প্রিয় বন্ধু,
আপনারা সকলেই জানেন ভারতীয় আইন অনুসারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে যে কোনো রকম পশুবলি নিষিদ্ধ। অথচ আমাদের দেশের বহু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রতিনিয়ত নির্বিচারে অসংখ্য মোষ, পাঁঠা, উট, দুম্বা, হাঁস, মুরগী ইত্যাদি পশু বলি দেওয়া হয়ে থাকে। অত্যন্ত লজ্জার সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে পশ্চিমবংগের বাঁকুড়া জেলার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মনসা পুজো উপলক্ষ্যে প্রতিবছর পশুবলি হয় ছোট ছোট শিশুদের সামনেই।পাঠ্যস্থানে এই নারকীয় দৃশ্য তাদের মনে যে ভয়ঙ্কর রকম কুপ্রভাব ফেলে তা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখেনা। পুজোর উদ্যোক্তারা এবছরেও আগস্ট মাসের তৃ্তীয় সপ্তাহে এই কুকাজটি করবে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’ গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ে পশুবলির মত বেআইনি ও অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে লড়ায়ে নেমেছে। এই পিটিশনের মাধ্যমে বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে জানানো হবে তারা যেন অবিলম্বে ব্যাবস্থা নেন। জনমত গড়ে তুলতে আপনার অনলাইন স্বাক্ষর আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
স্বাক্ষর করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।-http://www.petitiononline.com/sacrific/petition-sign.html
হাজার চেষ্টার পরেও শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পশুবলি হল।
না। এত করে প্রশাসন কে জানিয়েও তাদের তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের ছেলেপুলেরা লিফলেট বিলি করে আর মানুষ কে বুঝিয়ে বলির সংখ্যা নামাতে পেরেছে এটা ঠিক। সারাংগপুরে ১৪ টি। মালপাড়ায় ৩ টি। কেন্দুয়াডিহি তে ৩ টি হয়েছে। আশা করছি সামনের বছর ওটাকে শূন্যে নামাতে পারব।
সমস্ত পাঠক পাঠিকারা যারা ঘটনাটি পড়েছেন, যারা মতামত দিয়েছেন, যারা অনলাইন সই করেছেন, সবাইকে আবার ধন্যবাদ।
@বিপ্লব দাস,
নামাতে পেরেছেন। এটা কম কৃতিত্বের কিসে?
আপনাদের এই মহতী প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। আমরা আছি আপনাদের সাথে।
সহমত। :yes: :yes: :yes:
আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে নিরামিষাশী। তবে সবাই পুরোপুরি নিরামিষাশী হয়ে গেলে কি সেটা ভাল হবে না খারাপ হবে সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নই। তবে আমার মতে নিতান্তই যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রেই শুধু বাধ্য হয়ে প্রাণীহত্যা করা উচিত। অনথ্যা যেখানে আমাদের বিকল্প আছে সেখানে অযথা অসহায় প্রাণীদের হত্যা করা মোটেই সমীচিন নয়। বিশেষতঃ বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে তো আমরা একই পূর্বপুরুষথেকে এসেছি। সুতরাং এক হিসেবেতো দূর সম্পর্কের আত্মীয়ই। 🙂
