সক্রেটিসগণঃ অন্ধ বিশ্বাসের আতংক
বাদল চৌধুরী
মহামান্য সক্রেটিস। বলা হয়ে থাকে দর্শন যোগের অধিনায়ক তিনি। নীতি শাস্ত্রের প্রবক্তা হিসাবেও স্বীকৃত। এই গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস জন্মগ্রহণ করেন খ্রীষ্টপূর্ব ৩৯৯ সালে। কোন কিছু লিখে না গেলেও তিনি দর্শন চর্চা করে গেছেন বক্তৃতার মাধ্যমে। মূলত তিনি তীক্ষ্ণ যুক্তি ও প্রশ্নবানের মাধ্যমে তুলে নিয়ে আসতেন দর্শনের বিভিন্ন দিক । তার দর্শনকে পরবর্তী প্রজন্মে তথা আজকের মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন তার সুযোগ্য শীষ্য দার্শনিক প্লোটো। সক্রেটিসের উপর তার লেখনির মধ্যে প্লেটোর সংলাপ অন্যতম। সক্রেটিস জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার উপর আলোচনা করে গেছেন বিস্তর। তিনি আর একটা কাজ করতেন, হাটে বাজারে, লোক সমাগমে বক্তৃতা করে বেড়াতেন। তার বক্তৃতার অন্যতম বিষয় সমাজে প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধে এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মুখোশ খুলে দিতেন প্রচন্ড যুক্তি ও ক্রস প্রশ্নের মাধ্যমে । তার এ ধরনের বক্তৃতায় তরুনেরা প্রচন্ডভাবে আকৃষ্ট হতে লাগল । ফলাফল চলে গেল তার বিপক্ষে। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শত্রুতে পরিনত হয়ে গেলেন। তার বিরুদ্ধে প্রধানতঃ দুইটি অভিযোগ আনিত হয়। (১) তিনি প্রজন্মের তরুন সম্প্রদায়কে পথভ্রষ্ট করছেন এবং (২) প্রচলিত দেবদেবতাদের অস্বীকার করছেন। অভিযোগ আদালত অবদি গড়ানোর ফলে বিচার কার্য শুরু হলো । বিচার সভার সদস্য ছিলেন ৫০১ জন। সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ডের পক্ষে তিরিশটি ভোট বেশি পড়ায় মৃত্যুর দন্ডাদেশ জারী করলেন আদালত । হেমলক বিষ পান করিয়ে সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ড কার্যকরী করা হলো। আর সাথে সাথে এথেন্সবাসী দায়ী হয়ে গেলেন দার্শনীক সক্রেটিসকে হত্যার দায়ে। চিরতরে নষ্ট করে দেয়া হলো এমন একটি প্রতিভাকে, যিনি মানুষের মধ্যে আত্মজিজ্ঞাসার দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন সেই ২৪০০ বছর আগে। মূলত তিনি সময়ের অনেক আগে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সর্বকালের ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের জন্য পরিতাপের বিষয়, আজো সেই আত্মজিজ্ঞাসার দুয়ার রুদ্ধ হয়নি। বরং কালের বিবর্তনে আরো সহস্র উপায়ে তাদের সামনে হাজির হয়েছে। আজকে সব আস্তিক ধর্মবাদীদের যাবতীয় বিশ্বাস, কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে প্রতিটি পদে পদে। একজন সক্রেটিসের মৃত্যুতে কি থেমে গেছে জ্ঞান পিপাসু মানুষের জিজ্ঞাসা? এই মহামানবের অপরাধ ছিল তিনি প্রচলিত ধর্মীয় মতবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পেরেছিলেন এবং তথাকথিত পন্ডিতদের মুখোশ খুলে দিয়েছিলেন। তিনি তার এধরনের অবস্থানের পক্ষে পরকাল প্রসংগে যে যুক্তি দিয়েছেন তা হচ্ছে, “যা জানিনা তা জানি মনে করা বৈধ নয়। যা নিজে জানিনা, তা জানি মনে করার মতো নিন্দনীয় গোমরাহি আর কিছুই নাই।—- মরনের পরে কি হয় তা আমি জানিনা । তাই কখনো দাবীও করিনা যে, আমি জানি । সুতরাং যে সব জিনিস আমি জানিনা সে সব জিনিসকে আমি ভয়ও পাবনা।” সাথে সাথে আমাদের মধ্যে আরো সহস্র প্রশ্নের উদয় হয়ে যায়। ব্যাখ্যাতীত সেই ঈশ্বর, অজ্ঞাত পরকাল, অজ্ঞাত সেই দোযখের ভয় আমাদের এই অন্ধ সমাজটাকে পুরোপুরি কাবু করে ফেলেছে । সক্রেটিস এই অজ্ঞাত পরিনতির ভয়ে কুকড়ে যাওয়া সমাজটাকে নাড়া দেয়ার চেষ্টা করিছেলেন। অন্তত একবারের জন্য জ্ঞানের চক্ষূ মেলে দেখার জন্য, অন্তত একবার যুক্তির ছাঁচে জালাই করে আশে পাশের জগৎটাকে ব্যাখ্যা করার জন্য। তিনি যতটুকু ব্যর্থ হয়েছিলেন, ততটুকু সফলও হয়েছিলেন বটে। কেননা আজকের মৌলবাদীদের নানান মাথা ব্যথা। অন্তত তাদের (ঈশ্বরের লোকদের) অবস্থানটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা গেছে।
“এইসব দেখি কানার হাট বাজার”। একটি বাংলা বাউল গানের প্রথম লাইন। (গীতিকারের উদ্দেশ্য এখানে মূখ্য বিষয় নয়) । শব্দগত দিক থেকে এই লাইনটি তেমন কিছু না। কিন্তু মর্মার্থও কম নয় । ধর্মান্ধরা তাদের কানা চোখ দিয়ে তাদের প্রয়োজনের বাইরে আর কিছুই দেখেন না। তারা বউকে প্রহারের মধ্যে অনৈতিকতার কিছুই দেখেননা। জিহাদ (ধর্মযুদ্ধ) করে জনপদ রঞ্জিত করার মধ্যে কোন অপরাধ দেখেননা, সতীদাহ প্রথার মত জগন্য রীতির মধ্যে তারা পূণ্যত্ব দেখেন, বিচারের নামে মানুষের দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে তারা কোন অমানবিকতা খুঁজে পান না । গলা পর্যন্ত মাটিতে পুতে পাথর নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার মধ্যে তারা দেখেনা কোন নির্মমতা। ৬বছরের বালিকাকে জীবন সঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ করার মাঝে তারা কোন বর্বরতা দেখতে পান না। নিজের পালক (ধর্মপুত্র) পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করার মধ্যে তারা কোন অসভ্যতা খুঁজে পান না। তাদের বিবেক চক্ষু কি অন্ধ নয়? এরা কি জ্ঞান পাপী নয়? কার স্বার্থে এরা কানা হয়ে আছে? আর এই কানাদের সংখ্যাই বা কত? হাট-বাজার-মাজার থেকে শরু করে রাজার প্রাসাদ, রান্ন ঘর থেকে শুরু করে বাসর ঘর, দুষ্ট জ্ঞান থেকে শুরু করে অপবিজ্ঞান সব খানে এই কানাদের দুর্দান্ত প্রতাপ, প্রভাব। সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি, ফ্যামিলি টিচিং, সংস্কৃতি, দেশাত্ববোধ সবখানে এই কানাদের অবাধ বিচরণ। সবখানে তাদের এতই প্রভাব যে কোন স্বাধীন মত প্রকাশ করলেই তার উপর নেমে আসে জগন্য থাবা। প্রায় ২৪০০ বছর আগে এই কানাদের কানা বলেছিলেন বলে সক্রেটিসকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হলো। ওখানেই থেমে থাকেনি তারা, ৪১৫ সালে নির্মমভাবে শরীরের অংগ প্রত্যংগকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হলো বিজ্ঞ দার্শনিক হাইপেশিয়াকে। ১৬০০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞানী ব্রুনোকে বাইবেলের বিরুদ্ধে কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদের সমর্থন করার অপরাধে উলঙ্গ করে খুঁটির সাথে বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো। হুমায়ুন আজাদকে চাপাতির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করা হয় প্রথার বিরুদ্ধে লেখনির জন্য। তাসলিমা নাছরিনকে মাতৃভূমি থেকে নির্বাসিত হতে হয় স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অপরাধের জন্য । হায়রে, এই অন্ধ সমাজ। তারা এইসব অপকর্মের জন্য অনুসূচনা তো দূরের কথা, মিষ্টি মূখ করে উল্লাস করেও বহাল তবিয়তে আছে। অনুমান করা যায় ওদের শিকড় কত গভীরে?
