মুসলমানদের মধ্যে সব চাইতে স্ববিরোধিতা প্রকাশ পায় একটা ঘটনায়। তারা যে সব দেশে সংখ্যা গরিষ্ঠ সে সব দেশকে আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত না করে, যে সব দেশ তাদের ভাষায় ইহুদি, নাসারা, কাফেরদের দেশ যারা অর্থনৈতিকভাবে বিপুল উন্নতি করেছে সেসব দেশে অকাতরে স্থায়ী ভাবে চলে যেতে চায়। আজ যদি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এসব দেশের মানুষকে ভিসা ছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়াতে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়, দেখা যাবে এসব দেশ একেবারে উজাড় হয়ে গেছে, কেউ আর নেই এদেশে বাস করার জন্য। কেন তারা তাদের দেশকে উন্নত না করে ইহুদী নাছারা কাফেরদের দেশে যেতে চায় যেখানে গেলে তাদের ধর্ম পালনে যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে জানা সত্ত্বেও ? একটাই কারন অর্থনৈতিক। তার মানে তাদের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের মধ্যে ব্যপক পার্থক্য বিদ্যমান। তারা বিশ্বাস করে এ জগত সামান্য কয়দিনের জন্য, এ জগত আসল জগত না, আসল জগত হলো পরজগত যা হলো অনন্ত অসীম তার জন্যে সবাইকে এ ইহজগতে প্রস্তুত হতে হবে। পরজগতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য মুসলমান অধ্যুষিত ইসলামী পরিবেশে বাস করলে বেশী সুবিধা নাকি কাফেরদের দেশ অধিক অনুকুল, যেখানে ঠিক মতো নামাজ পড়া যাবে না , রোজা রাখা যাবে না , ঠিক মতো হালাল খাবার খাওয়া যাবে না , চারিদিকে নাফরমানী কান্ড কারখানার ছড়াছড়ি ? সব চাইতে মজার কান্ড ঘটেছিল নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর। যখন জানা গেল ঘটনাটা ঘটিয়েছে মুসলমান জঙ্গীরা, এর পর সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমনের ভয়ে মুসলমানরা লম্বা দাড়ি বা জোব্বা বা বোরখা পরা তো বন্দ করেছিলই, পরুন্ত অনেকে মুসলমান নাম পর্যন্ত বদলে ফেলেছিল। তখন কিন্তু রাতারাতি তাদের ভোল পাল্টে গেছিল।
যদি একটা জরীপ করা হয় , পৃথিবীতে বর্তমানে কোন জাতি (ধর্মীয় পরিচয়ে) সব চাইতে বেশী গরিব, দুর্নীতি গ্রস্ত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, নীতিহীন , গনতন্ত্রহীন, স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন তাহলে মুসলমানদের নাম শীর্ষে অবস্থান করবে।
প্রতি বছর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সারা বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা প্রস্তুত করে। তাদের প্যারামিটার অনুসারে যেসব দেশ ৯.১ থেকে ৯.৪ পয়েন্ট প্রাপ্ত হয় সেসব দেশকে দুর্নীতি মুক্ত দেশ বলা যায়। আমরা যদি মোটামুটি দুর্নীতিমুক্ত দেশের প্যরামিটার এ আদর্শ পরিমাপের অর্ধেক ৪.৫- এর উপর ধরি দেখা যাচ্ছে নিম্ন বর্নিত মুসলিম দেশগুলো সবাই ৪.৫ পয়েন্টের নীচে অবস্থান করছে। অর্থাৎ এরা দুর্নীতি গ্রস্ত দেশ। আর এটা হলো ২০০৮ সালের তালিকা যা ২০০৯ সালে প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমালিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, সুদান, বাংলাদেশ, চাদ, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান, সিরিয়া, কাজাকিস্তান, ইয়েমেন, ইরান, পাকিস্তান, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মিশর, আর্মেনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লেবানন,আলজেরিয়া, সেনেগাল, আলবানিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, টিউনিশিয়া। – আর এসব দেশে মোট দুনিয়ার মুসলমানদের ৯০% এর বেশী বসবাস করে।
৪.৫ এর উপর যে কয়টি মুসলিম রাষ্ট্র আছে সেগুলো হলো – মালয়েশিয়া ( ৫.১), জর্ডান(৫.১),বাহরাইন(৫.৪), ওমান(৫.৫), আরব আমিরাত(৫.৯) ও কাতার(৬.৫)
সবচাইতে অবাক ব্যপার হলো ইসলামের সুতিকাগার ও মহানবীর জন্মস্থান সৌদি আরবের অবস্থান। এর পয়েন্ট হলো-৩.৫ অর্থাৎ ব্যপক দুর্নীতি গ্রস্ত দেশ যেখানে বাংলাদেশের প্রাপ্ত পয়েন্ট হলো- ২.১। বাংলাদেশের দুর্নীতির কারন হিসাবে যদি আমরা দারিদ্রকে চিহ্নিত করি, সৌদি আরবের ব্যপক দুর্নীতিকে আমরা কিভাবে ব্যখ্যা করব? এখানে তো বাংলাদেশের মত দারিদ্র নেই। সৌদি নাগরিকের জন্য উচ্চ বেতনের চাকরীর নিশ্চয়তা আছে, যারা বেকার তাদের জন্য সম্মানজনক বেকার ভাতা আছে। তারপরেও তারা কেন দুর্নীতিবাজ ? স্বয়ং আল্লাহর নবীর দেশের লোকজন কি তাহলে জাহান্নাম- এর ভয় পায় না ? এর মধ্যে আকর্ষর্ণীয় তথ্য হলো ইসলামের পরিভাষায় যারা সব চাইতে ঘৃণিত ও নিম্ন মানের জাতি ইহুদি, সেই ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের পয়েন্ট হলো -৬ যার উপরে মাত্র একটি মুসলমান দেশ অবস্থান করছে যেটা হলো কাতার, আর নবীর দেশ পেট্রো ডলার সমৃদ্ধ সৌদি আরবের চাইতে প্রায় দ্বিগুন। মাত্র ০.৫ পয়েন্টের ব্যবধানে কাতার ইসরাইলের চাইতে এগিয়ে আছে। তার মানে নৈতিক চরিত্রে কোরানের ভাষায় সব চাইতে খারাপ মানুষ ইহুদীরাও মুসলমানদের চাইতে অনেক এগিয়ে আছে। নৈতিক চরিত্র একারনে বলা হলো কারন – দুর্নীতি নৈতিকতা পরিমাপের একটা বড় উপাদান যদি নৈতিকতা মাপনের সত্যিকারের কোন প্যারামিটার থাকে। আরও বিস্ময়কর ব্যপার হলো ব্যপক দারিদ্র অধ্যুষিত ও মুসলমানদের ভাষায় মূর্তি পুজারী ভারতের প্রাপ্ত পয়েন্ট হলো -৩.৪ যা সৌদি আরবের প্রায় কাছা কাছি। তার মানে ভারত যদি তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আর একটু উন্নতি করতে পারে তাহলে তারা সৌদি আরবকে ছাড়াতে বেশী দেরী করবে না। এছাড়া খৃষ্টান ও নাস্তিক অধ্যুষিত ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া এদের প্রাপ্ত পয়েন্ট ৭/৮ এর বেশী। তার মানে দুর্নীতি থাকলেও তার পরিমান খুব কম আর যার প্রভাব সাধারন মানুষের জীবনে তেমন একটা পড়ে না যাকে আমরা কর্পোরেট দুর্নীতি বলতে পারি।
দুর্নীতি গ্রস্ত দেশের তালিকা থেকে একথা স্পষ্ট যে দারিদ্র দুর্নীতির অন্যতম একটা উপাদান হলেও এটা প্রধান কারন নয়। তাহলে সৌদি আরব . কুয়েতের মত দেশ দুর্নীতি গ্রস্ত তালিকায় এত উপরের দিকে থাকত না। একই সাথে ভুটান আমাদের জানা মতে পৃথিবীর অন্যতম একটি দরিদ্র দেশ যার প্রাপ্ত পয়েন্ট হলো ৫ , যার মানে হলো সে দেশের মানুষ দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও দুর্নীতির মাত্রা এমন কম হতো না।
যাহোক, একটা কথা পরিস্কার ইসলাম ধর্ম মুসলমানদেরকে মোটেও সৎ করতে পারেনি, নৈতিক চরিত্র উন্নত করতে পারেনি। তা করলে সিংহভাগ মুসলিম দেশে এত বেশী দুর্নীতি থাকত না। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়, দুর্নীতিকে মুসলমানরা খারাপ কোন কাজ বা ইসলামের ভাষায় গোনাহের কাজ বলে মনে করে কি না সেটাও বিচার্য।
এ বিষয়ে আমার দেশ বাংলাদেশকে উদাহরন ধরে বিচার করতে পারি। কারন এদেশের মানুষ হিসাবে আমি এদেরকেই ভাল চিনি ও জানি। এদেশে কি দেখি? দেখি- সরকারী এমন কোন অফিস নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না, উপজেলা লেভেলের একটা সরকারী অফিস থেকে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত সব জায়গায় দুর্নীতি। ঘুষ ছাড়া চাকরী, সরকারী সেবা পাওয়া যায় না। এক সময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনে মেধা ভিত্তিতে চাকরী হতো , তো সেদিনও শেষ। এখন পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাস করে দিয়ে দুর্নীতি করা হয়। বিপদে পড়ে পুলিশের কাছে মানুষ যায় না , তাতে উল্টে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা বেশী, অথচ চোর ডাকাত সন্ত্রাসীরা যাবতীয় অপরাধ করে পুলিশের অফিসে বসে আড্ডা দেয়। রাস্তা ঘাটে বখাটেদের উৎপাতে মেয়েরা নিরাপদে চলাচল করতে পারে না, চুরি ছিনতাই এর ভয়ে রাতে একা চলাচল করা যায় না, আবার এদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে উল্টে প্রান যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। রাস্তা ঘাটে গাড়ীতে চলাচল করা বিপজ্জনক কারন কেউ তেমন ট্রাফিক আইন মানার পরোয়া করে না , তা দেখার কোন লোক নেই। অবাধে কালো ধোয়া উড়িয়ে গাড়ী চলছে রাস্তায় পরিবেশ দুষন করছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। কোন আর্জি বা অভিযোগ কোন সরকারী অফিসে করলে তা স্বাভাবিক নিয়মে তদন্ত হবে এটা বাংলাদেশে কখনো ঘটেছে বলে মনে হয় না। সরকারের মূল সরকারী কাজের দপ্তর হলো সচিবালয় , কেউ কোন দিন মন্ত্রী বা সচিবের কাছে কোন অভিযোগ করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তার উত্তর পেয়েছে এরকম ঘটনা কোনদিন ঘটেনি। বাংলাদেশে যেদিকে তাকানো যায়, শুধু অনিয়ম, অব্যবস্থা আর দুর্নীতির উপস্থিতি ব্যপকভাবে দৃশ্যমান। অথচ টাকা দিলে যে কোন অফিসে যে কোন কাজ ত্বরিত গতিতে হয়। কথায় বলে টাকা দিলে নাকি বাঘের চোখ মেলে। একটা মুসলমান দেশে কেন এরকম অব্যবস্থা , দুর্নীতি ? কেন মানুষ ইসলামের নীতি বোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে জান্নাত বাসী হওয়ার জন্য ভাল কাজ করে না যদিও তারা মুখে বলে এগুলো হলো গোনাহর কাজ , এসব কাজ করলে জাহান্নামে যেতে হয়. তার পরেও কেন তারা এ ধরনের কাজ করে ? যারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, ত্রিশ রোজার একটাও নষ্ট করে না , হজ্জ করেছে তারাও পর্যন্ত দুহাতে ঘুষ খায়, মানুষকে যেমন ভাবে পারে ঠকায়, কথায় কথায় মিথ্যা বলে। এমন কি পবিত্র মাস রমজানেও আজান দিয়ে ঘুষ খায় । কেন এ হেন চিত্র? কেন মানুষের নৈতিক চরিত্রের এত অবক্ষয়, তাদের জীবনে তাদের ভাষায় ইসলাম নামের একমাত্র সত্য ধর্ম থাকার পরেও ?
এবারে একটু আরব দেশের দিকে চোখ ফেরাই। দেখিনি তবে সৌদি আরব সহ অন্যান্য মুসলিম আরব দেশে যে সব ঘটনা ঘটে তার সামান্য বর্ননা দেব। বাংলাদেশের গরীব মানুষ ওদেশে কাজ করতে যায় জীবিকার তাগিদে, যে আরবী লোক নিয়োগ দেয় সে অগ্রীম টাকা যা অবশ্যই ঘুষ ছাড়া নিয়োগ পত্র বা ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করে না, তার মানে ওখানকার সংশ্লিষ্ট সরকারী অফিস ঘুষ ছাড়া এসব বৈধ কাগজ পত্র ইস্যু করে না তবে একটা বড় অংশ নিয়োগকর্তাই ঘুষ হিসাবে গ্রহন করে তারা মুসলমান হিসাবে বাংলাদেশের মানুষকে খাতির করে না , এমন কি ভাই (মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই ) হিসাবে স্বীকার না করে মিসকিন বলে সম্বোধন করে , রাষ্ট্রিয় কোন বড় কেনা কাটা বা কন্ট্রাক্ট সর্বদাই সৌদি রাজ পরিবারের লোকদেরকে ঘুষ দিয়ে করতে হয় , খোদ রাজপরিবার দুনিয়ার সবচাইতে দুর্নীতিবাজ পরিবার। সৌদি আরবে তেল বিক্রির অর্থ মূলত সৌদি জনসাধারনের , কিন্তু এক তথ্যে জানা যায় , বার্ষিক যে অর্থ তেল বিক্রি করে আয় হয় তার প্রায় ৬০% ব্যায় হয় সৌদি রাজপরিবারের ভোগ বিলাসে, আর তাদের প্রায় ৫০০০ রাজকুমারকে পুষতে, প্রতিটি রাজ কুমারকে নাকি বার্ষিক গড়ে আড়াই লক্ষ ডলার ভাতা দেয়া হয়, মাত্র ৪০% ব্যয় হয় সাধারন নাগরিকদের জন্য। সৌদি পরিবারে যে সব বিদেশী গৃহপরিচারিকা কাজ করে তাদের অধিকাংশই গৃহকর্তা কর্তৃক ধর্ষিতা হয়, অনেক সময় বাবা ছেলে এক সাথে ধর্ষণ করে, অনেক ফিলিপিনো মেয়েই ফেরার সময় গর্ভবতী অবস্থায় দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়, ধনী লোক যার বয়স সত্তর হয়ে গেছে টাকা দিয়ে বিয়ে করে ষোল বছরের বালিকাকে , দেশে অবাধ সুযোগ না থাকায় ওরা ব্যংকক যায় অবৈধ যৌনাচার করতে, মদ খেয়ে মাতাল হতে আর জুয়া খেলতে। মোট কথা এমন কোন অনাচার নেই যা তারা করে না। অথচ আকন্ঠ দুর্নীতিগ্রস্ত সৌদি রাজপরিবার সারা বিশ্বে ইসলাম রপ্তানী করায় ব্যপক অর্থ খরচ করছে, তাদের কাছে বার্তা পৌছানোর চেষ্টা করছে ইসলাম হলো সত্য ধর্ম যা মানুষকে নৈতিকভাবে উন্নত করে, অথচ তারা নিজেরা কেন নৈতিক চরিত্রে উন্নত হতে পারছে না ?