পাঠা মহিষ বলি দিয়ে তার মাংশ খাওয়া বা কোরবানীর নামে জবাই করা পশুর মাংশ খাওয়া আর কশাইখানায় বলি দিয়ে তার মাংশ খাওয়ার মধ্যে তফাত টা কি সেটাই আজ পর্যন্ত বুঝলাম না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে জীব জন্তুকে জবাই বা বলি দিয়ে ফিনকি দিয়ে যখন রক্ত বেরোয় তা দেখতে পারিনা কেমন যেন নার্ভাস লাগে , একবার তো প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম। আমার হার্ট বোধ হয় খুব দুর্বল। আচ্ছা হার্ট হবে নাকি নার্ভ হবে ? এর পর থেকে মাংশ খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছি। আমার মনে হয় আমাদের নিরামিষ ভোজনের আন্দোলন করাই ভাল। কারন ব্যক্তি গত ভাবে আমি দেখেছি যখন মাংশ খেতাম তার চাইতে এখন অনেক বেশী সুস্থ বোধ হয় নিজেকে। শরীরে সব সময় একটা সতেজ ভাব থাকে।
@ভবঘুরে,
ধর্মের ধ্বজাধারীরা প্রচার করে থাকেন, ধর্মীয় কারনে পশুবলি দিলে মানসিক শক্তির বিকাশ হয়। তারা যুক্তি রূপে টেনে আনেন তন্ত্রের কথা। অথচ পুজোর নামে এই নৃশংস প্রথা কোনো ভাবেই মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেনা বরং দুর্বল এবং অবলা প্রানীদের যে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় এতে খুনী মানসিকতার জন্ম নেয়। বিশেষত শিশুমনে বলিপ্রথার কু প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ থেকে মানসিক রোগ, ভীতি, হিংস্রতা বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা হতে পারে। সারা পৃ্থিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের এমনটাই অভিমত। আমাদের আলোচ্য বিদ্যালয়গুলির শিশুগুলির মনের ওপর কি ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়।
আদিবাসী কিছু সংগঠন মনে করেন এটা তাদের সংস্কৃতিতে ভদ্রলোকদের অকারণ হস্তক্ষেপ। যেমন বুদ্ধপুরণিমার দিনে পুরুলিয়ার পাহাড়ে সারা রাত আদিবাসীরা শিকার করে। সামান্য কিছু জীবজন্তু জংগলে আছে তারা মারা পড়ে উন্মত্ত এক মানুষের পালের হাতে। প্রচার চালিয়ে এখনো লাভ হয় নি। হয়তো ভবিষ্যতে হবে। তবে এই মনসা পূজায় আদিবাসীদের প্রভাব কতটা তা আমি নিশ্চিত নই। স্কুলে মনসা পূজা হয় এইরকম স্কুল আছে জানা ছিল না। গ্রামাঞ্চলে কুসংস্কার কোথায় কোন কোণে এখনো জমে আছে সেই ব্যাপারে একটা শিক্ষা হল।
প্রথম দিকে কমিউনিস্টরা (সিপিএম) হিন্দু কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ত।তাই পশ্চিম বাংলায় বলি প্রথা প্রায় লুপ্ত। তারপর ভোটের তাগিদে কমিউনিস্টরা শরিয়ত, বোরখা, মাদ্রাসা ইত্যাদির প্রবল সমরথক হওয়ার পর থেকে অবশিস্ট হিন্দু কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ধারাও শুকিয়ে এসেছে। আর বাকুড়ার মত আদিবাসী প্রভাবিত অঞ্চলে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বড় বাধা আসে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে।
@মিয়া সাহেব,
ভাবনা জাগানো মন্তব্য।
@মিয়া সাহেব,
প্রথমত জানাই শুধুমাত্র আদিবাসীরা বলি দেয় না। অ-আদিবাসী যারা আছে সবাই বলির সমর্থক। আন্দোলনকারীরা প্রচন্ড ভাবে আন্দোলন করার পরেও কোলকাতা শহরে কালি পুজোতে অন্তত শখানেক জায়গায় বলি হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব শহর গ্রামেই কালি এবং দুর্গাপুজাতে বলি হয়। কুরবানির আগে দেখবেন জি টি রোডের ধার দিয়ে আসছে সার সার উট। সবাই জবাই হবে। বলির বীভৎসতায় বোধ হয় বর্ধমান এগিয়ে। ভাতার অথবা ক্ষীরপাইএর কাছে কি একটা জায়গা আছে যেখানে কালি পুজোতে পাঁঠা এবং মোষ বলি এত দেওয়া হয় যে একটা পুকুরেরে জল লাল হয়ে যায়। সংখ্যাটি কয়েক হাজার। আমাদের ছেলেরা একবার ওখানের ছবিও তুলে এনেছিল। মেজিয়ার কাছে এক জায়গায় হাঁড়িকাঠ থেকে পাশের নদী পর্যন্ত একটি নালা কাটা হয় বলির রক্ত নদীতে না পড়া অবধি বলি চলতেই থাকে। কালি পুজো তে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত কয়েক হাজার মন্দিরে বলি হয়। কোথাও দশ বিশটা পশু কোথাও হাজার। রক্তপাতের বিরাম থাকে না। সবাই কিন্তু তথাকথিত ভদ্র, সভ্য সমাজের। থাকে আমেরিকায়। কিন্তু দুবছর বাদে দেশের বাড়ি এসে পাড়ার পুজোতে বলি দর্শন না করলে সফরটা ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে দাদা।
