এই ফালতু ক্যাচাল নিয়ে আরো একটি পোস্ট লিখে ফেলা যায় সেটাই অবিশ্বাস্য!! দুনিয়ায় এত ভালো ভালো ব্যপার থাকতে ক্যান এই ফালতু ক্যাচাল নিয়ে পোস্ট দিচ্ছি জানি না। একবার এ ক্যাচাল শেষ করে নেই। তারপর ভালো কোন বিষয় না থাকলে পোষ্ট দেব না।
আগের পোস্টে কারন হিসাবে মাত্র ছোট খাট দুটি ব্যপার লিখেছিলাম। এবার আসেন আরো একটা মজার আর একটা কষ্টের কারন পড়ে নিন।
১ | আদম ও শয়তান : ‘আদম ও শয়তান’ বইটার কথা আগের পোস্টে একটু করে বলেছিলাম। আসেন এই বইয়ের ত্বরিকা অনুযায়ী মানব সৃষ্টির কাহিনী ও শয়তানের শয়তানে পরিনত হবার কাহিনী শুনি, আর মন দিল খুলে ইকটু হাসি!!
শত সহস্র বছর বসিয়া বসিয়া ঝিমাইবার পর আল্লাহ সুবাহনাল্লাতায়লার ইচ্ছা হইল তিনি হাদুম (আদম!!) সৃষ্টি করিবেন! তাহার বহু বৎসর পুর্বেই অবশ্য তিনি “হও” বলিয়া পিরথিবি, চন্দ্র,সূর্য ইত্যাদি সৃষ্টি করিয়া ফেলিয়াছেন! যাহা হউক, হাদুম বানানোর ইচ্ছা জাগিলে তিনি তাহার সব ফিরিশতা ও জ্বীনকূলের পরামর্শ চাহিলেন, যে ইহা কি উচিত কাজ হইতেছে কিনা! তাহারা আল্লাহ তায়লাকে প্রচন্ড ভাবে নিষেধ করিয়া বলিলেন,” নাহা, নাহা!! আপনি হাদুম পাদুম সৃষ্টি করিবেন না! উহারা কিরকম কি হইবে কে জানে! হয়ত আপনাকে উহারা পেরেশানী করিয়া ছাইড়া দিবে!” এত নিষেধ সত্ত্বেও খোদা তাহাদের কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করিয়া তাহার সিদ্ধান্তে অটল রইলেন! এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিবার লক্ষ্যে তিনি তার চার বিশ্বস্ত ও মহান ফিরিশতা জিবরাইল,মিকাইল,ইস্রাফিল ও আজরাইলকে ডাকিলেন এবং তাহাদের বলিলেন,” আঁই মেডি (মৃত্তিকা!) দিয়া হাদুম বানাইয়ুম!! (আল্লাকে আমার স্ব-গোত্রীয় নুয়াখাইল্লা ধরিয়া লইয়া!!)। তোঁয়ারা আঁর লাই জমিনের তুন মেডি তুলি লই আইবা!” তিনি প্রথমে জিবরাইলকে মৃত্তিকা আনিতে পাঠাইলেন, সে ব্যর্থ হইয়া ফিরিয়া আসিল! তাহার পর মিকাইল, সেও ব্যর্থ !! তাহার পর ইস্রাফিল, সেও ব্যর্থ!!! সব শেষে আজ্রাইল!! সে কিন্তু ব্যর্থ হয় নাই। সে মৃত্তিকা লইয়াই ফেরত আসিল। তো আল্লা তখন তাহাদিগকে জিগাইলেন!,”তোঁয়ারা খিল্লাই দরা হাইলা (কেন ব্যর্থ হয়েছ!)” তাহারা তিন জন(!!) সমস্বরে বলিয়া উঠিল,” জাঁহাপনা!! জমিনের কাছে যাইয়া আমরা যখন মৃত্তিকা তুলিয়া আনিতে যাইবো তখনই মৃত্তিকা তারস্বরে চেঁচাতে এবং করুন সুরে কাঁদিতে লাগিল! তাহার এই ভয়াবহ করুন সুরের কান্দন (ক্রন্দন!) দেখিয়া আমরাও অশ্রু সজল হইয়া ফেরত আসিলাম!” তাহার