ঘুম থেকে উঠে চায়ের সাথে পত্রিকায় চোখ বুলানো বলতে পারেন একটা প্রাত্যাহিক অভ্যাস। মন প্রফুল্ল থাকে, ভালো ঘুম হলে শরীরটাও তাজা থাকে। আমার অনেগুলো খারাপ অসুখের মাঝে একটা হচ্ছে অনিদ্রা। তাই ঘুম আমার শরীরের কারনে প্রয়োজনীয় বিষয় বটে।
গত কয়েকদিন যাবত শরীয়তপুরবাসী কিশোরী হেনা আক্তারের করুণ মৃত্যুর খবর কারও অজানা নয়।
খবরগুলো এমন হয়ে গিয়েছে যে, সকল আলোচনা সমালোচনার উর্ধে গিয়ে আমার মস্তিস্কের উপরে অবস্থান করছে। বিবেক’কে মন’কে চোখ রাঙ্গাই, মনকে অন্যমনস্ক করতে টিভি চ্যানেলগুলোর দারস্থ হই।
ডাক্তার বলেছেন, উত্তেজনা আমার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফলশ্রুতিতে শরীরে যে সব অসুখ অবস্থান করছে সেগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। আমি অসুস্থ মানে পরিবারের ছন্দপতন, কার্যপতন।
অনেকটা যেন শেয়ার বাজারের দরপতনের মত অস্থিতিশীল পরিবেশ ঘটে যাবে অনিবার্যভাবে।
যাই হোক,
আজ ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০১১ ২৬ মাঘ ১৪১৭ ‘দৈনিক প্রথম আলো” পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় চোখ আটকে গেল। অনেক চেষ্টা করলাম না কিছু লিখবনা। অনেক জ্ঞ্যানী বোদ্ধা আছেন। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ আমার কথা বলা ঠিক হবে না। তবু, নিজকে আটকে না রেখে কলমটা আঁকড়ে ধরলাম। এটাও জানি এই সব কথায় কিছুই হবেনা। কারো কোনো বিন্দু মাত্র আসবে যাবে না। তবু মন নাছোড়বান্দা।
পাশাপাশি দুটো খবর।
১। হেনার লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ।
২। কী যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে শিশুটিকে।
এক নং খবরের রেশ শেষ হতে না হতেই অপর খবর। খবরের পর খবর। পত্রিকার কাটতিও কম যায় না। ব্যাবসাও কম হয় না। ধর্ষণের পর মৃত্যু, ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা।
কী ব্যাপার? আবার কেন ময়না তদন্ত? কেন হেনার মৃতদেহের এই টানাহেঁচড়া? ধর্ষণের পর শাস্তি “দোররা” মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করা। তারপরে দেহ নিয়ে কাটাচেঁড়া ময়নাতদন্ত। অবশেষে রিপোর্ট।
তবে আবার কী হল?
লেখা দেখলাম,
আদালত সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করেন, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ ও চিকিৎসকদের মাঝে মিথ্যে সুরতহাল দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। নতুবা ফতোয়া বন্ধের দৃঢ় সংকল্প ব্যাহত হবে।
দৈনিক ‘ডেইলি স্টার” এ একটা এইধরণের খবরে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এইটা আদালতের নজরে এলে আদালত তা পর্যালোচনা করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন।‘
বিস্তারিত পাঠকবৃন্দ নিশ্চয় পড়ে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।
তার মানে বুঝাই যাচ্ছে ‘সরিষায় ভূত”। এ এমন নতুন খবর নয় আমাদের জন্য। আসলেই নতুন কিছু না। সাধারণ আপামর জনসাধারণ এতো সচেতন তারা সব ফলাফল, কলাকৌশল আগে থেকেই জানে যেন। তাই আমরাও আশ্চর্য হইনা বৈকী।
