(বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র পাঠচক্রের সদস্য হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে আলোকিত মানুষ খুঁজে চলা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের ক্লাস করা, তার সাথে ক্লাসের সকলে মিলে আলোচনায় যোগ দেয়ার সুযোগ পাই। স্যারের কথার সান্নিধ্যে যখন থাকি তখন মাঝে মাঝে টুক করে দুই একটা কথা, যেগুলো মনে ধরে যায় বা মনে ধাক্কা দেয়- কুড়িয়ে রেখে দিই ডাইরির পাতায়।
সেই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার আগ্রহ থেকে এই সিরিজের জন্ম। সবার ভাল লাগলে চালিয়ে যাব এই সিরিজ।)
“মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।”
(একটা মানুষ মানুষের সম্ভাবনায় কতটা বিশ্বাসী ও আশাবাদী হলে এমন কথা বলতে পারে?)
“এ পৃথিবীর একটা কণাও তো নৈরাশ্য দিয়ে তৈরি নয়। তাহলে কেন নৈরাশ্য? কেন নয় আশা?”
(আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা নৈরাশ্যবাদী। আশাবাদী হতে না পারার এত বড় অক্ষমতা সম্পর্কে আমি পূর্ণ সচেতন। প্রাণপণে চেষ্টা করতাম এই অক্ষমতা কাটিয়ে উঠতে। এই লাইনটি আমাকে অনেকটা লাইনে আসতে সাহায্য করেছে! 😉 )
“প্রত্যেকটা বড় মানুষ তার যুগে নাস্তিক।”
“স্বপ্ন মানে হচ্ছে আমি কোথায় যেতে চাই। যে সেই স্বপ্নটাকে যত বাস্তব করে গড়তে পারে সেই সফল হয়।”
“ঈশ্বর একটি সজীব সত্ত্বা। সে আছে কি নেই সে প্রশ্ন আলাদা।…তুমি তার পক্ষে যেতে পারো বা বিরুদ্ধে যেতে পারো, কিন্তু তুমি যদি বল ঈশ্বর মৃত তার মানে তুমি মৃত।”
“তুমি যদি কোন নতুন জিনিস নিতে চাও তাহলে অবাক হয়ে তাকাবে। কারণ তার মধ্যেই নতুন জিনিস আসে যে অবাক হয়ে তাকায়।”
“অপ্রয়োজনের জিনিস সুন্দর হয়, প্রয়োজনের জিনিস গাড়লের মত হয়।”
“সৌন্দর্যকে অপ্রয়োজনীয় হতে হয়, বাস্তব প্রয়োজনের সাথে অপ্রয়োজনীয় হতে হয়।”
“একটা বৃদ্ধের যৌবন হলো তার জীবনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও যৌবনের সমন্বয়। তার সাথে যুবকের যৌবন কি করে পারবে?”
“কেউ বলেনি তুমি পারবেনা, তুমিই বলছ।”
“বীর সবসময় সশ্রদ্ধ, শ্রদ্ধাহীনতা হলো কাপুরুষদের।”
“মানুষের মুক্তি হচ্ছে যূথবদ্ধতায়।”
“সেটুকুই আমরা যেটুকু আমরা সংগ্রাম করি।”
“প্রেম শব্দটির মানে হচ্ছে না পাওয়া।”
“আলোকিত মানুষ বলে কিছু নেই। ওটা একটা স্বপ্নের নাম। আমরা শুধু আলোকিত হবার চেষ্টা করতে পারি, আর চেষ্টা করাটাই হওয়া।”
(এই লাইনটির মধ্যে চিরকাল মানসিকভাবে গতিশীল থাকার অসাধারণ একটা প্রেরণা খুঁজে পাই আমি)
“যেকোন জাতির প্রতিভাবানেরা সে জাতির গড়পড়তা মানুষের সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা সবাই সে জাতির প্রিয় প্রতিপক্ষ।”
“কে কতটা শিশু তার উপর নির্ভর করে সে কতটা কালচার্ড, বার্ধক্য হলো আনকালচার্ড।”
মি: টেকি সাফি,
আপনার প্রথম লেখাটা খুব ভালো লেগেছিল,
হারিয়ে যাবেন না,
Illuminate us.
