গর্ভে ধারণ করেছি তোমায়
শূন্য তবু, চাওয়া পাওয়া ছিল নির্ভীক
কোথাকার কোন পরোবাস হতে
আসবে, চাঁদ বুক জুড়ে।
হরিণের খেলায়
জীবনের শুরু,
হঠাৎ আজ সাঁঝে মনে পড়ে,
এলেনা কিংশুক—।
একবারো মিথ্যে বলিনি
পুরনো ব্যথা মোচড়ায়
হয়তো ছোট পা
ফেলে হামাগুড়ি দিয়ে,
নয়তো ভালোবাসা’তে
আকাশটা ঝুঁকে আসতো।
স্বাক্ষী এই দিনরাত্রির
মায়াবী আরশি
আজ মনে পড়ে তোমায়
সাঁঝের ঢেউয়ে
ফিরে এসো
কিংশুক।
ফিরে এসো কিংশুক (দুই)
চলে এসো কিংশুক
তোমার নাম লিখেছি
কাগজে শিলায়, গর্ভে,
ভালোবাসায়।
তৃষিত আত্মাকে সঁপেছি
হীমেল হাওয়ার পরশে,
দূর হতে নক্ষত্রের আলো
ম্লান হয়ে তোমারই শরীরে।
এসো,
লেবু পাতার ঘ্রাণে
মুছে দিও কিছু টুকরো পাপ,
মহুয়া মধুর স্মৃতির
সাথী হতে দিও।
শুধু একবার ভালোবাসা হয়ে,
“মা”বলে ডেকে কচি কন্ঠের ডাকে,
ফিরে এসো
কিংশুক।
ফিরে এসো কিংশুক ( তিন )
লক্ষ আলোকবর্ষ পরে
আবার দেখা হবে
আমি কিংশুক,
সেই তিনটি বালকের একটি।
আকাঙ্ক্ষার উদ্বেল ঢেউয়ে
বাসনার শেষ বিন্দু নিয়ে
কাঙ্ক্ষিত তোমার হৃদয়ে।
বুকে তোমার সফেদ হাহাকার
বিকলাঙ্গ স্বপ্নের অলিন্দে
শ্রাবন রাতের শেষ প্রহরে
ডেকেছিল কর্কশ পাখি।
গোপন অশ্রুপাতে
ক্লান্তিময় দৃষ্টি মেলে
বলেছিলে চুপিচুপি
“দীর্ঘজীবি হ”,
আঁতুরেই আমি খন্ডিত মেঘ।
হাজার কবিতার আঁচলে বেঁধো
আবার আসব ফিরে
আধখানা চাঁদে ভর করে।
এবার চিনলে তো?
আমি সেই স্বপ্নের
কিংশুক।
( এই কবিতাটা ৩ টা সিরিজে ভাগ করা)
আফরোজা আলম,
কবিতাটা পড়ে কেমন যেন বিষণ্ণ বোধ করছি। অনেক অন্যরকম ভাল লেখা।
শুভেচ্ছা থাকলো।
@কাজী রহমান,
দুঃখিত দেরি হয়ে গেল জবাব দিতে। আসলে কবিতা’টা বিষন্নতায় ভরা এইটা সত্য। এক মৃত সন্তানের স্মৃতিচারন।যে সন্তান আগমনের আগেই পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।
প্রিয় মুক্তমনা এডমিন,
আপনি আমাকে যে অভিযোগে অভুযুক্ত করেছেন সেখানে উত্তর দেবার সুযোগ নাই বিধায় এই খানেই জবাব দিতে হচ্ছে।
আপনি একজাগায় বলেছেন,
আমি এ ক্ষেত্রে বলব আমাদের শ্রদ্ধেয় অভিজিত জানেন সব কিছু। আপনাদের যদি মনে হয়ে থাকে আমি ছদ্ম নাম নিয়ে কোন অন্যায় কিছু করে থাকি তবে শাস্তি দেবার আগে অভিজিত’কে জিজ্ঞেস করতে হবে। নাহলে কিন্তু অনেক সমস্যাই হবে। এর উত্তর দিতে চাইতাম না, কিন্তু যে হেতু আমাকে
অসততার দায়ে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি, যে যে কোন পদক্ষেপ নেবার আগে জেনে নিন। যাচাই বাছাই করে শাস্তি দিন, আমি মাথা পেতে নেব।
আর মুক্তমনার একপেশে মনোভাবের কারনে এই দিকেও অনেকের মন ক্ষুন্ন হচ্ছে তাও আপনাদের অবগতির জন্য জানালাম।
আর মডারেটর সম্পর্কে যা বলেছি তা আর উল্লেখ করলাম না। তিনি ও অকারনে আমাকে অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন। যার প্রতি উত্তরে তখন আমার মেয়ে যে ইংরাজী ছাড়া বাংলা টাইপ জানেনা সে জবাব দিয়েছিল।
এখন কথা হচ্ছে, ছদ্ম নাম।
অনুগ্রহ করে অভিজিত’কে জিজ্ঞাসা করুন। না হলে তিনি জবাব না দিলে আমিই পরবর্তিতে জানাব।
