আকাশ মালিকের “বিচ্ছিন্ন ভাবনা” এবং বিপ্লব পালের “৯/১১ – কোরান পোড়ানোর স্বাধীনতা বনাম অসভ্যতা” থেকে চিন্তা এবং আমার শঙ্কা থেকেই এই লেখাটি। আকাশ মালিকের নিবন্ধ থেকে নেয়া –
“ ‘সারা বিশ্ব জুড়ে যে সন্ত্রাস চলছে এর সাথে মুসলমান জঙ্গীবাদের সম্পৃক্ততা আছে কি না, অথবা মুসলিম জঙ্গীবাদের উৎস কোথায়, পশ্চিমে না আমেরিকায় না কোরানে না অন্য কোথাও’?
Islam: What the West Needs to Know
Radical Islam’s War Against the West
The lions of Luton
Islamic revolution in Britain ”
সবিনয়ে অনুরোধ – উপরের লিঙ্কের ভিডিও গুলো না দেখলে এই নিবন্ধটি পড়বেন না। আমার শঙ্কার কারণ ঐ লিঙ্কগুলোতে। আমার ইসলাম অনুরাগী হওয়ার কোন কারণ নেই। আমি গ্রাউন্ড জিড়োর ধারে কাছে মন্দির বা মসজিদ জাতীয় যেকোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বানানোর বিরোধী। একজন নিরীশ্বরবাদী হিসেবে আমি কোন ধর্মকেই সমর্থন করিনা।
ম্যানহ্যাটন পৃথিবীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ক্যাপিট্যাল। জায়গাটা বানিজ্যের কাজে লাগুক। প্রার্থনা বা ধ্বংসাত্মক কাজের জন্য নয়। প্রস্তাবিত মসজিদ যে মানবতা বিরোধী কাজে ব্যবহৃত হবে না, চাইলে আব্দুল রউফ তার একশটা কাগুজে গ্যারান্টি দিতে পারবেন এটা ঠিক। কিন্তু সমসাময়িক ঘটনাবলীর আলোকে আমি চোখ বুঝেই বলতে পারিনা এটি কোন ধ্বংসাত্মক কাজের সাথে জড়িত থাকবে না। এখানে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হলে উৎপাদন বাড়বে। লাভের একটা অংশ ফেডারেল ব্যাঙ্কে জমা হবে। মসজিদ হলে উৎপাদনশীল জায়গাটার অপচয় হবে। একটি দেশের ৬৮% লোকের সবাই মস্তিষ্ক বিহীন নয়। এই গরিষ্ঠ সংখ্যক লোক মসজিদটিকে দেশের শান্তির জন্য হুমকি হিসেবেই দেখছে। ইসলামিস্টরা অদুর ভবিষ্যতে ইসলামিজম স্থাপন করার জন্য দেশের সাংবিধানিক সুযোগ নিয়ে তাদের প্রাথমিক দূর্গ গড়ে তোলার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধে তারা সফল হবেই। কারণ এই দেশটির নাম আমেরিকা। তাই আমার ভয়।
প্রথমে কিছু সংজ্ঞা ঠিক করে নিই। ১) ইসলাম একটি ধর্ম, শান্তিপ্রিয় গরিষ্ঠ সংখ্যক মুসলমানরা ধর্ম হিসেবেই এটিকে অনুসরণ করে, ২) কমুনিজমের ন্যায় ইসলামিজম হল ইসলাম ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি রাজনৈতিক দর্শন, ৩) ইসলামিস্ট হল ইসলাম ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে দীক্ষিত নিবেদিত সৈনিক, উপরের ভিডিওতে এর নমূণা পাওয়া যাবে, এবং ৪) ইসলামী জংগী হল একই উদ্দেশ্যে বিশ্বাসী কিন্তু উগ্রপন্থী সৈনিক, উপরের ভিডিওতে নমূণা আছে।
ইসলামী জঙ্গীদের ধৈর্য্যবোধ নাই। সারা পৃথিবীতে আল্লাহ্র ইসলাম এখনও প্রতিষ্ঠিত করতে না পারার জন্য এরা অপরাধ বোধ করে। হোয়াইট হাউসে শীগ্রই আমীর বসানোর পায়তারায় আছে এরা (উপরের ভিডিও লিঙ্ক)। স্বল্পতম সময়ে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে এরা সদা প্রস্তুত। এরা ধ্বংসাত্মক কাজ চালাতেও দ্বিধা করে না। সামনে শান্তির বানী নামক মূলো ঝুলিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠায় একটা চতূর পথ অনুসরণ করছে ইসলামিস্টরা। জংগীগুষ্টি তাদের এই পথকে অনবরত পিচ্ছিল করে দিচ্ছে। তালেবান, আলকায়দা, নিডাল মালিক হাসান জাতীয় বহু জংগী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ত্বরান্বিত করার নামে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
টেরী জোন্স নামে একজন প্যাস্টর ৯/১১ এর নয় বছর পূর্তিতে কুরান পুড়ানোর হুমকি দিয়ে কুখ্যাত হয়েছেন। CNN যথারীতি অনেক মস্করা করেছে এই প্যাস্টরকে নিয়ে। কুরান পুড়ানো অর্বাচিনতার কাজ। আমি তাৎক্ষনিক ভাবেই বলেছি এটা একটা হুমকি মাত্র। শেষমেষ তিনি কুরান পুরানোর অংগীকার থেকে সরে এসেছেন। প্রশ্ন করা স্বাভাবিক – ৯/১১ অব্যবহিত পরেই কুরান পুড়ানোর ঘোষনা না দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পরে হঠাৎ কেন দিলেন। দেশে কী এমন নতুন পরিস্থিতির উদয় হল যার জন্য তিনি এমন নিন্দনীয় ঘোষনাটি এখন দিলেন?
লিস্ট করতে গেলে বড় হবে। তারপরও অনেক ঘটনা বাদ পড়ে যাবে। এই পৃথিবীর এক হিরো ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছেন Holocaust একটি মিথ। ৯/১১ ঘটনাটিও একটি মিথ হবে। নমূণা শুরু হয়ে গেছে। মুসলিম বিশ্বকে নাজেহাল করার জন্যই নাকি আমেরিক্যানরাই ৯/১১ ঘটনাটি তৈরী করেছে। এমন একখানা ডিভিডিও বাজারে আছে। প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে, তথাকথিত উনিশ জন টেরোরিস্টের কেউ নাকি সৌদি বা মিডল-ইষ্টের কোন দেশেরই নাগরিক নয়। নিডাল মালিক হাসান, নাজিবুল্লাহ জাজী, কলীন লারোজ, ফয়সল সাহজাদ, জামি পলিন রামিরেজ, জেমস ক্রমি, সৈয়দ হারিস আহমেদ, ডেভিড কোলম্যান হেডলি, নাসিল ব্যাটিস্ট ইত্যাদি টেরোরিস্ট আমেরিকার মাটিতে তৈরি হয়েছে। প্রতিটি টেরোরিস্ট কোন না কোন মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্যাস্টর জোন্স এসব জানেন। কিন্তু কিছুই বলেন নি। এখন আবার দেখছেন ৯/১১ ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অনুভূতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ
দেখিয়ে ওখানেই অতিকায় একটি মসজিদ হচ্ছে। আব্দুল রউফ বলছেন এটি ইস্লামিক কালচারাল সেন্টার হবে। আন্তর্ধর্মীয় মিলন কেন্দ্র। এখানে টেরোরিজমের কোন স্থান নেই। প্যাস্টর জোন্স দীর্ঘ নয় বছরে কত কিছু নিজ চোখে দেখেছেন। এইসব কিছুর পরেও প্যাস্টর জোন্সকে আব্দুল রউফের মিঠা কথায় বিশ্বাস করতে হবে। নীচে দেওয়া প্যাস্টর জোন্সের দশটি্র (কৃতজ্ঞতা – বন্যা আহমেদ) মধ্যে কোনটি অযৌক্তিক, আমি বুঝি না।
Ten Reasons to Burn a Koran – by Pastor Terry Jones
On 9/11/10 we are burning Korans to raise awareness and warn. In a sense it is neither an act of love nor of hate. We see, as we state in the Ten Reasons below, that Islam is a danger. We are using this act to warn about the teaching and ideology of Islam, which we do hate as it is hateful. We do not hate any people, however. We love, as God loves, all the people in the world and we want them to come to a knowledge of the truth. To warn of danger and harm is a loving act. God is love and truth. If you know the truth it can set you free. The world is in bondage to the massive grip of the lies of Islam. These are:
One
The Koran teaches that Jesus Christ, the Crucified, Risen Son of God, King of Kings and Lord of Lords was NOT the Son of God, nor was he crucified (a well documented historical fact that ONLY Islam denies). This teaching removes the possibility of salvation and eternal life in heaven for all Islam’s believers. They face eternal damnation in hell if they do not repent.
Two
The Koran does not have an eternal origin. It is not recorded in heaven. The Almighty God, Creator of the World, is NOT it’s source. It is not holy. It’s writings are human in origin, a concoction of old and new teachings. This has been stated and restated for centuries by scholars since Islam’s beginnings, both Moslem and non-Moslem.
Three
The Koran’s teaching includes Arabian idolatry, paganism, rites and rituals. These are demonic, an ongoing satanic stronghold under which Moslems and the world suffer.
Four
The earliest writings that are known to exist about the Prophet Mohammad were recorded 120 years after his death. All of the Islamic writings (the Koran and the Hadith, the biographies, the traditions and histories) are confused, contradictory and inconsistent. Maybe Mohammad never existed. We have no conclusive account about what he said or did. Yet Moslems follow the destructive teachings of Islam without question.
Five
Mohammad’s life and message cannot be respected. The first Meccan period of his leadership seems to have been religiously motivated and a search for the truth. But in the second Medina period he was “corrupted by power and worldly ambitions.” (Ibn Warraq) These are characteristics that God hates. They also led to political assassinations and massacres which continue to be carried out on a regular basis by his followers today.
Six
Islamic Law is totalitarian in nature. There is no separation of church and state. It is irrational. It is supposedly immutable and cannot be changed. It must be accepted without criticism. It has many similarities to Nazism, Communism and Fascism. It is not compatible with Western Civilization.
Seven
Islam is not compatible with democracy and human rights. The notion of a moral individual capable of making decisions and taking responsibility for them does not exist in Islam. The attitude towards women in Islam as inferior possessions of men has led to countless cases of mistreatment and abuse for which Moslem men receive little or no punishment, and in many cases are encouraged to commit such acts, and are even praised for them. This is a direct fruit of the teachings of the Koran.
Eight
A Muslim does not have the right to change his religion. Apostasy is punishable by death.
Nine
Deep in the Islamic teaching and culture is the irrational fear and loathing of the West.
Ten
Islam is a weapon of Arab imperialism and Islamic colonialism. Wherever Islam has or gains political power, Christians, Jews and all non-Moslems receive persecution, discrimination, are forced to convert. There are massacres and churches, synagogues, temples and other places of worship are destroyed.
প্রস্তাবিত মসজিদটিই প্যাস্টরের নয় বছর পরে কোরান পুড়ানোর মত এমন একটি ঘৃন্য হুমকি প্রদর্শনের অন্যতম কারণ বলেই প্রতীয়মান হয়। প্যাস্টর তার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। আমি সাধুবাদ জানাই। আব্দুল রউফকে আমি আহ্বান জানাই তিনিও মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ঘোষনা দেবেন। আমি সাধুবাদ জানাব। সারা আমেরিকা জানাবে। সন্দেহ এবং সঙ্ঘাত দিয়ে যার যাত্রা, সেটি অশান্তি ছাড়া শান্তি কখনোই আনবে না। অনেক দেরী তিনি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। আর দেরী না করে মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নিন। তখন জোরগলায় বলতে পারবেন – দেখ ইসলাম কত মহান এবং শান্তির ধর্ম। আমরা ৯/১১এ ক্ষতিগ্রস্থদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাবশত মসজিদটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। ল্যাঠা চুকে যাক। বিতর্কিত মসজিদ বানিয়ে সর্বধর্মীয় শান্তির মিলন মেলা নামে অশান্তি সৃষ্টির দরকার কী? শান্তি তো এতদিন ছিলই। মসজিদ বানানো নিয়েই তো অশান্তির যাত্রা। আপনার কালচারাল সেন্টারে শুধুই শান্তির ফুল ফুটবে বললেই তো হবে না। এফবিআই দিবারাত্র পাহাড়া দেবে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। আমার ট্যাক্সের টাকা অনুৎপাদন খাতে ব্যয় হবে পাহাড়া দেওয়ার জন্য। তাই আমি চাইনা ওখা্নে মসজিদ, মন্দির বা গীর্জা হউক।
আমার শঙ্কা
ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি। ধর্মটি প্রচারের শুরুতে অনেক বাঁধা-বিঘ্ন ছিল। তাই হজরত মুহম্মদ “শান্তি” শব্দটি প্রচুর ব্যবহার করেছেন। অনেক মিঠা মিঠা কথা বলেছেন। Surah 109. Al-Kafirun এর ৬ নং আয়াতে শান্তির কথা বলা আছে।“ Unto you your religion, and unto me my religion.” এই আয়াতটি নাকি ধর্ম প্রচারের শুরুতে নাজিল হয়েছিল। সমগ্র কোরানে এরকম আয়াত দ্বিতীয় কোথাও চোখে পড়েনি।
আমেরিকাকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর জন্য আব্দুল রউফও মুহম্মদের পদাংক অনুসরণ করছেন। মিঠা মিঠা কথা। আন্তর্ধর্মীয় মিলনের সেতু-বন্ধন। আব্দুর রউফের মনের ভিতর কী আছে তা জানার উপায় নেই। কিন্তু উপরের ভিডিওগুলোতে কিছু সাচ্চা ঈমানদার মানুষ আছে। তাদের “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি শুনলে আমার শঙ্কা হয়। দুই, তিন এবং চার নম্বর ভিডিওতে যারা কথা বলছেন তাদের মুখের এবং মনের ভিতরের কথা কিন্তু এক। এরাই সাচ্চা মানুষ। এদের বুঝা বা জানা সোজা। এদের ভাষা পরিষ্কার। এদেশে এরা ইসলামী ঝান্ডা উড়াবে। গনতন্ত্র ধ্বংস করে আল্লাহ্র শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠিত করবে। পরিষ্কার বলেছে। রউফ কিন্তু তা বলেন না। তিনি মিঠা কথা বলেন। কে জানে রউফের হাত ধরেই ঐ ভিডিওর লোকেরাই এদেশে অনুপ্রবেশ করবে। তখন আমার নাম বদল করে আমাকেও বলতে হবে, “আল্লাহু আকবর।” আমাকে না হলেও আমার ভবিষ্যৎ বংশধরদের করতে হবে। আমি তারই পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। এই শান্তির দেশটি তখন গোল্লায় যাবে। এই দেশটি সৌদি আরব হবে। হয়ত হবে ইরান, বা বিন লাদেন আর মোল্লা ওমরের আফগানিস্তান। তাই আমি শঙ্কিত।
পুনশ্চ
বিষয়টি জটিল ও স্পর্শকাতর। সবগুলো দিক তুলতে পারিনি। সম্ভবও না। তাই মুলত একটা দিক তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। ইসলামিস্ট এবং জংগীরা বিরক্ত হবেন জানি। কিন্তু আমার ভরশা, বৃহত্তর মুসলিম গোষ্ঠী (body) আমার বক্তব্য পজিটিভলি নেবেন। আলোচনায় অনেক ভাল জিনিষ বেরিয়ে আসবে আশা করি।
টেক্সাস, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০।
এন্টাইভণ্ড;
মন্তব্য তাড়াহুড়া করে করেছিলাম।
মনে পড়ে গেল কেন আমি ঐ কথা লিখেছিলাম।
ব্যাপারটা আমি এই ভাবে চিন্তা করি—
একদা উম হানি হুজুরকে আমণত্রন করল তার বাড়িতে। হুজুর গেলেন, খাওয়া দাওয়া করলেন অন্যান্য অতিথিদের সাথে। রাত্রের নামাজ পড়লেন যারা মুসলিম ছিল তাদের সাথে। হয়ত আর কিছু সময় অতিবাহিত করলেন উম হানির সাথে। বেশ রাত হয়ে গেলে হুজুর চলে আসলেন হিজরে—কারণ তাঁর হিজরেই রাতের ঘুম দেবার কথা।
গভীর রাতে, যখন সকলে ঘুমিয়ে, তখন হুজুর হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে, কাউকে না জানিয়ে ঊম হানির বাসায় আবার গেলেন। ঊম হানি হুজুরকে গৃহে আনল, হয়তবা নিজের কক্ষেই নিয়ে গেল—হয়্ত বা ড্রইং রুমেই দুজনে একাকী থাকলেন। ঐ গভীর রাতে অন্যান্য যারাই গৃহে ছিল তারা নিশ্চয় জেগে ছিল না—কেনণা কেঊ হুজুর কে ঐ গভীর রাতে আশা করছিলেন না।
তাই আমি লিখেছিলাম ঐ সময় হুজুর উম হানির গৃহের ঘুমিয়েছেন যখন তাঁদের আশে পাশে হয়ত কেউ ছিলনা।
রাত্রি যখন প্রায় শেষ তখন হুজুর এবং উম হানি একত্রে নামায পড়লেন। এ ব্যাপারে ইবনে ইসহাক এবং মার্টিন লিং এ বেশ তারতম্য আছে।
এর পর হুজুর যাবার প্রস্তুতি নিলেন। হয়ত বললেন খিজরে গিয়ে লোকদের ইসরা মিরাজের গল্প বলবেন। ঊম হানি সমূহ বিপদ দেখলেন—হুজুরেরে দেহের পোষাক নিয়ে টানাটানি করলেন। কিন্তূ হুজুর ছেঁড়া কাপড় নিয়ে চলে আসলেন হিজরে।
এটা আমার ধারণা। ইসলামীরা ত অবশ্যই নানা ভাবে এই ঘটনাকে ঘষামাজা করবে—এতে কি কোন সন্দেহ থাকতে পারে?
যাক, আগে যা লিখেছিলাম তা মনে হচ্ছে সঠিকই লিখেছিলাম।
পাঠকদের হাতে ছেড়ে দিলাম বুঝাবুঝির জন্য। ওনারা ইসলামি অথবা আপনার ভার্সনে বিশ্বাস করতে পারে অথবা আমার।
এন্টাইভণ্ড;
আপনার মন্তব্যের জবাব দিবার ব্যাবস্থা না থাকায় আমাকে পৃথক ভাবে লিখতে হচ্ছে।
আপনি আমার লেখা ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা করছি।
হাঁ আমি লিখেছি। হয়্ত ভূল ছিল ।কারণ যখন লিখেছিলাম তখন আমার সাথে রেফারেন্সটা ছিল না। যা লিখেছি স্মৃতি থেকে লিখেছি। এই ভুলের জন্য আমি দূঃখিত।
বাড়িতে ্লোক থাকুক বা না থাকুক, নবীজি যে উম হানির গৃহে রাত্রি যাপন করেছেন তাতে ত কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তার অর্থ এও নয় যে ্নবীজি উম হানির সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন। এটা হতেও পারে নাও হতে পারে।
আর আমরা এটাও বলতে পারি না যে উম হানির বাসায় অন্য লোক থাকায় নবীজি উম হানির সান্নিদ্ধে যেতে পারেন নাই। উনি যদি উমা হানির সাথে একই স্থানে নামাজ পড়তে পারেন তবে কেন উম হানির পাশাপাশি বসতে অথবা আলাপ করতে পারেন না। আমি ত দেখালামই উম হানি নিজেই নবীজিকে আমন্ত্রণ করল তার বাড়িতে রাত কাটাবার জন্যে।
এই অংশটুকু পড়ার পর আমার মনে সন্দেহ হয়েছে ইসলামী ঐতিহাসিকেরা এখানে দুর্গন্ধ শুঁকতে পেয়ে কিছু হেরে ফের করেছে–তাই ঐ সব ব্যাপার যোগ করেছে যাতে মনে হয় যেন ঊম হানির গৃহে নবীজির রাত্রি যাপন হয়েছিল সবার লোকচক্ষুর সামনেই। এটাই আমার সন্দেহের কারণ।
আচ্ছা, এই ব্যাপারে আপনি লক্ষ্য করুণ—সহি বুখারির কিছু হাদিস নুতন সংস্করনে অথবা ইন্টারনেট ভার্সণে বেমালুম গায়েব করা দেওয়া হয়েছে—যেন এই সব হাদিস কোনদিনই ছিল না। এই সব হাদিসগুলো সেই সব যেখানে নবীজি নিজেই বলেছেন তাঁর জীবিকা নির্ভর করছে লুটপাট এবং সন্ত্রাসির উপর। এ ব্যাপারে আপনি পড়তে পারেন আমার লিখা–The Root of Islamic Terrorism.