আর একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে তথাকথিত প্রগতিশীল লেখকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রগতির কথা লিখতে লিখতে একেবারে ক্লান্ত, শ্রান্ত। তারপরও লিখে যাচ্ছেন অবিরত। যে ধর্মগুলো (ধর্মীয় সংস্কার) দ্বারা প্রগতির চাকাকে উল্টো দিকে ঘুরানো হচ্ছে সেই ধর্মীয় রেওয়াজ এবং রীতি কিংবা পবিত্র গ্রন্থগুলোর উপর কোন সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ট আলোচনা তারা করেন না। আর একধরনের তথাকথিত প্রগতিশীল সংবাদপত্রের সম্পাদককে আমরা টুপি মাথায় মসজিদে তওবা করতে দেখি। অপরাধ, পত্রিকার ফান ম্যাগাজিনে মুহাম্মদ নাম নিয়ে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন ছাপা হয়েছে। সম্পাদক সাহেব তওবা করে কলেমা পড়ে নবরুপে ঈমান আনয়ন করে ছাচ্চা মুসলমান হলেন। অথচ দেখুন এদের উপর নির্ভর করছে প্রগতি, সেকুলারিজম, মানবতা, নৈতিকতার মত মানুষের মনস্তাত্বিক অবকাঠামোগত উপাদানগুলোর ব্যাখ্যা কি রকম হবে। অন্তত আমাদের দেশে তারাই মুখপাত্র। তারাই এখন দাবী করতে পারে সর্বাদিক প্রচারিত দৈনিক। এই দেশে তাদের গ্রহণযোগ্যতা এত বেশি। এক কানা (ছদ্মবেশী কানা) আর কানারে জ্ঞানের আলো দেখাচ্ছে। এসব কানারাই আমাদের সমাজের জাতির বিবেকের দায়িত্ব পালন করছে। কোথায় নেই এরা? মানুষের যে জায়গায় সর্বপ্রথম সংস্কারের প্রয়োজন সে জায়গাটি হচ্ছে, ব্যক্তির বিবেক। আর সেই বিবেকটাই দখল করে আছে ওই জ্ঞান পাপীর দল। ব্যক্তির বিবেকের চার পাশে এমন প্রতিরক্ষার দেয়াল স্থাপন করা হয়েছে যে, সেখানে মানবিক নৈতিকতা, ইহজাগতিকতা, বিজ্ঞান মনস্কতা প্রভৃতির অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ। যখনি কোন সক্রেটিস বা হুমায়ুন আজাদেরা গোমরাহির উপর/অন্ধবিশ্বাসের উপর তাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করেন তখন চারপোশে রে রে—- রবে পৃথিবী প্রকম্পিত হয়। এমনকি এধরনের স্বাধীন মতামতকে রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয় কোন প্রকার বাচ-বিচার ব্যতিরেকে। আর অন্য দিকে রাষ্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতায় এবং সরকারী অর্থায়নে প্রকাশিত হয় অহরহ পুস্তকাদি যা অন্ধবিশ্বাস এবং ধর্মানুভূতির উপর রচিত অপজ্ঞান। রাষ্ট্রিয় এবং সামাজিকভাবে জ্ঞান পাপীরা যে সুবিধা পেয়ে আসছে সেই আবহমান কাল থেকে তার ফলশ্রুতিতে আমাদের এই অন্ধ সমাজ। স্বাভাবিকভাবেই তার ব্যক্তির বিবেকের চারপাশে দেয়াল তৈরী করতে অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে রয়েছে। অপর দিকে নানান প্রতিবন্ধকতা, রাষ্ট্রিয় নিষেদাজ্ঞা, মানুষের অজ্ঞতা, শিক্ষার প্রতিকুল পরিবেশ প্রভৃতি বাঁধা অপসারণ করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন স্বাধীনচেতা ব্যক্তির দ্বারা এত বিস্তর পরিসরে ছড়িয়ে যাওয়া জ্ঞানকে পরিশুদ্ধ করা মোটেও সহজ নয়। ডিগ্রীধারী শতশত তথাকথিত প্রগতিশীল চিন্তাবিদ দ্বারা সমাজের জীর্ণ বিবেকগুলোকে আরে জীর্ণ করা সম্ভব। কিন্তু তাদের দ্বারা পরিত্রান সম্ভব নয়। অথচ স্বশিক্ষিত একজন আরজ আলী মাতুববর এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজটাকে, ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসকে উপযুক্ত আঘাত করতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষের চেতনাকে যাবতীয় অন্ধত্ব থেকে মুক্ত করতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব কম তা হয়ত বলা যাবেনা। পাঠ্য পুস্তক থেকে শুরু করে শিক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গি ছাত্রদের মধ্যে যেমন প্রভাব ফেলে তেমনি জনপ্রিয় লেখকদের লেখাও প্রভাব পড়ে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মানসিকতার উপর। বুদ্ধির মুক্তির জন্য এই দুইটি মাধ্যমের ভূমিকা আজ অপরিহার্য বলে মনে হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যের অনেক বিষয়ের ব্যাপারে আমি আগের মন্তব্যে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। সেগুলো নিয়ে আপাতত আর কিছু বলছিনা ।
কোরান এবং হাদিসের স্পষ্ট উদ্বৃতি থাকা সত্তেও আপনি আজব হিসেবে সম্বোধন করেছেন। বিশেষ করে মোহাম্মদের দৈনন্দিন জীবন এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনার ব্যাপারে কোরানের যে সমস্ত আয়াত এবং হাদিসের বরাত দেয়া হয়েছে সেগুলোও কি আপনার কাছে আজব? তাহলে কোরান এবং হাদিসের ব্যাপারে আপনিও সন্দেহাতীত নন।
এ ব্যাপারে যদি আপনি উদাহরণ উত্থাপন করতেন তাহলে মন্তব্য করতে অনেকটা সুবিধা হত।
যা সাধারণের জন্য পালনীয় বা অনুসরণীয় নয় তা কেন সকলের জন্য পালনীয় হিসেবে বাধ্য করা হয়েছে? কোন জীবন দর্শন থেকেই মূলতঃ জীবনাদর্শ পেয়ে থাকে। জীবন দর্শনই যেখানে বোধগম্য নয় বা পালনীয় অনুসরনীয় নয় সেখানে এই জীবনাদর্শ অবশ্যই পালনীয় কি মানব জাতির জন্য অতিরিক্ত নয়?
সন্দেহ থেকেই বিশ্বাসের উৎপত্তি। সন্দেহটাকে ধারণ করার জন্য বিশ্বাস হচ্ছে তার একমাত্র অবলম্বন। এখানে বিজ্ঞানিরা তাদের আবিস্কার এবং থিওরির পিছনে যথাযথ যুক্তি এবং প্রমান দেখিয়ে সবার যাচাই বাছাইয়ের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়। তারপর অন্যান্য বিজ্ঞানিরা বারবার একই ধরণের ফলাফল পেলে তা বৈজ্ঞানিক আবিস্কার এবং থিওরি হিসেবে বিজ্ঞান মহলে তথা সর্বসাধারণের কাছে স্বীকৃতি পায়। এখানে আপনার বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোন গুরুত্ব নেই। আপনি বিশ্বাস না করলেও প্রমান উদাও হয়ে যাবে না, আবার বিশ্বাস করলেও উক্ত আবিস্কারে কোন প্রভাব পড়বে না। যেমন ধরুন, বৈজ্ঞানিক আবিস্কারঃ একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র। নির্দিষ্ট ফর্মূলা এবং প্রক্রিয়ায় তৈরী। সে অনুযায়ীই সে কাজ করে থাকে। এখন আপনি মনে মনে বিশ্বাস করুন এসি চললে কক্ষ গরম হবে। এখানে কি আপনার বিশ্বাসের কোন গুরুত্ব আছে? কেন আপনি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বাসকে এত বড় করে দেখছেন। বড় কথা হচ্ছে বিজ্ঞান কিন্তু আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে নাই। প্রক্রিয়া এবং ফলাফল স্পস্ট। সাধনাকারীদের কাছে বাস্তবিক বিজ্ঞান এবং ধর্মের কাল্পনিক গল্প আলাদা করা সম্ভব না হলে কারো কিছু করার নেই।
একটু চিন্তা করে দেখুনতো হেরা গুহার সাধনাটা যেভাবে করা হয়েছে এবং আমরা যদি কমপক্ষে আংশিক লোকজন তাই করি তাহলে অবস্থাটা কি দাড়াবে? যদিও আপনার ব্যাখ্যায় সাধনার প্রক্রিয়াটা স্পস্ট নয়। এত লোক গর্তে ঢুকে পড়ার চেয়ে মানবিক নৈতিকতাকে ধারণ করে ইহাজাগতিক জীবন যাপন করা কি শ্রেয় নয়? এই যদি হয় মোহাম্মদী ইসলামী উচ্চাঙ্গের জীবন দর্শনের সাধনার প্রক্রিয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@Badal Chowdhury,
এটি রাসেলের মন্তব্যের প্রেিক্ষতে লেখা। ভুল বশত আলাদা মন্তব্য হিসেবে পাঠিয়েছি। দুঃখিত।
@Badal Chowdhury,
কানায় কানায় ওলামেলা,
বোবাতে খায় রসগোল্লা গো…
আপনার লেখাটি খুব ভালো। অন্ধত্ববাদের বিরুদ্ধে আরো লিখুন। (Y)
@ Russell,
বলেন ভাই রাসেল, গ্রাম্য বক্তৃতা না দিয়ে, ”প্রকৃত ধর্ম” কী?
@Russell,
এখানে ‘নিজেকে জান/চিন’ নিয়ে কি কোন বিতর্ক হচ্ছে?
ধর্ম-রাজনীতি-ক্ষমতা-শাসন-শোষন- মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস-শিক্ষা-সচেতনতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মুক্তবুদ্ধির আকর্ষণীয় যুক্তিতর্ক চলতেছে।
আপনার কষ্ট কাল্পনিক দড়ির গাট যাদেরঁ নামে ধন্য তাদেরঁ জীবনাচরন মোটেও এক নয়।
কারণ,উল্লিখিতদের মধ্যে একমাত্র জ্ঞানী ও শান্তিকামি মোহাম্মদই ব্যতিক্রম মানুষ যিনিঁ একাধারে খুনি ও ক্ষমতার লোভী এবং শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রের শীর্ষপদে অবস্থানকারি। মুক্তমনা কবি সাহিত্যিকেও খুন করেছেন তিনি।
আপনার কল্পনাশক্তি খুবই অতুলনীয় যখন বলেন”পরবর্তীতে ভোগবাদি, ক্ষমতার লোভী স্বার্থপর কিছু মানুষের দ্বারা সেই ধর্মের প্রচার প্রসার অন্য পথে, বিপথে, ভিন্ন দিকে গতিশীল করে নিজেদের ক্ষমতা লাভের জন্য।”
মোহাম্মদ বাদ পড়লেন কিভাবে?
