আসিফ মহিউদ্দীনের অবিলম্বে মুক্তি চাই- এই দাবীটুকুই যথেষ্ট নয়! কৈফিয়ত চাই – কেন অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হলো? বিচার চাই এই ঘটনার হোতাদের- এই ফ্যাসিস্ট সরকারের!
আসিফ মহিউদ্দীনকে তার বাসায় ডিবি পুলিশের খুঁজতে যাওয়া ও থানায় রিপোর্ট করতে বলা, থানায় রিপোর্ট করতে গেলে আটক করা, ফেসবুক/ব্লগে সরকারবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত না থাকার ব্যাপারে অঙ্গীকার করতে বলা, এতে রাজী না হলে তাকে গ্রেফতার করে রাখা – পুরো ঘটনাই স্বৈরশাসনের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর আমলে ক্রসফায়ার-অপারেশন ক্লিনহার্ট এর মাধ্যমে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা, র্যাবের গঠন ও উপস্থিতি, পুলিশী তান্ডব এইরকম নানা জিনিসপত্র আমাদের অহরহই সহ্য করতে হয়েছে। গণতান্ত্রিক বিভিন্ন আন্দোলনে সরকারী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়াও এখানে নৈমিত্তিক ব্যাপার। শ্রমিকদের আর ছাত্রদের আন্দোলনে ডান্ডাপেটানো মূল কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা(!)কারী বাহিনীর। এবারে এর সাথে নতুন যুক্ত হলো ফেসবুক, ব্লগ মাধ্যম থেকে খুঁজে বের করে বেয়াড়া(!) গোছের ব্যক্তিদের শায়েস্তা করা। মাঝখানে এক শিক্ষকের নাম শুনেছিলাম- তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা করেছিলেন। এবারে আমাদের আসিফ মহিউদ্দিনরে আটক করা হলো। আমার ধারণা- এটা কেবল শুরু।
আসিফ মহিউদ্দীনরে নিয়ে বলার কিছুই নেই। আপনারা সবাই চিনেন, জানেন। তাকে নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। একজন অনলাইন এক্টিভিস্টরে আটক করা, মানসিক নির্যাতন করা আসলে কিসের আলামত? বুঝাই যাচ্ছে- এই সরকার আসলে এই অনলাইন এক্টিভিজমরে আমলে নেয়া শুরু করছে। এটা সরকারের তরফ থেকে একরকম হুমকি- অনলাইনে এক্টিভিটি সরকার বরদাস্ত করবে না- ফলে সাবধান! এমন বার্তাই কি সরকার দিতে চাচ্ছে? একটা সরকার কখন এমন আচরণ করে? কখন এমন ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে? ইতিহাস থেকে জানি- যখন নিজ শক্তি-সামর্থ্য বা ভবিষ্যৎ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দম্ভ তৈরি হলে- কিংবা অতিমাত্রায় ভয়ে থাকলে। এই সরকারের ক্ষেত্রে কোনটা? কোন সময়ে ও কেন একটা গণতান্ত্রিক সরকার জনগণরে গণনায় ধরে না, জনমতরে থোড়াই কেয়ার করে? সামান্যতম বিরোধিতা সহ্য করতে পারে না! একের পর এক গণবিরোধী শাসনে জনগণরে বেঁধে ফেলতে চায়- গণমানুষের বাদ-প্রতিবাদরে অঙ্কুরেই দমন করতে চায়! এই সরকার কেন এমন আচরণ করছে? দু/তিন বছর আগে পাওয়া একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই কি কারণ? মাজাভাঙ্গা বিরোধীদল দেখে কি তারা ভেবেছে- বিএনপি জোট ছাড়া সরকারের ফ্যাসিজম রোখার কেউ নাই? বিদেশী প্রভুদের সন্তুষ্টিই কি ক্ষমতা আকড়ে রাখার গ্রিন-সিগন্যাল ভেবেছে তারা। দেশীয় পুঁজিপতি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে দেদার মুনাফা করার সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে হাতে রাখলেই কি কেল্লফতে? এসবই যদি এই সরকারের ফ্যাসিস্ট হওয়ার কারণ হয়ে থাকে- তবে বলতেই হয় এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে নি। জনগণের শক্তিরে যারাই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে, তারাই আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও এর অন্যথা হবে না। মানুষের মুখ বন্ধ রেখে, কলম-কিবোর্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেউ কোনদিন ক্ষমতা বেশীদিন ধরে রাখতে পারেনি- সামনেও পারবে না।