এই সব কারণের জন্যই আমি ইসলামী ঐতিহাসিকদের লিখা অতি সহজেই বিস্বাস করতে পারি না।
আপনি হয়ত বলতে পারেন — আমার বিশ্লেষণ ঠিক নাও হতে পারে। হাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। কিন্তু এই ভাবে গড়াতে থাকলে ত এই তর্কের কোন শেষ নাই। তাই আমাদের উচিত হবে পাঠকের উপর ছেড়ে দেওয়া।
যাই হোক আমার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল–আমি বলতে চাচ্ছিলাম উম হানির প্রতি নবীজির যে প্রেম ছিল সেটা উনি কো্নদিন ভুলেন নাই। খাদিজা মারা যাবার পর উম হানি নবীজিকে সান্তনা ও সহানুভূতি দেখিয়েছিল। আমার মনে যেই প্রশ্নটা দেখা দিল সেটা হল খাদিজা যখন জীবিত ছিলেন তখন আমরা তেমন কোন উদ্ধৃতি পাই না যে ্নবীজি উম হানির সাথে স্বভাবিক ভাবে দেখাশোনা করেছিলেন।
হাঁ, আমি আপনার সাথে একমত এই সব পরস্পর বিরোধী এবং অস্পষ্ট ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে অনেক ধরণের কল্পনাই করা যায়।
আমি আগেই লিখেছি, ইসলামী ঐতিহাসিকেরা কোন ভাবেই ্নবীজির আচার আচরণকে সাধারণ এক মানুষের অথবা সাধারণ এক নেতার পর্যায়ে দেখাতে চান না। এতদসত্যেও আমরা অনেক ঘটনা দেখতে পাচ্ছি যা থেকে বুঝা যায় ইসলামী ঐতিহাসিকেরা অনেক কিছুই ঘষামাজা করেছে—তা সত্যেও আমরা অনেক কিছু অনুমান করতে পারি কি হয়েছিল—অথবা বিকল্প কি হতে পারত।
হাঁ, আপনি ঠিকই লিখেছেন আমি কল্পনা দিয়েছি–কিন্তু কল্পনাটা মিথ্যের উপর নয়। উপরের প্যারাটিতে তা উল্লেখ করেছি।
প্রাশঙ্গিক কিনা জানি না, তবে এদের দেখলে ভয় লাগে।
http://www.facebook.com/photo.php?pid=1658918&fbid=1605291573470&id=1271565694#!/photo.php?pid=1658918&fbid=1605291573470&id=1271565694
আমার মনে হচ্ছে এটা আর পঁয়তারা নয়। হোয়াইট হাউসে এখন এক ইসলামি আমির ত বসেই আছেন। দেখা যাচ্ছে প্রায় শত করা ২৫ ভাগ আমেরিকান বিশ্বাস করেন ওবামা একজন গোপন মুসলিম। লক্ষ্য করবেন ওবামার ইসলাম প্রীতি কিন্তু সর্বজনবিদিত। কাজেই ওবামা যতদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আছেন তত দিন আমেরিকাতে ইসলামীদের পোয়াবারো। তাইত দেখি ঈমাম ফয়সল রৌফ কি দাম্ভিক এবং নীর্ভিক ভাবে বলে চলেছে মসজিদ ঐ খানে হবে হবেই—সমস্ত বিশ্বও যদি তার বিরুদ্ধে যায়। আজ সকালে শুনলাম ঈমাম রৌফ অথবা তার চেলাচামুণ্ডারা গর্বের সাথে বলছে যে ২০১১ সালের ৯/১১ তারিখে ঐ মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হবে।
ঈমাম ফয়সল রৌফের এত হম্বিতম্বি, ইসলামি হুংকার, জিহাদি কসরত কার খুটার জোরে? আফ্রিকায় একটা প্রবাদ আছে—when a rat laughs at an elephant there must be a hole nearby. এই ঈমামেরও আসেপাসে একটা গর্ত অবশ্যই আছে। আমার মনে হচ্ছে দুটি গর্ত তার পাশে রয়েছে। চিন্তা করুন এই দুই গর্ত কী কী?
আমার কেন জানিনা মনে হচ্ছে আপনার সে গুড়ে বালি। আপনি যদি ইসলামের ই জানতেন তবে বুঝতেন যে কেন ঈমাম রৌফ কোনদিন ঐ পদক্ষেপ নিবেনা। একবার যেখানে মসজিদ বানাবার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তখন বিশ্বের কোন শক্তি ঐ মসজিদকে ঐ স্থান থেকে সরাতে পারবে না। এতে লক্ষ লক্ষ লোক কাফের মারা গেলেও ইসলামের কিছু যায় আসে না। ইসলামে কোটি কোটি কাফেরের জীবনের চাইতে একটি মসজিদের মূল্য কোটি কোটি গুন বেশী।
দেখা যাক ঈমাম ফয়সল রৌফের দৌড় কতটুকু। এখন সে যে ভাবে কথাবার্তা বলছে তাতে ত মনে হচ্ছে সেই এখন আমেরিকার হর্তা কর্তা বিধাতা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইঁদুরের মত লুকিয়ে ঈমামের কথায় নীরব সমর্থিন দিয়ে যাচ্ছেন।
@আবুল কাশেম,
আমার মাথায় কিছু আসছে না, ভাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এর জবাব তেমন শক্ত নয়।
১। সৌদি আরবের অঢেল তেলের টাকা
২। মাইকেল ব্লুমবার্গ
আমেরিকানরা বেশী্রভাগ = টাকার পুজারী।
সৌদি আরব = ইসলামি তেলের টাকা
আমেরিকা = সৌদি তেলের টাকার পূজারী
এই সমীকরণটা হয়ত খুব সরল হল।। তবে আশাকরি আপনার বুঝতে কষ্ট হবে না।
দেখুন না আমির ওবামা সৌদি আরবের ইসলামী টাকার পাহাড় সৌদি বাদশাকে কদমবুসি করেছেন—বাদশার পায়ের ধুলি নিয়ে আমেরিকায় ফিরেছেন।
আমি যা ্লিখলাম তা হয়ত কিছটা অভদ্র ও কর্কশ ্লাগছে। কিন্তু সত্য সর্বদা কর্কশ হয়।
@আবুল কাশেম,
“ওবামার ইসলাম প্রীতি” কি বুশের চেয়ে বেশী?। বুশ তো সউদী পরিবারের পারিবারিক বন্ধু, যে সৌদি পরিবার বিশ্ব জেহাদ রপ্তানীতে আগ্রহী। ওবামাই আল-কায়েদাকে টার্গেট করার প্রাধান্যের কথা বলেছিলেন যখন নিওকনরা ইরাকের দিকে নজর ঘোরানর পায়তারা কষছিল।
বুশের সময় কি ইসলামীদের পোয়াবারো হয়নি। ৯/১১ কার ঘড়িতে ঘটেছিল? বুশও তো বারে বারে বলতেন আমাদের শত্রু ইসলাম নয়। ওবামা বললে সেটা ইসলাম প্রীতি হয়ে যায় কেমন করে? আর বুশ সিনিয়রের সময় তো বিন লাদেন সি আই এ’র বিশ্বাসভাজন ছিল। তাহলে বুশের ইসলাম প্রীতি ছিল বলা যাবে না কেন? ওবামা মসজিদ বানান থামাতে পারেন না আইনত। এটা বুশ থাকলেও একই ব্যাপারই হত।
ওবামা জাপানের সম্রাট আকিহিতকে আরো নতজাণু হয়ে অভিবাদন করেছিলেন। তাহলে কেন বলবেন না যে ওবামা বৌদ্ধ বা শিন্টো ধর্মের পূজারী হয়ে গেছেন? নতজাণু হয়ে অভিবাদন করা ওবামার ব্যক্তিগত স্টাইল, যার জন্য তিনি সমালোচিত। কিন্তু সৌদিদের সঙ্গে দহরম মহরমের ব্যাপারে বুশদের টেক্কা কেউ দিতে পারে নি। আমেরিকাকে সৌদিদের সংগে সাত পাকে বাঁধিয়েছেন তো বুশ বা তারো আগে থেকেই অতীতের মার্কিন সরকার। ওবামাকে তার লেগ্যাসি বহন করতে হচ্ছে। এটা তাঁর কীর্তি নয়।
@কালযাত্রী,
এ ক ম ত। :yes:
@কালযাত্রী,
আপনি যা লিখেছেন তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনার লিখায় যুক্তি নাই (logical error).
আমি বুশ এবং ওবমার সাথে কোন তুলনা করি নাই। এই সব করলে বিল ক্লিন্টন এসে যাবে, জর্জ বুশের পিতাসহ—- অন্যান বিশ্ব নেতাদের ও টানতে হবে। জর্জ বুশ যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ত আমরা তাঁর অনেক সমালোচনা করেছি উনার ঐ সব নীতির জন্য। আর তা ছাড়া জর্জ বুশ পরিবারেরে সাথে সৌদি রাজ পরিবারের নিবিড় সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত ছিল। এব্যাপারে আপনি যা ্লিখেছেন তাতে আমি তেমন মজাদার অথবা অবাক হবার কিছু পেলাম না।
যাই হোক জর্জ বুশ ত এখন ইতিহাস। তাকে ঘেঁটে কী হবে? সে জন্য আমাদের দেখতে হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামা কি করছেন।
ওবামা জাপানের সম্রাটকে ‘কদমবুসি’ করেছেন তাতে কি হয়েছে? জাপানের সম্রাট কি ৯/১১ ঘটিয়েছে, না কী জাপানের সম্রাট জিহাদী তৌরি করছে আমেরিকাকে ধংস করার জন্য? আর জাপান কি মসজিদ তৌরি করছে আমেরিকার পথে ঘাটে?
কিন্তু ওবামা যখন সৌদি বাদশার পদধুলি নেন তখন কি বুঝা যায়? সৌদি আরব আজ বিশ্বের প্রধান ইসলামি সন্ত্রাসের টাকা যোগানদার। যারা বিশ্বব্যাপি ইসলামি সন্ত্রাসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তাদের ‘কদমবুসি’ করলে কি বুঝা যায়?
আমেরিকার শাসনতন্ত্র কি ৯/১১ আগে লিখা হয়েছে না ্পরে? ঐ পূরানো শাসন্তত্রের ফাঁক ফোঁকর দিয়েই ত ইসলামিরা আজ গর্বের সাথে বলছে আমেরিকাকে ইসলামি রাষ্ট্র বানাবে অচিরেই— আমিরিকার আইন দ্বারাই। এত বড় ধৃষ্টতা কেমন করে এই সব গোপন জিহাদিরা পায়? এর জন্য আমেরিকার নির্বোধ সরকার এবং তাদের ঐ অতি পুরাতন শাসনতন্ত্র দায়ী। এই শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন না করলে আমেরিকার জন্য সমূহ বিপদ আছে এতে কোন সন্দেহ নাই। চিন্তা করুন আজ যদি আমেরিকার শসনতন্ত্র লিখা হয় তবে কী জিহাদিদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে?
আমেরিকাকে আস্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে ইসলামি তেল। এই ইসলামি তেল ছাড়া আমেরিকার বিশাল সামরিক শক্তি একেবারেই অসহায়। তাদের বিমান উড়বে না, ট্যাঙ্ক চলবে না, নৌবহর পড়ে থাকবে বন্দরে। আমেরিকার যা মৌজুদ তেল এবং নিজস্ব তেল আছে তা দিয়ে শুধুমাত্র হয়ত তাদের মটর গাড়িই চলবে,
সেই জন্যই যেই আমেরিকায় ক্ষমতায় থাকুক না কেন তাদের সর্বদাই ইসলাম তথা আরবদের পদ লেহন করতে হবে। এর থেকে মুক্তির এক মাত্র উপায় হচ্ছে বিকল্প জ্বালানির অনুসন্ধান অথবা আমেরি্কার মাটির নীচে যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তার পূর্ন ব্যাবহার করা।
@আবুল কাশেম,
উপরের উদ্বৃত অংশটুকু সত্যি নয় । নিচের পাই চার্ট থেকেই এটা পরিস্কার যে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের তেল ছাড়া অচল নয়। যদিও চার্টটা ২০০৮ সালের , রিয়েল টাইমের হিসেবেও খুব একটা হের ফের হবে না । আরও জানুন EIA থেকে ।
[img]http://img684.imageshack.us/img684/6176/90562480.png[/img]
http://labelmyfuel.com/where/
@সংশপ্তক,
এই পরিসংখনের জন্য ধন্যবাদ। এটা ত একটু আশার কথা।
আমি লিখেছিলাম অনুমানের উপর।
যাই হোক, এই পরি্সংখান দেখাচ্ছে ্নিম্নতম ইসলামি তেল ২০%। আর যদি অন্যান্য ছোট ইসলামি দেশ গুলি ধরি তা হলে এর পরিমান হবে ৩২%। এটা ত খুব স্বাস্থকর মনে হচ্ছে না।
@আবুল কাশেম,
আমিও যতটুকু জানি আমেরিকা কানাডা থেকে তেল আমদানী করে সৌদী আরব থেকেও বেশী।
@আদিল মাহমুদ,
উপরের পরিসংখ্যান দেখুন, ইসলামি তেল নিম্নতম ২০% । অন্যান্য ধরলে ৩২% হতে পারে।
উচ্চর্ধ ৩২% ইসলামি তেলের উপর নির্ভরশীল কোনক্রমেই স্বাস্থ্যকর মনে হচ্ছে না।
@আবুল কাশেম,
মধ্যপ্রাচ্যের তেলের উপর যুক্তরাষ্ট্র এখনো অনেকতাই নির্ভরশীল এতে কোন ভুল নেই।
তবে আমেরিকানদের পরিকল্পনা আছে ২০১৭ সালের মধ্যে ফসিল ফুয়েলের নির্ভরযোগ্য বিকল্প বের করে ফেলা। তারপর বিশ্ব রাজনীতি/অর্থনীতি বদলে যাবে অনেকটাই।
@আদিল মাহমুদ,
খুবই আশার কথা। এটা হলে আমার মনে হয় বিশ্ব আজকের বিরামহীন ইসলামী সন্ত্রাশের হাত থেকে কিছটা রেহাই পাবে।
@আবুল কাশেম,
আপনারা জানেন কিন্তু যুক্তি নেই? এ কেমন কথা। আমি তথ্য দিয়েছি। সেউ তথ্যটা আপনারা জানেন বলছেন। সেখানে যুক্তির প্রাসঙ্গিকতাটা কি?
আমেরিকার শাসনতন্ত্রও তো ইতিহাস। তাহলে সেটা নিয়ে ঘাঁটছেন কেন?
যে কারণে তিনি সম্রাট আকিহিতকে অভিবাদন করেছিলেন সেই কারণে সৌদি বাদশাহকে অভিবাদন করেছিলেন, এটুকুই বোঝা যায়। এর বেশী বোঝাটা আপনার নিজের বোঝা।
আমিও তো তাই বলতে চেয়েছি। কি হয়েছে। দু ক্ষেত্রেই তো এটা বলা যায়। সিলেক্টিভ উদ্দেশ্য থাকলে তো ওবামা জাপানের সম্রাটকে বাও (নতজানু হয়ে অভিবাদন) করতেন না শুধু সৌদি বাদশাহকেই করতেন, বা উল্টোটা। কিন্তু উভয়কেই করার মানে খুব জোর এটা হতে পারে যে তিনি শুধু বাদশাহ সম্রাটদের বাও করেন । কিন্তু তাতে এটা কখনই প্রমান হল না যে তিনি সৌদি বাদশাহর জিহাদ রপ্তানীকে নৈতিক সমর্থন দিলেন বা তার পথ সুগম করলেন, যেটা আপনার ইঙ্গিত। বাও করার দুট দিক আছে। এর করার পেছনের কারণ বা উদ্দেশ্য, আর এটা করার পরিণতি, সেটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতই হোক। এ দুটোর কোনটাতেই যে ইসলামী সন্ত্রাস সমর্থন বা সৃষ্ট কাজ করেছে তার কোন যৌক্তিক প্রমাণ নেই।
কথাটা আংশিক সত্য (তেলের উপর নির্ভরশীলতা) হলেও তো সেটার জন্য ওবামাকে সিংগ্ল আউট করারা যৌক্তিকতা দেখিনা (যেমন ওবামা এখন কি করছেন সেটাই আপনি বিবেচ্য বলছেন)। আপনি তো নিজেই বলছেন যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন.. ।
@কালযাত্রী,
আচ্ছা, চিন্তা করুনঃ
আমি কোরানের বিভ্রান্তিমূলক আয়াত নিয়ে তর্ক করছি কোন ইসলামির সাথে। আমার যুক্তির উত্তরে সে বেশ কিছু বাইবেলের আয়াত নিয়ে দেখাল যে বাইবেলেও ঐ ধরণের অনেক বিভ্রান্তিমূলক আয়াত আছে।
এই ধরণের যুক্তি কি চলবে?
আমি তাই বুঝাতে চেয়েছিলাম logical error বলতে।
অর্থাৎ আমি ত জর্জ বুশের ব্যাপারে একটা কথাও লিখি নাই। তাকে সমর্থন করা ত দুরের কথা। কিন্তু আপনি জর্জ বুশকে টেনে আনলেন প্রমান করানোর জন্য যে ওবামা ্নিষ্পাপ—যত দোষ ঐ জর্জ বুশের।
আপনি যদি জর্জ বুশের কূকীর্তির আলাপ করতে চান, তাতে কোন অসুবিধা নাই। আমরা এই ব্যাপারে অরেকটা আলোচনা খুলতে পারি।
আচ্ছা, এখন চিন্তা করুনঃ
জাপানিরা চাইল গ্রাউন্ড জিরোতে একটা বৌদ্ধ মন্দির মানাবে।
বলুন—কয় জন আমেরিকান তার বিরোধিতা করবে?
নিউইয়োর্কের বাঙ্গালিরা ঠিক করল গ্রাউন্ড জিরোতে তারা একটা বাংলা সাংস্কৃতিক মিলনায়তন বানাবে।
বলুন, কয় জন আমেরিকান তার বিরোধিতা করবে?
কিন্ত দেখুন, আজ প্রায় ৭০% আমেরিকান ঐ স্থানে মসজিদ নির্মানের বিরুদ্ধে। এবং এটাও অলিখিত সত্য যে ঐ মসজিদের টাকা কোথা থেকে আসছে।
তাই ওবামার সৌদি বাদশাহ কে বাও করা আর জাপানের সম্রাটকে বাও করা আমি একইভাবে দেখতে পারছি না।
আপনার সাথে আমি আংশিক সমমত। শুধু তফাৎটা এই যে সৌদি সরকার এবং সৌদি রাজ পরিবার যখন ওতপ্রোতভাবে ইসলামি সন্ত্রাসির সাথে অর্থের সাহায্যের ব্যাপারে জড়িত, যা অনেক দলীল থেকেই প্রমানিত, সেক্ষেত্রে ওবামা হয়ত সৌদি রাজ পরিবারের এই ধরণের কুক্ষিত আচারের একটা প্রতিবাদ জানাতেন ঐ ধরণের প্রটোকল বর্জন করে। আমি ত আর কোন রাষ্ট্রপ্রধাণকে ঐ ভাবে নতজানু হয়ে সৌদি বাদশাকে বাও করতে দেখি নাই। যদি কেউ করে থাকেন আমাকে জানবেন। ওবামা ঐ ভাবে নতজানু হলেন, হয়ত বা বাদশা ভাবলেন, সৌদি আরব যতই কুকার্জ করুক আমারিকার প্রেসিডেন্ড তা উপেক্ষা করবেন। আমি তাই ভাবলাম।
আপনি অন্য ভাবে নিলেন, তাতে আমার আপত্তি নাই।
@আবুল কাশেম,
শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন একটা আসবেই মনে হচ্ছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন নতুন ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণে বাঁধা নেই। কিন্তু ৬৮% লোকের মসজিদ নির্মাণে বিরোধীতা করছে। তার অর্থ হল ৬৮% জনসাধারণ বর্তমান গঠনতন্ত্রকে বিরোধীতা করছে।
আর একটা জিনিষ লক্ষ্যনীয়। ৯/১১ এর পরে ইসলাম ধর্মের প্রতি যে খানিকটা বিরূপ ভাব ছিল এই বিশেষ মসজিদটি তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশী বিরূপ ভাব সৃষ্টি করেছে। শেষ পর্য্যন্ত মসজিদটি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী মনে হচ্ছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
অবশ্যই হবে না। এটা একটা ইহুদি ষড়যন্ত্র ছিল যা আমার বিশ্লেষণে বুঝতে পেরেছি। এর উদ্দেশ্য ছিল মার্কিনীদেরকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা যা যথার্থভাবেই সম্ভব হয়েছে। দিন যত যাবে ততই আরও বেশী মার্কিনী এ মসজিদ প্রকল্পের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। এমন কি অত:পর আমেরিকার আর কোথাও মসজিদ যাতে গড়ে না ওঠে সে চেষ্টাও একটা থাকবে বলে আমার মনে হয়।
@ভবঘুরে,
ইহুদি ষড়যন্ত্র?