আপনার এই চাঞ্চল্যকর “পরবর্তীতে” কথাটা দিয়ে নীজেই দেখি কানার হাটবাজার খুলে যে বসে আছেন তা প্রকাশ পাইয়া গেলো নাকি!!!!???
কেন ধর্ম সৃষ্টিকারি মোহাম্মদ সহ বিখ্যাতদের জীবন ও কর্ম আপনার ধর্মে বিতর্কের/সমালোচনার উর্ধে?
বলেন ধর্মের স্রষ্টাদের ‘অপবাদ ‘দেয়া বলতে কী বুঝেন?
@সালাম,
হয়ত আমার ব্যর্থতা, আমি বুঝাতে অক্ষম। ‘নিজেকে জান/চিন’ -নিয়ে কোন কিছু বুঝাতে চাইনি, বা সেই বিষয়ে কোন তর্ক সেইটাও বুঝাতে চাইনি। বলতে চেয়েছি- সবাই যখন একই মর্মাদর্শের পথিক, একই কথাই বলে গেছেন, বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাষায়, কর্মে, সেখানে একজনকে ধর্মের নামে গালাগালি দিয়ে অপরকে উপরে উঠানো হাস্যকর নয় কি?
মোহাম্মদ (সাঃ) নাম শুনলেই লোভি, খুনি এইসকল কিছু কথা অবতারন করার দরকার আছে বলে মনে হয়না।
বরং মোহাম্মদের (সাঃ) এর অনুসারীদের দেখুন- মাওলানা রুমী, সামসেত্তাব্রীজ, খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী, আব্দুল কাদের জীলানী, ইমাম গাজ্জালী, হোসাইন (আঃ), আলী (আঃ), সদর উদ্দিন চিশতী, ডঃ মতিউর রহমান, খান বাহদুর আহাসান উল্লাহ…প্রমুখ কত মহামানব, দার্শনিক তাঁরই অনুসারী, ভক্ত, প্রেমিক। ইনাদের কি মনে হয়- ইনারা খুনী (?), লোভি(?)। তাহলে তাঁদেরই নেতা, জগত গুরু মোহাম্মদ (সাঃ) কিভাবে একনাগাড়ে আপনাদের দৃষ্টিতে লোভি, ভোগী, খুনী হলেন?
এখন যদি বলেনঃ লাদেন মামা, নিজামী চাচা, বর্তমান দাড়ি টুপি পড়া বিশিষ্ট স্কলার, ডিগ্রী ধারী আলেম তার অনুসারী…তাহলে কি বলব? এইখানেই নিরপেক্ষতার দৃষ্টি প্রয়োজন। এখন আমি মুখে বলে গেলাম আমি আপনার অনুসারী, সবাইকে তাই প্রচার করে বেড়ালাম আর বাকিরা আমাকে দিয়ে আপনার বিচার করা শুরু করলে কেমন হবে বলুনত?
যুদ্ধ ক্ষেত্রে শত্রু কতল ইহা একটি বিধান, সর্ব যুগের শ্বাসত সত্য। সত্য প্রচার করতে, বিশেষ করে তখনকার যুগে অবশ্যই যুদ্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক, কেননা তিনিও সেই সময়কার একটা প্রচলিত মিথ্যার উপর সত্যের বানী তুলে ধরেছিলেন। তখনকার প্রচলিত অন্ধ ধর্মের উপর তিনিও কথা তুলেছিলেন। আর যুদ্ধ হলে তিনিও যদি কোন কথা না বলে জীবন দিয়ে দিত তাহলে আপনারা খুশি হতেন তাইতো? ইসা জীবন দিল, সক্রেটিস জীবন দিল, আর মোহাম্মদ বেচে গেল? তাইনা?
আপনারা তার নামধারী অনুসারীদের মুখে সেই যুদ্ধের কাহিনী শুনে, তার বিবাহ জীবনের বানানো কাহিনী শুনে তাঁর উপর মন্তব্য করে দিলেন?নাম ধারী এই সকল উচ্চডিগ্রীধারী আলেম, বেশভুষার আড়ালে লুকিয়ে থাকা লোভী, কামুক, পশুদের কাছে তাঁর জীবন কাহিনী এর থেকে ভাল আর কি শুনবেন বলেন? সেই ১৫০০ বছর ধরে আজব্ধি নবী (সাঃ) চরম শত্রু, তাঁর বংশের কতলকারীদের হাতে ইসলামের ডাংগা বাজানো হচ্ছে, সেই বাদ্য শুনে তাঁর উপর মন্তব্য করা কি নিরপেক্ষতা?
যদি আপনে বলবেন যেই সকল মহামানবের নাম উল্লেখ করেছি সেই মহামানব গনও ভন্ড, তাহলেত ভাই বলার কিছু নাই। আপনার পাতে যেই জগাখিচুড়ি লাবড়া মোল্লারা পাকিয়ে দিয়েছে সেই লাবড়া খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, তাইত সাম্য বাদের কথা শুনলে গা গিজগিজ করতে পারে।
শ্রী কৃষ্ণ-ও যুদ্ধ করেছিলেন, কর্নের সাথে পক্ষপাতিত্ব হয়েছিল সেই সময়, তাই বলে তাদের বিচার করা সাধারনের দ্বারা উচিত নয়। বিবাহের ব্যপারে কি বলব(?) রবীন্দ্র, বিষ্ণু, আরও কত মানুষের কত কি আছে, তাই বলে সেইসব বিষয় নিয়ে নিজেকে না চিনে কিছুই বলা উচিত নয়। আগে নিজেকে চিনতে হবে তারপর এই বিষয়ে মন্তব্যে আসা উচিত। বস্তুজ্ঞানে বিদ্যান, পাহাড় হয়ে অযথা এই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো সময় নষ্ট।
যদি নবী (সাঃ) আপনাদের তথাকথিত মন্তব্যের মতই হতেন তাহলে কবি নজরুল বলতেন না ” মোহাম্মদ নাম যতই যপি, ততই মধুর লাগে” লালন বলতেন না” নবী না মানে যারা মোহাহেদ,কাফেরও তারা”। এখন যদি বলেন নজরুল আর লালনও দুই নম্বর তাইলে ভাই আমিও খারাপ। মন্তব্য করার জন্য আত্নরিক ভাবে দুঃখিত।
এত কিছু বলার পিছে কারন একটাই- একই দর্শনের পথিক, একই উচ্চতার মহামানবগনদের উপর বিশ্ল্বষনের সময় একজনকে চোর, বাটপার বলে আর একজন যারে ভাল লাগে তারে উপরে উঠানো বোকামীর, নিরবুদ্ধিতার লক্ষন। ইহা মুক্ত চিন্তা হতে পারেনা। হতে পারে আমি একজনকে অনুসরন করি, ভাল লাগে, তাই বলে আর একজন যে খারাপ করার কোন মানে হয়না।
সক্রেটিসের গুনগান শুনতে ভালই লাগছিল, হঠাত মোহাম্মদকে, সনাতনের দুর্নাম করা দরকার কি?
