লিখেছেনঃ নূরুল হক
মহা-প্রতারনার ২য় অধ্যায়ে অন্য কিছু বিষয়ে আলোচনার করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু হটাৎ করে মনে হল অতি সম্প্রতি ইসলামের একটি বিশেষ পর্ব পার হয়ে গেল।তাই অন্য কিছু লেখার আগে এই পর্বটি নিরে একটু আলোচনা করি। পর্বটির নাম শবে-মেরাজ।
মেরাজের আভিধানিক অর্থ, উর্ধলোক আরোহন। আর-শব হচ্ছে ফারসি শব্দ, যার অর্থ রাত। শবে মেরাজ- এর অর্থ হচ্ছে উর্ধলোকে আরোহনের রাত। ইহা সংঘটিত হয় নবুরাতের দ্বাদশ বছর রজব চাঁদের ২৭ তারিখ দিবাগত রাতে। এখানে বলা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজ প্রিয় বান্দাকে বোরাকে আরোহন করিয়ে কাবা ঘর হতে বায়তুল মোকদ্দাস পর্যন্ত নৈশ ভ্রমন করিয়ে ছিলেন। উদ্দেশ্যে ছিল আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাব্বিকে সৃষ্টি জগৎ ও আরশে আল্লাহর কিছু নির্দশন দেখানো এবং তাঁর সান্নিধ্যে লাভ করানো।
ইসলামী মতে হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) উর্ধলোকে আরোহন সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, রজব মাসের ২৭ তারিখ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এশার নামাজ পড়ে চাচাতো বোন উম্মে হানির ঘরে নিদ্রায় মগ্ন, এমন সময় হযরত জিবরাইল (আঃ) সেখানে উপস্থিত হয়ে সুসংবাদটি জানলেন এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সম্বোধন করে বললেন যে, হে আল্লাহর পিয়ারা হাবীব (সাঃ) আপনি উঠে পড়ূন। আল্লাহ পাকের তরফ হতে উর্ধলোকে গমনের জন্য বিদ্র্যতের চেয়ে দ্রুতগামী আর অধিক শক্তি সম্পন্ন, বোরাক নিয়ে এসেছি। আপনার অভ্যর্থনা ও সম্মান প্রদর্শনে সব ফেরেস্তা ও পূর্ববর্র্তী সব নবী পয়গম্বরগন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। হযরত জিবরাইল ফেরেস্তার এমন সুমধুর ডাক শুনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জেগে উঠেন। তিনি হাউজে কাওসারের পানি দিয়ে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর তায়ালার আদেশ অনুযায়ী সেই বোরাকে আরোহন করেন। স্বর্গীয় ফেরেস্তার পরিবেষ্টনে বোরাক উর্ধলোকে ছুটে চললো। বোরাকে উঠে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কেঁদে কেঁদে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করেন, হে আল্লাহ রহমানুর রাহিম, আজ আপনী আমাকে একান্ত অভর্থনায় বোরাকে করে আপনার দরবারে নিয়ে যাচ্ছেন। আর আমার উম্মতকুলের কি অবস্থা হবে রোজ হাশরে? উত্তর পেলেন তিনি। উম্মতে মুহাম্মদী তথা আল্লাহর বিশ্বাসীগন রোজ হাশরে অনেক সম্মানের অধিকারী হবে। আল্লাহর আশ্বস্থ বানীতে হযরত রাসুলে করিম (সাঃ) শুকরিয়া জানালেন এবং বায়তুল মোকাদ্দাসে উপস্থিত হয়ে পূর্ববর্তী নবী পরগম্বরদের উপস্থিতিতে দুই রাকাত নামাজের ইমমতি করেন।