এরকম পোষ্ট প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুটো করা দরকার।
সেরকমই অনুরোধ রইলো।
@শিমুল আজহার, সপ্তাহে স্যারের ক্লাসই হয় একটা, তার থেকে এত উক্তি পাবো কই পোস্ট দেয়ার মত? ডিমান্ডের চেয়ে সাপ্লাই কম তো 😛
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমনিতে আমার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করব, নিয়মিতভাবে অনিয়মিত হয়ে 😛 ভাল থাকবেন
চমতকার পোস্ট, ভালো লাগলো।। (Y) (Y)
@আল্লাচালাইনা, 🙂
চমৎকার। (Y)
এই থিমটা টা নিয়ে অনেকদিন ধরেই একটা পোস্ট লেখার কথা ভাবছি।
@হোরাস,’আমার ধর্মই শ্রেষ্ঠ’ এমন দাবীদারদের সাথে কি অদ্ভুত মিল।
:-s
:-O
@ফারুক, পোস্ট পড়ার আগেই মন্তব্য করে বসে আছেন। আগে পোস্ট আসতে দেন। পোস্টে কি আছে তা না জেনে শুধু শুধু মন্তব্য করতেছেন কেন? আবার তুলনাও করে ফেলছেন। :-Y
@হোরাস,
আমি আপনার এই থিমের পরে মন্তব্য করেছি এবং তুলনাটা ও থিমের সঙ্গেই।
আপনার অনাগত পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন , শান্তিতে থাকুন।
@ফারুক, কন্টেন্ট না পড়ে না জেনে শুধু থিমের উপর সিদ্ধান্ত নেয়া খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ না।
@হোরাস,একটা থিম মাথায় নিয়াই সাধারনত লেখকরা লিখে থাকেন।
আমি শুধু থিমের উপর সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছি কী না , তা বোঝা যাবে আপনার অনাগত পোস্ট পড়ার পরে।
তখন যদি আমি বোকা প্রমানিত হই , তাহলে আপনার থেকে আমিই বেশি খুশি হব। কারন আমি ও চাই আপনি প্রমান করুন , প্রত্যেকটা বড় মানুষই তার যুগে নাস্তিক ছিল না। :)) :guru:
@ফারুক, ভাই রে, নাস্তিকতা মানে শুধু ঈশ্বরে অবিশ্বাস, এতটা সংকীর্ণভাবে এই মন্তব্য করেননি স্যার। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তখনকার সমাজের সবকিছুকে অপরিবর্তনীয়ভাবে মেনে নেননি বলেই তারা বড় কিছু করেছেন। যেমন মুহম্মদ ছিলেন সেই যুগের সবচেয়ে বড় নাস্তিক এটা তো মানেন, তিনি যদি মূর্তিপূজাকে মেনে নিতেন তাহলে আপনারা ইসলামকে পেতেন কোথায়? আশা করছি বুঝতে পেরেছেন, কথাটা বেশ বড় সেন্সে বলা হয়েছে
@লীনা রহমান,
এবার আর মেনে নিতে কোন দ্বীধা নেই। :clap
আমিও সমাজের সবকিছুকে অপরিবর্তনীয়ভাবে মেনে নেইনা , তবে গালি খাওয়া ছাড়া বড় কিছু করেছি বলে মনে পড়ে না। 🙁
@হোরাস, লিখে ফেলেন,। অপেক্ষায় রইলাম।
আমার মাথায় এর ধারে কাছে একটা টপিক সহ আরো কিছু ধারণা ঘুরছে, কিন্তু আমি বাসা থেকে বিতাড়িত শয়তান, তাই হলে কম্পুর অভাবে কিছু করতে পারছিনা 🙁
এধরনের লেখা আমার মাথার ৩ হাত উপর দিয়া যায় আজীবন 😀 স্কেল ফিতা দিয়ে মাপাটাপা যায়না? তাহলে আমার মত অধমগুলোর সুবিধা হয়ত। 😛
