আমি সাগর তীরের মেয়ে।
অনন্ত আকাশের নিচে আর-
সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশির সান্নিদ্ধে –
বেড়ে উঠেছি আমি।
নিঃসীম সাগরের ঢেউ-
আছড়ে পড়েছে আমার গায়ে।
প্রতিদিন সাগরের হাওয়ায় বেড়েছি আমি-
সাগরের জলে নেয়ে।
সুতোবিহীন ঘুড়ির মতো-
উড়েছি দিক থেকে দিগন্তে।
মুক্তমেঘের মতো ছুটেছি –
আকাশ থেকে আকাশে।
কোকিলের কুহুতানে তাল মিলিয়েছি।
দোয়েলের শিসে দিয়েছি শিস।
পালতোলা তরণীতে চড়ে-
ঘুরেছি সাগর থেকে সাগরে।
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে রৌদ্র মেখেছি গায়ে,
ঘনবরষার দিনে ভিজেছি বৃষ্টিতে।
জ্যোৎস্না-স্নাত রূপালী রাতে-
জ্যোৎস্না মেখেছি অঙ্গে।
আমার চারিধারে দেখেছি উন্মুক্ত প্রকৃতি।
বারেবারে আমি সেথায় হারিয়েছি,
যেথায় সমুদ্র আর আকাশের নীলিমা-
আলিঙ্গনে মিশে আছে একাকার হয়ে।
তোমার কবিতা পড়লাম,খুব ভালো লাগলো । তুমি কবিতা চচা করো তা কবিতা পড়ে বোঝা যায়। ধন্যবাদ
@ASOKE CHOWDHURY,
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।
পড়তে পড়তে মন খারাপ হয়ে যায়…..
আমরা কোথা থেকে কোথায় ছুটে চলেছি, এই আমাদে্রকে হয়তো একদিন
দেয়ালে মাথা ঠুকে আক্ষেপ করতে হবে।
@স্বপন মাঝি,
আমারা কোথায় ছুটে চলেছি তা আমরা নিজেরাই জানিনা।আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের গন্তব্য অজানা।আমরা সবাই চলছি নিরুদ্দেশে,চলতে চলতে একদিন জীবন যাবে মরণের মাঝে হারিয়ে;পথের শেষ দেখা হবেনা।
মনেই হচ্ছে না যে, আপনি নতুন কবিতা লিখেন। মনে হচ্ছে- দীর্ঘদিন ধরেই কবিতার চর্চা করে যাচ্ছেন। এর আগের কবিতাগুলোও ছিল চমৎকার। আপনার কবিতার কোনো বই বের হয়েছে কিনা, বলুন তো?
@মাহফুজ,
আমি কবিতার চর্চা করছি বেশিদিন নয়।আমার কোন কবিতার বই এখনো বের হয়নি।আগামি বই মেলায় বের করার ইচ্ছা রাখছি।আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ভাল লেগেছে। বিশেষ করে উপমা’র ব্যবহার দারুণ হয়েছে। নিয়মিত লিখুন। পড়বো বলে কথা দিচ্ছি।
@প্রশান্ত,
ধন্যবাদ।
খুব ভাল লাগলো এই কবিতা।
আমার মনে হয় তামান্নার কবিতা লেখার হাত খুব ভাল।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ কবিতাটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্যে।
আপনার কবিতাই পরন্ত বিকেলের কোন মূহুর্ত নেই, অথই সাগর কে সামনে রেখে পরন্ত বিকেলের সূর্য দেখার আনন্দটাই আলাদা, আমার কবিতা গুলোতে অবচেতন ভাবেই পরন্ত বিকেল চলে আসে।
আপনার কবিতাটি পড়ে আনন্দ পেলাম, আনন্দটাই মেইন।
@SHEIKH,
পড়ন্ত বিকেলে সাগরগর্ভে সূর্যাস্ত দেখা ,আপনার মতো আমার ও খুব প্রিয় ব্যাপার।এ সন্দর মুহূর্ত নিয়ে লিখতে চেষ্টা করব।