পুনরায় রাসুলে করিম (সাঃ) বোরাকে আরোহন করে নভ মন্ডলের অপরুপ দৃশ্য অবলকন করেন এবং বিস্মিত হন। সর্ব প্রথম আদম (আঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং হযরত আদম (আঃ) আল্লাহর পিয়ারা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে সাদর অভ্যর্থনা জানান। এ সময় নভ মন্ডল হতে ধ্বনি উঠে মারহাবা, মারহাবা। অতঃপর রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গে ২য় আসমানে হযরত ঈসা (আঃ) ও হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) এবং ৩য় আসমানে হযরত ইউসুফ (আঃ) চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রীস (আঃ) পঞ্চম আসামানে হযরত হারুন (আঃ) ষষ্ঠ আসমানে হযরত মুসা এবং সপ্তম আসামানে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সাক্ষাৎ ঘটে। পরে বায়তুল মামুরে গিয়ে আসমানী পবিত্র কাবা ঘরে গিয়ে আসমানী ফেরেস্তাদের নিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন আর সিদরাতুল মুনতাহায় গিয়ে অবতরন করেন। এখানে এসেই বোরাক থেমে গিয়ে ছিল। সিদরাতুল মুনতাহার অভূতপূর্ব স্বর্গীয় আভা দেথে তিনি বিস্মিত হন। হযরত জিবরাইল (আঃ) জানাইলেন হে নবী এ পর্যন্ত আমার সীমানা এর পরে আর অগ্রসর হওয়ার আমার সাধ্য নাই।
এর পর এখান থেকে রাসুলে পাক (সাঃ) কে রফ রফ নামক আর একটি কুদরতি বাহনে আল্লাহ পাকের আরশ মোয়াল্লায় নিয়ে খাওয়া হয়। সেখানে ও উস্থিতি হয়ে নবী করিম (সাঃ) বলেন যে, হে দয়াময় আল্লাহর আমার এবং আমার প্রিয় উম্মত গনের ইবাদত গুলো উপহার স্বরুপ বয়ে এনেছি আপনার দরবারে। আমি আমার উম্মতের জন্য শান্তি রহমত ও নিয়াপত্তার ফরিয়াদ জানাচ্ছি। প্রতি-উত্তরে আল্লাহ নবী করিম (সাঃ) ফরিয়াত কবুল করেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা, নবী করিম (সাঃ) কে জানিয়ে দিলেন যে, আমি দুনিয়ায় আমার বান্ধাদের ওপর ৫০ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের হুকুম দিলাম। রাসূলে মাকবুল (সাঃ) এই নিদের্শ শুনে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি মহান আল্লাহর নিকট পুনঃ পুনঃ তার প্রিয় উম্মতদের জন্য মাত্র পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার আরজি পেশ করলেন। আল্লাহর পাক আরজি মনজুর করতঃ দীন ইসলামের আরো কিছু বিধিমালা নবী করিম (সাঃ) কে অবহিত করেন। নবী করিম (সাঃ) আল্লাহর সদয়ত্বে খুবই আনন্দিত হন এবং মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন সেজদার মাধ্যমে।
নবী করিম (সাঃ) বেহেস্তে ও দোজখের দৃশ্যাবলি দেখেন। তিনি বেহে্েস্তর সুশোভিত দৃশ্যাবলিতে আত্বহারা হন এবং দোজখের আগুনের শিখা দাউ দাউ করে জ্বলছে তাহাও তিনি দেখেন। আল্লাহ নবী করিম (সাঃ) কে জানালেন যে, অবিশ্বাসীগন এখানে অনন্তকাল ধরে বাস করবে। বিশ্বাসী আবেদ বান্দাগন পরম শান্তিতে বেহেস্তের সুশোভিত মনোরম আবাসে চির দিন বাস করবে।
উপরোক্ত বর্ণনা হলো শবেমেরাজের সার সংক্ষেপ। যাহা ইসলামী চিন্তাবিদগনের বর্ণনা হতে গ্রহণ করা হয়েছে। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।