এর কারন খুজতে গিয়ে যা পাওয়া গেল তাতে আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম আসলে এসব অপকর্মকে মুসলমানরা মুখে খারাপ বললেও অন্তর থেকে খারাপ বা অনৈসলামিক মনে করে না , অর্থাৎ ইসলাম এসব কার্যকলাপকে একপ্রকার অনুমোদন দেয়। তাহলে মুখে খারাপ কেন বলে ? খারাপ বলে তার কারন , সভ্য জগতে এটা অনেকটা স্বত:স্ফুর্তভাবে প্রতিষ্ঠিত যে দুর্নীতি হলো একটা অপকর্ম বা খারাপ বা অনৈতিক কাজ। বাস্তবে সভ্য জগতের এর প্রচলিত ঐতিহ্যের খাতিরে তারা একে খারাপ মনে করে কিন্তু অন্তর্নিহিত ভাবে ইসলামী বিধি অনুযায়ী তারা এসবকে মোটেও খারাপ কাজ মনে করে না।
ইসলামে তাকিয়া বলে একটা প্রথা আছে। এ প্রথায় বলে ইসলামকে রক্ষা বা ভবিষ্যতে ইসলামের প্রসারের লক্ষ্যে অবস্থার চাপে পড়ে (যেমন ভীতি প্রদর্শন, সতর্কতা, জবরদস্তি ইত্যাদি)যে কোন হারাম বা নাজায়েজ কাজ করলেও তাতে কোন গুনাহ হবে না। খোদ আল্লাহর নবী নিজেই তা তার জীবনে এ প্রথা চালু করে গেছেন। এমনকি কোরানেও এর উল্লেখ আছে, যেমন-
যার ওপর যবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উন্মুক্ত করে দেয় তাদের ওপর আপতিত হবে আল্লাহর গজব ও তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি। ১৬:১০৬
আয়াতটি এক বিশেষ উদ্দেশ্যে নাজিল হয়েছিল। একবার মোহাম্মদের কিছু অনুসারী কাফেরদের কর্তৃক বন্দী হয়েছিল। বন্দীদের মধ্যে ছিল হযরত আম্মার , তার পিতা ইয়াছির, তার মাতা সুমাইয়া, সুহায়েব, বেলাল ও খাত্তাব। কাফেররা তাদেরকে ইসলাম ত্যাগ করতে বলে ও এর জন্য তারা কিছু বাক্য উচ্চারন করতে বলে যা ইসলাম বিরোধী। ইয়াছির, সুমাইয়া ও খাত্তাব তা অস্বীকার করলে তাদেরকে হত্যা করা হয়। কিন্তু আম্মার কাফেরদের কথা মত তাদের কুফুরী সম্বলিত বানী উচ্চারন করে ও মুক্তি পায়। অত:পর সে মোহাম্মদের নিকট এসে পুরো ঘটনা খুলে বলে ও জানতে চায় তার কুফরী বানী উচ্চারনের কারনে কোন গুনাহ হয়েছে কি না। তখন মোহাম্মদ বলেন – যদি তোমার অন্তরে আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস থাকে কিন্তু কোন প্রকার জবরদস্তির প্রেক্ষাপটে কুফুরী বানী উচ্চারন করে থাক বা কোন হারাম কাজ করে থাক তাহলে তাতে তোমার কোন গুনাহ হবে না ।
উপরোক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মুসলমানরা যেসব হারাম কাজ করে বা অহরহ মিথ্যা কথা বলে তা কিন্তু সবই জায়েজ করা যায় এভাবে যে অবস্থার চাপে তারা এসব করতে বাধ্য হচ্ছে। যে ঘুষ খায় সে বলবে উপরওয়ালাকে টাকা দিতে হবে না হলে চাকরী থাকবে না তাই সে ঘুষ খেতে বাধ্য হয়। তাছাড়া সে আরও বলতে পারে সে যে ঘুষ খায় সে টাকা সে সব নিজের জন্য খরচ করে না , তার কিছু অংশ সে মাদ্রাসা বা মসজিদে দান করে , কিছু এতিম খানায় দান করে , কিছু ফকির মিসকিনকে খাওয়ায় , ইসলাম প্রচারের জন্য নানা রকম জলসার আয়োজনে সাহায্য করে , এতে করে ইসলামের বিরাট উপকার হয়। মানুষকে সে ইসলামের পথে থাকতে সাহায্য করে। তাই আপাত দৃষ্টিতে ঘুষ খাওয়া হারাম মনে হলেও সে ঘুষের টাকার একটা অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে তাই ঘুষ খাওয়া কোন হারাম হতে পারে না। সে আরও জোর দিয়ে বলতে পারে , ঘুষ খায় বলেই সে ইসলামের এত হেদায়েত করতে পারে, আর ইসলামের হেদায়েত করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ কাজ। সৌদি রাজ পরিবার বলবে , তারা ব্যপকভাবে তেল বিক্রির টাকা নিজেদের পকেটে নেয় ও ঘুষ খায় বলে সারা দুনিয়ায় তারা ইসলাম প্রচারে, মসজিদ, মাদ্রাসা স্থাপনে ব্যপক অর্থ সাহায্য করতে পারে আর এটা ইসলামের হেদায়েতের জন্য দরকার। সব অর্থ জনগনের জন্য খরচ করলে তা কি তারা পারত? তাই আপাত দৃষ্টিতে তারা যা করে তাকে হারাম মনে হলেও সূক্ষ্ম বিচারে তা মোটেও হারাম নয় বরং তা ইসলামের হেদায়েতের জন্য সহায়ক। তারা যে তাদের দেশে কাজ করতে যাওয়া গরীব নারীদেরকে ধর্ষণ করে সেটাও কিন্তু ইসলাম জায়েজ করে। কোরানে বলা আছে- দাসীদেরকে উপভোগ করা যাবে। তাদের দেশে কাজ করতে যাওয়া নারীরা একে তো অমুসলিম তার ওপর তাদেরকে একপ্রকার দাসী হিসাবে গন্য করা হয় তাই তাদেরকে ধর্ষণ করা কোন অনৈসলামিক কাজ নয়।
এছাড়া নিচের আয়াত থেকেও এ ব্যপারে জানা যায় –
মুমিনগন যেন কোন মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন না করে। যারা এরূপ করবে তাদের সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতির আশংকা কর তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ সে সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করেছেন। ০৩:২৮
এ আয়াত থেকে বোঝা যাচ্ছে মুসলমানরা কোন সময়ই অমুসলিমদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহন করতে পারবে না তবে তাদের সাথে চাতুরীপূর্ন আচরন করে আপাত: বন্ধুভাব দেখাবে, কিন্তু অন্তরে কোন বন্ধুভাব থাকবে না। এর অর্থ ইসলাম মুসলমানদেরকে সব সময় কপট আচরন করতে বা ভাল মানুষের অভিনয় (হওয়া নয়) করার কথা বলছে। একজন মুসলমান যদি অমুসলিম দেশে বাস করে তাহলে সে সব সময় এ ধরনের কপট আচরনই করবে টিকে থাকার স্বার্থে আর তলে তলে চেষ্টা করবে সে দেশের অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত দিতে। সে ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে মিথ্যা কথা বলা কোন হারাম নয়। এমনকি অমুসলিমদের সাথে ভালভাবে মেশার ভান করতে গিয়ে প্রয়োজনে হারাম খাবার যেমন মদ পান ইত্যাদিও করা যেতে পারে যাতে তাদের ভিতরে ভালভাবে প্রবেশ করে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া যায়। একজন সাচ্চা মুসলমান প্রশ্ন করতে পারে -ইসলাম বা কোরান হাদিস তো কাউকে অমুসলিমদের সাথে কপট আচরন করতে বলেনি । খুব সত্য কথা । কিন্তু কোরানে অমুসলিমকে বন্ধুরূপে গ্রহন করতে বার বার কঠোর ভাবে নিষেধ করার পর যদি বলা হয় তাদের সাথে সতর্কভাবে মিশতে তাহলে সেটাকে কপট আচরন করা ছাড়া আর কি বলা যায় ? আর মুসলমানরা যদি কোন অমুসলিম দেশে বসবাস করে তাহলে তো সব সময়ই তাদেরকে এ ধরনের কপট আচরন করে যেতে হবে কারন তারা প্রতি নিয়ত প্রত্যেকটি কাজের জন্য অমুসলিমদের সাথে মিশতে বাধ্য হবে তাদের বেচে থাকার জন্য। তারা এভাবে সেখানে বেচে থাকবে ভবিষ্যতে সেদেশে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে , আল্লাহর রাস্তায় কাজ করার স্বার্থে। আর তা করতে যাবতীয় হারাম কাজ সব হালাল কারন তা আল্লাহর রাস্তায় করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য , কপট আচরন হলো মুখে মধু অন্তরে বিষ অথবা মনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোন মানুষের সাথে আপাত ভাল মানুষের মত আচরন করা । হাদিসের নানা ঘটনায় বর্নিত আছে মোহাম্মদ মাঝে মাঝে অমুসলিমদের সাথে খুব ভাল ও বন্ধুত্ব পূর্ন আচরন করতেন, যাকে ইসলামী পন্ডিতরা তার চরিত্রের অতুলনীয় গুন হিসাবে প্রচার করে, আলোচ্য আয়াত পাঠ করার পর খুবই স্পষ্ট যে আসলে সেসব ছিল মোহাম্মদের কপট আচরন। মোটেও কোন সত্যিকার আচরন নয়। কপট আচরনের মাধ্যমে তিনি অমুসলিমদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতেন। এটাকে আমরা বর্তমানের প্রেক্ষিতে এক সুনিপুন কুটনৈতিক আচরন হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারি। নিচের হাদিসটি দেখা যেতে পারে,
আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না। সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস-৪২৭
তার মানে আল্লাহর নবীর কাছে শপথের কোন দাম নেই। দাম যে নেই সে দায় তিনি আবার চাপাচ্ছেন আল্লাহর ঘাড়ে কারন তিনি বলছেন আল্লাহর ইচ্ছায়। সুতরাং একজন মুসলমান যখন কোন পাশ্চাত্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করে তখন তাকে একটা শপথ বাক্য পাঠ করতে হয় যাতে তাকে শপথ নিয়ে বলতে হয় যে সে সেদেশের প্রচলিত নিয়ম কানুন সব মেনে চলবে। আর প্রচলিত নিয়ম কানুনের মধ্যে আছে গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাক স্বাধীনতা ইত্যাদি। কিন্তু একজন মুসলমান অবশ্যই সে শপথ মেনে চলতে বাধ্য নয় কারন তার মনের মধ্যে তো আছে অন্য রকম বিশ্বাস আর তার প্রতি অন্ধ আনুগত্য যেটা তার কাছে পাশ্চাত্য মূল্যবোধের চাইতে অনেক বেশী মূল্যবান মনে হয়। তাই সে শুধুমাত্র নাগরিক হওয়ার জন্য কপটভাবে শপথ বাক্য পাঠ করে। যে কারনে একজন প্রকৃত মুসলমান পাশ্চাত্য দেশের নাগরিক হয়ে সে দেশের যাবতীয় নাগরিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরেও সে দেশের সত্যিকার নাগরিক হয়ে ওঠে না , সে দেশের প্রতি তার আনুগত্য জন্মায় না , ভালবাসা জন্মায় না ,মনে মনে তার পরিপূর্ন আনুগত্য থাকে সেই আরব দেশটির প্রতি যেখানে মোহাম্মদ জন্মেছিলেন। বিগত বছর সমূহে আমরা পাশ্চাত্য দেশ সমূহে যত সন্ত্রাসী আক্রমনের ঘটনা দেখেছি সবগুলোই ঘটেছে এ ধরনের অভিবাসী মুসলমানদের দ্বারা। তারা সে দেশের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও সে দেশের মানুষ হয়ে ওঠেনি, আর তাই তারা সেদেশের নিরীহ মানুষ হত্যা করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনি। এমনকি দ্বিতীয় তৃতীয় প্রজন্মের যে সব মুসলমানরা সেসব দেশে এখন বসবাস করে তাদের মন মানসিকতাও প্রায় একই রকম। কারন তারা তো তাদের আনুগত্যের প্রাথমিক শিক্ষাটা তাদের ঘরে পিতা মাতার কাছ থেকেই পেয়ে থাকে। অর্থাৎ একেবারে শৈশবেই তাদের কচি মাথাটা নষ্ট করে দেয়া হয় যা তারা পরে সারাটা জীবন টেনে বেড়ায়। তারা যে আশ্রয় দাতা দেশকে নিজের দেশ মনে করতে পারে না ভালবাসতে পারে না এতে কিন্তু তারা কোন অপরাধবোধ বা হীনমন্যতায়ও ভোগে না। কারন সেই তাকিয়া। যা তাদেরকে ইসলাম রক্ষার ও প্রসারের নামে যা ইচ্ছা খুশী করার বা ভাবার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। তা সে ভাল হোক বা খারাপ হোক কিছুই যায় আসে না, তাতে কোন গুনাহ নাই।
তাকিয়ার নামে যাবতীয় অপকর্ম, অমানবিক কর্ম জায়েজ করা যায় এ বলে যে এসব করা হচ্ছে আল্লাহর জন্য ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য। মুসলিম দুনিয়ায় যত মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালু আছে , যেমন আর্মষ্ট্রং এর ইসলাম গ্রহন, কোরানের মধ্যে ১৯ এর অলৌকিকত্ব, কোরানের মধ্যে বিজ্ঞানের খনি ইত্যাদি এসব ই তাকিয়ার নামে অনুমোদিত কারন এসব ঘটনা এক দিকে যেমন মুসলমানদের ইমান শক্তিশালী করে অন্যদিকে তেমনি অমুসলিমদেরকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করে তথা ইসলাম প্রচারে এসব করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে বিমানে বোমা পেতে রাখা বা বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ন স্থানে বোমা পেতে রাখার ভূয়া খবর প্রচার করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো , অমুসলিম দেশগুলোর মানুষ জনদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া যাতে করে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা কাজ কর্ম ব্যহত হয় , যাতে করে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি করা যায় আর এ সব কিছু্ই করা হয় তাকিয়ার নামে।
ইসলামী পন্ডিতরা প্রায়শই বলে থাকে যে, ইসলামে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই, আত্মহত্যার কোন স্থান নেই, ইসলামের নাম ব্যবহার করে কতিপয় বিপথগামী মুসলমান ইসলামের ক্ষতি করছে। মূলত: এসবও কিন্তু তাকিয়ার মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ প্রকৃত সত্য চাপা দিয়ে মিথ্যে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করা বা তাদেরকে ধোকা দেয়া আর তা বলা বাহুল্য আল্লাহর ইচ্ছায় ও ইসলাম প্রচারের স্বার্থে। অথচ এখন হাদিস গবেষণা করে জানা যাচ্ছে যে – ইসলাম প্রচারই হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে। মোহাম্মদের সত্যের ও শান্তির বানীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম কবুল করেছে খুব কম মানুষই। খৃষ্টান ধর্মের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে , মানুষ সেখানে দলে দলে খৃষ্টান হয়েছিল যীশু খৃষ্টের আত্মত্যাগ দ্বারা। কিন্তু মোহাম্মদ নিজেই অস্ত্র ধারন করে তার বানী প্রচারে নামেন। তার পন্থা ছিল যখন তিনি মদীনাতে গিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে একটা শক্তিশালী দল গঠন করলেন তখন তিনি মদিনার পাশ্ববর্তী গোত্রগুলোর কাছে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত পাঠাতেন তাতে কোন কোন গোত্র সাড়া দিত ইসলামের বানীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নয় বরং মোহাম্মদের বাহিনীর আক্রমনের হাত থেকে বাচার জন্যে। তার জ্বাজ্জল্য প্রমান হলো ইসলামের ভাষায় মুনাফেকরা। মুনাফেক হলো যারা মোহাম্মদের কাছে এসে ইসলাম কবুল করত , কিন্তু নিজের জায়গায় ফিরে গিয়ে ইসলাম ত্যাগ করে নিজের ধর্ম আচরন করত। এরকম কেন করত ? এরকম করত মোহাম্মদের ভয়ে। যদি মোহাম্মদ তাদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে হুমকি ধামকি , ভয় ভীতি প্রদর্শন না করত তাহলে তো তারা মোহাম্মদের কাছে এসে ইসলাম কবুল করার ভান করত না। তার মানে ইসলামের প্রাথমিক যুগে এর প্রচার প্রসার হয়েছিল হুমকি , ধামকি , ভয় প্রদর্শন , সন্ত্রাস এসবের মাধ্যমে। মোহাম্মদের নবুয়তের একেবারে প্রথমে যারা মুসলমান হয়েছিল তারা ছিল মুলত: গুটিকয় দাস শ্রেনীর অতি গরিব ও সামাজিক ভাবে হীন লোক জন। উল্লেখযোগ্য যে লোক প্রাথমিক ভাবে মোহাম্মদের কৌশলে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহন করেছিল তার মধ্যে তার নিজ বৃদ্ধা স্ত্রী খাদিজা ও হযরত আবু বকর ছাড়া আর কেউ ছিল না। মোহাম্মদের ধর্ম সত্যি সত্যি আল্লাহ প্রেরিত হয়ে থাকলে সর্বপ্রথম যার ইসলাম গ্রহন করার কথা তিনি হলেন তার চাচা আবু তালিব। কারন আবু তালিবই মূলত: তাকে শৈশব থেকে মানুষ করে যুবকে পরিনত করেন। সুতরাং মোহাম্মদ যে আসলে কোন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন তা সবচাইতে বেশী জানার কথা আবু তালিবের অন্য কারো নয়। তিনি যদি সত্যি সত্যবাদী আল আমীন হয়ে থাকেন তাহলে আবু তালিব কেন তার জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহন করলেন না এটা কিন্তু একটা বিরাট প্রশ্ন। দেখা যায় , মোহাম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা যে বছর মারা যায় ঠিক সে বছরই আবু তালিব মারা যায়। মোহাম্মদের বয়স যখন ৫০ তখন খাদিজা মারা যায়। মোহাম্মদ ৪০ বছর বয়েসে সর্বপ্রথম ওহী প্রাপ্ত হন। তার মানে তার ইসলাম প্রচারেরও ১০ বছর পর্যন্ত আবু তালিব বেঁচে ছিলেন কিন্তু এ দীর্ঘ সময়েও তিনি ইসলাম কবুল করেন নি। যদি ধরে নেই যে, কুরাইশদের একজন সম্ভ্রান্ত নেতা হওয়ার কারনে ও কোরাইশদের নির্যাতন থেকে মোহাম্মদকে রক্ষা করার জন্য তিনি ইসলাম কবুল করেন নি , কিন্তু তিনি যখন মৃত্যু শয্যায় তখনও তো তিনি ইসলাম কবুল করতে পারতেন , তাও করেন নি। এ বিষয়ে যে হাদিস আছে তা একটু দেখা যাক-
