ধর্ম বিষয়ে বোকামেয়ের ৬০টি জিজ্ঞাসা
– বোকামেয়ে, ঢাকা
কোরআনের বাংলা অনুবাদ, হাদিস ও ইসলাম ধর্মবিষয়ক অনেক বই পড়তে গিয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা মাথায় আসে, যার জবাব পাচ্ছি না। এই জিজ্ঞাসাগুলো আমার এক সিনিয়র আপার মাধ্যমে দেশব্যাপী সুপরিচিত আলেমের নিকট পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমাকে দেখা করতে বলেছিলেন। আমি লিখিত জিজ্ঞাসার লিখিত জবাব চেয়েছিলাম। আরেক আলেম বলেছিলেন এসব প্রশ্ন করা যাবে না? বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু এ যুগে জিজ্ঞসার জবাব না পেয়ে বিশ্বাস করা মুশকিল। তাই জানার আগ্রহ নিয়ে ষাটটি জিজ্ঞাসা নিম্নে প্রদান করলাম।
১। আল্লার ইচ্ছাতেই যদি সবকিছু হয় তবে মানুষের পাপপূণ্যও তার ইচ্ছাতেই হয়। আল্লার ইচ্ছাতেই যদি মানুষ পাপ-পূণ্য করে তবে মানুষের অপরাধ কোথায়? জন্মের আগেই ভাগ্য নির্ধারিত হলে মানুষের করণীয় কি?
২। আত্মা স্বাধীন নয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে পরাধীন আত্মার পাপপূণ্যের বিচার কার বিরুদ্ধে হওয়া উচিৎ, নিয়ন্ত্রণকারীর না নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে?
৩। আল্লাহর ইচ্ছাতেই যদি সব কিছু হয় তবে ফেরেস্তার দরকার কি? আজরাইলের জান কবজ করতে আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নিতে যে সময় ব্যয় হয়, সেই সময়ে আল্লাহ নিজেই কাজটি করতে পারেন কিনা?
৪। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও মধ্যাহ্ন সর্বত্র স্থির নয়। ঢাকাতে যখন ঠিক সূর্যোদয় তখন মক্কায় রাত্রি, কলকাতায় সূবহে সাদেক। অর্থাৎ এক স্থানের নামাজের জন্য নিষিদ্ধ সময়ে অন্য স্থানে নামাজ পড়া হচ্ছে। তাহলে নামাজের সময় নিষিদ্ধ থাকল কিভাবে?
৫। সূর্যকে ৭০ হাজার ফেরেস্তা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় সোনার নৌকায় করে। সূর্য রাত্রে আশের নিচে বসে জিকির করে, পূনরায় ভোরে পূর্বাকাশে দেখা দেয়। অথচ প্রকৃত সত্য যে, পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণেই দিবারাত্র হয় এবং সূর্যের বসে থাকা বলতে কিছু নেই। এ ভুল ব্যাখ্যার কারণ কি?
৬। সূর্যের সাত মুখ নাকি উল্টা দিকে। হাশরের ময়দানে সূর্যের সাত মুখ দেখা যাবে অথচ সূর্য আপন অক্ষের উপর ঘুরছে বলে সব পিঠই দেখা যায়। তাহলে ধর্মগ্রন্থের বর্ণিত সাতমুখ কোধায় গেল?
৭। হাওয়া গন্ধম খাওয়াতে গন্ধম গাছের অভিশাপে তার রজস্রাব ও সন্তান প্রসবের কষ্ট হয়। অন্য প্রাণীরা গন্ধম খায় নাই তাহলে একই কষ্ট তাদের কেন হয়? আদম যদি গন্ধম না খাইত তাহলে স্বর্গেই থেকে যেত। তাহলে আল্লাহ বেহেস্ত দোজখ কেন সৃষ্টি করেছিলেন? আদমের আগেই নাকি হযরত মুহম্মদকে সৃষ্টি করেছেন মানুষকে হেদায়েতের জন্য। আদম গন্ধম না খেলে মুহম্মদের সৃষ্টির প্রয়োজন কেন? তাহলে আদম কি আল্লহর ইচ্ছাতেই গন্ধম খেয়েছে? আদমকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য পৃথিবীতে মানুষের পদচারণা ঘটানো, তাহলে তাকে স্বর্গে রাখল কেন?
৮। সমাজবিজ্ঞান মতে আদিম মানুষ কথা এবং ভাষা জানত না। কিন্তু ধর্ম মতে আদম কথা বলতে পারত। সমাজবিজ্ঞানের ধর্মবিরোধী প্রচারণা মেনে নিচ্ছেন কেন? প্রতিবাদ করলে তার যুক্তি কি?
৯। ছয় দিনে কিভাবে সবকিছু সৃষ্টি সম্ভব? সূর্য সৃষ্টির আগে কিভাবে দিন হত বা কাউন্ট হত? পৃথিবীর বাইরে সময় কি? এসব স্পষ্ট বুঝা না গেলে কোরানে লেখা হয়েছে কেন?
১০। চন্দ্রকে নূরের তৈরি এবং সূর্যকে প্রদীপ বা আগুণ বলা হয়েছে। চন্দ্র নূরের তৈরি নয় এবং সূর্যের পুরো অংশ আগুন নয়। তাহলে কোরানের একথা কিভাবে সত্য হল। [৭১:১৫-১৬; ২৫:৬১] আয়াতে বলা হয়েছে চন্দ্র আলো প্রদান কারী উৎস। বর্তমানে স্পষ্টতই দেখা গিয়েছে চন্দ্রের নিজস্ব আলো নেই। অর্থাৎ চন্দ্র আলোর উৎস নয়। এর ব্যাখ্যা কি?
১১। দিনকে মানুষ সাত ভাগে ভাগ করেছে। যদি ছয় বা আট ভাগে ভাগ করত তাহলে পরের শুক্রবার সাতদিন পর আসত না। তাহলে মানুষের ভাগ করা দিনের এত গুরুত্ব আল্লাহর কাছে কেন?
১২। সাত আসমানের বর্তমান ব্যাখ্যা কি হবে? [৭৮:১২-১৩] আসমানের তারাগুলোকে সৌন্দর্যতার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ তারাগুলোর ব্যবধান কোটি কোটি মাইল এবং পৃথিবী ও সূর্যের চেয়ে লক্ষগুণ বড়ও আছে। শুধু সামান্য শোভাবৃদ্ধির জন্য এত বিশাল সৃষ্টি কে? [২৩:৮৬;২:২৯; ২৩:১৭; ৬৭:৩ ইত্যাদি]
১৩। আসমান ও জমিনের হিসাবটা কেমন? পৃথিবী গোল হলে এর চার দিকেই মহাবিশ্ব। এই ক্ষুদ্র পৃথিবীটাই কি জমিন? তাহলে আসমান ছাদ হয় কিভাবে?[৭৮ঃ১২-১৩] জমিন ও আসমানের মাঝখানে চন্দ্র, সূর্য, তারকা থাকলে আকাশ কি? আকাশ কি কঠিন পদার্থ? তা না হলে ধরে রাখার কি আছে? [৫০:৬; ৩১:১০; ১৩:২; ৫৫:৭; ২২:৬৫ ইত্যাদি]
১৪। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে কোরানের ব্যাখ্যা এর বিপরীত কে? [২১:৩৩, ৩৬:৪, সুরা ইয়াসিন]
১৫। মক্কার ঠিক উপরে আরশ বা বায়তুল মোকাদ্দাছ। যেহেতু পৃথিবী ঘুর্ণায়মান ও সূয়ের চারিদিকে ঘুরে এবং সূর্যও তার গ্রহ-উপগ্রহদের নিয়ে দূর লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তাহলে মক্কার ঠিক উপরে বায়তুল মোকাদ্দাস সব সময় কি করে ঠিক থাকবে? কোথায় থাকবে?
১৬। দশই রমজান শুক্রবার কেয়ামত। বাংলাদেশে যখন শুক্রবার তখন আরেকিায় শুক্রবার নয়: মক্কায় বাংলাদেশের একদিন বা দুইদিন আগেই দশই রমজান হয়ে থাকে। তাহলে কিয়ামত সর্বত্র কিভাবে দশই রমজান হবে?
১৭। সবেরবাত আরে ও বাংলাদেশে একদিনে হয় না। সবেবরাতের আগের দিন বাংলাদেশ থেকে দ্রুতগামী বিমানে সৌদি আরব গেলে দেখা যাবে সেখানে সবেবরাত একদিন আগেই হয়ে গেছে। তাহলে সে কিভাবে সবে বরাত পালন করবে? উল্টা ঘটলে দুবার সবেবরাত পাবে কে?
১৮। কিছু কিছু দিন বেহেস্তের দরজা খোলা থাকে। ঐ দিনটা সারা পৃথিবীতে একে স্থানে একেদিন হলে বেহেস্তেও দরজা কদিন খোলা থাকবে?
১৯। মেরুতে ছয়মাস দিন ও ছয় মাস রাত থাকে। সেখানে কিভাবে নামাজ রোজা পালন করবে?
২০। কেন বেহেস্থে যাব? আল্লাহর ইচ্ছায়, নবীর সুপারিশে, হোসেনের সুপারিশে নাকী পূণ্যের জোরে? সীমার কেন বেহেস্তে যাবে? বর্তমান রূপে নামাজ না পড়ে অন্য নবীরা কিভাবে বেহেস্থে যাবে?
২১। আল্লাহ যদি নবীর সুপারিশ গ্রহণ করেন তাহলে নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করবেন কিভাবে? ব্যাখ্যা কি? তাহলে নির্বাহী প্রধান কে?
২২। যারা কোনদিন ইসলামের দাওয়াত পায়নি এবং কোন অপরাধ করেনি তারা কেন বেহেস্তে যাবে না? গোলাম আজম কোন দিন না কোনদিন বেহেস্তে প্রবেশ করবে মুসলিম বলে অথচ মাদার তেরেসা প্রবেশ করবেন না অমুসলিম বলে এটা কি ন্যায় বিচার?
২৩। বিধর্মী শিশুরা কেন মুসলমান শিশুদের মত বেহেস্ত পাবে না? শিশুরা নিষ্পাপ নয় কি?
২৪। পুরুষ বেহেস্তে কমপক্ষে ৭০টি হুরী ও তার স্ত্রীকে পাবে এবং নারী বেহেস্তে গোলেমান ও তার স্বামীকে পাবে। তাহলে পুণ্যবান পুরুষের পাপিষ্ঠা স্ত্রী এবং পূণ্যবতী নারীর পাপী স্বামীও কি বেহেস্তে যাবে?
২৫। সব ধর্মই বলে সেই ধর্মপন্থী ছাড়া অন্য কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না এবং সেই ধর্ম বিরোধী প্রশ্ন করা যাবে না। পৃথিবীতে সহস্রাধীক ধর্ম এখনো জীবিত আছে। ইসলামের অনেকগুলো ভাগ আছে। আবার উপভাগও আছে। যেমন আমরা সুন্নী ভাগের হানাফী উপভাগের। আমাদের মতে শুধু হানাফিরাই সঠিক পথে আছেন। এরকম প্রত্যেকের মনোভাব একই। তাহলে অন্য কোন ধর্মও সত্য হতে পারে অথবা মিথ্যা হতে পারে সবগুলোই।
২৬। মানুষের জান খতম করে আজরাইল। তাহলে একজনকে খুন করার অপরাধে কোন ব্যক্তি দায়ী হবে কেন? অথচ খুনের বদলে খুনের কথা কোন কোন নবীও বলেছেন। পাপের শাস্তি যদি পরকালেই হয় তাহলে ইহকালে শাস্তির বিধান কেন? এক অপরাধে শাস্তি দুবার হবে কেন?
২৭। আত্মা বা প্রাণ বা রুহু এবং মন আলাদা জিনিস। মানুষ যা কিছু করে তার জন্য দায়ী মন। তাহলে আত্মার শাস্তি কেন? তাহলে আত্মা ও মন কি এক জিনিস? অজ্ঞনাবস্থায় বা ঘুমন্ত অবস্থায় মনের অস্তিত্ব না থাকলেও প্রাণ থাকে। তাহলে দুটো আলাদা এর ব্যাখ্যা কি?
২৮। কৈ মাছ কাটলেও তার মধ্যে অনেকক্ষণ আত্মা বা প্রাণ থাকে। আবার টিকটিকির লেজ খসে পড়েও নড়াচড়া করে অর্থাৎ প্রাণ আছে। এ লেজে প্রাণ না থাকলে নড়ে কেন? কিছু কিছু গাছের ডাল কেটে বিভিন্ন স্থানে রোপন করলে প্রায় সবগুলোই স্বতন্ত্রভাবে বেঁচে যায়। ক্লোনিং করেও একটি কোষ থেকে প্রাণী সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাহলে কি আত্মার বিভক্তি হল? নাকি নতুন আত্মা আসল? আত্মা বীজে না এসে ডালে আসল কেন? বা ক্লোনিং শেষে এক আত্মা দুই দেহে প্রবেশ করে কি করে?
২৯। পৃথিবীতে প্রায় ৬শ কোটি মানুষ। রহিমের একটি ভাল কাজের জন্য আল্লাহ খুশি হলেন, ঠিক একই সময়ে করিমের খারাপ কাজে তিনি ক্রুদ্ধ হলেন। একই সময়ে এ দুটো বিপরীতমুখী কাজ কিভাবে সম্ভব।
৩০। বলা হয় আল্লাহ ন্যায়বান ও দযালূ। বিচার ক্ষেত্রে ন্যায় ও দয়ার একত্র সমাবেশ অসম্ভব। তাহলে বিচার কার্যে তিনি একই সময়ে ন্যায়বান ও দয়ালু কিভাবে হবেন?
৩১। যেহেতু মানুষের পক্ষে চার স্ত্রীর দিকে সমান দৃষ্টি দেয়া সম্ভব নয়, তাহলে এরকম বিধান কেন?
৩২। মুহম্মদের ছয় বছরের শিশু এবং ধর্ম পুত্রবধুসহ এতগুলো (১২-১৪টি) বিবাহের ব্যাখ্যা কি কি? এবং কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এবং প্রয়োজন কি ছিল? ইসলামী বিবাহ তালাক ও হিল্লার চেয়ে অনৈসলমিক সভ্য আইনগুলো ভাল নয়কি? কেন?
৩৩। ডাইনোসরসহ বিলুপ্ত প্রাণীদের সম্পর্কে কোরানে কোন তথ্য নেই। এছাড়া বিজ্ঞান আবিস্কৃত প্রাচীন সভ্যতার কথাও লেখা নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও তাদের অবস্থান সম্পর্কেও কিছু বলা নেই। কোরানে সেসব কথাই রয়েছে যা তৎকালীন সময়ে আরবের মানুষ জানতো বা অনুমান করতে পারত। এর কারণ কি?