সময় এসেছে, গর্জে উঠার- মুক্তির দাবীতে- আসিফ মহিউদ্দিনের- কলম ও কিবোর্ডের – চিন্তার ও মতপ্রকাশের।
আপাতত ডয়েচে ভেলেতে নেয়া সাক্ষাৎকারটি শুনে দেখতে পারেনঃ
http://www.dw-world.de/popups/popup_single_mediaplayer/0,,15434952_type_audio_struct_11977_contentId_15435920,00.html
http://www.dw-world.de/dw/article/0,,15435920,00.html
মুক্তমনার ব্লগার এবং পাঠকদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বেশ কয়েকদিন আমার অনলাইন একটিভিটি এবং বিভিন্ন ব্লগ আইডি গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণে ছিল বলে কোথাও ঢুকতে পারি নি।
নাধ ভাইকে একটা স্পেশাল ধন্যবাদ, আমিও যে মুক্তমনার একজন সেটা মনে রাখার জন্য। মুক্তমনাতে আমি নিয়মিত না ঢুকলেও সব সময়ই চোখ রাখি, এবং বেশ গর্ব বোধ করি বলতে যে আমি মুক্তমনারই একজন।
জিজ্ঞাসাবাদের এক সময়ে তারা আমার একটা নাস্তিক্যবাদী পোস্ট নিয়ে খোঁচাচ্ছিল, এবং জিজ্ঞেস করছিল আমার মত এরকম নাস্তিক্যবাদী পোস্ট অনলাইনে কে বা কারা কারা লেখে। আমি অভিজিৎ ভাই আর নাধ’র কথা বলে এসেছি। সুতরাং আপনারা তাদের পরের লিস্টে থাকলে আমি আশ্চর্য হবো না। 😛
ধর্ম এবং নাস্তিকতা নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়, সে বিভিন্ন প্রশ্ন করে, আমি তার ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করলেই বলে, “আল্লার কুদরতে তো সবই সম্ভব, তাইলে আমি অবিশ্বাস করি কেন”?
তো এই আহাম্মককে কিভাবে বোঝানো সম্ভব?
পরে কথা হচ্ছিল নাধ’র ১৯ নিয়ে পোস্টটা নিয়ে। সেটা বেশ ভাল ভাবে বুঝিয়ে এসেছি। আর ৪-৫ ঘন্টা সময় পেলে বেটাকে পুরা নাস্তিক বানায়া আসতাম বলে মনে হচ্ছিল, কিন্তু আফসোস!!!
তবে আশার কথা, বেটাকে ব্লগ এবং অনলাইনে নাস্তিক্যবাদী লেখালেখি সম্পর্কে কিছুটা উৎসাহী করে এসেছি বলে মনে হয়। তবে সেটা শুধু তদন্তকারী কর্মকর্তা, ইন্টারোগেশনের ডিজিএফআই এর লোকটা মাথামোটা ছিল, আমি নাস্তিক শুনে মনে হলো কোন এলিয়েন দেখছে।
যাক, পরে সময় পেলে পুরা ঘটনা নিয়ে একটা পোস্ট দেবো, আশা করি মুক্তমনার পাঠকদের কাছে ঘটোনাটা শুনতে খারাপ লাগবে না।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
খাইসে। এইবার মনে হয় ছদ্মনাম একটা নিতেই লাগবে। তবে কুলদাবাবুর তথ্য অনুযায়ী আমি নাকি জামাতের টেকা খাইয়া রবীন্দ্রনাথের সমালোচনাটা কর্ছিলাম, তাই নেক্সট টাইম বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আইলে আমার ইট্টু আশা আচে, কি কন?
যাহোক, আপনি বীরদর্পে আমাদের মাঝে ফিরে আশায় আমরা সত্যই আনন্দিত। আপনাকে নিয়ে বিভিন্ন পেপারে, ব্লগে, রেডিওতে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, আমি সত্যই গর্বিত, উল্লসিত।
আপনার যে ইমেজটা তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেটা ব্যবহার করে অনেক বড় কিছুর দিকে আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন। আগামী দিনের দেশের ভাগ্যটা আপনাদের মত সংগ্রামী ছেলেদের হাতেই!