ইহুদিরা কি আব্দুল রউফকে কানে কানে বলেছে – তুমি মসজিদ বানাও। আমরা আছি তোমার সাথে?
আর অমনি আব্দুল রউফ ইহুদির পরামর্শে নাচানাচি শুরু করে দিল। আব্দুল রউফ নিজে কম ধূনন্ধর ব্যক্তি নন। মসজিদ বানানোর একটি খুড়া যুক্তি – না বানালে ইসলামিক টেরোরিষ্টরা ক্ষেপে যাবে। তারা আরো বেশী বেশী রিক্রুট করার প্রেরণা/কারণ পাবে।
আপনার বিশ্লেষনের শানে নজুল খুলে না বললে বুঝা যাচ্ছে না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কারন লোকের অনুভুতিতে আঘাত লাগার কারনে এর বিরোধীতা হবে জেনেও এই মসজিদটি একটি বিশেষ জায়গায় নির্মান করার একগুয়েমি মনোভাব বিশেষভাবে সন্দেহের উদ্রেক করে। আর সেই বিশেষ জায়গায় থেকে সরে এসে অন্য জায়গায় মসজিদটি নির্মান করার পরিকল্পনার বিরোধীতা করাটাও অযৌক্তিক বলেই মনে করা হয়।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ।
প্রস্তাবিত মসজিদটিই বর্তমান ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির কারণ। মসজিদটির পজিটিভ দিক আমি খুজে পাইনা। তবে ক্ষতি যে হবে তাতে সন্দেহ নেই। আমার ধারণা ছিল শুভ বুদ্ধি মডারেট মুসলিম আব্দুল রউফকে মসজিদ নির্মাণ থামাতে এগিয়ে আসবে।
আপনাকে বাংলা ব্লগে দেখে লাগছে। ওদিকে ইংরেজী ব্লগের অবস্থা তেমন ভাল নেই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমার ধারণা তা হবে না। কারণটা খুলে বলিঃ
একদা নবীজী মক্কায় তাঁর চাচাত বোন হানির সাথে রাত কাটালেন। হানি্র স্বামী বাড়ীতে ছিল না। হঠাৎ নবীজী ঘুমের থেকে বললেন তি্নি রাত্রি ভ্রমনে গেছিলেন। লোকজন সন্দিহান হলে তিনি বললেন তিনি বুরাকে চড়ে বায়তুল মকদিস বা জেরুসালেমের মসজিদে নামায পড়লেন এবং সেখান থেকে বুরাক নিয়ে আল্লার সাথে দেখার উদ্দেশেয় মহাশুন্যে সফরে যান এবং স্বর্গ ও নরক দেখে আসেন। ইসলামের ইতিহাসে এটাকে ইসরা ও মিরাজ বলা হয়।
লক্ষ্য করুণ তখন কিন্তু জেরুসালেমে কোন মসজিদও ছিল না এবং কোন ্মুসলিম থাকত না। পরে খলিফা উমর জেরুসালেমে ঐ স্থানে জোরপূর্বক একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এটা এখন আল-আকসা মসজিদ নামে খ্যাত।
এ থেকে কি বুঝা গেল? একবার যখন ইসলামিরা কোথায়ও ্মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় তখন তারা নবীজীর আদর্শকে পূরাপূরি বাস্তবায়ন করবেই—তা সে যেমন করেই হোক।
যেহেতু ইসলামিরা শক্তের ভক্ত নরমের যম তাই একমাত্র আমেরিকার উচ্চ কর্মকর্তাদের ধমক পেলেই ওদের টনক নড়বে। ওবামা কিংবা ব্লুমবার্গের নরম মিঠি মিঠি কথাকে ইসলামিরা ডাস্টবিনে ফেলে দিবে। তাদের সবচায়তে বড় আদর্শ নবীজী। নবীজীর আদর্শ থেকে সরে দাড়ান তাদের জন্য অসম্ভব। এই ধুরন্ধর ইসলামিদের আমেরিকা এখনও চিনতে পারে নাই। আর একটু সময় দিন, দেখবেন ৯০% আমেরিকান এই ধুরন্ধরদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে চাইবে। আর দুই একটা নিডাল হাসান হোক–তাহলেই আমেরিকানরা ঘুম থেকে জাগবে।
হাঁ, কাজ নিয়ে বেজায় ব্যাস্ত। আরা লিখালিখির সময় নাই। না অনেকদিন ইংরেজিতে লিখি নাই। আবার শুরু করব চিন্তা করছি।
@আবুল কাশেম, আম্রিকাতে অ্যান্টি-ক্রিস্টিয়ান হাতে গোনা, সব উড়ায়া দিমু এমন অ্যানার্কিস্ট আর কয়টা আছে? কিন্তু অ্যান্টি-মুসলিমের সংখ্যা তার হাজার, বা সম্ভবত লক্ষ গুণ বেশি। ইউরোপ বা আমেরিকার মিডিয়াতে প্রকাশ্যে ইসলামকে আক্রমণ করা হয়। ধর্ম না মানো, সমস্যা নেই, অন্যের পশ্চাদ্দেশের দিকে এত আগ্রহ কেন? এই করলে কল্কে পাওয়া যায় বলে বাংলাদেশীদের মাঝে খাঁটি নাস্তিক পাওয়া ভারি মুশকিল কিন্তু খাঁটি ইসলামবিরোধী ম্যালা, সেই ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স, প্রভুদের কাছে কল্কে পাওয়ার চেষ্টা। ওদিকে আধা-ভণ্ড প্রধানমন্ত্রীকে কিন্তু কোনদিন মসজিদে গিয়ে নামায পড়ে বা টেলিভিশনে সেজদা দিয়ে প্রমাণ করতে হয় না তিনি মুসলমান কিনা , কিন্তু বেচারা ওবামারে ঠিকই রোজ বিবৃতি দিয়ে জানাতে হয় তিনি মোসলমান না, খেরেস্টান, নিয়মিত চার্চেও যাতায়াত করা লাগে। “ইন গড উই ট্রাস্ট”, এটা কই লেখা আছে এইটা জিজ্ঞেস করলেও অনেকে পিছলে যান। ইউরোপের উইচ হান্টিং বা ইহুদী নিধনের ইতিহাস বা হালের ইহুদীদের মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে আমাদের সেক্যুলারদের কাউকেই তেমন গলা তুলতে দেখি না, ইরাক বা ফিলিস্তিনে হাজার দশেক নারী-শিশু মারা পড়লে তারা নড়েন-চড়েন না কিন্তু ওদিকে মুহাম্মদ(সা) এর কার্টুন এঁকে মুসলমানদের পশ্চাদ্দেশে বাঁশ ঢোকানোর অধিকারকে তাঁরা মানবাধিকার মনে করেন। আম্রিকারটা আম্রিকার ব্যাপার তারা কি বিশ্বাস করবে, কিন্তু এহেন ধর্মান্ধ আম্রিকা বা ইউরোপিয়ানদের কাছে যখন আমাদের সেক্যুলারিজম বা মানবাধিকার রক্ষার জন্য সাহায্য চাইতে দেখি তখন এদের জন্য করুণা ছাড়া কিছু মনে আসে না।
@আবুল কাশেম,
আমারও ধারনা তাই। আর তার জন্যে পশ্চিমাদেরকে আর একটু আঘাত খেতে হবে। তা হলেই ওরা বুঝতে পারবে ইসলাম কি জিনিস।
@আবুল কাশেম,
একটা ভূল সংশোধণ
ঐ মেয়েটির নাম হচ্ছে উম হানি—মানে হানির মা।
তার আসল নাম ছিল খুব সম্ভবতঃ ফাকিতা।
এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত।
@আবুল কাশেম,
এই প্রসঙ্গে দুইটা প্রশ্ন:
১. এই ঘটনাটির সেই রেফারেন্সটি দিবেন যেখানে বলা আছে যে উম্মে হানির স্বামী বাড়িতে ছিলেন না।
২. আপনি যদি আপনার চাচাতো বোনের বাড়িতে বেড়াইতে যান এবং সেইখানে রাত্রিযাপন করেন, তাইলে কারো সামনে সেই প্রসঙ্গ তোলার সময় কি এই ভাবে বলেন যে আপনি আপনার চাচাতো বোনের সাথে রাত কাটাইছেন?
অথবা, অন্য কেউ যদি তার চাচাতো বোনের বাড়িতে বেড়াইতে যায় এবং রাত্রিযাপন করে, আপনি কি তাহলে ধরে নেন যে সে আসলে তার চাচাতো বোনের সাথে রাত কাটিয়েছে?
একজন প্রকৃত মুক্তমনার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রসঙ্গগুলো প্রাসঙ্গিক যুক্তিসহ আলোচনা করলে বাধিত হবো।
@এন্টাইভণ্ড,
কিসের রেফারেন্স চাইছেন?
পড়ুন না নবীজীর জীবনী নিজেই।
খদেজার মৃত্যুর পর নবীজী উম হানির কাছে যান সঙ্গলাভের জন্য এবং কিছু সান্তনার বাণী শোনার জন্য। যখন নবীজী তাঁর চাচার গৃহে থাকতেন তখন তাঁর গভীর প্রেম ছিল উম হানির সাথে। কিন্তু নবীজী যখন উম হানিকে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন তখন আবু তালিব তা নাকচ করে দিলেন। সেই ব্যাথা নবীজি কখনও ভুলেন নাই। তাই আবু তালিবের মৃত্যুর পর যখন সুযোগ আসল তখনই উনি আবার উম হানির সাথে যোগাযোগ চালিয়ে গেলেন। উমা হানির স্বামী ছিল ব্যাবসায়ী। ব্যাবসা উপলক্ষে সে প্রায়ই দেশের বাইরে থাকত বেশীর ভাগ সময় সিরিয়ায়।
এখন এটা বুঝতে তেমন বুদ্ধির দরকার হয় না নবীজি কোন সময় তার হারিয়ে যাওয়া প্রেমাস্পদের সাথে মিলিত হতেন। আমরা কেন আপনার বিশ্লেষনে বিস্বাস করব?
আমাকে দেখান নবীজি যখন উম হানির গৃহে শয়ন করলেন তখন উম হানির স্বামী উপস্থিত ছিল।
পড়তে পারেন
Lings, Martin, “Muhammad his life based on the earliest sources,” Inner Traditions International, One Park Street, Rochester, Vermont 05767, USA, 1983.
@আবুল কাশেম, আপনার রেফার করা বইটা দেখলাম। আমি সেখান থেকেই উদ্ধৃতি দিচ্ছি:
এবার আমাকে বলেন কীসে আপনাকে এই ধারণা দিলো যে
উম্মে হানির স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এবং রাত্রে উম্মে হানির সাথে মুহম্মদ স. রাত কাটিয়েছেন।
আমি আসলে কোনো বিশ্লেষণ দেই নাই। আপনারই রেফার করা বই থেকে জাস্ট উদ্ধৃতি তুলে দিলাম।
আপনার জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম।
@আবুল কাশেম, উপরের উদ্ধৃতিতে ইটালিক করতে গিয়ে একটা অংশে strong> এভাবে ঢুকে আছে।
লাইনটা হবে:
Umm Hani’ invited him to spend the night with them.
@এন্টাইভণ্ড,
ভাল কথা। আপনি কষ্ট করে উদ্ধৃতি উল্লেখ করলেন। এই উদ্ধৃতিটি ১০১ পাতায় আছে।
দেখা যাক এই উদ্ধৃতি থেকে কি ধারণা করা যায়।
Umm Hani’s husband Hubayrah was altogether impervious to Islam…
এ থেকে আমরা বুঝতে পারি হুবাইরা ইসলাম গ্রহণ করে নাই। তাই তার মোহাম্মদের পিছেনে দাঁড়িয়ে ইসলামী নামাজ পড়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। তবে সৌজন্যতার খাতিরে মোহাম্মদকে সাদর অভ্যার্থনা জানিয়েছে। মোহাম্মদ যে উম হানির গৃহ মাত্র একবারেই বেড়াতে গিয়েছিলেন হুবাইরার উপস্থিতিতে তা মোটেই সত্য নয়। উনি আরও অনেক বার উম হানির গৃহে গিয়েছিলেন। তা বুঝা যাচ্ছে এখানে—
On one occasion, when they had all prayed the night prayer together behind the Prophet, Umm Hani invited him to spend the night with them.
তার মানে একবার—অর্থাৎ অনেক বারের একটা বার।
হুবাইরা ত ইসলাম গ্রহণই করে নাই। তাই তার নামাজ পড়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা। তার মানে দাঁড়ায়—
উম হানি ব্যক্তিগতভাবে মোহাম্মদকে একবার আমান্ত্রণ জানাল তার বাড়িতে রাত কাটাবার জন্য। বাড়ির কর্তা হুবাইরা যদি বাড়িতে থাকতেন তবে এই আমন্ত্রণটা বাড়ির কর্তার কাছ থেকেই আসত। তাই বুঝা যাচ্ছে বাড়ির কর্তা, হুবাইরা হয়ত সেই রাত্রে বাড়িতে ছিলেন না। মোহাম্মদ উম হানির আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন, উম হানির গৃহে গেলেন, উম হানির সাথে রাত্রির নামাজ পড়লেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ—মানে উম হানির সাথে রাতটা কাটালেন কিছু প্রহর। তারপর মোহাম্মদ হিজরে ফিরে এলেন এবং সেখান থেকে বুরাকে চড়ে জেরুসালেম গেলেন ও তারপর ঐ বুরাকে চড়েই মহাশুন্যে পাড়ি দিলেন।
আপনি বলতে চাচ্ছেন এখানেই বুঝি ঘটনার শেষ। কিন্তু তা নয়। ঐ রাত্রি সম্পুর্ণ শেষ হবার আগেই নবীজ়ী আবার উম হানির গৃহে গেলেন।
দেখুন ১০৩ পৃষ্ঠায় কি লেখা আছে—When the Prophet and the Archangel had made their descent to the Rock at Jerusalem, they returned to Mecca the way they had come, overtaking Ka’bah. From there the Prophet went again to the house of his cousin. In her words: “A little before dawn the Prophet woke us, and when we had prayed the dawn prayer, he said: ‘O Umm Hani’, I prayed with you the last evening prayer in this valley as thou sawest. Then went I to Jerusalem and there prayed; and now have I prayed with you the morning prayer as thou seest.’ He rose to go, and I seized his robe with such force that it came away, laying bare his belly, as it had been but cotton cloth draped round him. ‘O Prophet of God,’ I said. ‘Tell not the people this, for they will give thee the lie and insult thee.’ By God, I will tell them,’ he said.”
দেখা যাক কি হয়ছিল ঐ রাত্রে—
নবীজীর বুরাক ভ্রমন রাত্রি শেষ হবার আগেই ক্ষান্ত হল। রাত্রি শেষ না হতেই নবীজি আবার চলে গেলেন উম হানির কাছে। উম হানি হয়ত তার কণ্যার সাথে ছিল। কারণ উম হানির স্বামীর কোন উল্লেখই এখানে নাই।
উম হানি এবং নবীজী একত্রে ফজরের নামায পড়লেন। এখানে উম হানি তার স্বামীর সাথে মুর্তি পুজা করেন নাই, কারণ আমরা আগেই দেখেছি উম হানির স্বামী হুবাইরা ছিল মুর্তি পুজারি—কারণ সে ইসলাম গ্রহণ করে নাই। তাই ঐ সময় হুবাইরা নিশ্চয়ই গৃহে উপস্থিত ছিল না।
এই ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হচ্ছে যখন আমরা জানছি যে উম হানি মোহাম্মদের পোষাক নিয়ে টানাটানি করছে।এই কর্মটি একজন নারীর পক্ষে তখনই করা সম্ভব যখন সে নারী এক পুরুষের খুব সানিদ্ধ্যে থাকে দেহে এবং প্রাণে। উম হানি যে নবীজীকেও মন দিয়ে ভালবাসতেন এ থেকে সেটা পরপূর্ণ পরিষ্কার। যদিও এই প্রেম ছিল পরকীয়া। উম হানি কি এই ভাবে মোহাম্মদের দেহের পোষাক টানতে পারতেন যদি তার স্বামী গৃহে থাকত? ঐ সময় কি উচিত ছিলনা যে উম হানি তার স্বামীর বিছানায় থাকবেন—অযথা মোহাম্মদের দেহ নিয়ে টানাটানি না করে?
প্রশ্ন হচ্ছে কেন উম হানি এই কাজটি করলেন? কারণটা হতে পারে এই যে—হিজরে অনেক লোকজন জানত মোহাম্মদ সেখানে রাত্রির কিচু অংশটুকু কাটিয়েছিলেন। তার পর রাত্রির শেষের দিকে নবীজী হিজর থেকে লাপাত্তা হয়ে গেলেন। দেখা গেল নবীজী রাত্রির ঐ শেষার্ধ কাটিয়েছেন উম হানির গৃহে। লোকজন কিছুমাত্র সন্দেহ করতনা যদি উম হানি স্বামী সহ তার গৃহে থাকতেন। তাই বিড়ম্বনা এবং কেলেংকারি এড়াবার জন্য নবীজী বুরাকের গল্প আবিষ্কার করলেন। কিন্তু উম হানি জানতেন কেউ হয়ত নবীজীর এই গল্প বিশ্বাস করবে না। তাই এই সব আজগুবি গল্প না বলে হয়ত অন্য কিছুর অজুহাত দেওয়া যায়।
এই ঘটনার সাথে আরো কিছু প্রাসঙ্গিক ব্যাপার দেখা যায়।
পৃষ্ঠা-২৯৯—যেহেতু এটা অনেক লম্বা ব্যাপার তাই আমি সারাংশ দিচ্ছি। আপনি নিজে সম্পূর্ন পাতা টা পরে নিতে পারেন।
Umm Hani was married to Hubayrah, a pagan.
Hubayrah, Umm Hani’s husband, had foreseen the fall of Mecca and had fled to Najran. So Umm Hani was living in her house separated from her pagan husband.
তাই আমরা দেখি যে মক্কা বিজয়ের সাথে সাথে নবীজী উম হানির গৃহে চলে যান, এবং উম হানির সাথে পুনরায় কিছুক্ষণ কাটিয়ে দেন।
এই হচ্ছে আমার বিস্তৃত বিবরণ—উমা হানি এবং নবীজীর পরকীয়া প্রেমের উপাখ্যান। এর পর আমার আর বিশেষ কিছু লিখার নাই।
আপনি যা খুশী তাই ভাবুন—আমার কোন আপত্তি নাই। অবশ্যই ইসলামী ঐতিহাসিকেরা অনেক কিছুই ঢামা চাপা দিবেন তাতে আশ্বচর্য্য হবার কিছু নাই
কিন্তু আমরা সত্য চিন্তা করে বের করে নিতে পারি।
@আবুল কাশেম,
রাধাকৃষ্ণের পরকীয়া প্রেমলীলার মতই মনে হচ্ছে। তফাৎ, ইসলামী ঐতিহাসিকেরা ধামাচাপা দিতে চায়, আর হিন্দুরা কপালে চন্দনের তিলক পড়ে রাত জেগে রাধাকৃষ্ণের কাহিনী শুনে আর কেঁদে কেটে বুক ভাসায়।
@আবুল কাশেম, ইতিহাস থেকে সত্য উদঘাটন করতে হলে কল্পনা ব্যবহার করতেই হবে। কিন্তু আমার ধারণা সেটা করতে গিয়ে আপনার কয়েকটা ব্যাপার চোখ এড়িয়ে গেছে। অনুগ্রহ করে নিচের পয়েন্টগুলো খেয়াল করবেন:
১.
ফাতিমা মুসলমান হয়েছিলেন আবু তালিবের মৃত্যুর আগে কিংবা পরে।
২. and if it was the time for a prayer during one of these visits, the Muslims of the household would pray together.
এরকম কোনো ভিজিটের সময় নামাজের সময় হলে ঘরের মুসলিমগন (ঘরের মুসলিম শুধু উম্মে হানি হলে মুসলিমগন বলা হতো না) একসাথে নামাজ পড়তেন।
এমনকী উম্মে হানি এবং ফাতিমা –ঘরের যদি শুধু এই দুজনও মুসলিম হতেন তাহলেও এভাবে বলাটাই স্বাভাবিক হতো যে ফাতিমা এবং উম্মে হানি মুহম্মদ স.-এর পেছনে নামাজ পড়তেন। সুতরাং ধারণা করাই যায়, ফাতিমা এবং উম্মে হানি ছাড়াও আরো কেউ কেউ (তার ভাইরা) মুসলমান হয়েছিলেন।
সুতরাং বাড়িতে যদি এমনকী হুবাইরা না-ও থাকতেন তবু উম্মে হানি একা থাকতেন না, এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেল।
৩.