৩৪। হোসেনের পরজয়ের পর হোসেন ও তার বংশধরদের হত্যাকারীরা প্রায় ৬শ বছর রাজত্ব চালায়। এরাই প্রকৃতপক্ষে ইসলামের প্রসার ঘটায়। মুহম্মদের বংশধরদের রক্তে যাদের হাত রঞ্জিত তাদের হাতে যারা মুসলমান হয়েছে তারা কি প্রকৃত মুসলমান হবে?
৩৫। মুসলমানদের মধ্যে অনেকগুলো ভাগ ও উপভাগ রয়েছে। এদের মধ্যে কারা প্রকৃত মুসলমান এবং কেন? অন্যরা কি মুসলমান নয়?
৩৬। কোরান নাকি বিজ্ঞান গ্রন্থ। একে রিসার্চ করে ইসলামী বিজ্ঞানীরা কি কি আবিষ্কার করেছে? রাইট ভ্রাতৃদ্বয় কোরান না জেনেও উড়োজাহাজ কি করে আবিষ্কার করল?
৩৭। আধুনিক সভ্যতা সৃষ্টিতে মুসলমানদের অবদান খুবই নগণ্য কেন? এরা বিপথে থাকলে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের অবদান এত বেশ কেন? তারা কি বিপথগামী নয়? বর্তমান পৃথিবীতে মুসলামনদের সংখ্যা মাত্র ২১% খ্রীষ্টান ৩৪ %, নাস্তিক/ ধর্মহীন ২১% এর মত। পৃথিবীর বেশিরভাগ মুসলমান নয়। অমুসলিম মানুষগণ জ্ঞানবিজ্ঞানেও এগিয়ে আছে। এই সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষরাই ভুল পথে আছে তার প্রমাণ কি?
৩৮। কোরানে দাসীদের ভোগ করার অধিকার দেয়া হয়েছে। একাটি ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী নয়? এছাড়া হাদিসে স্ত্রীকে জোর করে সহবাস করার অধিকারের কথা বলা হয়েছে- এটা কি ধর্ষণ নয়? তাহলে নারীর অধিকার কি ক্ষুন্ন করা হয় নাই?
৩৯। ইসলাম নারীদের ক্ষমতা গ্রহণ মেনে নেয় না কেন? আপনারা নারীদের ভোট দিতে দিচ্ছেন কেন? মেনে নিচ্ছেন কেন? অথচ জননাঙ্গ ছাড়া নারী পুরুষে কোন পার্থক্য নেই একথা সত্য নয় কি?
৪০। উসমানের ইসলাম বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করায় সাহাবা আবুজর গিফরীকে নির্বাসন দেয়া এবং তারা নিজের পছন্দসই কোরান বাদে বাকীগুলিকে পুরিয়ে ফেলার পরও সে কিভাবে আমাদের খলিফা? এছাড়া আলী বুদ্ধি, কৌশল এবং শেষে পেশিতে মোয়াবিয়ার কাছে পরাস্ত হলেন সে কিভাবে আল্লার তরবারী এবং খলিফা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? এছাড়া আবু বক্কর ও ওমরকে শ্বশুর এবং জামাতা অর্থাৎ আত্মীয়ার বন্ধনে আবদ্ধ করা কি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কৌশল নয়? চার খলিফাই একই বংশভূক্ত এবং কেউ জামাতা কেউ শ্বশুর এটা স্পষ্টতই পারিবারিককরণ নয় কি?
৪১। বিজ্ঞানীরা টেষ্ট টিউবে বিভিন্ন পদার্থের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ভাইরাস জাতীয় প্রাণী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা চলাচল সক্ষম ভাইরাস আত্মা ছাড়া কিভাবে বানালেন? সম্প্রতি কৃত্রিমভাবে তৈরি ডিএনএ মৃত ব্যাক্টিরিয়ার খোলসে প্রবেশ করিয়ে জীবিত করে তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। এখানে আত্মা কে বানালো?
৪২। নূহের নৌকায় এত প্রকারের ডাইনোসর , হাতি, সিংহ, বাঘ, গণ্ডার ছাড়াও কোটি কোটি প্রাণী ও বীজ কি করে রাখলেন? না রাখলে এরা বাঁচলো কি করে? সারা পৃথিবী জুড়ে পাহাড়ের সমান উচ্চতার বন্যার পানিগুলো কোথায় গেল?
৪৩। স্ত্রী ছাড়া শয়তানের বংশবৃদ্ধি কিভাবে হচ্ছে? শয়তানের স্ত্রী নাই অথচ একসাথে ১০টি সন্তান হচেছ কিভাবে? অমুসলিম দেশে শয়তানের অস্তিত্ব নাই কেন?
৪৪। জ্বিন কোথায়? থাকে অমুসলিম দেশে এর আভাস নাই কেন?
৪৫। ইমাম মেহেদী এত অস্ত্রের মুখে কেন তরবারী দিয়ে যুদ্ধ করবে এবং ঘোড়ায় করে সংবাদ পাঠাবে।
৪৬। হাতের মুঠোয় পৃথিবী, অথচ সাদ্দাদেও বেহেস্ত পৃথিবীর কোথায় রয়েছে এবং ইমাম মেহেদীর পরবর্তী কালের দানবরা কোথায় লুকিয়ে আছে জানা যাচ্ছে না কেন?
৪৭। বর্তমানে কোন বুজুর্গ মাজেজা দেখাতে পারছে না কেন? সঠিক কোন মুসলামান নেই কি?
৪৮। মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি। অন্য প্রাণীরা মাটির সৃষ্টি নয়। অথচ মানুষের কোষের সাথে অন্য প্রাণীর কোষে প্রচুর মিল রয়েছে। এমনকি গঠন পরিপাক, জনন প্রনালী অনেকটাই এক রমক অর্থাৎ তারা একই ভাবে সৃষ্টি। এর কারণ কি?
৪৯। ঈমানদারদের চেয়ে বেঈমানদাররা বেশি সৎ কাজ করছেন কেন? আল্লাহর রহমত মুসলমানদের উপর কি করে গেছে? মুসলমানদের সাফল্য এত কম কেন? মুসলমানরা অনেক ক্ষেত্রেই বিধর্মীদের দয়ায় বেঁচে থাকে কেন? তাহলে বিধর্মীরা কি আল্লাহর বেশি প্রিয় হয়ে যাচ্ছে?
৫০। চোর ডাকাতদের রেজেক কে দেয়? যদি আল্লাহই চোর ডাকাতদের রেকেজ এভাবেই দেয় তবে তাদেও করার কি আছে? জারজ সন্তানদের রুহু যদি আল্লাহই সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে শয়তান এখানে কি করেছে? মানুষের ভাগ্য ও হেদায়েত আল্লাহর হাতে থাকলে শয়তানের গুরুত্ব কি?
৫১। স্রষ্টা ছাড়া যদি কিছু সৃষ্টি না হয়। অর্থাৎ বলা হয় আল্লাহ না থাকলে এত সৃষ্টি হল কিভাবে এবং সুনিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কিভবে? তাহলে স্রষ্টা ছাড়া আল্লাহর নিজের সৃষ্টি কিভবে হল?
৫২। ধর্ম মানুষকে বলে দিচ্ছে এটা ঠিক ওটা বেঠিক, অর্থাৎ মানুষের জীবন যাপনের পথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আইনতো বদলায় কিন্তু কোরআন তো কোনভাবেই বদলাবে না? তাহলে কি মানব জাতির বুদ্ধির বিকাশকে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে না?
৫৩। মানুষকে লোভ দেখিয়ে কোন কাজ করানো বা ভয় দেখিয়ে কোন কাজ করানো অবশ্যই ঠিক নয়। তাহলে বেহেস্ত-দোজখের লোভ বা ভয় দেখিযে তাকে ধর্মের পথে আনানো কি সঠিক?
৫৪। ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে পৃথিবীর চারদিকে রয়েছে কোহেক্বাফ নামক পর্বত। বর্তমানে পৃথিবীর কোথায় কি আছে সব কিছুই মানুষের জানা। দূর্ভেদ্য সেই কোহেক্বাফ পর্বত বর্তমান পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
৫৫। মুসলমাদের জন্য কচ্ছপ ও শুকর খাওয়া নিষিদ্ধ । অথচ এদের মাংসের মধ্যে কোন কোন খারাপ উপাদান দেখা যাচ্ছে না বরং প্রায় অন্যান্য খাদ্যোপযোগী মাংসের মতোই। এদের খেতে না দেওয়ার প্রকৃত কারণ কি? তাহলে আল্লাহ এদের সৃষ্টিই করেছেন কেন?
৫৬। বৃষ্টিপাত নাকি মিকাইল ফেরেস্তা নিয়ন্ত্রন করেন। বৃষ্টিপাতের সিস্টেম আজ মানুষের জানা সেই সিস্টেমে মিকাইল ফেরেস্তার প্রয়োজন কোথায়? মানুষ বর্তমানে কৃত্রিম ভাবেও বৃষ্টি নামাচ্ছে। এটাকি মিকাইল ফেরেস্তার কাজে হস্তক্ষেপের সামিল নয়? তারপরেও তিনি নীরব কেন?
৫৭। মানুষের অনিষ্টকারী এবং অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রাণী পৃথিবীতে আছে। যেমন মশা, মছি, বিভিন্ন প্রকার জীবানু ইত্যাদি। এদের সৃষ্টি করার কারণ কি?
৫৮। ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে পৃথিবীতে আঠারো হাজার মাখলুকাত আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন। ডাইনোসরসহ কিছু প্রাণী বিলুপ্ত হওয়াতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা। অথচ দেখা যাচ্ছে এক অর্থোপোডা গোত্রই এদের চেয়ে বেশি সংখ্যক মাখলুকাত রয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে আঠারো হাজারের অনেক বেশি মাখলোকাত রয়েছে। বাকীরা এল কোথা থেকে?
৫৯। প্রায় সমস্ত ধর্মেই দেখা যাচ্ছে একজন আদিম পিতা ও মাতা রয়েছে। বিভিন্ন
ধর্মগ্রন্থে এদের নাম বিভিন্ন। অন্য ধর্ম যদি মিথ্যা হয় তাহলে তারা ইসলাম ধর্মগ্রন্থ আবির্ভাবের পূর্বে আদি পিতামাতার কথা জানল কি করে? বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে স্রষ্টার নাম ভিন্ন কেন?
৬০। মুসা নবীর হাতের লঠির আঘাতে নীল নদের মধ্য দিয়ে পানি শুকিয়ে রাস্তা হয়ে গিয়েছিল। নদীর স্রোত থাকায় এঘটনার প্রভাব ব্যাপকভাবে পরার কথা? পানি উপচে বন্যা হওয়ার কথা। প্রভাব পড়েছিল কি? আবার হযরত মুহম্মদের মেরাজ নিয়ে দুটি মত রয়েছে? বেশি প্রচলিত মতটি মতে সে সশরীরে মেরাজে গিয়েছিল। এটা সত্যি হতে হলে সারাবিশ্বব্যাপী তাপ, আলো, শৈথ্য, আবহাওয়া আনবিক অবস্থা, বায়ু ইত্যাদির ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন যার প্রভাব পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে পড়ার কথা অথচ তার যাত্রার কথা সে না বলা পর্যন্ত আর কেউ জানতেও পারে নি। মেরাজ স্বশরীরে কিভাবে সম্ভব?
এই বোকা মেয়ে শোন, কোরানের একটি আয়াতে বেশি প্রশ্ন করতে নিষেধ করা আছে।
ইসলাম নিয়ে আপনার প্রশ্ন থাকা অস্বাভাবিক নয়। উত্তর অবশ্যই আছে সব কিছুর। তবে আমার প্রশ্ন হলো, মাটির মূর্তিকে বিশ্বাসী ও বহু ঈশ্বরবাদী দের বিশ্বাস ও ধর্ম নিয়ে আপনারা কোনো প্রশ্ন করেন না । এটার কারণ জানতে চাই। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থা। হয়ত বা আপনার জানার আগ্রহ প্রশ্ন খুঁজা পর্যন্ত সীমা বদ্ধ ছিল তাই উত্তর খুঁজেন নাই। খুঁজলে অবশ্যই পাবেন। আর সাথে সাথে চাঁদ সূর্য পূজারী দের ব্যাপারে ও প্রশ্ন কইরেন।
এইখানে নকবি নিরব।
১০। চন্দ্রকে নূরের তৈরি এবং সূর্যকে প্রদীপ বা আগুণ বলা হয়েছে। চন্দ্র নূরের তৈরি নয় এবং সূর্যের পুরো অংশ আগুন নয়। তাহলে কোরানের একথা কিভাবে সত্য হল। [৭১:১৫-১৬; ২৫:৬১] আয়াতে বলা হয়েছে চন্দ্র আলো প্রদান কারী উৎস। বর্তমানে স্পষ্টতই দেখা গিয়েছে চন্দ্রের নিজস্ব আলো নেই। অর্থাৎ চন্দ্র আলোর উৎস নয়। এর ব্যাখ্যা কি?
