মনে করুন একাকিত্ববোধ ও মনে জমা হওয়া অনেক না বলা কথার ভার আপনার মনে পুঞ্জীভুত হতে হতে ক্রমেই সহনীয়তার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আপনার একাকিত্ববোধ শ্রীঘ্রই ডেসপারেশনে রূপ নিলে পরে আপনি পথে নামলেন সমমনা কিছু মানুষের খোঁজে যাদের সাথে আপনি ভাগাভাগি করতে পারেন আপনার মনের অনুভুতি এবং লাভ করতে পারেন সহমর্মীতা ও সহানুভুতি। এবং পেয়েও গেলেন একটি এরকম সমমনা মানুষের দল যাদের কাজ দিনের তিনবেলা সংলগ্ন চায়ের দোকানে আড্ডা মেরে নিজেদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা, অর্থনৈতিক বা যেকোন সমস্যায় নিজেদের সম্মিলিত শক্তিতে একে-অপরের পাশে দাড়ানো এবং তিনবেলার অন্তত দুবেলা শরীর ও মনের খোরাক হিসেবে কাচ্চি বিরাণী। এবং একটি পূর্বাভিপ্রেতো কাকতাল হিসেবে আমরা ধরেও নেই যে, কাচ্চি বিরাণী আপনি খুবই খুবই পছন্দ করেন। এতোকিছুর পরও আরও যতো-শত বৈষয়িক লাভ আপনি আপনার সেই নবআবিষ্কৃত সমাজটি থেকে পেতে যাচ্ছেন তার তুলনায় এই সঙ্গ, সহায়তা ও বিরাণী মহাসুমুদ্রে একফোঁটা জলের মতোই নগন্য। এছাড়া সেই সমাজও দু-তিন দিন আপনাকে তাদের আড্ডাস্থলের আশপাশে কৌতুহলী হয়ে ঘুরোঘুরি করতে দেখে আপনাকে তাদের সদস্য করে নিতে যারপরনাই উৎসাহ প্রদর্শন করতে থাকলো। সম্ভবত চোখ বন্ধ করেই আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি যে, আপনি ঐ সমাজের সদস্য হতে যাচ্ছেন এবং আপনি করলেনও তাই। তিনবেলা আড্ডা, বিরাণী এবং এরকম আরও শত সুবিধায় নিমজ্জতি হয়ে সুখেই পার করে দিলেন কয়েকটি দিন। তারপর হঠাৎ একদিন লোমহর্ষকভাবে আপনি আবিষ্কার করলেন যে সমিতিটির নাম “গাওদিয়া নারী ও শিশু হত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ সমিতি”। মনের স্তম্ভিত আতঙ্ক কিছুটা কেটে গেলে পরে আপনি খানিকটা স্বস্তিবোধই করলেন যে- অন্তত আমিতো কোন হত্যা, ধর্ষণ বা অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত নই- এটা ভেবে। তথাপিও, আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে যাচ্ছে?
এখানে দেখুন, আপনার পরবর্তী পদক্ষেপও কিন্তু আমরা ভবিষ্যদ্বানী করতে পারি। হয় একজন সুস্থ মস্তিষ্কের স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে আপনি সেই সমাজ থেকে ইন্সট্যান্টলি, নিঃশর্তভাবে, কোন প্রকার যুক্তি ও আলোচনা ছাড়াই অব্যহতি নিবেন, যেটার সম্ভাবনা ৯৯%। অথবা কাপুরুষতা, মেরুদন্ডহীনতা ও পর্যাপ্ত পৌরষের অভাবের মতো ইত্যাদি কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপনার নিতীবোধ আপনার বিরাণীর লোভের কাছে হার মানবে, অন্ততঃ ১% ক্ষেত্রে এটা ঘটতে পারে। যদি তাই ঘটে তবে আপনি যুক্তি ফেঁদে বসবেন বিরাণীর স্ব্যাস্থগত উপকারীতা সম্পর্কে, বিরাণীর মত মহৌষধের গুনে কেনো কিছু হত্যা-ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো মামুলী অপরাধ জায়েজ হয়ে যায় এ সম্পর্কে আপনার মুখ থেকে যুক্তির তুবড়ী ছুটবে, হয়তোবা আপনি ঘোষনা দিয়ে বসবেন অল্প কিছু সদস্য যারা কিনা হত্যা-ধর্ষণের মতো খারাপ কাজের সাথে জড়িত তারা “গাওদিয়া নারী ও শিশু হত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ সমিতি”র সদস্য হবার যোগ্য নয়, আপনি তাদের সদস্যপদ বাতিল ঘোষনা করবেন, এছাড়াও আপনি যুক্তি নিয়ে হাজির হতে পারেন কেনো হত্যা ও ধর্ষণ নারী ও শিশুদের জন্য খুবই উপকারী একটি ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই যদি করে থাকেন তবে অভিনন্দন জানুন, কেননা এইমাত্র আপনি নিজেকে প্রমান করলেন বিরাণী সমাজের একজন মডারেট সদস্য হিসেবে। মডারেট যে কিনা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়, যে কিনা নিছকই একটু বিরাণী খেতে পছন্দ করে, বিরাণী খেতে না পেলে মডারেটটি হয়তো দম বন্ধ হয়ে মরে যাবে, তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তার পাকস্থলী নিজেকেই নিজে হজম করে ফেলবে হয়তো; পৃথিবীর আর সব মানুষ মরে গেলে যাকঃ বিরাণী মডারেটটির চাই-ই চাই। সর্বোপরি, এক ফোঁটা পানিও না ছুঁয়ে মহাসাগরের সকল নীলতিমি ধরে ফেলাটা নির্বাচনী ফিটনেসই বৈকি!
কিন্তু না নির্বাচন নয়। আমি কথা বলতে চাইছি এমন একটা বিষয় নিয়ে যার সাথে মিউটেশন, নির্বাচন, বিবর্তন, বিজ্ঞান ইত্যাদির কোনই সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক ছিলোনা কোনকালে, সম্পর্ক থাকতে পারে না। আমি কথা বলবো ইসলাম নিয়ে এবং মডারেট ইসলাম নামক এক জারজ সন্তান নিয়ে যা কিনা সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম জন্ম দিয়েছে। কিন্তু, তার আগে একটা ব্যাপার পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি। এমনকি আমার কিছু নাস্তিক বন্ধুদের কাছ থেকেও আমি এই অভিযোগ শুনেছি যে, আমি নাকি কিছুটা অ্যারোগেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- আমি কিন্তু মোটেও অ্যারোগেন্ট নই মোটরবাইক চালানোর ব্যাপারে, কিংবা গ্র্যাম্পিয়ানে বেড়াতে যাবার ব্যাপারে, একফোঁটা অ্যারোগেন্টও আমি নই কোন নারীর হাত চেপে ধরার বেলায় কিংবা পিয়ানো বাজানোর সময়, অ্যারোগেন্ট নই আমি ক্যান্সার সম্পর্কে কিংবা মারামারি, ঝগড়া-ঝাটি করার বেলায়, এমনকি ধর্ম কিংবা ধর্মহীনতার ব্যাপারেও আমি ততোটা অ্যারোগেন্ট নই- শুধুমাত্র একটা ব্যাপারেই আমি মাত্রাছাড়াভাবে অ্যারোগেন্ট- সেটি হচ্ছে ইসলাম। কিন্তু কেন? কারণ, আমি ইসলাম সাফার করেছি এবং প্রতিনিয়ত করছি। শুধু আমি একা নই- যদি কিনা সুমেরু বা কুমেরু ছাড়া পৃথিবীর অন্যকোন মহাদেশে বসবাস করে থাকেন- তবে আপনিও ইসলাম সাফার করছেন এই মূহুর্তে। এই মূহুর্তে যদি বিকট একটি শব্দে আপনার কানের পর্দা ফেটে যাবার উপক্রম হয় তবে শব্দের উৎসটি সম্পর্কে আপনার প্রথম হাইপথেসিস কি হতে যাচ্ছে? ইসলাম। একটি জনসমাগমে ফিসফিস শব্দেও আপনি যদি শুনে থাকেন “বোমা, বোমা” আপনি পলায়নপর হতে যাচ্ছেন (এটাই বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত)। কার ভয়ে? ইসলামের ভয়ে। এবং এই একই ভয় হতে যাচ্ছে আপনার সাথী পথ চলতে, প্রতি মুহুর্তে। এমন কি করেছি আমি যে আমাকে ভয়ে গুটিয়ে থাকতে হবে? যার ভয়ে আমি গুটিয়ে আছি কি ক্ষতি আমি তার করেছি যে সে আমাকে নির্বিচারে হত্যা করতে চায়? যদি আপনার দাবী হয়ে থাকে ইসলাম ইস্যুতে আমাকে আরও নম্রভাবে কথা বলতে হবে, তবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি প্রথমে চাই।
দেখুন, আমরা ব্রাইটরা কিন্তু সাধারণত ধর্মকে বেশ খানিকটা ছাড় দেই। অথচ, ধর্ম ছাড়া অন্যান্য আরও হোকাস-পোকাস বিষয় যেমন হোমিওপ্যাথি, আকুপাংচার, আয়ুর্ভেদা, কায়রোপ্র্যাকটিক, ভিগান-ডায়েট, যোগব্যায়াম ইত্যাদি বিষয়কে কিন্তু আমরা মোটেও ছাড় দেইনা। অথচ ধর্ম ছাড়া উপরোক্ত আর একটিরও জন্ম হয়নি নিছক জীবন থেকে সমস্ত সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়ে জীবনকে চুষে ছোবড়া বানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে; ধর্মের বডি-কাউন্ট সবচেয়ে বেশী, সবচেয়ে বেশী মানুষ ধর্ম মেরেছে; ধর্ম ছাড়া উপরোক্ত আর একটির বিরুদ্ধেও হানাহানির অভিযোগ নেই; ধর্ম ছাড়া আর উপরোক্ত একটিও মানুষ মেরে রাষ্ট্র দখলে নামেনি। তাহলে আমাকে বলুন ধর্মকে কায়রোপ্রাকটিকের চেয়ে বেশী ছাড় কেনো আমি দিচ্ছি? আমার মনে হয় দিচ্ছি এ কারণে যে, ভাবতে পারার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত নয় এবং অদৃশ্য বিরাণীর প্রতি নির্মোহ একজন ধার্মিকের কাছে ধর্মের অবস্থান সর্বদাই ভঙ্গুর এটা আমি জানি। মোটামুটি একটু জ্ঞানের আলো পেলেই তারা ধর্মকে সোজাসাপ্টাভাবে না বলে দেয়। বস্তুত এই কারণেই নাস্তিকতা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মীয় অবস্থান। বিনয় এসকল দেয়াল ধরা ধার্মিকদের নিয়ে আসে সেইদিকেই- আমি দেয়ালের যেই দিকে আছি, আমার দল ভারি হয় তাতে। আর অ্যাগ্রেশন যার বাংলা আমি করবো আগ্রাসন তাদের ঠেলে দেয় দেয়ালের অপর দিকের রসাতলে। যুক্তি দিয়ে নয় বিনয় দিয়ে বক্তব্যের পক্ষে সমর্থন আদায় করাটা অনেকের কাছে একপ্রকার হ্যাকিং মনে হতে পারে, তাই আমি এটা করবো না। আর খেয়াল করে থাকবেন হয়তো বর্তমান সময়ে ফান্ডিরা গ্রহন করেছে এই একই কৌশল, বিনয়। বিনয় দিয়ে তারা লোক দলে ভেড়ায়। আসলেই, বর্তমান সময়ে কি চোখে পড়ে এমন কোন ফান্ডি যে কিনা বিনয়ী নয়? না বোধহয় বরং দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত ফান্ডিটিকে দেখলেও আপনার মনে হতে পারে- আরে! এই ছেলে বোমা কি ফুটাবে, জীবনে সে সালফার শুঁকেও দেখেনি! এটা কিন্তু গুরুতর- ফান্ডিদের কৌশল গ্রহন করে আসলেই কি আমরা ফান্ডিদের পর্যায়ে অধঃপতিত হতে চাই? আর হ্যা, নাস্তিকতাকে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মীয় অবস্থান দাবী করেছি বলেই ফান্ডিদের আরেকটি আমোদদায়ক মনোস্তত্ব মনে পড়ে গেলো। নাস্তিকতার বিরুদ্ধে তর্কে তারা সবসময়ই নাস্তিকতাকেও একটি ধর্ম হিসেবে গন্য করে। কিন্তু, কোন ধর্ম সবচেয়ে বেশী সংখ্যা বৃদ্ধি করছে এই তর্কে কিন্তু তারা নাস্তিকতাকে ধর্ম হিসেবে গন্য করেনা বরং বলে যে- নাস্তিকতাতো কোন ধর্ম নয়, তাই ইসলামই হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। মজার না?
ইসলাম ভয় পায় দুটো জিনিষ, অট্টহাস্য আর আত্নবিশ্বাস। অট্টহাস্যের জন্যেই হযরতের কার্টুন আঁকা হলে তারা জালাও-পোড়াও করে, সাউথ পার্ক নির্মাতাদের মৃত্যু-হুমকী দেয়। আর আত্নবিশ্বাসের জন্য প্রাণঘাতী আক্রমনের শিকার হয় ডঃ আজাদ (হায়! কতোটা যে ঋণী এই একটি বাঙ্গালীর কাছে আমি) আর ডঃ ডকিন্স ইমেইলে পেতে থাকে মৃত্যু-হুমকী ঘন্টায়-ঘন্টায়। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে যখন কিনা কোন বক্তব্য আগ্রাসী কিংবা অ্যারোগেন্ট প্রতীয়মান হয়- ব্রাইট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দুটো চেক সম্পন্ন করা, প্রথমত অট্টহাস্য এবং আত্নবিশ্বাস এই দুটি জিনিষকে কি ইসলাম আগ্রাসন ও অ্যারোগেন্স বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে কিনা। আত্নবিশ্বাস কোন নাবোধক জিনিষ নয় তাই এটাকে এক কথায়ই বাতিল করা চলে। আর অট্টহাস্যকে বাতিল করা চলে কেনো বুঝতে হলে আরেকটু গভীরে যেতে হবে। কল্পনা করুন নাস্তিক পরিবারে বেড়ে ওঠা ষোল বছর বয়সী একটি শিশু, যে জীবনে ইসলাম সম্পর্কে গুনগান বা নিন্দা কিছুই শুনেনি। ইসলাম কেনো শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং আল্লা কেনো আসল ঈশ্বর এই বিষয়ে আপনি যদি দশ মিনিটের একটি সারাংশ প্রস্তুত করে নিয়ে তাকে শোনাতে যান- দুই মিনিট শুনেই অম্লান বদনে শিশু আপনার মুখের উপর বলে দিবে আপনার আল্লা সম্পর্কে তার কি মতামত এবং আল্লাটি নিয়ে আপনি কোথা দিয়ে সঞ্চালন করে দিতে পারেন এ বিষয়ে তার প্রস্তাব। সে এটা করবে কেননা এটাই স্বাভাবিক। আজ যদি আমাকে এসে কেউ বলে যে- মিল্কিওয়ের চারপাশে প্রদক্ষীণরত আছে একটি হোতকা-লোমশ পান্ডা যে কিনা প্রতিবার একটি অর্ধঘুর্ণন সম্পন্ন করে ত্বারস্বরে চিৎকার করছে “পা-ই” বলে আর বায়ুহীন মহাশূণ্য ভেদ করে সেই চিৎকার একশো হাজার আলোকবর্ষ দূ্রের পৃথিবীতে এসে আঘাত করছে এক মিলিসেকেন্ডেরো কম সময়ে- তবে আমিও তাকে একইরকম নির্লিপ্তভাবে বলে দিবো সেই পান্ডাটি নিয়ে তার কি করা উচিত। আমি সম্ভবত পূ্র্বোক্ত শিশুটির চেয়ে পান্ডাটির আরও একটু বেশী শৈল্পিক কোন ব্যাবহার প্রস্তাব করবো। পান্ডা সম্পর্কে আমার মনোভাব যদি এই হয়, তবে একই সমান গাঁজাখুরি গল্প ইসলামকে লক্ষ্য করে একটা অট্টহাসি অন্তত আমি দিতে পারবো না শুধুমাত্র এই কারণে যে, ছোটবেলা থেকেই আমি ইসলামের গুনগান শুনে আসছি? কতোটা মানবিক হয় এটা আপনিই নির্ধারণ করুন।
আসলে ইসলাম ঠিক কি চায়? ইসলামের দাবীটি কি? ইসলামের দাবী হচ্ছে “ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার হযরত আল্লার প্রেরীত পুরুষ এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। সে শিশুনির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলো এবং সে এটা করে কোন অপরাধ করেনি।” অ-নে-ক অনেক বড় একগুচ্ছ দাবী, ঠিক? কিন্তু, এখানেই তাদের দাবী-দাওয়া শেষ নয়। তারা আরও বলছে “আমাদের পূর্বোক্ত দাবী মেনে নিতে যদি তোমার কোন সমস্যা থাকে, তবে তোমাকে নিজের মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে। আমাদের দাবীর বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না এবং আমাদের দাবী কেনো সঠিক এই বিষয়ে কোন প্রমান চাইতে আসলেও সেটা আমাদের দাবী অস্বীকার করার সামিল বলেই গন্য হবে যার জন্য তোমাকে আমরা হত্যা করতে পারি।” এবং কে বলে ইসলামদের কৌতুকবোধ নেই! এমতাবস্থায় হাতে হাত ধরে সকল ভেদাভেদ ভুলে আস্তিক-নাস্তিক সকলেই আমরা যদি এই করুণ ভাঁড়দলটিকে উদ্দেশ্য করে একচোট হেসে নিতে পারি তবে আমি নিশ্চিত ঐক্যের এক অমর নিদর্শন হিসেবে এটা পৃথিবীর ইতিহাসে স্থান করে নিতে যাচ্ছে। এবং তাদের পেয়ারের নবী হযরত হয়তো জান্নাতুল ফিরদাউসের ভূমধ্যসাগরের কোন এক পারে বসে হাতে একটি হাইবল গ্লাস ভর্তি তাজা গরম-গরম উটের মূত্র (যেটা কিনা তার নিজের ভাষ্যমতে বড়ই স্ব্যাস্থকর পানীয়) নিয়ে পুরোই হলিডে মুডে আমাদের হাস্যের সঙ্গে যোগ দিবে। আর হ্যা গ্লাসের কোনায় থাকবে এক বা একাধিক ব্ল্যাকচেরীর গার্নিশ। সর্বোপরি, হযরত তো চেরী খুবই ভালোবাসে। He just loves popping them, তাই না?
একটি ধর্ম বললে ইসলামকে কম বলা হয়। ইসলাম একটি স্টেইট অফ মাইন্ড। এবং যেই স্টেইটটি বলাই বাহুল্য কিনা গ্রাউন্ড স্টেইট নয় বরং খুবই খুবই এক্সাইটেড একটি স্টেইট। তাই ইসলামের অধ্যয়ন হতে হবে থিওলজির আলোকে নয় বরং প্যাথলজির আলোকে। আগ্রাসন একটি প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা (defence mechanism)। প্রাণীর কিন্তু শিকার ধরার জন্য আগ্রাসী হবার প্রয়োজন হয়না, প্রাণীর আগ্রাসী হবার প্রয়োজন হয় নিজের টেরিটোরি রক্ষা করার লক্ষ্যে, প্রজননসঙ্গীকে (mate) রক্ষা করার লক্ষ্যে, মারামারি (fight) তে আঘাত (injury) সর্বনিন্ম রাখার লক্ষ্যে। এবং হ্যা, আপনি যদি দাবী করে থাকেন যে, পৃথিবীর অন্যতম কুখ্যাত একটি সেক্স অফেন্ডারকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে, তবে এটা আমার দূর্ভাগ্য যে আমার আগ্রাসীরূপই আপনি দেখতে যাচ্ছেন, যতোটুকু আগ্রাসী আমার পক্ষে হওয়া সম্ভব। কখোনই আমার নারী-সন্তান বা বন্ধু কিংবা বোনকে আমি আপনার কাছে ঘেঁষার উপদেশ দিবো না এবং কোন পুরুষ বা নারী শিশুর সাথে আপনি কেমন আচরণ করছেন খুবই মনোযোগের সাথে তা লক্ষ্য রাখবো। এটা আমি করবো এই কারণে যে, আপনি যেই মতাদর্শ সমুন্নত করেন- অবশ্যই যেই মতাদর্শ কোন সুসভ্য মতাদর্শ নয়- তা আপনাকে আমার ও আমার কাছের মানুষজনের উপর একটি শারীরিক হুমকী হিসেবেই প্রতিয়মান করে। একইভাবে আপনার যদি মনে হয় কারো হাত-পা কিংবা মাথা কেটে ফেলাটা সুবিচার কিংবা সকল ক্ষেত্রে একজন নারী একজন পুরুষের অর্ধেক, তবে হ্যা আপনাকে আমি গঞ্জনা করবো যতোটা কটু ভাষায় যতোটা আগ্রাসীভাবে সম্ভব। আর কোন ব্রাইটের এটা নিয়ে কোন সমস্যা থাকলে আপনাকে আমার উদাহারণ দেখাতে হবে- প্রকৃতির ইতিহাসে উচ্চতর প্রাণী যেমন স্তন্যপায়ীতে আগ্রাসন কবে নাবোধক নির্বাচনের শিকার হয়েছেো (এটা কৌতুক কিন্তু)।
আর ফান্ডি যারা কিনা ইসলাম করে, সহাস্যে তাদেরকেও আমি বলতে চাই যে- ইসলাম আপনার জন্যও একটি হুমকী। কেননা এই মূহুর্তে যদি আপনার আশপাশে জিহাদ হয় তবে যতই ইমানদার ব্যক্তি হননা কেনো আপনি কোন ছাড় পেতে যাচ্ছেন না। দুঃখজনক হলেও সত্যি বোমার স্প্লিন্টার মুমিন কাফেরে কোন পার্থক্য বুঝে না। বাংলাভাইদের জিহাদের সময় দেশের গল্প শুনেছি, একটা টুপিদাড়ি বাস কিংবা ট্রেনে উঠলে নাকি অন্যান্য মানুষ সেই বাস কিংবা ট্রেন থেকে নেমে যেতো বোমার ভয়ে। তারা কি ইসলামকে না বলছিলো? নাহঃ অবশ্যই নয় তারা বেশীরভাগই বরং মডারেট মুসলিমই ছিলো যাদের প্রাণের ভয় বড্ড বেশী। মরে গেলে বিরাণী খাবে ক্যামনে, ঠিক? অথচ, একজন ব্রাইট কিন্তু আমি মনে করি অন্যদের মত পলায়নপর না হয়ে সেই বাস বা ট্রেনে থেকে যেতো। কেননা ব্রাইট কিছু গনিত জানে। সে এটা জানে যে, একটি নির্বিচার বোমারুর টুপি-দাড়ি হবার সম্ভাবনা শতভাগের কাছাকাছি হলেও একটি নির্বিচার টুপি-দাড়ির বোমারু হবার সম্ভাবনা শূণ্যের কাছাকাছি। ব্রাইট এটা করতো সেই লাঞ্ছিত টুপি-দাড়িটিকে কম্ফোর্ট করার জন্য, অথবা বাস থেকে নেমে গিয়ে আরেকটি বাসের জন্য অপেক্ষা করে সে সময় নষ্ট করতে চায়না বলে।
কেনো ইসলামকে না বলবো? উত্থাপন করার মতো একটি সুযোগ্য প্রশ্নই এটা বটে। এবং যথেষ্টই আমোদদায়কভাবে এই প্রশ্নের সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত উত্তরগুলিও আসে স্বয়ং ইসলাম থেকেই-
স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র স্বরূপ, তোমাদের শস্যক্ষেত্র তোমরা যেভাবে খুশী চাষ করো। (২:২৮২)
বিয়ে করো একটি, দুটি, তিনটি কিংবা চারটি। যদি নিরপেক্ষতা রক্ষা না করতে পারো তবে অনুগত থাকো একই স্ত্রী ও মালিকানাধীন দাসীদের প্রতি। (৪:৩)
পুরুষ স্ত্রীগনের উপর কর্তৃত্বশীল হবে,……স্ত্রীগন অবাধ্য হলে উপদেশ দাও, সহবাস বন্ধ করো এবং সামান্য প্রহার করো। (৪:৩৪)
এবার আসুন নির্ধারণ করি বর্তমান সময়ে আমরা মূল্যবোধের যেই প্রমিত ব্যাবস্থা সমুন্নত করি তার থেকে ইসলামের এই মূ্ল্যবোধের বিচ্যুতি কতোখানি। উপরোক্ত সবগুলো বাক্য কোরানের এবং সম্ভবত সঠিক যদি না ইতিমধ্যেই ইসলামিক স্কলারেরা এর কিছু শব্দের সহী আরবী টু বাংলা প্রতিশব্দ উৎপাদন করে ফেলে। যেখানে আরবী বিশেষত কোরানিক আরবী কিনা একটি খুবই ফ্লেক্সিবল ভাষাঃ ঠিক একটি ১৪ বছর বয়সী অ্যাক্রোব্যাটের মতো। সেটা হলেও আমার কোন মাথাব্যাথা নেই। কেননা কোরান আসলে কি মিন করতে চায়, কোনো ব্যাপারে আল্লার কি মতামত ইত্যাদি বিষয়ে কোন বিশ্লেষণ শুনতে ও করতে আমি একফোঁটাও আগ্রহী নই, আমি ব্যস্ত। প্রথমত, সম্মতিবিহীন যে কোন চাষবাসকে বলা হয় ধর্ষণ, চাষক্ষেত্রটি স্ত্রী কিংবা দাসী যেই হোক না কেনো। দ্বিতীয়ত, সমাজের একজন সহোদর সদস্যের উপর চাষবাসের ক্ষেত্রের মতো এমন একটা বিকৃতরূচির রূপক আরোপ করা মানসিক সুস্থতার লক্ষণ নয়, এটা ইসলামের লক্ষণ। আমাদের বিজ্ঞানী হবার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র এই একটি বাক্যের উপর ভিত্তি করে এটা হাইপোথেসাইজ করার জন্য যে- ইসলামের রিংলিডার হযরত ছিলো একটি সেক্স অফেন্ডার। একটি সভ্য সমাজে শুধুমাত্র লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে কাউকে চাষাবাসের ক্ষেত্র -যেখানে যেভাবে খুশী কৃষিকাজ করা যায়- নাম ধরে ডাকাটা হবে একটি হেইট ক্রাইম যার জন্য জরিমানা ও জেল পর্যন্ত হতে পারে। হ্যা, আমাদের কাছে যেটা ধর্ম সেটা সভ্যবিশ্বে একটি ফৌজদারী অপরাধ। এবং ফৌজদারী অপরাধ বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে একাধিক বিবাহ করা ও বউ পেটানো। এজন্যই ইসলামকে না বলবো। কেননা ইসলাম এমন একটি মূল্যবোধ ব্যাবস্থা যা -সুসভ্যতার কাছে আমাদেরকে প্রতীয়মান করে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নিন্মস্তরের জীব হিসেবে।
ইসলামকে না বলার আরও একটি বড়ো কারণ হচ্ছে- ইসলাম মানুষের মনে ভূয়া জ্ঞানের ভাব সৃষ্টি করে। অথচ জ্ঞানের সাথে ইসলাম কিংবা যে কোন ধর্মের অবস্থানই পরস্পরের বিপরীত মেরুতে। কোরান মুখস্থ করে তারা নিজেদের জ্ঞানী দাবী করে। অথচ একজন স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রের মস্তিষ্ককে যতোটুকু তথ্য ধারন করতে হয় তা দিয়ে কোরান ত্রিশবার লেখা যাবে। বস্তুতঃ কি আছে কোরানে একই কথার অপ্রয়োজনীয় বারংবার পুনরাবৃত্তি আর কয়েকটি শিশুতোষ রূপকথার গল্প ছাড়া? আকাশ মালিকের করা রেফারেলে দেখলাম একটা ফান্ডি ডঃ ক্রেইগ…নাহঃ, ডঃ গড……তাও না, মিঃ গড কর্তৃক কৃত্রিম জীবকোষের আবিষ্কারকে অস্বীকার করেছে। ফান্ডি বলছে যে তারা বিজ্ঞানের ভাষ্য যা কিনা পিয়ার-রিভিউকৃত গবেষণা-সংকলনে প্রকাশিত হয়- তা ব্রাইটদের মতো এককথায় গ্রহন করে ফেলে না। তারা বিজ্ঞান গ্রহন করে তখনই যখন কিনা তা কোরানের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে না। চলুন ফান্ডিদের উদ্দেশ্যে একটা হাততালি দিয়ে ফেলি! এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে ফান্ডি কিন্তু মিঃ গডের গবেষণা-প্রবন্ধটি পড়ে দেখেনি কিংবা দেখলেও এর একটি বাক্যও বোঝেনি; তথাপিও তার দেড়হাজার বছর পুরোনো অ্যাব্রা-কা-ড্যাব্রা বইটি যার গ্রহনযোগ্যতার স্বপক্ষে গত পনেরো হাজার বছরেও একটা কোন মামুলী প্রমান সংগ্রহে করতে সে ব্যার্থ- সেই বইটির ভাষ্য সে গ্রহন করছে, কেনো? কারণ এটা তাকে দিচ্ছে জ্ঞানের একটি বোগাস অনুভুতি। কতোটুকু নির্দৃষ্ট করে বলতে পারব না, তবে এটা নিশ্চিত আমাদের অশিক্ষা ও পশ্চাদপদতার পেছনে ইসলামের ভালো ভূমিকা রয়েছে।
ঈশ্বর জানেন (no pun intended!) কতোটা ব্যগ্র আমি এই বিদ্যের জাহাজটিকে এটা ব্যাখ্যা করার জন্য যে কেনো মিঃ গডের আবিষ্কার কৃত্রিম জীবনের আবিষ্কারই। কিন্তু না সেটা আমি করতে যাচ্ছি না; কেননা বিজ্ঞান বিষয়ে ইসলামের সাথে আলোচনা হতে পারে তখনই যখন কিনা ইসলামটি জনসম্মুখে ঘোষণা দিয়ে বলবে যে- তার প্রস্তরযুগীয় অর্ধশিক্ষিত, অর্ধসভ্য ঐন্দ্রজালিক পূর্বপুরুষ যারা কিনা ছিলো শিক্ষা, সচেতনতা, সংবেদনশীলতা ও সহমর্মীতার পাল্লায় আমাদের বর্তমান সময়ের মানুষদের চেয়ে কয়েক অর্ডার অফ ম্যাগ্নিচিউড নীচুস্তরের- সেইসকল মানুষ কর্তৃক রচিত কোরান নামক রূপকথার যাদুর বইটির কোনই বৈজ্ঞানিক গ্রহনযোগ্যতা নেই। তবেই এবং কেবলমাত্র তবেই আমি ইসলামের মতো মশা মারতে বিজ্ঞানের মতো কামান দেগে অনুপাতজ্ঞানহীন অবিবেচক সেনাপতির গঞ্জনা ঘাড়ে নিতে রাজি আছি। তবে এইটুকু বলতে পারি নিশ্চয়ই যে, ফান্ডি যেই কারণে মিঃ গডের আবিষ্কারকে অস্বীকার করছে এই একই কারণে সে অস্বীকার করতে পারে “উড়োজাহাজ মানুষের আবিষ্কার” এই দাবীটিও; কেননা অ্যালুমুনিয়ামতো আর মানুষের আবিষ্কার নয়। বিদ্যের জাহাজটি মাটিতে কেনো- উত্থাপন করার মতো সুযোগ্য একটি প্রশ্নই এটা বটে এবং করলেও আশা করি না যে মৃত গোপাল ভাঁড় এসে স্বত্বাধীকার-লঙ্ঘন দাবী করে বসবে। করুণার বশবর্তী হয়ে কিংবা দেশ ও দশের নিঃস্বার্থ উপকার করার লক্ষ্যে- কেউ যদি দয়া করে এই বিদ্যের জাহাজটিকে জলে ভাসিয়ে দেয় (অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়িয়ে)- তবে হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে আমরা স্বাগত জানাতে পারি মুক্তমনার পক্ষ থেকে। এবং বলতে পারি- নাও, এবার ডলফিন মাছের মতো বিবর্তিত হও; মানে বিবর্তন যেভাবে কাজ করে বলে তুমি মনে করো; খুলীর পেছনে ফুটো করে একটা ব্লোহোল বানাও আর একই ফুটো দিয়ে জলে দ্রবীভুত করে দাও মাথার ঘিলু, যদি এখনও তার কিছু অবশিষ্ট থেকে থাকে।
কিন্তু এগুলোর একটাও ইসলামকে না বলার সবচেয়ে বড় কারণ নয়। ইসলামকে না বলার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এটা যে, ইসলামের নিজের টিকে থাকার জন্য মডারেট মুসলিম নামক বিরাণীখোর বিক্রয় প্রতিনিধিদের দরকার পড়ে। মডারেট মুসলমানেরা জানে লাদেনের ইসলাম কেউ কিনবে না, বাংলা ভাইয়ের ইসলামও নয়। তাই ইসলামকে বিক্রয়যোগ্য করার এক মহৎ প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছে। এই তথাকথিত মডারেট মুসলিমদের সাথে ফান্ডি মুসলিমদের পার্থক্য কি জিজ্ঞেস করলে বড়ই মজাদার একটি উত্তর পাওয়া যায়- “ওয়েল আমরাতো বোমা ফুটানো, মৃত্যু-হুমকী, মানুষকে হয়রাণী ইত্যাদি করি না, এইটাই পার্থক্য!” এবং এটাও তাদের বলতে শোনা যায় যে “বোমা ফুটানো ভালো না, সত্যিকারের মুসলমানরা এইসবের মধ্যে নেই।” কিন্তু, চুপিচুপি ঘোষণা দেওয়া ছাড়া সহোদর মুসলমানদের এহেন অপকর্মের কি প্রতিবাদ তারা করেছে এই প্রশ্ন করলে কোন উত্তর পাওয়া যায় না। মডারেট মুসলমানেরা কিন্তু প্রতিবাদী এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। হযরতের কার্টুন আঁকা হলে তারা পথে নেমে আসে, সুইট্জারল্যান্ড মিনারেট বানানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তারা পথে নেমে আসে; ফ্রান্স বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব তুললে তারা শুধু পথে নেমে এসেই সন্তুষ্ট থাকে না বরং ইসলাম বৈজ্ঞানিক ধর্ম বিধায় মহিলাদের শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর অপকারিতা, বোরকাই কেনো এই সমস্যার একমাত্র সমাধান এবং স্কার্ভি কেনো মহিলাদের জন্য বড়ই উপকারী একটি রোগ সে সম্পর্কে আমাদের দুই-এক ছত্র জ্ঞানদানও করে। কিন্তু, মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই মানা সত্বেও বিপথগামী সহোদর মুসলমানেরা বাজী-পটকা ফুটিয়ে কয়েকটি বা কয়েকহাজার মানুষ মেরে ফেললে এর কোন প্রতিবাদ করার প্রয়োজনীয়তা তারা বোধ করে না। বরং স্বপ্ন দেখে চলে কেনো এক সময়ে এই সহোদর ভাইয়েরা বোমা ফুঁটিয়ে আফগানিস্তান বা ইরানের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে পারলে তারা সব মতভেদ ভুলে একই পতাকার নীচে আবার চলে আসবে এবং ফাই ফাই করে দেশে দেশে ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়ে চলবে একের পর এক, প্রতিদান স্বরূপ অপর পক্ষ থেকে কোনরকম ঝাঁটার বাড়ির ভয় ছাড়াই।
