরাজ উম হানীর গৃহ থেকেই হয়েছিল।
রাত্রে শোবার আগে উনি উম হানীর সাথে এশার (সন্ধ্যা) নামায পড়েন। কোন কোন বর্ণনাকারী বলেছেন: ঐ রাত্রে নবী (স.) নিখোঁজ হয়ে যান। তাই আবদুল মুত্তালিবের পরিবারের সদস্যরা নবীর খোঁজে বাহির হন। আল আব্বাস জু তুয়াসে গিয়ে চিৎকার করলেন: ওহে মুহাম্মদ! ওহে মুহাম্মদ! আল্লাহর রসূল (স.) জবাব দিলেন: আমি যে এখানে। আল আব্বাস বললেন: হে আমার ভায়ের পুত্র! রাত্রির শুরুর থেকেই আপনি আমাদেরকে উদবিঘ্ন করে তুলেছেন। আপনি কোথায় ছিলেন? নবী উত্তর দিলেন: আমি বায়তুল মোকাদ্দিস থেকে আসছি। আল আব্বাস বললেন: এক রাত্রিতেই? নবী উত্তর দিলেন: হাঁ, তাই। আল আব্বাস জিজ্ঞাসা করলেন: ‘আপনি কি ভাল ছাড়া খারাপ কিছু অভিজ্ঞতা পেয়েছেন?’ নবী উত্তর দিলেন: আমার সব অভিজ্ঞতাই ভাল। উম হানী বললেন: নবীর রাত্রি ভ্রমণ আমার গৃহ থেকেই হয়েছে। ঐ রাতে নবী আমাদের গৃহে ঘুমান। এশার নামায শেষ করে উনি ঘুমাতে যান। অতি প্রত্যুষে আমরা উনাকে ভোরের নামাযের (ফজরের) জন্য জাগালাম। তিনি বললেন: ওহে উম হানী! তুমি ত সাক্ষী, আমি তোমার সাথে এশার নামায পড়েছি। এর পর আমি বায়তুল মোকাদ্দিস গেলাম এবং সেখানে নামায পড়লাম। এরপর আমি ফজরের নামায পড়লাম তোমার সামনেই। এরপর নবী চলে যাবার উদ্যোগ করলেন। আমি বললাম: এই ঘটনা কাউকে বলবেন না। কারণ তারা আপনাকে মিথ্যুক বলবে এবং আপনার ক্ষতি করবে। তিনি বললেন; আল্লাহর কসম, আমি এই ঘটনা সবাইকে জানাব। লোকেরা যখন জানল তখন বলল: আমরা কস্মিনকালেও এই ধরণের কাহিনী শুনি নাই। আল্লার রসূল (স.) জিব্রাঈলকে বললেন: ওহে জিব্রাঈল! ওহে জিব্রাঈল! ওহে জিব্রাঈল! আমার লোকজন বিশ্বাস করবে না। আবু বকরই এর সত্যতা স্বীকার করবে। কারণ আবু বকর হচ্ছেন আল সিদ্দিক। বর্ণনাকারী জানালেন: অনেক ব্যক্তিই যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল এবং নামায পড়েছিল—তারা ইসলাম ছেড়ে দিল। নবী বলতে লাগলেন: আমি হিজরে দাঁড়িয়েছিলাম। বায়তুল মোকাদ্দিস আমি চাক্ষুষ দেখছিলাম এবং এর বর্ণনা দিচ্ছিলাম। কেউ কেউ জিজ্ঞাস করল: ঐ মসজিদের কয়টা দরজা? আমি ত তা গণনা করি নাই। তাই কল্পনায় আমি মসজিদের প্রতি লক্ষ্য করলাম এবং এক এক করে দরজার সংখ্যা গণনা করলাম। তারপর এই তথ্য জানালাম। আমি যে সব কাফেলা দেখছিলাম সেগুলোরও বিবরণ জানালাম। লোকেরা দেখল ঐ কাফেলা হুবহু আমি যা বলেছি সেই রকম। এর পরেই আল্লাহ-পাক পাঠিয়ে দিলেন তাঁর বাণী: আমরা আপনাকে সেই দৃষ্টি দিলাম যেই দৃষ্টি দ্বারা আমরা আপনাকে দেখিয়েছি মানব জাতির অগ্নিপরীক্ষা। উনি (ইবনে সা’দ) বললেন এর মানে হল: নবী যা চাক্ষুষ দেখেছেন তারই বর্ণনা। (ইবনে সা’দ, খণ্ড ১, পৃঃ ২৪৮)
এখন আমরা ইবনে ইসহাকের বর্ণনা দেখব:
উম হানী বিন্ত আবু তালেব, যাঁর আসল নাম হচ্ছে হিন্দ, তাঁর থেকে রসূলের রাত্রি ভ্রমণ সম্পর্কে আমি এই বর্ণনা শুনেছি:
তিনি (উম হানী) বললেন: আল্লাহর রসূলের রাত্রি ভ্রমণ আমার গৃহ ছাড়া অন্য কোথা হতে হয় নাই। ঐ রাত্রে উনি আমার গৃহে ঘুমান। রাতের সর্বশেষ নামাজ শেষ করে উনি ঘুমাতে যান; সেই সাথে আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরের কিছু আগেই উনি আমাদেরকে জাগিয়ে তুললেন। আমরা ফজরের নামাজ পড়লাম। তারপর উনি বললেন: “তুমি ত জানই তোমার সাথে এই স্থানেই (উপত্যকায়) আমি সান্ধ্য নামায পড়েছিলাম। তারপর আমি জেরুজালেমে যাই এবং সেখানেও নামায পড়ি। তারপরই তুমি ত দেখলে আমি তোমার সাথে এই ফজরের নামায পড়লাম।“ এই বলে নবী চলে যেতে চাইলেন। আমি উনার আলখাল্লা ধরে টান দিলে তা খুলে পড়ে গেল। আমি নবীর উলঙ্গ পেট দেখতে পেলাম। তাঁর সেই পেট দেখতে ছিল ভাঁজ করা মিশরীয় তুলার তৈরি পোশাক। আমি বললাম: “হে আল্লাহর নবী, আপনি এই সংবাদ কাউকে জানাবেন না। কারণ এই সংবাদ জানলে তারা আপনাকে মিথ্যুক বলবে এবং অপমান করবে।“ তিনি বললেন: “আল্লাহর কসম, আমি তাদেরকে জানাবই।“ আমার নিগ্রো ক্রীতদাসীকে নির্দেশ দিলাম: “তুমি নবীকে অনুসরণ কর আর শ্রবণ কর উনি কি বলেন, আর তারা কি বলে।“ সত্যি-সত্যি নবী উপস্থিত লোকদের ঘটনার বিবরণ দিলেন। এই শুনে তারা আশ্চর্য্যাম্বিত হয়ে গেল। তারা তাঁর দাবীর প্রমাণ চাইল। নবী বললেন তিনি অমুক অমুক কাফেলা দেখেছেন অমুক অমুক স্থানে। এই কাফেলাগুলো তাঁর বাহন দেখে ভীত হয়ে গেল। এমনকি একটা উট দৌড়ে পালিয়ে গেল। আমি তাদেরকে জানালাম কোথায় এই ঘটনা ঘটল। আমি বললাম যে ঐ সময় আমি সিরিয়ার পথে ছিলাম। এর পর আমি দাজানান পর্যন্ত গেলাম। সেখানে আমি অমুক গোত্রের কাফেলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম লোকজন নিদ্রিত। তাদের সাথে বয়মে ভরা পানি ছিল। বয়মের মুখ কিছু ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করা ছিল। আমি ঢাকনা খুলে পানি পান করলাম। তারপর ঢাকনা লাগিয়া দিলাম। এর প্রমাণ এই যে এই মুহূর্তে ঐ কাফেলাটি তানিমের গিরিপথ দিয়ে বায়দা থেকে আসছে। কাফেলাটির অগ্রে রয়েছে কালচে রঙ্গের এক উট যার পিঠে রয়েছে দুটি বস্তা—একটি কালো আরেকটি নানাবর্ণের।“ লোকজন হুড়হুড় করে গিরিপথের মুখে চলে গেল ঐ কাফেলার আগমন দেখতে। প্রথম যে উটটি তারা দেখল তা হুবহু আমি যে রূপ বলেছিলাম সেই রূপ ছিল। তারা কাফেলার লোকদেরকে ঐ বয়েমের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করল। তারা উত্তর দিল যে বয়েমটা তারা পানি ভর্তি করে তার মুখ বন্ধ করে রেখেছিল। তারা ঘুম থেকে উঠে লক্ষ্য করল যে বয়েমের মুখ বন্ধই ছিল কিন্তু বয়েমের ভিতর ছিল শূন্য। মক্কার অন্যান্য লোকেরাও তাদের সাথে সায় দিল। এ জেনে কাফেলার লোকেরা ভীত হয়ে পড়ল এবং সে সাথে তাদের এক উটও পালিয়ে গেল। এরপর তাদের একজন উটকে ডাকতে থাকল। পরে সে উটটি ফিরে পেল। (ইবনে ইসহাক, পৃঃ ১৮৪)
আশ শিফা গ্রন্থে মেরাজ ঘটনা এই ভাবে লিখিত হয়েছে:
উম হানি বর্ণনা করলেন: “যে রাতে আল্লাহর রসূল রাত্রি ভ্রমণে যান সেই রাত্রে উনি আমার গৃহে ছিলেন। উনি আমাদের সাথে রাত্রির শেষ নামায পড়লেন এবং আমাদের সাথে ঘুমিয়ে গেলেন। ফজরের নামাযের সময় উনি আমাদেরকে জাগিয়ে দিলেন। তারপর আমাদের সাথে ফজরের নামায পড়লেন। উনি বললেন: ‘উম হানী, আমি গতরাত্রের শেষ নামায তোমার সাথে পড়েছিলাম, যা তুমি জান। তারপর আমি জেরুজালেমে গিয়ে নামায পড়েছি। আর এখন তুমি দেখছ আমি তোমার সাথে ভোরের নামায পড়েছি।‘ (আশ শিফা, পৃঃ ৯৮)
মুহাম্মদের মিশরীয় জীবনীকার হুসায়েন হাইকল লিখেছেন:
