অবিশ্বাস নিয়ে অনেক তামাশা মশকরাতো হল। এবার কিছু চরম বিষয় নিয়ে আসুন ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা করি। আগের পোস্ট দুটোতেই অনেক গালগল্প হয়েছে। আর না। গালগপ্পো শেষ করে আসুন ইকটু চিৎকার করে গলা ফাটাই। ধর্ম,কোরান, বেদ, বাইবেল নিয়ে হাজারো পয়েণ্ট মাথায় খেলা করে। কিন্তু সেগুলো আমি যথা সম্ভব উহ্য রাখার চেষ্টা করব। কারন ওসব বাল্যশিক্ষার বইয়ের কোন গুরুত্ব আমার কাছে নেই।
এবার আমি চিৎকার করতে চাই, জবাব চাই। তাই এবার আর “হাবিজাবি” নয়, এবার ‘চরমপন্থা’!
প্রশ্ন-
১- পুরোনোটা আবার দিয়েই শুরু করি। হিজড়া সম্প্রদায় সৃষ্টির পেছনে সৃষ্টিকর্তার গূঢ় উদ্দেশ্য কি? তাদের কে এরূপ সীমাহীন কষ্ট ও দূর্ভোগের ভেতর ফেলানোর উদ্দেশ্যই বা কি!?
২- বিকলাঙ্গ ও অসুস্থ মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি? ডিসকভারি চ্যানেলে একটা প্রোগ্রাম দেখায় ‘My Shocking Story’ শারীরিক অস্বাভাবিকতা (বিকলাঙ্গতাতো বটেই, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু) নিয়ে। কারো মাথার সাইজ বেঢপ,কোন মহিলার পুরো শরীর (মুখ সহ) অবাঞ্ছিত লোমে ভর্তি, কারো গা দিয়ে যেন মাংস গলে গলে পরছে!! একজন সুস্থ মস্তিস্কের সৃষ্টিকর্তা কিভাবে এধরনের সৃষ্টি করেন? মানুষ গুলোকে সারা জীবন কি পরিমান ভয়াবহ জীবন যাপন করতে হয় তার কি কোন সীমা আছে?!
৩- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সৃষ্টির পেছনেই বা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য কোথায়? অনেকে বলে বাবা-মায়ের পাপের ফল নাকি এই সব শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষ!! আরো মজার কথা পড়েছি ‘মোকসেদুল মোমেনিন’ বা ‘বেহেশতি জেওর’ এ!! ওখানে ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’ অংশে লেখা আছে যে, স্ত্রীকে উপরে রেখে (!!!) রাত্রী যাপনে নাকি বিকলাঙ্গ সন্তান হয় (আসলে এটা লিখতে চাইনি। কিন্তু এত ফানি একটা ব্যখ্যা এড়াতেও পারলাম না। এই অংশের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)!!!! স্ত্রীর-সাথে স্বামীর আরো যৌন সঙ্গমের আরো বহু নিয়ম কানুন ঐ বইতে দেয়া আছে, ওগুলো না মানলে নাকি সন্তান আন্ধা, কালা, বোবা, খোঁড়া এরকম হয়!! (আরো অতিরিক্ত ফানি টাইপ কিছু কথা ঐসব বইতে লেখা ছিল, কিন্তু বেশি পরিমান খোলামেলা হয়ে যায় বলে দিতে সাহস পাচ্ছি না!!!!) এসব কথার আদৌ কি কোন অর্থ আছে? বাবা-মা যাই করুক না কেন, সন্তান কে কি হিসাবে তাদের পাপের বোঝা বহন করতে হয়? তাও আবার এই অমানবিক কায়দায়?
৪- বাংলাদেশে প্রতি বছর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে, আর আফ্রিকার মরুভূমি, সুদানের দারফুর এসব জায়গায় মানুষ পানির অভাবে মারা যাচ্ছে! এটা কোন ধরনের সুন্দর সৃষ্টি? পরিকল্পিত সৃষ্টির এই দশা!! আমরা পানির যন্ত্রনায় মারা যাচ্ছি, আর তারা পানি না পেয়ে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে!! হায়রে আমার বুদ্ধিমান সৃষ্টিকর্তা!
৫- মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব! ভালো কথা, তাহলে মানুষেরও কেন অন্যান্য প্রাণীর মতই সব কিছু করতে হয়? মানুষের বর্জ্য পরিত্যাগের ব্যপার না থাকলে কি কোন অসুবিধা ছিল? এই যে বর্জ্য পরিত্যাগের পেছনে আমাদের খাদ্যের বিশাল একটা অংশ মাঠে মারা যাচ্ছে, এর কি কোন অর্থ আছে? বর্জ্য পরিত্যাগ করতে না হলে মানুষকে তুলনা মুলক কম খেতে হত, তাতে খাদ্যের অপচয় কি কিছুটা হলেও কমত না?
৬- আসলে ৫নম্বর পয়েণ্টটার মূলত কোন অর্থ নেই। কারন মানুষকে গাছের মত নিজের খাদ্য নিজেকেই উৎপাদন করতে দিলে ব্যপারটাকি আরো ভালো হত না? তাতে খাদ্যের অভাবে অন্তত কাউকে মরতে হত না। খাদ্যের দখল নিয়ে মারামারিও হত না। খাদ্যে ভেজাল দেয়ারও কোন ব্যপার থাকতো না!!!
৭- ৬নম্বর পয়েন্ট দেখে অনেকেই হয়ত বলবেন যে, এসব রেখে আসলে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পরীক্ষা করছেন!! কোন মানুষের অনেক সম্পত্তি আছে, তার খাওয়া পড়ার কোন অসুবিধা নেই। সে তার পাশের ক্ষুদার্ত মানুষটাকে সাহায্য করছে কিনা সেইটা পরীক্ষা করার জন্যই সৃষ্টিকর্তা ক্ষুদার্ত মানুষ রেখেছেন!!!( কি ভয়াবহ ধরনের আজব যুক্তি!! আরে ভাই, একজনকে পরীক্ষা করতে যেয়ে আরেকজনকে চরম কষ্টে রাখার অর্থটা কোথায়!!!!) এ প্রশ্নের জবাব কি আছে?