আমি খুব আজব প্রানী মনে হচ্ছে, আমি আশা অথবা নিরাশা কোনোটাই খুব অনুভব করিনা কোনোদিন। এসএসসি তে ৪৫ পয়েন্ট আশা করছিলাম সেখানে ৩৯.৫ পাওয়া রীতিমতো ফেল করা আমার জন্য কিন্তু সেদিনও নিরাশারে পাইলাম না, গুগুল ওয়েভের বেটা ভার্সন নিয়াই গুতাগুতি কইরা দিন কাটাইসি 🙂 তবে সবাইতো আমার মত রোবট না, উনাদেরকে এই কথাগুলো প্রেরণা দিবে। তাই (Y)
@টেকি সাফি, তোমার মত হইতে পারলে কাজে দিত,আমি এমন একটা আবেগের বস্তা যে কিছু না হইতেই মুখ বাংলার পাঁচ হইয়া যায়, প্রেশার নেমে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা হয়, গ্রেট ডিপ্রেশনে আর পেসিমিস্টিসিজমে থেকে থেকে এত বাজে ইনসমনিয়া হয়ে গেছে যে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানোর দরকার পড়ছে :-Y এই আমাদেরকে বাঁচাতেই এ ধরণের কথার দরকার 😉
@লীনা রহমান,
ওরে বাপরে!! আপনার কাছ থেইক্কা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা দরকার মনে হচ্ছে 😀
@টেকি সাফি, :-[
দারুণ সব বচন। কয়েকটা আবার খুব বেশি ভালো লাগলো।
চমৎকার এই লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সিরিজ দেখতে পাচ্ছি। যা দেখেও ভালো লাগলো।
@স্বাধীন, প্রতি সপ্তাহেই আমার ঝুলিতে এ ধরণে কিছু কথা যোগ হওয়ার আশা আছে তো, তাই এই সিরিজ 🙂
বুঝলাম। এখন থেকে আমাকেও ডায়রি নিয়ে ঘুরতে হবে। আপনার বচন সংগ্রহ করার জন্য। 🙂
@অভীক, পচান কেন? :-Y
স্যার এই কথা শুনলে আমারে পচায়া মাইরা ফেলবে
আবু সায়ীদ স্যার আমার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ। উনার সান্নিধ্যে হয়ত আসতে পারিনি,কিন্তু উনি কথামালা মাকে দারুণ অনুপ্রানিত করে। আমি নিশ্চিত-আমার মতো আরো হাজারো তরুণ-তরুণী উনার দ্বারা অনুপ্রাণিত।
আপুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার নিজের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।উনার কথাগুলো পড়ে উনাকে যেন আরো কাছ থেকে অনুভব করলাম।
ভাল লাগল!
মনে হয় আশাবাদীদের ইতিবাচক মনোভাবই তার বেঁচে থাকার
গাড়ীর ডিজেল!
@লাইজু নাহার, (Y)
@নিটোল, আমার জীবনে স্যারের বিশ্বসাহত্য কেন্দ্র যে কি বলে বোঝাতে পারবনা, বইহীন বাসায় যেখানে কোন বাইরের বই পড়ার সুযোগ ছিলনা তখন স্যারের কেন্দ্র আমাকে বইয়ের জগতে পা রাখতে দিয়েছে। যেদিন স্যারের সাথে আমার জীবনে কেন্দ্রের ভূমিকা বলছিলাম, মনে হচ্ছিল কেঁদে ফেলব। আমি আজ যা কিছু তার পেছনে এই কেন্দ্রে অবদান যে কত…ভাবো একবার এই একজন মানুষ কি বিপ্লব করেছেন! ৩৫ টাকা থেকে শুরু করা কেন্দ্র আজ ১৫ কোটি টকার ভবন গড়ছে যাতে থাকবে লাখো বই, থাকবে বিশ্বের উন্নততর সঙ্গীতগুলো শোনার ব্যবস্থা, আরো কত কি… সেই ভবনে আমরা এখন ক্লাস করি আর অপেক্ষা করি কবে এই ভবনের কাজ শেষ হবে আর কবে একে পূর্ণ সাজে দেখব… স্যারকে নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে, দেখতে পারো http://blog.mukto-mona.com/?p=8983