ঈস্রার রাত্রে মুহাম্মদ তাঁর চাচাত বোন হিন্দ বিন্ত আবু তালেবের গৃহে ছিলেন। হিন্দকে উম হানী বলেও ডাকা হত। হিন্দ বর্ণনা করলেন: ‘’আল্লাহর রসূল আমার ঘরে রাত্রি কাটালেন। রাত্রের নামায শেষ করে উনি ঘুমিয়ে পড়লেন। ভোরের অল্পকিছু পূর্বে উনি আমাদেরকে জাগিয়ে দিলেন এবং আমরা সবাই একত্রে ভোরের নামায পড়লাম। নামায শেষ হলে নবী বললেন: ‘উম হানী আমি এই স্থানে তোমার সাথে রাত্রির নামায পড়েছি। তারপর আমি জেরুজালেমে গেলাম এবং সেখানে নামায পড়লাম। আর এখন ত দেখলেই আমি তোমার সাথে ভোরের নামায পড়লাম।‘ আমি উত্তর দিলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল, আপনি কাউকে এই সংবাদ দিবেন না, কেননা তারা আপনাকে মিথ্যাবাদী বলবে এবং আপনার ক্ষতি করবে।‘ উনি বললেন, ‘আল্লাহর শপথ, আমি সবাইকে জানাব।‘’’
স্যার উইলিয়াম মুরের মতে মুহাম্মদের রাত্রি ভ্রমণ হয়েছিল খুব সম্ভবত ৬২১-৬২২ সালের কোন এক সময়। অর্থাৎ মদিনায় হিজরতের বছর খানেক আগে। এবং এই সফর হয়েছিল আবু তালেবের গৃহ হতে। এখানে আবু তালেবের গৃহ বলতে কি বুঝান হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। খুব সম্ভবত: উম হানীর গৃহ এবং আবু তালেবের গৃহ একই ছিল—কাবার একেবারেই কাছাকাছি।
পরের দিন ভোর বেলায় আবু তালেবের গৃহে যখন উনি (মুহাম্মদ) ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন তখনও উনার তন্দ্রায় সে রাতের স্বপ্নের রেশ লেগে ছিল বেশ পরিষ্কার ভাবে—যেন বাস্তবের মত। তিনি চিৎকার করে আবু তালেবের কন্যাকে বলে উঠলেন যে রাত্রি বেলায় তিনি জেরুজালেমের মসজিদে প্রার্থনা করেছেন। তারপর বললেন যে এই ঘটনা তিনি সবাইকে জানাবেন। সে সময় আবু তালেবের কন্যা উনার পোশাক ধরে মিনতি করলেন এই ব্যাপার কাউকে না জানানোর জন্য। কিন্তু নবী নিজের কথায় অটল থাকলেন। (উইলিয়াম মুর, পৃঃ ১২১)
নীচে খাসায়েসুল কুবরা থেকে মেরাজ এবং উম হানী সংক্রান্ত কিছু হাদিস দেওয়া হল:
হযরত উম্মে হানীর (রাঃ) হাদিস
ইবনে ইসহাক ও ইবনে জরীর আবূ ছালেহ এর বরাত দিয়ে রেওয়ায়েত করেছেন যে, উম্মে হানী বিনতে আবূ তালেব (রাঃ) বর্ণনা করেন, শবে মে’রাজে নবী করীম (সাঃ) আমার গৃহে নিদ্রিত ছিলেন। এর আগে তিনি এশার নামায পড়েন। এরপর তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন এবং আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরের আগে তিনি আমাদেরকে জাগ্রত করলেন। তাঁর সাথে আমরাও যখন ভোরের নামায পড়ে নিলাম, তখন তিনি বললেন: উম্মেহানী! আমি তোমাদের সাথে এখানে এশার নামায পড়েছিলাম, যা তুমি নিজে দেখেছ এরপর আমি বায়তূল মোকাদ্দাসে চলে যাই। আমি সেখানে নামায পড়েছি। এখন আবার তোমাদের সাথে ফজরের নামায পড়লাম, যা তুমি নিজেই দেখতে পাচ্ছ।
তিবরানী, ইবনে মরদুওয়াইহি হযরত উম্মে হানী (রাঃ) থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, শবে মে’রাজে নবী করীম (সাঃ) আমার গৃহে নিদ্রিত ছিলেন। আমি রাতে তাঁকে পেলাম না। ফলে এ আশংকায় সারারাত আমার ঘুম হল না যে, কোথাও কোরায়শরা তাঁকে অপহরণ করেনি তো?
এরপর হুযুর (সাঃ) বললেন: জিবরাঈল আমার কাছে এলেন এবং আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে গেলেন। আমি দরজার বাইরে একটি চতুষ্পদ জন্তু দেখলাম, যা খচ্চর অপেক্ষা নিচু ও গাধা অপেক্ষা উঁচু ছিল। জিবরাঈল আমাকে তাঁর উপর সওয়ার করিয়ে বায়তুল মকাদ্দাস নিয়ে গেলেন। আমাকে হযরত ইবরাহীম (সাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করালেন। তাঁর দৈহিক গড়ন আমার গড়নের অনুরূপ ছিল। জিবরাঈল মূসা (আঃ) এর সাথে দেখা করালেন। তিনি গোধুম বর্ণের, লম্বা গড়নের এবং সোজা চুলওয়ালা ছিলেন। শানওয়া গোত্রের পুরুষদের সাথে তার বহুলাংশে মিল ছিল। হযরত ঈসা (আঃ) এর সাথেও সাক্ষাৎ হয়। তিনি মাঝারি গড়নের সাদা চুলওয়ালা ছিলেন। তাঁর রঙে লালিমার ঝলক ছিল। ওরওয়া ইবনে মসউদ ছকফীর সাথে তাঁর মিল ছিল। আমাকে দাজ্জালও দেখানো হয়। তার ডান চক্ষু নিশ্চিহ্ন ছিল। সে কুতুন ইবনে আবদুল ওযযার অনুরূপ ছিল।
উম্মে হানী বর্ণনা করেন—অতঃপর হুযুর (সাঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেন: আমি মে’রাজের ঘটনা বলার জন্যে কোরায়শদের কাছে যেতে চাই। উম্মে হানী বলেন; আমি হুযুর (সাঃ) এর কাপড় ধরে ফেললাম এবং বললাম; আল্লাহর কসম, যারা আপনাকে মিথ্যারোপ করে এবং আপনার কথা মেনে নিতে অস্বীকার করে, আপনি তাদের কাছে যাবেন না। তারা আপনার বাড়াবাড়ি করবে। কিন্তু তিনি আমার কথায় কর্ণপাত করলেন না এবং আমার হাত থেকে কাপড় ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেলেন। কয়েকজন কোরায়েশ নেতা এক জায়গায় সমবেত ছিল। হুযুর (সাঃ) সেখানে যেয়ে মে’রাজের ঘটনা বর্ণনা করলেন। সঙ্গে সঙ্গে মুতয়িম ইবনে আদী দাঁড়িয়ে গেল এবং বলল: মোহাম্মদ! যদি তুমি সুস্থ চিন্তা ভাবনার অধিকারী হতে, তবে এমন আজগুবী কথা বলতে না। এরপর উপস্থিত লোকদের একজন বলল: মোহাম্মদ! আপনি অমুক অমুক জায়গায় আমাদের উটদের কাছে গিয়েছিলেন?
আবূ ইয়ালা ও ইবনে আসাকির রেওয়ায়েতে হযরত উম্মে হানী (রাঃ) বলেন: নবী করীম (সাঃ) ভোর বেলায় আমার কাছে আগমন করলেন। আমি তখন শয্যায় ছিলাম। তিনি বললেন: তুমি তো জান আমি আজ রাতে মসজিদে হারামে নিদ্রিত ছিলাম। জিবরাইল আমার কাছে এসে আমাকে মসজিদের দরজা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আমি একটা সাদা চতুষ্পদ জন্তু দেখলাম, যা গাধার চেয়ে উঁচু এবং খচ্চরের চেয়ে নীচু ছিল।
তার উভয় কান স্থির ছিল না—কেবলি আন্দোলিত হচ্ছিল। আমি তাতে সওয়ার হলাম। জিবরাঈল আমার সঙ্গে ছিলেন। জন্তুটি আপন পা দৃষ্টির শেষ সীমায় রেখে রেখে চলতে লাগল। যখন সে নিম্নভূমিতে চলত, তখন তার হাত লম্বা এবং পা খাটো হয়ে যেত, আর যখন উঁচু জায়গায় আরোহণ করত, তখন পা লম্বা ও হাত খাটো হয়ে যেত।
আমরা বায়তুল মোকাদ্দাসে পৌঁছলাম। আমি জন্তুটি সেই বৃত্তের সাথে বেঁধে দিলাম, যেখানে পয়গাম্বারগণ আপন আপন সওয়ারী বাঁধতেন। পয়গাম্বারগণকে আমার সামনে প্রকাশ করা হল। তাঁদের মধ্যে হযরত ইবরাহীম, মূসা, ও ঈসা (আঃ) ছিলেন। আমি তাঁদেরকে নামায পড়ালাম এবং তাঁদের সাথে কথাবার্তা বললাম। এরপর আমার সামনে লাল ও সাদা দুটি পাত্র আনা হল। আমি সাদা পাত্রটি পান করলাম। জিবরাঈল বললেন: আপনি দুধ পান করেছেন এবং শরাব প্রত্যাখান করেছেন। শরাব পান করলে আপনার উম্মত মুরতাদ হয়ে যেত। এরপর আমি সওয়ারীতে সওয়ার হয়ে মসজিদে হারামে এলে ফজরের নামায পড়েছি।