২ নং খবর,
‘কী যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে শিশূটিকে”
মাদ্রাসার প্রবীণ শিক্ষক(৬০) দ্বারা ধর্ষণ, ফলশ্রুতিতে ১১ বছরের শিশুটির অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়া। অধ্যক্ষ ও গভর্ণিং বডির সদস্য ভয় ভীতি দেখাচ্ছে ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য।
শিশুটির বাবা নিরুপায় হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-১-এ এজাহার করেন।
এলাকাবাসী,পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক আবদুল জলিল একব্যাক্তির কাচারি ঘরে তিনি প্রাইভেট পড়াতেন। গত বছরের ৩ আগষ্ট অন্য ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে বসিয়ে রাখেন। সবাই চলে গেলে জলিল ছাত্রীর মুখ চেপে ধর্ষণ করেন।
জানা যায় শিশুটি এই ঘটনা পরিবারের কাউকে জানায়নি। আর ওখানে আর পড়তেও যায়নি।
তার শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়ায় চাঁদপুরে চিকিৎসক পরীক্ষা, নিরিক্ষা করে জানান, সে অন্তস্বত্বা।
এই হচ্ছে মূল খবর। বিচার সালিশী তো পরে। তবে এই রকম ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রতি নিয়ত অহরহ। কিছু পত্রিকায় আসে কিছু সংবাদ মাধ্যমেও টাকা পয়সা খেয়ে মুখ বন্ধ রাখেন। যেন খবরটা ছাপা না হয়। সাংবাদিক মহাশয়রাও বেমালুম চেপে যান সে সব খবর।
অবাক হইনা কেননা সব সম্ভবের দেশ এই দেশ। আমরা অপকর্ম করা ব্যাক্তিকে বাদ দিয়ে দেশকে গালাগাল দেই। যে দেশে প্রধান মন্ত্রী নারী, স্বরাস্ট্র মন্ত্রী নারী, সব জায়গায় নারী আর নারী। আমরা জোর গলায় দাবী করে চলেছি আমাদের মানে নারীদের অধিকার আদায় হতে চলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
ফেব্রুয়ারী মাস, ভাষা আন্দোলনের মাস, স্বাধীনতার বীজ বপনের মাস। যখন এই সময় অনেকেই ভাষার কথা, নারী আন্দোলন, নারীবাদী ইত্যাদি করে কথা বলছেন, তাঁদের উদ্যেশ্যে বিনীত অনূরোধ,
এই সব শিশুদের অন্ততঃ জীবন রক্ষার ব্যাবস্থা করুন। তারাও যেন এই সুন্দর পৃথিবীর আলোহাওয়া বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পায় সেই ব্যাবস্থা করুন দয়া করে।
একটা ব্যাপার উল্লেখ না করে পারা যাচ্ছেনা। এই সব মাদ্রাসা, বা ধর্মীয় শিক্ষা যেখানে দেয়া হয় সেই সব স্থানেই এমন ঘটনা বেশী ঘটে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেনা এমন হলফ করে বলছিনা।
তবে নাবালিকা ধর্ষণের মাঝে আসলে কি ধর্মীয় কোন বিষয় কাজ করে কীনা জানতে ইচ্ছে করছে।
কেননা আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (দঃ) বিবি আয়েশাকে বিবাহ করেছিলেন তখন নাকী তিনি নাবালিকা ছিলেন।
এই ধর্মীয় ব্যাপারে অজ্ঞতার কারনে আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় কাশেম ভাই, বা আকাশ মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আসলেই কী তেমন কিছু জড়িত? যার কারণে এই সব নাবালিকা ধর্ষণের মত মহৎ কাজ করে তথাকথিত হুজুররা ধর্মের নামে অন্য কিছু বা ব্যাভিচারের পদাংক অনুসরণ করছেন?