আই স্যালুট ইউ, ওয়ারিয়র আসিফ
এণ্ড আই মিন ইট!
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আপনার সৎ সাহসের জন্য যতই প্রশংসা করা হোক তা কম হবে। বাংলাদেশ সত্য কথা বলার জায়গা নয়। এখানে সত্য বললেই বিপদে পড়তে হয়। আপনি যখন তাদের নেকনজরে পড়ে গিয়েছেন তখন আপনার নিরাপত্তার ব্যাপারে আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে হয়। কামনা করছি আর কোন সমস্যা যেন না হয়। যদি হয় তাহলে ব্লগের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়? যেকোন ব্লগার যদি এ রকম সমস্যার সম্মুখিন হন তাহলে তাকে কীভাবে সাহায্য সহযোগীতা করা যায়?
@আসিফ মহিউদ্দীন,
আপনাকে আবারো মুক্তমনায় দেখে অপার আনন্দিত হলাম। সাহসী মানুষ আমার অসম্ভব পছন্দের। কাজেই, আপনি যে এখন আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন মানুষ, সে কথা আর বলে দিতে হবে না নিশ্চয়।
আপনার বলা উচিত ছিলো যে, আল্লাহ-র কুদরতেই আপনি নাস্তিক হয়েছেন, নিজের ইচ্ছায় হন নি। আল্লাহর নিশ্চয়ই বড় ধরনের কোনো প্লান আছে আপনাকে নিয়ে। আমাদের সামান্য মানুষের পক্ষে তা বোঝা কষ্টকর।
ঘটনা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
@আসিফ মহিউদ্দীন, আপনাকে ফের সক্রিয় দেখে ভাল লাগছে। বিস্তারিত ঘটনা লিখলে পড়ব বই কি।
আসিফকে আটক করার ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দাযোগ্য। কিন্তু যেভাবে বাংলানিউজ এ খবরটি প্রকাশিত তা অসম্পুর্ণ। কখন নিল বা কখন আসিফ ও তার বোন থানায় গেল তা বোঝা যায়, কিন্তু কখন আসিফকে ছাড়ল তা আমি আমার মেধাহীনতার কারণে বুঝতে পারছি না। তাছাড়া তার ছাড়া পাবার পর আসিফের সাথে বা তার আত্মীয়দের সাথে কথা বলে আরও একটু বিস্তারিত লেখা প্রয়োজন ছিল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে তো স্বয়ং শিক্ষা মন্ত্রীরই সংহতি রয়েছে। তিনি নাকি বলেছেন, তাদের দাবী সঠিক, তবে তাদের দাবি আদায়ের পথ হিসেবে গাড়ি ভাঙচুর করার সাথে দ্বিমত।
আর যখন এ লেখাটি প্রকাশ করা হয় তখন তো সম্ভবত আসিফ মুক্তই ছিল । কাজেই
বাক্যটি আমাকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে।
বদমায়েশ প্রশ্নকর্তাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল আপনি মদ্যপান করেন কিনা, কয়টা হাদিস আপনার মুখস্ত, পরকীয়া করেন কিনা, নিয়মিত আন্ডারউয়্যার পাল্টান কিনা, আর এই একান্তই ব্যাক্তিগত প্রশ্নগুলো আমাকে করার জন্য “রাষ্ট্র” হতে যত টাকা ঘুষ নিয়েছেন, কত রাকাত নফল নামাজ পড়ে সে পাপ হতে পার পাবেন?