তখন কিন্তু মুক্তমনার প্রতি মানুষের আস্থা হারাবে।
তবে এমন অপকর্ম করিনি যা আপনি বলছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যদি অপকর্ম হয় তবে তাই হোক।
আপনাদের প্রতি আমার শুভেচ্ছা এবং ন্যায় বিচারের আশা থাকল।
@আফরোজা আলম,
ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মাহফুজ সাহেবের লেখায় মন্তব্য বন্ধ করা হয়েছিল। কাজেই আপনার এ কবিতার মন্তব্যে এ নিয়ে আনারও আলোচনার সূত্রপাত না করলেই বোধ হয় ভাল ছিল।
আমাদের দেশের প্রবাদ প্রবচনের আশ্রয় নিয়ে বলছি —-
কাদা ছুঁড়াছুঁড়ি হচ্ছে আর লেবু কচলানো হচ্ছে।
মুক্ত-মনার পাঠকবৃন্দ যথেষ্ট বুদ্ধি রাখে এবং ইশারায়ই কাফি বলে আমার ধারণা। আমার এ ধারণা বলবৎ থাকলে খুশি হব।
@গীতা দাস,
গীতা’দি আপনার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলছি, এখানে উত্তর দিয়েছিলাম কেননা সেই জাগায় মন্তব্য অপশন বন্ধ করে আমার উদ্দেশ্যে এই অপবাদ দেয়া হয়েছে।
তা যাই হোক,
আপনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি আর এই সব বিষয়ে কথা বলব না। আপনার মতন জ্ঞানী বিচক্ষণ মানুষের কথাই শিরোধার্য। (Y)
এখানে তো তিনটা সিরিজই দিয়েছেন, তাহলে শিরোনামে ব্রাকেটের মধ্যে এক দেয়াটা ঠিক হয়নি বলেই বোধ হচ্ছে।
কিংশুক নামটি আপনার খুবই প্রিয়। ফানুস-এ এই নাম পেয়েছি। অবশ্য সেখানে কিংশুককে পেয়েছিলাম প্রেমিক-স্বামীর মতো। সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল।
আর এখানে কবিতার মধ্যে পাচ্ছি কিংশুককে পাচ্ছি একজন সন্তান-তুল্য। যে-সন্তান মারা গেছে। তাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে এক সময় স্বপ্নে এসে দেখা দেয় কিংশুক।
জাগরণে বিয়োগাত্মক আর স্বপ্নে মিলনাত্মক ভাবনা রয়েছে কবিতায়।
@মাহফুজ,
হ্যাঁ, কিংশুক এখানে আলাদা চরিত্রে। একদিন সন্ধ্যা বেলায় বসেছিলাম। মন ভালোছিলনা কেন জানিনা। তখন হঠাৎ করে কিংশুকের অভাব অনূভব করি। ঐ দিন সত্যি কিংশুক’কে যদি পেতাম।
কিন্তু সে তো নাই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
এডমিন@ প্রথম পাতায় কবিতাটা এরকম গল্প টাইপ দেখায় কেন? লাইনের পর লাইন।
আমি এখনো ইমো ব্যবহার করতে পারছি না। কারনটা কি?
🙂
ইমোর উপর মাউস ধরলে যে লেখাটা আসে তা লিখে দিলে আসে?
রামগড়ুড়ের ছানা@ হেল্পান,হেল্পান,,,,,,
ও ইমো তো অভিজিৎদার
আভিজিৎ দা@ হেল্পান।
@আসরাফ,
এই ব্যপারটা নিয়ে আমিও চিন্তায় আছি।কবিতা সামনে দেখায় গদ্যের মত।পুরো পেজ খুললে বোঝা যায় তখন, যে এইটা কবিতা। যারা এই সব কাজ করেন তাদের প্রতি এই নিবেদন,
ব্যপারটা দেখুন।
অনেক আগের লেখা,
জানি প্রচুর ভুল ত্রুটি আছে। 🙁
তাই প্রিয় পাঠক,
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
@আফরোজা আলম,
কবিতা পুরানো হয় না।
ভাল লেগেছে।
@গীতা দাস,
আসলেই অনেক আগেকার লেখা। তবু পড়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।