আমাদের মত অজ্ঞ পাঠক’রা তাই জানতে চাই।
একদিন প্রতিদিন।
কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি হবে। তারপর? ভূতলে পতিত হবার আগেই “পদ্ধতি”-র তপ্ত উনুনে উধাও।
কে মারলো আর কে মরলো এই দেখে চোখ আর মাথা ঐক্যবদ্ধ, রাষ্ট্র চলে যায় পর্দার আড়ালে।
@স্বপন মাঝি,
হা ঠিক বলেছেন। সবই একদিন পর্দার আড়ালে ঢাকা পড়বে। অদৃশ্য অপশক্তির কারনে। তাই কি করা ঐ যে গান আছে না’
“জেনে শুনে বিষ
করেছি পান “
আমরা এই বিষের মধ্যেই থাকি, স্বপ্ন দেখি আবার যদি নতুন জাগরণ আসে,
আবার যদি —–
জানিনা কেমন করে আমার মন্তব্যের এক বড় অংশ বাদ পড়ে গেছে।
এখন বাকীটুকু এখানেঃ
জেনার জন্য ১০০ দর`রা মারা তো ১০০% ইসলামী নিয়ম। শারিয়া বই খুলে দেখুন।
১১ বছরের শিশুর সাথে সহবাস করা ১০০% ইসলামী। শারিয়া বই দেখুন।
বাংলাদেশেও শারিয়া আইন আছে—পারিবারিক ব্যাপারে—অন্যান্য বিশHয়েও।
আমি তো দেখি পুলিশ, আইন আদালত সব ভণ্ড। একদিকে শারিয়া আইনের জন্যে অনেকেই গলা ফাটিয়ে বেড়াচ্ছেন—আবার মৌলভী ম`ওলানারা ১০০% শারিয়া অনুসরণ করলে তাদেরকে ধিক্কার দিচ্ছি। কি মজার ব্যবস্থা।
এই সবের সমাধান—এক`টাই—বাংলা থেকে শারিয়া ঝঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মহিলারা এতই দূর্বল যে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে এই টুঁ শব্দ করবেন না। দেখু্ন না যখন সরকার চাইলেন মুস`লিম পারিবারিক আইন সংশোধণ করে ছেলে এবং মেয়েদের সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিতে, তখন মোল্লারা ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। তারা বলল এ হলে সারা দেশে আগুন জল`বে। আশ্চর্যের বিষয়–কিছু বুদ্ধিজীবি ও অজানা রাজনৈতিক ্সংগঠন মিন মিন করে কিছু বলা ছাড়া আর কিছুই করল না। তাও তাদের বেশীরভাগই ছিলেন পুরুষ। আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশের কোন শক্ত মহিলা দল েই সব মোল্লাদের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে এক শব্দ করেনি।
এই হচ্ছে আমাদের দেশের নারী সংগটন।
কাজেই ইসলামী সয়লাব থেকে আমাদের নারীদের রক্ষ করার কোন উপায় আমি আপাততঃ দেখছিনা। তাও যদি হয় তা হবে পুরুষদের দ্বারা। আমাদের নারীরা যে একেবারেই অসহায়। ইসলামযে তাদের জীবনের সমস্ত শক্তিকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে।
@আবুল কাশেম,
সব বক্তব্য মন দিয়ে পড়লাম। বাকী আরো কিছু এই বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ থাকল। কেননা যারাই নানান ধর্মের দোহায় দেয় আবার যারা বলে এই সবের সাথে ধর্মের সম্পর্ক নাই তাদের সম্পর্কেও জানতে ইচ্ছে করে।
ধন্যবাদ।
মাদ্রাসাতে যা দেখছেন এবং শুন`ছেন তা ১০০% ইসলামী। মাদ্রাসার ্মুরিদ এবং শিক্ষকেরা নবীজিকে অনুকরণ করতে বাধ্য।
অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সব কুকর্মের সাথে কোন ধর্মের যোগ নাই। এই অপকর্ম হবে দণ্ডণীয় অপরাধ।
জেনার জন্য ১০০ দর`রা মারা তো ১০০% ইসলামী নিয়ম। শারিয়া বই খুলে দেখুন।
