বানান নিয়ে বকবকানি
বানান ভুল নিয়ে মুক্তমনায় ইদানিং অনেকেই মহাবিরক্ত। তাদের বিরক্তি তারা প্রকাশ করেছেন নানাভাবে। মুক্তমনা এডমিনও খুব সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বানান ভুল নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে। সোচ্চার না হয়ে উপায়ও নেই কোন। কারো কারো লেখায় বানান ভুলগুলো এমনভাবে বসন্তের দাগের মত উৎকট হয়ে থাকে যে সেগুলোকে সহজভাবে মেনে নেয়াটা আসলেই বড্ড কঠিন কাজ। শুধু প্রবন্ধই নয়, কবিতাগুলোও বানান ভুলের দোষ থেকে মুক্ত নয়। কারো কারো কবিতায়তো বানান ভুলের ভুড়ভুড় গন্ধে কাছেই ভেড়া যায় না। আট লাইনের একটা ছোট্ট কবিতায় যদি বারোটা বানান ভুল থাকে তবে সেটা পড়তে কি আর কারো ভালো লাগে? গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত এখন মন্তব্যেও বানান ভুলের মচ্ছব শুরু হয়েছে।
কেউ কেউ বানান ভুলের অজুহাত হিসেবে ব্যাকরণে দুর্বলতার কথা বলছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে যে, বানান শুদ্ধ করে লেখার জন্যেতো ব্যাকরণের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হচ্ছে একটি অভিধানের আর সদিচ্ছার। যারা দেশে আছেন তাদের পক্ষে কী খুব একটা কষ্টকর কাজ একটা অভিধান জোগাড় করা? দেশের বাইরে যারা আছেন তাদের কাছে অভিধান নাও থাকতে পারে। তবে না থাকলেও খুব একটা ক্ষতি নেই। অনলাইনে সংসদ বাংলা অভিধান পাওয়া যায়। সেটা দিয়ে বানানগুলো ভুল না শুদ্ধ সেটা যাচাই করে নিতে পারেন।
কেউ কেউ আবার টাইপোর অজুহাতও দিয়ে থাকেন। এটা অবশ্য ফেলনা যুক্তি নয়। কিন্তু, কথা হচ্ছে টাইপোর ক্ষেত্রে সাধারণত কঠিন বানানটা ভুল হবার কথা। যেমন ধরুন গুণ লিখতে গিয়ে গুন লিখতে পারে কেউ। কিন্তু ধন্যবাদ লিখতে গিয়ে কেউ যখন দিনের পর দিন ধণ্যবাদ লেখে বা কাহিনী লিখতে গিয়ে লিখে কাহীনি তখন কী আর টাইপোর অজুহাত খাটে?
একটা লেখা লিখতে একজন লেখককে অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হয়, অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সেই কষ্টের লেখাটাই যখন বানান ভুলের দোষে দুষ্ট হয়ে পাঠকের মনে বিরক্তির জন্ম দেয় তখন সেটা নিশ্চয়ই লেখকের জন্য সুখকর কিছু নয়। লেখার সময় বানান ভুল বা টাইপোগুলোকে চোখে নাও পড়তে পারে। লেখার পরে নিজে সম্পাদনা করলে বা কাউকে দিয়ে পড়িয়ে নিলে বানানগুলোকে বশে আনা কিন্তু খুব কঠিন কোন কাজ নয়। এত পরিশ্রম করে একটা কিছু লেখা হচ্ছে আর সামান্য একটু কষ্ট করে সেটাকে গোটা দুয়েকবার সম্পাদনা করা যাবে না তা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
মুক্তমনায় বানান ভুল নিয়ে যারা সবচেয়ে বেশি বিরক্ত তাদের মধ্যে বন্যা একজন। জীবনের একটা সময়ে বাংলা লেখালেখির সঙ্গে তার কোন সংস্রব ছিল না বললেই চলে। অনেক কষ্ট করেই বাংলা লেখা শিখতে হয়েছে তাকে। (এখন অবশ্য সেটা বোঝার আর কোন উপায় নেই। বাংলায় তার দখল এখন এমনই যে, দেখলে মনে হবে যেন বাংলা সাহিত্যেরই ছাত্রী ছিল সে।) সে কারণেই হয়তো বানান নিয়ে লোকজনের পরিশ্রমবিমুখতায় পুঞ্জীভূত অসন্তোষ তার। তার এই অসন্তোষ বহুবারই সে জানিয়েছে আমাকে।