মোল্লা মোল্লাই, ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাওয়া তাদের কাছে গন্ড মুর্খতা, আবার মন্দিরের ঠাকুরের কাছে সনাতনের বেদ, গীতা বুঝতে যাওয়াও সময় নষ্ট।
প্রত্যকের ভাষায় জ্ঞানী, মহামানব আছে- তাদের কাছ থেকে প্রকৃত সত্য জানা উচিত।
আর ভাই, “নিজেকে চিনা/জানা” বলতে আপনে কি বুঝেন আগে সেই বিষয়ে পরিষ্কার হন, ইহা ধর্ম জগতের বাইরে নয়। প্রতিটি ধর্মের মূল “নিজেকে চেনা/জানা”। আগেই বলেছি। যে এই বিষয়ই ধরতে না পারল তার ধর্ম সম্পর্কে কথা না বলাই ভাল। আমাদের দেশে সবাই কম বেশি ডাক্তার, মানে পেটে ব্যথা হলে কিছু একটা খাওয়ায় দেয়, তেমন সবাই প্রকৃত ধর্ম না জেনেই ধর্মবীদ।
নিজেকে চেনা মানে আপনে কিভাবে ভাত খাবেন/খান, কিভাবে ঘুমান/ঘুমাবেন, এইসব না কিন্তু 😀 । যাইহোক অনেক বলে ফেললুম।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন
@Russell,
ধর্মের ভিত্তি বিশ্বাস। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথমেই বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। বাকি চারটির মধ্যে তিনটিই আত্মকেন্দ্রীক, শুধুমাত্র যাকাত ব্যতিত। পরকালে পুরস্কৃত হওয়ার উদ্দেশ্যে এগুলো অবশ্যই মান্য করতে হবে। বস্তুবাদিদের দ্বারা এই যুক্তিতে চলা সম্ভব নয়। তাদের চাই বস্তুনিষ্ট ব্যাখ্যা। তাই তারাও প্রত্যেক ব্যাপারে বস্তুনিষ্ট দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। তেমনি ভাববাদিদের ব্যাখ্যাও হয়ে থাকে বিশ্বাস নির্ভর। অনেকের মধ্যে আবার নিরপেক্ষতার ভানও দেখা যায়। ধরি মাছ না ছুই পানি অবস্থা আরকি? তাদের চেষ্টা থাকে দুই পক্ষ থেকেই প্রয়োজন মত তথ্য ধার করে তৃতীয় পক্ষ (নিরপেক্ষ) অবস্থান তৈরী করে বসে থাকা। প্রশ্ন জাগে এরা কি আসলে নিরপেক্ষ? কোন বিশেষ ব্যক্তির উপর গুণগান শুনতে সদা প্রস্তুত থাকলে, একই ব্যক্তির নামে দুর্নাম শুনতেও প্রস্তুত থাকা চাই যদি সত্যি হয়। তাহলেই না নিরপেক্ষ বা তৃতীয় পক্ষ। প্রশ্ন জাগে, সক্রেটিসের মত মরতে না চাওয়ায় তেইশ বছরে শতাধিক যুদ্ধ, মানবতার এইরকম চরম অবক্ষয়কেও যখন জায়েজ দিয়ে দিতে পারেন। নিরপেক্ষ বটে।
ধর্মের এমন কিছু বানী আছে যা অনুসরণ করেই কিন্তু লাদেন মামা, নিজামী চাচারা শত্রু অবসহানে আছে এবং তাদের সংখ্যাও কম নয়। আবার কিছু তরিকা পালন করে, কিছু বানী অনুসরণ করেই সুফীদের অস্তিত্বও বিদ্যমান। আপনি কি সুনির্দিষ্টভাবে দুই পক্ষের কোন এক পক্ষকে ধর্মীয় নীতির বাহিরে অবস্থান করছে, এই দাবী করতে পারবেন ? এমন কিছু পারস্পরিক সাংগর্ষিক মতবাদ রয়েছে যে, আপনার দাবী বেশীক্ষণ টেকাতে পারবেন না।
আপনার কর্তৃক উল্লেখিত মহামানবগণ একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সৃষ্টি। আপনি যেভাবে স্বীকার করলেন সেই রকম করে আরেক ধমাবলম্বির দ্বারা স্বীকার করা সম্ভব নয়। মুহাম্মদ তো রীতি মত স্বঘোষিত সর্বশ্রেষ্টমানব। কোরানে, হাদিসে অন্তত তাই বলা আছে। এবং তার আদর্শের বাইরে পৃথিবীর কারোরই যাওয়ার সুযোগ নেই। গেলেই সে কাফের অথবা নাস্তিক এবং ইহকাল ও পরকালের জন্য চিরতরে অভিশপ্ত। আপনি একজন নিরপেক্ষ মানুষ হওয়া সত্তেও তার বাইরে যেতে পারলেন না। ওনার বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপনার কাছে অপবাদ হয়ে যায়। একজন মানুষের দোষগুণ থাকতেই পারে। দোষগুলো মুহাম্মদের চরম শত্রুরা রটিয়েছেন এই কথাটি আপনার। নিশ্চয় সুনামগুলো রটিয়েছেন তার মিত্ররা। আকাশ মালিকসহ আরো অনেকেই মুক্তমনায় এব্যাপারে তথ্যবহুল যে লেখাগুলো প্রকাশ করেছেন দলিলসহ তা আপনার মতে শত্রুদের দ্বারা সৃষ্টি, ঐতিহাসিক মূল্যায়ণ থেকে নয় (?)। তাহলে তো তৎকালীন সময়ে শত্রু -মিত্র দুইটি পক্ষই বিদ্যমান ছিল। নিরপেক্ষতা মতবাদটাইবা কি, যা আপনি শিরোধার্য করে নিয়েছেন ? তার উৎসই বা কি? তাও আবার পক্ষপাতের দোষে দুষ্ট হবে না তো ?
যে সব মহামানবের নাম আপনি নিয়েছেন তার মধ্যে থেকে ওমর খৈয়ম এবং মোতাজিলা সম্প্রদায়ের দার্শনিকদেরকে সুচতুরভাবে এড়িয়ে গেছেন। নাকি এরা ইসলামের মূলধারার দার্শনিক নন? আমরা যারা অজ্ঞ আছি তাদের মনে হচ্ছে নজরুল জপ, লালনের বুলি এবং আপনার বিজ্ঞতার উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে দার্শনিক স্বরুপ চেনার জন্য। নজরুলের তার নাম জপতে মধুর লাগছে বলেই ছয় বছরের শিশুকে বিয়ে, পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে, নারীদের গনিমতের মাল হিসেবে ভোগ, মোতা বিয়ে, যুদ্ধ ইত্যাদি সব কিছুই কি বৈধ হয়ে যাবে?
যে মহামানবদের নাম আপনি নিয়েছেন তারা সবাই পৈত্রিক-মাত্রিক সূত্রে মুসলমান। নিরপেক্ষভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান তা কিন্তু না। তার পরেও তাদের সবাই একই মতবাদে বিশ্বাসীও ছিলেন না। মাজহাবের মধ্যেও আমরা বিরুধ দেখতে পায়। এব্যাপারে আপনার নিরপেক্ষ দৃষ্টি ভংগিই বা কি? নিজেকে চিনা। ইসলামে নিজেকে চিনার প্রক্রিয়াটা কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
সার্বজনীন গুণগুলো যে ধর্মেরই হোক না কেন, তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। আবার সেগুলো ধর্মের নিজস্ব সম্পত্তিও না। সেই গুণগুলো অর্জনের জন্য ধর্মীয় মতবাদের কাছে ঋণী না হলেও চলে। ধর্মে বিদ্যমান সার্বজনীন গুণগুলোর ধোহায় দিয়ে সমস্ত অপবিশ্বাসকে গ্রহণ করার দাবী কিন্তু নিরপেক্ষ নয়।
যখন দোষগুলো গুণের চেয়ে ভারী হয়ে যায় এবং ফল হয় সুদুর প্রসারী তখন সেটা মারাত্মক আকারে ধারণ করে। সক্রেটিসের দোষ আর মুহাম্মদের দোষ একই পরিমাপের কি? গুণও কি একই পরিমাপের? এমন কোন ব্যাখ্যা আছে যার দ্বারা এদেরকে একই উচ্চতার বলা যাবে? এব্যাপারে অনেক উদাহরণ টানতে হবে যা, এই মুর্হুতে প্রাসংগিক হবে না।
যা হোক। কেন বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে? বিশ্বাস ছাড়া গ্রহণযোগ্যতা নাই বলে? একটা সত্যকে আপনি বিশ্বাস না করলে কি মিথ্যা হওয়া সম্ভব? না। কারণ বিশ্বাস মানুষের মনগড়া। আর মুক্তচিন্তার মধ্যে বিশ্বাসের কোন স্থান নেই বরং প্রমাণের উপর থাকে আস্তা। আমরা যারা কম বুঝি তাদেরই বা উপায় কি? আমরা মূর্খরা মোল্লা এবং ঠাকুরের কাছে না গেলে অন্যত্র কি ভিন্ন ইসলাম পাওয়া যাবে? আমরা এর জন্য বস্তুনিষ্ট দলিলের ধারস্থ হব, নাকি তোষামোদকারীদের ধারস্থ হব?
@Badal Chowdhury,
ধন্যবাদ এত বিশাল এক মন্তব্যের জন্য, যদিও প্রশ্নের পরিমান অনেক বেশি জানিনা সব কিছুর উত্তর দেয়া সম্ভব কিনা, তারপরেও চেষ্টা করতে বাধা নাই মনে হয়, আর যদি আপনাদেরও সহযোগিতা থাকে, তবে সমস্যা হল লেখকের লেখা থেকে বহু দূরে ছিটকে যেতে হবে। যাইহোক,
বর্তমান ইসলামের জন্ম সম্পর্কে একটু ধারনা দিতে চাই, আমার লেখাঃ
এখানেঃ মোহাম্মদ (সাঃ) মাওলা আলী (আঃ) কেই তাঁর প্রতিনীধী করে গিয়েছিলেনঃ (পর্বঃ১-৩) তিনটাই পড়বেন।
আসুন এবার আপনার কথায় আসিঃ বিশ্বাস নিয়ে যা বলছেন সেটা আমার কথার বিষয়বস্তু ছিলনা, ঐটার কেচ্ছা কাহিনীও আলাদা। আর নিরপেক্ষতার ব্যপারে আমিও বলেছিলাম যে নিরপেক্ষ হওয়াটা বড়ই কষ্টকর। এই বিষয় নিয়ে বলতে গেলে একটা বই হয়ে যাবে শেষ হবেনা, তবে আপনে বিশ্বাস নিয়ে যা বলেছেন সেটার সাথে আমি একমত নই। এইটা নিয়ে না আগাই।
আমি আমার উপরের দুইটি মন্তব্যের সারমর্ম আবারও বলে নেইঃ
যদি সকল মহামানবের আদর্শই যদি হয় একই দিকে তাহলে একজনকে গালি দিয়ে অপরকে উপরে উঠানোর কোন মানেই হয়না।
আপনে বলেছেনঃ
আমিও একমত। শর্ত হল “সত্য” হলে। এখন এই সত্য কোথা হতে প্রাপ্ত সেটাও জানা চাই। বারবার একই ঘন্টাই বাজাচ্ছি- সত্যের উৎস কি ইয়াজিদ, মোয়াবীয়া ও তাদের ভাড়া করা আলেমদের দ্বারা রচিত সত্য(?) যারা কারবালায় (৩৫০ কোরানে হাফেজ ফতুয়া দিয়েছিলেন ঈমাম হোসাইন (আঃ) কে কতল কর আছরের নামাজের পূর্বে, এবং তাকে কতল করা ফরজ); নাকি ওহাবী চাচ্চু- যে তার আপন মায়ের প্রতিশোধের জন্য ইসলামকে বর্বাদ করবে বলে পন করেছিল(?); নাকি তারই বর্তমান অনুসারী(?); নাকি সৌদি বাদশাগন যারা প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক হাজিদের নিজেদের রচিত কোরানের তফসির, অর্থ, মতবাদ বিনা মূল্যে দান করে(?)নাকি জোকার নায়েকের মত এক উদ্ভট মানুষরুপী একটা—-(?) নাকি বাংলার আরবী জানা রাজনীতিবীদ, বা প্রেমের নাম শুনলে হারাম হারাম করে অথচ ঘরে চার খানা স্ত্রী ও বেশ কিছু সন্তানের জনক(?) নাকি ডিগ্রী সন্মান লাভের আশায় নেশায় মত্ত বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির স্কলার প্রাপ্ত, আরবী জাননে ওয়ালা বিদ্যার জাহাজ…ইত্যাদি ইত্যাদি, কত ধরনের কত লেবাসের মানুষ কত কি ব্যাখ্যা অর্থ করে যাচ্ছে। এখন সেইধরনের মানুষদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে নিরপেক্ষতার ডংগা পেটানো আর সময় নষ্ট করা একই বিষয়।
আবার ধরুন আব্দুল কাদের জীলানী, খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী, মাওলানা রুমী, সামসেত্তাব্রীজ, ডঃমতিউর রহমান, বাবা সদর উদ্দিন আহমেদ, লালন শাই, নজরুল, খান বাহাদুর আহাসান উল্লাহ প্রমুখ ইনাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সত্য কিনা সেটা জানা চাই।
তবে বলে রাখতে চাইঃ ইনাদের অনেক বই বাংলায় অনুবাদে পাওয়া যায়, ইনাদের আবার অনেক অনুসারীও কিন্তু দেখতে পাওয়া যায়, তবে সাবধান যেমন মোল্লা আছে এক দিকে তেমন ব্যবসায়ী পীর ফকিরও কিন্তু আছে, এবং ইনাদের যেই বই বাজারে পাওয়া যায় তা পড়ার সামান্যতম যোগ্যতাটাও কিন্তু রাখেনা। ঐ কোরানের তফসিরের মত ইনাদের বইও হাজার রঙ দিয়ে মাখানো। সুতরাং এখন যদি বলেন আসল বই, মানুষ কই পাব? এইখানে আমি অধম একদম নিরব।
আপনে এক জায়গায় বলেছিলেনঃ
ভাই কি বলব(?) ইহা আপনাদের উপর। কারটা মানবেন, আর কারটা মানবেন না সেটাত আপনাদের বিবেচ্য বিষয়। কোনটা আপনার কাছে ভাল মনে হয় সেইটা নিবেন। মনে হয় মানুষ সে যেমন চায় তেমনি পায়।
আবার সেই একই বিষয়ঃ দলিল বড় আজব এক বিষয়। এখানে আবার ঐ বিশ্বাসও চলে আসে। এই বিদ্যার জাহাজ ব্যক্তিরা কোথা হতে দলিল গ্রহণ করছেন?