৮- সৃষ্টিবাদীরা বলেন সৃষ্টিকর্তা কতই না সুন্দর করে এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন!! কতই না পরিকল্পিত তার সৃষ্টি!! কত গোছানো সাজানো! এই ফুল, পাখি কত সুন্দর সুন্দর সব জীব! কি সুন্দর প্রকৃতি!! আর আমি বলি, sorry!! আমায় ক্ষমা করবেন। আগে বুঝুন যে সৌন্দর্য ব্যপারটা আসলে কি? সৌন্দর্য মূলত নির্ভর করে যার যার দেশের সমাজ ব্যবস্থার উপর। যেমন ইংল্যান্ড আমেরিকায় বিকিনি পরা সৌন্দর্যের ব্যাপার হলেও আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো সেটা ভয়াবহ অসৌন্দর্যের ব্যপার। আবার ধরেন ময়না টিয়া পাখি কে আমরা সুন্দর বলছি এবং কাক শকুনকে বলছি অসুন্দর, কারন আমাদের সমাজ আমাদের কে ওভাবেই বড় করেছে। আবার ধরেন একজন মানুষ সুট্যেড বুটেড হয়ে চললে আমরা তাকে সুন্দর বলছি আর রাস্তায় লুঙ্গি পরে খালি গায়ে শুয়ে থাকা মানুষটার দিকে আমরা ঘৃণার চোখে তাকাচ্ছি, যদিও আমরা জানি যে তার সামর্থ নেই বলে সে আজ খালি গায়ে। এই ঘৃণা বোধটাও সমাজেরই সৃষ্টি। অর্থাৎ সমাজ যা শেখাচ্ছে আমরা তাই ঠিক টিয়া পাখির বুলির মত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পার করে চলেছি।
এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন। মরুভূমিতে খেজুর গাছ, ক্যকটাস গাছ থাকার অর্থ কি? ওখানে ভালো কোন বড় সড় ফলের গাছ (আমাদের কাঠাল গাছের মত) হলে কি সেখানকার মানুষরা ভালো খেতে পারত না? একজন ক্ষুদার্ত মানুষের কাছে কি ফুল গাছের সৌন্দর্যের কোন অর্থ আছে??
৯- প্রাকৃতিক দূর্যোগের অর্থ বা প্রয়োজনীয়তা কোথায়? ঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, দাবানল এসবের অর্থ কি? এত এত মানুষ, পশু পাখি মেরে ঈশ্বর আসলে কি বোঝাতে চান? তিনি কি এসব দিয়ে তার হিংস্র ক্ষমতার বহিপ্রকাশ দেখান!!!? তিনি সর্বশক্তিমান এই কথা বোঝানোর জন্যই কি তিনি এত এত মানুষ মারেন!! তার ক্ষমতার এতই দাপট!! তাহলে সৃষ্টিকর্তার সাথে হিটলারের বা জর্জ বুশের পার্থক্য কোথায়?? সবচেয়ে বড় ব্যপার হল , যে সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির জীবন মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা, তাকে পূজো করে কি আদৌ কোন লাভ আছে? সে নিজেই তো হত্যাকারী!! একজন খুনিকে পুজো করার কোন অর্থ কি আদৌ আছে!!
১০- এই প্রশ্নটাকে আমি বলি ভাগ্যের খেল!! ধরেন একটা দেশে যুদ্ধ লেগেছে। সেখানে যেকোন একটা মুসলিম পরিবারের সব সদস্য যুদ্ধে নানা ভাবে মারা গিয়েছে। শুধুমাত্র ঐ পরিবারের এক বছর বয়সের একটা শিশু কোন ভাবে বেঁচে গেছে। এখন একটা মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা ঐ শিশুকে কুড়িয়ে নিয়ে ভারতের কোন এক হিন্দু পরিবারে দত্তক দিয়ে দিয়েছে। এবং সে পরবর্তী জীবনে হিন্দু হিসাবেই জীবন যাপন করেছে। তাহলে ঘটনা কি দাড়াল? তার ভাগ্য (যেটা কিনা আবার নিয়ন্ত্রণ করেন সৃষ্টিকর্তা!!!) তাকে এক ধাক্কায় কাফের বানিয়ে দিয়েছে!!! দারুন না!!?? তার মানে দাড়াচ্ছে এই যে, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় মানুষ কাফেরে পরিনত হয়!!!
১১- সৃষ্টিকর্তা তো সব দেখেন, তাই না!! অন্তত ধর্মবাদীরা তাই দাবি করেন! সৃষ্টিকর্তা সর্বজ্ঞ,সর্বজ্ঞানী, সবজান্তা,ভবিষ্যতদ্রষ্টা!! তাহলে এবার খেল দেখি। ধরেন একটা সন্ত্রাসী একটা ভালো মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। এখন সৃষ্টিকর্তা যেহেতু ভবিষ্যতদ্রষ্টা,সেহেতু তিনি আগে থেকেই জানতেন যে এই লোক গুলি করে আরেকজন কে হত্যা করবে। সৃষ্টিকর্তা যেহেতু সব দেখছেন তাহলে গুলি করার মুহূর্ত হতে গুলি ঢোকার মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি সবটুকু তামাশাই দেখেছেন তাহলে তিনি কিছু করলেন না কেন? তিনি কি চাইলেই ঐ ভালো লোকটাকে বাঁচাতে পারতেন না? তাহলে বাচালেন না কেন?? আপনারা হয়তো বলবেন যে ঐ সন্ত্রাসীকে পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টিকর্তা তখন কিছু বলেন নাই। পরকালে তাহার শাস্তি হইবেক!! পরীক্ষা যদি করতেই হয়, তাহলে গুলি করা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। গুলি করার পরে গুলিটা সরায়ে দাও। একজনকে পরীক্ষা করতে গিয়ে আরেকজনের জীবনের বারোটা বাজানোর অর্থ কি?
১২- কোন শিশুর জন্মের আগে তার পিতা মাতা কে হবে তা নিশ্চই সৃষ্টিকর্তা আগে থেকেই নির্ধারন করে থাকেন? সৃষ্টিকর্তা নিশ্চই কোন শিশুকে পিতামাতা ঠিক করার আগেই আন্তাজে অর্থহীন ভাবে কারো গর্ভে নিক্ষেপ করেন না? তাই যদি হবে, তাহলে পরকীয়ায় বা ব্যভিচারে বা ধর্ষণে দোষ কি? ধর্ষণের ফলে বা পরকীয়ার ফলে যে সন্তানের জন্ম হয় তাতে নিশ্চই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা বা সম্মতি আছে! তাহলে পরোক্ষ ভাবে পরকীয়া বা ধর্ষনেও সৃষ্টিকর্তার সম্মতি আছে?!
১৩- কারো এইডস হলে ধর্মবাদীরা বলেন যে,” কোথায় কি আকাম কুকাম করে আসছে, সৃষ্টিকর্তা তার শাস্তি দিচ্ছেন”!!! আরে ভাই অন্য আরেকজন থেকে রক্ত নিতে গিয়েও এইডস হতে পারে তো নাকি? আবার সামান্য নাপিতের দোকানের ব্লেড থেকেও নাকি এইডস হবার সম্ভাবনা থেকে যায়! অথবা এইডস আক্রান্ত পিতা মাতার শিশুও এইডসে আক্রান্ত হতে পারে। তাহলে এখানে এ্কজনের দোষে আরেকজনের বারোটা বাজানোর অর্থটা কি?
সব ক্ষেত্রেই দেখি একই অবস্থা!! একজনের দোষে আরেকজনকে অবিরাম শাস্তি পেতে হচ্ছে!! এটা কি কোন বিবেচকের মত কাজ? মহাজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তার মহাজ্ঞানের এই দশা!!!