মেরাজে গমণের বিষয়টি বিজ্ঞান সম্মত নয়।কাজেই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে ্এ বিষয়ে নতুন করে আলোচনা করতে চাইনা। আমি এখানে সম্মানীত পাঠক সমাজের নিকট দু’টি বাস্তব ভিত্তিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে চাই।
১। রফ রফ নামক কুদরতী বাহনে করে নবী করিম (সাঃ) আল্লাহ পাকের আরশ মোয়াল্লায় উপস্থিত হয়ে বলেন, হে দয়ময় আল্লাহ আমি আমার ও আমার উম্মত গনের ইবাদত গুলো উপহার স্বরুপ আপনার দরবারে বয়ে এনেছি। আমি এর বিনিময় স্বরুপ আমার উম্মতের জন্য শান্তি রহমত ও নিরাপত্তার জন্য ফরিয়াদ জানাচ্ছি আর সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা নবী করিম (সাঃ) এর ফরিয়াদ কবুল করেন।
২। নবী করিম (সাঃ) এর ফরিয়াদ কবুলের পর আল্লাহ তায়ালা নবী (সাঃ) কে বলেন যে, আমি দুনিয়াতে আমার বান্দাদের জন্য ৫০ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের হুকুম দিলাম। আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের এই নির্দেশ নামা শুনে নবী (সাঃ) খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি মহান আল্লাহর কাছে তাঁর প্রিয় উম্মতের জন্য মাত্র পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের আরজি পেশ করেন পুনঃ পুনঃ। আল্লাহ পাক রাসূল (সাঃ) এর আবেদন কবুল করে নেন।
আলোচ্য বিষয় দুটিতে দেখা যায় আল্লাহ তায়ালা অতি তাজিনের সাথে তার প্রিয় হাবিবকে আরশ মোয়াল্লায় নিয়ে গেলেন। আরশ মোয়াল্লায় উপস্থিত হয়ে নবী তার নিজের ও উম্মতগনের ইবাদত সমূহ। আল্লাহ তায়ালাকে উপহার দিলেন। আর বিনিময় স্বরুপ উম্মতের শান্তি,রহমত ও নিরাপত্তা চাইলেন। আল্লাহ তায়ালা তাহা কবুল করলেন। ইসলাম রক্ষার্থে ইসলামী ভাববাদীরা পৃথিবী জুড়ে তৎপর। ইসলামী পরিভাষায় সহজ-সরল মানুষ যেহাদীতে পরিণত হচ্ছে। ইসলাম রক্ষার নামে তারা পৃথিবী জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে, যাহার ফলে পৃথিবীর শান্তি বিঘিœত হচ্ছে। ইসলামী রাষ্ট্র গুলি আজ নিজের আগুনে নিজেই পুড়ে ছাড় খার। উপঢৌকনের মাধ্যমে আদায়কৃত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নাই। আজকে মুসলমান সমাজ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। মুসলিম সমাজের মা বোনেরা আজ সম্ভ্রম হানীর স্বীকার। মুসলীম রাষ্ট্রগুলি নাফরবানদের সাহায্য সহযোগিতায় টিকে আছে। সম্মানীত পাঠক সমাজ লক্ষ করুন আল্লাহ দেওয়া ওয়াদার বাস্তবতা। আর আল্লাহ তায়ালা রহমতের বহর বিজ্ঞানের মিসাইল ক্ষেপনাস্থের আঘাতে কিভাবে বিধ্বস্থ। মুসলমান সমাজ আজ কতখানি শান্তি আর নিরাপদে আছেন।
সবে মেরাজের গল্পে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম জারী, যাহা কিনা পাঁচ ওয়াক্তে নামিয়ে আনা হয়েছে, যাহার কেয়ামতিতে ভক্ত কুল একুল ওকুল জ্ঞান শূন্য। জ্ঞান শূন্য মানুষের চিন্তাকরার জ্ঞান কোথায়।যেহেতু ভক্ত-কুল জ্ঞান শূন্য কাজেই সম্মানিত পাঠক সামজ লক্ষ্য করুন।