উম্মে হানী বর্ণনা করেন—একথা শুনে আমি হুযুর (সাঃ) এর চাদর ধরে ফেললাম এবং বললাম: ভাই। আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিচ্ছি, যদি আপনি কোরায়শদের সামনে একথা প্রকাশ করেন, তবে যারা এখন ঈমানদার, তারাও বেঈমান হয়ে যাবে। হুযুর (সাঃ) চাদরের উপর হাত মেরে সেটি আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলেন। চাদর তার পেট থেকে সরে গেল। আমি তার লুঙ্গির উপর পেটের ভাজকে জড়ানো কাগজের ন্যায় দেখতে পেলাম। আমি আরও দেখলাম, তাঁর হৃদপিণ্ডের জায়গা থেকে নূর বিচ্ছুরিত হচ্ছিল এবং আমার দৃষ্টি ছিনিয়ে নেয়ার উপক্রম হচ্ছিল। আমি অভিভূত হয়ে সিজদায় পড়ে গেলাম। যখন মাথা তুললাম তখন দেখি হুযুর (সাঃ) চলে গেছেন। আমি কাল বিলম্ব না করে বাঁদীকে বললাম: জলদি তাঁর পিছনে পিছনে যা। তিনি কি বলেন এবং শ্রোতারা কি জওয়াব দেয়, তা শুনে তাড়াতাড়ি আমার কাছে আয়। (খাসায়েসুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃঃ ৩৩৪ ৩৩৮)
চলবে (৫ম পর্বে)…
উম হানী এবং নবী মুহাম্মদ (পর্ব-১)
পড়লাম। ভাল লেখনী। সমস্যাটা হল গিয়ে আপনাদের মূল ভিত্তি কিছু হয়ত এর উপরে নির্ভরশীল। আমি আমার চাচাতো বোনের সাথে এক ঘরে থাকলেই যে তার সাথে আমার প্রেম, এই বিষয় আমার কাছে বোধগম্য মনে হল না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় সবার সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি আমার জীবনে যেটুকু ইসলাম সম্পর্কে
জেনেছি, তার কিছুটা তুলে ধরছি। কারো মনে আঘাত লাগলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেবেন।
উম্মে হানী ( রা: ) ছিলেন নবীর প্রথমা স্ত্রী। আর হযরত ওসকুরানী ( রহ) ছিলেন নবীর একমাত্র পুত্র সন্তান ( জীবিত পুত্রসন্তান ) উম্মে হানীর পেটে জন্মগ্রহন করেন। তার চেহারা ছিল নবীর সাথে সম্পূর্ন মিল। এ কারনেই নবী মুহাম্মদ তার সাথে জীবন দশায় এমনকি মৃত্যুর পরও দেখা করতে নিষেধ করেছেন। শুধুমাত্র হযরত আয়েশা ওসকুরানীকে স্বচক্ষে দেখেছেন এবং নবীর সামনে তার কথা বলেছেন। এতে নবী আয়েশাকে নিষেধ করে দেন কারো সামনে এই বিষেয়ে আলোচনা না করেতে।
নবীর জ্ঞানের উৎস হলেন উম্মে হানী। তার কাছ থেকেই শিক্ষা নিয়েই মুহাম্মদ নবী হয়েছেন। তার জীবনের চরম সাফল্য যে উম্মে হানীর কারনে হয়েছিল, মুহাম্মদ নিজেই তার জীবন হানির কারণ। ( সত্যকে চাপা দিবার জন্য ) । নবী মুহাম্মদের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হলো ” আল্লাহ শব্দটি ”।। কিন্তু সারা জীবনে কোন দিন কারো সামনে প্রকাশ করতে পারেনি যে (মুহাম্মদ = আল্লাহ) একজনই। এজন্য তিনি অনেক কান্নাকাটি করেছেন। মুসলমানরা ভাবেন যে, উম্মতের জন্য তিনি কান্না করতেন। আসলেই সেটা ভুল বিশ্বাস।
মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তার লাশকে কবর দিতে দেরি হয় শুধুমাত্র খেলাফত নিয়ে। কে হবে রাজা? কারণ সবাই জানত রাজ্যে যার, দুনিয়াও তার। নবীর আদর্শ যদি কারো মধ্যে থেকে থাকে তবে সে হচ্ছে হয়রত আলী। আলী ছাড়া বাকী সকল সাহাবী ছিল লোভী। খেলাফাতের জন্য সবা্র মধ্যেই লোভ ছিল অসীম। নবী তার পাগড়ী, জুব্বা সবকিছু ওসকুরানী দিতে বলেন, তার প্রেমিক রুপে আখ্যায়িত করে। আসলে চরম সত্য এটাই যে, তিনি তাঁর ছেলেকেই খেলাফত দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভয়ে মুখে তা প্রকাশ করতে পারেন নি।
নবীর খলিফাদের মৃত্যুর পর ইসলামী শাসন কার্য পরিচালনার জন্য যারা এসেছেন, কেউই মুসলমান নন। কারণ মুসলমানদের কে হত্যা করে ( নবীর সাহাবী, নবীর মেয়ে, নবীর নাতী সবাইকেই হত্যা করা হয়েছে– ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে )। তাহলে একথা নি:সন্দেহে বলা যায় যে, বর্তমানে যারা ইসলামের নামে শাসন করছেন, তারা কেউ মুসলমান নন। কারণ নবীর সাহাবীদের হত্যাকারী, নবীর আত্মীদের হত্যাকারী ব্যক্তিবর্গ কখনোই নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারেনা। সুতরাং হাসান,হুসাইনের মৃত্যুর পর থেকেই মুহাম্মদের ইসলামের ইতি হয়। আর শুরু হয় ইয়াজিদের শাসন কাল। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইয়াজিদের বংশধর আরব শাসল করে আসছে। তার একটা প্রমাণ হচেছ সৌদির বাদশা সালমান। বনের শুকুরও তার থেকে আদর্শগত ভাবে অনেক ভালো। তারা নারী নিয়ে খেলা করতে যে পরিমান টাকা ব্যয় করে, তাতে অবহেলিত মুসলিম দেশ গুলো অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল হতে পারতো। ( আর একটা কথা বলে রাখি, তথা কথিত নবীর ১মা স্ত্রী খাদিজাকে নবী বিয়ে করেন একটা মাত্র কারনে। সেটা হলো অর্থনৈতিক কারনে। নবী জানতেন যে, খাদিজার অনেক সম্পদ আছে, যেটা নতুন একটা ধর্ম রচনার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। কারন টাকা ছাড়া কোন কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, হাজ্জ্ব করাও। সো তিনি খাদিজাকে বিয়ে করেন শুধু মাত্র অর্থের জন্য )।
সর্বপরি একটা কথা বলে শেষ করছি: ধর্ম যদিও অন্ধ, তবুও ধর্মের দরকার আছে। কারণ নাই মামার থেকে কাঁনা মামা অনেক ভালো। মানুষ বাস্তবতা ও বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকে। শুধু বাস্তবতা দিয়ে জীবনের চরম স্বাদ উপভোগ করা যায় না। ধন্যবাদ
যেই উম্মে হানী নিয়ে এত হইচই মেরাজের সময় এই উম্মে হানীর বয়স ছিল ৫০ বছর। ৫০ বছর বয়সী মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপন চাচাত বোন উম্মে হানী এখন নাস্তিকদের চোখে বিশ্ব সুন্দরী। উম্মে হানী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমবয়সী বা বয়সে একটু বড় ছিলেন। আর উম্মে হানীর ঘরে যে অন্যেরাও ছিল তা কিন্তু উম্মে হানী নিজেই বলেছে।
@ফারাবী, আপনার দাবির পক্ষে কোন রেফারেন্স থাকলে দিন প্লিজ।
আপনার মন্তব্য গুলা ভালো লাগল না ।
লেখাটা যারপরনাই উপভোগ করলাম। অনেক তথ্য জানলাম। কামনা করি লেখাগুলোর পেছনে যে পরিশ্রম আছে তা যেন সার্থক হয়।
@আফরোজা আলম,
প্রচুর ধন্যবাদ।
এই লেখার উদ্দেশ্য মুহাম্মদ কে এক সাধারণ রক্তমাংসের মানুষ হিসাবে দেখা। উনিও আমাদের মতই বাল্যপ্রেম করেছেন এবং কোন দিনই তা ভুলেন নাই। ইংরাজি একটা গানের কলি মনে পড়ে যাচ্ছে–The first cut is the deepest. মুহাম্মদেরও তাই হয়েছিল।
অসাধারন হচ্ছে কাশেম ভাইয়া। (Y) পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনাকে শুভেচ্ছা লেখাটার জন্য। (F)
@অচেনা,
আপনাদের মত পাঠকই আমার অনুপ্রেরণা।
ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম, সুদু আইখানেই অনুপ্রেরণা পাবেন 😛 😀
@ আবুল কাসেম
দুঃখিত, ভুলের জন্য । পৃষ্ঠাটি হবে সম্ভবত ৫৪,(বুখারী ১ম খন্ড,৫৪ পৃষ্ঠা ।বৃইগুলো আমার হাতের কাছে নেই।
@আহমেদ সায়েম,
ইসলামিক ফাউণ্ডশনের বোখারী শরীফ দেখলাম। আপনার উল্লিখিত পৃঃয় এই ধরণের কোন হাদিস দেখলাম না।
আপনি কোথায় এই সূত্র পেয়েছেন? এই বোখারী শরীফের প্রকাশক কে?