একবার যখন তারা সবাই প্রফেটের পেছনে নামাজ পড়ে নিলেন,…
এখানে যে অকেশনের কথা বলা হচ্ছে, বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, যে ইসরা এবং মিরাজ হয়েছিলো বলে কথিত আছে, সেদিনের কথাই হচ্ছে। সেদিন যখন তারা সবাই প্রফেটের পেছে নামাজ পড়া শেষ করলেন, তখনকার কথা হচ্ছে।
প্রফেট ছাড়াই বাকিদের কথা বলতে বলা হচ্ছে সবাই। অর্থাৎ, বাকি সবাই নিশ্চয়ই উম্মে হানি একা নন, অথবা শুধু ফাতিমা আর উম্মে হানি নন। আমি বলতে চাচ্ছি, উম্মে হানি একা হলে নিশ্চয়ই বাকি সবাই বলা হতো না। এমনকী, যদি উম্মে হানি এবং ফাতিমা–এই দুজনও থাকতেন তবু মুহম্মদ স. বাদে বাকিদের জন্য সবাই বলার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না। উম্মে হানি এবং ফাতিমা বলাটাই স্বাভাবিক হতো।
সুতরাং বাড়িতে যদি এমনকী হুবাইরা না-ও থাকতেন, তবু উম্মে হানি একা ছিলেন না। এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেল।
৪.
এইটা নির্ভর করে ট্রেডিশনের উপর। আমাদের বাড়িতে আমার মায়ের দিকের আত্মীয় স্বজন আসলে আমার মা-ই রিকুয়েস্ট করেন থাকতে। বাবা নন। বরং, মা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন বলে, একবার, সেই আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে অবজেকশন দিয়েছিলো।
বাড়ির কর্তা থাকার আমন্ত্রণ দেন নি, সুতরাং তিনি বাড়িতেই নাই??? এমনকী যদি সেই ট্রেডিশন না-ও থাকে, তবু কত কিছু হতে পারে যার জন্য বাড়ির কর্তা আমন্ত্রণ না জানাতেই পারেন। আর তার সবকিছু ইতিহাসের বর্ণনায় না-ও আসতে পার। এই যে এত কিছু হতে পারে, তার মধ্যে সবথেকে খারাপটা ধরে নিয়ে এগুনোটা আসলে ঠিক কী ধরণের ইতিহাস পাঠ, কাশেমভাই?
আপনার কাছে থেকে এরকম যুক্তি আশা করি নাই।
৫. হুবাইরা যে বাড়িতে ছিলেন না, তার আর একটা প্রমাণ দিতে গিয়ে আপনি বলেছেন,
এখানে খেয়াল করেন,
এই ঘটনাটা ঘটছে হলো নামাজটা পড়ার পর। এবং বাড়িতে যেহেতু উম্মে হানি এবং ফাতিমা ছাড়াও আরো অনেকেই ছিলেন (২ ও ৩ দেখুন), সেহেতু এই টানাটানি সেই অনেকের সামনেই হয়েছিলো। অনেকের সামনেই যদি হতে পারে তাহলে স্বামীর সামনে হতে পারবে না কেন???
আরো একটা ব্যাপার দেখেন, এই টানাটানির কথা প্রকাশিত হচ্ছে হলো স্বয়ং উম্মে হানির মুখ থেকে। কী আশ্চর্য, তিনি নিজেই প্রকাশ করে দিচ্ছেন! এটা যদি সন্দেহজনকই হতো, তাহলে তিনি কি আদৌ সেটা প্রকাশ করতেন?
৬.
…জাগালেন আমাদেরকে (আমাকে নয়)।
৭. আপনার কথা অনুসারে উম্মে হানি হুবাইরার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনি মক্কা বিজয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন। ২৯৯ পৃষ্টার কথা উল্লেখ করলেন।
হুবাইরার প্রতি, সম্পর্ক ছেদ হয়ে গেলেও, উম্মে হানির ডিভোশনটা লক্ষ্য করেন-নি আপনি? দেখুন, মক্কা বিজয়ের পর আলি এসে দেখলেন উম্মে হানি হুবাইরার দুজন আত্মীয়কে আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি তাদের হত্য করতে আসলে …she threw a cloak over them,
and stepping between him and them she said: “By God, thou shalt slay me first!”, whereupon he left the house.
তার মা ফাতিমা পর্যন্ত বলছেন, Dost thou give protection to idolaters?
ভাইয়ের বিপক্ষে, মায়ের বিপক্ষে জান দিয়ে দিতে চাইলো একটা মেয়ে … তার স্বামীর দুজন আত্মীয়ের জন্য, যেই স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক ছেদ হয়ে গেছে!!!
উম্মে হানি এবং নবীজীর পরকীয়া প্রেমের উপাখ্যান?
নিশ্চয়ই, প্রেমের উপাখ্যানই বটে। উম্মে হানি এবং হুবাইরার প্রেমের উপাখ্যান লিখলে মনে হয় এর চে অনেক বেশি যৌক্তিক হবে।
না! কাশেমভাই, আপনার কল্পনাটা অতিকল্পনা হয়ে গেছে।
৮.
এইরকম কোনো কথা গোটা বইটার কোথাও নেই। এমন কথা আন্দাজ করা যায়, সেরকম কোনো কথাও নেই। আপনি কি মিথ্যা কথা বললেন, কাশেমভাই?
@এন্টাইভণ্ড,
এটা শুধু আপনার চিন্তা। আমিও বলতে পারি আপনার চিন্তা টা অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে।
আপনার মনগড়া ্ব্যাখ্যা বেশ ভালই লাগল। এই জন্যেই ত লিখেছি ইসলামি ঐতিহাসিকেরা কতই না বিশ্লেষণ্ দিবেন ঐ রাত সকলের।
যাই হোক, উম হানি যে আবু তালিবের বাড়িতেই থাকতেন এমন কথা না ও হতে পারে। সে তার স্বামীর ঘরে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমি কী লিখেছি যে উম্ হানির বাড়িতে অন্য কেউ থাকতনা অথবা ্নবীজি উম হানির সাথে একই বিছানায় শায়িত ছিলেন? এমনও ত হতে পারে যে মাত্র ঐ রাত্রিতে কিছু মুসলিম উম হানির ঘরে এসেছিল। নামাজের পর তারা চলে যায়।
আর আমি ত অন্য এক রাত্রির কথা লিখলাম যখন উম হানি ব্যক্তিগত ভাবে নবীজিকে আমন্ত্রণ করল তার ঘরে রাত্রি কাটাবার জন্য। এটা কি সম্ভব নয় যে উম হানির কণ্যা, ভৃত্য অথবা বাড়ির দু’একজন লোক হয়ত ছিল—কিন্তু উম হানির স্বামী বিদেশে ছিল। ঐ রাতেই যে ফাতেমা উম হানির ঘরে ছিল এমন কি নিশ্চয়তা আছে?
আমি শুধু লিখেছি উম হানির স্বামী হয়ত ছিলনা। আমি লিখি নাই যে উম হানির বাড়িতে অন্য কেউ থাকত না।
আপনি পৃষ্ঠা ২৯৯ ভাল করে পড়ুন–দেখবেন মোহাম্মদ যখন মক্কা বিজয় করলেন তখন উম হানি মোহাম্মদের সাথে দেখা করতে গেলেন। উম হানির সাথে তার স্বামীর কী রকম সম্পর্ক ছিল সেটা আমার বিচার্য্য নয়। তবে তার স্বামী নবীজির মক্কা বিজয়ের আগেই যে দেশ ছেড়ে ছিল তা আমরা অনুমান করে নিতে পারি, কারণ বলা হচ্ছে উম হানি তার স্বামীর থেকে পৃথকভাবে বাস করত। এটা নশ্চয়ই একদিন অথবা এক রাত্রির ব্যাপার নয়। আর উম হানি যে তার পলাতক স্বামীর আত্মীয়দের জন্য মোহাম্মদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবে এতে আশ্বচর্য্য হবার কি আছে? তখনকার আরবদের মনে প্রচুর মায়া মমতা, ক্ষমা এই সব মানবিক গুণ প্রবলভাবে ছিল। আর উম হানি যে নিষ্ঠুর মহিলা ছিল তাও ত আমি বলি নাই।
দেখুন পৃষ্ঠা ২৯৯—Then ‘Ali had come to greet her, and seeing the two Makhzumites he drew his sword and would have killed them despite the formal protection she had given them; but she threw a cloak over them and stepping between him and them said: “By God, thou shalt slay me first!”, whereupon he left the house. And now having locked the door upon them, she had come to intercede with the Prophet. She found Fatimah no less stern than ‘Ali. “Dost thou give protection to idolaters?” she said. But Fatimah’s reproaches were cut short by the Prophets arrival. He greeted his cousin [this must be um Hani] with great affection, and when she told him what had happened he said: “It shall not be. Whom thou makest safe, him we make safe; whom thou protectest, him we protect.”
He performed the rite of the greater ablution and prayed eight cycles of prayer, after which rested for an hour….
এই ঘটনাটি উম হানির গৃহেই হয়ত ঘটেছিল, কারণ আলি ঐ দুই ব্যক্তিকে উম হানির গৃহেই দেখেছিল। পরে উম হয়ত উম হানি ঐ দুজনকে ঘরে তালা দিয়ে রেখে যায় নবীজির সাথে তাদের প্রাণ ভিক্ষা করতে।
অথবা সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই হয়ত উম হানির গৃহে ঘটেছিল—এ নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে।
আমরা দেখি মক্কা বিজয়ের পর মোহাম্মদ উম হানির সাথে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করেছেন। আমি ত লিখি নাই যে মোহাম্মদ মক্কা বিজয়ের পর উম হানির সাথে শয়ন করেন।
এই সব ঐতিহাসিক ঘটনার অনেক রকমের ব্যাখ্যা হতে পারে—এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত।
আমি শুধু এইটাই বলতে চাই যে ইসলামিরা যে ব্যাখ্যা দেয় সেটাই যে সঠিক তা আমরা মানতে রাজি নই। আর এই ইতিহাস ত ইসলামীদেরই লেখা—তারা অবশ্যয় প্রচুর কাট ছাঁট করে এই সব ঘটনাকে স্বাস্থ্যকর করেছে যাতে নবীজিকে পূত পবিত্র দেখান যায়। এতদসত্যেও অনেক কিছু ফাঁক দেখা যায়—যার থেকে আমরা অনূমান করে নিতে পারি আসল ঘটনা কি হতে পারে।
আর একটা কথা। আমি এই প্রসঙ্গে নবীজির চরিত্রের কোন মন্দ ভাল কিছুই আলোচনা করি নাই। আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি নবীজি এবং উম হানির গভীর প্রেমের কথা—পরকীয়া প্রেম আমরা যাকে বলি। এটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়।
এই বার দেখুন ইবনে ইসহাকের সিরা তে কি লিখা আছে—ইবনে ইসহাক পৃঃ ১৮৪
The following report has reached me from Umm Hani’ d. of Abu Talib, whose name was Hind, concerning the apostle’s night journey. She said: ‘The apostle went on no night journey except while he was in my house. He slept that night in my house. He prayed the final night prayer, then he slept and we slept. A little before dawn the apostle woke us, and when we had prayed the dawn prayer he said, “O Umm Hani’, I prayed with you the last evening prayer in this valley as you saw. Then I went to Jerusalem and prayed there. Then I have just prayed the morning prayer with you as you see.” He got up to go out and I took hold of his robe and laid bare his belly as though it were a folded Egyptian garment. I said, “0 prophet of God, don’t talk to the people about it for they will give you the lie and insult you.” He said, “By God, I certainly will tell them.” I said to a negress, a slave of mine, Follow the apostle and listen to what he says to the people, and what they say to him. He did tell them and they were amazed and asked what proof he had.
এখানে দেখা যাচ্ছে ইসরা এবং মিরাজ উম হানির গৃহ হতেই হয়েছিল। আর উম হানির গৃহে নবীজি এবং উম হানি নামায পড়েছেন—অন্য কেউ তাঁদের সাথে নামাযে যোগদান করেছেন এমন পরিষ্কার কিছু বলা হয় নাই। কাজেই যার যা খুশী অনুমান করে নিতে পারেন।
এখন আপনি বলুন কি করা? ইবনে ইসহাকের সিরাকে সবচাইতে বিশ্বস্ত ধরা হয়।
এই ব্যাপারে অনেক আলাপ হল। আপনি যদি মোহাম্মদের চরিত্রকে বিশুদ্ধ প্রমাণ করতে বদ্ধ পরিকর থাকেন তাহলে আমি যত যুক্তিই দেখাই না কেন আপনি কোনদিনই তা গ্রহণ করবেন না।
আমরা নবীজিকে অন্য দৃষ্টিতে দেখছি। সেটা যে সব সময় খারাপ তা নয়। উনি একজন মানুষ হিসাবে যা করেছেন সে ভাবেই দেখছি—আল্লার প্রেরিত নবী এবং বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টি হিসেবে নয়। কাজেই আপনার মতের সাথে আমাদের মতের মিল হওয়া দুস্কর।
কাশেমভাই,
১.
{{না! কাশেমভাই, আপনার কল্পনাটা অতিকল্পনা হয়ে গেছে।}}
আমার এই মন্তব্যের জবাবে আপনি বলেছেন:
আপনি অবশ্যই বলতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমি যেভাবে আপনার কল্পনার অতিরঞ্জিত অংশটি ব্যাখ্যা করেছি, আপনিও যদি সেভাবে দেখিয়ে দিতেন, আমার জন্য এই ভালোটুকু হতো যে আমি সংশোধনের একটা সুযোগ পেতাম।
এর ভেতর আপনি বললেন আমার “মনগড়া” ব্যাখ্যার কথা। “মনগড়া” ব্যাখ্যা মানে যদি হয় মন থেকে গড়া, অর্থাৎ কোনো রেফারেন্সের সম্পর্কহীন ব্যাখ্যা, তাহলে আমি অনুরোধ করছি, আমার সেই অংশটুকুন দেখিয়ে দিন যা আমি “মন” থেকে গড়েছি। প্লিজ। এইটুকু কথা বললাম, এই যুক্তিতর্কের বাইরে থেকে, এইজন্য যে, আসলেই যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যেন আমি নিজের রিজনিং সংশোধন করতে পারি।
____________________
২.
কিন্তু এর মানে এই না যে আপনি যদি আমার কোনো ব্যাখ্যাকে রেফারেন্স-এর বাইরের/ রেফারেন্স থেকে সম্পর্কহীন/ তার বিপরীত বক্তব্য বলে প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আপনারও একই ধরণের কাজ (রেফারেন্স) বৈধ হয়ে যাবে। উপরে আপনি কেউ একজনকে খুব সুন্দর একটা লজিকাল এররের কথা বলেছেন। আপনার এররটিও কিন্তু সেরকম এরর হয়ে যাবে।
___________________________
৩.
না, আপনি লেখেন নি সেকথা। কিন্তু আপনি লিখেছেন,
ক. নবীজী উম্মে হানির সাথে রাত কাটিয়েছেন। (তর্কের বিষয়, রেফারেন্সে সরাসরি এবিষয়ে কিছু নাই)
আমার কথা সেই কথাকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে। এবং আপনি এ-ও বলেছেন যে,
খ. উম্মে হানির স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। (রেফারেন্স-এ কিছু নাই এব্যাপারে, আপনি এ্যাজিউম করে নিচ্ছেন)
গ. নবীজীর সাথে উম্মে হানির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। (রেফারেন্স গ্রন্থে এব্যাপারে কথা আছে)
এই কথাগুলো উল্লেখ করার পর আসলে, আমার ধারণা, বলার দরকার পড়ে না যে আপনি আসলে একথাই বলতে চাচ্ছেন যে, তারা এক বিছানায় শায়িত ছিলেন।
এখন আপনি যদি বলেন যে, না, আমার কথার মানে এটা না, অনুগ্রহ করে সেকথা একটু বলবেন।
____________________
৪.
নিশ্চয়ই হতে পারে। আমি তো বলেছিই যে কত কিছুই হতে পারে। কিন্তু ভেবে দেখুন আপনি একটা রেফারেন্স বই দিয়েছেন। বহুকষ্ট করে আমি বইটা যোগাড় করেছি শুধু জানতে আসলেই কেউ এভাবে লিখেছে কি না। সেই রেফারেন্স থেকে আমি এপ্রসঙ্গে যে-লাইনগুলো পেয়েছি তা হলো এই,
আপনি গ্রামারে যথেষ্ট ভালো। এই লাইনগুলো থেকে, দেখুন তো, মনে কি হয় যে শুধু একরাত্রের কথা হচ্ছে? if it was..would..এই স্ট্রাকচার কি বরং একথাই বলে না যে রাসুল স.-এর এরকম ভিজিটের সময় যদি নামাজের সময় হয়ে যেত, তাহলে Muslims of the household একসাথে নামাজ পড়তো বাইরে থেকে আসা মুসলিমদেরকে of the household দিয়ে বিশেষায়িত করার কথা না।
আমার কথাটা হলো আপনি যেটাকে “হয়তো” বলছেন, আমি সেটাকে আপনারই দেয়া রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করতে পারছি যে তা বরং হতেই পারে না (যতক্ষণ আপনি আপনারই দেয়া রেফারেন্স নিয়ে কথা বলবেন বলে সম্মত থাকছেন আরকি)। আমার মন থেকে আমি কিছুই গড়ি-নি।
______________________
৫.
{{{আমি লিখি নাই যে উম হানির বাড়িতে অন্য কেউ থাকত না। }}}
এইখানে লেখেন নাই, কিন্তু কোথাও-ই কি লেখেন-নাই? এবং সেইখানে কি রেফারেন্স হিসেবে এই সেইম বইটারই কথাই লেখেন-নাই?
{{He used to sleep in her house, when no one was around.}} এইরকম কথা আপনি কোথাও লেখেন-নাই? যদি প্রয়োজন মনে করেন আমি আপনাকে লিঙ্ক সরবরাহ করবো।
[আমার খারাপ লেগেছে, সেখানেও আপনি রেফারেন্স হিসেবে এই বইটার কথাই লিখছিলেন, অথচ এখন প্রমাণিত যে এই বইটাতে এরকম কোনো কথা নাই। ]
____________________________
৬.
দেখেন উম্মে হানির সাথে কেন, আরো অনেকের সাথেই তিনি মক্কাবিজয়ের পর কিছু ক্ষণ অতিবাহিত করে থাকতে পারেন। এইটা বলার জন্য কোনো রেফারেন্স লাগে না। কিন্তু আপনি যখন একটা কিছু প্রমাণ করতে যাচ্ছেন এবং সেটা প্রমাণ করার জন্য এই উদ্ধৃতিতে উল্লিখিত কথাকে অন্যতম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন আমার কথা থেকে যাচ্ছে। আমি আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আমরাতো একটা নির্দিষ্ট রেফারেন্স ধরে কথা বলছি, তো, সেই রেফারেন্সের কোথায় কোন জায়গায় লেখা আছে বা ইঙ্গিত দেয়া আছে যে {{মক্কা বিজয়ের পর মোহাম্মদ উম হানির সাথে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করেছেন}}? এবং যদি এধরণের কোনো কথা বলা না থাকে, তাহলে
সেই কথাকে সত্য ধরে (আপনার বলার ভঙ্গিটা খেয়াল করুন, {আমরা দেখি}) এগুনো এবং তার উপর দাঁড়িয়ে কিছু বলাটাই বরং “মনগড়া”র একটা উদাহরণ হয়ে ওঠে কি না।
___________________________
৭.
এই পয়েন্টে আমি আপনার সাথে প্রায় একমত। শুধু ইসলামিস্টরা নয়, যেকেউ যখন ইতিহাস রচনা করছে, তখন নিজেদের চিন্তা/মতবাদ-এর পক্ষে সেটা করার চেষ্টা পুরোদমে করছে (যারা আসলেই সৎ, তাদের কথা বাদ দিলাম, নগণ্য বলে)। [অট: নাহলে কি জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারেন?]
কিন্তু সেখান থেকে সত্য উদ্ধারের পন্থা কি এই যা আপনি আমাদেরকে দেখাচ্ছেন? তারা যে ভুল করবে, সেই ভুল আমি আপনিও করবো? উপরে সেই লজিকাল এরর যা আপনি আরএকজনকে দেখিয়েছেন, তা কি এখানে হবে না?
এইটা অনেক বড় ইস্যু। আমি রেফারেন্স ক্রসচেকিং, ক্রিটিকাল রিজনিং, এবং ইমাজিনেশন—এই তিনটা পয়েন্টকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি (ক্রিটিকাল রিজনিং-এর মধ্যে ইম্পার্শিয়ালিটির কথা ধরে নিচ্ছি)। আপনার এখানে আমি ইমাজিনেশন ছাড়া আর কিছুর ব্যবহার দেখিনি। সুতরাং, সেই ফাঁক থেকে যে এই পন্থায় আসল ঘটনা উদ্ধার করা সম্ভব, তা অন্তত আমার মনে হচ্ছে না।
______________________________
৮.