সহোদর মুসলমানদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ তো তারা করেই না, বরং উল্টো সম্পুর্ণ পশ্চিমের বিরুদ্ধে তারা সাংস্কৃতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই, ইউরোপের রাস্তায় আপনি যতোগুলো বোরকা আর টুপি-দাড়ি দেখবেন তার শতাংশও দেখবেন না ঢাকার রাস্তায়। এবং তাদের এই টুপি-দাড়ি কিংবা বোরকার রহস্য যতোটা না ধর্মীয়, তার চেয়ে অনেক বেশী রাজনৈতিক। একটি নারীকে বোরকা পড়িয়ে দিয়ে তারা এটাই বলতে চায় যে- “আমি তোমার সুসভ্যতার মুখে মূত্রত্যাগ করি; আমি স্ত্রী-কন্যাকে বোরকা পড়াবো এবং তাদেরকে অর্ধেক মানুষ হিসেবে গন্য করবো; আমি দেখতে চাই এর বিরুদ্ধে তোমরা কাফিরের দল কি করতে পারো।” আমি জানি কি প্রশ্ন আপনার মনে এসেছে। টুপি-দাড়িটি তবে কাফিরের দেশে পড়ে আছে কেনো, তাই তো? উত্তর হচ্ছে, কাফিরের দেশে বিরাণী পাওয়া যায়। রাস্তায় একটি বোরকা কিংবা টুপি-দাড়ি দেখলে তাই আমার প্রত্যেকটি পথচারীকে থামিয়ে চিতকার করে বলতে ইচ্ছে করে- আমি কিন্তু কোন ইসলাম নই। তুমি বুঝতে পারছো? আমি কোন ইসলাম নই, কখোনই ছিলাম না। আমি অস্থিমজ্জায় কাফের। জীবনে টানা সাতদিন আমি ইসলাম থাকতে পারিনি। এই সাতদিনে অন্তত একবার এরকম কিছু ঘটেছে যার প্রেক্ষীতে কিনা আমি পাকস্থলী কুঁকড়ে উঠে আসা বমি চেপে রেখে বলে উঠেছি- আমি ইসলামের কেউ নই। আমার শৈশব থেকেই এটা ঘটে চলছে। কেনো আমি ইসলাম হবো- নির্যাতন করে মারা বিধায় হালাল মাংস ভুলেও আমি মুখে তুলিনা, সুপারশপের চামড়াওয়ালা মুরগী কিনে চামড়া ছিলে রান্না করি; শুধুমাত্র নিজের কাফিরত্ব অটুট রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক কি দুইবার শূকরের মাংস নিজেও খাই- বন্ধুদেরকেও খাওয়াই; আর মদ? সেটা পছন্দ করি হযরত উটের মূত্র এবং যৌনসঙ্গম যেমন পছন্দ করতো, ঠিক তেমনি; জেনা-হ্যা; ব্যভিচার- এখনও নয় তবে সুযোগ পাওয়ামাত্রই করবো; জুয়া- নিয়মিত নয়, তবে খুব তাড়াতাড়ি নিয়মিত হয়ে যাবো; সমকামিতা- এখনও নয়, তবে সুযোগ পাওয়ামাত্রই করবো। এবং আপনারা কেউ যদি জেনে থাকেন এমন কোন কাজ যেটা কিনা কোন অপরাধ না হওয়া সত্বেও ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছে দয়া করে আমাকে জানাবে; টু ডু তালিকায় যোগ করে দিবো। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সমাজের সহোদর সদস্যদের প্রতি সহমর্মীতা ইত্যাদি দিয়ে আমি আমার হৃদয়কে সিলগালা করে দিয়েছি যাতে ইমানের আলো এক ফোঁটাও প্রবেশ না করতে পারে। ইহুদী-খ্রিষ্টান এবং পশ্চীমা বিদ্বেষ হচ্ছে ইসলামের একত্রীকরণকারি শক্তি। যদিও যেই কাফিরদের প্রতি তাদের এতো ঘৃণা সেই কাফিররা না থাকলে যেই কম্পিউটারে বসে ফান্ডিটি ঘৃণা ছড়াচ্ছে সেই কম্পিউটারের অস্তিত্ব থাকতো না; যেই কাপড় সে পড়ে রয়েছে সেই কাপড়ের বদলে থাকতো ছাল-বাকল; যেই শেষ খাবার সে খেয়েছে সেই খাবার যোগাড় করতে তাকে বল্লম হাতে জঙ্গলে ছুটতে হতো। ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলা চলে তখনই যখন কিনা লজ্জাহীনতা এবং অকৃতজ্ঞতা শান্তির দুটি প্রতিশব্দ।
মডারেট ইসলামের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ-ঘোষণা আমার মনে একটি অনুভুতিরই জন্ম দেয়, ক্রোধ। কিন্তু ফান্ডিদের মুখের দিকে তাকালে, তাদের চোখের দিকে তাকালে সেই ক্রোধটিই আবার করুণায় রূপান্তরিত হয়। আমার মায়া লাগে। কেননা তাদের চোখে আমি দেখি একাকীত্ব, হতাশা, সঙ্গী এবং সঙ্গহীনতা, আকুতি, রিজেকশন এবং সমাজে মিশতে না পারার ব্যার্থতা। তাদের অসহায়ত্ব তাদেরকে আরও জোড়ে ইসলাম আঁকড়ে ধরা শিখিয়েছে। কিন্তু এতোটুকু তারা বুঝতে কিন্তু মোটেও অপারগ নয় যে চরমপন্থী ইসলাম তাদেরকেই ব্যাবহার করছে মানব-বর্ম হিসেবে। তাদের মাঝে লুকিয়ে থাকার যায়গা পাচ্ছে বলেই চরম-ইসলামের উতপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুধুমাত্র নিজের কিছুটা মানসিক প্রশান্তির জন্যই ইসলামের মতো একটি পাশবিক ধর্মকে তারা না বলতে পারছে না। একটি কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডারকে দাবী করছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে, হাত কাটা মাথা কাটাকে বলছে সুবিচার আর বউ পেটানোর বিধানকে মনে করছে বড়ই মানবিক। এটা কি রিজেকশনের ফসল নাকি রিজেকশনের কারণ সেটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে এই ব্যাপারে কিন্তু তারা নিজেরাও নিশ্চিত যে- অন্যান্য সকল ধর্মের মতোই ইসলাম একটি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে নিন্মস্তরের অবস্থান। আপনি মোটামুটি শক্ত করে যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন- আপনি কি মুসলমান; তবে তাদের উত্তর হয়- হ্যা আমি মুসলমান, তবে……!!! মুসলমান হওয়া স্বত্বেও তারা কেনো অন্যান্য মুসলমানদের মতো না এবং কেনো অন্যান্য মুসলমানদের থেকে ভালো এটা প্রমান করার জন্য বাদরের মতো ততপর হয়ে উঠে তারা। নিঃসঙ্গ বাদরটি তারপর বড় হয়ে একসময় বাবাকে ঘটক ধরে একটি অ্যারেঞ্জড বিয়ে করে ফেলে এবং সন্তান জন্ম দেয়। এটা কিন্তু গুরুতর বিষয়। প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে আনফিট জীব প্রজননের সুযোগ পাবে না। যেই জীব নিজের খাবার যোগাড় করতে না পারে সে প্রজনন করতে যাচ্ছে না; প্রজননসঙ্গী যোগাড় করতে পারার মতো যোগ্যতা যার নেই সে প্রজনন করতে যাচ্ছে না। কিন্তু, বাবার নির্বাচনী ফিটনেসের উপর ভাগ বসিয়ে যেই আনফিটটি একটি বউ যোগাড় করে ফেলে প্রজনন শুরু করে দিলো সে কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মে তার নিজের মতোই আরেকটি আনফিটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে গেলো। ফলে, একটি চক্র শুরু হলো দারিদ্র-চক্রের মতো যা কিনা প্রকৃতিকে উপহার দিয়ে চললো হোঁচা-বোঁচা পশ্চাদপদ জনপুঞ্জ। তবে, এইযে আমাদের জনপুঞ্জের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে এর দায় কিন্তু ইসলামের একার নয়, ইসলামের চেয়ে কয়েক অর্ডার অফ ম্যাগ্নিচিউড বেশি দায় হিন্দুধর্মের- আজ থেকে চার-পাঁচ প্রজন্ম পূর্বেও আমাদের পূর্বপুরুষেরা কিনা যেই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তবে, সবচেয়ে বেশী দায় আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার যেটা কিনা এখনও প্রস্তরযুগীয় মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হচ্ছে। এটা কিন্তু এই সমাজ যা কিনা বর্তমান সময়ে ইসলাম ও হিন্দু উভয় ধর্মের উতপাতই অনেকাংশে কমে আসার পরও এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ বাধাগ্রস্থ করছে। এক ফোঁটাও গর্ববোধ করিনা যখন মনে পড়ে যে- আমিও এই চক্রের একটি অংশ।
ইসলামের প্যাথলজি যারা বোঝেন এটা হয়তো তারা অনুধাবন করে থাকবেন যে, মডারেট ইসলাম সবকিছুকেই মাপে তার নীচে কে কে আছে তাদের সাথে তুলনা করে। তাই ইসলামকে আপনি বলতে শুনবেন- হিন্দু ধর্ম এতো মানুষ মেরেছে আর ইসলাম মেরেছে এতো। ইসলাম কম মেরেছে তাই ইসলাম ভালো। কিংবা হিন্দু বিয়ে দেয় ৬ বছরে, ইসলামতো তাও নয় বছরে দেয় তাই ইসলাম ভালো ইত্যাদি। আমি সন্দেহ করি তারা নিজেরাও এটা অনুধাবন করতে পারে যে তারা বোগাস যুক্তি দিচ্ছে। কিন্তু হায়! হার স্বীকার করে নিতে পারার মতো বড়ো হৃদয় ইসলাম কবে প্রদর্শন করেছে? প্রতিটি মডারেট মুসলিমকেই আপনি পাবেন যুক্তি দেখাতে পরম ওস্তাদ রূপে। এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে কিনা তাদের যুক্তি নেই। হযরত শিশুনির্যাতনকারী এটা শিকার করে নিয়েই তারা যুক্তি দিতে নামে শিশুনির্যাতন করে হযরত কেনো কোন খারাপ কাজ করেনি। ফান্ডিরা খুবই খুবই পিছলা জীব, ধরতে পারবেন না তাদের আপনি কোনভাবে; ফসকে তারা যাবেই। কেননা যুক্তি দিতে তারা বড়ই পটু। যদি চায় তবে কোরান হাদিস থেকে রেফারেন্স টেনে তারা এটাও প্রমান করে দিতে পারবে যে- আল্লা আসলে একটি মস্ত-বিরাট মিকিমাউস; এবং খুব সম্ভবত প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্কলারেরা খুব একটা দেরী করবে না এই পাল্টাযুক্তি নিয়ে আসতে যে- না মিকিমাউস নয়, আল্লা আসলে একটা বিশাল ঠোঁটওয়ালা উডি-উড-পেকার। আর সবচেয়ে মজাটা হয় বোমা ইস্যুতে তাদের প্রশ্ন করলে। তার প্রথমেই ক্রমবর্ধমান বোমা সমস্যা নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং প্রমান করার চেষ্টা করে যে সে নিজেও আপনার মতোই বোমা সমস্যার সমাধান চায়। কিন্তু, কিভাবে এটা সমাধান হতে পারে জিজ্ঞেস করলে বলে আসলে বোমা সমস্যার মূ্লটাতো অনেক গভীরে, আমেরিকা-বৃটেনই তো মূলত আমাদের বোমাবাজ বানিয়েছে, আর ইস্রায়েল, তার কথা আর নাই বা বললাম; সর্বোপরি সেই পুরোন ভাঙ্গা রেকর্ড। মজার ব্যাপার হচ্ছে- আল্লার সংজ্ঞা, চরিত্র ও আচরণবিধি ইত্যাদি নিয়ে যেমন মুসলমানদের মধ্যে কোন মতৈক্য নেই- তেমনি মতৈক্য নেই কে চরমপন্থী মুসলমান আর কে মডারেট মুসলমান এটা নির্ধারণ করা নিয়েও। যেই যুক্তিতে মডারেটটি বলছে যে “আমি মডারেট কেননা আমি বোমা ফুটাই না, ও চরমপন্থী কেননা সে ফুটায়: একই যুক্তিতে একটি চরমপন্থীও কিন্তু বলতে পারে “আমি তো মডারেট আমি তো বোমা ফুটিয়ে মারি, চরমপন্থী হচ্ছে ও কেননা ও মারে শিরোচ্ছেদ করে।” মডারেট আর চরমপন্থার ব্যাপারটা আপেক্ষিক, প্রমিত কিছু নয়। লাদেনও মডারেট, তবে ছাগলসম্রাট হযরতের তুলনায়।
ফান্ডিদের দুটি ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে। এক, তুমি দোজখে যেতে যাচ্ছো। আর দুই, ইসলাম সম্পর্কে তুমি কিছুই জানোনা, তোমার আরও পড়াশুনা দরকার। এই ব্রহ্মাস্ত্র দুটি তারা ব্যাবহার করে যখন তাদের আর কোন যুক্তি থাকেনা তখন, একেবারে সবার শেষে। তাদের এই প্রতিক্রিয়া আমার মুখে সৃষ্টি করে স্মিতহাস্য, দোজখের ভয় ফান্ডি দেখাচ্ছে মানে সে মেনে নিচ্ছে সে হেরে গেছে (ফান্ডি হারলো কি জিতলো সেটা নিয়ে আমার কোনই মাথাব্যাথা নেই যদিও- তবে হেরে যাওয়া ফান্ডির উতপাত থেকে রক্ষা পেয়ে আমি বোধহয় খানিকটা খুশীই হয়ে উঠি); দোজখের ভয় দেখিয়ে ফেললে পরে আমি আর ফান্ডির সাথে তর্ক করিনা কেননা ৯০ মিনিট পার হয়ে গেলে ফুটবল খেলে কি লাভ, ঠিক? তবে, হেরে যাবার পরও যদি ফান্ডি উতপাত বন্ধ না করে তখন আমি তাকে বলি- দেখো, তোমার আল্লা আছে কি নেই কিংবা কি সে বলতে চায় সেটা আমি তার মুখ থেকেই শুনতে চাই, তোমার মুখ থেকে নয়। তোমার আল্লার যদি কোন বক্তব্য থেকেই থাকে সেটা তাহলে তাকে আমার কাছে নেমে এসে বলে যেতে হবে, তোমার দালালী করার প্রয়োজনটা কি হে। আর কোন ফান্ডি যদি এই লেখা পড়ে থাকেন তবে দুঃশ্চিন্তিত হবেন না। আপনার আল্লা যদি আসলেই থেকে থাকে তবে গাধাটাকে আমরা খুব তারাতারিই বের করে ফেলতে যাচ্ছি। গত ১৪ বিলিয়ন বছরে তার বুদ্ধির কোন বিকাশ হয়নি, এবং কাজকর্ম যা সে করেছে সেটা প্রমান করে তার আইকিউ ৪০ এরও নিচে। অপরপক্ষে আমরা মানুষ এগিয়ে গিয়েছি সহস্র আলোকবর্ষ, গবেষণাগারে প্রাণ বানাচ্ছি, ক্যান্সার প্রতিরোধ করছি আর কিই বা না করছি। পালিয়ে সে কতদিন থাকবে? ধরতে পারলে আমি জানিনা কি দন্ড তাকে আমরা দিতে যাচ্ছি; আল্লা যেহেতু, যেহেতু অমর, তাই চামড়া ছুলে লবন মেখে দেয়া কিংবা শূ্লে চড়িয়ে দেয়াটাতে আমি দোষের কিছু দেখিনা। তবে তাকে যেই দন্ডই আমরা দেই না কেনো আপনাকে আমি এটা অন্তত নিশ্চিত করতে পারি যে সেটা তার জন্য আরামদায়ক কিছু হতে যাচ্ছে না। আর ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা? সেটার প্রশ্নেই আসেনা, আমি ব্যস্ত। আমি জানি ইসলাম নারীর সাক্ষ্যকে পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক হিসেবে বিবেচনা করে। ব্যাস, ইসলামকে লক্ষ্য করে একচোট হেসে নেয়ার জন্যে এই একটিই যথেষ্ট, কেনো নারীর সাক্ষ্যকে পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক হিসেবে বিবেচনা করাটা মোটেও নারীবিদ্বেষ নয় এই বিষয়ে আপনার কোন যুক্তিও আমি শুনতে চাই না।
বার্ট্রান্ড রাসেলকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো “মরণের পর আপনি যদি আসলেই দেখেন ঈশ্বর-টিশ্বর ইত্যাদি ঝামেলা রয়েছে, আপনি কি করবেন? ঈশ্বরের মুখোমুখী যদি আপনাকে হতেই হয় তবে তাকে আপনি কি বলতে যাচ্ছেন?” রাসেলের উত্তর ছিলো “তাকে আমি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছি নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য এত কষ্ট কেনো সে করলো।” আমিও অনেকবার ভেবেছি আমি নিজে যদি মরণের পর গিয়ে দেখি আল্লা বসে আছে একটা তাকে আমি কি বলতে যাচ্ছি। জাফর ইকবালের স্বত্বাধিকার মেরে দিয়ে আমি এর একটি উত্তরও বের করেছিলাম- আমি সম্ভবত আল্লাকে বলবো ২২ কে ৭ দিয়ে ভাগ করতে যার ফলাফল আমি চাই দশমিকের পর যতোবেশী ঘর পর্যন্ত হওয়া সম্ভব। অথবা তাকে আমি মেনসার একটা আইকিউ টেস্ট নিতে বলতে পারি, আমি দেখতে চাই টেস্টে সে কতো স্কোর করে। কিন্তু, কয়েকমাস আগে একটি ক্যান্সার হস্পাইসের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড ভ্রমনের সৌভাগ্য বা দূর্ভাগ্য হবার পর থেকে আমি আমার আগের মত থেকে সরে এসেছি। হস্পাইসের প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকার সময়ই যেনো বুঝেছি এটা জীবন আর মৃত্যুকে সংযুক্ত করছে। ফেনলের গন্ধ চারদিকে ছড়াচ্ছে পরিচ্ছন্নতা আর পবিত্রতার হাওয়া; কিন্তু কোন প্রশান্তি নেই সেই বায়ুমন্ডলে; হতাশা রয়েছে; আর রয়েছে পিনপতন নীরবতা। শত শত ব্যান্ডানায় ঢাকা প্যালিয়েটিভ কিমোথেরাপির প্রভাবে চুলহীন মাথা আর ব্যাথানাশক মর্ফিনের নেশায় ঢুলুঢুলু চোখে বাচ্চাদের আমি নিজ কানে বলতে শুনেছি “আমি প্রান্তিক, আমার পাঁচ মাস রয়েছে।” দুই বছরের মায়েলোমনোসাইটিক রক্তশূণ্যতা থেকে শুরু করে ষোড়শী অস্টিওসার্কোমা রোগী কি না আছে; হাড়ের গভীরে মেটাস্টেস নিয়ে তারা মর্ফিনের প্রভাবে ১৮ ঘন্টা ঘুমাচ্ছে আর বাকী সময় যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করছে, ফুসফুসে মেটাস্টেস নিয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছে; আর তাদের বাবা-মা মুখে কিছু বলছে না, বলছে চোখে আর মুখভঙ্গীতে। আমি কোন বাবা কিংবা মা নই তবে অবশ্যই কোন না কোন বাবা-মার সন্তান- তাই, কিছুটা হলেও বুঝতে পারি এই অনুভুতি কতোটা সহনীয় যে, “আমার সন্তান যার পেছনে আমার এতো সময়, এতো শ্রম, এতো অর্থ বিনিয়োগ; জীবন দিয়ে হলেও যাকে ভালোবাসা ও রক্ষা করার জন্য আমাকে প্রস্তুত করেছে পৃথিবীর সাড়ে চার বিলিয়ন বছরের ইতিহাস- আমার চোখের সামনে সে মরে যাচ্ছে আর নিজের এতো ক্ষমতা এতো সামর্থ নিয়ে আমার কিচ্ছুই করার নেই শুধু দুচোখ মেলে চেয়ে দেখা ছাড়া; তারপরও, মৃত্যু তো একটাই এবং একবারই কিন্তু কি কষ্টটাই না পাচ্ছে আমার সন্তান, চোখ ফিরিয়ে নিয়ে না দেখে থাকতে পারার সামর্থও আমার নেই!” আমার সহ্যশক্তি ভালোই, বারো বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মরে গেলে নিজের ভাঙ্গা কলারবোন ও তার ব্যাথা নিয়েও (দুর্ঘটনার সার্ভাইবার ছিলাম আমিও) আমি সচেতন ছিলাম যেনো নিজের শোকের নগ্ন প্রকাশ কাছের মানুষজনের শোকের মাত্রাকে বাড়িয়ে না তুলে- পিছলে গিয়েছি কয়েকবার যদিও। তারপরও চেষ্টা করেছি নিজের যতো কান্নাকাটি বাথরুমে বা বারান্দায় গিয়ে করতে। আমার সহ্যশক্তি ভালোই; তবে একটা ক্যান্সারাক্রান্ত প্রান্তিক শিশুর বাবা-মার অনুভুতি অনুধাবন করেও নির্লিপ্ত থাকতে পারার মতো এতোটা ভালো নয়। এই পর্যায়ে আমি ভেঙ্গে পড়ি, নিজেকে লুকানোর কোন জায়গা ও সময় না দিয়েই আমার কন্ঠনালী শক্ত হয়ে আসছিলো, নাসারন্ধ্র ভিজে গেছে ততক্ষণে। এই ঘটনার পর আমি সরাসরি বাসায় চলে আসি, বাসায় এসেও আমি প্রাণপনে যুদ্ধ করছি নিজের কুঁচকিয়ে আসতে চাওয়া ঠোঁটের বিরুদ্ধে। সেদিনই আমি সিদ্ধান্তে পৌছাই আসলেই যদি মরার পর আল্লা-টাল্লা ধরণের উতপাত দেখি তবে তাকে আমি কিছুই বলবো না, শুধু তার মুখ উদ্দেশ্য করে একদলা থুতু ছুড়ে মারবো। সর্বপোরি action speaks louder than words, ঠিক?
মানুষের কষ্ট আমার মনে ক্ষমাশীলতার অনুভুতি জন্ম দেয়। আমার নীতিবোধ কোন মহামানবের নীতিবোধ নয়। “ইটের বিপরীতে পাটকেল” এই প্রবাদবাক্যের ব্যতিক্রম ঘটানোর মতো উদার কখোনই ছিলাম না বরং “একটি ইটের বিপরীতে একাধিক পাটকেল” এই নীতিতে চলেছি। মাঝেমাঝেই নিজের স্বল্পক্ষমতা দিয়ে অনানুপাতিকভাবে লঘুপাপে মানুষকে গুরুদন্ড দিয়েছি, কাছের মানুষজনের স্নেহের দাবী প্রত্যাখ্যান করেছি হেসে খেলেই। সেই আমিই সেদিন ক্যান্সার হস্পাইসের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড অবিষ্কার করে নিজ মনে বলেছি “পৃথিবীর সকল মানুষকে আমি যদি একঘন্টা সময় দিয়ে বলতে পারতাম- আমার প্রতি যেভাবে খুশি যতোটা খুশী অমানবিক আচরণ করো- এবং একঘন্টা পরে তাদের সকলকে ক্ষমা করে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারতাম, তবে বোধহয় আমার প্রশান্তি হতো।” যারা আল্লা চালায় তাদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন, কি ছাতাটা করছে আপনার আল্লা যখন কিনা আপনার সন্তান মারা যাচ্ছে অবর্ণনীয় যন্ত্রনায়? আপনি ও আপনার মতো অসংখ্য বাবা কিংবা মায়ের এই দুর্ভোগের প্রতি যেই আল্লা এতোটাই নির্লিপ্ত- সেই ঠুঁটো জগন্নাথ আল্লার অস্তিত্ব আসলে আছে কি নেই সেটি আমার প্রশ্ন নয়, আমার প্রশ্ন আপনার মাথা তার প্রতি নত কেনো?
শেষ পর্যায়ে চলে এলাম। একটা কথাই বলতে চাই- ইসলামকে কিন্তু না বলতে হবে আমাদেরই, ক্রিশ্চিয়ানিটিকে যেমন না বলতে হয়েছিলো ইউরোপের। এটা আমাদের ঐতিহাসিক, ভৌগলিক ও রাজনৈতিক দূর্ভাগ্য যে আমরা ইসলামের ডেমোগ্রাফির ভেতর পড়ি। ইসলামের আগমনের পূর্বে পড়তাম হিন্দু ডেমোগ্রাফির ভেতর। তখন ঈশ্বরের (no pun!) আশির্বাদ স্বরূপ ইসলামের আগমন ঘটে। নাহলে বোধহয় এতোদিনে আমি হতাম কোন মুচীর সন্তান। হিন্দুধর্মের উতপাত সহ্যসীমা অতিক্রম করলে আমরা তাকে না বলেছি। এখন ইসলামের উতপাতে আমাদের জীবন অতিষ্ট। আমরা কি আরও একবার একটা না বলে দেখবো? যদি সেটা নাও বলি তবে এটুকু অন্তত যেনো বলি যে- যুক্তি দেওয়া ইসলামের কাজ নয়, এটা যুক্তিবিদদের কাজ; আইন বাতলে দেওয়া ইসলামের কাজ নয়, এটা সংসদ আর বিচারালয়ের কাজ; বিজ্ঞান বাতলে দেওয়াও ইসলামের কাজ নয়, এটা বিজ্ঞানীদের কাজ; ইসলামের কাজ হচ্ছে স্বর্গ-নরক চালানো, জিন চালানো, ফেরেস্তা চালানো, মেরাজ চালানো ইত্যাদি। মূলকথা বাস্তবের সাথে সম্পর্কহীন বিষয় নিয়ে ইসলাম যা খুশী বলতে ও করতে পারে, কিন্তু বাস্তব নিয়ে মানুষকেই ভাবতে হবে। এতোটা দীর্ঘ সময় যারা সাথে থাকতে পেরেছেন অভিনন্দনস্বরূপ তাদের জন্য একটি গান, অবশ্যই মন্টি পাইটনের। দুঃসময়ে এই গানটা আমাকে অনেক শক্তি যোগায়। এইতো।
Just remember that you’re standing on a planet thats evolving
Revolving at nine hundred miles an hour…..
[এই লেখাটির কোন স্বত্বাধীকার দাবি করছি না। যে কেউ একে নিজের সৃষ্টকর্ম হিসেবে দাবি করতে পারেন। বানান/ ব্যাকরণ-বিভ্রাট, ভুল বানান/ব্যাকরণ এবং সৃষ্টিশীল/ পূর্বনির্ধারিত বাংলা প্রতিশব্দ প্রস্তাব করুন মন্তব্যে।]
httpv://www.youtube.com/watch?v=buqtdpuZxvk
সব ই বুঝবেন তবে সব হারিয়ে (আল্লাহ না করন) । তবে মন থেকে দোয়া করি মহান রব্বুল আলামীন আপনাদের সকলকে হেদায়েত দান করুক । আমীন ।
@আল্লাচালাইনা
আ’ইশার (রঃ) সাথে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর বিয়ে প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছেন আপনি। মেয়েদের বিয়ের যথার্থ বয়স কী?
১৮? (বৃটেনে আইনসিদ্ধ)
১৬? (জার্মানীতেআইনসিদ্ধ)
১৪? (ফ্রান্সে আইনসিদ্ধ)
১২? (নেদ্যারল্যান্ডে আইনসিদ্ধ)
১২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে বিয়ে করা নেদ্যারল্যান্ডে আইনসিদ্ধ হলেও, অন্য দেশে সেটা অবৈধ। বোঝাই যাচ্ছে মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন জাতির অবস্থান আলাদা। কিন্তু ইসলাম কী বলে? এই ধর্ম বলে, যে মেয়েটি বয়ঃসন্ধিতে পৌছাল সে একজন নারীতে পরিনত হলো এবং ঐ ঘটনাটাই (বয়ঃসন্ধি) ঐ মেয়ের (বা নারীর) বিয়ের বয়সযোগ্যতার প্রমান।
আপনি কি জানেন রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর যুগে আরবের মানুষের গড় আয়ু কত ছিল?
গড় আয়ু ছিল ৩০-৩৫ বছর (তুলনামূলকভাবে রাসূলুল্লাহ (সঃ) দীর্ঘজীবি ছিলেন)। মানুষেরা পরিবার শুরু করত বয়ঃসন্ধি পেরোলেই। ১৭ বছর বয়সী একজন যুবক পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক অনেক দায়িত্ব নিতেন। আর মেয়েরা ঘরকন্নার কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতেন ৬-৭ বছর বয়সেই (যে কাজে আজকের যুগের ২৪-২৫ বছর বয়সী নারীরাও ক্ষেত্রবিশেষে অদক্ষ) । ১৪০০ বছর আগের কোন মানুষের বিয়ের সিদ্ধান্তকে বৈধ/অবৈধ বিচার করবেন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে! তাহলে তো আপনার যুক্তি পারিপার্শ্বিকতার অবিবেচনায় (inconsideration of context) অনুত্তীর্ন!
আশা করি ইতিহাসের বইপত্র উল্টাইয়া দেখিবেন।
আল্লাচালাইনা, আপনি এইরকম আরও লেখা লিখেন। মানে ইসলামের সমালোচনা করে।আর যে আপনার লেখা দেখি না। হারিয়ে গেলেন কেন ভাই? আমি আশা করি আপনার লেখা আবার দেখব। যদিও আমি কিছু শব্দ চয়নে আপত্তি করেছি তবু আপনার লেখা আসলেই খুব ভাল।
(বস্তুত এই কারণেই নাস্তিকতা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্মীয় অবস্থান।)
একদমই ভূয়া তথ্য—-
আপনি ভাল লিখেন তা স্বীকার করছি- কিন্তু মিথ্যা যে মানুষ এতটাই ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে পারে তা আগে জানা ছিলনা।
খুব অল্প দিনে আল্লাচালাইনা আমার খুবই প্রিয় লেখক হয়ে উঠেছেন।
@আইভি এবং ফারুক,
একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি। আশাকরি কিছু মনে করবেন না।
আপনারা কি নামাজ পড়েন? যদি পড়ে থাকেন তাহলে কী নিয়মে পড়েন? মানে আমি বলতে চাইছি এই যে অজু করা, তারপর কোন ওয়াক্তে কত রাকাত বা নামাজের কখন কি পড়তে হবে এই ব্যাপার গুলো কিভাবে জেনেছেন?
@নিদ্রালু,আপনার এই প্রশ্ন আপনাকে হাদীসে বিশ্বাসীদের সাথে এক কাতারে ফেলে দিয়েছে । আশ্চর্য না? হাদীসপন্থীরাও একি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে থাকে। হাদীসেও কিন্তু নামাজের বর্ননা নেই , তা জানেন কি?
মুক্তমনাতে রায়হানের লেখা একটি আর্টিকেল পড়ে দেখতে পারেন, যদিও রায়হান এখন আর নিজের লেখা আর্টিকেলে আর বিশ্বাস করে না।
http://www.mukto-mona.com/Articles/raihan/traditional_belief_niye.pdf
@ফারুক,
রায়হান সাহেবের আগের এ জাতীয় লেখাগুলি আমাকে ধর্ম সম্পর্কে প্রচলিত দৃষ্টিভংগী বদল করতে অনেক সাহায্য করেছে। ওনার আগের লেখাগুলি খুবই যুক্তিপূর্ণ ছিল।
দেখেছেন কিনা জানি না, উনি সদালাপে কিছুদিন আগে আইভিকে প্রচলিত নামাজের নিয়ম কোরানের মাঝেই আছে বলে নানান আয়াত কোট করে দেখিয়েছিলেন। আমি পুরো পড়িনি, কারন এসবের আর তেমন আগ্রহ পাই না। আপনি হয়ত দেখে থাকতে পারেন।
@ফারুক,
@ফারুক,
আমার প্রশ্নটি আমাকে যে কাতারেই ফেলুক না কেন তার উত্তর কিন্তু পেলাম না। তবে যেহেতু আমি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেছি তাই উত্তর না দিলেও কোন সমস্যা নেই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রায়হান সাহেবের লেখাটা দেবার জন্যে। লেখাটা পড়ে ভাল লেগেছে। উনি এইরকম লিখতে পারেন আমার কোন ধারণাই ছিলনা। যিনি একসময় এইরকম লেখা লিখেছেন তিনি এখন কিভাবে ছাঁই পাস লেখেন সেটা আমার মাথায় ঢোঁকেনা।
তবে উনি যে যে কারণে হাদীসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই একই কারণে কোরাণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমার কাছে প্রশ্নাতীত নয়। আর হাদীস ছাড়া মুসলমান কীভাবে হয় আমার কাছে আসলেই পরিষ্কার নয়। আপনি যে বললেন হাদীসে নামাজ পড়ার নিয়ম নাই তাহলে এই সব নিয়ম কানুন আসলে আছে কোথায় ?
উপরের কিছু মন্তব্যে আমি দেখলাম আপনি লিখেছেন যে কোরাণ পড়ে যে যেটা বোঝে সেটাই ঠিক। কথাটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। কোরাণ পড়ে আমার কাছে যেমন বোগাস মনে হয় অনেকের কাছে তেমনি দুনিয়ার তাবৎ জ্ঞানের উতস্ মনেহয়। তবে দুনিয়ার সব মুসলিম যদি আপনার মত চিন্তা করত তাহলে হয়ত আল্লাচালাইনা কে এইধরণের ব্লগ লিখতে হতনা।
ভাল থাকুন। আর চিন্তা করুণ হাদীস নিয়ে আপনাদের সে ক্ষুরধার যুক্তি, সন্দেহের তীক্ষ্ণ ফলা, কোরাণের বেলায় এসে কেন সেটা শুধুই অন্ধবিশ্বাসের ভোঁতা বল্লম হয়ে যায়?
@নিদ্রালু,
অনেকে যাঁচাই করে ঈশ্বর আছে এটা মাথায় রেখে , আর আপনি যাঁচাই করেন ঈশ্বর নেই এটা মাথায় রেখে । একারনেই দুজনের কাছে একি জিনিষ সম্পুর্ন বিপরীত মনে হয়। সুতরাং আগে ঈশ্বর আছে কি নেই সেই সমস্যার সমাধান করুন।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
@ফারুক,
দেখেন ঈশ্বর আছে কি নেই সেটা এখানে অবান্তর। কেউ যদি কোন গ্রন্থকে ঈশ্বরের রচনা ধরেই পড়তে শুরু করে তাহলে সে পংতিতে পংতিতে ঈশ্বর পাবে তা সে কোরাণ হোক আর হুমায়ূন আহমেদের ‘হিমু’ হোক।
তবে আমার ব্যাক্তিগত ভাবে মনেহয় এই এতবড় মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা কোরাণের মত একটা অসঙ্গতিপূর্ণ বই রচনা করবেন এই কথাটি ভাবতেই কষ্টহয়।
আপনিও ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
@ ফারুক, হাদীস ও নবীর জীবনি বলতে আমরা যা জানি বা যে ইতিহাস আমাদের কাছে এসেছে তার ভিতরে যে বড় গলৎ আছে , তা যেকোন যুক্তিবাদীর চোখে সহজেই ধরা পড়ার কথা।
কোরান এর গলদ বোঝার জন্য যুক্তিবাদী হবার দরকার নেই। হাদীস, কোরান সবই তো ইতিহাস। হাদীস এর ইতিহাস মিথ্যা হলে কুরান কোন যুক্তি তে সত্য হল বলবেন কি। একবার চেস্তা করে একবার দেখেন না mortgage রাখা ব্রেইনটা কে ফেরত এনে যুক্তিবাদী হতে পারেন কি না । আল্লাচালাইনাকে ধন্যবাদ, এমন লেখা আরও কিছু পাঠান ।
@সংগ্রাম,
কোরানের প্রমান , কোরান নিজেই। কোরানের সত্যতা প্রমানের জন্য অন্য কারো সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। কোরান পড়ুন, সত্য মনে হলে সত্য। নাহলে নাই।
পাগল কি বোঝে , সে পাগল। যুক্তির যদি কোন গোল্ডেন মানদন্ড থাকত , তাহলে কি আর এত মত আর পথ থাকে? কার ব্রেন কোথায় কার কাছে mortgage রাখা আছে , তা কে জানে!!
@ফারুক,
আপনার এই উক্তি আগেও বেশ ক’বার শুনেছি। ধার্মিক মুসলমান হিসেবে এটা বেশ বিপদজনক উক্তি। কারন, কোরান আগে থেকে কোন কারনে গভীর বিশ্বাস না করে কেউ বুঝে পড়তে গেলে অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া কারো কাছেই অন্তত আজকের জমানায় একে খুব একটা অর্থবহ কোন গ্রন্থ বলে মনে হবে না।
ধার্মিক হিসেবে আপনার কর্তব্য আপনি কেন এর অথেন্টিসিটি বিশ্বাস করেন বা অবশ্য পালনীয় হিসেবে মনে প্রানে বিশ্বাস করেন তা কেউ জিজ্ঞাসা করলে তাকে বোঝানো। বলে পারেন যে এতে লাভ নেই, যার বিশ্বাস না করার সে করবে না। এটাও আসলে এড়িয়ে যাওয়া কথা। যুক্তির কথা হলে মানুষ কেন মানবে না?
@আদিল মাহমুদ,
28:56 You cannot guide whom you love. But it is God who guides whom He wills(it is God who guides those , who wish to be guided) and He is fully aware of those who receive the guidance.