যেমন আপনে যদি আমার উক্ত লেখা পড়ে বলেন আপনারটাই যে সঠিক এই ব্যপারে সত্যতা কি? আমাকে বলতে হবে হয়তঃ আপনারা এতদিন যেই বই পুস্তক পড়ে এসেছেন সেইটারই বা সত্যতা কি? দেখুন তারাও আল্লাহর কাছ থেকে তফসির পায়নি, না পেয়েছেন নবী (সাঃ) এর কাছ থেকে, না আমিও সরাসরি আল্লাহ থেকে পেয়েছি, না পেয়েছি সরাসরি নবী (সাঃ) এর কাছ থেকে। একই বই থেকে কত ধরনের তফসির , অর্থ করা হচ্ছে, কোনটা নিবেন আপনাদের উপর নির্ভর করে। এখানে সেই বিশ্বাস চলে আসছে। যদি কোনটাই না নেন তাহলেও ভাল, তাহলেত আর এই বিষয়ে নাক গলানোরই দরকার নাই। যখন নিতেই হবে তখন ভাল, সত্য, যুক্তিযুক্ত যেটা মনে হয় সেইটা নেয়াই ভাল না? এখানেইত জ্ঞানী আর অজ্ঞানীর পরিচয়। কোরান পড়ে কেউ হয় শয়তান , কেউ হয় আলেম (আক্ষরিক বিদ্যান), কেউ হয় জ্ঞানী। একই কাগজে কালিতে ছাপানো বই কিন্তু। এমন যদি হত আমার কাছে একতা টাইম মেশিন আছে তাহলে আমি নিজে ঐ সময় যেতাম সাথে আপনাদেরকেও নিয়ে যেতাম। দেখায় নিএ আসতাম। এখনাএ বিশ্বাস আসছে প্রথমে পরে এর সত্যতা যাচাই। বিশ্বাস কাকে করবেন?
আপনার শেষের সবগুলো লাইনের উত্তর হল যদি সত্য জানতে চান তাহলে সাধনায় আসতে হবে।সব কিছু পড়ে জানা, বোহা বিশ্বাস করা সম্ভব হয়না। মোহাম্মদি ইসলাম এত উচ্চাঙ্গের এক জীবন দর্শন যা সাধারনের জন্য পালনীয় বা অনুসরনীয় নয়, একে সাধারনের আওতায় নিয়ে এসে ইয়াজিদ থেকে আজও সকলে মেজরিটির ডংগা বাজাচ্ছে।
বললে অনেক কিছুই বলা যায়, আবার সেই বিশ্বাস চলে আসে। আপনে কারটা গ্রহন করবেন? যেমন বিজ্ঞানের কথা শুনলে অনেকেই একটু গম্ভির ভাব দেখায়, নিজেকে বিজ্ঞানমনষ্ক বলে বেড়ায়; এদিক, ওদিক কত কি? যুক্তিবাদি ভাব দেখায়, কত কি মিলানোর চেষ্টা, মূলত সেও কিন্তু বিজ্ঞানের উপর বিশ্বাস করে বসে আছে, কিছু একটা দেখছে, প্রমান পেয়েছে তারপর থেকে সবই তার বিশ্বাস আর মিলায় দেখার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞান এই কথা বলেছে, ওমক বিজ্ঞানী এই কথা বলেছে সবই ঠিক, বাহ বাহ হাতে তালি অথচ নিজে যাচাই করে দেখলনা। সেইরকম ধর্মের নাম শুনলেই অনেকে বিশ্বাস করে বসে, হাতে তালি দেয়, আবার কেউ ধর্মকে ধুরধুর করে বেড়ায় কিন্তু নিজে কখনও সেই হেরা গুহার মত সাধনায় গেলনা, শুনেই গালাগালি …। কেমন হল বিষয়টা? বিশেষ করে সমস্যা হল বিজ্ঞান আর ধর্ম হল একই পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ, দুটোকে এক করা যাবেনা, আবার আলাদাও করা যাবেনা। একটি (বিজ্ঞান্ন) প্রমান দেওয়া যায় অপরটির প্রমান করে নিতে হয় (ধর্ম-সাধনার দ্বারা)।
জানতে চাইলে জানানো যায়, জানতে না চাইলে হাজার চেষ্টা করেও লাভ নাই।
আচ্ছা আপনাকে আর একটা লিংক দেই, পড়বেনঃ
মোহাম্মদি ইসলাম সম্পর্কে সামান্য কিঞ্ছিত ধারনা পাবেন আশা রাখি।
যাইহোক এই বিষয়ে আর না। অনেক বড় হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@Russell,
আপনার মন্তব্যের অনেক বিষয়ের ব্যাপারে আমি আগের মন্তব্যে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। সেগুলো নিয়ে আপাতত আর কিছু বলছিনা ।
কোরান এবং হাদিসের স্পষ্ট উদ্বৃতি থাকা সত্তেও আপনি আজব হিসেবে সম্বোধন করেছেন। বিশেষ করে মোহাম্মদের দৈনন্দিন জীবন এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনার ব্যাপারে কোরানের যে সমস্ত আয়াত এবং হাদিসের বরাত দেয়া হয়েছে সেগুলোও কি আপনার কাছে আজব? তাহলে কোরান এবং হাদিসের ব্যাপারে আপনিও সন্দেহাতীত নন।
এ ব্যাপারে যদি আপনি উদাহরণ উত্থাপন করতেন তাহলে মন্তব্য করতে অনেকটা সুবিধা হত।
যা সাধারণের জন্য পালনীয় বা অনুসরণীয় নয় তা কেন সকলের জন্য পালনীয় হিসেবে বাধ্য করা হয়েছে? কোন জীবন দর্শন থেকেই মূলতঃ জীবনাদর্শ পেয়ে থাকে। জীবন দর্শনই যেখানে বোধগম্য নয় বা পালনীয় অনুসরনীয় নয় সেখানে এই জীবনাদর্শ অবশ্যই পালনীয় কি মানব জাতির জন্য অতিরিক্ত নয়?