পর আজ্রাইল কহিল,” আমি গেলে মৃত্তিকা তখনও করুন সুরে ক্রন্দন করিতে থাকে! কিন্তু আমি ঐ হারামজাদির(মৃত্তিকা তো মাইয়াগো নামই হয়!!) ক্রন্দনে মোটেও কর্ণপাত না করিয়া তাহার মুখে ঝামটা মারিয়া এক খুবলা তুলিয়া লইয়া আসিয়াছি!!” এই ঘটনায় আজরাইলের নিষ্ঠুরতার প্রমান পাইয়া সর্বজ্ঞ আল্লাহ তায়লা তাহাকে হাদুম সমাজের জান কুরবান করিবার দায়িত্ব নিয়োজিত করিলেন! তারপর তিনি বহু দিন ধরিয়া বহু যত্ন করিয়া নিজ হাতে(!!) হাদুমকে গড়িয়া তুলিলেন! হাদুমের শরীরে তিনি এরপর ফুৎকার দিয়া রুহু প্রবেশ করাইলেন। সে জীবিত হইল। এরপর তাহাকে তিনি নিজে ধরিয়া ধরিয়া যাবতীয় জ্ঞানের শিক্ষা দিলেন! এরপর সব শেষে তিনি তাহাকে ফেরেশতাকূল ও জ্বীনকূলের নিকট নিয়া গেলেন। তিনি তাহাদের বলিলেন,”হ্যাঁতে তোঁয়ারার তুন বেশি জ্ঞানী! হ্যাঁতেরে ব্যাকতে মিলি সিজদা গর!” তো তখন সব ফেরেশতাকূল ও জ্বীনকূল তাহাকে সিজদাহ করিল। কিন্তু একজন জ্বীন তখন ঐ হাদুম কে সিজদা করিতে অস্বীকার করিল। তাহার নাম ইবলিশ। সে বলিয়া উঠিল,” আমি আপনার আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উপাসক। প্রার্থনা,উপাসনা, জ্ঞানে গরীমায়্ আমি আর সবার তুলনায় অনেক আগাইয়া! তাহার উপর বড় কথা হইল আমি আগুনের তৈরি আর ঐ হাদুম হইল নোংরা মৃত্তিকার তৈরি! ইইয়াক থু!! তাহাকে আমি কিভাবে সিজদা করি!! ইহা অসম্ভব!!” এই ঘটনার পর আল্লাহ ইবলিশের উপর অতি মাত্রায় ক্রুদ্ধ হইলেন। এবং অহংকারের কারনে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করিবার কারনে তাহাকে বেহেশত হইতে বাহির করিয়া দিলেন এবং হাদুম কে তাহার প্রাপ্য স্বরুপ বেহেশতে স্থান দিলেন।
এটা গেল মোটামুটি আদম সৃষ্টির কাহিনী। আমার হাস্যকর ভাষাবিকৃতি ছাড়া এটাই মূলত ঐ বইয়ের প্রথম অংশের মূল বক্তব্য। এবার আসেন মেডিকেলের ডেডবডি কাটার মত এটাতেও কিছু কাটাছেড়া চালাই!
* প্রথম গিয়াঞ্জাম!- আল্লাহ তায়লা ‘হও’ বলিলেই সব কিছু হইয়া যায়। এই বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ড তিনি ‘হও’ বলিয়াই সৃষ্টি করিয়াছেন। সেই সময়ে কিন্তু তাহার কোন উপাদান (যেমনঃ মেডি) ছিল না বা প্রয়োজনও হয় নাই। ‘হও’ বুলিয়াচ্চেন খালি, তারপর হইয়া গিয়াচে!! তাহা হইলে হাদুম বানাইতে তাহার ক্যান মেডি লাগিল!!
* দ্বিতীয় গিয়াঞ্জাম! – তিনি হও বলিলেই যখন সব অটোমেটিক হইয়া যায় তখন আদম সুরত সৃষ্টিতে তাহার নিজের হাতের অতীব যত্নের প্রয়োজনীয়তাটা কোথায়? (তাহার আবার হাত ও আছে!!!)