ধর্ম ও বুদ্ধিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস ছাড়ার জন্য এর থেকে বেশি আর কোন কারন আদৌ দরকার আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি ধর্ম ছাড়ার পরেও বেশ কয়েকবার ফিরে যেতে চেয়েছিলাম (অবিশ্বাস্য শোনালেও মিথ্যা না) কিন্তু এসব প্রশ্ন আমাকে দূর থেকে বহু দূরে নিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে, যেখান থেকে ফিরে আসার আর কোন রাস্তা আছে কিনা আমার জানা নেই। এমনকি প্রতি নিয়তই নতুন নতুন ভ্রান্তিময় প্রশ্ন যুক্ত হচ্ছে আমার তালিকায়। সব হাবিজাবি না হয় না-ই জানলেন।
এই পোস্টের মধ্যদিয়েই মাথার ভেতরের সব গ্যঞ্জাম যেমন বের করে দিলাম, তেমনি আগামীতে যাতে কেউ ঝগড়া বাধালে তাকে সরাসরি আমার অবিশ্বাসের কারন দেখাতে পারি তারও ব্যবস্থা করে রাখলাম। এসব ব্যপারে (আসলে কোন ব্যপারেই-) আমি ঝগড়া ঝাটি মোটেও পছন্দ করিনা!!
হা হা হা হা হা … পোস্ট পড়ে ক্ষ্যাত পাঠকের মত বলতে ইচ্ছা করছে “পুরাই গুল্লি” :guli: :guli: :guli: :guli:
আসলে বিশ্বাসের সাথে যে যুক্তি তর্ক চলে না তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। বিশ্বাস আর যু্ক্তি তর্ক একে অন্যের বিপরীত। যেমন ভাল এর বিপরীত মন্দ। আমি বিশ্বাস করলাম যে বাংলাদেশের মাটীর পাচ শ কিলোমিটার নীচে বিশাল সোনার খনি আছে। এখন এটা প্রমান বা অপ্রমান কোনটাই করা যায় না। কারন অত নীচে সোনার খনি যে নেই তা কেউ প্রমান করতে পারবে না , মাটীর অত নীচে যাওয়ার মত প্রযু্ক্তি এখনও আবিষ্কার না হওয়ার কারনে। তবে যু্ক্তি বিদ্যা বলে কেউ কোন কিছু প্রস্তাব করলে তা প্রমানের দায়ীত্ব তার। সুতরাং এটা আমারই দায়ীত্ব প্রমান করা যে আমার প্রস্তাবটা সত্য বা যু্ক্তি যুক্ত। কিন্তু আমি সেটা করতে যাবো না তার কারন আমি তো বিশ্বাস করি। তবে একটা অদ্ভুত মানসিকতা আমরা আস্তিকদের মধ্যে প্রত্যক্ষ করি, তা হলো তারা যুক্তি বিদ্যার সম্পূর্ন বাইরে গিয়ে তাদের প্রস্তাব বা বিশ্বাস টি প্রমানের দায়ীত্ব অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেয় , তা করে তারা যে যুক্তিবিদ্যার প্রধান শর্ত লংঘন করছে তা তাদের মাথায় আসে না। তাদের মাথায় আসে না এটা আস্তিকদেরই দায়ীত্ব প্রমান করা যে সৃষ্টি কর্তা আছে। যে কারনে বিশ্বাসী লোকদের সাথে যুক্তি তর্ক করা এক কথায় অর্থহীন। আর সেটাকে ঠিক যুক্তি তর্ক বলাও যায় না। তবে মনে হয় তাদেরও তেমন দোষ দেয়া যায় না। কারন কোরানে বার বার হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে আল্লাহ ও তার রসুলকে বিশ্বাস না করলে দোজখে কি পরিমান আগুনে পুড়ে যন্ত্রনা পেতে হবে। যে কারনে খোদ নবী পর্যন্ত বেশী প্রশ্ন না করতে বলে গিয়েছেন। ইমান বা অন্ধ বিশ্বাস তাই ইসলামের প্রধান স্তম্ভ। আসলে মোহাম্মদ সত্যি খুব বেশী বুদ্ধিমান ও দুরদর্শী ছিলেন একথা স্বীকার করতেই হবে। তিনি খুব ভালই জানতেন মানুষকে বেশী প্রশ্ন করার সুযোগ দিলে একসময় তার প্রচারিত ইসলাম ও আসমানী কিতাবের জারিজুরি সব ধরা পড়ে যাবে। আর তাই তিনি মানুষকে বেশী প্রশ্ন না করে অন্ধ ও নি:শর্ত বিশ্বাস করার জন্য কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
@ভবঘুরে,
আমি নিজে আস্তিক হলেও আস্তিক নাস্তিক বিতর্কে এই একটিমাত্র কারনেই নাস্তিকদের মত কথাবার্তা বলতে হয়।
আস্তিকেরা যখন ঈশ্বর অ-প্রমানের দায় নাস্তিক বা বিজ্ঞানীদের উপর চাপিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসেন তখন দুটি কথা বলা উচিত বলে মনে করি।
আস্তিকেরা কোন এক অবোধ্য কারনে ঈশ্বরে বা ধর্মের ভিত যে বিশ্বাসে, যুক্তিতে নয় এ সরল সত্যটি হাস্যকরভাবে এড়াতে চান।
আরেকটা প্রশ্ন – আল্ল্যা জানেন কাকে কি প্রবৃত্তি দিয়া বানাইলে কে কি করবে। তাহলে তিনি কেন এমন প্রবৃত্তি দিয়া সকল মানুষকে বানালেন না যাতে তারা হন্য হইয়া আল্ল্যা খোঁজে। তা না, মানুষকে দেখা যায় সাধারণত পারিবারিক ভাবে যে ধর্ম পায় ওইটা নিয়া বসে থাকতে। কোন মানুষ কি করবে তা যদি আল্ল্যুয়া জানেন তাহলে যারা অকর্ম করিয়া বেড়াইবে তাদেরকে বানালেন কোন যুক্তিতে? :-/
আল্লা পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। আবাল না হইয়া এ কথাটি মেনে নেয়া আদৌ সম্ভব কি না জানি না। আল্ল্যা বেশির ভাগ মানুষকে দোজখে অনন্ত কাল জ্বালানোর ব্যবস্থা করেছেন। মানুষ পূড়ে মরলে, ডুবিয়া মরলে এমনকি হজ্জ্বে গিয়ে পদতলে পিষ্ট হয়ে মরলেও আল্লা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সাহায্য করে না। তাহলে কোন যুক্তিতে তারে লোকেরা ‘পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু’ বলিয়া প্রচার করে? যারা এরকম বলিয়া বেড়ায় এদের কি লজ্জা-শরম নাই? খালি পিডাইতে মন চায়! 🙁
আর ভাই একখান দুঃখের কথা কই। ক্লাস এইটের পরীক্ষায় গণিতে সামান্যের জন্য লেটার(A+) মার্ক মিস হয়ে যাচ্ছে দেখে আমি তো আর মসজিদ থেকে আসি না। মা বারবার লোক পাঠাইয়া ব্যর্থ হইলেন। শেষে আব্বা গিয়া ইমাম সাহেবের সহযোগে আমাকে উদ্ধার করিলেন। কিন্তু বাসায় এসেও নামাজ কালাম তো আর বন্ধ হয় না। শেষে ৩ মার্কের জন্য লেটার আর পেলাম না । তখন সর্ব প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম যে আল্লারে পিডানোর দরকার কোনো সময় হইতেও পারে। 😎