১দিন ২৪ ঘন্টা। এই সময়ের মধ্যে প্রকৃতি গত কাজের সময় ধরি ১ ঘন্টা। খাওয়া দাওয়া জন্য তিন বারে ধরি ২ ঘন্টা ঘুমের জন্য ৫ ঘন্টা সর্বমোট ৮ ঘন্টা সময় ব্যক্তিগত কাজে ব্যয়, বাকী রইল ১৪ ঘন্টা। আল্লাহর সালাদ আদায়ের জন্য সময়ের ব্যয়ের হিসাব দেখুনঃ- দিনে যদি একবার গোসল করা যায় তার প্রয়োজন কমপক্ষে ৩০ মিনিট। ৫০ ওয়াক্ত সালাদ আদায়ের জন্য অজু করার কয়েকবার প্রয়োজন হলে সময় ৩০ মিনিট। সালাদ আদায়ের জন্য যাতায়াতের সময় ১০০ বার। ১০০দ্ধ৫=৫০০ মিনিট= ৮.৩০ মিনিট। ৫০ বার সালাদ আদায়ের সময় ৫০দ্ধ১০=৫০০ মিনিট= ৮.৩০ মিনিট। সর্বমোট ২৬ ঘন্টা। দিন হলো ২৪ ঘন্টা তাহলে মানুষ ৫০ ওয়াক্ত নামাজ কিভাবে পড়বে।
মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য যে কাজকর্মের দরকার তার কোন সময়ের হিসাব উপরোক্ত হিসেবে দেখানো হয়নি। তবে কি আল্লাহ তায়ালার ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে দিনের পরিধি ২ ঘন্টা বেড়ে দিত, আর দিনকে কি ২৬ ঘন্টায় পরিণত করত? মানুষ পরিবার প্রতিপালনের জন্য রোজগারের সময় না পেলে শুধুমাত্র সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহ তায়ালা কি বেহেস্ত হতে খানাপিনা পাঠাইতেন? এখানেতো দেখা যায় নবীজি মানুষকে বেহেস্ত খানা হতে বঞ্চিত করেছেন। মানুষ আল্লাহ তায়ালার ৫০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো আর বেহেস্ত হতে আল্লাহ তায়ালা খানা পাঠিয়ে দিতেন আর সালাত আদায়কারীরা ঐসমস্ত বেহেস্তি খানার আমেজ উপভোগ করতেন। তাদের কোন কাজকর্মের দরকার হত না। সালাত আদায়কারীদের বেহেস্তিখানা দেখে নাফর মানের দল এক লাফে বেহেস্তিখানার লোভে মুসলমান বনে যেত আর আল্লাহ তায়ালার সালাত আদায় করতো নাফরমানেরা বেহেস্তি খানার লোভে আর নাফর মান থাকতো না। তাহা হলে বিনা রক্ত ক্ষয়ে ইসলাম কায়েম হত, এত জিহাতে প্রয়োজন হত না। নবীজির ৫ ওয়াক্ত সালাতের ফরমান আদায় করায় ইসলাম সব মানুষকে মুসলাম বানাতে বঞ্চিত হলো। এভাবে আল্লাহর মুসলমানের সংখ্যা কমে গেল। নবীজির ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের ফলে পৃথিবীতে মানুষেরও ক্ষতি হলো, আল্লাহরও ক্ষতি হলো নয় কি?
যেহেতু ৫০ ওয়াক্ত সালাত আদায় ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে সম্ভব নয় তাই আলোচ্য বিষয়ে দেখা যায় দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজের স্থলে নবীজির ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের মঞ্জুরী বোকাকে ধোকা দেওয়া নয় কি? এই ধোকাতেও অনুসারীর দল খুশিতে গদ গদ তাদের সামান্যতম যদি জ্ঞান বিবেক থাকত তাহা হলে ধোকাটি কি বুঝতে পারতো না। না তারা বুঝতে পারেনি তাই মহিমা কীর্ত্তনে মসগুল।