* গিয়াঞ্জাম নম্বর থ্রি!- তিন তিনটা ফিরিশতার পো মহান(!!) ও সর্বশ্রেষ্ট বিচারক (!!) আল্লাহ তায়লার গুরু আদেশ অমান্য করিয়া, শুধু মাত্র সামান্য মৃত্তিকার ক্রন্দন শুনিয়া খালি হাতে আল্লাহ তায়লার সামনে আসিয়া বাজে কৈফিয়ত দেখাইল, আর আল্লাহ তায়লা তাহাতে সামান্য রাগিলেনও না!!! তাহাদের নুন্যতম কোন প্রকারের শাস্তিও দিলেন না!! বড়ই আজিব!!
*গিয়াঞ্জাম নম্বর ফুর!- ইবলিশ যে ঐ হাদুমের পো রে সিজদা করে নাই। তাহাতে আমি মূলত দোষের কিছু দেখি না। আসেন কারনটা শুনি।
ধরেন আপনি একটা অফিসে চাকরি করেন অনেক দিন ধরে। আপনি অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মচারী। আপনার নামে কোন ব্যাড রেকর্ড নাই। কোন আজেবাজে কাজে আপনি সময় নষ্ট করেন না। এত কিছু করে আপনি মহা খুশি যে এবার আপনার প্রমোশন হবেই!! কারন আপনার উপরের পোষ্ট খালি, আপনার নামে কোন ব্যড রেকর্ড নাই এবং প্রমোশন লিস্টে আপনার নাম অনেকদিন ধরেই।
তো এমন অবস্থায় হঠাৎ একদিন আপনি দেখলেন যে আপনার বস আপনার উপরের খালি পোষ্টে কোত্থেকে একটা চ্যাংড়া পুলা ( হয়ত তার আত্মীয় স্বজন কেউ!) ধরে এনে বসিয়ে দিয়ে বললেন,” এ আপনাদের নতুন বস, এ আপনাদের থেকে অনেক বেশি জানে (মূলত সে একটা চ্যাংড়া পুলা, এবং এর আগে তার আর কোথাও চাকরির অভিজ্ঞতা নাই) তাই আসতে যাইতে দুই বেলা করিয়া তাকে আপনারা স্লামালাইকুম বলিবেন!! নাইলে আপনাদের চাকরি খায়া দিমু!!” এ অবস্থায় আপনি কি করবেন? প্রতিবাদ করবেন? নাকি চাকরির ভয়ে চুপ করে বসে থাকবেন? কোনটা করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন? আর আপনার বস ও যে আপনাকে রেখে একটা চ্যাংড়া পুলারে আপনার প্রমোশন পোষ্টে বসিইয়ে দিল, সেটাও কি উচিৎ বা মানবিক হয়েছে বলে আপনার মনে হয়?
তাহলে এবার বলেন দেখি ইবলিশের দোষটা কোথায়!!!!!!??????
এ ঘটনার পরম্পরায় আরো কিছু ফাজলামি আছে। এগুলো এত বেশি জরুরী নয় বিধায় বাদ দিয়ে গেলাম।
এটা গেল ফাজলামি অংশ। আসুন এবার একটু সিরিয়াস ক্যাচালে আসি।
২ | হিজড়া সম্প্রদায়: এই উপশিরোনামটুকু লেখার পর আসলে আর কোন কিছু লেখার প্রয়োজন আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তারপরও আসুন কিছু কমন ক্যাচাল শুনি। প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি এই হিজড়া সম্প্রদায়। দেখলে করুনাই হয়! সমাজে তাদের কোন স্থান নেই,পিতা মাতারাও তাদের ত্যাজ্য করে। বেঁচে থাকার তাগীদে তাদের কে অদ্ভুত অদ্ভুত সব সাজপোশাকে দল বেঁধে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থান থেকে জোর করে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে জীবন চালাতে হয়। আমরা হয়ত যেকোন ভাবে জীবনের একটা অর্থ দাঁড়া করে নিতে পারব। কিন্ত তাদের কাছে জীবনের অর্থ কি দাঁড়ায়?