যখন আবু তালিব মৃত্যু শয্যায় আল্লাহর নবী মোহাম্মদ তার কাছে গেলেন এবং দেখলেন সেখানে আগে থেকেই আবু জেহেল ও আব্দুল্লাহ বসে আছে। আল্লাহর নবী আবু তালিবকে বললেন- চাচা, বলূন আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তাহলে আমি আল্লাহর কাছে আপনার জন্য সাক্ষ্য দেব। তখন আবু জেহেল ও আব্দুল্লাহ উভয়ে বলে উঠল- আপনি কি আব্দুল মুত্তালিবের ধর্মকে অস্বীকার করছেন? আল্লাহর নবী বার বার আবু তালিবকে অনুরোধ করলেন , বলুন, আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। জেহেল ও আব্দুল্লাহ তারাও বার বার তাকে জিজ্ঞেস করল- আপনি কি আব্দুল মুত্তালিবের ধর্ম অস্বীকার করছেন ? অত:পর আবু তালিব তার শেষ বাক্য উচ্চারন করে মারা গেলেন যা ছিল- আমি আব্দূল মুত্তালিবের ধর্মে বিশ্বাসী এবং আল্লাহর নবীর কথা মেনে নিতে অস্বীকার করলেন। তখন আল্লাহর নবী বললেন -তারপরও আমি আপনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব যদি না তিনি নিষেধ করেন। সহি বুখারী, বই – ২৩, হাদিস নং-৪৪২
তার মানে দেখা যাচ্ছে আবু তালিব মোহাম্মদকে স্পষ্টভাবেই আল্লাহর নবী হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন ও ইসলামও কবুল করেন নি। কারন আব্দুল মুত্তালিব হলেন মোহাম্মদের দাদা যিনি মোহাম্মদের শৈশবেই মারা গেছিলেন। অর্থাৎ তার ধর্ম ছিল পৌত্তলিক। যাহোক. মৃত্যুকালে আবু তালিব ইসলাম কবুল করলে কোনই অসুবিধা হতো না। এ থেকে আরও একটা বিষয় বেশ পরিস্কার তা হলো – মোহাম্মদ সম্পর্কে মহান সত্যবাদী বলে যে একটা মিথ ইসলামী দুনিয়াতে বহুল প্রচলিত তাও যথেষ্ট সন্দেহজনক। কারন মোহাম্মদ কতখানি সত্যবাদী ছিলেন তা সব চাইতে বেশী আবু তালিবের বেশী জানার কথা কারন তার কাছেই ছোট কাল থেকে মোহাম্মদ বড় হয়েছেন তার স্নেহ-ভালবাসায় পুষ্ট হয়েই। সুতরাং মোহাম্মদ যখন নিজেকে নবী বলে দাবী করলেন , দাবী করলেন জিব্রাইল ফেরেস্তা তার কাছে আল্লাহর বানী নিয়ে যখন তখন হাজির হয়, তখন তো আবু তালিবেরই সর্বপ্রথম বিশ্বাস করার কথা। কিন্তু তিনি তা বিশ্বাস তো করেন নি , পরন্তু এর দশ বছর পরও তা বিশ্বাস করেন নি।
আরও একটা ব্যপার এখানে প্রনিধান যোগ্য। মোহাম্মদকে সবচাইতে বেশী আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছিলেন আবু তালিব। আর আর্থিক ভাবে তাকে স্বাচ্ছল্য দিয়েছিল মোহাম্মদের স্ত্রী খাদিজা। যতদিন তারা বেচে ছিলেন ততদিন মোহাম্মদ মক্কা ছেড়ে কোথাও যান নি। তার নবুয়ত দাবীর পরও দশ বছর যাবত তিনি মক্কাতে ছিলেন। এ সময়কালে কুরাইশরা তাকে একটা আপোদ হিসেবেই গন্য করত। তাই মাঝে মধ্যে তারা আবু তালিবের কাছে এ বিষয়ে একটা ফয়শালা করার জন্য অনুরোধ করত। মোহাম্মদকে কখনই একটা বিরাট প্রতিপক্ষ হিসাবে মনে করত না। বিরাট প্রতিপক্ষ হিসাবে মনে করলে তারা আবু তালিবের ভাতিজা বলে মোহাম্মদকে মাফ করত না। হয় তাকে হত্যা করে ফেলা হতো, না হয় তাকে মক্কা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হতো। এটাই ছিল তখনকার আরব দেশের সামাজিক পরিবেশ। আবু তালিব ও বিবি খাদিজার সমর্থন লাভের পরেও দশ বছর যাবত তিনি মক্কাতে তার ধর্ম ইসলাম প্রচারে বিশেষ সুবিধা করতে পারেন নি। তখনও তার অনুসারীর সংখ্যা গুটিকতক। তার মানে দীর্ঘ সময়ে কোন রকম জারি জুরিতেও কোরাইসদেরকে বোঝানো যায় নি যে তিনি সত্যিই আল্লাহর নবী আর আল্লাহর বানী তার কাছে যখন তখন আসা শুরু হয়েছে। সুতরাং এমনিতেই তার ধর্ম প্রচারে মোটেই কোন সুবিধা হচ্ছিল না মক্কাতে অথচ তার বয়স বেড়ে যাচ্ছিল। এটা খুব স্পষ্ট যে মক্কাতে তার ইসলামের কোনই ভবিষ্যত ছিল না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাকে অন্য চিন্তা করতে হচ্ছিল। তাই তিনি গোপনে গোপনে তার অনুসারীদেরকে আশে পাশের অঞ্চলে পাঠিয়ে তার বার্তার কার্যকারিতা যাচাই করছিলেন। ভাগ্যক্রমে মদিনা থেকে মোটামুটি ভাল সাড়া পাওয়া গেল। সুতরং তার চাচা আবু তালিব ও স্ত্রী যখন মারা গেলেন তখন তার আর মক্কায় থাকার কোন মানে ছিল না , বরং একাকী মোহাম্মদ তখন বেশ অসহায়। ওদিকে মদিনা থেকে সাড়া পাওয়া গেছে তাই মক্কায় থাকার কোন দরকারও ছিল না। এর সোজা অর্থ হলো- তাকে যদি কোরাইশরা মেরে ফেলতে নাও চাইত তাহলেও তাকে মক্কা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হতো তার ভাগ্য পরীক্ষার জন্য। এ বাস্তব কারনে কেন জানি মনে হয় , কোরাইশরা তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল এটাও একটা ভুয়া প্রচারনা। সত্যি সত্যি মেরে ফেলতে চাইলে আবু তালিব বেচে থাকতেই তা করত বা আবু তালিব মারা যাওয়ার পর পরই তা করতে পারত। যেহেতু মোহাম্মদ মক্কায় মোটেও সুবিধা করতে পারছিলেন না তাই তাকে কুরাইশরা মেরে ফেলার মত অত কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়নি কারন মেরে ফেলার মত অত বড় হুমকি মোহাম্মদ কখনই মক্কায় হয়ে ওঠেন নি। তবে মাঝে মাঝে তারা মোহাম্মদকে হুমকি ধামকি দিত বলে মনে হয়। আর সেটাই স্বাভাবিক। বরং আপদ মক্কা থেকে বিদায় হয়ে মদিনায় যাওয়াতে কোরাইশরা হাফ ছেড়ে বেচেছিল। একটা প্রবাদ আছে- পীররা নাকি নিজ গ্রামে ভাত পায় না। বিষয়টা যে কতটা সত্য তা একবার আমি আট রশির পীরের মাজারে গিয়ে ভালমতো উপলব্ধি করেছিলাম। ওখানে গেছিলাম আসলে কৌতুহলী হয়ে যে সারা দেশের মানুষ কিসের ধান্ধায় ওখানে যায় গরু ছাগল নিয়ে তা নিজ চোখে দেখতে। তো ওখানে যাওয়ার পর কৌতুহলী হয়ে আশে পাশের গ্রামে একটু ঘুরতে বেরোলাম। ঘুরতে ঘুরতে নানা মানুষের সাথে আলাপ করে জানলাম ওরা কেউই আটরশির পীরের মুরিদ না। শুনে আমি বেশ বিস্মিত বোধ করি। তাদেরকে বললাম সারা দেশের এত মানুষ তার মুরিদ আর আপনারা মুরিদ না , কারন টা কি ? ওরা এটা সেটা করে যে বুঝ দিল তা হলো-পীর হিসাবে মানার মত কোন কেরামতি তারা তার মধ্যে দেখেনি। ঠিক হুবহু একই ঘটনা ঘটেছিল মোহাম্মদের ক্ষেত্রে। দশ বছরেরও বেশী সময় ধরে আপ্রান চেষ্টা করেও মক্কাতে তার অনুসারীর সংখ্যা সামান্যই রয়ে গেছিল , খোদ তার চাচা আবু তালিব পর্যন্ত তাকে বিশ্বাস করেন নি। অথচ সেই মোহাম্মদ মদিনাতে যাওয়ার দুই তিন বছরের মধ্যেই এক বিরাট বাহিনী গঠন করে গোটা মদিনার একচ্ছত্র নেতায় পরিনত হলেন আর তার অনুসারীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। পরবর্তীতে আমরা মোহাম্মদের যে আগ্রাসী চরিত্র দেখি অর্থাৎ বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে তাদের শেষ করে দেয়া, ইসলাম কবুল না করলে তাদেরকে হত্যা করা বা খুন করা এসব এর কারন কিন্তু নিহিত আছে তার জীবনের প্রাথমিক ব্যর্থতার মধ্যে। মূলত সেই ব্যর্থতার কারনে তার মনে জিঘাংসার ভাব খুব বেশী জাগরিত হয়। আর তার যারা সাহাবী ছিল তারা তো ছিল আরও বেশী আগ্রাসী কারন তারা এ আগ্রাসনের শিক্ষাটা খুব ভালভাবে পেয়েছিল তাদের গুরু মোহাম্মদের কাছ থেকে। এদের মধ্যে তার সাগরেদ ওমর সবচাইতে বেশী উগ্র ছিল। তা ছাড়া প্রকৃতি গত ভাবে উষর , অনুর্বর, কঠিন ও রুক্ষ্ম মরুভূমির লোকজনরা এমনিতেই উগ্র ও নিষ্ঠূর প্রকৃতির। খুন জখম রাহাজানি, ডাকাতি ধর্ষণ এসব ছিল তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ কারবার। মোহাম্মদ ইসলামের নামে তাদের জোর করে একত্রিত করলে সত্ত্বর তারা একতার শক্তি উপলব্ধি করতে পারে। এর ফলে তারা ইসলাম ত্যাগ করার চিন্তা বাদ দিয়ে বরং ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাজ্য বিস্তারে মন দেয়। মোহাম্মদের আগ্রাসী চরিত্র, মনোভাব ও কর্মকান্ডের জন্যই মদিনাতে থাকতে তিনি আল্লাহর নামে যেসব ওহী প্রচার করেছিলেন তার মধ্যে বিরাট গুনগত তফাৎ বর্তমান। আক্রমনাত্মক ও অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণাত্মক সব আয়াত মদিনাতে মোহাম্মদ কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে। তার আগ্রাসী চরিত্রের সাথে হিটলারের তুলনা করা যায়। হিটলার যেমন তার জার্মান শ্রেষ্ট জাতি তত্ত্ব প্রমান ও বাস্তবায়নের জন্য যাবতীয় অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করেছিলেন, ইহুদি নিধন যজ্ঞ সংঘটিত করেছিলেন, মোহাম্মদও ঠিক সেটাই করেছিলেন। যেকারনে দেখা যায় মুসলমানদের মধ্যে হিটলার প্রীতি ব্যপক।
তাকিয়ার একটা বহুল ব্যবহার দেখা যায়- নন-মুসলিমদের কাছে যখন ইসলামি প্রবক্তারা ইসলামের কথা বলে তখন তারা মাক্কী সূরাগুলো উল্লেখ করে ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম হিসাবে প্রচার করে ও প্রতারনা করে। আর এগুলো করে তারা ইসলাম যে একটা শান্তির ধর্ম এরকম একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করে। এতে যে মানুষ কিছুটা হলেও প্রতারিত হয় তা কিন্তু বোঝা যায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বক্তব্যে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ র্বুশ জুনিয়র, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার প্রমুখদের বক্তব্য থেকে তা বোঝা যায়। এমনকি এই কিছুদিন আগে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান আমেরিকার বিমান বন্দরে নাজেহাল হওয়ার পর ইসলামকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে বলেছিল- ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম। ভাবখানা যেন ইসলাম সম্পর্কে তার অগাধ পান্ডিত্য। মক্কায় থাকাকালীন সময়ে দুর্বল মোহাম্মদ যে সব আয়াত প্রচার করেছিলেন সেগুলো যেমন –
তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে। ১০৯:০৬
নিশ্চয়ই যারা অত্যাচারী তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। ১৪: ২২
যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি অত্যাচারীকে পছন্দ করেন না। ৪২: ৪০
এখানে একটা ব্যপার প্রনিধানযোগ্য। তা হলো সূরা সংকলনে কোরানে ধারাবাহিকতা নেই একেবারেই। ভাল মতো পরীক্ষা করলে দেখা যায়, যেমন ইচ্ছা খুশী তেমন ভাবে সূরা সংকলন করা হয়েছে। যেমন সর্বপ্রথম সূরা হলো সূরা আলাক তা গেছে ৯৬ নম্বরে। আবার অনেক সূরার কিছু অংশ মক্কায় বাকী অংশ মদিনাতে অবতীর্ন করেছে মোহাম্মদ। আবার মদিনাতে যাওয়ার সাথে সাথেই তো মদিনাবাসী তাকে একচ্ছত্র কতৃত্ব দেয়নি, তাই মদিনায় যাওয়ার পর পর যে সব সূরা মোহাম্মদ প্রচার করেছেন তার মধ্যে মাক্কি সূরার সূর লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ এসময়ের কিছু কিছু সূরার মধ্যে খানিক উদারতার বহি:প্রকাশ দেখা যায়। যেমন-
দ্বীনের ব্যপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই ।০২: ২৫৬, মদিনায় অবতীর্ন
আল্লাহ বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। ০৫:৬৪, মদিনায় অবতীর্ন
এসব শুনলে মনে হয় , সত্যি ইসলাম একটা সত্য ও শান্তির ধর্ম। আর কিছু মানুষ যারা ইসলামের কিছুই জানে না তারা এতে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত হয়।
এর পর পরই যদি মদিনায় আবির্ভূত হিংসাত্মক আয়াত গুলো উল্লেখ করা হয় তাহলে ধরা পড়ে ইসলাম কতটা শান্তির ধর্ম। তখন ইসলাম তথা মোহাম্মদের আসল চেহারা ধরা পড়ে , যেমন-
আল্লাহর কাছে জিহাদের সমতূল্য আর কিছু নাই। ০৯:১৯
হে ইমানদারগন , তোমাদের কি হল , যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে(জিহাদ) বের হবার জন্য বলা হয় তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে ?……….. যদি বের না হও আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবেন,……………….। ০৯: ৩৮-৩৯
হে নবী , কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন, মুনাফেকদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। ০৯:৭৩
তোমরা বের হয়ে পড় প্রচুর সরঞ্জামের সাথে , জেহাদ কর আল্লাহর পথে জান- মাল দিয়ে, এটি তোমাদের জন্য অতি উত্তম যদি তোমরা তা বুঝতে পার। ০৯: ৪১
তারা চায় যে তারা যেমন কাফের তোমরা তেমনি কাফের হয়ে যাও যাতে তোমরা ও তারা সমান হয়ে যাও। অতএব তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে না আসে। অত:পর তারা যদি বিমুখ হয় তাদেরকে পাকড়াও কর. এবং যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরুপে গ্রহন করো না, এবং সাহায্যকারীও বানিও না। ৪:৮৯
হে নবী, আপনি মুসলমানদেরকে জেহাদের প্রতি উৎসাহিত করুন। ০৮:৬৫
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ওই লোকদের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ বিচার দিনের ওপর বিশ্বাস রাখে না। আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষন তারা করজোড়ে জিজিয়া কর প্রদান না করে। ০৯:২৯
হে ইমানদারগন, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও, এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক, আর জেনে রাখ আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। ০৯:১২৩