কোন সুস্থ উপার্জন ক্ষম মানুষ ৫০ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে তার উপার্জন সময় থাকে না।তারাই পারতে পারে ৫০ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে, যারা অন্যের উপাজর্নের উপর ভাগ বসায়, যারা অন্যের ঘারে বন্ধুক রেখে শিকারে অভ্যস্ত যারা অন্যের বাড়া ভাতে অংশীদারীত্ব কষে। যে সকল মানুষ শরীরের রক্ত ক্ষয় করে, মাথার ঘাম পারে ফেলে পৃথিবীর মানুকে প্রতিপালন করছে/খাদ্য যোগাইয়া বাঁচাইতেছে, সেই সকল মেহনতি মানুষের অবদান পারে ঠেলে দিয়ে দেদারছে প্রচার করছেন, মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেন তিনি। তারা কি একটি বারও ভেবে দেখেছেন যে, শ্রমজীবি মানুষ গুলোর কথা যদি ঐ সকল মানুষেরা শ্রম দিয়ে ফসল না ফলার/উৎপাদন না করে তবে তাদের রেজেক আসবে কোথা থেকে, তাদের আল্লাহ তো এক দিনের জন্যও বেহেস্ত হতে খানা পাঠায় না। জানা যায় বসিরের আর নাম হয় কছিরের। এই ভাওতা বাজি আর কত দিন চলবে। অপেক্ষার দিন ঘনিয়ে আসছে। ভাববাদের ভাওতা বাজি ডুবু ডুবু। (দ্বিতীয় অধ্যায় সমাপ্ত)
আমি বিশ্বাস করি উপরের লেখাটির লেখক একজন নাস্তিক বা হিন্দু এবং বাকি মন্তব্যদাতারাও তাই। এই পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই ঘটে যা সবসময় বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না। এই পৃথিবীর যিনি সৃষ্টিকর্তা, যিনি এই সকল সৌরজগত, নক্ষত্র, ব্ল্যাকহোল, গ্যালাক্সি, তইরি করেছেন এবং তাদের মধ্যে একটি সুন্দর নিয়ম তৈরি করে দিয়েছেন তার জন্য কি এরকম একটা ভ্রমনের ব্যাবস্থা করা অসম্ভব? আমার তা মনে হয়না। আমি মনে করি আল্লাহতাআলা জানতেন মানুষের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ ই শেষ পর্যন্ত রাখবেন এবং এই ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যেই ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন।
@মুক্তমনা,
এতো কিছু যিনি তইরি করেছেন বলে আপনার মনে হয় তাকে কে তইরি করেছে বলে আপনার মনে হয়?
@তামান্না ঝুমু, আমাকে কে সৃষ্টি করেছেন তা আমি জানি। কিন্তু এই যাবতীয় সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন তা আমি জানিনা। কারন আমি যতটুকু জানি তিনি সেই সত্ত্বা যাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। যিনি সকল সৃষ্টির আগেও ছিলেন পরেও থাকবেন।
সৃষ্টিকর্তা বুদ্ধি দিয়েছেন চিন্তা করার জন্য। গবেষণা করুন , হয়ত পেয়ে যাবেন উত্তর। কিংবা একদিনতো সবকিছু ধ্বংস হয়ে আমরা সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী হব। সেদিন না হয় আপনি তাঁর কাছ থেকেই জেনে নিবেন। ধন্যবাদ
@nurul haque,
ভাল লাগলো। ১ম পর্বের লিঙ্কটা জুড়ে দিলে পাঠকদের সুবিধা হতো।
লিখতে থাকুন।
@গোলাপ,
টেকনিক্যাল বিষয়ে আমার সীমাবদ্ধতা আছে। তাছাড়া মুক্তমনায় আমার আইডি নাই।
আপনার ভাললাগা আমার লেখার প্রেরণা বাড়াবে। ধন্যবাদ আপনাকেও।
৯৯% শিক্ষিত, অশিক্ষিত মুসলমানরা কোরাণ হাদিস অন্ধের মত বিশ্বাষ করে,আমার প্রস্ন হচ্ছে মানুষ এত অন্ধ হয় কি করে??????????? এদের কি কোনদিনও চোখ খুলবে না?