তানভী তো জটিল করে ফেলছে।
শুধু বিনোদনের জন্য দুটো আয়াত পড়েন-
# আমি নূহ্ কে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে তাদের নিকট অবস্থান করেছিলো পঞ্চাশ কম হাজার বছর।(২৯ : ১৪)
অর্থাৎ নূহ ৯৫০ বৎসরের বেশি সময় বেচেছিলেন।
# আর তিনি(আল্লাহ) সমস্ত আসমান ও জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন ছয় দিনে, তখন তাহার আরশ(সিংহাসন) পানির উপর ছিল। (১১ : ৭)
যারা আরবি জানেন তারা আরো বেশি বিনোদন পাবেন।
@সৈকত চৌধুরী,
পানি কিসের উপর ছিল? :-X
@ফরহাদ,
পানি দিয়া তিনি কি করিতেন ঠিক জানি না, তবে আমার মনে হয় তিনি পানিতে নামিয়া মাঝে মাঝে আপন মনে সাঁতার কাটিয়া বেড়াইতেন। 🙁
আর পানির সাথে তার একটা যোগ রহিয়াছে, কোরান হইতে জানা যায়- তিনি পানি হইতেই মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন। 😥
তানভীর শপথ, ঊক্ত পানি ছিল মহান কুদরতের উপরে। যাহাতে রহিয়াছে ঈমানদের জন্য বিশেষ নিদর্শন।
@ফরহাদ,
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে পানিই আদি কারণ। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন থেকে যে ফোম তৈরি হয়েছিল… সেটাই আসলে পানি। আপনারা কিছু বোঝেন না।
সৈকত, লালপানি পেটে পড়লে বুঝবা … আরশ(সিংহাসন) পানির উপর থাকে, আর পানি কিসের উপরে থাকে! 😀
@অভিজিৎ,
আল্লাহই জানে দোজখে আমাদের ডিনারের লিষ্টে কী কী আছে। শুনেছি বেহেস্তিদের ডিজার্ট মেনুতে :coffee: :cigarette: এমন কি হুক্কাও থাকবে। মাশাল্লাহ, মাশাল্লাহ।
@আকাশ মালিক,
বেহশতে কিন্তু সুরাও আছে বলে একটি আয়াত নাকি হাদীসে দেখেছি।
ফ-তে ফান।
কিন্তু এমন পোস্টে ফ-দ্বয় (ফরহাদ সাহেব, আপনেরে কই নাই!) অনুপস্থিত কেনু? :-/
@একজন নির্ধর্মী,
না না, ফ তে ফায়ার, আপনারা আসুন :guli:
প্রশ্নগুলো মানুষ যখন থেকে প্রশ্ন করা শিখেছে , সেই আদি যূগ থেকেই এ প্রশ্ন নিজেকে ও অন্যকে করে আসছে। দেখা যাচ্ছে এর উত্তর খুজে না পেয়ে এই পোস্টের লেখকের মতো অনেকেই ঈশ্বর বা আল্লাহ অবিশ্বাসীর খাতায় নাম লিখিয়েছে। প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা তাদের জন্য কতটুকু জরুরী বা উত্তর জানার জন্য তারা কি পরিমান কষ্ট স্বীকার করেছেন আমার জানা নেই। তবে আল্লাহ বা ঈশ্বর অবিশ্বাসের ভিতর তারা নিশ্চয় তাদের উত্তর খুজে পেয়েছেন, নইলে কেন তারা অবিশ্বাসী হবেন? তারা যুক্তিবাদী মানুষ। যুক্তি দিয়ে আমাকে কি কেউ বোঝাতে পারেন আল্লাহ বা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করলে কিভাবে হিজড়া সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে না বা বিকলাঙ্গ ও অসুস্থ মানুষ সৃষ্টি ও হবে না বা পৃথিবীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আর একটাও জন্মাবেনা বা বাংলাদেশে প্রতি বছর বন্যায় আর কেউ ভেসে যাবে না বা আফ্রিকার মরুভূমি, সুদানের দারফুর এসব জায়গায় মানুষ পানির অভাবে আর মারা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তরগুলো কি?
@ফারুক, ভাইজানের ঈমানে মনে হয় ভালই আঘাত লেগেছে, নইলে এরকম অদ্ভুত একটা প্রশ্ন কেমনে করলেন! ধর্ম দাবি করে ঈশ্বর তাঁর সুনিপুণ দক্ষতায় সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। অবিশ্বাসীরা এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলাফলে অবিশ্বাসীরা এও প্রত্যাখ্যান করে যে বস্তুজগত পরিকল্পনা করে বানানো হয়েছে। কোন পরিকল্পনা নাই দেখেই তো হিজড়া সম্প্রদায় বা বিকলাঙ্গদের মত মানুষ কোন দোষ না করা সত্ত্বেও অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে জন্মাচ্ছে না।
আপনার প্রশ্নের ধরণটা এরকম যে “অবিশ্বাস করে লাভ কি?”। এই প্রশ্নটা তো আপনাদেরকেই আমাদের করার কথা- বিশ্বাস করে লাভ কি? বিশ্বাস করলে কি,
সমস্যাগুলোর সমাধান হবে? দুনিয়ায় তো বিশ্বাসীর অভাব নাই, বিশ্বাসীরা তো বিশ্বাস করতে কত মানুষরেই খুন করে ফেলল, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস এত শক্ত হওয়া সত্তেও তো পৃথিবীতে কোন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখছি না।
আরেকটা কথা মনে রাখবেন, প্রয়োজনীয়তা দিয়ে বস্তুজগত সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না, অতএব, একটি বিশ্বাস অতীব গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা কোন ক্রমেই স্বতঃসিদ্ধ হবে না। একটা অনাথ শিশু বিশ্বাস করতে পারে তার অনেক টাকা আছে, তাই বলে তো আর আসমান থেকে তার অস্তিত্বহীন ব্যাংক একাউন্টে টাকা নাযিল হবে না।
@পৃথিবী,
“না” টা বাদ যাবে। মুক্তমনায় অতি সত্তর মন্তব্য সম্পাদনা করার অপশন যোগ করা দরকার।
@পৃথিবী,আমার ঈমান এ আঘাত লাগার সম্ভাবন থাকলে , জেনেশুনে খোলামেলা ধর্মবিরোধী এই সাইটে নিশ্চয় আসতাম না। আমার জানার ইচ্ছা কোন সে জ্ঞান , যা মানুষগুলোকে অবিশ্বাসী করে তুলেছে।
@ফারুক,
১) আপনার ঈমান অক্ষত আছে জেনে খুশি হলাম। বাঙ্গালী তিনবেলা না খেতে পেলেও মোটামুটি ঠিক থাকে, কিন্তু ঈমান না থাকলে বাঙ্গালী বাঁচবে না। আমি চাই না ঈমানের অভাবে বাঙ্গালী মারা যাক।
২) আমার যুক্তির জবাব দিলেন না যে?
