পাকিস্তান দেশটি এখন বর্তমান পৃথিবীর অপার বিষ্ময়! সোজা কথায় এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! সমস্ত কুকীর্তিতেই তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ান। সন্ত্রাস, কালোটাকা, মাফিয়রাজ, দুর্নীতি, হোমমেড পর্ণ, মাদক পাচার-পৃথিবীয় যাবতীয় যতকিছু আবর্জনা আছে-সব কিছুরই এখন চ্যাম্পিয়ান পাকিস্তান। সেদিন ই পড়ছিলাম ইন্টারনেট পর্নের উৎপাদনে পাকিস্তান আমেরিকা এবং ইউরোপকে হারাচ্ছে! বেনিয়মটাই এখানে নিয়ম। তাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এককালে মিঃ ১০% ছিলেন-সামরিক খাতে আসা সব টাকা ভাগাভাগি হয় সেনা অফিসারদের মধ্যে-তাদের সেনা অফিসাররদের প্রায় প্রত্যেকেই কোটিপতি।
ভারতের গর্ভ থেকে যার জন্ম, সেই দেশটার এমন দুর্গতি কেন হল, সেই বিশ্লেষন দরকার। এমন নয়, ভারতে সন্ত্রাসী নেই বা কালোটাকার সমস্যা নেই-খুব ভাল মাত্রায় আছে। কিন্ত সেটা এখনো ব্যাতিক্রমই-নিয়ম না। ভারতের আজাহারুদ্দিন, মনোজ প্রভাকর এবং অজয় জাদেজাদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল বেটিং কেলেঙ্কারির জন্যে। সেটা একদশক আগের ঘটনা। তারপরে সৌরভের জমানাতে এবং পরে ধোনির নেতৃত্বে এই ধরনের বেটিং করার সাহস কারুর হয় নি। কারন ভারতীয় বোর্ড আজাহার, জাদেজার মতন আজীবন নির্বাসনে পাঠাত। অবশ্য তাতে এদের ক্ষতি হয় নি। আজাহার এখন এম পি।
আর জাদেজা একজন জনপ্রিয় ধারাভাস্যকার। মানুষের স্মৃতি দুর্বল। কিন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটে বেটিং বন্ধ হয় নি-যা এখন জানা যাচ্ছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে বেটিংটা ব্রেকফাস্টের ডিমের মতন জনপ্রিয়।
সালমন বাট, মহম্মদ আমির এবং মহম্মদ আসিফ-প্রশ্নাতীত ভাবে যে তিনজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার অভিযুক্ত-তাদেরকে পাকিস্তানি বোর্ড বাঁচাতে চাইছে। অনুমান করি শর্ষের মধ্যেই আছে ভুত। যদিও পাকিস্তানে এদের প্রতি ক্ষোভ বিশাল -কিন্ত এই তিন পাকিরত্নের প্রতি পাকবোর্ডের স্নেহসুলভ আচরনে খুব ভাল ভাবেই প্রমানিত, বেটিং থেকে আসা টাকার একটি অংশ বোর্ডের কর্তাদের পকেটেও যেত। আবার সেই টাকার একটা অংশ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পকেটে যেতে কি না জানি না-কিন্ত গেলেও কেও অবাক হবার কথা না। এ এমন দেশ, যেখানে সবই সম্ভব।
ঘৃণা এবং ধর্ম যখন একটা দেশের রাষ্ট্রীয় ভিত্তি হয়-সেই দেশটার কি হাল হতে পারে-পাকিস্তান তার উজ্জ্বল উদাহরণ। বি এন পির আমলে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত , ঘৃণা ও ধর্মকে হাল করে বাংলাদেশকেও পাকিস্তান বানানোর একটা পাঁয়তারা ছিল। সৌভাগ্যের কথা, বাংলাদেশের সুশীল জনগণ বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা থেকে আটকেছেন।
পাকিস্তান ক্রিকেটে দুর্নীতি বরাবরই ছিল। ওয়াসিম ভাই থেকে মালিক ভাই-কেওই যে খুব ক্লীন তা নন। ইমরান খানের পরে পাকিস্তান ক্রিকেটে সেভাবে আর কোন নেতা উঠে আসে নি-যিনি পাক ক্রিকেটের এই অসৎ যাত্রাকে আটকাতে পারবেন। সব থেকে বড় কথা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ধর্ম নিরপেক্ষ আচরন ও ইদানিং উঠে গিয়েছিল। ক্রিকেটারদের নাকি নামাজ পড়ার ধুম ও বেড়েছিল-বেড়েছিল তবলীগ হবার জিগিরও। আর ধর্মযে চোরেদের বর্ম সেটা বোধ হয় আমরা জানি। নিজেদের বেটিং অপরাধ ঢাকতেই ওরা ড্রেসিং রুমে ধর্মের আমদানি করে। এটা আমার মত।
যাইহোক আফ্রিদির জন্যে আগাম শুভকামনা রইল। কালকে ইংল্যান্ডের সাথে হারলেও, আশা করি তারা ঘুরে দাঁড়াবেন।
বাংলাদেশে মদ কেনার লাইসেন্সের ব্যাপারে শিওর না। তবে কেনাকাটায় তেমন ঝামেলা হয় না। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। 😉
কেরুই বেশি বেচা কেনা হয় দাম কম বলে। ঢাকায় নিউমার্কেট, শুক্রবাদ বেশ জনপ্রিয় এই বেচাকেনায়। 😀
বিয়ার কেনা মদের চেয়ে অনেক ঝামেলা মুক্ত। 😀
অফিসিয়েল প্রয়োজনে ব্রোথেল পরিদর্শনে গেছি বন্যায় ত্রাণ বিতরণ ও HIV/AIDS কর্মসূচি মনিটরিং করতে।
যাহোক, পতিতাবৃত্তি বাংলাদেশে অবৈধ নয় যদি কেউ আদালতের মাধ্যমে বয়স সত্যায়িত করে পেশাটি ঘোষণা করে নেয়। না, আমাদের দেশে ইরানের মত উদ্ভট কান্ড করা হয় না। এখানে যৌন কর্মীদের সংগঠন ইদানিং অনেক শক্তিশালী, কারণ বেশকিছু নারী সংগঠন তাদের জন্য মোর্চা গঠন করেছে যার নাম সংহতি।
ইদানিং এক সংগীত শিল্পী বিভাগীয় শহরে তাদের কবরের জন্য জায়গা কিনে দিচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, ফতোয়াবাজরা যৌনকর্মীদের মৃত্যুর পর অন্যদের সাথে কবর দিতে দেয় না।
এ বিষয়ে আলাদাভাবে লেখা যেতে পারে।
হয়ত খোঁজ নিলে দেখা যাবে বালাদেশ সীমান্তে তার বিশাল বিশাল
ফেনসিডিল কারখানা!
