@মুক্তমনার প্রোসায়েন্স সদস্যবৃন্দ-
হয়তো অন্যান্য সহসদস্যদের চিত্তবিনোদনের দিকটা খেয়াল করেই হবে, মুক্তমনা দেখা যাচ্ছে দু-একটি ধর্মবাদী মাপেটের অবাধ-স্বাধীন বিচরণ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করে সবসময় এখানে। এইরকমই একটি মাপেট কিছুদিন আগে বিশাল বড় এক গালভর্তি দাবী নিয়ে হাজির হয়েছিলো। তার দাবীটি ছিলো নিন্মরূপ-
“কোরান বলে নুহু ৯০০ বছর বেঁচে ছিলেন আবার আধুনিক বিজ্ঞানের বলে আমরা জানি এটা কোনভাবেই সম্ভব নয় (বস্তুত একশো ট্রিলিয়ন কোষসম্বৃদ্ধ মানবশরীরকে গড় আয়ু ৭৭ বছর বেঁচে থাকার জন্য ১০^১৬ টি কোষ বিভাজনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়, প্রতি মাইটোসিসে মিউটেশনের হার গড়ে চারটি তাই ৪x১০^১৬ টি মিউটেশন জমে জমে মানুষের গড় আয়ুষ্কাল ৭৭ বছরের মধ্যে অর্জন করে অন্তত একটি ম্যালিগ্নেন্ট ক্যান্সার জন্ম দেওয়ার এতোটাই শক্ত সম্ভাবনা যে প্রতি তিন জনে একজন আমরা ক্যান্সারের সাথে বসবাস করতে যাচ্ছি এবং ক্যান্সারে মারা পড়তে যাচ্ছি প্রতি পাঁচ জনে একজন। আয়ুষ্কাল ৯০০ বছর হলে কয়শোবার নুহু ক্যান্সারে মারা পরতো সেটা মাপেটই বরং হিসাব করে বের করুক)। কিন্তু আমার প্রাণের গ্রন্থ কোরান তো ভুল বলতে পারে না। একইভাবে ভুল বলতে পারেনা বিজ্ঞানও, আমি চাই কি না চাই নির্বিশেষে যেটি কিনা আমাকে দিয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য, বাসস্থান, যানবাহন, ভ্যাক্সিন ও এন্টিবায়োটিক এবং আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে আর যা যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছুই। তাই এমন একটি ফঁন্দি নিয়ে আমি হাজির হয়েছি যেটা একইসাথে কোরান ও বিজ্ঞান এই দুটি কুলই রক্ষা করে। আমার ফঁন্দিটি হচ্ছে- আগের যুগে যদি পৃথিবী সূর্যের চারপাশে আরও জোরে বাইবাই করে ঘুরতো, তবেতো বছরের দৈর্ঘ্য হতো অনেক কম। ফলে আমার নুহুর পক্ষে সম্ভব হতো বিজ্ঞানকে লঙ্ঘন না করেই ৯০০ বছর বেঁচে থাকা, আমারও রক্ষা পেতো দুই কুল। এবং যেহেতু বিজ্ঞান এখনও অপ্রমান করেনি আমার অলস মস্তিষ্কের এই অদ্ভুত ফ্যান্টাসি যে- আগের যুগে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর বাইবাই গতি ঠিক ততোটাই বেশী ছিলো যতোটুকু বেশী হলে কিনা আমার নুহুর পক্ষে সম্ভব হয় খাপেখাপে ঠিক ৯০০ বছর বেঁচে থাকা, তাই আমার এই ফ্যান্টাসিই এখনও পর্যন্ত সত্য। কোনকালে আমার ফ্যান্টাসি মিথ্যা প্রমানিত হলে, ওয়েল ঠিক একইরকমই আরেকটি নতুন ফ্যান্টাসি ফেঁদে হাজির হবো আমি।”
আমি মরে যাচ্ছিলাম মাপেটকে এই তথ্যটা জানিয়ে দিতে যে, ভূগোলে যথেষ্ট দখল নেই বলে আমি যদি এমনকি সম্পুর্ণ অগ্রাহ্যও করি যে- বছরের দৈর্ঘ্যের যেমন খুশী তেমন বাড়া কমা সম্ভব হলে আমাদের পরিবেশের উপর সেটার যেই ভয়ঙ্কর একটি প্রভাব পড়তো; তারপরও এটা সম্ভব নয় শুধুমাত্র শুষ্ক তাপগতিসূ্ত্রের কারণেই। যেকোন বলের প্রভাবে একটি কেন্দ্রের পাশে ঘূ্র্ণায়মান একটি বস্তু তার কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারবে কেবলই যদি ওই ব্যাবস্থা শক্তিপ্রদত্ত হয়। ধনাত্নক শক্তি প্রদান করা হলে ঘূ্র্ণায়মান বস্তু নিন্মশক্তি কক্ষপথে প্রবেশ করবে বা ঘূ্র্ণনকেন্দ্র হতে দূরে সরে যাবে আর ঋণাত্নক শক্তি প্রদান করা হলে বা শক্তি অপসারণ করা হলে সেটা উচ্চশক্তি কক্ষপথে প্রবেশ করবে বা ঘুর্ণনকেন্দ্রের কাছাকাছি সরে আসবে, সাধারণ তাপগতিসূ্ত্র। সূ্র্যের চারপাশে ঘূ্র্ণায়মান পৃথিবী ব্যাবস্থাটিতে পৃথিবী কোথা হতে শক্তিপ্রদত্ত হচ্ছে যে এটি সময়ে সময়ে চাওয়ামাত্রই নিজের কক্ষপথ পরিবর্তন করতে পারছে সেটি জিজ্ঞেস করার মতো একটি প্রশ্নই বটে, যদি কিনা আমরা শক্তির সংরক্ষণ সূ্ত্রের সাথে পরিচিত হয়ে থাকি এবং পরিচিত হয়ে থাকি এই তথ্যের সাথে যে সৌরব্যাবস্থায় (বস্তুত সকল স্টেলার সিস্টেমেই) শক্তির একমাত্র উতস সূর্যই। তারপরও যদি আমরা ধরে নেই, শক্তিমান আল্লার যাদুকরী মন্ত্রপাঠ সূচীত রেজোনেন্স শক্তি সেই সময় শক্তির একটি উৎস রূপে কার্যকর ছিলো, তারপরও কিন্তু একটি বিশাল বাগড়া সাধে নিউটোনিয় বলবিদ্যার কেন্দ্রবাদী বল তত্ব।
পৃথিবীর ভর ৬x১০^২৪ কেজি, সূর্যের ভর ২x১০^৩০ কেজি এবং এদের মধ্যকার গড় দুরত্ব ১.৫x১০^১১ মিটার হলে তাদের মধ্যকার মহাকর্ষ বল হবে ৩.৫x১০^২২ নিউটন(f=G.m1.m2/r^2)। এবং নুহুকে ৯০০ বছর বেঁচে থাকতে হলে পৃথিবীকে সূ্র্যের চারপাশে ৯০০ বার ঘুর্ণন সম্পন্ন করতে হবে। এবং মাপেটের মতানুসারে এখনকার এক বছর সময়দৈর্ঘ্যকয়ে নুহের যুগের ৯০০ বছরের সমান হতে হলে সূর্যেকয়ে প্রদক্ষীণরত পৃথিবীর গতিবেগ হতে হবে বর্তমান সময়ের চেয়ে ৯০০ গুন বেশী যা কিনা দাঁড়ায় সেকেন্ডে ২.৭x১০^৫ মিটারে, সাধারণ পাটীগনিত। এখন, একটি নির্দৃষ্ট ভরের একটি বস্তু একটি নির্দিষ্ট গতিবেগে যদি সূর্যকয়ে কেন্দ্র করে ঘুরতে চায় তবে তার কক্ষপথ ঐ বিন্দু থেকে কতো দূ্রে হবে সেটা কিন্তু আমরা এই f=m.v^2/r সূ্ত্র ধরে নির্ণয় করতে পারি। ফলে সেকেন্ডে ২.৭x১০^৫ মিটার গতিবেগে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে চাইলে তার কক্ষপথ হবে সূর্য থেকে ১.২x১০^১৩ মিটার দূরে, যেটা কিনা প্লুটোর কক্ষপথের চেয়েও এক অর্ডার অফ ম্যাগ্নিচিউড বেশী দূ্রে, সূর্য থেকে প্লুটোর গড় দুরত্ব ৬x১০^১২ মিটার। আসলেই যদি নুহুর গল্পকে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে দিতে চাওয়া হয় তবে ফলাফল হয় গিয়ে এটা। এখানে লক্ষণীয় মাপেটের দুটি চলকের উপরই কাচি চালানোর অধিকার আছে মাত্র, পৃথিবীর কেন্দ্রবাদী ভর ও গতিবেগ। গতিবেগের উপর কাচি চালালে আমরা যেমন সৌরজগতের বাইরে চলে যাই, একইভাবে ভরের উপর যদি মাপেট কাচি চালায় তবে হয়তো আমরা বুধেরও কাছাকাছি চলে যাবো সূ্র্যের। নুহুকে বিজ্ঞানের সাথে মিলালে হয় আমরা পাবো তরল নাইট্রোজেন তাপমাত্রায় শীতলায়িত নুহু অথবা ৪০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ভাজা কুড়কুড়ে মুড়মুড়ে নুহু।
এই আংশিক তবে কষ্টার্জিত ও মূ্ল্যবান জ্ঞানের উপর আমরা ১০০% আত্নবিশ্বাস স্থাপন করতে পারি। এই মূ্লনীতির কারণেই সৌরজগত টিকে আছে; এই মূ্লনীতির কারণেই ইউরেনিয়ামের যথাযোগ্য আইসোটোপ মিশ্র আঁকড় থেকে আলাদা করা সম্ভব হয় আল্ট্রাসেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রে, পারমানবিক চুল্লী এবং দুঃখজনক হলেও সত্যি, পারমানবিক বোমা বানানোর কাজে; এই মূ্লনীতির কারণেই একটি লাইসকৃত কোষের মিশ্রণ হতে আর্গানেল আলাদা করা সম্ভব; এমনকি বর্ণালীবিশ্লেষন করে ভর নির্ধারণ করা গেছে এমন প্রোটিনও আমরা মিশ্রণ থেকে আলাদা করতে পারি নির্দৃষ্ট জি’তে কেন্দ্রবাদী বল প্রয়োগ করে এই মূ্লনীতির কল্যানে। তথাপিও এই সাধারণ গনিতটি আমি ঐ মাপেটকে দেখাইনি। আমি এটা করিনি কারণ, ইসলাম হচ্ছে এমন একটি ধর্ম বেঁচে থাকার জন্য যার কিনা নিশ্বাসে নিশ্বাসে বিজ্ঞানবিরোধীতা করতে হয়। নানা ধরণের হোকাস পোকাস যুক্তি ফেঁদে তারা তাদের মধ্যযুগীয় রূপকথার গল্পগুলিকে বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেবার চেষ্টা করে শুধুমাত্র এই আশায় যে পরিমাপযোগ্য বাস্তবতায় তাদের ফ্যান্টাসিটি ঠিক কি রূপ ধারণ করবে এটা গণিত কষে দেখার মতো উতসাহী ও শিক্ষিত লোকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এই জিনিষটা বিক্রি করেই ইসলামকে টিকে থাকতে হয়। এবং ঘৃণ্য, জঘণ্য, আস্তাকুঁড়ের কীট ইসলাম এই জিনিষ বিক্রি করে সেইসব মানুষের কাছে যারা কিনা নির্দোষ সাধারণ মানুষ, উপকারী তথ্যের জন্য একে অপরের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করার জন্য যারা কিনা বিবর্তনতাত্বিকভাবে নির্বাচিত!
কিংবা আমি যদি মাপেটকে দেখাতামও যে তার বিবৃতি বাস্তবতার সাথে কতোটা বাজেভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত, মাপেটকি তার অলস কল্পনাবিলাস পরিত্যাগ করে গণিতকে গ্রহন করতো? নাকি লজ্জাহীনভাবে ঘোষণা দিতো আজ থেকে একশো বছর পরে তোমার গণিতই ভুল প্রমানিত হবে, আমার আল্লার কথাই ঠিক থাকবে? কিংবা সে যদি এমনকি গণিতকে গ্রহনও করতো কিভাবে লাভজনক হতো সেটা গণিতের জন্য? যদি কিছু লাভ হয়েও এমনকি থাকতো, তার বিপরীতে ক্ষতি যতোটুকু হতো লাভ-খরচ অনুপাতকে কিকরে সেটা সন্তুষ্ট করতো? কি ক্ষতি হতো? বেশ, ইসলাম তখন বলতো ‘এইযে দেখো ইসলাম কতোটা দাপটশালী যে এর মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় কেন্দ্রবাদী বলতত্বের মতো যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের।’ মাথাটা তার মুড়িয়ে দেওয়া হলেও বিজ্ঞান দিয়ে যে ইসলামকে মোকাবেলা করা হয়েছে নিছক এই ঘটনাটাই ইসলামকে জাতে তুলে দিতো। ব্যাপারটাকে তুলনা করতে পারেন রাজা অষ্টম হেনরী যদি এসে সদরুদ্দি মোল্লার মাথা কামিয়ে দিয়ে যায় তাতে সদরুদ্দির যতোটুকু মূ্ল্যবৃদ্ধি হয় তার সাথে।
বিজ্ঞানকে জাতে উঠতে হয়েছে সাগরের পর সাগর অশ্রু, রক্ত আর ঘাম ঝরিয়ে; তাকে হতে হয়েছে উতপাদনশীল; মহাশূণ্যে রকেট পাঠাতে হয়েছে, কৃত্রিম সার আবিষ্কার করতে হয়েছে, আবিষ্কার করতে হয়েছে যেই কাপড়টি আপনি এখন পড়ে আছেন তা তৈরী করতে পারার প্রযুক্তি, যেই ভ্যাক্সিনপ্রদত্ত প্রতিরোধীতা আপনি আপনার শিরা আর ধমনীতে বয়ে বেড়াচ্ছেন তা, আধুনিক গাইনিকোলজি না থাকলে আপনার জন্ম সম্ভবত হতোনা, আপনি মরে যেতেন এবং খুব সম্ভবত নিজের মাকে সাথে নিয়ে মরতেন, শুধুমাত্র একটি ঔষধ আস্পিরিন আবিষ্কার না হলে আপনার জীবন কতোটুকু যন্ত্রনাদায়ক হতো ভেবে দেখুন, এমনকি এখন যদি আপনি মরেও যান এটা হবে বিজ্ঞান যে কিনা নির্ধারণ করবে কেনো আপনি মারা গেলেন, আপনার মৃত্যু অস্বাভাবিক হলে বিচারালয়ে এর প্রতিবিধান করবে। এটা আপনি পছন্দ করুন আর নাই ই করুন আপনার জীবন দোলনা হতে কবর পর্যন্ত বিজ্ঞানের উপর করুণ করুণভাবে নির্ভরশীল। এবং মানুষকে জীবন্ত পুড়ে মরতে হয়েছে যাতে আপনার জীবন এতোটা স্বাচ্ছন্দপূর্ণ হয়। এর বিপরীতে ইসলামের উতপাদনশীলতা হয়েছে কি? বেশ, ৯/১১ থেকে এই পর্যন্ত ১৬,৩০০ বোমাহামলা। সোজাসাপ্টাভাবে এতো সাধনার বিনিময়ে যেই আধুনিক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এসেছে তাকে আমি ইসলামের মতো একটা অকর্মার ঘটি, ঠুঁটো জগন্নাথের মুখোমুখি করিয়ে ইসলামকে বিজ্ঞানের সমান জাতে তুলে দিতে পারি না। এতোটা বর্বর আমি নই।
আমি একজন নব্যনাস্তিক (new atheist) যে কিনা অন্তরের অন্তস্থল হতে সমুন্নত করে ডকিন্স, হিচ্চেন্স, ড্যানেট, হ্যারিস দলের নব্যনাস্তিকতাবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদর্শটি যে বিজ্ঞান বিষয়ে কোন অবস্থাতেই কোন বিজ্ঞানবিরোধীর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। শুধুমাত্র ইসলাম নয় কোন নাস্তিক মাপেটও যদি থেকে থাকে (এবং আছে) অস্থিমজ্জাগতভাবে যে কিনা বিজ্ঞানবিরোধী, তার সাথেও আমি কোন তর্ক করবো না, অন্য কোন বিষয়ে করতে পারি কিন্তু বিজ্ঞান বিষয়ে নয়। একটা ইসলামিস্ট বিজ্ঞানবিরোধীর চেয়ে আমার অন্তর নিংড়ানো ঘৃণা সে বরং খানিকটা বেশীই পাবে। এখানে উল্লেখ্য যে পুরুষদের মধ্যে এদের প্রতি ২৫ জনে একজন যখন একরাতে ঘুমভেঙ্গে উঠে এঞ্জিনা পেক্টোরিসের ব্যাথায় কোঁ কোঁ করতে করতে এম্বুলেন্সে ফোন দিবে যে ‘আমার হার্টএটাক হয়ে যাচ্ছে’ এম্বুলেন্স রাস্তার সব ট্রাফিক থামিয়ে দিয়ে কিন্তু ঠিকই তার কাছে ছুটে আসবে এবং তার কাছের হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ ঠিকই তৈরী থাকবে তাদের সমস্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে। বিজ্ঞান তাদের নাক বরাবর উষ্টা দিয়ে খেদিয়ে দিয়ে বলবে না ‘মরো গিয়ে এইবার পাষন্ড’ (যদিও সেটা করলেও অন্তত আমার অভিযোগ করার কিছু থাকবে না, অভিযোগ করার থাকবেনা এইরকম দুই-একটা গুঁইসাপকে যন্ত্রনাদায়ক প্যারাসিটামল ওভারডোস করে মেরে ফেললেও) বরং ঠিকই মাতৃস্নেহে জড়িয়ে নিবে এবং সর্বশক্তি নিয়োগ করবে সমাজের একজন সহসদস্যের মৃত্যুকে রোধ করতে।
সর্বপ্রকার বিজ্ঞানবিরোধীতাকে অসন্মান করতে এবং বিজ্ঞানকে ডিফেন্ড করতে আমি যা যা করতে পারি তার একটি সংক্ষিপ্ত সারমর্ম আমার উপরের বক্তব্য। তবে আমার এই কার্যক্রম সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে যে ক্রমবিবর্তমান ইসলামের সাথে পেরে উঠছে না। ইসলামের একটি সাম্প্রতিক অভিনব অভিযোজন হচ্ছে ঠিক বিজ্ঞানেরই ভাষায়, বিজ্ঞানের টার্ম ব্যাবহার করে, ছবি ব্যাবহার করে বিজ্ঞানের মুখে মূত্রত্যাগ করা। এদের সাথে তর্কে লিপ্ত না হয়েই কি এদের নিবারণ করা সম্ভব কোনভাবে? উত্তর হচ্ছে না। এতে যদি তাদের মূ্ল্যবৃদ্ধিও এমনকি হয় তারপরও না। এইখানে আবারও আপনাকে লাভ-খরচ অনুপাত পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে। তারা যখন বিজ্ঞানের ভাষাতেই বিজ্ঞানবিরোধীতা করছে তখন কিন্তু বিজ্ঞানকে বিতর্কে না ডেকেই তারা বিজ্ঞানের কাঁধে ভর করে জাতে উঠে যাচ্ছে, আর সাধারণ মানুষকে এটা প্রদর্শন করছে যে দেখো আসল বিজ্ঞান কতোটা ভুল, আর কতোটা সঠিক হচ্ছে আমার এই সুডোবিজ্ঞান। সাধারণ মানুষের কি প্রতারিত হবার যথেষ্ট সম্ভাবনাই থেকে যায় না এই ফাঁদে পা দিয়ে যেই পন্য ইসলাম বেঁচতে চায় তা কিনে ফেলার মধ্য দিয়ে? আবর্জনা ছোঁব না বলে এই ঝঞ্জাট থেকে গুঁটিয়ে থাকা হচ্ছে দুর্ঘটনাবশবর্তী হয়ে শরীর গর্ভবতী শূঁয়োরের প্রসবপরবর্তী প্লাসেন্টা, মিউকাস, পুস আর রক্তে স্নাত হয়ে গেলে পরে ‘ছিঃ নোংড়া’ বলে সেটি ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলা হতে গুঁটিয়ে থাকারই নামান্তর।
হোরাস কিছুদিন আগে ইসলামের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের অস্ত্রধারণ করে একটি জ্বালাময়ী পোস্ট লিখে। বিজ্ঞানের সহচর্যে ইসলামের জাতে উঠে যাওয়া রোধ করতে আমার মনে হয়েছিলো সেই পোস্টটিকে হতে হতো একটি ‘লাঠি হাতে’ পোস্ট। কিন্তু, এদিকে সনাতন নাস্তিক হোরাসের নিজের অবস্থানটাই এমন একটা পর্যায়ে উঠে গিয়েছে যে চাইলেও তার পক্ষে ‘লাঠি হাতে’ পোস্ট লেখা সম্ভব না। তবে এটা কোন নির্বাচনী চাপের সূচনা করছিলো না এতোদিন কেননা আমারব্লগে হোরাসের লাঠিবিহীন পোস্টের হাতে লাঠি তুলে দেওয়ার জন্য সবসময়ই দুই একজন লাঠিধারী উপস্থিত থাকে। কিন্তু মুক্তমনায় তো এমন কেউ নেই, মুক্তমনার মেজাজটাই যে এরকম। ওদিকে আবার হোরাসের মতো একজন লেখকের পোস্ট যেন ইসলামকে জাতে তুলে না দেয় এটাও নিশ্চিত করা ছিলো অত্যাবশ্যক। তাই আমি দুই একটি মন্তব্য করে পোস্টটিতে ইসলাম যেনো কোন ছাড় না পেয়ে যায় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিলাম এবং অপ্রত্যাশিতভাবে লীনা রহমানের সহায়তাও পেয়ে গিয়েছিলাম সেই কাজে। এর ফলাফল হয়েছে কি? বেশ, সাম্প্রতিক সময়ে আপনি যদি সদালাপে গিয়ে থাকেন তবে দেখবেন একটি পোস্টে ৩৫ টি মন্তব্য পড়ে আছে। সদালাপের সক্রিয় সংখ্যা যদি আমরা এমনকি পাঁচ জনও ধরে নেই এরমানে প্রত্যেকের সাতটি করে মন্তব্য করতে হয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে ফলাফল হচ্ছে এই হাইপারএকটিভ সদালাপ।
সদালাপ কি কেউ যদি না জেনে থাকেন, এটা হচ্ছে বাংলা ব্লগস্ফিয়ারের সবচেয়ে ঘৃণ্য কয়েকটি ইসলামিস্টের ‘সদানী’র আলাপ করতে সমবেত হওয়ার স্থান you guess what it rhymes with। তারা তাদের দূর্বল এবং আত্নবিশ্বাসহীন ধার্মিক দেহ আর চিত্ত নিয়ে সবচেয়ে নোংড়া আঘাতটাই হানে সকল নাস্তিকদের প্রতি এবং মুক্তমনার প্রতি। তারা বুলিয়িং করার জন্য বেঁছে নেয় মুক্তমনার মহিলা সদস্যদেরকে শুধুমাত্র এটা জেনে যে এরাই অস্ত্রহাতে নিজেরদের ডিফেন্ড করার লক্ষ্যে সবচেয়ে কম উতসাহী হবার জন্য বিবর্তনতাত্বিকভাবেই নির্বাচিত। এছাড়াও তারা আক্রমন করে সবচেয়ে ভদ্র, সবচেয়ে পলিটিকালি কারেক্ট, সবচেয়ে সহনশীল ও উদারমনা নাস্তিকদেরকেও উপরোক্ত একই কারণে। কিন্তু নাস্তিকরা যদি আবার কালেভদ্রে উল্টোকামড় দেয় তবে নাঁকিকান্না কেঁদে এরা অন্যান্য সকল নাস্তিককে মনে করিয়ে দেয় যে পলিটিকাল কারেক্টনেসের আমিয়পথ হতে কতোটা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে নাস্তিক সমাজ। তারা এটা করে কেননা তারা জানে নাস্তিক যদি পলিটিকাল কারেক্টনেসের মূ্র্তিমান অবতার হিসেবে নিজেদের ডিফেন্ড করার জন্য ‘কি লাভ’ বলে অনিচ্ছায় মুখ গুটিয়ে থাকে, তবে তারাই সবচেয়ে বেশী লাভবান হয়, যা তারা বিক্রি করতে যায় তা সহজে বাজারে ওঠে। আমি দুঃখিত এইরকম পলিটিকাল কারেক্টনেসের রাজদন্ডধারী, অভিজাত, ঘি-মাখনের আদুল-বাদুল নাস্তিক তো আমি না, হতেও চাই নি কোনকালে, যে কিনা স্বার্থপরের মতো মনোভাব প্রকাশ করবে ‘ইসলাম একটি ফাট্টাফাটি ধর্ম যদি কিনা এটা আমার একশো মিটার গোলার্ধে প্রবেশ করা হতে বিরত থাকে’, আর বিজ্ঞান নিয়ে, সাহিত্য, দর্শন নিয়ে গুরুগম্ভীর তাত্বিক আলোচনায় মনোনিবেশ করবে যখন কিনা ইসলাম তার গলার চারপাশে চক দিয়ে দাগ কাটছে, দর্জি যেমন দাগ কেটে নেয় কাপড় কাটার আগে। তাই কালেভদ্রে আমার মতো দু-একটা রাদার হার্শ নাস্তিক যদি কিনা দৃশ্যপটে উঠে আসে মুসলমানেরা তখন নাঁকিকান্না কাঁদে আর বলে যুক্তি দিয়ে তাদের মোকাবিলা করতে। হায়! কোথায় ছিলো ইসলামের এতোটা দৃষ্টিগ্রাহ্য সাবমিশন; তাদের উলম্ফ আস্ফালন ছেড়ে কি কারণে হঠাত হয়ে উঠলো তারা এতটা সাবমিসিভ, প্রশ্ন করা যেতে পারে। আর উত্তরটিও খুবই সহজ ‘অন্ডকোষে ক্যাঁচা খেয়ে।’ পৃথিবীটাই এরকম।
