“চমৎকার সে হতেই হবে যে ! হুজুরের মতে অমত কার ?” ( পর্ব এক ) পড়ুন: https://blog.mukto-mona.com/?p=14970
ড. ইউনূস আজ আছেন, সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়ায়, দীর্ঘদিন হয়তো থাকবেনও। কিন্তু উনি একদিন থাকবেন না এটাই সত্য। কিন্তু তার প্রতি সরকার যন্ত্রের এবং আমাদের সমাজের তল্পী বাহক শ্রেনী ও এর পুঁথিপাঠকদলের আচরন বিবেকবান ও সৃষ্টিশীল মানুষকে চিন্তিত করে দিয়েছে। আজ প্রিয় পাঠক আপনি যদি নোবেল পান, তাহলে স্বসম্মানে দেশে থাকতে পারবেনতো? যারা প্রবাসে আছেন, অনেকেরই স্বপ্ন দেশে ফিরে যাবেন, দেশের জন্য কিছু করবেন। কিন্তু কেউ কেউ ছিলেন দোলাচলে। আজ তাদের অনেকেই নিশ্চিত করেছেন, তারা ভিন্নভাবে ভাববেন। কেন? বিষয়টা শুধু এই নয় যে, একজন সম্মানিত, পৃথিবী বরেণ্য ব্যক্তিকে অসম্মান করা হয়েছে। বিষয়টি হলো, আধুনা বাংলাদেশে কি একজন মানুষও ছিলনা যে সময় থাকতেই বলতে পারতো এটা হতে দেয়া যাবেনা?
বিশ্ব দরবারে ইদানীংকালে রাষ্ট্র নায়কদের যে দরবার হয়েছে, তাতে খুব কমই আছে যেখানে ড. ইউনুসকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। অথচ এমনও হয়েছে, কোর্ট কাচারীতে ধর্না দিতে গিয়ে, ড. ইউনূস ঐ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিশ্ব নেতারা জানলেন, যার জন্য এত অপেক্ষা করছেন, তিনি কোর্টের বারান্দায় অপেক্ষমান। বাংলাদেশের কোন এক রক্ত চোখের কারনে তিনি আসতে পারবেন না। এত অসম্মান ও লাঞ্চনার পরও বাংলাদেশের জতীয় বিবেক বলতে যাদের জানি, তারা কার্যত নিশ্চুপ। এ যেন ভানুর কৌতুক, ‘দেখিনা কি হয়’! দেখতে দেখতে যখন সত্যিই বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্র এল যে, ড. ইউনূস আর তার ব্রেইন চাইল্ড এর সাথে থাকতে পারবেন না তখন হয়ত টনক নড়েছে দু একজনের, অথচ হওয়ার কথা ছিল এক গণ জোয়ারের। যখন কার্যত পুরো বিষয়টি আদালতে নেয়া ছাড়া ড. ইউনূসের পক্ষেও আর কোন রক্ষা ছিলনা, এরপর বিরোধী দল, যারা কিনা নানা কারনেই প্রতিবাদী হয়ে উঠে তারা একটা প্রতিবাদ জানালো বটে। ভোর হলো দোর খোল ধাঁচে আমাদের খুকুমনি লেখকরা ও বিবেকবানরা দু’খোঁচা দিল। কিন্তু বড় দেরী হয়ে গেছে, বড্ড দেরী হয়ে গেছে। দেশের ও দেশের মানুষের ক্ষতি হয়ে গেছে অনেক। শিক্ষিত ও শিক্ষারত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে বার্তা পেয়েছে, হৃদয়ে যে গভীর ক্ষত হয়েছে, তাতে নেত্রীত্বে থাকা প্রজন্মকে ক্ষমা করতে অনেক সময় লাগবে, যদি আদৌ তারা ক্ষমা করে।
সবশেষে এটাই জানলাম, গ্রামীন ব্যাংকে ড. ইউনূসের থাকার ব্যাপারে মূল সম্যা হলো বয়স নিয়ে আইনগত বিষয়। দেশের খোকা ও খুকু মনিরা মাথা দুলিয়ে ঝুটি নাড়িয়ে গান শুনিয়ে দিলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা বা জ্যোতি বসুর মত নিজ থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেই হয়। যদিও বর্তমানে ড. ইউনূসকে, ন্যালসন ম্যান্ডেলা, জ্যোতি বসু বা মহাত্বা গান্ধীর সাথেও তুলনা করা হয়, কিন্তু তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তিনি যে প্রতিষ্ঠানের স্রস্ট্রা, তা কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয় বরং বিশ্বাস ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। হঠাৎ করে তার সরে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের যথাযথ লক্ষ্য, ঋণ গ্রহীতা এবং কর্মচারীদের মনোবলের উপরেই আঘাত হানবে বলেই অনুমান করা যায়। বয়সের যে প্রসঙ্গ এসেছে, তাতে জানা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি বিষয়ক আইনূগ জটিলতা রয়েছে। অথচ এই পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস বার বছর ধরেই আছেন। এটা যদি ভুল হয়, তাহলে এই কোটি কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিয়ে গত বার বছরে যত অডিট হয়েছে, যত কর্মকর্তা, মন্ত্রনাদাতা এর সাথে জড়িত তারা সবাই কি কোন না কোন ভাবে দোষের ভাগীদার নয়? আইনী ভাষায় তাদের শাস্তি না হলেও যোগ্যাতার প্রশ্ন কি তারা এড়াতে পারবেন?