হ্যাঁ। এত অকারণ হত্যা হয়, হচ্ছে। দেখি। কষ্ট লাগে। কষ্ট থেকে উঠে আসে ক্ষোভ।
ধর্মের ধ্বজাধারীরা প্রচার করে থাকেন, ধর্মীয় কারনে পশুবলি দিলে মানসিক শক্তির বিকাশ হয়। তারা যুক্তি রূপে টেনে আনেন তন্ত্রের কথা। অথচ পুজোর নামে এই নৃশংস প্রথা কোনো ভাবেই মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করেনা বরং দুর্বল এবং অবলা প্রানীদের যে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় এতে খুনী মানসিকতার জন্ম নেয়। বিশেষত শিশুমনে বলিপ্রথার কু প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ থেকে মানসিক রোগ, ভীতি, হিংস্রতা বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা হতে পারে। সারা পৃ্থিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের এমনটাই অভিমত। আমাদের আলোচ্য বিদ্যালয়গুলির শিশুগুলির মনের ওপর কি ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়।
এখন দেখা যাক ধর্মীয় কারনে পশুবলির বিরুদ্ধে আমাদের দেশের আইন কি বলছে?
The prevention of cruelty to animals act, 1960 অনুসারে, প্রকাশ্যে পশুবলি নিষিদ্ধ। কোন প্রত্যক্ষদর্শী ওই বলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালে মন্দিরের পূরোহিত সমেত পূজো কমিটির কর্মকর্তা ও বলি দানে অংশগ্রহনকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। আবার Wild life protection act অনুসারে যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী প্রানী হত্যা দন্ডণীয় অপরাধ। জেল এবং জরিমানা দুটোই হতে পারে। Public nuisance act অনুসারে কোনো ব্যক্তির চোখের সামনে বলি দেওয়া যায় না। এছাড়াও আছে। আইন অনুসারে কোনো একটি প্রানীর চোখের সামনে অন্য একটি প্রানী কে হত্যা করা যাবেনা। অস্ত্র নিবারণ আইন বলে বেআইনি অস্ত্র অর্থাৎ খাঁড়া চপার রাখা যাবেনা।
আমাদের ক্ষোভ এই যে এতগুলি আইন থাকা সত্বেও শুধুমাত্র ভোটের ভয়ে প্রশাসন চুপ কেন? আমরা এই মুহূর্তে প্রশাসনকে খুব ছোট একটা লড়ায়ে সামিল করতে চাইছি। সরকারী টাকায় চলা স্কুলে বে আইনি ও অমানবিক কাজ টি বন্ধ করুন। ব্যাস।পশুবলির বিরুদ্ধে লম্বা লড়ায়ের সবচেয়ে প্রথম এবং সহজ ধাপ এটি। সতীদাহ থেকে নরবলি কোনোটাই কিন্তু শুধুমাত্র জনসচেতনতায় বন্ধ হয়নি। প্রয়োজন হয়েছিল কড়া আইনের সঠিক প্রয়োগ।
গত বছর প্রশাসনিক স্তরে হাজার চেষ্টা করেও বিদ্যালয়ে পশুবলি আটকাতে পারিনি। যাই হোক, এবার আমরা তিনটি স্কুলের কাছে লিফলেট বিলি শুরু করেছি। গত কয়েক মাসে কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছি। গত ৬ আগষ্ট মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে সব জানিয়েছি। দেখা যাক কি হয়।
@বিপ্লব দাস,
ধর্মীয় কারণে পশুবলী আইন? এই আইনের বাধা-নিষেধ তো দেখছি শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য। এ কেমন আইন?