আসিফ মহিউদ্দীনের লেখা
[লিংক]
আহা রে ইসলামের সৈনিক ডিবি ভাই!! :))
আসিফ মহিউদ্দীনের সাহসিকতাকে স্যালুট। মুক্তমনার সদস্য হিসাবে আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।
ব্লগার আসিফকে লেখা বন্ধ করতে বলেছে পুলিশ
আহমেদ মুনীরুদ্দীন তপু
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, অক্টোবর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
=======================================================
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ঘটনায় আটক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে পুলিশ লেখালেখি বন্ধ করার ‘পরামর্শ’ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ ২৮ বছর বয়সী এই ব্লগারকে ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখার পর মুচলেকা নিয়ে গত রোববার ছেড়ে দেয়।
আসিফের অভিযোগ, চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ, কোনো খাবার এমনকি পানিও খেতে না দিয়ে সারারাত বসিয়ে রেখে, ঘুমাতে না দিয়ে আটকে রাখার পর রাজধানীর মিন্টু রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এএসপি রফিকুল ইসলাম তাকে বলেন,
তার ব্লগিং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উসকে দিচ্ছে অভিযোগ করে তাকে ব্লগে এবং ফেইসবুকে লেখালেখি করতে নিষেধ করেন রফিকুল ইসলাম।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে এও বলেন,
এসময় “নীতি আদর্শের জগৎ থেকে বাস্তব জগতে ফিরে আসতেও” তাকে পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানান আসিফ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে এএসপি রফিকুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রথমে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে তিনি আসিফকে লেখালেখি ছেড়ে দিয়ে বিয়েশাদী-চাকরিবাকরি করতে বলেছেন কেন জানতে চাইলে রফিকুল বলেন,
আসিফ জানান, তাকে বলা হয়েছিল, ফেইসবুক, ব্লগ বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ সাইটে তিনি কিছু লিখবেন না বলে অঙ্গীকার করে মুচলেকা দিতে। কিন্তু অনেক আপত্তির পর আর পেরে না উঠে শেষ পর্যন্ত তিনি “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে ফেইসবুক-ব্লগ বা অনলাইনে আর সমাবেশ ডাকবেন না” বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কার্যালয়ে এসে এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন আসিফ। তিনি জানান, “ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো” বাদ দিতে নানা বক্তব্যের একপর্যায়ে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আসিফকে বলেন,
রাত বারোটা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা চোখ বাঁধা অবস্থায় আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এক কর্মকর্তা, তবে তিনি আসিফকে তার পরিচয় দেননি। এর আগে রফিকুল তাকে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেখিয়ে বলেন যে এটা ডিজিএফআই এর প্রতিবেদন এবং সংস্থাটির লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসবে।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আসিফকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি নামাজ পড়েন কি না, ঈদ পালন করেন কি না, পূজায় যান কি না, শুকরের মাংস খান কি না।
এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে অনলাইনে জনমত সৃষ্টির কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি বামপন্থী দলগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন কি না তাও জানতে চান ওই কর্মকর্তা।
রফিকুল তাকে বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার লেখালেখিতে তরুণরা উসকে উঠতে পারে এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অর্থায়ন সংক্রান্ত ২৭(৪) ধারা বাতিলসহ অন্যান্য দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে ব্লগার-লেখক-সংস্কৃতিকর্মীদের একটি সংহতি সমাবেশ আয়োজনে অনলাইনে লেখালেখি করেন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন।
সামহোয়ারইনব্লগ-এ ‘প্রসঙ্গ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ’ শিরোনামে আসিফের একটি লেখা প্রকাশ হয়। পরে উন্মোচন’ ও ‘আমার ব্লগ’ এও প্রকাশ হলে লেখাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুকসহ অনলাইনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে লেখাটি বহুবার পঠিত ও শেয়ার হয়।
আসিফকে গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি ফেইসবুক গ্র”পে তার লেখার সূত্র ধরেই তার বিষয়ে খোঁজখবর করতে তাকে ডেকেছেন তারা।
আসিফকে খুঁজতে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে তিনটায় প্রথমবার আজিমপুরে তার বোনের বাসায় যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তাকে না পেয়ে পরদিন সকাল সাড়ে আটটায় তারা আবার আসেন এবং একটি ফোন নম্বর দিয়ে আসিফকে দেখা করতে বলে আসেন।
০১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আসিফ ও তার বড় বোন মিন্টু রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে দেখা করতে যান। রাত সাড়ে এগারোটায় তার বোনকে বাসায় চলে যেতে বলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের কম্পিউটারে আসিফকে তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ব্লগ আইডি-গুলো খুলে দেখাতে বলা হয়। পরে তার বিগত দিনের অনলাইন কর্মকাণ্ডের (স্ট্যাটাস আপডেট, ব্লগ) ইত্যাদির প্রিন্ট নেওয়া হয়। আসিফের মোবাইল ফোনটিও সারারাতের জন্য জব্দ করে রেখেছিল গোয়েন্দারা।
আসিফ জানান, সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে বাধ্য হওয়ার কারণে পড়ালেখার খরচ জোগাতে যেয়ে তাকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকেই পড়ালেখার খরচ ‘সাধ্যের বাইরে’ চলে যাওয়ার বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানাতে এগিয়ে আসতে চান তিনি।
২০০০ সালে এসএসসি পাশ করার পর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন আসিফ। পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এইউআইবি-তে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি নিয়ে এখন একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএমটি/এলএইচ/জিএনএ/২২৩৭ ঘ.