দেখুন রসূলের ও ক্ষমতা ছিলনা কাউকে বোঝানোর। আমি তো সে তুলনায় নস্যি। কোরান বুঝে পড়ুন , শুধু এটুকুই বলতে পারি।
N.B- ব্রাকেটের ভিতরের অনুবাদটুকু আমার করা এবং আমার মনে হয় এটাই যুক্তিযুক্ত। গ্রামাটিক্যালি এই অনুবাদে ভুল নেই। মুহাম্মদ আসাদ অনুরুপ অনুবাদ করেছেন।
@ফারুক,
ভাই ফারুক,
আপনি যে আজগুবি আর উদ্ভট কথা বলছেন সেটা আপনি নিজে বুঝতে পারছেন না। কোরানের প্রমান কোরান নিজে একথার অর্থ কি ? কোরান বেহেশতি কিতাব এ দাবী কার ? মোহাম্মদের। কোরান নাজিল হয়েছে কার কাছে? মোহাম্মদের কাছে। কে বলছে পাবলিকের কাছে যে কোরান বেহেশতি কিতাব ? মোহাম্মদ নিজে। দাবীকারী ও সাক্ষী উভয়েই মোহাম্মদ। দ্বিতীয় একজন ব্যক্তিও সাক্ষী নেই যে দেখেছে কোরানের বানী মোহাম্মদের কাছে এসেছে জিব্রাইলের মাধ্যমে। ধরুন, আপনি কোর্টে মামলা করলেন এই বলে যে, আদিল মাহমুদ আপনার চার বউ-এর এক বৌ কে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছে। এখন কোর্টে কিন্তু আপনাকে দু একজন সাক্ষী দেখাতে হবে যারা দেখেছে আদিল মাহমুদকে মাঝে মাঝে আপনার ৪র্থ স্ত্রীর সাথে ফস্টি নস্টি করতে। আপনি যদি তা না পারেন কোর্টে আপনার মামলা বাতিল হয়ে যাবে তা সে আপনি যতই কোর্টে গলা ফাটিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে বলেন না কেন যে আপনি নিজে স্বচক্ষে তাদের ফস্টি নস্টি দেখেছেন। বুঝতে পারছেন? তো এখন মোহাম্মদ ই হলো কোরান বেহেশতি কিতাবের দাবীকারী ও সাক্ষী- এ মামলা কোন কোর্টেই টিকবে না । একমাত্র বলদ আর গাধা শ্রেনীর মানুষ ছাড়া আর কেউ এধরনের দাবীকে সত্য বলে গ্রহন করবে না। সে ১৪০০ বছর আগেকার অর্ধ সভ্য আরবগুলো তো একপ্রকার বলদ আর গাধার সমতুল্যই ছিল। কি বলেন? আপনি সেই আরব গুলোর সাথে প্রাচীন গ্রীক, রোমান, মিশরীয়, পারস্য সভ্যতার মানুষগুলোর তুলনা করেন আপনি দেখবেন সেই আরবের লোকগুলো বলদ ও গাধার চেয়ে বেশী কিছু ছিল না। মোহাম্মদের তো অকৃত্রিম ও অন্ধবিশ্বাসী প্রভাবশালী সঙ্গী ছিল যেমন- আবু বকর, আলী, ওমর এরা। তার প্রথম বিশ্বাসী মানুষ ছিল খাদিজা। তার সব চাইতে প্রিয়তমা স্ত্রী ছিল বালিকা বধু আয়েশা। যারা তার কথায় জীবন বিসর্জন পর্যন্ত দিতে কুন্ঠা বোধ করত না। তারা কেউই দেখে নাই যে জিব্রাইল এসে মোহাম্মদের কাছে আল্লাহর ওহি নাজিল করছে। আল্লাহ অন্তত: একজন সাক্ষীর ব্যবস্থা রাখতে পারত। এতে কি এমন অসুবিধা হতো? ভাগ্য ভাল যে- ওরা সেই কালে বেশ হিংস্র ও নৃশংস হলেও আজকের মানুষের মত এত চালাক চতুর ছিল না। আজকের মত চালাক চতুর থাকলে বেশ কিছু হাদিস পাওয়া যেত যেখানে সাহাবিরা বলত যে তারা জিব্রাইলকে দেখেছে তার ৬০০ ডানা সমেত নেমে আসতে আর দেখেছে মোহাম্মদের কাছে ওহী নাজিল করতে। আজকের মানুষ কত চালাক তার একটা প্রমান দেখাই- এক বিশাল মৌলভি টেলিভিশনে বলছে- মোহাম্মদকে এক ইহুদী নারী বিষ মাখা দুম্বার গোশত দিয়েছিল খেতে, তখন নাকি গোশত নিজেই বলে দিয়েছিল মোহাম্মদকে যে তার মধ্যে বিষ আছে। অথচ- সেই গোশত তার আগে খেয়ে একজন সাহাবী খেয়ে মারা যায়, মোহাম্মদ সাামান্য পরিমান গোশত একটু দেরী করে খেয়েছিলেন বলে প্রানে বেচে যান তবে সেই বিষক্রিয়ায় প্রায় আড়াই বছর ভুগে তার পর ৬৩ বছর বয়েসে উনি মারা যান যার বর্ননা হাদিসে আছে ভুরি ভুরি। জীবনের শেষ দিকে তিনি ভীষন রকম পীড়িত ছিলেন সেই বিষক্রিয়ায় যা সবাই জানে। তো দেখেন এই একবিংশ শতাব্দিতেও কেমন পাগল আছে যারা টেলিভিশনের পর্দায় পর্যন্ত এ ধরনের আজগুবি কথা বার্তা বলে। তো পাগল তারা না আমরা ? পরিশেষে , মোহাম্মদ নিজেই কিন্তু আবার নিদান দিয়েছেন- একজন নারী ধর্ষিতা হলে তা প্রমান করতে চারজন সাক্ষী লাগবে, একটা চুক্তিনামা করতে হলে দুইজন পুরুষ সাক্ষী লাগবে ইত্যাদি, তাহলে তিনি যে এতবড় একটা দাবী করলেন যে তিনি আল্লাহর নবী আর তার কাছে আল্লাহর বানী আসে অহরহ তার কোন সাক্ষী থাকবে না কেন ? নিজের ব্রেনটাকে একটু পরিস্কার করুন আর মুক্ত দৃষ্টি দিয়ে কোরানটা পাঠ করুন দেখবেন , ওই বইটার মধ্যে আজগুবি সব কথাবার্তা ছাড়া আর কিছুই নেই।গোপন বা গুপ্ত রহস্য তো অনেক দুরের ব্যপার।
@ভবঘুরে,
“আদিল মাহমুদ আপনার চার বউ-এর এক বৌ কে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছে। এখন কোর্টে কিন্তু আপনাকে দু একজন সাক্ষী দেখাতে হবে যারা দেখেছে আদিল মাহমুদকে মাঝে মাঝে আপনার ৪র্থ স্ত্রীর সাথে ফস্টি নস্টি করতে। আপনি যদি তা না পারেন কোর্টে আপনার মামলা বাতিল হয়ে যাবে তা সে আপনি যতই কোর্টে গলা ফাটিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে বলেন না কেন যে আপনি নিজে স্বচক্ষে তাদের ফস্টি নস্টি দেখেছেন”
আহা বেচারা আদিল মাহমুদ কে গিনিপিগ বানালেন। :hahahee: :lotpot:
@ভবঘুরে,
ভাই, কপালে শেষ মেষ এই ছিল? আপনার সাথে নাহয় মাঝে মাঝে লাগে, তাই বলে এতবড় অপবাদ দিবেন?
আমি কবে কার বউ ভাগায় নিসি বা ফষ্টি নষ্টি করসি তা উপযুক্ত প্রমান সহ দেখান। ছিঃ ছিঃ! জীবনে বহু গালিগালাজ অভিযোগ শুনছি, কিন্তু এহেন অপমানকার অভিযোগ আর কেউ করে নাই। এমনিই ব্লগ এ সময় নষ্ট করি দেখে নিজের বিবিই সারাদিন নানান মধুর কথাবার্তা শোনায়। এহেন সার্টিফিকেট দেখলে আর কিছু লাগবে না।
সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে ফারুক সাহেবের চার বিবি আছে কিনা তা এই মুহুর্তে নিশ্চিত বলা না গেলেও এই আদিল মাহমুদ কোনদিন কারো ঘরে জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতেও ভাংগানি দেয় নাই।
@আদিল মাহমুদ,
ফরিদ ভাই এর মতই বলছি, মুক্তমনায় এই আলোচনাগুলো দেখতে আসলেই আর ভালো লাগছে না ( এসব ফাজলামি, ইয়ার্কিগুলোরও মান দেখলেও কান্না পায়)। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ ধরণের আলোচনাগুলো মুক্তমনার মানের জন্য ক্ষতিকর। ধর্ম নিয়ে রাতদিন একই বস্তাপঁচা ফ্যাচর ফ্যাচর তো আছেই, এখন যদি আবার তার সাথে কার কয় বউ আছে আর তাদের সাথে কে কি করে এসব কথাবার্তা হয় তাহলে ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক। আমরা যারা এখানে নিজের নাম গোপন না করে আসল নামে লিখি তাদের জন্য এটা বেশ অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। আমি এসব আলোচনায় কোন সুস্থ বিশ্লেষণ তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র নতুনত্ব দেখি না। রুচিতে বাঁধে দেখে বেশীরভাগ সময় এগুলো লেখায়ই মন্তব্য করি না আর এখন তো মনে হচ্ছে এইসব আলোচনা করার জন্যই যদি ব্লগ খোলা রাখা হয় তাহলে আমার বা ফরিদ ভাইয়ের মত পাঠকদের হারাতে মুক্তমনার বেশী সময় লাগবে না।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার অভিযোগ সত্য, গুরুত্বের সাথে নেওয়া হবে।
আসলে মাঝে মাঝে আবহাওয়া গরমের দিকে অগ্রসরমান হলে কিছু হালকা কথাবার্তা সুফল বয়ে আনতে পারে বলে মনে করি।
@আদিল মাহমুদ, দুঃখিত শুধু আপনাকে উদ্দেশ্য করে উত্তরটা দেওয়ার জন্য। আমার কথাগুলো আসলে যারা নিরলসভাবে এ ধরণের লেখা এবং মন্তব্যগুলো লিখে যাচ্ছেন তাদের সবার উদ্দেশ্যে বলা।
আমি আসলেই মনে করি বিদ্বেষ, রাগ, গালাগালি, আক্রমণ এসব ইমম্যাচুরিটির লক্ষণ। প্রায়শঃই মনে হয় যারা নতুন নিধার্মিক হন এবং ধর্মের ঐতিহাসিক এবং তাত্ত্বিক ব্যপারগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন না তারাই শুধু ধর্ম নিয়ে কোনরকম নির্যাস ছাড়া এরকমের বিদ্বেষপূর্ণ লেখা লেখেন, জাতি ধরে গালাগালি করেন। লেখা এবং আক্রমণের ধরণ দেখলে মনে হয় তারা রাতারাতি ধর্ম থেকে মুক্ত হয়ে কেমন যেনো ‘বিট্রেইড’ ফিল করেন এবং এখানে এসে সেই রাগ ঝাড়েন। তারা সবাই কিন্তু বেনামে অনামে লিখে যান, কোন দায়িত্ব নিতে হয় না কি লিখেন কি বলেন সেগুলোর আর আমরা যারা আসল নামে একই ফোরামে লিখি বা ফরিদ ভাই বা অভিজিতের মত ফোরাম চালায় তাদের উলটা এগুলোর দায়িত্ব বয়ে বেড়াতে হয়। ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার এ মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারা সম্ভব হলে প্রথম পেজে সব সময় প্রকাশিত রাখার ব্যাবস্থা রাখা গেলে ভাল হত।
মনে হয় অভিজ্ঞতার অভাবে এমন হয়, আশা করি সবাই ব্যাপারটা ধীরে ধীরে হলেও বুঝবেন।
সেই হালকা কথাবার্তা ডালপুরি(সিঙ্গারা নয় অবশ্যই) সংক্রান্ত হলে কেমন হয়?
:yes:
মাঝে মাঝে যা শুরু হয় দেখে মনে হয় এর থেকে পিএইচপি ফাইল খুলে সেগুলোয় মুখ ডুবিয়ে রাখা ভালো।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এই জন্যই বলি, ইসলাম গ্রহন করে ফেলো, আলোর পথে আসো। রেশারেষী, বিরক্তি কিছুই আর আসবে না। পরকালে আলুপুরি না চাইলে নাই, ডালপুরিও দেওয়া হবে। মুক্তমনায় বিরক্তি লাগলে ধর্মের কাছে আশ্রয় খুজো।
ফেসবুক তো ফুট্টুশ, দুইদিন পরে দেখবা মুক্তমনায় নাই হ্ইয়া গেছে, তারপর কি করবা?
হে তরুন, এসো আলোর পথে……।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই, আপনি মজাটা ধরতে পারলেও আমাদের মুক্তমনা এডমিন মহোদয় সেটা ধরতে পারেননি, নাকি ইচ্ছা করেই ধরেন নি । দেখেন না আমাকে কেমন সবকটা দিয়ে দিলেন এই ফাকে। আমি তো ভাই ভড়কে গেছি একেবারে। 🙁
@ভবঘুরে,
আমি ব্যাক্তিজীবনে খুবই ফাজিল টাইপ মানুষ। তাই ব্লগেও নিজেকে সামলানো মাঝে মাঝে কঠিন হয়। তার দরকারও আছে অবশ্যই। উত্তপ্ত আবহাওয়া ঠান্ডা করতে তা সাহায্য করে। তবে সাইটের মান অক্ষুন্ন রাখার প্রায়োরিটি সবার আগে।
@ভবঘুরে,ধন্যবাদ , এত কষ্ট করে আমাকে বোঝানোর জন্য এত বড় মন্তব্য করার জন্য।
আপনি কি বইটি নিজে পড়েছেন? লোকের মুখে ঝাল খাবেন না , তাহলে নিজের সাথেই প্রতারনা করবেন। যদি পুরো কোরান বুঝে পড়ার পরে আপনার ধারনা না বদলায় কোরান সম্পর্কে , তাহলে একটি কথায় বলতে পারি , ইসলাম ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। এই পোস্টের ২০ নং কমেন্টে আদিল মাহমুদকে লেখা আমার জবাবটি পড়তে পারেন।
@ফারুক, ইসলাম ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই এই কথাটা ঠিক না । আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যে টুকু দেখেছি তা থেকে মনে হয়েছে ইসলামের জান্ম ও বিকাশ হয়েছে জবরদস্তি্র মাধ্যমে । মুহাম্মদের যুদ্ধ গুলি তার উৎকৃয্ট প্রমান। আপনি আর একবার কোরানটা নিরপেক্ষ ভাবে পড়েন, আমার বিশ্বাস আপনি সত্য বুঝবেন ।
ছদ্মনাম নিয়ে মন্তব্য না করা খুবই যুক্তিযুক্ত । আমি ঠিক বুঝতে পারি না ছদ্মনাম কেন লিখতে হয়।
@সংগ্রাম,
কোরান পড়েই নিম্নের আয়াত পেলাম।
২:২৫৬ ” দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে সত্যপথ ভুলপথ থেকে স্পষ্টতই আলাদা।”There is no compulsion or coercion in religion. Verily, the Right Path has become distinct from the wrong path.
ইসলামের ইতিহাস যেটা আমরা জানি , তা কতটুকু সত্য ? একজন মুসলমান হিসাবে কোরানের বাণীকেই আমি শিরোধার্য মনে করি।
@ফারুক,
কুরানেই নিমোক্ত আয়াত পাওয়া গেলঃ
গৃহে অবস্থানকারী মরুবাসীদেরকে বলে দিনঃ আগামীতে তোমরা এক প্রবল পরাক্রান্ত জাতির সাথে যুদ্ধ করতে আহুত হবে। তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা “”মুসলমান”” হয়ে যায়। তখন যদি তোমরা নির্দেশ পালন কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর যেমন ইতিপূর্বে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছ, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন। ৪৮:১৬
আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দিয়েছেন, যা তোমরা লাভ করবে। তিনি তা তোমাদের জন্যে ত্বরান্বিত করবেন। তিনি তোমাদের থেকে শত্রুদের স্তব্দ করে দিয়েছেন-যাতে এটা মুমিনদের জন্যে এক নিদর্শন হয় এবং তোমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করেন। ৪৮:২০
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, “”যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না””, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না “করজোড়ে” তারা “জিযিয়া” প্রদান করে। ৯:২৯
(হাদিস পছন্দ করেন না, তাই হাদিস থেকে জিযিয়ার বর্ণনা দিলাম না। আয়াতে কাদের সাথে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে বুঝেছেন?)
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ৯:৫
(সালাত আর যাকাত নিশ্চই কাফেরেরা আদায় করবে না, তারা এসব করলে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় কিভাবে তাদের শায়েস্তা করতে হবে তার বিশদ বর্ণনা দয়াময় আল্লাহ দিয়েছেন)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। ৫:৩৩
( খামাখা আমেরিকারে দুষেন কেন আবু গারিবের জন্যে? যারা আবু গারিবে আছে, তারা তো নিজেদের ঠিক মনে করে, তারা যদি কাফের মুশরিকদের কাছে তওবা না করে এবং না বলে যে তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে আর যুদ্ধ করবে না, তাহলে কি তাদের সাথে আপনার দয়াময় আল্লাহর দেখিয়ে দেয়া পথ অনুসরণ করা ন্যায় হবে? জানি তারা এর থেকে জঘন্য শাস্তি দেয়। আমার প্রশ্নটি উপলদ্ধি করবেন)
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে “কাট জোড়ায় জোড়ায়”।
যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। ৮:১২-১৩
(নির্দেশটা কি জন্যে বুঝেছেন? তারা অবাধ্য হচ্ছে এমন কারো ব্যাপারে যার দাবীর ব্যাপারে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রয়াসের বিরুদ্ধে। যারা আল্লাহর আইন নামে মানুষের তৈরী আইন মানতে না চায়। তাদের সাথে এরুপ আচড়ন করতে বলা হচ্ছে)
আপনি কুরান পড়ে শান্তিপ্রিয়, আর সেই কুরান পড়ে জ়ে এম বি অশান্তি প্রিয়। আর এ দুজনের মধ্যে কে সঠিক, এর সার্টিফিকেট দিবে কে? বলতে পারেন?
@আনাস,
– আহলে কিতাবধারী লোকেরা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না মানে কি? আমার জানামতে আহলে কিতাবধারী মানে তো খৃষ্টান ইহুদী এরা। এরা তো অন্তত এক আল্লাহয় বিশ্বাস করে, কেয়ামত ও শেষ বিচারেও বিশ্বাস করে।
তাদের হত্যা কর যেখানেই পাও- এ আয়াত কোট করার সময় তার আগের আয়াত না দিলে মনে হয় অসম্পূর্ণ হয়। এ আয়াত নি:সন্দেহে শান্তিময় কোন বানী না হলেও আগের আয়াতে “তাদের” বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে তা বলা হয়েছে। তাদের বলতে ওয়াদা ভংগকারীদের কথা বলা হয়েছে। সাধারনভাবে সব অমুসলিমদের নয়, যেভাবে অনেকেই এই আয়াত প্রায়ই কোট করেন।
@আদিল মাহমুদ,
মানে কি তা আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কেন! ওটাতো আমার কথা না।
আর সুরা তাওবার ৫নং আয়াতটি অনেকে মনে করেন আউট অফ কন্টেক্সট। তবে আমার যেটি উদ্দেশ্য ছিল সেটি আমি ব্রাকেটে উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ “”যুদ্ধবন্দীদের”” মুক্তি মিলবে তখনি যখন তারা তওবা, সালাত, যাকাত ইত্যাদি মেনে নিবে। এ আয়াত থেকে এমনটি কেউ দাবী করলে আপনার যুক্তি কি? আর আমি এবং আপনি দুজনের বিপরীতমুখি দুটি সিদ্ধান্তের সঠিক রায় কে দিবেন? আমার সিদ্ধান্তের অনুসারীরা ক্ষতিগ্রস্ত দল না আপনার জন? এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তটির উপর পরকালে শাস্তি আর ইহকালে হাজারো মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নির্ভর করছে।
ধরেন কাফের মুশরিকেরা যুদ্ধ করে যুদ্ধবন্দীদের বলল, তোমরা অমুসলিম হলে তোমাদের মুক্তি মিলবে। এ ব্যাপারটা মুসলিমদের জন্যে কতটা মানবিক বলে আপনি মনে করেন? ব্যাপারটা কি বুঝতে পেরেছেন?
@আনাস,
🙂 .
প্রশ্ন আসলে সবার কাছেই করেছিলাম। ধারনা ছিল আপনি মাদ্রাসা লাইনে পড়াশুনা করেছেন, হয়ত সেদিকের প্রথাগত ব্যাখ্যা কিছু জানলেও জানতে পারেন। তবে ব্যাখ্যা কি হতে পারে তা আঁচ করতে পারি।
“কন্টেক্সট বুঝতে হবে। এখানে সব আহলী কেতাবধারীদের কথা বলা হয়নি। যেটা বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে। সেই আমলের আহলে কেতাবধারীদের সবাই এক আল্লাহ বা শেষ বিচারে বিশ্বাস করত তা আপনাকে কে বলেছে? তাদের মধ্যে অনেক উপগোত্র ছিল যারা আল্লাহয় বিশ্বাস করত না। এই আয়াত শুধুমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য।”
কোরানের ব্যাখ্যা বা প্রয়োগের ব্যাপারে আমার অবস্থাও আপনার মতই। একই গ্রন্থ পাঠ করে কেউ সুফী সাধক হতে পারেন আবার কেউ আত্মঘাতী বোমাবাজ হতে পারে। সবার দাবী তারাই সঠিক, বাকিরা বেঠিক।
@আদিল মাহমুদ, –
আপনার জানা ঠিকি আছে- “আহলে কিতাবধারী মানে তো খৃষ্টান ইহুদী এরা। এরা তো অন্তত এক আল্লাহয় বিশ্বাস করে, কেয়ামত ও শেষ বিচারেও বিশ্বাস করে।” আয়াতটির অনুবাদ ভুল ভাবে করা হয়েছে , যার ফলে এই বিভ্রাট।
সঠিক অনুবাদ-
যুদ্ধ কর তাদের সাথে ১) যারাআল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না , ২)আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না ৩)আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে , যারা গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম……..।
@আনাস,সালামুন আলাইকুম।
আপনি যে আয়াতগুলোর উল্লেখ করলেন ওগুলো যুদ্ধের আয়াত। যুদ্ধ একবার শুরু হলে , হয় ‘মার’ নয় ‘মর’। এর মাঝামাঝি কিছু হয় না বলেই এর নাম যুদ্ধ।
এখন যুদ্ধ শুরুর কিছু নির্দেশনা কোরানে আছে। আপনি যদি প্রকৃত মুসলমান হোন , তাহলে আল্লাহর এই নির্দেশ মেনেই কেবল যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, অন্যথায় নয়।
উপরোক্ত আয়াতে এটা পরিস্কার যে আত্মরক্ষা ছাড়া যুদ্ধ করা যাবে না। এমনকি অতীতে দুর্বলতার কারনে কেউ যদি অন্যায় করে থাকে , তবুও শক্তিশালী হওয়ার পরে প্রতিশোধ নিতে নিষেধ করা হয়েছে।
ধর্মের নামে , শত্রু সম্পত্তি লাভের উদ্দেশ্যে কোন অমুসলিমকে , সে মুসলিম নয় এই অজুহাতে আক্রমন করা যাবে না। আক্রমনের আগে নিশ্চিত হতে হবে (তাবায়্যানু), আক্রান্ত ব্যাক্তি সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে বা শত্রুতায় জড়িত কিনা।
@ফারুক,
আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা দিলেন, অনেকেই আপনার মত ব্যাখ্যা শুনেই মগজ ধোলাইড হয় বুঝলেন? আপনি বলছেন সেসব যুদ্ধের আয়াত। আপনি জানলেন কিভাবে এসব যুদ্ধের সময় নাযিল করা হয়েছে? অথবা যুদ্ধের মুখে আত্মক্ষার্থে বলা হয়েছে? আমি যদি ভাবি আমাকে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে, এবং এটা যে কোন পরস্থিতিতেই। যুদ্ধ আমি শুরু করব। উদ্দেশ্য কাফের মুশরিকদের আল্লাহর আনুগত্যে আনা অথবা জিযিয়ার মত অপমানিত জীবনে রাখা। তাহলে আপনি আমার এ কাজ করাকে কিভাবে অন্যায় বা ভুল বলবেন?
অর্থাৎ আমি যদি কারো উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেই, ধরেন সুইডেন বা সুইটজারল্যান্ড এর মত কোন নাস্তিক দেশের উপর, এবং তারা আত্ম্ররক্ষা অথবা নিজেদের মতধারা রক্ষায় যুদ্ধ করে, এবং আপনার মত সম্পূর্ণ শরিয়া পন্থায় সে যুদ্ধ পরিচালনা করে গনিমতের মালের সুন্দর ব্যাবহার, যেমনঃ নারীদেরকে দাসী বানাই। আপনি তখনি এটাকে নৈতিক বলবেন, যখন আপনি অন্ধের মত ভাববেন যে এদের দাসী হওয়া ছাড়া আর কোন গতি নাই।
অনুবাদের যে মারপ্যাচের কথা বলছেন। আপনি একটু ভেবে দেখেন। কুরানে নারীকে মারার যে কথা বলা হয়েছে, সেখানে আপনি আজকের সভ্যতার কল্যানে “দরবার” নরম অর্থটি নিচ্ছেন। আর আরবেরা মারা অর্থেই নিচ্ছে। আপনি কি বলতে পারবেন যে তাদের বুঝাটা ভুল? আর না বলতে পারলে আমার এটা এ বলতে হবে যে আপনার সভ্য হবার পেছনে কুরানের কোন অবদান নেই। আছে এই আজকের মানবিকতা বোধ।
আপনার ৪:৯৪ এর আগে ভাবুন ৪৮:২০ এর কথা। যেখানে আল্লাহ প্রকাশ্যে যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা করছেন।
এবার আসুন আপনার স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কি করেছেন তা দেখি।
আপনি আপনার মত করে আয়াত সমুহ সাজিয়ে নিলেন। তারপর বললেন যে আল্লাহ এটা বলেছে। সেই সাথে খুব সতর্কতার সাথে অর্থের পরিবর্তন আনলেন। কোথায় আনলেন তা দেখেন।
আপনি আক্রমন করে কথাটা পেলেন কোত্থেকে? নিচে আরবীটা দিলাম।
وَقَاتِلُوا*** فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ ***يُقَاتِلُو***نَكُمْ وَلا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
***
***Fight*** in the cause of Allah those ***who fight you***, but do not transgress limits; for Allah loveth not transgressors.
আল্লাহ সরাসরি আদেশ দিচ্ছেন। হত্যা কর, তাদের কে যারা তোমাদের হত্যা করে। মানে যুদ্ধ কর তাদের সাথে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে। কতল শব্দটা দুই ক্ষেত্রেই ব্যাবহার করা হয়েছে। এ আয়াতে কোথাও উল্লেখ নাই যে তারা যদি “আক্রমন” করে যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর মুখে কথা ঢুকায় দেন কিভাবে আপনি? আমি যদি এভাবে বুঝি যে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় আমাকে যারা বাধা দিবে তাদের কে আমি হত্যা করব। আর যারা দিবে না, যারা মেনে নিবে, হয় মুসলিম নয় জিযিয়া দিবে, তাদের ব্যাপারে আমি সীমালঙ্ঘন করব না। তাহলে আপনি কিভাবে আমাকে ভুল বলবেন? আপনি যে শব্দটার অর্থ আগ্রাসী করেছে তার মুল শব্দ “আইন দাল আলিফ” শব্দটির মুল অর্থ সীমালঙ্ঘন কর না। “লিসানুল আরাব” এর মতে এর অর্থ হল নারী ও শিশুকে হত্যা কর না। এখানে মোটেও আগ্রাসনের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
“”ولا تَعْتَدوا”” أَي لا تُجاوزوا إِلى قَتْل النِّساءِ والأَطفال “”.
একটা কথা মাথায় ঢুকান আগে। আপনার ব্যখ্যাই যে ঠিক, সেটার প্রমাণ কি? আর এভাবেই ১৫০+ কোটি মুসলিম যার যার ব্যাখ্যায় চলে, তাহলে কুরানের নিজের অবস্থান কোথায়?
আর শব্দের অর্থের পরিবর্তন করে, যে কথা বলা নাই, তা যোগ করে। অর্থের ক্ষেত্রে ব্যাকরণের কোন নিয়ম না মেনে। নিজের সুবিধা মত অনুবাদ করে (৯:২৯ ২:৯০, ৪:৯৪ সহ প্রায় সবগুল আয়াতের ক্ষেত্রে আপনি এটা করেছেন)। যা বলা আছে তা গোপন করে আর কতদিন মানুষকে ধোকা দিবেন?
( বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে এ সাইট http://www.ourholyquran.com আর ইংরেজীর ক্ষেত্রে ইউসুফ আলীর অনুবাদ ব্যাবহার করি। নিজের অনুবাদ এখানে একবার ব্যাবহার করিনি)
@আনাস,সালামুন আলাইকুম।
এটা ভুল বল্লেন। ৯৯% মুসলমানের মগজ এমনিতেই কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ধোলাই হয়ে আছে। তারা যুদ্ধের আয়াত কেনো , কোনো আয়াত নিয়েই মাথা ঘামায় না বা বুঝেও কোরান পড়েনা। তাদের কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। আমার ব্যাখ্যাগুলো তাদের জন্য , যারা উদ্দেশ্যপূর্ন ভাবে কোরানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
আপনার এ কাজ করাকে অন্যায় বা ভুল বলব নিম্নের আয়াতের উপরে ভিত্তি করে –
বুঝতেই পারছেন ঈমান আনার জন্য জবরদস্তী তথা যুদ্ধ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আক্রমন ও যুদ্ধের মধ্যে কি খুব বেশি পার্থক্য আছে? পুরো আয়াতটি আবারো পড়ুন আক্রমনের জায়গায় যুদ্ধ শব্দটি বসিয়ে। দেখুনতো মানের কোন হেরফের হয় কিনা? আপনাকে সীমালঙ্ঘন করতে মানা করা হয়েছে , অর্থাৎ আপনি আগে যুদ্ধ শুরু করতে পারবেন না। তাহলে কি অর্থ দাড়ায়? আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু না করলে তথা আপনাকে আক্রমন না করলে , যুদ্ধ শুরু করার এখতিয়ার নেই আপনার। আপনার প্রতিবাদের কারন বুঝলাম না।
লিসানুল আরাবের কথা ভুলে যান। কোরানের কোন আয়াতের যখন মানে করবেন , তখন কোরানের সামগ্রিক বক্তব্যকে মাথায় রেখে মানে করা জরুরী। মনে রাখবেন যে কোরান পড়ে কেউ বিশ্বাসী হয় , আবার সেই একি কোরান পড়েই অনেকে অবিশ্বাসী হয়।
কোরানেই বলা আছে , কোরান বুঝে পড়ার জন্য ও নিজের ব্রেনটাকে কাজে লাগানোর জন্য। যার যার কর্মফল তার। মোল্লা পুরোহিতের স্থান কোরানে নেই। সুতরাং নিজ নিজ ব্যাখ্যা অনুযায়ী চলার নির্দেশি কোরান দিয়েছে।
@ফারুক,
মওদুদি আপনার মত ভাবার্থে কুরান রচনা করেছিলেন। আপনি আরেকজন কুরান রচনাকারী। কেন বলছি এ কথা? আপনি একটা অনুবাদ করছেন। এবং মনের মাধুরি মিশিয়ে তা অনুবাদ করছেন। আপনার মতে কুরান কি আইন গ্রন্থ? নাকি কবিতার গ্রন্থ যে যেমন ইচ্ছা তেমন অনুবাদ করে নিলাম? আপনি লিসানুল আরাব ভুলে যেতে বলছেন। দারুন জোক। লিসানুল আরাব কি জিনিষ জানেন? আপনার ওই রুপকথার গ্রন্থ থেকে হাজারগুণে উন্নত একটা গ্রন্থ। যাই হোক। আপনি যে চতুরতা করছেন সেটা ধরতে পারেন নি? আপনার অনুবাদ টা কি ছিল?
২:১৯০ “তোমরা আল্লাহ্র রাস্তায় যুদ্ধ **করতে পার*** তাদের সাথে, যারা *****তোমাদেরকে আক্রমন করে****। এবং তোমরা আগ্রাসী হইওনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ আগ্রাসনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।“
অনুবাদ শুনে মনে হচ্ছে তোমরা যুদ্ধ করতে পার বলতে আল্লাহ অনিচ্ছা সত্তেও অনুমতি দিচ্ছেন। “যারা তোমাদের আক্রমন করে” এটা সেই কারন। এতটা লুকচুরি না খেলে কুরান চোখ দিয়া পড়েন। কাতিলু শব্দটা আমরের সিগাহ। আমর মানে নির্দেশ। অনুমতি নয়। আরবী ব্যাকরণ সম্বন্ধে আশা করি কিছু জ্ঞান আপনার আছে। আগে বলা হচ্ছে তোমরা যুদ্ধ কর। হত্যা কর, আক্রমন কর। তাদেরকে যারা তোমাদের হত্যা করে বা যুদ্ধ করে। বা এক্রমন করে। এখানে আয়াতটি এমন যদি হত। যদি তোমাদের হত্যা করতে আসে, বা যদি তোমরা আক্রান্ত হও বা যখন তোমাদের আক্রমন করা হয়, তখন আত্মরক্ষা কর, আক্রমন কর, যুদ্ধ কর। এখানে আয়াতের শুরুতেই নির্দশ দেয়া হচ্ছে যুদ্ধ কর। হত্যা কর। যারা তোমাদের হত্যা করে যুদ্ধ করে । অর্থাৎ যারা প্রচারে বাধা দিবে, মেনে নিবেনা। তাদের কোন নিস্তার নেই। মেরে ফেল তাদের। এটাই নির্দেশ করা হচ্ছে। আপনি বলেছেন তো কুরান জোড় জবরদস্তি করে না। সেটা যে করে ৪৮:১৬ এর প্রমাণ। এখানে বলা হয়নি আগামিতে যদি আক্রান্ত হও। বলা হয়েছে আগামিতেও তোমাদের আক্রমন করার জন্যে ডাকা হবে। তাদের সাথে ততক্ষন যুদ্ধ কর যতক্ষন না তারা মুসলিম হয়ে যায়। আর তার প্রমান ৯:২৯।
আপনার জন্যে শব্দে শব্দে অনুবাদ দিলাম। আগে পরের আয়াতও পড়ে নিতে পারেন। দেখে নিন যে আপনার মত আউট অফ কন্টেক্সট কোন আয়াত কোট করেছি কিনা।
আগের আয়াতে বলা হচ্ছে এ বছরের পর থেকে অপবিত্র মুশরিকেরা মসজিদুল হারামের নিকট যেন না আসে। বুঝা যাচ্ছে যে এর দখল মুহাম্মাদের হাতে। তারপরের আয়াত। ৯:২৯
قَاتِلُواْ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلاَ بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَلاَ يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
হত্যা কর/যুদ্ধ কর/আক্রমন কর, তাদেরকে যারা ””বিশ্বাস করে না আল্লাহকে”” এবং ””আখারাতে”” এবং ””হারাম করে না, যা হারাম করেছেন আল্লাহ এবং তার রাসুল”” এবং গ্রহন করে না ””সত্য দ্বীন””, তাদের মধ্যে থেকেও যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, ততক্ষন তারা দেয় জিযিয়া একত্র করে তাদের দুহাত এবং নতজানু হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে/তুচ্ছ হয়।
এবার কিছু বুঝলেন? যুদ্ধ করতে, আক্রমন করতে, জোর জবরদস্তী না করতে কোথায় নিষেধ করেছে এ আয়াতে? এ আয়াতে কোথায় উল্লেখ করা আছে যে আক্রান্ত হবার পর এটা কর? এটা মদীনার আয়াত। মক্কা বিজয়ের পর। আপনি যেটা দেখালেন সেটা মক্কার আয়াত। আর তার উপর কথা হচ্ছে, উপরোক্ত আয়াতে সুস্পষ্ট আক্রমনের কথা বলা আছে। আপনার উল্লেখ করা আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে আক্রমন না করার কথা বলা নেই। আপনি পুরটাই কন্টেক্সট ছাড়া উল্লেখ করলেন। যে অভিযোগটা সচরাচর অবীশ্বাসীদের বিরুদ্ধে করা হয়।
আপনার কথা শুনে বড়ই মজা লাগে। কুরান বাংলা বা ইংরেজীতে অনুবাদ হয়েছে কি ব্যাকরন এবং আরবী ভাষা শিখা ছাড়াই? কুরানের মত কি কুরানের অনুবাদো অলৌকিক কোন ব্যাপার? ইসলামের ইতিহাস মানেন না। মক্কা মদীনার কোন ইতিহাস নাই। এভাবে যে কুরান পড়ছেন অসংলগ্ন কথাবার্তা মনে হয়না? একবার বলা হচ্ছে ৯:২৯ এ, কোন কথা নাই, ধরে শুধু মার যদি না তারা মেনে নেয়। আবার বলা হচ্ছে ১০:১০০ এবং ১০১ এ, আমি যখন হেদায়েত দিব তখন তারা মেনে নিবে, তুমি জোড় জবরদস্তি করে মানাতে পারবে না, তার পর আবার ৪৮ এ বলা হচ্ছে যুদ্ধ করতে ডাকা হবে তোমাদের কে, যুদ্ধে গেলে বিপুল পরিমান যুদ্ধলব্ধ সম্পদের ওয়াদা দেয়া হচ্ছে এবং দেয়া হচ্ছে আখেরাতে মুক্তির ওয়াদা।
আর আপনি তাহলে এটাই মেনে নিলেন যে ১৫০+ কোটি বুঝ হতে পারে। এবং সেই বুঝ অনুসারে যারা সন্ত্রাসী কাজ করছে (জ়ে এম বি টাইপ) তারাও সঠিক। আপনার মতে তারা ইসলামের উপকার করছে তাই না? ইসলামের শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা ততপর? সরকারের কর্মপন্থার বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ জানানো উচিত। কারণ তারাও কুরানের ব্যাখ্যাতেই চলছে।
আপনার বক্তব্য শুনে মনে হল কুরানের মুল বক্তব্য আপনি আপনার মাতৃ ভাষায় বুঝে ফেলেছেন। এবং কুরান আপনার মাতৃ ভাষায় আগত। আরবী ব্যাকরণ, ফিকাহ শাস্ত্র এসব কিছুই রাবিশ। বুঝা গেল আপনি একজন মহাজ্ঞানী। এতটাই জ্ঞানী যে লিসানুল আরব ভুলে যেতে বলছেন। একটা গ্রন্থ বের করেন, লিসানুল ফারুক ভাই।
@আনাস, নারে ভাই , আমি মহাজ্ঞানী ও নই বা কোরান রচনাকারী ও নই। আমি কোরান পড়ে যেটা বুঝেছি , সেটাই বলেছি। মানা না মানা আপনার ইচ্ছা।
“যারা প্রচারে বাধা দিবে, মেনে নিবেনা। তাদের কোন নিস্তার নেই” এটা কোথায় পেলেন? আপনার বানানো এই অংশটুকু বাদ দিলে , আমি যা বলেছি , তার সাথে মিল আছে।
যাই হোক কোরানের কোন আয়াতে আগ্রাসন খোজার আগে , সবর করা ও সীমালঙ্ঘন ও জবরদস্তী না করার কথা আল্লাহ যেটা বলেছেন , সেটা মাথায় রাখলে ভালো করবেন।
আসলেই এই তর্ক অর্থহীন। কোরান সৃষ্টিকর্তার বানী। কোরান সৃষ্টিকর্তার প্রমান নয়। সৃষ্টিকর্তা না মানলে এর কোন মূল্য বা প্রয়োজনীয়তা আপনার নেই। সুতরাং আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা বা সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন অনুভব করেন কিনা?
