বর্তমান
আদনান লেরমন্তভ
উৎসর্গ
মুক্তমনা
অন্তরগহনে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে –
আর অন্য কোনো কবিতা নয়, কবি
এবার বলো, তাঁর কথা বলো, তাঁর কথা বলো…
যাকিছু রয়ে গেছে অসমাপ্ত, তার সমাপ্তি টানো।
এবার তাঁকে ঈশ্বর করে তোলো, সময়ের দাবি
পূরণ করো কবি, সময়ের দাবি…
কি এমন কবি তুমি, যে তোমার কলমে
তাঁর প্রশংসা আসেনা, ফুটে ওঠেনা তাঁর অতিমানবিকতা?
কবি, তুমি কি ইন্দ্রিয়হীন? মগজহীন? নষ্ট?
তুমি কবি, তুমি সৌন্দর্য সৃষ্টি করো,
তাঁর কথা বলো, পূরণ করো সময়ের দাবি,
সত্যকবি হয়ে ওঠো।
খুব ইচ্ছে ছিলো, ক্ষুধা নিয়ে একটি কবিতা লেখার,
বর্তমান বাঙলাদেশের হাহাকারের শব্দছবি আঁকার;
কিন্তু অন্তর বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে, কিছুতেই সে
কলম দিয়ে গলতে দেবেনা, ক্ষুধা ও হাহাকার সংক্রান্ত পঙক্তিগুলো।
আমারই সৃষ্ট পঙক্তিগুলো দিয়ে, আমারই
অন্তরে জন্ম দিয়েছে সে এক জমাটযন্ত্রনা।
সে শুধু বলে, তাঁর কথা বলো, এবার তাঁকে ঈশ্বর করে তোলো,
শুধু তাঁর কথা বলো।
অন্তরগহনে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে –
যদি তুমি কবিই হও, তবে কেনো লেখোনা তাঁর নাম
প্রজাপতির ডানায়, পাখির পালকে, আর মেঘপুঞ্জে?
কেনো ছিনিয়ে আনোনা মহামানব পদবীটিও তাঁর জন্য,
রুক্ষমরুবৃদ্ধের নামের থেকে?
লেখোনা কেনো তাঁর নাম বাংলাদেশের পতাকায়,
কৃষকের হাড়েরচামড়ায়, আর ভবিষ্যতের চোখে?
কবি তুমি…তুমি এতো বোঝো,
আর বোঝোনা যে তাঁর দেশে,
যাকিছু অসত্য, তা-ই সত্য,
যাকিছু অসুন্দর, তা-ই সুন্দর,
যাকিছু অযোগ্য, তা-ই যোগ্য?
সবকিছুর মতো, সবার মতো,
তুমি ও তোমার কবিতাও তো তাঁরই।
তাই তুমি তাঁর কথা বলো, তাঁকে শিল্পে রুপান্তরিত করো।
তাঁর জন্য সবকিছু বিসর্জন দাও, এমন কি ঘুম ও কামও।
তুমি কবি হয়ে ওঠো আর তাঁর কথা বলো,
তাঁর কথা বলো আর কবি হয়ে ওঠো।
আর অন্য কোনো কবিতা নয়, কবি
এবার বলো, তাঁর কথা বলো, তাঁর কথা বলো…,
এবার তাঁকে ঈশ্বর করে তোলো।
খাপখেতে না পারাই নরক, তাই খাপখেতে শেখো,
নিজেই খুঁজে নাও নিজের গন্তব্য, স্বর্গ।
আর জেনে রেখো, এই বাংলায় তিনিই ঈশ্বর,
আর তাঁরই পায়ের নিচে বন্দী সব স্বর্গ।
০৮/১৪/২০১১
কবিতাটি ভাল লেগেছে
সব কবিই যদি এইরকম প্রতিবাদী হতো…..!!!! :clap
(Y) (F)
কখনও অন্যায়ই ন্যায় এবং ন্যায়ই অন্যায় কিংবা কখনও ভুলই সঠিক আর সঠিকই ভুল।
মধ্যবিত্ত বাঙালীর মানসপটে ন্যায় এবং অন্যায়ের মানদন্ডের কাল্পনিক রেখাটা স্বার্থপরতার দিগন্তরেখায় সহাবস্থান করে। তারপরও সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজ ম্লেচ্ছ মুখাবয়বের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে আত্মপ্রসংসায় উদ্বলিত হয়ে বলে, ‘কি অসাধারন !’
এই বাঙলার রক্তিম সূর্য ডুবেছিল সেই কবে
বহু শতাব্দী আগে কোন এক পলাশীর প্রান্তরে,
আজও তা ওঠেনি -পারেনি সকাল হতে
ডুবেছিল যা মীর জাফরের হাত ধরে।
কত শত যুগ পেরিয়েছে হায় জানি নাক
তবু এই বাঙলা খুজে পেলনা তার স্বাধীনতা
মীর জাফর, মীর কাশিমেরা কি আজও
-আজও আশে বসে ওঁই বাঙলার মসনদে??