১১ বছরের শিশুর সাথে সহবাস করা ১০০% ইসলামী। শারিয়া বই দেখুন।
বাংলাদেশেও শারিয়া আইন আছে—পারিবারিক ব্যাপারে—অন্যান্য বিশHয়েও।
আমি তো দেখি পুলিশ, আইন আদালত সব ভণ্ড। একদিকে শারিয়া আইনের জন্যে অনেকেই গলা ফাটিয়ে বেড়াচ্ছেন—আবার মৌলভী ম`ওলানারা ১০০% শারিয়া অনুসরণ করলে তাদেরকে ধিক্কার দিচ্ছি। কি মজার ব্যবস্থা।
এই সবের সমাধা্ন—এক`টাই—বাংলা থেকে শারিয়া ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মহিলারা এতই দূর্বল যে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে এই টুঁ শব্দ করবেন না। দেখু্ন না যখন সরকার চাইলেন মুস`লিম পারিবারিক আইন সংশোধণ করে ছেলে এবং মেয়েদের সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিতে, তখন মোল্লারা ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। তারা বলল এ হলে সারা দেশে আগুন জল`বে। আশ্চর্যের বিষয়–কিছু বুদ্ধিজীবি ও অজানা কয়েক্টি রাজনৈতিক ্সংগঠন মিনমিন করে কিছু বলা ছাড়া আর কিছুই করল না। তাও তাদের বেশীরভাগঅই ছিলেন পুরুষ। আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশের কোন শক্ত মহিলা দল েই সব মোল্লাদের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে এক শব্দ করেনি।
এই হচ্ছে আমাদের দেশের নারী সংগটন।
কাজেই ইসলামী সয়লাব থেকে আমাদের নারীদের রক্ষ করার কোন উপায় আমি আপাততঃ দেখছিনা। তাও যদি হয় তা হবে পুরুষদের দ্বারা। আমাদের নারীরা যে একেবারেই অসহায়। ইসলামযে তাদেরকে জীবনের সমস্ত শক্তিকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছে।
এই সব স্থানেই ১০০% ইসলাম চলে। যা দেখছেন এবং শুন০ছেন সবই তো ইসলামী।
মদ্রাসার মুরিদ ও শিক্ষকেরা ১০০% নবীজিকে অনুসরণ করে। তাদের প্রত্যেক কুকর্মের পিছনে নবীজির উদাহরণ দেখবেন।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে`ও এই ধরণের কর্ম হতে পারে। কিন্তু এর সাথে কেউ ইসলাম`কে যুক্ত করবে না। এ সব দণ্ডনীয় অপরাধ।
@আফরোজা আলম,
হেনার মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে ভাবছিলাম মুক্তমনায় এ বিষয়ে কেউ লিখবেন।আপনি সে কাজটি করলেন সেজন্যে অনেক ধন্যবাদ।হেনাকে যারা ধর্মের পবিত্র নির্দেশে হত্যা করল এবং ১১ বছরের বালিকাটিকে যে ধর্ষণ করল তাদের কি বিচার হবে?হয়ত আল্লার অশেষ রহমতে পার পেয়ে যাবে,হয়ত দুই,চার বছরের জেল হবে।একটি জীবনের মূল্য পরিশোধের জন্য কি কয়েক বছরের জেলই যথেষ্ঠ?
@তামান্না ঝুমু,
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি লিখেছেন,
আমার উত্তর নিশ্চয় আল্লার অশেষ রহমত আছে তাহারা পার পাবেই পাবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই।
কদিন পর দেখবেন সাংবাদিকরাও বেমালুম কথা বা সংবাদটা গায়েব করে দেবে। হলপ করে বলতে পারি।
কিয়া মজা! ধর্ষণ করলে হুজুরদের কপালে বৌ জোটে! ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে বেহেশ্তে তো প্লট বুকিং দিয়েই রাখছিল, ৬০ বছরের পূণ্যের উপহার বেহেস্তের হুরপরীদের একটা তো দুনিয়াতেই পেয়ে গেল। বাকিগুলা পরে, বেহেস্তে গিয়ে।