৩)
যেই “জ্ঞান” এর কারণে মানুষ পঙ্খীরাজ গরুর অস্তিত্বে অবিশ্বাস করে, ঠিক সেই “জ্ঞান” এর কারণেই মানুষ ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস করে। আপনি দাবি করেন আপনার আল্লাহর ব্যাপক ক্ষমতা, আমিও দাবি করি যে আমার পঙ্খীরাজ গরুর অনেক ক্ষমতা। আমি সবজায়গাতেই আমার পঙ্খীরাজ গরুর অস্তিত্ব দেখতে পারছি। আমি কেন আমার গরু বাদ দিয়ে আপনার আল্লাহয় বিশ্বাস করব? অক্সফোর্ডের বিখ্যাত নাস্তিক বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স পঙ্খীরাজ গরু অথবা ইউনিকর্ন, কোনটির অস্তিত্বেই বিশ্বাস করেন না। মুক্তমনার সদস্য অতি সাধারণ এই ব্লগারের তাঁর মত বড় বড় ডিগ্রী না থাকলেও পঙ্খীরাজ গরু অথবা ইউনিকর্নের অস্তিত্বে আমিও বিশ্বাস করি না(খুব সম্ভবত আপনিও করেন না)। পঙ্খীরাজ গরু আর ঈশ্বরের মাঝে ঠিক কি কি পার্থক্য আছে বলে মনে করেন?
অঃটঃ- মুক্তমনায় মন্তব্য করতে থাকলে একসময় আপনার জন্য একাউন্ট সৃষ্টি করে আপনার মেইল একাউন্টে আপনার তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে, তখন আপনি লগিন করে মডারেশন ছাড়াই মন্তব্য করতে পারবেন। ইতিমধ্যে যদি এরকম কোন মেইল না পেয়ে থাকেন, তবে আপাতত মন্তব্য করে তার একটি স্ক্রীনশট নিয়ে রাখতে পারেন। জানেন নিশ্চয়, মন্তব্য সাবমিট করার পর টেক্সটবক্সের ঠিক উপরেই মডারেশন সম্পর্কিত একটি বার্তা দেওয়া থাকে। এরপর থেকে অন্যত্র “আমার মন্তব্য মডারেট করে দিয়েছে” মার্কা দাবির স্বপক্ষে জোড়ালো প্রমাণ দেখাতে পারবেন, আপনাদের সদালাপও অনিচ্ছাকৃতভাবে শঠালাপে পরিণত হবে না।
@পৃথিবী,১) আপনি ও তো বাঙালী। ঈমান না থাকার কারনে আপনি যখন মরেন নাই , তখন অন্যরা ও মরবে না। সুতরাং অহেতুক ভয় পাচ্ছেন।
২) আমি একটি পরিস্কার প্রশ্ন আপনাদের সামনে রেখেছিলাম। তার উত্তর কই?
৩)
সেই জ্ঞানটা কি? সেটাইতো জানতে চাই।
@ফারুক,
আপনি লেখকের মূল যুক্তি ভুল বুঝেছেন। আপনার প্রশ্নগুলির সাথে লেখকের সমস্যা সামঞ্জস্যহীন। এর কারনও আমি বুঝি। কারন ঈশ্বর আছেন এটা প্রমান করতে আপনি প্রায়ঈ মানুষের পক্ষে প্রান সৃষ্টি সম্ভব হয়নি, কখনো হবেও না এই ধরনের যুক্তি দেন। তাই আপনার চিন্তাও সেই লাইনেরই।
তানভী দাবী করেনি যে অবিশ্বাসবাদ বা না-ঈশ্বর নামক কারো কাছে সে উত্তর খুযে পাবার পরেই সে তাদের মুরিদ হয়েছে।
তার পয়েন্ট হল ঈশ্বরবাদের মুল একটা যে যুক্তি; সুশৃংখল পৃথিবী সেই সুশৃংখলাতার মাঝে অনেক ফাঁক আছে যেগুলি চিন্তা করলে শৃংখলার যুক্তি আর তেমন শক্ত মনে হয় না।
অফ টপিক, কোরানে নারী পুরুষেরর সীমা, অধিকার এসব পরিষ্কার ভাষায় বিভক্ত করা আছে (সেটা কেমন তা এখানে অবান্তর)। হিজড়াদের তৃতীয় লিংগই বলা যায়। এদের সম্পর্কে কোরানিক নির্দেশাবলী কি?
@আদিল মাহমুদ,
এইটা আপনি কই পাইলেন? ঐ ধরনের যুক্তি আমি কোথাও দিয়েছি বলে মনে পড়ে না , আর আপনি বলছেন আমি প্রায়-ই এই ধরনের যুক্তি দিয়ে থাকি। মনে হয় আপনার ভুল হচ্ছে।
আমরা তো অনেক কিছুরি উত্তর জানিনা। তাই বলে কি উত্তর না জানলেই তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করি। সাধারনত উত্তর না পেলে আমরা তার উত্তর খোজার চেষ্টা করি। যদি কোনদিন ETI (extra terrestrial intelligence) খুজে না পাওয়া যায় , তাহলে কি আমরা চরমপন্থা নিয়ে বলতে পারব , ETI নেই?
সুশৃংখল বলতে কি বোঝায়? একটু ব্যাখ্যা করবেন। তাহলে আলোচনা করা যেত।
আপনার অফ টপিক প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। পেলে জানাব।
@ফারুক,
আপনি একটা জায়গায় খুব ভুল করছেন। বিষয়টা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করেন। আমরা অনেক কিছু জানি না। আর জানি না এর মানেই এই নয় কিন্তু ঈশ্বর বা এধরণের কিছুর অস্তিত্ব আছে। যতক্ষণ না ঈশ্বর বা এরকম কিছুর প্রমাণ না পাওয়া যাবে ততক্ষণ এর অস্তিত্ব কেন মেনে নেব? আর বার বার বলি, যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব দাবি করেন প্রমাণ করার দায়িত্ব তাদেরই, তাই না? আরো সমস্যা আছে, আপইনার কাছে ঈশ্বর বিষয়টা যদি বোধগম্য না হয় তবে ওটা যে দয়াময়, করূণাময় এগুলোও কিন্তু বলতে পারেন না। নাস্তিকরা বলেন না ‘ঈশ্বর নেই” তারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য কোনোটাই প্রমাণিত নয় বলে তাতে বিশ্বাস করেন না।
আমি কোনো যুক্তি ছাড়া যদি বলে উঠি অংবং বলে কেউ মহাবিশ্ব বানিয়েছে তাহলে আপনি কি তা মেনে নিবেন?? আপনার জন্য নিচের বাণী –
“That which can be asserted without evidence, can be dismissed without evidence.”
— Christopher Hitchens
@সৈকত চৌধুরী,
The majority of men live without being thoroughly conscious that they are spiritual beings.