অবশ্যই অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যা কিছু অস্বাভাবিক নয়, তার সবকিছু কি অবশ্যই ঘটে অথবা ঘটেছেই???
নৃপেন্দ্র সরকার এবং আপনি দুজনেই দেখলাম বলছেন ইসলামিক ইতিহাসবিদরা নাকি “ধামাচাপা” দিচ্ছে। আর, ধামার নিচে কী, সেইটা নিয়ে আপনার মতামত হচ্ছে “ঘটা অস্বাভাবিক নয়”।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন এইটাই আপনাদের “মুক্ত” হয়ে চিন্তা করার নমুনা?
_______________________
৯.
আসুন ইবনে ইসহাক -এর আপনার উদ্ধৃত অংশটা দেখি:
ক. then he slept and we slept…(তিনি ঘুমালেন, এবং আমরা ঘুমালাম)
খ. A little before dawn the apostle woke us…
(জাগালেন আমাদের…, এইখানে আমাদের মানে কী, সেটা বোঝার জন্য খুব সূক্ষ্ম বুদ্ধি দরকার না কি বলেন তো? যদি শুধু উম্মে হানি-ই থাকতেন, তাহলে ডাকার সময় ” the apostle woke us” বলা হবে কেন? বলা হতো ” the apostle woke me”. তারপর বলেন, ডাকার পর নামাজ পড়লেন, মানে কী? যাদেরকে ডাকলেন, তাদের সবাইকে নামাজ পড়ার জন্যই ডাকলেন, তাই না? যাদেরকে ডাকলেন, তারা যদি নামাজ না-ই পড়বে, তাহলে তাদেরকে ডাকবেন কেন?
তার মানেই তো নামাজে উম্মে হানি ছাড়াও আরো কেউ কেউ ছিলো। এই বিশ্লেষণটা কি খুব ফারফেচড? খুব বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে?)
এখন বলেন নামাজের সময় আর কেউ যোগদান করুক বা না করুক তাতে “যার যা খুশী অনুমান”-এর সুযোগ আসলো কোথা থেকে?
_________________________
১০.
প্রথম কথা হলো, আমি এখনো পর্যন্ত মুহম্মদ স.-এর চরিত্রকে বিশুদ্ধ প্রমাণ করতে যেয়ে কিছু বলি-নি। বরং, আপনি তার চরিত্র সম্পর্কে কিছু সিদ্ধান্তমূলক কথা বলতে চেয়েছেন, আমি আপনাকে দেখিয়েছি আপনারই দেয়া রেফারেন্স থেকে যে আপনার এইরকম সিদ্ধান্ত আপনারই দেয়া রেফারেন্স-এর ভিত্তিতে ভুল।
দ্বিতীয় কথা হলো,
আপনি এই পর্যন্ত যে যুক্তিগুলো দেখিয়েছেন (আমি জানি না, আপনি যুক্তিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেন), তা আমার কাছে অখণ্ড্য যুক্তি মনে হয় নি। আমি আপনারই দেয়া রেফারেন্সের ভিত্তিতে সেগুলো দেখিয়েছিও।
তৃতীয় কথা হলো, {{কাজেই আপনার মতের সাথে আমাদের মতের মিল হওয়া দুস্কর।}} এই কথাটা আপনি খুবই ভুল কথা বলেছেন। আমার কাছে মতের মিল হওয়াটা মোট্ই দুষ্কর মনে হয় না। সেইটা সময় আসলে অবশ্যই টের পাবেন। তার আগে আপনাকে যা করতে হবে, তা সম্পর্কে আশা করি আন্দাজ পেয়েছেন।
________________
যাহোক, অনেক কথা হলো, ভালো থাকবেন।
@আবুল কাশেম,
আপনি তুলনা করেছেন একথা মনে হয় কেউ বলেনি। কিন্তু আপনিত ওবামাকে রীতিমত “ইসলামি আমির” বানিয়ে ছেড়েছেন। তার উত্তরে কালযাত্রী বলেছেন,”আমেরিকাকে সৌদিদের সংগে সাত পাকে বাঁধিয়েছেন তো বুশ বা তারো আগে থেকেই অতীতের মার্কিন সরকার। ওবামাকে তার লেগ্যাসি বহন করতে হচ্ছে। এটা তাঁর কীর্তি নয়।”
অর্থাৎ ইসলামি আমির বুশের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে আমিরত্ব পেয়েছেন ওবামা। এজন্য ওবামাকে কৃতিত্ব বা দোষ কোনটাই দেওয়া যায়না। এখানে বুশের প্রসংগ আনা হয়েছে তথাকথিত “ইসলামিকরনের” ব্যাপারে ওবামা নিজে দায়ী নয় একথা বোঝানোর জন্য, বুশের সাথে তুলনার জন্য নয়।
উপরের যুক্তিটা খন্ডন করার মত আপনি কিছুই লিখেননি, যদিও লেখার মত অনেক কিছু ছিল।
এটাকি ঠিক কথা হল? ধরুন আমি বল্লাম, “আবুল কাশেম একজন অত্যন্ত স্পষ্টবাদী লোক।” আপনি মনে হয় একমত হবেন যে এই কথাটা সত্যি, কিন্তু কর্কশ নয়। যৌক্তিকভাবে আমরা বলতে পারি,
১। সত্যি কথামাত্রই কর্কশ নয় (যদিও অনেক সত্যি কথাই কর্কশ হতে পারে)।
২। কর্কশ কথামাত্রই সত্যি নয় (যদিও অনেক কর্কশ কথাই সত্যি হতে পারে)।
২ নম্বর প্রস্তাবনাটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ কারন অনেকে লোকই আছেন যারা কোন একটা কর্কশ কথা বলেই মনে করেন ভীষন একটা জগতকাঁপানো সত্য বলে ফেলেছেন।
@মোঃ হারুন উজ জামান, :yes: :yes: :yes:
চমৎকার বলেছেন।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
আরবি আমির = ইংরাজি প্রেসিডেন্ট
এতে কি অসুবিধা? ইসলামি আরব বিশ্বে জাতির উচ্চতম ক্ষমতায় যিনি থাকেন তাঁকে আমির বলা হয়।
প্রেসিডেন্ট ওবামা যখন ইসলামী বিশ্বে যান তখন খুব ঘটা করে তাঁর ইসলামী মধ্য নাম হুসাইন টা দেখান (promote)। আর যখন আমেরি্কা অথবা পশ্চিমা বিশ্বে থাকেন তখন হুসাইন নামটা একেবারে লাপাত্তা হয়ে যায়। এর থেকে আমরা কি বুঝতে পারি? ইসলামী বিশ্বে ওবামাকে মুসলিম হিসাবেই গণ্য করা হয়—যেহেতু উনার জন্ম থেকেই উনি মুসলিম। পরে যাই হোক—ঊনি সর্বদায় মুসলিম। আর তা না হলে উনাকে ঘটা করে ইসলাম ত্যাগের ঘোষনা দিতে হবে। তার ফলে উনি ইসলামী বিশ্বে মুরতাদ হয়ে যাবেন যার ইসলামী শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। ওবামা কী ঘটা করে ইসলাম ত্যাগের ঘোষণা করেছেন? করে থাকলে আমাকে সে সংবাদ জানান—আমি আমার কথা উঠিয়ে নেব।
তাই ওবামাকে ইসলামী আমির বলাটা কিভাবে অযৌক্তিক হল বুঝিয়ে দিন।
হাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। আমি আপনার কথা মেনে নিলাম। আমার একটু ভুল হয়েছে, বলা উচিৎ ছিল ‘সত্য অনেক সময় কর্কশ হয়’ অথবা এই ধরণের কিছু।
@ইমরান মাহমুদ ডালিম,
আমি এখনও জানি না কোনটি ঠিক। নিশ্চয় জেনে শুনে বলেছেন। তাই ‘গোষ্ঠী’ করে দিলাম।
@ইমরান মাহমুদ ডালিম,
ভাল বাংলা শব্দ মাথায় আসেনি। ব্র্যাকেটে body লিখে দিলাম। হয়ত এতে আমি কী মীন করতে চেয়েছি তা অনেকটা পরিষ্কার হবে।
ধর্ম অলৌকিক নয়, মেটাফিজিকাল। অর্থাত ধর্মের মধ্যে ইতিহাস, মানুষ, জগত, নৈতিকতা ইত্যাদিকে একটা পরম ধরে নেয়া তাৎপর্য দেয়া হয়, যা প্রমাণিক নয়। এই মেটাফিজিক্সের চর্চাই আমরা করি, যখন কারণ ছাড়া নিজ জাতিকে বেশি ভালবাসি বা উচ্চস্থান দিই। যখন জাতীয় প্রতীক আমাদের আপ্লুত করে, যখন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ত গরম করে দেয়। এখানেই ধর্মের মেটাফিজিক্স আধুনিক ডোমেইনে ঢুকে পড়ে।
ধর্মবিশ্বাস (যদি থাকে) এবং ধর্মাচার মানুষের মধ্যে যে সম্প্রদায়বোধ তৈরী করে, সেটা অন্য যেকোন বিশ্বাস, অভ্যাস বা প্রয়োজন ও করতে পারে। তাই সম্প্রদায়বোধের যে চরম রূপ, মানে সাম্প্রদায়িকতা, তার জন্য শুধু ধর্মকে দায়ী করা ঠিক নয়।
আপনি ধর্মকে যেরকম প্রশ্নবিরোধী একটা অন্ধ বিশ্বাস বলছেন, যার মানে দাড়ায় fundamentalism গোড়ামী, এরকম অন্ধ বিশ্বাস বা গোড়ামী কি ধর্ম ছাড়া অন্য কিছুকে দিয়ে হয়না? স্ট্যালিনবাদ কিম্বা মুক্তবাজার পুজিবাদ কি ঐরকমই একটা গোড়া বিশ্বাসে পরিণত হয়নি?
আর আজকের পালিত ধর্মগুলো কি শুরু থেকেই সব সময়ে এরকম গোড়ামীর বস্তু ছিল?
আরেকটা সম্পুরক প্রশ্ন ছিল, জাতীয়তা, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে সম্প্রদায়বোধ যদি নৈতিকতার বিচারে বৈধ হয়, তবে, ধর্মভিত্তিক সম্প্রদায়বোধ (সাম্প্রদায়িকতা নয়) কি বৈধ নয়? হিটলার তাহলে কোন মৌলবাদে অন্ধ করেছিলেন জার্মানদের?গত বছর এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম ছাত্ররা যখন আন্দোলন করছিল অন্যায্য ভাবে “টেররিজম” এর ভাওতা দিয়ে তাদের নামাজের জায়গা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বলে — তাদের আন্দোলন কি বৈধ নয়?
গ্রাউন্ড জিরোর কাছে/ একই জায়গায় এই মসজিদ কিন্তু ৯/১১ এর আগেও ছিল। মসজিদটা গ্রাউন্ড জিরো থেকে দুই ব্লক দূরে। সেখানে কোন ব্যক্তিগত জায়গাতে মসজিদ বা অন্য কোন উপাসনালয় বানাতে আপত্তি কোথায়? এমন তো না যে আমেরিকাতে ইসলাম/মসজিদ নিষিদ্ধ। কোন রকমের স্টেরিওটাইপিংই কাম্য নয়।অধিকারের প্রশ্নে কিন্তু কোন সমস্যা নাই, নিউইয়র্ক সিটি কোন সমস্যা ছাড়াই অনুমতি দিয়েছে, মেয়র পক্ষে বলছে, প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত এইটার বিরোধিতা করে নাই | আমেরিকানদের মুসলমান = সন্ত্রাসী এই বিচারটা অবশ্যই সাম্প্রদায়িক, স্টেরিওটাইপ। কিন্তু মব মেন্টালিটি তো মনে হয় এমনেই কাজ করে। আমাদের দেশেও তো একটা ভন্ড মাওলানা দুএকটা কথা বলে নিরীহ, অশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত লোকজনের মধ্যে “নারায়ে তাকবীর” স্লোগান তুলে ফেলতে পারে। ওদেরও অবস্থা তো এইরকমই। মসজিদ গ্রাউন্ড জিরোর আশেপাশে কেবল একটা না। মসজিদ ওখানে দুইটা।
দুই খানাই বহাল তবিয়তে আছে।তবে দুই মসজিদই এক কক্ষ বিশিষ্ট বলে জায়গা না পেয়ে নামাজীদের ফিরে যেতে হয়।
এই তথ্য মসজিদের বিপক্ষে সংবেদনশীলতার যুক্তিকে হেয় করে দেয়। গ্রাউন্ড জিরো তো দুরের কথা, একেবারে অন্য উপকুলে মসজিদ তৈরীতে আপত্তি এসেছে, এবং সেটা হয়েছে নিউইয়র্কের মসজিদ তৈরীর খবর প্রকাশ হওয়ার অনেক আগেই।
সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনার বানানো বাধা দেয়ার কোন যুক্তি পাই নাই, ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে হইসে | ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটা আমার কাছেও একটু আপত্তিকর লাগসে। এরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য এত সোচ্চার। মুসলিমদের নবীর ছবি আঁকা নিয়ে একটা সংবেদনশীলতা আছে জেনেও ইউরোপে দুইদিন পরপর কার্টুন বের করে মুসলমানদের খ্যাপাবে | কিছু বললে ফ্রিডম অব স্পিচ এর কথা বলবে। এদের বেলায় এই ডিসিশন মানায় না। বোরখা কেউ স্বেচ্ছায় পরলে সামাজিক সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায়! এর কারণে মানব সভ্যতা ঠিক কীভাবে পদদলিত হচ্ছে!
@shaibal,
আমি বাংলাদেশকে যদি অন্যসব জাতির থেকে উচু স্থানে রাখি মানে বেশি ভালোবাসি তাতে কার কি ক্ষতি হচ্ছে বলেন তো? নিজ জাতিকে বেশি ভালোবাসা আর নিজ জাতির জন্য অযৌক্তিকভাবে কিছু অন্য কোন জাতির উপর চাপিয়ে দেয়া সম্পুর্ন আলাদা ব্যাপার। আমি সব সময়েই বলি এখনও বলছি, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসি অন্য যেকোন সব জাতির থেকেই। কিন্তু একই সাথে এটাও বলতে আমার কোন আপত্তি নেই, এই বাঙালী জাতিই যদি আজকে একাট্টা হয়ে অন্য কোন জাতি/দেশের উপরে আক্রমন চালায়, তাদের সাংস্কৃতির উপরে আগ্রাসন চালায় সম্পুর্ন অযৌক্তিক ভাবে এই আমি সাইফুল ইসলাম আপনাকে বলছি এই সাধের বাংলাদেশের পশ্চাৎদেশে লাথি হাকাতে আমার পা একটুও কাপবে না। এটাই একজন যুক্তিবাদী মানুষের প্রকৃতি হওয়া উচিত বলে মনে করি। আপনি যে কথা গুলো বলেছেন, সেগুলো স্বাভাবিক হতে পারে কিন্তু এও আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাভাবিক সবসময়ে উচিত নয়। যেমন, পাকিস্তান আমাদের দেশের উপরে যে আক্রমন চালিয়েছিল সেটাকে সমর্থন করা আপামর পাকিস্তানীদের জন্য স্বাভাবিক হতে পারে কিন্তু সেটাকি উচিত ছিল? ভেবে দেখবেন।
কে দায়ী করছে? যদি কেউ করে থাকে তাহলে ভুল করেছে। সাম্প্রদায়িকতার সংজ্ঞা খুব সাধারনভাবে আমরা বলতে পারি, যে নিজ সম্প্রদায়কে অন্য যেকোন সম্প্রদায়ের থেকে উপরে স্থান দেয়া এবং সেই চিন্তাকে বাহ্যিক রুপ দেয়ার জন্য দরকার হলে সেই সম্প্রদায়কে কচুকাটা করা। ঠিক?
এখন এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতার জন্ম কিন্তু ধর্ম ছাড়াও আরও অনেক কিছু থেকেই হতে পারে। যেমন, তীব্র জাতিয়তাবোধ,(জাতিয়তাবোধ জিনিসটাই আমার কাছে ভোগাস মনে হয়) কোন মতাবাদকে মানুষের উপরে স্থান দেয়া, নিজ জাতির উপরে বিভিন্ন অন্যায় অবিচারের কারনেও অনেক সময় সাম্প্রদায়িকতার জন্ম হয়, ইত্যাদি। কিন্তু যদি কেউ বলেও থাকে যে ধর্মই সব সাম্প্রদায়িকতার উৎস, তাহলে সেটাও আমাদের ভেবে দেখতে হবে যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে।
বর্তমান সময়ে ইসলামই কিন্তু সবচেয়ে বেশি এলার্মিং। কারন কি? একমাত্র উত্তর, ধর্ম। আপনি কি ভারতে ট্রেন বোমা হামলা, লন্ডনে ট্রেন বোমা হামলা, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন যে সুইসাইড বম্বিংগুলো হচ্ছে তার কোন সলিড যৌক্তিক কারন দেখাতে পারবেন? অত দূরে যাচ্ছি কেন, আমাদের বাংলাদেশে জ়েএম.বি তেষোট্টিটি জেলায় যে বম্বিং করেছে তার কোন কারন আপনার জানা আছে? জানলে বলেন, আমরাও জানি।
আপনি বলতে পারেন ওরা বিপথগামী। ঐ বিপথগামী জঙ্গিদের জন্য যদি অন্য ধর্মের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে তারা কিন্তু এই ধর্মকেই দোষারোপ করবে। তাই না? আরে ভাই, আপনার ছেলে যদি সন্ত্রাসী করে তাহলে কি আপনি ছেলে বিপথগামী বলে পার পেয়ে যাবেন মনে করেন? তাকে মানুষ করার দায়িত্ব আপনার। আপনি ছেলে বিপথগামী বলে গা বাঁচাবেন আবার ছেলেকে সন্ত্রাসের জন্য জনগনে পেটালে তার নিন্দাও করবেন। কেন ভাই, আগে তাকে ঠিক করতে পারলেন না? যদি নাই পারেন তাহলে ছেলেকে মারই খেতে দেন। আগ বারিয়ে কথা বলার কি দরকার ভাই?
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি “ধর্মগুলো” বলতে ইসলামকে বোঝাচ্ছেন, কারন ইসলাম ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য হুমকি মানব সভ্যতার জন্য আপাতত দেখা যাচ্ছে না। আর যদি আমারা ধারনা যদি ভুল হয় তাহলে আমাকে আমার ভুল ধরিয়ে দিন। অবশ্যই এভিডেন্স দেখিয়ে।
এখন বলি ইসলামের অতীত অসাম্প্রদায়িক থাকার কথা। আকাশ মালিকের লেখা ” যে সত্য বলা হয়নি” বইটি পড়ে নিন। তাহলেই ইসলামের অতীত কীর্তিকলাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
যদি কৃশ্চিয়ান ধর্মের কথা বলেন, তাদের ধর্মীয় ক্রুসেডের কথা নিশ্চই জানেন। আর হিন্দু ধর্মের বর্ণপ্রথার কথাতো জানেনই। এই হল বিশ্বের প্রথান তিনটি ধর্মের আসল মুখমন্ডল। এখন এই প্রেক্ষিতে যদি কেউ বলে ধর্মের কারনেই সকল সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হয় তাহলে কি তাকে খুব বেশি ভুল বলা যায়? আপনিই বলেন ভাই!!
আপনার জাতির, ভাষার উপরে কোন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আর আপনার সংস্কৃতি, ধর্ম দিয়ে আরেক জাতির উপরে আগ্রাসন চালানোর ব্যাপার কি এক হল ভাই?