এক দুই লাইনের অবান্তর, হাস্যকর ও নিন্মমানের পোস্ট মুক্তমনায় যেটি পড়লে কিনা এবিউস খেয়ে লেখক হয়রান হয়ে যেতো, তারা সদালাপে অহরহ ছাপায়। একবার না ছাপিয়ে ছাপায় শতবার, অন্যের পোস্টে মন্তব্য হিসেবে। কিন্তু আমরা নাস্তিকরা আমাদের জগতে তাদের নিয়ে একটু হাসি-ঠাট্টা করলে বরাবরের মতোই ঘোঁতঘোঁত করতে করতে জানান দেয় ক্যাঁচাটা তাদের লেগেছে কোথায় এবং অনুনয় বিনুনয় করে যুক্তি ভিক্ষা মাগে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদেরকে যুক্তি দিবো। আমার যুক্তি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই বার্তাই আমি সকল ইসলামিস্টের কাছে পৌছাতে চাই যে- যদিও ইসলাম সবচেয়ে ভয় পায় অট্টহাস্যকে; তথাপিও আমার মতো নির্দয় নাস্তিকও কালেভদ্রে তাদের যুক্তির চাহিদাটুকু পুরণ করতে সচেষ্ট অ সহৃদ হতে পারে। আমার যুক্তি হতে যাচ্ছে সদালাপের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট মোর্শেদের সাম্প্রতিক সময়কার বিজ্ঞানবিরোধী অশিক্ষিত আস্ফালনের বিরুদ্ধে। আমি জানিনা আমি কতোটুকু বুঝাতে পারলাম কেনো আমি এটা করছি। তবে সত্যি হচ্ছে করছি। এটার জন্য আমার যদি কোন আবিউস প্রাপ্য থাকে, সেটা মেনে নেওয়ার মতো সৎসাহস ধারণ করি; এটা যদি বাজেভাবে পাঠকের রিজেকশনের সম্মুখীন হয় সেটাও মেনে নিতে কোন সমস্যা বোধ করি না।
@ মোর্শেদ-
প্রথমেই অবগত হও একফোঁটা সন্মান প্রদর্শন করতে রাজি না আমি তোমার প্রতি, তুমি একটা সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ছেলে। চোখ মেলে চেয়ে তোমাকে দেখতে পেয়ে তোমার মতো অনুজীবের অস্তিত্ব যে আমি স্বীকার করে নিয়েছি এই জন্য তোমার অন্তত পাঁচ ছয় ওয়াক্ত নফল নামাজ তো অবশ্যই পড়তে বসে যাওয়া উচিত। তুমি তোমার কথায় বার্তায় আচরণে হিন্দু ধর্মের লোকজনদের প্রতি শুধু ঘৃণাই ছড়াও না, এমনকি সেই ধর্মটি যারা কিনা ত্যাগও করেছে তাদের প্রতিও ঘৃণা ছড়াও নির্বিচারে। আর এই সবকিছু তুমি করো একবারও চিন্তা না করে যে তুমি নিজে কি। আসলেই তো তুমি নিজে কি, তুমি একটা লোলাইফ মুসলমান জানোয়ার, যেই ধর্মটির নাম শুনলেই কিনা ঘৃণা এবং ভয়ে কুঁচকে কুঁকড়ে যায় সমগ্র পৃথিবীর পাঁচ মহাদেশের মানুষ; যেই ধর্মের নাম উচ্চারিত হলে দৃষ্টিপটে ভেসে উঠে দুটি যমজ শততল ভবন আগুনে জ্বলছে আর তাপ থেকে দূ্রে সরে যাওয়ার জীবগত রিফ্লেক্সে সেই ভবন থেকে শত শত মানুষ ঝাপিয়ে পড়ছে মাটিতে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও, ক্রোধে আর ঘৃণায় যেই ধর্ম ভরিয়ে তোলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মন, পলিটিকাল কারেক্টনেসের তোড়ে যেইসকল মানুষের মস্তিষ্ক হতে কিনা আমিগডালা হাপিশ হয়ে যায়নি, আবেগ রেসপন্স এখনও অটুট রয়েছে যেসকল মানুষের। আমি জানি কি কুকর্ম করে তুমি মুক্তমনা হতে এতোটা বাজেভাবে উষ্টা খেয়েছিলে যে এখন তোমাকে সদালাপে তোমার হয়রান বাবার ট্রান্সভার্স কোলনের ভেতর বসবাস করতে হয় হেলিকোব্যাক্টার আর স্ট্রেপ্টোকক্কাস, ই.কোলাইদের সাথে। দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থিত ওপেনিংটি দিয়ে কল্লা বাড়িয়ে মাঝে মাঝে তুমি জানানও দেও যে সেখানে বসবাস করে কতোটা ভালো গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি শিখেছো তুমি। আমার মতে, এইসব গ্যাস্ট্রো-ফ্যাস্ট্রো শিকেয় তুলে তুমি যদি তোমার নামাজি মায়ের কোলে বসে দাজ্জালের গল্প শেখো এবং ইংরিজিতে সেই গল্প বর্ণনা করো তোমার সহসদালাপিদের সাথে, দেশ ও দশের খু-উ-ব খু-উ-ব উপকার হয় তাহলে। তুমি বিতর্ক করতে চাও অভিজিত হোরাসের সাথে? অভিজিত হোরাসকে আমি যদি তোমার মতো একটা কোলোস্টমি ব্যাগের সাথে বিতর্ক করতে দেখি তবে সবচেয়ে নোংড়া আঘাতটা হানবো আমিই, এবারও লাভ-খরচ অনুপাত হিসেব করেই। অভিজিত হোরাস পারে না তোমার সাথে বিতর্ক করতে; তুমি হচ্ছো এমন একটা নর্দমার কীট যাকে কিনা বাংলাব্লগস্ফিয়ারের সকলেই ঘৃণা করে, অপরপক্ষে অভিজিত হোরাসকে তোমার মতো দুই একটা জানোয়ার ছাড়া বাংলা ব্লগস্ফিয়ারের সবাই শ্রদ্ধা করে, অপছন্দ করলেও সমীহ করে। ওরা তোমার সাথে তর্ক করলে তুমি তো বলবে ওয়েল এখন থেকে আমি কোন নর্দমার কীট নই, কেননা অভিজিত হোরাসের মতো ব্যক্তিবর্গও আমার সাথে তর্ক পর্যন্ত করে আজকাল। কে জানে এইটাই হয়তো তোমার মতলব। তোমার কি বিতর্ক লাগবে? নাহ লাগবে না, তোমার লাগবে একটা সুশিক্ষা। এবং এই নেও সেটা। আমি চাই এখান হতে তুমি এই বার্তাই লাভ করো, তালগাছটি নিজের বগলে রেখে দেওয়ার অসদুদ্দেশ্যে হাইপারএকটিভ উচ্ছাস দেখিয়ে নিজের উপসঙ্ঘার বসাতে গিয়ে কোথায় কোথায় তুমি শোচনিয়ভাবে ভুল করেছো। আমি যা বলছি তার প্রত্যেকটি কথাই তুমি গ্রেইস এনাটমিতে পাবে বিনামূ্ল্যে http://education.yahoo.com/reference/gray/, আমি চাই যা তমাকে বলা হচ্ছে তা যেনো তুমি আসলেই এর সাথে মিলিয়ে দেখো-
……………………………………………………………………………………
তুমি জানতে চাচ্ছো থাইমাসকে কেনো আমরা ভেস্টিজ বলি। ওয়েল, থাইমাসকে আমরা ভেস্টিজ বলি একই কারণে যেই কারণে আমরা কিনা আপেন্ডিক্সকে ভেস্টিজ বলি। একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটা নিজের প্রাথমিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলে। শুধু প্রাথমিক কার্যক্রম হারিয়ে ফেলে যদি এটা সন্তুষ্ট থাকতো আমাদের কোন অভিযোগ ছিলো না। সমস্যা হচ্ছে প্রাথমিক কার্যক্রম হারিয়ে এটা কুকার্যক্রম সম্পন্ন করা শেখে যা কিনা জীবের ফিটনেস কমায় এমনকি জীবের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। উদাহারণ? অটোইমিউন রোগ যেমন- টাইপ১ পলিএন্ডোক্রিনোপ্যাথি, মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস, হাইপোথাইরইডিজম ইত্যাদি। তারপরও যখন কিনা তুমি মাতৃগর্ভে ছিলে, কিংবা শিশু বা কিশোর ছিলে তখন তোমার থাইমাস কিন্তু ভেস্টিজ ছিলো না। এটি কাজ করছিলো তোমার প্রাইমারি টি লিম্ফোসাইটের বিদ্যালয় হিসেবে যেখান থেকে ফরেন এন্টিজেন চিনে নিয়ে কিনা তারা সেকেন্ডারি টি লিম্ফোসাইটে পরিণত হয়ে ঘাটি গাড়তো তোমার বর্ণীত লালবাগের কেল্লা লিম্ফনোডের টিস্যুতে অথবা সেল্ফ এন্টিজেন চিনে নিয়ে মারা পড়তো এইপপ্টোসিস প্রক্রিয়ায়। থাইমাসের কোর্টিকোমেডুলার বাউন্ডারিতে এক্সপ্রেসড হয় আয়ার (aire) নামক একটি জিন যা কিনা কোড করে একটি ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর। এই ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরের ক্ষমতা রয়েছে এমন সব জিনের ট্রান্সক্রিপশন সূচনা করার যেই জিনগুলো কিনা কোর্টিকোমেডুলার বাউন্ডারিতে এক্সপ্রেসড হবার কথা নয়। যেমন- অগ্নাশয়ের আইলেটস অফ ল্যাঙ্গারহার্নের বেটা ও আলফা কোষে যথাক্রমে এক্সপ্রেসড হবার কথা ইনসুলিন ও গ্লুকাগন। কিন্তু, থাইমাসের কোর্টিকোমেডুলার বাউন্ডারিতে এই জিনগুলো এক্সপ্রেসড হবার ফলে টি লিম্ফোসাইট এদের সাথে বন্ধন করার সুযোগ পাচ্ছে। যদি বন্ধন করে তবে এইপপ্টোটিক সঙ্কেত লাভ করে মরে যাচ্ছে। তোমার নিজের শরীরের বিরুদ্ধেই আর প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া সূচনা করার সুযোগ পাচ্ছে না টি লিম্ফোসাইট। কিন্তু কোন কারণে যদি তোমার সেল্ফ এন্টিজেন চিনে নিয়ে নেগেটিভ সিলেক্সন প্রক্রিয়ায় মারা না যায় টি লিম্ফোসাইট তবে তুমি হতে যাচ্ছ অটোইমিউনিক। তোমার আকোয়ার্ড প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া তোমার নিজের শরীরকেই আক্রমন করবে তখন। এখন মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৬ বছর বয়সের মধ্যেই থাইমাস নিজের সকল সেল্ফ এন্টিজেন এক্সপ্রেস করে টি লিম্ফোসাইটকে শিখিয়ে দেয় যে এই জিনিষগুলোকে আক্রমন করো না। ১৬ বছরের পর এটি সুকার্যক্রম সম্পুর্ণই হারিয়ে ফেলে এট্রফিক হয়ে পড়ে, সাধারণ অবস্থার চারভাগের একভাগে নেমে আসে তার আয়তন।
একারণেই, বয়োপ্রাপ্তির পর থাইমাস একটি ভেস্টিজ কেননা তখন তোমার টি লিম্ফোসাইটের এন্টিজেন চেনার দরকার নাই কোন। অসংখ্য নাইভ টি লিম্ফোসাইট তোমার সারা শরীরে ছড়িয়ে রয়েছে যারা কিনা চাহিবামাত্রই তোমার শরীরের সমস্ত চাহিদা মেটাতে পারে। এখন তোমার থাইমাস যা যা এন্টিজেন প্রদর্শন করছে তার একটিও তোমার একটা কোন লিম্ফোসাইটকে আগের চেয়ে বেশী যোগ্য করে তুলেনা, তবে ভুলক্রমেও তোমার কার্যক্রম হারিয়ে ফেলা এট্রফিক থাইমাসে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া একটি টি লিম্ফোসাইট যদি সেলফ এন্টিজেন চেনা সত্তেও এইপপ্টটিক সংকেত লাভ না করে কিংবা সঙ্কেতে সাড়া দিতে না পারে, সেই লিম্ফোসাইট বিপর্যয় ডেকে আনবে। সেটি যদি সিডি৪ পজিটিভ হেল্পার টি লিম্ফোসাইট হয় তবে এটি সাথে সাথে নাইভ বি লিম্ফোসাইটকে সঙ্কেত দিবে প্লাজমা কোষে ডিফ্রেন্সিয়েট হওয়ার জন্য। আর নাইভ বি লিম্ফোসাইটের প্লাজমা কোষে ডিফ্রেন্সিয়েট হওয়া মানেই অটোএন্টিবডির একটি কারখানা স্থাপিত হওয়া শরীরের ভেতর যা কিনা তোমাকেই আক্রমন করে শেষ করে দিবে। চিন্তা করো অটোইমিউন রোগ মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিসের কথা। লোয়ার মোটর নিউরনের পোস্টসিনাপ্টক ক্লেফ্টে এক্সপ্রেসড এসিটিলকোলিন রিসেপ্টর অটোএন্টিবডি দ্বারা ইনহিবিট করে যেটি কিনা তোমার মাংসপেশীর সঙ্কোচন বাধাগ্রস্থ করছে। কোথা থেকে আসছে এই অটোএন্টিবডি? প্লাজমা কোষ বানাচ্ছে? ওয়েল প্লাজমা কোষকে সংকেত দিচ্ছে কে যে এই এন্টিবডি বানাও? হেল্পার টি সেল কি? আর হেল্পার টি সেল এই বুদ্ধি কোথা থেকে পাচ্ছে যে একটি অটোএন্টিবডি বানাবো? ওয়েল তোমার থাইমাস থেকে।
একারণেই মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস ও এরকম আরও অনেক অটোইমিউন রোগেরই প্রথম চিকিতসা হচ্ছে থাইমেক্টোমি করে থাইমাস কেটে ফেলা। এখানে লক্ষ্যণীয় হচ্ছে শিশু রোগীদেরকে কিন্তু আমরা এই থেরাপী দিচ্ছি না, শিশুদেরকে আমরা দিচ্ছি কোলিনেস্টারেজ ইনহিবিটর ঔষধ যেমন এড্রোফোনিয়াম ও আম্বিনোনিয়াম, যাতে এসিটিলকোলিনের ক্ষয় হ্রাস পেয়ে এর ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্য দিয়ে পোস্ট সিনাপ্টক ক্লেফটে এসিটিলকোলিনের পর্যাপ্ত ঘনত্ব বজায় থাকে। আর খেয়াল করো থাইমেক্টোমি অস্ত্রপচার কিন্তু কাজ করে, এটি মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস যেই স্টেজে আছে সেই স্টেজ থেকে এর প্রগ্রেশন আটকিয়ে দেয়। আর কি কি লস অফ ফাঙ্কশন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে এটা থাইমাস হারিয়ে? উত্তর হচ্ছে কিছুই না। ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ঔষধ যেগুলো নিজেরাই কিনা রিকম্বিনেন্ট মনোক্লোনাল এন্টিবডি যেমন- রিটুক্সিমাব ব্যাবহার করে যে আমরা অটোইমিউন রোগের চিকিতসা করি এটারও কিন্তু রয়েছে একটি বেশ শক্ত শক্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কিন্তু থাইমাসের যে কোন লস অফ ফাঙ্কশন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এই কথা তোমাকে বললে তুমি বলবা- ওয়েল সবকিছুতো এখনও জানা হয়ে যায়নাই, হয়তো ভবিষ্যতে আসলেই এর কোন লস অফ ফাঙ্কশন প্রতিক্রিয়া আবিষ্কার করে ফেলবে বিজ্ঞানীরা। বেশ, এমনকি সেটা যদি সত্যিও হয় তারপরও কিন্তু এই কথা তার চেয়েও বেশী সত্য হিসেবে থেকে যায় যে ‘গেইন অফ ফাঙ্কশন প্রতিক্রিয়া অর্জন করে অটোএন্টিবডি বানিয়ে বানিয়ে তোমার মৃত্যুর কারণ হতে পারে তোমার থাইমাস।’
আর এটা তোমার মনগড়া তথ্য যে থাইমাস এট্রফিক হয়ে পড়ার কারণে বয়ষ্ক লোক সংক্রমনে আক্রান্ত হয় বেশী। এটা সত্যি হলে সবচেয়ে বেশী সংক্রমনের শিকার হতো তারা যাদের থাইমাস কিনা থাইমেক্টোমি করে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বয়ষ্ক লোকের তো তাও এট্রফিক থাইমাস রয়েছে, থেইমেক্টোমি রোগীদেরতো তাও নেই। বয়স ১৬ ছাড়িয়ে গেলে থাইমাস কোনই ভূমিকা পালন করে না তোমার রোগ প্রতিরোধে, ভূমিকা পালন যা করার আগেই সে সেটা করে ফেলেছে। যাই হোক, অটোইমিউন রোগই একমাত্র জটিলতা নয় যা জন্ম দিতে পারে থাইমাস। থাইমাস একটি গ্লান্ড অর্থাৎ এর মেডুলা আবরিত এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা যারা কিনা সর্বদাই বিভাজিত হচ্ছে এবং তোমার বয়স বাড়ার সাথে সাথে মিউটেশন জমিয়ে যে কোন মুহুর্তে এটা টিউমারে রূপ নিতে পারে। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে থাইমোমা প্রায় কোন উপসর্গই প্রদর্শন করেনা, তুমি জানবেও না যে তুমি টিউমারাস, তোমার অজান্তে সেই টিউমার একসময় ম্যালিগ্নেন্সি অর্জন করে পরিণত হবে ক্যান্সারে।
তারপর তুমি লাগলে সিকাম নিয়ে। সিকামকে তোমার কাছে কমোডের মতো মনে হলো। কমোড মনে না হয়ে যদি বেলীফুলের মতোও মনে হতো অভিযোগ করার কিছু থাকতো না। এটা তোমার ব্যক্তিগত সৌন্দর্যবোধ। খাদ্যের যতো অপ্রয়োজনীয় অবশিষ্টাংশ সিকামে গিয়ে জমা হয়না, সিকামে বরং জমা হয় এমন তরল যারা কিনা ধারন করে সমস্ত অপরিহার্য লবন। যদিও বেশীরভাগ তরলই শোষিত হয় ক্ষুদ্রান্তেই, তারপরও বৃহদান্ত্র প্রতিদিন যেই ২ লিটার পানি আমরা খাই তার মধ্য থেকে .৪ লিটার শোষণ করে। এবং যেহেতু ধাতব আয়ন শোষণ পানি শোষণের সাথে কাপল্ড তাই এটা শোষণ করে সেই ধাতব আয়নও। এছাড়াও ধারণ করে প্রচুর ব্যাক্টেরিয়া। এই ব্যাক্টেরিয়া সংশ্লেষিত করে ভিটামিন থাইমিন, কোবালামিন ও রিবোফ্লাভিন যা কিনা বৃহদান্ত্রে শোষিত হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ব্যাক্টেরিয়ারা সংশ্লেষ করে ভিটামিন কে, যেই ভিটামিন কে এর যোগান পর্যাপ্তরূপে দিতে পারে না আমাদের খাবার। তাই ভিটামিন কে এর জন্য আমরা আমাদের বৃহদান্ত্রে বসবাসকারী ব্যাক্টেরিয়ার উপর নির্ভরশীল। তাই বলাই বাহুল্য যে, সংক্রমনবিরোধী যুদ্ধে যখন আমরা এন্টিবায়োটিক ছুড়ি তখন রোগী হয়ে পরে ভিটামিন কে পুষ্টিহীন। এবং ভিটামিন কে কোয়াগুলেশন বা রক্তজমাটবদ্ধকারী গমনপথের প্রায় সবগুল এনযাইম সংশ্লেষেই অপরিহার্য বিধায় রোগী হয়ে পড়ে অ্যানিমিক বা রক্তশূণ্য। এই বিষয়ে তাই আমাদের সদাসতর্ক থাকতে হয় এন্টিবায়োটিক থেরাপি প্রদানের সময়।
তারপর তুমি বলছো ইলিওসিকাল স্ফিঙ্কটার না থাকলে বলে ক্ষুদ্রান্তের কাইম সব বৃহদান্ত্রে না এসে উল্টা পথে দৌড় লাগাতো। এটা কেনো সঠিক নয় বোঝার জন্য তোমাকে জানতে হবে কি করে খাবার অন্ত্রে পরিবাহিত হয়। খাবার কি মধ্যাকর্ষণ বলের কারণে অন্ত্রে প্রবাহিত হয়? উত্তর হচ্ছে না, খাবার প্রবাহিত হয় এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম অনুঘটিত পেরিস্টালসিস নামক একটি প্রক্রিয়ায় যেটি কিনা অন্ত্রের দেয়াল আচ্ছাদনকারী স্মুথ-মাংশপেশীর সিনক্রোনিক সংকোচন প্রসারণ। পেরিস্টালসিস যদি ভাটিতে হয় খাবারের সাধ্যই নেই উজানে প্রবাহিত হবার। একেবারেই যে নেই তা নয়, লোয়ার ইসোফেগাল স্ফিঙ্কটারের সিঙ্ক্রোনী বাধাগ্রস্থ হলে পাকস্থলীর আম্লীয় তরল দেখে থাকবে ইসোফেগাসে ঢুকে পড়ে, যেটাকে বলে কিনা হার্টবার্ন, যেটার জন্য আমরা এন্টাসিড সেবন করি। তবে পেরিস্টালসিসের উল্টাদিকে খাবার উঠে আসার ঘটনা খুবই বিরল, দৌড় লাগানোর ঘটনা অসম্ভব। এটা হতে পারে একমাত্র যদি কিনা ব্রেইনস্টেমের বমন কেন্দ্র (vomitting centre) ফায়ার করে তাহলেই বমির মধ্য দিয়ে। আর বমিতে উঠে আসা তরল বৃহদান্ত্র থেকে আসে না বলাই বাহুল্য, সেটা হবে লন্ডন ঘুরে মক্কা যাওয়ারই নামান্তর তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণভাবে সেটা হবে একটা নোংড়া নোংড়া ব্যাপার! নাকি তুমি চাও তোমার বমি বৃহদান্ত্র থেকে উঠে আসুক?