বিপ্লব পাল কী বলেন?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ধর্মীয় অনুষ্ঠান মানে কিন্তু হিন্দু, মুসলিম,শিখ, খ্রীষ্টান যে কোনো ধর্মের অনুষ্ঠান কেই বোঝায়। cow protection law অনুসারে গরু বলি নিষিদ্ধ।
একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট অভিমত দেয় ,Cow slaughter on bakrid was held not to be an essential practice of Islam and could therefore be prohibited by law in the interest of public order (mohd.Hanif Quareshi v/s State of Bihar,AIR,1958 Sc 731)
তামিলনাড়ু সরকার Tamilnadu animals and birdsprevention act-1950 প্রয়োগ করে বলি এবং কুরবানি কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করেছে।কর্নাটক,অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট,হিমাচলপ্রদেশ, ঝাড়খন্ডে কেউ বলি দেখলে স্থানীয় থানায় FIR করে, অর্থাৎ প্রতিবাদের সাহস পায়। আর আমাদের স্বর্গরাজ্য পশ্চিমবংগ?
@বিপ্লব দাস,
আপনার আগের পোস্টে ব্যাপারটা পরিস্কার ছিল না বিধায় প্রশ্নটা করেছিলাম।
আপনি পাঠাবলির হিংস্র ছবিসহ পোস্টিং দিয়ে যেরকম জনমত তৈরী করেছেন, আশা করি অনুরুপ পোস্টিং কুরবানীর সময় দিবেন। আমি কিন্তু আগাম দস্তখতের কথা বলে রেখেছি।
ধন্যবাদ
@নৃপেন্দ্র সরকার,
সহমত।
@বিপ্লব দাস,
কালিপূজা, মনসাপূজায় পাঠাবলী যেমন জঘন্য কর্ম, কোরবানী ঈদে গরু হত্যাও জঘন্য। আমি দরখাস্তে দস্তখত দিয়েছি। আশা করি অনুরুপ দরখাস্ত কোরবানীর ঈদের বেলায় করবেন। আমি দস্তখত দেব।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনি তো দেখি আমাদের মুসলমান ভাইদের জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা বন্দ করার তালে আছেন। কোরবানী করার কয়েকটি ফজিলত নিম্নরূপ:
১। জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কার হয়।
২।দেশে যারা গরু মোটা তাজা করে, তাদের কিছু আয় উপার্জন হয়। এতে তাদের বেকারত্ব কিছুটা ঘোচে।
৩। যারা বিপুল পরিমান অবৈধ মালপানি উপার্জন করে , কিছুটা হলেও তার একটা অংশ মার্কেটে আসে যার সরাসরি ফলভোগী হলো গরীব মানুষ।
৪।বলদ দিয়ে এখন হালচাষ হয় না, তাই কোরবানীই হলো বলদ গরু বেচার বড় বাজার।নইলে ওগুলো পুষে কোন লাভ হতো না।
৫। কোরবানী উপলক্ষ্যে গরীব দুখিরা একদিনের জন্য হলেও তরতাজা গরুর মাংশ খেতে পারে।
৬। বাংলাদেশ বিপুল পরিমান উন্নত মানের চামড়া বিদেশে রপ্তানী করতে পারে।
৭। সৌদিরা তাদের দেশে কোরবানীকৃত মাংশ আমাদের দেশের মত গরীব দেশে পাঠিয়ে দান খয়রাতের ফজিলত অর্জন করতে পারে, আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা সেসব মাংশ গরীব দুখিদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করতে পারে। এসব মাংশের ভাগ নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে মারামারিটা হলো ফাও বিনোদন।
এত গুলো ফজিলত যে কোরবানীতে , আপনি সেটা বন্দ করতে চান। আপনার মতলব তো ভাল মনে হচ্ছে না ভাই । :rotfl:
যারা এই ছোট্ট আবেদনটি পড়েছেন, ভেবেছেন বা মন্তব্য করেছেন বা সই করেছেন সকলকেই ধন্যবাদ।আসলে হয়েছে কি গত বছরও ঠিক এই বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। সেবারের মনসা পুজোর সময় জেলাস্তরের প্রশাসনিক লোকজনকে বার বার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল।
গতবারের আন্দোলন নিয়ে বছর খানেক আগে ‘এত রক্ত কেন?’ শিরোনামে একটা ব্লগ লিখেছিলাম। ওতে পুরো ঘটনাটি তুলে দেওয়া আছে।
সাইন করে আসলাম। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ বিপ্লব বিষয়টি নিয়ে লিখবার জন্য। পিটিশনে সহ করলাম।
জনসচেতনতা তৈরি হোক সব ধরণের নৃশংসতার বিরুদ্ধেই।
অটোগ্রাফটা দিয়েই আসলাম। শুভকামনা থাকল।
সই করলাম।
আইনটার কথা জেনে অবাকই লাগছে অবশ্য। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সংজ্ঞা কি? কুরবানী কি ধর্মীয় অনুষ্ঠান?