সত্যকথন!– প্রথমে এই ছোট প্যারাটুকু তে একটা মিথ্যা কথা লেখার পর মনে হল সত্যিটাই লিখে দেই। বাস্তবতা নিয়েই যখন লিখছি, তখন আর সত্য লুকিয়ে কি লাভ! মিথ্যাটুকু হল যে হিজড়াদের দেখলে করুনা হয় অথবা খারাপ লাগার অনূভুতি হয়। আর সত্যটা হল যে সামান্য করুনা তো দূরে থাক, হিজড়াদের দেখলে আমার ঘেন্না হয়, কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয় হয়। অনেকটা তেলাপোকা বা টিকটিকি দেখলে বা গায়ের কাছে উড়ে আসলে যেরকম ঘেন্না হয়, সেইরকম টাইপের ঘেন্না হয় হিজড়া দেখলে। দূর থেকে দেখলে হয়ত কিছু করুনা হয়, তবে সেটা ঘেন্নার কাছে শেষ পর্যন্ত হেরে যায়। আমি আমার সত্যিটুকু বললাম, অন্যদের চিন্তাভাবনা আমার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় বেশিরভাগ মানুষের সাথে আমার মতামত মিলে যাবে, যদিও কমবেশি সকলেই অস্বীকার করবে! আসলে এই ঘেন্নার পিছনে আমার তেমন কোন হাত নেই। আমার সমাজ আমাকে ঘেন্না করতে শিখিয়েছে,বহু দিনের শিক্ষা ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। যা হোক, আসল কথা হল যে, সৃষ্টিকর্তার মত এমন এক মহান সত্তা, সর্বজ্ঞ সর্বজ্ঞানী সত্তা কেন এই হিজড়া সম্প্রদায়কে পৃথিবীতে পাঠান। এরকম ভূল (!!!সৃষ্টিকর্তার ভূল!!!!) একটা দুটো হলে এক কথা ছিল। কিন্তু এই ভূল তো হাজারে হাজারে। তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে? সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছা করেই তাদের এই পৃথিবীর বুকে পাঠিয়েছেন!!!!! এবার আমি “বিশ্বাসী” দের কাছে জানতে চাই, আপনারা আপনার সৃষ্টিকর্তার পক্ষে সাফাই গাইবেন। তার এই নির্মম সৃষ্টির পক্ষে যুক্তি দেবেন। হাবিজাবি যুক্তি বা হাস্যকর যুক্তি দেবেন না, যেসব যুক্তি দেবেন সেগুলো অন্তত একবার নিজের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় কিনা সেটা ভেবে দিয়েন। হাদিস কোরানেও ঐ হিজড়াদের নিয়ে যেসব কথা লেখা আছে তাও চাইলে সাহস করে দিয়ে দিতে পারেন!!! যদিও আশা করি তাতে আপনাদের পথ আপনারাই বন্ধ করে দেবেন!!
সবচেয়ে মজার ব্যপার হচ্ছে যে আমি এই প্রশ্ন আরেকটা পোষ্টের কমেন্টে দিয়েছিলাম, তখন কেউ জবাব দেয়নি। তাই এবার পোষ্ট লিখেই দিয়ে দিলাম। দেখা যাক কি আসে!!
যা হোক, পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই আরো অনেক কথাবার্তা মাথায় থাকা সত্বেও দিচ্ছি না। ভবিষ্যতে কোন পোস্টে হয়ত আবার কখনো আর সব কথা বলব।
আমিও বুঝতে পারি না , কোরানে বার বার জোড়ায় জোড়ায় সব কিছু সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে, অথচ জোড়ায় জোড়ায় তো সব কিছু সৃষ্টি হয় নি। এই যেমন হিজড়া , এরা না পুরুষ না নারী। যাদেরকে আমরা ক্লীব লিঙ্গ বলি। তো এদের কথা আল্লাহ বেমালুম ভুলে গেলেন। সেটা কেমন করে হয় !বিশেষ করে মানুষ যখন আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব !
আমি লেখাটার শুধু দ্বিতীয় অংশটা পড়েছি-
হিজড়াদের দেখলে আসলেই আমার খুব মায়া হয়। খুব ছোটোবেলায় এলাকাতে ওরা আসতো বাচ্চাদের নাঁচাতে। একরকম সংস্কৃতিক ব্যাপার ছিলো ওটা আমাদের যশোর অঞ্চলে। সবাই ভাবতো এতে মঙ্গল হয়। মানে, এই অভাগা কিছু মানুষ সেই নবজাতকের দুর্ভাগ্যটাও নিজেদের করে নিলো।
আমার মেঝ বোনকে যেবার নাচাতে এলো তখন আমি খুব ছোটো। ভয় ভয় পাইনি তখন স্রেফ কৌতুহল নিয়ে দেখেছি। এর পরে আশে পাশের বাসায় আসতে দেখলে ভয়ও পেতাম। তারপর আমার একেবারে ছোটোবোনটা হওয়ার পরে যখন হিজড়ারা এলো। তখন কিছুটা বড় হয়েছি। বুঝতে শিখেছি। ওরা নাচগান করতে চাচ্ছে, মা দিচ্ছে না। কত টাকা দেবে এ নিয়েও দরকষাকষি চলছে। এমন সময় দেখি ওদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী একজন কেঁদে ফেলেছে। না টাকা নিয়ে ঝামেলার জন্য না। অন্য কিছুর জন্যও না। প্রচণ্ড গ্লানিতে। কী একটা জীবন যে বয়ে নিয়ে চলেছে, সেই গ্লানি।
সেদিন বুঝেছি, ওদের যে উদভট আচরণ, যেটা দেখে অনেকেই কিছুটা ঘেন্নাই বোধ করে। ওটা আসলে এক ধরণের ডিফেন্স মেকানিজম। যতটা না সমাজের থেকে তার চেয়ে বেশি নিজের থেকে। ‘আমিওতো মানুষই’ এই কথাটাই যেন কখনো মনে না আসে তাই। এর পর থেকে হিজড়া কাওকে দেখলে সেই গ্লানিটাই ভর করে বারবার।
সুন্দর ভাবে বাঁচার সুযোগ দিলে ওরাও একটা মেধাবী, কর্মময় ও সৃষ্টিশীল জীবন যাপন করতে পারতো।
@তানভীরুল ইসলাম,
কি অসাধারণ, হৃদয় ছোঁয়া কথা। আপনার মত মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখার এমন চোখ সকলের নাই।
প্রথম পর্বও ভালো লেগেছে, কিন্তু এবারেরটা বোধহয় একটু বেশি ভালো হয়েছে। লেখা চলুক। :yes:
‘হাদুমে’র কাহিনী দারুণ মজার হয়েছে। আমার কি মনে হয় জানেন? আমার মনে হয়- পৃথিবী থেকে ধর্ম নামের অগাছা দূর হয়ে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে তখন এই ‘হাদুমে’র কাহিনীগুলো রম্যকাহিনী হিসেবে বাচ্চাদেরকে পড়ানো হবে! তানভীকে অভিনন্দন। তিনি ভবিষ্যতের সাহিত্য আমাদেরকে এখনই শোনাচ্ছেন!!
@নিটোল,
আসলে আমাদের ভবিষ্যতে যাবার বোধহয় খুব একটা দরকার নেই! ধর্মবাদীরাই অলরেডি এই গল্পগুলোকে রূপকথা বানিয়ে ফেলেছে!! একেক জন বিশ্বাসী এক এক রকম গল্প বলে!! কেউ জানেনা যে আসল ঘটনা কোনটা!! যে যারটা নিয়ে খুশি!
এটাতো রূপকথারই বৈশিষ্ট!
ফাটাফাটি লেখা। দারুন লেখা। লেখার হাত খুলে গেছে মিয়া। চলুক।
@আতিক রাঢ়ী,
চলবে নাহ্ । এই সিরিজ যত তারাতারি শেষ করা যায় ততই মঙ্গল। আমি শুধু মাথা থেকে এগুলো বাইর করে দেয়ার জন্যই এই হাবিজাবি পোস্টগুলো দিচ্ছি। এগুলো অনেকদিন শুধু মাথায় ঘুরঘুর করছিল। তাই ভালো কোন বিষয়ের দিকে আর নজর পরছিল না। তাই এগুলোকে এখন বিদায় জানাচ্ছি, যাতে করে ভবিষ্যতে ভালো কিছু লেখার দিকে মন যায়।
@তানভী
ফেরেশতাদের এত ভোদাই ভাবছ কেন? তারা এসব ক্ষেত্রে আল্লাহর চেয়ে বেশী জানত।
“২:৩০:আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বলিলেন: আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগন বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃস্টি করবে যে দান্গা হান্গামার সৃস্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুনকীর্তন করছি। তিনি বলিলেন,নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না। ”
কার কথা খাটল? আল্লাহর? না ফেরেশতার?