অনেকদিন আগে বানান নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম। সেই লেখাটাই আবার পোষ্ট দিলাম এখানে।
_______________________________________
দিনে দিনে মুক্তমনার জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য বাঙালিদের কাছ থেকে দারুণ দারুণ সব লেখা পাচ্ছি আমরা প্রতিনিয়ত। বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে মুক্ত বিহঙ্গের স্বাধীনতা থাকার কারণে নিত্য নতুন চমকপ্রদ বিষয়ের উপর অত্যন্ত সুখপাঠ্য, জ্ঞানগর্ভ ও আনন্দদায়ী লেখাতে প্রতিদিনই উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে মুক্তমনার প্রধান পাতা। এটা নিঃসন্দেহেই অত্যন্ত সুখের খবর, গর্বেরও বিষয়। প্রতিদিন হালনাগাদ করা হয় এরকম বাংলা আন্তর্জালিক পত্রিকা সংখ্যায় এতই কম যে গুণতে মনে হয় আঙুলেরও প্রয়োজন পড়বে না ।
মুক্তমনায় যে লেখাগুলো আসে তার সবগুলোই আমি অসীম আগ্রহ নিয়ে গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ি। মুক্তমনার বেশিরভাগ লেখকের লেখারই দারুণ ভক্ত আমি। কারো কারো লেখাতো এতো অসাধারণ, সাবলীল এবং ঝরঝরে যে পড়ার পর নিজে কি সব ছাইপাশ লিখি সেটা ভেবে রীতিমত লজ্জায় কর্ণলতি রক্তিম হয়ে যায় আমার। মুগ্ধ আবেশে অবাক বিস্ময়ে ভাবি এত সুন্দর লেখা মানুষ লেখে কি করে। আমি হাজার মাথা কুটে গণনযন্ত্র১ ভেঙে ফেললেওতো ওরকম লেখা আমার চাবি-ফলক২ দিয়ে বের হবে না। একারণেই মাঝে মাঝে ধনুর্ভঙ্গ পণ করে ফেলি যে আর লিখবো না এই সব ছাইপাশ। তবে আমার ধনুকটা অত শক্তপোক্ত নয় বলেই হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই আবারো বেহায়ার মতো টুক টুক করে আঙুল চালাই চাবি-ফলকে।
যাইহোক, এই লেখার বিষয়বস্তু কিন্তু কার লেখার মান কি রকম সে বিষয়ে নয়। আমাদের অনেক লেখকই চমৎকার লেখেন সে বিষয়টা নিয়ে শুধু আমার কেন হয়তো কারো মনেই কোন সন্দেহ নেই। ভাল একটা লেখাতো আর এমনি এমনিই আসে না। এর জন্য গভীর যত্ন নিতে হয়, ঠিকমত জল টল দিতে হয়, সেই সাথে আন্তরিকতার মশলা মিশিয়ে দিতে হয় পরিমাণমত। তারপরই না পাওয়া যায় সুস্বাদু মচমচে জিনিষ। আমার মত চাবি-ফলকে ঝড় উঠিয়ে হুম হাম করে যা মনে এলো তাই লিখে ফেলা, সেরকম করে নিশ্চয় খুম কম লোকই লেখেন। তবে অনেক সময় যেরকম কুড়মুড়ে মুড়মুড়ে জিনিষও সামান্য লবনের অভাবে বিস্বাদ হয়ে যেতে পারে, সেরকম শুধুমাত্র বানান ভুলের কারণে অসাধারণ একটা লেখাও কখনো কখনো অত্যন্ত বিরক্তিকর পর্যায়ে নেমে আসতে পারে। যার কিছুটা লক্ষণ বাংলায় যারা লেখালেখি করেন তাদের সবার মধ্যে না হলে কারো কারো মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