আপনার অনেক গুলোর উত্তর আমার কাছে আছে, তবে সময়ের অভাবে লিখতে পারছি না,
অনেকে দেখছি আপনার উত্তর দিয়েছে তাই দিচ্ছি না, তবে কিছু ব্যাপারে আপনি পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যা করেছেন।
১০ নং আয়াতে এমন অপব্যাখ্যা করেছেন। আপনি কি চাঁদের আলো পৃথিবীতে পাননি বা দেখেননি, আলোর আলো নিয়ে কি কোন গান শোনেননি, চাঁদ প্রদীপের মতো আলো প্রদান করে না তবে reflected light বা প্রতিফলিত আলো প্রদান কারী।
71:15 নং আয়াতে চন্দ্র আলো প্রদানকারী বলা আছে… (কিন্তু নিজস্ব আলো বা প্রদান কারী উৎস হিসেবে আরবীতে নেই যা আপনি বলছেন)
25:61 নং আয়াতে বলা আলোকময় চন্দ্র (কিন্তু এটা ভুল ব্যখ্যায় আপনি বলছেন আলোর উৎস)
আপনার অনেক গুলোর উত্তর আমার কাছে আছে, তবে সময়ের অভাবে লিখতে পারছি না,
অনেকে দেখছি আপনার উত্তর দিয়েছে তাই দিচ্ছি না, তবে কিছু ব্যাপারে আপনি পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যা করেছেন।
১৪। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে কোরানের ব্যাখ্যা এর বিপরীত কে? [২১:৩৩, ৩৬:৪, সুরা ইয়াসিন]
অথচ এর অনুবাদ। “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। (২১ঃ৩৩) সুনির্দিষ্ট পথে প্রতিষ্ঠিত… (৩৬ঃ৪)”
ভাই আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনিই একটু ভেবে নিলে পাবেন। আর কিছু বৈজ্ঞানিক বিষয়ক প্রশ্ন গুলা আবার ভেবে একবার চোখ বন্ধ করে এটাও ভাবেন যে নিশ্চই আল্লাহ সবজান্তা ও মহাজ্ঞানী। তাহলেই পাবেন ঐ উত্তর। আর কিছু প্রশ্ন আপনি ইচ্ছা করেই বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যে করেছেন। আল্লাহ আপনাকে হিদায়েত দান করুন। আমিন
যেসব প্রশ্ন করেছেন (আপনার লেখায় যেমন বুঝেছি) তার অধিকাংশই ভুল জ্ঞান। আমি জানি না আপনি মুসলিম কী না। কোরআন পড়েন, সহীহ হাদিস পড়েন, ধর্মের সঠিক জ্ঞান পাবেন। কোনো কিছু সঠিকভাবে না জেনে প্রশ্ন তুলা সত্যিই বোকামী।
বোকা মেয়ে অবশ্যই বোকা নয়। আর এগুলি তার প্রশ্নও নয়। এগুলি আসলে উত্তর। ধর্মের ভন্ডামির স্ববিরোধীতার স্বৈরাচারীতার জবাব। এধরনের পশ্নের সংগে প্রথম পরিচয় ঘটে মাতুব্বর সাহেবের কিতাবে। এর পর একি ধরনের প্রশ্নের সংগে বহুবার মূখা হয়েছি। প্রশ্মগুলি যেমন সোজা এর উত্তর গুলিও হবে সহজ এবং সোজা৷ এটা যারা মেনে নেবে প্রশ্ন গুলি তাদ্বের জন্য হবে সহজ জীবন দর্শনের পথ প্রদর্শক । আর যে ত্যাদোরেরা তা মেনে নেবেনা তারা ঘূর্ণিবর্তে ঘূরপাক খেয়ে জীবনটা পার করে দেবে। এরা সত্যকে পাশ কাটাতে মোটা মোটা কেতাবের রেফারেন্স টানবে ,ঘূরিয়ে নাক দেখাবে, নাচন কোদন অনেক কিচুই করবে কিন্তু সোজা কথার সোজা অর্থ কিচুতেই মেনে নেবে না। প্রশ্নগুলি এই সব পন্ডিত মূর্খদ্বের আত্নউপলব্ধীর জন্য লেখা l
হ্যাঁহ্যাঁ আপনাদের পিয়ারা নবি তো সবই জানত তাহলে এত যুদ্ধ বিদ্রোহ কেন করছে? তিনিই যুদ্ধবন্দীদের ধর্ষণ করত। সে আসলে একজন কবি। ক্ষমতার জন্য এসব করত। কুরান এ কোন একটা লাইনের পরই বলা হয় অবিস্বাসীদের জন্য আছে জাহান্নাম। সারাজীবন সেখানেই থাকবে। খেয়াল করলে দেখতে পাবে বেশিরভাগ আয়াত পিরায়া নবির ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান। কিন্তু তা বুঝতে হলে আপনাকে আয়াতের পিছনের কাহিনিও জেনে নিতে হবে নাহয় আপনিতো এভাবেই গালাগাল দিবেন যেমনটি এখনও করছেন।
আরেকটা কথা কোন বিধর্মি কোন কথা বললেই আপনারা পিয়ারা নবি রচিত বই থেকে একটাআয়াত বের করে ছুরে দেন ‘ তোমার দিন তোমার আমার দিন আমার ‘
তাহলে পিয়ারা নবিই কি মহান আল্লাহর কথা উপেক্ষা করেনন। তিনি ত অন্য জাতের লোকদের মুসলিম বানাতে উঠেপরে লাগতেন। তার বিরুদ্ধে গেলে তো মানুষটিকে অক্কা পাইয়ে দিতেন। অথচ ইসলাম এ বলা হত্যা করা হারাম।
আসলে ধর্ম সম্পর্কে কম বেশি সকলেরই জানার আছে, আছে অনেক কৌতূহল – তবে যারা অধিক কৌতূহল বসিবত হয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে অনেক জ্ঞানী হতে চেয়ে থাকেন তাদের জন্য বলছি, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা তাকে বুঝতে হলে জানতে হবে , অনেক অনেক জানতে হবে, পড়াশুনা করতে হবে। ইতিহাস পড়তে হবে, নবীদের সীরাত জানতে হৰে, হাদিসের ইতিহাস জানতে হবে আর অবস্যই কুরআনের বিশুদ্ব ব্যাখ্যা পড়তে হবে। তার পর মনেহয় বেশি প্রশ্ন থাকবেনা ইনশা আল্লাহ।
সব ধর্মের লোকেরাই এমন দাবী করে থাকে আবার এক ধর্ম অন্য ধর্মকে বাতিল করে দেয়
একজন ব্যক্তি ও সঠিক উত্তর দিতে পারেনি যাঁরা চেষ্টা করেছেন তাঁরা কাঠমোল্লাদের মত নিজের অজ্ঞতটাই প্রকাশ করেছেন কোন যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন নি। আসলে ধর্ম সম্পর্কে আমরা মারাত্মক সন্দিহান। আমার প্রশ্ন মুসলিমরা স্বর্গে যাবে অন্যরা নরকে তাহলে সৃষ্টি কর্তা অন্যধর্মে বংশ বৃদ্ধি করছেন কেন?
আপনি যদি আপনার উক্ত প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর জানতে চান, তবে এই সাইটে না ঘুরে বরং ইসলামে অভিজ্ঞ আলেম বা মুফতীর নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। আশা করি উনি আপনাকে সকল প্রশ্নের উত্তর রেফারেন্স সহ দিতে পারবেন। আল্লাহ্ পাক আপনাকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
আল্লার ইচ্ছাতেই যদি সবকিছু হয় তবে মানুষের পাপপূণ্যও তার ইচ্ছাতেই হয়। আল্লার ইচ্ছাতেই যদি মানুষ পাপ-পূণ্য করে তবে মানুষের অপরাধ কোথায়? জন্মের আগেই ভাগ্য নির্ধারিত হলে মানুষের করণীয় কি?
এইটার উত্তর চাই
আপনার ভাগ্যে কী আছে সেটাতো আপনি জানেন, না বরং একমাত্র আল্লাহই জানে। তর্কে খাতিরে মনে করেন আপনি জান্নাত এবং জাহান্নামে বিশ্বাসী। আপনি নিজেকে নাস্তিক মনে করে জাহান্নামের পথ বেছে নিতে কেউ কী আপনাকে বাধ্য করছে নাকি নিজের খেয়াল খুশিমতো এই পথ বেছে নিয়েছেন। কেউ কী আপনাকে জানিয়ে দিয়েছে আপনি জাহান্নামী? না আপনি নিজেই সে পথে অগ্রসর হচ্ছেন? তাহলে কেন আপনার নিজের অপরাধ আল্লাহর দিকে চাপিয়ে দিচ্ছেন? আপনি দুনিয়াতে কী চিন্তাভাবনা করবেন, কেমন জীবনযাপন করবেন সেসবই পরমক্ষমতাশীল আল্লাহ পূর্ব থেকেই জানতেন যা আল্লাহ লিখে রেখেছেন এটাই কী আল্লাহর দোষ?
তৎকালীন রাজনৈতিক মতবাদ গুলি কে আমরা আজ ধর্ম হিসেবে মেনে নিচ্ছি। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করিতে একজন অদৃশ্য ইশ্বরের প্রয়োজন ছিল সেটাকে আমরা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মেনে নিচ্ছি।
আমাজনের গহীন বনে মানুষ বসবাস করে এবং এঁরা ও নিজস্ব ধর্ম পালন করে এদের কেউ ইসলামের দাওয়াত দেয়নাই তাঁরা নরকে যাবে?
ধর্ম বিষয়ে লিখলে ধর্ম প্রান মানুষের অনেক ক্ষোভ বাড়ে। বর্তধমানে ধর্মকে মানুষ একটা ব্যাবসা হিসেবে দেখে। পৃথিবীকে আধুনিক করত চাইলে ধর্মের প্রয়োজনিয়তা নেই। কিন্তু সামাজিকতা পুর্ন করতে ধর্মের প্রয়োজনিয়তা আছে। শুধু বুঝা দরকার ধর্ম বিষয়টা সবটাই মানুষের তৈরী।
:bye:
উপরোক্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাবে। অর্থাৎ প্রশ্নগুলোর যথার্ত উত্তরই আছে। চাইলে দেয়া যাবে।
আপনাকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না। মাত্র তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেন তো
১। ইসলামে অবিশ্বাসীরা চিরদিনের জন্য নরকে যাবে কেন মৃত্যুর পর?
২। মুহাম্মদের ১১ স্ত্রী থাকার রহস্য কী?
৩। চুরের হাত কাঁটার শাস্তি কিভাবে মানবিক হয়?
চেষ্টা করেন।
উত্তর ১ঃ- আপনাদের বিশ্বাস করতে অসুবিধা কি ? ধরনের আপনার নিজের একটি কম্পানি আছে এবং তাতে অনেকে লোক কাজ করে। কিন্তু কিছু লোক আপনার কম্পানির নিয়ম মানে না যেমন সময় মতো অফিসে আসেনা কম্পানির টাকা নিজের ইচ্ছামতো খরচ করে এবং আপনাকে কম্পানির মালিক হিসেবে না মেনে আপনার কম্পানির সুইপার কে মালিক হিসাবে সন্মান করে। তাহলে আপনি তাকে কি করবেন আপনি ভাবুন পোমশন না ছাটাই। তাই আমার মতে অবিশ্বাসীরা মরার পর নরকে চিরস্থায়ী থাকাটা ঠিক। আবার মরার আগে যদি কেউ নিজের ভুল এর জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চায় আর তার নিয়ম মতো চলে তাহলে আবর মরার পর চিরস্থায়ী জন্নাত পাবে।
২ঃ- মুহাম্মাদ(সাঃ) এর জীবন আমাদের জন্য শিক্ষা। ঘুম থেকে শুরু করে খাওয়া গোসল করা কি ভাবে পানি পান করতে হবে সব এমন কি কিভাবে বাথরুম করতে হবে তাও। মুহাম্মাদ (সাঃ) যে ১১টি বিয়ে করছেন তার বেশি বিধবা মহিলা যাতে অন্য সাহাবীরা যারা সচ্ছল ছিলো তারাও যেন যুদ্ধে নিহত সাহাবিদের বিধবা মহিলাদের দায়িত্ব নেয় এবং কাদের সাথে বিয়ে জায়েজ আর কাদের সাথে বিয়ে জায়েজ না এই ছিলো মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ১১ বিয়ের রহস্য। দয়া করে জাকির নায়েকের ভিডিওতে এর উত্তর আছে দেখে নিবেন।
উত্তর ৩ঃ- সবার সামনে গলা পরিমাণ মাটিতে গাইরা সবাই মিলা যদি কাউকে পাথর দিয়া আঘাত কইরা মারি তাহলে সেটা আপনাদের কাছে অমানবিক কিন্তু যাকে মারলাম সে যে ৩ বছরের বাচ্চা মেয়েকে নষ্ট কইরা মাইরা তারে টুকরো টুকরো করলো সেটা আপনাদের কাছে কি ? যদি আল্লাহর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার হইতো তাহলে আর এগুলো এই দেশে হইতো না। চুরি করলে হাত কাটতে হবে এটা কি ভাবে মানবিক হয়। আসলে আপনাদের হিংসা হয়, ইসলামের কথা শুনলে আপনারা জলেন। এই আইন আল্লাহ তায়ালার আইন। এতে চোর চুরি করার উৎসাহ হবে না এত সে চুরি করা বন্ধ করবে। ১ বছর এই আইন অনুযায়ী দেশ চালান বাকি ১০০ বছর আপনার নিজের বাসায় বা কোম্পানিতে কোন চুরি হবে না সই ১০০% নিশ্চয়তা আমি দিলাম।
( যে ঘুমায় তাকে জাগ্রত করা যায় কিন্তু যে ঘুমের ভাব ধরে তাকে জাগ্রত করা যায় না)
প্রশ্নগুলোর যথার্ত উত্তর আছে? চাইলেই দেয়া যাবে?
বেশ তো। চাইছি তো উত্তর। ঝটপট উত্তর গুলো দিয়ে ফেলুন দেখি।
প্রথমেই সালাম।
আপনার প্রশ্ন গুলো যৌক্তিক। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি বুয়েটে। সে জন্য আপনার বিজ্ঞান বিষয়ক কথাগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছে এবং বুঝতেও পেরেছি। যাই হোক আমি একজন আস্তিক। মানে ঈশ্বরে বিশ্বাসী।এবং আমি এও মনে করি ইস্লামই একমাত্র পথ। জেনারেল লাইনে পড়লেও ধর্ম নিয়ে আমার আগ্রহ অন্তহীন।
আপনার ৬০ টার মধ্যে ৩০ টার মত প্রশ্নের যুক্তিসংগত আন্সার আমি দিতে পারব । বাকি গুলো জানার চেষ্টা করব। কথা হল উত্তর পাবার পর আপনি মেনে নেবেন কিনা?
আর যদি আমাদের দেখা হয়, এককাপ চায়ের সাথে খুব ভাল আড্ডা হবে নিশ্চিত। অবশ্যই আমি আপনার পরিচয় গোপন রাখবো। অথবা মেইল, ফেইসবুকে কথা হতে পারে।
ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
মন্তব্য…আপনার সব প্রশ্নের উত্তর ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র নামের বইতে পাবেন।
The ‘idiot girl’ has put forward 60 questions about Islam. The number of question could have been 600 or 6000 and religion could have been Christianity, Hinduism or Buddhism. Because all religions are based on bogus constructs. But the precondition of ‘absolute Iman’ (to be a Muslim) has made Islam ridiculous.
আমি আগেই জানতাম যে ইসলাম ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম, ইহুদি ধর্ম সবই একি গল্প একটু আলাদা, আপনার লেখায় সেই ধারণা স্পষ্ট, মোসেস হয়েছে মুসা নবী, গ্যাব্রিয়েল হয়েছে জিব্রাইল না আজরাইল কি একটা যেন, মাইকেল হয়ে গেলো মিকাইল ফেরেস্তা ইত্যাদি, এসব নাম দেখেও তো প্রশ্ন ওঠা উচিত সহিহ মুমিনদের মনে যে ফেরেস্তাদের নাম এতো ইহুদি ধর্মের বা খ্রিস্ট ধর্মের মানুষদের মতো কেন ??