@ফরহাদ,
মনে তো হচ্ছে আল্লাহর চাইতে ফেরেস্তারা বেশী জ্ঞানী ছিল। নইলে তারা জানল কেমনে মানুষ দুনিয়াতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে?
@ভবঘুরে,
মনে হচ্ছে মা’নে, ১০০% সত্য কথা।
আর এও সত্য যে, আল্লাহ শয়তানের চেয়ে দূর্বল, আল্লাহ শয়তানের কাছে পরাজিত। হিসেবটা খুবই সোজা। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা কত, তার মধ্যে মুসলমান কত জন, আর এই মুসলমানদের ৭২ ভাদের এক ভাগ হলো আল্লাহর পক্ষের মানুষ বাকি সব শয়তানের পক্ষে।
কে বেশী শক্তিশালী?
@ফরহাদ,
আচ্ছা আমার মনে একটা প্রশ্ন আসল, আদম সৃষ্টির আগে কি আল্লাহর অন্য কোন সৃষ্টি ছিল যেটার অভিজ্ঞতা থেকে ফেরেশতাগন বলল যে আল্লাহর এই সৃষ্টি হান্গামার সৃস্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে। তা নইলে ফেরেশতাগন জানল কি করে যে আল্লাহর সৃষ্টি হান্গামা করে ও রক্তপাত ঘটায়।
হাদুম পাদুম শব্দটা পছন্দ হয়েছে। নিজের আবিষ্কার নাকি ? নিজের হলে সাধুবাদ জানুন। নিজের না হলেও যথার্থ প্রয়োগের জন্য সাধুবাদ জানুন।
@আল্লাচালাইনা,
শব্দটা মোটামুটি পুরোনোই বলা যায়। বাংলা ব্লগেরই সৃষ্টি। আমি শুধু নতুন ভাবে প্রয়োগ করলাম মাত্র।
অনেক দিন পর মন খুলে হাসলাম ভাই। দারুন উপভোগ্য হয়েছে ।
@তানভী,
হাসাতে তো আপনিও কম যান্ না। আপনার আদম সৃষ্টির কাহিনী পড়ে দারুন ফান হলো। :laugh:
তো যাঁদের কাছ থেকে আপনি উত্তর আশা করছেন তাদের নতুন করে কিছু বলবার আছে বলেতো মনে হয়না। লক্ষ বার শোনা একটাই কথা, সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, তিনি জানেন তিনি কি করছেন এবং কেন করছেন। তিনি সর্বজ্ঞ………ইত্যাদি ইত্যাদি। যেসব যুক্তি তাঁরা দিবেন সেগুলোকে হাবিজাবি বা হাস্যকর বলতে পারেন, তবে সেগুলো হবে সবই যুক্তিহীন যুক্তি। 🙁
আদম-হাঊয়া সম্পর্কে সূরা বাকারা(২) এর ৩০ নং আয়াত হতে ৩৯ নং পর্যন্ত রয়েছে। এখানে বলা আছে আদম সৃষ্টির ব্যাপারে ফেরেশতারা আপত্তি জানালে আল্লা আদমকে তৈরী করার পরে বিভিন্ন বস্তুর নাম শিখিয়ে দিলেন। আতঃপর ফেরেশতাদের এগুলোর নাম জিজ্ঞেস করলে ফেরেশতারা বলতে পারল না(কেননা আল্লা তাদের শিখান নি)আর আদমকে জিজ্ঞেস করলে আদম পারলেন। পরে আল্লা ফেরেশতাদের নির্দেশ দিলেন আদমকে সম্মান করে সেজদা দিতে।
এখানে একটা গ্যাঞ্জামে পড়ে গেলাম। আল্লা আদমকে জিনিসগুলোর নাম শেখালেন আর ফেরেশতাদের শেখালেন না। এখন জিজ্ঞেস করলে আদম নামগুলো বলে দিতে পারলেন ফেরেশতারা পারলেন না। এ পরীক্ষায় আদম ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ট হলেন কিভাবে? আর এইসব ফাজলামো পরীক্ষা কি আল্লার জন্য শোভা পায়?