আমি খেয়াল করে দেখেছি যে, কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমরা বাংলা বানানের প্রতি খুব একটা যত্নশীল না। হরহামেশাই ভুলভাল বানানে লিখে ফেলি যা লেখার তা। এর জন্য তেমন কোন লজ্জাবোধ বা আত্মগ্লানিতেও ভুগি না আমরা। আমি নিজেও যে ধোয়া তুলসী পাতা তা বলছি না। আমার নিজের লেখাগুলো যে সম্পূর্ণ বানান বিভ্রাটমুক্ত এমন দাবী করার মত সৎ সাহস অন্তত আমার নেই। অবশ্য এই লেখাটা আমি সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে লিখছি। ( বুদ্ধি করে একটা অভিধান নিয়ে বসেছি। কাজেই বলে নিচ্ছি ভুল টুল কিছু হলে অভিধান বেটাই দায়ী, আমি না।)। বানান ভুল সংক্রান্ত নিয়ে লেখায় বানান ভুল থাকুক এটা নিশ্চয় খুব একটা প্রীতিকর কিছু নয়। তারপরও কেউ কেউ হয়তো আমার এ লেখাতেই সামান্য চেষ্টা করলে বেশ কিছু বানান ভুল আবিষ্কার করে ফেলতে পারবেন। তবে এটুকু অন্তত আশা করছি যে কেউ আমাকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে আঙুল তুলে বলবেন না, ‘বাপু হে, আগে নিজের কাছাখানা সামলাওতো দেখি’।
তবে এটাও সত্যি বাংলা বানানের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সর্বজনগ্রাহ্য কোন বানান রীতি গড়ে উঠেনি। দুই বাংলায় দুই ধরনের বানানতো আছেই, সেই সাথে বানানের ব্যাকরণ রীতিটাও বড্ড বেশি জটিল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে। চোখ বন্ধ করেতো দূরের কথা চোখ খোলা রেখেও ভরসা করার মতো কোন অভিধান আমাদের নেই। বাংলা একাডেমীর অভিধানের সাথে পশ্চিম বাংলার সংসদ অভিধানের যথেষ্ট পার্থক্য সাদা চোখেই যে কারো কাছে দৃশ্যমান হবে। এর অবশ্য কারণও আছে। পশ্চিম বাংলায় বাংলা অনেকটা স্থির, আঁটোসাঁটো নিয়মের মধ্যে কাঠামোবদ্ধ অবস্থায় আছে। সেই তুলনায় বাংলাদশের বাংলা চপলা কিশোরীদের মত বড় বেশি চঞ্চলা, বড্ড বেশি বল্গাহীন এবং ভয়াবহ রকমের গতিশীল। এই গতির কারণেই বাংলাদেশের বইয়ের পাতার প্রমিত বাংলা ভাষা আর মানুষের মুখের ভাষায় গড়ে উঠেছে আসমুদ্র হিমাচল দূরত্ব। বা বলা যায় যে বাংলাদেশে মানুষের মুখের ভাষা প্রমিত বাংলাকে হঠিয়ে দিয়ে উঠে আসছে বইয়ের পাতায়। এতে অবশ্য সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। যে যেভাবে শব্দগুলোকে উচ্চারণ করে এখন সেইভাবেই লেখার একটা প্রবনতা দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যে। এতে করে কোন কোন শব্দের সর্বজনগ্রাহ্য বানানও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অনেকসময়। ভাষা হচ্ছে বহতা নদীর মত। তার নিজস্ব নিয়মে সে বিবর্তিত হবে সেটাই স্বাভাবিক। এতে আমার বা আমার মত অনেকেরই হয়তো কোন আপত্তি নেই। কিন্তু একই সময়ে একই জিনিষ একেকজন বানান লিখবে একেকভাবে সেটা মেনে নেওয়াটাও বেশ কষ্টকর।
বাংলা উচ্চারণ রীতিও বানান ভুলের জন্য বেশ কিছুটা দায়ী। গরু, তরু, জরু অনেক বেশি সঠিক উচ্চারণ আসে গোরু, তোরু বা জোরু লিখলে। ন এর সাথে ণ, ই এর সাথে ঈ বা স এর শ, ষ এবং স্ব পার্থক্য করাও কঠিন। গণ লিখলেও যে উচ্চারণ আসে গন লিখলেও সেটাই আসে। রীতিকে রিতী লিখলেও উচ্চারণ পাল্টাবে না একবিন্দু। সাভাবিক আর স্বাভাবিকের মধ্যে উচ্চারণগত পার্থক্য কি আমরা করতে পারি? পারি না। তাহলে উচ্চারণ রীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বানান লেখা হবে কীভাবে? নাকি বানানের ক্ষেত্রে উচ্চারণকে উপেক্ষা করে ব্যাকরণকে প্রাধান্য দিতে হবে? মহা জটিল সমস্যা দেখছি!