প্রতিদিন ট্রাক বোঝাই (অথবা অন্যভাবে)ফেনসিডিল বাংলাদেশের তরুনসমাজকে ধ্বংস
করার জন্য ঐ মন্দিরের দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে ঢোকে!
@লাইজু নাহার,
বাংলাদেশে বেশী যায় তুলো। ফেন্সিডিল এগুলো নেশা করার জন্যে। কিছু বিয়ার ও যায়। বাংলাদেশ সরকার মদ্যপানের ওপর নিশেধাজ্ঞা তুলে দিলেই এসব সমস্যা থাকত না।
আচ্ছা বাংলাদেশে কি মদের দোকান নেই? মানে মদের উৎপাদন হয় না?
কেও আমাকে বলেছিল বাংলাদেশে ড্রিংক্স করার জন্যে লাইসেন্স লাগে। আমি আজগুবি গল্প ভেবে হেঁসেছিলাম। সত্যটা কি কেও জানাবে?
বিধিসম্মত সতর্কীকরন ঃ মদ্যপান ভাল না। আমার পানাহার খুবই সীমিত।
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশে সম্ভবত লাইসেন্স লাগে মদ বিক্রি ও পানের জন্য।
যতদূর জানি আর্মি অফিসারদের জন্য ওটা ফ্রি ।
ঢাকায় শেরাটন,শাকুরায় সম্ভবত পাওয়া যায়।
ছোট ছোট শহরগুলোতে গোপনে বিয়ার বিক্রি করে শুনেছি।
তবে খালেদা জিয়ার মন্ত্রি মওদুদ যদিও বিসমিল্লাহের……ছাড়া কোন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু করতেন না ।
সেনা সরকারের সময় তার বাড়ি থেকে ওয়াইনের সম্ভার বেরিয়েছে কাগজে
তাই পড়েছি!
যাদের টাকা আছে বা সুযোগ আছে তারা লুকিয়ে খায়।
আবার রিকশাচালকরা বা শ্রমিকরা নাকি তাড়ি খায়।
@বিপ্লব পাল,
আমি নিজে ১০০% নিশ্চিত নই। যতটুকু জানি যে লাইসেন্স লাগে বিক্রেতার, ক্রেতার নয়, তবে পান করা যায় শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় এবং নিজের বাসায় বা সেসব দোকানে। ব্যাপারটা খুবই ঘোলাটে। কারন আমাদের দেশে মদ/বিয়ার সহ পাউকে পেলেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে এবং করে।
কুষ্টিয়ায় কেরু এন্ড কোং নামের দেশের একমাত্র আধা সরকারী মদের ফ্যাক্টরী আছে।
@আদিল মাহমুদ,
বাংলাদেশে মদ বিক্রি ও ক্রয় দুটোর জন্যই লাইসেন্স লাগে। আর মফস্বল শহরেও মদের দোকান রয়েছে এবং ব্রোথেল সংলগ্নও মদের দোকান থাকে।
( নিজেও অফিসিয়েল প্রয়োজনে ব্রোথেল পরিদর্শনের সময় দেখেছি।)
বিপ্লব পাল,
হাসাহাসির কিছু নেই। এটা বাংলাদেশের আইন। ( মুসলিম দেশ হিসেবে বৈশিষ্ট্য!!!) মদ পান করা নিয়ে তো ফলো আপ কঠিন। তাই কেনায় লাইসেন্স লাগে। আমি খোঁজ খবর নিয়ে তথ্যটি দিলাম।
লাইজু নাহার,
এ বিষয়ে খবর নিতে না পারলেও আমার সাধারণ জ্ঞান বলছে আর্মি অফিসারদের জন্য ওটা ফ্রি নয়। তা হলে আর্মি অফিসাররা ভারতীয় ফেনডিসিল সহ ধরা পড়ে খবরের বিষয় হত না।
@গীতা দাস,
বাংলাদেশের আইনেক ব্রথেল কি অনুমোদিত? ইরাণ একমাত্র মুসলিমদেশ যেখানে বেশ্যালয় ইসলামিক আইনে সিদ্ধ বলে জানতাম। তাও সেখানে বেশ্যাবৃত্তি ইসলামি সিদ্ধ করতে বেশ্যালয়ের সামনে মোল্লা বসে থাকে-সেই মোল্লা খরিদ্দার এবং বেশ্যাটির সাময়িক বিবাহ দেয় কোন ইসলামিক আইনে-এবং খরিদ্দারটি বাহির হইবার পর তিন তালাক দিয়ে বের হয়! এটা আমার এক ইরানিয়ান বন্ধুর কাছ থেকেই জেনে ছিলাম-এমন খোরাকি তথ্য খুব বেশী পাই নি জীবনে।
@বিপ্লব পাল,
বাংলাদেশে প্রথম জিয়া মদের লাইসেন্স দেন। তার আগে পুরোপুরিই নিষিদ্ধ ছিল।
ইরানের খবর খুবই সত্য। মূতা বিবাহ অনুযায়ী তারা এটা করে, তবে এই মূতা পদ্ধুতি সুন্নীরা মানে না।
@বিপ্লব পাল,
তার মানে মোল্লাদের একটা কর্মসংস্থানের ভাল ব্যবস্থা ! :laugh:
@গীতা দাস,
ধন্যবাদ তথ্যটা জানাবার জন্য।
কেরু এন্ড কোম্পানী কি এখনো আছে? মদ তৈরী করে?