হে ইমানদারগন , নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেত ভাবে বেরিয়ে পড়। ০৪: ৭১
আর যারা মোহাম্মদের ডাকে সাড়া দেবে না বা অন্যায় যুদ্ধে যেতে গড়ি মসি করবে তাদের প্রতি কি রকম ভয় দেখানো হচ্ছে , যেমন-
পেছনে থেকে যাওয়া লোকেরা আল্লাহর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে আনন্দ লাভ করেছে; আর জান মালের দ্বারা আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে অপছন্দ করেছে, আর বলেছে, এ গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না। বলে দাও , উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম। যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকত। ০৯:৮১
এ হলো তাকিয়া যা মোহাম্মদ নিজে চালু করে গেছেন আর কোরানে যার উল্লেখ করা হয়েছে। এ তাকিয়ার মাধ্যমে মুসলমানরা ন্যায় অন্যায়, অপরাধ, মিথ্যা কথা বলা, প্রতারনা করা ইত্যাদি সকল রকম আকাম কুকাম করতে পারে অবলীলায় যা করলে তাদের কোন গুনাহ হবে না , স্বয়ং নবী তা বলে গেছেন। সুতরাং আমরা দুনিয়ায় মুসলিম দেশগুলোকে যে এত দুর্নীতিগ্রস্ত দেখি, নৈতিক চরিত্রে মুসলমানরা যে এত নীচু , যে কোন অন্যায়, অত্যাচার , খুন খারাবি , রাহাজানি, ধর্ষণ ইত্যাদি করতে যে তারা একটুও দ্বিধা গ্রস্ত হয় না তার মূল কারন এখানেই নিহিত। কোরান হাদিস ভাল মতো পড়লে , গবেষণা করলে এ সিদ্ধান্তেই আসতে হবে যে – ইসলাম মানুষকে কোনই নৈতিক শিক্ষা দেয় না , সভ্য মানুষ গড়তে সাহায্য করে না , সুশীল সমাজ গড়তে দেয় না। ইসলাম বড়জোর মানুষকে একটা আধা সভ্য বর্বর সমাজ ব্যবস্থা উপহার দিতে পারে যার প্রতিফলন আমরা দেখেছি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে।
ঠিক তখনই ইসলামি প্রবক্তারা বলে বসবেন, ইসলামে যে সব নীতি কথা বা ভাল কথা আছে সেসব তালাশ না করে কেন এর মধ্যের ত্রুটি বা খুত বের করার চেষ্টা করছি। আসলে কোন ত্রুটি বা খারাপ কথা খুজে বের করা হচ্ছে না। য্টো করা হচ্ছে তা হলো ইসলাম আধুনিক সমাজ সভ্যতার উপযোগী কোন বিধান কি না সেটার বিশ্লেষণ। সেটা করতে যেয়েই আমরা এগুলো বের করছি আর স্পষ্ট হচ্ছে যে ইসলাম বড়জোর সেই ১৪০০ বছর আগেকার আরব সমাজের জন্যই প্রযোজ্য ছিল , বর্তমানে এর কোনই উপযোগীতা নেই। ইসলামে এমন কোন নীতি কথা নেই যা মানুষ আগে জানত না , এমন কোন আইন নেই যা মানুষ আগে জানত না, এমন কোন উপদেশ নেই যা মানুষ আগে জানত না। অর্থাৎ ইসলামে নতুন কোনই কথা নেই। ইসলাম ছাড়াই বিশ্ব সভ্যতা এতদুর এগিয়ে এসেছে, সভ্য সমাজ গড়ে তুলেছে, ন্যয় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার পত্তন ঘটিয়েছে। তাই ইসলাম ছাড়াই খুব ভালমতো মানব সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। বরং যে সব দেশে ইসলাম পাকাপোক্ত আসন গেড়ে বসে আছে সেসব দেশ ও জাতি অনেক পিছিয়ে আছে সব দিক দিয়েই- অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রাযুক্তিক অগ্রগতির সর্বক্ষেত্রেই মুসলমান সমাজ যোজন যোজন পিছিয়ে আছে। ইসলাম পৃথিবীতে এমন কোন আদর্শ ও উন্নত সমাজ এ পর্যন্ত ১৪০০ বছর যাবৎ গড়তে পারেনি যা মানব সভ্যতার জন্য অনুকরনীয় হতে পারে। ইসলামিষ্টরা ইসলামের সোনালী শাসন বলতে যে চার খলিফার রাজত্বের কথা বলে, তাদের একজন ছাড়া বাকি সবাই নিজেদের লোকদের দ্বারাই খুন হয়েছে নির্মম ভাবে , ওসমান তো নামাজ পড়া অবস্থায় খুন হয়েছে। আলী তো ক্ষমতা পাকা পোক্ত করতে মোহাম্মদের প্রিয়তমা বালিকা বধু আয়শার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। এ ঘটনাগুলো নিশ্চয়ই কোন সোনালী শাসনের পরিচয় বহন করে না। তাকিয়া প্রথার মাধ্যমে যতই মিথ্যা ও প্রতারনাপূর্ন বাগাড়ম্বর করা হোক না কেন , সত্য যা তাকে চিরদিন গোপন করে রাখা যায় না। মোদ্দা কথা হলো- ইসলাম মানুষকে সভ্য মানুষ হওয়ার চেয়ে বরং অসভ্য ও অসৎ হতেই বেশী উৎসাহিত করে যা পরিশেষে আমাদের হাজার হাজার বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা এ সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি বলেই দিবালোকের মত প্রকাশ্য।
ইসলাম অমুক ধর্মের চেয়ে ভাল, তমুক ধর্মের চেয়ে ভাল এসব বলে লাভ কি? বাকি ধর্মে আপডেট করার ব্যবস্থা আছে, কাজেই তারা একদিন ইসলামকে ছাড়িয়ে যাবেই। শেষে বলা হবে
ইসলাম আর কি এমন খারাপ? আফ্রিকার নরখাদক গোষ্ঠীর ধর্মের চাইতে ইসলাম অনেক ভালো………… 😀 😀 :rotfl: :rotfl: :rotfl:
তারপর একদিন সেইসব নরখাদকেরাও নিজেদের ধর্ম আপডেট করে নেবে। সেদিন বলা হবে ইসলাম অন্ততঃ __________________ এর চেয়ে ভালো।
শুন্যস্থানটা কেউ ভর্তি করে দিতে পারেন??? :-X :-X
ভবঘুরে মহাশয়ের লেখাখানি যত্ন সহকারে পড়লাম সঙ্গে মন্তব্যের মধ্যে বিতর্কও দেখলাম। আমি একটা কথাই বলতে চাইব। সব ধর্মের মধ্যে নিষ্ঠূরতা আছে অসাড়তা আছে কিন্তু আমার মনে হয় অন্য ধর্মগুলির সংস্কার হচ্ছে এবং মানুষ জরাজীর্ণতাকে বিষর্জন দিচ্ছে।কিন্তু মুসলিম ধর্মে কোন সংস্কারের নাম গন্ধও দেখতে পাই না বরং চরম গোড়ামী আর ধর্ম প্গ্রন্থের অন্ধ অনুকরণ চোখে পড়ে। জানি না মুসলিমরা কবে কা থেকে ব্যর হবেন। আর সাইফুল ভাই আমরা ভারতীয় বাঙ্গালীরা বাঙলাদেশের প্রতি একটা নাড়ির টান অনুভব করি তাই ভারতীয় সংবাদপত্রে বাঙলাদেশ সম্পর্কে খবর পড়ি। গত কাল স্যন্দনপত্রিকায় দেখলাম বাঙলাদেশে আলাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য কি ভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর তা যদি হয় তা হলে নাস্তিকতা যে কোনদিকে উবে যাবে তার ঠিক থাকবে না হয়ত আপনার ও দো হাত তুলে আলাহ আলাহ করতে হবে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হন। না হলে ভবঘুরে বাবুর সঙ্গেও বিতর্ক করার সময় পাবেন না। :guli:
@সুমিত দেবনাথ,
একমত।
@সুমিত দেবনাথ,
আমি তো বিদেশে বসে ঠিক উল্ট টা করি।
বাংলাদেশের ই-কাগজে ভারতের খবর পড়ি। কিন্তু ভারতের ই-কাগজে বাংলাদেশের খবর খুবই কম পাই।
কালকের কাগজে পড়লাম কে এক হিন্দু ইস্কুল শিক্ষক মহাম্মদের সম্বন্ধে সমালচনা করে বিপদে পড়েছেন। ইস্কুল থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয়েচেন ও ভয়ে উনি গা ধাকা দিয়েছেন।
@সেন্টু টিকাদার, আপনি কোন প্রসঙ্গে কথাটি বললেন বুঝলাম না? আচ্ছা যাই হোক। প্রথমত বলি সেই শিক্ষকের কথা। সম্ভবত উনি সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে গিয়ে কথাটি বলেছেন মুক্তমন থেকে মানুষের ভাল চেয়ে নয়। আর তাই আশা করা করা যায় ওই শিক্ষিত শিক্ষকের কাছ থেকে। উনি মহম্মদের সমালোচনার আগে ওই দূর্গা মায়ের পান্ডা ছেলেদের কথা তুললেন না কেন? যারা মানুষের পকেট কেটে জুলুম সন্ত্রাস করে চাঁদা তুলে। আর চাঁদার টাকা দিয়ে যাবতীয় কুকর্ম করে। আর ভারতে মুসলমান কোন সমস্যা নয় আসল ঔ হিন্দু মৌলবাদরা। আজ অযোধ্যার রাম মন্দিরের পয়সলা হল কয়েকদিন থেকে সাজ সাজ রব। আজ সকাল থেকে স্কুল কলেজ যানবাহন বন্ধ। তবু অনেক কষ্টে একটি গাড়ি কালেকশন করে মুসলিম অধুসিত কাছাড়ে গেলাম। যাওয়ার আগে অনেকে না করলেন মুসলিম অঞ্চলে এই মুহুর্তে না যাওয়ার জন্য। তবু আমি একটু এক রোখা প্রকৃতির। আমি আগেই জেনেছিলাম যে হিন্দুরা যদি হামলা না করে তবে মুসলিমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। আর মুসলিম কাছাড় থেকে আমাকে সকালে ফোন এল “আপনি আসছেন তো পরিস্থিতি যাই হোক আপনার গায়ে একটা আচড় ও আমরা লাগতে দেব না।” আমি গেলাম কেউ হিন্দু বলে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়েনি। বরং কাকীমণি ( আমিনা বেগম) আমার জন্য মোরগীর মাংস আর পায়েস রেধে রেখেছিলেন যা তৃপ্তি সহকারে খেলাম। আর আসার সময় শুনলাম কাকু কাকীমণি বলছেন বাবা তুমি আসবে কারণ তোমার কাছে আমাদের মৃত ছেলের খোঁজ পাই যা শুনে আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারি নি। আমি একজন মানুষ আর সেই মানুষদের মধ্যে কোন পার্থক্য খোজে পাই না। ওদের দ্বিতীয় ছেলে যে আমার ভক্ত বলতে পারেন । তাকে আমি মাদ্রাসায় ভর্ত্তি করতে দেই নি। কাকু কাকীমণিকে বলেছিলাম দয়া করে ওকে মাদ্রাসায় দেবেন না। আমি ওকে একজন আদর্শ মানুষ হতে শেখাবো। আজ সে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক করছে। শেষে বলব হে স্বার্থ লোভী ধর্মীয় নেতারা আমাদের মুক্তি দে মানুষে মানুষে আর বিভাজন করিস না।
@সুমিত দেবনাথ,
ধরা যাক আপনি একটা মুসলমান প্রধান দেশে বাস করছেন আর কোর্ট যে ধরনের রায় দিয়েছে সেরকম রায়ই দিল। তাহলে কি মনে করেন আপনি যে ঘটনা বললেন সেধরনের পরিবেশ পেতেন ? নিজেকে কল্পনা করুন পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে বাস করছেন আর সেখানে এ ধরনের একটি রায় দিল কোর্ট হিন্দুদের পক্ষে। তাহলেই দেখবেন আপনার এ ধরনের অতি উদার কথাবার্তা সব উবে গেছে।
@সুমিত দেবনাথ,
মূল সমস্যাটা সেখানে। কিন্তু অনেকে সব ধর্মে নিষ্ঠুরতা আছে উল্লেখ করে ইসলাম ধর্মের ব্যপক নিষ্ঠুরতাকে জায়েজ করতে চায়। সেটাই বড় চোখে লাগে কারন অন্য ধর্মের যে সংস্কার হচ্ছে তখন সেটা তারা উল্লেখ করতে ভুলে যায় বা ভুলে যাওয়ার ভান করে। কারন সংস্কার শব্দটিতে ইসলামের বড়ই এলার্জি।
@ভবঘুরে, আমার মনে হয় অনেকেই ব্যালান্স করে চলতে চান,তা না হলে নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান টলে যেতে পারে। সুতরাং আপনার ইসলামের বিপক্ষে ‘নিরপেক্ষ’ ভাবে কিছু লিখতে হলে পৃথিবীর হাজার খানেক ধর্মের দোষগুলোও নিয়ে আসতে বলবেন তারা। সবখানেতেই ব্যালেন্স।
@রুশদি,
সে কি আর বলতে? 😀
@রুশদি,
বেজায় পছন্দ হলো শব্দবন্ধটা।
আমি, ভাই, আমার ব্লগে ব্যালান্সের ধার ধারি না। পলিটিক্যালি কারেক্টও নই। যে-ধর্মে ইতরামির প্রাবল্য বেশি, ধোলাইয়ের সিংহভাগ তার কপালেই জোটে। ইসলাম-ব্যাশিং বেশি চলে সঙ্গত কারণেই। কারণ আমি জন্মগত সূত্রে মুসলিম এবং মূলত ইসলাম পরিবেষ্টিত ও ইসলামী ইতরামির প্রত্যক্ষদর্শী। যার অনাচার আমার চোখের সামনে, আমি তার বিদ্বেষীই বেশি হবো, সেটাই কি স্বাভাবিক নয়? এ-কারণে আমি ইতোমধ্যেই ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। যদিও আমি নিশ্চিত জানি, আমার জন্ম আমেরিকার খ্রিষ্টান পরিবারে হলে এখন আমাকে ভয়ঙ্কর খ্রিষ্টধর্মবিদ্বেষী বলা হতো।
ভবঘুরের অকপট ভাষণ ভালো লেগেছে খুব।
ধর্ম নিয়ে যে কোন আলোচনায় এই পাল্টা যুক্তি গুলো আসবেই !!!আপনি যতই যুক্তি দেখান না ক্যনো আলোচনা একিই দিকে মোড় নেবে!!যদিও আপনার এই পোস্টে নতুন করে ভাব্বার অনেক কিছু ছিল!!ভাল পোস্ট!!
@otithi,
এর মধ্য দিয়ে মানুষ আসল সত্যটা জেনে নেবে আর সেটাই আসল।
@সাইফুল ইসলাম,
আমার চাইতে আপনি আরও বিপজ্জনক কথা বলেছেন আর তা হলো একজনের লেখা না পড়ে বা আংশিক পড়েই বিজ্ঞ মানুষের মত মন্তব্য করেছেন। আপনি একজন অন্ধ মানুষের মত হাতির লেজটি ধরে মন্তব্য করছেন হাতি দেখতে দড়ির মত। মন্তব্য না করলে করবেন না , তবে তা যদি নেহায়েত করতে হয় তবে আপনাকে সম্পূর্নটা পড়েই তা করতে হবে। অন্যান্যরা হয়ত সম্পূর্ন পড়েছে আর তাই আপনার মত অত উগ্র মন্তব্য করতে পারেনি।
এটা হাদিস না ভাই, কোরানের বানী। আর এটার ভিত্তিতে পুরো নিবন্ধটি লেখা হয়নি। আপাত দৃষ্টিতে এটা আপনি যেভাবে অর্থ করলেন সেরকমই। দোষের তেমন কিছু নেই। কিন্তু এর সাথে হাদিস আছে যেটা পড়লে আপনি বুঝতে পারতেন কেন নিবন্ধটি লেখা হয়েছে। আপনি সত্যি করে বলুন তো তাকিয়া শব্দটি কখনো শুনেছেন ? না শুনলে গুগল সার্চ করে দেখতে পারেন। taqiyya এ শব্দটি লিখে সার্চ করুন পেয়ে যাবেন যা হয়ত আপনার অজানা। আর তখন মনে হয় এ ধরনের উগ্র মন্তব্য করতে পারবেন না। পরিশেষে, একটা লেখা লিখতে প্রচুর পড়াশুনা ঘাটা ঘাটি করতে হয়, বিশেষ করে এ ধরনের লেখা লিখতে। এটা কোন রম্য রচনা না যে অনেকটা মনের মাধুরী মিশিয়ে যেমন ইচ্ছা টাইপ করে গেলাম। তাই না জেনে না বুঝে কোন কিছু সজ্ঞানে লিখি না। আমার আগের লেখাগুলো পড়লেও আপনি তা দেখতে পাবেন।আমার কাছে ইসলাম ধর্ম বর্তমান সভ্যতার জন্য একটা বিরাট হুমকি মনে হয় , মনে হয় ইসলাম ধর্ম সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য ফণা তুলতে চেষ্টা করছে। আপনার কাছে তা মনে নাও হতে পারে। যাহোক, মানবতাবাদী হিসাবে সেটা আমি হতে দিতে চাই না। সে কারনেই অধমের এ লেখা। যদি মানুষও এতে সচেতন হয়। ব্যক্তিগত কোন লোভ লালসা নেই।
@ভবঘুরে,
আপনিও মনে হয় আমার উত্তরটা না দেখেই প্রতিউত্তর দিয়েছেন। যাই হোক ভুলে ভুলে কাটাকাটি। 🙂
আপনার লেখাটায় আবারও চোখ বুলালাম, নতুন কোন কিছুই চোখে পড়ল না।
পড়বে কি করে আপনি তো আর নতুন কিছু যোগ করেন নি। প্রবন্ধটি সম্পূর্ন না পড়ার কথা ঠিকই দেখলেন কিন্তু আমি আমার উত্তরের কোথায় আপনার লেখার ভুল মানে করেছি বা ভুল উদ্ধৃতি দিয়েছি তা কিন্তু এড়িয়ে গেলেন বলে মনে হল। আরে ভাই আমি সবটা পড়েছি নাকি পড়িনি সেটা আপনার কাছে বিবেচ্য কেন? আপনি আমার কথা মিথ্যা নাকি অযৌক্তিক সে কথা প্রমান করবেন, তাই না?? 🙂
এটার উপরে নাতো কিসের উপরে? আপনার সম্পূর্ন প্রবন্ধের মুল বিষয় হল তাকিয়া নামক একটি জুজু। আরে ভাই আমি তো কোন ছাড়, এই ফোরামের সমস্ত নাস্তিকদের কাছে জিজ্ঞেস করুন দেখুন তো তাকিয়া চেনে কিনা? আমরা নাস্তিকরাই যদি না জানি তাহলে বাংলাদেশের জনগন জানবে কি করে? তাকিয়া মানে জানি না বলেই আমি আপনার কাছে একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম, বাংলাদেশের মানুষ ইসলাম সম্পর্কে কেমন জানে বলে আপনার ধারনা? তো আপনিতো মনে হয় আপনার প্রবন্ধ পুরোটা পড়িনি বলে আর উত্তর দিলেন না।
আমাদের মত নাস্তিকদের যদি তাকিয়া সম্পর্কে জানতে গুগলের সাহায্য নিতে হয় তাহলে সাধারন জনগন এই তাকিয়া নামক বালিসের কথা যে জানবে না সে তো সহজ কথা, তাই না??