এছড়াও তুমি যে বলেছো সিকাম না থাকলে কাইম সোজা পায়ুপথের দিকে দৌড় দিতো এটাও ঠিক না। কেননা আমাদের বৃহদান্ত্রে পেরিস্টালসিস হয় ঘন্টায় মাত্র দুইবার, এছাড়াও সিকাম অন্ত্রের একটি ছোট অংশ, সিকামের পরও ১.৫ মিটার লম্বা বৃহদান্ত্রের সম্পুর্ণটুকুই বাকী থেকে যায় আরোহী, ট্রান্সভার্স ও অবরোহী কোলন এবং মলাশয় রূপে। এই দুরত্ব পাড়ি দিতে কাইমের লাগে ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা। বৃহদান্ত্রে কাইমের চো চো দৌড় দেওয়া সম্ভব শুধু মাত্র তখনই যখন কিনা গ্যাস্ট্রোকোলিক রিফ্লেক্স সূচিত হয়। নতুন করে খাবার খেলে এই রিফ্লেক্স সূচীত হয়, নতুন খাবারের জায়গা দেওয়ার জন্য বৃহদান্ত্র দ্রুত কয়েকটি পেরিস্টালসিসের মাধ্যমে খাবার মলাশয়ে পাঠিয়ে দেয়। তারপর যে বললে মল সিকামের দেয়ালে চাপের সৃষ্টি করে মলত্যাগ রিফ্লেক্স সূচীত করে এটাও ভুল। সিকামের সাথে মলের কোন সম্পর্কই নেই। সিকাম সহ সম্পুর্ণ বৃহদান্ত্রের মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হয়ে কাইম মলাশয়ে এসে মলে পরিনত হয়। এবং মলাশয়ের গায়ে রয়েছে সেই প্রেসার রিসেপ্টরগুলো যেগুলোর কথা তুমি বলছিলে যে সক্রিয় হয়ে মলত্যাগ রিফ্লেক্স সূচীত করে। তারপরও মলত্যাগ রিফ্লেক্সকে ওভাররাইট করতে কিন্তু মানুষ শিখে যায় দুই বছর বয়সের মধ্যেই। দুই বছর বয়সের পর থেকে আমরা আর রিফ্লেক্সে মলত্যাগ করি না আমরা সেটা স্বেচ্ছায় করি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিকামের কাজ কি? ওয়েল সিকামের কাজ আর আপেন্ডিক্সের কাজ একই, এরা ব্যাক্টেরিয়া হার্বার করে। স্তন্যপায়ীদের সেলুলোজ শর্করা ভাঙ্গার কোনই ক্ষমতা নেই। কিন্তু তৃণভোজীদের খাবারের আবার একটা উল্লেখযোগ্য অংশই সেলুলোজ। মানুষের মতো তারা যদি সেলুলোজ না ভেঙ্গে মলের সাথে বের করে দেয় জীব পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে না, কেননা এমনিতেই তৃণ মাংসের চেয়ে অনেক কম পুষ্টিকর। এজন্যই দেখবে তৃণভোজীদের সারাদিনই খাদ্যগ্রহন করতে হয়। এটা সত্যি এমনকি জীবেদের ক্ষেত্রেও ট্যাক্সোনমিগতভাবে যারা কিনা মাংশাসী কিন্তু ভিন্ন নির্বাচনী চাপ যাদেরকে তৃণসম্বৃদ্ধ খাদ্যগ্রহনে অভিযোজিত হতে বাধ্য করেছে যেমন পান্ডা। মানুষ খুব একটা তৃণভোজী নয়, হলেও মানুষের উপর এমন কোন নির্বাচনী চাপ নেই যে এদের সব সেলুলোজ ভেঙ্গে পুষ্টি আহরণ করতে হবে। তাই নলাকৃতির বৃহদান্ত্রে সিকাম, আপেন্ডিক্সের মতো থলে আকৃতির এমন কোন অঙ্গেরও প্রয়োজন আমাদের নেই যেটাতে কিনা আমাদের ব্যাক্টেরিয়া হার্বার করতে হবে সেলুলোজ ভাঙ্গার জন্য। সেলুলোজ ভেঙ্গে আমাদের যেই লাভ হবে এর চেয়ে অনেক অনেক বেশী ক্ষতি হবে কোনভাবে যদি আপেন্ডিক্স প্রদাহি হয়ে পড়ে। আর আপেন্ডিক্স প্রদাহী হলেই কেনো ডাক্তার আর অন্য কোন কথা চিন্তা না করে সোজা আপেন্ডিক্স কেটে ফেলে জানতে চাও? ওয়েল। প্রদাহী আপেন্ডিক্স প্রথমত যন্ত্রনাদায়ক; আর দ্বিতীয়ত প্রদাহ ছড়িয়ে পড়, শক্তিশালী হয়। আপেন্ডিক্সের প্রদাহ যদি কোনভাবে তোমার পেরিটোনিয়াম ফাটিয়ে দেয় মৃত্যু ছাড়া আর কন গতি নেই প্রায় ১০০% ক্ষেত্রেই। তোমার আবদার কি, প্রদাহী আপেন্ডিক্স রোগীর শরীরে রেখে দিতে হবে, বর্বর? আর আপেন্ডিক্স ফেলে দিলে কি কি লস অফ ফাঙ্কশন প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় মানব-ফিজিওলজিতে? ওয়েল, কিছুই না। সেলুলোজ ভাঙ্গার আরেকটি সমস্যাও রয়েছে। ব্যাক্টেরিয়া কর্তৃক সেলুলোজের ভাঙ্গন উতপাদন করে কার্বনডাইঅক্সাইড, মিথেন ও হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস। মানে হচ্ছে গিয়ে it produces lots of air! এবং হাইড্রোজেন সালফাইডের উপস্থিতি সেই এয়ারের গন্ধটাও কিন্তু সাজেস্ট করে। ন্যাচারাল সিলেক্সনে না হলেও এই ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে সেলুলোজ ভাঙ্গা মনে হয় সেক্সুয়াল সিলেক্সনই নাবোধকভাবে নির্বাচিত করতো, কি বলো? অথবা হতে পারে এয়ার তুমি খুব পছন্দ করো, কোন হাদিস থেকে থাকতে পারে তোমার এই পছন্দের সমর্থনে হয়তো, যেমন উষ্ট্রমূত্র পছন্দকারীদের সমর্থনে রয়েছে।
এছাড়াও ভাবো কোলোস্টমি শল্যচিকিতসার কথা। কোলনের যে কোন অংশ আমরা বাইপাস করতে পারি অথবা জোড়া দিতে পারি। যদিও বেশীরভাগ কোলোস্ট্রোমিই করা হয় লোয়ার কোলনে, তারপরও আপার কোলনেও কিন্তু কোলোস্ট্রোমি সমানভাবেই কাজ করবে। তোমার দাবী যে সিকামের অভাবে আমরা সবাই কুঁইই করে মরে যেতাম সত্য কেনো নয় এটাও কিন্তু প্রমান করে। সিকামের ব্যাক্টেরিয়া হারিয়ে আলাদা কোন ফিটনেসের ঘাটতি হয়না আমাদের। যা ঘাটতি হয় তা কোলনের অন্য যে কোন অংশে কোলোস্টমি করলে যেই ঘাটতি হতো ঠিক তারই সমান। কলোরেক্টাল ক্যান্সারের একটি প্যালিয়েটিভ চিকিতসা এই কোলোস্টমি। এখন তুমি যদি গো ধরো যে তুমি কলরেক্টাল ক্যান্সারে মরবে তাও তোমার ব্যাক্টেরিয়া হারাবে না, ওয়েল এতে বিশ্বজগতের উপকার বৈ অপকার তো কিছু হয় বলে মালুম হচ্ছে না।
তারপর তুমি ইমিউনোলজি নিয়ে লাগলে। প্রথম কথা হচ্ছে লিম্ফ টিস্যু বলে কোনকিছু নেই, লিম্ফ হচ্ছে তরল যা কিনা দুটি কোষের মধ্যবর্তী স্থান দখল করে থাকে। সঠিক শব্দটি হবে লিম্ফ্যাটিক বা লিম্ফইড টিস্যু। কোষ জীববিজ্ঞানীরা যেই তরলকে বলে ইন্টারস্টিশিয়াল তরল, আনাটমিস্টরা সেটাকেই বলে লিম্ফ। আমাদের সঞ্চালন ব্যাবস্থাকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। ১। রক্তসঞ্চালন ব্যাবস্থা ২। লিম্ফ সঞ্চালন ব্যাবস্থা। রক্তসঞ্চালন ব্যাবস্থা যেমন একক কোষলেয়ার আচ্ছাদিত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নালী ক্যাপিলারিতে বিভক্ত হয়ে কোষে কোষে পুষ্টি পৌছে দেয় ও বর্জ সংগ্রহ করে, লিম্ফ্যাটিক সঞ্চালন ব্যাবস্থাও তেমনি কোষেদের মধ্যবর্তী ইন্টারস্টিশিয়াল তরল লিম্ফ্যাটিক ক্যাপিলারিতে গ্রহন করে পরিবাহিত করে দুই ঘাড়ের কাছে অবস্থিত দুটি থোরাসিক ডাক্টের মাধ্যমে রক্তে ফেরত পাঠায়, লিম্ফ্যাটিক সঞ্চালন না থাকলে অস্মোটিক প্রেসারেই আমাদের টিস্যু ফেটে যেতো। লিম্ফ্যাটিক সঞ্চালনের কোন পাম্প নেই, রক্ত সঞ্চালনের যেমন রয়েছে হৃতপিন্ড। লিম্ফ পরিবাহিত হয় কঙ্কালগত মাংশপেশীর সঙ্কোচন প্রসারণের জন্য। বিজ্ঞানীরা যে বলে শরীরচর্চা করার জন্য, একারণেই বলে। পাম্পহীনতার কারণে অনিরবিচ্ছিন্ন লিম্ফ সঞ্চালন ব্যাবস্থায় তাই দরকার হয় নির্দিষ্ট স্থান পর পর একটি সংগ্রহকারী থলে যেটাকে কিনা বলে লিম্ফ নোড। এই লিম্ফ নালীতে এবং নোডেই থাকে লিম্ফইড টিস্যু যেগুলো কিনা নিছকই সাধারণ কানেক্টিভ টিস্যু যেমন স্মুথ-মাংশপেশী। পার্থক্য শুধু একটাই এই কানেক্টিভ টিস্যু জালের মতো নিজের মধ্যে ধরে রাখে বহু সংখ্যক শ্বেতরক্তকোষ যেমন লিম্ফইড ও মাইলয়েড কোষ। আর মানবদেহের সার্বিক প্রতিরক্ষার দায়িত্বও লিম্ফ টিস্যুদের উপর অর্পিত থাকে না। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার কোন একটি কিছুকেই যদি সার্বিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলা লাগে, সেটি হবে রক্ত। রক্তপ্রবাহই সঞ্চালিত করে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শ্বেতকোষ। এছাড়াও রক্তসঞ্চালন পাম্পচালিত বিধায় রক্ত অনেক অনেক বেশী তরল অনেক বেশী সহজগম্য। খুবই অল্পসময়ে এটা অসংখ্য এন্টিবডি একটি এন্টিজেনের মুখোমুখী করার মধ্য দিয়ে এন্টিবডি এন্টিজেন বন্ধন সূচনা করে প্রতিরোধ রেসপন্স চালু করতে পারে। লিম্ফ্যাটিক সঞ্চালনের এই সুযোগগুলো নেই। আমাদের প্রতিরোধ ব্যাবস্থার ক্যাপ্তেনই যদি বলা লাগে, ক্যাপ্টেন বলতে হবে আমাদের ইনেট প্রতিরোধ ব্যাবস্থাকেই। ইনেট প্রতিরোধ ব্যাবস্থার অভাবে আকয়ার্ড প্রতিরোধ ব্যাবস্থা একটি চাকা বিহীন গাড়ি ছাড়া কিছু নয়। আর আকোয়ার্ড প্রতিরোধ ব্যাবস্থাতেও তুমি যদি আরেকটি ক্যাপ্টেন চাও সেটা হবে এন্টিবডি অনুঘটিত হিউমোরাল প্রতিরোধ ব্যাবস্থা। এই অস্ত্রগুলো ব্যর্থ হলেই কেবল আমাদের টি লিম্ফোসাইট অনুঘটিত কোষীয় প্রতিরোধ ব্যাবস্থা যেটার কথা তুমি বললে সেটা কাজে নামে।
তারপর তুমি বলছো টি লিম্ফোসাইট টিউমার কোষ আর ভাইরাসকে হত্যা করে। না, ভাইরাসকে হত্যা করে না, ভাইরাসকে হত্যা করার কোন কার্যকর প্রক্রিয়া আমাদের নেই, সিডি৮+ সাইটোটক্সিক টি লিম্ফোসাইট হত্যা করে হচ্ছে ঐসকল কোষকে যারা কিনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে। আর টি লিম্ফোসাইট লিম্ফ নোডকে বি লিম্ফোসাইট তৈরীর প্রেরণাও দেয় না। লিম্ফ নোড না লিম্ফ নোডের বাবারও সাধ্য নেই বি লিম্ফোসাইট বানানোর যতোই প্রেরণা, উতসাহ ও উদ্দীপনাই তাকে দেওয়া হোক না কেনো। যে কোন লিউকোসাইট, লিম্ফোসাইট, মনোসাইট, এরিথোসাইট সবই বানায় হচ্ছে গিয়ে বোনম্যারোতে প্রতি ১০,০০০ এ ১ টি করে যেই হিমাটোপোইটিক স্টেম সেলগুলো থাকে তারা। আনডিফ্রেন্সিয়েটেড লিম্ফোসাইট মাইগ্রেট করে লিম্ফনোড সহ অন্যান্য বহু জাগায়, বি লিম্ফোসাইট এখানে অবস্থান করে নাইভ সেল হিসেবে। এই নাইভ সেলকে প্লাজমা সেলে ডিফ্রেন্সিয়েট করতে হয় এন্টিবডি বানাতে হলে, এই ডিফ্রেন্সিয়েশনের সঙ্কেত পায় নাইভ সেল একটিভেটেড সিডি৪+ টি লিম্ফোসাইট থেকে। আর এন্টিবডি জড়ানো বি লিম্ফোসাইটের ছবি কোথা থেকে পেলে হে? বি লিম্ফোসাইট যেটি কিনা প্লাজমা কোষের একটি প্রজেনিটর কোষ, তা এন্টিবডি বানিয়ে নিজের শরীরে জড়িয়ে রাখে না, রাখলে তোমার ইমিউন রেসপন্স কাজ করতো না। প্লাজমা সেল মানেই হচ্ছে সিক্রিটরি সেল, এটা এন্টিবডি রক্তে সিক্রিট করে এক্সোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়। জেনে থাকবে হয়তো এন্টিবডি আর ইমিউনোগ্লবুলিন একই প্রোটিন হলেও একই জিনিষ নয়, ইমিউনোগ্লবুলিন থাকে ঝিল্লীর সাথে বন্ধনরত অবস্থায় আর এন্টিবডি হচ্ছে সিক্রিটেড ইমিউনোগ্লবুলিন যেটা কিনা চোখের পানি, লালা, রক্ত ইত্যাদি দেহজ তরলে প্রবাহিত হয়। তোমার এই দাবিটিও সঠিক না যে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাগায় লিম্ফ্যাটিক টিস্যু থাকে, তুমি নিজেই তার একটু আগে বলেছো যে লিম্ফ্যাটিক টিস্যু থাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত সারা শরীর জুড়ে, যেটা কিনা সত্যি। বস্তুত লিম্ফ নোড যেখানে আছে সেখানেই লিম্ফ্যাটিক টিস্যু আছে, আর লিম্ফ নোড আছে সারা শরীর জুড়ে তাই লিম্ফ্যাটিক টিস্যুও আছে সারা শরীর জুড়েই। শুধু খালি তোমার আপেন্ডিক্সকে আলাদা করে বলার কারণ কি শুনি?
তারপর তুমি আপেন্ডিক্সের রক্তসংবহনতন্ত্র দেখিয়ে বলছো এই নিষ্ক্রিয় অঙ্গে এতো রক্তসঞ্চালন কেনো। ওয়েল, শুধু আপেন্ডিক্সেই নয় এপিডার্মিস (চামড়ার সবচেয়ে উপরের অংশ পায়ের পাতায় যার সর্বোচ্চ পুরুত্ব হতে পারে .৫ মিমি) ছাড়া তোমার শরীরের আর সমস্ত টিস্যুতেই রক্তসংবহনতন্ত্র রয়েছে। ফিজিওলজি এই বলে কাজ করে না যে- ‘এই টিস্যুর কাজ নেই কোন, একে রক্তনালী দিবো না’ ইত্যাদি। একটি টিস্যু .৫ মিমির চেয়ে বড় হলেই এটা আর পার্শ্ববর্তী কোষের ডিফিউসন দ্বারা চলতে পারে না, এটি অক্সিজেন পাবে না, পুষ্টি পাবে না, বর্জ নিষ্কাশন করতে পারবে না। ফলে তার প্রয়োজন হবে নিজস্ব রক্তনালী। এজন্য .৫ মিমি অতিক্রম করলেই একটি টিস্যু হাইপক্সিক বা অক্সিজেনস্বল্প হয়ে পড়ে এবং একটি সংকেত সংবহন গমনপথ সক্রিয় করে যাকে বলা হয় ভাস্কুলার এন্ডোথিলিয়াল গ্রুথ ফ্যাক্টর গমনপথ। এই ভাস্কুলার এন্ডোথিলিয়াল গ্রুথ ফ্যাক্টর প্রথমত একটি কিমোআট্রাক্টেন্ট যার টার্গেট হয় কিনা সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা ক্যাপিলারির এন্দোথিলিয়াল কোষগুলো। এবং যেহেতু এটি একটি গ্রুথ ফ্যাক্টর তাই বলাই বাহুল্য যেই সংকেত এটি সংবহন করে সেটি একটি প্রলিফেরেটিভ বা বিভাজনসূচণাকারী সঙ্কেত। এই সংকেতের চূড়ান্ত ফল হয় গিয়ে- ক্যাপিলারির এন্ডোথিলিয়াল কোষ বিভাজিত হয় এবং যেহেতু ভাস্কুলার এন্ডোথিলিয়াল গ্রুথ ফ্যাক্টর একটি কিমোআট্রাক্টেন্ট, বিভাজিত হয় সেই দিকে যেই দিক থেকে কিনা এই সঙ্কেতটি আসছে। ফলে ক্যাপিলারি হাইপক্সিক টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। এটাই স্বাভাবিক যে একটি টিস্যু সংবহনতন্ত্রের দুই ধরণের ক্যাপিলারি যথা- এন্ডোথিলিয়াল ক্যাপিলারি ও লিম্ফ্যাটিক ক্যাপিলারি দ্বারা যোগানপ্রাপ্ত হবে। এরা হচ্ছে টিস্যুর সাপ্লাই লাইন, এরা না থাকলেতো টিস্যু মরেই যাবে। লিম্ফ্যাটিক ক্যাপিলারিও এই একই লিম্ফ্যাঞ্জিওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারে উপযুক্ত সঙ্কেত পেলে। একটি টিস্যুর ক্যাপিলারি থাকবেই, তুমি যদি বরং এমন কোন টিস্যু পাও যেটার কিনা এঞ্জিওজেনিক বা লিম্ফ্যাঞ্জিওজেনিক ক্ষমতা নেই তাহলেই বরং তুমি বিবর্তনকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারো। অপ্রয়োজনীয় টিস্যুতে যদি শরীরের ক্যাপিলারি না দেওয়ার ক্ষমতাই থাকতো তবে আমরা আর ক্যান্সারে আক্রন্ত হতাম না, ম্যালিগ্নেন্সি .৫মিমি এর চেয়ে বড় হয়ে গেলে পুষ্টিশূণ্যতাতেই এর চেয়ে বড় হতে পারতো না আর। বলাই বাহুল্য এই একই ভাস্কুলার এন্ডোথিলিয়াল গ্রুথ ফ্যাক্টর গমনপথ ব্যাবহার করে টিউমারও নিজের ক্যাপিলারি প্রাপ্তি নিশ্চিত করে, তাই ভাস্কুলার এন্ডোথিলিয়াল গ্রুথ ফ্যাক্টর রিসেপ্টর ইনহিবিটর যেমন- বিভাসিযুমাব(ট্রেডমার্ক-আভাস্টিন)ব্যাবহার করি আমরা এন্টিক্যান্সার ড্রাগ হিসেবে। তারপর তুমি জানতে চাইলে আপেন্ডিক্সের সাথে বৃহদান্ত্র না ক্ষুদ্রান্তের মিল বেশী। ওয়েল আপেন্ডিক্স যেহেতু বৃহদান্ত্রেরই একটি অংশ, বলাই বাহুল্য বৃহদান্ত্রের সাথেই এর মিল বেশী হবে।
যাই হোক, ভেস্টিজ নিয়ে যে তুমি এতোবড় লেখা লিখে ফেললে একবারও ভেস্টিজ কাকে বলে তার সংজ্ঞা কেনো দিলেনা শুনি? সংজ্ঞাটাকি আমি দিবো? ওয়েল,ভেস্টিজ হচ্ছে এমন কার্যক্ষম একক (যেমন- অঙ্গ, অঙ্গানু, জিন, প্রোটিন ইত্যাদি) যা কিনা তার প্রাথমিক কার্যক্রম হারিয়েছে। শুধু অঙ্গ না আমাদের শরীরে হাজার হাজার ভেস্টিজ জিন রয়েছে। আমার প্রোফাইলে গিয়ে আমার লেখা দ্বিতীয় পোস্টটিতে দেখবে এইরকম একটি ভেস্টিজ জিন সুডোজিটা গ্লবিন নামে, যেটি কিনা আলফা গ্লবিন ক্লাস্টারে এখনও রয়ে গিয়েছে সুডোজিন রূপে। এছাড়াও রয়েছে ভেস্টিজ প্রোটিন। যেমন- ইঁদুরের মায়োগ্লবিন নকআউট করে আমরা দেখেছি এটা ফিটনেস একফোঁটাও কমায় না। কমানোর কথাও না। ভেস্টিজ অঙ্গের ব্যাপারতো তোমার কাছ থেকে শিখলাম, এইবার ভেস্টিজ আরও কিছু জিন ও প্রোটিন নিয়ে লিখো আমরা দেখি, কেমিস্ট্রিতে তোমার দখল কতো। উইকিপিডিয়া পড়েতো আনাটমি শিখে ফেলেছো সুন্দর দেখি কেমিস্ট্রি তুমি কি করে উইকিপিডিয়া পড়ে শেখো।
তুমি বলেছো একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা মেডিসিন ছাত্র নাকি ভেস্টিজের কথা শুনলে মরেই যাবে। তোমাকে আমি একটা হোমওয়ার্ক দিচ্ছি। পাবমেড.কমে যাও, লাইফ সায়েন্স আর বায়মেডিকাল সায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি যতো উপাত্ত উতপাদন করে তার সব এইখানে জমা হয়। এখানে পাবমেড একটি আলাদা ডাটাবেইজ রক্ষণাবেক্ষণ করে যেটিকে কিনা বলা হয় পাবমেড সেন্ট্রাল, এটি মূ্লত একটি সাইটেশন ডাটাবেইজ। বের করতো এখান থেকে চার্লস ডারউইনের অরিজিন অফ স্পিসিসের চেয়ে বেশী সাইটেশনপ্রাপ্ত কয়েকটি (অন্তত পাঁচটি) বই কিংবা পেপার। আমি বলছি না যে অরিজিনের চেয়ে বেশী সাইটেশন আর কোন সৃষ্টকর্ম পায়নি, আমি শুধু চাই তুমি নিজে খুঁজে দেখো কতোটি সাইটেশন অরিজিন পেয়েছে এবং কতোটা খাটনি তোমার করা লাগে অরিজিনের চেয়েও বেশী সাইটেশনপ্রাপ্ত চার-পাঁচটি সৃষ্টকর্ম খুঁজে পেতে। এবার বের করো এই সাইতেশনগুলির কয়টি নেইচারে বা সায়েন্সে; যেই পেপারটি অরিজিন সাইট করেছে তার প্রথম অথার কে, তার ব্যক্তিগত ইম্প্যাক্টফ্যাক্টর কতো সেটাও বের করে আমাকে বল দেখি তোমার মতো একটি গ্যাস্ট্রএন্টরোলজিস্টের স্পেকুলাম যন্ত্রের কথা ঐসকল গবেষকদের কথার চেয়ে বেশী গ্রহনযগ্য হয়ে যায় কিভাবে? নেইচারের প্রতি সংখ্যায়ই তো অরিজিন ডজনখানেকবার সাইটেড হয়। আমি জানি এখন তুমি কি বলবে। তুমি এখন বলবে নেইচার হচ্ছে হাক্সলিদের মতো অস্ত্রধারী বিবর্তনবাদী নাস্তিকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। হ্যা সেটা ঠিক, তারপরও নেইচার কিন্তু পৃথিবীর সর্বোচ্চ ৩৪ ইম্প্যাক্টফ্যাক্টরপ্রাপ্ত একটি জার্নাল। অপরপক্ষে তোমার জার্নাল অফ কার্ডিওলজির ইম্প্যাক্টফ্যাক্টর কতো? ওয়েল ৩.১। ৩.১ ইম্প্যাক্টফ্যাক্টরপ্রাপ্ত একটি জার্নাল ‘আল্ল আছে’ শিরোনামে পেপার লিখবে এটাই স্বাভাবিক না লিখলেই বরং সেটা অস্বাভাবিক হতো। আর এটা দেখে তোমাদের মতো কয়েকটি মাপেটের আনন্দে ওর্গাজম হয়ে যাবে সেটাও স্বাভাবিক। এই ধরণের জার্নালে লেখা হয় এই ধরণেরই পেপার যেমন- পাপ, অসুস্থতা ও পাপমুক্তি (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/16864136), এইচআইভি শাস্তি হলে অপরাধীটা কে (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/11961699) ইত্যাদি।
যাই হোক উপসঙ্ঘারে তোমাকে কি একটা অনুরোধ করতে পারি? তোমাদের দলনেতা হয়রান আমাদের মতো বিবর্তনবাদিদের উপর নাকি শুনেছি ওর পাঁচ বছরের সন্তানকে লেলিয়ে দিতে চায়। এই ব্যাপারটাতো হুমকীজনক নাকি? কেনো এটা হুমকীজনক বুঝতে হলে তোমাকে খানিকটা মেন্ডেলিয়ান জেনেটিক্স জানতে হবে। হয়রান বলছে যে সে এমন একটা জীব আমাদের উপর লেলিয়ে দিবে যেই জীবটির সাথে কিনা তার জেনেটিক সাদৃশ্য পাক্কা ৫০% যদি কিনা অন্যান্য সকল অনুমিতি ঠিকঠাক থাকে। এই জীবটির বয়স পাঁচ বছর হোক আর পাঁচশো বছর হোক we don’t care! এটা কি একটু বেশী নির্দয় সিদ্ধান্ত হয়ে যায় না? মানে এখনই একটা হয়রানের যন্ত্রনায় আমাদের নাভীশ্বাস, এটির সাথে যদি আরও অর্ধেকটা হয়রান এসে যোগ হয় তাহলে আমরা ইফেক্টিভলি পেতে যাচ্ছি দেড়টি হয়রান, আমরাওতো মানুষ নাকি, এইরকম একটা নির্দয় সিদ্ধান্ত নিতে ওকে মানা কোরো।
তোমার বিতর্ক তো তুমি পেলে। খুব সম্ভবত এইবার এটা তোমার দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে যে তোমার হোকাস পোকাস বিজ্ঞানের জবাব দিতে গিয়ে একজন মুক্তমনা হাতে কাদা লাগিয়েছে, যদিও আমি জানি এই পোস্ট তুমি আর তোমার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রত্যেকেই দেখছো। অথবা তালগাছটা তুমি তোমার বগলে রেখে দিয়েই ঘোষণা দিবে যে সহস্র মানুষের বর্ণনাতীত পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই জ্ঞানের চেয়ে কেনো তোমার অলস মস্তিষ্কের অকর্মা ফ্যান্টাসিই বেশী মূ্ল্যবান। যেটিই তুমি করোনা কেনো মানুষজন কিন্তু প্রত্যেকেই দেখেছে কতোটুকু তুমি জানো, কতোগুলো ভুল তুমি করেছো আর কি বেরিয়ে এসেছে তোমার লেখা থেকে। এইসব বিশ্লেষণ করে আমার এই একমুখী আদান-প্রদানকে তুমি যদি তোমার সাথে বিতর্কও এমনকি বলো, কি মনে হয় তোমার এই বিতর্কে কার জয়লাভ হয়েছে? তোমার ভবিষ্যতের যে কোন একটি অনাগত সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি অমানুষের খোলস ভেঙ্গে তুমি যদি একটা মানুষ হয়ে উঠো, আমার চেয়ে খুশী আর কেউ হবেনা। সেইরকম একটি সকাল তোমার জীবনে আসুক এই প্রতীক্ষায়- আল্লাচালাইনা।
আমার ধারণা সদালাপ আমরা ছাড়া আর কেউ পড়ে না, ভুল থাকলে ভাঙ্গায়া দিয়েন।
@ধ্রুব,
এখন অনেকে জানলো, তাঁদের কিছু পাঠক বাড়লো 😀 ।
আমার মনে হয় এই লেখাটি নিয়ে অনেক কথা বলা হয়ে গেছে। ফরিদভাই আর শাফায়েতের কথাই ঠিক মনে হচ্ছে। আমরা যত ওদের নিয়ে কথা বলছি, তত নিজেদেরকে ঐ লেভেলে নামিয়ে আনছি।
সবাইকে অনুরোধ করছি প্রলাপ নিয়ে না পড়ে থেকে মুক্তমনার অন্য লেখায় মনোনিবেশ করতে। আশা করছি সবাই আমার এই অনুরোধটি রাখবেন।
@অভিজিৎ,
:yes: :guru: :clap2: :clap2: :clap2: :clap2:
@অভিজিৎ,
একেবারে ঠিক বলেছেন। আমার মনে হয় ইসলামকে বোঝার জন্য একটি শক্তিশালী মডেলের যোগান দিতে পারে সদালাপ। মাত্র পাঁচ জন সদস্য নিয়েও মুক্তমনা থেকে কোন প্রকার মনোযোগ লাভ করার ক্ষেত্রে তারা সফল হলে এটা শুধু এ কারণেই। ওরা একটা সুন্দর এক্সপেরিমেন্টাল মডেল যার উপর হাইপথেসিস টেস্ট করা যায়। মোর্শেদের গ্রস্ট্রোএন্টেরোলজি কয়েকদিন সদালাপিদের বেশ ফাইটে নিয়ে আসছিলো। এমনকি যেদিন হোরাস তার লেখাটা প্রকাশ করে সেদিনও কতো বড় নির্লজ্জ এরা- মোর্শেদ তার আনাটমি পোস্টের ষষ্ঠ পর্ব নামায়, আর হয়রান তার পোলা নামানো পোস্টের তৃতীয় পর্ব নামায়। এই লিখাটা লিখে আমার মনে পারলেও পারতো এদের ফাইট মুডকে ফ্লাইট মুডে নিয়ে যেতে। দেখা যাচ্ছে আমার এই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পুর্ণ মিথ্যা করে দিয়ে মোর্শেদ আমাকে নিয়ে নতুন সিরিজ লেখা শুরু করেছে। মোর্শেদের ফ্লাইট কিন্তু ঠিকই এসেছে, কতো সাবমিসিভ সে এইবার। ভালো ব্যাবহার করে ও কেনো আমাকে ভুলিয়ে দিতে চায় এটা যে ‘ও একটা ছাগু’ সোজা ব্লগিয় বাঙ্গলায়। এটা আমারও মত যে আমরা অন্য কোনদিকে মন দেই। যথেষ্ট হয়েছে, আমি গতকাল অনুপস্থিত ছিলাম বলে কয়েকটি মন্তব্যের উত্তর হয়তো আমি দিবো, তবে সদালাপিদের নিয়ে আলাপে রত হয়ে আমরা আরও সময় নষ্ট করি এটা আমিও চাইনা। আমাদের কাছ থেকে অট্টহাস্য ছাড়া তাদের কিছুই পাওয়ার নেই।
সবাইকে অনুরোধ করছি প্রলাপ নিয়ে না পড়ে থেকে মুক্তমনার অন্য লেখায় মনোনিবেশ করতে। আশা করছি সবাই আমার এই অনুরোধটি রাখবেন।
বিশেষ করে আমি একটা লেখা পোস্ট করেছি,ওটায় 😀 ।
সিরিয়াসলি,আলোচনা খুব দুর্গন্ধময় হয়ে যাচ্ছে,এবার সবাই থামুন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
মন্তব্য করলাম 😀 ।
লেখক যে চিকিৎসাশাস্ত্রে বেশ জানেন তা দেখে বেশ ভাল লাগলো। ওনার জ্ঞান আমার কাছে ঈর্ষনীয় (প্রশংষামুলক)। এমন জ্ঞানী মানুষ আসলে একটু রাগী হয়।রাগ টা তাদের মানায় ও।বাংলার অনেক নামকরা ব্যাক্তিত্ব ছিলেন ওনার মতই রাগী মানুষ। আসলে বিদ্যা চর্চা সহজ না তো, তার উপর উনি প্রায় মুর্খ মানুষদের জ্ঞানদান করেন সুতরাং, রাগ তো করবেই। অজ্ঞতা একরকম অসুখ ই তো! যিনি অসুখ সারাবেন তার আবার বিনয়ের কি দরকার।তিনি কথা বলবেন এবং ফলাফল দিবেন এটাই তো মুল। বিনয় বাবু তো অদরকারি এলিমেন্ট সমাজে। যাক,যানি না,কয় শব্দে মন্তব্য শেষ করা দরকার,কমবেশি হলে আবার আমি ও না ওনার রাগ বাড়িয়ে দেই।
শেষ করতে চাই একটা কথা, আসলে কথা না, একটা আতংক প্রকাশ করে,লেখক কে আমার পেশায় “ডাক্তার” মনে হয়েছে, এবং উপরে উনি বলেছে
আমি ও আমার পরিবার ধর্মের মাঝে শান্তি পাই, এবং মাঝে মাঝে হাসপাতালেও যাই, তাই আমার কল্পলোকে ভেসে উঠলো যে, আমি বা আমার পরিবার হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বিছানায় শুয়ে আছি, এবং আমার কাছাকাছি ই আছেন,নীল মাস্ক মুখে লাগানো এক ডাক্তার যিনি পকেট পুরে “প্যারাসিটামল” নিয়ে সুযোগ খুজছেন যে,কখন “প্যারাসিটামল ওভারডোজ দিয়ে” আমাকে ( গুইসাপ, মুখে দাড়ি) চিরবিদায় জানাবেন। যদিও এটা হলিউডি সাইকোপ্যাথিক ডাক্তারের ছবির কাহিনীর মত শুনায় তবে,ওনার লেখা পড়েই আমার ভাবনায় এসেছে তবে, এই আশংকাটা অমুলক এবং “গুইসাপীয়” ভাবনাই।
অবশেষে, লেখকের জন্য রইল শুভকামনা, উনি ওনার লড়াই চালিয়ে যাক, আর একটা প্রশ্ন এই লড়াই টার নাম দেয়া যার লেখক সাহেব? যেমন ধরুন, “নাস্তিকের জিহাদ” :guli: , “ডিজিটাল কারবালা”, বা,”বলবো কথা নেটে নেটে” অথবা, ” পালিয়ে যা গুইসাপ”?