– এটা আমার জানা ছিল না। সুপষ্ট আইন থাকার পরেও কিভাবে চলে তা নিয়ে আদালতে যাওয় যায় না?
@আদিল মাহমুদ,
আদালতে যাওয়া যায় দাদা কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?
সত্যি কথা কি জানেন পঃ বাংলার লোকেরা এত আত্ম কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে যে অনেক কুসংস্কারের বিরদ্ধে ্কারুর ই তেমন মাথা ব্যথা নেই।
কিন্তু এই পঃ বাংলার মানুস নিজেরা নিজেদের কে নিয়ে বড় গর্ব বোধ করে। আর এই সি পি এম এরা ভোটের জন্যে হেন কোন হীন কাজ নাই যা কোরতে পারে না। গিয়ে দেখুন যারা ইস্কুলে পশু বিলি দিচ্ছে তারা সবাই সি পি এম করে।সরকার তাদের চটালে হয়ত ভোট হারাবে কিছু।
@সেন্টু টিকাদার,
খুবই দূঃখজনক।
আমার তো মনে হয় যে ভারতীয় বিচার বিভাগ অনেক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। আমাদের বাংলাদেশে পর্যন্ত এই কিছুদিন আগে এক হিন্দু নামওয়ালা লোকে কোরবানী সম্পর্কিত কোরানের আয়াতে নাকি কি ভুল আছে এই দাবী করে আদালতে গেছে। আদালত আমলেও নিয়েছে।
কেউ একজন ঘন্টা বাধুন। তারপরেও পুরো বন্ধ হবে না, তবে অনেক জোর পাবেন।
মানুষের সূস্থ বিবেক জাগ্রত হোক ধর্মের নামে এসব পৈশাচিক রিচূয়ালের বিরুদ্ধে।
@আদিল মাহমুদ,
ওই যে একটা কথা আছে ‘সংস্কার’ তা সমাজে প্রচলিত থাকুক বা ভ্রমজনিত কারনে কেই কেই ধরমের সংগে যুক্ত করুক – সেই সব নিয়ে সরকার ইচ্ছা করে মাথা ব্যথা করে না। ” ….. চল রাহা হ্যয় চলনে দো ” – অনেকটা এই রকম মেন্টালিটি।
হিন্দুদের কোন authentic ধর্ম পুস্তকে মনশার কথা পাবেন না।
“মানশা মংগল” নামে কেই একজন একটা বই লিখেছিল অনেক অতিত কালে। ভুলে গেছি বাংলা কোন সনে। এতে চাঁদ সদাগার বলে এক সদাগারের পারিবারিক কাহীনির সাথে সাপের দেবী মনশার শত্রুতা ও পরে মিত্রতার কথা বর্নিত আছে। আর দেখা গেল আস্তে আস্তে মনশা কে কিছু হিন্দু পুজ করতে সুরু করল।
আবার দেখুন কি বিচিত্র মানসিকতা আমাদের।
জয় মা সন্তসী নামে প্রায় ২০ বছর আগে একটা হিন্দি সিনেমা রিলিজ হয়েছিল। বক্স অফিস সাফল্য পেয়েছিল। তখন শুনতাম লোকে কথায় কথায় মা সন্তসীর কিরা কাটছে। শুধু তাইই না। মহীলারা সন্তসীর ব্রত রাখছে ও উপস করছে। এই মা সন্তসীর হিন্দুদের কোন authentic ধর্ম পুস্তকে উল্লেখ নাই।
মহেশ্বরীর কথা বলেছেন। আমিও ঢাকা থেকে প্রকাশিত কাগজে (সফট কোপি) মহেশ্বরীর পাগলামীর কথা পড়েছি। ওই শিক্ষক ভদ্রলক তাঁর বক্তব্যর সমর্থনে কোন রেফারেন্স দিতে পারেননি (কাগজে পড়িনি মহেশ্বরীর যুক্তি বা রেফারেন্স)। মুক্তমনায় কোন বিদগ্ধ লেখকের লেখায়ও কোন দিন দেখিনি ইশাকে তার বাবা কোরবানী দিতে চেয়েছিল।মহেশ্বরীকে নিয়ে জামাত ও বি এন পি হুল-স্থুল কান্ড করার চেশটা করছে। যাই হোক মহেশ্বরীর সাহস আছে বলতে হবে।
@সেন্টু টিকাদার,
ইদানীং কালের নতুন ভগবানের নাম কি কেউ জানেন?