মুক্তমনার ইংরেজি সাইটের ব্যানারে প্রায় এরকম একটা উক্তি আছে- যে সত্যকে অন্বেষণ করে তাকে সমীহ কর, যে সত্যকে খুজে পায় তাকে সন্দেহ কর। এই দু’টো উক্তিকে আমার খুব ঘনিষ্ঠ মনে হচ্ছে।
এই পৃথিবীর প্রতিটি কণাই নৈরাশা দিয়ে তৈরি। আশাগুলো আমরা বেঁচে থাকার একটা অবলম্বনের জন্য তৈরি করি। আমাদের কৃত কোনো কিছুরই মহাজাগতিক বিবেচনায় কোনো গুরুত্ব নেই। ধন্যবাদ।- রায়হান আবীর :))
আচ্ছা এই রায়হান আবীরটা আবার কে? কোনো কবি নাকি?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ঢুশ!! মহাকবি কও মিয়া 🙁
@রায়হান আবীর, , আপনিও কি জীবনের নরম গরম পরম চরম এইসব উদ্দেশ্য নিয়া কথা কওয়া শুরু করবেন নাকি? :-Y
এই দৈববাণী শুনে বুঝলাম রায়হান ভাই গতকাল উস্কো খুস্কো চুল নিয়া যখন ঘুমাইতে গেছেন তখন স্বপ্নে পাইছেন এগুলি, মহাকবি থেকে পীর দরবেশ হইতেও দেখি দেরি নাই 😀
লেখায় প্লাস। “কেউ বলেনি তুমি পারবেনা, তুমিই বলছ।” এটা সবথেকে ভালো লেগেছে।
আর লেখা সম্পাদনা করার সময় “allow comments” অপশনটা যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এটা খেয়াল না করে পেইন দেয়ার জন্য মাইনাস।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এইগুলা আমার বিরুদ্ধে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। আমি কিছুই করিনা তাও এইসব কাহিনি হইয়া যায় :-Y
এই কথাটা আমারে অনেক শুনতে হয়, একজন সারাক্ষণ মনে করায়া দেয়, স্যারের সামনে যে বলবে “আমি কি পারব?” বা “আমার দ্বারা কি হবে?” তাকে স্যার কথা দিয়ে এমন ধোয়া ধুবেন! ভাগ্যিস স্যার আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেননা, তাহলে এতদিনে সার্ফ এক্সেল ওয়াশ হয়ে যাইতাম 😉
@লীনা রহমান,
দারুণ এক আলাদা স্বাদের লেখার জন্য আগেই ধন্যবাদ-
“আলোকিত মানুষ বলে কিছু নেই। ওটা একটা স্বপ্নের নাম। আমরা শুধু আলোকিত হবার চেষ্টা করতে পারি, আর চেষ্টা করাটাই হওয়া।”
প্রচন্ড শক্তিশালী এক বাক্য। আবারো এক দফা ধন্যবাদ সাথে (F)
@আফরোজা আলম,
স্যারের বলা কথাগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় তিনটি কথা এগুলো।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম 🙂
@লীনা রহমান,
কুড়িয়ে পাওয়া কথন এমন একজন ব্যক্তি থেকে যা ভাল না লেগে উপায় নেই। যিনি আলোকিত মানুষ গড়তে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
তবে তা পড়তে ভাল লাগলেও বাণী চিরন্তনীর মত পড়লাম আর ভুলে গেলাম হয়ে যাবে যদি না লীনা সাথে দুয়েক লাইন জুড়ে দেয়।
তাই প্রত্যেকটা বাণীর সাথে তোমার মনোজগতের আলোড়ন উল্লেখ করে দিলে লেখাটি শক্তিশালী হবে আর আমাদের মনোজগতেও তা স্থায়ী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
মন্তব্যটি আমি ইতিবাচকভাবে বলছি এবং তোমার এ লেখা অব্যাহত থাকুক তা চাই ই চাই। কাজেই ভুল বুঝ না।
@গীতা দাস, ভুল বুঝব কেন? আপনার কথা মাথায় থাকবে 🙂