– Soren Kierkegaard
Your vision will become clear only when you look into your heart. Who looks outside, dreams. Who looks inside, awakens. – Carl Jung
There are two kinds of truth, small truth and great truth. You can recognize a small truth because its opposite is falsehood. The opposite of a great truth is another great truth. – Niels Bohr
@ফারুক,
“এইটা আপনি কই পাইলেন? ঐ ধরনের যুক্তি আমি কোথাও দিয়েছি বলে মনে পড়ে না , আর আপনি বলছেন আমি প্রায়-ই এই ধরনের যুক্তি দিয়ে থাকি। মনে হয় আপনার ভুল হচ্ছে।”
– আমার মনে হয় না আমার এত বড় ভুল হচ্ছে। মাত্র কিছুদিন আগেই আমার ব্লগে আপনার সাথে এই নিয়ে বিরাট আলোচনা হয়েছে। “নাস্তিকদের সুখানুভূতি” নামে আপনার লেখায়। সেই লেখা আপনি শেষ করেছিলেন নীচের প্রশ্ন দুটি দিয়ে। এরপরে আপনার সাথে এই অজ্ঞানতার কবল থেকে বাঁচতে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আবিষ্কার – এই যুক্তি নিয়ে বহু কথা হয়েছে, শুধু আমার সাথেই নয়, অন্য আরো ক’জনার সাথে। আপনার মনে না থাকলে এখানে দেখে নিতে পারেন।
– আপনি প্রমান করার চেষ্টা করছিলেন যে যেহেতু মানুষ উপরের কারন দুটি এখনো ব্যাখ্যা করতে পারছে না তাই ঈশ্বর আছে।
– ঠিক। মানি। ঠিক একই কারনে কেয়ামত পর্যন্তই আমাদের মেনে নিতে হবে যে এখনো মা কালি, মামদো ভুত, খোক্কসের ছাও, এই জাতীয় চরিত্রদের অস্তিত্ব প্রমান করতে না পারলেও অপ্রমানও করতে পারিনি। কাজেই সম্ভাবনার বিচারে তারা বহাল তবিয়তে বিরাজমান – এই তথ্য হজম করেই আমাদের পরপারে পাড়ি দিতে হবে। আপনি নিশ্চয়ই আপনার নিজের যুক্তিতেই চরমপন্থী হবেন না।
সুশৃংখলা বলতে কি বোঝাও বোঝেন না? তাও আবার ধর্মবাদী হিসেবে? এটা তো ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বপক্ষে গ্রাম্য মোল্লা মাওলানারাও আকছার বলে বেড়ায়।
কি সুন্দর দুনিয়া, কি সুন্দর সব নিয়মের উপর চলছে…দিন আসে রাত নামে, সব নিয়মে বাধা ২৪, সূর্যের চারদিকে পৃথিবী ঘুরে…এইবার আশা করি বুঝতে পারছেন।
কোরানে এত শত ভুল থাকা সত্ত্বেও যারা নিজেদের জ্ঞানী গুনি বলে দাবী করে তারা এই ভুল জিনিস নিয়ে কেন সারা জীবন পড়ে থাকে সে বিষয়ে গবেষণা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। আশা করি এ বিষয়ে সত্ত্বর মুক্তমনা সাইটে লেখা পাব।
আস্তিক বন্ধুদের সাথে তর্কের সময় প্রায়ই আমার অবিশ্বাস নিয়ে ওরা প্রশ্ন তোলে আর আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব প্রশ্ন এবং এগুলো ছাড়াও আমার পছন্দের কিছু প্রশ্ন পালটা ছুড়ে দেই। ইটের বদলে পাটকেল আরকি! তখন ওরা আমতা আমতা করে কিছু যুক্তি খন্ডানোর চেষ্টা করে, কিন্তু নিজের যুক্তিকে নিজেই মানতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সেই পুরোনো রেকর্ডে ফিরে যায়- ‘আল্লাহ আসলে কী চান(?) সেটা শুধুমাত্র উনি ছাড়া আর কেও জানেনা। আর মানুষ কতটুকুই বা জানে(!!)’। তবে ওদের এই প্রচেষ্টা যে একেবারে মাঠে মারা গেছে তা ওরা আমার মুচকি হাসি দেখেই বুঝতে পারে!
ভাই। এ পৃথিবী হল পরীক্ষার হল। হলে খোদা তায়ালার কোন হস্তখেপ নাই। তবে নকল টকল ধরা পরলে গজব নামের বহিস্কারাদেশ আসে। আমরাতো আর তা বুঝিনা। তাই আমাদের কাছে ছন্নছাড়া মনে হয়। চিন্তা কইরেন না। সবকিছু প্ল্যান করা। আপনার সময় শেষের আগেই ভাল হয়ে যান। নইলে জাক্কুম ফল খাওনো হবে।
ফারুক ভাই এর সূত্র মাহফুজ সাহেবের কথাই সমর্থন করে। যিনি অবিশ্বাসী হতে চান আল্লাহই অবিশ্বাসী হতে সাহায্য করেন, আবার যিনি বিশ্বাসী হতে চান তাকেও আল্লাহ বিশ্বাসী হতে সাহায্য করেন। তবে যারা সংশয়বাদী, মানে নিরপেক্ষ মনে কোরান পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তাদের ব্যাপারে এই সূত্র কি বলে জানা যায়নি।
কাজেই, আল্লাহ তোমাকে দারুনভাবে অবিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছেন দেখা যাচ্ছে। হৃদয়ে সীলগালা ভালই মেরে দিয়েছেন। আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন, আমরা তার কাজের কি বুঝি – এটা মনে রাখলেই এই ধরনের শয়তানী চিন্তা আর মাথায় আসবে না।
৩ নং পয়েন্টের মত একটি হাদীস দেখেছি যাতে সন্তানের চেহারা কেন কখনো বাবা আবার কখনো মায়ের মত হয় তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। জানি না তুমি সেটাই বিকৃত করে বানিয়ে দিয়েছো কিনা। তোমাদের মত ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষে সবই সম্ভব। খালি তালে থাকো আপঝাপ কথা বইলা ইসলাম পচাইতে। এইখানে পড়ঃ হাদীস ৫৪৬
তোমার খাদ্য সমস্যার সমাধা কল্পের পয়েন্টটা কিঞ্চিত দূর্গন্ধযুক্ত হলেও ভেবে দেখার অবকাশ আছে। এ ছাড়া লেখায় নেগেটিভ, যেসব পয়েন্ট ধরে লাফাচ্ছো ধর্মজগতে সেগুলো শিশুতোষ প্রশ্ন।
@আদিল মাহমুদ,
মামা, আমি ৩ নম্বর পয়েন্ট মোটেও বিকৃত করি নাই!! সোজাসুজি ‘মোকসেদুল মোমেনিন’ থেকে দেয়া। ওখানে এধরনের আরো মজার মজার কিছু নিয়ম কানুন দেয়া আছে!! যেমন ধরেন অমাবশ্যা রাতে স্ত্রী সঙ্গমেও নাকি সন্তান বিকলাঙ্গ হয়!! 😀 তাইলে বোঝেন ঠ্যলা!!
@তানভী,
হাঃ হাঃ হাঃ!
৫ টাক দামী বই পড়ে এসেছো ইসলামের সমালোচনা করতে??? সাহস তো কম নয়!
মোকসুদুল মোমেনিন কি কোরান, নাকি হাদীস??? তাতে কি লেখা আছে না আছে তাই দিয়ে ইসলাম যাচাই করবা??? পাগল নাকি পেট খারাপ?