@নীল রোদ্দুর,
আরে কি যে কন পলট বুকিং আমিও দিবার চাইছিলাম মাগার হেরা কয় আমাগো দিবো না। হুজুরগো আগে দিবো তারপরে জায়গা খালি থাকলে আমাদের পালা।
তবে আমার ইচ্ছা দোজখে যাওনের, সেখানে শাহরুখ খান, আমীর খান বেবাক খানেরা থাকব। নাইলে বচ্চন বা এই ধরণের কিছু উপরি কিছু পামূ। আর এত্তো মানুষ বেহেশ্তে যাবার জন্যি ঠেলা ঠেলি করলে জ্যাম লাগবো কইয়া দিলাম তখন ট্রাফিক পুলিশ দৌড়ানি দিব নির্ঘাত :guli:
আচ্ছা শুনেছি স্বর্গ তে নাকি ১৭০ টা হুরপরি সেবা করবো পুরুষদের, :rotfl:
আমাদের জন্যি কি বেবস্থা থাকবেক। কিসসু না? (U)
@আফরোজা আলম,
এইটা কি করলেন? আপনি তো আমার আইডিয়া হাইজ্যাক করলেন, আমিও দোজখে প্লট বুক দিয়া রাখছি…ব্লগে যে এটা ফাস করলেন, এখন যদি সব মেয়েরা দোজখে যাওয়ার লাইন ধরে তাহলে তো ওখানে মাইয়াদের লাইন লাইগা যাইব…আমি আবার চুল টানাটানিতে পারদর্শী না :-s
৭০ টা হুর, আর আমরা বেশি হইলে হূরীদের সর্দারনী :-X
আমি তো ভাবছিলাম মরার আগে যেকোন উপায়ে একবার হজ্ব করে সোজা হুরপরীদের ফ্লাটে গিয়ে উঠব। :rotfl:
কিন্তু এদিকে হুরীদের সর্দারনীরা দেখছি দোজখে প্লট বুক দিচ্ছে! :-X
এখন আমার কিয়া হবে রে কালিয়া :-Y
পোস্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ।
কথাগুলো কি ঠিক হল? সবাই যার যার মত লিখছেন। আপনিও সবার মতই একজন সদস্য। খবরটা আপনাকে আঘাত করেছে তাই লিখেছেন। এখানে জ্ঞান-বুদ্ধি নিয়ে, বা কার কি আসবে যাবে এটা নিয়ে কোন কথা না আসলেই মনে হয় ভাল হত। 🙂
আমিও একটু আগে পড়লাম খবরটা, ভাবুন একবার সালিসের বিচারে এবং ধর্ষকের স্ত্রী সহ গ্রামবাসীদের দ্বারা১৪ বছরের হেনা ধর্ষিতা হওয়ার অপরাধে মার খেয়েছিল অথচ জলিল পিশাচটাকে দেয়া হল একটা কঁচি বৌ!!!বাহ!! মাদ্রাসার হুজুর হওয়া তো লাভজনক একটা ব্যাপার হয়ে দাড়াচ্ছে!!!
খবরে এক জায়গায় বলা আছে //অভিযুক্ত আবদুল জলিল এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি যেভাবেই ঘটেছে, বিয়ের মাধ্যমে তার সমাধান হয়ে গেছে। এখন মেয়ের বাবা এ বিয়ে মেনে নিলেই হয়। মেয়ের বাবা এলাকার সালিস বৈঠক না মেনে আদ…ালতে মামলা করেছেন, এটা তাঁর জন্য ক্ষতির কারণ হবে।’ বিয়ের কাবিন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে জলিল বলেন, ‘কাবিনে আমি স্বাক্ষর দিয়েছি, মেয়ের স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।’
গভর্নিং বডির সদস্য আবদুর রব খাঁ বলেন, ‘আমরা মাদ্রাসা কমিটি ও এলাকাবাসী বসে মেয়েটির বিয়ে পড়িয়েছি। কিন্তু মেয়ের বাবা আমাদের সিদ্ধান্ত না মেনে আদালতে মামলা করেছেন। এতে ওই শিক্ষকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।’//
এত রাগ লাগছে!!! :-X
@লীনা রহমান,
কী আজব বিচার! ধর্ষণের মামলার আসামীর সাথে বিয়ে। অপরাধীর সাথে বিয়ে! মেয়েটির জীবন নিয়ে কী প্রহসন।নারী বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনায় এ নিয়ে খসড়া করা আছে। মন্তব্যে সংক্ষেপে এ পর্যন্তই।