ভালো থাকুন , শান্তিতে থাকুন।
@ফারুক,
দু্ঃখিত আপনার সালামের জবাব দিতে ভুলে গিয়েছি। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
আপনি যেমনটা ভবঘুরে কে বললেন, যে আয়াত মক্কায় না মদীনায় অবতীর্ণ সেটা আপনি জানেন না, সে সুত্র অনুসারে ৫:২ এর ব্যাপারে অর্থ যদি এটা ধরে নেই যে এ আয়াত মক্কা বিজয়ের পর। আর একটা দেশ বিজয়ের পর তাতে আবার কিভাবে আগ্রাসন চালানো যায় তা আমার বোধগম্য নয়। বড়জোড় এটা বলা যেতে পারে যে এখানে পরাজিত জাতির সাথে সীমালঙ্ঘন মুলক ব্যাবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। আয়াতটি যে মক্কায় আগ্রাসনের পর তা ঠিক পরের আয়াতটি পরেই বুঝতে পারেন।
আচ্ছা, আপনার কি ধারনা যে কুরান মক্কায়তেই শুধু অবতীর্ণ হয়েছিল? রাসুল পুরো জীবন মক্কাতেই ছিলেন? এবং সমস্ত মক্কাবাসী গন বিপ্লবের মাধ্যমে মক্কায় পরিবর্তন এনেছিলেন? আগ্রাসন ছাড়া মক্কা কিভাবে মুসলিমদের দখলে আসল? এমনকি ঘটেছিল যে কাফেরেরা মদীনায় আক্রমন করার পর মুসলমানেরা আত্ম্ররক্ষা করতে করতে মক্কাই বিজয় করে ফেলেছিল?
আপনার মতে কুরানে যাই আছে, তা সবই মানবিক। আর আমার কাছে কুরান ততকালীন সময়ের আলোকে মানবিক। আমি আরো উন্নত মানবিক সমাজ আশা করি। যেখানে কুরানের যুদ্ধের আয়াত অচল হয়ে পড়বে, যেমনটি অচল দাস দাসীদের ব্যাপারে আয়াত সমুহ।
ভাই, ফারুক, যে সূরার আয়াত আপনি উল্লেখ করলেন সেই একই সূরা থেকে নিচের কয়েকটি আয়াত এবার দেখুন-
সূরা: বাক্কারা
১৯০: আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে । অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।
১৯১: আর তাদেরকে হত্যা করে যেখানে পাও সেখানেই এবঙ তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুুতঃ ফেতনা ফ্যসাদ সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষন না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরা তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদের হত্যা কর । এই হলো কাফেরদের শাস্তি।
১৯২: আর তারা যদি বিরত থাকে , তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।
১৯৩: আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত্ত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম ( তাদের ব্যপার আলাদা)
দেখুন উক্ত সূরাটির প্রথমে বলা হচ্ছে যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে তাদের সাথে লড়াই করতে। খুব ভাল কথা, কেউ যদি আক্রমন করে তাহলে প্রতি আক্রমন ন্যয় সঙ্গত। তাতে দোষের কিছু নেই। আপাতত: বিষয়টি বেশ যুক্তিযুক্ত ও ন্যয়সঙ্গত মনে হয়। কিন্তু আসল ঘটনাটা কি ? উক্ত আয়াত দিয়ে মোহাম্মদ তার বাহিনীকে মক্কা আক্রমনের জন্যে উৎসাহিত করছেন। কিভাবে তা বোঝা যাবে ? দেখুন বলছেন- তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের কাছে অর্থাৎ কাবা শরিফের কাছে। তো মোহাম্মদ থাকেন মদিনাতে তিনি মদিনায় অবতীর্ন সূরাতে কাবা শরিফের কাছে যুদ্ধ না করতে বারন করছেন কেন ? তার সোজা অর্থ তিনি তার বাহিনীকে মক্কা আক্রমন করার জন্য উৎসাহিত করছেন। এখন তাহলে এখানে আক্রমনকারী কে ? মক্কাবাসী নাকি মোহাম্মদ? অথচ সব সময় বলা হয় মোহাম্মদ নাকি নিজেকে রক্ষা করার জন্য অর্থাৎ আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছেন। আর মক্কাবাসীকে আক্রমন করবে মোহাম্মদের দলবল তো মক্কাবাসীরা কি তখন আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করবে না ? আর যুদ্ধ করলেই মোহাম্মদ বলছেন তার সাঙ্গ পাঙ্গকে যে- যেখানেই মক্কাবাসীকে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করতে হবে। দেখুন আয়াতগুলিতে তীব্র প্রতিশোধের বাক্য বলা হচ্ছে। একসময় মোহাম্মদ পালিয়ে এসেছিল মদিনায় এখন ক্ষমতাধারী হয়েছেন তাই তিনি এখন তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন যারা একদিন তাকে তাড়িয়েছিল। এ তো স্রেফ এক গোষ্ঠি প্রধানের কথা যে তীব্র প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে গেছে, আল্লার কথা হয় কেমনে এটা ? এখন দেখুন তফসির আর শানে নুযুল সহকারে কোরানের বানী পাঠ করলে কি সত্যটা বেরিয়ে আসে। দেখুন এখানে দোষটা কার ? যদি শান এ নুযুল জানা না থাকত তাহলে কিন্তু মোহাম্মদকে সত্যি মনে হতো তিনি কোরানের বানীর নামে ঠিক কথা বলছেন। এর পরে বলা হচ্ছে- কারো প্রতি জবরদস্তি নেই। কি অদ্ভুত কথা! কিন্তু পুরা লাইনটা কি ? দেখুন তা হলো – অতঃপর যদি তারা নিবৃত্ত হয়ে যায় তাহলে তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম ( তাদের ব্যপার আলাদা) – তাহলে কারো প্রতি জবরদস্তি নেই কখন? যখন তারা নিবৃত্ত হয় অর্থাৎ আত্মসমর্পন করে বা মোহাম্মদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে। তো এতে মহানুভবতা কোথায় ? আর সবচাইতে বড় অপরাধ তো করছেন মোহাম্মদ , মদিনা থেকে এসে মক্কা আক্রমন করে সেটাকে তিনি আত্মরক্ষার যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এটা তো যুদ্ধের প্রচলিত নিয়ম সবসময় যা চলে এসেছে। আত্মসমর্পনকারীকে সাধারনত যুদ্ধে বিজয়ী দল হত্যা করে না।প্রসঙ্গতঃ হুদায়বিয়ার সন্ধি হয় দশ বছরের জন্য কিন্তু মাত্র দু বছর পরেই একটা অতি সামান্য অজুহাতে মোহাম্মদ মক্কা আক্রমন করেন যার শানে নুযুল পরে কোন একটা নিবন্ধে প্রকাশ করা হবে।
আর এর পরে এসে বলছে-২:২৫৬ দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে সত্যপথ ভুলপথ থেকে স্পষ্টতই আলাদা
তাহলে আগের আয়াতগুলি কি, সেটা কি দয়া করে বলবেন ফারুক ভাই ? আসলে তো সেই আগের কথারই পূনরাবৃত্তি করছে এখানে, তাই না ? আর জবরদস্তি নেই কি শর্তে? যদি সবাই মোহাম্মদের কাছে আত্মসমর্পন করে তবেই , কি বলেন ? এখন কি দেখলেন জবরদস্তি আছে নাকি নেই? পরিশেষে, মোহাম্মদের মক্কা আক্রমনের পায়তারা বা অজুহাত খোজা এসব কি একজন আল্লাহর নবীর জন্যে মানানসই? এটা তো একজন বঞ্চিত মানুষের প্রতিশোধ গ্রহনের তীব্র স্পৃহার কথা ছাড়া আর কিছ্ইু নয় । এটা কি করে আল্লাহর বানী হয় ? একবারও ঠান্ডা মাথায় ভেবেছেন কি ফারুক ভাই ?
@ভবঘুরে,
এটাই তো লাখ টাকার প্রশ্ন। আপনি যে ইতিহাসের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন বা বর্তমানে ইসলামের যে ইতিহাস আমরা জানি , তার পুরোটাই রসূলের মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে তাবারীর লেখা ইতিহাস এবং সে ইতিহাস ও তিনি লোকমুখে শোনা গল্পের উপরে ভিত্তি করেই নিজের রাজনৈতিক মতের সাথে মিলিয়ে লিখেছেন। সুতরাং এই সকল গল্পের উপরে তর্ক বিতর্ক অর্থহীন।
আমি তো জানি না , এই আয়াত কখন কোথায় নাযিল হয়েছিল ? মক্কা বিজয়ের কতদিন আগে বা কতদিন পরে? তাহলে কিভাবে আমি স্বীদ্ধান্তে পৌছাব?
আমার নিজের ধারনা , বুখারী ,মুসলিম , তাবারী ও হাদীসের অন্যান্য গ্রন্থের প্রনেতা এই সকল ইরানী ইমামরা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এবং ইসলাম ও মুহম্মদকে ডিসক্রেডিট করার জন্য এই সকল বানোয়াট হাদীস ও ইতিহাস রচনা করেছেন। আল্লাহই ভালো জানেন।
@ফারুক,
বড় আজব কথা বললেন ভাই ফারুক এবার। মসজিদুল হারামের কাছে যুদ্ধের সময় কাউকে না হত্যা করতে বলছেন সূরাতে, তার মানে কি সূরাটি মক্কাতে আবির্ভূত হয়েছিল? একটু কোরানটা খুলুন দয়া করে, সেখানেই দেখবেন এটা মাক্কি না মাদানি সূরা, বুঝেছেন? মক্কা বিজয়ের পর, মোহাম্মদ বেচে থাকতে মক্কায় কি আর কোন যুদ্ধ হয়েছিল নাকি? আর ভালভাবে কোরান না পড়ে, না জেনে আপনি আমাদের সাথে দেদারসে তর্ক বিতর্ক করে যাচ্ছেন, এখন দেখুন কে কোরান ভাল ভাবে পড়ে আর কে পড়ে না । আমরা ভাল ভাবে পড়ি বলেই তো কোরানকে আল্লাহর কিতাব মনে করি না। আপনাদের মত না পড়লে ঠিকই কঠিন ভাবে বিশ্বাস করতাম যে ,কোরান আল্লার কিতাব আর মোহাম্মদ আল্লাহর নবী।
@ভবঘুরে,
আপনাকেতো আগেই বলেছি , আপনি নিজে পড়ে কোরানে যা পেয়েছেন , ওটাই সত্য আপনার জন্য। তবে যদি নিঃসন্দেহ হওয়ার ইচ্ছা আপনার থাকে , তাহলে মাথা থেকে ইসলামের ইতিহাস , শানে নযুল , হাদীস বাদ দিয়ে ও কোরানের ছিদ্র নয় ভালো কিছু আছে কিনা তা জানার মানসে আর একবার কোরান পড়ুন। আপাতদৃষ্টে আপনার কাছে যা ছিদ্র মনে হচ্ছে , তার প্রতিটির জবাব আছে।
@ফারুক,
কোরান পড়ে ওর মধ্যে সিন্দবাদ নাবিকের গল্পের মত গাজাখুরি গল্প, অমুসলিদের প্রতি সীমাহীন ঘৃণা, বিদ্বেষ , আর মোহাম্মদকে আল্লাহর নবী না মানলে আল্লাহ(আসলে মোহাম্মদ) অবিশ্বাসীকে দোজখের আগুনে কি পরিমান পোড়াবে তার ভয়ংকর বর্ননা, পৃথিবীকে সমতল আকারের বর্ননা, আকাশ হলো কঠিন পদার্থের তৈরী ছাদ, বিজ্ঞানের সাথে সংঘাতপূর্ন অসংখ্য ছেলে ভুলানো বর্ননা, অসংখ্য অস্পষ্ট বাক্য, কয়টা বিয়ে করতে হবে, কিভাবে তালাক দিতে হবে, নারীদের কিভাবে কঠিনভাবে ঘরের মধ্যে আটকে রাখতে হবে- এসব ছাড়া তো আর কিছুই পেলাম না। আপনি যদি অতি উচ্চ মার্গের কোন বক্তব্য পেয়ে থাকেন তাহলে তা নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখতে পারেন, আমরা তা পড়ে অভিভুত হয়ে তওবা করে আবার ইসলামের রাস্তায় ফিরে যাব।
@ভবঘুরে,আপনি নিজে পড়ে কোরানে যা পেয়েছেন , ওটাই সত্য আপনার জন্য।
@ভবঘুরে,
আমার খুব অদ্ভুত লাগছে, আপনি এর ওর স্ত্রী নিয়ে কিছু স্থুল মন্তব্য করছেন আর একা নীচে হাত তালি দিচ্ছেন। আপনি তো ব্লগারদের নাম উল্লেখ না করেও মন্তব্য করতে পারেন। আর তাছাড়া বারবারই বলা হচ্ছে যে, মন্তব্য করতে গিয়ে কোন বিশেষণ ব্যবহার করার দরকার নেই। আপনি নিজেই দেখুন আপনার মন্তব্যে গরু, গাধা বলদ কতবার ব্যবহার করেছেন। আপনি যদি নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবেন, আর ‘বুদ্ধিহীন’ ধার্মিকদের থেকে আলাদা ভাবেন, তবে আপনার মন্তব্যেও সেটা প্রকাশ পাওয়া উচিৎ, তাই না?
ছদ্মনাম নিয়ে মন্তব্য করার ব্যাপারে আগে একবার ফরিদ ভাই বনাম পথিক আর আগন্তকের সাথে বিতর্কে একমত হইনি। কারন আমি জানি ছদ্মনাম না নিয়ে লিখলে কি পরিমাণ বিপদ আপনাদের উপর নেমে আসতে পারে। কিন্তু ছদ্মনামকে পূঁজি করে আপনি ব্লগের পরিবেশ তলানিতে নামিয়ে আনতে পারেন না। ছদ্মনাম ব্যবহারের পক্ষে যারা যুক্তি দেন (আমি নিজেও তাদের যুক্তি মানি), তাদের ছদ্মনাম ব্যবহারের দায়িত্বটুকুও তাদের ঠিকমত পালন করতে হবে। কেবল মাথা গরম করে বিশেষণ প্রয়োগে মন্তব্য করার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করলে, সেটা প্রকারন্তরে আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হবে।
@অভিজিৎ, ৪৮ ঘন্টা পেরিয়া গেলে পরে এমন একটা পোস্টে কে কি মন্তব্য করছে তা দেখতে এবং তার জবাব দিতে আসার কোন ইচ্ছা আমার ছিলো না, আপনার মন্তব্য দেখে আসলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে ছদ্মনামে লিখবো কারণ- নাম, ঠিকানা, ফটোআইডি নিয়ে একটি ইন্টারনেট এন্টিটি হতে আমি স্বস্তিবোধ আমি করিনা, ব্লগের পরিবেশ তলানীতে নেয়া এর কোন কারণ নয়। আর এমন কিছু কি হয়েছে যা দেখে আমাদের মনে হতে পারে পরিবেশ তলানীতে নেমে যাচ্ছে? আমি এটা লিখেছিলাম নিছকই নিজে বিনোদন পাবার উদ্দেশ্যে এবং অপরকে বিনোদন দেয়ার লক্ষ্যে, এটা একটি রেফরেন্স প্রবন্ধ যে হবে না এটা আমি জানতাম, হোক এটাও আশা করিনি। আর সবার ইন্টারেস্টও তো একমুখী হবে না, তাই না?
@আল্লাচালাইনা,
আমার মন্তব্যটি কিন্তু আপনাকে উদ্দেশ্য করে ছিলো না। আমি ভবঘুরের কিছু বিশেষণ প্রয়োগের ব্যাপারে মন্তব্য করেছি। আমি ছদ্মমনাম নিয়ে লেখায় আমার স্ট্যান্ড আগেই জানিয়েছি। আমি এটার বিরোধী নই কখনোই। কিন্তু স্রেফ গালাগালি করার জন্য ছদ্মনাম নিলে সেটার দায়িত্ব মুক্তমনার সাথে যারা স্বনামে জড়িত, তাদের নিতে হয়। এই ব্যাপারটাই আপনাকে বিনীত ভাবে জানাচ্ছি। আমি যেহেতু প্রথম থেকেই মুক্তমনার সাথে স্বনামেই জড়িত আছি, এর সব কিছু দায় দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত আমার উপরেই বর্তায়, সেই সমস্যাগুলোর কথাও তো আপনি মাথায় রাখবেন তাই না? ছদ্মনামে লিখতে মুক্তমনায় কখনোই বারণ করা হয়নি, বলা হয়েছে দায়িত্ববোধটুকু নিষ্ঠার সাথে পালন করতে।
এবার আপনার লেখা নিয়ে বলি। আপনার লেখার স্টাইল, শব্দনির্বাচন প্রচন্ড ক্ষুরধার। আমিও ব্লাডি সিভিলিয়ানের মতোই মনে করি মনে হল হুমায়ুন আজাদের কোন রচনা পড়ছি। এর চেয়ে বড় কম্পলিমেন্ট (অন্ততঃ আমার কাছে) বোধ হয় আর হয় না, কারণ আমি নিজেই হুমায়ুন আজাদের গদ্য রীতির দারুন ভক্ত।
আপনি লিখুন, আরো বেশি করে লিখুন, বিভিন্ন বিষয়ে।
@অভিজিৎ,
ব্যাক্তিগত আক্রমন তো করিনি। একটা তুলনা করার জন্যে মজা করে একজন লেখকের নাম উল্লেখ করেছি মাত্র। এতে কারো মানের হানি হয় বলে তো মনে হয় না। বলদ বা গাধা এজাতীয় মন্তব্য তো ব্যক্তিগত কাউকে করা হয়নি যে তা আবার কারও সম্মানহানির কারন হবে। বুঝলাম না ভাই আপনি আসলে আমার পুরো মন্তব্য পড়ে নাকি না পড়ে সবক দিলেন। লেখকের যদি কিছুটা স্বাধীনতা বা মজা করার স্বাধীনতা না থাকে তাহলে তো তা আবার সেই কোরানের আইনের মত হয়ে গেল অনেকটা । আমাদের লেখালেখিতে মান নীচে নেমে যাওয়া তো দুরের কথা , আমার তো ধারনা উচু হচ্ছে ও অনেক বেশী পাঠক/পাঠিকা সক্রিয় মন্তব্য করছে যা সত্যিকার একটা ব্লগ সাইটের প্রান। আর তাদের প্রতিক্রিয়ার কারনে আরও বেশী মানুষ সাইটটাতে ঢু মারছে। আপনারা যারা মডারেটর আছেন তারাও নিশ্চয়ই চান ব্যপারটা এমন হোক। যাহোক, কোরানের আইনের মত আইন চালু করে হাত বেধে দিলে তো পরে আর লেখা যাবে না। বিষয়টা নিয়ে আসলেই ভাবতে হবে মনে হয়।
@অভিজিৎ,
আমি সাধারণত কারো লেখায় একবারের বেশী মন্তব্য করিনা। এ ক্ষেত্রে আমার হাসির কারণ যদিও ব্যাখ্যা করতে চাইছিলাম না,কিন্তু আপনারা ভুল বুঝবেন বিধায় কিছু বলছি।
আমার লেখায় খেয়াল করবেন কীনা জানিনা(যদি আদৌ পড়ে থাকেন) আমি কাউকে তেমন বুঝাতে যাইনা। লেখার তাগিদে লিখি, কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে সম্ভব হলে জবাব দেই।তাই বলে এই না যে সব কিছু বুঝানর দায় দায়িত্ত্ব আমার।যে যা বুঝে তাই নিয়ে থাকি। আশা করি বুঝাতে পারলাম।
@ভবঘুরে,
এটা সত্যের অপলাপ। আরবরা সাহিত্য এবং ব্যাবসায় তখন বেশ উন্নত ছিল। আর যদি ধরেই নি তারা বলদের জাতি, তাহলে ইসলাম জন্মে ২ শতকের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানে কি করে তারা শ্রেষ্ঠত্ব পেল? বলদদের শ্রেষ্ঠ সভ্যতা বানানোর কৃতিত্বটা তাহলে ইসলামকে দিন?
আসলে এর কোনটাই সত্য না। ইসলাম জন্মের পূর্বে আরব জাতি যথেষ্ঠই উন্নত ছিল-এই উন্নতি জারি ছিল মোল্লা ওমর অব্দি। তারপরে জ্ঞান বিজ্ঞানের পথে ছেরে ধর্মকে আঁকরে ধরায় ওরা সত্যই পিছিয়ে পড়ে-আপনার কথায় বলদদের জন্ম হয়।
@বিপ্লব পাল,
আরবরা বলতে আপনি কি সৌদি আরব বোঝাচ্ছেন? একটু সাহিত্যের নমুনা দেখাতে পারেন ? ভবঘুরে নিশ্চয় মীন করেছিলেন মুহম্মদের সমসাময়িক মক্কা মদিনার বেদুইন আরবেরা। তাদের,বিশেষ করে মুহম্মদের অনুসারীদের কি অবদান আছে সাহিত্যকর্মে? আর ইসলামের জন্ম হয়েছিল মক্কা মদীনা কেন্দ্রিক সৌদি আরবে। যে দুইশ বছরে কথা উল্লেখ করলেন সেই দুশ বছর কড়া ইসলামী শাসন চালু ছিল। ঐ সময়ে কি জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি হয়েছিল? বিশেষ করে ইসলমের জন্ম দাতা সউদি আরবীদের দ্বারা? দুশ বছর পর ইসলামী শাসনে শিথিলতা আসার পরই আসে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ আর তাও হয় বসরাতে, মক্কা মদীনাতে নয়। আর সেই বিজ্ঞানের পুরোধায় ছিলেন কোন কুরান ও মুহম্মদের অন্ধ অনুসারী নয়, বরং জ্ঞানপিপাসু কিছু উদার মনীষী। তাহলে সেই কৃতিত্বকে কি ইসলামের জন্য না বলে ইসলাম সত্বেও বলা ঠিক না? সেই বিজ্ঞানে কুরান বা মুহম্মদের কি ভূমিকা ছিল? ইসলামের ভূমিকা থাকলে ত মাদ্রাসায় সব বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলি ঘটত। মাওলানা বা ইমামদেরই তো স্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হবার কথা।
@যাযাবর,
:yes:
@যাযাবর,
(১)
প্রাক ইসলামিক যুগের আরব সাহিত্য নিয়ে জানতে হলে পড়ুন
http://en.wikipedia.org/wiki/Arabic_poetry#Pre-Islamic_poetry
এবং এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকেও ইসলাম ধ্বংশ করেছিল অজ্ঞতার যুগের সাহিত্য আখ্যা দিয়ে-কারন সেই সাহিত্য ছিল নারী এবং সুরার প্রতি উদার!
(২)
এটা ঠিকই মুরতাদরাই আরব জ্ঞান বিজ্ঞানের জন্ম দিয়েছে এবং তা কোরান পড়ে হয় নি। তা হয়েছে, গ্রীক এবং ভারতীয় দর্শনের চর্চা থেকে। কিন্ত এটা ত অস্বীকার করার উপায় নেই সেই গ্রীক এবং ভারতীয় দর্শন জানার পেছনে আছে ইসলামের মিলিটারী। মুলত ইসলামের আগ্রাসী মনোভাব থেকেই বিদেশে ইসলামিক পন্ডিতরা জ্ঞান আহরোন শুরু করেন। নইলে আরবরা নিজেদের দ্যাশ নিয়েই ত সন্তষ্ট ছিল।
সাম্রাজ্যবাদের সাথে জ্ঞান বিজ্ঞানের সম্পর্ক আছে। রোম, ইসলাম, বৃটিশ থেকে আমেরিকা-একটা কথা খুবী সত্য যে সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলি নিজেদের স্বার্থেই জ্ঞান বিজ্ঞানকে সব থেকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছে-কারান তাহাই আসল “শক্তি”
@বিপ্লব পাল,
আমি আসলে মোহাম্মদ এর সমসাময়িক ও পরের দু একশ বছর সময়কার আরব লোকগুলোর কথা মিন করেছি। যাযাবর আমার কথা যথার্থ বুঝতে পেরেছে।
এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন। আইভির এই প্রশ্নের উত্তরের মাঝেই সকল সমাধান আছে বলেই মনে করি। অন্যথায় এই তর্কের কোন মানে নেই বা মিমাংসা ও নেই। অপ্রমানিত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে সঠিক স্বীদ্ধান্তে পৌছানোর চিন্তা যুক্তিবাদীদের কাছে কেমনে গ্রহনযোগ্যতা পায় , তা আমার মাথায় আসে না।
হাদীস ও নবীর জীবনি বলতে আমরা যা জানি বা যে ইতিহাস আমাদের কাছে এসেছে তার ভিতরে যে বড় গলৎ আছে , তা যেকোন যুক্তিবাদীর চোখে সহজেই ধরা পড়ার কথা। নবীর জন্মের সময় ও তার শিশু বয়সের যে সকল অলৌকিক ঘটনা আমাদের জানানো হয় তা এক কথায় মিথ্যা বলে নাকচ করে দেয়া যায় এই যুক্তিতে যে , ঘটনাগুলো সত্যি হলে ধর্মপ্রচার শুরুর সময় মুহম্মদকে এত বিরোধীতার সম্মুখিন হতে হোত না বা দলে দলে সকলেরি ইসলাম গ্রহন করার কথা।
যুক্তিবাদীদের উচিৎ হবে মুহম্মদের সমালোচনা করার আগে , সঠিক (যতটুকু সম্ভব) ইতিহাস জেনে সমালোচনা করা। অন্যথায় যুক্তিবাদী হিসাবে দাবী করা হিপোক্রেসীর সমতুল্য হয়ে যাবে।
বাপ রে!১০৫ টি মন্তব্য 😉 আমি কই যাই বাহ বাহ আর কে কে বাকী আছেন :-Y
আল্লাচালাইনা আরো লিখুন ভাই :-Y :yes:
সুবিধাবাদী ও মডারেট মুসলিমদের বোরকার আড়ালে থাকা চেহারাটাকে সামনে নিয়ে আসার জন্য এমন একটি লেখা আমিও লিখছিলাম। আপনার এই লেখাটি পড়ে অত্যন্ত মজা পেলাম। আরও মজা পেয়েছি একজন স্বঘোষিত মডারেট সাহেবের মন্তব্যের ধারা দেখে। এজন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
:yes:
ধরিবাজ নজরুল নামক ওই ব্যাক্তিটিকে যদি আর খুঁজে পাওয়া না যায় তবে ‘নিখোঁজ সংবাদ’ নামক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হলেও উনাকে খুঁজে বের করতে হবে। নিজের কাফিরত্ব বজায় রাখার জন্য আমি কি কি করি না, সেটাও উনাকে জানানো দরকার।
–আসুন, আজ ১৪০০ বছুর পর এই অপরাধের বিচার করি। তা বিচারের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সূত্রের প্রয়োজন– যে তিনি শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।
প্রথম প্রমাণ হাদিস। কিন্তু সেগুলোতো শোনা কথার সংগ্রহ, যা নবী মুহম্মদের মৃত্যূর প্রায় ২০০ বছর পর সংগৃহিত। কথিত মুসলিম সমাজ এই শোনা কথাকে জীবন পথের পাথেয় ভাবলেই কি যুক্তিবাদী আদালত তা প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করবে?
দ্বিতীয় প্রমাণ ইবনে ইশাকের নবীর সীরাত। কিন্তু কালের প্রমাণে দেখা গেছে সেটাও অতিরঞ্জিত। সত্য কোনটা?
তৃতীয় প্রমাণ, নবীর সমসাময়িক ইতিহাস (আনুমানিক ৫৭০-৬২২ খ্রীঃ) অথবা, তার মৃত্যূর ১০, ১২ বা ৫০ বছরের মধ্যে লিখিত ইতিহাস। সেই ইতিহাস কি আমাদের হাদিসবিদরা দেখাতে পারবে? তাঁর সমসাময়িক আরবদেশগুলো না হোক, তার আশে-পাশের দেশগুলোও কি ইসলামের নবীর কোন ইতিহাস লেখেননি বা তার সম্বন্ধে লিখে যায়নি? সেগুলো কোথায়?
কোন যুক্তির ভিত্তিতে আমরা তাকে শিশু নির্যাতনকারী বলছি? ইমামগণ যে হাদিসগুলো সংগ্রহ করে গেছেন তার বেশিরভাগই যুক্তি, বিচারশক্তি, ও রেফারেন্স-ক্রসরেফারেন্সে সহজেই ভুয়া বলে প্রমাণ করা যায়। যারা ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন তারা কি সত্যি সাধু লোক ছিলেন না কি এর পিছনে রাজনীতিও কাজ করেছে? তারা যে মুহম্মদের নামকে ঢাল হিসেব ব্যবহার করেনি–সে সম্বন্ধে এত নিশ্চিত হলেন কি করে?
নবী মুহম্মদ যে শিশুনির্যাতনকারী ছিলেন তার সঠিক সূত্র বা প্রমাণ চাই—না পাওয়া পর্যন্ত আমি আপনার কথার সাথে কেন সহমত পোষণ করবো বা মেনে নেব?
@আইভি,
মুহাম্মদের জীবনীর সবই তো হাদীস। এখন হাদীস বাদ দিলে মুহাম্মদ সম্পর্কে জানতে হলে কোথা থেকে জানব?? কোরান থেকে যা জানা যায় তাও তো খুব সুবিধাজনক নয়, এছাড়া ত্যানা পেচানো তো চলছেই। এখন আমার প্রশ্ন –
১। আয়েশাকে বিয়ে সম্পর্কিত হাদীসগুলোকে কেন মিথ্যা বলতে যাব? এই হাদীস গুলো মিথ্যে বলে আপনাকেই আগে প্রমাণ দিতে হবে, তাই না??
২। ইসলামে এতকাল ধরে শিশুবিবাহকে বৈধ বলে ধরা হয়েছে কিসের ভিত্তিতে?
৩। কোরানে মুহাম্মদকে উসওয়াতুন হাসানাহ বা সর্বোত্তম আদর্শ বলা হয়েছে। এখন মুহাম্মদের আদর্শ কোত্থেকে পাবেন হাদীস ছাড়া? পাঁচ বার নামাজ পড়ার কথাও তো কোরানে নেই।
৪। কোরানকেই বা কেন দলীল হিসাবে গ্রহণ করবেন? কোরানকে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত বলে কী প্রমাণটা আপনারা দিয়েছেন??
@সৈকত চৌধুরী,
আয়েশাকে বিয়ে সম্পর্কিত হাদিস অন্য হাদিসের মতই শোনা কথা। এই ক্থা কোন নথিপত্র ছাড়াই একসময় কতিপয় ব্যক্তি দ্বারা সংগ্রহিত হয়েছিল (যার সম্বন্ধে বলা হল তার মৃত্যূর প্রায় ২০০ বছর পর)। এখন মৃত ব্যক্তি তো আর কবর থেকে উঠে এসে বলতে পারবে না কি করেছিল, তাই শোনা কথার সত্য মিথ্যে যাচাইটা হবে কি করে? সেক্ষেত্রে যারা এই হাদিস সংগ্রহের সাথে জড়িত ছিল তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আর রাজনীতির ব্যবহারটাও তো হিসেবে আনা উচিত। নবীর নামে যা বলব তাই সঠিক সেটা এই ইমাম নামধারী ব্যক্তিদের বইগুলো পড়লেই বোঝা যায়।
মুহম্মদের আদর্শ বা তার জীবন কাহিণী সঠিক ভাবে না পেলেই কি যা গল্প হিসেবে প্রচলিত তাই কি তার জীবন কাহিণী হিসেব ধরে নিয়ে চরিত্র বিশ্লষণে বসতে হবে? এটাতো হবে প্রমাণহীন কথার উপর কচকচানি।
কোরান সংক্রান্ত বিষয়ে এখানে আলোচনা করতে চাইনা। ইতিহাসের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখুন। আমি আস্তিক বলে যেখানে-সেখানে বিষয়টি টেনে আনবেন না।
সঠিক তথ্যের ভিত্তিতেই যে কারো চরিত্র বিশ্লষিত হওয়া উচিত। যদি মনে করেন এই হাদিস সংগ্রহকারীগণ তাদের জন্মের ২০০ বছর আগের মুহম্মদের জীবন কাহিনী সঠিকভাবেই বলে গেছেন তা হলে বলার কিছু নেই। আর হাদিস যে মিথ্যা তা আমাকে বা প্রমাণ করতে হবে কেন? যারা এর ব্যবহার করবে তাদেরকেই প্রমাণ দিতে হবে যে— এই ঘটনাগুলো সত্য এবং তা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
@আইভি,
আপনি যে যুক্তিতে হাদীস বা নবীর জীবনিতে সংশয় প্রকাশ করেন তেমন তো পৃথিবীর যে কোন প্রাচীন ইতিহাস নিয়েই সন্দেহ করা যায়। সম্রাট নিরো নিষ্ঠুর ছিলেন এর বিরুদ্ধে যুক্তি হিসেবে যদি কেউ বলেন যে তিনি তো কবর থেকে বেরিয়ে এসে ডিফেন্ড করতে পারছেন না তবে কেমন শোনায়? সাধারনভাবে এটা তো সত্য যে ইতিহাস সবসময় জয়ী পক্ষই লেখে।
সে যাক, এ নিয়ে তর্ক করা বৃথা। আমি তো ইসলাম ডিফেন্ডারদের দেখি তারা নবীজির এসব বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, গনীমতের মাল হিসেবে রমনী গ্রহন এসবের পালটা হিসেবে কেউ এসব অস্বীকার করেন না। তারা নানান যুক্তি দিয়ে এসব কাজকারবারে দৃষ্টিকটূ কিছু নেই এটাই প্রমান করার চেষ্টা করেন। সেসব কতটা হাস্যকর শোনায় সেসব সে আর নাই বা বললাম। যতদিন না এসব হাদীস, ইসলামী ইতিহাস পরিষ্কার করতে পারবেন (আপনাদের দাবীমত যা মিথ্যা) আর এসব ইসলাম ডিফেন্ডাররা এভাবে গলাবাজী করবেন ততদিন এসব যুক্তিবাদীরা কথা বলেই যাবে। এদের দোষ দেওয়া যাবে কিভাবে? খোদ ইসলাম ডিফেন্ডাররাই তো এসব ইতিহাস পূতপবিত্র বিবেচনা করে হাজার বছর ধরে লালন পালন করছে, কেউ সামান্য সংশয় প্রকাশ করলে তেড়ে আসছে।
আপনার কাছে ছোট একটা প্রশ্ন; ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস বলে আসলে কিছু নেই? থাকলে সেটা কোথায় পাওয়া যাবে?