আইডিয়া পছন্দ না হলে ফেরত নেব তবে ভাই, রাগ করবেন না আমার উপর দয়াকরে।
ভাল থাকবেন, আপনার জন্য শ্রদ্ধা,
নামপরিচয় গোপনকারী,ছদ্দবেশী “গুইসাপ”
@Theist,
আমার এইটাই পছন্দ হয়েছে।
বিজ্ঞান কোরান বিজ্ঞান কোরান…..উফফফ….এই ক্যাচাল আর শেষ হলো না! যাই হোউক নবী রাসূলদের বয়স নিয়ে আসলেই একটা ক্যাচাল আছে যেটা এখনই প্রথম না, ছোটবেলা থিকাই শুইনা আসতাছি। এইসব শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা!
তখনকার যুগে আরবরা আসলেই বর্বর আছিলো, না আছিলো কুনো জ্ঞান না আছিলো সভ্যতা। কুটিকালে এক বিজ্ঞ লোকের লেখা থিকাই আইডিয়া খান পাইছিলাম যেইটা আমার পছন্দ হইছিলো। তখন ঐখানকার একেক উপজাতী একেক ভাবে বছর, মাস গননা করতো। চৈনিক গো মতো ৩৬৫ দিনের হিসাব তারা শিখে নাই। তারা সূর্য না ধইরা চান ধরতো!
কোরানে পার্শ্ববর্তী আয়াত থিকা এই হদীছ পাওয়া যায় যেইখানে চাদের হিসাব কইরা চলতে বলা হইছে!
ধারনা করা হয় যখন নূহ আদম ইত্যাদী নবী রাসূলগো টাইমে চাদ দেইখাই এই সময়ের হিসাব রাখতো। কেন রাখতো জানি না, তয় এইটা শুনছিলাম যে তখনকার লেখা ঘাইটা যে আসলে তারা চান্দের মাস বা বছর হিসাব রাখতো!
ঐ হিসাবে দেখা যাইতো মূর্খ আরবরা চাদের মাসরে বছর বইলা ধরতো। এই ধারনায় যে চাদ পুরা কালা হইয়া আবারও পুরা নতুন ভাবে জন্মগ্রহন করতো আর সূর্যর তো ধলা কালা কিছুই নাই, জন্ম হওনের প্রয়াস নাই। যদি আমরা লুনার মান্থ হিসাবে ধরি তাইলে ২৯.১ দিন আর দুই দিন হইলো তার নিজস্ব অরবিট রিফ্রেস! তারপর আবারও সেই ঘুরনি। তাইলে মোটামোটি হিসাবে আমি ১ মাস ধইরা হিসাব করলে ৯০০ বছরের কাহিনী ১২ দিয়া ভাগ দিলে আপনের ৭৭ এর কাছে যায়। সেই হিসাবে কিন্তু ঠিকই আছে যেইটা সমস্যা সেইটা হইলো অকাটমূর্খ আরবগো বুঝানির লিগা ঐ হিসাবে বলা আছে যদিও বলা হয় কোরান সমগ্র মানবজাতীর সব সময়ের কিন্তু মানুষের নানা মত নানা ভেদ আর জ্ঞান বিজ্ঞানের আরও উন্নতির উপর এইসব নির্ভর করে। আরও ডিটেলসে কইতে গেলে যেহেতু আমি আস্তিক সেহেতু আমি আল্লার উপরই ছাইড়া দেই। আর যেহেতু নাস্তিকরা তাগো উপায়ে ভাববো সেহেতু আমার মনে হয় তারা এই হিসাবটা একটু দেখতে পারে যদিও আমার নিজের কাছেও এই হিসাবের পর আরও যেইসব তত্বগত সমস্যা দেখা যায় সেইটার উত্তর নাই, ভাবনের টাইমও নাই!
তয় লেখায় যে অনেক জ্ঞান আছে সেইটা না বইলা পারন যায় না! আর বিশ্লেষনের ক্ষমতা আসলেই ভালো হইছে তবে এইসব ছুটা ফুটা হিসাব নিয়ে লিখলে আলোচনার সুযোগ আরও বেশী পাওয়া যাইতো!
এই সবেমাত্র শুরু, শেষটা মাবুদেই জানে কী হবে। মন্তব্য করার সুবিধার্থে আল মুর্শেদের লেখাটি কি সরাসরি এখানে প্রকাশ করে দেবো, এবং আল্লাচালাইনার লেখা সদালাপে?
@আকাশ মালিক, প্লিজ ভুলেও সে কাজটা করবেন না। এই সব আলোচনা দেখে বুঝতে পারছি কেন ফরিদ আহমেদ এবং রামগড়ুড়ের ছানা প্রথম থেকেই এর বিরোধীতা করেছেন। দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে আমরা এখানে আসি, দুর্গন্ধের তো কোন অভাব নেই, দুর্গন্ধটাই অনেক সময় এই পৃথিবীর ডিফল্ট হয়ে দাঁড়ায়। আমি নিশ্চিত যে মুক্তমনাকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে অনেককেই অনেক কষ্ট করতে হয়। প্রলাপীদের নিয়ে এই পোষ্টের আলোচনা দেখে বহুদিন পরে আমার দাদার একটা কথা মনে পড়ে গেল। ‘গুয়ের পোকা গুএর পাশেই ঘুরঘুর করবে। এক জায়গা থেকে গু সরিয়ে নিলে আরেক জায়গায় গু খুঁজে বের করবে, ওরা কোনভাবেই গু ছাড়বে না। এখন গুয়ের পোকার কাছে যাবি নাকি তাদের থেকে দূরে থাকবি সেটা তোর সিদ্ধান্ত। কিন্তু ওদের কাছে গেলে গায়ে গন্ধ লাগবেই সেটা মনে রেখেই যেতে হবে। গন্ধ না চাইলে ওদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।’
@ফাহিম রেজা,
কথাটা কেন বলেছি, আর কাজটা যে মোটেই করবোনা তা, রামগড়ুড়ের ছানা ও ফরিদ ভাই জানেন। মুক্তমনার জন্যে আপনার উৎকণ্ঠায় প্রীত হলাম।
যেহেতু আল মুর্শেদ নিজেকে নির্দোষ দাবী করছেন। এখনই হয়তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার দাবী উঠতে পারে। তখন হয়তো কিছু দিনের জন্যে মডারেশনের নিষেধাজ্ঞা তোলে নিতে হবে।
@আকাশ মালিক,
না অবশ্যই সেটা করবেন না। করুন এটা মনে হয়না কারোরই পরামর্শ হবে। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি সদালাপিরা আসলে চায় টা কি। আর কিছু না ওরা নিছকই চায় বিতর্ক। মুক্তমনার যে কারও সাথে। অভিজত বা হোরাসের সাথে হলে ভালো হয়, এদের সাথে বিতর্ক করতে পারলে পরবর্তিতে লোক ডেকে দেখানো যায় এইযে দেখো, আভিজিত হোরাসও ইদানিং আমার সাথে বিতর্ক করে। এটা সম্ভব না হলে যে কারও সাথেই। বিশেষ করে হয়রান ছেলেটার দেখবেন অভিজিত বা যে কোন পরিচিত কোন নাস্তিকের মনোযোগ লাভ করার জন্য কতোটা মরিয়া। ওরা আসলে হচ্ছে তর্কজীবি। কখনই কোন ইসলামিস্টকে দেওয়া কোন জবাবের বিরুদ্ধে আসা প্রতিজবাবেরও জবাব আমি দেইনি এবং দিবোনা। মোর্শেদ যা বলতে চায় সে সেটা তার খোপড়ে বসে বলতে পারে। আর ও আমার ভুল ধরতে চায়, আমি বুঝতে পারছি কি ভুল ধরার সামর্থ যে তার রয়েছে। তারা তাদের কাজ করতে থাকুক, আমরা অন্যদিকে মনোযোগ দেই।
@আল্লাচালাইনা,
ওইটা আকাশ মালিক ভাইয়ের জটিল একটি গুগলি ছিল 😀 । সেই কাজ উনি কখনই করতেন না। আর করবেনই কিভাবে? উনার কি সদালাপে একাউন্ট আছে :lotpot: ?
এই উপলব্ধির জন্য অনেক ধন্যবাদ :yes: ।
@স্বাধীন, আরে আপনিও দেখি সিরিয়াসলি নিলেন :laugh: । আকাশ মালিক যে এটা করবে না এটা আমি অন্য যে কারও মতোই জানি। যদি করে তাহলে বুঝতে হবে অবশ্যই আমাদের মধ্যে কোন পূর্বশত্রুতা, জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে।
আমি রামগড়ুড়ের ছানা আর ফরিদ ভাই এর সাথে একমত। রামগড়ুড়ের ছানাের সাথে পুরোই একমত যে এই লেখাটা কিছু অযাচিত শব্দাবলি বাদ দিলে চমতকার একটি লেখা হতে পারত। অনেক কিছুই শেখার ছিল। মোর্শেদ সাহেব যাই বলুন, তাকে তুমি তুমি করার কোন মানে দেখি না।
আক্রান্ত হবার একটি সীমা আছে ঠিক, তবে আমি মনে করি যে প্রতি আক্রমনে যে প্রতিপক্ষ দলের মতই ষ্ট্র্যাটেজি নিতে হবে এমন নাও হতে পারে। এটা কারো ভয়ে ভীত হবার প্রশ্ন না, রুচিবোধ ও কৌশলের ব্যাপার। শেখ সাদীর সেই কবিতার শিক্ষা তো আছেই।
সদালাপে এককালে কিছু লেখা দিতাম, সম্পাদক সাহেবকে সজ্জন বলেই জানতাম, সাইটের মানের ব্যাপারে মনে হয়েছিল ওনার বেশ দরদ আছে। খুব উচ্চমানের লেখা বড় একটা না আসলেও মাঝে মাঝে কিছু ভাল লেখা আসত। সদালাপ ব্লগে পরিবর্তিত হবার পর উনি সেই মানের ব্যাপারে মনে হয় নীতি পাল্টেছেন। যে কেউই সদালাপে ব্লগ হবার আগের ও পরের লেখাগুলির তূলনা করলে মানের ১৮০ ডিগ্রী পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। অন্য ব্লগে প্রকাশিত কোন লেখার সমালোচনা করাই যায়। তবে দিনের পর দিন অন্যান্য ব্লগে শুধুমাত্র কারো বিচ্ছিন্ন দুয়েকটা কমেন্ট কপি পেষ্ট করে তার ভিত্তিতে কিভাবে লেখার পর লেখা কোন মডারেটর ওয়ালা সাইটে পোষ্ট করা যায় আমি জানি না। সদালাপ এক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে বলতেই হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই চমতকার একটি খেলা চলে আসছে। রায়হান সাহেবের সাথে আমার ব্লগে মাঝে মধ্যে কথাবার্তা হয়। আলোচনা একটু জমে উঠলে আমি তাকে খোলা তর্কের আহবান জানালে উনি তাতে সরাসরি অনীহা প্রকাশ করেন। তবে তার খেসারত স্বরুপ দেখা যায় সদালাপে উনি দ্রুত আমাকে নিয়ে বিনোদন ব্লগ খুলে বসেন। আমি মুক্তমনায় ৬ মাস আগে কি কমেন্ট করেছি, আমার ব্লগে কাকে কি বলেছি তা হল লেখার (ওনার কাছে বিনোদনের) বিষয়বস্তু। সম্পাদক সাহেবও এই জাতীয় লেখা বিনা দ্বিধায় একের পর এক ছাপিয়ে যাচ্ছেন। ওনার বিনোদন পাবার উপায়ও খুব অদ্ভূতুড়ে। যেমন, বিবর্তন আমি কেন মানি তার কারন হল পৃথিবীর সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এটাকে একাডেমিক পর্যায়ে পড়ানো হয়; এই উক্তিতে উনি এবং ওনার সমমনা দুয়েকজন চরমানন্দ পান। আমি ওনাকে কোনদিন হয়রান বলেও সম্বোধন করিনি যা বাংলা ব্লগ জগতের অনেকেই করেন তবুও কোন এক বিচিত্র কারনে উনি আমাকে আমার আড়ালে গেলমান, কুটনাবুড়ি কি কি নামে ডাকেন। কি কি সব স্ক্রীন শট দেন লাল কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করে। নিজেই মনে হয় প্রানখোলা হাসেন। সেসবের মাঝে এমনকি একদিন দেখলাম যে রামগড়ুড়ের ছানা আর আমার মাঝে যে ডালপুরি আলুপুরি নিয়ে খুনসুটি হয় তারও রেফারেন্স লাল কালিতে আছে 🙂 । অভিজিত কবে আমাকে ঠাট্টাচ্ছলে নাস্তিক হতে বলেছে তাও লাল ফাইলে উঠে গেছে 🙂 । এমন লোকের উপর কি রাগ পুষে রাখা যায়? ভদ্রলোক ডক্টরেট ডিগ্রীধারী বলে জানি।
প্রথম প্রথম বিরক্তি বা রাগ যে হত না তা নয়। তবে সামান্য একটু ঘাটাঘাটির পর যখন বুঝতে পারলাম ব্লগ জগতে ওনার অবস্থান ঠিক কোথায় তারপর থেকে আর তেমন অনুভুতি হয় না 😀 । মুক্তমনা নাস্তিকরা না হয় কাফের নাসারা ইহুদীর টাকা খেয়ে ওনার জাত শত্রু, কিন্তু আমার ব্লগেও ওনাকে দেখলে সাধারন ধার্মিকেরাও যেভাবে আলোড়িত হন তা সত্যিই অভূতপূর্ব। শোনা যায় বেগতিক দেখে তিনি উনি বেশ কটি জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তাই আমাকে নিয়ে এহেন বিনোদনে আমার আর কোন ক্ষোভ নেই। আমার আড়ালে যা ইচ্ছে ওনারা করতে পারেন। তবে এবার থেকে আমার মন্তব্যে কপি রাইট থাকবে, ওনাকে নগদে কিনতে হবে, নইলে সাইবার মামলা। বিনে মাগনায় আর কত? আশা করি অনেকদিন উনি আমার এই মন্তব্যে ব্যাস্ত থাকার খোরাক পাবেন 🙂 ।
@আদিল মাহমুদ,
:rotfl: :rotfl: লিংকটা দিন প্লিজ,অপেক্ষায় আছি।
আল্লাচালাইনার পোস্টের বিপরীতে সিরিজ শুরু করে দিয়েছে মুর্শেদ। আমরাও কি এখন সিরিজ শুরু করব?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
প্রায়ই তো এইরকম লেখে, কোনদিন লিখেছে মনে নেই। শখ করে বিষ্ঠা আবর্জনা কে ঘাঁটতে যায়? আমার এত সময় নেই। এই দুটো মনে ছিল বলে লিখেছি। তোমার উক্তি মনে হয় অনেকটা মনে হয় এমন, “সৃষ্টিবাদী আলু আদিলের বহিষ্কার চাই” বা এমন কিছু। আর কি রেহাই আছে? অমনি স্ক্রীন শট, লাল কালিতে দাগাংকিত।
মাঝে মাঝে আবার দেখি স্ক্রীন শট একবার দেওয়া হয়, আবার কিছু সরিয়েও নেওয়া হয়। এদের রেফারেন্সে খুজেই বা ফায়দা কি? আমাকে নিয়ে প্রথম বিনোদন খোলার পর আমার ব্লগে মুনিম ভাই এর একটি কমেন্ট সুন্দর করে স্ক্রীন শট করা হয়েছিল। পরে মনে হয় আঁচ করেছেন যে মুনিম ভাই সে কমেন্টের নীচে আবার আমার প্রসংশাই করেছেন, তাই বিপদের আঁচ পেয়ে দ্রুত সরিয়ে নিয়েছেন। 🙂
কিছুদিন আগে আবার দেখি জাকির নায়েককে নিয়ে আমার করা কমেন্ট নিয়ে লেগেছেন। আমার অপরাধ জাকির নায়েকের ইসলামী জ্ঞান নিয়ে অনেক মুসলমানই সন্দেহ করেন, এমনকি অনেক মোল্লা আলেম তাকে কাফের ঘোষনা করেছে- এই তথ্য আমি কেন দিলাম? এই তথ্যের মাঝেও উনি বিনোদন খুজে পেয়েছেন। ভাবখানা এসব সব মিথ্যা, আমি বানিয়ে বলেছি। কাফির নায়েক নামে এমনকি কারা যেন ওয়েব সাইট পর্যন্ত খুলে ফেলেছে, এসবই আসলে মুক্তমনা ধর্ম রূপান্তরিত ফেক মুসলিম ছদ্মনামধারী আদিল মাহমুদের ষড়যন্ত্র। নইলে কি আরে হাসি পায়? হিন্দুদের সাইটে তাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং তিনি চ্যালেঞ্জ এড়িয়েছেন এসব তথ্যও ওনার কাছে বিনোদন, উনি মনে হয় এগুলি শুনলেও হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েন। এই লোকের সাথে সুস্থ মাথার কোন মানুষের কথাবার্তা সম্ভব? আমি শুধু ভাবি একটা মডারেটর ওয়ালা সাইটে দিনের পর দিন এসব পাগলামী কিভাবে সম্ভব?
আল্লাচাইনা ও মোর্শেদ সাহেবের তর্কের বিষয়বস্তু আমি তেমন জানি না। তবে তর্ক শুরুতেই হয়েছে বিষয়ের থেকে বেশী ব্যাক্তি কেন্দ্রিক ও সাইট কেন্দ্রিক। এহেন তর্কে বেহুদা সময় নষ্টই হবে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি তো দেখি পুরা সেলেব্রিটি তাহলে 😛 ।
@স্বাধীন,
তা বলতে পারেন। আকাশ মালিক, আবুল কাশেমরা ইসলাম বিরোধী সিরিজ লিখে যা করতে পারেননি তা আমি মনে হয় শুধু কিছু ছুটা ছাটা কমেন্ট করেই কামাই করতে পেরেছি। একটি পূর্নাংগ লেখাও লিখতে হয়নি। আমার ক্ষমতা আছে বলতেই হবে 🙂 ।
যেভাবে আমাকে ফেউ এর মতন অনুসরন করা হয় তাতে শুধু মাঝে মাঝে মনে হয় কোনদিন না আমার বেডরুমের কথাবার্তাও স্ক্রীন শট শোতে লাল কালিতে দাগ দেওয়া অবস্থায় চলে আসে। আলুপুরি ডালপুরির কথা যখন আসে তখন আর সে অবস্থায় যেতে কতক্ষন?