কারণ ওগুলিও ধর্ম, শুধু সহীহ সত্ত্বা হারিয়েছে।
হাসান ভাই আমি অনেক দিন ধরে একটা প্রশ্নের উত্তর খুজতেছি।
“দাসীদের বিষয়টি এর পরের পোস্টে আলোচনা করব।”
কবে পোস্ট টা দিবেন। অপেক্ষায় আসি। সম্ভব হলে আমাকে একটা মেইল ও করবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৯। প্রায় সমস্ত ধর্মেই দেখা যাচ্ছে একজন আদিম পিতা ও মাতা রয়েছে। বিভিন্ন
ধর্মগ্রন্থে এদের নাম বিভিন্ন। অন্য ধর্ম যদি মিথ্যা হয় তাহলে তারা ইসলাম ধর্মগ্রন্থ আবির্ভাবের পূর্বে আদি পিতামাতার কথা জানল কি করে? বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে স্রষ্টার নাম ভিন্ন কেন?
কোরান ব্যতীত অন্য ধর্ম গ্রন্থ যে আল্লাহ (সকল প্রশংসা তার জন্য) পাঠাননি এমন নয়। আল্লাহ খ্রীষ্টানদের জন্য পাঠিয়েছেন ধর্মগ্রন্থ যা এখন বাইবেল এর নিউ টেস্টামেন্ট অংশে আছে,ওল্ড টেস্টামেন্ট অংশে আছে ইহুদিদের জন্য পাঠানো বই । তবে সেই ধর্মগ্রন্থগুলোর বিশুদ্ধতা নেই, মানে সেগুলো সময়ের আবর্তে অনেকটা বদলে গেছে, আল্লাহ যেভাবে পাঠিয়েছেন সেভাবে নেই।
অন্য ধর্মগ্রন্থে তাই আদি পিতা-মাতার কথা থাকা এবং নাম উল্লেখ থাকা অস্বাভাবিক নয়। নামের ক্ষেত্রেও খুব একটা পার্থক্য নেই ।আদম এবং এডামে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
কোন ধর্মই মিথ্যা হয় না,ধর্মগুলো এক্সপায়ার্ড হয়ে যায়। বিষয়টা তুলনা করি সফটওয়্যার এর সাথে। একই সফটওয়্যার এর কিছুদিন পরপর নতুন ভার্সন বের হয়। কেননা পুরনো ভার্সনের চেয়ে নতুন ভার্সন বেশি কার্যকর, নতুন চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম ।
আল্লাহ আমাদের কাছে কেবল একটি জিনিস চান। তা হল তার কাছে নিজের ইচ্ছার সমর্পণ। এই সমর্পণ কিভাবে করতে হবে তারই নির্দেশনা আছে কোরানে ,যা ছিল আগের ধর্ম গ্রন্থ গুলোতেও ।
আর সবশেষে বলি,আল্লাহ বলেছেন,আমরা আল্লাহ কে যে নামেই ডাকি না কেন,সুন্দর নামসমূহ আল্লাহরই।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। 🙂
পৃথিবীতে ধর্মই সত্য, সকল ধর্ম বিশ্বাসীদের মতে তার ধর্মটাই সত্য, আমরা মুসলিম বিশ্বাস করি ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম। তাহলে ইসলাম আসার আগেও তো
মানুষ ছিল, হাজার হাজার ধর্ম ছিল, তাদের জন্য একমাত্র মনোনীত ধর্ম কোনটি ছিল। সকল ধর্ম গ্রন্থেই প্রথম মানব মানবীর কথা আছে কারন এগুলো ঈশ্বরের কাছ থেকেই এসেছে এখন এগুলো বিকৃত হয়ে গেছে। তাহলে হিন্দু ধর্মও কি ঈশ্বরে পক্ষ থেকে এসেছে, হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিবের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু কোরানে তা নেই, আবার হিন্দু ধর্মেও পোথম মানব মানবীর কথা আছে তাহলে, তাহলে বিষয়টা খুব জটিল মনে হচ্ছে না।
প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা নিজ ধর্মের পক্ষে হাজার হাজার বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে সেটাকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। প্রতিটি ধর্মের লোকেরাই তাদের ধর্মের জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন কথা তৈরি করছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, একজন মানুষ ১০০ বছরের জীবনেও তার ধর্মের সমস্ত গ্রন্থ পড়ে শেষ করতে পারবে না। তাহলে সে তার ধর্মটা বুঝবে কবে? ধর্মে এত কথা কেন? কারণ মানুষের চিন্তা করার শক্তি অসীম। তাই ধর্মের লোকেরা হাজার হাজার বছর ধরে তাদের চিন্তা-ভাবনাগুলো লিখে গেছে, এখনো লিখছে, ভবিষ্যতেও লিখতে থাকবে। ফলে এত মানুষের এত বছরের চিন্তা-ভাবনাগুলো তো তালগোল পাকানোই হবে। কেন গ্রন্থ পড়ে ধর্মকে জানতে বুঝতে হবে? সৃষ্টিকর্তা কেন কিছু ব্যক্তিকে নিজের এজেন্ট নিয়োগ দেন ধর্ম প্রচারের জন্য? তিনি তো প্রতি মূহুর্তে হাজার কোটি মানুষের প্রত্যেকের সাথে একই সময়ে কানেক্টেড হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সেটা না করে তিনি এজেন্ট নিয়োগ দেন যাদেরকে অনেক মানুষই বিশ্বাস করে না। এটা কি তিনি দেখেন না? ঘটনাগুলো বার বার ঘটে। তবুও তিনি কৌশল বদলান না। এটাকে কী বলা যায়? গোয়ার্তুমি না মূর্খতা? আসলে অলীক কল্পনা নিয়ে হাজার ধরে লিখলেও লেখা শেষ করা যাবে না।
‘দাসীদের ভোগ করা’- কথাটার ভেতর কেমন একটা জানি কদর্য আছে । :negative: একজন মুসলিম পুরুষ কি নারীদের ‘ভোগ’ করে ?? নাহ। নিজ স্ত্রীকেও কোন মুসলিম ‘ভোগ’ করে না । ভোগ তো করে ধর্ষকরা,নিজের যৌন চাহিদা মিটিয়ে নেয় আরেকজনকে কষ্ট দিয়ে । মুসলিমের সাথে স্ত্রী এর সম্পর্ক হল ভালোবাসার । এখানে ভোগের কোন ব্যাপার নেই । দুজনেরই প্রধান লক্ষ্য থাকে নিজের চাহিদাটা মেটানো, অপরজনের চাহিদাটা মেটানো এবং পবিত্র থাকা। স্ত্রী এর সাথে জোর করে সহবাস এর প্রসংগে আগে আলোচনা করি।
বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করলাম। আশা করি কেউ মনে আঘাত পাবেন না। এগুলো আমাদের জানা দরকার।
প্রথমেই একটি হাদীসের কথা আপনাকে বলি,
আয়েশা (আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট থাকুন) বলেন,” আল্লাহর রাসুল(স) নামাযে যাওয়ার আগে আমাকে চুম্বন করে যেতেন,এবং এরপর অযু করতেন না । ” (সুনান আল-দারকুতনি,১/৪৯ এবং অন্যান্য)
একজন মুসলিম বাসা থেকে বের হওয়ার আগে স্ত্রীকে চুম্বন করবে, ঘরে ফিরে রাগারাগি না করে,রান্নার খোজ না নিয়ে, আগে স্ত্রী এর খোজ নিবে,চুম্বন দিয়ে তাকে ভালোবাসা জানাবে। এতটাই রোমান্টিক হবে তাদের সম্পর্ক। চুম্বন এর ক্ষেত্রে সুন্নাত হল আবেগময় ফ্রেন্চ কিসিং( মানে অন্যের জিহ্বাকে স্পর্শ করে এবং চোষন করে চুম্বন) । রোজা রেখেও চুম্বনে বাধা নেই । :yes:
ইসলামে সেক্সের নামে কেবলই ‘পেনেট্রেশনের’ অনুমতি দেয়নি । একটা ছেলের জন্য ‘অরগাসম’ করা যতটা সহজ নারী দেহের জন্য তা এতটা সহজ নয় । ছেলেরা সহজেই শুধু ‘স্ট্রোকিং’ করেই নিজের চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারে । কিন্তু এতে সংগী নারীটি থেকে যায় অতৃপ্ত । এতে করে বিয়ের বাইরে নারী বিকল্প খুজতে বাধ্য হয়,বা চিরকাল থেকে যায় অতৃপ্ত । তাই বর্তমানে যে জিনিসটাকে সেক্স এক্সপার্টরা খুব বেশি করে করতে বলেন তা হল ‘ফোরপ্লে’। সোজা বাংলায় যা হল ‘পেনেট্রেশন’ এর আগে নারীকে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ দেওয়া । পশুর মত ‘ফোরপ্লে’ ছাড়া সহবাস করতে রাসুল (স) নিষেধ করেছেন ,যেন নারীটি সম্পূর্ণ ভাবে তৃপ্ত হয়।
সুতরাং,যে স্ত্রীকে যৌনভাবে তৃপ্ত রাখতে মুসলিমরা এত সচেষ্ট থাকে, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাস করার অনুমতি নেই মুসলিম পুরুষের । আপনার যে পজিশন পছ্ন্দ তা ব্যবহার করতে পারেন(অ্যানাল বাদে) ।ইসলাম যৌনতাকে অবদমন এর পক্ষে নয়,বরং বিয়ের মাধ্যমে যৌনতাকে সঠিকভাবে উপভোগের পক্ষে।
হাদীসে আছে ,আবু হুরাইরা বর্ণনা করেন,”কোন স্বামী যদি স্ত্রীকে তার সাথে শয়নের জন্য আহ্বান করে এবং সে তার কাছে না যায়,তবে সকাল পর্যন্ত ফেরেস্তার সেই স্ত্রীকে অভিস্পাত করে।” আপনি হয়তো এই হাদীসের কথা বলছিলেন ।
কই,আপনার দাবি মত তো এখানে জোর করে অধিকার আদায়ের অনুমতি নেই। সেই স্ত্রীটি ঠিকই সহবাস
না করেই থাকছেন। তবে বিনা কারণে ( শারীরিক অসুস্থতা, মেনসট্রুয়েশন ইত্যাদি নয়) দূরে থাকলে সে পাপ করবে । এই হল সঠিক ব্যাখ্যা ।
দাসীদের বিষয়টি এর পরের পোস্টে আলোচনা করব।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। 🙂
আত্মা কে বলুন তো? আত্মা হলেন আপনি । হ্যা, আপনি নিজেই আত্মা । ‘আপনি’ কে? একটু খুটিয়ে দেখুন নিজেকে… আপনি কি আপনার হাত?? না। হাত ছাড়াও অনেক মানুষ আছে। আপনার হাত কেটে নিলেও আপনি থাকবেন । আপনি কি আপনার পা ? না, পা ছাড়াও অনেক মানুষ আছে । পা কেটে নিলেও আপনি থাকবেন। আপনি হয়তো বলবেন মস্তিষ্ক,হার্ট ছাড়া মানুষ নেই । তাহলে ‘আমি’ মানে হল এই মস্তিষ্ক,এই হার্ট । মস্তিস্কের কোষ কতদিন বাচে?? আপনি যখন এই লাইনটি পড়লেন আপনার দেহের অনেক কোষ এর মধ্যে মারা গেল,আরও কোষ সৃষ্টি হল। ‘আপনার’ কি কিছু হল?? না,কারণ আপনি আপনার দেহের অংশ নয়। আপনি শুধু এই দেহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
এক অর্থে আত্মা স্বাধীন নয়। এক সময় তাকে জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে। কিন্তু আপনি বলতে চাচ্ছেন যে এই পৃথিবীতে আত্মা (মানে আপনি নিজেই ) স্বাধীন নয়,তার স্বাধীন ইচ্ছা নেই।এটি ঠিক নয় । আগের উত্তরেই এটি ব্যখ্যা করেছি ।
বিচার কার বিরুদ্ধে হওয়া উচিত?? অবশ্যই নিয়ন্ত্রণকারীর…মানে মানুষেরই । কারন আপনি হলেন আত্মা,আপনি নিয়ন্ত্রণ করেন দেহকে । এর দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই ।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। 🙂
সত্য বলতে মানুষের আছে ফ্রি-উইল । আপনার দেহের উপর আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে । ইন্টারেস্টিং বিষয় হল ,বিশ্বের উপর আল্লাহের কেমন নিয়্ন্ত্রণ তা আপনি আপনার দেহ থেকেই বুঝতে পারবেন । আপনার কাছে আপনার হাতটিকে তোলা যতটা সহজ, আল্লাহ এর কাছে মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করা ততটাই সহজ । বিষয়টা কিছুটা অপ্রাসংগিক হলেও বললাম।
এবার উত্তরটা হল,আল্লাহ চেয়েছেন বলেই আপনার দেহের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ আছে । আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন আপনার যোগ্যতার। আল্লাহ এর ইচ্ছা হল, পৃথিবীতে আপনি যা খুশি তাই করতে পারবেন ।এবং আপনি তা পারেন । তবে আপনি এই ক্ষমতা ব্যবহার করে কোন কাজটা করবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সম্পূর্ণ আপনার । যেমন, আপনার হাতের মোবাইলটা দিয়ে কেউ আপনাকে রাতভর পর্ণ দেখতে বাধ্য করবে না,চাইলে আপনি তা করতে পারবেন, আবার সময়মত ঘুমিয়ে সময়মত ঘুম থেকে উঠে আপনার কাজে যেয়ে ভালোমত কাজ সারতে পারবেন । এটা বোঝা কঠিন কিছু নয় ।
তাই পাপ-পূণ্য আপনার উপরই,আপনার কি মনে হয় এটি একটি লটারী খেলা? কাউকে দিয়ে কোন কারণ ছাড়াই আল্লাহ পাপ করাচ্ছেন,আর কাউকে তার ইচ্ছা মত চালাচ্ছেন যাতে সে সুখী জীবন পেতে পারে? উত্তরটা হল না।
‘জন্মের আগেই ভাগ্য নির্ধারিত হওয়া’ বলে কিছু নেই ।আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন ‘জন্মের আগেই ভাগ্য লিপিবদ্ধ হওয়াকে’।এর মানে হল আপনি কোন ঘটনার সময় কি করবেন, জীবনে আপনার আচরণ কি হবে তা আল্লাহ জানেন ।তিনি অদৃশ্য ও ভবিষ্যতকে জানেন । তিনি ভালো করেই জানেন কোন মানুষ কিভাবে জীবন পার করবে । এই জিনিসটা তিনি আগেই লেখে রেখেছেন। লেখা আছে বলে আপনি তা করেন,এমন নয় । বরং আপনি তা করবেন বলেই তা লেখা আছে।
নিশ্চয়ই আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন। 🙂
“সত্য বলতে মানুষের আছে ফ্রি-উইল । আপনার দেহের উপর আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে ।”‘
আমিতো অনেক মৌলবীদ্বেরকেই গলার শীর ফুলীয়ে দাড়ি নেড়ে লেকচার দিতে শুনেছি আল্লার ইছ্ছা না হলে গাছের পাতাও লরে না। তবে কি তারা ভূল বলে। বলা উচিৎ আল্লার ইছ্ছা না হলেও গাছের পাতা ৩০ ডিগ্রী বা ঐরকম একটা সীমার মধ্য নরাতে পারে।
কে হিন্দু, কে খ্রীস্টান, কে ইহুদী, কে নাস্তিক হবে তা আল্লাহ আগে থেকেই জানতেন। আবার কোন কিছুই আল্লাহর হুকুম ছাড়া হয় না। কারো কোন বিষয়ে জানা থাকার সাথে সে বিষয়টার উপর তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা না থাকার কী সম্পর্ক? একজন শিক্ষক তার ছাত্রের উপর পর্যবেক্ষণলদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারেন ছাত্রটি পরীক্ষায় ফেল করবে। কিন্তু তিনি যদি দাবী করেন ছাত্রটি তার ইচ্ছায়ই ফেল করেছে তাহলে এটার অর্থ কী দাঁড়ায়? এটার অর্থ হতে পারে তিনি ছাত্রটিকে এমনভাবে পরিচালিত করেছেন তাতে সে ফেল করে এবং তাহলেই সে তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্য একথা প্রচার করতে পারবে। অর্থাৎ শিক্ষকের চরিত্রটি এখানে ভিলেনের মত। আল্লাহও কী তাই?