দুদিন পর তাকে আবার গ্রেফতার করা হবেনা, সে নিশ্চয়তাও আমাদের নেই! :-X
কিসের আবার? ছাগ্লামির!!
আসিফ মহিউদ্দিন দ্রুত রিকভার করুক এই কামনা থাকলো।।
@আল্লাচালাইনা,
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেলাম যে লিষ্টের নেক্সট নাম নাকি আপনার :)) ।
@আদিল মাহমুদ,
:)) এখন বিশ্বস্ত সুত্রটা যদি কোনপ্রকারের ‘ওহি’ না হয়ে, ডিবি বা এনএসআই এর কোন কর্মকর্তা হয়, তাহলেতো আসলেই দুশ্চিন্তার বিষয়!! :-s
@আল্লাচালাইনা,
স্বাধীন সার্বভৌম একটা দেশে গণতান্ত্রিক নাগরিক অধিকার যারা কেড়ে নেয়, নাগরিকদের যারা গোপন নির্যাতন করে, গায়েব করে দেয় যারা প্রগতিশীল মানুষকে তাদের সাথে ৭১ এর আল বদরদের কি পার্থক্য?
স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক নাগরিক চেতনার চর্চায় যারা উজ্জল তারা যখন আক্রান্ত হবে গনপ্রতিবাদের রূপ তখন কেমন হবে তা নিয়ে সংগঠিত পরিকল্পনা থাকা অতি জরুরী বলেই মনে করি।
টেকিদের কাছে সবিনয় অনুরোধ তারা যেন টেকনিক্যাল ভাবনাগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করে যাতে করে প্রতিবাদ দ্রুততা পায়।
নাগরিক অধিকার রক্ষা ও আদায়ে সম্মিলিত নাগরিক প্রতিবাদের বিকল্প আছে কি?
বাংলাদেশ কি আসলেই গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ??? আসিফ ভাইয়ের প্রতি শুভকামনা রইল যাতে মানসিক বিপর্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারেন দ্রুত।
@লীনা রহমান,
বাংলাদেশ কি আসলেই গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ???
বাঙ্গলাদেশ যে এক বিশাল ইসলামী স্বর্গ তাতে কি কোন সন্দেহ হচ্ছে নাকি?
আসিফের ঘটনায় মোটামুটি নিশ্চিত হলাম যে বাংলার নাস্তিক মুরতাদ ভাইরা যারা ধর্ম বিরোধী লেখালেখি করেন তাদের কপালে সামনে খারাবি আছে। আমার মোটামুটি ধারনা আছে যে সামনের নির্বাচনে আবারো বিএনপি জামাত জোট আসলে কিছু সাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। তবে এখন বুঝতে পারছি যে ব্যাক্তিগত পর্যায়েও অত্যাচার নির্যাতনের ভাল সম্ভাবনা আছে।
আসিফের পোষ্ট থেকে কিছু লাইন তুলে দিচ্ছি।
অতএব, এখন থেকেই প্রস্তুত হন, বিশেষ করে যারা দূঃসাহসের সাথে স্বনামে লেখেন।
@আদিল মাহমুদ,
অন্যকারো কথা জানিনা, তবে আসিফ মহিউদ্দিনের অবশ্যই ছদ্মনামেই লিখা উচিত। ইনফ্লামেটোরি লেখা লিখার প্লান কারো থাকলে বলাই বাহুল্য নিজ নামে এটা করা তার কোনভাবেই সমিচীন নোয়। কিন্তু আসিফ মহিউদ্দীনের সমস্যা হচ্ছে উনি শুধু ইন্টারনেটেই সীমাবদ্ধ না থেকে, রাস্তাঘাটেও এক্টিভলি প্রটাগ্নিসম করেন। উনার সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকা দরকার। বাঙ্গালী হয়ে বাংলাদেশের বাস্তবতা ভুললে তো চলবে না; যেচে পড়ে নিজ ঘাড়ে কে হয়রানি নিতে চায়! আর ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি ইন্টার্নেটে প্রত্যেকেরই ছদ্মনামে লেখা উচিত; এইটাও এগেইন বাংলাদেশের বাস্তবতার কারণেই, বাংলাদেশী বাস্তবতায় নিজ নামে লেখা নিজেকে সেলফসেন্সর করারই নামান্তর মাত্র!