ভাল লেগেছে আপনার মন্তব্য।
@লীনা রহমান,
আরে পিচ্চি আপু, রাগ করেনা সোনামনি ওটা কথার কথা লিখেছি। আসলেই আমি এমন লেখায় অব্যস্ত নই। যেমন তোমাকে বোঝাই ধর গিয়ে তুমি হচ্ছ ফিনান্সের ছাত্রী, আমি যদি সেই বিষয়ে মাত্তবরি করি তাহলে কেমন দেখায় বল আপুমনি? তেমনই বলেছি আর কি।রাগ থাকলে যাও আবার দেখা হচ্ছে বইমেলায় চটপটি খাইয়ে দেব আর গাল টেনে দেব। :))
তুমি ভালো ভালো কটা কথা তুলে ধরেছ এই জন্য আরেকদফা ধন্যবাদ
ঘটনাটি যেভাবেই ঘটেছে, বিয়ের মাধ্যমে তার সমাধান হয়ে গেছে। এখন মেয়ের বাবা এ বিয়ে মেনে নিলেই হয়। মেয়ের বাবা এলাকার সালিস বৈঠক না মেনে আদ…ালতে মামলা করেছেন, এটা তাঁর জন্য ক্ষতির কারণ হবে।’ বিয়ের কাবিন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে জলিল বলেন, ‘কাবিনে আমি স্বাক্ষর দিয়েছি, মেয়ের স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।’
বাহ ধর্ষণকারী এমন কু-কর্ম করার পরে তাকে পুরস্কার হিসাবে বিবাহ দেওয়া,তাও আবার মেয়ের
বাবার অমতে। বাহ বাহ কি দারুণ বিচার। :-X
একেই বলে চুরি আবার সিনাজুরি
@আফরোজা আলম,
এমন একটি জ্বলন্ত,তাজা করুন ঘটনার উপর লেখাটি পোস্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ।
ধর্ম ও ধর্মের হোতাকারীরা কত নিষ্ঠুর হতে পারে তা আরেকবার তাদের মধ্যযুগীয় হিংস্র মানসিকতা ও বর্বরতা কিশোরী হেনার জীবন নেয়ার পর আমরা তা আবার দেখলাম।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক দেশটি ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে স্বাধীন হওয়ার পরও এখনো যে আরবীয় ও পাকিস্থানীয় ধ্যান-ধারনার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তা হেনার করুন মৃত্যু আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছে।
এখানে আইন আছে কিন্তু আইনের সু-শাসন নেই,রাষ্ট্র আছে কিন্তু রাষ্ট্রের ক্ষমতাধরদের কোনো ধরনের জবাবদিহিতা নেই যেটা কি-না এক আদিম বন্য হিংস্র গভীর অরন্যভূমিতে আজ পরিনত হয়েছে।অন্ধকার শুধু অন্ধকার চারিদিকে……আর শকুনের তীব্র ছোবল দেওয়ার চাওনি চারিদিকে বিরাজমান।
@আফরোজা আলম, না না আমি রাগ করব কেন? শুধু আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম, দেখুননা, আপনার পোস্ট পড়ে সবারই তো আসছে যাচ্ছে, সবাই আলোচনা করছে, প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে,অনেকেই হয়ত এই পোস্টের মাধ্যমেই কথাটা প্রথম জানবেন। তাই ভাল লাগছিলনা অমন হতাশার কথাগুলো 🙂
আমি রাগ না করলে যদি চটপটি না খাওয়ান তাহলে আমি বলব আমি রেগে ভূত হয়ে আছি…চটপটি না খাওয়ালে রাগ যাবেনা 😉 😛
খুব তাড়াহুড়া করে লেখায় বানানের ভুল থাকলে বলে দেবেন প্রিয় পাঠক,
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ আফরোজা আপা। আমার নারী বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনায় এ নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লেখার পরিকল্পনা ছিল। হেনাকে মুক্ত-মনার পাতায় তাৎক্ষণিক আনার প্রয়োজন ছিল। আপনি তা করেছেন।