@আদিল মাহমুদ,
এখানে এই ‘ব্যাংগা’ শব্দটির অর্থ কি :-Y ? কি বুঝাতে চাইছে? কেউ কি ভাব সম্প্রসারণ করে দিবেন।
লেখাটি পড়লাম। আবারো বলে যাই, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, ধর্ম বিদ্বেষ কে মুক্তমনায় স্থান দিয়ে মুক্তমনারই কেবল ক্ষতি হচ্ছে, মুক্তমনার অর্জন নষ্ট হচ্ছে। আমাদের ভুল/ত্রুটি হচ্ছে তাঁদের শক্তি। যেহেতু মুক্তমনায় এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি মুসলিম বিদ্বেষ পূর্ণ লেখা এসেছে এ কারণেই তারা একটি বিজ্ঞান, যুক্তি নির্ভর সাইটকে এখন ইসলাম বিরোধী সাইট বলার মত সাহস পায়। মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ যদি বিষয়গুলো নিয়ে ভাবিত না হোন তবে মুক্তমনার ভবিষ্যত নিয়ে আমাকে উদ্বিগ্ন হতেই হয়।
@স্বাধীন,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগের এড্রেস জানেন? http://blog.mukto-mona.com :lotpot:
এটাই হল আপনার শানে নুযুল। আমিও আগে ব্যাপারটা খেয়াল করিনি। আমার এক বন্ধু আমাকে দেখিয়েছিল।
@লীনা রহমান,
ভালো জিনিস বের করেছে তো। না স্বীকার করতেই হয় তাদের দেখার চোখ আছে 😉 । না হলে কি তারা ঈশ্বরকে দেখতে পায়, আর আমরা দেখতে পাই না। কত চেষ্টা করলাম অন্তত জ্বীন/ভুত কিছু একটি দেখার যাতে অন্তত ঈশ্বরে বিশ্বাস আনতে পারি। আসলেই আমাদের দিল/চোখ আল্লাহ বন্ধ করে রেখেছে :-Y ।
@স্বাধীন,
আমিও তাই মনে করি, সেজন্যই শুরুতেই ফরিদ ভাই রামগড়ুড়ের ছানাের সাথে একমত হয়েছি।
যার যে পর্যন্ত দৌড় সে তাইই নিয়ে থাকে। এগুলি নিয়ে ভাবিত হবার তেমন কিছু নেই।
মাঝে মাঝে ভাবি আমার সাথে ওখানকার কারো ব্যাক্তিগত রেষারেশির জের ধরে আমি ওনাদেরই কায়দায় নানান স্ক্রীন শটের বাহারি দোকান খুলে মনের হরষে এখানে ওনাদের ডিফেন্ড করার সুযোগ না দিয়েই গালিগালাজের বহর খুলে বসলাম। তাতে প্রথমেই কি হবে? নিঃসন্দেহে এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের কাছ থেকেই এমন কুরুচিপূর্ন লেখার জন্য আমি ঝাড়ি খাব। এখানেই মুক্তমনার সাথে ওনাদের পার্থক্য যা ওনারা কোনদিন বুঝতে পারবেন না।
সাইটের মান হোক সবচেয়ে আগে।
@আদিল মাহমুদ,
সবচেয়ে মজা পেয়েছি “আল্লাচালাইনা” নামের ইংরেজী অনুবাদ দেখে। Allah-driven or driven by Allah. এ যেন বাংলা সিনেমাতে যেমন ইংরেজী তর্জমা দেখি সে রকম 😀 । এদেরকে আবার যুক্তি দিয়ে বুঝাতে যাওয়া। এই ভুল অনুবাদ দেখে “আল্লাচালাইনা” এখন কি করবেন সেটা ভেবে চিন্তিত আছি :-X । উনি না আবার দুঃখে/শোকে আত্মহত্যা করে বসেন। আল্লাচালাইনা ভাইকে ধন্যবাদ – উনার সৌভাগ্যে আমরা অন্তত আল্লাহর নাম নেওয়ার পূণ্য অর্জন করতে পারছি। হুর নিশ্চিত 😀 । সাধে কি আর ফরিদ ভাইয়ের মত মানুষও বলে বিনোদনের জন্য ওই সাইটে ঢুঁ মারেন :-P।
@স্বাধীন,
:laugh:
যখন বৃষ্টি এলো – সিনেমার ইংরেজী নাম হয়েছিল দি রেইন।
আশা করি আল্লাচাইনা সাহেব আর এই পথ পাড়াবেন না, একটাতেই যথেষ্ট হয়েছে। আল্লাহ ড্রিভেন হেল ড্রিভেন কোনটাই আর চাই না।
আমি বিনোদনের জন্য ঐ সাইটে ঢু মারি এটা বলেই তো ব্লাসফেমি অপরাধ করে ফেলেছিলাম 🙂 ।
@আদিল মাহমুদ,
আমিও তো মনে হচ্ছে লাল ফিতের মাঝে পড়তে যাচ্ছি 😥 ।
@আদিল মাহমুদ,
আল্লাচালাইনার পর সাহেব বসাবেন না প্লিজ, মোর্শেদ হয়রান এদের নামের পর সাহেব বসায় মানুষ পলিটিকালি কারেক্ট থাকার জন্য। সাহেব হওয়ার কোন ইচ্ছা নেই আমার। ওর পোস্টের বিপরীতে আমি যে আরেকটি পোস্ট শুরু করতে পারি, এটা যে এমনকি আপনি একটা অপশন হিসেবেও রেখেছেন আপনি এতে আমি মর্মাহত।
@আল্লাচালাইনা, :laugh:
@আদিল মাহমুদ,
আপনাকে কেনো এতো বেশী বুলি করে এই ব্যাপারে আমার একটা অনুকল্প আছে। আপনি মোটামুটি সারাদিনই কমেন্ট করতে থাকেন। সবগুলা কমেন্টই ভালো হয়, আমি একটা ইসলামিস্ট হলে এই ধরণের কমেন্ট দেখে অসন্তুষ্ট নয় মনে হয় খুশীই হতাম। কিন্তু দিন শেষে দু-একটি এমন কমেন্ট থাকে সেটা যে কোন ইসলামিস্টকেই বোধ করাবে শোচনীয় শচনীয়ভাবে বিট্রেইড :laugh:
@আদিল মাহমুদ,
আলু আদিল? :hahahee: :hahahee: । আমি কখনো আলু আদিল বলিনি কিন্তু নামটা আমার ব্যপক পছন্দ হয়েছে। কিন্তু চাচা বলে কিছু বলতে পারছিনা 🙁 🙁 🙁 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
:yes:
@আদিল মাহমুদ,
প্রদীপ দেবের অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতি নিয়ে এক পোষ্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম যে বাঙ্গালী মনে হয় বান্দর আর মানুষের মধ্যকার মিসিং লিঙ্ক। মুক্তমনার সবচেয়ে মেধাবী পাঠক ফুয়াদ ভাই এটার সাথে ইউজেনিক্স আর পশ্চিমপ্রীতির যোগসূত্র স্থাপন করে আমারব্লগে একটা পোষ্ট দিয়ে দিলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি যদি এখন বলি “আল্লাহই জানেন আমি কেন নাস্তিক হলাম”, অমনি সদালাপে এই মন্তব্য লাল কালিতে আন্ডারলাইনকৃত হয়ে প্রথম পাতায় ঝুলতে থাকবে, সমগ্র জাতির কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে মুক্তমনারা আসলে ছুপা মুসলমান।
অনেকেই এই পোষ্টে আবর্জনা পরিস্কার করার উপমা দিচ্ছেন, আমার মনে হয় এক্ষেত্রে আবর্জনা পরিস্কার করার উপমাটা ঠিক খাটে না। আমি মনে করি পাগল আর শিশুর পাশাপাশি সদালাপীদেরও সিরিয়াস আলোচনার বাইরে রাখা উচিত।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়- এমআইটি(মগবাজার ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি) নাকি?
@পৃথিবী,
– আমারও আসলে তাই মনে হয়। ওনাদের গত লেখার অর্ধেক বিষয়বস্তু মনে হয় এখন থাকে মুক্তমনায় কি ছাপা হল আর মুক্তমনার সদস্যরা কে কবে কোতাহয় কি কমেন্ট করল। এনাদের সিরিয়াসলি নেওয়াটা উচিত নয়। শেষ পর্যন্ত বিপ্লব পালের সাথেই একমত হতে হবে।
হারুন ইয়াহিয়া বিবর্তনবাদীদের বিলিয়ন ডলারের চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন, কেউ সে চ্যালেঞ্জ গ্রহনে এগিয়ে আসেনি 🙂 ।
ওনার ব্যাক্তিগত জীবন বা ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে আসলে জানি না, কারন সেসব কিছুই উনি ঘুনাক্ষরেও বলেন না। শুনেছিলাম কোথায় কোথায় যেন উনি পিএইচডি, একটা পুরনো লেখায় মনে হয় নিজেই লিখেছিলেন যে মালশয়েশিয়ার কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি শিক্ষকতা করেন।
@আদিল মাহমুদ,
এই রকম পিএইচডি ধারী দেশে/বিদেশে বহু আছে। শুধু বাংলাদেশের পিএইচডি ধারী শিক্ষকদের নিয়ে একটি সার্ভে করলেই সেখানে ৯৫ ভাগের উপরে বিশ্বাসী পাবেন। এক বুয়েটেই তো তাবলীগ করেন এমন কত স্যার আছেন। অনেকে আছেন ছেলেদের পেছনে সময় বার না করতে পারলেও চিল্লায় যাবার সময় ঠিকই বের করে ফেলেন 😀 ।
@স্বাধীন,
সনাতন পিএইচডি শেষ করা মানে উচ্চতর বর্ণমালা শিক্ষা সম্পন্ন করা মাত্র। এর পরবর্তী ধাপ হলো University of Experience – গ্রাজুয়েশন করা যা শেষ করতে সারা জীবন যথেষ্ঠ নয়।
@স্বাধীন,
তাতে তো সমস্যা নাই। কে চিল্লায় যাবেন আর কে তীর্থে যাবেন তাতে কি আমার আপনার কিছু যায় আসে?
কিন্তু বুয়েটের সেসব চিল্লায় যাওয়া কোন স্যার সাইকোপ্যাথের মতন আচরন করবেন বলে মনে হয়?
@আদিল মাহমুদ,
না, ব্যক্তিগত ভাবে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কিছু বাজে অভিজ্ঞতা আছে। উপরে যেটা বলেছিলাম সেটাই আবার বলি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা শিক্ষক হিসেবে নিজের দায়িত্ব যথাযত ভাবে পালন করে তারপর কেউ চিল্লা/তীর্থ/হজ্জে যেতো আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যদি সেটা না করে কেউ ধর্মকে নিজের কর্মের তুলনায় এগিয়ে রাখে, আপত্তি থাকবে। না এনারা কেউ সাইকোপ্যাথের মত আচরণ করে না। বেশির ভাগই নিরীহ ভাল মানুষ। আমি কিন্তু সবাইকে খারাপ বলিনি। কিন্তু কিছু আছে, যাদের মুখের কথা এবং কাজের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের ক্লাসটুকু পর্যন্ত ফাঁকি দিয়ে যেন তেন করে শেষ করেন। কিন্তু শ্বেত শুভ্রতার ভাবটুকু বজায় রাখেন। উনাদের নিয়ে আপত্তি আছে ।
@স্বাধীন,
কথা সত্য। ওনারা যে কাজের জন্য বেতন নেন তা নিষ্ঠার সাথে পালন করলে তারপরে কি করলেন তা নিয়ে কারো কিছু যায় আসে না।
আমাদের ডিপার্টমেন্টে আমাদের সময় তিনজন তবলীগি স্যার ছিলেন। এনাদের কারো তবলীগ বা নামাজের ছূতায় ক্লাস ফাঁকি দিতে কোনদিন দেখিনি। শুধু পিএল এ কাউকে কাউকে পাওয়া যেত না। আর দুজন ছিলেন প্রায় খোলাখুলি নারী বিদ্বেষী 🙂 । একজন কখনো মেয়েদের দিকে তাকাতেন না, গোটা ক্লাস ছেলেদের দিকে তাকিয়ে পড়িয়ে যেতেন।
সরাসরি তো আর বলতে পারতেন না যে বেপর্দা মেয়েরা ব্যাটা ছেলেদের সাথে ক্লাস করে ওনারা সহ্য করতে পারছেন না, তবে মাঝে মাঝে আচার আচরনে বোঝা যেত। যেমন ফোর্থ ইয়ারে একদিন একজন শুধুমাত্র পাশের মেয়ের সাথে কথা বলার অপরাধে এক মেয়েকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বললেন। তাতেও নাহয় তেমন কথা থাকত না। নিজে এগিয়ে এসে তার বই খাতা টেবিল থেকে নিয়ে দরজার বাইরে ছুড়ে ফেললেন যা অভূতপূর্ব। সে মেয়ের মানসিক অবস্থা কি তো বুঝতেই পারেন।
@আদিল মাহমুদ,
এদের সাইকোপ্যাথের মত আচরণ বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, এটি আমার মতে ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’-এরই এক্সট্রিম রূপ। মগজ যখন ধর্মের ভাইরাস দিয়ে আচ্ছন্ন থাকে, তখন সুস্থ চিন্তা অনেকটা সুদূরপরাহতই হয়ে দাঁড়ায়। কেউ মেয়েদের বইখাতা বাইরে ছুঁড়ে ফেলে, আরেকটু এক্সট্রিম যারা, তারা মেয়েদের নিয়ে নোংরা অশ্লীল জোক করা শুরু করে (কিছু নমুনা পাওয়া যাবে এখানে, মুর্শেদ সাহেবের রসিক মন্তব্যগুলো দেখুন), কেউবা ঝাপিয়ে পড়ে টুইন টাওয়ারে।
ব্যাপারগুলো হালকা কথা নয়। জীবানুর আক্রমণে মস্তিস্ক সংক্রমিত হবার অনেক উদাহরণ আছে জীববিজ্ঞানে।
জলাতঙ্কের কথা তো জানেনই। পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতংক রোগের জীবাণু মস্তিস্ক অধিকার করে ফেলে। ফলে আক্রান্ত মস্তিস্কের আচরণও পাগলা কুকুরের মতোই হয়ে উঠে। আক্রান্ত ব্যক্তি অপরকেও কামড়াতে যায়। অর্থাৎ, র্যাবিসের সংক্রমণে সুস্থ মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
আরো দুটো উদাহরণ দেই।
— ল্যাংসেট ফ্লুক নামে এক ধরনের প্যারাসাইটের সংক্রমণের ফলে পিঁপড়া কেবল ঘাস বা পাথরের গা বেয়ে উঠা নামা করে। (আমি আমার বিশ্বাসের ভাইরাস লেখায় এটির উল্লেখ করেছিলাম)
–নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম নামে এক ফিতাকৃমি সদৃশ প্যারাসাইট ঘাস ফড়িং-এর মস্তিস্ককে সংক্রমিত করে ফেললে ঘাস ফড়িং পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে ( দেখুন এখানে)।
ছবি – প্যারাসাইটের প্রভাবে ঘাস ফড়িং আত্মহত্যা
আপনি কি ভুলে গেছেন আক্রান্ত সন্ত্রাসী মনন বিমান নিয়ে কিভাবে আছড়ে পড়ে টুইন টাওয়ারের উপর, কখনো বা সিনেমা হলে, কখনোবা রমনার বটমূলে? রায়হান আর আল মুর্শেদেরা ঐ একই ভাইরাসেরই কিছুটা মিডিওকার রূপ বলা যায়। আর ৯/১১ এর হোতা আতা সাহেবেরা এক্সট্রিম রূপ।
ছবি – ভাইরাস আক্রান্ত মননের মানবীয় রূপ।
@অভিজিৎ,
আত্নঘাতী মুসলমান সন্ত্রাসী নিয়ে আমার একটা অনুকল্প আছে। স্পাইনাল কর্ড আল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত আঘাত পেয়ে মৃত্যু সূচনা করলে এর একটা প্যাথলজিক বহিঃপ্রকাশ থাকে যেটাকে কিনা বলে পোস্টমর্টাল ইরেকশন বা মৃত্যুপরবর্তি উত্থান। এটা পরিলক্ষীত হয় পুরুষ ও নারী উভয়েই। আমার মনে হয় আত্নঘাতী মুসলমান সন্ত্রাসীরা পোস্টমর্টাল নয় প্রিমর্টাল ইরেকশন নিয়ে মরে। কেননা তারাত ১০০% যে এই প্লেনটা বিল্ডিঙ্গে গিয়ে আঘাত করতে যা দেরী, এর মূহুর্তক্ষ্ণের ভেতরই তো সে বেহেস্তে যেতে যাচ্ছে, অর্থাৎ he’s gonna get laid within minutes, প্রিমর্টাল ইরেকশন তো তার হবেই। মুসলমানদের আচরণগত স্বাতন্ত্রের কথা চিন্তা করলে মাঝে মাঝে আঁতকে উঠতে হয়। মুসলমানদের আপনি যেভাবেই ভিজুয়ালাইস করুন না কেনো, এটা চিত্তকে বানায় অসুস্থ।
এর চেয়েও সিকেনিং ব্যাপার হচ্ছে হয়রান যদি আজকে বোমা ফুটায়, এক ফোঁটা অবাক হবো না আমি। খেয়াল করেন কথাগুলা ও কি বলে। ও বলে যে মুসলমানরা নাকি সন্ত্রাস না, টুইন টাওয়ার নাকি মুসলমানরা ফুটায় নাই, ইহুদীরা ফুটিয়েছে। মুসলমান কতো অল্প সন্ত্রাস করে, কমিনিস্টরা কতো বেশী করে এটার তুলনা করে ও উপসঙ্ঘার টানে কমিনিস্টরা মুসলমানদের চেয়েও খারাপ। হয়রান একটা পশু, পশু না ও একটা পসু।
@অভিজিৎ, আপনার টুইন টাওয়ারের ছবিটায় ঠিক কি জিনিষ নির্দিষ্ট করতে চাচ্ছিলেন বোঝা যাচ্ছিলো না, তাই ছবিটা লালগোল্লা দ্বারা হাইলাইটেড করে দেওয়া হলো, now no one can miss it!
http://www.flickr.com/photos/49962850@N08/5170145268/
@আদিল মাহমুদ, আরে ভাই, হয়রানের অবস্থা কি শুধু বেগতিক হয়েছিলো? সে কি আকাম গুলা করে আমারব্লগে ধরা খেল সেগুলোতো বললেন না? ধরা খাওয়ার পর কুকর্মএর প্রমান সরিয়ে ফেলতে গিয়েই সে যে তার সবগুলা পোস্ট সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়।
ছিঃ ছিঃ হয়রান মাওলানা, তুমি এত খারাপ?!
অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশ করা হোক
বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা – ৩
তাও একবার না, দুই দুইবার ধরা খেয়ে এখন লেজ গুটিয়ে পালিয়ে বেড়ায়, আর ইনভিজবল হয়ে স্ক্রীনশট নিয়ে সদালাপে পোস্ট করে বেড়ায়।
আর আমু তে গত দুই দিনে যেই পোস্ট টায় জবাব দিচ্ছি, সেটাতেও সদালাপ টিম উপস্থিত। তবে যথারীতি বেনামে।
@যুদ্ধদেব, :laugh:
এইগুলা নিয়ে উদাহরন দিতে গেলে তো বিরাট কাহিনী। ওনার নামে গুনমুগ্ধ ভক্তদের ফ্যান ক্লাব (অতি অবশ্যই যারা ইসলামোফোবিক 🙂 ), দেশী পোলার (যার একটা বাক্য আবার উনি আমার বিরুদ্ধে ক্রীন শট হিসেবে ব্যাবহার করেন, যাতে দেশী পোল্লা আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন আমি নাস্তিক নাকি 🙂 ) সাথে ওনার উপভোগ্য বিতর্ক ও কমেন্ট মুছে দেওয়া…কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি।
বাদ দেন এইগুলা। যার যেমন রূচি।
@আদিল মাহমুদ, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হয়রানের সাথে আপনার এখনও একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কই রয়েছ। আমার যে একটা উপকার করতে হবে আপনাকে আদিল চন্দ্র রায়, আপনি আপত্তি জানাত পারেন আমার এই আলগা নাকবড় কৌতুহলের বিরুদ্ধে, কিন্তু একিউট কৌতুহল অ্যাটাকে যে আমি মরে যাচ্ছি। আপনি কি হয়রানকে আমার পক্ষ হতে দয়া করে জিজ্ঞেস করতে পারেন ও ওর ‘পোলা লেলানো’ সিরিজের চতুর্থ পর্ব কবে প্রকাশ করবে? এবং পোলাকে কবে সত্যিকারভাবে লেলিয়ে দিবে। আমি যে বড়ই উতসুক ওর পোলা দেখার জন্য, ট্রান্সমিশন জেনেটিক্সের আলোকে চামড়ার চোখে আবিষ্কার করার জন্য কি করে বংশগতি বংশপরম্পরায় সঞ্চালিত হয়। বাপ যদি এতটুকু বদমাইস হয় তবে ছেলের ফিনোটাইপ কতোটা বদমাইস হবে এটা জেনেটিক্সে সবসময়ই একটি আলোচিত প্রশ্ন ছিলো, এক্সপেরিমেন্টাল মডেলের অভাবে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছিলো না। এমনই এক মুহুর্তে আমাদের জ্ঞাননেত্র বিকশিত করার লক্ষ্যে নিজের পোলাকে লেলিয়ে দেওয়ার সুর তুলেছে হয়রান, সরোয়ারও আবার সেদিকে বলছে সেও তার পোলা লেলাতে চায়। এতো দেখা যাচ্ছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি, তাও মুশলধারে। যেদিন তারা সত্যিকারভাবে তাদের পোলা নামাবে সেদিন একদিনের জন্য ব্লগিয় ছুটি ঘোষণা করে আমরা সরোয়ারআর হয়রানের পোলা দেখতে যেতে পারি জেনেটিক্স বিশেষজ্ঞ হোরাস কিংবা বন্যা আহমেদের নেতৃত্বে। সুন্দর একটা পিকনিক হবে।
@যুদ্ধদেব, মুক্তমনায় স্বাগতম! আপনার একটি লিঙ্কতো আগেই পড়িয়েছিলেন, বাকীগুলোও পড়লাম। হয়রান আসলে একটা জোক। হয়রানের সাথে আপনার একটা এনকাউন্টার আমার আজীবন মনে থাকবে। কোনটা বুঝতে পারছেন তো। ওইযে যেইটাতে আপনাকে ছোটভাই জ্ঞান করে নিয়ে তুমি তুমি করে বলা শুরু করলো হয়রান, আর বেরশিক আপনি তার এই সৌহার্দের স্পিরিট একফোঁটাও দরতে না পেরে ওয়ানা বি বড় ভাইকেও পাল্টা তুমি তুমি করে বলা শুরু করলেন। ইসলামিস্টেরা এমনই, যুক্তিতে না পারলে ঘাড় ধরে ছোটভাই বানিয়ে দেওয়া। হয়রানদের হয়রানীর বিরুদ্ধে আপনার আপোষহীন মনোভাবকে সর্বদাই শ্রদ্ধা করি।
প্রথম প্যারাতেই হোঁচট খেলাম। তবে লেখকের দায় তাতে একদমই নেই। সম্পূর্ণবাবেই আমার পড়ার দোষ।
বোল্ডকৃত শব্দদুটো আমি পড়লাম “গালভর্তি দাড়ি” :laugh:
এমন একটি লেখার জন্য আল্লাচালাইনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রতিটা শব্দকে এম্ফেসিস দিয়ে কড়া এবং ঝাঁঝ মেশানো বাক্যগুলি আমি মনে করি সত্যি ইফেক্টিভ। আমাদের মনের যে ক্ষোভটা ভিতরে আকুপাকু করছে সেটাই আল্লাচালাইনা অত্যন্ত্ সাহসের সাথে প্রকাশ করে দিলেন। এই সাহস প্রসংসার দাবী রাখে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই লেখা পড়ে সদালাপীদের কয়েকটি রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে অথবা যাবে। আসলে পৃথিবীটা হচ্ছে শক্তের ভক্ত নরমের যম। :yes:
আল্লাচালাইনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ লিখার জন্য।
বুঝতে পারছি লেখক তার ফ্রাস্ট্রেশান থেকেই অনেক কিছু লিখেছেন যা ব্যক্তিগত আক্রমনের পর্যায়ভূক্ত – এটা না থাকলে লিখাটি আরো সমৃদ্ধশালী হতো। যদিও জানি, “কাউকে না কাউকে তো কাদা খোঁচানোর দায়িত্ব নিতেই হয়”, তথাপি বহু বছরের অভিজ্ঞতায় জেনেছি ব্যক্তিগত আক্রমনহীন যুক্তিবাদী /তথ্যবহুল লিখা পাঠকদের কাছে বেশী সমাদৃত এবং শক্তিশালী। আর যে ব্যক্তি ‘মস্তিস্ক ধোলাই” এর স্বীকার, তাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে কখোনই মানানো যাবে না। ‘লিখা /মন্তব্য’ যদি হয় পাঠকের জ্ঞাতার্থে, তাহলে সেটাকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যক্তিগত আক্রমন যথাসম্ভব পরিহার করা উচিৎ। সুস্হ মনের নিরপেক্ষ পাঠকেরা লেখকের বক্তব্যের মর্ম বুঝতে ভুল করেন না।
কোরানের লেখক ‘আল্লাহর’ (বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের ?স্রষ্ঠা নয়) সাথে বিজ্ঞানের পার্থক্য খুবই স্পষ্ঠ। আল্লাহ চান বান্দার Recognition, সালাম /কদম-বুচি – তাতে ব্যর্থ হলেই ‘চরম শাস্তি’ঃ- ঠিক ছোটবেলায় এতিম পিতৃ-মাতৃ স্নেহ বঞ্চিত রাখাল বালকের পরবর্তীতে বনে যাওয়া পরাক্রমশালী মধ্যযূগীয় সম্রাটের মানসিকতা ! আর বিজ্ঞানের কোন পরোয়াই নেই কে তাকে মান্য করলো বা না করলো এমনতর “তুচ্ছ” বিষয় নিয়ে মাথা ঘমাবার, শাস্তি তো অনেক দূরের ব্যাপার।
এই চরম সত্যটাকে যে অস্বীকার করতে পারে তদেরকে আমার “সুস্হ মস্তিষ্ক’ বলে মনে হয় না। আর যারা বিজ্ঞানকে স্বজ্ঞানে বিকৃত করার চেষ্টা করে তাদের কে আমার “উন্মাদ” বলেই মনে হয়। তদের সাথে তর্কে জড়িয়ে বেশীদূর আগানো যায় না।
“Don’t get so tolerant that you tolerate intolerance” – Bill Maher
আমরা রক্ত-মাংসের মানুষ। আমাদের সহ্যেরও একটা সীমা আছে। দিনের পর দিন ওরা যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা চালিয়ে আসছে তাতে আমাদের সবার যে ধৈর্য চ্যুতি ঘটে নাই তাই অনেক বড় বিষয়।
আল্লাচালাইনার নাম ধরে বিভিন্ন জায়গায় আমি তাদের কাঁদতে দেখেছি ও বিষয়টা বেশ উপভোগ করেছি। এই সব ব*দগুলো নিজেরা তো কিছু শিখবে না, বালির মধ্যে মাথা গুজে দিন কাটাবে আবার সাধারণ মানুষকেও বিভ্রান্ত করবে।
এদেরকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করতে পারতাম আমরা। কিন্তু সমস্যা একটাই আর তা হল গর্দভ জনগণ যারা পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ধর্ম নামক অপ-বিশ্বাসকে লালন করে আর ধর্মের পক্ষে যে যা বলে তা চোখ বুঝে বিশ্বাস করে এবং কোনোদিনই যাচাই করতে চায় না সে যা বিশ্বাস করে তা কতটা সঠিক। আরো সমস্যার বিষয় হল সাধারণ জনগণের কাছ থেকে আমাদের দূরত্ব। যেহেতু সাধারণ মানুষের রেডিমেইড ধর্ম-বিশ্বাস আছে তাই তাদের সাথে আমাদের এমনিতেই একটা দূরত্ব তৈরী হয়ে যায় পক্ষান্তরে ধর্ম-ব্যবসায়ীদের সাথে তৈরী হয় তাদের নৈকট্য। এছাড়া সাধারণ মানুষেরা মোল্লা-পুরুত, ওয়াজ করে বেড়ানো হুজুর বুজুর এদের দ্বারা প্রভাবিত হয় মারাত্মকভাবে কেননা তাদের সাথে এদেরই বেশি নৈকট্য রয়েছে।
আমি মনে করি, সদা-প্রলাপীদের কথা না ভেবে আমাদের উচিত ওদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে যারা তাদের কথা ভাবা, এবং তা ভেবেই মাথা ঠাণ্ডা করে সবার জন্য বোধগম্য করে ধর্মবাদীদের অযৌক্তিক দাবীগুলোর জবাব দেয়া।
আরেকটি বিষয় এখানে বলি। স্টিফেন হকিং একজন বিজ্ঞানী। তিনি কখনো ধর্ম-বিরোধী ছিলেন না। এখন তিনি যদি বিজ্ঞানের সাহায্যে এটা দেখান যে মহা বিশ্বের উৎপত্তি ব্যাখ্যার জন্য ঈশ্বরের মত কারো প্রয়োজন নেই তবে তিনি কি একটা মহা ভুল করে ফেললেন? আর আমরা এটা নিয়ে যদি একটু কথা বলি তাতেই সদা-প্রলাপীদের পিত্ত জ্বলে যায়। আমি কল্পনা করি, হকিং যদি ধর্মান্ধ হতেন(বিজ্ঞানীর ধর্মান্ধ হওয়া অসম্ভব নয়) আর একদিন ভুল করেই বলে ফেলতেন ঈশ্বর নামক কোনো বড় বাবুর অস্তিত্ব আছে তবে ওরা কিভাবে উলঙ্গ হয়ে নাচতে শুরু করত তা একটু ভাবলেই আঁচ করা সম্ভব।
ধর্মের বিরোধিতা করাকে আমি মানবতার সেবা বলে মনে করি কেননা ধর্ম নামক অপ-বিশ্বাস থেকে বের হলেই একজন মানুষ “মানুষ” হয়ে উঠতে পারে। সকল ধর্ম-বিরোধীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, ঐ আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে হয়রান ভাইয়ের ছা।
-ডাঃ জাকির নায়েক(সামু ব্লগ)।
নূহ ৯০০ বছরের উপর বেচেছিলেন কথাটি কোরানের এই আয়াত থেকে প্রাপ্ত-
আর আমি পাঠাইলাম নূহকে তাহার ক্বওমের প্রতি, অতঃপর তিনি উহাদের মধ্যে অবস্থান করিলেন পঞ্চাশ বৎসর কম এক হাজার বৎসর, অনন্তর প্লাবন আসিয়া তাহাদিগকে পাকড়াও করিল, বস্তুত তাহারা বড়ই অনাচারী লোক ছিল। (সূরা আনকাবুত, ২৯: আয়াত ১৪)
আয়াতটির “আলফা সানাতিন ইল্লা খামছিনা আ’মা” মানে হল –“পঞ্চাশ বৎসর কম এক হাজার বৎসর”। অর্থাৎ নূহ নূন্যতম ৯৫০ বৎসর বেচেছিলেন। বুজুর্গানে দ্বীনের মতে তিনি ১০৫০ বৎসর বেচেছিলেন 🙂 ।
বলা বাহুল্য, আয়াতটি পড়ে আমি হা হা প গে :hahahee: ।
@সৈকত চৌধুরী,
আতেঁল ইসলামিস্টরা বলতে চান যে নূহের সময় সেকালের মানুষরা “চন্দ্র মাস ‘ – কেই বছর বলে গননা করতো। সে হিসাবে নূহের বয়স ছিলো প্রায় ৮০ সৌর-বছর। তাদের এ হিসাবের “শানে নজুল’ আমার জানা নাই। তবে অগ্রহনযোগ্য বিষয়টাকে গ্রহনযোগ্য রুপ দেয়ার জন্য যুক্তিটা মন্দ নয়।
@গোলাপ,
হাঃ হা। আমি এক সময় প্রচণ্ড মুচলমান ছিলাম। তাই কোরানের কোনো আয়াতকে কিভাবে বুকাইলীয় ব্যাখ্যা দেওয়া যায় তা একটু ভাল জানি। এ আয়াত লেখার সময়ও মজা করে কিছুক্ষণ ভেবেছি যে এটাকে ঠিক কি ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে। আর কাকতালীয়ভাবে এই ব্যাখ্যার কথাই আমার মনে হয়েছে :rotfl: ।
আপনি আরো যোগ করতে পারেন। যেমন, মাস আর দিন তো আল্ল্যারই সৃষ্টি। তাই আল্ল্যা যদি বছর বলতে মাসকে বুঝান তাতে সমস্যা কোথায়? :laugh:
জট্টিল একটা পোস্ট। :rose2:
এই পোস্টটা মুক্তমনার জন্য ক্ষতিকর তা আমার মনে হচ্ছেনা। যারা মুক্তমনাকে গালাগালি করে তারা তো সবসময়েই করে, এই পোস্ট দেয়াতে তাদের মানসিকতার কোন হ্রাস বৃদ্ধি হবেনা, মুক্তমনার রেপুটেশনেরও কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবেনা। কাউকে না কাউকে আবর্জনা ঘাটার কাজটা নিতে হয়। আমরা অনেকেই এদের সাথে লাগতে চাইনা কারণ এদের সাথে কথা বলে লাভ নেই আবার অনেকের হয়ত প্রবৃত্তিও হয়না বা সেই এনার্জি বা স্টামিনাও থাকেনা যে এদের সাথে কথা বলি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দলের। আমি মানুষের আবলামি ও ছাগলামি দেখে বিরক্ত ও হতাশ হয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিই। কিন্তু যারা আমার মত এমন অপারগ নয় তাদের প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই যেমন জানাচ্ছি আল্লাচালাইনার এই লেখাকে। হয়ত লেখকের ভাষা বেশি জ্বালাময়ী হয়েছে কিন্তু এতে সমস্যা কোথায়? তিনি তার মত করে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কিছু বিজ্ঞানবিরোধী এবং সুবিধাবাধী বিজ্ঞানভোগী ও বিজ্ঞান অপব্যাবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা ভাবতেই পারে যে এর মাধ্যমে তারা জাতে উঠে যাচ্ছে। এটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা যা কিছুতেই দূর হবার নয়।এজন্য আমাদের চিন্তিত হওয়া কেন?কদিন আগে চিলিতে শ্রমিকদেরকে যে উদ্ধার করা হল তার সব ক্রেডিট ভগবানেশ্বরাল্লাওয়ালারা তাদের বিধাতার জন্য নিয়ে গিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেনি? সচেতন মানুষ হিসেবে আমরা কিন্তু বিজ্ঞানের জয়গানই শুনতে পাই এ ধরনের ঘটনায়, তাদের বিধাতার কুদরত দেখিনা।সত্য বলাটা বেশি জরুরি আর লেখক যুক্তি প্রমানসহ সত্যটাকেই তুলে ধরেছেন। এক্ষেত্রে যদি মিথ্যুকের প্রতি বিতৃষ্ণা প্রকাশ পেয়েই যায় তার কথায় তবে ক্ষতি কি? সদালাপীরা যদি এধরনের পোস্টের উপর বেঁচে থাকার প্রয়াস নেয় নিক।তারা বেঁচে থাকতে পারছে তেলাপোকার মত, দৌড়ে বেড়াচ্ছে তেলাপোকার মত। এজন্যই আমি তাদের তথাকথিত জাতে ওঠা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই।
চব্বিশ ঘন্টায় পোস্টে যতোগুলো কমেন্ট পড়বে বলে আমি আশা করেছিলাম কমেন্ট এরচেয়ে কিছু বেশী পড়েছে এবং বেশীরভাগ কমেন্টই এমন না যে শুধু ধন্যবাদ একটা স্মাইলি দিয়ে মন্তব্য শেষ করে দেওয়া যায়। আমি সময় নিয়ে বসছি আগামীকাল তখন বিস্তারিত সবগুলোর উত্তর দিবো। দুটো অভিযোগ উঠবেই আমি আগেই নিশ্চিত ছিলাম- ১। সদালাপকে জাতে তুলে দেওয়া। ২। সদালাপের অবর্জনা মুক্তমনায় টেনে আনা। মোর্শেদকে যথাযথভাবে সন্মান না করার অভিযোগটা আগে থেকে চিন্তা করিনি এবং এই অভিযোগটিকে আমি এক ফোঁটাও ফেয়ার কোন অভিযোগ মনে করি না। এটা নিয়ে অনেক কথা বলতে হবে, এটা কালকের জন্য তুলে রাখছি। সবাইকে ধন্যবাদ।
@আল্লাচালাইনা,
আপনি ভুল বুঝছেন, আপনার এই পোষ্টে আপত্তি জানিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা কেউই অনুরোধ করেননি যে আপনি সদালাপীদের সম্মান করুন। আমার আশেপাশের সবাইকে আমি সম্মান করি না, তাই বলে আমি তো আর সবাইকে “তুমি” সম্বোধন করে তাদের সাথে আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলতে পারি না।
অনেক মন্তব্যই চলে এসেছে এর মধ্যে। আমার নিজের আপত্তিটুকু জানিয়ে গেলাম। প্রথমতঃ লেখায় অশালীন ভাষার ব্যবহারের জন্য। যদি সদালাপ এবং মুক্তমনার লেখার ভাষা একই হয় তাহলে দু’টোর মাঝে পার্থক্য থাকে কোথায়? আপনি বলবেন কেন যুক্তিতে। যুক্তি তো নির্ভর করে যে ব্যক্তি পড়ছে তার উপর। তিনি হয়তো আপনার যুক্তিকে কোন যুক্তি মনে নাও করতে পারে। তাহলে একজন সাধারণ মানুষের কাছে যুক্তিটুকু বাদ দিলে দু’জনকে এক কাতারেই ফেলে দিবে। সেটা কি লেখকের জন্য ভালো হবে?
দ্বিতীয়তঃ গার্বেজ নামক বস্তুকে এতো বেশি পাত্তা দেওয়ার জন্য। এতে লাভ হচ্ছে গার্বেজেরই বেশি। গার্বেজের যেটা দরকার ছিল প্রচারণা, সে সেটা পেয়ে গেল। আগে হয়তো অনেকে গার্বেজের এই লেখার কথা জানতো না, এখন জানলো। প্যারাসাইট যদি হোষ্ট ছাড়া বাচতে না পারে তবে উত্তম দাওয়াই হচ্ছে প্যারাসাইটকে কোন ভাবে ধারণ না করা। ধারণ করে তারপর উত্তম দাওয়াই দেওয়া হলেও কিন্তু বিবর্তনের নিয়মে কিছু প্যারাসাইট বেঁচে যাবে এবং সেগুলো তখন সুপার বাগ হিসেবে বংশবৃদ্ধি করবে। যদি তাঁদেরকে আমরা পাত্তা না দেই তবে কিন্তু তারা হোষ্টের অভাবে এমনিতেই লুপ্ত প্রায় হবে। এখন কি হবে, এই পোষ্টের প্রতিক্রিয়ায় আরেকটি পোষ্ট আসবে সেই গার্বেজে, তখন সেই দুর্গন্ধকে ছাপা দিতে আরো লেখা আসতে হবে মুক্তমনায়। আমি অভিজিৎ’দার বক্তব্যটিকে সহমত জানাতে পারলাম না। গার্বেজ কেন জমছে সেই উৎসে না যেয়ে যদি গার্বেজকে ঢাকার কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয় তবে সারাজীবন সেটাই করে যেতে হবে। আমি মুক্তমনার সদস্যদের মূল্যবান মেধাকে এরকম অপচয়ে দেখতে রাজী নই।
এই প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় আনি। অনেকেই বলতে পারেন তাহলে সোয়াদ অথবা ফুয়াদ উনাদেরকে মুক্তমনায় লিখতে দেওয়া ভাল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উনাদের বক্তব্যকে খন্ডন করা যাবে। এই বিষয়ে আমার বক্তব্য হলো, প্রতিটি বিশ্বাস অথবা মিমের কাজ হচ্ছে তার নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়া। এখন যে বিশ্বাস বা মিম টিকে থাকবে তারাই যোগ্যতর হিসেবে বিবেচিত হবে। তাহলে তারা তাঁদের মিম ছড়িয়ে দিচ্ছে সদালাপে, সোনার বাংলায়, সংগ্রামে, নয়া দিগন্তে। আর আমরা আমাদের মিম ছড়িয়ে দিচ্ছি মুক্তমনায়, সচলায়তনে, প্রথম আলোতে। এখন দেখুন যে কাঁদের পাঠক সংখ্যা বেশি। কোন মিমটি বেশি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিবর্তনের নিয়মে যদি আমাদের মিম যোগ্যতর হয় তবে সেটাই টিকে থাকবে এবং ছড়িয়ে যাবে সবার মাঝে, আরা তাঁদের মিম ধীরে ধীরে কমতে কমতে শূন্যের কাছাকাছি চলে আসবে। কিছু মিমধারী থাকবেই, গসিয়ান ডিস্ট্রিবিউশান মেনে চলার জন্য। এখন যদি তারা তাঁদের গন্ডিতেই চিৎকার করে যায় আমি বিশেষ সমস্যা দেখি না। সমস্যা দেখি তখনই যখন তারা সেই চিৎকারটা মুক্তমনা কিংবা প্রথম আলোতে করবে। কারণ এতে করে বেশি মানুষের কাছে তাঁদের মিমটা পৌছতে পারছে এবং অন্তত এক পার্সেন্ট সেটাকে ধারণ করলে সেই এক পার্সেন্ট আমাদের ক্ষতি। এ কারণেই এই গার্বেজকে মুক্তমনা কিংবা সেরকম মাধ্যমগুলোতে ধারণ করতে আমার আপত্তি। এ কারণেই এই লেখাটিতেও আপত্তি। যদি সদালাপ অথবা ব্যক্তিবিশেষের উল্লেখ ব্যতীত শুধু মাত্র বিষয়ের অবতারনা থাকতো এবং যুক্তি থাকতো সেটা বেশি কার্যকর হতো। আর অশালীন ভাষার ব্যবহারে এখন যুক্তিগুলোর কার্যকারীতা আরো কমে গেল।
শালীন থাকাকে যদি কেউ ভাবেন মধ্য পন্থা অথবা দুর্বলতা এটা মস্তবড় একটি ভুল। শালীনতা একটি স্ট্র্যাটেজিক পথ। তাবলীগদের দেখেছেন অথবা শিবিরদেরকেই দেখুন। তারা বেশ ভালো করেই জানে তাঁদের মিম অন্যদের কাছে পৌছাতে হলে শালীনতা লাগবেই। অশালীন হয়ে কিভাবে আপনার মিম অন্যদের কাছে পৌছাবেন, আমি ভেবে পাই না, যতই আপনার যুক্তি ক্ষুরধার হোক না কেন। যদি সেটাই হতো তাহলে তো আমরা এই শ্রেনী বেশি পেতাম সমাজে। তাই পাই কি?
যা হোক, অনেক কথা বলে ফেলেছি। আমার বক্তব্যের সাথে যে কারোর দ্বিমত থাকতেই পারে। সেই দ্বিমত মাথা পেতে নিচ্ছি। দ্বিমত থাকবেই। কিন্তু সেটা যেন শালীনতা না পেরোয় সেটাই আমার কাম্য। আর মন্তব্যটাও হুট করে করা। মন্তব্যের কোন ভাষায় কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করে যদি থাকি সে ক্ষেত্রে অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাতের উদ্দেশ্য আমার মন্তব্যটি নয়। নিজের বক্তব্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মন্তব্যটি করি।
@স্বাধীন,
আপনার বক্তব্যে এখন আগের চাইতে বেশি একমত। আমার সদালাপে লেখতে মন চায়। 😛
@স্বাধীন,
মুক্তমনার অফিসিয়াল মিম কি তা বলা আমার কাজ নয়, কিন্তু এমন তো হতে পারে, তথ্য ও মতামতের বৈচিত্র বাড়ানোও মুক্তমনার একটা মিম।
@রৌরব,
অবশ্যই তথ্য ও মতামতের বৈচিত্র বাড়ানোও মুক্তমনার একটা মিম । তবে মতামতের বৈচিত্র বাড়ানো মানে নিশ্চয়ই মডারেশনহীন পাশবিক গালিগালাজের অভয়ারণ্য বা খামার বলে পরিচিত তৃনমূল পর্যায়ের বিশেষ একটি বাংলা ব্লগের জেনেটিক রেপ্লিকেশন নয় । আমরা কখনই মুক্তমনাকে ঐ বিশেষ ব্লগের ভাগ্য বরন করতে দিতে পারিনা।
@সংশপ্তক,
একমত, আমি সাধারণভাবে কথা গুলি বলেছি। মিম জীন নয়, তার উদ্দেশ্য হতে পারে যথেষ্ট জটিল।
@রৌরব,
সহমত, মিম জীন নয় এবং মীমের পর্যবেক্ষনগত দায় নিয়ে এখনও প্রচুর গবেষণার অবকাশ রয়েছে। মিমকে পর্যবেক্ষণের সকল ছাকনি জীনের মতই পার হতে হবে। এসব ঝামেলার জন্যই আমি এখনও গনিতবিদদের threshold -কে সবার উপরে স্থান দেই।
@স্বাধীন,
আমি আশা করব মুক্ত-মনার উদ্দেশ্য শুধু অন্তর্জালে যুক্তি এবং বিজ্ঞানের চর্চা করা নয়। এর সাথে সাথে সমাজের অন্ধ কুসংস্কার এবং ধর্মীয় রিতিনীতি যা মানবতা লংঘন করে সেগুলোতেও পরিবর্তন আনা। আর তা করতে হলে আমাদের বিবর্তনের নিয়ম মেনে অনন্তকাল অপেক্ষা করার সময় নাই। কিছু কাজ অনাকাঙ্খিত হলেও তা আমাদের এখুনি করতে হবে। এই মূহূর্তেই। নোংরা গার্বেজ বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবার সময় নাই।
দুটি উদাহরণ দেই:
১) আসিয়া বিবি, পাকিস্তানের এক গরীব খৃষ্টান কৃষানী, ক্ষেতে কিছু মুসলিম মহিলার সাথে কাজ করার সময় ইসলামের নবীর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করায় (আমরা নাস্তিকরা যা সত্যি বলেই ভাবি) পাকিস্হানের বিচার বিভাগ দ্বারা মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়েছে।
২) প্যালেস্টাইনী যুবক ওয়ালিদ হুসেইন নাস্তিক ব্লগে এবং ফেসবুকে মুহাম্মদ এবং ইসলামকে অবমাননা করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডের অপেক্ষায়। অনেকেই তার মৃত্যুদন্ড দাবী করছে। মুক্তমনার অনেক লেখকই ওয়ালিদ হুসেইনের থেকে কম কিছু বলেনা।
আমরা চাইনা বাংলাদেশটাও এমন কূপমুন্ডক দেশে পরিনত হোক। হওয়ার সম্ভাবনা যে নাই তা কিন্তু না। দেশটা অলরেডি আধা নষ্টদের অধিকারে আছে। আমরা চাইনা তা পুরো নষ্টদের অধিকারে চলে যাক। আর সে জন্যে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাতে হবে। আর তা করতে হলে সুশীল সেজে, গায়ে কাঁদা মাখব না এই এটিচ্যুড নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বিবর্তনের নিয়মে কবে আমরা সমাজে সেই সব পরিবর্তন আনতে পারব তা কে জানে?
@হোরাস,
সবাইকে বসে থাকতে হবে সে রকম কথা কি বলেছি? পরিবর্তনের জন্য নিজেদের যুক্তিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তো আমি, আপনি, সবাই লিখে যাচ্ছি। লেখার পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক কাজগুলো করে যাচ্ছি, এই যেমন কার্টুনিস্ট আরিফের পাশে দাঁড়ানো, কিংবা যে কোন নির্যাতিতদের পক্ষে দাঁড়ানো। কিন্তু সে জন্য কখনই ব্যক্তি গত বিদ্বেষ অথবা জাতিগত বিদ্বেষের প্রয়োজন পরে না। বিবর্তনের বিচারের জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই, বরং বিবর্তনের নিয়মকে বুঝে তার কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে।
লেখাটার প্রথম অংশটুকু নিয়েই বলি- যেহেতু দ্বিতীয় অংশটুকু টেকনিক্যাল আর এটা নিয়ে আলোচনা করার মানুষ অনেকেই আছেন। লেখকের বক্তব্যের মূলভাবের সাথে আমি একমত।
উপরে অনেকেই তাদের কমেন্টে আপত্তি করেছেন লেখকের ভাষা নিয়ে। অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন ‘ওইসব’ আবর্জনাগুলোর কাছ থেকে দূরে থাকতে- নয়ত নিজের গায়ে দুর্গন্ধ লেগে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। একদিক থেকে ভাবলে ওনাদের কথা ঠিক- কেনোই বা আমরা শুধু শুধু আবর্জনা গায়ে মাখব? ‘ওদের’ নিয়ে আলোচনা করে কেনোই বা ‘ওদেরকে’ জাতে তুলবো? তবে আরেক দিক থেকে ভাবলে উলটো চিন্তা মাথায় আসে।
অভিজিৎ দা যেমন বলেছেন-
কাওকে না কাওকে আবর্জনা মাটিচাপা দেয়ার কাজ করতেই হবে-তা আমাদের সবার ভালো লাগুক বা না লাগুক। মিষ্টি কথায় সবসময় চিড়ে ভেজে না- এটা আমরা সবাই জানি। হুমায়ূন আজাদ যদি মিষ্টি ভাষায় তাঁর প্রথাবিরোধী রচনাগুলি লিখতেন তাহলে ওসব রচনার প্রভাব কতটুকু হতো তা ভেবে দেখতে পারেন। তিনি তীব্র ভাষায় প্রথা আর ধর্মকে আক্রমণ করেছেন বলেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন। তবে এখানে তাঁর পান্ডিত্য আর অতি উন্নতমানের লেখনীর ভূমিকাও আমি অস্বীকার করতে পারি না। তবে যাই হোক- তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সমালোচনা করতে হয়;কখন ভাষার তীব্রতা কম-বেশি হবে। বিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিবাদের সাহায্যে আমরা যতই ‘ওদের’ বক্তব্য খন্ডাই না কেনো- বল সব সময়ই ‘ওদের’ কোর্টে থাকবে। এটা তো চলতে দেয়া যায় না। বল যদি আমাদের কোর্টে আনতে হয় তাহলে স্কিলের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে হার্ড ট্যাকেলেরও প্রয়োজন আছে। এই রচনারটি সেই ট্যাকেলের কাজটি করেছে বলে আমি মনে করি; তবে অন্যেরা আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন।
যারা মুক্তমনার পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত তাদের বলছি- এতো চিন্তিত হবার মতো কিছু হয়নি। একটা ব্লগ কমিউনিটিতে সব ব্লগার যদি একই রকম আচরণ করলো তো সেই ব্লগে আর কী বৈচিত্র্য থাকলো? কেও হবে শান্ত প্রকৃতির আর কেও হবে একটু ক্ষ্যাপাটে- তবেই না বৈচিত্র আসবে। মুক্তমনায় আমরা সবাই এসেছি কারণ আমাদের সবার একটি সাধারণ মত আছে; অন্তত একটি জায়গায় আমরা একমত বলেই আমরা মুক্তমনায় আছি। তবে সেই মত প্রকাশের ভঙ্গি সবার একই রকম হবে তা মনে করার তো কোনো কারণ নাই, তাই না?