যে ব্যক্তি নিজেকে চিনেছে তার সব কিছু জানা হয়ে গিয়েছে। আগে আপনি কি সেটা জানতে চেষ্টা করুন তাহলে সবকিছুর উত্তর জানা হয়ে যাবে।
আপনি কি নিজেকে চিনেছেন? কোন ব্যক্তি নিজেকে চিনল কি চিনল না সেটা বোঝার উপায় কী? আকাশ থেকে কি ওহী বা প্রত্যাদেশ তার কাছে আসে? নাকি তার মোবাইল কোন এসএমএস আসে? আসলে প্রতিটি ধর্মই আগাগোড়া অবান্তর কথাবার্তায় ভরা।
৪। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও মধ্যাহ্ন সর্বত্র স্থির নয়। ঢাকাতে যখন ঠিক সূর্যোদয় তখন মক্কায় রাত্রি, কলকাতায় সূবহে সাদেক। অর্থাৎ এক স্থানের নামাজের জন্য নিষিদ্ধ সময়ে অন্য স্থানে নামাজ পড়া হচ্ছে। তাহলে নামাজের সময় নিষিদ্ধ থাকল কিভাবে?
—
1সূর্যোদয়ের সময়,
2.ঠিক দ্বিপ্রহর
3.এবং সূর্যাস্তের সময় যে কোন নামায পড়া, সিজদার তেলাওয়াত করা জায়েয নাই।
সুন্নত ও নফল নামাযের নিষিদ্ধ সময়
১) ফজরের সময় হইলে ফজরের সুন্নত দুই রাকাআত ছাড়া অন্য কোন সুন্নত বা নফল পড়া।
২) সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামায পড়ার পূর্ব পর্যন্ত ।
এটা দ্বারা বোঝা যায় যে, নামাযের নিষিদ্ধ সময় গুলো সূর্যের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। আর নিয়ম হলো
যখন যে দেশে, যে সময় আসবে সেটা সে সময়ের জন্যে নির্ধারিত।তাই ইংল্যান্ডে যোহর নামাজ আর বাংলাদেশে মাগারবের নামাজ।
৩। আল্লাহর ইচ্ছাতেই যদি সব কিছু হয় তবে ফেরেস্তার দরকার কি? আজরাইলের জান কবজ করতে আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নিতে যে সময় ব্যয় হয়, সেই সময়ে আল্লাহ নিজেই কাজটি করতে পারেন কিনা?
—–ধরুন।আনার কাছে ১ কোটি টাকা আছে।একন আপনার ইচ্ছাতেই কি একটা বাড়ি বানানো সম্ভব।কিন্তু তার জন্যে লোক দরকার।নাকি আপনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করবেন?……….. আশা করি বুঝতে পেরেছেন।সময় ব্যয়ের কথা বলছেন– আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় না তিনি কাজ করতে বলেন।অঅদেশ পৌছূতে কতোক্ষণ লাগে? ফোন তো কিভাবে কাজ করে আমরা তো তা জানি।আর আজরাইল এর অধিনে অসংখ্য ফেরেশতা আছেন যারা আজরাইল (আ:) এর কাজে সাহায্য করেন।আজরাইল (আ:) হলেন জান কবজ ফেরেশতাদের নেতা।মেশকাতুল মাসাবিহ বইয়ের বিভিন্ন হাদেীসে এটা প্রমাণিত।
মোবাইল কি অাপনি তৈরি করেছেন ঐটা দিয়ে উদাহরণ দেন
আমার কছে ১কোটি টাকা নেই বা আছে কিন্তু একটি ফুসমন্তর আছে।ফুস বললেই সব হয়ে যায় তা হলে আমি কি করব?মজুর মিস্ত্রীর হাঙ্গামায় জরিয়ে পরব নাকি বলব “ফুস”?
আনার কাছে ১ কোটি টাকা আছে।একন আপনার ইচ্ছাতেই কি একটা বাড়ি বানানো সম্ভব।কিন্তু তার জন্যে লোক দরকার।-একথা বলে আপনি সর্বশক্তিমান আল্লাহকে দুর্বল মানুষের স্তরে নামিয়ে এনেছেন। একটা বাড়ি বানাতে অনেকগুলো মানুষের অনেকদিন সময়ের দরকার হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন না আল্লাহ পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ৬দিনে। আবার আল্লাহ আরেক জায়গায় বলেছেন, তিনি কুন বললেই সব কিছু হয়ে যায় মূহুর্তেই। তাহলে শুধু কুন বললেই তো পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি সব কিছু হয়ে যেত, ৬দিন কেন লাগলো? আবার কুন বললেই যদি সব কিছু হয়ে যায় তাহলে ওনার সাহায্যকারী ফেরেশতার দরকার হয় কেন? যার সক্ষমতার ঘাটতি থাকে তার সাহয্যের দরকার হয়। আল্লাহর কি সক্ষমতার ঘাটতি আছে? তিনি তো সর্বশক্তিমান।
৫৮। ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে পৃথিবীতে আঠারো হাজার মাখলুকাত আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন। ডাইনোসরসহ কিছু প্রাণী বিলুপ্ত হওয়াতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা। অথচ দেখা যাচ্ছে এক অর্থোপোডা গোত্রই এদের চেয়ে বেশি সংখ্যক মাখলুকাত রয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে আঠারো হাজারের অনেক বেশি মাখলোকাত রয়েছে। বাকীরা এল কোথা থেকে?
—–আঠারো হাজার মাখলুকাত বলতে ‘আঠারো হাজার’ প্রকার মাখলুকাত বোঝানো হয়েছে।
যেমন-1.গাছ।-সব প্রকার গাছ এক প্রকার মাখলুকাত। তেমনি-অর্থোপোডা গোত্রের “তেলাপোকা” কয়েক’শে থাকলেও সেটা এক প্রকার মাখলুকাত।
“তেমনি-অর্থোপোডা গোত্রের “তেলাপোকা” কয়েক’শে থাকলেও সেটা এক প্রকার মাখলুকাত।’
সেক্ষেত্রে সংখাটি হওয়া উচিৎ ৩৬।।
জোড়া তালিমারা কষ্টকল্পনা।
৮। সমাজবিজ্ঞান মতে আদিম মানুষ কথা এবং ভাষা জানত না। কিন্তু ধর্ম মতে আদম কথা বলতে পারত। সমাজবিজ্ঞানের ধর্মবিরোধী প্রচারণা মেনে নিচ্ছেন কেন? প্রতিবাদ করলে তার যুক্তি কি?
— সমাজবিজ্ঞান কি এর কোন প্রমান দিতে পেরেছে?
নিজেকে আপনি বোকা মেয়ে হিসেবে উপস্থিত করেছেন। কিন্তু আপনার প্রকাশ ভঙ্গী দেখে মনে হয় আপনি নিজেকে অনেক জ্ঞানী এবং পন্ডিত মনে করেন। কিন্তু লক্ষ্য করুন, কেউ যদি কোন একটি বিষয়ে ৬০টি প্রশ্ন করেন তাকে বোকা ছাড়া অন্যকিছু বলার অবকাশ থাকেনা। তাই আপনি নিজেকে যত পন্ডিতই ভাবুন না কেন কেউ আপনাকে পন্ডিত বলবেনা। আপনার প্রশ্নগুলো পড়ে যে কোন পাঠকেরই মনে হবে যে, ইসলাম সম্পর্কে আপনি বড় ধরনের বিদ্ধেষ পোষন করেন। এছাড়া এও মনে হবে যে, আপনি ইসলাম সম্পর্কে স্থুল ধারণা রাখেন। কারণ আপনি আপনার কথিত প্রশ্নসগুলোর কোনটিরই দলিল পেশ করেননি। তাছাড়া আপনার কথিত প্রশ্নগেুলো আমি প্রশ্ন বলেও মনি করিনা। আপনি প্রশ্নের নামে যা লিখেছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি ইসলামের বিভিন্ন ভুল ধরার চেষ্টা করেছেন বা করছেন। আসলে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে হলে কিংবা কোন কিছুর ভুল ধরতে হলে সে বিষয়ে প্রচুর পড়াশুনা করে বিষয়টি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। আপনার প্রশ্নগুলোর এক এক করে আমি জবাব দিব। তবে তার আগে দু’টি কথা না বললেই নয়। আপনি কোরআন হাদিসের কোথাও এমন কোন আয়াত পাবেন না যেখানে লিখা আছে যে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ বাধ্যতামূলক। ইসলাম কারও উপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয় কিংবা ইসলাম কারো উপর চাপানোর কথা কখনো বলেনা। যে কোন সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষই ইসলাম নিয়ে গবেষনা করলে দেখতে পাবে যে, সেখানে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা কোথাও নেই। ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয়। ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের শাব্দিক অর্থ শান্তি। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত পথে চলে ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি অর্জনই ইসলামের মূল লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা কিছু বিষয় যেমন- জন্ম, মৃত্যু, রিযিক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এসকল বিষয় পূর্ব নির্ধারিত। এতে মানুষের কোন হাত নেই। আবার কিছু বিষয় যেমন- ঈমান আনা বা না আনা, পাপ-পূণ্য করা(ভাল কাজ কিংবা মন্দ্ কাজ করা), হালাল অথবা হারাম পথে রোজগার করা ইত্যাদি আল্লাহ তায়ালা মানুষের ইচ্ছা শক্তির অধীন করে দিয়েছেন। মানুষ ইচ্ছে করলেই ভাল কাজ করতে পারে আবার ইচ্ছে করলেই খারাপ কাজ করতে পারে।
ইসলাম শান্তি, মানবতা, ন্যায় বিচার, সৃষ্টি ও স্রষ্টার হক, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের শান্তিপূর্ন সহাবস্থানের মাধ্যমে পৃথিবীকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী করার কথা বলে। ইসলাম এক নায়কতন্ত্র কিংবা পরিবারতন্ত্রকে কখনোই সমর্থন করেনা। বরং ইসলাম সব সময়ই ন্যায় ও সত্যের কথা বলে। ইসলাম রাজা-প্রজায় বিশ্বাস করেনা। ইসলাম বলে পৃথিবীর সকল মানুষই সমান। ইসলামের দাওয়াত পৌছেনি এমন কোন সম্প্রদায়/গোত্র পৃথিবীর বুকে নেই। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে সকল সম্প্রদায়ের কাছে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন।
আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলছি-কোরআন এবং হাদিসের কোথাও উল্লেখ নেই যে, আল্লার ইচ্ছাতেই মানুষ পাপপূণ্য করে থাক। এছাড়া জন্মের আগেই ভাগ্য নির্ধারিত হলে মানুষের করণীয় কি, একথা বলার কোন অবকাশ নেই। কিছু বিষয় আল্লাহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং তা তাকদিরের কিতাবে লিখেও রেখেছেন। যেমন; কোন মানুষ কখন জন্মাবে, কখন মারা যাবে, সে কতটুকু রিযিক পাবে, ইত্যাদি। এসব বিষয় মানুষের সাধ্য/ক্ষমতা/ইচ্ছার অধীন নয়, বরং তাকদির দ্বারা লিপিবদ্ধ, নির্ধারিত এবং নিয়ন্ত্রিত। [উল্লেখ্য এসব বিষয়ে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে না।]
আবার কিছু বিষয়ে আল্লাহ মানুষকে ইচ্ছা প্রয়োগের ক্ষমতা/স্বাধীনতা দিয়েছেন। যেমন; ঈমান আনা বা না আনা, হালাল উপায়ে রিযিক অন্বেষণ করা বা হারাম উপায়ে করা, নেকি/বদির কাজ করা বা না করা ইত্যাদি। এই বিষয়গুলোর জন্য মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে। এগুলোও তাকদিরের কিতাবে লিপিবদ্ধ করা আছে, কিন্তু এগুলো তাকদির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
ইসলাম এ কথা বলে যে, আল্লাহ সময়ের গন্ডিতে আবদ্ধ নন, বরং অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল জ্ঞান আল্লাহ তায়ালার রয়েছে। সেই জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহ জানেন কখন মানুষ কী করবে। এই জানার ভিত্তিতে আল্লাহ তাকদিরের কিতাবে লিখে রেখেছেন মানুষ কী কী করবে।
ইসলাম একথা বিশ্বাস করতে বলে যে, আল্লাহ তার ইলমের দ্বারা জানেন মানুষ কী করবে, এটা আল্লাহর এলেম সংক্রান্ত একটা বিশ্বাস বা স্বীকৃতি। পূর্ব নির্ধারণের সাথে সম্পৃক্ত কিছু নয়। স্রষ্টা বলে অনাদি, অনন্ত, সর্বজ্ঞ কেউ থাকলে তিনি সময়ের অধীন হতে পারেননা এবং অতীত, বর্তমান ভবিষ্যতের সব জ্ঞান তার থাকতেই হবে। সেই জ্ঞান তিনি লিপিবদ্ধ করবেন কি করবেন না, সেটা তার ইচ্ছা। সেটা লিপিবদ্ধ করা বা না করার দ্বারা কারো ওপর কিছু আরোপিত হয় না।
ইসলাম একথা বিশ্বাস করতে বলে না যে, আল্লাহ তাকদিরের কিতাবে লিখে রেখেছেন বলেই আমরা পৃথিবীতে সব কাজ করি, বা আল্লাহ by force আমাদেরকে দিয়ে তাকদিরের কিতাবের লিখিত বিষয়বস্তুর অভিনয় করাচ্ছেন আর আমরা রোবটের মত অভিনয় করে যাচ্ছি। অথচ আমরা অনেকে তাকদিরকে সেটাই মনে করি, আর সেখানেই আমাদের ভুল।
@কামাল, ভাই ইসলাম অর্থ শান্তি না, ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ।আপনি বললেন, ”ইসলাম কারও উপর চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয় কিংবা ইসলাম কারো উপর চাপানোর কথা কখনো বলেনা।” কুরআন থেকে দুইটা আয়াত নিচে উল্লেখ করলাম, পড়ে দেখুন ইসলাম আসলে কি বলে।
”তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। সূরা আত তাওবা- ৯: ২৯”
”হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।-(সূরা আত তাওবা ১২৩)”
এরকম আরও বহু আয়াত পাওয়া যাবে কুরআনে।
আপনার অনেক প্রশ্নের রেফারেন্স নাই। যেমন প্রশ্ন ৫,৬,১০,১২,১৫,১৬,৩৮,৫৪, রেফারেন্স দিলে ভালো হয়। আর যেগুলুর রেফারেন্স দিয়েছেন তা বুঝি নাই, যেমন [৭১:১৫-১৬; ২৫:৬১] মানে কি ৭১ পারা, আয়াত ১৫??