আপনি যদি আপনার জাতীয়তাবোধের জন্য আরেক জাতির ধ্বংসের কারন হন তাহলে সেই জাতীয়তাবোধ কিন্তু ভালো নয়। তাছাড়া এই ব্যাপারে আমি উপরে বলেছি।
ভাই, ৯/১১’র আগে কিন্তু টুইন টাওয়ারও ছিল। এখন নাই কেন? কারন আমাদের ইসলামি জঙ্গি ভায়েরা সেটাকে তাদের পুরুষাঙ্গের থেকে বড় হওয়ায় কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছে। তাদের পৌরুষের জন্য সেটা হুমকি ছিল।
এখন আসল কথায় আসি, আপনি যেহেতু বলছেন যে, প্রাইভেট জায়গায় মসজিদ নির্মানে আমেরিকার সংবিধানে কোন বাধা নেই সেজন্য গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিত বানানোতে কোন বাধা থাকার কথা নয়, সুতরাং ধরে নিচ্ছি আপনি যুক্তি মানেন। আপনার যুক্তি অনুযায়ী কিন্তু ঐ চার্চ ফাদারের কোরান পোড়াতেও কোন বাধা থাকার কথা নয়, যেহেতু আমেরিকান সংবিধানে এই ব্যাপারে কোন বাধা নেই। এখন আমার প্রশ্ন হল আপনার কি মতামত? আপনি কি কোরান পোড়ানোর ব্যাপারে লিবারেল নাকি এর বিরুদ্ধে? যদি আপনি বলেন বাধা নেই তাহলে ভিন্ন কথা আর যদি বলেন আছে তাহলে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবেন ভাই।
এই ব্যাপারগুলো যেহেতু এই লেখার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় তাই আলোচনা করতে চাচ্ছি না। যদিও সম্পুর্ন যৌক্তিক ভাবেই আলোচনা করা সম্ভব। আপনি যদি খুব বেশি চান তাহলে বলবেন, আমি সুস্থ আলোচনার জন্য রেডি আছি সর্বদা।
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম, ফ্লোরিডায় কুর’আন শরীফ পুড়ানোর কথা?? পুড়ালে পুড়াক, আমার ধর্ম এত ঠুনকো না যে একটা বই পুড়ালেই ধসে যাবে|
বিশ্বের কোন খানে যদি বাংলাদেশের পতাকা দেখি, তবে মনে গর্ববোধ হয়| যদি বাংলাদেশ বিশ্বকাপে জেতে, তবে পুলকিত হই | যদি কোন বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়, তাহলে দুঃখিত হই | ঠিক একই ভাবেই, মুসলমান বলেই পৃথিবীর কোন মুসলমান নির্যাতিত হলে দুঃখ পাই। কিম্বা নিজ ধর্মীয় কেউ কোথাও পুরস্কার পেলে আনন্দিত হই | ধর্মীয় গোত্রবোধ ও রাষ্ট্রসীমানা ভিত্তিক দেশাত্মবোধ একই দোষে দুষ্ট |
regarding “আকাশ মালিক”, যুক্তির সমর্পণকে চাইলে এই ভাবে দেখা যায় অবশ্যই, তবে সেটাও খুব জরুরী না। অবিশ্বাসেই বা বাধ্য করা কেন?যুক্তি দিয়ে ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা যতটা অগ্রহণযোগ্য, যুক্তি দিয়ে ধর্মকে আক্রমণ করার চেষ্টাও ততটাই অগ্রহণযোগ্য। যে যেভাবে খুশি, যেই ধর্মে খুশি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন। ধর্ম মানে বিশ্বাস, কোনো প্রশ্ন নয়! ধর্ম নিয়ে এক ধরনের অনুভূতি লালন করছি। সেটা শুধুই নিজস্ব অনভূতি, নিজের কাছে নিজের বোঝাপরা। কাউকে জানাতে, মানাতে বা কারো যুক্তির সামনে তুলে ধরতে মোটেই ইচ্ছে করে না।আমরা ধর্ম পালন করি আমাদের জন্য। ধর্মকে ততক্ষনই সহ্য করি যতক্ষন পর্যন্ত তা আরেকজনের দিকে চোখ না তোলে। কারণ মৃত্যুকে তো আটকান যায় না। কিন্তু মৃত্যুর পরের জীবন সম্বন্দে আমরা কিছ্ছু জানিনা। ধর্ম আমাদের একটা কমফোর্ট জোন দেয় এই অজানা অচেনা জীবনটা সম্বন্দে।
সৃষ্টিকর্তা বলে কিচ্ছু নাই।
যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্ব্যাস করেনা ধরে নিলাম তাদের কথা সবই ঠিক। বেহেশত দোজখ ভুয়া। সৃষ্টিকর্তায় বিশ্ব্যসী আমরা গাধারা এই জীবনে কামনা বাসনা, ভোগ বিলাস ত্যগ করে প্যেচ পেচে ধর্মীও নিয়ম কানুন মেনে একটাই মাত্র জীবনকে ব্যর্থ করে দিচ্ছি। ঠিক আছে। তাতে আর কী বা এসে গেলো।
কিন্তু যদি থাকে???ধর্মে বিশ্বাসের সাথে এই কারণেই অসাম্প্রদায়িকতার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বিশ্বাসের কোঠরে ধর্ম বিচরণ করুক তার পূর্ণ কলেবরে;
@shaibal,
বলতে বাধ্য হচ্ছি আমি হতাশ। আপনার আমার মধ্যে কথা হচ্ছিল কি নিয়ে আর আপনি আমার কথার উত্তরে বললেন কি? আপনার দেয়া যুক্তির প্রত্যেকটির প্রতিউত্তর আমি দিয়েছি। আপনি কিন্তু তার একটাকেও স্পর্শ করেন নি। আমরা কি ধরে নেব আমার কথা আপনার মনে ধরেছে নাকি ধরেনি? পরিষ্কার করে বললে হত না?
এটা বলার কারন বুঝতে পারলাম না। আমার উত্তরে আমি এই কথা বলেছিই। ধর্মীয় গোত্রবোধ বলেন রাষ্ট্রীয় জাতিয়তাবোধই বলেন, এদের দুষ্টামি যদি মানুষের ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের ধমক, কাজ না হলে পিট্টি তো দিতেই হবে নাকি বলেন?
কোন অবিশ্বাসী আপনাকে অবিশ্বাস করতে বাধ্য করছে বলবেন একটু দাদা?
যুক্তি দিয়ে ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য হতে পারে, কিন্তু যুক্তি দিয়ে ধর্মকে আক্রমন করা কেন অগ্রহনযোগ্য হবে? তাহলে মানব জাতির শত্রু এই ধর্মকে নিধন করা যাবে কি দিয়ে? লাদেন এর তড়িকা অনুসারে পিট্টি দিয়ে?
এখানে আমরা এই কথাটাই তো বলতে চাচ্ছি। কিন্তু ইসলামিস্টরা কি সেভাবে কাজ করছে? যদি না করে আর তাতে যদি মানুষজন তাদের নিয়ে শংকা প্রকাশ করে তাহলে কি ভুল হবে?
আপনারা ধার্মিকরা তো ভাই একেকটা বিরাট সাধু পুরুষ। শুধু একটু হারেম রাখার সখ। আপনারা ধার্মিকরা দুনিয়াতে কি এমন সাধু বাবার কাজ করেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে দেখাতে পারবেন? আপনারা প্যচ প্যচে জীবন ধারন করেন দেখেই দেশের আজ এই অবস্থা। পেপার খুললেই খুন, ধর্ষন, ডাকাতি। কেন দাদা? আপনারা না সংযমী। আপনাদের কেন এই হাল? দাদা অনুরোধ করি প্যাচ প্যাচে জীবন ছেড়ে নাস্তিকদের অসংযমী জীবন যাপন করেন তাহলে আর এই অবস্থা থাকবে না।
ভন্ডামীটা এভাবে জনসম্মুখে না দেখালেই কি হতনা?
আপনার এই কথা দেখলে যে কেউ মনে করবে আপনি মনে হয় উপরের দিকে ধর্ম কেন সাম্প্রদায়িক নয় সেই ব্যাখা দিয়েছেন। কিন্তু কই? আপনি আপনার উত্তরের কোন কথার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে পৌছুলেন? আপনার পুরো কথার মর্মার্থ বুঝতে হলে আমাকে বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু যা বুঝেছি তাতে আপনি বলেছেন আপনার বিশ্বাসের কথা, ধর্ম যুক্তির নয় বিশ্বাসের ব্যাপার এই কথা। তো এই কথার সাথে ধর্ম অসাম্প্রদায়িক এর সংযোগ সুত্র কোথায়? ধর্মে যুক্তির স্থান নাই বলেই তো ধর্ম সাম্প্রদায়িক। কিন্তু আপনি বলছেন পুরো উল্টোটা। কোন যুক্তিতে?
ভাই যদি মনে করেন কথার উত্তর দিতে পারবেন না তাহলে ক্ষ্যন্ত দেন। দু জনেরই সময় বাচে। আমি এমনিতেই খুবই অলস মানুষ। এই কমেন্ট লিখতেই আমার বিপুল পরিমান এনার্জি খরচের চিন্তায় আমি অস্থির। তার উপরে যদি আপনি টু দা পয়েন্ট না লিখেন তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা খুবই খারাপ দেখায়। তাই না?
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম, আপনি যদি তর্কে জিতে বীণা বাজাতেই আনন্দিত হন, তাহলে, ধরুন আপনার কথা মেনেই নিলাম। তাহলেও কিন্তু আমার মূল যে বক্তব্য, সেটা ভুল হয়না।
বলতে বাধ্য হচ্ছি আমি হতাশ। আপনার আমার মধ্যে কথা হচ্ছিল কি নিয়ে আর আপনি আমার কথার উত্তরে বললেন কি? আপনার দেয়া যুক্তির প্রত্যেকটির প্রতিউত্তর আমি দিয়েছি। আপনি কিন্তু তার একটাকেও স্পর্শ করেন নি।
as I am a new comer in this blog I didnt know how to blog quote, my apology goes to you. But that didnt made my text off the topic I think.
আপনার এই কথা দেখলে যে কেউ মনে করবে আপনি মনে হয় উপরের দিকে ধর্ম কেন সাম্প্রদায়িক নয় সেই ব্যাখা দিয়েছেন।
yes i did that.স্রস্টা তাঁর সৃষ্ট এই পৃথিবীতে সব ধর্মের, বিশ্বাসের মানুষকে সমান ভাবে টেক কেয়ার করেন।
ধর্মের উপর বিশ্বাস থেকেই কিন্তু এই চিন্তাটা আসা উচিত সবার। আফসোস, ঈশ্বরের তরফের এই অসাম্প্রদায়িক দেখভালটুকুও পারলে সবাই বন্ধ করে দেয়!
@ সাইফুল ইসলাম, উদ্ধৃতি দিতে ভুল হয়েছে | মাফ করবেন
@shaibal,
না রে ভাই, আনন্দের যুগ বহুত আগেই চলে গেছে। প্রথম প্রথম আনন্দিত হতাম এই ভেবে যে আপনারা তর্কে হেরে হয়তবা চিন্তা করতে শিখবেন কিন্তু এখন বুঝি আসলে আপনারা ঠিক ঐ রকম না। প্রথমে কিছুক্ষন তুমুল তর্ক বিতর্ক করবেন তারপরে এসে বলবেনঃ
আমি বুঝতে অপারগ, আপনি যদি আমার সাথে যুক্তি দিয়ে তর্ক করতে নাই পারেন তাহলে মুল বিষয়টা একই থাকে কিভাবে?
আমি আবারও বুঝতে অপারগ ব্লগ কোট করার সাথে ইংরেজিতে লেখার কি সম্পর্ক? ভাই আমি কম শিক্ষিত মানুষ। পরের বার বাংলায় লেখেন তাহলে হয়তবা বুঝতে পারব।
আমি বলেছিলামঃ
আর সেই কথার উত্তরে আপনি বলেছেনঃ
কেন দাদা আপনি তো আগে উত্তরে বলেইছেন যে আপনারা নাকি সংযম করতে করতে জীবন প্যাচপ্যাচে বানিয়ে ফেলেছেন? আর আমরা নাস্তিকেরা নাকি জীবন শুধু এনজয়ই করছি। তাহলে আপনাদের জন্য আবার কোন ল’এর কি দরকার? আপনাদের পশ্চাৎদেশে বাড়ি মেরে কাজ করাতে হয় নাকি? যদি তাই হয় তাহলে তো ইউরোপ আমেরিকার ইহুদি ক্রিশ্চিয়ানরা আপনাদের থেকে হাজার গুন ভালো। তাই নয় কি? তাদের বাড়ি মারা ছাড়াই খারাপ কাজ বেশির ভাগই বর্জন করে চলে।
ইংরেজির জন্য প্রথমটুকু বুঝতে পারলাম না। পরেরটুকুর উত্তর দিচ্ছি।
আপনার কি আসলেই মনে হয় স্রষ্টা সবাইকে সমান ভাবে টেক কেয়ার করেন?
বিল গেটসকে যেভাবে টেক কেয়ার করছেন ঠিক সেইভাবেই কি সোমালিয়াতে অভুক্ত শিশুকে টেক কেয়ার করছেন? বলিহারি আপনার অনুভুতি আর আপনার স্রষ্টার টেক কেয়ার। আপনারই ভালো আছেন ভাই, সুখস্বপ্ন দেখা জীবন কেটে যাচ্ছে। আমাদের আবার একটু সমস্যা আছে এই ব্যাপারে। আমাদের কাছে মনে হয় স্রষ্টা আসলে সবাইকে সমান ভাবে দেখছেন না। তারপরেও আপনি যেহেতু দাবী করেছেন যে স্রষ্টা নাকি সবাইকে সমানভাবে টেক কেয়ার করেন তাহলে আশা করি আপনার কাছে সেই সম্পর্কে কিছু যুক্তি, প্রমান, এভিডেন্স আছে। আশা করি পরবর্তি উত্তরে সেগুলো দেখাবেন। অপেক্ষায় রইলাম।
ভাই আপনাদের ঈশ্বর বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের ঠেলায় আমাদের মত সাধারন মানুষের জীবন ওষ্টাগত। আপনাদের বিশ্বাস তাজা, আপনাদের দ্বীন মজবুত রাখার জন্য বাংলাদেশের তেষট্টি জেলায় বোমা ফাটাতে হয়( আপনারা নিশ্চই মজা মারার জন্য ঐ পটকা গুলো ফুটাননি? তাহলে আলাদা কথা)।
আপনাদের বিশ্বাসীদের পৌরুষ জাগিয়ে রাখার জন্য টুইন টাওয়ার ভেঙ্গে সাধারন মানুষকে হত্যা করতে হয়। আপনাদেরকে স্রষ্টার কাছে ভালো প্রমানিত করার জন্য ইন্ডিয়াতে, ইংল্যন্ডে ট্রেনে বোমা ফেলতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন আপনিই বলেন আপনাদের ঈশ্বর না থাকলে কি এই ঘটনা গুলো ঘটত?
একনায়কদের এটাইতো সমস্যা। পিটিয়ে না নামালে গদি থেকে নামতেই চায় না।
@সাইফুল ইসলাম,
:laugh:
@সাইফুল ইসলাম,
ওয়াও দারুন বলেছেন তো ! :yes:
@সাইফুল ইসলাম,
ইউরোপ আমেরিকার ইহুদি ক্রিশ্চিয়ানরা আপনাদের থেকে হাজার গুন ভালো।
সে ত ধর্মের দিকেই গেলেন ভাই | সাথে মালদিপ আর ব্রুনেই এর নাম বললেই চলত |
ভাই আপনাদের ঈশ্বর বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের ঠেলায় আমাদের মত সাধারন মানুষের জীবন ওষ্টাগত। আপনাদের বিশ্বাস তাজা, আপনাদের দ্বীন মজবুত রাখার জন্য বাংলাদেশের তেষট্টি জেলায় বোমা ফাটাতে হয়( আপনারা নিশ্চই মজা মারার জন্য ঐ পটকা গুলো ফুটাননি? তাহলে আলাদা কথা)।
আপনাদের বিশ্বাসীদের পৌরুষ জাগিয়ে রাখার জন্য টুইন টাওয়ার ভেঙ্গে সাধারন মানুষকে হত্যা করতে হয়। আপনাদেরকে স্রষ্টার কাছে ভালো প্রমানিত করার জন্য ইন্ডিয়াতে, ইংল্যন্ডে ট্রেনে বোমা ফেলতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
জেনারেল ধর্মবিশ্বাসীদের বক্তব্য উগ্রদের বিরুদ্ধে। এক পার্টির ঘেন্না, থুতু, গু-বমি-রক্ত আরেক পার্টির জন্য চিনামাটির প্লেট এ সাজায়া পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকুন। যেখানে উগ্রপন্থীর বক্তব্য মানুষজন অগ্রাহ্য করবে, সেখানে সেইটারে খুইজা পাইতা আইনা, ইন্টারনেটে পরিবেশন করলে কি বিশ্বে শান্তি আসিবে? বিশেষ করে বাংলাদেশে??
@shaibal,
আপনি কি মেনে নিচ্ছেন আমরা নাস্তিকরা শান্তিপ্রিয়? তাহলে আর শুধু প্যাচাল কেন?
কোন একনায়ক যদি গদি ধরে বসে থাকতে চায় তাহলে আপনি কি তাকে শান্তিপ্রিয় বলে বসেই থাকতে দিবেন? আমি ভাই দিব না। আমি শান্তি প্রিয়। মানে হল শান্তির জন্য যা করতে হয় করব।
যেতে হল ভাই। আমি কথা বলছিলাম ধর্মের ব্যাপারে কিন্তু আপনি বলছেনঃ
ইসলামের কথা। তাই ইহুদি কৃশ্চিয়ানদের উদাহরন দিতে হল।
তারমানে হল তারা সাধারন ধার্মিক না। তারা অসাধারন পর্যায়ের? তো সবাই তো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারনই হতে চায়। তাই না? তাহলে তারা অসাধারন হতে দোষ কোথায়? অসাধারনরা যা করে সাধারনরা তাই ফলো করে। আপনি কবে থেকে শুরু করছেন দাদা?
দাদা কোন পার্টি করেন? আপনাদের পার্টির নাম কি? কবে থেকে শুরু করেছেন? সারা জীবন যদি এইভাবে নিজেদের দোষ অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়েই চলতে হয় তাহলে পার্টি ছেড়েই দেন। কি দরকার? সেই ৫৭০ থেকেতো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মিশনে নেমেছেন। ফলাফল তো দেখতেছি বিরাট গোল্লা।
তারা তো উগ্রপন্থি। আপনি কোন পন্থি? তারাতো বোমাবাজি টাজি করে তাদের নিজেদের জানান দিয়েছে। আপনি চুপ করে থাকা পন্থি হিসেবে বাংলাদেশ শান্তি মিশনে কি কি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ রেখেছেন জানান। জেনে শান্তিপ্রিয় আমি আরেকটু শান্তি পাই। আমরা তো ভাই নাস্তিক, খালি এনজই আর এনজয়ই করছি। তা আপনাদের অবদানগুলো বলেন, মানুষজন জানুক।
শাদ্দাদের শব্দটার মানে আমি ঠিক জানিনা। তাই বলতে পারছিনা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল আমি আসলে চীন রাশিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে খুব একটা ভালো জানিনা। সে জন্য আমি এই ব্যাপারে মন্তব্য বিরত থাকলাম। তবে যতটুকু জানি তাতে করে বলতে পারি, তারা মানুষ হত্যা করেছে রাজনৈতিক দর্শনের নামে, নাস্তিকতার নামে নয়। নাকি আপনি আবার ভিন্নটা জানেন?
আপনার সাথে কথা বলতে ক্লান্ত লাগছে। প্রতিবার আমি আপনার আগে করা মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি আর আপনি আলাদা আলাদা কথা নিয়ে পরেরবার হাজির হচ্ছেন। এবারও এমন করলে পরের বার উত্তর দেয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।
@সাইফুল ইসলাম,
“আমি শান্তি প্রিয়। মানে হল শান্তির জন্য যা করতে হয় করব।”
কথাটা চেনা চেনা লাগছে | “শান্তির জন্য শক্তি” মানসিকতার জন্যই ত পৃথিবীর আজ এই অবস্থা।
“তারমানে হল তারা সাধারন ধার্মিক না। তারা অসাধারন পর্যায়ের?”
শব্দ নিয়ে খেলেছেন | কি বলেছি সেটা না বোঝার মত বেবুঝদার আপনি না |
“দাদা কোন পার্টি করেন? আপনাদের পার্টির নাম কি? কবে থেকে শুরু করেছেন?”