সন্দেহ থেকেই বিশ্বাসের উৎপত্তি। সন্দেহটাকে ধারণ করার জন্য বিশ্বাস হচ্ছে তার একমাত্র অবলম্বন। এখানে বিজ্ঞানিরা তাদের আবিস্কার এবং থিওরির পিছনে যথাযথ যুক্তি এবং প্রমান দেখিয়ে সবার যাচাই বাছাইয়ের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়। তারপর অন্যান্য বিজ্ঞানিরা বারবার একই ধরণের ফলাফল পেলে তা বৈজ্ঞানিক আবিস্কার এবং থিওরি হিসেবে বিজ্ঞান মহলে তথা সর্বসাধারণের কাছে স্বীকৃতি পায়। এখানে আপনার বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোন গুরুত্ব নেই। আপনি বিশ্বাস না করলেও প্রমান উদাও হয়ে যাবে না, আবার বিশ্বাস করলেও উক্ত আবিস্কারে কোন প্রভাব পড়বে না। যেমন ধরুন, বৈজ্ঞানিক আবিস্কারঃ একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র। নির্দিষ্ট ফর্মূলা এবং প্রক্রিয়ায় তৈরী। সে অনুযায়ীই সে কাজ করে থাকে। এখন আপনি মনে মনে বিশ্বাস করুন এসি চললে কক্ষ গরম হবে। এখানে কি আপনার বিশ্বাসের কোন গুরুত্ব আছে? কেন আপনি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বাসকে এত বড় করে দেখছেন। বড় কথা হচ্ছে বিজ্ঞান কিন্তু আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে নাই। প্রক্রিয়া এবং ফলাফল স্পস্ট। সাধনাকারীদের কাছে বাস্তবিক বিজ্ঞান এবং ধর্মের কাল্পনিক গল্প আলাদা করা সম্ভব না হলে কারো কিছু করার নেই।
একটু চিন্তা করে দেখুনতো হেরা গুহার সাধনাটা যেভাবে করা হয়েছে এবং আমরা যদি কমপক্ষে আংশিক লোকজন তাই করি তাহলে অবস্থাটা কি দাড়াবে? যদিও আপনার ব্যাখ্যায় সাধনার প্রক্রিয়াটা স্পস্ট নয়। এত লোক গর্তে ঢুকে পড়ার চেয়ে মানবিক নৈতিকতাকে ধারণ করে ইহাজাগতিক জীবন যাপন করা কি শ্রেয় নয়? এই যদি হয় মোহাম্মদী ইসলামী উচ্চাঙ্গের জীবন দর্শনের সাধনার প্রক্রিয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@Badal Chowdhury,
পুরো মন্তব্যের যেইটা দিতে চেয়েছিলাম সেইটাত পাননাইঃ দাড়ান দিয়ে দিচ্ছি আবারঃ
মোহাম্মদ (সাঃ) মাওলা আলী (আঃ) কেই তাঁর প্রতিনীধী করে গিয়েছিলেনঃ (পর্বঃ১-৩) পড়বেন।
যাক এইভাবে ভাগ ভাগ করে দিলে ভাল হয় বুঝতে, বুঝাতে-
একদমযে গড়ে হারে সবই ভুল, বাতিল সেটা না, অনেক কিছুই আছে কোরানেও নতুন সংযোজন, পরিবর্তন হয়েছে, পরিবর্ধন হয়েছে, আবার হাদিসেরত তুলনাই নাই, বিশেষ করে আবার এসবের যে তফসির আর অর্থ করা হয়েছে তা দেখে রীতিমত রাজা বাদশাদের আমলের চাবুকের কথা স্মরন করে দেয়, যেখানে ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) এর বাংলাদেশে অনুবাদকৃত বই দেখেই বমি এসে যায় সেখানে কোরানত …
আসলে ইহাও এত ব্যপক এক বিষয় যে বর্ননা করতে গেলে … যাইহোক আর একটি লেখা দেই আপনাকে পড়বেনঃ
যদি এই লেখা কিঞ্চিত বুঝতে পারেন, উপলব্ধি করতে পারেন তাহলেও মোহাম্মদি ইসলামের খুবই সামান্য কিঞ্চিত ধারনে পেতে পারেন। যদিও বুঝবেন কিনা সন্দেহ কেননা আপনে ধরেই নিয়েছেন বিশ্বাস করবই না, (আমার ধারনা)।
হুমম ইহাত আমারও কথা, তবে এর উত্তরও দিয়ে দিয়েছি। এই প্রথা বলা যায় শুরু হয়েছিল বকরের সময় থেকেই, ওমরের সময় এর রুপ আরও প্রকোট আকার ধারন করে, ওসমানের সময় থেকে এর কুফলতা আরম্ভ হয় তবে এই গতি তাও বাড়তে থাকে, আলীর সময় পার হয়ে ইহা ধীরে ধীরে বহমান হতেই থাকে।যাইহোক মোহম্মাদ কখনই জোড় করেননি ইসলামে দিক্ষিত হও বা ইসলামী রাষ্ট্র বাড়াবার জন্য তিনি কখনই যুদ্ধ করেননি। যদি কোথাও পান তিনি ইসলামী রাষ্ট্র জয়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন- এইধরনের মন্তব্য পেয়ে থাকেন তাহলে তা ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন- এখানে আপনাকে হয় মোল্লাদের বিশ্বাস করতে হবে, অথবা আকাশ মালিক নামক বিদ্যানদের, অথবা আমার এই লেখাকে। বিশ্বাস আপনে করবেনই, ইহা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, কিন্তু করবেন কোনটা সেইটাই হল প্রশ্ন। এখানেই আসে কোরান পড়ে কেউ মোল্লা (শয়তান) , আক্ষরিক বিদ্যান ( আকাশ মালিক জাতীয়/ আমি ব্যক্তি গত আক্রমন করছিনা , কেউ ভুল বুঝবেন না দয়া করে, এছাড়া আর এইরুপ উদাহরন খুজে পাচ্ছিনা বিধায় আর বিশেষ করে প্রশ্ন কারী ইনার নামটাই বলেছেন), আর জ্ঞানী যেমন নজরুল/লালন (এইধরনের মানুষ)। যারা বিদ্যার জাহাজ না তবে সত্যকারী জ্ঞানী। মানবাত্নার উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমার উপরের লেখাগুলো পড়বেন। প্রথমে আপনাকে বিশ্বাসে ঢুকতেই হবে, নয়ত এই জগতে প্রবেশ না করাই ভাল। এবং বিশ্বাসের পরই আগাতে হবে, অনুমানের এই বিশ্বাসকে জয় করে সত্য বাস্তব রুপ সামনে আসবে। ধর্ম বাস্তবতা, সত্যের, যুক্তির বাইরে নয়- ইহা আমার কথা নয় বরং মহামানবগনদের কথা।
সাধনার বিষয় লিখে হয়না, কর্মে যেতে হয়, যাইহোক এই নিয়ে না আগাই। ইহা ব্যপক, বিস্তৃর্ন। সুতরাং গর্তে ঢুকে সাধনার তাও বলিনি, সেটা সবার কাজও নয়, ইহাত খুবই স্বাভাবিক। সবাই যদি জেলে হয় তাহলে কৃষক হবে কে? একারনেইত বলা হচ্ছে তোমার যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে কথা বলনা। তুমি জাননা মোহাম্মাদ কে? তুমি তার সাথে কথা বলেছ?তার সাথে তুমি থেকেছ? সে কি তোমার সামনে এইরুপ কাজ করেছে? সুতরাং তুমি কিভাবে বললে মোহাম্মদ চোর, বাটপার, ধর্ষনকারী? বই পড়ে? আর একজনের মুখে? সেটা বাস্তব না। আগে নিজে বাস্তবে আস তারপর বল। ইহা আমার কথা না। আর এক সাধকের কথা। আর আপনে বলেছেন মানবিক নৈতিকতা ধারন করে সামাজিক জীবন…কথা শুনে ভাল লাগল, তবে লেজে গোবরে একাকার হয়ে গেল। এই বলছেন নৈতিকতা কিন্তু নৈতিকতার ভিতর এই না জেনে , না বুঝে গালাগালি আসল কিভাবে? সক্রেটিস ভাল, তাকে উঠালেন আসমানে, আর মোহাম্মদকে নামালেন জমিনেরও নীচে? বাহ। এই যদি নৈতিকতা তাহলে বলতে হয়…থাক।
ইহা সামান্য একটা কমন সেন্সের বিষয়, যেখানে বিশ্বের আরও জ্ঞানীরা (মোল্লারা না/সৌদি বাদশা না, বা লোভি কামুক রাজনীতিবীদ না)স্বীকৃত দিচ্ছেন মোহাম্মাদ একজন উচ্চপর্যায়ের মানুষ সেখানে দু-চার অক্ষর কলম জেনে তাকে গালাগালি দেয়া কি শোভা পায় বলুন? দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা কই থেকে না কই থেকে জেনে শুনে এসেই, কারও কাছ থেকে শুনে এসে বলে দিলাম তিনি ডাকাত, লুটতরাজ, কামুক??? অথচ ধর্মের কিছুই জানেনা।বুঝেনা। গর্তে যাক, যেয়ে দেখুক তারপরে বলুক যে কে কেমন। যদি ধর্ম নিয়ে কথা বলতেই হয়। এখানে গর্ত কিন্তু ঐ হেরা গুহা না। বললে অনেক কথাই বলা যায়। বিজ্ঞান নিয়ে বলছিনা। দুইটা দুই ধারার বিষয়, দুই মেরু তবে একে অপরের পরিপুরক।
@Russell,
লিংক আসছেনা কেন বুঝতেছিনাঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/russell_farid
এই সাইটে মোহাম্মদ (সাঃ) মাওলা আলী (আঃ) কেই তাঁর প্রতিনীধী করে গিয়েছিলেনঃ (পর্বঃ১-৩) পড়বেন।
আর এই লিংক এর লেখাটা যদি পারেন ত পড়োবেনঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/manush_007/29039555
@Russell,
আপনি তো দেখি সবই বাতিল করা শুরু করে দিচ্ছেন। আপনাদের প্রয়োজন মত সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে থাকেন। আপনারাই ঠিক করতে পারেন নি আপনাদের মূল অবলম্বন কি? আপনি যেমন আপনার লিংকে কোরান হাদিস থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন তেমনি মোল্লা এবং লাদেন মামারাও একই কাজ করেছে। তর্কে জেতার জন্য অবস্থান পরিবর্তন (ডিগবাজি) করলে মস্তিস্কে কখনো যুক্তি ঢুকবে না। আগামী মন্তব্যে আরও কি কি সংযোজন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আমরা দেখব তা আমাদের ধারণাতীত।
আবার সেই বিশ্বাস। আমি প্রথমেই বলেছি ভাববাদ এবং বস্তুবাদ আলাদা ব্যাপার।
বাহ। ভালই বলেছেন। জ্ঞানী তা মানি কিন্তু আমাদের আলোচ্য বিষয়ের উপরে না। কল্পনাপ্রবন সাহিত্যিকদের মতামত সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না।
গালাগালি এক জিনিস আর একজনের জীবন দর্শনের কুনীতিগুলোকে তুলে ধরা আর এক জিনিস। আপনি যে কোরআন হাদিসের আলোকে তাকে ধোয়া তুলসি পাতা বানাচ্ছেন সেখানেই মুলতঃ নিহিত রয়েছে তার ঠিক বিপরীত ধর্মী উপদান।
এটা কোন যুক্তি নয়। একধরনের দম্ভোক্তি মাত্র। রোগের চিকিৎসা করতে হলে ডাক্তারকে ঐ রোগে আক্রান্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তাই না?