অবশেষে আল্লাচাইনাকে ধন্যবাদ এমন একটি জ্বালাময়ী পোস্ট দেবার জন্য। 😀
ইশস, ফরিদ ভাই, আপনার জন্য মায়া হইতেসে এইবার। আপনার বিনোদনের জায়গার এতই অভাব? ফোন কইরেন, আফনেরে সুস্থ বিনোদনের কিসু জায়গার হদিস দিমুনে। আর অভির উপর খেপলে ঠিক আছে, আমার উপর খ্যাপেন ক্যা? নাকি পলিটিকাল কারেক্টনেসের জন্য আমার নামটাও ঢুকায় দিলেন 🙂 ।
@বন্যা আহমেদ,
আরে নাহ! পলিটিক্যাল কারেক্টনেস না। মুক্তমনায় আমি আরো বহু লোকের উপরে খাপ্পা, কিন্তু সবাইকে একসাথে চটানো যাবে না, তাই শুধু তোমাদের দুজনের নাম বলেছি। 🙂
সদালাপে যে বিনোদনের জন্য যাই, এই কথাটা কিন্তু সত্যি। সদালাপ ছাড়াও অন্য একটা সাইটেও যাই (নাম বলছি না) শুধুমাত্র মন্তব্যগুলো পড়ার জন্য। মূল লেখা পড়ি না, পড়ার মতও না সেগুলো। কিন্তু মন্তব্যগুলো অসাধারণ, জোসিলা। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি খাপ্পা, আল্লাচালাইনা খাপ্পা… ঘটনা কি? অ্যড্রেনালিনের মত মূল্যবান একটি হরমোনের এইরকম অপচয় বিবর্তনীয়ভাবে খুবই দুঃখজনক, এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম 😀 ।
@বন্যা আহমেদ,
ঘটনা কিছু না, মাঝে মাঝে খাপ্পা হওয়াটা ভালো। টিকে থাকার বিবর্তনীয় কৌশল এটা।
আল্লাচালাইনা আর আমার খাপ্পা হওয়ার মধ্যে অবশ্য পার্থক্য আছে। আমি খেপলে সদালাপে গিয়ে সুশীতল হই, আর আল্লাচালাইনা খেপলে সদালাপকে গদার আঘাতে শয্যাশায়ী করে ছাড়ে।
একটাই প্রশ্ন ছিল, এই সাইটটায় যাওয়ার দরকার কি?
@বন্যা আহমেদ,
জটিল প্রশ্ন! আমি যাই নিছক বিনোদনের জন্য। যখন মুক্তমনার লোকজনের উপর ভীষণ ক্ষেপে যাই, বিশেষ করে তোমার আর অভির উপরে, তখন ওখানে যাই। তোমাদেরকে যে মধুর মধুর গালমন্দগুলো রায়হান সাহেব বা আল মোর্শেদ সাহেবরা দিয়ে থাকেন, ওগুলো দেখলেই মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠে। 😀
@ফরিদ আহমেদ, আম্মো ্বিনোদনের জন্যে যায়। মাঝে সাঝে ইসলামে বিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে দু একটা ভাল প্রবন্ধ ছিল। তবে সেই সব লেখকরা একবার আসার পর লজ্জায় ওখানে দুবার লেখে না আমি নিশ্চিত।
আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না সাইটের মালিক একজন বায়োলজির অধ্যাপক। উনি বায়োলজি বো্ঝেন না এমনটা বলা যাবে না-কিন্ত তিনি নিজে কি ভাবে এই সব গারবেজ ড্রপিং আলাও করছেন, এটা জেনেও যে যারা লিখছে, তাদের বায়োলজির প্রাথমিক জ্ঞানটুকূও নেই।
একজন ধর্মপ্রান মু্সলিম বিজ্ঞানী হিসাবে তার কর্তব্য হওয়া উচিত মুসলিম বিশ্বে বিজ্ঞানের প্রসার। সেখানে এই ধরনের ছাগলামির প্রসারকে উনি কেন সায় দিচ্ছেন, আমার ভেবে অবাক লাগছে। ইসলামের ভাল দিক-যা চির প্রাসঙ্গিক যেমন সরল দ্বীনের ন্যায় জীবন জাপন করা-সেগুলো নিয়ে প্রচার করলেই ত হয়-এই ভাবে পাইকেরী হারে অপবিজ্ঞানের প্রচার কিভাবে ওই সাইটের বিজ্ঞানী সম্পাদক মশাই চালাচ্ছেন -আমার মাথায় ঢুকছে না।
@বিপ্লব পাল,
মনে হয় না তুমি ঠিক বলছ। যদি আমানের কথা মিন করে থাক, ও কিন্তু বায়োলজির নয়। তার ব্যকগ্রাউন্ড আমি খুব ভাল করেই জানি।
যা হোক, সাইটটা বর্তমানে পরিণত হয়েছে ওয়াজ মাহফিলের গার্বেজ হিসেবে। আসলেও মনে হয় বেশি পাত্তা দেয়া হয়ে যাচ্ছে। বাদ দাও।
@ফরিদ আহমেদ,
বিনোদনের এমনই আকাল পড়ছে 😥 ।
আল্লাচালাইনার প্রবন্ধটার দুটো দিক রয়েছে। মানবদেহের ভেন্টিজগুলো নিয়ে কিছু বদ্ধমূল বিভ্রান্তি তিনি সুন্দরভাবে প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলী দিয়ে দূর করার চেষ্টা করেছেন যা প্রসংসনীয়। এধরনের প্রয়াসকে যে কেউ সাধুবাদ জানাতে কুণ্ঠিত হবেন না।
অপরদিকে , লেখক পান্ডোরার বাক্স খুলে দিলেন। অন্য একটা ব্লগের মতামত তিনি অগ্রাহ্য এবং অবজ্ঞা করলেই সঠিক বৈচারিক মনোভাবের পরিচয় দিতেন। অথবা তিনি সেই ব্লগেই তার মতামত জানাতে পারতেন।
যে জিনিষটা মুক্তমনাকে সবসময় অন্যসকল বাংলা ব্লগ গুলো থেকে আলাদা করে রেখেছে তা আর কিছু নয় – মুক্তমনার সফষ্টিকেশন। এখানে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত আচরণ উৎসাহিত করা হয়। মুক্তমনার অনেক সদস্য ব্যক্তি জীবনে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচরন করেন যারা গালাগালির সংস্কৃতি চর্চা করে সে পর্যায়ে কখনও পৌছুতে পারতেন না। অসংখ্য মেধাবী ব্যক্তি শুধুমাত্র আচরনগত কারনে পেশাদারী ও সামাজিক জীবনে ব্যর্থ যার ভুরি ভুরি উদাহরন দেয়া যায়।
মুক্তমনায় অশ্লীল গালাগালি করাটা অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত এবং তার প্রতিফলন মুক্তমনার রন্ধে রন্ধে লক্ষনীয়। এখন কোথাও কোন অশালীন ব্যক্তি আক্রমন হলে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী। এই প্রবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় আমাদেরকে এখন ততোধিক অশালীন ভাষায় প্রতিঘাত করা হলে তার দায়িত্ব কে নেবে ? হিংসা কেবল প্রতিহিংসাই চক্রহারে বৃদ্ধি করে। সফস্টিকেটেড মানুষেরা এই চক্রের বাইরে অবস্থান করেন।
স হ ম ত। :yes:
তবে ব্যক্তি-আক্রমনে না গিয়ে ঐ ব্যক্তির তথ্য ও বক্তব্য ধরে ধরে তা যে ঐতিহাসিকভাবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূল তা এক এক করে প্রমান করে (যদিও আপনি তা করেছেন) দিলে বেশী ভালো হতো।কারন তারা তো বেশী চালাক মানুষ কিন্তু সত্যিকারের বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মানুষ নয়।অন্যদিকে সাধারন মানুষ চালাক মানুষদের পথ অনুসরন করে বেশী কিন্তু জ্ঞানী-গুনীদের নয়। সাধারন মানুষের সহজ-সরল অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ঐ চালাক লোকেরা যুগের পর যুগ,শত শত ও হাজার হাজার বছর ধরে তাদের ঘৃন্য এবং অন্ধকার মানসিকতার প্রভাব ও জোর-প্রতিপত্তি সমাজ,রাষ্ট্র ও সভ্যতায় জিইয়ে রেখেছে।ভাবুন তারা কত শক্তিশালী।সে-ই কথা বিবেচনা করে আমাদের মনে হয় সামনে এগুতে হবে।
সব কিছুর পরে আপনার এই সাংস্কৃতিক যুদ্ধ যেন থেমে না যায় সে-ই আশাই করছি এবং সাথে আছি।
ভালো থাকুন।
অ/ট ;
অনেকদিন ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে মুক্তমনায় উপস্থিত ছিলাম না বলে দুঃখিত।
তাদের গালি দেন আর যাই করেন, সদালাপীদের সাথে কথা বলা মানে তাদের ফাঁদে পা দেওয়া। আপনার এই পোষ্ট অনেক তথ্যসমৃদ্ধ, কিন্তু ইন্টেলেকচুয়ালি চ্যালেঞ্জড লোকজন আপনার ব্যক্তিআক্রমণকেই হাইলাইট করবে। আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় সদালাপীদের মানুষ করা, তবে এই পোষ্ট আপনার উদ্দেশ্যকে কোনভাবেই সাহায্য করবে না, তাছাড়া তাদেরকে মানুষ করাও সম্ভব না।
আমি শুধু আমার আপত্তিটা জানিয়ে গেলাম। আমি পলিটিক্যাল কারেক্টনেসে বিশ্বাসী না, কিন্তু এক পাল মৌলবাদীর সাথে তর্ক করতে নিরুৎসাহিত করাটা মোটেই পলিটিক্যাল কারেক্টনেস না। মুক্তমনা আর সদালাপের মাঝে আমি কোন সিমবিওটিক সম্পর্ক চাই না, ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে মুক্তমনায় সাবজেকটিভিটি বিবর্জিত এবং জেনেরিক আলোচনা হোক, সেটাই আমার কামনা।
@পৃথিবী,
চমৎকার বলেছেন। যদিও এ কথাও সত্য যে কাউকে তো আবর্জনা সাফ করতে হবে, না হলে আগাছা-পরাগাছায় জগত ভরে যাবে।
ছোটবেলার কথা। আমাদের পাশের বাড়িতে খুবই বিশ্রী ধরণের ন্যাংটা এক পাগল ছিল। পায়ে জিঞ্জির (ধর্ম) গায়ে দুর্গন্ধ (কুসংস্কার) আমাদেরকে দেখলেই বলতো (সিলেটি ভাষায়) – ‘বেটা অস্তে ধর আইয়া, বেটা অস্তে ধর আইয়া’। আমরা স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিনোদনের জন্যে তার পাশ ভিড়তাম। মুরুব্বিরা এসে আমাদেরকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দিতেন। আমরা তো তার ধার ভিড়তাম না কিন্তু প্রশ্ন জাগে, কেউ ধার না ভিড়ে পাগলের পায়ে জিঞ্জির পরালো কীভাবে? আর জিঞ্জির না পরালে সেই বাড়ির অবস্থা কী হতো তা তো পাগলের চেহারা দেখেই বুঝা যায়।
মাঝে মাঝে সত্যি দুঃখ লাগে ওয়েব সাইটটির জন্যে। তারা লেখার কোন বিষয় খুঁজে পায় না, মুক্তমনার লেখক সদস্যদেরকে বানিয়েছে তাদের লেখার বিষয়বস্তু। অথচ অস্বীকার করিনা সেখানে একসময় বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভালভাল লেখকের আনাগোনা ছিল। হউক সে বিষয়গুলো ধর্ম, বৈশ্বিক, দৈশিক, সামাজিক, রাজনৈতিক। সবকে তাড়িয়ে আজ হাতে গুণা পাঁচজন মানুষ একে অপরের মাথায় পিটে হাত বুলায় আর মনে করে মহাবিশ্বের অপর নাম, পাবনার হেমায়েত পুর।
আমার ব্যক্তিগত মতামতটা ব্যক্ত করবো এ ভাবে- যে যতই এদেরকে গুরুত্ব দেবেন, যত বেশী তাদের কথার উত্তর দিতে যাবেন, সে ততই বেশি দুঃখ পাবেন। পরিশেষে মূল্যবান সময়ের অপচয় আর সে জন্যে আক্ষেপ করা ছাড়া অভিজ্ঞতার থলেতে কোন লাভ সঞ্চয় হবেনা।
@আকাশ মালিক,
সেজন্যই তো ওটা কোন সাইট না, আমি বলি প্যারাসাইট। ওরা প্যারাসাইটের মতো টিকে আছে আমাদের সাইটের দিকে তাকিয়ে।
মাঝে মধ্যে প্যারাসাইট ঝেরে ফেলার উদ্যোগ নেয়াই লাগে।
মুর্শেদ আর তার চ্যালামুণ্ডাদের জন্য করুণাই হয় ইদানিং। ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেন, মুক্তমনা কত ভণ্ড, আর অ্যাডমিন কত খারাপ। আমি নাকি তার সাথে যুক্তিতে না পেরে কমেন্ট আটকে দিয়েছিলাম। অথচ, ফরিদ ভাই, রামগড়ুড়ের ছানা, সৈকত সহ অনেকেই আমার পাশাপাশি এডমিন হিসেবে ছিলেন এবং এখনো আছেন। আমি যদি মন্তব্য আটকে দিতাম, তাহলে তা তাদের অগোচরে থাকতো না। যুক্তি দিয়ে কোন কিছু খণ্ডন করা তাদের জন্য অনেকটা হিমালয় পাড়ি দেবার মতোই দূর অস্ত, আর তাই বেছে নিয়েছে মিথ্যাচার আর গালিগালাজ। এই যদি হয় ‘সদালাপ’-এর নমুনা – তবে সার্থক নামকরণ বটে। 🙂
@অভিজিৎ,
এই আল মোর্শেদ আর এসএম রায়হান জিনিস বটে। মিথ্যাবাদী এবং গালাগাল বিশারদতো বটেই, সেই সাথে এই দুজনের মানসিক সুস্থতা নিয়েই সন্দেহ আছে আমার। সাথে জুটেছে আরো কয়েকটা সাঙ্গাৎ। মুক্তমনার প্রতি এদের প্রবল ঘৃণা দেখলে অবাক হতে হয়। এই ঘৃণা এসেছে সুবিশাল হতাশা থেকে এটা বলাই বাহুল্য। দিনেতো ঘুম হারামই, রাতেও মনে হয় শান্তিতে ঘুমোতে পারে না বেচারারা। স্বপ্নেও মুক্তমনা মুর্তিমান আতংক হয়ে দেখা দেয় এদের কাছে।
@অভিজিৎ,
:laugh:
চোরের স্বাক্ষী মাতাল এরেই কয়।
আরে মিয়া, আপনি নিজেই তো কখনো অভিজিত, কখনো রফিক, কখনো ফরিদ, কখনো রামগড়ুড়ের ছানা, সৈকত, আদিল, মানবতাবাদী এইসব মাল্টিনিকে ব্লগান তা কি আর আমরা তৌহিদী জনতা জানি না?
লোক হাসানো কথাবার্তা বন্ধ করেন। এইটা সিংগাপুরের ক্যান্টিনে না যে বসে বসে বেনামে আরামে খিস্তি খেউড় করবেন আর ছাড়া পাবেন।
@আদিল মাহমুদ,
হাঃ! হাঃ! সেটাই। তৌহিদী জনতা শুনসি আপনেরেও কম জ্বালায় নাই। একেবারে ‘নাস্তিকের দালাল’ বানায় দিসে। ইদানিং আর ওদের বিরুদ্ধে লেখেন না বইলা কিছুটা ছাড় পাইছেন মনে হয়। 😀
বাই দ্য ওয়ে, ব্লগে ব্লগে খালি ঘুইরা বেড়ান আর অন্য ব্লগে নাকি মন্তব্যের সেঞ্চুরি হাকান, মুক্তমনায় তো আগের মত দেখি লেখন না। লেখা ছাড়েন তাড়াতাড়ি।
@অভিজিৎ,
প্রথম প্রথম জ্বালানি মনে হইত, এখন আর মনে হয় না; মজাই পাইই। শিশুদের অনেক অত্যাচারে যেমন বিরক্ত হবার ভান করলেও আসলে মনে মনে আনন্দ পাই তেমনি আর কি 🙂 । ছাড়া আর কই পাই? যেদিন থেকে মুক্তমনার নিয়মিত সদস্যপদ পাইছি সেদিন থেকেই নাম হিট লীষ্টে উঠে গেছে।
ওনাদের আশায়ই তো আমার ব্লগে পড়ে থাকি, যদি মোলাকাত হয়ে যায়। এখানে তো আর ওনারা আসবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
তারমানে পুরো ব্লগে শুধু অভিজিৎদা একাই :lotpot: । তিনিই লিখেন,তিনিই কমেন্ট করেন,নিজেই নিজেকে ব্যান করেন,নতুন আইডি দেন।
কিন্তু রামগড়ুড়ের ছানাও অভিজিৎ রায় হলে আমি কে? :-/ :-/ ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তুমি কেউ না, You are nobody. 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বাবাজি, তোমাকে প্রথমেই বুঝতে হবে যে মুক্তমনার উদ্দেশ্য কি, এরা কারা, এদের নিয়োগকর্তাই বা কারা? তাহলেই এই প্রশ্নের জবাব পাবে।
জগতে ইসলামের বিরুদ্ধে যারাই সামান্যতম সমালোচনা করবে তারাই বাই ডিফল্ট কাফের নাসারা ইহুদীর পেইড এজেন্ট। এই কাজে ঢালা হচ্ছে (এমনকি এই চরম মন্দার দিনেও এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে টাকার অভাব পড়েনি, আমেরিকানদের পেটে ভাত না থাকলেও ইসলাম বিদ্বেষে টাকা ঠিকই ঢালছে)) বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। ভাড়া করা হচ্ছে অভিজতের মত দুয়েকজন কুলাংগার যারা বহু নামে কুতসা রচনা করে চলেছে ইসলামের বিরুদ্ধে। কারন ইসলামের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার লোক কি জগতে আর বেশী আছে? আমরা তো পরিষ্কারই দেখি যে দ্রুত জগতের সব লোকেই মুসলমান হয়ে যাচ্ছে। ইউটিউবে সামান্য সার্চ দিলেই দেখতে পাবে।
এদের পক্ষে সবই সম্ভব। তুমি অভিজিত না হলে চট করে মুক্তমনার মডারেটর বনে যাও কোন যাদুতে???
গাধাগুলারে গাধা, ছাগলগুলারে ছাগল যদি বলতে না পারি, তাহলে চুপ থাকাই ভালো… তাই আমি চুপ থাকি বেশিরভাগ সময় কারন গাধা আর ছাগলগুলারে সম্মান দিয়ে কথা বলার কোন বিকৃত ইচ্ছা আমার নাই।
আরেকটা জিনিস , আমি যখন এই ছাগলগুলারে লেখেতে দেখি যে, ওদের নাকি হকিংকে জুতাইতে ইচ্ছা করে, কারন ও বলসে মহাবিশ্ব ঈশ্বর ছাড়াই সৃষ্টি হতে পারে। তখন আমার কি বলা উচিৎ ? দেখ সোনামনি, তুমি কিছু জানো না… হকিংকে জুতা মারা ঠিক কাজ নয়।
… যত্তসব! এমন স্বার্থপর ভন্ড সেন্সরশিপ এর কি দরকার আমাকে কেউ বলবে ?
@অনন্ত নির্বাণ,
কিছু বলতে হবে কেন?
@অনন্ত নির্বাণ,
দুই extreme(গালি দেয়া আর সোনামনি বলে ডাকা) এর মাঝে মধ্যপন্থা কি নেই? ডকিন্স যখন ধার্মিকদের যুক্তি দিয়ে তুলোধনা করেন তখন কি অশালীন ভাষায় কথা বলেন?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
মধ্যপন্থায় আস্থা নেই আমার একদম… নিজেকে ভন্ড ভন্ড লাগে, আর মনের মধ্যে কিছু একটা চেপে যাওয়ার কষ্টতো আছেই।
এখানে আমরা সবাই জানি যে , আমাদের যার যার ব্যক্তিগত মতামত এবং তার জন্য একমাত্র আমরাই দায়ি, তাহলে কেন এরকম অযথা সেন্সরশিপ এর দোহাই দেওয়া ? আমি যা মনে করি তাই লিখবো এটাই ফাইনাল… আমার কাওকে গাধা মনে হলে গাধা বলবো সাথে সেইটার কারনও দেখাবো । কারন আর যুক্তি ছাড়া কিছু বললে সেখানে আপত্তি থাকবেই কিন্তু আপনাদের স্টাইলটা বড়ই অদ্ভুত… আপ্নারা জানেন এবং মানেন যে এরা গাধা… শধু বলতেই আপত্তি ?
আর নাস্তিকদের কি একলা দায় পড়েছে ভালোমানুষ সাজার ? ডকিন্স কিছু বলতে পারে না মাইক এর সামনে কারন তাতে নাস্তিকদের ইমেজ খারাপ হবে… কিন্তু সাধারন নাস্তিকদেরতো নিজেদেরকে সেলিব্রেটী ভাবলে চলবে না। সাধারন মানুষই ভাবতে হবে।আর শালীনতার মাত্রাটা কে ঠীক করবে ? যেমন এখানে একজন আপত্তি করেছেন , তুমি করে লেখায়… কি অদ্ভুত !
আরে বাবা তুমি করে বললে প্রব্লেমটা কোথায় ? আমার মাঝে মাঝে মনে হয় নাস্তিকরা কিছু taboo ছেড়ে দিয়ে , নতুন কিছু taboo আকড়ে ধরছে আর এর এগুলোর নাম ভালোমানুষি , শালীনতা … খুব অবাক লাগে , আমরা যুক্তি আর কারন কে উপেক্ষা করে ভাষা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই…
আমার এই কথাগুলা অনেকেরই ভালো লাগবে না জানি, কিন্তু আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সবাইকে সবার মতো করে মত প্রকাশ করতে দেওয়া উচিত, কম্পলেইন থাকা উচিৎ শুধুমাত্র তার মতের সংগতি আর অসংগতি নিয়ে ।
@অনন্ত নির্বাণ,
একমত। :yes:
@অনন্ত নির্বাণ,
যার যার বক্তব্যের দায় তাঁর ঠিকই, কিন্তু এর উপরেও মুক্তমনারও কিছু দায় আছে, যেহেতু সবার বক্তব্য মুক্তমনাতেই প্রকাশিত হচ্ছে। মুক্তমনা নন-মডারেটেড ফোরাম নয়, এর কিছু নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার বাইরের কোনো জিনিসকে সে গ্রহণ করতে পারে না। এটাকে সেন্সরশীপ না বলে মুক্তমনার আদর্শিক চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতা বলতে পারেন। মুক্তমনার সদস্যরা সেই নীতিমালার কাঠামোর মধ্যে থেকে স্বাধীনভাবেই তাঁদের মতামত দিতে পারেন, সেই মতামতকে বিন্দুমাত্রও বাধাগ্রস্থ করা হবে না।
মুক্তমনার শালীনতার মাত্রা এর মডারেটররাই ঠিক করেছেন।
তুমি করে সম্বোধন করে লেখায় আপত্তি করাতে সেটা অদ্ভুত হলো কেন বুঝতে পারছি না। বাংলা ভাষায় কখন আপনি, কখন তুমি আর কখন তুই বলে সম্বোধন করা হয় সেটা নিশ্চয়ই আপনাকে ব্যাখ্যা করে বলা লাগবে না।
আমারও খুব অবাক লাগছে। শালীনতা, ভালোমানুষী এগুলো আবার ট্যাবু হলো কবে থেকে?
@ফরিদ আহমেদ,
স্ববিরোধী হয়ে গেল না ? কাঠামোর মধ্যে স্বাধীনতা কোথায় ? অথবা স্বাধীনতার মধ্যে কাঠামো কোথায় ?
আর শালীনতার মাত্রা কখনোই কেউ পুরোপুরি ডিফাইন করতে পারে না… এইটা অনেক বেশি সাবজেক্টিভ। তাই সবসময়ই এর মধ্যে ফাক থেকে যায় , যাবে। আর এটা সবসময়ই পরিবর্তনশিল।
আর বাংলা ভাষা আমরা ফলো করি না , বরং বাংলা ভাষা আমাদের ফলো করে… বন্ধু , বন্ধুকে মামা, কাকা এইসব ডাকছে, বাংলা ভাষাতো এই নিয়ে নাক গলায় নি.. আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা আরো স্পষ্ট করে বললে এমন দাঁড়ায় যে, কেউ কাউকে তুমি করে ডাকলে সেটা নিয়ে অভিযোগ করতে পারে শুধুমাত্র যাকে ডাকা হয়েছে সে, যদি তার সেটা ভালো না লাগে। আপনি , আমি এই থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বারেরা এটা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন দেখি না।আমি এমন অনেক মানুষ কে জানি যারা সবসময় সবাইকে তুমি/তুই করে বলে, বড় ছোট এইসব কেয়ার না করেই। আর আমি জানি যে এর মধ্যে কোন তাচ্ছিল্ল্যের ব্যপারও নেই এটা শুধুমাত্র তাদের অভ্যেস।
প্রশ্নাতীতভাবে ভালোমানুষি আর শালীনতার দোহাই দেওয়াটা কি ট্যাবু না ?