তো যে বিষয়ে তারা জানেই না সেই বিষয়ে তাদেরকে দায়ী করা কতটুকু যৌক্তিক বলে মনে করেন?
এই ফোরামের কোন নাস্তিক এমন কি আস্তিক আদিল মাহমুদ ভাইয়ো মনে হয় এই কথার বিরোধিতা করবেনা যে, ইসলাম এই বর্তমান সভ্যতার জন্য হুমকি।
আপনি মনে হয় আমার করা এই উক্তিটি দেখেননিঃ
আসেন আজকে থেকে আমরা রোগ হলে ওষুধ না খেয়ে রোগীকে পিটিয়ে মেরে ফেলি, তাহলেই জীবানু মারা যাবে কি বলেন?? গাছ ফলকে একেবারে সমূলে উৎপাটন করি। ব্যাস ল্যাটা চুকে যাক। আবার যখন ঐ জীবানু অন্য রোগীকে ধরবে? সমস্যা কি, মাইর আছে না? পিটিয়ে আবার মারব? আবার উঠবে? কি মুশকিল, সমস্যার তো কিছু নাই, আবার পিটাব। এভাবেই চলতে থাকবো। ঠগ বাছতে গা উজার করব। :rotfl:
ভাই আপনার উদ্দেশ্য ভালো তা আমরা বুঝি, কিন্তু আপনার কথা সবাই মেনে নেবে এটা ভেবে নিচ্ছেন কেন? মুসলমানদের কার্যকলাপের দোষ মুসলমানদের না, দোষ ইসলামের। এখন যদি আপনি এই দোষ ধর্মপালনকারীদের দেন তাহলে কি আপনার ইচ্ছাপুরন হবে বলে মনে করেন?
@সাইফুল ইসলাম,
একথা বলে আপনি আমার ওপর একটা সীল বসিয়ে দিয়েছিলেন। আপনার এ মন্তব্যটি ঠিক ছিল না। যাহোক, তার পরেও আপনি বলেছেন শোধ বাদ, আমি সভ্য মানুষ বলেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তা মেনে নিলাম।
@ভবঘুরে,
সাইফুল ভাইয়ের এই কথার পরে আর কথা চলেনা। ভবঘুরে, দাদা ভাই এবার বাদ দেন না, প্লীজ।
সাইফুল ভাই,
তাকিয়া নিয়ে আপনি যে অর্থ বুঝেছেন আসলে এই তাকিয়া (تقیه) সেটা নয়। এই তাকিয়ার অর্থ বালিশ নয়। এখানেই তর্কের ইতি টানা হউক, চলুন অন্য যায়গায় ঘুরে আসি।
@আকাশ মালিক,
না না মালিক ভাই, আমি তাকিয়া বলতে বালিশ বুঝি নি। 😀
ভবঘুড়ে যে তাকিয়ার কথা বলছেন, সেটার মানে আমি জানি না সত্য। কিন্তু একটা জিনিস, ভবঘুরে বলছেন, মুসলমানেরা নাকি এই তাকিয়ার অজুহাতে অনেক জিনিসকে বৈধ করছে। মালিক ভাই, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই ইসলাম সম্পর্কে আসলে তেমন কিছুই জানে না। সেখানে তাকিয়া সম্পর্কে জানার তো প্রশ্নই আসে না। এখন যেখানে তারা তাকিয়া সম্পর্কেই জানে সেখানে এর অজুহাত তারা দিবে কিভাবে আপনিই বলেন? :laugh:
এই অভিযোগ কি তাদের ক্ষেত্রে খাটে? 🙂
@ভবঘুরে,
একটা লেখা লিখতে প্রচুর পড়াশুনা ঘাটা ঘাটি করতে হয়, বিশেষ করে এ ধরনের লেখা লিখতে।
@Golap,
১০০% সত্য কথা বলেছেন।
@ভবঘুরে,
একথা বলে আপনি আমার ওপর একটা সীল বসিয়ে দিয়েছিলেন। আপনার এ মন্তব্যটি ঠিক ছিল না। যাহোক, তার পরেও আপনি বলেছেন শোধ বাদ, আমি সভ্য মানুষ বলেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তা মেনে নিলাম। 🙂
ভাই ইসলাম বা ধর্ম সম্পর্কে লেখায় ইদানিং কোন মন্তব্য করি না, আসলে পড়াই হয় না। আপনার লেখাটিও সম্পুর্ন পড়িনি। যতটুকু পড়েছি, পড়তে যেয়ে বার বার মনে হয়েছে আপনার ইসলাম বিদ্বেষ খুবই বিপদজনক। আবারও বলছি খুবই বিপদজনক। আপনার প্রবন্ধের পড়তে পড়তে তার ছাপ রয়েছে( যদিও আমি সবটা পড়িনি তবুও বুঝতে পেরেছি)। যার জন্য
এই হাদিসটার মত কিছু স্বাভাবিক কথাকে আপনার কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে। আমি এই হাদিসের মধ্যে আসলেই এমন কিছু দেখছি না যেটা আপনার এত ক্রোধের কারন হতে পারে।
আমি যদি বলি আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি(নিঃসন্দেহে), কিন্তু যদি এমন কোন সময় আসে( যেমন কেউ আমার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বল , বল ব্যাটা বাংলাদেশ ফাউল একটা দেশ) তখন আমি তা বলতে বাধ্য হব মুখে মুখে, যদিও অন্তরে আমি ঠিকই বাংলাদেশকে ভালবাসি। এটা বলার জন্য কি আপনি আমাকে বালিস(তাকিয়া) ব্যাবহারের জন্য দায়ী করবেন? আপনি মুসলমান বিদ্বেষে এতই নিমজ্জ্বিত যে এই হাদিসেরই ব্যাখ্যায় না যে কোথায় দেখলাম কয়েক জন মানুষ যারা অকপটে আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য জীবন দিয়েছে তাদের দান আপনার চোখে লাগল না। জানি না এখানে তারা কোন বালিস(তাকিয়া) ব্যবহার করেছিল। ভাই ইসলামের বাড়ি ঘর খুজে পেতে আপনি শেষ পর্যন্ত কাথা বালিস(তাকিয়া) তোষক পর্যন্ত বের করে ফেলেছেন কিন্তু এটা বুঝতে পারছেন না যে মুসলমানেরা যদি খারাপ হয়েই থাকে তাহলে এই ধর্মের জন্যেই হয়েছে। তাহলে আর মুসলমানদের দোষ দেয়া কেন? আপনার রোগ হলে কি আপনি নিজেকে মারবেন নাকি জীবানুকে মারবেন?
ভাই, আমি নাস্তিক মানুষ। আমাকে আবার যেন মুসলমানদের পেইড এজেন্ড মনে করবেন না!!!!
একটা প্রশ্ন ছিল। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ ইসলাম সম্পর্কে কেমন সচেতন? মানে তারা কত জন কোরান হাদিস সব পড়েছে?
এতগুলো মন্তব্য হয়ে গেল কিন্তু শাফায়ত ছাড়া আর কাউকে দেখলাম না লেখকের মুসলমান বিদ্বেষ সম্পর্কে কোন কথা বলতে। হতাশাজনক। ভাই ভবঘুড়ে, এত বিদ্বেষ নিয়ে মৌলবাদী হওয়া যায়, যুক্তিবাদী হওয়া যায় না। আপনার লেখায় আমি মৌলবাদী একজন নাস্তিকের ঘ্রাণ পেলাম আর যুক্তিবাদের পেলাম উৎকট গন্ধ।
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
সুন্দর লাগল কথাটা।
উনি আসলেই কোন মুসলিম বিদ্বেষী রোগে (যদি থেকে থাকে) ভুগছেন। উনার প্রতিটি লেখার ভিতর
:yes:
ভাইজান, আপনারে আপনার বিগত একটা পোষ্টে অনুরোধ করেছিলাম “আল্লাহ এই কোরান হেফাজত করবেন” এই আয়াতটা বের করে দেখান, আশা রাখি এই পোষ্টে সেইটা বের করে দিবেন। কোরানের কোথায় লেখা আছে।
ধন্যবাদ।
@Russell,
খুব ইন্টারেষ্টিং চ্যালেঞ্জ তো। আসলেই এমন কিছু কোরানে নেই?
তবে এর সূত্র কি? এটা তো ইসলামের একটা মৌলিক বিশ্বাস বলা যায়।
@আদিল মাহমুদ,
আমিও কৌতুহলী। সার্চ দিয়ে পাইলাম ১৫:০৯
015.009
YUSUFALI: We have, without doubt, sent down the Message; and We will assuredly guard it (from corruption).
@রৌরব/মালিক ভাই,
ধন্যবাদ।
তবে আল্লাহ “we” হলেন কেন এই কূট প্রশ্ন আবারো পাপ মনে এসে যায়। যাক, যার কোন উত্তর নেই সে নিয়ে নাই বা মাথা ঘামাই।
@আদিল মাহমুদ,
নিচে আকাশ মালিকের জবাব দেখার আগে কিছুক্ষণ ভাবলাম আপনে কি আমারে আকাশ মালিকের sock puppet ঠাউরাইলেন নাকি? 😀
@রৌরব,
আরে না, তা কেন? এক ঢিলে দুই পাখী মারলাম আর কি।
@আদিল মাহমুদ,
এ নিয়ে না হয় পরে কথা হবে, আগে দেখুন রাসেল সাহেব যিনি বলেছিলেন-“আল্লাহ কোরান হেফাজত করবেন এই আয়াতটা কোরানের কোথায় লেখা আছে, এই তরজমা তার মনঃপুত হয়েছে কি না।
@আকাশ মালিক,
ভাই আপনার অনুমান ১০০% সত্য। কথায় বলে না রতনে রতন চেনে। 🙂
@আকাশ মালিক,
বস্ মনঃপুত হয়নি। আপনার ব্যাখ্যা দিতে পারেন। আমার মনঃপুত না হওয়ার কারনটা কিছুটা হলেও বলেছি।
@আদিল মাহমুদ,
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
Verily It is We Who have sent down the Quran and surely, We will guard it (from corruption).
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। সুরা হিজর ১৫, আয়াত নং ৯)
আমার সন্দেহ, রাসেল সাহেব الذِّكْرَ (জিকরা) শব্দ নিয়ে ত্যানা প্যাচাইতে পারেন। কিন্তু এ নিয়ে তর্ক করার আজকাল আর মোটেই মুড নেই।
@আদিল মাহমুদ,
সার্চ ইঞ্জিন হাতের কাছে থাকতে কোন কিছুই আপনার অজানা থাকবে না। খালি একটু টাইপ আর ক্লিক করার অপেক্ষামাত্র।
@আদিল মাহমুদ,
দেখছেন কেন করেছি এই প্রশ্ন? “আমরা”হয়ে গেল আল্লাহ, আর জিকির হয়ে গেল কোরান। সবাই নাচো। আল্লাহ আসমান হইতে এই বই গুলো ধইরে ধইরে বাচাইব।কি মজা। প্রেসে কালিতে ছাপানো কাগজের কোরান আল্লাহ হেফাজত করব। কত আজব, আজগুবি। যেখানে কোটি কোটি মানুষ অনাহারে না খেয়ে মরে, গুলিতে মরে, তখন আল্লাহ কিছুই কইবনা। সেইটা তাদের পাপের শাস্তি…বাহারি রকমের অর্থ আর তার বাহারি রঙের ব্যাখ্যা। তাইলেত যখন বাবরি মসজিদে বোমা মারল তখন আল্লাহ কই আছিল? এইসব ভুয়া অর্থ করে মুসলিম জাতিকে করেছে অন্ধ, গর্ধব। আর সেই অর্থ পড়ে ভবঘুড়ে লেখে বেড়াচ্ছে হাজার রঙের উগ্রপন্থী লেখা। সত্য কেউ জানতে চায়না।
ধন্যবাদ
@Russell,
আপনার মতে তাহলে কোরানের সত্যিকার বানী কোথায় পাব ?
@Russell,
দু:খিত ভাই , আসলে আপনার অনুরোধটি আমার মনে ছিল না। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না , এখানে পরোপকারী বন্ধুদের অভাব নাই। কারন আমরা মানুষ । আর তাই দেখেন রৌরব ও আকাশ মালিক ভাইরা আমার হয়ে উপকার টুকু করে দিলেন। কিন্তু আমার খটকা অন্যত্র। আপনি কোরান হাদিস ইসলাম নিয়ে এত কথা বলেন আর এ আয়াতটি জানেন না- কেমন যেন অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। মূলত: একারনেও আপনাকে আগে আমি আয়াতটি জানান দেইনি, ভাবছিলাম বোধ হয় আমার পরীক্ষা নিচ্ছেন এ ভেবে। কিন্তু এখন বোঝা গেল আয়াতটি আসলে আপনার অজানা ছিল।
@ভবঘুরে, :laugh:
@ভবঘুরে,
পরীক্ষার কিছুই না, না হারা, না জিতা। এইসব আপনারা ভাবতে পারেন। আমার এইসব ভাবার দরকার নাই। আর ভাবলেও আপনে/আপনারা আবারও ডাব্বা মেরেছেন।
কোরানে এই একটি আয়াত যা দ্বারা বোঝানো হয়ে থাকে আল্লাহ এই কোরান হেফাজত করবেন। ইহাই সবাই ধরে থাকে। তাই আপনাকেও বলেছিলাম বের করেন। তাই বলি, আল্লামা ইকবাল ঠিকি বলেছিলেনঃ মৌলবিদের আমার সালাম জানিয়ে বল তারা কোরানের যে অর্থ করেছে তাতে আল্লাহ আর জীবরীল তাজ্জব বনে গেছে।
ইসলামকে মানতে হবে, কোরানকে মানতে হবে ইহা কোথাও লেখা নেই, আগেই বলেছিলাম এবং এটাও আগে বলে নিয়েছিলাম যে যদি কথার জোড়ে সবই সত্য করে নেন তাহলে বলার কিছু নেই। কেননা জানতাম আপনারা এই কাজটা অহরহই করবেন। মৌল্লাদের থেকে আপনারা আলাদাই বা হলেন কোথায়? তারা যেই অর্থ করেছে সেই অর্থে আপনারাও বিশ্বাসী, তবে পার্থক্য হল তারা তাদের ভুলকে প্রণাম করছে আর আপনে দূর থেকে গালাগালি দিয়ে যাচ্ছেন। কি লাভ? এতে আপনার সত্য জানা আর হল না। সেই মিথ্যার ভিতরেই আপনেও/আপনারাও রয়ে গেলেন। যদি বলেন যে কোরান/ইসলাম- জানতে চাইনা, আলাদা বিষয়, তাহলে শুধু সুধু গালাগালি করে লাভ কি? যার যার ধর্ম যে যা খুশি করুক। আর যদি মনে করেন, সত্য জানানো চাই তাহলে আগে নিজে সত্য হন, সত্য জানার চেষ্টা রাখেন। মোল্লারা যা বলছে, যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে তা কি আসলেই কোরানে আছে? কোরান কি সেইভাবেই বলছে? ইসলাম কি আসলেই সেইরকম কিছু করছে? নাকি এরা ভুল ব্যাখ্যা, অপব্যাখ্যা দিচ্ছে?
উপরে আদিল ভাই একটা সুন্দর কথা বলেছেন, পুস্তক কখনও মানুষকে বে-পথে নিয়ে যেতে পারেনা, একটি বস্তু কখনও একটি মানুষকে কুমন্ত্রনা শিখায়না। এই ধরনের।
কোরানের এই আয়াতেঃ (১৫-৯)
“আমরা” বলিতে সবাই আল্লাহকে বুঝে। অনেক বড় বড় এর উপর বই লেখা আছে। অনেক স্কলার গবেষনা করে একই তথ্য দান করেছেন। সবই মানি। এখন এই মেজরিটির আওয়াজে যদি আপনারা তাল দেন, বা এই মেজরিটির গবেষনা যদি সত্যই হয় তাহলে মেজরিটির অনেক উন্নতি আপনারা দেখতেই পেতেন। আর এদের উন্নতি কিরুপ তা আপনার বর্তমান লেখায় সুস্পষ্ট। যদিও সবই ঐ তাকিয়ার কারন না।
কোরানে যেখানে শুধু মাত্র কোন কিছুর সর্বচ্চ মর্যাদা, শান শৌকতের (অর্থাৎ সর্ব গুনের, ক্ষমতার, শক্তির) কথা বলা আছে শুধু সেইসব জায়গায় “আমি” শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যা শুধু আল্লাহকে বুঝায়। বাকি সব কিছুই আল্লাহকে বুঝানো হয়নি। কিছুই আল্লাহ হবেনা। রিজিক, জীবন, মরন, দাতা, জান্নাত জাহান্নাম এর বন্টন কিছুই আল্লাহ করেন না। এসকল যায়গায় “আমরা” শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এই “আমরা” কারা সেই বিষয়ে জানা চাই ভবঘুড়ে সাহেব। না জেনে তফসির করতে আসছেন? সবই আল্লাহর খাতায় ফেলান? সারাজীবন শিখেছেন দুই নম্বর অর্থ, ব্যাখ্যা তো মানুষকে এই উগ্রতা ছাড়া আর শিখাবেন কি?জানাবেন কি?