:lotpot:
@কাজী রহমান,
আল্লাচালাইনা এর জবাবে উপরের লটপট
@কাজী রহমান, আমার উপরে আপনার এমন প্রগাঢ় বিশ্বাস দেখে আমি অভিভূত। অপদার্থ বিজ্ঞানের ইউনিফাইয়িং তত্বের মতৈ জটিল মনে হইতেছে। হকিংস সাহেবের মতো ভাববাদীর পক্ষেই সম্ভব দুটি আপাত বিচ্ছিন্ন ব্যাপারকে রিকনসাইল করে একটি ইউনিফাইয়িং তত্ব দেয়া , আমার পক্ষে নয়। :-Y
@ফারুক,
😀 এইজন্যই তো পাব্লিক আপ্নেরে খোঁজে। না দেখলেও ভাল্লাগেনা, আবার দেখলেও ভাল্লাগে না।
দেখি, কোথায় জানি র্যাবের ক্রসফায়ারে হইতাসে।
মেরাজ যে একটা মহাপ্রতারণা তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিবাহিত চাচাতবোন উম্মে হানির ঘর এ হাতে নাতে ধরা খেয়ে সর্বকালের সেরা এ প্রতারক মেরাজের আজগুবি গল্প ফেঁদে বসেন ।
আসলে উম্মে হানিই বোরাক। এখানে দেখুন।
@softdoc,
:lotpot:
@softdoc,
অথচ ইনিই ইসলামিদের কাছে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মুসলিম জাতির এই বর্তমান দূরবস্থা কি এমনি এমনি ? এক মহা উম্মাদ, তার উম্মাদদের কাল্পনিক বেহেশতের গ্যারান্টি দিছে বইল্যা তারে সব সময় মাথায় তুইল্যা রাখে। কয়, মহা উম্মাদ নাকি তাদের আদর্শ। আরে ছাগল, মহা উম্মাদ যদি তোর আদর্শই হয় তাহলে তার মতো ডজন খানেক বিয়া কইরা দেখা দেখি। না পারলে অন্তত ৬ বছরের এক পিচ্চিকে ৫২ বছরে বিয়া কইরা দেখা। তাইলে বুঝুম তোর আদর্শ।
মহাপ্রতারক সারারাত উম্মে হানির সাথে ন্যাংটা হইয়া শুইয়া আছিল বইল্যাই বোধ হয় বোরাকের বর্ণনা দিতে যাইয়া বলছিলো, বোরাকের মুখ নারীর মতো। আর বোরাকের দেহ ঘোড়ার মতো বলার কারণ বোধ হয় ঘোড়ার যৌনশক্তি। ঘোড়া যেহেতু সেক্স পাওয়ারে দুর্দান্ত, উম্মে হানিকেও মহা উম্মাদের মনে হয় সেরকমই মনে হইছিলো। আর উম্মে হানিও ছিলো বহুদিন পুরুষ বঞ্চিত, তাই হঠাৎ একরাতে কামুক মুহম্মদকে পাইয়া দিছিলোও বোধহয় ইচ্ছামতো। :lotpot:
এখানে আমার একটু আপত্তি আছে। বিজ্ঞান বলে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য কমপক্ষে দৈনিক ৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাও। এই হিসেবে দেখা যাচ্ছে আল্লাকে দিনের পরিধি করতে হতো ২৮ ঘন্টা। তিনি কি তা করতে পারতেন ? মনে তো হয় না। কারণ, তিনি তো সৌর বছরের হিসাবই জানতেন না। তাই তাকে চন্দ্র বছরের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। যার বছর ৩৫৪ দিনে। যেটা আসলে কোনো বছরই না। তাই সারা বছর ইসলামিক উৎসবগুলো ঘুরতে থাকে। শীত, গ্রীষ্ম কিছুই মানে না।
নতুন আইডিয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
@হৃদয়াকাশ,
যথার্থ বলেছেন।মুহম্মদ তো জানতেনই না যে সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘুরে।আর জানলেও সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসতে পৃথিবীর কত দিন সময় লাগে তা বের করার মত গানিতিক বুদ্ধি মুহম্মদের ছিল না। থাকলে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টনে হযবরল করে ফেলতেন না।
@বোকা বলাকা,