আরও কিছু প্রস্ন্ব আছে
* আদম এবং হাওয়া কোন ভাষায় কথা বলতেন?
* মানব জাতির আদি পিতা-মাতা আদম হাওয়া হলে মানুষের বর্ণের এত পার্থক্য কেন, জলু সম্প্রয়দায় কত কালো আর সুইডেনের মানুষ কত ফর্সা, কেন ?
ঁ ইসলাম সত্যি কারের ধর্ম হলে এত পড়ে কেন নাজেল হল? ইসলাম ধর্ম প্রবরত্নের আগে যারা প্রিথিবতে এসেছে এবং মারা গিয়েছে তাদের কি বিচার হবে?
হাস্পাতালে যদি নার্স ভুল করে মুস্লমানের নব্জাতক হিন্দু মায়ের কাছে দিয়ে দেয় তাহলে অই শিশুটি হিন্দু বলে মানুষ হবে, তাহলে তার কি দোজখ হবে না বেহেস্ত হবে?
@নাছির, ইসলাম ধর্ম ৫৭০ খ্রি. থেকে শুরু হয়নি। ৫৭০ খ্রি. থেকে যে ইসলাম শুরু হয়েছে তা হলো বর্তমান ইসলাম বা মোহাম্মদী ইসলাম। ইসলাম শুরু হয়েছে সেই সৃষ্টি লগ্ন থেকে।
@কামাল, সৃষ্টি লগ্ন থেকে ইসলাম শুরু হলে ইসলাম তৃতীয় স্থানে কেন? কেন প্রথম নয়? ইসলাম আগে থেকে থাকলে আবার নাজেল হল কেন?
@নাছির, একটা বাচ্চাকে বা বড় হবার পর যদি আপনি বই বা Daily Star newspaper পড়তে দেন তবে কি পড়তে পারবে নাকি আগে A,B C D…. শিখিয়ে, word, শিখিয়ে এরপর বই বা প্ত্রিকা পড়তে পারবে।
ইসলাম ধাপে ধাপে এসেছে। শেষ নবীর সময়েও ধাপে ধাপে ইসলাম এবং কোরআন নাজিল করে বলে হয়েছে, “আজ দীনকে পূরণাংগ করে দিলাম।
ভাই আল্লাহ্র আজাবকে ভয় করেন।
@Nahida, আল্লাহর আজাব কেমন ? :-s
আপু,তারাতো আল্লাহতেই বিশ্বাস করেনা!!আজাবকে কেনো করবে??
আপনিও ভাই ভগবান, জেহোভা, আহুরা মাজদা, জিউস, পসাইডনসহ হাজার হাজার গডের আজাবকে ভয় করতে থাকেন।
আপনি খুবই ভালো এবং উচ্চমানের প্রশ্ন করেছেন। যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছাতেই সব কিছু হয়ে থাকে তাহলে আপনার অন্তরের প্রশ্নগুলিও নিশ্চয় আল্লাহর ইশারাতেই হয়েছে। তাই এগুলোর সঠিক উত্তর এবং বাস্তবতা দেখার একটা উপায় নিশ্চয়ই আছে…….। আ + ম = আম ….আপনি যদি সারাজীবন এভাবে পড়েন তাহলে তাকে আমরা থিওরিই বলব…….কিন্তু যখন আমি আপনাকে একটা বাস্তব আম দিব তখন আপনি ঐ থিওরির সত্যতা বুঝে পাবেন। ঠিক তেমনি আপনি যে প্রশ্ন গুলি করেছেন তারও বাস্তব দেখার ব্যবস্থা আছে… আশা করি যদি কখনও চট্টগ্রাম আসেন তাহলে আমাদের দরবারে একদিন আসিয়েন ….ইনশাআল্লাহ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আপনার অন্তচক্ষু দিয়েই দেখতে ও বুঝতে পারবেন………
@ মোঃ কামাল,
আমরা তো শুনি ইসলামে সকল প্রশ্নের জবাব আছে। তাইলে লেখকের প্রশ্ন যতই ভিন্ন চিন্তার হোক, ইসলাম কি তার জবাব দিতে অক্ষম?
আপনি কি লেখককে ব্যক্তিগতভাবে চিনেন? না চিনলে কিভাবে বললেন যে লেখক বিলাসী জীবন যাপন করে? আর কোনও ধর্মে যদি ভুল/মিথ্যা কথা বলা থাকে তাহলে সেই ভুল/মিথ্যাটা লোকচক্ষুর সামনে আনা কি পাপ? নাকি মিথ্যাটা লুকিয়ে রাখা পাপ?
@ মুহাঃ আবুল কালাম আযাদ/বাচ্চু রাজাকারের মিতা,
আপনি এই সাইটের পরিচালকদের মানব পরিচয় নিয়ে সন্দেহও দেখালেন আবার কি একটা বইও পড়তে বললেন। আপনি যদি মনে করেন যে এরা মানুষ না তাইলে আর হেদায়েতের ডাক দিতেসেন কেন? আর মানুষ না হইলে তারা সাইট চালায় কিভাবে? আপনার প্রশ্ন শুনে হাসবো না কাঁদবো বুঝতেসি না। :-O ;-( :-Y 😕 🙁 😛 :lotpot: :hahahee:
@ প্রতিবাদ,
যদি একজন বিধর্মীর কাজ নিয়তের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় এবং তার নিয়তও ভালো হয় তাহলে কি একজন বিধর্মীও আল্লাহ এর কাছ থেকে পুরস্কার পাবে?
আপনার ১ নং প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে
বুখারী শরিফ এর ১ নং হাদিস এ আছে
“হুমায়দী (র) …..’আলকামা ইবন ওয়াক্কাস আল-লায়সী (র) থেকে বর্ণিত,আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)- কে মিম্বরের ওপর দাড়িয়া বলতে শুনেছি : আমি রসুলুল্ল্লাহ সাল্লাল্লাহী ওয়া সাল্লাম এরশাদ করতে শুনেছি :প্রতেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত ।আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে ।তাই যার হিজরত হবে দুনিয়া লাভের অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশে- সেই উদ্দেশ্যই হবে তার হিজরতের প্রাপ্য”।
-(ওহীর সূচনা অধায়,বুখারী শরিফ)
৪১ নং এর রেফারেন্স দিন প্লীজ।
mokka ki prithibir kendre obosthito???
পরবর্তীতে আর বাঙরেজি মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
এই সাইটের পরিচালকরা মানুষ তো ?
ইহইয়াউল্ উলুমুদদীন বইখানা পড়ুন। হেদায়েত লাভ করতে পারেন।
@মুহাঃ আবুল কালাম আজাদ,
জিনা, পরিচালক, লেখক, পাঠক সবাই জ্বিন।ইনসান কেউ নাই।আপনিই পথম ইনসান এইখানে আসলেন।
সন্মানি লেখক,
আপনার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হউক। আপনার প্রশ্নগুলো আপনারই ভিন্ন চিন্তার ফসল। একটি দূরবীন দিয়ে দূরের বস্তুকে কাছে দেখা যায়। আর যদি তা উলে্টা করে দেখি তবে কাছের বস্তুকে দূরে দেখা যাবে। আপনার পরিবেশ, আপনার শিক্ষা, আপনার ধ্যান এবং আপনার জ্ঞান আপনাকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছে যেখান থেকে আপনি আর সহজ এবং সত্য উপলব্দি আপনার আসবে কিনা সন্দেহ। আপনার মত অনেকই আছেন যারা তথাকথিত মুক্তমনা সমাজে বসবাস করছেন আর সময় নষ্ট করে ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। একাজ করে আপনারা একধরনের আনন্দ ,বাহবা, পাচ্ছেন। আমি একজন নতুন পাঠক। আপনাদের লেখা আমার মন মস্তিস্ককে এমনই বিগড়ে দিচ্ছে যে……………
মাপ করবেন। আমাকে মুক্তমনার দলে ফেলবেন না আমি জানি। তবে মুক্ত মনে ই আমি আপনাদের লেখার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছি। আপনাদের মত বিলাসি জীবন যাপন করে নিজ ধর্মের অথবা অন্য ধর্মের ভূল খোজায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে নিজেকে মুক্তমনা পরিচয় যে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন তা যে কতটা ভয়বহ ধর্মীয় দৃষ্টিতে তা আপনাদের জানা আছে। আপনাদের মেধার প্রশংসা না করে পারি না। আপনাদের সব লেখা তুলনা করলে বলা যায় ~ Religion without faith. Dear writer, you must engage yourself in revealing the truth. Not criticize. It is not a good work. From today I will try to find out the answers of the questions one by one. Pls mail me.
May Allah give you the necessary insight to understand HIM and HIS mystery of creation of this earth and human.
zazakallahu khair.
Md.Kamal
Asstt.Teacher
Chittagong City Corp.
Chittagong.
@মোঃ কামাল, বড় বড় কথা না বলে প্রশ্ন গুলুর উত্তর দিন। আর উত্তর না পেলে কি করবেন সেটাও জানাবেন ।
@নাছির, সহমত।
ভবঘুরে ভাই এর ব্লগ পরেন বোকা মেয়ে :))
২২ নং প্রশ্নের উত্তর হল যারা ইসলামের দাওয়াত পায়নি তাদের শাস্তি হবে না (১৭:১৫)।
@কুরআনের শিক্ষার্থী, বাঃ তাদের কি মজা, তারা ইচ্ছামত জেনা করবে মদ পান করবে অথচ আল্লার ইসলামের দাওয়াত পায়নি বলে তাদের কোন সাজা হবে না!! আমি যে কেন দাওয়াত পেতে গেলাম ?
আসলে দাওয়াত পাইনি। বাপ মা মুসলমান ছিল বলেই জন্মসুত্রে মুসলমান হয়ে গেছি।
আপনারা বলতে পারেন কতজন জন্মসুত্রে মুসলমান না হয়ে নিজে নিজে মুসলমান হয়েছেন?
আপনার বাবা নগেন পাল হলে আপনি হতেন খগেন পাল জাতীয় কিছু একটা – তাই না?
(Y (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: :guru: (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) :candle:
বোকা মেয়ে , তুমি তো বোকা নও । তুমি আসলে সত্যিকারের বুদিধমতী । তোমার প্রশন জাল ছিড়ে ফেলুক সমসত অঙগানতার অনধকার ।
বিঃ দ্রঃ অভ্র দিয়ে বাংলা লিখতে অসুবিধা হয় ।
(F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে চেষ্টা করছি। জানি না আপনাদের মনে ধরবে কি না…।
১। আল্লাহর ইচ্ছাতে সব কিছু হয়, কথাটা আপেক্ষিক। দুনিয়ার তাবত বস্তু বা জীবের ক্ষেত্রে কথাটা সত্য কিন্তু মানব জাতির ক্ষেত্রে কথাটা এক্টু ভিন্ন। মানুষকে চিন্তা করার জন্য উন্নত মস্তিস্ক দান করা হয়েছে। মানুষকে ভাল-মন্দ বিচার করার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এখানে মানুষের জন্য পরীক্ষার বিষয়। এর দ্বারাই মানব জাতির বিচার করা হবে। আর জন্মের আগে মানুষের অবস্থা নির্ধারিত হয়, যেমনঃ সে ধনি হবে না গরিব হবে কিন্তু সে পৃথিবীতে এসে ভাল কাজ করবে না খারাপ কাজ করবে তা তার নিজের ওপর নির্ভর করে।
২। আত্মা স্বাধীন নয় বলতে বুঝায় আত্মা যাই করুক না কেন তাকে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে একদিন পৌছাতেই হবে।
ঘুড়ি আকাশে তার স্বাধীন মত উড়তে পারে কিন্তু সুতা ঘুড়ির মালিকের হাতেই থাকে। আর আল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করেন বলতে আল্লাহ তার পরিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন, যেমনঃ পানি, বাতাস, খাদ্য, আয়ুস্কাল ইত্যাদি।
৩। আল্লাহ নিজেই সব করতে পারেন এবং করেনও। ফেরেস্তারা তারই তৈরি। তারা তা ই করে আল্লাহ তাদের যা আদেশ করেন। আল্লাহ এই পৃথিবীর পরিচালক, তার মর্যাদা অসীম। আল্লাহ তার প্রভুত্ব বজায় রাখতে ফেরেশতা তৈরি করেছেন।
(দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই অনেক কাজ করতে পারেন কিন্তু তারও অধিনস্ত লোকের অভাব নেই, কারন তার সম্মান অনেক।)
আজরাইল যেই সময়ের মধ্যে আল্লাহর কাছে অনুমতি নিয়ে জান কবজ করে, আপনি আপনার চোখের পলক ফেলতে ও এর চেয়ে বেশি সময় নেন।
৪। একই সময়ে পৃথিবীর সর্বত্র নামাজের সময় নিসিদ্ধ হতে পারে না। প্রতিটি মুহূর্তে কোথাও না কোথাও নামাজ পরা হয় বা আল্লাহর নাম নেয়া হয়। আর যে দিন তা হবে না সে দিন ই কেয়াময় হবে।
৫। এটা কোথায় বলা হইসে উল্লেখ করলে ভাল হত।
৬। বিজ্ঞান দ্বারা স্বীকৃত যে এখনও সূর্যের সবদিক দেখা সম্ভব হয় নি। তাই আপনার কথা পুরপুরি গ্রহন যোগ্য না।
৭। হাওয়া একবার গন্ধম খাওয়াতে তার এরুপ হয়েছে, কারন তা জান্নাতি খাবার ছিলো না, যা ছিল পৃথিবীর খাবারের ন্যায়। আর অন্যরা প্রতিদিনই পৃথিবীর খাবার খাচ্ছে। তো তাদের কষ্টটা এজন্য করতে হয়।
আল্লাহ সবকিছুতে আনুষ্ঠানিকতা পছন্দ করেন। সরাসরি দুনিয়াতে পাঠালে তার কোন তাৎপর্য থাকতো না।
৮। সমাজ বিজ্ঞানের অনেক কিছুই আমাদের ধর্মের সাথে যায় না। ধর্ম যা জানে সমাজ বিজ্ঞান তা জানে না কারন ধর্ম সৃষ্টিকর্তা হতে এসেছে আর সমাজ বিজ্ঞান মানুষের তৈরি মতবাদ।
৯। যিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী তার দ্বারা সব ই সম্ভব। ৬ দিন না , তিনি চাইলে এক মুহুরতেই সম্ভব। সূর্য না থাকলে সময় কাউন্ট হবে না এই কথার কোন অর্থ আমার কাছে নাই।
@MAHNK, ধর্ম সৃষ্টিকর্তা হতে যদি এসে থাকে তাহলে এতগুলো ধর্ম কেন? তাঁর যখন যে ধর্ম বানাবার শখ হয়েছে তখন সেই ধর্ম বানিয়েছেন আর তাঁর নিজের বানানো অন্য ধর্ম গুলোকে হারাম করে দিয়েছেন? ইসলাম ধর্মে বলেছেন মুসলমান ছাড়া আর কেউ বেহেস্তে যেতে পারবেনা আবার হিন্দু ধর্মে বলেছেন হিন্দু ছাড়া বাকীরা সব নরকে যাবে। কোনটা ঠিক? ধর্ম যে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন মানুষে লিখেছে তা পরিষ্কার বোঝা যায় আর তা বুঝতে হলে ধর্মান্ধতা ছেড়ে দিয়ে মুক্ত মনে চিন্তা করুন।
@জহুরুল হক,
ধর্ম একটাই। তা হল ইসলাম। বাকি গুলু মানুসের তইরি
@MAHNK, আপনি যদি মুসলমানের সন্তান না হতেন তাহলেও কি তাই বলতেন? আপনি জন বা গ্রেগরী বা স্যামুয়েল হলে বলতেন খ্রিষ্টান ধর্ম আল্লার তৈরি, আর বাকী সব ধর্ম মানুষের তৈরি – তাই না? অন্য ধর্মের বইগুলো যদি একটু মন দিয়ে পড়েন তাহলে দেখতে পাবেন কোরআনের চেয়ে যেসব ধর্মগ্রন্থ গুলো পুরাতন সেগুলোতেও কোরআনের কথাই লেখা আছে। বাইবেল পড়ে দেখুন – সেখানে লেখা আছে আল্লার একত্বের কথা, আদম-হাওয়ার কথা, বিবাহের কথা, পশু জবাই করার কথা। আপনার কথামত ইসলাম ছাড়া বাকী ধর্মগুলো যদি মানুষের তৈরি হয়ে থাকে তাহলে কি আল্লা মানুষের তৈরি ধর্মকে নকল করে ইসলাম ধর্ম বানিয়েছেন? মানুষের লেখা বাইবেল, গীতার কথা আল্লার লেখা কোরআনের বাণীর সাথে মিলে যায়, তাহলে কি মানুষের লেখা বই নকল করে কোরআন লেখা হল?