দুইটা দুই ধারার ঠিক আছে। কিন্তু পরিপুরক বলে আবার সেই সনাতনি প্যাঁচ।
আপনার প্রথম লিংকের কথা বলি। এটা মুলত আপনাদের শিয়া-সুন্নির মধ্যে বিতর্কের জন্য প্রযোজ্য। আমার আপত্তি এখানে তো আছেই কিন্তু ধর্মের মূলের সাথে যে প্রশ্ন সেটার জন্য এই কোন কাজে আসবে না। আর আপনিও ঐ একই কোরানের উদ্বৃতি দিলেন। যালিকাল কিতাবুল লারাইবা ফি বলে কথা।
২য় লিংক । জটিলতা আরো বেড়ে গেল। মন্তব্যের আর প্রয়োজন মনে করছিনা। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের ব্যাপার তো।
@Badal Chowdhury,
মূল আলোচনাঃ আমি বিশ্বাস করেছি মোহাম্মদ, সক্রেটিস ইনারা সবই একই উচ্চতার মানুষ, আর আপনারা মোহাম্মদকে গালি দিয়ে সক্রেটিসকে উপরে উঠানোর স্বস্তির ঢেকুর তুলছেন।
আর কথা না আগাই- আপনে আসল বিষয় বস্তই ধরতে পারছেন না, শুধু উলটা পালটা তর্কের ভিতর যাচ্ছেন, না আপনে কোন যুক্তি দেখালেন-যা বললাম সেইটা শুধু প্রত্যাক্ষান করে গেলেন আর একটা অবজ্ঞার হাসি দিলেন যে-আমাদের শিয়া সুন্নির লড়াই এই জাতীয়। আমি কি আপনাকে বলেছি আমি শিয়া? সুন্নি? আপনাকে ইতিহাস পড়াইলাম। এর জন্য আমাদের শিয়া সুন্নি বানায় দিলেন। বুঝার মস্তক টুকু নাই …থাক। আপনাকে বলব একটা আর বুঝে উল্টায় মন্তব্য করবেন আর একটা। এর থেকে ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন
@Russell,
আবারো বলছি, গালাগালি আর একজনের জীবন দর্শনের কুনীতিগুলোকে তুলে ধরা এক জিনিস নয়। আর মোহাম্মদকে গালি দেয়া হয়েছে এটাই বা নিশ্চিত হলেন কি করে? বিশ্বাস বলে কথা। তার কুদর্শন গুলোকে অস্বীকার করতেও তো পারলেন না।
আমি কি ইতিহাসের বাইর থেকে উদৃতি দিয়েছিলাম? ইতিহাস একটা পড়ালেন বটে। আর তার ভিত্তি (আপনার মতেই) একদমযে গড়ে হারে সবই ভুল, বাতিল সেটা না, অনেক কিছুই আছে কোরানেও নতুন সংযোজন, পরিবর্তন হয়েছে, পরিবর্ধন হয়েছে, আবার হাদিসেরত তুলনাই নাই এই একই বমি এসে যাওয়া জিনিস। আপনার লিংকের ব্যাপারে তার চেয়ে বেশি কিছু আর বলব না। প্রত্যাখান তো আপনিই করে দিয়েছেন। কোরান ও হাদিস হতে আপনার প্রয়োজনীয় গুলো রেখে বাকি সবই প্রত্যাখান করে দিলেন। যাক এবারো তাই হলো, মুক্ত মনায় প্রতিবারে যা হয়। শেষের দিকের জবাবগুলো আপনাদের এইরকমই হয়। অবলম্বনটা যে বড়ই টুকনু।
@Russell,
রাসেল সাহেব আপনার এবং বাদল চৌধুরীর বির্তকসমূহ দেখে কিছু বলতে হলো ঃ
রাসেল ভাই আপনি আগে নিজে ঠিক করুন কোন গ্রন্থ আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য? কোরান না হাদীস? আর সেইটাই বা কোন কোরান ও হাদীস যা, পরিমার্জিত, পরিশোধিত? আল্লার কথাও তাহলে পরিবর্তনযোগ্য, কোন প্রকার ওহী ব্যতিত। নিজের সাথে বিরোধ করার দরকার কি?
বড় বুঝনেওয়ালা গো। এই টুকুতেই বিষ পড়ে গেল? বুঝাতে নাপারলে আপনাদের তলোয়ার তো আছেই। আপনারা তো আল্লার লোক। আপনারা তো বুঝ মাথা নিয়েই এসেছেন। আল্লাই তো হেদায়েতের মালিক। আমাদের কি দোষ বলুন?
হুমম…নিরপেক্ষতা থেকে এক ইঞ্চি এদিক থেকে ওদিক হলেই কানা হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়, বিশেষ করে যখন আলোচনায় মন্তব্য দিতে হয়।
সক্রেটিস এক গোত্রের উপরে সত্যের আলো দিতে চেয়েছিলেন, ঈসা আসলেন আর এক গোত্রের উপর, তিনিও হত্যা হলেন। মোহাম্মদ এসেছিলেন আর এক গোত্রের উপর। তিনিও অত্যাচারিত কম হন নি সেটা নয়। তিনি হত্যা হন নি। সম্ভবত সক্রেটিস বলেছিলেন thy ur self; আর নবী বলেছিলেনঃ মান আরাফা নাফসাহু,ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু-গৌতম বুদ্ধও তার ভাষায় একই কথাই বলে গেছেন- সব ধর্মের একটাই কথা- “নিজেকে চিন” এর বাইরে কিছুই না। এই বুঝাইতেই হাজার প্যচ, হাজার অনুষ্ঠান, কর্ম…ইত্যাদি।
হুমায়ুন আজাদ সাহেব নিজেকে চিনবার পথে, শুরুতে যে হাজার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন সেইসব কিছু সুন্দর করে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি তখনও নিজেকে চিনতে পারেনি।
যেমন মনসুর হাল্লাজ তিনি নিজেকে চিনার পরে বলে বসেছিলেন ” আনাল হক” আবার নজরুল বলে বসেছেন-” স্রষ্টা”। এখানে সবাই কিন্তু মূলত একই দড়ির বিভিন্ন গাট। আর কিছুই না। সেই সৃষ্টির শুরু হতে আজব্ধি, এবং এর পরেও যারাই আসুক না কেন যত জ্ঞানী গুনীজন দেখবেন ঘুরায় প্যচায় সবাই একটা কথা বলছেন “নিজেকে চিন”
প্রতি ধর্মেরই এক একটি অনুষ্ঠান আছে, কিছু প্রতীক আছে, যুগের সাথে , দেশ জাতি মানুষের উপরে ভিত্তি করে এই সকল কিছু মহামানব গন দিয়ে থাকেন তার অনুসারীগনদের। পরবর্তীতে ভোগবাদি, ক্ষমতার লোভী স্বার্থপর কিছু মানুষের দ্বারা সেই ধর্মের প্রচার প্রসার অন্য পথে, বিপথে, ভিন্ন দিকে গতিশীল করে নিজেদের ক্ষমতা লাভের জন্য। আর অধিকাংশ সাধারন মানুষ সেই প্রচারে বন্যার জলের মত প্রবাহীত হয়ে আজ মূল ধর্মের দর্শণই পরিবর্তন হয়ে গেছে। এর জন্য ধর্মের যারা স্রষ্টা তাদের উপর অপবাদ না দেই।
আরেকটি নিধার্মিক সরলীকরন।
লেখককে বুঝতে হবে, সক্রেটিস বা হাইপেশিয়াকে মারার কারন ধর্মান্ধতা না ধর্মকে হাতিয়ার করে ক্ষমতাশীনদের গদির নিরাপত্তা?
লেখক যদি এটা বুঝতে চান, তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন-পৃথিবীর ইতিহাসে কোন কোন সময়ে মানুষের মুক্তি বুদ্ধির চর্চাকে সব থেকে বেশী গলা টেপা হয়েছে?
স্টালিন এবং হিটলারের আমলে যেভাবে মানবতার কন্ঠ রুদ্ধ হয়েছে, তার ধারে কাছে যেতে পেরেছে কোন ধর্মীয় মৌলবাদি রাষ্ট্র? এর মধ্যে স্টালিনের রাষ্ট্রত নাস্তিক ছিল। তাহলে আপনার এই যুক্তি মানলে, আস্তিকরাও বলবে [ এবং বলেও] নাস্তিকদের মানবতা নেই, নৈতিকতা নেই, তাই নাস্তিক রাজ্যে সব থেকে বেশী দমন নিপীড়ন হয়!
আপনিকি সেটা মানবেন?