জনাব আকাশ মালিক সাহেবঃ
ধন্যবাদ, আপনার অতিব বিদ্যা ভর্তি মাথায় ধরে ফেলেছেন ত্যানা প্যচানো। কিন্তু আসল সত্য আজও ধরতে চাননি, পাননি। কেননা সবই আপনে আগেই জেনে গেছেন। হতে পারে। ঐ যে, এই আয়াত জানতে চাওয়ার সময়ই বলে নিয়েছিলাম আগের থেকেই যে যদি কথার জোড়ে মিথ্যাকে সত্য বলেন তাহলেত ভাই বলার কিছু নেই। সেটাই হতে যাচ্ছে, বা হল/
“জিকির” কে সবাই “কোরান” বলেন। আপনেত বিদ্যান/জ্ঞানী, আপনে কেন ইহাকে এক ভাবেন আমি জানিনা।”জিকির” অর্থ হল স্মরণ করা। যার পরিনতি হল সংযোগ। আর কোরান কি?যাক।
আয়াতটি হলঃ
“আমরাই জিকির নাজেল করি আর আমরাই এর সংরক্ষন করি”
(বিঃদ্রঃ হয়ত আর বেশিদিন না, কোরানে এই জিকির শব্দটি উঠে কোরান বসানো হবে। )
যদিও মোল্লারা বলেনঃ আল্লাহ তার শান ও সৌকত বৃদ্ধির জন্য “আমরা” শব্দ ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ একা, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্ব জ্ঞানী হয়ে এই সামান্য শান সঊকত দেখানোর জন্য আরবীতে ভুল করে বসলেন? আল্লাহ আমরা শব্দ ব্যবহার করেছে এখানে “আমরা” হল রাজকীয় ভাষা। যেমন নাকি পলিটিসিয়ানরা বলে থাকেন আমরা এই কাজ করেছি। অর্থাৎ সরকারী দল। আসলে করেছে প্রধান মন্ত্রী। কই প্রধান মন্ত্রী আর কই আল্লাহ? হয় আল্লাহরে উপরে উঠা নাহয় চুপ করে থাক, এই গাধাগুলো আল্লাহরে উপরে উঠাতে উঠাতে এতই উপরে উঠায় দেয় যে পরে ধরে রাখতে পারেনা, তখন এক বারেই জমিন ভেদ করে আল্লাহ গর্তে ঢুকে যায়। আর অবাক লাগে শিক্ষিত মানুষেরাও সেই কিচ্ছা কাহিনী শুনে আর আলহামদুলিল্লাহ বলে। আল্লাহ যদি “কুন” বললে সব হয়ে যায় তাহলে তিনি “আমরা” বলতে যায় কি জন্য? আরবিতে “singuler person” কি “plural” করে কথা বলে নাকি?আল্লাহর সৃষ্টি করতে কখনও ফেরেশ্তাদের দরকার হয়না, তাহলে তিনি কাদের নিয়ে “আমরা” শব্দ ব্যবহার করলেন? সব কিছুই আল্লাহর ইশারায় হয় তাহলে তিনি কাদের নিয়ে “আমরা শব্দ” ব্যবহার করলেন?
এইসবের উত্তর দিন। শুধু বললেইত হবেনা। যুক্তিতে আসতে হবেত। তাইনা? নাকি আপনারা এই বিদ্বেষী লেখা লিখবেন বলে নিজেদের স্বার্থে এই সব আয়াতের সরল, সঠিক সত্য অর্থ করতে নারাজ? তাহলেও বলার কিছুই নাই।
যাক ধন্যবাদ।
@Russell,
আপনার কথাবার্তা খুবই ইন্টারেষ্টিং মনে হচ্ছে। আপনার কথামত আমরাই জিকির নাজিল করি ও সংরক্ষন করি – এর অর্থ তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে?
তবে গতানুগতিক অনুবাদের জন্য (আপনার কথামত যদি ভুল হয়) কি আকাশ মালিক বা ভবঘুরেকে দোষ দিয়ে লাভ আছে? ওনারা তো আর অনুবাদ করেননি, যা মুসলমান পন্ডিতেরা প্রচার করছেন হাজার বছর ধরে তাই শুধু কোট করছেন। ওনারা তো এসবে বিশ্বাস করেন না, করেন না দেখেই বাঁকা সুরে কথা বলেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনার সাথে ওনারা একমত।
আল্লাহকে সরকারী দলের সাথে তূলনা আসলেই খুবই হাস্যকর, এই ধরনের জোরাতালি মার্কা ব্যাখ্যা শুনলে গোটা ধর্মের উপর থেকেই ভক্তি শ্রদ্ধা চলে যাবার কথা, আমার ক্ষেত্রে যা হয়েছে। সমালোচকদের থেকেও বেশী প্রভাবিত হয়েছে ডিফেন্ডারদের এ জাতীয় বালখিল্য জোড়াতালি দেখে।
আবারো বলি, কোন জড় গ্রন্থের বাবার ক্ষমতা নেই কোন বৃহত জাতি গোষ্ঠীকে বিপথে আনার বা পিছিয়ে আনায়। তাহলে তো অন্য ধর্মগ্রন্থের অনুসারীদের রসাতলে যাবার কথা। সমস্যা আসলেই গ্রন্থে নয়,মানসিকতায়। মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটালে গ্রন্থ আক্রমন করে কিছু হবে বা। আর এই পরিবর্তনের উপায় হল মৌলিক বিশ্বাসগুলি কতটা ত্রুটিপূর্ন সেটা দেখানো। তা দেখানো গেলে এমনিই অন্ধভক্তি কমে আসবে।
আপনি যা দেখি সনাতন ধারনা মাফিক কোরান অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে তা বিশ্বাস করেন না। তবে কোরানের উপযোগিতাটা ঠিক কি?
@আদিল মাহমুদ,
একটা যথার্থ কথা বলেছেন। আসলেই এ জোড়াতালি মার্কা কথা বার্তাই আমাকে সব চাইতে বেশী প্রভাবিত করেছে এ ধরনের লেখা লিখতে। বিশেষ করে কোরানের মধ্যে যাবতীয় বিজ্ঞান আবিস্কার ব্যপারটা। অথচ এসব ধানাই পানাই না করলে ইসলাম ইসলামের জায়গাতেই থাকত, মানুষ একে নিয়ে ভাবিত হতো না , কেউ এর সমালোচনা করে অযথা সময় নষ্ট করত না।
@Russell,
“ভবঘুরে” নামের বানানটা কয়েকবার ভুল করেছেন। আপনার মতে ওই আয়াতের ব্যাখ্যা কি?
@রৌরব,
দুঃখিত বানান ভুল করার জন্য। কোন আয়াতের?
@Russell,
১৫-৯
@রৌরব,
আচ্ছা ভাইজান দেখি এর উপরে একটা লেখা দিতে পারি কিনা…সেটাই ভাল হবে হয়ত।
ধন্যবাদ
@Russell,
যারা ভুল ইসলাম, ভুল কোরানকে অনুসুরন করে সে অনুযায়ী জীবন বিধান আইন কানুন প্রনয়নের কথা বলে মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে চাচ্ছেন তারা যে সমাজের জন্য বিপদজনক এটাতো মানেন। ভুল ব্যাখ্যার (আপনার মতে) জন্য যারা ইসলাম ও কোরানের সমালোচনা করে যাচ্ছেন তাদের সংগে বিতর্ক না করে ঐ বিপদজনক লোকগুলির বিরুদ্ধে লেখালেখি করাটা কি বেশী জরুরী নয়?
@ব্রাইট স্মাইল্,
“ব্যাখ্যা” ভুল, ইহা যদি সমালোচক জেনেই থাকেন তাহলে সঠিক কোনটি সেইটি সমালোচকদের লেখায় স্পষ্ট থাকা চাই। তা না করে শুধু ইসলাম খারাপ, মুসলিম খারাপ, কোরান খারাপ, মোহাম্মদ খারাপ বলে চলে গেলে ব্যপারটা কেমন যেন হয়ে যায়না? তাই নিয়ে আমার মন্তব্য, ইহা মূলত তর্ক না। 🙂
আর আমি মুলত তর্ক না, সব ক্ষেত্রে দেখবেন আমি একটা আয়াতের যেই ব্যাখ্যা লেখক দিয়ে থাকেন, তার আসল ব্যাখ্যা কি হতে পারে সেইটাই দিয়ে থাকি। তখন লেখকের ভাল লাগেনা, তাই একটু যুক্তি তক্ক ছুড়াছুড়ি। কেউ সিরিয়াস হয়ে যায়। এইত…
আর যারা বিপদজনক সেখানেত ভাই লেখকের ভাষায় বলতে হয় “তাকিয়া” করাই ভাল। কেননা তারাত পশু, বাঘের সামনে যেয়ে যদি বলেন বাঘ শাক সবজি খাও কথাটা কেমন লাগবে? কথাতো বুঝবেইনা, বরং আপনারেও খাবে।
ধন্যবাদ
@Russell,
সত্য কথা বলতে কি, আমরা কিন্তু আপনার ব্যখ্যাই পাই না। যা পাই তা আমাদের কাছে আপনার নিজের মতামত মনে হয় যার সাথে আয়াতের আসল বিষয়বস্তুর কোন মিল পাওয়া যায় না। আপনি জানেন যে প্রতিটি আয়াত নাজিল হওয়ার আগে একটা ঘটনা ছিল যাকে শানে নুযুল বলে। সুতরাং শানে নুযুল বাদ দিয়ে আপনি আপনার মত ব্যখ্যা দিলে তো হবে না। তা ছাড়া আমরা অনেকেই আপনাকে অনেক অনুরোধ করেছি , আপনার মতামত বা ব্যখ্যা করে নিবন্ধ লিখে ফেলুন , আপনি কখনোই আমাদের অনুরোধে সাড়া দেননি। যার ফলে আপনার কোন বক্তব্যই আসলে গুরুত্বের মধ্যে পড়ে না। মনে করুন না , আমরা সবাই ভুল করছি বা ভুল পথে চালিত হচ্ছি। আপনার উচিত না আমাদেরকে সঠিক পথ দেখানো ? কিন্তু আপনার সেদিকে নজর নেই। এটা ঠিক না।
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ ভাইজান আপনার মন্তব্যের জন্য, আর আমার ভুল ধরিয়ে দেবার জন্যে। আমার কিছু লিখা দরকার। লেখক নই তাই লিখতে গেলে বাদে গন্ডোগোল। তাই ফাকে ফুকে দুই একটা আচমকা মন্তব্য করে বসি, ইহা যদিও ঠিক না, তারপরেও লিখে ফেলি।
আর একটু তর্ক থাকলেই ভাল এতে ত্যানা প্যাচাবে, আর ত্যানা প্যচালে পানির মত মিথ্যা ঝড়তে থাকে। যাইহোক দেখি চেষ্টা করি, বাকি আপনারাত বিজ্ঞ পাঠককূল আছেন।
@Russell,
“প্রেসে কালিতে ছাপানো কাগজের কোরান” যে ভুল সমালোচকরা কিভাবে সেটা জানবেন? শুদ্ধ কোরানের খবর সমালোচকরা কোথায় পাবেন আপনি বলুন। শুদ্ধ কোরানের অস্তিত্বই মনে হয় এই পৃথিবীতে নাই। তাই এই ভুল কোরানকে ছেড়ে দেয়া কি উত্তম নয়?
@ব্রাইাট স্মাইল্,
দিননা ছেড়ে। আমিত কবেই দিয়েছি ছেড়ে।
@Russell,
কিন্তু ভাই, আমার ছাড়া আর আপনার ছাড়ার মধ্যে পার্থক্য আছেনা? আমি ছেড়েছি কোরানকে শুদ্ধ জেনে আর আপনি ছেড়েছেন কোরানকে ভুল জেনে। কোরানকে শুদ্ধ জেনে তার সমালোচনাতো বহু আছে, কিন্তু ভুল জেনে তাকে শুদ্ধ করে বুঝার ক্ষমতা কয়জনের আছে বলুন। তাই বলি এই কোরান যে ভুল তা কোরান অনুসারীদের সরাসরি জানিয়ে দেওয়া দরকার বলে কি আপনার মনে হয়না?
@ব্রাইট স্মাইল্,
এত বেশি বলতে চাইনি, যাহোক কোরান ভুল ইহা বলাটা ঠিক না। হ্যা কিছু কিছু যায়গায় কোরানের ভিতর অতিরিক্ত আয়াত ঢুকানো হয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় কোরানের থেকে আয়াত বের করে দেওয়া হয়েছে, আর বাকি অবশিষ্ট যেই আয়াত সমেত আছে তার অর্থকে পালটে দেওয়া হয়েছে, নয়তবা ব্যাখ্যা শানে নজুলকে আত্ন ভোগে, রাজভোগে ব্যবহার করা হয়েছে। সেই মিথ্যা ব্যাখ্যা, শানে নজুল পড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য আলেম, স্কলার। তারা আবার নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছে। তো প্রথম থেকেই এই হাস্যকর একটা ঘটোনা পরিলক্ষিত। তাই বলছিলাম আপনাকে যদি ভুল মনে হয় ছেড়ে দিন। আবার ধর্ম জগতে কোরান এর সঙ্গা আলাদা। সুতরাং বলতে হলে দুটি বিষয়েই সমোঝতা রাখতে হয়। একটি বস্তু গত কোরান, অপরটি মানবাত্না কোরান। বস্তু কোরানে অসংখ্য ভুল হয়, কিন্তু মানবাত্নার কোন ভুল নেই আর এই কোরান আল্লাহ হেফাজত করেন। এই কোরান সম্পর্কে মোল্লা আলেমদের কোন জ্ঞান নেই। তাই এই কোরানের কথা কেউ বলেনা। আপনেও হয়ত বিশ্বাস করবেন না, তাই বলতেও চাইনা। এই কোরান পাঠ করেই সৃষ্টি গতিশীল, সুন্দর জ্ঞান বিজ্ঞানে প্রসার লাভ করে। আল্লাহ তাই নিরাকার, নিরপেক্ষ। তার এখানে কোনই কাজ নেই।
মানুষ শ্রেষ্ট জীব (সুরা ত্বীন), মানবতা, শ্রেষ্টত্ব ও নিজের জ্ঞান গরীমা শক্তিকে মানব, প্রকৃতির কল্যানে লাগাতে পারলেই হল, কিভাবে করবে সেইটা যার যার নিজস্ব ব্যপার।আল্লাহরও কিছু যায় আসেনা। আমার জানা মতে আল্লাহ তাই চায়-
আল্লাহ মানুষকে দিয়েছে সাতটি পুনঃ পুনঃ আয়াত (সুরা হিজর) অর্থাৎ সাত সেফাত-গুনশক্তি।সেই শক্তি গুন কে কিভাবে কাজে লাগালো, লাগালো না সেইটা মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঝামেলা শেষ। আর এইসব কাজের ভিতর দিয়ে কেউ আল্লাহকে দেখতে চায় তাহলে আরও ভাল। আর না চাইলেও তিনি বইসে নেই/ আবার তার সাথে সাক্ষাত করিতে চাহিলে যে একদম কোরান নিয়ে আসতে হবে এমন কথাও কোরানে নেই।
ধর্মের স্বার্থকতা হল ইহজগতে আল্লাহ দর্শণ। ইহা আলাদা বিষয় বস্তু।
যাইহোক ভাল থাকবেন
@Russell,
@Russell,
আপনি জিকির নিয়ে এত প্যাচাচ্ছেন কেন? আপনি জানেন না যে কুরান নামটি মানুষ নির্ধারণ করেছে? আপনি জানেন না যে কুরানের আরো অনেক নাম রয়েছে? জিকির, ফুরকান, হুদা, মুবিন, আল কিতাব, হিক্বমা, এ সকল কিছুই কুরানের অপর নাম। আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম যেমন আল্লাহকে বুঝায়, ঠিক তেমনি ভাবে এ সকল নাম এবং আয়াত কুরান তথা অবতীর্ণকৃত আয়াত সমুহের সংগৃহীত পুস্তকটিকেই নির্দেশ করে। আরবে তৎকালীন সময়ে মুখস্ত করে কবিতা সংরক্ষন করা একটা পদ্ধতি ছিল। বড় বড় কবিদের কাতেব রাখার পাশাপাশি অনেকে মুখস্ত করে ফেলত। মুহাম্মাদের দেয়া এই বাণী সমুহকেই নানা নামে ডাকা হত। কুরান শব্দের অর্থ অধিক পঠিত। এখন অর্থ দেখে কেউ যদি বলতে চায় যে এর দ্বারা কুরানকে বুঝানো হয়নি, আসলে পড়তে বলা হয়েছে, তাহলে কুরানের আর কোন নামই রইল না। আশা করি প্রতিটি আয়াত উল্লেখ করে আপনাকে বুঝাতে হবে না যে বাকী শব্দ গুলো দ্বারাও কুরানকেই নির্দেশ করা হয়েছে।
http://www.islamicity.com/forum/forum_posts.asp?TID=2320
@আনাস,
ভাই প্যাচানোত আমার কাজ, না প্যচালে সত্য যে ধরা দিতে চায় না, ফুরকানকে কোরান ধরলে বাকি সব মাল মসলা যে মিথ্যে হয়ে যায়, যদি গবেষনায় বসি, তাহলে কোরানের ভিতর অসঙ্গতি দেখা দেয়, তাহলে কি করতাম কন? এখন একটার পিছনে গভির ভাবে না প্যচালে এর উপর দিয়ে কোনরকম দেখেই যদি সমালোচনা করে দেই কোরান দুই নম্বর, তাহলে কেমন হল বলুন? এইরকম জিকির এক চীজ, আর কোরান হইল আর এক চীজ। আপনে লবন আর চিনি এক ভাবলেত মহা মুশকিল হয়ে যাবেযে ভাইজান।তাহলে খাদ্যে এই দুইয়ের মিশ্রনে পেটে, জিহবায় গন্ডোগোলত বাদবেই। আর তাই হয়েছে, হচ্ছে। তাইত আমার প্যচিয়ে প্যচিয়ে দেখতে হচ্ছে। তারপর যখন আপনাদের খাদ্য দিব তখন পেটেও ঝামেলা থাকবেনা, মনও ভাল থাকবে, বদ হজম আর হবেনা বলে মনে করি। তাইত এই নিয়ে একটু লাফাচ্ছি।
ধন্যবাদ
একটা কথা প্রায়ই মনে আসে, আরব দেশের লোকেরা প্রাগ মুসলিম সময়ে যে পৌত্তলিকতা করত, মানে পুতুল পুজা বা ইবাদত টাইপের কিছু একটা কোরত, সেই সব পুতুলগুলির পিছনে কি কোন ইতিহাস বা মাইথলজি ছিল? তাঁদের পুতুল বা প্রতিমা গুলিরও কি আরবের দেব দেবীর নামে নাম ছিল ? যেমন প্রাচীন গ্রীসের প্রত্যেক পুতুলগুলির একটা নাম ছিল ও তাদের নিয়ে গল্প কথাও ছিল। যেমন ছিল বা আছে হিন্দুদের প্রতিমা বা পুতুলগুলির নানা নাম।
যদি তাই হয় তবে আরবের সেই সব উপাস্য প্রতিমা গুলির মাইথলজি কথা কোথা থেকে জানা যেতে পারে?