এর জবাব আপনাকে আগেই দেয়া হয়েছে | আবার বলি ধর্ম শব্দের অর্থই হলো ধারণ করা, কাজেই যা বিশ্বাস করো সেটা নিজের মাঝে ধারণ করো, জীবনে সেটার ১০০ ভাগ প্রতিফলন না আসুক অন্তত চেষ্টা থাকুক, ধর্ম বলতে এই অধমের এটাই ধারণা। সবাইকে ধর্ম ছেড়ে নাস্তিক হতে হবে,এ দাবীও এই অধম করে না। তবে কিনা, একটু চিন্তাভাবনা করে ধর্ম যদি পালন করি, তবে ক্ষতি কি? আপনারা আবার বিচিত্র ধরণের নাস্তিক, আসল নাস্তিকের সর্ব ধর্মে সমান অবিশ্বাস থাকার কথা, আপনাদের কেন যেন ইসলামের দিকেই সকল ক্ষোভ। নাস্তিক্যবাদ যদি বিশ্বাস হয়ে থাকে তো আস্তিক্যবাদের মতই সেটাও নিজের ভেতরেই রাখার কথা, কিন্তু আপনারা বিরোধেও আচারনিষ্ঠ, গলা ফাটিয়ে নবী মুহাম্মদ(সা) কে দু’টো গালি না দিলে আপনাদের চলে না।
আর কপালগুণে যদি মাথার উপর দাম ঘোষণা হয়ে যায়, তবে তো পোয়াবারো, বুদ্ধিজীবি সমাজে উচ্চাসনের পাশাপাশি আমেরিকা ইউরোপে আশ্রয়ও জুটে যেতে পারে। অবশ্য তখন যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, “ইন গড উই ট্রাস্ট” যারা লিখে রাখে সেই আমেরিকাতে গিয়ে সেক্যুলারিজমের ক্ষয়ক্ষতি হবে কিনা, তখন আধা-মস্তিষ্কধারী নাস্তিকরা পিছলে যাবে। অন্তত ৯/১১ এর আগে যেখানে আমেরিকা নিজের দেশে হলেও ব্যক্তিস্বাধীনতা আর আইনের শাসন নিশ্চিত করে রেখেছিল রাজনীতিতে খ্রিস্টান চার্চের প্রত্যক্ষ প্রভাবকে সঙ্গী করেই, সেখানে সেক্যুলার রাষ্ট্র করে আমরা তাদের কতটা কাছাকাছি চলে যাবো সেটার উত্তরও আমাদের জানা নেই, ধর্ম-অধর্ম তো পরের ব্যাপার, আমরা মনের ভিতরেই দ্বিধাগ্রস্ত, সেই মন আর বিশ্বাস ঠিক না করলে আস্তিক্যবাদ আর নাস্তিক্যবাদ সেই কদাচার, ফলাফলের আশা বৃথা। আমাদের উদ্দেশ্য দেখানো, আমাদের ধর্ম-অধর্ম বিশ্বাস নয়, সেখানেও অন্যকে এক হাত দেখিয়ে দেয়া,সেজন্যই সম্ভবত দোযখে বাঙালির কড়াইতে পাহারাদার থাকে না।
বাইরে থেকে দ্বিধাবিভক্ত জাতি করে গৃহযুদ্ধ, কিন্তু ভেতর থেকে নিজের বিশ্বাসে দ্বিধাবিভক্ত জাত তো থাকে জতুগৃহে, সে আগুন নেভায় কার বাবার সাধ্য?
” তারা মানুষ হত্যা করেছে রাজনৈতিক দর্শনের নামে, নাস্তিকতার নামে নয়। ”
আমি শুরু থেকেই আপনাকে সেটাই বোঝাতে চাচ্ছি | রাজনৈতিক দর্শনের নামে মানব হত্যা করার জন্য আপনি কিন্তু এটা বলবেন না, দুনিয়ার সব রাজনৈতিক দর্শন মানব জাতির শত্রু | একে নিধন করা যাবে | চেতনা আর প্রয়োগ ভিন্ন জিনিস | প্রয়োগের ভুলের দায় সামগ্রিক ভাবে ধর্মকে দেয়া উচিত নয় |
@shaibal,
শুধু দুটি পয়েন্ট টাচ করেছেন খুব ভালো ভাবে তাই সেগুলো নিয়েই আলোচনা করছি।
আমি মোটেই শব্দ নিয়ে খেলছি না। আচ্ছা আমাকে বলেন, শায়খ আব্দুল, বাংলা ভাই এরা কি আপনার থেকে ইসলাম কম জানে? এদের কথায়, ইসলামিক ব্যখ্যায় কত লোক অনুপ্রানিত হয়েছে বলতে পারেন? কোন ফতোয়া দেয়ার সময় কি মানুষ শৈবালকে খুজবে শায়খ আব্দুলকে খুজবে? যদি শায়খকে খোজে তাহলে আপনি আর সে কি সমান হল? আইন্সটাইন আর সাইফুল দু জনই সাধারন মানুষ, কিন্তু পদার্থবিদ্যার কথা আসলে সাইফুলকে কেউ চিনবে না দাদা। কারন সেসময় আইন্সটাইন সাধারন নন, অসাধারন, দেবতার পর্যায়ের মানুষ। টিক তেমনিভাবে আপনাদের মত সাধারন মুসলমানেরা কি করল তাতে কি আসে যায়? আপনি কি ইসলামের কোন অথরিটি? আপনার মুখের কথার কি কোন দাম আছে কারো কাছে? আমি কি বুঝাতে পারলাম?
আমি জানতাম আপনি এই ব্যাপারটা নিয়ে লাফালাফি করবেন। কারন আমি বলেছি এই ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। যাই হোক, এখানে কয়েকটা ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার। রাজনৈতিক দর্শন ধর্মগ্রন্থের মত ঐশ্বরিকতার দাবি করেনা। মানে হল এর সংস্কারের সুযোগ থেকে যায়। কিন্তু আমি যদি বলি আমি ইসলামের সংস্কার করব, আপনি কি রাজি হবেন? নাকি কোন মুসলমান রাজি হবে?
এখানে কথা হচ্ছে নাস্তিকতা নিয়ে এবং ধর্ম নিয়ে। সোভিয়েত ইউনিয়নে যা করা হয়েছে তার অনেক কারন রয়েছে। আমি আগেই বলেছি আমি যেহেতু পরিষ্কার জানি তাই বলতে পারছি না। কিন্তু তারপরেও তারা আপনার কথা মত যে কাজ করেছে তা কিন্তু নাস্তিকতার অযুহাতে করেনি। করেছে কমুনিজম বা সোস্যালিজমের নামে। আর আমাদের পেয়ারের জঙ্গিবাহিনী কিন্তু ইসলামের নামেই এই কাজগুলো করেছে এবং করছে। দুটো ব্যাপার কি এক হোল?
আপনি যদি কমিউনিজম না চান, সোস্যালিজম না চান, সেটা আপনার সম্পুর্ন ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারন এটা আল্লাহ প্রেরিত কোন ধর্ম নয়। কিন্তু ইসলামের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই কথা বলতে পারবেন না। জানি না বুঝাতে পারলাম কিনা?
@shaibal,
এটা হবে কোন ফতোয়া দেয়ার সময় কি মানুষ শৈবালকে খুজবে নাকি শায়খ আব্দুলকে খুজবে?
@সাইফুল ইসলাম, “আপনি কি ইসলামের কোন অথরিটি?”
আমি আমার বিশ্বাসের কথা, ধর্ম যুক্তির নয় বিশ্বাসের ব্যাপার এই কথা অনেক আগেই বলেছি |শায়খ আব্দুল, বাংলা ভাইয়ের জন্য আমার ইসলামের চেতনাকে হেয় করবার অধিকার আপনারা রাখেন না |
“কিন্তু তারপরেও তারা আপনার কথা মত যে কাজ করেছে তা কিন্তু নাস্তিকতার অযুহাতে করেনি। করেছে কমুনিজম বা সোস্যালিজমের নামে।”
তা কেন জানবেন?? জানবেন কেবল মুসলমানের পাছায় কেমনে বাশ দিবেন সেই তরিকা | এ-কথা আজ সর্বজনবিদিত যে কমুনিস্ট মানেই বস্তুবাদী নাস্তিক। কমুনিস্ট অথচ স্রষ্টা ও ধর্মে বিশ্বাসী – এমন কেউ আছে কিনা জানা নেই। আর থাকলেও তাকে নিয়ে নাস্তিক মহলে হাসি-তামাশা হবে বলেই বিশ্বাস। কমুনিস্টরা কি প্রকৃত বিজ্ঞানমনষ্ক নয়? স্ট্যালিন, পল পট, ও মাও এর মতন কমুনিস্টরা কি প্রকৃত নাস্তিক ছিলেন না? তারাও কি এক ধরণের ‘ধার্মিক’ ছিলেন?? সকল প্রকার ইভিলের জন্য ধর্মকে সাধারণভাবে এবং ইসলামকে বিশেষভাবে দায়ী করেন তখন বিংশ শতাব্দীতে সংঘটিত যুদ্ধ আর গণহত্যা এবং সেই সাথে স্ট্যালিন, পল পট, ও মাও এর নাম উল্লেখ করলে বলেন “জানিনে বাপু এদের কাজকারবার”।
আপনার ‘যুক্তি’ অনুযায়ী স্ট্যালিন, পল পট, ও মাও’রা যেহেতু নাস্তিকতার নামে মানুষ হত্যা করেনি সেহেতু তাদের হত্যাকান্ডের জন্য নাস্তিকতাকে দায়ী করা যাবে না – দোষ দিতে হলে কমুনিজমকে দিতে হবে – যদিও ডারউইনবাদ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কথা কৌশলে চেপে গেছেন। অন্যদিকে আস্তিকরা যেহেতু তাদের গড বা আস্তিকতার নামে মানুষ হত্যা করে – উদাহরণ হিসেবে ৯-১১ আর মুসলিম সুইসাইড বোম্বারদের কথা উল্লেখ করেছে্ন – সেহেতু তাদের হত্যাকান্ডের জন্য গড ও ধর্ম দায়ী। স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন জাগে:
– কমুনিস্ট নাস্তিক আর নন-কমুনিস্ট নাস্তিকদের মধ্যে কারা প্রকৃত নাস্তিক – সেটা কে ও কীভাবে নির্ধারণ করবে? এটি নির্ধারণের মাপকাঠি কী?
– কমুনিস্ট নাস্তিক আর নন-কমুনিস্ট নাস্তিকদের মধ্যে কারা প্রকৃত বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে – সেটাই বা কে নির্ধারণ করবে?
– নন-কমুনিস্ট নাস্তিকরা হঠাৎ করে কমুনিস্ট নাস্তিকদেরকে ‘বৈমাত্রেয় ভাই’ ভাবা শুরু করলেন কেন – যেখানে কমুনিস্ট নাস্তিকদের কল্যাণে অনেক দেশে নাস্তিকতা আর ডারউইনবাদের প্রসার ঘটেছে? স্ট্যালিন, পল পট, ও মাও এর মতন নাস্তিকদের হত্যাকান্ডকে এড়ানোর জন্য?
আগে ভাবতাম নাস্তিকতার রাস্তা বেশ সরল। এখন দেখছি বিভিন্ন পদের নাস্তিক!এই দুইধরণের নাস্তিকদের মধ্যে সীমারেখা টানা খুব কষ্টকর, কারণ তারা একঘাটেই জল খায়,বিশেষ কোন ধর্ম ও এর অনুসারীদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশের বেলায় কেবল আলুপোড়া খাবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।
@shaibal,
আমার মনে হয় না কেউ শুধু ধর্মকে দায়ী করেছে। ধর্ম প্রচণ্ড ভাবেই দায়ী, এটাই উল্লেখ করা হচ্ছে। আপনার সাথে আমি একমত যে absolutist বা totalitarian মতবাদের ধর্মই একমাত্র রূপ নয়, কিন্তু ধর্ম (অন্তত ধর্মের কিছু রূপ) এদের বিশিষ্ট ও প্রাচীন উদাহরণ।
কাকে বলছেন একথাগুলো, এখানে হিটলারের আর্য জাতিবিদ্বেষের কোন সমর্থক বিদ্যমান বলে কি আপনার সন্দেহ হচ্ছে? পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংস অপরাধের অন্যান্য নানান উৎস আছে বলে কি ধর্ম নিয়ে আলাদা করে আলোচনা কেন করা যাবেনা, বুঝতে পারছি না।
সব ধর্মের ধার্মিকরাই চাই তাদের ধর্ম গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরুক। এটা ধর্মের ভাইরাল রোগ-অভিজিত সেই নিয়ে আগে লিখেছিল। আমেরিকাতে হিন্দু ধর্মের পেনিট্রেশন অনেক বেশী যোগ ব্যায়াম এবং নানান যোগা থেরাপির জন্যে। ওবামার লকেটে হনুমানের ছবি নিয়ে ভারতের হিন্দুদের লাফালাফিও চোখে পড়ার মতন। বিবেকানন্দের জন সভায় এত লোক হত সেই কালে, উনি বেলুড়ে স্বামী ব্রহ্মানন্দকে লিখেছিলেন আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে সব আমেরিকান হিন্দু ধর্ম গ্রহন করবে।
আমাদের অনেক হিন্দুত্ববাদি বন্ধুও মনে করে আমেরিকা আস্তে আস্তে হিন্দু হবে।
কিন্ত আমেরিকাতে কি হচ্ছে? একটা ধর্ম বিহীন আধ্যাত্মিকতা এবং নাস্তিকতা এখানেও বাড়ছে। আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরনা যারা চাইছে -তারা হিন্দু বৌদ্ধ সুফী সব কিছুই একটু একটু করে দেখে-আস্তে আস্তে নিজেদের একটা ধর্ম বিহীন আধ্যাত্মিক সত্বা রাখছে।
এটাই আমেরিকা সহ গোটা পৃথিবীর ভবিষ্যত। একজন সুস্থ মস্তিকের মানুষ
উপনিষদ, সুফীবাদ, বৌদ্ধ ধর্মের সেরা দিকগুলো উপভোগ করবে, বা বিজ্ঞান ও ঊপভোগ করবে-নিজেদের মতন করে তাদের জীবন দর্শন তৈরী করবে এই উন্মুক্ত বিশ্বে।
যারা নিজেদেরকে এখনো ইসলাম, হিন্দু ইত্যাদি ধর্মের পরিচয়ের মধ্যে আটকে রাখতে চাই-তারা এমনিত্যেই গর্দভ-মাথায় বেশী বুদ্ধি নেই-ডিগ্রি থাকলেও জ্ঞান গম্যি কমই আছে। সেই সব গর্দভ এবং অর্ধশিক্ষিতদের নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।
@বিপ্লব পাল,
@shaibal,
আগে কথাটা বোঝার মতন ঘেলু তৈরী করে কমেন্ট করলে ভাল হয়। আমি ধর্মাচারননের বিরোধিতা করিনি ( সেটা আমার আগের কমেন্টেই আছে)-আমি করেছি ধর্মীয় পরিচয় বোধের-যার আরেক নাম সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িক লোকেদের অর্ধ শিক্ষিত বলে আমি কি করে সাম্প্রদায়িক হলাম বুঝলাম না। আমার কমেন্টে নাস্তিকতা না এক সার্বজনীন মানবতাকে আমি তুলে ধরেছিলাম যেখানে আস্তিক নাস্তিক সবাই আছে।
তাই দেখা যাচ্ছে আপনার সেন্স অব লজিক নেই। থাকলে অবশ্য ধার্মিক হতেন না। ফলে ঠিকই আছে। ধার্মিক দের কাছ থেকে লজিক্যাল কিছু প্রত্যাশা আমার নেই। সেটা থাকতে পারে না।
@বিপ্লব পাল,
“তাই দেখা যাচ্ছে আপনার সেন্স অব লজিক নেই। থাকলে অবশ্য ধার্মিক হতেন না। ফলে ঠিকই আছে। ধার্মিক দের কাছ থেকে লজিক্যাল কিছু প্রত্যাশা আমার নেই। সেটা থাকতে পারে না।”
সব কিছুর মূল হলো সাম্প্রদায়িকতা , পার্থক্য হলো কোনটা নাস্তিকের আর কোনোটা মৌলবাদীর। যেসব আস্তিক কথায় কথায় নাস্তিকদের মুন্ডুপাত করে কাজের সময় খোঁজ থাকে না তাদের যেমন লেবাসের আড়ালে শয়তানী বাস করে, যেসব নাস্তিক কথায় কথায় ধর্মরে গাইল পাইরা বড় হনু সাজে তাদের লেবাসের আড়ালেও কুৎসিত বিনোদনের চাহিদা প্রকাশিত হয়। সবাই লেবাসের আড়ালে নিজের কুটচাল চালছে আর ভাবছে আমি একজন কি হনু। ধর্মের মৌলিকতা মৌলবাদীরা যেমন ধারন করেনা, নাস্তিকও মৌলবাদকে বর্জন কর্তে পারে না।
ঘেন্নার বেসাতি করলে ঘেন্নাডা বুমেরাং এর মতো আপনাদের দিকেই যাবে। ধর্ম ভাল লাগে না,অসুবিধা নাই, এখন আপনারা একটু ঘৃণার ব্যবসাটা বন্ধ করেন। নাইলে ভবিষ্যতে রিক্রুট পাবেন না।
@shaibal,
অন্ধের পথ চলতে লাঠির সাহায্য লাগে। দৃষ্টিবানদের লাগে না। রিক্রুটের আশায় বসে থাকে ধর্ম-কারন সেটা একটা ব্যাবসা। আমাদের কাজ সত্যের উৎঘাটন। কজন আমার কথায় হাততালি দেবে সেই ভেবে আমি লিখি না-বা কোন সত্যান্বেশীরই সেই কাজ করা সম্ভব না। আমি ইচ্ছা করলেই এখন গেরুয়া পড়ে বেড়িয়ে হিন্দু ধর্মে কত বিজ্ঞান আছে সেই সব তত্ত্ব বার করে, জনপ্রিয় হতে পারি-শিষয় প্রচুর পাব-এসবই হবে নেমে যাওয়ার জনপ্রিয় সিঁড়ি।
@বিপ্লব পাল,
সম্ভবত এখানে আপনার, অভিজিতের দুজনেরই একটু ভুল হয়েছে। আসলে সবাই-ই চায় সে যে চিন্তা করে, যে চিন্তা সাপোর্ট করে, তা ছড়িয়ে পড়ুক। ইনফ্যাক্ট একজন যদি মনে করেই যে সে যা চিন্তা করে তা সঠিক, তাহলে কেন সে চাবে না যে তা ছড়িয়ে পড়ুক? ভেবে দেখেন, আপনি কি চান না যে মুক্তমনা কনসেপ্ট সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাক? আপনি কি চান না যে সবাই লজিকালি চিন্তা করুক?
ছড়িয়ে পড়া যদি ভাইরাল রোগই হবে, তাহলে এই রোগ আপনার এবং অভিজিতের দুজনেরই আছে। সবারই আছে।
@এন্টাইভন্ড,
জ্বি আপনার সাথে দ্বিমত নেই। আমরা সবাই চাই তার নিজের চিন্তাটুকু ছড়িয়ে পড়ুক। সেটা সবার মাঝেই রয়েছে।
তবে কোন বিশ্বাস ব্যবস্থাটিকে ভাইরাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে সেটা একটু ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন। আমাদের শরীরে অনেক ভাইরাস আসতে পারে, কিন্তু সেটা অনেক সময় অল্প কিছু দিন থাকে তারপর দেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেটাকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। কিন্তু যদি ভাইরাস হয়ে উঠে অপ্রতিরোধ্য এবং সেটা আপনার নিজের জন্য এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হয় তবেই সমস্যার শুরু।
ধর্মকে ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ হচ্ছে এর মাঝে বিদ্যমান ক্ষতিকারক এলিমেন্টগুলো। যেমনঃ জিহাদী ধারণা, অমুসলিমদের প্রতি ঘৃনার বিষয়গুলো, কিংবা নারীদেরকে দমিয়ে রাখার বিষয়গুলো। এই সব নীতি যে এখনকার সময়ে অচল এটা যদি স্বীকার না করেন তবে আপনাকে কিছু বলার নেই। কিন্তু এগুলো পরিবর্তন করার ক্ষমতাও কারোর নেই। এ কারণেই ধর্মকে ক্ষতিকারক ভাইরাস হিসেবে বলা হচ্ছে। এ কারণেই মুক্তমনার যে সব সদস্য ধার্মিক মাত্রেই শত্রু বলে বিবেচিত করেন তার বিরুদ্ধে মুক্তমনারাই প্রতিবাদ করে সর্বাগ্রে। এবং এ কারণেই মুক্তমনার চিন্তা ছড়িয়ে দেওয়াকে ক্ষতিকারক ভাইরাস হিসেবে বলতে পারেন না। কারণ মুক্তমনার চিন্তায় কোন বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে না। তবে হ্যা, আপনি মুক্তমনার চিন্তাকে আপনার নিজের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতেই পারেন একজন প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে। সেটা আপনার নিজের পছন্দ। এখানে বিশেষ বলার কিছু নেই। শুধু একটি অনুরোধ থাকবে নিজের বিশ্বাসটুকু অন্যের মাঝে ইনসেপশান করার আগে একটি বার ভাবুন যে আপনার বিশ্বাসটুকু অন্যের জন্য ক্ষতিকারক কিনা, সমাজের জন্য কল্যানমুখি কিনা। যদি হয়, তবে সেটাকে নিজের মাঝেই রাখুন, ছড়িয়ে দিয়েন না।
@স্বাধীন,
যদি ক্ষতিকারক হয়, তবে সেটাকে নিজের মাঝেই রাখুন, ছড়িয়ে দিয়েন না।
শব্দটি বাদ গিয়েছিল, মন্তব্য সম্পাদনা করা যায় না। তাই প্রতিমন্তব্যে দিলাম।
@স্বাধীন,
১. আপনার মন্তব্যটা ভালো লাগলো। বিশেষ করে এই কথা যে
সত্যি বলি, একটু আগে আমি কেবল হোঁচট (হোঁচট-এ কি চন্দ্রবিন্দু আছে?) খেয়েছিলাম বিপ্লবদার একটা কমেন্টে, যেখানে তিনি নিজের চিরচারিত ধৈর্যের বাইরে গিয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন গোড়া ধার্মিকের মেজাজের সাথে কিছুটা মিল পেয়েছি সেখানে। অথচ এই বিপ্লবদাই কিন্তু একসময় এইখানে কারো কারো “মুরুব্বিপনা” এবং “অসহিষ্ণু কথা”-র প্রতিবাদ করে যথেষ্ট কু-মন্তব্য সহ্য করেছেন।
২. মন্তব্যের একটা অংশ ভালো লাগে নি। সেটা হলো:
এইখানে {একজন প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে} এই তিনটে শব্দ আপনি কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন?