@আদিল মাহমুদ,
হা হা হা , বাংলাদেশকে এমন পশ্চাদপদ দেশ ভাবেন কি করে ? কেরু মার্কা মাল হেভী জনপ্রিয় মধ্যবিত্তদের মাঝে, কারন তা দামে বেশ কম স্কচের তুলনায়।
@ভবঘুরে,
:yes: 😉
@ভবঘুরে,
পশ্চাতপদ ভাবতে যাব কেন???
দেশের সম্মান রক্ষার্থেই তো এই প্রসংগ তুললাম। দেখেন, বিপ্লব মদ্য পান বিষয়ে আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছিলেন।
এই রসের স্বাদ কোনদিন পাইনি দেখে তেমন কোন ধারনা নেই।
@আদিল মাহমুদ,
আল্লাহ ও তার রসুল মোহাম্মদকে বিশ্বাস করার জন্য বেহেস্তে এত সুরার নহরের লোভ দেখানো সত্ত্বেও আপনি এ দুনিয়ায় এ রসের আস্বাদ এখনো নেননি জেনে যার পর নাই হতাশ হলাম। আপনার মত দুর্ভাগা এ ধরাধামে দ্বিতীয়টি নেই এ বিশ্বাস আমার পোক্ত হলো। 🙁
@ভবঘুরে,
এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। এমনও হতে পারে বেহেস্তের নহরের বিধি-সম্মত সুরায় কেহ কেহ সুরার প্রথম স্বাদটি আস্বাদন করার খায়েশ রাখেন, তাই এ দুনিয়ায় বিধি-বহির্ভুত সুরার আস্বাদে ওনাদের অনীহা থাকতেই পারে। 😀
@ভবঘুরে,
দুনিয়ার রস আস্বাদন করি নাই আপনাকে কে বলল? কোক পেপসি পান করলেই তো মনে হয় আবে কাউসারের পানি খাচ্ছি। এগুলি থাকতে শখ করে ওসব ছাইপাশ ঘাটতে যাব কোন দূঃখে?
ছাত্রজীবনে এক বন্ধুর থেকে বিয়ার একটু চুমুক দিয়ে দেখেছিলাম। ইস, যেই তিতকুটে স্বাদ! কেমনে যে এইসব পান করেন তা আপনারাই ভাল জানেন।
@আদিল মাহমুদ,
তাহলে আর না নেয়াই ভাল। ওটা মোটেও সুস্বাদু কিছু নয়। খেতে গিয়ে বমিও হতে পারে 🙁 । আর একবার বমি হলে টাকাটাই মাঠে মারা… :laugh:
:@মিঠুন,
তবে হালাল বিয়ার পান করেছিলাম 🙂 ।
৯১ সালের দিকে একবার ঢাকায় হালাল বিয়ার আমদানী শুরু হয়েছিল। ২০ টাকা বোতল, ৩ ফ্লেভার ছিল। লেমনটা চেখে দেখেছিলাম। হেভি ফিলিং।
@গীতা দাস,
আমার মনে হয় ঐ আর্মি অফিসার ব্যবসার জন্য ওগুলো রেখেছিল।
উচ্চপদস্ত অফিসারদের ক্লাবে ওগুলোর সরবরাহ আছে বলেই শুনেছি!
:guli: পাকিত্তান দিন্দাবাদ
এদের বেটিং কেলেংকারি কিন্তু প্রমাণিত হয়নি। শুধু হ্যান্সি ক্রনিয়ের কথায় তাদের ব্যান করা হয়েছিল।
@osimsomoi,
বাহ!! বেশ ভালো খোঁজখবর রাখেনতো দেখছি আপনি!!! নিশ্চয়ই ভারতীয় কোনো নাগরিক হবেন বলেই ধারণা করে নিচ্ছি। ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগেই।
বিপ্লব যাঁদেরকে নিয়ে এই প্রবন্ধটি লিখেছে তাঁদের বিরুদ্ধেও শুধু অভিযোগই দায়ের করা হয়েছে। এখনও সরকারিভাবে কিছুই প্রমাণিত হয় নি।
হ্যান্সি ক্রনিয়ে যখন আজহারুদ্দিনকে খেলা গড়াপেটার অভিযোগে অভিযুক্ত করে তখন ভারতের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (CBI) এর তদন্ত করা শুরু করে এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলঃ
“It is clear that Mohammad Azharuddin contributed substantially towards the expanding bookie/player nexus in Indian cricket. The enquiry has disclosed that he received large sums of money from the betting syndicates to fix matches. There is also evidence which discloses that he roped in other players also to fix matches, which resulted in this malaise making further inroads into Indian cricket. The evidence against Azharuddin, which is discussed next, clearly establishes that he took money from bookies/punters to fix cricket matches and also the fact that the underworld had approached him to fix matches for them.”