ভাগ্য ভাল এটা আমার সমস্যা না। যাদের মাথা ব্যথা সেই ব্যাকরণবিদরা মাথা ঘামাক ওগুলো নিয়ে। আমার সমস্যা অন্যখানে। আমি যে কারণে এত বকবক করছি সেই বিষয়ে আসা যাক এবার। মুক্তমনা ইউনিকোডে যাওয়ার আগে আমরা লেখকদের পাঠানো পিডিএফ ফাইল বা তাদের ডক ফাইলকে মুহুর্তের মধ্যেই ঝটপট পিডিএফ করে সেটাকেই সংযোগে জুড়ে দিতাম। বড্ড সহজ ছিল কাজটা। আহা! কি আরামের দিনই না গেছে তখন। ভুলভাল বানান যা থাকতো তার সব দায়দায়িত্ব লেখকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যেতো তখন অনায়াসে। আমরা থাকতাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু ইউনিকোডেড হওয়ার পর থেকে আমাদের কাজ গেছে ঢের বেড়ে। বেশিরভাগ লেখকেরা এখনো বিজয় বা বর্ণসফট চাবি-ফলক ব্যবহার করে থাকেন। সেগুলোকে ইউনিকোডে রূপান্তর করার সময় রূপান্তরক৩ মহাশয় বাংলা অক্ষরের সাথে সাথে আরো বিচিত্র সব অজানা হিজিবিজি চিহ্ন জুড়ে দিয়ে জগাখিচুড়ি যে জিনিষটা উগড়ে দেন তাকে বাংলা বললে বাংলাকে রীতিমত অপমান করা হয়। জগাবাবুর সেই খিচুড়ি থেকে পরে ডাল বাছার মত এক এক করে ওইসব বিচিত্র চিহ্নগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে হয় চাবি-ফলকে বাংলা অক্ষর মুদ্রণ৪ করে করে। সেই সময় যেহেতু কিছুটা হলেও লেখায় হাত পড়ে যায়, কাজেই ভুল বানানগুলোকে ঠিকঠাক করার জন্য আঙুলগুলোও নিশপিশ করতে থাকে তখন। গভীরকে গভির, স্বভাবকে সভাব বা মানুষকে মানুস দেখলে কারই বা আঙুল স্থির থাকবে বলুন। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সময়ের অভাবে সেটা করা হয়ে উঠে না আর। তবে মনের মধ্যে খুঁতখুঁতানিটা থেকে যায় ঠিকই।
বিদঘুটে এই খুঁতখুঁতানি থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করতে পারেন একমাত্র লেখকেরাই। যে গভীর ভালবাসায় লেখাগুলো লিখছেন আপনারা, সেই একই গভীর ভালবাসা নিয়ে বানান গুলোকেও একটু ঠিকঠাক করে দিন দয়া করে। এজন্য খুব বেশি কিছু করতে হবে না আপনাদের। শুধু লেখা শেষ হওয়ার পর পরই কালবিলম্ব না করে ইয়া আলী বলে বিকট এক হুংকার দিয়ে মোটাসোটা একটা বাংলা অভিধান হাতে নিয়ে সম্মুখ সমরে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। আপনার অজান্তে চাবি-ফলকের ভূত যে বানানগুলোকে ভুলভাল করে লিখেছে সেগুলোকে কোন রকম দয়া মায়া না দেখিয়ে আচ্ছা মত চাবুক মেরে জন্মের মত সোজা করে দিন। এরকম কিছুদিন নিয়মিত কষে চাবুক পেটা করলে ভূত বাবাজী বাপ বাপ করে পালিয়ে কূল পাবে না আপনার চাবি-ফলক থেকে। ভূতের হাত থেকে পরিত্রাণ পেয়ে তখন আপনার লেখাও হয়ে উঠবে আরো বেশি ঝকঝকে এবং তকতকে।
আর বানান বিভ্রাটমুক্ত ঝকঝকে তকতকে একটা লেখা পেয়ে আপনার গুণমুগ্ধ পাঠকেরা তাদের ভালবাসা উদারহস্তে দ্বিগুণ বা তিনগুণ করে আপনাকে ফেরৎ দেবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
এই লেখার কারণে অজান্তে কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভাল থাকুন সবাই।
————————————
১ গণনযন্ত্র- কম্প্যুটার
২ চাবি-ফলক- কিবোর্ড
৩ রূপান্তরক- কনভার্টার
৪ মুদ্রণ- টাইপ
অতি প্রয়োজনীয় এই পোষ্টটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাই ও বোনেরা আমার,
আজ অতি ভরাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার লেখায় ও মন্তব্যে অজস্র বানান ভুল করে 😛 আপনাদের বিরক্তি উৎপাদন করে আমি ক্কবীরা গুণাহ করেছি। আপনারা ক্ষমা না করলে পরকালে না হোক, ইহকালে আমার শান্তি নাই। আমি যদি আজ থেকে নিজেকে শুধরাবার নাও পারি, আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, নয়া নয়া লেখকদের প্রতি দয়া প্রদর্শণ করুন। (আর) আপনাদের যার যা কিছু আছে :guli: তাই দিয়ে আমার ভুল শুধরে দিন। লিখেই যখন ফেলেছি, তখন আরো লিখবো, কিন্তু বানান শুদ্ধ করে ছাড়বোই ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম বানানের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের শুদ্ধ করার সংগ্রাম। জয় বা-না-ন।
ফরিদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ বানান নিয়ে কিছু বলার জন্য! সত্যি বলতে কি, আমিই বোধহয় এক্ষেত্রে প্রধান কালপ্রিট, বন্যা না 😀 আমি বন্যার কাছে অসংখ্যবার মুক্তমনায় বানানের অবস্থা নিয়ে আমার বিরক্তি প্রকাশ করসি। বানান আমারও অনেক ভুল হয় – অনেক ক্ষেত্রে ঠিক বানানটা জানি না বলে, আর কখনও সখনও অসাবধানতাবশতঃ। কিন্তু, কিছু কিছু পোস্ট এবং কমেন্ট পড়লে মনে হয় ঐ লেখাটা যে অন্যান্যরাও পড়বে সে ব্যাপারে লেখক একেবারেই উদাসীন, কোনরকমে মনের ভাব প্রকাশ করাটাই শেষ কথা। আমার কাছে এটা পাঠকের প্রতি একধরনের অবজ্ঞার প্রকাশ বলে মনে হয়। এবং এটা একটা ব্লগ হিসাবে মুক্তমনার মানের জন্যও যে খুব ভালো কিছু না, সেটা তো বলাই বাহুল্য।
বানান নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা যদি কারুর লেখার স্বতঃস্ফূর্ততায় ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে প্রথমে যা লেখার লিখে ফেলে কিছুক্ষণ পর বানান বা বাক্য গঠন ইত্যাদি ঠিক করে পোস্ট করলেই বোধহয় সমস্যা হবে না।
আমিও এমন কিছু দিগগজ না, কাজেই আমার লেখার ভুল বানানগুলাও দেখায় দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো 🙂
@স্নিগ্ধা,
বন্যার বিপুল ঢলের আড়ালে স্নিগ্ধতার মোড়কে কেউ যে কেউটে সাপের মত বসে ছিল সে আমি জানতাম। 😉 বেচারী বন্যা। বন্ধুর কারণে বধ্যভূমিতে বুলেটের আঘাতে বেঘোরে প্রাণ দিল। 😀
আরেকটা বিষয় আমি লক্ষ্য করলাম। মিডিয়ার কারণে ভাষার প্রতি আগ্রহ ভিন্ন হয়। আমি দেখলাম যে যখন আমি কোন কিছু ছাপার জন্য লিখি তখন বানান সম্পর্কে একটু বেশি যত্নবান হয়। কিন্তু ওয়েবে লেখার সময় ততটা হইনা। কেন? এটা কি স্কুলের পরীক্ষার খাতায় লেখার সময়ে যে সতর্কতা তার থেকে উৎপন্ন? নাকি হার্ড কপিতে ছাপার লেখাকে আমরা এখনো বেশি গুরুত্ব দেই?
একটা কারণ (নাকি কারন?) হতে পারে যে ব্লগে লেখার সময়ে এক ধরনের উন্মাদনা কাজ করে। লিখে সাথে সাথে তা প্রকাশিত হতে দেখার উন্মাদনা। অন্যদের প্রতিক্রিয়া দেখার তর সইতে না পারা।
আরেকটা কারণ হতে পারে যে, ব্লগে তো পরে সম্পাদনা করা যাবে। ছাপা হয়ে গেলেতো তা আর পারা যাবে না। তবে আস্তে আস্তে ব্লগ যেহেতু লেখার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠছে তাতে মনে হয় এর সাথেও আমরা খাপ খাইয়ে নিতে পারব।
@ ফরিদ আহমেদ,
১। শুদ্ধ বাংলা বানানে লেখা সর্ম্পকে এই লেখাটি অতি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। লেখার বিনয়ভাষণটুকুও চমৎকার।
অনলাইন সংসদ অভিধান চিহ্নিত করে রেখেছি। এটিও খুবই দরকারি। :yes:
২। এরপরেও লেখকের নিজস্ব বানানরীতি নিয়ে একটি ছোট্ট লেখা রচনার জন্য উৎসাহ বোধ করছি। আগেই জানিয়ে রাখি, আমার সব লেখার মতো, সম্ভাব্য ওই লেখাটিরও নিন্দা-প্রসংশা — সবই সাদরে গ্রহণীয়। :rose:
৩। একই সঙ্গে মুক্তমনা ডটকম প্রশাসকের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, পরিবীক্ষণ ছাড়াও নিবন্ধিত সদস্যর সব মন্তব্য অন্তত যেনো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সম্পাদনা করা যায়– এমন সুযোগ সৃষ্টি করার। কেননা, মন্তব্যের ঘরেও ভুল বানান দৃষ্টিকটু। :deadrose:
মুক্তমনা ডটকম-এর সর্বাত্নক সাফল্য কামনা।। :clap2:
মুক্তমনায় প্রকাশিত লেখাগুলোতে বানান ভুল দেখলে পাঠকদের অবশ্যই সেগুলো মন্তব্যের ঘরে সংশোধন করে দেওয়া উচিত। এতে করে লেখকদের সুবিধা হবে।
@পৃথিবী,
এ ক ম ত ।। :yes:
আমার কাছে কোন মুরদ্রিত অভিধান নেই। অনলাইন অভিধানের যে লিংকটা দিয়েছেন সেটাকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় একটু যদি বলেন ভালহয়।
ধরুণ আমি “ধরুণ” না ধরুন হবে এই বানান টা পরীক্ষা করতে চাই তাহলে কিভাবে/ কীভাবে করতে পারি?