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে একজনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে সকল ক্ষমতা দেয়া হলো। এরপর তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সংবিধান পাল্টে গেল, তিনি জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলে গণ্য করা হবে ইত্যাদি। অথচ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশী এই মহাবীরের সম্মানকে ছোট করে তথা বাংলাদেশকেই ছোট করার জন্য আইনকে তার নিজের গতিতে চলতে দেয়ার জন্য দাপড়ে মরছি। ব্লগের মাধ্যমেই জানলাম যে, বিদেশে নাকি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নামে পরিচিত ছিল! এটা হলো ড. ইউনূসকে ‘সমর্থন’ দিতে গিয়ে কিছু মেনুমুখো ও ভ্রান্ত শব্দাবলী। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের কোন পরিচিতিই ছিল না, নাই। লজ্জাজনক, মেনে নেয়া কঠিন; তবুও এটাই সত্য। যে দু’একজন বিক্ষিপ্ত ভাবে বাংলাদেশের নাম জানে, তারা জানে যুদ্ধ, বন্যা তলাবিহীন ঝুড়ি এসব নামে। আর যাদের জ্ঞান বেশ ভাল, টনটনে তারা জানে ভারতের পাশের একটি দেশ! এই। যারা বলে বেড়ায় যে বঙ্গবন্ধুর নামে বাংলাদেশকে বিদেশে মানুষ চিনে, তারা বোকার মহাসমুদ্রে ডিঙ্গি ভাসিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, এমনকি বৈঠাও নেই। তেনারা বোধ করি তৈল মর্দন করতে করতে ভানুর কৌতুকের মতই হাত পিচ্ছিল করে ফেলেছেন, আর তাই অকারন এই তেল দেয়ার অপ্রাসাঙ্গিক চেষ্টা। তবে হ্যাঁ ভারত কিন্তু ‘বিদেশ’ নয়, একথা বোধ করি তেনারাও মনে করেন! সুতরাং বঙ্গবন্ধুর নাম ছাপিয়ে ড. ইউনুসের নাম উপরে চলে আসায় কেউ মনোকষ্ট পেয়েছেন এই ধারনাও কার্যত অমুলক।
শেষমেশ একটা বিষয় জানলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল প্রাইজ পাওয়ার কথা ছিল। আর তা পার্বত্য শান্তি চুক্তির কারনে। তিনি নোবেল প্রাইজ পেলে খারাপ হতো না বা সেই সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। অন্তত আমি তাই ভাবতে চাই। কথিত আছে যে, তার নোবেল পাওয়া নিশ্চিত করতে বিশেষ আজ্ঞাবহ দল কাজ করেছে, লবিং করেছে। এটা খারাপ কোন বিষয় নয়। কারন আমাদের রাষ্ট্রীয় কোন অবদান বা ভাল কিছু থাকলে তা বিশ্বের সামনে আমাদের তুলে ধরা উচিৎ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে পরিবেষ্টিত করে যারা সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত, তারা হয়ত উনাকে জানতেই দেননি যে নোবেল কোন ক্ষুদ্র অর্জন নয়! তবে যিনি নোবেল প্রাপ্তির আশা করেন তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করার মত প্রজ্ঞবান হবেন তাই আমরা আশা করি। তবে কারোও ব্যক্তিগত ঈর্ষার কারনে ড. ইউনূস তথা বাংলাদেশক বিশ্ব দরবারে উপহাসের পাত্র হবে এটা মানা যায়না। মনে ক্ষুদ্র আশা, হয়তো ঈর্ষার বিষয়টি সত্যও নয়। তবে কোন একক ব্যক্তির ক্ষুদ্র ভুল যখন কোন বৃহৎ কোন ক্ষতির কারন হয় আর সকলে জেগে ঘুমিয়ে থাকে তখন ধ্বিক্কার দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকেনা।