আওয়াজ দিবেন। পারবেন না জানি। তাই আগেই উত্তরটা দিয়ে দিচ্ছি।
– বাবা লোকনাথ।
জলে-স্থলে যেখানেই বিপদে পড়েছেন, বলবেন – বাবা লোকনাথ আমাকে উদ্ধার কর। তিনি উদ্ধার করবেন। তবে তিনি টাকা পয়সা দিয়ে উদ্ধার করেন না। তিনি টাকা পয়সা নেন।
মাহফুজ, তুমি বাবা লোকনাথের নাথের নাম লও। সব মুশকিল আশান হবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমার যেখানে বাস, সেখান থেকে লোকনাথের মন্দির মাত্র এক মাইল দূরে, নদীর তীরবর্তী এলাকায়। মন্দিরটি নিজেই মুশকিলের মধ্যে আছে। একদিকে কাত হয়ে হেলে পড়েছে, যে কোনো মুহূর্তে পূর্ণভাবে পড়ে গিয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তবে ‘জলে-জঙ্গলে-যে কোনো জায়গায় বিপদে পড়লে বাবাকে ডাকার আহ্বান’-এর সাইনবোর্ডটি এখনও টিকে আছে, তবে জরাজীর্ণ অবস্থায়।
আপনাকে সাধু বাদ জানাই এই কাজ টাতে হাত দেবার জন্যে।
সাইন করলাম।
জানি না কতটা লাভবান হবেন। মনে হয় পঃবাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ও রাজ্যপালের কাছ থেকে কোন হেল্প পাওয়া যাবে না। আর পঃবাংলার মুখ্য মন্ত্রীর তো বর্তমানে মাথার ঠিক নাই।
ইস্কুলে মনশা পুজো হয় এই প্রথম শুনলাম। ভাবতে অবাক লাগছে ইস্কুলে মনসা পুজো হয়। পূঃবংগে বা পঃবংগে থেকে কোন দিন এই কথা শুনিনি। আমার মনে হয় মুক্তমনার সবাই আমার মত এই প্রথম বার শুনলেন।বাঁকুড়ার এটা একটা লোক কালচার হতে পারে। বিচিত্র এই হিন্দু সংস্কার। এক এক যায়গায় এক এক রকম। জেন কোন কিছুরই ঠিক ঠিকানা নাই।
আমার মনে হয় বাঁকুড়ার গাঁয়ের ইস্কুলের মধ্যে এই সব বলি টলির প্রথার বিরুদ্ধে পঃবাংলার ডেইলি গুলি আগ্রিনী ভুমিকা রাখতে পারে।ওই ডেইলি গুলিতে লেখা লেখির প্রয়জন আছে। পঃ বাংলা স্কুল এডুকেশন বো্রড যারা শিক্ষা ক্ষেত্রে তথাকথিত ভাবে অগ্রনী ভুমিকা রাখে তাদেরও এই জঘন্ন ব্যাপার টা নজরে আসা দরকার। তার পরতো রয়েছে পঃবাংলার কিছু বুদ্ধিজীবি, লেখক।তাদেরকেও যদি কাছে পেতে পারেন।
যেই ভারতবর্ষে বহু মহাত্মা অহিংসা ধর্ম প্রচার করেছেন , সেখানে এই ধরনের অমানবিকতা আসলে অনেক বেশি দৃষ্টিকটু। বিশেষতঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ইহা ভায়োলেন্সের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
স্বাক্ষর করলাম। facebook এ এটা দিলে ভাল হতো।
স্বাক্ষর করলাম। উপরের মারকুইতে লিংকটি দিয়ে দিচ্ছি।