আমরা জানি প্রাচীন গ্রীসের দেব দেবীদের মাইথলজির সংগে হিন্দু দেব দেবীর মাইথলজির অনেক মিল দেখা যায়। সেই রকম মিল দেখা যায় কি প্রাচীন আরবদের দেব দেবীর মাইথলজি ও গ্রীস বা ভারতের দেব দেবীর মাইথলজির মধ্যে ?
@সেন্টু টিকাদার,
কারণ এ দুই সভ্যতাই ইন্দো-ইউরোপীয়। আরবরা তা নয়, কাজেই তাদের সাথে এধরণের মিল না থাকারই কথা।
@রৌরব,
ধন্যবাদ রৌরব।
মনের ইচ্ছা অনেকদিনের ঢাকা যাব। গিয়ে সবার সংগে দেখা করব যাঁরা ঢাকাতে বাস করেন। আর সবাইকে আমাদের বাড়ীতে আসতেও নিমন্ত্রন জানাব।
ভবঘুরে,
আপনার লিখাটি চমৎকার, তথ্যবহুল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
“
আব্দুল মুত্তালিব হলেন মোহাম্মদের দাদা, পিতা ছিলেন আব্দুল্লাহ।আব্দুল মুত্তালিব মারা যান যখন মোহাম্মদের আট বছর বয়স (Eight years after the year of Elephant – ref: Tabari vol 6, page 1124)
Mohammad’s family tree:
Mohammad Ibne Abd-Allah Ibne Abd-Muttalib Ibne Hashim Ibne Abd-Manaf Ibne Qussay Ibne KilabIbne Murrah.
@Golap,
দু:খিত । বিষয়টি আসলেই খেয়াল করিনি। যাহোক, এতে নিবন্ধের মূল বিষয়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না।
আপনার এই লেখাগুলি পড়লে অনেকের ব্রক্ষ্মতালু তাতক্ষনিকভাবে জ্বলে উঠলেও চিন্তার বেশ কিছু খোরাক আছে, আছে চরম বাস্তব কিছু দিক; সাথে সাথে কিছু কথাবার্তা হাসিরও উদ্রেক করে। যেমনঃ
এটা মনে হয় সব ধর্ম সম্পর্কেই খাটে, শুধু ইসলাম তূলনামূলকভাবে নুতন হওয়ায় আর ইসলামের অভ্রান্ততা ও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে এই শিক্ষা বাল্যকাল থেকে অতি সযত্নে দেবার ফলে বেশ কিছু মুসলমানদের মাঝে বেশ কিছু দ্বি-চারিতা দেখা যায়। যেমন, কাফের নাসারাদের থেকে নিজেদের জাতিগতভাবে উন্নত দাবী করার পরেও দলে দলে তাদের দেশে থানা গাড়তে উন্মাদ হওয়া। কোরান সামান্য মনোযোগ দিয়ে পুরো পড়লে বিধর্মীদের প্রতি কোন জাতিগত বিদ্বেষ কেউ অনুভব করবে না এ আমি বিশ্বাস করি না। কত লোককে দেখেছি অকাতরে মিথ্যা কথা বলে ইমিগ্রেশনে এপ্লাই করতে। আমার এক আত্মীয় কানাডায় হিন্দু নাম ধারন করে ইমিগ্রেশন এপ্লাই করে পেয়েছেন, দেশে তিনি হিন্দু বলে ভয়াবহ অত্যাচার করেছে, সব কেড়ে নিয়েছে, জান নিয়ে তিনি কোনক্রমে পালিয়ে এসেছেন এই কাহিনী ফেঁদে বসেছেন। এমন কত আছে। এরা ব্যাক্তি জীবনে হয়ত সবাই সনাতন বিশ্বাস মতে পাক্কা মুসলমান। পরকাল আসলেই সব,ইহকাল কিছুই না বিশ্বাস করলে মুসলমান বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিধর্মী দেশে এত ফিকির করে আসার কি দরকার? কেউ কেউ আবার বলেছেন তারা ইসলাম প্রচার করতে এসেছেন। আল্লাহ তাদেরকে যখন এসব দেশে এনেছেন তখন নিশ্চয়ই তার মনে কোন একটা উদ্দেশ্য আছে। কাউকে কাউকে দেখেছি নানান সভায় আবার কাফের নাসারাদের দেশে নিজেদের ঈমান আকিদা কিভাবে ঠিক রাখতে হবে সে সম্পর্কে বয়ান দিচ্ছেন। এহেন ভণ্ডামী দেখলে মেজাজ স্থির রাখা আসলেই খুব কঠিন। এই শ্রেনী মূল মুসলমান সমাজে পারসেন্ট হিসেবে হয়ত খুব বেশী নয়, তাই রক্ষা। তবে মূল মুসলমান কমিউনিটি জেনে শুনেও এদের বর্জন বা অন্তত এসব ভন্ডামী বন্ধ করার হুমকি দেন না এটাই খারাপ লাগে। ধর্মের প্রশ্ন আসলে, গায়ে কোর্তা চাপিয়ে কিছু আরবী আয়াত হাদীসের বানী কথায় কথায় দিলেই পাক্কা মুসলমান।
তবে এই বিধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষসূচক আয়াতগুলি এড়ানোর উপয় হিসেবে কনটেক্সট বুঝতে হবে, ওসব আয়াত শুধু তখনকার জন্যই প্রযোজ্য, রাষ্ট্র পর্যায়ের জন্য খাটে ব্যাক্তি পর্যায়ে বন্ধুত্ব করতে কোন বাধা নেই এ ধরনের কথাবার্তা শোনা যায়। হাইপোথিটিক্যাল হলেও আজ পরিস্থিতি উলটা হলে, অর্থাৎ মুসলমানদের দেশে দলে দলে কাফের নাসারা এসে ঠাই নেবার চেষ্টা করলে শোনা যেত তখন কি ব্যাখ্যা শোনা যায়। কাফের নাসারা বিষয়ক ভন্ডামীটা বড় বেশী বাড়াবাড়ি মনে হয়। অনেকে শুধু অকৃতজ্ঞই না, কৃতঘ্ন।
জেহাদ সম্পর্কেও একই কথাই খাটে। জিহাদ বলতে নাকি আসলে যুদ্ধের কোন ব্যাপার নেই, মনের নফসের বিরুদ্ধে লড়াইই নাকি আসলে জেহাদ। যুদ্ধ বিষয়ক মারো কাটো আয়াতগুলি কেবলমাত্র যুদ্ধের সময় প্রযোজ্য…
– জান বাচানো ফরজ এটা সকলেই জানি, এতে দোষের কিছু দেখি না, তাই এ আয়াতের সমালোচনার তেমন কিছু দেখি না।
এই হাদীস মতে আসলেই ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায় তেমন থাকে না, যদি না এই প্রিভিলেজ শুধু নবীরই এমন দাবী করা না হয়ে থাকে। কোরানেও মনে হয় সেই মধু খাওয়া সম্পর্কিত আয়াত একই রকমই বলে, ওয়াদা ভাঙ্গা যায়।
লেখাটায় বেশ কিছু বানান ভুল দেখতে পেয়েছি।
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক কোন অংশ পড়লে ব্রহ্ম তালু জ্বলে ওঠে জানলে সুবিধা হতো।
মুসলমানদের জন্য এটা কোন দ্বিচারিতা নয়। তাকিয়ার নামে এটাই ইসলাম সিদ্ধ অর্থাৎ বৈধ। আপনি নিজেই পরে তার ব্যখ্যা দিয়েছেন অবশ্য। যেমন – তারা ইহুদী নাসারাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে বার্তা দিতে ওখানে গেছে আর যা ইসলামী বিধানে সিদ্ধ।
ইসলামী বিধানে এরা কেউ খারাপ কাজ করে নি। তাকিয়া অনুযায়ী এরা ইসলাম অনুমোদিত কর্মই করেছে এর জন্য কোন গোনাহ নেই।
এটাও তারা ঠিক কথা বলে ইসলামী বিধান অনুযায়ী কারন তাকিয়া অনুযায়ী ইসলাম প্রচার , প্রসার , রক্ষার জন্য যাবতীয় মিথ্যা প্রচারনা , বা মিথ্যা কথা বলা বৈধ। অর্থাৎ কথার মার প্যাচে অমুসলিমদেরকে ধোকা দিতে হবে যা তাকিয়ার কৌশল। আর এটা কোন গোনাহ না ইসলামী মতে।
যে কোন রকম উল্টা পাল্টা কথা বলে অমুসলিমদেরকে ধোকা দিলে তাতে কোন গুনাহ নাই, কারন তা পরোক্ষে ইসলাম রক্ষায় সহায়ক।
কথাটা ঠিক না। সরাসরি হয়ত বেশী লোক ভন্ডামী করে না , কিন্তু যারা এ ধরনের ভন্ডামী করে তাদেরকে এরা সমালোচনা করে না , বরং পরোক্ষভাবে সমর্থন করে । কারন তারা জানে এটা তারা ইসলাম প্রচার বা রক্ষার কারনেই ভন্ডামীটা করছে।
তাকিয়ার প্রাথমিক সূত্রপাত এ আয়াত থেকেই যা পরবর্তীতে ফুলে ফসলে হাদিসে স্থান করে নিয়েছে আর মহানবী তা নিজে পালন করেছেন। তবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে এটাকে জান বাচানো ফরজ ধাতের আয়াত হিসাবেই দেখা যায়। এটা সমালোচনার উর্ধ্বে থাকত যদি পরবর্তীতে তাকিয়ার উদ্ভব না ঘটত। কারন তাকিয়াই হলো মুসলমানদের সব রকম মিথ্যাচার , ভন্ডামী, আকাম , কুকামের রক্ষাকবচ। অর্থাৎ সব রকম হারাম কাজ করলেও কোন গুনাহ নেই। এর পর সে সমাজে ভাল মানুষ যে এখনও দুচারটি পাওয়া যায় সেটা ইসলামের কারনে নয়, নিছক সামাজিক ও নিজস্ব বিবেক বুদ্ধির কারনে। সারমর্ম হলো – ইসলাম কোনভাবেই মানুষকে সভ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে না।
@ভবঘুরে,
আমার মনে হয় সমস্যা ইসলাম/মোহাম্মদ/কোরানে নয়। সমস্যা হল যারা ব্যাখ্যা করছে তাদের। তারা নিজের ভিতরের রুপকে কাগজে কলমে ফুটিয়ে তুলছে কোরানের আয়াতের মধ্য দিয়ে। যদি বলেন তাহলে কি সবাই?গোটা মুসলিম জাতি?উত্তর না। হাতে গোনা অবশ্যই আছে যাদের নাম গন্ধ খুজে পাওয়া দুষ্কর, তাদের মাঝে ইসলাম প্রকাশিত,বিকশিত হয়।
আল্লাহমা ইকবাল বলেছিলেন”যাও মৌলবী সাহেবদের আমার সালাম জানিয়ে বলে দাও তারা কোরানের যেই অর্থ করেছে তাতে আল্লাহ ও জীবরীল তাজ্জব বনে গেছে। তার কাছ থেকে জানা ভাল কোরানে আসলে কি বলছে।
মাওলানা রূমী বলেছেনঃ কোরানের মগজ আমি তুলে নিলাম, হাড্ডী গোসত কুকুরের জন্য রেখে দিলাম। মানে ঐ স্কলার/মোল্লা/সৌদি বাদশা এরা হল সেই কুকুর।
সুতরাং এদের কাছে কোরানের ব্যাখ্যা জানা দরকার।
সুতরাং আপনার কাছে অনুরোধঃ সঠিক ইতিহাস, অর্থ, ব্যাখ্যা জেনে এইসকল মূর্খ মোল্লা,মৌলবীদের মুখে ছুড়ে দিন। আপনে যেই অর্থ, ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সেটাও সঠিক নয়। তবে ঘটোনার যা বর্ননা দিয়েছেন তা সত্য। আপনার প্রকৃত সত্য উদ্ধার করতঃ এই মোল্লাদের সাথে কথা বলাটাই ভাল।
যেমন কোরানের ৮২ ধরনের যেই সালাতের কথা বলা আছে, সেই বিষয়ে ধারনা রাখা দরকার,.তো ৮২ রকমের সেই সালাত সম্পর্কে ধারনা দিন, দেখুন ধর্ম ফালতু না। এর সৌন্দর্য চোখের সামনে ঝিলিক মারবে। আবু হুরায়রা হতে বর্নিত হাদিসঃ আমি মোহাম্মদ হতে দুই ধরনের জ্ঞান পেয়ালা পেয়েছি, একটি সবাইকে দিছি, অপরটি কাউরে দেইনাই। সুতরাং সেই পেয়ালা আগে খুজেন, তারপর দেখেন আসল মজাটা কোথায়।
ধর্ম নিজে পালনের বিষয়, কে কিভাবে করল সেটার দিকে না যাই। তবে পালনের পূর্বে জানা চাই। না জেনে, না বুঝে, অন্ধকারে ধর্ম ধর্ম করাটাও বোকামী, যা এখন সবাই করছে। যা সত্য তা যুক্তিতে আসবে, বাস্তব হতেই হবে। সুতরাং ধর্ম সত্য হলে তা অবশ্যই বাস্তব। এখন কিরুপ সেইটা জানা চাই। আগে কই থেকে জানবেন সেই সত্য সেইটা খুজুন।
হ্যা মোল্লাদের কথা ভাল লাগেনা, ছুড়ে ফেলে দিন। নজরুলের মত বলুন লাথি মার ভাংরে তালা…এই তালা মস্তিষ্কের ভিতরে জমে থাকা অন্ধতা/অজ্ঞতার তালা। নিজের ভিতরে লাথি মারেন, ঝাকুনি দেন..ভিতরের সত্য বেরিয়ে আসবে। সত্য হল মানুষ। তাই আপনার ভিতরেই জাগবে। তবে এই কাজ করতেও আর একজনের কাছ থেকে যদিও জেনে নিতে হয়।
যাইহোক ভাল থাকবেন। আমার কথাত আপনার আবার ভাল লাগেনা।
@Russell,
আপনার মূল কথা ঠিক। সমস্যা হল মানুষ। মানুষ নিজে বদ না হলে পুস্তকের মত কোন জড় পদার্থ তাকে খারাপ করতে পারে না।
মানুষ যদি ধরে নেয় যে তার নৈতিকতার একমাত্র উতস হাজার বছর আগের নাজিল হওয়া কোন পুস্তক এবং কোন মহা পুরুষের জীবন পদ্ধুতি এবং এ বিশ্বাসের বাইরে আর কিছু ঠাই দিতে নারাজ হয় তাহলেই বিপদ। এখানেই আসল সমস্যা।
@ভবঘুরে,
পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্বি-চারিতা করার নাম যে তাকিয়া নামক কোন ব্যাবস্থা এটা আমার জানা ছিল না। এই শব্দটিই আসলে আগে কখনো শুনিনি।
তবে ইসলামের প্রচারের স্বার্থে মিথ্যা বলাকে যে অনেকেই সরাসরি না হলেও অন্তর থেকে সমর্থন করেন তাতে তেমন সন্দেহ নেই, এটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায়ও বহুবার টের পেয়েছি, জাকির নায়েক বা হারুন ইয়াহিয়া এ জাতীয় লোকজন সম্পর্কিত আলোচনাতেও টের পেয়েছি। এ কারনেই এ শ্রেনীর লোকজনের মিথ্যাচার ধরিয়ে দিলেও কেউ আমলে আনতে চান না।
তবে আমাদের মত মুসলিম দেশগুলিতে ঢালাও দূর্নীতি মিথ্যাচারের কারন তাকিয়া এটা আমি পুরো বিশ্বাস করি না, যেভাবে আপনি ব্যাখ্যা করেছেন। আমার কাছে এর ব্যাখ্যা একটু অন্যরকম যা আমার সংশয়বাদে ব্যাক্ত করেছি। আমার মতে ইসলাম পালন বলতে আসলে রিচ্যূয়াল পালন ছাড়া তেমন কিছু নয়, বাস্তবমুখী শিক্ষা বা দর্শন ইসলামের মূল ভিত্তিতে নেই, যেভাবে নামাজ রোজা হজ্জ্ব আছে। নামাজ রোজা নিয়মিত পালন না করার জন্য যেমন কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা আছে, নফল নামাজ রোজার জন্য অসীম পুরষ্কারের ব্যাবস্থার নানান রেফারেন্স পাওয়া যায় তেমনি সত জীবন বা মানবতামূলক কর্মকান্ডের নিদান ইসলামী সূত্রে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যার অবশ্যাম্ভাবী ফলাফল হল ইসলামী বিশ্বের নৈতিকতার করুন চিত্র। এর সাথে শত শত বছরের দারিদ্র, অশিক্ষা যোগ হয়েছে, হয়ত বা একে অপরকে সহায়তা করে চলেছে।
এর জন্য ভাল মুসলমান বলতে বোঝায় যে নামাজ রোজা হাঁকডাকের সাথে নিয়মিত করে, হজ্জ্ব পালন করে, আর মহিলা হলে সাথে সাথে বোরখা করে। ব্যাক্তি জীবনে সে কতটা সত, নৈতিকতার মান কতটা এসবের তেমন কোন গুরুত্ব নেই। ফলে যে পুলিশ রাস্তার মোড়ে প্রকাশ্যে ঘুষ খাচ্ছে সেইই হয়ত নামাজের সময় মসজিদের ভেতর ঠেলে ঢুকে নামাজ আদায় করে নিচ্ছে, তার মনে তেমন পাপবোধের সৃষ্টি হচ্ছে না। হয়ত নামাজের মাঝে তওবা তাবিও করে ফেলে, যেমনটা আমাদের রাজণীতিবিদদের মাঝে দেখা যায়। বছর বছর পরিবার সমেত তারা হজ্জ্ব পালন করেন, যদিও চুরি চামারি সেই পুরো পরিবার সহই করেন। এটা ধর্মীয় দর্শনের দূর্বলতা মানতেই হবে। তবে এটা ঠিক আপনার বলামত তাকিয়ার মত কিনা পুরো নিশ্চিত নই।
@আদিল মাহমুদ,
ইংরেজীতে taqiyya or taqiya শব্দটি লিখে গুগল সার্চ দেন , জানতে পারবেন আসল বিষয়।
@ভবঘুরে,
ধন্যবাদ, আসলেই জানার আগ্রহ বোধ করছি; এ বিষয় কারো কাছেই কখনো শুনেছি মনে পড়ছে না।
তাকওয়া নামক একটা টার্ম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মুখে শুনেছি, একই জিনিস নাকি?