আমি খবরটা প্রকাশের দিন ময়মনসিংহ ছিলাম এবং আমারএক সহকর্মীকে এ নিয়ে কয়েকবার বলেছি। লেখা হয়ে উঠেনি।
ভাল উদাহরণ দিয়েছেন। তবে হেনাদের মৃত্যু তো সামাজিক মূল্যবোধের আরও বড় পতন।এ পতন যে কীভাবে রুখব? তবে আদালতের ভূমিকার প্রশংসা করতেই হয়। সাথে হেনাকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকেও।
@গীতা দাস,
আমি একটু চেষ্টা করে দেখলাম মাত্র। মনের আর বিবেকের তাগিদে।আমি না লিখলেও হয়তো কেউ না কেউ এগিয়ে আসতোই।
দিদি, আপাততঃ আমরা আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি। কিন্তু পরে রাজনৈতিক কারনে বা অজানা কারনে এই সব ঘটনা ধামা চাপা পড়তে কতক্ষণ। দেখুন কটা দিন অপেক্ষা করে।
আমরাও নিজেদের জীবন জীবিকার তাগিদে আস্তে আস্তে ভুলে যাব।
এমনই হয়, এইটাই নিয়ম।
কিন্তু যার কন্যা হারিয়েছে, যার বুকের কোল খালি হয়েছে তাদের কী হবে? তারাও বুক চাপড়াতে
চাপড়াতে এই দুয়ার থেকে সে দুয়ারে ধর্ণা দেবে। একদিন অজান্তেই ওরাও যেন বুঝে যাবে,
এমনই হয়, এমনই নিয়ম, টাকা সবার মুখ ঢেকে দেয়, টাকাই আবার কথা বলায়, ক্ষমতার দাপট এমনই হয়।
@আফরোজা আলম,
হেনার খবরটা যে দিন পত্রিকায় আসে ঐ দিনই সৈকত ভাই প্রথম আলোর লিঙ্কটা দিয়েছিলেন। আমরা কিছুটা আলাপ করেছিলাম। অত্যাচার, অবিচার, অপকর্ম, খুন, ধ্বংস যতই বিভৎস, জঘন্য, পাশবিক, অমানবিক হউক না কেন, তা যদি হয় ধর্মের নামে, এ নিয়ে ধর্মানুসারীরা কোনদিন দুনিয়া তোলপাড় করে নাই করবেওনা। তাতে কোরান ও হাদিসে বিশ্বাসকারী প্রত্যেক ঈমানদারের পরোক্ষ সমর্থন থাকে, হউক সে বা তারা অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ কিংবা উচ্চশিক্ষিত সমাজের যে কোন স্তরের মানুষ। এটা অবশ্যই কিছুটা হলেও প্রমাণ করে যে ঘটনার সাথে ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মগুরুর চরিত্রের, কাজের, আদেশ-নির্দেশের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যখনই ধর্মগ্রন্থের প্রতি অঙ্গুলী নির্দেশ করা হবে, দুই প্রকারের শিক্ষিত ধর্মবাদি এসে নাজেল হবেন, যারা ত্যানাপেচানীতে খুবই দক্ষ। একদল বলবে- এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। নবি মুহাম্মদকে তুলনা করবে সাধারণ রাজনীতিবিদদের সাথে। আরেকদল বলবে- আরবিতে (ওয়াদরিবুহুন্না) তাদেরকে পেটাও (ইংরেজিতে Hit them, Whack them) এর বাংলা অর্থ চুম্বন।
ফেব্রুয়ারি মাস চলে যাক, এ নিয়ে পরে একদিন আলোচনা করা যাবে।
@আকাশ মালিক,
অত্যন্ত সত্য কথা। আপনাদের লেখার আশায় থাকলাম।
@আকাশ মালিক,
অঃট;
আপনি আমাকে একটা গান দিয়েছিলেন ইউটিউবের মাধ্যমে। এতো হন্যে হয়ে আজ খুঁজলাম পেলাম না।
এখন হয়রান লাগছে। 🙁 ওটার লিঙ্ক কি দেয়ায় যাবে প্লিজ।
আর হা এইবার মনে পড়েছে সেই গান আমি প্রথম চিত্রায়ন দেখি বিখ্যাত লেখক অবধূত এর
“মরু তীর্থ হিংলাজ” ছবিটায়। অপূর্ব দৃশ্য ছিল। এখনও চোখে ভাসে। বইটাও পড়েছি।