আমি এন্টাইভন্ড প্রতিক্রিয়াশীল–এই অর্থে?
নাকি এই অর্থে যে মুক্তমনার চিন্তাকে কেউ নিজের শত্রু হিসেবে ভাবলে সে আসলে প্রতিক্রিয়াশীলই?
আপনি কি আগে আমার কোনো লেখা বা কোনো মন্তব্য পড়েছেন? আপনার সাথে আগে কোনো মতবিনিময় হয়েছে? আমার মনে পড়ছে না। আপনি, যদি সম্ভব হয়, আমার কোনো লেখা বা মন্তব্য থেকে যদি এটুকু আমাকে দেখাতে পারেন যে আমি সেখানে প্রতিক্রিয়াশীল হয়েছি, তাহলে অনুগ্রহ করে দেখাবেন, কৃতজ্ঞ হবো।
অথবা কি আপনি মনে করেন যে যারাই মুক্তমনার কোনো যুক্তির খণ্ডন (নাকি খন্ডন? বানানটা কী?) করার চেষ্টা করবে, তারাই আসলে প্রতিক্রিয়াশীল? অথবা, যারাই ধর্ম মেনে চলবে, ধর্মের পক্ষে কথা বলবে, তারাই প্রতিক্রিয়াশীল?
একটা কথা একটু মনে রাখবেন, নিজের মতের বিপক্ষে গেলেই তাকে প্রতিক্রিয়াশীল বলে ভাবার এই চিন্তাটা বেসিকালি একজন প্রতিক্রিয়াশীলকেই বেশি মানায়।
______________________________
আরো একটা কথা,
মুক্তমনাকে আমি শত্রু মনে করি না। কোনো অর্থেই না।
@এন্টাইভন্ড,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। প্রতিক্রিয়াশীল আপনাকে সুনির্দিষ্ট করে বুঝাইনি। আপনার দ্বিতীয় অর্থটুকু বুঝিয়েছি। মন্তব্যটি যেহেতু আপনার প্রতি মন্তব্যেই করেছি তাই এই ভুল বোঝাবুঝিটুকু হয়েছে। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এই ভুলটুকুর জন্য। মন্তব্যটি আরো পরিষ্কার করে বলা যেত।
হ্যা, আপনার সাথে সহমত যে মুক্তচিন্তাকে যদি কেউ নিজের শত্রু হিসেবে ভাবে তবে আমার চোখে সে প্রতিক্রিয়াশীল হবে। আমার চিন্তার সাথে কারোর অমিল হলেই আমি তাকে প্রতিক্রিয়াশীল বলিনা। যেমন সকল ধার্মিক মানুষকেই আমি আমার শত্রু বলে গন্য করি না। এ নিয়ে আজকেই একটি লেখা দিয়েছি, পড়ে দেখতে পারেন। কিন্তু যারা আমার চিন্তাকে তার নিজের জন্য ক্ষতিকর চিহ্নিত করে আমাকে আঘাত করতে উদ্যত হবে তাকে আমি আমার মিত্র বলে ভাবার কোন কারণ দেখি না।
এখানে আরেকটি কথা বলি, আশা করি কিছু মনে করবেন না। আগের মন্তব্যে কথাটি বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বলিনি। আমার নিজের নামটিও ছদ্ম নাম তাই অন্যের ছদ্ম নাম নিয়ে কিছু বলাটা শোভা পায় না তাই কিছু বলিনি। আপনার নিজের ছদ্ম নাম আপনি যে কোন কিছুই পছন্দ করতে পারেন। কিন্তু এখন যেহেতু চলে এসেছে কথাটা প্রতিমন্তব্যের খাতিরে, তাই বলি যে আপনার ছদ্ম নামটাও কিছুটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। তারপরেও স্বীকার করি, আপনাকে সরাসরি না বুঝালেও আপনার মাধ্যমে যারা সেরকম মনে করেন তাঁদেরকেই বলেছি। আপনি যদি মুক্তমনাকে শত্রু হিসেবে মনে না করেন তবে, সেটা আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে না। তারপরেও আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকলে সে জন্য আবারো ক্ষমাপ্রার্থী।
@স্বাধীন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এইরকম কমেন্ট হলেই আলোচনা কন্টিনিউ করতে ইচ্ছা হয়। কথা বলতে ভালো লাগে।
@এন্টাইভন্ড,
যে সৎ সে চাইবে সবার মধ্যে সততার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ুক। যে শান্তিপ্রিয় সে চাইবে সবার মধ্যে শান্তি্র ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ুক। অতয়েব? সবই ভাইরাস বলে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে যদি ভাবেন খারাপ আর ভাল ভাইরাসের এর তফাৎ কে ঘোলা করে ফেলতে পারবেন সে আশায় গুড়ে বালি। মানুষ ঠিকই আসল ব্যাপারটা বোঝে। কথার মার প্যাচে আসল বাস্তবতাকে লুকান যায় না।
হ্যা চায়। কিন্তু এই চাওয়ার জন্য ধর্মবাদীরা যে পন্থা অবলম্বন করে আর মুক্তমনা/যুক্তিবাদীরা যে পন্থা অবলম্বন করে, তার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। একটা মানবতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী, অন্যটি নয়।
@যাযাবর, কেমন আছেন? অনেকদিন পর আপনার সাথে কথা হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যটি ঠিকাছে। মূলগতভাবে ঠিকই বলেছেন আপনি। বিশেষ করে {{যে সৎ সে চাইবে সবার মধ্যে সততার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ুক। যে শান্তিপ্রিয় সে চাইবে সবার মধ্যে শান্তি্র ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ুক।}} কথাগুলো তো কবিতার মতো শোনালো।
শুধু আপনার অপ্রয়োজনীয় আক্রমনগুলো আমাকে খানিকটা অবাক করলো। বদলাতে সময় লাগছে আপনার।
@এন্টাইভন্ড,
চিন্তা আর আইডিওলজির ইউনিটকে বলে মেমেটিক্স। মেমেটিক্স ও জেনেটিক্সের মতন রিপ্রোডাকশন এবং রেপ্লিকেশন করে-সেই মিউটেশনের মধ্যে দিয়েই।
রিপ্রোডাকশনের জন্যে যেমন হোষ্ট লাগে -এখানে চিন্তা এবং আদর্শের ধারক লাগে। ধর্মের মেমেটিক্সের ক্ষেত্রে পোলাপানদের বাবা মারা ছোট বেলা থেকে ব্রেইন ওয়াশ করিয়ে ধর্মের মেমেটিক্স মাথায় ঢোকায় । এটা এত সাংঘাতিক জিনিস-সেই ছেলে পড়ে বিজ্ঞানী হলেও ধর্মভীরু থেকেই যায়। শৈশবে সেখা সুপার মাফিয়া আল্লার ভয়ে, তার যৌত্বিক উন্মেষ রুদ্ধ হয়।
এবং বিবর্তনের নিয়ম মেনে সেই মেমেটিক্স গুলোই টিকে যাবে এগুলো সমাজের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বাড়িয়ে থাকে।
হ্যা এটা ঠিকই আমরা সবাই আমাদের চিন্তা ছড়াতে চাইছি। কিন্ত ধর্মের থেকে এখানে পার্থক্য হল, আমরা আমাদের বিপরীত মুখী চিন্তা যারা করে তাদের মেরে ফেলছি না-তাদের পেছনে রাষ্ট্রর আইন লাগাচ্ছি না।
কারন সুষ্ঠ বিবর্তনের জন্যে নানান চিন্তা-এবং নতুন চিন্তার জন্ম হওয়া দরকার সমাজের। যেমন একটি সমাজের ধারাকে টেকাতে গেলে দরকার হয় নতুন সন্তানকুলের। সেই সন্তানকুলের নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই উন্নততর বিবর্তনের জন্ম হয় যা পরিবেশের আরো বেশী উপযোগী। মেমেটিক্সের ক্ষেত্রে প্যারালালটা হবে, সেই সব চিন্তাই টিকে যাবে, যা সমাজকে আরো ভাল ভাবে খাওয়াতে পারবে, নিরোগ রাখতে পারবে, যুদ্ধ কমাতে পারবে।
আমাদের চিন্তার মেমেটিক্সগুলি যদি বর্তমান কালের প্রেক্ষিতে একটি সমাজকে আরো ভাল খাওয়াতে পারে, বিদ্বেশ কমাতে পারে (সদার্থক রাজনীতির জন্ম দিয়ে)- রোগ নির্মুল করতে পারে-তাহলে আমদের চিন্তাই বিবর্তনের পথে টিকবে। সপ্তম শতাব্দিরা আরবের চিন্তা ( পড়ুন ইসলামিক চিন্তা) টিকবে না-
আপনি হয়ত বলবেন আমরা ১৫০ কোটি-তোমরা দেড় হাজার ও নও –
আমি বলব, ভাবী কালকে আসতে দিন। কালের গতি নিজেদের জীবদ্দশাতেই টের পাবেন।
আজ থেকে পাচ বছর আগে মুক্তমনাতে নাস্তিকতা বা ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরার জন্যে ৫-৭ জন ছিল। এখন নানান ব্লগে শয়ে শয়ে লোকে ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরছে। এর পরে হাজারে হাজারে ধরবে। শুধু বৃষ্টির মধ্যে “ইমান” নামক এক ভাঙা ছারা ধরে বসে থেকে কদিন এই বৃষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন???
আমি মনে করি না ঈশ্বর ভক্ত বা আল্লা ভক্তর লোপ পাবে-কিন্ত ধর্মের নামে এই সব অপবৈজ্ঞানিক উৎপাৎ রাজনৈতিক উৎপাত লোপ পেতে বাধ্য। না হলে সেই রাষ্ট্র লোপাট হবে।
@বিপ্লব পাল,
আপনি বোধহয় মিম বলতে গিয়ে মেমেটিক্স বলেছেন। মেমটিক্স বোধহয় মিম সঙ্ক্রান্ত স্টাডিকে (যেমন জেনেটিক্স হলো জিন সঙ্ক্রান্ত স্টাডি) বলে।
কথাগুলো একটু কেমন কেমন হয়েছে, তবে মূল কথা ঠিক বলেছেন। মিমের মাধ্যমে কালচার ট্রান্সফারের উদাহরণ হিসেবে ধর্মকে আমরা আনতেই পারি। {ব্রেইন ওয়াশ} বলার কোনো দরকার ছিলো না। কারণ যেই পন্থায় ধর্ম একটি সন্তানের স্মৃতিতে তার পরিবেশ থেকে প্রবেশ করে, ঠিক সেই একই পদ্ধতিতেই অন্য একজনের স্মৃতিতে নাস্তিকতা প্রবেশ করে। মিমের মাধ্যমে শুধু ধর্ম নয়, নাস্তিকতাও ট্রান্সফার্ড হতে হয়।
বিবর্তনের ধারায় কে টিকে থাকবে, তা তো আর কেউ জানুক বা না জানুক, অন্তত আপনি আমি জানি না।
সপ্তম শতাব্দির ইসলামিক চিন্তা টিকবে নাকি এখনকার ইসলামিক চিন্তা টিকবে নাকি আপনাদের চিন্তাই টিকবে……এই জাতীয় চিন্তা আমি একেবারেই করি না। আমি শুধু জানি, ফারুকভাই কিংবা বাশারভাই কিংবা আইভিআপার সাথে মতের মিল খুব কম হতো, অথচ তাদের সাথে কথা বলতে গিয়েই আমার কোরান পড়া হয়েছে সবথেকে বেশি। আমি আগের চে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হয়েছি আমার বিরুদ্ধ মতের সাথে কথা বলতে গিয়েই। এবং এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টকে যদি একসাথে করেন, তাহলে ধর্মীয় পরিভাষায় বলতে হয় আমার ঈমান আগর চাইতে অনেক মজবুত হয়েছে তাদের সাথে কথা বলতে গিয়েই। আপনাদের সাথে কথা বলার সময়ও কিন্তু একই ব্যাপার হচ্ছে। আপনিই মেমেটিক্সের প্রসঙ্গ উঠিয়েছেন। আমি বলি, এই মেমেটিক্সই বলে যে মিমের আদান প্রদানের মাধ্যমে আমার আপনার আশেপাশের প্রত্যএকের মধ্যে সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনার সাথে আমার কথা বলার ফলে যেটুকু অতীব সামান্য বিবর্তন হলো আমার এবং আপনার চিন্তা চেতনায়, তা টেন্ডস টু জিরো হলেও হলো কিন্তু। তার কিন্তু উপস্থিতি আছে।
তাতে আপনি কতটুকু উপকৃত হলেন, আমি জানি না, কিন্তু আমি হই/হচ্ছি ব্যাপকভাবে।
সংখ্যা দিয়ে যারা নিজেদের টিকে থাকার চিন্তা ভাবনা করে, তাদেরকে আপনি আপনার এই যুক্তি দিয়েন, তারা খুব খাবে, খুব চমৎকার যুক্তি এটা তাদের জন্য। কিন্তু আমাকে এই যুক্তি দেবেন না। আমি তো আপনাকে নিয়েই টিকতে চাচ্ছি।
এই শেষ মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। শুধু আমার দৃষ্টিতে আর একটু সঠিক করলাম একটু সংশোধন করলাম:
আমি মনে করি না ঈশ্বর ভক্ত বা আল্লা ভক্তর লোপ পাবে-কিন্ত ধর্মের নামে সব অপবৈজ্ঞানিক উৎপাৎ রাজনৈতিক উৎপাত লোপ পেতে বাধ্য। না হলে সেই রাষ্ট্র লোপাট হবে।
[মিম সঙ্ক্রান্ত বিষয়ে অনেক কথা উচ্চারণ করেছি। ভুল করে ফেললে কেউ অনুগ্রহ করে সংশোধন করে দেবেন, প্লিজ।]
@এন্টাইভন্ড,
আপনার কথা সঠিক। আসলেই আমরা সবাই চাই যে নিজের ভাবনা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, তাই জন্যই না সবাই ব্লগে লেখালেখি করি, কোমর বেধে অপরের সাথে ঝগড়া করি।
তবে সেই ছড়িয়ে পড়াটা হওয়া উচিত লজিক্যাল। আপনি নিজেই দেখুন সেটাই বলেছেন,
এখানেই অভিজিত/বিপ্লবের ভাবনা ছড়ানোর সাথে বিশ্বাস ভিত্তিক ভাবনা ছড়ানোর পার্থক্য। যা লজিক্যাল তাই ছড়ানো উচিত। যার লজিক নেই, শুধুই ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার যার কোনদিন যুক্তিগ্রাহ্য প্রমান করা যাবে না তার প্রচারনার সাথে লজিক্যাল প্রচারনার তফাত আছে।
উদাহরন হিসেবে বলা যায়, আপনি মুসলমান হিসেবে এক আল্লাহর প্রচারনা চাইবেন। তাই না? আরেকজন হিন্দু চাইবেন তার ৩৩ কোটি দেবদেবীর প্রচারনা। দুয়ের কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুল তা যুক্তিগ্রাহ্য প্রমান স্বাপেক্ষে বলার কোনই উপায় নেই। কিন্তু কেউ হার স্বীকার করবেন না। কাজেই এ ধরনের বিশ্বাস ভিত্তিক প্রচারনা সুফল আনার থেকে কুফল আনে অনেক বেশী। সমাজে দুই জনাই নিজের বিশ্বাসের প্রচার ও প্রসার যা সম্পূর্ন বিপরীত ধর্মী ঘটাতে চাইলে সঙ্ঘাত হবেই। আমরা নিয়তই সেটা অনুভব করি। কাজেই বিশ্বাস ভিত্তিক প্রচারনার সীমাবদ্ধতা অনেক বেশী।
@আদিল মাহমুদ,
১.
এই কথাটা অত্যন্ত ভেগ কথা। এর কোনো সুনির্দিষ্ট মানে নাই। বিতর্ক করতে (বিশেষ করে সামনাসামনি বিতর্কে) গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে মাঝে মাঝে এমনো হয় আপাতদৃষ্টিতে আপনার মনে হচ্ছে আপনার হাতে আর কোনো যুক্তি নেই। একরকম হার স্বীকার করে যখন বিতর্ক শেষ, তার পরে বেশ পরে দেখা গেল আপনার মাথায় যুক্তিটি জেগে উঠলো। পরিবেশ পেলে তখন নতুন করে বিতর্কটা জাগানো যেতেও পারে, কিন্তু সবসময়, অধিকাংশ সময়, সেই পরিবেশটা পাওয়া যায় না। যা লজিক্যাল….এই কথা কে ডিফাইন করবে? কার কথাটি শেষ কথা হবে???
এবং একটি বিতর্কিত বিষয়ের জন্য “ডিসাইডিং শেষ” বলতে আমরা আসলে কাকে বুঝাবো???
আমি বলি কী, বরং আসুন আমরা এভাবে বলি যে, লজিক-এর প্র্যাক্টিস ছড়ানো উচিত
আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে আমি জানি না। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে, rational মানুষ যখন ধর্ম পালন করে, তখন সেই ধর্ম পালনটা ডিফারেন্ট হয়। সেই ধর্মপালন মানুষের পক্ষেই যায়।
আর, irrational মানুষগুলো যদি নাস্তিকও হয়, তবু, সেটাও শেষপর্যন্ত গোড়ামির দিকে যাবে। তাতেও মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২.
…
এইকথা বলতে গিয়ে আপনি একটা কথা ভুলে যাচ্ছেন, সেটা হলো সব মতে/বিশ্বাসে চরমপন্থী, নরমপন্থী আর মধ্যমপন্থী আছে। এবং, এমনকী, এইকথা নাস্তিকতার ক্ষেত্রেও সত্য।
এমনকী আজকে যে খুব লজিকালি কথা বলছে, কালকেও যে সে লজিকালি কথা বলবে, কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই পোস্টেরই মন্তব্যে দেখুন। একসময় কাশেম ভাই প্রচুর ধর্মবিরোধী কিন্তু যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন। সেই যুক্তি খণ্ডন করা যায় কি না, সেটা আলাদা কথা। কিন্তু সেই লেখা পড়ার পর অন্তত মনে হয়েছে যে এই লেখা একজন যুক্তি-ভালোবাসা মানুষেরই লেখা। আজ এই পোস্টেরই নিচের দিকে তার কমেন্ট পড়ে দেখুন। এই কাশেম ভাই কি সেই কাশেম ভাই? বিপ্লবদার কথায়ও এই কথারই প্রমাণ দেখতে পাবেন। আমি চিন্তাই করতে পারি না যে তাঁর মত একজন লোক বলছে,
একি কোনো প্রকৃত-মুক্তমনার কণ্ঠ থেকে বের হবার মতো কথা?
আপনারা এতএত শ্রদ্ধেয় মুক্তমনা লোক, তারা কিন্তু কেউ প্রতিবাদও করেন নি।
এখন আপনি বলছেন
তো, প্রমাণ করেন যে, যারা নিজেদেরকে এখনো ইসলাম, হিন্দু ইত্যাদি ধর্মের পরিচয়ের মধ্যে আটকে রাখতে চাই-তারা এমনিত্যেই গর্দভ।
একমত।
পরামর্শমত ভিডিওগুলি দেখা শুরু করেছিলাম। প্রথম দুটা তো ২ ঘন্টার উপর! পরের দুটা দেখলাম। মনে হয় শুধু ভিডিও রেফার না করে ভিডিওগুলিতে কি আছে (ঠিক কোন ভিডিওর কত সময়ে) একটু বর্ননা করলে পাঠকের কাজ অনেক সহজ হত।
তৃতীয়টি দেখে মনে হল এটি কোন ব্রিটিশ আদালতের রায়ের ব্যাপারে ক্ষোভের প্রকাশ। বক্তার বক্তব্যে বেশ কিছু আপত্তিকর বিষয় নিঃসন্দেহে আছে, তবে পূর্ব প্রেক্ষিত জানা থাকলে ভাল হত।
চতুর্থ ভিডিও মনে বেশ আশংকার জন্ম দেয়। ইউরোপের মানুষ কেন হিজাব মীনারের মত আপতঃ তুচ্ছ বিষয়ে আতংকে ভোগে তার কিছুটা এখান থেকে ধারনা পাওয়া যায়।
ইসরাইল, ইরাক, বা আফগানিস্তানের সাথেই শুধু এই সমস্যা সম্পর্কযুক্ত না। এটা সাধারন মুসলমানদের অনুধাবন করতে হবে।