@জহুরুল হক, ঠিক মিলল না । বাইবেল কোরানের আগে এসেছে, বাইবেলে আদম হাওয়া, হাবিল কাবিলের খুনা খুনি র কথা আছে, পরবর্তীতে তা কোরআনে এসেছে, তা হলে কে কাকে নকল করল ? কোরআন কি বাইবেল হতে ধার করে নাই? কোরআনে আসলে সেটা সত্যি হবে আর বাইবেলে আসলে সেটা মিথ্যে হেবম কেন? যদি কোরআন বাইবেলের আগে নাজেল হত তাহলে তো ফাটাইয়া ফেলতেন এই বলে যে বাইবেল কোরআন কে নকল করেছে, ঠিক না ?
@MAHNK, আল্লহ সময় কে সৃষ্টি করলেন কোন সময়ে ? স্থান কে সৃষ্টি করলেন কোন স্থানে থেকে?
@MAHNK, ‘নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।‘-(সূরা আল বাক্বারাহ -06/07)
যদি আল্লাহই কাফেরদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়ে থাকেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়ে থাকেন তাহলে তাদের দোষ কি ? তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়ার যুক্তি কি ?
এই সব গুলা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে সূফীবাদ ইসলাম।
আমাদের ইসলাম সত্য। কিন্তু কিছু লুকের জন্য আমাদের ইসলামের এই দশা,
আপনি এই সবগুলা প্রস্নের জবাব পাবেন, কিন্তু তার জন্য কোন নামদারি আলেমএর কাছে না, সত্যি কারি আওলিয়ার কাছে জান, সব জানতে পারবেন।
@রায়হান হোসেন রানা,
কোরান হাদিস মোতাবেক সুফিবাদ কোন ইসলাম না। আওলিয়ারা সব ভন্ড ও কাফির। আপনি কোরান হাদিস পড়েন নি, বোঝাই যায় আপনার কথা শুনে। এভাবে না জেনে আর কতকাল আপনারা মন্তব্য করবেন ?
@ভবঘুরে, সূফীবাদ ইসলামে নাই, কথা সত্যি। কিন্তু সুফিবাদ অর্থ কি আপনি জানেন??? স্রষ্টাকে ,সৃষ্টির সাথে মিলিয়ে দেওয়াই হল সুফিবাদের একমাত্র সংজ্ঞা ।কিন্তু আমাদের সমাজে এতাকে ইস্লামের সাথে জরিয়ে রাখা হয়েছে, তাই আমি সুফিবাদ ইসলাম বলছি। তবে,আমি মনে করি, এই প্রশ্ন গুলার সঠিক উত্তর কেবলমাত্র পির-আওলিয়ার কাছেই পাওয়া সম্ভব।
স্রষ্টাকে সৃষ্টির সাথে মিলিয়ে দেওয়াই হল সুফিবাদের একমাত্র সংজ্ঞা-এসব সংজ্ঞা আপনার পান কোথায়? সুফিবাদ সম্পর্কে জানতে হলে ইসলাম-পূর্ব প্রাচীন পারস্যের ম্যানিকিজম সম্পর্কে জানতে হবে। ম্যানিকীয় ভাবধারা থেকে ইসলাম পরবর্তী ইরানে এক শ্রেণীর মানুষ সুফিবাদ চালু করেছে।
ভাই সুফিবাদ আপনি ইসলাম থেকে বাদ হয়ে যাইয়েননা কি সব কথা বলছেন?
অসাধারন জিজ্ঞাসা আপনার। লেখাটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো । আপনার এই অনুসন্ধিৎসু মন আপনাকে আরও জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করুক এই কামনা করি।
অনেক ভাল প্রশ্ন । এখানে কিছু অন্ধবিশ্বাসী কমেন্ট করছেন । তাদেরকে বলছি মুক্তমনায় যা কিছু বলবেন যুক্তি দিয়ে বলবেন । কারন আপনাদের মত বোকার জন্য আজ দেশের এই অবস্থা । ধর্মের নাম দিয়ে আপনারা রাজনীতি করেন , সেই নেতারা যখন তখন খুন খারাবি করছেন । ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরছে আর নামাজ শেষে তলয়ার নিয়ে চলে যাচ্ছে রাস্তায় । এমিনিতেই তো একটা অন্ধ কুসংস্কার এর পেছনে বসবাস করছেন , তার উপর আবার সেই অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে নানা রকম অকাজ কুকাজ করে বেরাচ্ছেন ।
আর বোকা মেয়ের মত কিছু মানুষ এরকম পোস্ট করলে মাথায় আগুন লাগে তাইনা ?
আরে আহাম্মক,তোরা আল্লাহর ক্ষমতা নিয়া প্রশ্ন করছিস,অথচ আল্লাহ তোদেরকে শুক্রাণু থেকে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত প্রশ্নের জবাব আজরাঈলকে দেখার সাথে সাথে মিলে যাবে। কিন্তু তখন আর সময় থাকবে না
@ami muslim,
আল্লাহুম্মা আমীন। একটু আজরাইল বেটারে আসতে কন বস। মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়া পড়সি, এইবার ইট্টু ফেরেশতা দেখনের বড়ই শখ চাপসে। :-s
@ami muslim, মানুষ সৃষ্টি করতে একমাত্র ডিম্বাণুই যথেষ্ট । শুক্রাণু ছাড়া মানুষ তৈরি সম্ভব ।
@ami muslim, সত্যি তো, এই জিনিস তো আগে বুঝিনাই। তা ভাইজান আজরাইল আসার আগে কষ্ট করে একটু বইলা দিয়েন, তৌবা করে আল্লাহর রাস্তায় ফিরা আসব, ইনশাল্লাহ। :))
@ami muslim, আমি তো আল্লাহ কে বলি নাই আমাকে বানাও, আমাকে বানাইছে কেন? আল্লাহার ইচ্ছায় যদি সব কিছু হয় তাহলে মাই যদি চোর ও হই তা ও তার ইচ্ছায়, তাহলে সাশ্তি আমার কেন হবে?
:rotfl:
যিনি এই ৬০ টি প্রশ্ন করেছেন তাবে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই। এই রূপ প্রশ্ন করাই হলো প্রকৃত মানুষের লক্ষণ। যাদের মধ্যে এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে তারা সাধারণ মানুষ অপেক্ষা বুদ্ধিমান। কেননা বিশ্বাস কখনো সত্য নয়। যে কোন সময় বিশ্বাস পরিবতর্ন হতে পারে। তাই বিশ্বাসের কোন মূল্যই নেই। এখানে যে প্রশ্ন গুলো করা হয়েছে তার সব প্রশ্নেই জবাব রয়েছে। কিন্তু আপনি ভূল জায়গায় উত্তর খুজছেন। একমাত্র বৈদিক শাস্ত্র গুলোতে এর সব প্রশ্নের যথাযথর্ উত্তর পাবেন। অবশ্য কুরানেই কিছু প্রশ্নের উত্তর য়েছে। তবে সব প্রশ্রের উত্তরের জন্য আপনাকে বৈদিক শাস্ত্রে কাছে যেতে হবে। আপনার সব প্রশ্নে উত্তর গুলি দেয়ার ইচ্ছা আমার রয়েছে। সময় বের করে এর উত্তর দিন।
ধন্যবাদ
@Suman,
ভাইজান/দাদা, বৈদিক সাহিত্যের মধ্যে আমি শুধু মাত্র ঋগ্বেদের মন্ত্র মানে সংহিতা অংশটা পড়েছি।কই আমি তো তেমন কোন উত্তর পেলাম না! মন্ত্রে তো খালি খাই খাই ভাব! খালি দেবতাদের উদ্দেশ্যে এইটা দাও, ঐটা দাও।আমাদের দাও, ওদের দিও না! ভাল যন্ত্রনা!
নিশ্চিত থাকুন শুধু আপনার নয়, মানুষের সব প্রশ্নের জবাব ইসলামে আছে। যা আপনি খোলা মন নিয়ে খুঁজলে ইন্টার্নেটেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু নাকি অনেকেই পায় নি। তাই আমি আপনাদের সুবিধার্তে খুব শীঘ্রই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেবো। আশা করি তখন আপনার ভুল বুঝতে পারবেন।
আপনি যে জবাব দেবেন সেটি দয়া করে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখবেন।
🙂
মহান আল্লাহ্ কুরাআন শরীফে নিজের এত প্রশংসা করেছেন কেন? উনিএ তো বলেছেন অহংকার করা ঠিক নয়। ঊনি মানুষ কে শুধু ভাল কাজ করার জন্য সৃষ্টি করলেই পারতেন, তাহলেই তো বোঝা যায় বান্দা উনার কথা মত কাজ করছে কিনা। উনার ইবাদাত এর জন্য সৃষ্টি করলেন কেন? আমরা উনার ইবাদাত করলে উনার কি লাভ?
@নীল, আপনি কি মুসলমান না অমুসলিম প্রথমে তা জানা দরকার, যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহকে নিয়ে প্রশ্ন করার দুঃসাহস কোথায় পেলেন?। আর যদি অমুসলিম হয়ে থাকেন থাহলে শুনুন আল্লাহ একমাত্র সেই সত্তা যিনি নিজের প্রশংসা করতে পারেন এটা অহঙ্কার নয়! কারণ তিনি সমস্ত জাহানের প্রতিপালক, যদি তিনি নিজের প্রশংসা না করেন তবে কে করবে? আর এটা বাস্তব সত্য যে যদি কোন মানুষ নিজে কিছু তৈরি করে তবে
সে জিনিস নিয়ে সবার কাছে নিজের গৌ্রব দেখাতে থাকে, আপনি নিজেও তো এর ব্যতিক্রম নয়। আর তিনি তো নিখিল ধরণীর পালনকারী, তবে তিনি কেন নিজের প্রশংসা করতে পারেন না? আপনি আরও জানতে চেয়েছেন যে আল্লাহ আমাদেরকে উনার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করলেন কেন? উত্তরঃ প্রথমেই আপনাকে বলতে চাই এটা হয়তো আপনার জানা নয় যে আল্লাহ কুন(হও) ফায়াকুন(তা হয়ে জায়) এর মালিক অর্থাৎ যদি আল্লাহ ভাল কাজের জন্য সৃষ্টি করতেন তবে মানুষ ভাল কাজ ছাড়া মন্দ কাজ করত না আর তাতে বোঝা যেতনা যে, বান্দা আল্লাহর আদেশ পালন করছে কি করছেনা।তাই আল্লাহ মানুষকে ভালোর সাথে সাথে মন্দ গুণ দিয়েছেন। আশা করি আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন।
মুসলমান হলেই অন্ধের মত যা শুনব তাই বিশ্বাস করতে হবে? মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, প্রশ্ন আসাটা কি খুবই দোষনীয়? আমার তো মনে হয় প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারাটাই দোষের। যখন মোল্লারা প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না তখন বলে, এই চুপ চুপ, আল্লা নিয়ে কোন প্রশ্ন করবি না। কঠিন গুনাহ হবে।
@নািদম,
কি দুর্দৈব!