আর যদি সেটা নাই বা থাকে তাহলে খোদ নবীজির সম্পর্কে আসল তথ্য কিভাবে জানা যাবে? নবীজিকে অনূসরন করার ব্যাপারে কিন্তু কোরানেই আয়াত আছে।
@আদিল মাহমুদ,
যদি হাদিস বইগুলো নিয়ে একটু বিশ্লেষন করেন দেখবেন নবীর চরিত্রের যে বিশেষণগুলো বের হয়ে আসে তা খুবই বিপরীতমুখী। একটা মানুষ একই সাথে দয়ালু আবার অত্যাচারী হয় কি করে? তারমানে কি, তথ্যে ভেজাল মেশানো আছে! সেই ভেজাল মেশানো তথ্য এতদিন পালন করার পর এখন যদি কেউ তা নিয়ে প্রশ্ন করে তাতে তো তাড়া খেতেই হবে।
এটা তো আমারো প্রশ্ন?যা জানিনা তার উত্তর দেব কি করে? নবী মুহম্মদের সমসাময়িক সময়ের ইতিহাস কি কেউ লিখে রেখে যাননি? থাকলে সেগুলো কোথায়? কেন সেই সময়ের কোন নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যায় না বা থাকলেও আমাদের জানতে দেয়া হয়না?
এই বিষয়টা আলোচনায় গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। নবী সম্পর্কে এখন যদি আসল তথ্য না পাই তো কি করবো? নবীকে তো কোরান মেনেই চলতে হয়েছে। এখন যদি সেই কোরানই আমরা মানি তাহলে কি নবীকে অনুসরন করা হবে না?
@আইভি,
কিন্তু কোরানের নির্দেশ আক্ষরিকভাবে মানা যাচ্ছেনা যতক্ষন না আমরা নবীকে অনুসরন করতে পারছি কারন কোরানে নির্দেশ আছে নবীকে অনুসরন করতে। আবার নবীকে অনুসরন করতে হলে হাদিস তথা নবীর ইতিহাস জানা দরকার।
এটা একটা আশ্চর্য্যের ব্যাপার যে আল্লাহ কি করে এমন একটি নির্দেশ কোরানে রাখলেন যেখানে আল্লাহ অবশ্যই জানতেন যে নবীর আসল ইতিহাস রক্ষনাবেক্ষনের কোন ব্যবস্থা মানুষ করতে পারবেনা। তাহলেতো কোরানের আয়াতগুলোও যথাযথভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। কারন আমরা তো এটা বলতে পারিনা যে কোন ভুল আয়াত আল্লাহ কোরানে রেখে দিয়েছেন।
@আইভি,
প্রতিটা মানুষের মধ্যেই বৈপরীত্ব থাকে- দয়ালু এবং অত্যাচারী চেঙ্গিস খান-দুই চেঙ্গিস খানই বাস্তব। এটি সব মানুষের জন্যে সত্য। যারা ভাবে মহম্মদ শুধু অত্যাচারী আর ইন্দ্রিয়পরায়ণ এক পুরুষ-তারাও ভুল। আবার যারা মহম্মদকে দয়া এবং সংযমের অবতার ভাবে গ্রহন করে তারাও নির্বোধ। বাস্তব হচ্ছে উনি ১৪০০ বছর আগে জন্মানো একজন বুদ্ধিমান এবং দূরদর্শি মানুষ-যার মধ্যে মানুষ হয়ে জন্মানোর জন্যে ভালমন্দ সবকিছুই ছিল। এটি বুদ্ধ, চৈতন্য, খ্রীষ্ঠ সবার জন্যেই সত্য।
সেই একই যায়গায় আমরা আটকে যাচ্ছি। মানুষ। হিন্দু-মুসলমান-মহম্মদ-রামকৃষ্ণ–কেহই এই মানব প্রকৃতির বাইরে না। এটা তাদের ভক্তরা বুঝতেই চায় না। সেখানেই সব বিপত্তি। অথচ এদেরকে মানুষ হিসাবে গ্রহণ করলেই জগতের মঙ্গল হত বেশী।
@আইভি,
– টিপিক্যাল গল্প উপন্যাস/সিনেমার চরিত্র বাদে বাস্তব জীবনে বেশীরভাগ মানুষই আসলে ভালয় মন্দে মেশানো হয়। গল্প উপন্যাসে সাধারনত যাকে ভিলেন দেখানো হয় তার সবই খারাপ দেখানো হয়। সে মদ খায়, খুন করে, তার চরিত্র বলতে কিছু নেই, দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে। বাস্তবে কি তাই হয়? বাস্তবে বড় বড় ভিলেন টাইপের লোকেরাও মাঝে মাঝে বিস্তর দান ধ্যান করে, জনকল্যানমূলক কাজ করে, তার হয়ত বাইরে রমনী গমনের অভ্যাস থাকলেও বাড়িতে সে দায়িত্বশীল স্বামী, স্নেহময় পিতা। এমন চরিত্র আমাদের আশেপাশেই ভুরি ভুরি আছে। আমারই একজন আত্মীয় আছেন যিনি জাল মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফকেট নিয়ে সরকারী চাকরিতে সুবিধে নিয়েছেন, ঘুষের পয়সা দেদার, গনিকালয়ে গমনও ওণার প্রিয় অভ্যাস, স্ত্রী পেটানোর একাধিক রেকর্ড আছে, কিন্তু আবার বাড়ির কাজের লোকের অসুখে রাত জেগে সেবা করেছেন, গ্রামের মানুষে তাকে পরোপকারের জন্য দেবতার মত ভক্তি করে। তার এসব পরোপকারের কোন রাজনৈতিক বা কোন উদ্দেশ্যই নাই।
আর আপনি যদি কোন ইসলামী ইতিহাসেই ভরসা রাখতে না পারেন তাহলে হযরত মোহাম্মদ দয়ালু কিনা সেটাই বা কিভাবে নিশ্চিত হয়েছেন? নাকি তিনি দয়ালু না অত্যাচারী তার কোন গুরুত্ব আপনি দেন না? তাকে আল আমিন নামে ডাকা হত তাও তাহলে সংশয়পূর্ন?
তার নামে যেসব রসালো হাদীসের খোজ পাওয়া যায় সেগুলি আজকের দিনে আপত্তিকর মনে হলেও হাদীসগুলি যেসময় লেখা হয়েছিল সে সময়ের লোকদের কাছে ছিল স্বাভাবিক, তাই তারা সেসব লিপিবদ্ধ করায় তেমন বিপদের গন্ধ পাননি, এটা হতে পারে না?
ইসলাম সম্পর্কে যতই জানার চেষ্টা করেছি, ততই বিভ্রান্ত হয়েছি। আপনাদের কথামতই তো বলতে হয় যে এর ভীত খুবই নড়বড়ে। খোদ যিনি নবী, তারই কোন প্রামান্য ইতিহাস নেই, সবই বিকৃত ইতিহাস। তিনি রাম, শ্যাম, যদু, মধু কে না কে তার কোনই গুরুত্ব নেই? কোরানের সত্যতা সম্পর্কেই বা কিভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি? বিশেষ করে যেখানে হাদিসে আছে কোরানের কোন আয়াত নাকি ছাগলে খেয়ে ফেলেছে। কোরান পড়লে সূস্থ মাথার যে কারোই মনে হবারই কথা যে এটা কোন পুরুষ মানুষের রচনা।
আল্লাহ নিজে কোরান হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তার প্রিয় নবীর ইতিহাস রক্ষার কোন ব্যাবস্থা নেননি, তার নামে যা তা রচণা করে হাজার হাজার বছর ধরে অন্ধভাবে প্রচার ও পালন করা হচ্ছে শুনলে খুবই অবিশ্বাস্য লাগে।
@আদিল মাহমুদ,
এর থেকে এই উপসংহারে কেনো আসেন না যে, নবীর ইতিহাস মুসলমানের কোন উপকারে আসবে না বলেই আল্লাহ তা হেফাজত করেন নি। কোরান , একমাত্র কোরান-ই মুসলমানের জন্য যথেষ্ঠ , যে কারনে আল্লাহ নিজে কোরান হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন।
আপনি অন্ধ ধার্মিকদের দেখে ধর্ম বিচার করলে , ধর্মের কিছুই জানতে পারবেন না। ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ুন(যে কোন) এবং মুক্তমন নিয়ে পর্যালোচনা করুন যদি ধর্ম কি তা জানতে চান।।
@ফারুক,
ব্যাক্তি মুহম্মদ বা ইসলামের ইতিহাস অগ্রাহ্য করলে কোরানের অস্তিত্ব নিয়েও কি টান পড়ে না?
কোরান কিভাবে নাজিল হল, তার প্রেক্ষাপট, নবীর হিরা পর্বতের গুহায় আরাধনা, মক্কা থেকে বিতাড়ন, পরবর্তিকালে ঊসমানের আমলে কোরানের সংকলন এগুলির ঐতিহাসিক ভিত্তী জানার কোনই দরকার নেই? এটা খুবই যুক্তিহীন কথা। কোরান বা ধর্মগ্রন্থ যেহেতু বিশ্বাসের জিনিস, কোন গাণিতিক যুক্তিগ্রাহ্য তত্ত্ব নয় তাই এই বিশ্বাসের পটভূমির গভীর প্রয়োযনীয়তা আছে। নিউটন বা আইনষ্টাইন কে ছিলেন, শয়তান প্রকৃতির লোক না ফেরেশতা তা জেনে কিন্তু আমআর তেমন দরকার নেই। কারন তারা যাই হোক না কেন তাদের প্রকাশিত তত্ত্ব নিয়ে কোনরকম সন্দেহ বা বিতর্ক করা যায় না।
কিন্তু যিনি আল্লাহর শেষ ঐশী গ্রন্থ বহন করে আনার দাবী করলেন তার ইতিহাস জানার দরকার সেই গ্রন্থের অথেনটিসিটির স্বার্থেই দরকার। তার ব্যাক্তি চরিত্র সেই গ্রন্থ বা ধর্মের খাটিত্ব প্রমানের সবচেয়ে বড় উপাদান। মোহাম্মদের যায়গায় কোন দূশ্চরিত্র কোরায়েশ একই কোরানের বানী নিয়ে নওবুয়ত্বের দাবী জানালে তাকে কেউ মানত? আমার জানামতে ইসলামের একেবারে প্রথম কিছুদিনে মোহাম্মদের কথায় বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহন করেছিল মাত্র অল্প কিছু লোকে, আর এই বিশ্বাসের ভীত ছিল ব্যাক্তি মোহাম্মদের চরিত্র।
আল্লাহ কোরান হেফাজত করায় যে খুব সুবিধে হয়েছে তাতো নয়। এর পদে পদে আছে বিভ্রান্তির জাল, এক একজনের কাছে এক এক ভাবে এর আয়াত ধরা দিচ্ছে। অনেক নিয়ম কানুন বিধিবিধান হাস্যকর রকম ভাবে এ যুগে বাতিল হয়ে গেছে। সত্য বলতে, কোনরকম বাইরের ব্যাখ্যা বা ঐতিহাসিক প্টভূমি ছাড়া কোরানের বেশ কিছু আয়াত অর্থহীন বাক্য ছাড়া কিছু মনে হয় না। যেমন, পালক পূত্রের স্ত্রী কে নবীজির বিবাহ সম্পর্কিত আয়াত আপনি শুধু কোরান দিয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? কিংবা মারিয়া কে কেন্দ্র করে তার স্ত্রীদের মাঝের মনোমালিন্য, নবীজিকে শপথ করলেও তা ভাংগার অনুমতি প্রদান… এ সম্পর্কিত আয়াতগুলি শুধু কোরান পড়লে মাথামুন্ডু কিছুই বোঝার উপায় নেই।
@আদিল মাহমুদ,
না পড়ে না। কারন কোরানের প্রমান কোরান নিজেই। মুহম্মদের যে পরিচয় আমরা ইতিহাস ও হাদীসের মাধ্যমে পাচ্ছি , তা কি কোরানের গ্রহনযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে? আমার তো মনে হয় উল্টোটাই ঘটছে , অর্থাৎ কোরানের গ্রহনযোগ্যতাকে কমিয়ে দিচ্ছে। উসমান কর্তৃক কোরানের সঙ্কলনের ইতিহাস এবং বাকি আন্যান্য কপি পুড়িয়ে ফেলা , এই ইতিহাসগুলৈ বরঞ্চ কোরানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এই একটা খাটি কথা বলেছেন। এই নীতি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমরা বক্তব্যকে মূল্যায়ন করব , বক্তাকে নয়।
এটাই কোরানের বৈশিষ্ঠ। এব্যাপারে আমার সাহায্য কোন কাজে আসবে না। আপনি নিজে পড়ে যা বুঝবেন , সেটাই আপনার জন্য প্রযোজ্য। সকলেই যদি কোরান পড়ে একি রকম মানে বুঝত , তাহলে তো আর এত ফ্যসাদ ও দলাদলি থাকে না!! এবং আল্লাহর সেটা ইচ্ছাও নয়।
আল্লাহ কোরানে বলেছেন-
16:93] Had GOD willed, He could have made you one congregation. But He sends astray whoever chooses to go astray, and He guides whoever wishes to be guided. You will surely be asked about everything you have done.
সুঃ নাহল আঃ ৯৩ যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতে পারতেন।
10:99] Had your Lord willed, all the people on earth would have believed. Do you want to force the people to become believers?
সুঃ ইউনুস আঃ ৯৯ আপনার প্রভু চাইলে দুনিয়ায় যত লোক আছে প্রত্যেকেই বিশ্বাসী হতো। তুমি কি মানুষকে জবরদস্তী করে বিশ্বাসী বানাতে চাও ?
@আইভি,
তার মানে আপনি আগেই ধরে নিবেন মুহাম্মদ খারাপ কোনো কাজ করেন নি, তার চরিত্রে কোনো ভেজাল ছিল না তারপর তার চরিত্র বিবেচনা করবেন!
কোরানকেই বা এত বিশ্বাস কীভাবে, কোন যুক্তিতে করবেন তাও তো বললেন না।
@আইভি,
মুসলিম জগতে সিহাহ সিত্তাহ এর হাদীস সংগ্রহকারীরা খুবই সম্মানিত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এখন মুহাম্মদের অপকীর্তি প্রকাশিত হওয়ার জন্য যদি এগুলো বাদ দিতে যান তবে বিপত্তি তো ঘটবেই। যারা হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন তারা তাদের মত করে প্রমাণ ও সাক্ষ্যসাপেক্ষে তা করেছেন। এখন এগুলোকে ভুল বলতে হলে আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে যে এগুলো ভুল ছিল। আর ওটা কিন্তু মুক্ত-চিন্তকদের সাথে আপনার ঝগড়া নয় বরং যারা হাদীসে বিশ্বাসী(প্রায় সব মুসলিম) তাদের সাথে আপনার। আমরা তো কোরান-নবুয়ত কিছুতেই বিশ্বাসী নয়।
প্রকৃত মুহাম্মদের থেকেও বেশির ভাগ মুসলমানরা যে মুহাম্মদকে ও তার জীবনীকে বিশ্বাস করে ওটা কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ মুহাম্মদের মিথ্যে নিয়েই তো গড়ে উঠেছে ইসলাম।
হাদীসকে অস্বীকার করে মুহাম্মদ সম্পর্কে জানবেন কিভাবে তা বলেন নি কেন?
নাস্তিকরা তো অলৌকিক কিছুই বিশ্বাস করে না। তাদের কথা বাদ দেন। এখন বলেন হাদীস ছাড়া মুহাম্মদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার একটা উপায়।
আমি শুনেছি মুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকেই হাদীসগুলোকে খুব যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা হয়েছে মুহাম্মদের অনুগতদের দ্বারা আর তারা যথা সম্ভব মুহাম্মদকে মহা মানব বানিয়ে ছেড়েছেন। পরে সিহাহ সিত্তায় গ্রহণযোগ্য হাদীসগুলোকে…………।
এটা মুসলমানদের প্রতি আমারো কথা।
আস্তিক বলে কি লজ্জা পেয়েছেন? আর কাকে বলবেন ইতিহাস?? জীব্রাইলের ইতিহাসটা এট্টু বলেন??
@আইভি,
হ্যা করবে। উপমা দিয়ে বোঝাই। ধরুন কেঊ দাবী করল যে ২+২ = ৫, তারপর ঘোষণা দিল যে ২(২+৩) = ১০ এখন যদি এই দ্বিতীয় খোষণার কারণে আমার বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে আমি ২+২ = ৫ যে ভুল সেটা বলতে যাব কেন, আমি বলব যে ২(২+৩) = ১০ কি করে হয় যেখানে ২+২ = ৫? কারণ ২(২+৩) = (২+২) + (২+২+২) = ৫+৭ = ১২ । এখন বুঝতে পারছেন? ইসলামিস্টদেরকে প্রথমে তাদের নিজের যুক্তি বা মতবাদের ভিত্তিতেই খণ্ডন করতে হবে। এটা যুক্তিসঙ্গত।
যে কারণে আপনি হাদীস প্রত্যাখ্যান বা এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করছেন সেই কারনে কূরাণেও আপনার সন্দেহ থাকা উচিত। কারণ বর্তমান কুরান উসমানের সময় নতুন করে লিখিত/সংকলিত হয় অন্য সব কুরানের কপি পুড়িয়ে ফেলে। তাহলে কি করে নিঃসংশয় হয়া যায় যে বর্তনান কুরাণই প্রকৃত কুরাণ?
@আইভি,
আইভি, আপনার সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে জানেন? সমস্যাটা হচ্ছে আপনার এখনও বিশ্বাস রয়ে গেছে মোহাম্মদ আল্লাহর নবী আর কুরান হলো আল্লার কিতাব। হাদিস যেহেতু আল্লার কিতাব না, অনেক মানুষের সংগৃহীত সংকলন তাই খুব সহজেই আপনি তাতে অবিশ্বাস করতে পারছেন আর সেটাও আপনি করছেন যখন কাফের মুরতাদ নামধারী কিছু লোক তা থেকে প্রমান করে ছেড়েছে যে মোহাম্মদ সত্যবাদী বা দয়ালু যাই হোক না কেন তিনি অত্যাচারী, খুনী, নারীলোভী ইত্যাদিও ছিলেন। কিন্তু আপনি বোধ হয় ভুলে যাচ্ছেন কোরানের বানীগুলোর যখন বাস্তব প্রয়োগ হয়েছে তখনই মোহাম্মদকে দেখেছি অত্যাচারী, খুনী, নারী লোভীর ভুমিকায়। যেমন- কোরানে দাসী বাদির সাথে অবাদে যৌন সঙ্গম করার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, মোহাম্মদের পুত্রবধু জায়েদের বৌকে বিয়ে করার জন্য বলা হয়েছে, ইহুদি, খৃষ্টান ও অমুসলিমদেরকে বাদর, নরাধম ইত্যাদি বলা হয়েছে ও তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন না করতে বলা হয়েছে, যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে তাদেরকে খুন করতে বলা হয়েছে। মোহাম্মদ বাস্তব জীবনে সেসব কাজগুলোই করেছে যা হাদিসে লিপিবদ্ধ আছে আর এসব কাজগুলোই আজকে প্রমান করছে যে মোহাম্মদের মধ্যে সততা বা দয়া ইত্যাদি গুন থাকলেও তিনি অত্যাচারী, নারীলোলুপ, খুনী ছিলেন। অন্যভাবে, সেই যুগে অর্ধসভ্য আরব সমাজে কিন্তু আবার ঐ বিষয়গুলো অন্যায় ছিল না, প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ছিল। যেমন- বহুবিবাহ, গোত্রে গোত্রে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ ও খুন-খারাবী, দাসীদের সাথে অবাধে যৌনাচার ইত্যাদি। মোহাম্মদ কোরানের বানীর নামে সেগুলোকে বৈধতা দিয়ে নিজেই সেগুলো তার জীবনে করেছেন আর যেহেতু তা তৎকালীন সমাজের প্রচলিত প্রথা ছিল তাই যারা তার সম্পর্কে হাদিস সমুহ রচনা করেছেন তাদের কাছে কিন্তু উক্ত ঘটনাগুলো দোষের কিছু মনে হয় নি। তারা তো বুঝতে পারেনি যে ১৪০০ বছর পরের মানব সমাজ ভিন্ন রকম হবে আর সেখানে মানুষ বহুবিবাহকে ঘৃণ্য প্রথা হিসাবে মূল্যায়ন করবে, দাসীদের সাথে অবাধ যৌনতা তো দুরের কথা দাসপ্রথাকেই বর্বর প্রথা হিসাবে বাতিল করে দেবে, শুধু বিশ্বাসের ভিন্নতার কারনে খুন বা ঘৃণা একটা ক্রিমিনাল অপরাধ হিসাবে গন্য হবে। ফলে তারা মোহাম্মদ যা তার জীবনে করেছে রঙ না চড়িয়ে সরলভাবে তাই তারা লিখে রেখে গেছে। দু ্একটি হাদিস নিয়ে সন্দেহ থাকলেও হাদিসে বর্নিত মোহাম্মদের অন্য সব ঘটনাই সত্য। তার অর্থ মোহাম্মদ চিরকালের জন্য মানব সমাজের জন্য আদর্শ স্থাপনকারী কোন ব্যক্তি ছিলেন না , ছিলেন সেই আধা সভ্য আরব জাতির একজন সুচতুর, বুদ্ধিমান ও দুরদর্শী সফল রাজনৈতিক নেতা আলেক্সান্ডার, নেপোলিয়ানের মত। এর বেশী কিছু না। এখন আজকের সমাজের মানদন্ডে মিলছে না বলে আপনি এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেবেন এই বলে যে হাদিস হলো অসত্য কথা, তা করলে সাথে সাথে আপনি কিন্তু কোরানকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন যা আপনার বোধগম্য হচ্ছে না। কারন কোরান যে সব নীতি নিয়মকে অনুমোদন করেছে, মোহাম্মদ নিজ জীবনে তার বাস্তবায়ন করেছে যার সংকলন হলো হাদিস। তো আপনি কোরান হাদিস দুটোকেই যদি বাদ দেন আমাদের আপত্তি নেই , কিন্তু হাদিসকে আপনি বাদ দিয়ে কোরানকে আল্লাহর বানী বলে রেখে দিলেই কিন্তু আমাদের আপত্তি। সবচেয়ে বড় কথা , হাদিস বাদ দিয়ে কোরান রাখার এ চিন্তা খুবই সুবিধাবাদী একটা নীতি যার মাধ্যমে একটা জিনিস প্রমানিত হচ্ছে যে- মোহাম্মদের জীবনের সব কার্যকলাপ বা আচরন একজন আল্লাহ প্রেরিত পয়গম্বর হিসেবে মানানসই নয়। ফলে তারা হাদিসকে বাদ দিয়ে মোহাম্মদকে রক্ষা করতে চাইছে। কিন্তু তা সম্ভব না, সাময়িক ভাবে হয়ত রক্ষা করা যেতে পারে। আমাদের সাফল্য এখানেই , এতদিন কিন্তু মুসলমানরা কোরান ও হাদিসকে একই পাল্লায় মাপত ও বিশ্বাস করত, এখন অন্তত তারা পিছু হটে হাদিসের ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছে- এটাই বা কম কিসে? আমার তো মনে হয় এটা একটা বিরাট সাফল্য। এমন দিন বেশী দুরে না যখন তারা কোরানের ওপরও আস্থা হারাতে শুরু করবে আর মুসলমান জাতি একটা আলোকিত জাতি রূপে জেগে উঠবে। আমি সেই আলোকিত দিনের আশাতেই বসে আছি।
@ভবঘুরে,
নিজের ঢোল পেটান , তাতে আমি আপত্তি করার কে? তবে সত্যি কথা হলো আপনাদের সমালোচনার ভয়ে মানুষ হাদিসের ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছে , এটা ভুল ধারনা। এটা জানার জন্য সদালাপ বা পীসইনইসলাম সাইটে ঘুরে আসতে পারেন। যারা কোরান বুঝে পড়া শুরু করেছে এবং কোরানের বানী নিয়ে স্বতন্ত্র চিন্তা-ভাবনা করছে , তারাই হাদিসের ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছে।
@ফারুক,
ভাই এটাকেও একটা সাফল্য হিসাবে গোনা যায়। মানুষ আজকাল কোরান বুঝে পড়তে শুরু করেছে শুধু মুক্তমনা সাইটগুলোর জন্য। আগেও কোরান-হাদিস ছিল, কিন্তু মানুষ অন্ধ বিশ্বাসের উপর ধর্ম পালন করতো। এখন মুক্তমনের বিভিন্ন বই ও সাইটগুলোর জন্য মানুষের মধ্যে কনসাস্নেস্ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই মানুষ সাধারন যুক্তিবোধের কারনে ‘হাদিসের ওপর আস্থা হারাতে’ শুরু করেছে, আপনার ভাষায় ‘কোরানের বানী নিয়ে স্বতন্ত্র চিন্তা-ভাবনা শুরু’ করলে কোরানের প্রচুর মিস্লিডিং বানীগুলোর জন্য তাদের কোরানের উপর আস্থা হারানোর ব্যাপারটা খুব সুদুরপ্রসারী বলে মনে হচ্ছেনা।
🙂
@আইভি, তৃতীয় প্রমাণ, নবীর সমসাময়িক ইতিহাস (আনুমানিক ৫৭০-৬২২ খ্রীঃ) অথবা, তার মৃত্যূর ১০, ১২ বা ৫০ বছরের মধ্যে লিখিত ইতিহাস। সেই ইতিহাস কি আমাদের হাদিসবিদরা দেখাতে পারবে? তাঁর সমসাময়িক আরবদেশগুলো না হোক, তার আশে-পাশের দেশগুলোও কি ইসলামের নবীর কোন ইতিহাস লেখেননি বা তার সম্বন্ধে লিখে যায়নি? সেগুলো কোথায় ?নুতন বিপদে ফেললেন।আসলেই মোহাম্মদ নামে কেউ ছিলেন কিনা? কোথা থেকে এ সম্পর্কে জানতে পারব? কি বল্লেন? হাদিস, ইসহাক? আপনার ভাস্য অনুযায়ী ওই সমস্ত মিথ্যা কথা………এত রাতে যাই কই :-X
@ফরহাদ,জার্মান এক প্রফেসরের মতে , মুহম্মদ একটি কাল্পনিক চরিত্র , জেসাসের মতৈ। এর কারন হোল , তার সমসাময়িক কোন নিরপেক্ষ ইতিহাস খুজে পাওয়া যাইতেছেনা।
ইতিমধ্যে অনেক তর্ক হয়ে গেছে। ওনেকেই হয়তো আমার সাথে একমত হবেন না, তা জেনেও প্রবন্ধটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করবো।
শিরোনামের সাথে মিল রেখে দারুণ উপসংহার টেনেছেন। ইসলাম ও ইসলাম অনুসারীদের নিয়ে এমন বাস্তব প্রামাণিক যুক্তিনির্ভর সমালোচনামুলক প্রবন্ধটির মধ্যভাগে ৬ষ্ঠ প্যারাগ্রাফটা যেন বেমানান মনে হলো। আসলে ইসলাম ঠিক কি চায়? এখান থেকে শুরু করে He just loves popping them, তাই না? এতটুকু কথা উচু মানের এমন সিরিয়াস একটি প্রবন্ধে না থাকলেও চলতো। যথেষ্ট যুক্তি প্রমান দিয়ে আল্লাহ, মুহাম্মদ, কোরান, হাদীস ও ইসলাম সম্মন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ খোলে দেয়া বা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে এই প্রবন্ধে। এরপর মুহাম্মদকে চেনার ভার, তাকে কোন নামে ডাকা উচিৎ, তা পাঠকের উপর ছেড়ে দিলেই হয়তো মানাতো ভাল।
সব শেষে আগামীতে এরকম যুক্তিনির্ভর (শুদ্ধ বানানের ) আরো লেখা চাই- :yes: :rose2:
@আকাশ মালিক, :yes:
অন্তর্জালে এবং বাংলায় আগে কখনো না লেখার কারনে আমার লেখায় প্রচুর বানান ভূল এবং লেখনীও বেশ দুর্বল এবং এই সাইট টি আগে কখনো ব্যাবহার না করায় “উদ্ধৃতি” করতে ব্যার্থ হয়েছি এবং তা কেবল প্রকাশের পর বুঝতে পারায় সম্পাদন করা সম্ভব হল না, এর জন্য আমি দুঃখিত।
আমি এমনিতেই আশাবাদি এবং এখনো আশা করছি আমার দুর্বল লেখাটি আপনাদের গুনী পাঠকচোখ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।
এই পাতায় অপ্রাসঙ্গিক, তবে গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ রচিত এবং আমার পছন্দের দুটি লাইন উল্লেখ করছি। যা আমাকে আশাবাদী করে এবং আপনাদেরও জানাতে ইচ্ছে করছে :
” অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক
জোছনায় পাক সামান্য ঠাই”
“ভোগবাদ” কি আমন্ত্রনিয়? মানবতাবাদ কি শুধু ধর্মে বাধাগ্রস্থ? গঠনমূলক আলোচনা কি নিজেদের বাইরে রেখে বাকী সবকিছুর সমালোচনা? ধর্মের দ্বারা সমাজে কোন প্রকার সূফল কি ইতিহাস কখনোই দেখেনি? “পরিনয়” নির্ধারণ করে আলোচনায় যুক্তির ব্যাবহার কি নিজের মুক্তমন টা কে বদ্ধ করার প্রয়াস বলা যায়? আমি এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পেরে এই সাইটে আসা শুরু করলাম এবং বেশ কিছু আলচনাকারীর লেখায় মুগ্ধ হয়ে নিজেকে গঠন করার লক্ষ্যে নিয়মিত লেখা গুলো পড়ার চেষ্টা করছি। আমার মনে উপরের প্রশ্নগুলো জেগেছে প্রবন্ধটা পড়ে,কোন “মুক্তমনা” যদি একটু দেখে কিছু বলতেন তবে বোধ করব পরীক্ষার আগে “মুক্তমনা” তে মূগ্ধ হয়ে সময়ের মূল্য দিয়েছি। মূল্যবোধ গঠনের উপায়ই মানুষের মতামত গ্রহন, আর মতামত তৈরীর উপায়ই তো মত প্রকাশ। ধন্যবাদ-সূখী হোক মানূষ
@oni,
আমি আপনার কাছে জানতে চাইব ধর্ম আমাদের কি দিয়েছে যেটা ধর্ম ছাড়া মানব সমাজের অন্য আর কোন কর্মকান্ড দিতে পারতো না। এমনকি নুহ, মেরাজের গল্পের চেয়ে হাজারগুনে উতকৃষ্ট গল্প আমাদের দিতে পারে হ্যারি পটার কিংবা লর্ড অফ দ্যা রিংস।
@আল্লাচালাইনা,
মানব সমাজের কর্ম-কান্ডের মাঝেই ধর্ম অন্তর্গত।এক ছাতার নিচে সবাই কে নিয়ে এসে শক্তিশালী গোত্র তৈরী করার লক্ষেই মানব সমাজে ধর্মের উৎপত্তি।
আপনি বলেছিলেন :
মানব সমাজের অন্যান্য কর্ম-কান্ডের চেয়ে ধর্ম যেটা দিয়ে বেশ সফল হয়েছিল তা হল দূর্বল,আশাহত,অত্যাচারীত,শোষিতদের বেচে থাকার এবং সূখী হবার প্রেরনা। “ঈশ্বর/আল্লাহ/ভগবান দূর্বলের সাথে থাকে”- “অত্যাচারীদের শাস্তি সয়ং ঈশ্বর দিবে” – “ইহকালে বন্চনার শিকার মানুষ পরকালে অনন্ত সূখ পাবে” ,এই সকল “মিথ্যা” দ্বারা পরাজিত মানুষদের কষ্ট লাঘব করেছে ধর্ম।এবং সেই সাথে অনেক আস্তিক অপরাধীদের ” পাপের শাস্তি পরকালে বীভিষীকাময় “- এই ভয় দেখিয়ে দমন করেছে।ধর্মের এই চরমপন্থী হুশিয়ারি শুধু ভাগ্যহতদের সপ্নই দেখায়নি বরং তাদের ক্ষোভ দমন করতেও সহায়ক ছিল। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হলে সমাজ হত চরম অরাজক। যেহেতু সংখ্যায় ধর্মপালনকারীরা গরিষ্ঠ সূতরাং সামাজিক নিরাপত্তাবিধানে ধর্মের চরমপন্থী ধরনের “মৃত্যু পরবর্তী রূপকথাগুলো”
মানব সমাজের নিরাপত্তাবিধানে বেশ অবদান রেখেছে।
মানুষের মেধাবিকাশে সহায়ক মাধ্যমগুলো বিজ্ঞানযুগে এসে প্রভূত উন্নতি করায় মানুষ আজ স্বয়ং সম্পূর্ন হবার পথে (পথে বলার কারন বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতি) তাই আজ আর ধর্মের প্রয়জন নেই “সামাজিক সভ্য” হবার জন্য তবুও ইতিহাসে একটা উল্লেখযোগ্য সময় ধর্ম কি আমাদের “সামাজিক সভ্য” করে রাখেনি? আপনার প্রশ্ন ছিল ধর্ম কি দিয়েছে যা সমাজের অন্য আর কোন কর্মকান্ড দিতে পারতো না। আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম যে সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে ধর্ম অন্য কর্মকান্ডের চেয়ে কিছুটা সফল ছিল একটা সময়।
নূহ অথবা মেরাজের গল্প তো গল্পকে তো গল্পই বললেন তবে আমি কিন্তু
বিদেশি ঐসব গল্পগুলোর থেকে বেশি উতকৃষ্ট মনে করি ঠাকুরমার ঝুলি অথবা চায়নিজ রুপকথা কারন এইসব গল্পে মানবাতাবাদ ছিল মূলে।
ধন্যবাদ আপনাকে,
সূখী থাকবেন, সূখে রাখবেন , স্বদেশ গড়ে তুলবেন।
@Oni,
আপনি বলেছেন
বিশ্বের ইতিহাসে যত বড় রকমের বিভীষিকাময় অপরাধ ঘটেছে তার বেশিরভাগই ঘটিয়েছেন এমন কেঊ, ঈশ্বরের প্রতি যার অগাধ আস্থা ছিল। আশা করি আমাকে উদাহরণ দিতে হবে না। আপনি এই পেজের উপরের ব্যানারে আইনস্টাইনের উক্তিটি না হয় আর একবার পড়ে নিন।
@অভীক,
নাহ। গণঘাতক্দের সাথে আস্তিকতা বা নাস্তিকতা না আনায় ভাল। কারন স্টালিন বা পলপট যেকোন ধার্মিকের থেকে বেশী লোক মেরেছেন।
হিটলার স্টালি্ন এদের থেকে একটাই সত্য বেড়িয়ে আসে-
মানুষের থেকে উঁচুতে আদর্শবাদকে যখন বসানো হয়- সমস্যার শুরু কিন্ত সেই খানে। ইসলাম পালন কোন গুণাহ না-কিন্ত কেও ইসলামে মুগ্ধ হয়ে, ইহা সবাইকে পালন করতে হইবে বলে প্রতিবেশী বিধর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে-তাহলে মুশকিল। কমিনিউ্জমের সমস্যাও সেখানে। তারাও প্লুরালিজমে বিশ্বাস করে না-ফলে খুন করতে দ্বিধা বোধ করে না।
@অভীক,আপনার উদ্দেশ্যে আমি যা বলতে চেয়েছিলাম বিপ্লব পাল একদম তাই বলেছে বরং আমার সম্ভাব্য জাবাবের চেয়ে অনেক ভাল করেই তিনি বলেছেন।
আমি শুধু উনার সাথে চরম সহমত প্রকাশ করছি।
“সবার উপর মানুষ সত্য”
আমাদের উচিৎ মস্তিস্কের যথাযথ প্রয়োগ
লেখাটা একা যেমন বলেছেন: অগ্নিগিরির উদ্গীরণ।
লেখা শক্তিশালী। লেখায় ব্যঙ্গ, হুল, ধার, সৌন্দর্য সবই ফুটেছে দারুণ। কিছু ব্যাপার অবশ্য নিতান্তই পানসে হয়ে গেছে আক্রমণের তীব্রতায়। আসল দুর্বলতা ঢেকে এসব দিকেই চোখ পড়বে বিরুদ্ধতাবাদীদের।
তবে, আপনার কাছে একটা অনুরোধ।
এসব নিয়ে লিখছেন, লিখুন। এসব নিয়ে আপনি ছাড়াও আরো অনেকেই লিখবেন। কিন্তু, আণবিক জীববিজ্ঞানে আপনার দক্ষতা বা শিক্ষার ফলাফল হিসেবে সে-বিষয়টি নিয়ে লেখার মতো লোক শুধু ব্লগে নয়, বাংলা ভাষার বিজ্ঞানলেখকদের মধ্যেই আছেন কি না সন্দেহ।
তাই, অভিজিতের সাথে সুর মিলিয়ে এ-নিয়েও আপনার লেখার জোর দাবি জানাচ্ছি। দরকার হলে ওতেই আপনি তুলোধুনো করুন না সৃষ্টি বা আইডিবাদীদের।
আরো লেখার জোরদার দাবি জানাচ্ছি। :rose2: :rose2: :rose2:
পু: লেখার কোথাও কোথাও হুমায়ুন আজাদের শৈলী চোখে পড়লো।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, হ্যা লিখবো সেটা নিয়েও লিখবো আশা আছে ভবিষ্যতে কোন সময়। আর না হুমায়ুন আজাদের শৈলী কোথাও ছিলো না, প্রাপ্যের চেয়ে বেশী প্রসংশা করে ফেলেছেন বোধহয়।
আপনার বক্তব্য যে কতটা সঠিক তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। একটা নারীকে সূরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াত পড়ে ইসলামে নারীদেরকে কতটা মর্যাদা দিয়েছে জানতে চাইলাম , তো সে বলল- আমাকে আরও বেশী পড়তে হবে। যদিও আমার যথেষ্ট সন্দেহ সে নিজেই কিন্তু বেশী না পড়ে কাঠ মোল্লা বা ইদানিংকার তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদদের কথাই উদ্ধৃত করেছে। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম উক্ত আয়াতে তো সব কিছু অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে নারীদের উপর পুরুষরা কর্তৃত্ব করবে সেটাই বলা হয়েছে, এটা বুঝতে আরও কি পড়তে হবে। সে কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বিষয় পরিবর্তন করে ফেলল। তো এই হলো ব্রেন ওয়াশ। নারীরা সরাসরি দেখার পরও , তারা নির্যাতিত ও অপমানিত হবার পরও তাদের বিশ্বাসে কোন ঘাটনি নেই। হে আল্লাহ, পরোয়ার দিগার, তুমি সত্যি সত্যি এদের হৃদয়ে কঠিন সিল মেরে দিয়েছ। এমন সিল যা কোন কিছু দিয়েই উঠানো সম্ভব নয়। এখন কি দয়া করে এমন কোন ইরেজার পাঠিয়ে দেবে যা দিয়ে সে সিল তুলে ফেলা যায় ও নারীরা অত্যাচার ও অপমানের হাত থেকে রক্ষা পায় ?
দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুক্তমনার মডারেটর হবার কারণে আগ্রহ না থাকার পরেও শুধুমাত্র দায়িত্বের কারণে সব লেখাগুলো বা মন্তব্যগুলোতে একবার হলেও চোখ বুলিয়ে যেতে হয়। এটা যে কী পরিমাণ একটা কষ্টের এবং দুর্বিষহ অত্যাচারের কাজ তা একমাত্র আমি আর অভি ছাড়া আর কেউ জানে না।
চৌদ্দশ বছর আগে মরে ভুত হয়ে যাওয়া এক লোক, তার স্রষ্টার কাছ থেকে পাওয়া এক হাস্যকর ধর্মগ্রন্থ, তার প্রচারিত এক মধ্যযুগীয় এবং মধ্যপ্রাচীয় ধর্ম আর সেই ধর্মের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য স্বীকারকারী লোকজনকে নিয়ে মুক্তমনায় যে পরিমাণ ত্যানা প্যাচানো হয় তা রীতিমত বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে। লেবু বেশি কচলালে যেমন শুধু তিতাই ঝরে, এই সমস্ত আলোচনা থেকে এখন ছলকে ছলকে শুধু তিক্ততাই বের হচ্ছে। এই তিক্ততার মধ্যে এখন নব্য সংযোজন হচ্ছে যৌনতাভিত্তিক নোংরা কথামালা দিয়ে বাদানুবাদ করা।
পাঠকদের কী অবস্থা জানি না। তবে আমি সত্যি সত্যিই ক্লান্ত, বিরক্ত, বিতৃষ্ণ এবং বড্ড অসহায়। মুক্তমনা থেকে কোনভাবে যদি ছুটি নিতে পারতাম কিছুদিনের জন্যে তবে এই সমস্ত লেখাগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবনানন্দের একটা কবিতার বই নিয়ে বসে থাকতাম নীল জলের পাশে।
@ফরিদ আহমেদ, :yes:
@ফরিদ আহমেদ,
:yes: :yes: :yes:
@ফরিদ আহমেদ, আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে নিলাম। অন্যান্য সদস্যদের ভালোর জন্য আপনার কষ্টকর দায়িত্ব কাধে তুলে নেওয় ও পালন করে চলাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
কিছু মানুষ কষ্ট করে ত্যানা পেচিয়ে আমাকে বিরক্ত করে তুলতে পেরেছিলো বলেই বোধহয় তাদের লেখাগুলো পড়ে আজ আমি মুক্তমনা, নাহয় বোধহয় ইসলাম ছাড়া আমার জন্য কষ্টকর বা অসম্ভব কিছুই হতো। আমি অনুধাবন করতে পারতাম না কেনো চৌদ্দশ বছর আগে মরে ভুত হয়ে যাওয়া এক লোক, তার স্রষ্টার কাছ থেকে পাওয়া এক হাস্যকর ধর্মগ্রন্থ, তার প্রচারিত এক মধ্যযুগীয় এবং মধ্যপ্রাচীয় ধর্ম আর সেই ধর্মের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য স্বীকারকারী লোকজনকে না বলতে হবে। আমি যেই অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি তা আপনি অনেক আগেই অতিক্রম করে ফেলেছেন। আমিও আশা রাখি একসময় এটা অতিক্রম করে ফেলে জীবনানন্দের একটা কবিতার বই নিয়ে বসে থাকতে পারবো নীল জলের পাশে। ততদিন পর্যন্ত আমরা যেনো ভালো থাকি। অপ্রাসঙ্গীক হলেও একটা কথা জানবেন মানুষকে ঘৃণা করিনা কখনোও।
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই এর কথায় কিছুটা দ্বি-মত করতে হচ্ছে। যে প্রসংগ নিয়ে উনি বিরক্ত সে প্রসংগটা খুবই নোংরা এবং অপ্রীতিকর হলেও এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। হয়ত এই লেখার প্রসংগে নয়, তবে এ বিষয়ে ভাল বিশ্লেষনী লেখা এখনো তেমন দেখিনি।
ধর্ম জগতের প্রায় সবারই মোটামুটি কমবেশী তেমন ধারনা থাকে, আমার নিজেরও অতটা প্রকট না হলেও কিছুটা আছে। ধর্মহীন সমাজ পুরোপুরী নৈতিকতা বিহীন হয়ে যাবে কিনা এ বিষয়টা ভালভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার।
ধর্ম এবং বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখির কারনেই মুক্তমনার বিশেষত্ব বলেই আমার মনে হয়। কাজেই ঢিল ছোড়া হয়ে গেলে যেমন আর ফেরানো যায় না তেমনি ধর্মীয় লেখা বাদে মুক্তমনাও আর ভাবা যায় না।
এই পোস্টে আলোচনাকারীদের নোংরা দিকে আলোচনাকে নিয়ে না যাবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আলোচনা যদি অনাকাংক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করে তবে মুক্তমনা থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমি জানি না কিছু সংখ্যক ধার্মিক ভাই নাস্তিকদের প্রতি এইরকম হোলসেল ঘৃণা কিভাবে মনে পুষে রাখেন। প্রায়ই আজকাল ধর্ম বিষয়ক বিতর্কের এক পর্যায়ে অবধারিতভাবে শুনতে হয় যে ধর্মের খুব কঠিন প্রয়োযন এই কারনে যে ধর্মহীন মানুষ হল পশুতূল্য।
পাশ্চাত্যর ধর্মহীন মানুষ নাকি ভাই বোনের সাথে মা ছেলের সাথে অবাধে যৌনাচার করে বেড়াচ্ছে। এমন ধারনা অসম্ভব বলে মনে হলেও এক শ্রেনীর ধার্মিকেরা বড় গলা করেই দাবী করে যাচ্ছেন। আমি জানি না সমস্যা কোথায়, মানসিকতয় নাকি মস্তিষ্কে।
একটি উদাহরন এখানে দেখতে পারেন হাতে সময় থাকলে। ব্যাপক বিনোদনও পাবেন। বিবর্তনে অবিশ্বাসী এই ভদ্রলোকের সাথে হোরাস ভাই, আমি, এবং যুদ্ধদেব ধৈর্য্যের সাথে প্রথমে তাকে ভদ্রভাবেই বোঝাতে চেষ্টা করি। এরপর পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। এই ভদ্রলোক পরে গায়ের ঝাল ঝাড়তে তার আরেকটি মুক্তো ঝরানো লেখায় দাবী করেছেন যে তিনি কোথায় নৌবিহারে গিয়ে নাকি স্বচক্ষে পশ্চীমের মানুষদের তেমন কার্যকলাপ করতে দেখেছেন।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই, এক বদ্ধ উন্মাদের সাথে আপনার তর্ক দেখলাম। কেন যান এইসব ফাউলদের সাথে তর্ক করতে? এরা তো ভদ্রতা জানেনা। মানুষকে তো এরা সম্মান দেয়না। তারপরও কেন যান এদেরকে বুঝাতে?
@মিঠুন,
উন্মাদদের নির্দ্বিধায় উন্মাদনা প্রচার করতে দেওয়াটা কি ঠিক? এদের কথা শুনে সাধারন ধার্মিক বহু লোকে বিভ্রান্ত হয়, ক্ষতি হয় পুরো সমাজের।
ধর্মের নামে এভাবেই হাজার বছর ধরে আবর্জনা জন্মেছে, কারন এগুলির বিরুদ্ধে কথা বলার তেমন উপায় ছিল না। আগে ইন্টারনেট বা মিডিয়া ডিজিটাল মিডিয়া না থাকার কারনে প্রতিবাদের একমাত্র উপায় ছিল সামনাসামনি, তাতে এসব উন্মাদসম লোকেরা সবসময়ই সুবিধে পেয়েছে। ভিন্নমতের লোককে গায়ের জোরেই দাবাতে পেরেছে।
এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। সে অভদ্র হোক আর যাই হোক, আমিও তো তাকে ছাড় দেইনি 🙂 ।
বিসমিল্লাহির রাহামানির রহিম
Shahbaz Nazrul সাহেবের নিকট কতিপয় প্রশ্ন
শাহাবাজ নজরুল সাহেব আল্লাচালাইনার লেখাটি পড়িয়া বড়ই ক্রুদ্ধ হইয়াছেন বুঝা যাইতেছে। তিনি আল্লাচালাইনাকে ধোলাই দিবার মানসে একটি বেহেস্তী টু ডু লিস্ট বানাইয়াছেন। আর তাহা বানাইয়া উনি দারুন উৎফুল্ল। আসুন আমরা তাহার টু ডু লিস্টটি বিশ্লেষণ করি-
উনি ধরিয়া লইয়াছেন মা, বোন কিংবা মেয়ে সন্তান-দের সাথে সহবাস করা ইসলামে নিষিদ্ধ। আর মুসলিম সম্প্রদায় ছাড়া সবাই দেদারসে অজাচার আর সহবাস করিয়ে বেড়াইতেছে। ইহা কি সত্য? আপনারা কি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান, নাস্তিক কাহাকেও আপন মা, বোন কিংবা মেয়ে সন্তান-দের সাথে সহবাস করিতে দেখিতেছেন? তা হইলে এই নৈতিকতা ইসলামের একচেটিয়া বলিবার মানে কি, বয়ান করিবেন নজরুল সাহেব? পশ্চিমা বিশ্বেই বা কয়জনকে আপনি দেখিয়াছেন যে অজাচার করিয়া বেড়াইতেছে?
আর অজাচারের জন্ম যদি দেখেন তবে কি আপনার ইসলামকে প্রথমে দোষ দেওয়া বাঞ্চনীয় নয়? আদম হাওয়া হইতে মনুষ্য সৃষ্টির কাহিনীতে আপনি বিশ্বাস করিলে আর তাহাদের সুসম্পর্ক হইতে মানব জাতি আসিয়া থাকিলে আপনি বলুন তো আদম হাওয়ার সন্তান সন্ততিরা কি অজাচার ছাড়া তাহাদের বংশবৃদ্ধি করিয়াছিলেন? ভাইবোনে সঙ্গম ছাড়া আপনার মতো আদমের সন্তানেরা পৃথিবীতে আসিল কিরূপে?
আরো দেখুন অজাচারের উদাহরণ আপনার মহানবীর (তাহার উপর শান্তি বর্ষিত হউক) জীবনেই রহিয়াছে। তিনি কি তাহার পালকপুত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নবের মোহে দিওয়ানা হইয়া তাহার প্রতি লালায়িত হয় নাই? আপনি তাহার যোগ্য উত্তরসূরী হইয়া এহেন পরামর্শকে আপনার নিজের লিস্টেই নিরাপদে ঢুকাইয়া লইতে পারেন।
মামুজান কি আজকে হার্ডকোর পর্ন দেখিয়া ব্লগে আসিয়াছেন নাকি? আপনার বেহেস্তি ভাষায় তো তাহাই মনে হইতেছে। খালি পশ্চিমা বিশ্বকে দোষ দিতেছেন কেন ? গ্রপ সেক্স তো খোদ আল্লাহ তালাই অফার করিয়াছেন আপনাদিগের মত সাচ্চা ইমানদার আদমীকে। বেহেস্তে যে আপনি সত্তুরটি হুরীর সহিত একই সাথে সহবাস করিবেন, তাহা কি ভুলিয়া গেছেন জনাব?
আর আমাদের মহানবী (তাহার উপর শান্তি বর্ষিত হউক) ১৮ জন স্ত্রী, দুই জন স্লেভ গার্ল আর ময়মুনা খাওলাদের সহিত একই সাথে রাত্রি জাপন করিতেন [হাদিস শরীফে আছে তিনি এক রাত্রিতেই ১১ জন পার্টনারকে আনন্দ দিতে পারিতেন, তাহা কি ভুলিয়া গেছেন?] সব মাছেই কী না কী খায়, আর দোষ হয় ‘পশ্চিমা মাছের’ ?
ইহাও আল্লাহ আপনার জন্য বরাদ্দ রাখিয়াছেন। আর তাহা ছাড়া, আপনার শয্যাশঙ্গী যখন আপনার সাথে রাত কাটানো শিখিয়াছেন, খামারে যাওয়াটা তাহার জন্য খুব বেশি কষ্টের ব্যাপার হইবে না আশা করি।
জাজাকাল্লাহ হাফিজ।
@কবিরা গুনা, শুধু শুধু নিজের সময় নষ্ট করলেন, আপনার কি ধারণা জাহাবাজ নজরুল আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়ার জন্য ফিরে আসছে?
@আদিল মাহমুদ,
মোহাম্মদ বালিকাটিকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি আয়াতও নাজিল করিয়েছিলেন। বালিকাটিকে ব্যবহার না করে তিনি কি সুখ পেতেন?
@Adnan Lermontov,
তিনি বালিকা বিবাহ করেছিলেন, এতে তো সন্দেহ পোষন করছি না। বালিকা বিবাহ করতে আয়াত নাজিল করেননি, আয়াত নাজিল হয়েছিল পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে।
বালিকা বিবাহের ব্যাপারে একটি হাদীস আছে যাতে তিনি এই বিবাহকে আল্লাহ তাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন বলে দাবী করেছেন।
বালিকা আয়েশাকে নি:সন্দেহে তিনি কামনা করেছিলেন, তবে সে যুগের পরিপ্রেক্ষিতে এটাকে শিশু নির্যাতন বলা যায় না। সে যুগে এসব সাধারন ব্যাপারই ছিল। মাত্র ১০০ বছর আগে আমাদের প্রিয় রবী ঠাকুর ও বালিকা বিবাহই করেছিলেন, যদিও কোন স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হননি, বা তার বয়স তখন ৫০ ছিল না।
আমার পয়েন্ট এ ঘটনার ভিত্তিতে তাকে ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার বলা কতটা যুক্তিযুক্ত সেখানে। বলা যায় যে তিনি ইন্দ্রিয়পরায়ন ছিলেন (সে যুগে সেক্স ছিল মানুষের বিনোদনের অন্যতম সেরা উপায়), ইন্দ্রিয়কে তিনি পুরোপুরি জয় না করতে পেরে সাধারন মানুষের কাতারেই ছিলেন।
@আদিল মাহমুদ,
ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার না বলে কুখ্যাত সেক্স পারভার্ট বললে অযৌক্তিক হবে না। মোহাম্মদ যখন আয়াশার বাবার নিকট আয়শাকে বিয়ে করার খায়েশ ব্যক্ত করেন তখন আয়েশার বাবা (সিদ্দিক) মোহাম্মদকে বলেছিলেন “কিন্তু আপনিত তার চাচা”। কিন্তু শিঘ্রী সিদ্দিক বুঝতে পারেন যে মোহাম্মদের মত ক্ষমতাধর লোকের কুনজরে পড়লে তাঁর কি পরিণতি হবে। কাজেই তাঁর এই আপত্তি টিকে নি। কিন্তু আমার পয়েন্ট হল নিশ্চয়ই সে যুগেও চাচার মর্যাদার কারও নাবালিকা ভাস্তিকে বিয়ে করাটা অনৈতিক ছিল। তা না হলে সিদ্দিক এটা বলতেন না। সেক্স পার্ভাট ছাড়া সেক্স ভণ্ডও বলা অযৌক্তিক হবে না। নিজে ১১ টা বিয়ে করে বাকী সব মুসলিমদের জন্য চারটা লিমিট করে দিলেন। নিজে যায়েদের স্ত্রীকে চাতুরীর দ্বারা তালাক করিয়ে বিয়ে করলেন আর কুরানে নির্দেশ দিলেন তাঁর মৃত্যুর পর যেন কেউ তাঁর কোন স্ত্রীকে বিয়ে না করে।
@যাযাবর,
আপনার যুক্তি অকাট্য। এসব ঘটনা নিঃসন্দেহে তার ইন্দ্রিয়পরায়নতারই স্বাক্ষ্য দেয়, ছলনার আশ্রয়ও তিনি নেন বলেই খোলামনে বিচার করলে প্রতীয়মান হয়।
আসলে, সে আমলে সেক্স ছিল বিনোদনের একটি অন্যতম সেরা উপায়। যিনি যত ধনী, ক্ষমতাবান তার হারেমে তত বেশী বিবি থাকবে এটাই ছিল রীতি। এ জন্য তারা ছল বল যেকোন কিছুরই আশ্রয় নিতেন।
@আদিল মাহমুদ,
তীব্র দ্বিমত। এটা নির্যাতন কিনা সেটা আমি বা আপনি আমাদের অবস্থান থকে বিচার করে ঘোষণা দেওয়ার কোন অধিকারই রাখি না। কি নির্যাতন বা কি নির্যাতন নয় সেটা আপনাকে বিচার করতে হবে নির্যাতিতের অবস্থান থেকে। দেড়হাজার কি দেড় মিলিয়ন বছর আগে হোক- আপনার কি মনে হয় একটি নয় বছরের শিশু একটা হাবড়া বুড়ো বা সুন্দর জোয়ান কারো সাথেই বিয়ে করে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে খুব উতসাহী হবে? মানুষের অনুভুতিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন এটুকু আশা রাখি। ২০১০ সালে আপনি আমাকে একটি চড় মারলে আমি যতটুকু ব্যাথা পাবো, ২০১০ খৃষ্টপূর্বাব্দে মারলে মনে হয়না তার যেয়ে কম ব্যাথা পেতাম। হযরত অপরাধী কেননা সে মানুষেরকষ্টের কারণ হয়েছে, কয় বছর আগের লোক সে ছিলো এটা আলোচনার কোন প্রসঙ্গই হতে পারে না।
@আল্লাচালাইনা,
আমারও দ্বি-মত আছে এখানে আপনার সাথে। এ সম্পর্কে আয়েশার নিজের মুখের বানীসহ বেশ কিছু হাদীস আছে। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে তেমন কিছু এখনো চোখে পড়েনি। কাজেই নির্যাতিতার নিজের বয়ানের কি তথ্য প্রমান আপনার কাছে জানি না, তবে আমার চোখে এখনো পড়েনি।
তার চেয়েও বড় কথা, সেই একই কথা। মানুষ কোনটা স্বাভাবিক আর কোনটা স্বাভাবিক নয় বা নির্যাতন তা অনেক সময় পরিবেশ পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে। আজকের যুগে একটি শিক্ষিত পরিবারের ১২ বছরের মেয়েকে যদি ৫০ বছরের কোন লোকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই ৫০ বছরের লোক তাকে অত্যন্ত আদর যত্নেও রাখে তবুও সেই মেয়ের কাছে এই জীবন মনে হবে নরক সম।
তবে মাত্র ১০০ বছর আগেও তেমন ঘটনা ঘটলে, এবং স্বামীপ্রবর তাকে মারধর করলেও হয়ত সে কিছু কান্নাকাটি নীরবে নিভৃতে করা স্বত্ত্বেও ধরে নিত যে ওটাই তার স্বাভাবিক জীবন।
আরো ধরেন মাত্র ১০০ বছর আগের হিন্দু বিধবাদের জীবন কি নরকতূল্য ছিল তা চিন্তা করলেও গা শিউরে ওঠে। নি:সন্দেহে তাদের জীবন ছিল ভয়াবহ। তবে সেই ভয়াবহ জীবনও বহু বিধবার কাছে ছিল পরম পবিত্র। বল্পূর্বক তাদের কিছু করাতে হয়নি, নিজেরাই স্বতঃপ্রবৃত হয়ে সেসব পালন করেছে। কারন তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি তার মানসিকতা সেভাবেই গড়েছে। আজকের ভারতেও মাঝে মাঝে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কোন কোন মহিলা স্বামীর সাথে সহমরনে জ্বলন্ত চিতায় ঝাপিয়ে পড়ে।
চড় মারা বা শারিরীক শাস্তির উদাহরন সামাজিক রীতিনীতির সাথে তূলনীয় নয়।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে বিষয়টা এরকম। আল্লাচালাইনা যে টা বলতে চাচ্ছে তা হলো- যে নাকি আল্লাহর নবী, যার জীবন আদর্শ গোটা মানবজাতি কেয়ামত পর্যন্ত অনুসরন করবে, যার সাথে স্বয়ং বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সরাসরি যোগাযোগ ছিল, যাকে আল্লাহ অহরহ ওহী পাঠাত তার কখন কি করা দরকার, কাকে বিয়ে করা দরকার, কাকে তালাক দিতে হবে, দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম করতে হবে কিনা ইত্যাদি বিষয় পর্যন্তও। তার মত একটা ব্যক্তি কেন ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বছরের আয়শার সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হবে অথবা কেন তার মত একটা ব্যক্তির দরকার পড়ে নানা রকম কলা কৌশল করে তার পালিত পূত্র জায়েদের বৌকে তালাক দিয়ে বিয়ে করার। কেন তার মত একটা ব্যক্তির দরকার পড়ে একের পর এক ১৩ টি বিয়ে করার অথবা ডজনখানেক দাসী বাদী যৌনমজা উপভোগ করার। বিয়ে করার যদি সত্যি কোন রাজনৈতিক কারন বা মহান উদ্দেশ্য থাকত তাহলে তার প্রথম স্ত্রী খাদিজা যতদিন বেচে ছিল তখন কেন তিনি একবারও বিয়ে করার নাম গন্ধ ও নেন নি ইত্যাদি।মোহাম্মদ কোন রহিম করিম হলে কিন্তু এটা কোন বিষয় হতো না । ধরা যাক , সেই ১৪০০ বছর আগের আরব সমাজে ওটাই রীতি ছিল কিন্তু মোহাম্মদ তো দাবী করে বসলেন তিনি সর্বকালের, তার তো এমন আদর্শ স্থাপন করা দরকার যা সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য হবে ও হবে সব রকম বিতর্কের বাইরে। তার তো এমন কোন কাজ করা ঠিক না যা হাজার বছর কেন লক্ষ বছর পরেও যার সমালোচনা করার সুযোগ থাকবে না। তাই না ? অথচ তার ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনাগুলো আমরা যদি পর্যালোচনা করি বহু বিতর্কিত বিষয় আমরা খুজে পাই যদিও তা খোলা মন ও দৃষ্টি দিয়ে দেখলেই তা সম্ভব। নইলে যারা ঘোর বিশ্বাসী তারা কিন্তু আবার ওসব বিতর্কিত বিষয়ের মধ্যেও মহা যুক্তি খুজে পায়। এখন কথা হলো- মোহাম্মদ যদি আয়শার মত একটা শিশুকে বিয়ে না করত, অথবা তার পুত্রবধু জয়নাবকে বিয়ে না করত বা দাসী বাদীর সাথে অবাধে যৌনকার্য না করত বা ১৩ টি বিয়ে না করে মাত্র ২টি করত(খাদিজা মারা যাবার পর আর একটা) তাতে কি ইসলাম প্রচারে কোন অসুবিধা হতো? উনি মারা যাওয়ার পর তো বেহেস্তে ৭০ টা কেন যত ইচ্ছা খুশি হুর দের সাথে যৌনলীলা করতে পারতেন, কেন তিনি নিজে সেই ধৈর্য টুকু ধারন করে মানব জাতির সামনে উজ্জ্বল নিদর্শন তুলে ধরতে পারলেন না ? এসব না করলে অসুবিধা তো হতোই না বরং ইসলাম প্রচারের জন্য তা আরও যুক্তি যুক্ত হতো ও আজকে যেমন মানুষ তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তার কোন সুযোগই থাকত না। যুক্তি যুক্ত যে হতো- তা বোঝা যায় তার এ সমস্ত বিতর্কিত ঘটনাকে যুক্তি সিদ্ধ করার জন্য তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের মরন পন প্রচেষ্টা দেখে। একদল তাতে ব্যর্থ হয়ে ইদানিং কোরান ওনলি মতবাদ চালু করেছে আর অনেকটাই ইসলামকে অস্বীকার করার মত ধৃষ্টতা স্বরূপ, কারন কোরান হলো আল্লাহর কিতাব আর হাদিস হচ্ছে মোহাম্মদের জীবনের ঘটনা- উভয়েরই উপর বিশ্বাস রাখা ও পালন করা একজন মুসলমানের আদর্শ পরিচয়। এখন একদিকে বলা হবে মোহাম্মদ হলো সর্বকালের মহান আদর্শ ব্যক্তি ও চরিত্র যাকে সর্ব যুগে অনুসরন করতে হবে, অন্যদিকে তার কাজকর্ম গুলোর অধিকাংশই সেই ১৪০০ বছর আগের আধা সভ্য আরব সমাজের প্রচলিত রীতি নীতিকে অতিক্রম করতে পারেনি- আর যে গুলো অতিক্রম করতে পারেনি সেগুলো কিন্তু খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, এ ধরনের স্ববিরোধীতার বিষয়টিই মনে হয় আল্লাহচালাইন্যা বুঝাতে চেয়েছে- যতদুর আমার মনে হয়। যার সারমর্ম মনে হয়- মোহাম্মদ আর তার ধর্ম ইসলাম ওটা ১৪০০ বছর আগেকার আরব দেশের জন্যই সঠিক ও বাস্তব সম্মত ছিল, আজকের একবিংশ শতাব্দির জন্য নয়।
@আদিল মাহমুদ,
স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কোন মহিলা স্বামীর সাথে সহমরনে জ্বলন্ত চিতায় ঝাপিয়ে পড়লে সেটা সামাজিক রীতিনীতির পর্য্যায়ে পরে বলে একাল অথবা সেকাল কোনকালেই কি গ্রহনযোগ্যতা পাবার যোগ্যতা রাখে? আর ধর্মীয় কারনে যারা নির্যাতনের শিকার হন তারা সেই নির্যাতনটিকে সামাজিক রীতিনীতির জন্য স্বতঃস্ফুর্তভাবে বরন করে নিচ্ছেন এমনটি কি ভাবা যায়? এটা বলাই বাহুল্য যে নির্যাতনের শিকারটিকে পরকলের টোপ দেখিয়ে তার ব্রেইনটাকে ওয়াশ করে স্বতঃপ্রবৃত্তের ইমেজ আনা হয়।
অবশ্যই শিকারটির নিজের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার কোন অবকাশ থাকেনা বা নির্যাতিতার তথ্যগুলো লিপিবদ্ব করার কোন উপায় নির্যাতনকারীরা রাখেনা। নির্যাতিতার নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বলে কিছু থাকেনা বলেই আয়েশাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে তার নিজের কোন বয়ান আপনার চোখে পড়েনি।
আমি ইসলামের কেউ নই। আমার শৈশব থেকেই এটা ঘটে চলছে। কেনো আমি ইসলাম হবো- নির্যাতন করে মারা বিধায় হালাল মাংস ভুলেও আমি মুখে তুলিনা, সুপারশপের চামড়াওয়ালা মুরগী কিনে চামড়া ছিলে রান্না করি; শুধুমাত্র নিজের কাফিরত্ব অটুট রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক কি দুইবার শূকরের মাংস নিজেও খাই- বন্ধুদেরকেও খাওয়াই; আর মদ? সেটা পছন্দ করি হযরত উটের মূত্র এবং যৌনসঙ্গম যেমন পছন্দ করতো, ঠিক তেমনি; জেনা-হ্যা; ব্যভিচার- এখনও নয় তবে সুযোগ পাওয়ামাত্রই করবো; জুয়া- নিয়মিত নয়, তবে খুব তাড়াতাড়ি নিয়মিত হয়ে যাবো; সমকামিতা- এখনও নয়, তবে সুযোগ পাওয়ামাত্রই করবো। এবং আপনারা কেউ যদি জেনে থাকেন এমন কোন কাজ যেটা কিনা কোন অপরাধ না হওয়া সত্বেও ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছে দয়া করে আমাকে জানাবে; টু ডু তালিকায় যোগ করে দিবো। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সমাজের সহোদর সদস্যদের প্রতি সহমর্মীতা ইত্যাদি দিয়ে আমি আমার হৃদয়কে সিলগালা করে দিয়েছি যাতে ইমানের আলো এক ফোঁটাও প্রবেশ না করতে পারে।
—
আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী আর কিছু কাজের লিস্টি দিলাম … এগুলোও ইসলামে নিষিদ্ধ… টু ডু লিস্টে ঢুকিয়ে নিয়েন…
১. মা, বোন কিংবা মেয়ে সন্তান-দের সাথে সহবাস করা শুরু করুন। বিভিন্ন সুত্র থেকে যা দেখছি তাতে মনে হয় পশ্চিমা বিশ্ব এগূলোকে দোষের কিছু মনে করে না।
২. এক মেয়ে নিয়ে কম খাবেন কেন; পশ্চিমা গ্রুপ সেক্স পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন না কেন? মদ, মাগী আর মাতালত্ব নিয়ে পুরোপুরি মাতোয়ারা হউন। উন্নত পশ্চিমা বিশ্বের পা চাটবেন আর তাঁদের মত পূরোপুরি হবেন না কেন?
৩. মানুষেই সীমাবদ্ধ থাকছেন কেনো, প্রাণীকূলকে কেন আপনার মহা ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করবেন। পশুদের খামারে রান কাটানো শিখুন।
@Shahbaz Nazrul,
এর মানেটা কী?
সুত্রগুলো দেখান প্লীজ।
কাকে বলছেন, কেন বলছেন?
@আকাশ মালিক,
আমি ইসলামের কেউ নই। আমার শৈশব থেকেই এটা ঘটে চলছে। কেনো আমি ইসলাম হবো- নির্যাতন করে মারা বিধায় হালাল মাংস ভুলেও আমি মুখে তুলিনা, সুপারশপের চামড়াওয়ালা মুরগী কিনে চামড়া ছিলে রান্না করি; শুধুমাত্র নিজের কাফিরত্ব অটুট রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক কি দুইবার শূকরের মাংস নিজেও খাই- বন্ধুদেরকেও খাওয়াই; আর মদ? সেটা পছন্দ করি হযরত উটের মূত্র এবং যৌনসঙ্গম যেমন পছন্দ করতো, ঠিক তেমনি; জেনা-হ্যা; ব্যভিচার- এখনও নয় তবে সুযোগ পাওয়ামাত্রই করবো; জুয়া- নিয়মিত নয়, তবে খুব তাড়াতাড়ি নিয়মিত হয়ে যাবো; সমকামিতা- এখনও নয়, তবে সুযোগ পাওয়ামাত্রই করবো। এবং আপনারা কেউ যদি জেনে থাকেন এমন কোন কাজ যেটা কিনা কোন অপরাধ না হওয়া সত্বেও ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছে দয়া করে আমাকে জানাবে; টু ডু তালিকায় যোগ করে দিবো। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সমাজের সহোদর সদস্যদের প্রতি সহমর্মীতা ইত্যাদি দিয়ে আমি আমার হৃদয়কে সিলগালা করে দিয়েছি যাতে ইমানের আলো এক ফোঁটাও প্রবেশ না করতে পারে।
উপরের অংশটুকু লেখকের নিজের … উনি যেহেতু অপরাধ নয় কিন্তু তারপরেও ইসলামে নিষিদ্ধ জিনিসগুলোর তালিকা চাইলেন, তাই একটা ছোটো তালিকা দিয়েছিলাম … আশা করি লেখক আমার দেয়া তালিকা অনুসরণ করে এই কাজগুলোও তাঁর টু ডু লিস্টে ঢুকিয়ে নেবেন, যাতে কোনোভাবেই ঈমানের আলো তাঁর হৃদয়ে করতে না পারে…
এবার বুঝতে পারছেন নিশ্চয় …
@Shahbaz Nazrul,
১
কোন সূত্র থেকে দেখেছেন যে পশ্চিমা বিশ্বে মা, বোন কিংবা মেয়ে সন্তান-দের সাথে সহবাস করা দোষের কিছু না? দয়াকরে সূত্র গুলোর অন্ততঃ একটা উল্লেখ করুন।
২
এই লেখায় লেখক ঠিক কোন কোন অংশে উন্নত পশ্চিমা বিশ্বের পা চেটেছেন একটু উদ্ধৃতি করবেন কী? উন্নত পশ্চিমা বিশ্বের ঠিক কত শতাংশ লোক গ্রুপসেক্স পার্টিতে যায় তারও একটা পরিসংখ্যান দিলে ভালহয়। হাজার হোক উন্নত পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের! বহর অনেক লম্বা বলে মনেহচ্ছে।
৩
মাঝে মাঝে কি আপনার মনে পশুদের সাথে রাতকাটানোর ইচ্ছাও হয় যা কিনা ইসলাম মানা করেছে দেখে করতে পারছেননা?
@Shahbaz Nazrul,
আপনি যে টু ডু লিস্ট দিলেন সেগুলো যে ইসলামে নিষিদ্ধ তা জানলেন কি করে? লিস্টের এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কি কোরান-হাদিসে বিষদ আলোচনা রয়েছে? তা হলে তখনকার আরব সমাজেও নিশ্চয়ই এইসব চালু ছিল বলেই মনে হচ্ছে। অবশ্য যতদুর জানি মহিলা, সহবাস, সেক্স ইত্যাদি বিষয়গুলো কোরান-হাদিসের খুব প্রিয় বিষয়।
কখনো কোন বিষয় কিছুটা অতিরঞ্জিত বা বিশ্লেষনের গভীরতার অভাব মনে হলেও সামগ্রিকভাবে লেখাটির মাঝে অনেক সত্যতা আছে।
– এই কথাটা লেখার বেশ কিছু যায়গাতেই এসেছে। এ বিষয়ে আমার সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন আছে।
সেক্স অফেন্ডার কাকে বলা যায়? যিনি যুগের রীতিনীতি মেনে একাধিক এবং নাবালিকা বিবাহ করেন তাকে কি সেক্স অফেন্ডার বলা চলে? একাধিক বিয়ে জগতে বহু লোকেই করেছে। প্রাচীন কাল থেকে মধ্যযূগ পর্যন্ত একাধিক পত্নী/উপপত্নী রাখার নজির আরো বহু আছে। এখনো পাওয়া যাবে। নাবালিকা বিবাহের নজিরও তেমনি আছে। এদের কি সেক্স অফেন্ডার বলা চলে?
অন্যতম কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার বলতেই আমরা কি বুঝতে পারি? নবী মোহাম্মদের মত “সেক্স অফেন্ডার” ইতিহাসে খুবই বিরল?
@আদিল মাহমুদ,
প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। মুহাম্মদ নিজেকে শেষ নবী বলে দাবি করেছেন। তিনি ছাড়া আর যে কেউ এ ধরণের অপরাধের সাথে যুক্ত হোক বা না হোক সে এ কাজকে চিরদিনের জন্য অনুসরণীয় করে যাবার প্রয়াস পায় নাই। তাই মুহাম্মদের ব্যাপারে এ অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়া ছাড়া উপায় নাই।
মুহাম্মদ আয়েশাকে শিশু অবস্থায় বিয়ে করে চিরিকালের জন্য এ ধরণের শিশু ধর্ষণকে বৈধ করে দিয়ে গেছেন মুসলমানদের জন্য। তাছাড়া পালক পুত্রের বধুকে ষড়যন্ত্র করে বিবাহের মত ইতরামিও তিনি করেছেন যার জন্য মুসলমান সমাজে দত্তক নেয়াকে উৎসাহিত করা হয় না, কারণ যিনি মা হয়ে একটা ছেলেকে লালন পালন করলেন তার সাথে নাকি দত্তক নেয়া সন্তানের বিবাহ চলে – এজন্য দত্তক নেয়া ছেলে বড় হলে তাকে পরপুরুষ হিসাবে গণ্য করতে হয়।
এছাড়া এতগুলো বিয়ে মুহাম্মদ কোন দুঃখে করলেন -যখন নিজেকে নবী বলে ঘোষণা দিলেন। এছাড়া দাসীদের সাথে তাদের অমতে যৌনতা কি তিনি বৈধতা দেন নি?
@সৈকত চৌধুরী,
অভিযোগের ব্যাপারে আমার কোন আপত্তি বা বক্তব্য নাই। শিশু আয়েশাকে বিবাহ বা বহু বিবাহ, পালক পুত্রের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে নিজে বিবাহ, গনিমতের মাল হিসেবে যুদ্ধবন্দী নারী গ্রহন এসবের বিবরন বিভিন্ন সহি ইসলামী সূত্রেই পাওয়া যায়। নিঃসন্দেহে এসব উদাহরন সর্বযুগের আদর্শ মানবের উদাহরনের সাথে খাপ খায় না।
তাই বলে ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার বলতে তার উদাহরন খুব যুক্তিসংগত বলে মনে হয়?
এসব উদাহরন কিন্তু আজকের দিনে সাধারন মুসলমানেরা পালন করা দূরে থাক, উল্লেখও করে না। কাজেই তার ওসব কাজের জের আজকের দিনেও লক্ষ্য করা যায় এমন কোন বাস্তব পর্যবেক্ষন প্রসূত ধারনা ঠিক নয়। যদিও মুসলমানেরা এসব নিয়ে নানান ধানাই পানাই করে যা একটি স্ব-বিরোধী অবস্থানে যায়। সে প্রসংগ ভিন্ন।
যেসব কার্যাবলির উপর ভিত্তি করে তার চরিত্র বিশ্লেষন হচ্ছে সেগুলি যে সে আমলে তিনি ব্যাতিক্রম হিসেবে একাই করে গেছেন এমন কথা কি বলা যায়? সে যুগে তো ওসব কাজকারবার রাজা গজারা সর্বদাই করে বেড়াতো। সে যুগের রীতি অনুযায়ী বালিকা বিবাহ এবং আজকের দিনের পেডোফাইল কি এক কাতারে বিচার করা যায়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১০ বছরের বালিকা বিবাহ করেছিলেন বলে তাকে ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার কবি বা পেডোফাইল কবি বলে চিহ্নিত করা যুক্তিসংগত হবে (হতে পারে তিনি নবী নন)? আমরা কি একজন পেডোফাইলের লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসেবে ভক্তিভরে গাই নাকি তিনিও সে যুগের ধারা অনুযায়ী সামাজিক রীতিই অনুসরন করেছিলেন মাত্র বলতে পারি? আশা করি নবী বলেই মোহাম্মদ পেডোফাইল হয়ে গেছেন এবং রবী ঠাকুর নবী নন বলে পেডোফাইলের তালিকায় পড়েন না এমন কথা বলবেন না।
@আদিল মাহমুদ,
তিনি ‘সবচেয়ে কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার’ বলেননি, বলেছেন ‘ অন্যতম কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার’ যেটা আপনিই উল্লেখ করেছেন আপনার আগের মন্তব্যে 🙂 ।
আর কে সবচেয়ে কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডার ওটা যেহেতু নির্ধারিত নয় তাই হযরতকেও এ বিতর্কে আনা যায়, তাই না??
@সৈকত চৌধুরী,
হ্যা, এখানে আমার ভুল হয়েছে বটে। উনি সবচেয়ে কুখ্যাত বলেননি, তবে অন্যতম কুখ্যাত বলেছেন। সবচেয়ে কুখ্যাত আর অন্যতম কুখ্যাত অভিধা দুটির পার্থক্য থাকলেও মনে হয় না খুব বেশী পার্থক্য সাধারনভাবে বোঝায়।
পৃথিবীতে কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডারদের তালিকা প্রস্তুত করতে দিলে তাতে নবী মোহাম্মদের নাম আসছে এই চিন্তা কি খুব যুক্তিসংগত বলে মনে হয়?
এ যুগে সিরিয়াল রেপিষ্ট আর চাইল্ড মলেষ্টারদের তালিকা বের করতে শুরু করলে মুক্তমনার পুরো সার্ভার ভরে যাবে। আমেরিকারই কত মেয়ে শিশু অবস্থায় তার নিজে বাবার দ্বারা রেপ হয় তা জানেন তো? আর প্রাচীন আমলের কথা তো বাদই দিলাম। এতসব কৃতবিদ লোকদের বাদ দিয়ে নবী মোহাম্মদের নাম অন্যতম হিসেবে আসা যৌক্তিক মনে হয়?
রবী ঠাকুরের ব্যাপারে তো মত জানালেন না। ওনাকে আমরা অন্যতম কুখ্যাত পেডোফাইল কবি হিসেবে অভিহিত করতে পারি? বা গান্ধিজীকে ভারতের পেডোফাইল জাতির পিতা?
@আদিল মাহমুদ,
আপনি একটা বিষয় খেয়াল করেন। খ্যাত বা কুখ্যাত সহজেই কেউ হয় না। এটা তাদের কাজের প্রভাবের উপর নির্ভর করে। মুহাম্মদ নিজেকে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ ঘোষণা করেও এ ধরণের কাজ করতে গেলেন কিভাবে? কুখ্যাত হওয়ার পেছনে মানুষের উপর তার প্রভাবের ভূমিকাটা এখানে প্রণিধানযোগ্য।
রবি ঠাকুর বা গান্ধিজী যেহেতু নিজেকে নবী বলে ঘোষণা দেন নি তাই তাদের এ কাজটিকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে তারা যে সময় এ কাজটি করেছেন তখন তা করা শুধু অসচেতনতা নয় বরং আপরাধ বলে আমি মনে করি। আর পেডোফাইলের বিষয়টি জানতে হলে আমাদেরকে দেখতে হবে মুহাম্মদ, রবি ঠাকুর বা গান্ধিজী কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কি পরিস্থিতিতে এ কাজটি করেছেন। মুহাম্মদের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সম্পর্কে ভাতিজী ‘আয়েশা’ কে বিবাহ করেছিলেন যা ঐ সমাজে আপত্তিকর ছিল যার জন্য প্রথমে আয়েশার বাবা আপত্তি করছিলেন।
পালক পুত্রের স্ত্রী বিয়ে সে সমাজে বৈধ ছিল না যার জন্য মুহাম্মদকে ওহী নামাতে হয়েছে। আরেকটি বিষয় বলছি –
>> ইসলামে কিন্তু চাচা, মামা এরা মারা গেলে বা স্ত্রী তালাক দিলে চাচী বা মামীকে বিবাহ বৈধ।
@আদিল মাহমুদ, ভেবেছিলাম একটু সময় নিয়ে উত্তর দিব আপনার মন্তব্যের, তাই দেরী হয়ে গেলো। যাই হোক, ভালো-খারাপ ব্যাপারটা আসলে আমি মনে করি সময় নিরপেক্ষ। একহাজার বছর আগে যা খারাপ কাজ হিসেবে গন্য ছিলো যেমন- সমকামীতা, আজ ভালো বা খারাপ কোনটিই নয়। একইভাবে একহাজার বছর আগে যা ভালো কাজ ছিলো যেমন- সেলিবেসি, আজ ভালো বা খারাপ কোনটিই নয়। কিন্তু, আজ যেটা খারাপ হিসেবে গন্য যেমন-বাল্যবিবাহ, পনেরোশো বছর আগে ভালো বা খারাপ কোনটিই ছিলো না, সেটি ছিলো অভ্যাস। এই অভ্যাসটি তখনও খারাপ হিসেবে গন্য হয়নি কারণ- কেনো এটা খারাপ সেইসময়কার মানুষ তখনও সেটা অনুধাবন করতে পারেনি। আমি কি ব্যাপারটা বেশী জটিল করে তুলছি? যেমন ধরুন, খাদ্যের জন্য পশুহত্যা করতে হয় আমাদের। এটা হতেই পারে আজ থেকে একহাজার বছর পর এই কাজটি খারাপ হিসেবে গন্য হতে যাচ্ছে; হয়তো সেই সময় মানুষ এর অন্য কোন বিকল্প বের করে ফেলবে বা এরকম কিছু। সেই একহাজার বছর ভবিষ্যতের মানুষ যদি তর্ক করে- আমাদের এই বর্তমান সময়ে পশু হত্যা করে আমরা কি খারাপ কাজ করেছি কিনা, আমার মনে হয় তারা এই সিদ্ধান্তেই পৌছবে আমরা ভালো-খারাপ কোনটিই করিনি, এটি আমাদের অভ্যাস হিসেবে গন্য হবে তাদের কাছে যা না করে আমাদের কোন উপায় ছিলো না। অর্থাৎ, ভালো বা খারাপ ব্যাপারটা ঠিক সময়ের উপর নির্ভরশীল নয়, সময়ের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে অভ্যাস। আজ যেটা ভালো কিংবা খারাপ একহাজার বছর আগে বা পরে এই একই কাজটি কিন্তু প্রকৃতিগতভাবে (intrinsicly) ভালো কিংবা খারাপ হিসেবে গন্য হতে যাচ্ছে না। যা ভালো চিরকালই ভালো, যা খারাপ চিরকালই খারাপ। তবে আজ যেটা অভ্যাস কাল সেটা বদভ্যাসে পরিনত হতে পারে।
অভ্যাসের ডিফেন্স কিন্তু হযরত দেখাতে পারে না কেননা সে নিজেকে সর্বকালের জন্য আদর্শ দাবী করছে। অন্যান্য মানুষের কাছে বাল্যবিবাহ অভ্যাস হলেও হযরতের কাছে এটাকে হতে হবে হয় ভাল নয় খারাপ। ভালো এটা অবশ্যই নয় কেননা আমাদের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি একটি অপরাধ, এর মানে তো খারাপ তাই না? আর যদি ভালো হয়েই থাকে, তাহলে আপনাকে তর্ক করতে হবে বর্তমান সময়েও এটি খারাপ কিছু নয়। আপনি কি আসলেই সেটা করতে যাচ্ছেন?
অ্যাডগার অ্যালান পো নাবালিকা বিয়ে করেছিলো বলে কতোটা বড় সাহিত্যিক সে ছিলো সেটা বিবেচনা না করেই আমি তাকে শিশুনির্যাতনকারী বলি, যেকোন স্বাভাবিক মানুষই মনে করি এটাই বলে থাকবে। টলস্টয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো বলে তাকে ধর্ষণকারীই বলি; সাহিত্যে তার ইতিবাচক অবদান দিয়ে তার অপরাধকে কাটাকাটি করে ফেলিনা। কিন্তু, এদের অপকর্মের সাথে হযরতের অপকর্মের পার্থক্য রয়েছে। অ্যাডগার অ্যালান পো মেনেছে তার যুগের রীতি আর হযরত কিন্তু দাবী করছে যে, সে মেনেছে সর্বকালের নীতি। কিংবা সর্বকালের নীতি যদি সে নাও মেনে থাকে তার ক্ষমতাবান আল্লা কি তার কানেকানে আস্তে করে বলে দিতে পারলো না যে- “বাবা, বাল্য-বিবাহ আর বহুগামীতা যে আজ করছো ভালোই, কিন্তু হাজার দেড়ের বছর পর কিন্তু ধরা খায়া যাবা?” অ্যাডগার অ্যালান পো কে অভ্যাসের ডিফেন্স গ্রাহ্য করা চলে, কিন্তু হযরতকে চলে কি করে? দেখুন, হযরতে অবাধ যৌনাচার কিন্তু ফান্ডিদের একটি শাঁখের করাতে ফেলেছে- হয় তাদের মানতে হবে হযরতের আবেদন কেবলই তার সমসাময়ীক সময়ে অবদ্ধ অথবা হযরত নীতিবোধবিবর্জিত। এই দুটির যেকোন একটি তারা মেনে নিলে কিন্তু আর কোন তর্কের অবকাশ থাকে না। কিন্তু, যখন তারা দুটির একটিও না মেনে বলে তালগাছ আমার কৌতুকটা তখনই তাদের সাথে করতে হয়।
আর হযরতকে সেক্স অফেন্ডার বলেছি কেননা তার অপকর্মগুলো প্যাথলজিকাল ছিলো। একটি অপকর্ম সে করেনি, তার অপকর্মের প্রাক্তন ইতিহাস ছিলো। এবং একবারও সে কোন অনুশোচনা প্রকাশ করেনি নিজের অপকর্মের জন্য। সেক্স অফেন্ডারদের লিস্ট ওর সময়ে থাকলে প্রথম একশটি স্থান জুড়ে একশোবার নাম থাকতো। আর পুলিশের আলাদা একটি উইং দরকার হতো শুধু তাকে নজরে রাখার জন্য। হযরতের মতো সেক্স অফেন্ডার পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল কিন্তু তার অপরাধগুলোর প্রগাড়ত্বের (magnitude) কারণে নয়। পত্রিকায় চোখ রাখলে হয়তো প্রতিমাসেই একটা করে অপরাধী দেখা যাবে যার অপরাধ হযরতের অপরাধ থেকে অনেক বেশী নিকৃষ্ট। কিন্তু সেই অফেন্ডারগুলো কিন্তু মানুষের কাছ থেকে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু পাচ্ছে না, স্তুতি-স্তব পাচ্ছে না। সেই অফেন্ডারগুলোর উদ্দেশ্যে কেউ স্তব গাইলে তাকে আমি অমানুষই দাবি করবো। এইজাগাতেই হযরত বিরল। কেননা সে এমন একটি অফেন্ডার যে কিনা মানুষের স্তুতি-স্তব পেয়ে আসছে। একটি ক্রিমিনাল ও তার ক্রাইমকে কিছু মানুষ যদি গৌরবান্বিত করে চলে তবে আমি মনে করি চুপ করে না থেকে কারো না কারো মুখ খোলা উচিত। এটাই ছিলো আমার এই প্রবন্ধ লেখার কারণ।
জানাবেন আমার যুক্তি আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হলো কিনা।
@আল্লাচালাইনা,
আপনাকে ধণ্যবাদ সময় করে দীর্ঘ জবাব দেবার জন্য। নাহ, আপনি তেমন জটিল করেননি। বরং আমি তো আমার আপনার চিন্তাধারায় মিলই দেখতে পাচ্ছি। দেখুন, আপনিই বলছেন যে
আমিও এই আয়েশা এপিসোড সম্পর্কে একই মূল্যায়নই করি। নবী মোহাম্মদের এই কাজ নিঃসন্দেহে নবী সূলভ বলা যায় না। কারন এক্ষেত্রে তিনি তার যুগের খারাপ প্র্যাক্টিসের উর্ধ্বে উঠতে পারেননি, যদিও বেশ কিছু ক্ষেত্রে উঠতে পেরেছিলেন যা এখানে বিবেচ্য নয়। তবে নবী সূলভ না হলেও বলতে হবে যে এই কাজ যেহেতু সেকালে খারাপ হিসেবে দেখা হত না তাই তিনি অন্যায় বা শিশু ধর্ষন করেছেন এমন দাবী করা যুক্তিসংগত হবে না। এই সোজা ব্যাপারটা নিয়ে কেন এত পানি গড়ায় আমি বুঝি না। নবীর আমলে আরবের লোকে খোলা রাস্তায় বাথরুম করত। এখন কি আমরা বলব যে সেই যুগের সব মানুষ অসভ্য বর্বর ছিল কারন আজকের যুগে কেউ রাস্তায় বাথরুম করে না? নাকি বলব যে তাদের স্যানিটেশনের জ্ঞান যুগের কাছে সীমাবদ্ধ ছিল? তাকে বলপূর্বক পেডোফাইল বানাবার ত কোন দরকার দেখি না। যা সত্য সেটাই বলে দিন না। তার সব আদর্শ যে সব যুগে সব দেশে মুসলমানদের দাবীমত কায়েম করা হাস্যকর সেটা তো এমনিই বোঝা যায়। তারজন্য তো তিনি যা নন তাকে তাই বানাবার চেষ্টা করা ঠিক নয়। তাতে ফল উল্টাই হবে, মুসলমানেরা আপনার যৌক্তিক কথাই আর শুনবে না, ধরেই নেবে আপনি মোহাম্মদের চরিত্র হননের ব্যাক্তিগত মিশনে নেমেছেন। বিপ্লব পালও একই কথাই অন্যভাবে বলেছেন খেয়াল করুন।
আগেই স্বীকার করেছি যে তার এসব নারী বিষয়ক ঘটনাবলী একজন নবীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়। এতে তাঁর নওবুয়তের দাবী নি:সন্দেহে হালকা হয়ে যায়, যদিও তার অনেক মহাপুরুষ সূলভ ঘটনাও আছে। তবুও বলতে হয় যে একজন মহাপুরুষ যিনি নিজ অসূস্থ শত্রুর বাড়ি গিয়ে তার সেবা করেন, নিজে ঘাড়ে করে তার ভয়েই পলায়মান লোকের মালপত্র নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছে দেন এমন অসংখ্য মানবতাপূর্ণ বিরল উদাহরন সৃষ্টি করে যান তিনিই আবার আল্লাহর স্বপ্নাদেশের দোহাই দিয়ে নাতনীর বয়সী মেয়ে বিয়ে করেন, যুদ্ধে গনীমতের মাল হিসেবে কতল করা যুদ্ধবন্দীদের মহিলাদের ভাগ করে নিজেও নেন, আল্লাহর আদেশ মত পালক পুত্রের স্ত্রীকে নিজে কব্জা করেন ঠিক মানায় না। একদিকে একজন মহত হৃদয়, সত, উন্নত চরিত্রের ন্যায়পরায়ন শাসকে চিত্র ভেসে ওঠে, আবার আরেকদিকে একজন ইন্দ্রিয়পরায়ন ব্যাক্তির চেহারা ভেসে ওঠে যিনি নারী বিষয়ে কালোত্তীর্ন হতে পারেননি। তবে তিনি নবী হন কি না হন সেটা আমাদের মূখ্য ব্যাপার নয়। ধরেই নিলাম, নারী বিষয়ক ঘটনাবলীর কারনে তিনি নবী নন, বড়জোর তিনি নবীর ভড়ং ধরেছিলেন। কিন্তু সেক্স অফেন্ডার কিন্তু তাকে তার যুগের স্বাপেক্ষে বলা যাচ্ছে না বলেই আমি মনে করি।
– এ বিষয়ে আমি ঠিক নি:সন্দেহ নই। এ দাবী ৯৯% মুসলমানের, তাতে কোন ভুল নেই। তবে তিনি নিজে তেমন কোন দাবী বা নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমি নিশ্চিত নই। কোরান অনলী মুসলমানেরা এ জাতীয় কোন আদেশ নির্দেশে বিশ্বাস করেন না। তাদের মতে নবী মোহাম্মদের কাজ ছিল শুধুই কোরানের ম্যাসেঞ্জাররুপে। তার বেশী কিছু নয়।
– এ ব্যাখ্যাটা আপনার প্রথম প্যারায় আমি যে কোট করলাম তার সাথে সাংঘর্ষিক হইয়ে গেল না কি? আপনি তো নিজেই বলেছেন যে ১৫ শ বছর আগে এসব খারাপ বলে গণ্য হত না। যা খারাপ বলে গন্য হত না তার জন্য তিনি অনুশোচনা কেন করতে যাবেন? সে আমলের সেক্স অফেন্ডারের লিষ্টেই বা তার নাম কেন থাকতে যাবে? এসব কাজ তো তখন কোন অফেন্স হিসেবেই দেখা হত না। সেকালের সেক্স অফেন্স ছিল জ্বীনা করা বা বলপূর্বক ধর্ষন। বালিকা বিবাহ, বহুবিবাহ, বা দাসীর সাথে সেক্স কোন অফেন্স ছিল না।
– আপনার কথা সত্য ধরে নিয়েই বলতে হচ্ছে যে তাকে অন্ধভাবে পূজা করার দায়ভার তার নয়, যারা করেন তাদের। তারা অন্ধধর্মবিশ্বাস বশতঃ তাকে নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে চরমভাবে ব্যার্থ। তার অন্ধভক্তকূল নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে ব্যার্থ, তাই এর প্রতষেধক হিসেবে তাকে অন্যতম কুখ্যাত সেক্স অফেন্ডারে ভূষিত করাটা আমার কাছে বাড়াবাড়িই মনে হয়। যতটুকু সত্য সেটুকুই বলেন। অন্যতম সেরা অফেণ্ডার না কি তার বিচার মানুষের ওপরেই ছেড়ে দেন।
বাই দ্যা ওয়ে, সৈকত ভাই রবী ঠাকুর বিষয়ে আমার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না, জানি না ব্যাস্ত কিনা। তবে আপনি মনে হয় তাকে পেডোফাইল কবি হিসেবেই চিহ্নিত করবেন?
@আদিল মাহমুদ,
দয়া করে সূত্র উল্লেখ করুন, কুরান বা সহি হাদিস থেকে। অসংখ্য?। নিশ্চয় আপনার জানা আছে। তাহলে বলুন সংখ্যটা। আর সূত্রটাও সেই সাথে।
তিনি নিজে দাবী করেছেন যে তিনি আল্লাহর সর্বশেষ প্রেরিত নবী, আর কুরান আল্লাহর কথা। কাজেই আলাদা করে কি দাবী বা নির্দেশের প্রয়োজন? শেষ নবী মানেই ত চুড়ান্ত, যা তাঁর মুখ দিয়ে আল্লাহ বলাবেন তা সর্বকালের জন্য। তা না হলে ত আবার নবী পাঠানর প্রয়োজন হত পরবর্তী যুগের জন্য। কোরান অনলী মুসলমানেরা তো আর ইসলামের সংজ্ঞাদাতা নয়। কুরান যা বলছে সেটা প্রকৃত ইসলাম। কুরানে বলাই আছে মুহম্মদ হচ্ছেন আদর্শ মানুষের নমুনা। সূধু বার্তাবাহক নয়। সুন্নাহ অনুসরন করা কুরানেই বলা হয়েছে। শুধু বার্তাবাহক হলে মুহম্মদের জন্য এত সুরাহ আলাদা করে নাজিল করা কেন তাঁর সুবিধার জন্য? মডেরাট মুসলিমদের মতই কোরান অনলী মুসলমানেরা একটা ভন্ড গোষ্ঠি।
@যাযাবর,
– সূত্র আসলেই এই মুহুর্তে হাতে নেই, খোঁজ করতে পারি। আসলে এ জাতীয় বহু কাহিনীই সারা জীবন শুনে এসেছি, তাই কোনদিন সংশয় আসেনি। সূত্র দিতে না পারলেও সাধারন যুক্তিবোধের ভিত্তিতেই বলি যে একজন মানুষ শুধুমাত্র সেক্স পার্ভার্ট, ভন্ড, নিষ্ঠুর, ক্ষমতালোভী এসব হলে বড়জোর তার একটি ভক্ত চক্র বা কাল্ট হতে পারে যার স্থায়ীকাল এবং আকার খুব বড় আকার ধারন করে না। এ যুগে যেমন কিছু ধর্মীয় কাল্ট দেখা যায়। কিন্তুএই মানুষ যেভাবে যুগ যুগ ধরে কোটি কোটি মানুষের অন্ধভক্তি পেয়ে এসেছেন তাতে তার কোনই মানবীয় গুনাবলী ছিল না ছিল শুধুই যাবতীয় বদ্গুন হজম করাটা বেশ কষ্টকর।
কোরান অনলীদের মতে (ফারুক ভাই ভাল বলতে পারেন, উনি এই মতবাদের প্রচারক) নবীজিকে আল্লাহ অনূসরন করতে বলেছেন ঠিকই। তবে তার ব্যাপ্তী নবীর ব্যাক্তি জীবন অন্ধভাবে অনুসরন করার ব্যাপারে নয়, শুধুমাত্র কোরানের বানীর বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারে। আর তাকে আদর্শ মানুষ কোন আয়াতে বলা আছে জানি না, জানি না সেখানে তাকে সব যুগের সব দেশের মানুষের জন্যই আদর্শ তেমন কোন কথাও আছে কিনা। তিনি উটের পিঠে চড়তেন বলে আজকের বাংলাদেশের মুসলিমরা নিশ্চয়ই গাড়ি রিক্সা বাস বাদ দিয়ে উটের পিঠে চরে বেড়াবে না। কি বলেন? বেশ কিছু ব্যাপার তো কমনসেন্স। তবে মানছি যে এখানে ধর্মীয় সূত্রগুলির অষ্পষ্টতা খুবই প্রকট। একই কোরানের আয়াত দিয়ে কোরান শুধু ততকালীন আরব সমাজের জন্যই এসেছিল ধারনা করা যায়, আবার সব যুগের সব দেশের মানুষের জন্যই এসেছিল তেমনও ব্যাখ্যা করা যায়।
@আদিল মাহমুদ, দুঃখিত আমার মনে হয় আপনি ব্যাপারটা ভুল বুঝছেন। ইসলামের সাফল্যের পেছনে একটি বড় অবদান রেখেছে সে সময় তাদের প্রতিযোগীর অভাব। ইউরোপে তখন চলছে অন্ধকার-যুগ, উপনিবেশ গঠন শুরু করেছ ইসলাম ইউরোপের অনক আগে থেকে। এবং তারা উপনিবেশ ছড়িয়েছে এমন অঞ্চলগুলোতে যেখানে কিনা বহুপুরোন সনাতনধর্মের অত্যাচারে মানুষের জীবন এম্নিতেই অসহনীয় ছিলো, ইসলামকে তারা স্বাগতম জানিয়েছে। ইসলাম সফল হয়েছে এই কারণে। হযরতের মানবীয় গুনাবলীর কারণে নয়। প্রজন্মান্তরে হযরতের মানবীয় অগুনাবলীর কথা মানুষ ঔরসজাত হিসেবে পেয়ে এসেছে এবং সমুন্নত করে চলছে। ইসলাম সফল মুহাম্মদের গুনে হয়নি যেমন খ্রীষ্টধর্ম সফল অহয়নি যীশুর গুনে। ার মহানুভবতা? একটা নতুন ধর্ম আপনি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে মহানুভব না হয়ে আপনার উপায় নেই। মহানুভবতার জন্য তাকে গৌরবান্বি্ত আপনি করতে পারেন, তবে অনুরোধ একটাই তার অপকর্মগুলোকে এড়িয়ে যাবেন না।
@আল্লাচালাইনা,
ইসলামের প্রথম যুগে অন্তত আরবে তো ইসলাম গ্রহন মানুষ শুরু করেছিল মোহাম্মদের ব্যাক্তিগত সত চরিত্রের কারনেই। তখন কোরান হাদীস এসব কিছুই নাজিল হয়নি। তাকে সততার জন্য আল আমীন ডাকা হত এতেও কি কোন ভুল বা অতিরঞ্জন আছে? স্বাভাবিকভাবেই যে জীবনে কোনদিন মিথ্যা বলেনি, সত হিসেবে পরিচিত তার কথা মানুষ গুরুত্ব দিয়ে শুনেছে। কোন সাধারন যদুমধু যার কোন কথার ঠিক নেই এসে দাবী করে বসল যে তার কাছে আল্লাহর ওহী আসে তাহলেই কি তাকে মানুষে মানবে নাকি?
তবে ইসলাম পরবর্তি কালে ইউরোপ বা অন্যান্য দেশে ছড়ানোর ব্যাপারে তার সরাসরি ভূমিকা নেই সত্য, তবে অন্যান্য সনাতন ধর্মের অত্যাচারে বিতৃষ্ম মানুষ তার প্রচারিত ধর্মকে মুক্তির উপায় হিসেবে পেয়েছিল তা আপনার লেখাতেই দেখা যাচ্ছে। হযরতের মানবীয় গুনাবলীর যেসব কাহিনী আমাদের অন্তত ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় (সত্য মিথ্যা এখানে বিবেচ্য নয়) তাতে যে কারোই মুগ্ধ হবারই কথা।
– অপকর্ম এড়াতে কে চাইল? আমি কি দাবী করেছি নাকি যে আয়েশা সংক্রান্ত হাদীস মানি না, কেবল যেগুলি তার পক্ষে যায় কেবল সেগুলিই মানি? আমারো একই অনুরোধ, তার অপকর্ম বর্ননা করার সুবিধার্থে ভাল গুন গুলি এড়িয়ে যাবেন না। একজন প্রকৃত যুক্তিবাদীর কাছে সেটাই প্রত্যাশা।
@আল্লাচালাইনা, সুন্দর জবাব দিয়েছেন।আসলে সব ক্ষেত্রে রোমান কাথলিক চার্চ এর মারাত্মক রকমের বার্থতা আর বাড়াবাড়িই ইসলাম কে এতটা সুযোগ দিয়েছে কান্সারের মত প্রসার লাভ করার। তাছাড়াও ইহুদি ধর্মের নিষ্ক্রিয়তাও ইসলামের এতটা প্রসারের জন্য দায়ী।
@আদিল মাহমুদ,
৩৩:২১ এ বলা হয়েছে, “অবশ্যই অনুসরণ করার মত ভাল দৃষ্টান্ত তোমরা নবীর মধ্যে পাবে।“
৩:৩১ এঃ বল হে মুহম্মদ মানবজাতিকে, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস তাহলে আমাকে অনুসরণ কর।
৪:৮০ তেঃ যে নবীকে মেনে চলে সে আসলে আল্লাহকেই মেনে চলে।
৫৯:৭ এ আল্লাহ মুমিনদের বলেছেন যে নবী তাদেরকে যা দেন সেটাই যেন তারা নেয়, আর যেটা নবী তাদেরকে দেন না, সেটা তারা পাবে না। অর্থাৎ মুসলিমেরা কি পাবে বা পাবে না তা আল্লাহ মুহম্মদের বিচারের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। শুধু বার্তাবাহক হলে স্পষ্টত এটা হতে পারতনা।
এ ছাড়া ও অনেক আয়াতে (এত আছে যে সেগুলোর উল্লেখ করলাম না) আল্লাহ বলেছেন কুরান এবং নবীর আল-হিক্মাহ কে মেনে চলতে। আল-হিক্মাহ অর্থ বিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা। নবীর বিজ্ঞতা ও বিচার বুদ্ধি ত তাঁর জীবনের মধ্যেই প্রতিফলিত। শুধু বার্তাবাহকের জীবন বা বিজ্ঞতার কি গুরুত্ব?।
অনেক আয়াতে মুহম্মদের জন্য বিশেষ সুবিধা, বিশেষ অধিকার, ইত্যাদি নিয়ে লেখা হয়েছে শুধু বার্তাবাহক হলে এর কি দরকার?
সাধারণ বুদ্ধি খাটালেই বোঝ যাবে যে যারা এটা বিশ্বাস করবে যে আল্লাহর তাঁর নিজের কথা মুহম্মদের মাধ্যমে মানবজাতিকে জানিয়েছেন আর মুহম্মদ আল্লাহর বাছাইকৃত এবং শেষ রসুল, তারা অবশ্যই এটাও বিশ্বাস করবে যে মুহম্মদ স্রেষ্ঠ মানুষ, আর তাঁকে অনুসরণ করাই আল্লাহর ইচ্ছা। এর জন্য আলাদা কোন আয়াত দরকার হয় কি? এই দুটো বিশ্বাস মগজে ঢোকাতে পারলেই যথেষ্ট। মুহম্মদ ও সেটা বুঝতেন নিশ্চয়ই।
আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম “অসংখ্য” মহানুভবতার(সত্যিকার, ইসলামী নয়) উদাহরণের সূত্র দিতে। আপনি পারেন নি। বোঝাই যাচ্ছ এটা শৈশব থেক ইসলামী মগজ ধোলাইয়ের ফল। মুহম্মদের জীবনের বর্ণনার একটাই নির্ভরযোগ্য সূত্র আর তা হল ইশাকের সিরাতে রসুল। সেখানে যা নেই তা কারো না কারও মনগড়া কাহিনী। একজন কট্টর যুক্তিবাদীদের কাছে ইশাকের কথাও যে প্রশ্ননাতী তা নয়। কিন্তু ইসলামের ঐতিহাসিকেরাই এটা বলেন যে সিরাতে রসুলই একমাত্র লিখিত সূত্র। বাদ বাকী সবই এর উপর ভিত্তি করে লেখা।
@যাযাবর,
আপনি নবী মোহাম্মদকে অনুসরনের ব্যাপারে যেসব আয়াত কোট করলেন ধর্মীয় অনেক অষ্পষ্ট আয়াত বা সূত্রের মত এগুলিরও নানান রকমের ব্যাখ্যা হতে পারে। আমি আর খুব বেশী গভীরে যাবার দরকার মনে করছি না, কোরান অনলীরা অন্তত তেমন অনেক ব্যাখ্যাই দাড়া করান। ধর্মের ব্যাপারে কে ঠিক কে বেঠিক এর কোন গানিতিক সমাধান নাই। সবাই ঠিক, আবার সবাই বেঠিক।
তবে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে নবীকে মেনে চলার বা অনুসরন করার নির্দেশ কোরানে দেওয়া হয়েছে। তবে বিতর্ক হতে পারে তার মাত্রা নিয়ে, যার কোন সর্বজন গৃহীত সমাধান কোনদিন পাওয়া যাবে না।
নবীর মহত্ব বিষয়ে আপনার অনুমান সত্য তা আমি নিজেই আগের কথায় বলেছিলাম। আমি নিজে কোনদিন সেসব মহত্বের কাহিনী কোন ঐতিহাসিক সূত্রে যাচাই করার দরকার বোধ করিনি। নিজের বাবা মা, স্কুল, এক কথায় সামগ্রিকভাবে যে পরিবেশে জীবনের সবচেয়ে বেশী সময় কাটিয়েছি এবং যারা আমার মনোজগত গড়েছে তাদের কথায় বিনা কারনে অবিশ্বাস আসা খুব স্বাভাবিক নয়। নবী চরিত্রের অপর দিক সম্পর্কে যা জেনেছি সবই এসব ঈন্টারনেট লেখকদের কল্যানে। তাদের কোন লেখায় নবী সম্পর্কে প্রচলিত সেসব মহানুভবতার কাহিনীগুলির কোন রিফিউটাল এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। তাই ধরে নিয়েছি যে তার সম্পর্কে দু’ধরনের কথাই মনে হয় খাটে। সেসব মহানুভবতার কাহিনী সত্য না হলে কি আর কেউ না কেউ সে সুযোগ বাদ দিতেন?
এমনিই জিজ্ঞাসা করছি; ওনার সম্পর্কে ভাল কথা কোথাও থাকলে আপনি তাকে গ্রহ্ন করার ক্রাইটেরিয়া হিসেবে কি বিবেচনা করবেন? স্রেফ কারো মনগড়া কাহিনী বলে উড়িয়ে দিতেই পারেন। আবার অন্যদিকে তার সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে সেটাকেই বা কতটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যাচাই করেন? আমি মনে করি যে যে হাদীস সূত্রে আমি তার আয়েশা বিবাহ কাহিনী বা গনীমাতের মাল রূপে কাফের রমণী গ্রহন জানতে পারি এবং তাতে তেমন সন্দেহ করি না ঠিক একই কারনেই সেসব হাদীস সূত্রে তার মহানুভবতার কাহিনী পেলে সেগুলিও অবিশ্বাস করার তেমন কারন দেখি না। হাদীসের মধ্যে কিন্তু তার তেমন বেশ কিছু বানী বা কার্যকলাপ আছে বলেই জানি, যদিও এ মুহুর্তে হাদীস নম্বর সহ বলতে পারব না। তবে একটু ঘাটাঘাটি করলেই মনে হয় পেয়ে যাব।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যে যুক্তিতে বলছেন ঐ আয়াতগুলির নানা রকম ব্যাখ্যা হতে পারে, সব ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য, কুরানে নবীকে অনুসরণ করতে বলা হয়নি এটা বলাও ঠিক, সেই একই যুক্তিতে কুরানে কোন সহিংস আয়াত নেই, সব অপব্যাখ্যা বা প্রসংগ বিবেচনা না করে পড়ার ফল, এটাও বলা ঠিক, আর তাই বলে ইসলামিস্টরা। আর এত স্পষ্ট করে দেয়া আয়াতের বেলায় এ কথা বললে পুরো কুরানের বেলায়ও তো আপনার এই মন্তব্য প্রজোয্য। তাহলে কুরান ত একটা সাধারণ বইএর চেয়েও ত নিকৃষ্ট হয়ে যায়। যে বইএর কোন সর্বসম্মত মানে নেই সেটা আবার আল্লাহর পার্ফেক্ট বই হয় কেমন করে? উপরন্তু কুরানেই তো দাবী করা হয়েছে যে কুরাণ খুবই স্পষ্ট আর বোধগম্য বই, সেই দাবীও তো অসাড় হয়ে পড়ে। এবং আসলেও তাই। এ জন্যই কুরানের চেয়েও একশ গুণ বেশি বড় তাফসির লেখা হয়েছে আরবী ভাষাতেই কুরাণকে বোধগম্য করার জন্য! তাও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। আবার তাফসিরও বারোয়ারী। কারটা ঠিক, আর কারটা ভুল, কে বলবে?
আরও বলছেন যে নবীকে অনুসরণ করতে বলা হলেও প্রশ্ন উঠতে পারে মাত্রা নিয়ে। মাত্রা নিয়ে ???। ভালর আবার মাত্রা আছে বলে তো জানতাম না। নবীকে অনুসরণ কর, তবে বেশী না, এ আবার কেমন কথা। কোন আয়াতের জন্য আপনি এই মাত্রার কথা তুলছেন। আপনার কাছে সবই যদি এত অস্পষ্ট তাহলে এরকম স্পষ্ট ধারনা হয় কি করে?
এবার আসি আমার প্রতি আপনার প্রশ্ন গুলি নিয়ে।
আপনি যে আমার মন্তব্য ভাল করে পড়েননি তারি প্রমাণ। আমি ত বলেইছি যে কুরাণ বা ইশাকের বইতে থাকলেই তা গ্রহণযোগ্য। কারণ এই দুই সুত্র থেকেই ইসলামের ভিত্তি।
একই কথা বলব। তাঁর সম্পর্কে খারাপ কিছুও ইশাকের বইতে থাকলেই মানতে হবে।
কিন্তু আপনি তো হাদিসের সেই মহানুভবতার রেফেরেন্স দিতে পারছেন না, আর হাদিসে পড়েছেন বলে দাবীও করছেন না। লোক মুখে শোনা। তাহলে আবার “হাদীস সূত্রে তার মহানুভবতার কাহিনী” আছে বলছেন কেন?
এটা কি পক্ষপাতমূলক ধারণা নয়? যাচাই না করেই অন্ধ বিশ্বাসীদের কথা বিশ্বাস করা। মুক্তমনে তা কি সাজে।
@আদিল মাহমুদ,আপনাকে ধন্যবাদ এই খুবি সুন্দর , যুক্তিপূর্ন মন্তব্যের জন্য। :yes:
@আল্লাচালাইনা,
এক কথায় অসাধারন লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। প্রতিটি বাক্যের সাথে একমত পোষন করছি। মনে হলো আমাদের মনের কথাগুলোই সাজিয়ে, গুছিয়ে আপনি এভাবে প্রকাশ করলেন। ধন্যবাদ।
@ব্রাইট স্মাইল্, 🙂 ধন্যবাদ। আপনি লেখালেখি করেন না? আপনার লেখাও দেখতে চাই, আপনার কথা শুনতে চাই।
@আল্লাচালাইনা, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার প্রতি মনোযোগ দেয়ায়। না ভাই, আমার একদমই লেখালেখি করার অভ্যাস নাই। তবে মন্তব্য করার মাধ্যমে মতামত জানাতে পারছি, মনোভাব প্রকাশ করতে পারছি এটাই বা কম কি।
ভাল লেখা। তবে সব ধর্মের জন্যেই এগুলো সত্য। ইসলামের অবস্থা একটু বেশী বাজে কারন লোকেরা বেশী ইসলামিক অনুশাসনে বড় হয়েছে।
মনে রাখবেন ধর্ম একটা নৃতাত্বিক প্রয়োজন-তাই কোন ধর্মই অন্য ধর্ম থেকে আলাদা হতে পারে না-খোলসের রঙ বদলাই পচা আলু আলাদা হয় না। পার্থক্যটা ভীষন ভাবেই ব্যাহ্যিক।
@বিপ্লব পাল, হ্যা এটা ভালো করেই জানি যে প্রকৃতিগতভাবে সব ধর্ম একই রকম। এজন্যই বলেছি ধর্মর উদ্দেশ্য জীবন থেকে সমস্ত সুখ শান্তি কেড়ে নিয়ে জীবনকে চুষে ছোবড়া বানিয়ে দেওয়া। তবে, একটি সময়ে কোন ধর্মটি সবচেয়ে ভাইরুলেন্ট এটা আমি মাপব একটি নির্দৃষ্ট সময় যেমন- বিগত দশ কি পাঁচ বছরে ওই ধর্মটির বডি-কাউন্ট দেখে। নিশ্চয়ই সন্দেহ করতে যাচ্ছেন না যে- গত পাঁচ কি দশ বছরের পরিসংখ্যানে বডি কাউন্টে অন্যান্য সকল ধর্মকে একযোগে হারিয়ে দেয় ইসলাম। এই কারণেই ২০১০ সালে অন্যান্য ধর্মগুলোর থেকে ইসলাম একটু আলাদা।
@আল্লাচালাইনা, মধ্যযুগে খ্রীষ্ঠ ধর্মের বডি কাউন্টই বেশী ছিল-আর হিন্দু ধর্ম এক সময় একদম হেঁসেলে ঢুকে পড়েছিল। ইসলাম যেকটি বডি নামিয়েছে, তা কমিনিউজমের ১% ও না। সুতরাং ইসলাম সব গন্ডোগোলের মূলে-বাকী সব ধর্মের থেকে আলাদা ভাবে বাজে-এই ধরনের যুক্তি এবং স্ট্রাটেজি নিলে আসলে বৈজ্ঞানিক সত্যের অপলাপ হবে-এবং উন্নততর ধর্মবিহীন যে সমাজের সন্ধানে আমরা লড়াই করছি-সেই লড়াই ও পিছিয়ে যাবে।
ইসলাম, হিন্দুধর্ম, কমিনিউজম -এই সব কিছুকেই সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং নৃবিজ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষন করতে হবে। নইলে হিতে বিপরীত হবে। হজরত মহম্মদ নয় বছরের আয়েশাকে নিয়ে কি কামকেলি করতেন-সেটা নিয়ে রসিয়ে বললে কে মুসলমানরা ইসলাম ছাড়বে? বরং আরো ইসলামকে আঁকড়ে ধরে সন্ত্রাসবাদি হবে, এই ভেবে ইসলাম শত্রু দ্বারা আক্রান্ত।
বরং ইসলামকে সমাজ এবং ধর্ম বিবর্তনের ধারা দিয়ে বুঝতে হবে। কেন প্যাগান সমাজ থেকে একেশ্বরবাদ উদ্ভুত হল-কি ছিল নৃতাত্বিক এবং সামাজিক প্রয়োজন? প্যাগান সংস্কৃতি সামাজিক ইন্ট্রিগ্রেশন করে শক্তিশালী রাষ্ট্রের জন্ম দিতে পারত না সেকালে। কারন ঈশ্বর ধারনাটার মূলে আছে রাষ্ট্রীয় একতা দৃঢ় করতে রাজনৈতিক আইন। ঈশ্বর যতবেশী শক্তিশালী হবে [ মানে মানুষ বানাবে] সেই রাষ্ট্রের ভিত ও তত শক্তিশালী হত-সেটাই ছিল সেই যুগের আইন-যেটা ইসলাম বানিয়েছে। বর্তমানে সেই ইসলাম মানতে গেলে রাষ্ট্র এবং নাগরিক-দুটোই ভিখিরী হবে। কারন প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের যুগে বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র না গড়লে- সেই রাষ্ট্র ও নাগরিকরা ভেসে যাবে। আমি শেষ যে কথাগুলো বললাম, তার সামাজিক বিরোধিতা করা কঠিন-কারন সবাই জানে এটা সত্য। কিন্ত মহম্মদ কোন মহিলাকে নিয়ে কি কেলি করেছে এইসব আলোচনা করে লাভের থেকে লোকসান হবে বেশী।
তাছারা ইসলামের যে নিদান-গরীবের মতন অনাড়ম্বর জীবন এবং সমাজের জন্য ভাবনা-সেটাতে আমি বিরোধিতা করার কিছু দেখি না। লোভ এবং স্বার্থপরতা দুটোই আনসাসটেনেবল- যা ধনতান্ত্রিক সমাজের ক্যান্সার। প্রকৃতি এবং মানুষের জন্যে মানুষকে যতটা সম্ভব নির্লোভ দীনের ন্যায় দিনানিপাত করা উত্তম । সুতরাং কেও যদি ইসলামের মূল নিদান মেনে চলে আপত্তি কি? সমস্যাটা সেখানেই যে ৯৯% মুসলিমের কাছে ইসলাম মানে মুসলমান পরিচয় + সেই পরিচয়টাতে তা দেওয়ার জন্যে হজ, নামাজ বা আরো হাজার গন্ডা আরবী চালচলন ( বোরখার মতন পোষাক পর্যন্ত) + কোরানকে আল্লা প্রেরিত অর্বর্থ্য গ্রন্থ ইত্যাদি ভাবা। সেই মূল সঙ্গীতটাত কেও শুনতে পাচ্ছে না।
@বিপ্লব পাল,
তাহলে কি, নিদান-গরীবের মতন অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করা তথা এই জীবনের সমস্ত উন্নতি ত্যাগ করে পরজীবনের আড়ম্বর পুর্ণ জীবন-যাপনের চিন্তা করে এই জীবন পার করে দেয়াই আপনার মতে সমর্থনযোগ্য? আর মানব সমাজ গঠনে ইসলাম আজ যে ভুমিকা রাখছে তাও কি গ্রহনযোগ্য?
লোভ এবং স্বার্থপরতা মানুষের কমন ক্যারেকটেরিস্টিকস্, কম-বেশী সব মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান, আপনি কি মনে করেন কোন তন্ত্র দিয়ে সেগুলো দুর করা সম্ভব? লোভ এবং স্বার্থপরতার জন্য উদ্ভুত পরিস্থিতি আইনের শাসন দিয়ে মোকাবিলা করা ছাড়া উপায় নাই। তা ছাড়া ইসলামী সমাজে লোভ এবং স্বার্থপরতা নেই এমন কোন পরিসংখ্যান কি আছে? সব তন্ত্রেই ভালো ভালো কথার ফুলঝুরির অভাব নাই।
‘ইসলামের মূল নিদান’ মেনে চলা লোক কি করে মুসলমান পরিচয় না দিয়ে, হজ না করে, নামাজ না পড়ে, কোরানকে আল্লা প্রেরিত গ্রন্থ না ভেবে থাকবে বুঝা গেলোনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
পরজীবনের কথা ভেবে কেও ইহজীবনে দীনের ন্যায় বাস করে বলে জানা নেই। জীবনে চাহিদা যত কম হবে, তত সৎ এবং শান্তির জীবন পালন সম্ভব। একই সাথে সৎ এবং ধণ্যাট্য জীবন হয় না-হতে পারে না।
লোভ এবং স্বার্থপরতা কিছুটা ভাল ত বটেই-কিন্ত আইন দিয়ে তাকে রেগুলেট করা এখনো পর্যন্ত যায় নি। গেলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে আমাদের এত ভাবতে হত না। এর জন্যে মানুষের আত্নিক চেতনার উন্নতি চাই। সেটা এককালে ধর্ম দিয়ে হত-একালে ধর্ম ছাড়াই সম্ভব যদি কেও বিজ্ঞান চেতনায় উদবুদ্ধ হয়।
আমি কিন্ত কোথাও বলি নি, এই চেতনার জন্যে ধর্মের কাছে যেতে হবে। কিন্ত ধর্মে যদি সেই লোভহীন চেতনার কথা লিখে থাকে, তার মহত্ব স্বীকার না করাটা অসততা। আমি এটাও বলব আজকে উন্নত চেতনার জন্যে ধর্মের স্বরণাপন্ন হলে, ব্যাগেজ এত বেশী আসবে, যে আত্মিক অনুসন্ধান এবং আমাদের চেতনা উন্নতির জন্যে ধর্মের স্বরণাপন্ন হওয়া উচিত না।
আমি কিন্ত ধর্মের বাহ্যিক ব্যাগেজ এবং তার ক্ষতি কথা লিখেছিলাম।
১২০ কোটি মুসলমানের ১২০ কোটি ইসলাম ধর্ম। পৃথিবীর সব ধর্মের জন্যই এটা সত্য। তাই যেহেতু কোনটি ঠিক ইসলাম সেটা কেও জানে না-সেহেতু, প্রত্যেকের ধর্মই তার জন্যে সেরা। ধর্ম মানেই ঊইক টেক্সট বা দুর্বল লজিক। এবং তা চিরকালই ব্যাখ্যা ভিত্তিক। কেও যদি ইসলাম নিয়ে চর্চার পরে বলে ৭০০ সালে মহম্মদ আসলেই মানব জাতির উন্নয়নের জন্যে কিছু নিদান নিয়ে এসেছিলেন-এবং আজকে তার কিছু কিছু প্রাসঙ্গিক এবং আমি শুধু সেটুকুই মানব-সেটাই আমার ইসলামের মূল সূর-তাহলে কোথায় ভুল হবে?
জালালুদ্দিন রুমিত সেটাই করেছিলেন-উনি জোর গলায় বলেছেন আমি মুসলিম না, খ্রীষ্ঠান না, ইহুদি না,
আমি বাগদাদের না, পুর্বের না, পশ্চিমের না
রুমির ইসলাম কারুর কাছে আসল ইসলাম, কারুর কাছে নকল। এই রিলেটিভিজমটা বুঝে ঢালাও মন্তব্য করাটা বুদ্ধিমান বা বিচক্ষণতার কাজ না।
@বিপ্লব পাল,
কিন্তু এটাতো আপনার জানা আছে যে ইসলামে এইকালে অনাড়ম্বর জীবন-যাপনের জন্য পরকালের অফুরন্ত সুখ-শান্তির লোভ দেখানো আছে।
একথা বুঝার বা পালন করার জন্য মানুষের ধর্মের প্রয়োজন নাই।
এটার কোন সত্যতা নাই। তাছাড়া সৎ, ধণ্যাঢ় জীবন এগুলো রিলেটিভ ব্যাপার, এদের গুনগত মান একেকজনের কাছে একেক রকম হয়ে ধরা দেয়।
মানুষের আত্নিক চেতনার উন্নতি এককালে যদি ধর্ম দিয়ে হতো, তো এইকালে ধর্ম দিয়ে হবেনা কেনো? মানুষের লোভ, স্বার্থপরতা, আত্নিক চেতনা ইত্যাদির ডেফিনেশন কি কালে কালে বদল হতে থাকে? আর আমরা এখনো কল্পলোকের এমন কোন পারফেক্ট জগতে বাস করিনা যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা পৃথিবীর অন্য কোন সমস্যা নিয়ে আমাদের ভাবনা চিন্তা ফুরিয়ে গেছে।
কোথাও যদি লোভহীন চেতনার কথা উল্লেখ থাকে তার মহত্ব কেউ অস্বীকার করে বলে আমার জানা নাই। সব ধর্মগ্রন্থে লোভহীন চেতনার কথা লেখা আছে, অনেক ভালো ভালো কথার উদাহরন আছে, তার অর্থ এই না যে ঐসব
ধর্মগ্রন্থগুলো অনুসরন করে লোকজন লোভহীন চেতনায় পৌঁছে গেছে।
একথা বলা হয় যে
আমি নিশ্চিত যে ধর্মের সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং নৃবিজ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষন পুর্বক লেখা প্রচুর আছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। আর এই সম্পর্কে পারদর্শী লেখকেরও অভাব নাই। কিন্তু সবাই যে ধর্ম-সংস্কারক, সমাজ-সংস্কারক হয়ে লেখালেখি করবেন এমনটিও আশা করা যায়না অথবা এমন ব্রত নিয়েই সবাইকে ধর্মের ব্যাপারে লেখালেখি করতে হবে এমনটাও বলা যায়না। কেউ কোন মতাদর্শ কেন অনুসরন করছেন সেটা ডিফেন্ড করার জন্য নিজের মতামত জানিয়ে লিখতেই পারেন।
একটি ধর্মের নবী বিশ্বের সেরা মহামানব হয়ে চিহ্নিত হয়েছেন। সেই মহামানবের আদর্শ বুকে ধারন করে কিছু লোক নিজের জীবন বাজী রেখে অন্যের জীবন ভনারেবল্ করে তুলছে, সেই মহামানবের জীবন অনুসরন করে সমাজের একটি শ্রেনীর লোকের জীবন প্রতিনিয়ত দুর্বিষহ করে তোলা হচ্ছে। সেই সেরা মহামানবের ইতিহাস এবং ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে যখন কেউ আলোচনা করেন এতে দোষের কি আছে আমার বোধগম্য না। তাদের আলোচনায় ভূল তথ্য থাকতে পারে এবং সেটা শোধরানোর অবকাশও আছে। এইসব আলোচনার মধ্য দিয়ে অন্ততপক্ষে মানুষের ভুল জানাটুকুর অবসান ঘটানো যেতে পারে।
@বিপ্লব পাল,
এটা ঠিক বলেছেন। ধর্ম এবং অন্যান্য মতাদর্শের একটা বড় সমস্যা হল গ্রুপ আডেন্টিটি। কোন মতাদর্শের বিশ্বাস কিংবা নীতিমালার চাইতে এই গ্রুপ আডেন্টিটি অনেক বেশী আবেগ তৈরী করতে পারে এবং মানুষে মানুষে বিভাজন ও বিদ্বেষ সৃষ্টির জন্য এটাই সবচেয়ে বেশী দায়ী।
এজন্যই দেখা যায় নামাজ রোজার ধার ধারেননা এমন অনেকে “মুসলিম উম্মার” জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে খোলা তলোয়ার নিয়ে “কাফের” নিধনে ঝাপিয়ে পড়েন। তেমনি অনেকই আছেন যারা হিন্দুধর্মের বিশ্বাস কিংবা শাস্ত্রাচারের মোটেই তোয়াক্কা করেননা কিন্তু “অপমানিত হিন্দুত্বের” পক্ষ নিয়ে মুসলমান এবং খ্রীষ্টানদের উপর খোলা কৃপাণ হাতে মহা উদ্যমে চড়াও হন।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
ধর্ম আসলেই কি করে একটি “ক্লাব আইডেন্টি হয়ে ওঠে-তাই নিয়ে আমি আগেও লিখেছিঃ এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন
@বিপ্লব পাল,
যা বলেছেন তার সবই ঠিক। একারণেই, মধ্যযুগেজন্ম হলে আমি খ্রীষ্টধর্মের বিরুদ্ধে একইরকমভাবে আপত্তি জনাতাম যেমনটা এখন জানাচ্ছি ইসলামের বরুদ্ধে। কমিউনিজমের উতপাতের সময়ওকমিউনিজমের বিরুদ্ধে এমন আপত্তিই জানাতাম। তবে, খেয়াল করুন ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মগুল কিন্তু প্রাপাগেট করছে না। অর্থাৎ, কিছু সংখ্যক ইসলামের অনুসারীদের মতো অন্যান্য ধর্মগুলোর একই সংখ্যাক অনুসারী তাদের দল ভারী করার জন্য জান-জীবন বাজী রেখে মাঠে নেমে পড়ছে না। এবং তারা এই স্বপ্নও দেখে চলছে না যে একদিন তারা সারা বিশ্ব জয় করে ফেলবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এমনকি কমিউনিজমের মতো ভাইরুলেন্ট ধর্মও এটা করার মনোবল পাচ্ছে না। তাই এসকল গৌন ধর্মগুলোর উতপাত এখন একটি সংকীর্ণ ভূ-সমাজিক প্রেক্ষাপটে আবদ্ধ। এই জাগাতেও ইসলাম কিন্তু অন্যান্য ধর্মগুলো থেকে আলাদা হয়ে যায়। আর যুক্তি তর্ক নৃবিজ্ঞান দিয়ে ইসলামের মোকাবিলা করার বিরোধী আমি। এা ইসলামিস্টদের মনে এই ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দিতে পারে বলে আমি মনে করি যে- আমি বউ পেটাবো, বোরকা পড়াবো, শিরচ্ছেদ করবো কি করবো না এই ব্যাপারগুলো আসলেই যুক্তি-তর্ক ও নৃবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়, যদিও বাস্তব মোটেও সেরকম নয়। তাই, ইসলামকে আমি মোকাবেলা করবো শুধুই আট্টহাস্য দিয়ে।
@আল্লাচালাইনা,
ভাই,
এই বাক্যটা শোনার পরে, আমি নির্বাক। একটা ১৪০০ বছরের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অট্টহাস্য দিয়ে লড়াই?
আমি নিজে ইসলাম, হিন্দুত্ববাদ এবং কমিনিউজম-তিনটে ফ্রন্টেই লড়াই করি। কিন্ত যেকোন যুদ্ধের প্রথম নীতিই হল শত্রুকে ভাল ভাবে অনুধাবণ কর-অট্টহাস্য দিয়ে কেও যুদ্ধে জেতে বলে জানা নেই। তাছারা সব ইসলাম, হিন্দুধর্ম বা কমিনিউজম আমাদের শত্রু না। যে আদর্শবাদের বিরুদ্ধে লড়াই -তাদের গভীরে যেতে হবে। নইলে আমার কথা কেও শুনবেই বা কেন? লেখা ছাড়া ত আমাদের হাতে কোন অস্ত্র নেই।
ইসলামকে বা কমিনিউজমকে যারা ভালোবাসে -কেন ভালোবাসে সেটা আগে গভীরে বোঝার চেষ্টা করুন। সেই ভালো্লাগার কারন হজ, নামাজ না। সেই ভালোলাগার কারন একটা ইউটোপিয় স্বর্গ সমাজের কল্পনা যেখানে “আল্লার আইন ” প্রতিষ্টা হবে [ এবং তাতে শোষন অত্যাচার বিভেদ ইনজাস্টিস ইত্যাদি থাকবে না] । প্রতিটা মানুষই এতটাই শোষিত এবং অত্যচারিত-এই ধরনের প্রতিশ্রুতিতে সে বিশ্বাস করতে ভালবাসে। সেটাকেই সে জীবনের উদ্দেশ্য বলে মানে। মনস্তত্বের সেই গভীরতায় না ডুব মারলে, এই সব লেখাতে ইসলাম বিরোধিরা হাততালি দিতে পারে-কিন্ত যারা ইসলামকে ভালবাসে তাদের কেশাগ্রও আপনি স্পর্ষ করতে পারবেন না।
@বিপ্লব পাল,
কথাগুলি একটু deterministic হয়ে গেল না? কার কোন মন্তব্য কিভাবে কোথায় প্রভাব ফেলবে আগে থেকে বলা যায় কি? মত-প্রকাশের সময় একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কতটা উপকৃত হল তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব নিকাশ করা অসম্ভব বলেই মনে করি।
বলা দরকার নিজের মনের কথাটা, অট্টহাসি সমেত।
@রৌরব ও আল্লাচালাইনা,যদি পরিবর্তনের লক্ষে কথা বলেন তবে গভীরে যেয়ে উপলব্ধি করে কথা বলাই প্রয়জন। নইলে ” চিলেকোঠার সেপাই ” হয়েই সমাজে পরিবর্তনের কথা এবং পরিবর্তনের আশাই করে যেতে হবে আমাদের। অট্টহাস্য করে সমাজ পরিবর্তনের কাজ ও কথা বলা সুরক্ষিত জীবনেই সম্ভব বাস্তবতা অনেক চরম এবং চরম বলেই ধর্মগুলো হাজার বছর ধরে টিকে যাচ্ছে।
আসুন আমরা যেকোন পরিবেশের যোগ্য সৈনিক হই।
@ বিপ্লব পাল, বাস্তবতাকে আপনার সহজ সঠিক ও বাস্তবধর্মী দৃষ্টিকোন থেকে দেখে সুন্দর ব্যাখ্যা করা ও নিরপেক্ষ লেখায় আমি মূগ্ধ। আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করাও আনন্দের।
“শিশুদের সুন্দর মুখ ভরে থাকুক হাসি তে, আমরা সেই পরিবেশ নিশ্চিত করবো”
@Oni, বললেন “অট্টহাস্য করে সমাজ পরিবর্তনের কাজ ও কথা বলা সুরক্ষিত জীবনেই সম্ভব”। “অরক্ষিত” জনসাধারণ কি মনস্তত্বের গভীরে ঢুকে, নৃতত্বের academic তত্ব ব্যবহার করে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করে?
@রৌরব,আপনি প্রশ্ন করেছিলেন
আপনি বোধহয় প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন যে, পরিবর্তন প্রত্যাশী জনসাধারণ কি মনস্তত্বের গভীরে ঢুকে, নৃতত্বের academic তত্ব ব্যবহার করে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করে কিনা?
সমাজের নির্যাতিত জনগন হল “অরক্ষিত” জনসাধারন। তারা নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতেই নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সমাজ পরিবর্তন করার চেষ্টা তারা করতে পারছে না। আমি বলেছি যারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে তারা জনগনের মনস্তত্ব বুঝে নৃতত্বের প্রাতিষ্ঠানিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান কাজে লাগালে সফল পরিবর্তন করতে পারবে।
আপনার প্রশ্নের মাঝে জানতে চেয়েছেন “অরক্ষিত” জনসাধারন তা করে কি না? “অরক্ষিত”রা তো করছেই না এবং যারা করতে চাচ্ছে তারাও সফল হতে পারছে না কারন বৈজ্ঞানিক উপায়ে না যেয়ে ” অট্টহাসি ” হাসছে সবাই কমবেশি স্বজ্ঞানে বা নিজেরই অজান্তেই।
“সুরক্ষিত” তারা, যারা পরিবর্তনের কথা বলবে কিন্তু কাজ করতে অনীহা করবে, তারা কঠিন বাস্তবতা এরিয়ে গিয়ে লোক দেখানো প্রতিবাদ করে সময়ক্ষেপন করবে। এর মুল কারন এরা কখনো নিজে “ধর্ম” অথবা অন্যকোন “অত্যাচারের” শিকার হয়নি।এরা সব বুঝে এবং নিজেদের গা বাঁচিয়েও এরা চলতে জানে, তবে সুযোগ বুঝে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এরা “তির্যক” মন্তব্য করতে এবং “অট্টহাসি” হাসতে পারে এরা বেশ ভাল করে। এই “হাল ফ্যাশনের” বিদ্রোহীরা কিন্তু সমাজে ভেদাভেদ তৈরি করে আর যাই করুক ভাল কিছু করছে না। পরিবর্তনকারীরা এদেরও দমন করবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে।
“[…]পরিবর্তন প্রত্যাশী জনসাধারণ খুব শীঘ্রই মনস্তত্বের গভীরে ঢুকে, নৃতত্বের academic তত্ব ব্যবহার করে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করলেই সফল হবে”
ভাল থাকুন-
” আমরা একটি ফুল কে বাচানোর জন্য অস্ত্র ধরা জাতি, আমরা কোটি মানুষকে বাচানোর জন্য নিজেদের মাঝ থেকে সকল দুর্নীতি ঝেরে ফেলে দেব”
@Oni,
ধন্যবাদ আপনার জবাবের জন্য। আমার কিন্তু মনে হল, সুযোগ-সুবিধে-শিক্ষা-অবস্থান গত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করবে এটি আপনি স্বীকার করলেন। অতএব, স্রেফ “সুরক্ষিত” বলেই কারো প্রতিবাদ পদ্ধতিকে বাতিল করে দেয়া যায় না (আধুনিক নৃতত্ব এবং মনস্তত্ব যেহেতু “সুরক্ষিত”-দেরই অবদান)।
“অট্টহাসি” নির্যাতিত জনমানুষ ব্যবহার করে না, বা এর কোন প্রায়োগিক ব্যবহার নেই, এই দু-ব্যাপারেই দ্বিমত পোষণ করছি। Humor, তার বিভিন্ন আংগিকে, মানবমুক্তির সূক্ষ্মতম অস্ত্রগুলির একটি, সর্বত্রলভ্য, এবং মোটেও academic নয়।
অবশ্য শেষ অব্দি এই আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসু হবেনা, সেটা আপনার “বৈজ্ঞানিক” শব্দের প্রয়োগ থেকেই বুঝতে পারছি। মনোভংগির পার্থক্যটা বিরাট। তবুও আপনার মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানলাম, এ জন্য আবারো ধন্যবাদ।
@রৌরব,আপনাকেও ধন্যবাদ। ছোট করে বলতে চাই আমি পদ্ধতি বাতিল করিনি,তবে সেই পদ্ধতির অসারতার কথা বলেছি।“বৈজ্ঞানিক শব্দের প্রয়োগ” ব্যাপারটিও আমি বুঝিনি।হয়তো আমার “নেটোয়ার্কে” ধরতেই পারি নাই।যতটুকু আলোচনা করেছেন তাতে আমি কৃতার্থ।
সূখী থাকবেন।
অদ্ভুত লিখেছেন ভাই। তবে বাক্যগুলো একটু বেশী জটিল হয়ে গেছে। আর একটু সরল বাক্য হলে ভাল হতো।
@ভবঘুরে,
হ্যা, এটা ঠিক করে ফেলবো খুব তাড়াতাড়ি। কথাপ্রসঙ্গে- আপনার লেখা বেশ পছন্দ করি।
🙂 :yes:
:yes: অসাধারণ!!
@সৈকত চৌধুরী, 🙂 তারপর, অলৌকিক গ্রন্থের অলৌকিকতার গন্থানার পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হচ্ছেন কবে?
@আল্লাচালাইনা, দুঃখিত ভুল হয়ে গিয়েছে একটা। গন্থানা- পড়ুন গ্রন্থনা। আচ্ছা নিজের মন্তব্য সম্পাদনা করা যায়না?
@আল্লাচালাইনা,
বন্ধু, আশা করি কিছুদিনের মধ্যে হয়ে যাবে। আপনার লেখাটা পড়ছিলাম আর ভয়ে ভয়ে ছিলাম না জানি কোথাও ‘ব্যক্তি আক্রমনের অভিযোগ’ করার মত কিছু লিখে ফেলেছেন কি না। পড়ে নিশ্চিত হলাম যে এরকম কিছু নেই এবং যারপরনাই আনন্দিত হলাম।
বেশ সুন্দর লেখেন আপনি। একই শিরোনামে যদি আরো কয়েক পর্ব লিখে ফেলতেন।
স্বাগতম!!!
মুক্তমানায় আরো একজন শক্তিশালী লেখকের আগমন ঘটল। আশাকরি নিয়মিত আপনার লেখা পাব।
@নিদ্রালু, আপনাকে ধন্যবাদ, নিয়মিত থাকার চেষ্টা করবো।
অসাধারন। গোগ্রাসে গিলেছি বলা যায়। প্রত্যেকটি কথার সাথে একমত শতভাগ।
আপনার লেখাটিকে যদি ব্যক্তি আক্রমনের উদাহরন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাহলে অস্বাভাবিক ভাবব না। কিছুদিন আগে এক মডারেট মুসনমানকে ভন্ড বলাতে স্বয়ং মুক্ত-মনার কাছ থেকে ব্যক্তি আক্রমনের অভিযোগ শুনতে হয়েছে।
যাই হোক আবারও বলছি আপনার হাতের লেখাটা খুবই শক্তিশালী। জানিনা এতদিন কেন লেখেননি। এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন আশা করছি।
শুভ কামনা রইল।
আপনার লেখা পড়ে আমি বিস্মিত,আনন্দিত,অভিভূত।অবিশাস্য রকম সুন্দর গোছান লেখা।
যেনো বুকের ভেতরের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উদগীরণ দেখলাম। একটানে পড়ে গেলাম। যা আমি পড়তে পারিনা সাধারণত;অপূর্ব এই কথা গুলো,
“আর ফান্ডি যারা কিনা ইসলাম করে, সহাস্যে তাদেরকেও আমি বলতে চাই যে- ইসলাম আপনার জন্যও একটি হুমকী। কেননা এই মূহুর্তে যদি আপনার আশপাশে জিহাদ হয় তবে যতই ইমানদার ব্যক্তি হননা কেনো আপনি কোন ছাড় পেতে যাচ্ছেন না। দুঃখজনক হলেও সত্যি বোমার স্প্লিন্টার মুমিন কাফেরে কোন পার্থক্য বুঝে না। ”
আরো দারুণ লাগল ,
“ কিন্তু এতোটুকু তারা বুঝতে কিন্তু মোটেও অপারগ নয় যে চরমপন্থী ইসলাম তাদেরকেই ব্যাবহার করছে মানব-বর্ম হিসেবে। তাদের মাঝে লুকিয়ে থাকার যায়গা পাচ্ছে বলেই চরম-ইসলামের উতপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। শুধুমাত্র নিজের কিছুটা মানসিক প্রশান্তির জন্যই ইসলামের মতো একটি পাশবিক ধর্মকে তারা না বলতে পারছে না”
:yes:
@একা,
সফল বোধ করছি, তবে প্রাপ্যের চেয়ে অনেক বেশি প্রসংসা করে ফেললেন কিন্তু!
@একা,
আপনি সম্ভবত ‘সাইফুল’ কে জবাব দিতে চান নি এখানে। যদি অন্যের জবাব না দিয়ে নিজের আলাদা মন্তব্য দিতে চান তবে অন্যের মন্তব্যের ঘরের জবাব ক্লিক না করে মন্তব্যের জন্য নির্ধারিত ঘরে মন্তব্য লিখে ‘মন্তব্য করুন’ এ ক্লিক করেন।
আমি যদি ভুল করি তবে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
আমি সম্ভত ভুল করে ফেলেছি,এবং এই ভুলটা অনিচ্ছাকৃত। আপনি ক্ষমা চাইবেন কেন? আমারই ভুল হয়েছে। ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে। আর যেনো এমন ভুল না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখব। ধন্যবাদ আমাকে ভুল দেখিয়ে দেয়ার জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
এরজন্যে কিছুটা অ্যাবিউস লাভ করতে যাচ্ছি জানি, আমি প্রস্তুত। হযরত ও তার কর্মকান্ডকে কেউ ডিফেণ্ড করলে আমি মনে করি তার কিছুটা আক্রমন প্রাপ্য রয়েছে যেমন আক্রমন প্রাপ্য রয়েছে তারও যে কিনা হ্যারল্ড শিপম্যানকে ডিফেন্ড করছে। ভালো লাগল জেনে যে পড়েছেন, ভালো থাকবেন।
@আল্লাচালাইনা, কিছুটা নয় বেশ ব্যক্তি আক্রমনের ব্যাপারটি বিদ্যমান লেখাই।এতে করে লেখার মান কমে গেছে কিছুটা।যদিও আপনি যা প্রকাশ করতে চেয়েছেন তা সহজেই আমারা বুঝেছি।লেখা ভাল হয়েছে।যথেষ্ট যুক্তি সম্পন্ন।খুব শিঘ্র আরো লেখা আশা করছি।তবে পরের লেখাই আরো মান সম্পন্ন লেখা আশা করছি কারন আপনার শক্ত কলমী । ভাল মান সম্পন্ন লেখা আশা করাটা আপনি অ্যাবিউস হিসেবে দেখবেন না আশা করি। 🙂
রাগ সব সময় ভয় থেকেই জন্ম নেয়।আমরা মুক্তমনা,আমরা কিছুতেই ভয় করি নাহ।তাই আমাদের রাগের স্থান নেয়।আপনার শক্ত লেখানী অন্য কারো ভয়ের কারন হউক। :guli: :yes:
আবার বলছি লেখা বেশ ভাল হয়েছে। :yes: :coffee: :cigarette:
খুবই আবেগঘন লেখা।
@Atiqur Rahman Sumon, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার লিখতে মনে চায় সাধারণত কোন কিছু চোখের সামনে ঘটতে দেখলে, কোনকিছু আমাকে আন্দোলিত করতে পারলে। আমার এই লেখার প্রেক্ষীত ছিলো- সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামের বোমাসন্ত্রাস ও মৃত্যু-হুমকী সন্ত্রাস এবং তথাকথিত মডারেটদের এই বিষয়ে আশ্চর্যজনক নীরবতা। তাই, আবেগ এসে পড়েছে অনেক জাগায়।