পরবর্তীতে আজাহারুদ্দিন বিসিসিআই এর কাছে তিনটি একদিনের খেলা গড়াপেটার কথা স্বীকার করে। এর ভিত্তিতেই বিসিসিআই তাঁকে ২০০০ সালে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। পরে ২০০৬ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং ভারতের ক্রিকেট টিমের সব অধিনায়কদের সাথে তাঁকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ে ভারতীয় বোর্ড যে পিছিয়ে নেই, এ হচ্ছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
মাদ্রাজে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক মিটিং এর পরে ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এ সি মুথিয়া বলেন যে, অজয় জাদেজা এবং মনোজ প্রভাকরকে পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হলো।
এই সিদ্ধান্ত যে প্রমাণ সাপেক্ষেই নেওয়া হয়েছিল সেটা তাঁর মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়। এই সিদ্ধান্ত নেবার স্বপক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে,
These hard decisions have been taken after careful consideration. They will set an example for the future.
@ফরিদ আহমেদ,
আমি ভারতীয় নাগারিক নই, ভারতীয় ক্রিকেট দলকে সমর্থনও করি না। যাই হোক, আপনি CBI এর তদন্ত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন। এর জবাবে বলতে চাই,
CBI তদন্ত রিপোর্ট দেয় ২০০০ সালে, পরবর্তীতে আজাহারউদ্দিন আদালতের সরণাপন্ন হলে BCCI আদালতে আজাহারউদ্দিনকে দোষী প্রমাণিত করতে ব্যর্থ হয়(২০০৬ সালে) নিচের লিংকটি দেখতে পারেন
http://www.expressindia.com/latest-news/Matchfixing-scandal-set-to-haunt-Azhar/444140/
The life ban on Azharuddin came after the former South African skipper Hansie Cronje accepted his involvement in the match-fixing scandal and named Azharuddin for introducing him to bookies.
In 2006, the life ban on Azhar was lifted after the BCCI failed to prove him guilty in the court of law
আদলতে নির্দোষ প্রমাণিত ব্যক্তিকে কোন যুক্তিতে দোষী হিসাবে পোষ্টে উল্লেখ করা হল তা আমি ঠিক বুঝলাম না। আপনি বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, সেটা অবশ্য অন্য বিষয়।
আমি যতদূর জানি আদালতে BCCI আজাহারউদ্দিনকে দোষী প্রমাণিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তার আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
আজাহার কখনও জনসম্মুখে খেলা গড়পেটার কথা স্বীকার করেছেন বলে শুনিনি।
http://www.cricinfo.com/wcm/content/story/144219.html
Azharuddin reportedly confessed that he had fixed three one-day matches; the first against South Africa at Rajkot in 1996, then Pepsi Cup matches in Sri Lanka in 1997 and Pakistan in 1999. But he was subsequently quoted in an interview denying that he was involved in any such activity.
আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
আপনি কি ভারতী বিরোধী ? তা নাহলে আপনি কেন আদলতের রায়ের কথা উল্লেখ না করে শুধু রায়ের ছয় বছর আগের তদন্ত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করলেন?
একজন আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত ব্যক্তিকে দোষী হিসাবে উল্লেখের কি উদ্দেশ্য?