এইভাবে বলাটা ইছ্লামোফোবিক। সবাই সবকাজে ভালো হয়না। মগানবী হয্রত গণিতে বিশেষ পটু ছিলেন না, আবার রাইমান কিন্তু খুবই খুবই ভালো গণিত পারতেন। একইভাবেরছুলুল্লাপাক হয্রত ছহবত ও যুদ্ধ এই দুটি কাজ খুবই ভালো পারতেন, যেই দুটি কাজ করার বেলায় রাইমানকে কিনা পাওয়া যাবে খুবই খুবই অপটু।
@আল্লাচালাইনা, ছহবত এবং যুদ্ধ করা ছাড়াও হয্রত কিন্তু আগামাথাবিহীন, বাস্তবতা বিবর্জিত চুল-চামড়া গল্প ফাঁদতেও ছিলেন খুবই খুবই পটু।
@আল্লাচালাইনা,
হিন্দু ধর্মের কেষ্টা বেটার নাকি ১৬০০ মতান্তরে ১৬০০০ গোপিনী ছিল।আল্লাহ এদের কর্মক্ষমতা বেশী করে দিয়েছিল।এখনও আমরা হুজুরদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশ দেখতে পাই।তারা আবার মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয় বেশী।
@বোকা বলাকা,
আচ্ছা এইটা কিন্তু খুব ভালো একটা পয়েন্ট ধরেছেন আপনি। কৃষ্ণও ছহবত করতে খুবই পছন্দ করতেন, আমাদের নবীজিও ছিলেন যারপরনাই ছহবতপছন্দ মানুষ। কৃষ্ণও যুদ্ধ করতে বড্ড ভালোবাসতেন, আমাদের নবীজিও তাই-ই। কৃষ্ণ গরু-চরু চরাতেন, আমাদের রাছুলুল্লাপাকও দীর্ঘকাল ছাগল চড়িয়েছেন। কৃষ্ণ নিজের পালনকর্ত্রী মামিকে ভাগিয়ে নিয়ে চটজলদি ছহবত করে ফেলেন, আমাদের নবীজিও তার ছেলের বউকে ভাগান ছহবতের উদ্দেশ্যে। দুইজনের মধ্যে এতো মিল কেনো, এরা দুইজন আবার একই ব্যক্তি নাতো? হয্রত ফারুক কোথায়, এই দুটি আপাত বিচ্ছিন্ন ব্যাপারকে রিকনসাইল করে একটি ইউনিফাইয়িং তত্ব একমাত্র হয্রত ফারুকই দিতে পারে। অন টপ অফ দ্যাট এইটা যদি দেখা যায় যে- কৃষ্ণ কোন জীবের মুত্রও পান করতে বড্ড পছন্দ করতেন, তাহলেতো একেবারে ষোলকলা পুর্ণ; গেস হোয়াট, আমাদের নবীজিও উটের মুত্র পান করতে খুব পছন্দ কত্তেন।
@আল্লাচালাইনা,
শব্দটা কি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত ? যাই হোক, শব্দটাকে গ্রহণ করা যায়।
@বোকা বলাকা,
ইহাতেই প্রমাণিত হয় মুহম্মদ এক মস্ত বৈজ্ঞানিক!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :lotpot:
@হৃদয়াকাশ, ইস্টার ও একি জিনিশ কিন্তু।আসলে সব ধর্মের মধ্যেই বহু গলদ আছে, কিন্তু ইসলামে গলদ টা এতটাই বেশি যে চোখে পড়ার মত। তবু মুসলিমদের চোখে পড়ে না ওটা।
@অচেনা,
কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য হচ্ছে, অন্যেরা সেটা বোঝে কিন্তু মুসলিমরা বুঝে না তো বটেই মানতেও চায় না।
সভ্যতার সংকট এইখানেই।
@হৃদয়াকাশ,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
@হৃদয়াকাশ, “তাই সারা বছর ইসলামিক উৎসবগুলো ঘুরতে থাকে। শীত, গ্রীষ্ম কিছুই মানে না।”
ইহা সাম্যবাদের চরম নমুনা; নিশ্চয় আল্লাহ পরম প্রাজ্ঞ।
@শান্তনু সাহা,
শুধু যুদ্ধ আর সেক্স বিষয়ে। কারণ, এই দুই বিষয়ে তিনি মহাউম্মাদের মুখ দিয়ে যত কথা বের করেছেন তা আর কোনো বিষয়ে করেন নি।
লোখা মোটামুটি ভাল হয়েছে। ভবিষৎতে আরো সুন্দর লেখা দেখতে চাই।
@সীমান্ত ঈগল, (F)
কেন জানি খুব একটা জমেনি ( এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মত)। এই বিষয়টির উপর মুক্তমনায় আরো বেশ কিছু লেখা আছে। ওসব লেখার মতো তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠেনি। তবু লেখকের প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাই।