কিছুদিন আগে বিপ্লবদা একটা পরিকল্পনার কথা বলেছেন মৌলবাদ নির্মূলের উপায় নিয়ে। বেশ যুগোপযুগী এবং বাস্তবধর্মী চিন্তা ভাবনা। আমি আগেও বিপ্লবদা কে এই জন্য সাধুবাদ জানিয়েছি। এই লেখার সুযোগে আরও একবার সাধুবাদ জানাচ্ছি।
আমরা সবাই চাই মৌলবাদ মুক্ত একটি সমাজ। প্রশ্ন হল সেই সমাজে উত্তরন আমাদের দ্বারা কিভাবে সম্ভব? বিপ্লবদা একটি সংগঠনের কথা এবং ঐ সংগঠনের মাধ্যমে অনেকগুলো উপায়ে কাজ করার বলেছেন? আমি সেগুলো নিয়ে কিছু বলব না। বিপ্লব দা সহ আরও অনেকের কমেন্ট থেকে জানতে পারি তারা মনে করেন আস্তিক( প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসী) এবং নাস্তিক( প্রথাগত ধর্মে অবিশ্বাসী ) উভয়ের পক্ষেই এই ধরনের একটি সংগঠনে মিলিত ভাবে কাজ করা সম্ভব। মানে হল এই সংগঠনে আস্তিকরাও সদস্য হওয়ার যোগ্য। এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে অনেকটা দৌড় শুরুর আগে নিজের পা নিজের হাতে ভাঙ্গার মত মনে হয়েছে। এ আলোচনাতে আসছি সামনে।
আমরা এই বিজ্ঞানভিত্তিক আন্দোলনটা চালাব কিভাবে? আমি মনে করি আমাদের কাজ হবে মানুষকে বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন কার্যাবলী যেগুলো মানুষের কাছে আপাত অলৌকিক বলে মনে হয় সেগুলোর পরিষ্কার বিজ্ঞান ভিত্তিক উত্তর দেয়া, সর্বোপরী মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের বিজ্ঞানভিত্তিক যৌক্তিক উত্তর দেয়া। আমাদের নিয়মিত দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। আমাদের যারা ভালো বিজ্ঞান লেখক আছেন তারা নিয়মিত ভাবে অন্তর্জাল, প্রিন্টমিডিয়াতে বই, আর্টিকেল ছাপাবেন। সমসাময়িক রাজনৈতিক ঘটনার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া আমাদের সংগঠনের ব্যানারে গনমাধ্যমে ছাপানোর ব্যাবস্থা করতে হবে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে কারো মনেই কোন প্রকার সংশয় নেই। প্রশ্ন হচ্ছে এই কাজগুলো নিবেদিত ভাবে করবে কারা?
আমাদের সংগঠনে যদি জাকির নায়েক সদস্য হতে চায় তাহলে কি করা হবে সে কথা জানতে চাইলে বিপ্লবদা বললেন, সে যদি আমাদের সংবিধান মেনে আসতে চায় এবং বিজ্ঞান বিরোধী কোন কাজ না করে তাহলে নাকি জাকির নায়েকও আমাদের সংগঠনে যোগ দিতে পারবে। আমি জানিনা অন্যদের কি অবস্থা, তবে আমি আমার এই ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে বলতে পারি, সংগঠনে যদি এই ধরনের আগাছাদের ঢোকানে হয় তাহলে এর বারটা বাজতে বেশি দিন লাগবে না। কেন লাগবে না সে কথাই বলছি।
জাকির নায়েক, এস এম রায়হান কিংবা মুক্তমনায় অধুনা অসম্প্রদায়ীক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আব্দুর রহমান আবিদ সাহেবকে যদি জিজ্ঞেস করেন আপনারা কি বিজ্ঞানমনষ্ক? পরিষ্কার উত্তর আসবে “অবশ্যই”। যদি জিজ্ঞেস করেন ধর্মে বিশ্বাস করেন? ক্রিস্টাল ক্লীয়ার ন্যাচারাল ড্রিংকিং ওয়াটারের মত সচ্ছ পরিষ্কার উত্তর আসবে “অবশ্যই অবশ্যই”।
এখন বিপ্লবদা এবং যারা মনে করেন যে আস্তিক এবং নাস্তিক উভয়েই নাকি একসাথে বিজ্ঞান আন্দোলন চালাতে পারে তাদের কাছে প্রশ্ন , আপনারা কি মনে করেন প্রকৃত একজন বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষের পক্ষে কোন ধর্মে বিশ্বাস রাখা সম্ভব? আমি নিশ্চিত আপনাদের উত্তর হবে না। যদি না হয় তাহলে আপনারা কোন যুক্তির ভিত্তেতে বলছেন যে আস্তিকরাও এই রকম একটি সংগঠনে কাজ করার উপযুক্ত? আর যদি আপনারা মনে করে থাকেন যে না ধর্মের উপরে বিজ্ঞানমনষ্ক হয়েও বিশ্বাস রাখা সম্ভব তাহলে আমাকে দয়া করে জানাবেন কোন ধর্মের মাধ্যমে তা সম্ভব এবং কেন আপনারা ধার্মিক হয়ে যাচ্ছেন না? আমাদের উদ্দেশ্য বিজ্ঞান দিয়ে সমাজের কুসংস্কার, মৌলবাদ দূর করা, সেই কাজ কি একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষকে দিয়ে সম্ভব?
বিপ্লব দা সব সময় গনতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ধরুন যদি এমন হয় আমাদের সংগঠনে আস্তিক এবং নাস্তিক উভয়েই সদস্যপদ লাভের সুযোগ আছে, তাহলে আমি নিশ্চিত সেখানে আস্তিকদের সংখ্যাই বেশি হবে, কেননা বিপ্লবদা আপনার মনে আপনার বিজ্ঞানমনষ্কতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকলেও আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন জাকির নায়েক টাইপের কোন ধার্মিকের মনে তার বিজ্ঞানমনষ্কতা নিয়ে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। যা বলছিলাম, যদি সবাই সংগঠনে যোগ দিতে পারে তাহলে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে কিন্তু তারাই এগিয়ে থাকবে। এখন প্রশ্ন তারা যদি কোন বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাহলে কিন্তু গনতন্ত্রের কথা বললে আপনি তার বিরুদ্ধে যেতে পারবেন না। তখন আপনি কি করবেন?
মৌলবাদ নির্মূলের মানে হল বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ, বিজ্ঞানমনষ্ক বিশাল জনগোষ্ঠি তৈরী করা। কেউ যদি মনে করেন বিজ্ঞানমনষ্কতা কখনই ধর্মে আঘাত করবে না তাহলে কিন্তু ভুল করবে। কেননা মৌলবাদ রুখতে ধর্মের দুর্গে আঘাত করতেই হবে। যারা মনে করেন ধার্মিকের দ্বারা এই কাজ সম্ভব তাহলে আমি বলব you are living in fools paradise.
আপনি কি মনে করেন জাকির নায়েক কিংবা আব্দুর রহমান আবিদ সাহেবকে দিয়ে ধর্মের দুর্গে আঘাত করা সম্ভব? প্রশ্নই আসে না। তাহলে আপনারা কিভাবে এই ধরনের মানুষকে নিয়ে বিজ্ঞান আন্দোলন চালাবেন তা বুঝতে আমি সত্যি অপারগ।
বিপ্লব দা বলেছেন সংবিধানের পরিপন্থি কোন কাজ করলে, বিজ্ঞান বিরোধী কোন কাজ করলে তাকে নাকি সংগঠন থেকে বের করে দেয়া হবে। কথাটা কতটুকু অদুরদর্শীতার প্রমান আসুন দেখা যাক।
সংগঠন যদি আজকে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমাদের পরবর্তী কাজ হল ধর্মের অবৈজ্ঞানিক দিক গুলো জনগনের সামনে তুলে ধরা। এখন সংগঠনে যারা বিশ্বাসী আছে তারা কি এই প্রজেক্ট সমর্থন করবে বলে আপনাদের মনে হয়? অবশ্যই না, কেননা যারা ধর্মে বিশ্বাসী তারা মনে করে তাদের ধর্মই শ্রেষ্ট, এবং তাদের ধর্মে কোন অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা নেই। বস্তুত বিজ্ঞানের সৃষ্টিই হয়েছে ধর্মের থেকে!!!!!!
আস্তিকরা যদি এই কাজে বাধা দেয় বা বিরোধীতা করে তাহলে কি করা হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে? সংগঠন কি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে? নাকি থাকবে না? যদি থাকে তাহলে কিন্তু ঐ সদস্যরা সংগঠন ত্যাগ করবে এবং ঐ সদস্যদের ভেতর থেকে কিন্তু দু চারটা জোকার সাহেব বের হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। সবচেয়ে বড় কথা সংগঠন তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে বিপ্লবদার সাধের গনতন্ত্র কিন্তু একনায়কতন্ত্র হয়ে গেল। আর যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয় তাহলে কি এই ধরনের একটি সংগঠন তৈরী করাটা বালখিল্যতা হয়ে গেলনা?
কথা হল ধর্মে বিশ্বাসী লোক যে এই ধরনের কথা বা কাজ করবে তা কিন্তু পাশের বাড়ির পাগল কেষ্ট ব্যাটাও জানে। আমরা কেন যুক্তিবাদী মানুষ হয়ে এই সহজ কথাটা বুঝব না? বুঝে আসে না।
বিপ্লবদার একটা কমেন্টে তিনি বলেছেন, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক লোক হতে পারে শুধু নাস্তিকরাই। ১০০% সত্য, খাটি কথা। এই ধরনের কথা শুনলে আমরা অনুপ্রানিত হই। কিন্তু আবার দুঃখ পাই যখন এই বিপ্লবদাই বলেন বিজ্ঞান আন্দোলন নাকি আস্তিক নাস্তিক উভয়ে মিলে করা সম্ভব।
আমাদের কাজ হবে বিজ্ঞান দিয়ে মৌলবাদ নির্মূল করা। কুসংস্কার দিয়ে নয়। কেননা তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা ১০০%।
আমাদের মানবতাবাদীদের হতে হবে সচ্ছ। দুদু খাব তামুকও খাব তাহলে ধার্মিকদের সাথে আমাদের পার্থক্য থাকল কোথায়?
[[[বিপ্লব পাল এর জবাব:
জুন ১৪, ২০১০ at ১০:৪৮ অপরাহ্ণ
@সাইফুল ইসলাম,
অধিকাংশ জনগণ আস্তিক ও না , নাস্তিক ও না- ধান্দাবাজ। বেঁচে থাকতে চাই সুস্থ ভাবে। এইটাকে বোঝ আগে। নাস্তিকতায় দুপয়সার ভালো থাকলে, তারা নাস্তিকই হইবে।]]]
তাই নাকি? সাধারন জনগনকে খুব ভালভাবে বুঝে গেছেন মনে হচ্ছে। এই যদি হয় আপনার বা আপনাদের সম-মনাদের ধারনা সাধারন মানুষ সম্পর্কে, তাহলে একজন আতি সাধারন হিসেবে আর কিইবা মন্তব্য করব। শুধু এইটুকুই বলি, সবাইকে নিজেদের মত না ভাবাই ভাল। “অধিকাংশ জনগনই ধান্দাবাজ” – এ ধরনের ঢালাও কমেন্ট করার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখবেন যে জনগনকে মূল্যায়নের কী ধরনের যোগ্যতা আপনি বা আপনারা অর্জন করেছেন। শুধু নাস্তিকতা যোগ্যতা হিসেবে চালিয়ে দেয়া ঠিক না বরং একে আমি “ইগনোরেন্স” ই বলি। যাই হোক, আমার কথা থাকুক।
সবশেষে বলি, এই ধরনের মন মানসিকতা আর মূলমন্ত্র নিয়ে কোন সভা সংগঠন করে কোনো লাভ হবে না। নিজে সম্মান চাইলে, সবার আগে অন্য মানুষকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে শিখুন। ধন্যবাদ।
@মহীরূহ,
মহান হাবভাবকে দারুণ ভয় পাই। বাস্তব এটাই আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান থাকুক দুধেভাতে-এবং এই ধান্দাবাজিটাই সভ্যতার চালিকা শক্তি। এই “ধান্দা” র জোরেই ইন্টারনেট আবিস্কার হয়েছে , কম্পুটার আবিস্কার হয়েছে-মহান ইসলাম এবং কমিনিউস্টদের যারা মহান এবং বড় বড় কথা বলে বেড়ায়, তাদের অবদানটা কি এই আধুনিক সভ্যতায় ?
ধান্দা খারাপ না। কিন্ত খারাপ ধান্দা এবং অধিক ধান্দা অবশ্যই খারাপ। এই লিমিটটা টানার জন্যেই চাই যুক্তিবাদ। নইলে আবার মারামারি কাটাকাটি হবে।
সুতরাং ধান্দা কথাটা মোটেও অসন্মানের না। বাঙালীর কাছে এটা অসন্মানের বলেই বাঙালীর ব্যবসা হয় না। এই ভাবটা কাটাতে হবে।
@মহীরূহ,
ভাই আপনি যা বলেছেন তা একেবারেই ঠিক না (আমার মনে হয়)। কারণ: কারোরই সম্পর্কে ভাল মন্দ না যেনে ‘আমি যে সবাইকে ভাল চোখে দেখি’, এর মানে হচ্ছে নিজেকে অন্যের কাছে ভাল সাজানো। এবং এর কারনেই আমরা খাটি বাংলায় বলি ‘পাম’ দিয়ে প্রায় সকল মানুষকেই কিছু কাজ করানো যায়। সে বুঝুক না বুঝুক, সে ভাল অথবা মন্দ কিংবা সে পারুক না পারুক পাম পট্টি দিয়ে কাজ করানো যায়। আর এটাই হয় ধূর্ত মানুষের কাজ। কারো ভুল না ধরার মানে বুদ্ধিমানের বোকামী। কারো ভুল ধরলে তা সে সুধরাতে চেষ্টা করবে অন্তত (যদি সে বুঝতে পারে ঠিকই সে ভুল করতেছে)।
তাই সবাইকে ভাল বলার কোন যুক্তি দেখিনা আমি, যেহেতু সমাজে কু সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষই সংখ্যায় বেশি। আপনাদের আমাদের চারপাশের একটু ভালকরে তাকালেই দেখা যায়।
দয়া করে আর একটু খুটিয়ে দেখুন না সেইসব মানুষদের, অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে……………………………
কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল দলের সদস্য থাকা সত্ত্বেও পরিচয় গোপন করে গুপ্তচর বৃত্তি করার ধান্ধায় বা অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ যদি সংগঠনে ঢুকে পড়ে তা চিহ্নিত করার উপায় কি ? এ ক্ষেত্রে বাটি চালান বা আয়না চালান দিয়ে পরিচয় গোপন করা প্রতিক্রিয়াশীলদের ধরার একটা ব্যবস্থা থাকা উচিৎ বলে মনে করি আমি।
@ভবঘুরে, :lotpot:
@ভবঘুরে,
চিন্তা নেই। যারা গুপ্তচর হয়ে আসবে, তারাও আমাদের লোক হয়ে যাবে।
চাই “নবজাগরন”।
যখন আপনাদের লেখা ও comments পড়ি , মনে হয় আপনারা মুক্তমনার প্রত্যেকে এক এক জন সেই “renaissance” এর আলোয় আলোকিত করবেন সারা দেশকে একদিন। ফিরে আসবে সেই হারান নবজাগরন, নব চেতনা যা ভেংগে গুড়িয়ে দেবে সমস্ত ভেদ বিভেদ ও অন্ধ বিশ্বাসের লোইহ বরমা। Renaissance আসবে সে যত দেরি করেই হক না কেন। এগিয়ে চলুন।
মাহবুব সাঈদ মামুন এর প্রস্তাব ভালো।
@Atiqur Rahman,
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য :rose2: ।ভালো থাকবেন।
আস্তিকদের মেম্বার করা হবে কি হবে না। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিতর্ক।
আমার প্রস্তাব হলো, আমাদের সংবিধানে একটি ধারা রাখতে হবে, যেখানে বলা থাকবেঃ প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন এমন কেউ এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না।
কোন গুলিকে আমরা প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন মনে করি তাও আমাদের সংবিধানেই বলা থাকবে। এটা কেমন হয় ?
@আতিক রাঢ়ী,
ভাল প্রস্তাব। তবে কেও প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন ছেরে এখানে মেম্বার হতেই পারে।
গত ৪ঠা ও ৯ই জুনে বিপ্লব পালের “ধর্মীয় মৌলবাদ নির্মূল করার বাস্তব উপায় কি ” এবং “মৌলবাদ বিরোধী জন-সংগঠনের দ্বিতীয় ধাপ” এ অনেক অনেক আলোচনা ও মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম “প্রসংগঃ মৌলবাদ নির্মূল করা ” নিয়ে এই লেখাটি লিখেছেন যার মধ্যেও অনেক অনেক মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্য এসেছে।যদি আমি ভূল না বুঝে থাকি তা হলে সাইফুল ইসলামের মূল প্রশ্নটি হলো মৌলবাদ নির্মূল করতে হলে বিজ্ঞানভিত্তিক জনসংগঠনের মধ্যে আস্তিক মনোভাপান্ন মানুষকে জড়িত করলে জনসংগঠনের যে মূল লক্ষ্য তা ব্যাহত হবে।
আমার কাছে মনে হয় বিষয়টি আসলে তা নয়। আসলে মূল বিষয়টি তো হলো আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি জনগনতান্ত্রিক সমাজ চাই।সেই সমাজ বিনির্মানে সংগঠন গড়তে হলে তো আমাদের মানুষের কাছেই যেতে হবে, বলতে হবে আমাদের আদর্শ,নীতিমালা ও লক্ষ্য।তার সাথে সামজস্য বজায় রেখে সংগঠনের কাঠামো তৈরী করা ।সেই কাঠামোর উপর নির্ভর করবে সংগঠনের কোন পর্যায়ে কোন মন-মানসিকতার সদস্য পদ দেওয়া হবে। এ নিয়ে আমার কতগুলি প্রস্তাবনা ছিল যা আমি এক এক করে নিচে তুলে ধরছিঃ—-
সংগঠনের তিনটি স্তর তৈরী করা হউকঃ——–
১) স্থায়ী কমিটি
২)কাযর্করী কমিটি ও
৩)সাধারন সদস্যপদ
ক) ৩, ৫ বা ৭ জন দ্বারা আপাততঃ স্থায়ী কমটি গঠন করা হউক যারা সংগঠনের সংবিধান তৈরী করবে——–
খ) বর্তমানে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হউক। কার্যকরী কমিটি ভবিৎসতে প্রয়োজন পড়লে ভোটের মাধ্যমে অতিরিক্ত সদস্য স্থায়ী কমিটিতে নির্বাচিত করতে পারবেন।কার্যকরী কমিটির মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছরের হতে পারে।কার্যকরী ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উভয়েই বিজ্ঞানমনস্ক,নিরিশ্বরবাদী,উদার গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দর্শনের সমর্থক হতে হবে।স্থায়ী কমিটির মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরী কমিটি বিভিন্ন প্রোগ্রাম উপলক্ষে উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে।
গ)সাধারন সদস্যপদ সবার জন্য উম্মুক্ত ( শুধুমাত্র ফৌজদারী মামলার আসামী ব্যাতিত) হতে পারে।সদস্যগন ন্যুনতম এস,এস,সি পাশ থেকে শুরু করে উচ্চ ডিগ্রীধারী ব্যক্তিরা সংগঠনের সদস্যপদ পেতে পারেন।এই সদস্যরা আস্তিক,নাস্তিক,গনতান্ত্রিক,কমিউনিষ্ট যেকোনো মন-মানসিকতার হউক না কেন তারা সাধারন সদস্যপদ পাবার যোগ্যতা রাখে।তিন বছর বিভিন্ন কাজ-কর্মের দ্বারা যদি নিজেকে বিজ্ঞানমনস্ক ও সংগঠনের প্রতি দায়িত্ববান হিসাবে প্রমান করতে পারেন তা হলে তারা কার্যকরী কমিটিতে সদস্য হওয়ার সুযোগ পাবেন।এক্ষেত্রে কার্যকরী কমিটির সদস্যদের মতামতকে চূড়ান্ত বলে গন্য করা হতে পারে।
মূল কথা হলো মানুষের অন্ধকার চিন্তা-চেতনার ও সাংস্কৃতিক বোধের পরিবর্তন করে দেওয়া আমাদের আশু জরুরী কাজ। আমাদের চারপাশে নাস্তিক লোকের সংখ্যা অত্যান্ত কম।গন-সংগঠন হিসাবে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই জনসাধারনকে ( বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী নির্বিশেষে) এর অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
স্বাধীন ভাইকে দেয়া উত্তরটা দেখে নিন দয়া করে। বাড়তি এতটুকুই বলব, আপনি যে প্রক্রিয়ার কথা বলছেন তাতে করে শুধু সংগঠনে সদস্য সংখ্যা বাড়ানোই যাবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না।
@সাইফুল ইসলাম,
অধিকাংশ জনগণ আস্তিক ও না , নাস্তিক ও না- ধান্দাবাজ। বেঁচে থাকতে চাই সুস্থ ভাবে। এইটাকে বোঝ আগে। নাস্তিকতায় দুপয়সার ভালো থাকলে, তারা নাস্তিকই হইবে।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
স্বাধীন একটি সংবিধান বানাচ্ছে। আশা করি তার সংবিধানে সংগঠনের ধারায় এগুলি সে রাখবে। এছারাও আরো অনেক কিছুই দরকার হবে সংবিধানে।
@বিপ্লব পাল,
এই গুরু দায়িত্ব আমাকে কখন দেওয়া হল? আমার মত হল আপনি, অভিজিত’দা, ফরিদ ভাই সহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে একটি কমিটি করুন খঁসড়া সংবিধান তৈরীর জন্য। মুক্তমনার সদস্যরাও নাম প্রস্তাব করতে পারেন কমিটির জন্য। কয়েকজন মিলে একটি খঁসড়া দাঁড় করিয়ে মুক্তমনায় উপস্থাপন করি, তারপর সেটাকে কাটাঁছেড়া করা হোক। আমি একা এত বড় দায়িত্ব নিতে পারবো বলে মনে হয় না।
সবাই নাম প্রস্তাব করুন খসড়া সংবিধান তৈরীর কমিটির জন্য। মূল সংবিধান কিন্ত সকল সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পাস হতে হয়।
পর্যায়ক্রমটি এভাবে হতে পারে, আমরা যেহেতু মুলত শুন্য থেকেই শুরু করছি। প্রাথমিক ভাবে একটি নাম ঠিক করা হোক, এবং মূল আদর্শ ও উদ্দেশ্য ঠিক করা হোক। সেই আদর্শের সাথে সহমত এমন সদস্যদের নিয়ে প্রাথমিক দল গঠন হোক। অতঃপর প্রাথমিক সদস্যরা মিলে খঁসড়া সংবিধান তৈরীর জন্য একটি কমিটি গঠন করুক। অতঃপর প্রাথমিক সদস্যরা সংবিধান পর্যালোচনা করে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিক্তিতে সংবিধান পাস করুক। সংবিধানের মাঝেই থাকবে কীভাবে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি হবে এবং সংবিধান কীভাবে পর্যালোচিত হবে। সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ হলে কিংবা প্রতি দু’ বা পাঁচ বছর পর পর সংবিধান পর্যালোচনা হবে এবং নুতন ভাবে সংখ্যগরিষ্ঠের মতামতের ভিক্তিতে পাস করানো হবে। এভাবেই চলতে থাকবে যতদিন আমাদর কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে না যাচ্ছে।
এটি একটি সাধরণ পর্যাক্রম। সবাই যার যার মতামত দিন এই বিষয়ে, কীভাবে প্রাথমিক পর্যায়টি শুরু করা যায়। একবার শুরু হলে দেখবেন তখন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। শুরু করাটিই মূল।
@স্বাধীন,
আরে আগে আমি লিখেছিলাম ত। তুমি শুরু করে একটা স্ট্রাকচার নামাও। তারপরে সেটা নিয়ে অনেক কাঁটা ছেঁড়া হবে। তাহলে ব্যাপারটা গতি পাবে
@স্বাধীন,
উঁহু। কোন সংগঠনের সাথে জড়িত হবার কোন ইচ্ছে আমার নেই।
@ফরিদ আহমেদ,
মৌ ল বাদের শক্তির উৎস কিন্ত সংগঠন।
পালটা সংগঠন ছারা উপায় কি?
@বিপ্লব পাল,
একমত। কেউ সংগঠন করলে বিন্দুমাত্রও আপত্তি নেই আমার। অবশ্যই শুভকামনা থাকবে সেই সংগঠনের জন্যে। নিজে জড়াতে চাই না শুধু, এটাই বলতে চেয়েছিলাম। নিজস্ব সীমাবদ্ধতা বলতে পারো এটাকে।
@বিপ্লব পাল,
মৌলবাদ সংগঠনগুলোর চালিকা শক্তি ধর্ম। ধর্মের জোরেই কিন্তু মৌলবাদ সংগঠনগুলো টিকে আছে এবং থাকবে। ধর্ম একটা বিরাট শক্তি হয়ে সমাজে যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত। একটি জনপ্রিয় আদর্শের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত মৌলবাদ সংগঠনগুলোর শক্তি সন্চয় করতে খুব কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছেনা।
কিন্তু পাল্টা সংগঠনের ভিত্তিটা কি? জানি বলবেন বিজ্ঞান। কিন্তু বিজ্ঞান সমাজে এখনো জনপ্রিয় বা প্রতিষ্ঠিত না বলেইতো সংগঠন করা। বিজ্ঞানকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাতো সংগঠনটির টারগেট। মৌলবাদ বিরোধী সংগঠনটির চালিকা শক্তি কি হবে যেটার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে সংগঠনটির ভবিষ্যত উজ্বল।
সত্যি কথা বলেতে কি আমার মনে হয় বাংগালী সংগঠন তৈরীতে যতটা পারদর্শী, সংগঠনের সফলতাতে বোধ হয় ততটা না। দেশে-বিদেশে বাংগালী সংগঠনের তো কোন অভাব দেখছিনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
না। একটি বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক সংগঠন।
@বিপ্লব পাল,
কিন্তু পাল্টা সংগঠনের ভিত্তিটা কি? জানি বলবেন বিজ্ঞান।
দুঃখিত, গণতন্ত্র কথাটা বাদ পড়ে গেছে।
@মাহবুব সাঈদ
আবার-
বিষয়টা পুরোপুরি বুঝা গেলনা। ঈশ্বরবাদী সাধারন সদস্য কি কোনদিন কার্যকরী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে পারবে?
শুনেছি, জামাতের সংবিধানেও হিন্দুদের সদস্য হতে কোন বাধা নেই।
@আকাশ মালিক,
জামাতীরা হিন্দুদেরকে ভালই বাসে! গতবার দেশে যেয়ে শুনলাম, জামাতী মালিকানাধীন অনেক গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে ফাইন্যান্স অফিসার হিন্দু। এটা একটা সংবাদ বটে!
@আকাশ মালিক,
স্থায়ী ও কার্যকরী কমিটির সদস্যগনের চুড়ান্ত মতামতের ভিত্তিতে যে-কাউকে উচ্চ কমিটিতে নির্বাচন করতে পারা যাবে বলে মনে হয়।
আমি বিপ্লব’দাকে সমর্থন করি। কেন তার কিছু যুক্তি তুলে ধরছি, আশা করি ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না।
আপনার দেওয়া আস্তিকের সজ্ঞা মেনেই বলছি প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসী লোক দিয়েও বিজ্ঞানের কাজ সম্ভব। কেন বলছি, কারণ সকল প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসী আস্তিক জানে না কেন সে আস্তিক বা ধর্ম বিশ্বাসী। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া সংস্কারকে সে লালন করে যাচ্ছে সে প্রজন্মের পর প্রজন্মে। সামাজিক বিবর্তন মেনে এই মানুষগুলো না হলেও তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম একদিন ধর্মে অবিশ্বাসী হবে। কথা হল যে প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসীর মনেও আপনার আমার মত একটি যুক্তিবোধ আছে। কারোর সেটা কম বা কারো বেশি। জাকির নায়েকের সংখ্যা কয়জন? লাদেনের সংখ্যা কয়জন? যদি তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হতো তবে সমাজ ব্যবস্থা টিকে থাকতো না। বিবর্তনের হিসেবেই দেখবেন সমাজে পরোপকারি এবং খারাপ লোক এই দুইয়ের সংখ্যা সবচেয়ে কম এবং ভাল/মন্দ মিশিয়ে লোকের সংখ্যাই বেশি। এখন আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠ লোককে বাদ দিয়ে কাজ করে কোন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।
আপনি গণতন্ত্রের কথাও এনেছেন এবং আপনি এই এক জায়গায় আসল সমস্যাটি তুলে এনেছেন। আসলেই দেখেন, আমি/আপনি সহ মুক্তমনার সবাই চিতকার করে কোন লাভ নেই যদি সেটা সংখ্যাগরিষ্ঠের মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে মেলে ধরতে না পারেন। তারমানে আপনি যেটাকে সত্য বলে জ়েনেছেন সেটাকে আপনার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। হোক সেটা বিজ্ঞান, হোক সেটা উন্নত দর্শন। হোক সে মূর্খ, বিজ্ঞানে অজ্ঞ, হোক সে প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসী। আমাদের তাঁদের কাছেই যেতে হবে। এখন সংগঠনে নানান ধাপ আছে। সংগঠনে সবাই যে কাজ করে সেটাও না। অনেকে শুধু আগ্রহ থেকেই সংগঠনে যোগদান করে। আপনি হয়তো জানেন, তারপরেও বলছি, কখনো চিল্লায় গিয়েছেন? তাবলীগের জামাতে? ওখানে আপনি যদি বলেন যে আপনি নাস্তিক তাও সমস্যা নেই, বলবে আসুন। কিছু না করুন, তারপরেও আসুন। ওরা জানে যে এভাবে আপনি কিছুদিন পর গেলে, কিছু শুনলে আপনার মাঝে পরিবর্তন আসতেও পারে, খোদায় বিশ্বাস আসতেও পারে। দশ জনের ক্ষেত্রে হয়তো কাজ করেনি, কিন্তু এক জনের ক্ষেত্রে হয়তো কাজ করছে। এখন এই এগারো জনকে যদি স্বাগতম নাই জানানো হতো তবে কি সেই একজনকে পেতো? আপনি যদি শুরুতেই একজন আস্তিক বলে তাকে দূরে ঠেলে দেন তাহলেই বা আপনি কীভাবে আশা করেন যে আপনার আন্দোলন সফল হবে? তাই আমার মতে বিপ্লব’দা যখন বলেন আস্তিক/নাস্তিক সবাইকে নিয়েই এগুতে হবে, আমি সেটাকে এভাবেই দেখি এবং এভাবেই যক্তিযুক্ত করি।
এবার আপনার লেখা সম্পর্কে কিছু কথা উল্লেখ করি।
বিপ্লব’দা কিন্তু পরিষ্কার করেই বলেছে সে যদি সংবিধান মানতে আগ্রহী হয় তবেই সে সংগঠনে আসবে। যদি জাকির সেই সংবিধানে বিশ্বাসী না হয় তবে কেন আসবে? যে কখনোই আসবে না সে যদি সংগঠনে আসে তখন কি হবে এই চিন্তা করে তো লাভ নেই। এখানে যে ভুলটি হচ্ছে তা হল সকল আস্তিকই জাকির নয়। সকল আস্তিককেই জাকিরের পাল্লায় ফেলে দেওয়া একটি বড় ভুল দৃষ্টিভঙ্গি আমার মতে।
এই বাক্যটিকে আরেকবার পড়ে দেখে চিন্তা করার অনুরোধ জানাবো। আমার বিশ্বাস আপনি বিপ্লব’দা খাটো করে কিছু বলার জন্য এই বাক্যটি লিখেননি, কিন্তু এই বাক্যটি পড়ে কিছুটা হলেও হোঁচট খেয়েছি। আমার কাছে বাক্যটি কিছুটা শ্লেষাত্বক বলে মনে হয়েছে। বড় গলায় বিশেষনটিকে অতিরিক্ত বলে মনে করি। আশা করি ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না।
ভাল থাকুন। আলোচনা চলতে থাকুক।
@স্বাধীন,
আপনার আমার যুক্তিবোধের সাথে সাধারান বিশ্বাসীদের একটা মৌলিক পার্থক্য আছে, আর তাহল আপনার আমার যুক্তির মাপকাঠি হল বিজ্ঞান, আর তাদের যুক্তির মাপকাঠি হল কোরান। এখন আমাদের সংগঠনের কাজ আসলে কি হবে? তাদেরকে বিজ্ঞানের আলোতে আনা। এই কাজগুলো করবে কারা? আমাদের সংগঠনের সদস্যরা। এখন কোরানকে যারা যুক্তির মাপকাঠি হিসেবে ব্যাবহার করে তাদের দিয়ে যদি আপনি বিজ্ঞান আন্দোলন চালাতে চান তাহলে আমার কিছু বলার নাই।
জাকির নায়েকের সংখ্যা একজনই। লাদেনের সংখ্যাও একজন। কিন্তু তাদের মহামানব হিসেবে গন্য করার লোকের সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়। সে জন্যেই আমরা দেখি বুয়েটে পড়া কোন শিক্ষার্থীর সাথে যখন বিবর্তন নিয়ে কথা বলা হয় তখন তার কাছে রিচার্ড ডকিন্সের চেয়ে জাকির নায়েকের কথা বেশি বৈজ্ঞনিক, বেশি যৌক্তিক বলে মনে হয়। সে জন্যেই আমরা দেখি প্রমান থাকা সত্যেও লাদেনকে সন্ত্রাসী বলতে আপনার ঐ যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষগুলোর মুখে বাধে। দেখি টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর বিভিন্ন মুসলিম দেশে কি ভয়ংকর উল্লাস। জাকির নায়েক কিংবা লাদেন পৃথিবীতে একজনই আছে কিন্তু তাদের কথায় জীবন দেয়ার মত লোকের সংখ্যা আছে প্রচুর।
আর তাদের মত লোকের সংখ্যা বেশি হলে সমাজ ব্যবস্থা কেন টিকে থাকবে না? অবশ্যই টিকে থাকবে এবং সমাজের অন্তত অর্ধেক মানুষ অত্যন্ত সুখে টিকে থাকবে। আপনার কি মনে হয় ১৪০০ বছর আগে পুরুষরা অসুখী ছিল আরবে? মোটেও না। এখনও আফ্রিকার গহীন অরন্যে মানুষ টিকে আছে আপনার আমার সভ্য সমাজ ব্যাবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। আপনি হয়তবা বলতে পারেন সেটা তো কোন সুন্দর ব্যবস্থা নয়। আপনার আমার কাছে কোনটা সুন্দর সেটা দেখতে ওদের বয়েই গেছে।
এই সহজ ব্যাপারটাই আমি কাউকে বোঝাতে পারছি না। আচ্ছা আমার কোন কথাটা দেখে আপনার মনে হচ্ছে যে আমি বলেছি যে তাদের দূরে ঠেলে দেয়া হবে? বরঞ্চ আমাদের কাজই তো হবে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা, তাদের কে বিজ্ঞানের আলোতে নিয়ে আসা। আপনার কি মনে হয় আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তারা কোন দিনও আমাদের দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে পারবে। সোজা উত্তর পারবে না। তারা কিন্তু দুর্নীতিবাজ লোকদের নিয়েই রাজনীতি করছে। এখন তারা যদি বলে হোক না দুর্নীতি পরায়ন, সে আস্তে আস্তে শিখে নেবে। এক সময় দুর্নীতি ছেড়ে দেবে। এই কথায় অন্য কেউ ভুললেও আপনি আমি কিন্তু ভুলব না।
যদি না সংবিধানে লেখা থাকে যে আস্তিকরা এই সংগঠনে যোগ দিতে পারবে না, তাহলে আর কি কারন থাকতে পারে জাকির নায়েকের এই সংগঠনে যোগ না দেয়ার? আপনি কেন বলছেন যে জাকির নায়েক যোগ দিবে না? সংবিধানে বিজ্ঞান বিরোধী বা বিজ্ঞানের প্রসারের কথা লেখা থাকবে বলে? আমার মনে হয় আপনি ভুল বুঝছেন। আমি লেখাতে আগেই বলেছি, আপনার আমার মনে আমাদের বিজ্ঞানমনষ্কতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও জাকির নায়েক টাইপের মানুষের মনে তাদের বিজ্ঞানমনষ্কতা নয়ে কোন সন্দেহ নেই।
আর সবচেয়ে বড় কথা যেটা। আপনি আমি আমরা সবাই জানি জাকির কোন গোয়ালের গরু। এই কথা জানার পরেও আমরা তাকে কেন সদস্য করব যতই সে সংবিধান মেনে আসুক না কেন? বুঝে আসে না। সে যে বিজ্ঞানের কোন প্রসারে অবদান রাখবে তা আমরা জেনেও তাকে কিভাবে সদস্য করি। আপনি বলেছেন সবাই জাকির নায়েক না। তাহলে একটা অনুরোধ করি, আপনার যত বন্ধু বান্ধব আছে(মুসলমান) তাদের কাছে দুটি প্রশ্ন করুন।
১. তোমরা কি বিজ্ঞান মানো?
২.জাকির নায়েককে কি তোমাদের ভন্ড মনে হয়?
উত্তর গুলো শুনে আপনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
@স্বাধীন,
আপনার আপত্তির ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। আমি ঐ জায়গাটা এডিট করে দিলাম। আশা করি বিপ্লবদাও কিছু মনে করেন নি। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, আপনার কথাগুলো বেশ যুক্তিপুর্ন।
@সাইফুল ইসলাম,
আশা করি তর্কটা বেশি দূরে টানবো না। আর দু’একটি মন্তব্যের পরে দ্য’পক্ষের যুক্তগুলো পরিষ্কার হয়ে থাকবে। এটারও দরকার আছে। সংগঠনে আস্তিক থাকুক বা নাই থাকুক দু’পক্ষেরই যুক্তির প্রয়োজন আছে। বাদ দিলেও জানতে হবে কেন বাদ দিচ্ছি, রাখলেও জানতে হবে কেন রাখছি। তবে শুরুতে ধন্যবাদ জানাতে চাই বিপ্লব’দা সম্পর্কে ছোট্ট অনুরোধটুকু রাখার জন্য। আপনার মত এরকম উদার যদি আরো কিছু মানুষ হত তাহলে পৃথিবীতে কাজ অনেক সহজ হতো। যাক সে অন্য কথা।
এবার এই মন্তব্যের দু’একটি বিষয়ে। আমার মতামত নীচের মাহবুব সাঈদ ভাইয়ের মত, যেটার হিন্টস আগের মন্তব্যে দিয়েছিলাম। সংগঠনের নানান ধাপ থাকে। একেবারে শেষ ধাপ হচ্ছে তৃণমূল। এদের অবদান অনেক বেশি যে কোন সংগঠনে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সহজ হিসেবে হচ্ছে শুরুতে সবাইকেই সুযোগ দেওয়া। সেখান থেকে যারা নিজেদের প্রমান করতে পারবে তারাই পরবর্তী ধাপে যাবে। এখন শুরুতেই যদি আস্তিকতার প্রশ্নটি নিয়ে আসেন তাহলে আপনি তৃণমূলে অনেক কম সদস্য পাবেন।
ধরুন তৃণমূলে স্কুলের বাচ্চাদেরও নিতে চাই বিজ্ঞান শেখানোর জন্য। এখন আপনি যদি সংবিধানে রাখেন যে সদস্যপদ হবার আগেই তাকে জানাতে হবে যে সে কোরান বিশ্বাস করে নাকি বিজ্ঞান বিশ্বাস করে, তবে কি সেই বাচ্চাটির প্রতি একটু অবিচার করা হবে নয় কি? এই কথাটিই আমি/বিপ্লব’দা বলার চেষ্টা করছি। আমার নিজের উদাহরণ দিই এ ক্ষেত্রে। আমাকে যদি দু’বছর আগেও জিজ্ঞেস করতেন একই প্রশ্ন আমি চুপ থাকতাম। আপনার শর্ত মেনে আপনার ক্লাবে যোগদানে কোন আগ্রহ থাকতো না। একই কথা বুয়েট, মেডিকেল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায়। শর্ত দিয়ে কারোর আসার কোন দায় নেই। বরং দায় আমাদের তাদেরকে বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার। সুতরাং আমাদেরকেই তাঁদের কাছে ওপেন হতে হবে। আগে তো তাঁদের কাছাকাছি পৌছতে হবে তারপরে না সে তার বিচার বুদ্ধি দিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিবে। একই কথাগুলো আমি তাবলিগের স্ট্রাটেজী দিয়ে বুঝাতে চেয়েছিলাম, এবার অন্য উদাহরন দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলাম।
এবার আপনার নিজের উদাহরণ থেকে কিছুটা বলি। আপনি দুর্নীতিবাজদের কথা বলেছেন। বেশ ভাল উদাহরণ দিয়েছেন। এখন এই উদাহরণটিই আমি একটু ঘুরিয়ে বললে আমার নিজের পক্ষেই কথা বলবে। আপনি যখন দুর্নীতিবাজদের নিয়ে কাজ করবেন সেখানে সব ধরণের দুর্নীতিবাজ আছে। নিজের সংসার চালাতে ব্যর্থ হয়ে অল্প ঘুষ খাওয়া লোক আছে আবার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি বাজ আছে আমাগো পলিটিশিয়ান এবং দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের মত। কিন্তু দেখবেন এদের সংখ্যা খুব কম কিন্তু সমাজের সবচেয়ে ক্ষতি এরা করছে। আমাদের শ্ত্রু আসলে এরা, যারা সমাজের সবচেয়ে ক্ষতি করছে। জাকির এবং লাদেন হচ্ছে এরাই। মার্ক্সের শ্রেনী শ্ত্রু এরাই, সকল মধ্যবিত্ত অথবা ব্যবসায়ী মাত্রেই নয়। এখন আপনি যদি বলেন যে না দুর্নীতি যারাই করে তারাই খারাপ, সবাইরে জেলে ভরো, তাহলে ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হবে। আমরা সেই উজাড়ের বিপক্ষে। আমরা সেই শ্রেনী শ্ত্রুর নামে সকল মধ্যবিত্তের ধ্বংসের বিরুদ্ধে। এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল ধার্মিক নিধনের বিরুদ্ধে। যদি সেটাই আমরা করি তবে কমিউনিজম, মৌলবাদের সাথে নিজেদেরও পার্থক্য থাকবে না। শুধু সেটা অন্য রকম মৌলবাদ হবে।
আপনাকে জাকিরের সাথে কাজ করার কথা বলা হচ্ছে না। আপনি জিজ্ঞেস করেছেন সংবিধানে লেখা না থাকলে জাকির কে বা তার মত কাউকে ঠেকানো যাবে না। ঠেকাতে হবে সাংগঠনিক ভাবে, আগেই আইন করে বাতিল করে নয়। তৃণমূলে সবাইকেই সুযোগ দিতে হয়। তারপর যে যোগ্যতা প্রমান করতে পারবে সেই টিকে থাকবে। জাকিরের যদি যোগ্যতা থাকে সে তৃণমূলে ঢুকে অন্যদের বিভ্রান্ত করার তবে সেটা হবে আমাদের ব্যর্থতা। তখন আমাদের চিন্তা করতে হবে কোথায় আমাদের ভুল হচ্ছে। কিন্তু তাকে বন্ধ করতে গিয়ে যদি আমরা সকল ধার্মিকদের জন্যই দ্বার বন্ধ করে দেই সেটা হবে চরম ভুল। দ্বিতীয়ত, জানি না আপনার সংগঠন করার কতটুকু অভিজ্ঞতা। এখানে আমাদের বাংলাদেশের একটি সংগঠন আছে যেটার সংবিধান রিভিউওতে আমি ছিলাম। সেখানেও আমরা এমন কোন নীতি রাখতে পারিনি যে শুধু মাত্র বাংলাদেশের লোকেরাই সংগঠনের সদস্য হতে পারবে যদিও সেটার নাম বাংলাদেশের সংগঠন। কারণ সেরকম কোন আইন হলে সেটা কানাডার মূল আইনের পরিপন্থী হবে। অর্থাৎ সংগঠন সবার জন্য উম্মুক্ত হতে হবে। আপনি নিয়ম এমন করতে পারেন যেন অন্যরা আপনার সংগঠনে যোগদানে আগ্রহী না হয়, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট আইন করতে পারবেন না যে অমুক গোত্র বা অমুক জন আমাদের সংগঠনে যোগদান করতে পারবে না। আমার আপনার যতই খারাপ লাগুক, মানবিধাকার আইন এভাবেই তৈরী। এর জন্যই মানুষ প্রাণ দিয়েছে, সিভিল রাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই মুক্তমনা হিসেবে আমি বলবো please open your heart little bit more for them. Let them at least try.
ধন্যবাদ ভাল থাকুন। শেষ বাক্য দুটির ইংরেজীর জন্য ক্ষমা প্রার্থী আগেই। ইংরেজী জাহির নয়, মনের ভাবটি যেন সঠিক ভাবে প্রকাশ করা যায় সে জন্য।
আমি খুব মোটা দাগে একটা ফর্মুলা দেব, আলোচনা উৎসাহিত করার জন্য। এই ফর্মুলা দাসপ্রথা রোধ, নারী আন্দোলন এধরনের সব সামাজিক সংগ্রামের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে।
নারী অধিকারকে ধরা যাক। কিছু নারীবাদী শুরুই করেছেন, “নারী ও পুরুষ সমান। সমাজকে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাতে হবে” (মেরি ওলস্টেনক্রফট)। অন্যদিকে আরেক দল আছেন, যাদের ভাবটা এরকম, “নারী পুরুষ অবশ্যই সমান না, হে হে। তবে কি জানেন, মেয়েদের লেখাপড়া শেখালে তারা ভালভাবে বাচ্চা পালন করতে পারে” (উনবিংশ শতাব্দীর অনেক বাঙালী “নারীবাদী” এর মধ্যে পড়বেন)। একদলের আপাত সফলতা বেশি কিন্তু তারা দ্রুত প্রাসঙ্গিকতা হারায়, অন্যদল সরাসরি সফলতা পায়নি কিন্তু বহুযুগ ধরে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে।
যে কোন সংগঠনকে ঠিক করতে হবে এই কনটিনুয়ামের কোথায় তারা অবস্থান করবে।
ভাই আপনারা যাই বলুন না ক্যান, আস্তিকরা কখনই তাদের ধর্ম গ্রন্থে বিন্দু মাত্র ভুল আছে বলে স্বিকার করবে না। যদিও তারাও বোঝে কিন্তু স্বিকার করতে চায়না “যদি আল্লাহ্ দোযখে দেয়”।
কু সংস্কারই হচ্ছে এর মূল কারণ। হ্যা কিন্তু এই কু সংস্কার কি ভাবে দুর করা যায় তাদের ভাবনা থেকে?
একমাত্র বিজ্ঞান ভিত্তিক, যুক্তি ভিত্তিক শিক্ষাই পারে এই কু সংস্কার দুর করতে। আর বিজ্ঞান, যুক্তি কখনই ভুল এবং মিথ্যার সাথে চলতে পারে না। এটা অসম্ভব।
তাই আমাদের এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে। কু সংস্কার ভিত্তিক ছোট ছোট ট্যাব গুলি আগে দুর করতে হবে (যেমনঃ প্রথমেই আসে আমাদের সমাজে পীর ফকির। যারা নাকি মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তাদের সার্থ হাসিল করছে। বিভিন্ন তাবিচ কবচ দিয়ে গ্রামের আম জনতাকে এখন পর্যন্ত তারা ধোকা দিয়ে আসছে। তাদের হাত তুলা রাষি বলে তারা মানুষের ওপর হাত চালান দিয়ে সাপা বাতাশের ঝারা ঝাড়ছে। আমি যে গ্রামে থাকি সেখানে এদের খুব উপস্থিতি )। ধাপ করে আস্তিকদের কাছে তাদের ধর্ম কুসংস্কারাছন্ন বলতে গেলে তারা তো রেগে উঠতেই পারে। কারণ এত দিন ধরে তারা তাদের মুরব্বীদের কাছে যে বিষয় সত্য বলে শুনে এসেছে তার বিরুদ্ধের কথা গুলি কি এক দিনে মেনে নেয়া সম্ভব?
তাই আমার মতে, আগে ছোট ছোট ভুল বা কুসংস্কার গুলি দুর করতে হবে যে যেখানে আছেন, সেখান থেকে। তার পর ধর্ম নামের কু সংস্কারটি দুর করতে সময় হয়ত বেশি দিন লাগবে না।
(সবাই শুধু মুক্তমনায় ব্লগ না লিখে বাস্তবে এগিয়ে আসুন)
ধন্যবাদ সবাইকে।
@DigitalAslam,
আপনার পয়েন্টটা ভালো। আমি আমার লেখাতে এর উল্লেখ করেছি। আসলে আমাদের মনে হয় বিভিন্ন উইং এ কাজ করলে ভালো হয়। যেখানে সবার দক্ষতা হিসেবে কাজ ভাগ করে দেয়া হবে। যেমন অলৌকিক কান্ড কারখানার বারটা বাজানোর জন্যে একটা দল কাজ করবে। আবার রাজনীতি নিয়ে আরেকটা দল কাজ করবে। বিজ্ঞানের লেখালেখি, বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজে বিজ্ঞান লেখক ও কর্মীরা কাজ করবে। এদের কাজের সমন্বয়ের জন্য থাকবে একটি পরিচালনা পর্ষদ। এভাবে কাজ করলে মনে হয় কাজে সমন্বয়তা আসবে সহজে।
দেখি সবাই কি বলে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর আলোচনা হচ্ছে।
মনে রাখতে হবে মৌলবাদি থেকে আমাদের পার্থক্য নিরূপিত হবে কি ভাবে আমরা ভিন্নমত হ্যান্ডল করতে পারি। সংগঠন থাকলে ভিন্নমত থাকবেই। কিন্ত যুক্তিপূর্ন আলোচনার মাধ্যমে সেখান থেকে একমত হতে হবে। একমতা চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।
এবার হেলাল এবং সাইফুলের জবাবে আমি কিছু বলি
[১] ধর্মের বিজ্ঞান ভিত্তিক সমালোচনা করতে হবে-এটা ত আমার উস্থাপিত ছটা পয়েন্টেই ছিল। শুধু ছিলই না-তা কি ভাবে মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, সেই নিয়েও আমি কিছু লিখেছিলাম। সুতরাং এই পয়েন্টে যেহেতু বিভেদ নেই, আলোচনা করে লাভ নেই। আমরা একমত। মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে বিজ্ঞানের ভিত্তিতে ধর্মের সমালোচনা/ আলোচনা হোক। ধর্মগুলোর নারী বিদ্বেশী রক্ষনশীল সংস্কৃতিকে গালাগাল না দিয়ে, কেন এগুলো রক্ষণশীল হল, এটা আলোচনা করলেই সমাজের উপকার বেশী। আমি নিশ্চিত সবাই এই ব্যাপারে একমত।
[২] দ্বিমত হচ্ছে যারা নিজেদের হিন্দু বা মুসলমান মনে করে। যারা নিজেদের প্রথম পরিচয় হিসাবে ধর্মকে ভাবে, তারা এই সংগঠনে আসবে কেন? কারন ধর্মের সমালোচনা করা এই সংগঠনের পবিত্রকাজ। সেটা কেও আমাকে ক্লিয়ার করে বলবে কি?
[২] এর বাইরে দুধরনের ধার্মিক আছেন। যাদের কাছে ধর্ম মানে সামাজিক অনুষ্ঠান। এরাই সংখ্যাধিক।
[৩] আরেক ধরনের ধার্মিক আছেন যারা ধর্ম চর্চা করে আনন্দ পান-অধিকাংশ ধ্রুপদি সঙ্গীতই মানুষের ঈশ্বর ভক্তি থেকে এসেছে-বাউল, কীর্তনিয়া, শ্যামাসঙ্গীত ইসলামি সঙ্গীত যারা গান-গরীবদের আনন্দ বিনোদন।
[২] এবং [৩] টাইপের লোকেরা সাম্প্রদায়িক হতেও পারে, নাও পারে।
তাহলে সদস্য হওয়ার সময় অসাম্প্রদায়িক জীবনের অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হবে।
প্রশ্ন উঠেছে, ধার্মিক অথচ অসাম্প্রদায়িক হয় কি করে? যৌত্বিক প্রশ্ন। ধর্ম গ্রন্থ মানলে হওয়া কঠিন। কিন্ত রুমি রুবাইয়ার মতন হিউমানিস্টও কোরান ভক্ত মুসলিম দের মধ্যে থেকেই এসেছে।
আরো আলোচনা হোক। এটা দরকার ছিল।
@বিপ্লব পাল,
একই বক্তব্য আমি নীচে দিয়েছি। মন্তব্যটি কালকেই লিখছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারিনি তখন। তাই দেরীতে হলেও আজ দিলাম। আলোচনা চলতে থাকুক।
১.পরিষ্কারভাবে কুসংস্কারমুক্ত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন করতে হলে ধর্মে বিশ্বাসীদের সাথে নিয়ে কিভাবে করা যায় এটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। সামাজিকতার ভয়ে ধর্ম আর বিজ্ঞানের মাঝামাঝি অবস্থানকারীরা নিজেরাই কুসংস্কারের সাথে আপোস করে। আর মাঝামাঝি অবস্থানকারী সংগঠনের কিন্ত অভাব নেয় কোথাও। এমনকি বাংলাদেশের আওয়ামীলীগও তাই দাবী করতে পারে যে তাদের দলের উদ্দেশ্য হচ্ছে কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়া।
২.বিপ্লবদার রবিন্দ্রনাথের উদাহরনটা আমি বুঝতে পারিনি। রবিন্দ্রনাথ কি কুসংস্কারমুক্ত, বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়া ও মৌলবাদ নিমুর্লে বিশেষভুমিকা রেখেছিল অথবা তার এই ইশ্বরবিশ্বাষ কি মৌলবাদিদের উৎসাহিত করত না যে তারা সঠিক পথেই আছে? প্রচলিত ধর্মে তারা বিশ্বাষ না করলেও এমন ধরনের লোক সরাসরি এটাও বলেনা যে অন্য ধর্ম ভুল। তাছাড়া মৌলবাদিদের কাছে এমন ঝাপসা ধর্ম মূল্যহীন কারণ তারা কিতাবী ধর্মের যুক্তিদিয়ে চলে, যতক্ষন না তাদের কিতাবী ধর্ম ভূল প্রমান হবে ততক্ষন চরমপন্থা ছাড়বে বলে মনে হয়না।
আমি যখন ধার্মিক ছিলাম তখনও এই মাঝামাঝিদের দেখে বিন্দুপরিমান অনুপ্রাণিত হয়নি বরং মনে হত এরা সমাজের চাপে সত্যগোপনকারী।
৩.যেহেতু বিপ্লবদা নির্দেশীত সংগঠনটি রাজনৈতিক ক্ষমতা পাওয়া একটা উদ্দেশ্য,তাই দলে বহুলোকটানা গুরুত্বপুর্ণ এবং গঠনতন্থে আস্তিক-নাস্তিক ক্লিয়ার সীমারেখা না থাকলে বহুলোক আক্রিষ্ঠ হবে হয়তো। কিন্ত তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হবে এবং একটা পর্যায়ে দলে ভাঙ্গন ধরবে।
৪.আমার মতে গঠনতন্ত্রে আরো কিছু বিষয় থাকা জরুরী।
-দেশে মু্ক্তভাবে ধর্মের ক্ষতিকরদিকগুলো সমন্ধে আলোচনা করার পরিবেশ। আমি এই বলছিনা যে আমরাও ধর্মকে আক্রমন করে কথা বলব। নাস্তিকরা যেমন ধার্মিকদের আক্রমনাত্বক মন্তব্য করতে পারবেনা তেমনই আস্তিকরাও নাস্তিকদের আক্রমনাত্বক মন্তব্য করতে পারবেনা।কিন্ত ধর্মীয় গঠনতন্ত্রে বা কিতাবে কি কি আছে রেফারেন্সসহ মুক্তভাবে আলোচনা করার পরিবেশ।এতে ধার্মিকরা বলবে রেফারেন্স ভুল, কিন্ত জনগন যা বুঝার তা ঠিকই বুঝবে অন্তত ধর্মীয় ক্ষতিকরদিকগুলো জনগন জানতে পারবে।
-যেকোন মাদ্রাসায় যেকোন সময় পরিদর্শন তথা অবাধ ও নিবিড়ভাবে খোজখবর রাখা। প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক প্রতিনিধি রাখা। অনেকে হয়তো বলবে তাতো এখনই সম্ভব কিন্ত বাস্তবতা হল বড়ই কঠিন।
মন্তব্যে ভুল বলে থাকলে বা কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থী।
বানানভুলের জন্যও ক্ষমা চাই সবার কাছে।
@হেলাল,
ঠিক, ঠিক।
আপনার প্রত্যেকটি পয়েন্টই গুরুত্বপুর্ন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
একজন ধর্মবিশ্বাসী কীভাবে বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারে, আমি বুঝি না। আদম-হাওয়া বিষয়ক কু-রূপকথা আর ডারউইনের তত্ত্বের সহাবস্থান কি আদৌ সম্ভব? আর তাই বিজ্ঞান মানতে গেলে ধর্মকে অস্বীকার না করে উপায় আছে?
@একজন নির্ধর্মী,
ঠিক বলেছেন। কিন্তু আমাদের সমস্যটা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গাতে। 🙂
আমাদের সমস্যা আমরা কি তাদের নিয়ে একসাথে একটা সফল আন্দোলন করতে পারি কিনা? আপনার কি মনে হয়? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
বর্তমান ক্ষেত্রে সেটা কীভাবে সম্ভব, আমার মাথায় আসে না কিছুতেই। কমন শত্রু থাকলে দুই ভিন্ন মতাদর্শী সাময়িকভাবে একত্রে বিপ্লব হয়তো করতে পারে। কিন্তু মৌলবাদ কি ধর্মের শত্রু, মুক্তচিন্তার যেমন? কোনও নমুনা বা প্রমাণ আছে?
@একজন নির্ধর্মী,
দারুন বলেছেন। আমি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি।
আমার ধারণা আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক আছে যারা ধর্মবিশ্বাসী, কিন্তু যাদের কাছে
ধর্ম = কিছু রিচুয়াল + আবছা মানবতাবাদ
এবং ধর্মগ্রন্থ নিজেরা পাঠ না করার ফলে তাদের ধারণা তাদের এই বিশ্বাস ধর্মের সাথে সংগতিপূর্ণ।
এখন লেখকের কাছে প্রশ্ন, উপরে যা লিখলাম তার সাথে কি আপনি একমত? না হলে তো হলই, কিন্তু যদি একমত হন, তাহলে কি এদেরও বাদ দিতে চান? এধরনের ধার্মিক কিভাবে detect করা যাবে সে বিষয়ক সমস্যা অবশ্য আছে।
@রৌরব,
না রৌরব ভাই। আপনার দেয়া তথ্যের সাথে দ্বিমত করছি না। বরঞ্চ আমি আর একটু বাড়িয়ে বলছি, যেখানে আপনি বলছেন “উল্লেখযোগ্য” আমি সেখানে বলব ধর্মে বিশ্বাসী যত লোক আছে তারা সবাই আপনার দেয়া সীমার ভেতরে পরে।
আমার কথাটা বোধহয় আপনি বুঝতে পারেন নি অথবা আমি বুঝাতে পারিনি। বাদ দেয়া বলতে আসলে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন আমি ঠিক পরিষ্কার বুঝতে পারছি না। বাদ দেয়া মানে যদি বলতে চান, এদের নিয়ে সংগঠন কোন প্রকার মাথা ঘামাবে না তাহলে আমি ঐ বাদ দেয়ার কথা বলিনি। আসলে আমাদের কাজই তো হবে মানুষকে যুক্তিবাদী করা, বিজ্ঞানমনষ্ক করা তাই না? সুতরাং বাদ দেয়া বলতে সাধারন মানুষের সাথে যে বিচ্ছিন্নতা আপাতভাবে মনে হচ্ছে তা কিন্তু সঠিক নয়। কারন আমাদের কাজই হবে তা করা।
আমি বাদ দেয়া বলতে বুঝিয়েছি তারা সংগঠনের সদস্য হওয়ার যোগ্য না। কেননা সংগঠনটা আসলে কি? সংগঠনের সদস্যরা। ঠিক? সদস্যরাই যদি সংগঠন হয় তাহলে বিজ্ঞানমনষ্ক করার কাজ স্বাভাবিক ভাবেই সদস্যরাই করবে। এখন আপনি যদি রায়হান কিংবা জাকির নায়েকের মত লোকদের দিয়ে মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করতে চান তাহলে আমাদের আসল উদ্দেশ্য কি ব্যর্থ হবে না? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার আরেকটা প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় নি। আপনি বলেছেন এদেরকে চিহ্ণিত করা যাবে কিভাবে? দরকার নাই তো। বাদ দেন না। হাড়ির একটা ভাত টিপলে সব ভাতের খবর পাওয়া যায়। ধার্মিকদের কাছে ধর্ম সবার আগে। বিজ্ঞান নয়। এটা ধর্মে বিশ্বাসী একজন বিজ্ঞানীর জন্যেও যেমনি সত্য, ধর্মে বিশ্বাসী একজন রায়হান কিংবা জাকির নায়েক কিংবা আবিদ সাহেবের জন্যেও সত্য।
তবে হ্যা আপনি যদি বাস্তবিকই চান তাদেরকে চিহ্ণিত করতে( যদিও আসলে তার কোন দরকার নেই ) তাহলে সংগঠন থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়। যেমন তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন সম্বলিত একটা সার্ভে পেপার দেয়া যায়। তাদের উত্তর দেখেই আপনি বলতে পারবেন তারা বিশ্বাসী নাকি অবিশ্বাসী। 🙂
এটা আমার পক্ষ থেকে একটি পরামর্শ, আরও এমন অনেক পরামর্শ আসতে পারে।
@সাইফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ। আপনার মত এখন আরো ভাল ভাবে বুঝতে পারছি।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এই জন্যে যে ্মৌলবাদ নির্মুল করার জন্যে একটি জন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা সবাই বুঝতে পারছে।
সেই সংগঠনের গতি ও প্রকৃতি কি হবে, সেই নিয়ে ভিন্নমত এখন যত হয়, তত ভাল। কারন আলোচনার মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারব, আমাদের চিন্তার এবং পরিকল্পনার দুর্বলতা।
যারা বিশ্বাস করবে না, তারা থাকবেই বা কেন একটি বৈজ্ঞানি্ক সংগঠনে?
আবার বলছি সব ধার্মিক এক না। আজই বিখ্যাত গায়ক পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সাক্ষাতকার নিলাম-উনি একজন বিরাট আস্তিক বলে পরিচিত-আমি এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি কেন এত ঈশ্বর বিশ্বাসী-উনি বল্লেন দূর ঈশ্বর বলে কিছু আছে না কি? এই সৃষ্টি, তার সুর আর সৌন্দর্য্যই আমার ঈশ্বর। ্রবীন্দ্রনাথ ও সেই ঈশ্বরেই বিশ্বাস করতেন। তাহলে তোমার মত মানতে গেলে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের ও যোগ্যতা নেই এই বিজ্ঞান সংঘে প্রবেশ করার!
তাহলে এবার একটু ভাব। পৃথিবীতে সবার মনের বিবর্তন হচ্ছে। এই যে জাকির বা রায়হানের কথা বলছে ওরাই বা কে? ওদের একটা দেহ আছে, মন আছে। ওদের মনের ও বিবর্তন হচ্ছে, আমাদের ও হচ্ছে। মন কখনো একটা জায়গায় স্থির থাকে না। অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান আমাদের মনে যে দ্বন্দগুলো সৃষ্টি করে তার ভিত্তিতে বদলায় এইসব।
আস্তিকরা সংগঠনে না এলে জানবে কি করে “বিজ্ঞানের দর্শনের ভিত্তি কি” -কোনটা বৈজ্ঞানিক, আর অপবৈজ্ঞানিক কি ভাবে নির্ধারন করা হয়? ৯৯% লোকই ত এটা জানে না বলে এত সমস্যা। এস এম রায়হানের সাথে আমার বিতর্কটা দেখ-দেখবে ওই ছেলেটি্র বিজ্ঞানে প্রাথমিক জ্ঞানও পরিস্কার না। ফলে আসলেই সে পরিস্কার ভাবে পথটা দেখতে পাচ্ছে না। নইলে কেও বিবর্তন বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে যা ১৫০ বছরের প্রতিষ্ঠিত একটি শাখা?
তা সেখানে আমাদের কর্তব্যটা কি? সেই পথে আলো ফেলা না তাকে আরো বেশী গালাগাল দেওয়া?
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব দা, আমি কিন্তু বলেছি, ধর্মে অবিশ্বাসী হলেই হল। রবীন্দ্রনাথ যদি বলেন সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে তাহলে কিন্তু যুক্তি অনুযায়ী সেও এই সংগঠনে ঢুকার যোগ্য না।
আমাদের কাজই তো হবে তাদের জানানো। আমরা তাহলে করবটা কি?
আমি মনে হয় বুঝিয়ে বলতে পারিনি। আমাদের সংগঠনটা আসলে কি? আমাদের সদস্যরাই আমাদের সংগঠন। আমরা মানুষকে জানাবো বিজ্ঞানের দর্শন কি? বিজ্ঞান কি? আমার কথা হল, এই কথাটা কিন্তু জাকির নায়েককে দিয়ে হবে না। যুক্তি মেনেই তা বলা যায়।
সদস্যদের কাজ হবে মানুষকে বিজ্ঞান জানানো, তার জন্য তার কিছু যোগ্যতা দরকার। সে নিজেই যদি বিজ্ঞান না বোঝে তাহলে সে অপরকে বুঝাবে কি? 🙂
আস্তিক আর ধর্মবিশ্বাসী গুলিয়ে ফেলছেন। ঈশ্বর ছাড়াও ধর্ম হয়, ধর্ম ছাড়াও ঈশ্বর বিশ্বাস করা যায়।
@রৌরব,
প্রশ্নই আসে না। আস্তিক এবং নাস্তিক এর ডেফিনিশন সম্পর্কে আমার সচ্ছ ধারনা আছে।
পন্ডিতি জাহির করার আগে লেখাটা ভালোভাবে পড়ে নিন।
আমি পরিষ্কার ভাবে আমার লেখাতে বলেছিঃ
আমি জানি প্রথাগত ধর্মে অবিশ্বাসী হয়েও যেমনি আস্তিক হওয়া যায় তেমনি প্রথাগত ধর্মে( বর্তমানে শুধু যতটুকু জানি একটিই আছে) বিশ্বাস করেও নাস্তিক হওয়া যায়।
আমার সমস্যা তাদের নিয়ে নয়। আমার কথা ধর্মে অবিশ্বাসী হলেই হল। এখন সে আস্তিক না নাস্তিক তা দেখার দরকার নেই। কারন মৌলবাদের উত্থান ঈশ্বর থেকে নয়, ধর্ম থেকে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
প্রথাগত ধর্মে অবিশ্বাস থাকাটা একটা ক্রাইটেরিয়া হতে পারে। আধ্যাত্মিক কিন্ত ধার্মিক না-এটা চলতে পারে। তবে আমি নিজে মনে করি না এতটার দরকার আছে।
@সাইফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ। ওই লাইনটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।
@রৌরব,
রৌরব ভাই, বন্যা আপাকে দেয়া আমার মন্তব্যটা দেখুন। আমার ভুলের জন্য আমার করা মন্তব্যটা কেমন কাঠখোট্টা হয়ে গেছে। দুঃখিত রৌরব ভাই। আমি ইচ্ছে করে আসলে ওটা করিনি। আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি আমার ভুলের জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
সমস্যা নেই। আলোচনায় একটু মসলা না থাকলে কি ভাল লাগে 😉 ?
[জনান্তিকে: ইমোটিকোনটা ঠিক মত দিলাম তো? :heart: ]
@রৌরব,
ধন্যবাদ রৌরব ভাই।
😀
এবার আমি বলি, আমি ঠিক মত দিলাম তো? :laugh:
@সাইফুল ইসলাম, আপনার অনেক কথার সাথেই দ্বিমত পোষণ করছি, কিন্তু তা তে ঢুকছি না এই মুহূর্তে, ধর্ম এবং না-ধর্ম, এর যে কোন একটা নিয়েই কথা বলতে আসলে আমার খুব ক্লান্ত লাগে। কিন্তু একটা কথা না বলে পারছি না। আপনার লেখায় কেউ মন্তব্য করতে আসলে যদি আপনি ‘পন্ডিতি জাহির করার আগে লেখাটা ভালোভাবে পড়ে নিন’ টাইপের মন্তব্য করেন তাহলে তো আপনার সাথে আলোচনায় না যাওয়াই ভালো। পাঠক অনেক কিছুই ভুল করতে পারে, কিন্তু সে যে আপনার লেখায় এসে মন্তব্য করেছে সেটুকুর জন্যও বোধ হয় কিছু সৌজন্য তার প্রাপ্য থাকে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, আশা করছি এটা বলার জন্য ‘পন্ডিতি জাহির’ বা ‘ভন্ডামী’ করার মত অপরাধে অপরাধী হতে হবে না।
@বন্যা আহমেদ,
বন্যা আপা, ওটা আসলে আমারই ভুল। আমি ঐ কথাটা বলতে চেয়েছিলাম মজা করার জন্য। কথাটার শেষে একটা ইমটিকনও দিয়েছিলাম কিন্তু হয়তবা কোন কারনে আমার ভুল বশত পড়েনি। যাই হোক রৌরব ভাইকে আমি কোন ভাবেই আঘাত দিতে চাই নি।
আপনার দ্বিমতের কথাগুলো বললে কিন্তু ভালো লাগত। 🙂