সবশেষে বলতে চাই, পোষ্টটি একদম একপেশে। মডারেটের কাছে পোষ্টটি ডিলিট করার আবেদন রইল। কারণ মুক্তমানা মানে এই না যে আমার ইচ্ছামত যে কাউকে দোষী হিসাবে উল্লেখ করতে পারব।
পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটারের স্পট ফিক্সিং এর সাথে জড়িত থাকা নিয়ে এখন ক্রিকেট দুনিয়া উন্মাতাল। এরকম একটা তরতাজা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য বিপ্লবকে ধন্যবাদ।
তবে, যে রকম মানের লেখা বিপ্লবের কাছ থেকে পাওয়া গেলে ভালো লাগতো এটা সেরকম লেখা নয়। খুবই একপেশে এবং দুর্বল একটি আলোচনা। মূল সমস্যা এবং তার আলোচনা বাদ দিয়ে শুধু পাকিস্তান ঘৃণাটাই চোখে পড়লো আমার। পাকিস্তানের প্রতি আমাদের ঘৃণা এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যে কোনো বিষয়েই পাকিস্তানকে গালি দিতে পারলে আমরা খুশি হই (আমি নিজেও অনেকটা এই দলেরই লোক)। যুক্তিতর্ক সেখানে আর কাজ করে না তেমন। একমাত্র গীতাদি ছাড়া বাকি সবাই যারা বিষয়বস্তু সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন, সেগুলো পড়ে সেরকমই মনে হলো আমার।
মূল সত্যি হচ্ছে যে, বেটিং সমস্যা গোটা ক্রিকেট জগতকেই গ্রাস করে ফেলেছে। শুধু বিশেষ কোনো একটা দেশের ঘাড়ে এই সমস্যা চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিত থাকার দিন মনে হয় আর নেই। প্রায় প্রতিটা দেশের ক্রিকেটারই কমবেশি বেটিং চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। বেটিং সমস্যা ক্রিকেটে গভীর এক সমস্যা। যেটুকু খালি চোখে দেখা যাচ্ছে সেটা মূলত হিমশৈলের চূড়া মাত্র। জলদানবের মত বাকি অংশ লুকিয়ে রয়েছে ঘোলা জলের আড়ালে।
প্রায় সব দেশের ক্রিকেটাররাই যে জড়িত রয়েছে তার প্রমাণ আমরা এই সমস্যা চিহ্নিত হবার সেই শুরুর দিকে থেকেই দেখি। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের সেলিম মালিক এবং আতাউর রেহমান জুয়াড়িদের সাথে সংস্রবের কারণে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন। যদিও সেই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তীতে তুলে নেওয়া হয়।
২০০০ সালে ভারতের পুলিশ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রনিয়ে এবং একজন ব্লাকলিস্টেড জুয়াড়ির সঞ্জয় চাওলার সাথে কথোপকথনের সূত্র ধরে আবিষ্কার করে যে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের অনেকগুলো খেলাই পাতানো খেলা ছিল। এর মূল হোতা ছিল দুই দলের দুই কাপ্তান হ্যান্সি ক্রনিয়ে এবং মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ভারতের পক্ষে আরো যুক্তছিলেন অজয় জাদেজা, অজয় শর্মা, মনোজ প্রভাকর, নয়ন মঙ্গিয়া এবং দলের ফিজিও আলি ইরানি। আর হ্যান্সি ক্রনিয়ে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যুক্ত ছিলেন হার্সলে গিবস, পিটার স্ট্রাইডোম এবং নিকি বোয়ে। ভারত এই ঘটনায় মুহাম্মদ আজহারউদ্দিন এবং অজয় শর্মাকে যাবজ্জীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। অজয় জাদেজার কপালে জোটে পাঁচ বছরের নিষিদ্ধকরণ। বাকিরাও কমবেশি সাজা পায়। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা হ্যান্সি ক্রনিয়েকে নিষিদ্ধ করে অজীবনের জন্য। হার্সলে গিবস এবং নিকি বোয়ে অল্প সাজার উপর দিয়ে বেঁচে যান।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগ আরো আগে থেকেই পাওয়া যায়। ১৯৯৬ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের ম্যাচ পাতানো ছিল বলে জানা যায়। ভারতকে জিতিয়ে দেবার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় আড়াই লাখ ডলার নিয়েছিল।
১৯৯৬ সালে ভারতের ক্রিকেট প্রশাসক সুনীল দেব ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই ম্যাচ ফিক্সিং এর সাথে জড়িত বলে অভিযোগ তোলেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
মনোজ প্রভাকর ২০০০ সালে এসে দাবি করেছে যে কপিল দেব তাঁকে ১৯৯৪ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আন্ডার পারফর্ম করতে বলেছিল।
ভারতের একজন হোমড়া চোমড়া জুয়াড়ি দাবি জানিয়েছে যে, ২০০৯ সালে রাজকোটে ভারত শ্রীলংকার হাই স্কোরিং ওয়ান ডে ম্যাচ টা পাতানো ছিল। প্রথমে ব্যাট করে ভারত করেছিল ৪১৪ রান। জবাব দিতে নেমে এক পর্যায়ে শ্রীলংকার রান এসে দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ৪০১। সাত বলে চৌদ্দ রানের দরকার ছিল জেতার জন্য। জয়ের এরকম সহজ একটা অবস্থান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচটা হেরে যায় শ্রীলংকা।
বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম, মুশতাক আহমেদ বা দানেশ ক্যানেরিয়াদের বেটিং এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে।
শ্রীলংকার তিলকরত্নে দিলশাদের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ এই মুহুর্তে ঝুলছে ম্যাচ ফিক্সিং এর। শ্রীলংকার খেলোয়াড়েরাও স্বীকার করেছে যে তাঁদের দলের মধ্যে একজন ম্যাচ ফিক্সার রয়েছে যার সাথে অশুভ যোগাযোগ রয়েছে জুয়াড়িদের।
১৯৯৪-৯৫ সালে ভারতের জুয়াড়ি জন দ্য বুকমেকারকে পয়সার বিনিময়ে পিচ এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার মার্ক ওয়া এবং শেন ওয়ার্ন। এই অপরাধে এই দুজনকেই জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়।
কেনিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মরিস ওদুম্বে জুয়াড়িদের কাছ থেকে অনেকবার টাকা খাবার কারণে নিষিদ্ধ হন পাঁচ বছরের জন্য
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার খেলোয়াড় মারলন স্যামুয়েলস দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন ভারতীয় জুয়াড়িদের কাছ থেকে টাকা নেবার কারণে।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং অভিযোগ করেছিলেন যে, ভারতীয় এক জুয়াড়ি তাঁকে টাকা সেধেছিল ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকেও জুয়াড়িরা টাকা দিতে চেয়েছিল বলে এই দুই খেলোয়াড় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে জানিয়েছে।
উপরের উদাহরণ দিলাম একারণে যে, বেটিং এর জন্য এক তরফাভাবে পাকিস্তানকে বা ইসলাম ধর্মকে দায়ী করাটা খুবই বালখিল্য ধরণের আচরণ। বেটিং এর সাথে পাকিস্তানের সংস্কৃতি বা ধর্মের সম্পর্ক খুবই কম। বরং ক্রিকেট খেলে কোন দেশের খেলোয়াড়রা কী পরিমাণ টাকা উপার্জন করছে তার একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তানের একজন খেলোয়াড়ের আয় ইংল্যান্ডের একজন খেলোয়াড়ের আয়ের মাত্র ষোলভাগের একভাগ। এমনকি বর্তমানে ভারতীয় খেলোয়াড়েরাও সম মেধার পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের তুলনায় বহুগুণে উপার্জন করছেন। আয়ের এই বিপুল অসামঞ্জস্যের কারণেই মূলত খেলোয়াড়েরা জুয়াড়িদের বিশাল টাকার অফারকে না বলতে পারছেন না। পাকিস্তানসহ কিছু কিছু দেশের খেলোয়াড়েরা উঠেও আসছে অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারগুলো থেকে। জুয়াড়িদের টাকাকে না করার মত অর্থনৈতিক বল তাঁদের নেই। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামো এবং ক্রিকেট বোর্ড দুর্নীতিগ্রস্ত হবার কারণে অপরাধ করে পার পাওয়া সহজ। যার কারণে খেলোয়াড়রাও দুর্নীতি করতে কম দ্বিধা করে থাকে। তবে, অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলোও ধোয়া তুলসি পাতা নয়। কম-বেশি দুর্নীতি প্রায় সবগুলোতেই আছে।
বিপ্লবের কাছে আমার কিছু জিজ্ঞাস্য আছে। পাকিস্তান না হয় পচে গলে যাওয়া একটা দেশ। তোমার ভাষ্য অনুযায়ীই সমস্ত কুকীর্তিতেই তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ান। সন্ত্রাস, কালোটাকা, মাফিয়রাজ, দুর্নীতি, হোমমেড পর্ণ, মাদক পাচার-পৃথিবীয় যাবতীয় যতকিছু আবর্জনা আছে-সব কিছুরই এখন চ্যাম্পিয়ান পাকিস্তান। কাজেই, পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বেটিং এ যুক্ত হওয়াটা স্বাভাবিকই। কিন্তু ধরো, দুইদিন পরেই যদি জানা যায় যে, ভারতের খেলোয়াড়রাও নিয়মিত ম্যাচ ফিক্সিং এর সাথে জড়িত তাহলে তুমি কোন কারণকে দায়ী করবা? ভারতে আইপিএল নিয়ে যে রঙ্গ তামাশ ঘটছে, যে পরিমাণ কালো টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে, তাতে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে এরকম কিছু বের হয়ে আসলে আমি অন্তত অবাক হবো না।
পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের সংস্কৃতিতো অনেক উন্নত, এবং নৈতিকতার মানও বহুগুণে ভালো বলেই তুমি সার্টিফাই করছো। সন্ত্রাসী বা কালোটাকার সমস্যা নাকি সেখানে ব্যতিক্রম। এবার তাহলে আমাকে বলো যে, ক্রিকেটের সব বড় বড় জুয়াড়ি কেনো ভারতীয়? ক্রিকেট দুনিয়ার জুয়ার সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেটই বা কেনো ভারতে? জুয়াড়িরা পাকিস্তানি হলে বা মূল সিন্ডিকেট যদি পাকিস্তানে থাকতো তাহলেতো তুমি পাকিস্তান যে দুর্নীতিপ্রবণ দেশ, ধর্ম নিয়ে ভন্ডামি করে বলেই তাদের এই দশা বলে দিতে। ভারতের ক্ষেত্রে কেনো সেই কথাটা বলছো না তুমি? কেনো হিন্দু ধর্মকে দায়ী করে গালমন্দ করছো না? সেটা কি নিজের দেশ বলে?