আমাদের নিয়ত অপসৃয়মান, ক্ষয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক অবস্থানে যে উজ্জলতা হঠাৎ করেই এসেছিল, তাও খুব ক্ষনস্থায়ী হল। এই উজ্জলতার উপর যখন খরগ নেমে এল তখন তথাকথিত বৃহৎ কন্ঠগুলো কারনে কিংবা অকারনেই ব্যক্তিত্বহীনতার অন্ধকার কূপেই ঘুমিয়ে ছিল। তাই বলে কী আজকের তরুনরাও তাদের বিবেককে একটুও জাগিয়ে তুলতে পারবেনা? তারাও কি রাজশুধা পান করে বা না করেই মাতাল হয়ে ঘুমিয়ে কাটাবে? আমরা শুনেছি মেষপালের সামনে একটা বাঁশের খুঁটি ধরলে যদি একটা মেষের মাথায় খুঁটির ধাক্কা লাগে, মেষটি হঠাৎ দাড়িয়ে যায়। বাঁশের খুঁটিটির সাথে মাথাটা দুটি ঘসা দিয়ে তবেই আবার হাঁটা শুরু করে। এর পর যদি খুঁটিটি সরিয়েও নেয়া হয়, মেষপালের সব গুলো মেষই ওই একই স্থানে এসে অদৃশ্য কিছুর সাথে দু’বার মাথা ঘসে তবেই এগোয়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে বিশাল তথাকথিৎ বিবেকবান জনগোষ্ঠির সামনে এমন কোন এক বাঁশের খুঁটি কেউ দিয়েছিল, তাই তারা মাথা ঘসেই যাচ্ছেন। কিন্তু তরুনদের কথা ভাবছি, তাদের জীবনের এমন তমসা ঘন আঁধার রাত কবে পোহাবে? “রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি? এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে? সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?”
এই লেখাটির চলতি অংশ লেখার সময়েই জানলাম, সরকার ড. ইউনুসের সাথে একটি সমাধানে যেতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে বিষয়টা কী দাড়াল? বিষয়টির আইনি সমস্যার বাইরেও কিছু আছে, বা ছিল? প্রতিনয়ত বিদেশে বাংলাদেশের বাজার ছোট হচ্ছে। কিছুদিন আগেও যে সব দেশে বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ী চালানো যেত, সেসব অনেক দেশেই আর তা যাচ্ছে না। বিদেশ হতে দেশে আসার বিমানে ট্রানজিট করার সময় বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের সুযোগ প্রতিনিয়ত কমছে। বাংলাদেশের এক ক্ষমতাধর চালিকাশক্তি-শ্রম বাজার ছোট হচ্ছে। দূর মরুতে আমার দেশের সন্তানেরা রক্ত ঝরিয়ে দেশের পরিবারকে দেখতে হচ্ছে, সরকার তাদের দেখতে পারছে না। আজ দূর লিবিয়ায় বাংলাদেশীরা কারবালায় আছে, সরকারের এনিয়ে যেন কোন মাথা ব্যঁথা নেই। আমেরিকার পররাস্ট্র মন্ত্রী তাঁর বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিল করেছেন, তাতেও আমাদের টনক নড়ছে না। আমাদের নেত্রী স্থানীয়রা বলেই যাচ্ছেন, ইচ্ছে মত। আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের শুল্কমূক্ত প্রবেশও কি অনিশ্চয়তার মধ্যে নেই? পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজ্য জয়ী চেংগিশ খাঁ –এর রাজ্য জয়ের একটি সরল দর্শন মনে পড়ে গেল- নিশ্চিৎ পরাজয় জেনেও যে যুদ্ধ করে সে বোকা! এখনও হয়তো শেষ চেষ্টা করা যায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীত্ত্ব যদি এখনও জেগে ওঠেন, আর মোসাহেবদের এড়িয়ে নিজে কিছু ভাবেন, দেশ হয়ত চুরান্ত বিপর্যয় হতে বেঁচে যেতে পারে। একথা নিশ্চিৎ ভাবেই বলা যায়, চোখ খুললেই দেশের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীত্ত্বের মনে হবে, “জাগিয়া দেখিনু, জুটিয়াছে যত হনুমান আর অপদেব”।. কিন্তু সেই প্রতিক্ষায় আর কতো? এখন দেশের বৃহত্তর বিজয় আমরা দেখবো, নাকি গুটি কয়েক গাঁড়লের বিজয় রচনা করবো, সে সিদ্ধান্ত হয়তো আজকের তরুন সমাজকেই নিতে হবে!