@নািদম, তার মানে আল্লাহ কি একজন স্বৈরশাসক ? আর আপনে আল্লাহ কে মানুশের সাথে তুলনা করে কঠিন গুনাহ করে ফেলেছেন কিন্তু,আজাবের জন্ন রেডি হোন । 🙁
@নািদম, পৃথিবীর ইতিহাস থেকে আমরা যতটুকু জানি যে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না ,এবং সেটা তারা সহ্য করতো নাহ, একই জিনিস তার আশেপাশের চাটুকার ও অনুসারীদের মধ্যেও বিরাজমান ছিলো …… আপনার ভাষ্যমতে আল্লাহ একজন স্বৈরশাসক হিসেবেই প্রদর্শিত হচ্ছে !!! বাহ্ নিজেই তো প্রমান দিয়ে দিলেন যে একজন সৈরশাসক সবসম তার প্রশংসা শুনতে চাইবে তার চাটুকারদের মুখে নইলে বল প্রয়গ করে হলেও অন্যের মুখে তার প্রশংসা শুনতে !!! :lotpot: :lotpot:
@নািদম,আল্লাহ র যদি এত এবাদত প্রিয় হে তাহলে মানুষ বানিয়ে তাকে শুধু এবাদতের জন্যই রাখলেই হত, এত দুনিয়ায় দারি, হাঙ্গামা, দোজখ বেশেস্ত, কি দরকার ছিল? যিনি এত বড় সৃষ্টি কর্তা তার মানুষের এবাদত কি জন্য দরকার?
প্রশ্নগুলোর জন্য ধন্যবাদ …..এই প্রশ্নগুলো অনেকদিন ধরেই আমার মাথায় ও ঘুরছিল ।…….আস্তিকদের কাছে এই প্রশ্নগুলা করে করে যে টাইপের উত্তরগুলা পেয়েছি –
1. আল্লাহ সব জানেন তুমি জানোনা – আমার কথা হল যা আমরা জানি ই না তার জন্য ক্যানো আমাদের শাস্তি হবে …:O
2. ধর্মগ্রন্থ পড়ে দেখ সব উত্তর আছে – পড়ছি । কোনও উত্তর পাই নাই । আপনি পইরে উত্তর জেনে থাকলে জানান …কেউ ই জানায় নাই 😐
ভাই একদম ঠিক কথা বলেছেন?
আজাইরা পোস্ট, পয়সা খাইয়া নাস্তিকতা, মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করছে আর ইনি আইছেন নাস্তিকতা প্রচার করতে।
manusher bibek dharona ekhn eto ta shadhin hote hote aj tara nastiker cheye odhom…. tara ekhn tader keo bishash kore kina seta o doubt ase….. aj manusher jibone tar nijer kormer fole tara nijerai vog kore…. r dhormo ek jinish ja ondho bishwas….. manush jemon opor manush ke valobashe tar ke proman ase??? keno valobashe???? sob kisur uttor ke manusher kase ase??? kisu kotha odrissho hoye thake…. ja dekha jaina….. bishwash korte hoi…. sei bishwasher maddhome tar onk apon hoi
পরবর্তীতে বাঙরেজি কিংবা ইংরেজি মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
২৩ নং প্রস্নের উত্তর।
অমুসলিম শিশুরা জান্নাতে যাবে
রাসুলুল্লাহ ( স:) বলেছেন প্রত্তেক শিশুই
ইসলামের ফিতরাত নিয়ে জন্মাই পরে
তার বাপ মা তাকে অমুসলিম বানাই
রাসুলু্ল্লাহ (স:) আরো বলেন অমুসলিম
শিশুরা জান্নাতে যাবে |
বুঝলাম না, মন্তব্য দেখাচ্ছে ৬ টি কিন্তু লেখা আছে ২৬৪ টি মন্তব্য!!! বাকি মন্তব্যগুলো কোথায় গেল?
বোকা মেয়ে খোলা মন নিয়ে উত্তর খুজলে উনি নিজে নিজে পেয়ে যাবেন, এই ইণ্টারনেট , গুগল এর যুগে। এর জন্য উনাকে ধর্ম বিরোধী আর ধর্মের পক্ষের লেখাই খোলা মনে পড়তে হুবে।
@মুনির উদ্দিন আহমেদ, ভাই অনেক খুজছি পাই নাই ….। দয়া কইরে আর্টিকেলের 22 নাম্বার প্রশ্নটার উত্তর গুগল এ সার্চ মাইরা আমারে লিঙ্ক দেন :O
@মেহেদী, http://www.somewhereinblog.net/blog/babuks/29240999
@বাদল,ভাই হাসবো না কাদবো বুঝতে পারতেছিনা । যেই লিঙ্কটা দিছেন তার নিচের কমেন্ট গুলা একটু দেখেন । :hahahee:
@মেহেদী, একজন অবিশ্বাসী এ কারণে জাহান্নামে যাবে যে, সে মহান আল্লাহর বাণী শোনার পরও তাঁর উপর ঈমান আনেনি। সৎকাজ কবূল হওয়ার জন্য ঈমান আনা শর্ত। মক্কায় আবূ জাদআন নামের এক পরোপকারী খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি রাস্তার পাশে পাশে ছায়ার ব্যবস্থা করতেন এবং পানি পান করানোর ব্যবস্থা করতেন। তাঁর ব্যাপারে বলা হয়েছে সে জাহান্নামী। কারণ সে মহান আল্লাহকে বলেনি, হে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন। মোটকথা সে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করেনি। পবিত্র কুর‘আনে এসেছে, যারা কাফের, তাদের কর্ম মরুভুমির মরীচিকা সদৃশ, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে। এমনকি, সে যখন তার কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর আল্লাহ তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।অথবা (তাদের কর্ম) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে, তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ যাকে জ্যোতি দেন না, তার কোন জ্যোতিই নেই।”
আর যে লোকের কাছে দাওয়াত পৌঁছেনি- যেমন ধরুন জনমানবহীন কোনো দ্বীপের এক নি:সঙ্গ মানুষের কথা। এমন কোনো জাতিকে শাস্তি দেয়া হবে না, যাদের কাছে কোনো সতর্ককারী পৌঁছেনি। কোর‘আনে এসেছে, “আপনার পালনকর্তা জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রসূল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি, যখন তার বাসিন্দারা জুলুম করে।” তবে মুসলিম দার্শনিকদের মতে, প্রতিটি মানুষকেই তার স্রষ্টাকে চেনা নিদেনপক্ষে অস্তিত্ত উপলব্ধি করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তাই কোনো মানুষের কাছে ইসলামের বাণী না ফৌঁছলেও স্বভাবতই তার এক সৃষ্টায় বিশ্বাস সাথাপন করা কর্তব্য। তাছাড়া যাদের পাপ পূণ্য সমান সমান তাদের ব্যাপারে জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী আরাফ ( যেখানে জান্নানাতের নিয়ামত বা জাহান্মনামের আযাব কোনোটাই নেই। স্থানের কথা সূরা আরাফে রয়েছে। আপনারা দেখ নেবেন। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে শুদ্ধচিন্তার তাওফীক দিন…আমিন।
@Abdullah Jobair, এইব্লগে ধাৰ্মিক মানুষ পাওয়াই যায় না, সব নাস্তিক। আপনারে পাইছি তাই একটি প্রশ্ন করি :
আগে কোরানের দুইটা আয়াত পড়েন:
উপরে দেখা যাইতেছে কুরান দাবী করে আল্লাহ পৃথিবীর ভুমিকে ক্রমশ চতুর্দিক থেকে সংকুচিত বা হ্রাস করে আনছেন। কিন্তু বিজ্ঞান বলে অন্য কথা, যে পৃথিবী শতকোটি বছর ধড়ে প্রায় অপরিবৰ্তিত আছে। কুরায়ানের সাথে বিজ্ঞানের এত পাৰ্থক্য কেন !?
কুরাআন এমন কোন গ্রন্থ নয় যে, যে কেউ এর বাংলা তরজমা পড়ে এর ভাবার্থ বুঝে যাবে।
আপনি যেটা উপস্থাপন করেছে তা কেবল্মাত্র এর শাব্দিক তরজমা ।
কুরানে এমন অনেক আয়াত আছে যেগুলোর ভাবার্থ সাধারণের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয় ।
বুঝতে হলে যারা এই বিষয়ে পারদর্শী তাদের সাথে সম্পর্ক তথা আলোচনা করতে হবে।
রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর সময় মক্কায় যাঈদ বিন আমর নামে এক লোক ছিলেন।তিনি একেশ্বরবাদী ছিলেন এবং মূর্তি পূজাকে ঘৃণা করতেন। রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর নবুওত লাভের আগেই তিনি মারা যান। পরবর্তীতে তার ছেলে সাঈদ বিন যাঈদ(রা) ,যিনি কিনা রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর একজন সাহাবী ছিলেন,(এই সাঈদ(রা)-ই ছিলেন ওমর(রা) এর বোনের জামাই। ওমর(রা) যখন রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কে হত্যার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তখন তার এই বোন ও তার স্বামী সাঈদ(রা) এর ইসলাম গ্রহণের খবর পেয়েছিলেন) রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কে তার বাবার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) যাঈদ বিন আমর এর জান্নাতবাসী হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
কয়েকদিন আগে একটা হাদিস পেড়ছিলাম যেখনে কয়েক শ্রেণির লোকের কথা বলা হইছিল ,যারা মুসলিম না হওয়ার ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে পারবে।আজকে এখানে উঁকি মারব জানা থাকলে রেফারেন্সটা মনে রাখতাম।
আর মাদার তেরেসাই হোক কিংবা কোনো মহাজ্ঞানীই হোক তাদের সকলের ব্যাপারে একটা কথাই বলব।সুকুমার রায়-এর “জীবনের হিসাব” কবিতাটা পড়েছেন আশা করি। এখন ঐ নৌকায় মাদার তেরেসা আর নোয়াম চমস্কিকে বসিয়ে নিন। শেষমেশ কিন্তু ঐ মূর্খ মাঝিই বেচে যায়।(এখন ঐ নৌকায় মাদার তেরেসা আর নোয়াম চমস্কিকে বসিয়ে নিন।)
I request you to read the Quran which can answers your all questions.
প্রশ্নগুলো ভাল
আমার কিছু প্রশ্ন ছিল, লিস্টে পেলাম না তাই এডাইয়ে দিলাম…
মৃত্যুর পর হিসাব নিকাশের পর বেহেশত দোযখ বরাদ্দ হবে, তাহলে কবরের আযাব কি জিনিশ? ঐখানে কিসের বেসিসে পানিশম্যান্ট দেয়া হবে? যদি মৃত্যুর পরপরি কাউকে বেহশত এর সুখ আর দোযখের কষ্ট ভোগ করান শুরু হয়ে যায় তাহলে শেষবিচারের দরকার টা কি?
পাপীরা পুলসেরাতের উপর দিয়ে যেতে পারবেনা, কিন্তু আমার কথা হল, আল্লহ বিচারের পর আমাদের ধরে দোযখ আর বেহেশত এ পাঠিয়ে দিলেই ত হয়, পুলসেরাতের আইডিয়াটা কেন?
শব ই বরাতের রাতে শয়তান কে আল্লাহ আটকে রাখেন। তাহলে কি ঐ রাতে দুনিয়াতে কোন খারাপ কাজ হয় না কি?
@রুমন,
মুহাম্মদের ভাষা জ্ঞান দূর্বল হলেও তিনি ভাল গল্পকার নাট্যকার ছিলেন- কোরানের এই সুরার শেষের দিকটা পড়েন।
আর এখানে দেখুন তার গল্প শোনার শ্রোতারা কেমন বুদ্ধিমান ছিলেন।
The Foot of Allaah:
Translation of Sahih Bukhari, Volume 6, Book 60, Number 373:
Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “Paradise and the Fire (Hell) argued, and the Fire (Hell) said, “I have been given the privilege of receiving the arrogant and the tyrants.’ Paradise said, ‘What is the matter with me? Why do only the weak and the humble among the people enter me?’ On that, Allah said to Paradise. ‘You are My Mercy which I bestow on whoever I wish of my servants.’ Then Allah said to the (Hell) Fire, ‘You are my (means of) punishment by which I punish whoever I wish of my slaves. And each of you will have its fill.’ As for the Fire (Hell), it will not be filled till Allah puts His Foot over it whereupon it will say, ‘Qati! Qati!’ At that time it will be filled, and its different parts will come closer to each other; and Allah will not wrong any of His created beings. As regards Paradise, Allah will create a new creation to fill it with.
Sahih Bukhari.Volume 3, Book 43, Number 620
Sahih Bukhari.Volume 9, Book 93, Number 532
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক না ।
A little learning is a dangerous thing..
পড়ুন, জানুন, অতঃপর প্রশ্ন করুন।
কোন কিছুতেই বাড়াবাড়ি উচিত নয়।
ভয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করুন
আমার, আপনার বাড়াবাড়িতে মহান আল্লাহ তায়ালার কিছু আসে যায়না।
মিছামিছি ফালাফালি করে লাভ কি?
আপনার সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর অবশ্যই আছে।
জানার আগ্রহ থাকলে ওলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রাখুন
অনলাইনে এগুলো লেখালেখি করে কী লাভ ?
বরং নিজেরই ক্ষতি ।
ভুল হলে মাফ করবেন।
ধন্যবাদ
প্রশ্নগুলো ভাল
the writing is very much interesting. does general bangladeshi muslim people have the courage to question like these to their religious leader to get the answers?
at first we have to change the minds, to change the minds we have to literate the population, so as they become courageous to ask.
@Nafees Sobhan, এই প্রস্ন্ব গুলু করলে নাস্তিক খেতাব পেতে হবে এবং জেলে যেতে হবে। কোন ধর্মেই কোন প্রস্ন্ব করা যাবে না, বিনা বাক্যে মেনে নিতে হবে !
@নাছির, আসলে কোন ধরমেই কোন প্রশ্ন করা যাবে না এই দিন পাল্টাচ্ছে ।শুধু ইসলাম ই স্বয়ং আল্লাহ সৃষ্টি করেছে বলে তা প্লটাবেনা বা পাল্টানোর সম্ভাবনা কম :-Y
@নাছির, ভাই আপনি হয়তো জানেন না যে, ইসলাম ধর্ম সব সময়ই জিজ্ঞাসাকে প্রশংসিত করে থাকে। আপনি যদি কোন বড় জামে মসজিদে যান সেখানে দেখবেন প্রতি শুক্রবার জুমার খুতবার পূর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব খতিব/ইমাম সাহেব দিয়ে থাকেন। আমি তথাকথিত “বোকা মেয়ের” প্রশ্নগুলির বাস্তব সম্মত জবাব অবশ্যই দিব, ইনশা আল্লাহ।
যুক্তি ভক্তি সবই ইমানেরর দাবী ! সব কিছুই আল্লাহ করেন আল্লাহর লীলা এটা মানতে হবে। আদার ব্যপারি জাহাজের খবর নিলে কি কোন উপকার পাব ? আমরা স্রষ্ট্রার অতি ক্ষূদ্রজীব । আমাদের সাধ্য কি আাছে অত বুঝার ?
সূর্যকে আমরা যদি Multi-Dimensional কোন Object চিন্তা করি যার একটা Space আমরা দেখতে পারি। অর্থাৎ, সূর্যের 3-Dimensional projection-ই হয়তো আরা দেখি। সেক্ষেত্রে, সাত মুখ বলতে এগুলই বোঝানো হতে পারে।
ভাল থাকুন।