@ফরিদ আহমেদ,
অসাধারণ বিশ্লেষণ।
@ফরিদ আহমেদ,
নিরপেক্ষ মতামত।
@ফরিদ আহমেদ,
ভারতে ক্রিকেটে যে কেলেঙ্কারী হচ্ছে, সেগুলো কর্পরেট কেলেঙ্কারি। খেলার সাথে যে কেলেঙ্কারি গুলো ছিল, ২০০০ সালের পরে, সেগুলো আর দেখা যায় নি। সৌরভ বা সচীন এত টাকা রোজকার করে-ওদের এসবের দরকার ছিল না। তাছারা ওরা যে ধরনের পরিবার থেকে এসেছে, সেখানে এই ধরনের মানসিকতাও ওদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত না।
আই পি এলের কেলেঙ্কারীগুলি সবই টিম এবং প্লেয়ার কেনা সংক্রান্ত ইনফ্লুয়েন্স নিয়ে।
ভারতে দুর্নীতি নেই এমন না। এটিও প্রায় চ্যাম্পিয়ান দেশ। কিন্ত সাথে সাথে এটাও ঠিক-সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করার চেষ্টা করে। সিবি আই প্রতি বছর অনেক লোককেই জেলে পাঠাচ্ছে। এই কমনওয়েলথ গেমসে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, সরকার সেসব স্বীকার করে, প্রধানমন্ত্রী নিজে কমিটি বানিয়ে দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। শরদ পাওয়ার যিনি আই সি সি র এখন চেয়ারম্যান-
তার মতন দুর্নীতিপরায়ন লোক ও আছে-আবার মমতা ব্যানার্জী, মনমোহন সিংহ এর মতন সৎ লোক ও আছে। সম্প্রতি অনেক কর্পরেটকেই আদিবাসি এলাকা থেকে তাদের ব্যাবসা গোটাতে হয়েছে -তারা টাকা ছরিয়েও সুপ্রীম কোর্টের রায় বদলাতে পারে নি। সুতরাং ভারতে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে দুর্নীতি আছে-কিন্ত টাকা দিয়ে যা খুশী তাই করা যায় না।
জুয়ারীদের সিন্ডিকেট আগে ভারতে ছিল। বর্তমানে তেমন বড় সর কিছু নেই-সেটাও সরকারি ধরপাকরের ফল। সুতরাং এখানে দুর্নীতির সপক্ষে বিশাল এপ্রুভাল আছে ভাবলে ভুল হবে। দুর্নীতিপরায়ন রাজনীতিবিদদের ক্যারিয়ারও জনগন ছোট করে দিয়েছে। সেটাও ত দেখতে পাচ্ছি। পাশাপাশি এটাও ঠিক-টাকার খেলা ভারতে সর্বত্র চলে।
@ফরিদ আহমেদ,
শেষ লাইনের উত্তরটা দিতেই হত। ভারতে দুর্নীতি জন্যে হিন্দু ধর্ম বা ধর্ম প্রাবল্য অনেকাংশেই দায়ী। ধর্ম দিয়ে অনেক কিছু ঢাকার চেষ্টা এখানে হয়। এবার বাড়ি গিয়ে দেখলাম আমাদের ছোট্ট শহরে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে এক বিশাল মন্দির হয়েছে-যার টাকায় হয়েছে তিনি ভারত বাংলাদেশ স্মাগলিং এর একজন কিংপিন।
কোন ধর্মই আলাদা নয়। আমি কোন ধর্মেই কোন পার্থক্য দেখি না। অপরাধ ঢাকতে ধর্মের ব্যাবহার চিরকালই হয়েছে-আজও হবে।
য্তদুর মনে পড়ে ৮৮ নাকি ৯০ সালে অসি ট্যুরে সেলিম মালিক প্রথম এই কালচার চালু করেন।
ক`ম্পিউটার ভাইরাস নাকি পাকি ভাইদেরই আবিস্কার, কেউ নিশ্চিত জানেন?
@আদিল ভাই,
ইতা আফনি কিতা কইলেন গো দাদা? তাইলেতো আমি চুইছাইড খাওয়া ছাড়া আরও কোনো রাস্তা দেখতাসি না। :-Y :-Y :-Y :-Y
@সাইফুল ইসলাম,
আমার ভ্রাতুষ্পুত্র রামগড়ুড়ের ছানা তো দেখি আপনার জন্য তেমন পথ আর খোলা রাখেনি। নিশ্চিন্তে মনে করে ফেলেন।
তবে সান্ত্বনা শুধু একটাই যে মনে হচ্ছে তারা শয়তানীর নিয়তে কাজটা করেনি। পাইরসী ডিটেক্ট করা ছিল উদ্দেশ্য।
@আদিল মাহমুদ,
১৯৭০ সালে arpanet এ প্রথম ভাইরাস ডিটেক্ট করা হয়। ১৯৮১ Richard Skrenta একটা ভাইরাস তৈরি করেন যা ফ্লপির মাধ্যমে অ্যাপল ওএস এ ছড়ানো হয়। তবে পিসির প্রথম বুট সেক্টর ভাইরাস পাকিস্তানিদেরই করা:
The first PC virus in the wild was a boot sector virus dubbed (c)Brain,[16] created in 1986 by the Farooq Alvi Brothers in Lahore, Pakistan, reportedly to deter piracy of the software they had written. http://en.wikipedia.org/wiki/Computer_virus
সাইফুলের সুইসাইডই করতে হবে।
@অভিজিৎ দাকে
এই ব্লগের ইন্টারফেস আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে।
আগে আমরা যারা নিবন্ধিত না তারাও রেটিঙ দিতে পারতাম।
আমি মাঝে মধ্যে দিতাম।
আর একটা কথা, আমার নেট স্পিড কম ।
মুক্ত-মনাও এখন আগের তুলনায় কম সময়ে দেখতে পারি।
এখানে তুলনা মুলক ব্যাবহারকারীর সংখ্যাও কম।
তবুও আমার কাছে মনে হয়,অন্যান্য ব্লগের তুলনায় মুক্ত-মনা একটু বেশি সময় নেয়।
আমার এই ব্যাপারে মোটেও ধারনা নাই।
জানার জন্যই প্রশ্নগুলো করা।
@আসরাফ,
এটার প্রশংসা আমার নয় রামগড়ুড়ের ছানাের প্রাপ্য। অনেক খাটাখাটনি করে নতুন ইন্টারফেসটা বানিয়েছে। তাকে আপনার বার্তা পৌঁছিয়ে দিব।
হ্যা, আগে ব্যাপারটা ফ্রি ছিলো। কিন্তু ফ্রি থাকায় যা হয় – কিছু এবিউউস এবং মিস ইউজ শুরু হয়েছিল। এ মুহূর্তে কেবল রেজিস্টার্ড ইউজাররাই রেটিং দিতে পারবেন। এটাই স্ট্যান্ডার্ড। অন্য ব্লগেও তাই হচ্ছে। আপনি মেম্বারশিপ পেলে আগের মতোই রেটিং করতে পারবেন। আশা করছি ব্যাপারটা তাড়াতাড়িই ঘটবে।
হ্যা এই ব্যাপারটা নিয়েও আমরা চিন্তা করছি। সম্প্রতি আমরা সার্ভার বদল করেছি, এর ফলে স্পিড অনেক বেড়েছে। রামগড়ুড়ের ছানা আর আমি মিলে কিছু ডেটাবেস ক্যাসিং আর ইন্টারফেস বদল করেছি যাতে ব্লগসাইট আরো গতিশীল হয়। কিছু সুফল এখন যে আপনি পাচ্ছেন, সেজন্যই। ভবিষ্যতে আরো ভাল কিছু যোগ করা যাবে।
আপনার ফীডব্যাকের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
তার মানে যারা ব্লগ সাইটের প্রশংসা করে মন্তব্য করবে তারাই শুধু প্রশংসার্হ। আর আমরা যারা লেখালেখি করে আলোচনা জমজমাট রাখার চেষ্টা করি তারা ফক্কা গেরো? :-X
@ভবঘুরে,
এই উপসংহারে পৌঁছানোর কারণ কি? আপনার তো একাউন্ট আছেই, এমন হিট সমস্ত লেখা অবলীলায় লিখে চলছেন যে, স্বয়ং বিধাতার আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। আর আপনি বলেন ফক্কা গেরো! কই যাই!