যথারীতি ২:৩৯ এ মহান থ্রেট দেয়া হয়েছে-
আর যাহারা কুফুরী করিবে এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করিবে আমার হুকুমসমূহকে, তাহারা দোযখী হইবে, উহাতে তাহারা অনন্ত কাল থাকিবে।
@সৈকত চৌধুরী,
ফেরেশতাদের পরীক্ষা বা তাদের মতামত নেওয়াটা আমার আল্লাহর মূল ধারনার সাথে আমার সবসময়ই সাংঘর্ষিক মনে হয়।
ফেরেশতারা আল্লাহর ইচ্ছায় আপত্তি জানায় কিভাবে? আল্লাহই বা ফেরেশতাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার গুরুত্ব দেন কেন?
ইসলামী থিয়োরী মতে যা জেনে এসেছি তা হল যে ফেরেশতাদের কোন স্বাধীন চিন্তাশক্তি নেই। তাদের ভুমিকা অনেকটা রোবটের মত, কেবলমাত্র যা নির্দেশ দেওয়া হয় তাই পালন করতে পারে। এ কারনেই কেয়ামতের পরে মানব ও জ্বীন জাতির মত তাদের বিচার আচার হবে না। কেয়ামতের সময় সব ফেরেশতাই মৃত্যুবরন করবেন।
কাজেই আল্লাহ ফেরেশতাদের মতামত নেন আবার ফেরেশতারা আল্লাহর ইচ্ছায় দ্বি-মত প্রকাশ করেন কেমন জানি লাগে।
@আদিল মাহমুদ
ইবলিস তো ফেরেস্তা ছিল না। ছিল জ্বীন যার স্বভাব অনেকটা মানুষের মত। তাই তার স্বাধীন চিন্তা ভাবনা ছিল ঠিক মানুষের মতই। কোরান হাদিসের এত আদেশ নিষেধ ও দোজখের আগুনের ভয় থাকতেও আপনারা যেভাবে আল্লাহ , তার নবী ও আসমানী কিতাব নিয়ে মস্করা করেন , অবজ্ঞা করেন, ইবলিস সেরকমই মনে হয় কিছু করেছিল। এতে ত আমি অযৌক্তিক কিছু দেখি না।
@ভবঘুরে,
আমার সমস্যা ইবলিস নিয়ে নয়। বুঝি যে যেহেতু সে পরে ফেরেশতা ষ্ট্যাটাস পেলেও গঠনগত ভাবে সে জ্বীন। কাজেই তার স্বাধীন বিচার বুদ্ধি আছে। কোন কনফ্লিক্ট নেই।
মুশকিল হল আসল ফেরেশতাদের নিয়ে। তাদের তো কোন স্বাধীন বিচারবুদ্ধি নেই। তারা জ্বীন বা মানুষ কোনটাই নয়, তাদের অনেকটা প্রোগ্রাম করা রোবটের মত। আল্লাহর কথার বাইরে যাওয়ারও তাদের কোন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
এই স্বাধীন বিচারবুদ্ধিহীন ফেরেশতাকুলের কাছে আল্লাহ তার মানুষ নিয়ে নুতন এক্সপেরিমেন্টের মহাপরিকল্পনা পেশ করেন কেন?
ফেরেশতারাও দেখা যায় কিভাবে যেন দুনিয়ায় মানুষ পাঠানোর ফলাফল অনেকটাই নির্ভুলভাবেই ভবিষ্যতবানী করে ফেরেছিলেন। স্বাধীন বুদ্ধিবিবেকহীন ফেরেশতাদের মতামত জানতে চাওয়া, ফেরেশতাদেরও এমন প্রায় নিখুত ভবিষ্যতবানী কিভাবে সম্ভব?
আমি চাই, ফাজলামো অংশটা নিয়ে কোন বিতর্ক না হোক, কারন ওটা অনেকটা মিথ বা রূপকথার মত। লোক মুখে পরিবর্তিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই রূপকথা নিয়ে বিতর্ক না করাই সবচেয়ে ভালো (যদিও ধর্মের সব ব্যপারকেই আমার ভৌতিক রূপকথা ছাড়া আর তেমন কিছু মনে হয় না)
আমি চাই আমার কষ্টের অংশটুকু নিয়েই কথা আসুক এবং বিতর্ক হোক।
@তানভী,
“সত্যকথন!” এই অংশের জন্য লাল গোলাপ :rose2:
@ফুয়াদ,
ঝেড়ে কাশুন……নিরবতা মোটেও কাম্য নয়।
লাল গোলাপের জন্য ধন্যবাদ।