@আদিল মাহমুদ,
হতে পারে সেই তাকওয়া , জানিনা তবে তাকিয়াই হলো আসল উচ্চারন। যাই বলেন না কেন রাজাকাররা কিন্তু সত্যিই ইসলাম ভাল জানে আর সে কারনেই তো তারা রাজাকার আলবদর জামাত।
@আদিল মাহমুদ,
মনে হয় না।
http://en.wikipedia.org/wiki/Taqwa
@আদিল মাহমুদ,
তাকিয়া এখানে জানতে পারবেন।
@আদিল মাহমুদ,
আমারও মনে হয়, সাধারন মুসলমানরা তাকিয়া কি জিনিস জানে না। তার পরেও কেন এত অনিয়ন, দুর্নীতি আকাম কুকাম করে। বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি। একটা বক্তব্য ঠিক তা হলো- ভাল মানুষ হওয়ার চেয়ে মানুষ রিচুয়াল পালনকে বেশী গুরুত্ব দেয় আর ভাবে এটাতেই তারা বেহেস্তে যাবে, আকাম কুকাম করার ব্যপারে ভয় না পাওয়ার এটা একটা কারন হতে পারে। তবে আসল কারন বোধ হয় অন্যখানে। আমাদের সমাজে পাক্কা মুসলমান বলতে বুঝি মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক এদেরকে। বলাবাহুল্য , এরা যে পরিমান আকাম কুকাম করে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আর এরা এটা করে এই তাকিয়ার ওপর ভিত্তি করে, তারা তো তাকিয়া কি জিনিস জানে। সাধারন মানুষ এসব দেখে শোনে জানে । আর ভাবে এরা যখন এত কিছু করেও পাক্কা মুসলমান, তাহলে অন্য মানুষরা তা করলে অসুবিধা কোথায়? আমার মনে হয় এটাই একটা বড় কারন। সোজা কথা হলো আমাদের সমাজে পরিচিত পাক্কা মুসলমান বা হুজুররা আদর্শ মানুষের মত কোন উদাহরন তুলে ধরতে না পারাটাই সমাজের মানুষের আকাম কুকামের জন্য একটা বড় কারন।
@আদিল মাহমুদ,
উপরি উক্ত আয়াতটির মর্মার্থ মনে হচ্ছে আপনি ঠিকমত ধরতে পারেন নাই। ঐ আয়াতটি ঘোষনা দিচ্ছে ‘Apostasy’ -ইর জন্য অপেক্ষআ করছে আল্লাহর গজব ও শাস্তি (মৃত্যু দন্ড)।
মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুনঃ
” যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর”
– অর্থাৎ আল্লাহ ও মুহাম্মাদের প্রতি বিশ্বাস আনার পর, সোজা ভাষাই মুসুলমান হওয়ার পর —
“আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উন্মুক্ত করে”
– অর্থাৎ আল্লাহ ও মুহাম্মাদের প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে পু্র্বাবস্থায় ফিরে যায়, কিংবা যে কোন অন্য ধর্মে চলে যায়। সরল ভাষায় অমুসলিম হয়ে যায়। আর অমুসলিম হওয়া মানেই হলো তার যাবতিয় কাজই আল্লাহর দৃষ্টিতে কুফরী করা। সেক্ষেত্রে কি হবে?
” তাদের ওপর আপতিত হবে আল্লাহর গজব ও তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি”
– আল্লাহর গজব ও শাস্তি আল্লাহর বাহিনী দ্বারা ‘শরিয়া আইনের’ মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, যেখানেই সম্ভব হবে।
আয়াতটির ১ম অংশটা হচ্ছে ‘তাকিয়া’ –
“যার ওপর যবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত”
অর্থাৎ ‘অন্তরে অটল (মুসলিম) বিশ্বাস রেখে’ পরিস্থিতির কারনে ‘অমুসলিম’ ঘোষনা করে সুযোগ নিতে পারেন।
মুসলমানদের অবস্থা ,কার্যকলাপ দেখে ইসলামকে বিচার করা যাবেনা,ইসলামকে বিচার করতে কুরআন পড়তে হবে- এই কথাটা মুসলমানরা প্রায়ই বলে থাকে। আমি এটা মানতে পারিনা। মুসলমানদের কার্যকলাপ দেখেই বুঝা যায় ইসলাম শান্তি,নীতি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ একটা ধর্ম। কি আসে যায়ে কুরআনে কিছু ভালো কথা থাকলে যদি সেটা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়? মুসলমানদের অবস্থা দেখে ইসলামকে বিচার করলেই বোঝা যায় ইসলাম আধুনিক বিশ্বে অকার্যকর জীবনব্যবস্থা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
হ্যা, ঠিক বলেছ। মানুষের জন্য বিধান আসবে আবার মানুষের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না আবার এটা ঐশ্বরিক বিধান হবে — তা মেনে নেয়া সম্ভব না। ইসলামকে চিনতে হলে মুসলমানদের উপর এর প্রভাব অবশ্যই বিবেচনায় আনতেই হবে।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি তাকিয়াকে বিবেচনা করলে মুসলমানরা যত রকম খারাপ কাজ করে তা কিন্তু সবই বৈধ । আর এর জন্য কোন গোনাহ নাই । আর এটাই হলো ইসলামী জীবন বিধান। ঠিক একারনেই দেখা যায়, কয়েক খানায় অনেক সময় কুখ্যাত অপরাধিরা মুসলমান কয়েদিদের সংস্পর্শে এসে ইসলাম গ্রহন করে। কারন, ইসলাম গ্রহন করলেই অতীত ও ভবিষ্যতের সব দোষ মাফ। আর মরার পরে বেহেস্তে গিয়ে হুর পরীদের সাথে ফুর্তির ব্যবস্থা তো আছেই।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এটা যে কোন কিছুর জন্যই প্রযোজ্য। কোন ধর্ম, রাজনীতি, কি দর্শন এমনকি বিজ্ঞানের কোন শাখাও কতটা উপকারী তা শুধু কাগুজে বড় বড় কথা বলে দিয়েই দায় সারে না। কাজে দেখাতে হয়। কাজে দেখাতে না পারলে শুধু কেতাবে কি আছে তা নিয়ে পন্ডিতি তর্কের মূল্য শুন্য। প্রতিটা ক্লাসেই দেখা যায় কিছু মিডিওকার ছেলে থাকে যারা প্রায়ই দাবী করে যে আমি শুধু পড়ি না দেখে, আমার যেই ব্রেইন তাতে আমি ইচ্ছে করলেই পড়াশুনা করে ফার্ষ্ট হতে পারি। এমন দাবী কাজে পরিনত করা যেমন মূল্যহীন তেমনি শ্রেষ্ঠ জীবন বিধানের অধিকারী হবার দাবীও মূল্যহীন যতক্ষন না কাজে দেখানো যায়।
যারা সত্য সত্যই বিশ্বাস করে যে কোরান বা ইসলামে শ্রেষ্ঠ মুল্যবোধ, মানবিকতা এসব আছে তারা করে দেখিয়ে দিলেই দূর্মুখদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়, এটাই উপযুক্ত উপায়। এই সোজা পথ অবলম্বনে তারা কেন ব্যার্থ জানি না। সমালোচকরা তখন কোরানে কি বৈজ্ঞানিক কন্ট্রাডিকশন আছে, মহানবী কত নিষ্ঠুর, কয়টি বিবাহ করেছিলেন এসব বলে যতই চেঁচাক তার কোন মূল্যই থাকবে না।
@আদিল মাহমুদ,
মন্তব্য পছন্দ হয়েছে। মাথায় গেঁথে রাখলাম। কোথাও প্রয়োজন পড়লে কোট সহকারে দিয়ে দিবো। 😀 । অবশ্যই কপিরাইট মেনে চলার চেষ্টা করবো।
@স্বাধীন,
এই অমূল্য সম্পদ কপিরাইট বিমুক্ত করে দেওয়া হল গুরুত্ব বিবেচনা করে।
কাগুজে লড়াই আর বিতর্ক করে কোন পক্ষই কোনদিন হার মানবে না এটা তো পরিষ্কার। কোরানের কন্টেক্সট বুঝতে হবে, এই অনুবাদ মানি না, আরবী বালাগাহ শিখতে হবে, এই আয়াতের সাথে অমুক আয়াত এক করে অর্থ বুঝতে হবে, এর তফসির চলবে না, এটা রূপক, এই হাদীস দূর্বল এভাবে কোনদিন যৌক্তিক আলোচনা সম্ভব? তার চাইতে সহজ পথে আসাই উচিত। কোরান তো আর আল্লাহ তর্ক করতে পাঠাননি, কোরান অক্ষরে অক্ষরে মানলে অপার শান্তিময় উচ্চ মূল্যবোধের সমাজ গড়ে উঠতে বাধ্য।
তো এই সোজা চ্যালেঞ্জ দাবীদাররা নেন না কেন বুঝি না, তারা যদি মনে প্রানে আসলেই বিশ্বাস করে থাকেন? এর কাউন্টার হিসেবে নাকি শর্ত দেওয়া হয় যে আগে ইসলামী শাসন করতে হবে না কি কি। আসল ইসলামী শাসন কি এরপর যৌক্তিক ভাবেই এই প্রশ্ন আসবে। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া এসব দেশ তো না হয় বাদ বুঝলাম। সৌদী আরব, ইরান? কাকে আদর্শ বলে মানব? সৌদী বা ইরানে কেন আদর্শ কোরানিক বা ইসলামি সমাজ গঠন করা যাচ্ছে না?
শতকরা ৮৫ ভাগ মুসলমানের দেশে বাংলাদেশে আসল ইসলামী শাসন বা আদর্শ কোরানিক সমাজ গঠনে বাধ সাধছে কে? কাফের নাসারা ইহুদী নাস্তিকদের ষড়যন্ত্রের ফলে কায়েম করা যাচ্ছে না? খুবই রহস্যময় লাগে। এর উপযুক্ত ব্যাখ্যা দরকার।
@আদিল মাহমুদ,
এটা আসলে কোন হার জিতের লড়াই না । সচেতনতা বৃদ্ধির একটা প্রচেষ্টামাত্র। সাধারন মানুষ যদি এসব পাঠ করে সামান্যতম সচেতন হতে পারে সেটাই বিরাট লাভ হিসাবে মনে করি।
@আদিল মাহমুদ,
ধর্ম ছাড়া :-D। ধর্ম বিশ্বাসীর কাছে সংজ্ঞানুসারে সঠিক, প্রমাণ নিরপেক্ষভাবে। এটাই ধর্মের মূল সমস্যা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
মানার তো দরকার নেই । সোজাসুজি কোরান পড়া শুরু করলেই তো আসল সত্য জানা যায়। বেশী দরকার নেই , ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সূরা পড়লেই যা বোঝার বুঝে যাবেন আশা করি। মুসলমানদের কার্যকলাপ যত খারাপই লাগুক না কেন তা যে ইসলাম সমর্থন করে সেটাই ছিল আলোচ্য নিবন্ধের মূল সুর। সে কারনেই তো মুসলমানরা খারাপ কাজ করতে দ্বিধা করে না , কারন তারা সব কাজই আল্লাহর নামে করে যায়, আর তাহলে কোন গুনাহ নেই। এটা তারা মনে প্রানে বিশ্বাস ও করে।
@ভবঘুরে,
একমত হতে পারলামনা। মুসলিমদের প্রতি আপনার বিদ্বেষটা ভয়ংকর রকম বেশি। আমার বরং আদিল মাহমুদের যুক্তিটা (নিচের কমেন্ট) গ্রহণযোগ্য মনে হয়,ইসলাম বড় বেশি রিচুয়াল নির্ভর।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
যাদের জাহান্নামের ভয় এত বেশী তারা এত অনৈতিক কাম কাজ কেমনে করে , সেটার ব্যখ্যা থাকতে হবে আপনার কথায়। আপনার আশে পাশে তাকিয়ে দেখুন যারা জান্নাতে যাওয়ার আশা করে না , ধর্ম সম্পর্কে প্রচন্ড উদার তারা কেন অনেক বেশী সৎ ও ন্যয় পরায়ণ ? রিচুয়ালটা এখানে ফ্যাক্টর নয়। যে মানুষ আকাম কুকাম করে , সে মনে মনে এটাই বলে যে এটা না করে তার উপায় ছিল না , তার পর আবার সংকল্প করে পরে কোন এক সময় হজ্জ পালন করবে, কোন মসজিদে কিছু দান করবে, কিছু ফকির মিশকিনকে খাওয়াবে। এতে করে তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে যে কোন কাজ করাই ইসলামে সিদ্ধ। বিশ্বাস না হলে তাকিয়া taqiyya or taqiya শব্দটি লিখে google সার্চ দেন, সেখানে অনেক লিংক পাবেন আর কোরান হাদিস থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আবার আপনার কথা যদি ঠিক হয় , এ কেমন ব্যবস্থা যে যেখানে মানুষের ন্যয় অন্যয় বোধ জাগ্রত করার চাইতে রিচুয়ালটাই বেশী গুরুত্বপূর্ন? এরকম হলে তা তো মোটেই সভ্য সমাজের জন্য গ্রহনীয় নয়।
@ভবঘুরে,,
একমত,ইসলাম মোটেও সভ্য সমাজের জন্য গ্রহণীয় নয়। রিচুয়ালের ব্যপারে আদিল মাহমুদ সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন,আমার নতুন কিছু বলার নেই। ধর্ম সম্পর্কে যারা উদার তারা নীতিপরায়ণ কারণ তারা ফালতু রিচুয়াল পালন করে সময় নষ্ট করেনা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমার মনের কথা বলেছেন।
তাহলে তো আর কোন কথাই থাকে না।