তখন কিন্ত আপনি ঘুরে গিয়ে বলবেন স্টালিনের খুনোখুনির সাথে নাস্তিকতার যোগ নেই-কারন সে খুন করেছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ( বা কমিনিউজমের নামে)।
শেষের কথাটা যেহেতু সত্যি-সেহেতু ইতিহাস আরেকটু ভাল করে পড়লে দেখতে পাবেন, এই ধরনের যুক্তিবাদিদের হত্যার পেছনে আসল খেলাটা রাজনৈতিক ক্ষমতার-কারন তাদের যুক্তিবাদ ক্ষমতাশীনদের গদিকে আক্রমন করেছিল। আর সেই গদির উৎসছিল ধর্ম। ধর্ম যদি রাজনৈতিক গদির উৎসস্থল না হয়-তাহলে ধর্ম একটি নির্বিষ ঢ্যঁরস সাপ-আর যদি ধর্ম ক্ষমতার পাদানি হয়, তা হবে বিশাক্ত কালসাপ।
যে কোন দর্শনই যখন রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎসস্থল হয়ে ওঠে, তা মারাত্মক চেহারা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের কমিনিউস্টরা বা বামপন্থীরা অনেক উঁচু জাতের মানুষ-কারন তারা ক্ষমতা থেকে অনেক দূরে থেকেছে। আবার আমাদের রাজ্যে সব থেকে ছোটলোক অর্ধশিক্ষিত এবং বদমাইশগুলো হচ্ছে কমিনিউস্ট। কারন কমিনিউজম এখানে ক্ষমতার উৎস।
সুতরাং এই সমস্যার সমাধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজের উত্থানে-যেখানে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনগনের সরাসরি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা যায়-আমি কিন্ত পার্টিভিত্তিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের কথা বলছি না। কারন শেষের সিস্টেমটি আবার বণিকদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়।
সুতরাং মাওপিক দৃষ্টিতে দেখবেন না-নিধার্মিক দৃষ্টিও মাওপিক যদি আপনার জ্ঞানের পরিধি রাজনীতি এবং সমাজবিজ্ঞানে না আসে।
@বিপ্লব পাল, এক কথায় বলতে গেলে ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। তাই তো বিপ্লব বাবু।
@সুমিত দেবনাথ,
সিপিএমকে চোখের সামনে দেখে আমার উপলদ্ধি তাই। ইসলামের যা কিছু সুন্দর-সব প্রাক মদিনা সময়ের-যখন মহম্মদের কাছে ক্ষমতা ছিল না। সুফি , সহজিয়া বা বৈষ্ণবদের দর্শন ও চমৎকার-কারন এরা রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছে যায় নি। লেনিনের প্রাক বলশেভিক লেখা এবং পোষ্ট বলশেভিক লেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য। স্টালিন বলশেভিক বিপ্লবের আগে যত বেশী সময় ধরে প্রেম করেছেন ( নির্বাসনের কারনে), তত আন্দোলন করেন নি।
একে কি বলবেন? ক্ষমতা হচ্ছে ভয়ংকর এক মদ। যার নেশা এত তীব্র যে তা মহম্মদ সহ পৃথিবীর সবারই স্থলন ঘটিয়েছে। বাকুনীন এই জন্যে বলেছেন যে অতিবড় বিপ্লবীকেও মসনদে বসানোর পরে, সে হবে সব থেকে অত্যাচারী শাসক।
@বিপ্লব বাবু, আপনি নিশ্চয় ত্রিপুরা বা পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাই সি,পি,এম এর কুকান্ড দেখতে পাচ্ছেন। সত্যিই তাই ওরা মার্ক্স বাদের নাম করে এক একজন ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ওদের নীতি আজ ধুলায় মিশে পুঁজি বাদের জয়গান গাইছে।
@বিপ্লব পাল,
হুমম..
নিরপেক্ষ হওয়াটা খুবই কঠিন এক বিষয় বটে।
@বিপ্লব পাল,
মানসিকতার যথাযথ বিকাশের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় দিক হচ্ছে পরিবেশ। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবও অনেক সময় জ্ঞানের কল্যাণমূলক বিকাশের অন্তরায় হতে পারে। মুষ্টিমেয় যারা প্রতিকুল পরিবেশেও বুদ্ধির মুক্তির পক্ষে উল্লেখ যোগ্য অবদান রাখতে পেরেছে তাদের কথা ভিন্ন। এটা কিন্তু স্বাভাবিক না। সাধারণতঃ আমাদের এই পরিবেশে মুক্ত চেতনার বিকাশটা অতি ধীর গতি। তার জন্য আপনি দায়ী কাকে করবেন? রাজনীতি না ধর্মান্ধতা ? যেটাই বলেন রাজনীতি আর ধর্ম একাকার না হলে আপনিও বলতে পারতেনা, যুক্তিবাদিদের হত্যার পেছনে আসল খেলাটা রাজনৈতিক ক্ষমতার। মূলতঃ ধর্মই তার আসল যোগান। আমিও কিন্তু বলেছি একই কথাই এমনকি এধরনের স্বাধীন মতামতকে রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয় কোন প্রকার বাচ-বিচার ব্যতিরেকে।কেন নিষিদ্ধ করা হয়? তা তো আপনিই বলে দিলেন। রাজনীতি যখন কোন ধর্মান্ধতাকে সহানুভূতি দেখায় সেখানে কতটুকু নৈতিকতাবোধ কাজ করতে পারে? রাজনীতি ধর্মকে ব্যবহার করে পরিপুষ্ট নাকি ধর্মই রাজনীতির এই হিংস্র রূপের জন্য দায়ী? হয়ত দুই পক্ষেই সমান যুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু খেয়াল করতে হবে ধর্মের আছে মানুষকে অন্ধ করে রাখার একটি উপযুক্ত মন্ত্র। রাজনীতি এটাকে ব্যবহার করতে না পারলে যুক্তিবাদিদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্য সে কতটুকু জনমত পাবে? যুক্তিবাদিদের মারার কারণ যদি ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে ধর্মান্ধতাই কিন্তু এই সুযোগটা করে দিচ্ছে। হিটলারের আমলটাই যদি ধরেন, সেখানে কিন্তু সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের অস্তিত্ব বিদ্যমান। ইহুদিরাই হিটলারের মূল শিকার। হতে পারে ইহুদিরাই ছিল তার ক্ষমতার জন্য হুমকি (?)। তবুও ধর্মের কারনেই কিন্তু মানব জাতির এই বিভক্তি, বিদ্বেষ। এখানে কি হিটলারের নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ কিংবা অনুরাগের গন্ধ পাওয়া যায় না? স্টালিনের রাষ্ট্রত্ব নাস্তিক ছিল। পরকালের কোন ভয় নাই বলে অনৈতিক জীবন-যাপনের জন্য নাস্তিকতা কোন লাইসেন্স হতে পারে না। একজনের স্বঘোষিত নাস্তিকতার দায় কে নেবে? কমিনিউজম আর নাস্তিকতা কি এক? স্টালিনের ব্যাপারটা সময়ের তাৎক্ষনিক ফলাফল। সেটার প্রতিক্রিয়া সারা বিশ্ব এখন আর বহন করছে না। তার পতনের পর কদাচিৎ এখনো কোথাও কোথাও সেই নীতির আশ্রয়ে বিশৃংখলা ঘটছে। মহামারী আকারে ধারণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু ধর্মান্ধতার গ্রাস থেকে কি আমরা এখনো মুক্ত হতে পেরেছি? পারব বলেও কি মনে হয়? এই ফলাফলটা কিন্তু সুদুর প্রসারী।
@Badal Chowdhury,
কমিনিউস্টদের মধ্যেও আমি অন্ধ আর কানা প্রচুর দেখেছি। যারা ধর্মান্ধদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ধর্মান্ধতা বা এই ধরনের অন্ধত্বের মূল কারন সস্তার স্বর্গ! লোককে স্বর্গের আফিং খাইয়ে সব থেকে বেশী কাজ হাঁসিল করা সম্ভব।
বাদলবাবু অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই লেখার জন্য। আমরাও চোখ থাকিতে কানা। মুখ খোলার কি ক্ষমতা কি আছে আজকের যুগেও? ধর্মান্ধতার বাইরে চিন্তা করা মানে সমাজ থেকে সরে যাওয়া। আপনার নামের পাশে এটে যাবে নাস্তিক পাপী। আসলে যারা আসল পাপী তারা তো মানুষের চোখ ঢেকে রেখেছে যুগ যুগ ধরে। আমাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশে মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেই শিক্ষা তো চাকুরী পাওয়া বা বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানোর জন্য জ্ঞান লাভের জন্য নয়। কোন রকম মুখস্ত করে পরীক্ষা পাশ আসল লক্ষ্য। জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ সেখানে মানুষে মানবিক বিকাশ কি করে হবে? সাম্প্রতিক একটা ঘটনা বলি যা ত্রিপুরার বিভিন্ন দৈনিকে আলোচ্য বিষয় ত্রিপুরার দুধপুর বলে একটা জায়গায় এক সাধুর আবিভাব হয়েছে উনি বেল পাতার ছিটে দিয়ে বিভিন্ন রোগ ভাল করে করে দিচ্ছে। আর রোজ হাজার হাজার মানুষের ভীড়। এখানে উচ্চশিক্ষিত মানুষরাও চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। প্রশাসন চুপ সেন্সেটিভ ব্যাপার। আমার এক বিজ্ঞান শিক্ষক বন্ধুকে কথাটা বললাম বিজ্ঞানের উন্নতির যুগে এই কি হচ্ছে তার উত্তর বিজ্ঞান সব সমস্যার সমাধান করতে পারে না এর বাইরেও কিছু থেকে যায়। এই বিশ্ব বদলাতে আর কত শতক যাবে জানি না? আরো কত সক্রেটিস প্রাণ দিতে হবে?
:yes:
স্বাগতম, মুক্তমনায়। লেখাটি ভাল লেগেছে। লিখে চলুন আরো।