@আসরাফ,
ফিডব্যাকের জন্য একটা বিশেষ ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য। বিশেষ করে গতিবিষয়ক ফিডব্যাক। আমি এর আগেও ফিডব্যাক চেয়েছি কিন্তু প্রায় কারো কাছ থেকেই পাইনি,ব্যক্তিগতভাবে যাদের জিজ্ঞেস করেছি তারাই শুধু উত্তর দিয়েছে। অথচ এসব ব্যাপারে ফিডব্যাক না পেলে কাজ করা বেশ সমস্যা,কোন সেটিংটা স্টেবল সেটা বোঝা যায়না। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
ফুটার এ লেখাইতো আছে ডিজাইন করেছেন অভিজিৎ। 😀 😀
এর চেয়ে খারাপ জাতি আমি আর দেখি নাই। :-X
হুমম আমিও আপনার সাথে একমত
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ আর জিন্নার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের সঙ্গমে জন্ম নিল যেই দেশ, সেই দেশ সম্পর্কে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। যেই জিন্নাহর ব্যক্তিজীবনে ধর্মের ছিটেফোটাও ছিল না, সেই জিন্নাহই কিনা পাকিস্তানকে ধর্মীয় রাষ্ট্র বানানোর পায়তারা করেছিলেন।
পাকিস্তান এখন এমন একটা দেশ যার গীবত করা থিওরিটিক্যালি সম্ভব হলেও প্র্যাকটিক্যালি অসম্ভব। তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য যেসব গল্প ফাদা যায়, তার সব কিছুই তারা অনেক আগে করে ফেলেছে।
কেলেঙ্কারীর অন্যতম নেতা আজাহারুদ্দিন এখন সনিয়া গান্ধীর প্রিয়পাত্র, কংগ্রেসের সাংসদ (এম পি)। ভোট রাজনীতির কি মহিমা।
ধর্ম নামের আফিম দিয়ে তো মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে রাখা যায়। তাই যত চোর অপরাধী তারাদের মুখেই অসম্ভব ধর্মের কথা শোনা যায় (অধার্মিকের ধর্ম কথা)। আমাদের ভারত উপমহাদেশে মানুষের নৈতিকতার স্খলনই দুর্নীতি অন্যতম কারণ।
@সুমিত দেবনাথ,
ভাল লাগল
@সুমিত দেবনাথ,
:yes: :yes:
আপনি সব বিষয় নিয়ে লিখবেন এমন একটা আস্থা আছে।
বিষয় বস্তু নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নয়।
আপনার লেখায় একটা চমক থাকে। এবার নিরাশ হলাম।
কেমন জানি গতানুগাতিক নিউজ টাইপের মনে হল।
একটু এক পেশে হয়ে গেল। পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের ঘুষ কেলেঙ্কারীর সাথে ভারতীয় ধীরাজ দীক্ষিতদের কথাও লেখা প্রয়োজন। সাথে ভারতীয় বাজিকররা তো আছেই।
আর ভারতীয় ক্রিকেটে ললিত মোদি ও আরেক সাবেক প্রতিমন্ত্রী নিয়ে আলাদা লেখা আশা করছি।
@গীতা দাস,
১। শশী থারুরের সাথে যেটা হয়েছে-সেটা বেটিং কেলেঙ্কারি না। উনি মন্ত্রী হিসাবে চাপ দিয়ে উনার গার্ল ফ্রেইন্ডকে কোচির টিম উপহার দিয়েছিলেন-বৈবাহিক উপহার আর কি। সেটাও দুর্নীতি-কিন্ত টাকা খেয়ে ম্যাচ ছারার মতন ন্যাক্কার জনক কিছু না।
২| এটা ঠিক-ভারতের অনেক বুকি জড়িত। কিন্ত আজাহার কান্ডের পর শেষ দশ বছরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা জড়ায় নি। সেখানে পাকিস্তানের এই ব্যাপারে কোন ছেদ নেই।