আসল কোরান হাদীস পড়।
আমি তো এ সম্পর্কিত হাদীসের সূত্র দিয়েছি। অথেন্টিক সূত্র পড়, বিজ্ঞান দর্শন সবই পেয়ে যাবে।
@আদিল মাহমুদ,
উক্কে উক্কে!! ঐ ব্যখ্যা বাতিল বলিয়া গন্য করিলাম!!
যদিও বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক এখনো ঐ মোকসেদুল মোমেনিন ধরিয়াই নামাজ-কালাম শিখিয়া থাকে! তবুও মামা যখন কহিয়াছেন!! মামার আদেশ শিরোধার্য!!
ব্যখ্যা বাতিল হলেও, প্রশ্নটাতো আর বাতিল হচ্ছে না! ব্যখ্যা আমার নিজের দেয়া, তাই সেটা বাদ দিতে কোন সমস্যা নাই। উপরওয়ালার ব্যখ্যার অপেক্ষায় থাকলাম!!!
@তানভী,
মামা-ভাগনে দেখি যথাক্রমে ? আর ! এর ব্যবহারে অতিশয় দড়। ব্যাপারটা কি?!?!!!??!!?
😀
@রৌরব,
অতিশয় পারহেজগার (!!) মামা তাহার পোংটা ভাগিনার উল্টা পাল্টা কথা শুনিয়া রাগে গজগজ করিতে করিতে ঝাড়িবার জন্য যথাযোগ্য শব্দ খুঁজিয়া না পাইয়া উপরোক্ত প্রশ্নবোধক চিহ্নের অতিমাত্রায় ব্যবহার করিয়াছেন। 😀
আর তাহার পোংটা ভাগিনা 😛 তাহার ঝাড়িতে বিরক্ত হইয়া বিরক্তি প্রকাশ করার সাহস না পাইয়া আশ্চর্যবোধক চিহ্নের অতিমাত্রায় ব্যবহারের মাধ্যমে মামার মস্তিস্কে বিরক্তির উদ্রেক ঘটাইবার অপ প্রয়াস চালাইতেছে!! 😛 😀
@তানভী,
আগেই বলিয়াছি, তোমার হৃদয়ে সীলগালা ভালই মারা হইয়াছে। আল্লাহই যাহা মারিয়া দিয়াছেন বান্দা হইয়া আমি কিরুপে উহা খুলিবার সাহস করি?
দুই দিনের দুনিয়ায় হাসি নিতেছ দাও।
সহসাই আমি বেহেশত হইতে ভিডিওতে তোমাদের আগুনে জ্বলিয়া কয়লা হইবার লাইভ দৃশ্য দেখিয়া অট্টহাসি দিব। সুরার পাত্র হস্তে সাকীর বাহুলগ্না হইয়া হেলান দিয়া বসিয়া নির্দেশ দিব; ব্যাটার টেম্পারেচার আরো কয়েক হাজার ডিগ্রী বাড়াইয়া দেও। ব্যাটা বুঝুক অবিশ্বাসী হইবার মজা।
তোমার কপাকে তো যা বুঝি দুনিয়াতেও রমনী জুটিতেছে না, আর পরকালের কথা তো বা বলাই ভাল। ইহাতেও যদি হুশ না হয়……
@তানভী,
মোকসেদুল মোমেনিন’-এ যতো রসময় কথা গুপ্ত আছে, তাতে সেটাকে অনেকে (কারা, বুইঝা লন) হালাল চটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে 😀
@একজন নির্ধর্মী,
হাহাপগেকেধ :hahahee:
আপনি তো শিবরাম চক্রবর্তীকেও হার মানালেন :guru:
@আদিল মাহমুদ,
আপনার দেয়া সুত্র ধরে সহিহ বোখারি শরিফে পেলাম-
Volume 4, Book 55, Number 543:
Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “Allah created Adam, making him 60 cubits tall………
60 cubits বাংলায় কত গজ কত ইঞ্চি?
@আকাশ মালিক,
খুবই ইন্টারেষ্টিং প্রশ্ন। প্রথমেই বলি যে ইসলামী কোন বিষয়ে যে আপনাকে জ্ঞান দিতে পেরেছি তা জেনে নিদারুন গৌরব বোধ করছি 🙂 । আবার ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করছেন আমাকে! আমি সম্মানিত।
কিউবিট আমি জানতাম না। একটু গুগল মারলাম। ধরাবাধা কিছু পেলাম না। তবে মনে হয় প্রাচীনকালে একহাত যা মোটামুটি দেড় ফিট তাকে কিউবিট ধরা হত। আপনি মূল আরবী হাদীস দেখে আরবী শব্দ ধাওয়া করলে মনে হয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
সে হিসেবে আমাদের বাবা আদম দেখা যাচ্ছে ৯০ ফুটি (মিনিমাম ৬০) ছিলেন। অভিজিত বন্যা এনাদেরই জয় হল। কারন, এই হাদীস থেকে প্রমান হয় যে বিবর্তন ষ্পষ্টতই হচ্ছে। নয়ত ৯০ ফুট আদমের বংশধর আমরা আজ ৬ ফুট কাউকে দেখলেই হিংসার চোখে তাকাই? ৭ ফুট পেলে বিশ্বরেকর্ড খোজ করি?
@আকাশ মালিক,
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী মনে হচ্ছে এক cubit মানে এক হাত।
@রৌরব,
এক হাত ১৮ ইঞ্চি বা দেড় ফুট ধরা হয়।
@রৌরব,
উল্লেখিত হাদিসটি নিয়ে আমার যে সত্য বলা হয়নি বইয়ের শেষভাগে আলোচনা করেছি। বেশকিছু যায়গায় খোঁজ নিয়ে আমি ধরে নিয়েছিলাম এক cubit মানে দেড় হাত।
হ্যাঁ আদিল ভাই, আল্লাহর কোরানে বিবর্তন নিয়ে বলা হবেনা এ একটা কথা হলো? কোরানে মানুষের বিবর্তন নিম্নরূপ-
পুরুষ থেকে নারীর জন্ম।
বানর থেকে মানুষ নয় বরং মানুষ থেকে বানরের জন্ম।
বাবা আদম থেকে ৪৫/ ৪৮ ফুট লম্বা দিয়ে মানুষের বিবর্তন শুরু হয়ে মুহাম্মদ পর্যন্ত ৭ / ৮ ফুটে এসে শেষ হয়ে গেছে।
রমজান মাস দুয়ারে হাজির, কপাল পোড়া নিরপরাধ ইবলিশের পুরো একমাস কারাদন্ড শুরু হতে আর বেশী বাকি নেই। আপনারা তার জন্যে খাস দিলে দোয়া করবেন। আল্লায় যেন তাকে সহি সালামতে সু-সাস্থ্যে জেলখানা থেকে ফিরিয়ে আনেন। আমিন।
@আকাশ মালিক, :laugh:
কোরানে বিজ্ঞান বিষয়ে জাকির নায়েকেরা না লিখে আপনি লিখলে অনেক বেশী নাম করতে পারতেন।
শয়তান এক মাস সাগরের তলে শিকল বন্দী থাকলে রোজার মাসে মানুষকে শয়তানী কাজের কুমন্ত্রনা যোগায় কে?