@নিদ্রালু,
জটিল প্রশ্ন। সম্ভবত, আন্তর্জালিক অভিধান স্মৃতি থেকে শব্দার্থ বের করে বলে প্রয়োজনীয় শব্দ খুঁজে পেতে অনেক সময়ই বেগ পেতে হয়।
যেমন, আপনার ওই ‘ধরুণ’ বা ‘ধরুন’ — কোনোটিই সংসদের অন্তর্জাল-সংস্করনে পাইনি। শুধু ‘ধরা’ লিখে সন্ধান করে যা পাওয়া গেছে, তা হচ্ছে:
[লিংক]
@বিপ্লব রহমান,
অনলাইনে বাংলা অভিধান নেই বললেই চলে। যাও দুই একটা আছে সেগুলোও খুব একটা কাজের না। এখন পর্যন্ত আমার কাছে সংসদ বাংলা অভিধানটাকে সবচেয়ে শক্তিশালী মনে হয়েছে। তবে এরও প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলা একাডেমী প্রণীত বানানের চেয়ে এর বানানগুলো অনেকক্ষেত্রেই ভিন্ন। মাঝেসাঝে ভুলভাল বানানও দেখায় এই অভিধান। ব্লাডি সিভিলিয়ান এর একটা লিংকও দিয়েছেন। তবে, আমার কাছে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা যেটা মনে হয়েছে, সেটা হচ্ছে এর শব্দভান্ডার খুবই সীমিত। অসংখ্য প্রচলিত শব্দকেই এই অভিধান সনাক্ত করতে পারে না। এই যেমন, অভির এত প্রিয় ভেড়া শব্দটি। এটিকে এই অভিধান সনাক্তই করতেই পারলো না। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, ভিড়া শব্দটাকেও এখানে খুঁজে পেলাম না আমি।
@বিপ্লব রহমান,
তাহলে এখন উপায়?? আমার কী হবে?
বাংলা একাডেমীর (এটাও ভুল বানান) প্রমিত বাংলা বানানের রীতিটা এখানে দেওয়া হল। আগ্রহীরা একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে, এখানেও কিছু ত্রুটি আছে।
এছাড়া পড়তে পারেন এই লেখাটিও, এতে নানান বানানবিধির বিবরণ ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আছে।
সংসদ অনলাইন অভিধান নির্ভুল নয়। প্রমাণস্বরূপ, এই লেখাটি দেখুন।
লিখতে বসুন হাতের কাছে বাংলা একাডেমীর বানান অভিধান নিয়ে। ওটাই এখন অব্দি মোটামুটি আধুনিক।
আর, শুদ্ধ বানান সংক্রান্ত লেখা পড়ুন, লিখুন। বানান ভুল করে লেখা মোটেও উচিত নয়, তার চেয়েও গর্হিত কাজ শুদ্ধ বানান না জানার অপচেষ্টা করা। বাংলার জন্যে প্রাণ যদি দেওয়া যায়, তাহলে লিখতে গেলে শুদ্ধ করা যাবে না কেন? আমারও বানান ভুল হয়, হতে পারে। কিন্তু, ঠিকটা শেখার জন্যে চেষ্টা করি এবং এজন্যে শ্লাঘা অনুভব করি। অন্তত, বাঙালি হিসেবে অন্তর্জাল তো প্রচুর ভুল বানানে দূষিত করি না।
আসলে এই খেয়ালখুশিতে লেখালেখি আমরা নিয়ত করি বটে, কিন্তু ঠিক বানান আমার আরাধ্য। তাই এই কথায় একটু কষ্ট পেলেও এটাই হয়তো বাস্তবতা। হরেক রকমের বানানের ছড়াছড়ি দেখলে কেউ কিভাবে বুঝবে বলুন তো ঠিক কোনটা? অন্য কোন ভাষায় এরকমটা হয় কি? মনে হয় না।
তাই, আসুন, আমরা শুদ্ধ বানানে লিখি, আর অন্যদেরও শুদ্ধ বানানে লিখতে উৎসাহিত করি।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, আপনি বোধ হয় বোঝেন নি, ফরিদ ভাই তার লেখায় আমার কথা এভাবে বলে দিয়েছেন বলে আমি এটা ফাজলামি ( সারক্যাস্টিকালি) করে বলেছিলাম।
সবচেয়ে আজব ব্যপার হল যে কম বেশি সবার বানানে ভুল ধরলেও ফরিদ মামা এখনো একবারের জন্যও আমার বানানে ভুল ধরেন নাই!!! আমার বানানে তো আমার জানা মতে ভুলের অভাব নাই!!