@আবুল কাসেম
মুহাম্মদ মক্কাতে শিআবে আবু ত্ব-লিবে অবস্হিত তাঁর চাচাতো বোন উম্মে হা-নীর ঘরে এশার নামায পড়ে শুয়ে ছিলেন, তখন তাঁর একপাসে নিদ্রিত ছিলেন প্রাণপ্রিয় চাচা হাময়া অন্যপাসে ঘুমাছিলেন চাচাতো ভাই জাফর, অতঃপর তাঁর ঘরের ছাদ ফুঁড়ে জীব্রাঈল এর আগমন হয় তাঁর কাছে, তখন তিনি ঘুবন্ত ও জাগ্রত অবস্থার মাঝামাঝি পর্যায়ে ছিলেন, অতঃপর জীব্রাঈল তাঁকে ঐ ঘর থেকে বের করে মসজিদুল হারামের দিকে হাত্বীমের কাছে নিয়ে আসেন। এরপর জীব্রাঈল তাঁর সীনা থেকে নাভীর উপর পর্যন্ত ফেড়ে তাঁর বুক ও পেট থেকে কিছু বের করে সেটাকে যমযমের পানি দিয়ে ধুয়ে তাঁর পেটটাকে পাকসাফ করে দেন।(বুখারী ১ম খন্ড,৫৪০পৃষ্ঠা, মুসলিম ১ম খন্ড ৯২পৃষ্ঠা, মিশকাত,৫২৬৫২৭পৃষ্ঠা) প্রশ্ন হলো আপনার লেখায় এরকম কোনো বিবারন পেলাম না, এটা কিন্ত্ত সব বিশ্বাসীরাই বিশ্বাস করে। মার্টিন লিঙ্গস, বলেছেন জীব্রাঈল তাঁর পায়ে লাথি মারলেন! না কি উম হানী পায়ে লাথি মেড়ে উঠিয়ে ছিলেন উভয়ের ব্যর্থ প্রেম,কাম চরিতার্থতার জন্য !? হা হা হা…আপনার এই অংশের মেরাজ এর তাত্ত্বিক পর্যালোচনা কোন উপসংহারে যাবার জন্য? ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।
@আহমেদ সায়েম,
মেরাজের বর্ণনা অনেক ভাবে হয়েছে। সবকিছুর বর্ণনা এই রচনায় দেওয়া সম্ভব হয় নাই। ইমাম সিয়ুতি নিজেই স্বীকার করেছেন মেরাজ নিয়ে অনেক ভাষ্য আছে–
যাই হোক, এই রচনার মূল উদ্দেশ্য মেরাজের বর্ণনা নয়। মূল বিষয় হচ্ছে উম হাণীর সাথে নবী মুহাম্মদের কি সুম্পর্কে ছিল তারই কিছু ব্যাখ্যা। সেই প্রসঙ্গে মেরাজ এসে গেছে। আমি অনেক হাদিস এবং ঐতিহাসিক দলিল থেকে দেখিয়েছি যে এই মেরাজ উম হানীর গৃহ থেকেই হয়েছিল। নবী মুহাম্মদ ঐ রাত্রে উম হানীর গৃহেই–এমনকি হয়ত তাঁর কক্ষেই ঘুমিয়েছিলেন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে কী হয়েছিল তা সবই অনুমান। যৌন সম্পর্ক হয়ত হয়েছিল, অথবা হয় নি। তাই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করি নাই।
আগের পর্ব্বগুলি পড়লে আপনি জানবেন যে খদিজার সাথে বিবাহের আগে মুহাম্মদ অনেক বারই উম হানীর সান্নিধ্যে থাকতেন—একান্ত নিভৃতে। তাঁদের দু’জনার মাঝে কী হত তা সবই অনুমেয়। আমি শুধু দেখিয়েছি যে মুহাম্মদের সাথে উম হানীর গভীর প্রেম ছিল। সেই প্রেমে যৌন কর্ম অন্তর্গত ছিল কি না তা আমরা কেউই সঠিক ভাবে কোনদিন জানব না।
উম হানী নিজেই স্বীকার করেছেন মেরাজের রাত্রে নবী উনার গৃহেই ছিলেন–কোথাও উম হানী তাঁর ভাই জাফর এবং মুহাম্মদের চাচা হামযার উল্লেখ করেন নাই। এমনকি উম হানী তাঁর স্বামী হুবায়রা এবং তাঁর পুত্র হানীরও উল্লেখ করেন নাই। আমি আজ পর্যন্ত কোন হাদিস দেখি নাই যে মেরাজের রাত্রে জাফর এবং হামযা উম হানীর গৃহে ছিলেন। তবে ইসলামী ভেল্কিবাজির অন্ত নাই। যে কোন মুহুর্তে ফস করে অনেক ইসলামী পণ্ডিতই মন গড়া কথা বলতে পারেন। এই পর্ব্বের মন্তব্যে আকাশ মালিক জানালেন হাজর আসকালিনির ভেল্কিবাজী। আসকালিলনি নাকি বলেছেন, আবু তালেব ইসলাম গ্রহন করেছেন নবীর মক্কা দখলের পর। মনে হচ্ছে ১০-১২ বছর কবরে ঘুমিয়ে থাকার পর আবু তালেব কবর থেকে উঠে আসলেন—যখন নবী মক্কা জয় করলেন! এর চাইতে বড় ভেল্কিবাজি আমি আজ পর্যন্ত শুনি নাই।
আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত বোখারী শরীফ খণ্ড ১, পৃঃ ৫৪০ তে আপনার উল্লিখিত হাদিসটা দেখলাম না। আসলে প্রথম খণ্ডে ৫৪০ পৃঃ নাই। যাই হোক হাদিসটা হয়ত অন্য কোন স্থানে আছে।
এই ধরণের এক হাদীসের অল্প কিছু অংশ আমি দিলাম (বোখারী শরীফ খণ্ড ১, হাদিস ৩৪২, পৃঃ ২০০, প্রকাশক ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, ঢাকা)
ইয়াহিয়া ইব্ন বুকায়র (র)…আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বললেনঃ আবু যার্ (রা) রাসুলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার ঘরের ছাদ খুলে দেওয়া হ’ল। তখন আমি মক্কায় ছিলাম। তারপর জীব্রীল (আ) এসে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দিয়ে ধুইলেন। এরপর হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বক্ষে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। তারপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আসমানের দিকে নিয়ে চললেন…।
(হাদিস অনেক লম্বা—তাই এখানেই শেষ করতে হ’ল। সম্পূর্ণ হাদিস অনলাইন পড়া যেতে পারে http://IslamiBoi.wordpress.com)
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রকাশিত সহীহ মুসলিম, প্রথম খণ্ড, পৃঃ ৯২ তে আপনার উদ্ধৃত হাদিস দেখলাম না। হয়ত অন্য কোথাও থাকতে পারে। আমাকে খোঁজাখুঁজি করতে হবে।
আপনি বুখারীর হাদিসের পূর্ণ উদ্ধৃতিটা দিন, হাদিস নম্বর সহ। আমার কাছে পুরানো বুখারী আছে। হাদিস নম্বর অন্য রকম–তাই যাচাই করেত অনেক সময় লাগবে।
হায় হায়, একই মন্তব্য দুবার হয়ে গেছে! আমার এখন কি করণীয়?!
@ছিন্ন পাতা,
খাস দিলে আল্লাহর কাছে মাফ চান। তিনি পরম দয়ালু। অপরাধ ক্ষমা করা হবে। :))
@রাজেশ তালুকদার,
খাস দিলে আল্লাহকে ডাকব ঠিকই, তবে মাফ চাইবার জন্য নয়। একজন (চাটগাইয়া) ইবলিশের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে কিনা…
( 🙂 )
উম হানীর এবং মোহাম্মাদের মাঝে ধুতি টানাটানির আসল কারণ আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ঘটা করে উম হানী তাদের দুজনের মাঝের এই ঘটনাটিকে কেন রটিয়ে দিলেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। যা কিছু ঘটছিল শুধু তাদের মাঝেই, তাহলে এই ঘটনা উম হানী নিজ হতে প্রকাশ করার প্রাসঙ্গিকতা ধরতে পারিনি।
তুলোর বর্ণনা দ্বারা কি বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল? সবাইকে এটা বিশ্বাস করানোর জন্যই যে মোহাম্মদ সারা রাত্রি আকাশে ব্যস্ত ছিলেন, এবং তুলো আকাশ হতেই ওনার পেটে লেগে গেছে? (এ প্রশ্ন অট্টহাসি ছাড়া কিভাবে করা যায়, আমার অজানা…)। যতই হাসি না কেন, আমি সত্যিই একটু বিভ্রান্ত। আমি বোধ হয় কিছু একটা মিস করছি এখানে।
একটু পরিস্কার করে দেবেন কি? (সব তুলোর ময়লা… :lotpot: )
@ছিন্ন পাতা,
খুবই মজার প্রশ্ন করেছেন আপনি। আমিও এ নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি। উম হানীর কী উদ্দেশ্য ছিল ঘটা করে নবীর নগ্ন তলপেটের (এবং আনুসাঙ্গিক) বর্ণনা দেবার।
আমার অনুমান–উম হানী ছিলেন খুবই সৎ এবং স্পষ্টবাদী। উনি হয়ত অনুমান করেছিলেন মূহাম্মদ একদিন বিশাল কেউ হতে পারেন। তাই উম হানী চাচ্ছিলেন বিশ্বকে জানাতে যে উনার সাথে নবী গভীর সম্পর্ক ছিল–তা এতই সান্নিধ্যের যে সাধারণতঃ খুব অন্তরঙ্গ প্রেমিক-প্রেমিকা অথবা স্বামী-স্ত্রীর মত।
আমার অনুমান এই ধরনের ধুতি টানাটানি শুধু মে’রাজের রাত্রেই হয় নি। হয়ত অনেকবারই হয়েছিল, হয়ত প্রত্যেক রাত্রেই হ’ত। কিন্তু মেরাজের রাত্রেই পাড়াপ্রতিবেশী আর মুহাম্মদের চাচা মুহাম্মদের খোঁজ করতে আসলেন তাই ধুতি টানাটানির প্রসঙ্গ বেরিয়ে আসলো। পাড়াপ্রতিবেশীরা সন্দিহান না হলে এই তথ্য বিশ্ববাসী কোনদিনই হয়ত জানত না।
@আবুল কাসেম