@আদিল মাহমুদ,
ছয় রিপুর নাম শুনেন নাই? আহহারে মুসলমান, আপনাদেরকে নিয়ে আমি কোথায় যে যাই! নফস, নিজের ভিতরের নফস আছে না, এই শয়তান তো জেলে যায় না। ডায়াবেটিক্স এর মত মুসলমানের ঈমান কুড়ে কুড়ে খায়।
আচ্ছা আপনার ডর ভয় নাই, আপনি যে বলেন-
আল্লাহ নাকি কোরানকে নিজে হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন ও করে যাচ্ছেন। হতে পারে। তবে তাতে লাভ কি হচ্ছে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। হেফাজত হওয়া গ্রন্থ যদি মানুষ পরিষ্কারভাবে বুঝতেই না পারে তাহলে আর হেফাজতের লাভ কি হল?
@আকাশ মালিক,
ভয়ডর তেমন থাকলে কি আর আপনাদের সাথে দোস্তি করি (প্রকারন্তে শয়তানের সাথে হাত মেলাই)?
মানুষের ভেতর ছয় রিপু কি শয়তানেরই কন্ট্রিবিউশন না? ইসলামী মতে যাবতীয় কুকাজের শলা দেয় শয়তান। সেই শয়তানে যদি রোজার মাসে কর্মক্ষম না থাকে তাহলে বেচারাকে অন্তত রোজার মাসের জন্য গালপাড়া কেন?
ছয় রিপুর জন্য মানুষ দায়ী হলে আর শয়তানের ভূমিকা কি থাকল?
@আকাশ মালিক,
মোটেও না, মোটেও না :guli:
আপনাকে পেলে এক cubit দেখে নিতাম 😎
@রৌরব,
আচ্ছা তাহলে বাবা আদম ছিলেন ৬০ হাত লম্বা। নিজের চোখে দেখি নাই তবে এক ওয়াজে শুনেছি আদমের ৬০ হাত লম্বা কবর নাকি কোথায় আছে। ঐ কবরটা খুঁড়ে আদি মাতা আদি পিতার হাড়-ফসিল কেউ খুঁজে মেপে দেখেনা, খুঁজে লুসি আর্ডি প্রাইমেট আরো কত কী?
@আকাশ মালিক,
বাবা আদমের ৬০ হাতি ফসিল নেই আপনাকে কে বলল?
তবে আপনার মত নাস্তিক অবিশ্বাসী সেটা দেখতে পাবে না কোনদিন। আগে বিশ্বাস আনতে হবে, তারপর দেখতে পাবেন।
@ তানভী,
আপনি একজন আনলাকি মানুষ। কারণ আপনার এই নিবন্ধে আনলাকি ১৩ পয়েন্ট দিয়েছেন। আর সেজন্যই হয়তো এতসব প্রশ্নের জবাব পাচ্ছেন না।
আপনি বলেছেন-
ভাইরে, ধর্মবাদীরা আপনাকে এসব প্রশ্নের উত্তর দিবে ঠিকই, কিন্তু তাতে কোন কাজ হবে না। কারণ আপনি মুরতাদ হয়ে গেছেন। আল্লাহ আপনার দিলে মোহর মেরে দিয়েছেন। এখন তো কোনো ফেরার পথই নেই। অতএব এসব প্রশ্নের উত্তর জানারও দরকার নেই।
@মাহফুজ,
ভাই! ভালো পয়েন্ট ধরেছেন দেখি!! ১৩টা পয়েন্ট!! আমার জন্ম তারিখও ১৩! মিলটা তাহলে ভালই হল!!
তাও অবশ্য কথা! যে আল্লাহ আগেই জানেন যে কে বেহেশতে যাবে, কে দোজখে যাবে!! তিনিই তো সর্বজ্ঞ সর্বজ্ঞানী সবজান্তা!!! আমার কপালে দোজখ লেখা থাকলে আমার আর কিই বা করার বলেন!!
@তানভী,
একেই বলে সংখ্যাতাত্বিক মোজেজা। এতদিন তো ১৯ এর কারবার দেখলাম। এবার দেখবো ১৩ এর কারবার।
কোনই অসুবিধা নাই। ঐ দোযখটারে আপনার বুদ্ধি দিয়ে বেহেস্ত বানায়ে ফেলবেন। অবশ্য বেহেস্ত দোযখ বলে যদি কিছু থাকে।
@তানভী
“মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার, সবাই বলে মিথ্যে বাজে,বকিস্ নে আর খবরদার।”
( কসম! ৫ আর ৬ নং পয়েন্ট গতকাল বাথরুমে বসে ভাবছিলাম!! “কেমনে বেটা পারিল সেটা জানতে”!!!)
@ফরহাদ,
বাথরুমই সকল জ্ঞানের মূল!!! :laugh:
এই লেখাতেও বেশ কিছু গুরুত্বহীন পয়েন্ট চলে এসেছে। আসলে এই লেখাটা আরো কয়েকদিন চিন্তা ভাবনা করে গুছিয়ে দেয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে আমার ভার্সিটি খুলে যাওয়ায় (!!) পোস্টটা দিয়ে দিতে হল। ভার্সিটিতে পিসি নেট কিছুই নেই। বড় ভাইদের কম্পু থেকে এ ব্লগে আসা ভয়াবহ বিপদজনক!!
হয়তো কোন কমেন্টের উত্তর দিয়ে যেতে পারব না। আশা করব আমার হয়ে ব্লগে আমার সহযোদ্ধারা কাজ টুকু করে দিবেন।
আর এ ব্যপারে এটাই আমার শেষ পোস্ট। ফ্রয়েড নিয়ে আরেকটা লেখা শুরু করতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আর হল না। যা হোক, ওটা পরে হবে।
আর আশা করব ধর্মবাদীরা ইকটু সরব হবেন। একই প্রশ্ন এটা নিয়ে আমি তিনটা পোস্টে করলাম। আগের দুপোস্টে কোন জবাব পাইনি। এবারও কি একই অবস্থাই হবে!!?
@তানভী,
আপনার পোষ্ট করা বিষয়টি আগে না পড়েই আপনার দেয়া মন্তব্যটি পড়ছি।
ধর্মবাদীরা সব সময়ই সরব। আর সেই সরব বিশ্বাসের সরব। যুক্তিহীন সরব। মিছিলের সরব। বোমার সরব। এরপরও সবর হতে বলছেন ভাই, দেশটা তাহলে এবারই গোল্লায় যাবে।
এসবের চেয়ে দেশটাকেই ওদের হাতে তুলে দেন। তখন দেখবেন সর্বোচ্চ সরব কাকে বলে!
যাই এবার আপনার হাবিজাবি পড়ি। যদিও এবার সেই শব্দ উচ্চারণ করেন নাই।
@মাহফুজ,
ঠিক কথা। যুগ যুগ ধরে অগণ্য অনায্য কল্কে তারা স-কলরবে উপভোগ করে এসেছে প্রায় বাধাহীনভাবে। আর কতো!