তাইলে আমি বেঁচে গেলাম কিভাবে!!? 😕 এইটা অন্যায়!! ভাগ্নের প্রতি পক্ষপাতিত্ব!! বানান পুলিশ স্বজনপ্রীতির দায়ে দুষ্ট!! 😛
@তানভী,
অত লাফানোর কিছু হয় নাই, তার মানে আসলে তোমারে গোনার মধ্যেই ধরা হয় না 🙂 ।
:lotpot:
@আদিল মাহমুদ,
মামা!! এই কথা আমিও ভাবসিলাম!! কিন্তু শরমে কইতে পারি নাই!! 😥
@তানভী,
শরমের কিছুই নাই, যুক্তিবাদী মাইনষের আবার কিসের এত মেকি শরম? সত্য হইল সত্য।
তুমি হইলা দুধভাত, এইটাই সত্য 😀 ।
আচ্ছা ফরিদ ভাই, বানান নিয়ে আপনার সারা জীবনের সমস্যাটা আমার উপর দিয়ে দিব্যি চালায় দিলেন? নিজের মেজাজ খারাপটা ব্লগে বলবেন সেটুকু সৎ সাহস পর্যন্ত আপনার নাই? আপনাকে কিন্তু আমি অন্যরকম ভাবসিলাম। আর আরেকটা কথা, হয়তো বাংলায় লিখি নাই, আমি মোটেও কখনই বাংলার সংস্পর্শ থেকে দূরে ছিলাম না।
অন দ্য রেকর্ড বলে রাখি, আমার বানান নিয়ে কোন সমস্যা নাই, জৈব বৈচিত্র নিয়ে যেমন আমি খুশীতে ডগমগ করি, মুক্তমনায় বানানের বৈচিত্র দেখলেও আমার খুব ভালো লাগে। আমার নিজেরই বানানের যা অবস্থা অন্যকে বানান নিয়ে বলার আগে আমার সাতবার তওবা করা উচিত।
@বন্যা আহমেদ,
হেঃহেঃহেঃ, বৈচিত্র্য নিয়ে আমার আবার কোন আনন্দ নেই। অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করার খুশিতেই ডগমগ আমি। 😉
@ফরিদ আহমেদ, খুশি বোল্ড কইরা দিয়া এত খুশী হওনের কিসু নাই। বানান দুইটাই ঠিক। আর বৈচিত্র্য লিখতে যে আবার একটা বেহুদ্দা য ফলা লাগে এইডা কিন্তু আসলেই জানতাম না, জেনুইন মিস্টিক কইতে পারেন …… 🙂
লেখাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ :yes:
আচ্ছা, শব্দটা কি ভেড়া হবে নাকি ভিড়া ?
@অভিজিৎ,
তোমার কুমতলব বুছছি মিয়া। ভাবছিলা এইবার আমারে ভেড়া বানাইবা ভেড়া বানান দিয়া। লাভ নাই বৎস। আটঘাট সব ঠিক কইরাই মাঠে নামছি আমি। অভিধান কইতাছে ভেড়া আর ভিড়া দুইটা বানানই সঠিক। 😀
@ফরিদ আহমেদ,
বানান তো সঠিক, মাগার মানে তো মনে হয় ভিন্ন 🙂
ছাগল-ভেড়া আর ভিড়া কি এক হইল? কি কন!
@অভিজিৎ,
অভিধান কইতাছে ভেড়া আর ভিড়া দুইটার বানান আলাদা, কিন্তু মানে অভিন্ন।
ভিড়া, ভেড়া, v. Come near (as a boat): draw near, touch at)
তোমার চিন্তাভাবনা দেখতাছি খালি চতুষ্পদী প্রাণীর চারদিকেই ঘুরঘুর করতাছে। ঘটনাডা কী? :-/
@ফরিদ আহমেদ,
হাঃ হাঃ, চতুষ্পদী প্রাণীর চারদিকেই ঘুরঘুর করতাছে – এটা বোধ হয় বিবর্তন আর বন্যার প্রভাব 😀
আচ্ছা ভেড়া থেকে না হয় মুক্তি দিলাম আপনেরে, কিন্তু আরেকটা মামলা খাড়া করি –
আমার মনে হয় বাক্যটাতে কী এর জায়গায় কি হবে, আর শেষে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) হবে।
আমি তো জানতাম কোন প্রশ্নের উত্তর হ্যা-না দিয়ে দেয়া গেলে সেখানে কি হয়।
সেটা পড়তে কি আর ভাল লাগে? (হ্যা/না) তাই না? 🙂
@অভিজিৎ,
বেচারা বালক!! বউয়ের বিরস বদন দেখে ব্যাকরণের বন্যা-ঘাত করে বীরপুরুষ সাজার বেশ বালসূলভ ব্যর্থ প্রয়াস দেখালে বটে!!!
ছাপাখানার ভূত বইলা একখান কথা আছে না। মুদ্রণ প্রমাদ সেই ভূতের কারণেই ঘটছে। যাও ঠিক কইরা দিতাছি ওহনই। মামলা ডিসমিস। 🙂
“১ গণনযন্ত্র- কম্প্যুটার
২ চাবি-ফলক- কিবোর্ড
৩ রূপান্তরক- কনভার্টার”
– বাংলা ভাষা কি ফরিদ ভাই এর কল্যানে ৩টি নুতন শব্দ লাভ করল?