শিশুকাল থেকে সুপাঠ্যে পড়ে এসেছি, “আমি হব সকাল বেলার পাখি / সবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।” কিন্তু একথা আজ যেন বইয়ের পাতাতেই আটকে গেছে। আজ দেশ মাতার বড় দরকার তার ছেলেদের। অবাক হয়েই ভাবি, তারা কী আজ দেশের সম্মান বাঁচানোর জন্য, তাদের পূর্বপুরুষের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জেগে উঠতে পারবে না? বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের জাতীয় জীবনে যে সামান্য আলোটুকু এসেছে তাকে আরও জাগিয়ে তোলার জন্য তারা কী কলম কিংবা কী-বোর্ড হাতে তুলে নেবে না? তারাও কী ফন্দিবাজদের পেছনেই ছুটতে থাকবে? ভেবে অস্থির হই- বিশিখ বিদ্ধ আহত সিংহের ক্ষোভ বুকে নিয়ে পরে থাকি, …একা! আর ওই সব ফন্দিবাজদের বলতে চাই, আকস্মাৎ যারা আমাদের জীবনের শান কেড়ে নেয়ার ফন্দি করে তাদের পথে আজ হইতে এই কাঁটা দিলাম।।
আমরা বাংলাদেশিরা জাতীর বড় বড় সর্বনাশের অনেক পরেই তা
উপলব্ধি করি!
তখন হাহাকার করা ছাড়া আর কিছুই করার সময় থাকেনা!
যাদের কারণে এসব ঘটে থাকে সেই চামচা আর সুযোগসন্ধানীরা তখন উধাও হয়ে যায়!
এটাই আমাদের জাতীয় ট্রাজেডি!
উন্নত বিশ্বে জাতীয় স্বার্থে এ ধরনের যে কোন সিদ্ধান্ত যা তাদের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে রীতিমত গবেষণা হয়।
দেশ ও জাতীর জন্য তা ভাল হলেই সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়!
তবে দুঃখ এই যে আওয়ামীলিগ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজে যতটুকু ভুগবে
দেশবাসীকে তার কোটিগুণ ভোগাবে!
আগ্রহের সাথে একমত!
এই অভিযোগটি কি কেবল নোবেল পাওয়ার জন্য হয়েছে??
আপনার এমন অনুমানের ভিত্তিটা কোথায়? কেন মনে হচ্ছে ড.ইউনুস সাহেব না থাকলে কর্মচারীরা মনোবল হারাবে??
এগুলির সাথে ইউনুস সাহেবের সম্পর্ক কোথায়? এগুলি কি ড.ইউনুস সাহেবের সাথে সম্পর্ক খারাপ করার ফলাফল???
আমার খুব জানতে ইচ্চে করে। একজন ইউনুস সাহেবের জন্য কি কারনে আমেরিকা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করছে?? একজন ইউনুস কে কেন তাদের এত দরকার? একজন ব্যাক্ত একটি রাষ্টের চেয়ে কেন বেশি গুরুত্বপূর্ন হতে পারে??
আমরা কি ধরে নেব যে একজন নোবেল বিজয়ীর আপমান আমেরিকা সহ্য করতে পারে না। তাহলে মায়ানমার,চীন এছাড়াও অনেক নোবেল বিজয়ী আছে যারা রাষ্টের রুষানলে পড়েছে তাদের ব্যাপারে আমিরিকার আবস্থা কি?? আমাদের কি ধরে নিতে হবে যে নোবেল বিজয়ীদের উপর আমেরিকার অসীম ভালবাসা????
আশা করি আপনি আমাকে বোঝাতে পারবেন।
এই ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কি? ড.ইউনোসের সাথে শুল্কমূক্ত বানিজ্যের কি সম্পর্ক??
@আসরাফ,
বড়ই উচিত কথা। (Y)
সরকার ইউনুসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী প্রতিহিংসার আরেকবার পরিচয় দিয়েছে।
ইউনুস ভালো না খারাপ, সঠিক না বেঠিক — সে বিতর্কের বাইরে সরকারের উচিৎ ছিলো নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি ইমেজটিকে কাজে লাগানো। তাকে নিজের পক্ষে রেখে ইচ্ছে করলেই সরকার তাকে দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সাহায্য লাভ বা বিদেশী ঋণ ও সুদ মওকুফ করাতে পারতো।
কিন্তু আওয়ামী রাজনীতিতে কূটনীতির স্থান খুবই কৃশকায়। 🙁
@বিপ্লব রহমান,
খুবই যৌক্তিক কথা। এ ব্যপারে আপনার সাথে একমত।
@আসরাফ,
কিন্তু ইউনুসের বিদেশী বন্ধুদের হুমকি-ধামকি পছন্দ হয়নি। (N)
বাক্যগুলো হৃদয়ে একেবারে কাঁটার মতো বিধঁল।
লেখকের বক্তব্যের সাথে একমত। চলুক।