@আল্লাচালাইনা,
আমিও তেমনই মনে করি। যস্মীন দেশে যদাচার নীতিতে আমি বিশ্বাসী। ছদ্মনাম নিয়ে বহু কথা হয়েছে, বহু কথা হয়। আমি দৃঢ়ভাবেই মনে করি যে আমাদের দেশে অন্তত যারা ধর্মবিরোধী লেখালেখি করে তাদের ছদ্মনামেই করা উচিত। নিজে বাচলে তো লেখালেখি।
আসল নাম পরিচয় জানলে থানা পুলিশ লাগবে না, ব্লগ জগতের অনেকেই যথাযথ ব্যাবস্থা নেবে।
আমি ভালভাবেই বিশ্বাস করি যে অন্তত মুক্তমনা বাংলাদেশে ব্যান করার ভাল প্রচেষ্টা চালানো হবে।
ইংরেজি রিপোর্ট শব্দটা শুনতে একটু শ্রুতিগোছর এই যা। কিন্তু আসলে এটা হাজিরা। অপরাধ না করেও মানসিক ও শারীরিক হয়রানি। প্রথমে গ্রেপ্তারের হেডিংটা দেখে আতংকিত হয়েছিলান। এক অজানা আশংকা ভর করেছিল মনে, ভেবেছিলাম হয়তো ব্লগিং জগতে প্রচলিত ধর্ম গুলোর বিপক্ষে মাতামাতি করেন বলে কেউ হয়তো তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। কিন্তু পরে জানতে পারি কারণটা রাজনৈতিক! যিনি বা যারা আসিফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছেন তারা আসিফের ধর্ম বিপক্ষ মতটাও মাথায় নিয়ে এগিয়েছেন এই ধারনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তিনি যে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন এটাই আমদের জন্য স্বস্তির। অভিনন্দন আসিফকে।
থানায় রিপোর্ট! আসিফ মহিউদ্দীন কি থানার মিড-লেভেল ম্যানেজার যে মাঝে মাঝে থানায় গিয়ে রিপোর্ট করবেন?
এগুলো সংবিধান লংঘন করেনা? আইন বিশারদরা কি বলেন?
@রৌরব,
একসময়
আর
এসব লেখা থাকতে দেখেছিলাম সংবিধানে। মানে শর্তসাপেক্ষে। অর্থাৎ বাংলাদেশের রাষ্ট্র মুখের কথাকে এতই ভয় করে যে এক ছটাক বাক স্বাধীনতা দিতেও তার দুই মণ ওজনের রাষ্ট্রের নিরাপত্তা আর জনের শৃঙ্খলা জোড়া লাগে। তাও এসব অধিকার এককালে এইসব শর্তসমেত অলঙ্ঘনীয় ছিলো।
তারপর কী হলো, এগুলো ওভাররাইড করার ক্ষমতা দেয়া হলো সংসদকে। আর এরপর কী হলো, সংবিধানকে খৎনা করে এমন কদাকার করা হলো যে ওকে কদাকার বললে রাষ্ট্রদোহী সাব্যস্ত করা হবে বলা হলো। বাক-স্বাধীনতা? সে তো বহুদূর। কিন্তু তাতে কী? প্রগতিশীল লোকজন এতেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলো। বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে বললে কানধরে উঠবস কিংবা বনবাসে গিয়ে পাপমোচন চাহনেওয়ালারা মাথা চুলকানো শুরু করে দিলো। যুক্তি তো বলে যাহা ঠিক, তাহাকে ভুল বলিলে চাবকানোই ভালো . . . :-s
ভয়ের চেয়ে এসব জায়গায় বিভ্রান্তি বেশি কাজ করে। কিওয়ার্ড হচ্ছে “নিরাপত্তা”। আপনারে ডাণ্ডা মারা হলো। জিগাইলে যদি শোনে, “জননিরাপত্তার খাতিরে”, তাইলে লগে লগে “ও হ্যাঁ হ্যাঁ তাইতো” বোলে অর্ধেক লোকে চলে যাবে। চেইন্জ রুমে লুকানো ক্যামেরা হলো কাস্টমারের নিরাপত্তার জন্যে, এমন বললে অর্ধেক লোক কাত।
@রূপম (ধ্রুব),
তাই দেখছি। আসিফ মহিউদ্দীন যে পোস্ট দিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে, সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ একটা অন্তত-দৃশ্যত-আইনী চার্জ তাঁর বিরুদ্ধে দিয়েছে বা দেবে। অর্থাৎ গোড়াতেই (সংবিধানে) গলদ।
(Y)
কতটুকু বলার স্বাধীনতা আমরা ভোগ করছি? কতটুকু বললে আমরা নিরাপদ থাকবো, তার একটা তালিকা করতে হবে। ঐ নিরাপত্তার বলয়ে থেকে আমরা বলবো, আমরা স্বাধীন এবং স্বাধীনতার রস পান করতে করতে আমরা বেশ স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠবো। চারপাশের অস্বাস্থ্যকর কিছু চোখে পড়লে, আমরা বলবো, কিছু দেখিনি। কানে কারো চিৎকার ভেসে এলে বলবো, কিছু শুনিনি।
লেখক এবং আসিফ মহিউদ্দীনের জন্য শুভেচ্ছা।
@স্বপন মাঝি,
কথায় আছে যে যায় লংকায় সে হয় হনুমান
চাঁদের এ পিঠ ও পিঠ একই। যে সরকার আসুক(বর্তমানে আছে বি,এন,পি, আর ক্ষমতাসীন দল) সবার একি রুপ। দেখতে দেখতে হয়রান হয়ে যাচ্ছে জনগন 😕
তাই অবাক হবার কিছু দেখলাম না। আরো কতো কী করবে তার জন্য অপেক্ষা করার পালা। জনগন হছে
গিনিপিগ :-O তাই তাদের নিয়ে খেলা আর অত্যাচার-
মুক্তমনার এতো ব্লগার গেলো কোথায় ? প্রতিবাদ করতে কম ব্লগারকেই দেখলাম – 🙁
@স্বপন মাঝি,
হ্যাঁ স্বপন মাঝি, মুক্ত কণ্ঠের বলয় আছে তা স্বীকার করে নেওয়াই ভালো কারন তা ই সত্য। এ যদি সত্যি না হয় তবে নিক কেন? মুক্ত কণ্ঠের এই সীমারেখা কেন? গনতান্ত্রিক অধিকারের চর্চায় নিরাপত্তার বলয়, এ আবার কেন?
আসিফ মহিউদ্দিনের গ্রেপ্তারের ঘটনা সত্যি উদ্বেগজনক। এটা সত্যি ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিচ্ছে…আমাদের এই মতপ্রকাশের মাধ্যমকেও সরকার ভালো চোখে দেখছে না। তাই সর্বদা সতর্ক থাকা বাঞ্চনিয় বলে মনে করছি…
সবার জন্য শুভকামনা…বেঁচে থাকুক আমাদের স্বাধিনতা।।।
উইকএন্ডে ব্যস্ত থাকায় ফেসবুক, ব্লগ সব থেকেই দূরে ছিলাম। এর মধ্যে যে এত তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে সেটা একেবারেই জানা ছিলো না। আসিফ আসিফ মহিউদ্দীনের আটক এই সরকারের ডিজিটাল তামসাই তুলে ধরে। যা হোক শেষ পর্যন্ত উনি মুক্তি পেয়েছেন সেটা জেনে আমি আনন্দিত। যারা তার মুক্তর জন্য চাপ দিয়েছেন ,আন্দোলন করেছেন সবাইকে অভিনন্দন।
@নাস্তিকের ধর্মকথা
আলামতে তো বোঝাই যাচ্ছে স্বৈরশাসকের গুষ্টি মহা আতঙ্কিত। ডিজিটাল প্রতিবাদ অঙ্কুরেই দমন চেষ্টা তাই সেই চিরচেনা স্বৈরশাসন দিয়ে।
নতুন প্রজন্ম কিন্তু ভলোই ডিজিটাল। আরো দু চারবার ডিজিটাল দমন দেখালে বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল।
(Y)
ভাই, আমারেও ধরবে নাতো?
অভিনন্দন এবং নতুন স্পৃহা নিয়ে আপনার কর্মযজ্ঞ আরো সহস্রগুনে বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে চলুক সেই কামনাই রলো।
ভালো ও সুস্থ থাকুন।
আসিফের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। নিজের কনভিকশন থেকে মতপ্রকাশ আর লেখালেখির গন্ডী ছাড়িয়ে আসলেই দুনিয়াটাকে পাল্টে দেবার জন্যে রাস্তায় নামার সাহস খুব কম সংখ্যক এর মধ্যে থাকে। এবং তারাই প্রকৃত এজেন্ট ওফ চেন্জ।
তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সম্ভবত এই লেখাটির কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
@আকাশ মালিক,
পড়লাম। এই প্রবন্ধে আমি একটি শব্দও আপত্তিকর দেখি না।
সরকার শুধু শুধু হয়রানি চালাচ্ছে।
(N) (N)
@রৌরব,
কেনরে ভাই, কি সমস্যা?
মন্দ লাগার কারণসহ বললে কি ভালো হয় না ….
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
লেখাকে নয়, আটক করাটাকে মন্দ বলছি।
@রৌরব,
ওহ! বুঝতেই পারি নাই …। শর্টহ্যান্ড কোর্সটা এবার করতেই হবে দেখছি …
আপনাকে ধন্যবাদ।
(Y)
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=d7d5dde44ecb79dba84f409e6fe8f58a&nttl=2011100212424060762&toppos=6
‘তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করিনি। একটি বিষয় জানার জন্য আমরা তাকে ডেকেছিলাম। শনিবার রাতে তার বোন তাকে নিয়ে এসেছিলেন এবং আবার সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।’
এই বলদটা মিথ্যা বলছে, নাকি রফিকুল নামের জিজ্ঞাসাবাদকারী অফিসার জানায় নি…
জনগণের সরকার! 😀
ডিজিটাল কাজ-কারবার
পুলিস নির্ভর সরকার। :-s
ছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠি
ছাত্রদের উপর টিয়ার শেল
ব্লগার-লেখক এখন খাটছে জেল :-X
মত প্রকাশে রাজী নয় মোটেই 😉
গণতান্ত্রিক সরকার! :hahahee:
ব্লগার আসিফকে ডিবি অফিসে নির্যাতন :-Y
এ কীসের আলামত? (O)
আঁৎকে উঠি অনেকের মতো আমিও ;-(
জনগণের সরকার এখন জনগণকেই ভয় পায়!
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
আসিফের সঙ্গে আলাপে যেটা বোঝা গেলো..
১. শিক্ষার বানিজ্যিকিকরন নিয়ে তার লেখাটা কেউ একজন ফ্ল্যাগ করেছে
২. যদিও গ্রেপ্তার করা হয় নি, খাবার পানি সিগ্রেট ঘুম বঞ্চিত করে ক্লান্ত করে ফেলেছে
৩. পুরো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিসের নয়া নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো এক এসিস্টেন্ট কমিশনার। বড় আব্বার নির্দেশ মোতাবেক।
৪. গাধাটার মূল প্রশ্নই ছিলো বামদের তরফ থেকে কতো টাকা পেয়ে লেখাটা রচিত হয়েছে.. হাহাহা। পুলিসে এমন গাধা থাকলে সরকার পতন হতে বাধ্য।
এসি রফিকুল ইসলাম নামের এই গাধাটা সকালে আবার নিউজ এজেন্সিগুলোকে মিথ্যা বলেছে আসিফের ব্যাপারে। রফিকুল গাধাটার দাবি, আসিফ নাকি কাল রাতেই তার বোনের সংগে বাড়ি ফিরে গিয়েছে।
এসিস্টেন্ট কমিশনার লেভেলের উপরের কেউ আসিফের সংগে কথা বলে আসে নি। ডিজিএফআ্ইয়ের কে একজন এসে অকথ্য গালিগালাজ করে গেছে।
সরকারের অবস্থা আসলেই নড়বড়ে… হাহাহা।