@অনন্ত নির্বাণ,
স্ববিরোধী কেন হবে? পরম স্বাধীনতা বলে কোনো কিছু অস্তিত্ব কী আপনি দেখাতে পারবেন আমাকে? আমরা যখন কোনো সমাজে বাস করি, তখন সেই সমাজের নিয়মগুলোকে মেনে চলি, কোনো রাষ্ট্রে যখন বসবাস করি সেই রাষ্ট্রের আইনকানুনগুলোকে সম্মান করেই চলতে হয়। এখানে পরম স্বাধীনতার কোনো অস্তিত্ব নেই। যেটুকু স্বাধীনতা তা ওই কাঠামোর মধ্যেই।
ভাষার বিষয়ে যে উদাহরণ দিলেন তার কোনো জবাব নেই আমার কাছে, শুধু বড়সড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া ছাড়া। 🙁
প্রশ্নাতীতভাবে দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত?
আপনার মন্তব্যের উদ্ধৃতিগুলো উল্টোপাল্টা হয়ে গিয়েছিল, ঠিক করে দিলাম।
@ফরিদ আহমেদ,
সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র স্বাধীন, সমাজ স্বাধীন কিন্তু জনগন স্বাধীন নয়…
আর প্রশ্নাতীতভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা এটা ঠিক স্পষ্ট না, তবে বার বার এরকম শালীনতার কথা শুনলে মনে সন্দেহ জাগে। কিন্তু যদি প্রশ্নাতীত ভাবে দেওয়া হয় তাহলে সেটা ট্যাবু, আমি সেটা বলেছি। আর যখন আপনি খুব বেশি শালীন আর ভালোমানুষ হওয়ার চেষ্টা করবেন তখন আস্তে আস্তে দেখবেন প্রশ্নাতীত ভাবেই সেটা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে, যেটা আপনি সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করবেন।আর এটাই সচরাচর ঘটে যে আমরা আমাদের অভ্যেস গুলোকে প্রশ্ন করতে চাই না।
উদ্ধৃতিগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ঃ)
@অনন্ত নির্বাণ, কুকুর আপনার পায়ে কামড়ালে আপনিও কি ভাই তার পায়ে কামড়াবেন?
@অচেনা,
চিন্তার বিষয়, আসলেই এরকম ভাবে ভাবি নাই আগে :-/
যাই হোক , শোন ভাইয়া, কাওকে কুকুরে কামড়ালে তার যা ইচ্ছা করার অধিকার আছে, আমি কি করবো সেটা সময়, পরিস্থিতি, মানসিক অবস্থা এইসব এর ওপর ডিপেন্ড করে, এই কমন ভালোমানুষি প্রশ্ন গুলা ছাড়ো নইলে দেখবা ঐ পাগলা কুত্তাগুলার সংখ্যা এত বাইড়া গেছে যে কামড় খাইতে খাইতে এই প্রশ্ন করার টাইম পাবা না আর।
@অনন্ত নির্বাণ, হুম কথাটা মন্দ বলেন নাই!যুক্তি আছে আপনার কথায়। (H)
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
অভিজিতের মত বলতে হয় দুর্গন্ধে ছেয়ে যাওয়া গার্বেজকে মাটিচাপা দেয়ার দায়িত্ব তুলে নেয়ার জন্য অভিনন্দন রইলো!
যে যাই বলুক… আমি আপনার স্পিরিটকে শ্রদ্ধা করি। যদিও আমাদের প্রকাশ ভঙ্গী আলাদা। বাংলা ব্লগে আপনার কিংবা আরিফুর রহমানের মত মানুষের দরকার আছে। নিজেদের অধিকার আদায় কিংবা টিকে টাকার স্বার্থেই দরকার আছে। শুধু (মিস্টি) কথায় চিড়া ভেজে না এটা প্রমাণিত সত্য। :guru: :guru: :guru:
ওইসব মাথামোটা ছাগলদের সাথে আগে আমি তর্ক করতে গিয়েছিলাম-এখন বয়সকালে বুঝেছি-এসব করা মানে লোকে আমার মাথার সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করতে পারে। ছোট বেলা থেকে ইসলাম ওদের এমন ব্রেইন ড্যামেজ করে দিয়েছে-সুস্থ বুদ্ধি বা ম্যাচ্যুইরিটি কিছুই এদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা উচিত না। এদের বোঝা উচিত ছাগী এবং গাভীর সাথে সঙ্গমের সপক্ষেও পন্ডিতি যুক্তি দাঁড় করানো যায়-মানুষ খুন করার সপক্ষেও যুগে যুগে লোকে অসংখ্য যুক্তির অবতারনা করেছে। কিন্ত কুযুক্তি না, মানবিকতা এবং মানব সভ্যতার উন্নতির মধ্যে দিয়েই পৃথিবী এগোবে। সদালাপে মুসলিম পি এইচ ডি ধারী দের বিদ্যার হাল দেখলে বোঝা যায়, ইসলাম ধর্মের জন্যে কি ভাবে মুসলিম বিশ্বে বিজ্ঞান চর্চার করুন হাল হয়েছে।
এই লেখাটা মুক্তমনার জন্য প্রচণ্ড রকমের ক্ষতিকর একটা লেখা। মুক্তমনাকে আমরা যে স্পিরিট নিয়ে লালন পালন করছি, সেই স্পিরিটের সম্পূর্ণ বিপরীত ধরনের লেখা এটি।
সদালাপের মত একটা তৃতীয় শ্রেণীর ওয়েবসাইটকে অহেতুক গুরুত্ব আরোপ করা হলো এই লেখার মাধ্যমে। এ ছাড়া আল মোর্শেদ সাহেবকে আল্লাচালাইনা যে ভাষায় উত্তর দিয়েছে সেটা কোনো সভ্য এবং সুশোভন ভাষা নয়। মোর্শেদ সাহেবের অপবিজ্ঞানমূলক গার্বেজকেও খামোখাই সদালাপ থেকে মুক্তমনায় টেনে আনার কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে আমি মনে করি না।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি মুক্তমনায় লেখক হিসাবে নতুন হলেও পাঠক হিসাবে অনেক পুরানো। সেই ২০০৫ সাল থেকে যখন ভিন্নমত, মুক্ত-মণা ওয়েব সাইটে অভিজিৎ, বিপ্লব পাল, জাফরউল্লাহ, কারান মীর্জা, আলমগীর হোসেন, কিংবা আকাশ মালিকদের লেখা পড়তাম। তাদের লেখার মূল আকর্ষনই ছিলো তথাকথিত স্যুডো বুদ্ধিজীবিদের লেখার সমালোচনা করে লেখাগুলো। যদিও যাদের সমালোচনা করে লেখা হতো তাদের কোয়ালিটি বর্তমানের এই ঘিলুলেস কয়েকজনের থেকে অনেক বেটার ছিলো। তাই মুক্ত-মনায় সমালোচনা করে লেখার কনসেপ্টটা নতুন না। আর সেজন্যেই মুক্তমনার স্পিরিটের বিপরীত এই লেখা এ কথাটি মানতে পারলাম না। তবে ভাষার ব্যাপারে রামগড়ুড়ের ছানা যেমন আপত্তি জানিয়েছেন তেমন আপত্তি থাকতেই পারে।
@হোরাস,
এটা যে মুক্তমনার স্পিরিটের বিপরীত, সেটা মানা বা না মানা আপনার বিষয়। তবে, আমি আমার অবস্থান থেকে সরে আসছি না।
মুক্তমনায় সমালোচনা করে লেখার কনসেপ্ট নতুন নয়, সে বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত। অনেক অনেক স্যুডো লেখাকে এখানকার লেখকেরা অত্যন্ত নির্মমভাবে কাটাছেড়া করেছেন, কিন্তু তার সবই হয়েছে শালীনভাবে।
সদালাপকে তৃতীয় শ্রেণীর ওয়েবসাইট মনে করার পিছনে শুধুমাত্র এর অত্যন্ত নীচু মানের লেখাই দায়ী নয়, বরং এর একটা অদ্ভুত পলিসিই দায়ী। খেয়াল করে দেখবেন এর বেশিরভাগ লেখাই মুক্তমনার কোনো না কোনো প্রবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় লেখা। যে লেখা সদালাপে প্রকাশই হয় নি, সেই লেখার উপরে প্রতিক্রিয়া লিখে যাচ্ছেন এর লেখকেরা, এর থেকে হাস্যকর আর কী আছে? ঠিক সেই হাস্যকর কাজটাই আজকে এখানে করছি আমরা। আল মোর্শেদ সাহেবের লেখার প্রতিক্রিয়া আল্লাচালাইনা সদালাপে দিতে পারতেন, মুক্তমনাকে এর সঙ্গে না জড়ালেও পারতেন। অভিজিৎ, বিপ্লব পাল, জাফর উল্লাহ, আকাশ মালিকরা যে সমস্ত লেখার সমালোচনা লিখতেন সেগুলো কিন্তু মুক্তমনা বা ভিন্নমতে প্রকাশিত প্রবন্ধই। অন্য কোনো সাইটের লেখাকে টেনে নিয়ে আসতেন না তাঁরা মুক্তমনা বা ভিন্নমতে।
মুক্তমনায় যে কোনো লেখার গঠনমূলক সমালোচনাই কাম্য, কাউকে গালিগালাজ করে লেখা নয়।
আর একটা বিষয় অবশ্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি আমি। আল্লাচালাইনা আল মোর্শেদ সাহেবকে তুমি তুমি করে কথা বলছেন কেন? যদি তাঁরা উভয়ে পূর্ব পরিচিত হন, তবে কোনো কথা নেই, আর যদি না থেকে থাকেন, তবে এই সম্বোধনে মারাত্মক আপত্তি রয়েছে আমার।
@ফরিদ আহমেদ,
এক্সাক্টলি। আর একারনেই এ লেখাটা একবারে অপ্রাসংগিক নয়।
@হোরাস,
অপ্রাসঙ্গিক হয়তো নয়, তবে অপ্রয়োজনীয়। হাঁটুমুড়ে বসে নিজেদেরকে ওদের পর্যায়ে নামাচ্ছি আমরা।
@ফরিদ আহমেদ, গাধাকে গাধা বললে কি কেউ গাধা হয়ে যায়? ওদের নিয়ে আমার কেন যেন চিন্তা হয়না কোন কারণ এদের চিন্তার প্যাটার্ন একই রকম। এরা কারণে অকারণে ফালাফালি করতে চায়। বেশি ফালাফালিতেই তাদের অন্তসারশূন্যতা ধরা পড়ে।মশা কারো রক্ত খেতে গেলে বা কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করলে থাপ্পড় খাবেই। সে যে মানুষের হাতে মরল এতে তারও কোন গৌরব নেই আবার মানুষের হাত যে তাকে মেরে কাল হল তাতেও মানুষের কি কোন অগৌরব আছে? কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করতে আসলে নিজের অশান্তি দূর করার জন্য মশা মারব, মশার উপস্থিতিতে আমার অস্তিত্ব সংকটাপন্ন ভেবে নয়। তারা যদি একথা বুঝতে অক্ষম হয়ে অযথা ফাল পাড়ে then who cares? at least i dont…
@লীনা রহমান,
শুনুন লীনা। আল মুর্শেদ গং দের নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমার সবটুকু চিন্তা মুক্তমনাকে কেন্দ্র করে। গাধাকে গাধা বলবেন না ছাগল বলবেন সেটা আপনার বা আপনাদের বিষয়। আমি শুধু মুক্তমনার যে অর্জনটুকু হয়েছে, সেটাকে মাথা গরম করে বিসর্জন দেওয়ার অপক্ষপাতী। গাধা, গরু, ছাগল এগুলো যদি তাঁদেরকে বলতে চান, তবে সদালাপে গিয়ে বললেতোই সবচেয়ে ভালো হয়। আল মুর্শেদ মুক্তমনায় লিখেন না, খামোখা তাঁকে মুক্তমনাতে টেনে এনে পিটাপিটি করাতে মুক্তমনার কী লাভ? তাঁর রক্ত ঝরে আমাদের মেঝেই অপরিষ্কার হচ্ছে। এই ভদ্রলোক একবার মুক্তমনায় অশ্লীল কিছু কৌতুক পরিবেশন করেছিলেন, তখন তাঁকে এই আমরাই কঠিন ঠেঙানি দিয়ে মুক্তমনা থেকে বের করে দিয়েছিলাম। মুক্তমনায় কেউ ছাগলামি করলে সে কোনোভাবেই ছাড় পাবে না এটা নিশ্চিত।
মশা রক্ত খেলে তাকে থাপ্পড় দিয়ে মারতেই হবে, কিন্তু এর মানে এই না যে মুক্তমনার মশারির বাইরের সব মশাকে জোর করে ধরে নিয়ে এসে আমাদের গালে বসিয়ে সেগুলোকে কষে থাপ্পড় লাগাতে হবে। এতে মশা হয়তো মরবে ঠিকই, কিন্তু নিজেদের গালে নিজেদের থাপ্পড়টাও লাগবে।
আবর্জনা পরিস্কার নয়, আমার কাছে বরং মনে হচ্ছে যে সদালাপের আবর্জনাকে মুক্তমনার আঙিনায় টেনে নিয়ে এসে মুক্তমনাকেই দুর্গন্ধযুক্ত করছি আমরা।
@ফরিদ আহমেদ, আমি এখানেই আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি
মুক্তমনার অর্জন এতে নষ্ট হবে কেন? আমার তা মনে হয়না।
@লীনা রহমান,
আপনার দ্বিমতের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে আমিও দ্বিমত পোষণ করছি।
মুক্তমনার সাথে আমরা যারা জড়িত আছি সেই শুরু থেকে, তাঁরা জানি এর যাত্রাকে সুগম করতে কতখানি নীতিগতভাবে বলিষ্ঠ অবস্থানে থাকতে হয়েছে আমাদের, কতখানি সচেতনভাবে নিরুৎসাহিত করতে হয়েছে ব্যক্তি আক্রমণকে। ব্যক্তি আক্রমণের কাঁদা ছোড়াছুড়িকে এড়িয়ে যেতে পেরেছি বলেই আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে মুক্তমনা। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিচ্ছি। বুঝতে সুবিধা হবে আপনার। মুক্তমনা এবং সদালাপের জন্ম হয়েছিল একই সময়ে পাল্টাপাল্টি সংগঠন হিসাবে। সেই সময়ে সদালাপ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। মুক্তমনার সাথে সাথেই উচ্চারিত হতো এর নাম। সেই শুরু থেকে ব্যক্তি আক্রমণকে প্রশ্রয় না দেবার নীতিতে অটুট ছিল মুক্তমনা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সদালাপের পরিচালকেরা এই বিষয়টাকে নিশ্চিত করতে পারেন নি। ফলে, এখন দেখুন দুটোর অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মুক্তমনাকে যেখানে একটা সফিস্টিকেটেড ওয়েবসাইট হিসাবে বিবেচনা করে সকলে, সেখানে সদালাপকে আবর্জনার স্তুপ ছাড়া আর কিছুই ভাবে না কেউ।
কাজেই, মুক্তমনার অর্জন নষ্ট হবে না, আপনি মনে করলেও, আমি সেটাতে একমত হতে পারছি না।
@ফরিদ আহমেদ, সদালাপ ব্যাক্তিআক্রমণ প্রশ্রয় দেয়ার কারণেই আজকের এই অনস্থায় এসে পৌছেছে বুঝলাম। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম যে মুক্তমনারও সদালাপের মত পরিণতি হবে আমি বিশ্বাস করিনা কারণ আল্লাচালাইনা অন্য মুক্তমনাদের মতই সদালাপীটির লেখাকে যৌক্তিকভাবে খন্ডন করেছেন শুধু তার ভাষা অনেক বেশি রুক্ষ ছিল এবং ব্যাক্তি ব্যাপারটা লেখায় স্থান পেয়েছে যা হয়ত অন্য অনেক লেখায় পায়না কিন্তু সদালাপে কি এখানকার লেখকদের লেখাকে যৌক্তিকভাবে খন্ডন করা হয়? সদালাপে থাকে মুক্তমনাদের প্রতি অযথা গালাগালি এবং কুযুক্তি।এখানেই হচ্ছে মুক্তমনা আর সদালাপে কারো লেখার প্রেক্ষিতে লেখার পার্থক্য। ব্যক্তি আক্রমণের ব্যাপারটি আমারও খুব একটা পছন্দ না।আমি শুধু আপনার একথার সাথে একমত হতে পারিনি যে এ ধরণের লেখা মুক্তমনাকে ডাউন করে সদালাপের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে। আশা করি আমি পরিষ্কার করতে পেরেছি আমার অবস্থান (যা ব্যাক্তি আক্রমনের পক্ষে নয় 🙂 )
@লীনা রহমান,
হয় আপনি আল্লাচালাইনার লেখাটি ভালো করে পড়েন নি, অথবা আপনি একজন প্রচণ্ড রকমের পক্ষপাতপূর্ণ ব্যক্তি। আর সে কারণে আল্লাচালাইনার লেখায় আপনি শুধু ব্যক্তিকে দেখতে পাচ্ছেন, ব্যক্তি আক্রমণ খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি নিরপেক্ষভাবে দেখার ক্ষমতা থাকতো তাহলে দেখতে পেতেন যে এটি ব্যক্তিগত আক্রমণের একটি আদর্শ রচনা। আল্লাচালাইনার লেখা থেকে আমি উদ্ধৃতি তুলে তুলে এনে দেখাতে পারতাম কোথায় কোথায় ব্যক্তি আক্রমণ হয়েছে বা গালাগালি হয়েছে, কিন্তু সেটা করছি না। । খামোখা এই উত্তরকে তিনমাইল লম্বা করার কোনো মানে নেই। (লোলাইফ মুসলমান জানোয়ার বা নর্দমার কীট ধরনের অমৃত বচনসমূহ যে গালি হিসাবে তাদের মর্যাদা হারিয়েছে সেটা অবশ্য জানা ছিল না আমার।) এ রকম একপেশে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সদালাপী হয়তো হওয়া যায়, কিন্তু মুক্তমনা হওয়াটা একটু অসম্ভবই বটে।
😀
অবশ্যই। লাউড এন্ড ক্লিয়ার। 🙂
@ফরিদ আহমেদ, আজ প্রমান পাওয়া গেল আমি এখনো নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করে লিখতে শিখিনি। কিভাবে যে মুক্তমনায় কয়েকটা লেখা দিয়ে ফেলেছি আর সেটা প্রকাশিতও হয়ে গেছে এটাই আশ্চর্য। :-/
আমি কোথায় বলেছি যে এই লেখায় কোনই ব্যাক্তিআক্রমন নেই? মনে করিয়ে দিলে ভাল হত তবে হয়ত আপনার সময় হবেনা।
আমি মনে হয় এখন পর্যন্ত এগুলোকে শালীন কথা বলে কোথাও দাবি করিনি।করেছি কি?
খুবই ঝামেলায় পড়ে গেলাম দেখছি। এখন তো আমি সদালাপীও হতে পারবনা কারণ আল্লাচালাইনা তার লেখায় আমার নাম উল্লেখ করে আমার সদালাপে যাবার পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন আমার কি হবে??? 😥
আমি শুধু বলেছি
তাই আমার মনে হয়েছিল এ লেখার প্রেক্ষিতে মুক্তমনা যতটুকু ডাউন হবে বলে মনে করা হচ্ছে (অর্থাৎ সদালাপের সাথে এক কাতারে নেমে আসবেনা)ততটুকু ডাউন হবেনা। আমার ভুলও হতে পারে যেহেতু আমি ব্লগে এসেছি খুব কম দিন ধরে। কিন্তু আপনার কাছে এমন একটা ব্যাপার লাউড এন্ড ক্লিয়ার হল যা আমি মিন এ করিনি। আমার মন যে কতটা বদ্ধ আছে তা জেনে খুবই দুঃখিত বোধ করছি। আমার কথায় কিছু মনে করে থাকলে ক্ষমা চাচ্ছি।
আসলেই দুঃখ ও হতাশ লাগছে। বলতে গেলাম এক কথা আর পেয়ে গেলাম নিজের মানসিক বদ্ধতার পরিচয় যা ছিল আমার কাছে অজানা। :-Y
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার ভাই কোন তুলনা নাই :lotpot: :lotpot: :lotpot:
মাথা খুব বেশি গরম করে ফেলেছেন,আরেকটু মাথা ঠান্ডা রাখলে চমতকার একটা প্রবন্ধ হতে পারত এটা। অথচ মুর্শেদের গুষ্ঠি উদ্ধার করে আপনি বিশাল একটি প্যারা ব্যায় করেছেন,সদালাপেরও গুষ্ঠি উদ্ধার করেছেন অর্ধেক লেখা জুড়ে। অথচ এতো কথা না বলে আপনি থাইমাসের ব্যাপারটা সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেই সবাই বুঝতো আমরা ব্যাক্তি আক্রমণ না , যুক্তিতে বিশ্বাসি,কিন্তু এই পোস্ট পড়ে তা বুঝার উপায় নেই। আপনি হয়তো কুকুরকে পাল্টা কামড়ে দেয়ার নীতিতে বিশ্বাসী,কিন্তু এ নীতি কতটা কার্যকরী? আপনাকে আপনার ভাষায়””ঘি-মাখনের আদুল-বাদুল নাস্তিক”” হতে বলছিনা,প্রতিবাদ করুন যুক্তির সাথে,শালীনতা বজায় রেখে। সদালাপিরা এবার খুশিই হবে,স্ক্রীণশট ছাপিয়ে প্রমাণ করে দিবে নাস্তিকের কিভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করে।
হয়রান, মোর্শেদ, সারোয়ার, শাহবাজ নজরুল আর এই কিসিমের সদালাপ ওয়ালাদের দেখলে বুঝা যায় কেন ইসলামী বিশ্বে আজ জ্ঞান বিজ্ঞানের এই চরম দুর্গতি। বিজ্ঞানী বের করতে বাটি চালান দেয়া লাগে, কিন্তু কোরআনে বিজ্ঞান খুঁজে পাওয়ার মত খ্যাতিমান গবেষক কিংবা বিবর্তনকে অস্বীকার করার মত বিশেষজ্ঞের অভাব নাই।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। কাউকে না কাউকে তো কাদা খোঁচানোর দায়িত্ব নিতেই হবে। এর পাশাপাশি চিকিৎসাশাস্ত্রেরও অনেক কিছু শেখা হল। লেখাটিতে কিছু ছবি দিলে ভাল হত। এত বড় লেখা একটানা পড়তে একটু অসুবিধাই হয়।
যদিও আমি সদালাপের হার্টথ্রব আল মুর্শেদের মত চরম সাম্প্রদায়িক এবং প্রায় বুদ্ধিহীন ব্যক্তিটির পেছনে এতগুলো বাক্য ব্যয় অনর্থক মনে করি, তারপরেও আপনার মত কেউ কেউ যে মাঝে মধ্যে একেবারেই থাকতে না পেরে যুক্তি খণ্ডনের দায়িত্বটুকু তুলে নেন, তাতে আমার অখুশি হবার কারণ নেই। আমি যখন কিশোর সাহেবকে এক ‘বিবর্তনবিরোধীর প্রত্যুত্তরে’ লেখায় রিফিউট করেছিলাম – তখন থেকেই এই মুর্শেদ সাহেব ইনিয়ে বিনিয় বলার চেষ্টা করছিলেন যে, আমি নাকি অ্যাপেণ্ডিক্স নিয়ে ভুল লিখেছি (যদিও কোথায় ভুল লিখেছি তা তারপক্ষে বলা সম্ভব হয়নি), তারপর হোরাসের লেখাটার পর চাঁদির জ্বলুনি আরো ভালমত সবাই টের পেয়েছিল। যিনি ক্রেগ ভেন্টরের প্রাণের সৃষ্টিকে দাজ্জাল বানিয়ে ডিফেন্ড করেন, আমার কিংবা হোরাসের মুখে অ্যাপেন্ডিক্স বিলুপ্তপ্রায় অংগ শুনে কিংবা থাইমাসের কথা শুনে যে তার লেজের হাড় (Coccyx) যথারীতি খাড়া হয়ে উঠবে, তাতে কোনই সন্দেহ ছিলো না। আর তার ফলাফল হচ্ছে মুর্শেদীয় সদালাপী গার্বেজ।
দুর্গন্ধে ছেয়ে যাওয়া গার্বেজকে মাটিচাপা দেয়ার দায়িত্ব তুলে নেয়ার জন্য অভিনন্দন রইলো! 🙂
এই হিসাবে একটা সমস্যা আছে। r পরিবর্তন হলে ৩৬৫ দিনে ৯ বার সূর্যের চািরদিকে ঘোরার জন্য গতি কিন্তু আর সেকেন্ডে $latex 2.7 \times 10^5$ মিটার হলে চলবে না, কারণ ও হিসেব পুরোনো r এর জন্য। solution টা আরেকটু জটিল হবে।
হিসেব না করে বলছি, মনে হচ্ছে ৯ গুণ স্পীড একই অরবিটে সম্ভব যদি পৃথিবীর ওজন (৩ গুণ?) কমে যায়।
@রৌরব,
হিসেব না করে বলছি, মনে হচ্ছে ৯ গুণ স্পীড একই অরবিটে সম্ভব যদি পৃথিবীর ওজন (৩ গুণ?) কমে যায়।
ভুল।
ধৈর্য বটে আপনার। পোস্টটা মেডিকেলের ছাত্রদের কাজে লাগবে ইম্যুনোলোজি ও গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলোজি ঝালাই করার কাজে। :yes:
@ফারুক, তাই বুঝি? :-/