আমি ধর্মের বিভিন্ন ইতিহাস পড়তে গিয়ে লক্ষ্য করলাম, ইহুদী-খৃষ্টান-ইসলাম পে’গ্যানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য,আচার-আচরন -বিশ্বাস, নীতি-নৈতিকতা-নৈবেদ্য কিছুটা পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত আকারে লালন-পালন-ধারন করেছে।নতুনের পুঁজি তাদের কিছুই নেই।আপনার এই র্পবের পর্যালোচনা বেশ ভালো হয়েছে। ভালো থাকা হয় যেন।ধন্যবাদ।
@আহমেদ সায়েম,
ভাই সায়েম, ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আসলে যদি ভাল করে পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন মোহাম্মদের আল্লাহ কিন্তু ইহুদী ও খৃষ্টানদের আল্লাহ নয় এটা পৌত্তলিকদেরই আল্লাহ যাকে তারা তাদের দেব দেবীদের সর্দার বলে মনে করত ও আল্লাহ নামেই ডাকত।ইসলামী পন্ডিতরা একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করে যে আল্লাহ শব্দটি বোধ হয় মোহাম্মদই সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। পৌত্তলিকরাই যে আসলে মোহাম্মদের বহু আগে আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করত এটা ঘুনাক্ষরেও তারা উল্লেখ করে না। কেন জানেন? তখন মানুষের মনে প্রশ্ন উঠবে তারা যে আল্লাহ কে ডাকত , সে আবার কে ? পৌত্তলিকরা যাকে আল্লাহ ডাকত সে হলো চন্দ্র দেবতা যার অন্য নাম হুবাল, একারনেই দেখবেন ইসলামে চাঁদের ছবির ব্যপক ব্যবহার ও চাঁদের ছবি একটা পবিত্র প্রতীক যা ইহুদী ও খৃষ্টানদের কাছে কখনই পবিত্র ছিল না। এ বিষয়টাকে ইসলামী পন্ডিতরা বাইবেল বিকৃত করেছে বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারবে না , তাই নয় ? সে কারনেই বোঝা যায় মোহাম্মদ মুলত: ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে দলে ভেড়ানোর জন্য তাদের আল্লাহকে হাইজ্যাক করে নবুয়ত্ব দাবী করেন কিন্তু তা কখনই তারা গ্রহণ করেনি। আর একারনেই তারা মোহাম্মদ তথা ইসলামের চির শত্রু রয়ে গেছে।
@ভবঘুরে,
কথাটা খুবই সত্য। পৌত্তলিক আরবেরা চাঁদকে পুরুষ মনে করত। আর সুর্যকে নারী মনে করত। সেই জন্য ইসলামী জগতে দেখবেন চাঁদ নিয়ে মাতামাতি। আর যে তারা আছে চাঁদের সাথে তাকে তারা মনে করত চাঁদের কন্য উজ্জা ব ওই ধরণের কোন এক দেবী।
আর, ইসলামের সবচাইতে পবিত্র বস্তু হচ্ছে এক পাথর–কাবার পাথর। প্রত্যেকদিন পাঁচবার কোটি কোটি মুসলিম নরনারী ঐ পাথরের দিকে মুখ করে আল্লার সোয়াব আদায় করেন। এর চাইতে বড় পৌত্তলিকতা আর কী হতে পারে।
এছাড়াও প্রতি বছর মোমিন মুসলিমরা হজ্জে গিয়ে এই পাথরকে চুম্বন করেন, হাত দিয়ে স্পর্শ করেন এবং এর চতুর্দিকে সাতপাক ঘুরেন। এ যে শিবলিঙ্গকে পুজার যজ্ঞকেও হার মানায়।
মোটকথা, ইসলামের মুল ভিত্তি সত্যিই পৌত্তলিক প্রথা।
@ আকাশ মালিক,
Aisha said, “If anyone tells you that Muhammad has seen his Lord, he is a liar, for Allah says
ও আল্লাগো ইহা কি শুনিলাম। একবিংশ শতাব্দির আধুনিক বাংলাদেশেও এই কথা এখন বলিলে, তাহার ভবলীলা সাংগ হতে বাধ্য। রাসুলে পয়গাম হযরত আমিনি শতাব্দিব্যাপি হরতাল দিতে বাধ্য। আর সেখানে নবীজির বউ ইহা বলিলেন। যার ঘরে কোরান নাযিল হয় তার কথা বিশ্বাস না করলে কারও ইমান থাকবে বলে তো মনে হয়না।
তাছাড়া আমরা মিথ্যাবাদী হবো কোন দুঃখে, তার চেয়ে ভাল আমরা মেনে নেয় মুহাম্মদের বদ হজমের কারণে পেটে গ্যাস হওয়াতে সে মেরাজের দুঃস্বপ্ন দেখেছিল অথবা মধুবালা সে রাতে মুহাম্মদকে সুখ দিতে হয়তো মানা করাতেও অভিমানি মুহাম্মদ মধুবালার কাছে নিজের বুজরগি প্রমাণ করতে এমন কিচ্ছা তৈরী করেছিল।
আর মোমিন-মোসলমান ভাইয়েরা তাদের কাজিন দ্বারা নেংটা হওয়া কি তাদের জন্য সুন্নত হয়ে গেলনা? :lotpot:
নামাজ পরার যে পদ্বতি এটা কি মোহাম্মদের নিজের সৃষ্ট নাকি ধার করা ?
@আস্তরিন,
উপরে দেখুন আমি কর্মকারকে এই একই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।
ইসলামের নামাজ পদ্ধতি আরব খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে ধার করা। দেখুন উপরে।
@আবুল কাশেম, কিন্তু খ্রিস্টানদেরতো প্রার্থনার সময় বারবার উঠা বসা বা সেজদা করতে দেখিনা এজন্যই আমার এই প্রশ্ন ,বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে হয় ,যদি সম্ভব হয়,ভাল থাকুন ধন্যবাদ ।
@আস্তরিন,
মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিষ্টানরা ঐভাবেই প্রার্থনা করত। আপনি বেঞ্জামিন ওয়াকারের বইটি সংগ্রহ করে পড়ুন। অনেক মজার ব্যাপার লক্ষ্য করবেন।
কয়েক বছর আগে আমি ন্যাশনাল জিওগ্রাফী ম্যাগাজিনে ছবিও দেখলাম প্যালেস্টাইনের খ্রিস্টানরা কেমন করে প্রার্থনা করছে। আশ্চর্য্য হলাম যে তারাও মুসলিমদের মত নতজানু করছে, দুই হাতে মোনাজাত করছে, হাঁটুগেড়ে বসছে…ইত্যাদি।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী কিকরে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের পরনের ধুতি ধরে টানাটানি করতে পারে যদি তারা স্বামী-স্ত্রঈ না হয় বা তাদের মাঝে কোন শারীরিক সম্পর্ক না থাকে? ধুতি পড়ে গেলে শুধু কী পেট দেখা যায়? পেট তুলা দিয়ে ঢাকা মানে কি, পেটের মধ্যে কি নূরানী কায়দায় তুলার চাষ করা হয়েছিল?
@তামান্না ঝুমু,
উপরে আমার মন্তব্য পড়ুন–উম হানী নবীর নগ্ন পেটের নীচে কী দেখছিলেন? আপনার মত সব পাঠকই বুঝবেন উম হানী নিয়মিত ভাবে নবীর নগ্ন দেহে কী দেখতেন। এর জন্য পরিষ্কার করে লিখার প্রয়োজন পড়ে না।
উম হানী নবীর নুরানী পুংলিঙ দেখেছিলেন তা ত জলবৎ তরলং। আর উম হানীই তার সর্ব্বোতকৃষ্ট বর্ণনা দিলেন–আর তা হল নবীর লিঙ ছিল সাদা ধবধবে।
এইটাই আসল কথা। এর জন্য এত ইনিয়ে বিনিয়ে তলপেটের বর্ণনার দরকার পড়েছিল ইসলামের লজ্জা ঢাকার জন্য।
আর কোন নারী পুরুষের লিঙ দেখে থাকে–তা কি আমাদেরকে বলে দিতে হবে?
@তামান্না ঝুমু,
আচ্ছা বিষয়টা কি এমন হতে পারে না যে, হানি মোহাম্মদকে জোর করছিল তাকে খুশী করার জন্য কিন্তু মোহাম্মদের সে ক্ষমতা ছিল না, তাড়াতাড়ি চলে যেতে চাচ্ছিল কিন্তু পিছন থেকে হানি কাপড় টেনে ধরে আর যার ফলে এ ঘটনা ঘটে। তবে যাই ঘটুক না কেন যে পরস্ত্রী একজন পরপুরুষের পরনের লুঙ্গি বা ধুতি ধরে টানা টানি করে তা খুলে ফেলতে পারে তার সাথে যে সত্যি সত্যি একটা গোপণ আদিলীলার সম্পর্ক ছিল তা বলে দেয়া যায় চোখ বুজেই।
@ভবঘুরে,
এই ব্যাপারটা আমিও চিন্তা করেছি। যে যাই বলুক, আমার ত মনে হয় কাজের বেলায় মুহাম্মদের লিঙ্গ তেমন শক্তিশালী থাকত না। একটা হাদিসে জানা যায় নবীর প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা–বলছেন, যে উনি কোনদিন নবীর যৌনাজ্ঞ দেখেন নাই। কী মারাত্মক কথা–চিন্তা করুন। আয়েশার বয়স তখন খুব সম্ভত ১২-১৫ হতে পারে। যৌন কামাতুর আয়েশাকে নবী কি ভাবে যৌন তৃপ্তি দিতেন। একটা হাদিসে দেখেছিলাম–অনেক স্ত্রীদের সাথে থাকালীন নবী ‘হাত’ দিয়ে অনেক কিছু করতেন। এই হাদিসটার সুত্র দিতে পারছিনা–স্মরনে আসছে না।
গাধার চেয়ে উঁচু এবং খচ্চরের চেয়ে নীচু কোন জন্তুর পা কিভাবে ‘দৃষ্টির শেষ সীমায় রেখে রেখে চলতে পারার‘ মত লম্বা হতে পারে? আর এত লম্বা পা বিশিষ্ট প্রানী কিভাবে ‘খচ্চরের চেয়ে নীচু’ হতে পারে? কি উদ্ভট বর্ননা!
@কাশেম ভাই,
আপনার প্রতিটি লেখাই প্রচুর পরিশ্রম ও গবেষনার নির্যাস। যে কোন পাঠকই তা উপলব্ধি করতে পারেন। এ সকল তথ্যবহুল লিখা থেকে অনেক অনেক কিছু জানার ও শেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
(Y) (F)
@গোলাপ,
যথার্থ বলেছেন ভাই। আমি এখনও এই বর্ণনা পরিষ্কার বুঝি না। যা পড়েছি তাই লিখেছি।
আপনার মত জ্ঞানবান পাঠক খুবই বিরল। আমি সর্বদায়ই আপনার মতামত এবং সেই সাথে আপনার দেওয়া অনেক অনেক তথ্য খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি। আমি আগে অনুরোধ করেছি এবং এখনও করছি–আপনি পূর্ণাঙ রচনা লিখুন। আপনার লেখা এবং ইসলামের উপর জ্ঞান অতিশয় জোরালো। আপনার লেখা থেকে আমি অনেক উপকৃত হই। তাই আপনার লেখা পড়ে অনেক লেখক উপকৃত হউক তাই আমি চাচ্ছি।
আশা করি আমার এই অনুরোধ আপনি রাখবেন।
@আবুল কাশেম,
আল্লাহ পাকের সব রহস্য বোঝা মানুষের অসাধ্য। তা যদি বুঝত তাহলে মানুষের সাথে আল্লাহর তফাৎটাই তো থাকত না। আমরা ইমানদার পাবলিক এত সব বোঝার দরকার মনে করি না ভাই, মহানবী গাধা বা খচ্চর যার পিঠে চড়েই মেরাজে যাক না কেন , আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ ইচ্ছা করলে মহানবী হেটেও তার সাথে দেখা করতে যেতে পারতেন, খোশগল্প করতে পারতেন চাইকি দু পেগ সূরাও পান( বেহেস্তে সূরা পান তো বৈধ) করতে পারতেন একসাথে। তাই না ? সবই ভাই ইমানের ব্যপার। আপনার ইমান ও ইলম কোনটাই নাই ভাই, তাই বুঝতে পারছেন না। আল্লাহর কাছে মোনাজাত করি- তিনি আপনার হেদায়েত করুন, মনের মধ্যে ইমানের বীজ বপন করে দিন, আমীন।
@গোলাপ,
হা হা হা , কি যে কন বুঝি না। পা যদি অতি ইলাস্টিক কোন বস্তু দ্বারা তৈরী হয় তখন দৃষ্টি সীমা তো সামান্য ব্যপার, অসীম পর্যন্তও যেতে পারে। ওই যে রবারের সুতা টানলে যেমন তা বাড়তে থাকে অনেকটা সেরকমই। এটা কি আপনার দেখা গাধা বা খচ্চর নাকি ? স্বয়ং আল্লাহ পাক একে পাঠিয়েছিলেন মহানবীর মহাকাশ ভ্রমনের জন্য , এটা বিশেষভাবে তৈরী খচ্চর। ইমান না থাকলে এসব বুঝবেন না । সেজন্যেই তো মোল্লারা বলে- সব কিছু বোঝা মানুষের অসাধ্য, তা চেষ্টা করাও উচিত নয়। 😀
আপনার অতিশয় পরিশ্রম সাধ্য যুক্তিযুক্ত উদ্ধৃতি সংগহ করিয়া জন সম্মুখে তুলে ধরার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মেরাজ কোথা থেকে কি ভাবে নবী আরম্ভ করেছিলেন এটা জন সম্মুখে এক রকম জলের মত পরিস্কার।
তবে এটা শুধু মাত্র যারা গুটিকয়েক ব্যক্তি আন্তর্জালের সহিত জড়িত তারাই এই সত্য ব্যাপার টি অনুধাবন করতে পারছে। ব্যাপারটি যদি ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা যেত তা হলে অন্ততঃ বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন খাতে মোড় নিতে পারতো।
আমার কাছে তো মনে হয় বাংলাদেশের চিত্র ক্রমান্বয়ে ভয়াবহের দিকে যাচ্ছে। মৌলবাদিদের দাপট ও দৌরাত্ব দিনদিন এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে শুনলে শিহরিয়ে উঠতে হয়।
আপনাদের মত লেখকদের এ ধরনের লিখনী চালিয়ে যাওয়ার অতীব প্রয়োজন রয়েছে। তাতে অন্ততঃ কিছুটা হলেও তো তাদের প্রবল প্রবৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে এবং তা করতেছেও।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত।
এই ব্লগের অনেক পোস্ট এবং মন্তব্যের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা নিজে জানা ও অন্যদেরও জানানোর বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। আর মুক্তমনাতে তো ইতোমধ্যে অনেক অনেক লেখা জমে গেছে। নতুনদের (পুরাতনদেরও) সেখান থেকে এ ধরনের লেখাগুলো খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্ট ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই এ ধরনের পোস্টগুলো এবং সাথে তথ্যবহুল মন্তব্যগুলোও আমরা সকলে একত্রিত করে ই-বুক বানিয়ে মুক্তমনাতে কোনভাবে রাখা যায় কি? আর ই-বুক বানালে বিভিন্ন জনের সাথে শেয়ারও করতে পারি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আন্তর্জাল ছাড়া আমাদের কোন উপায় নাই। আমরা চাই আপনার মত আরও পাঠক আসুক।
আমি আন্তর্জালের ক্ষমতা সম্পর্কে খুবই আশাবাদী।
চিন্তা করুন দশ বছর আগে—এই ধরণের লেখা এমনকি আন্তর্জালেও চিন্তা করা যেত না–তারপর বাঙলা ভাষায়?
কিন্তু আজ কী দেখছি? এই মুক্তমনাতেই দেখছি নূন্যতম সাত আটজন লেখক আছেন যাঁরা নিয়মিত লিখে চলেছেন ইসলামের সমালোচনা করে। এই সব মেধাবী, পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠাবান লেখক লেখিকাদের রচনা পড়ে মুগ্ধ হয়ে যাই–এবং তাঁদের জন্য রয়েছে আমার অকুণ্ঠ সমর্থন ও সম্মান। দশ বছর আগেও এই সব সব বাঙালি লেখকদের কথা চিন্তাই করতে পারতাম না।
তাই আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছিনা। ইসলামের যতই সমালোচনা হবে ততই ভাল। কারণ ইসলামের ভিত্তি বড়ই দুর্ব্বল ও নড়বড়ে। আর আপনার মত যত পাঠক আসবে ততই ঘনিয়ে আসবে ইসলামের দিন। ইসলাম যে মিথ্যা, বর্বর এবং সাম্রাজ্যবাদী অচিরেই বিশ্ববাসী জানতে পারবে। তখনই দেখা যাবে ইসলাম ধ্বসে পড়ছে–যেমন করে আমরা দেখি ধ্বসে পড়ছে উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুর জমানো হিম মালা–বা হিম পর্বত।
আপনাকে প্রচুর ধন্যবাদ এই লেখা নিয়মিত পড়ার জন্য।
@আবুল কাশেম,
ইসলামের ধ্বস আর হিমবাহ ধ্বস পরস্পর বিরোধী, তাই নয় কি?
@স্বপন মাঝি,
মাঝি ভাই, এটাকে রূপক হিসাবে ধরে নিন।
@স্বপন মাঝি,
যদি হিমবাহের সাথে তুলনা করেন তবে আপনার অনুমান কিছুটা সঠিক হতে পারে। হিমবাহ সর্বদাই চলমান থাকে–যদিও তার চলার গতি অতিশয় আস্তে—মাঝে মাঝে সামান্য গতিশীল হতে পারে, যা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর।
কিন্তু আমি হিমাবাহের কথা বলি নি। আমি তুলনা করেছি হিমপর্বত–যা স্থির দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু অল্প উষ্ণতা পেলে গলে পড়ে এবং ধপ ধপ করে বরফের টুকরা যা সাদা শীলার মত তা পড়তে থাকে। আপনি নিশ্চয় টেলিভিশনে এই চিত্র দেখেছেন। আজকাল জলবায়ু পরিবর্তন বা বিশ্বের উষ্ণতার দরুন এই গলে যাওয়া তরাম্বরিত হচ্ছে। আমি এর সাথেই ইসলামের তুলনা করেছিলাম।
আশা করি ব্যপারটা আমি বুঝিয়ে বলতে পেরেছি এখন।
এশারনামাজ, ফজরের নামাজ- নামাজের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কিছু লিখতে অনুরোধ করছি।
আগে ো বোধ হয় বলা হয়েছে, আবারো বলার প্রয়োজন অনুভব করছি। মুসলমানরা জেরুজালেম জয় করে উমরের খেলাফত আমলে, এবং জেরুজালেমে মসজিদ বানায় তারপর। তা হলে নবি মসজিদ ধেখলেন কি করে ?
@কর্মকারক,
এশার নামাজ, ফজরের নামাজ…সব রকমের নামায মুহাম্মদ শিখেছিলেন আরব খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে।
আশ্চর্য্য হচ্ছেন? তবে পড়ুন বেঞ্জামিন ওয়াকারের লিখা ফাউন্ডেশন অফ ইসলাম বইটি। সুনেছি এই বই-এর বাঙলা অনুবাদ পাওয়া যায় বাঙলাদেশে।
এই বই থেকেই কিছু তথ্য দিচ্ছি (পৃঃ ৬১-৬৩)
Juma prayer was a pagan practice.
Muhammad learned about Christianity from a Manichaean centre in Hira.
Ramadan is also pre Islamic practice as mentioned in 2:183
These Christian monks practiced five prayers a day
The monks had five periods of daily prayer, and sometimes they prayed far into the night, believing that prayer is to be preferred to sleep (Archer. 1924, p. 67). Prayers were accompanied by reverential postures standing with the palms together, bowing down, kneeling, and sitting on the heel.
Some practiced prostrations with forehead touching the ground, a form of worshipful salutation known in Arabic as the sajda, a term of Syriac derivation.
দেখা যাচ্ছে ইসলাম নতুন কিছুই আনে নাই–জিহাদ এবং যাকাত ছাড়া।
এই দুই ব্যবস্থা ছাড়া সবই অন্য ধর্ম থেকে কপি-পেস্ট।
সেটা ত আমারও প্রশ্ন। বুঝতেই পারছেন কিরূপ মিথ্যার উপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে।
ধন্যবাদ রচনাটি পড়ার জন্য।
হাজত ফেরত চোরচোট্টারা যেমন বলে আমি শ্বশুর বাড়ী থেকে আসছি, উত্তরটা কি ওই রকম?
অভিজ্ঞতা ভালো তো হবেই। ত্রিশ পুরুষের যৌন ক্ষমতাধর নবী একখানা যৌনকাতর পরনারী পরস্ত্রী প্রেমিকা নিয়ে রাত কাটালে, অভিজ্ঞতা ভালো হবেনা?
@কাজী রহমান,
একে বারে সত্যি কথা।
নবীর যৌন ক্ষমতা যে ত্রিশ পুরুষের সমান ছিল—তা কোন সুস্থ ব্যক্তি বিশ্বাস করবে কী? আমার ত মনে হয় এই দাবী একেবারেই বানোয়াট। যাই হোক, নবীর যৌন কাতরতা সাধারণ পুরুষের মতই ছিল–অথবা সামাণ্য কিছু বেশি ছিল। কিন্তু উনার ছিল নারীদের প্রতি প্রবল আকর্ষণ। নবী তাঁর জীবদ্দশাতেই তা স্বীকার করে গেছেন। উনি অনেকবারই বলেছেন–তিনটি জিনিষের প্রতি আমি প্রবলভাবে আকর্ষিত হই–তা হচ্ছে: সুগন্ধি, নারী এবং প্রার্থনা।
ব্যক্তিগতভাবে নারীদের প্রতি এই দুর্ব্বার আকর্ষণে আমি কোন মন্দ দেখি না। পৃথিবীর অনেক জ্ঞানী, গুনী, সেনানায়ক, রাস্ট্রনায়ক–অনেকেরই এই দুর্ব্বলতা ছিল এবং আজও আছে। তাই আমরা নবীজিকে সাধারণ মানুষ হিসাবেই বিবেচনা করব। সমস্যা হয় তখনই যখন ইসলামী জগত চায় নবীর এই দুর্ব্বলতাকে ইসলামী আদর্শ হিসাবে প্রচার করে এবং প্রতিটি মুসলিম নবীর আদর্শকে মান্য করতে বাধ্যগত।
@আবুল কাশেম,
আকর্ষণে দোষের কিছু নাই। তবে অতি আকর্ষণে চুম্বক শলাকা যদি উত্থিত হয়ে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, উর্ধ্ব, অধঃ সব দিকেই দিক খুজে বেড়ায় তবে আকর্ষণে সমস্যা আছে বলতে হবে বৈ কি।
লিখেই যান, তা না হলে আমরা কি পড়ব? :))
@রাজেশ তালুকদার,
হাঁ, ত বলা যায়।
তবে চম্বক শলাকাকে নিম্নমুখী রাখার জন্যই ত শুনেছি নবীজি নূন্যতম বাইশটা নারীকে বিছানায় নিয়েছেন। ইসলামী পণ্ডিতেরা চান সব মুসলিমেরই চুম্বক শলাকা নবীর মত সদা উত্থিত রাখুক তাই মুসলিমরা যত বেশী বিবি বিছানায় নিবে ততই সোয়াব পাবে। একটা হাদিসে নবীজি মূসলিমদেরকে এই উপদেশ দিয়ে গেছেন।
এই খানেই হচ্ছে মহা সমস্যা।
@আবুল কাশেম,
না, কোন সুস্থ ব্যক্তির একথা বিশ্বাস করা উচিৎ তো না, কিন্তু মুমিন বান্দা? তাদের কি দোষ, এই কথা যে সহি হাদিসে বলে, বুখারীঃ
Volume 1, Book 5, Number 268:
Narrated Qatada:
Anas bin Malik said, “The Prophet used to visit all his wives in a round, during the day and night and they were eleven in number.” I asked Anas, “Had the Prophet the strength for it?” Anas replied, “We used to say that the Prophet was given the strength of thirty (men).” And Sa’id said on the authority of Qatada that Anas had told him about nine wives only (not eleven).
আনাস ইবনে মালিক ও কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: আনাস ইবনে মালিক বলেন, নবি (সাঃ) দিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে ১১ জন বিবির সঙ্গে মেলামেশা করতেন। আমি (কাতাদা) আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম, হযরতের কি এতই শক্তি ছিল? তিনি বললেন,আমাদের মধ্যে এই কথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, রাসূলাল্লাহ ৩০ জন পুরুষের শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ছিলেন……………… :-X
@কাজী রহমান,
না, মুমিন বান্দাদের কোন দোষ দেওয়া যায় না। তারা নবীজির আদর্শের প্রতিফলন দেখাতে চায় তাদ্র জীবনে।
দোশ হচ্ছে ইসলামের।
কিছু ইসলাম করব—আর কিছু করব না—তা হবে না। হয় ইসলামকে জীবন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে–নয় ত ইসলামকে আঁকড়ে ধরে ইসলামের জন্য জীবন দিতে পেটে বোমা বেঁধে ঝাঁপিয়ে মৃত্যু বরণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই ভাবেই সমুচিত সম্মান দেখানো হবে নবীজির আদর্শের প্রতি।
@আবুল কাশেম,
ও আচ্ছা, তাহলে পুরোপুরি মানতে হবে এই তো?
এখানে
আল বাকারা, সূরা ২, আয়াত ৮৫: তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে।
না ভাই, বোমাবাজির মত পচা কাজে মুমিনরা থাকবে, এইটা কেমনে হয়? :-s
@কাজী রহমান,
হে বাঙলার নবী;
আপনার এই নতুন আয়াতেই আমার যা বলার ছিল আল্লাহ পাক তা বলে দিয়েছেন। কী অপুর্ব্ব আয়াতই না আল্লাহ আপনাকে পাঠিয়েছেন। আমার ত মনে হচ্ছে লাওহে মাহফুজের সংশোধন চলছে।
আপনার সাথে একমত। তবে নবীজিকে আদর্শ হিসাবে ধরলে অনেকেই যে বোমা বুকে বেঁধে নিবে এবং নিচ্ছে তাতে কী সন্দেহ আছে?
এই দেখুন কয়েকদিন আগে আফগানিস্থানে কয়েকজন প্রকৃত মুসলিম বুকে বোমা বেঁধে কী করল। এই ধরণের ঘটনা ত ইসলামী স্বর্গের জন্য ডাল-ভাত হয়ে গেছে। এই পরিবেশ থেকে মুক্তির কী উপায়?
সুবহাল্লাহ, সুবহাল্লাহ। জোরে সুরে সবাই বলেন আলহামদুলিল্লাহ।
কাশেম ভাই, পুরো না পড়েই মন্তব্য করছি। আয়েশা ও মুয়াবিয়া যে মুহাম্মদের এই বানোয়াট মেরাজ কাহিনি বিশ্বাস করতেন না, তা আপনার লেখায় কি উল্লেখ হয়েছে বা আগামীতে হবে?
@আকাশ মালিক,
আচ্ছা হ্যামদুলিল্লাহ বললে চলবে? :))
@আকাশ মালিক,
টানাটানিতে নবীর ধুতি পড়ে গেল, উম হানী নবির নগ্ন পেট দেখলেন—আর নগ্ন পেটের একটু নিচেই যে কী নুরানী চিজ ছিল তা কী উমা হানী দেখেন নি? মুহাম্মদের এই নগ্ন দৃশ্য শুধুমাত্র উম হানীর বর্ণনাতেই দেখা যায়।
ঈসরা এবং মেরাজ যে সম্পূর্ণ বানোয়াট তা যে কোন সুস্থমস্তিষ্কের ব্যক্তি জানে। আমার ত মনে হয় নবীর কোন বিবিই এক কাহিনি বিশ্বাস করতেন না।
না, আয়েশা ও মুয়াবিয়ার ভাষ্য আমার কাছে নাই–অথবা থাকলেও সূত্র স্মরণে আসছে না। দয়া করে সূত্র দিবেন কি?
@আবুল কাশেম,
Volume 9, Book 93, Number 477:
Narrated Masruq:
‘Aisha said, “If anyone tells you that Muhammad has seen his Lord, he is a liar, for Allah says: ‘No vision can grasp Him.’ (6.103) And if anyone tells you that Muhammad has seen the Unseen, he is a liar, for Allah says: “None has the knowledge of the Unseen but Allah.”
এই তাফসিরেও বলা হয়েছে যে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং হজরত আয়েশা (রাঃ) সপ্নযোগে মে’রাজের কথা বলেছেন স্বশরীরে নয়।
সপ্নযোগে মে’রাজ ভ্রমন করতে নবী হওয়া লাগেনা। অবস্থা বেগতিক দেখে একদল লোক এখন উঠেপড়ে লেগেছে প্রমাণ করতে যে, মে’রাজের রাতে মুহাম্মদ উম্মে হানির ঘরে ছিলেন না, বরং সারা রাতই কাবা ঘরে ছিলেন। হজরত ইবনে হাজর আল আসকালানি তার কিতাবে লিখেন-
Umm-Hani bint Abi Talib was married to Hubairah bin Amr. She was the daughter of the Prophet’s uncle, Abu Talib, and embraced Islam on the occasion of the conquest of Mecca. This change of religion separated her from her husband, Hubairah, who fled to Najran. (Al-Isabah Fi Tamyeez Al Sahaba, by Ibn-Hajar Al Asqalani)
কী আশ্চর্য! উম্মে হানি মুসলমান হলেন মক্কা বিজয়ের পরে আর মে’রাজের ঘটনা হলো মুহাম্মদের মদীনায় হিজরতের পূর্বে। কেমন লেজে-গোবরে অবস্থা না?
@আকাশ মালিক,
আর কী লিখব ভাই! যা লিখার আর বলার ছিল সবই ত লিখেছি। উম হানী নিয়ে এত গবেষণা করলাম–এখন একটা হাদিসও দেখলাম না যাতে বলা হয়েছে আবু তালেব মক্কা বিজয় পর্যন্ত জীবিত ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ইবনে হাজর আসকালিনি মনে হচ্ছে নবীর আমলে জিবিত ছিলেন এবং সবকিছু নিজের চক্ষে দেখেছেন–আর ইবনে ইসহাক, ইবনে সা’দ, তাবারি, এমনকি হুসাইন হাইকল, বোখারি, মুসলিম, তিরমিজি, আয়েশা…এনারা সবাই মিথ্যাবাদী। আর আমি ত উম হানীর নিজের মুখের কথার উদ্ধৃতি দিয়েছি ইমাম সিয়ুতির বই থেকে। তা’হলে বলতে হয় উম হানীও ছিলেন চরম মিথ্যাবাদী। উম হানী নবীর ধুতি অথবা লুঙি নিয়ে টানাটানি করে তা খুলে ফেলে নবীজির নিগ্ন দেহে যা দেখলেন–তা ত ইসঅলামের মহা পণ্ডিতেরাই লিখে গেছেন–এসব ত আমার বা আপনার কথা নয়।
উম হানী যে নবী মুহাম্মদের পুং লিঙ দেখেছেন–ভালোভাবেই তা সামাণ্য চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রই বুখতে পারে। কিন্তু লজ্জার খাতিরে অথবা নবীর লুচ্চামি গোপন করার জন্য ইনিয়ে বিনিয়ে তলপেট সাদা দেখেছেন তাই দিয়ে ‘শাক দিয়ে মাছ’ ঢাকার চেষ্টা করেছেন।
ইসলামের এই লজ্জা ঢাকার জন্য আজ একবিংশ শতাব্দিতেও অনেক ইসঅলামি পণ্ডিতেরা কত ভেল্কিবাজীই না দেখাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যে আরও ভেল্কিবাজী দেখব তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই।
কিন্তু আমি যে সব উৎস থেকে এই রচনা লিখেছি তা মিথ্যা প্রমাণ করা চাট্টিখানি হবে না।
@আকাশ মালিক,
কী মারাত্নক কথা বিবি আয়েশা বলেছেন। এই ছোট্ট বাক্যেই ত ইসলামের ভিত্তি নড়ে যাবে। তাই না আজকাল কত উদ্ভট কথা বলা হচ্ছে ইসলামকে রক্ষার জন্য।
এদিকে তফসীর মারেফুল কোরআনের ৭৬৯ পৃঃ ইবনে কাসীরের মত লিখা হয়েছে এই ভাবে:
মে’রাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনা ইবনে কাসীরের রেওয়ায়েত থেকেঃ
ইমাম ইবনে কাসীর স্বীয় তফসীর গ্রন্থে আলোচ্য আয়াতের তফসীর এবং সংস্লিষ্ট হাদিসসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করার পর বলেনঃ সত্য কথা এই যে, নবী করীম (সাঃ) ইসরা সফর জাগ্রত অবস্থায় করেন, স্বপ্নে নয়। মক্কা মোকাররমা থেকে বাইতুল মোকাদ্দাস পর্যন্ত এ সফর বোরাকযোগে করেন।
পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে–ইমাম কাসীর আয়েশার হাদিস নাকচ করে দিচ্ছেন।
এর চাইতে বড় ধাপ্পাবাজি আর কি হতে পারে?
তাই বলছিলাম, ইসলামের ভিত্তি বড়ই দুর্বল। ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে বিশাল মিথ্যা এবং ধাপ্পাবাজির উপর।
আপনাকে ধন্যবাদ হাদিসটি স্মরণে আনলেন।
@আকাশ মালিক,
এখানে গ্রন্থের বা কোন্ হাদিছ হতে সেটা উল্লেখ নাই। একটু উল্লেখ করিবেন ? আমি আবার এগুলী SAVE করে রাখি এবং সময় বিশেষে কারো কারো সংগে রীতিমত মুখো মুখি হওয়া লাগে। এজন্যই পূর্ণ উদ্ধিতিটার দরকার। এটা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ দলিল।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
Sahi Bukhari: Volume 9, Book 93, Number 477:
লিঙ্কঃ http://www.cmje.org/religious-texts/hadith/bukhari/093-sbt.php
উদ্ধৃতির উপরেই এটা আছে। আপনি খেয়াল করেন নাই।
আপনার মন্তব্যগুলো ভাল লাগে।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
ধন্যবাদ আপনাকে পূর্ন উদ্ধৃতিটা (যা আমি উপরে খুজিয়া পাই নাই) তারপর আবার লিংকটাও দেওয়ার জন্য। এটা আমি Save করে রাখলাম। এটা আমার কাজে লাগবে। এটার গুরুত্ব অত্যধিক।
কারন এটা নবীর সব চেয়ে নিকটতম ও পীয়তমা স্তীর নিকট থেকে এমন একটি বক্তব্য যা বিশ্লেষন করলে দাড়ায় নবীর বর্ননা অসত্য। আর যিনি এমন একটা গুরুত্বপৃর্ণ বিষয়ে সারা বিশ্ববাসীকে অসত্য বক্তব্য রাখতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করেননা, তার অন্য বক্তব্য গুলীর উপর সারা বিশ্বের মুছলিমেরা কি করে শূধু পৃর্ণ আস্থাই করতেছেনা, বরং নিজের জীবনকেও উৎসর্গ করতে সামান্যতমও দ্বিধা বোধ করতেছেনা।
মানব জাতি কতবড় আহম্মক হলে এটা করতে পারে!
আপনার মন্তব্য ও আমার কাছে ভাল লাগে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
স্যরি, হাদিস গ্রন্থের নাম উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। হাদিসটা সহিহ বোখারি শরিফের। এখানে তার লিংক দেখুন-
সাহাবী হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ), হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ) ও হজরত আয়েশা (রাঃ) যে মুহাম্মদের স্বশরীরে মে’রাজ বিশ্বাস করতেন না তা বোধ হয় অনেকেরই জানা। মুহাম্মদ আয়েশাকে জিব্রাইল দেখার সাক্ষী বানাতে চেয়েছিলেন, আয়েশা বিশ্বাস করেন নাই। আয়েশা মুহাম্মদের একমাত্র পুত্রসন্তান! ইব্রাহিমকে তার পুত্র কি না সন্দেহ করেছেন। মুহাম্মদের সকল নিয়ম নীতি, আদেশ নির্দেশ, সতর্কবাণী লঙ্ঘন করে আলীর বিরোদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আয়েশা পদেপদে মুহাম্মদকে সন্দেহ করেছেন, এমন কি একদিন তাকে প্রশ্ন করেছিলেন এই বলে- ‘তুমি কি সত্যিই নবী’? আয়েশাকে মুহাম্মদ ও আবু বকর মানসিক এবং দৈহিকভাবে নির্যাতন করেছেন। মুহাম্মদের ভাগ্য ভাল আয়েশাকে তার ছয় বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে গেলে মুহাম্মদের জন্যে খবর ছিল।
@আকাশ মালিক,
আর এক ব্যাপার লিখতে ভুলে গেছিলাম–
নবী নিজেই বলেছেন আবু তালেব দোজখের আগুনে ঝলসিত হচ্ছেন–তাঁর মগজ টগবগ করে ফুটছে।
তা হলে কেমন করে আবু তালেব ইসলাম গ্রহণ করলেন মুহাম্মদের মক্কা বিজয়ের পর?
তবে কী আল্লা পাক আবু তালেবকে ইসলামী দোজখ থেকে পাঠিয়ে দিলেন মর্ত্ত্যে? আর আবু তালেব কবর থেকে হুড় হুড় করে বেরিয়া আসলেন ইসলাম গ্রহণ করার জন্য।
হাজর আসকালিনি যে প্রলাপ বকে চলেছেন তাতে কোন সন্দেহ নাই। সেই জন্যেই মনে হয় উনার অনেক হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আমার কথা নয়—ইসলামী জগৎ আসকালিনির হাদিস সহিহ সিত্তার মধ্যে ধরে না।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে, আপনি বোধ হয় খেয়াল করেন নি। ওখানে আবু তালিব নয়, উম্মে হানির কথা বলা হয়েছে। উম্মে হানি মক্কা বিজয়ের পরে ইসলাম গ্রহন করেন। অর্থাৎ মেরাজের রাতে মুহাম্মদ যখন উম্মে হানির ঘরে ছিলেন তখন উম্মে হানি মুসলমান ছিলেন না।
@আকাশ মালিক,
হাঁ, আমিও একটু ভুল বুঝে ছিলাম। যাই হোক। এখন সব পরিষ্কার হয়ে গেছে।
উম হানী নিজেই স্বীকার করেছেন, উনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন মুহাম্মদের মক্কা বিজয়ের পর।
আর ওদিকে কিছু ইসলামী পণ্ডিত দাবী করে চলেছেন উম হানী এবং তাঁর মাতা ফাতেমা অনেক আগেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এই মর্ম্মে আমি মুহাম্মদের জীবনীকার মার্টিন লিঙ্গস কী লিখেছেন তাও উল্লেখ করেছি পর্ব্ব -৩-এ।
আমি কোথায়ও দেখি নাই যে আবু তালেবের স্ত্রী ফাতেমা কোন দিন ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
এই জটিল অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই বোধ করি, মার্টিন লিঙ্গস বিভ্রান্তি করেছেন–যা হচ্ছে ইনারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন মুহাম্মদের মক্কা বিজয়ের আগে অথবা পরে। –কী অপুর্ব ভেল্কিবাজি।
যা বলতে চাচ্ছি–উম হানীর নিজের জবান থেকে বলা, শুধু এক নয় ভুরে ভুরে হাদিস এবং সিরা থেকে প্রমাণিত হয় যে উম হানী ছিলেন এক তুলায়কা–যার অর্থ উনি ছিলেন মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে ইসলাম গ্রহণকারীদের এক জন।
তার মানে মক্কা বিজয়ের পুর্বে মুহাম্মদ উম হানীর সাথে যা ফষ্টি নষ্টী করে গেছেন, তা ছিল পৌত্তলিক উম হানীর সাথে। যদি যৌন সঙ্গম করে থাকেন তাও হয়েছিল পৌত্তলিক উম হানীর সঙ্গে।
বলা যায় নবী নিজের আইন নিজেই ভঙ্গ করেছেন, এক পৌত্তলিকের সাথে এই নিবিড় সম্পর্ক রেখে। আর এটাও বলা যেতে পারে যে উম হানীর সাথে নবীর প্রেম এতই গভীর ছিল যে নবী পৌত্তলিকতা উপেক্ষা করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
উহ্ ভুলে গেছিলাম–
আশা করছি সামনের পর্ব্বটাই শেষ পর্ব্ব হবে। এই লেখায় আমার প্রচুর সময় গিয়েছে।
লেখা শেষ হলে হাঁফ ছাড়ব।
@আবুল কাশেম,
হাঁফ ছাড়ার জন্য দয়া করে লেখা ছাড়বেন না। ;-( আমার (/আমাদের) অতি-প্রিয় লেখকদের মধ্যে আপনিও একজন। :guru: (F) সবার জন্য আপনাকে লিখতেই হবে…..। :guli:
@ আবুল কাশেম,
লেখা শেষ হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন মানো তো- এ সিরিজ থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
কিন্তু ভাই, প্রচুর সময় গিয়েছে বলে হাঁফ ছাড়বেন কেন? তথ্য থাকলে পর্ব চালিয়ে যেতে হবেই হবে।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
হাঁ, আপনার সাথে একমত।
আপাততঃ নতুন তথ্য পাচ্ছি না। তাই আগামী পর্ব্বেই ইতি টানব ভাবছি। ভবিষ্যতে নতুন, জোরালো তথ্য পেলে আবার লেখা যাবে।
@মো. আবুল হোসেন মিঞা,
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
না লেখা ছাড়ার ইচ্ছা আপাততঃ নাই। আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে এই ধরণের লেখা লিখতে প্রচুর সময় লাগে। প্রত্যেকটি বাক্য বার বার পড়তে হয় ভুলভ্রান্তি আছে কি না জানার জন্য।
এর আগে একবার মন্তব্য করেছিলাম–যারা ইসলামের সমালোচনা করে রচনা লিখেন তাঁদের রচনা হতে হবে নিখুঁত–। লেখাতে কোন ভুল থাকা যাবে না। কেবল একটি ভুল থাকলেও সেই লেখা অগ্রাহ্য হবে—লেখক হারাবেন তাঁর গ্রহণযোগ্যতা।
এই ধরনের লেখা স্রম সাপেক্ষ। তাই কিছু বিশ্রামের কথা ভাবছিলাম —এই আর কি।