@আদিল মাহমুদ,
কল্যান বানানটা বোধ হয় কল্যাণ হবে।
আমি এক অভাগা কপালপোড়া তো বাংলাদেশের কলেজ ইউনিভার্সিটিতে বাংলায় পড়ার সুযোগই পাইনি। ভয়ে ভয়ে লিখি আর আমার সকল সামর্থ্য দিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করি যেন একটা বানানও ভুল না হয়। অজ্ঞতার কারণে তবু ভুল হয়, তাই কেউ শুধরায়ে দিলে অবনত মস্তকে মেনে নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
সে যাক, আসুন আমরা সকলেই বানানের প্রতি যত্নবান হই। সকলের প্রচেষ্টায় মুক্তমনাকে সুন্দর থেকে সুন্দরতম করে শ্রেষ্টতম বাংলা ব্লগ হিসেবে বিশ্বের সামনে তোলে ধরি।
@আকাশ ভাই,
তোলে ধরি নয়, হবে তুলে ধরি।
বাংলা বানানের প্রতি আপনার নিষ্ঠার জন্য রইলো টুপি খোলা অভিবাদন।
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই, বিশ্বাস করুন এই শব্দটা লেখার আগে এ নিয়ে আমি অনেক্ষণ ভেবেছি। শেষ পর্যন্ত ভুলটাই দিলাম। কথায় বলে, নিজের বুঝে ফকির হওয়া ভাল। অভিধানটা দেখতামনা, তাহলে আমি প্রথমে শুদ্ধটাই লিখেছিলাম।
to raise; to lift তোলা, to bring forward into consideration or notice; প্রসঙ্গ তোলা, to rouse, to wake ঘুমন্ত লোককে তোলা, to call to mind, to cause to rise in view, to call up; to admit into or promote জাতে তোলা, পদে তোলা, to extract দাঁত তোলা, to uproot পাকা চুল তোলা, to collect চাঁদা তোলা, to remove, to wipe out দাগ তোলা, to make keener, to raise তান তোলা, to adapt গানের সুর তোলা, to create or make, to raise, to spread গুজব তোলা, আওয়াজ তোলা, to construct, to build বাড়ি তোলা, to evict or eject ভাড়াটে তোলা, to set up, to fix পাল তোলা, to abolish or close দোকান তোলা, to cause to enter কানে তোলা, to mention or refer নাম তোলা, কথা তোলা, to propose formally before a meeting, to move আইনপরিষদে বিল তোলা, to take off, to detach ছাল তোলা, to make a motion picture of, to film.ফিলম তোলা, to call to mind মনে তোলা, to yawn.হাই তোলা, to assault. গায়ে হাত তোলা, to praise to the skies স্বর্গে তোলা।
অবশ্য এখন জেনে নিয়েছি পার্থক্যটা কোন্ যায়গায়, কোথায় তুলা আর কোথায় তোলা হয়। কেন যে অভিধান দেখতে গেলাম আর যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই আমার রাত হল।
আরো একটা শব্দ বড় যন্ত্রণা দিচ্ছে। যেমন আদিল ভাই উপরে লিখেছেন- বাংলা ভাষা কি ফরিদ ভাই এর কল্যানে ৩টি নুতন শব্দ লাভ করল?
যদি না নুতন গদ্যে আর নতুন কবিতায় ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকে তাহলে আমি কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করে আপাতত নতুন এর পক্ষেই আছি। দেখি মৌলায় কী করে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
আল্লাহতালার কাছে আস্তিক-নাস্তিক কোন ভেদাভেদ নেই। অসীম দয়ালু তিনি। তাই আপনাদের দুজনের সাথেই আছেন তিনি। দুইটাই সঠিক বানান। 🙂
@আকাশ মালিক,
বাংলা বানান শিখাতে ইংরেজির ব্যবহার কিন্তু আমার কাছে মোটেই ভাল লাগেনি।
শুধু বাংলা লিখলেও/ বললেও লেখকরা বুঝত। পাঠকরাও। যেমনঃ প্রসঙ্গ তোলা, ঘুমন্ত লোককে তোলা, জাতে তোলা, পদে তোলা,দাঁত তোলা, পাকা চুল তোলা,চাঁদা তোলা,দাগ তোলা,তান তোলা, গানের সুর তোলা, গুজব তোলা, আওয়াজ তোলা, বাড়ি তোলা, ভাড়াটে তোলা,পাল তোলা,দোকান তোলা,কানে তোলা,নাম তোলা, কথা তোলা,আইনপরিষদে বিল তোলা,ছাল তোলা,ফিলম তোলা,মনে তোলা,হাই তোলা,গায়ে হাত তোলা,স্বর্গে তোলা।
যাক, মুক্ত-মনার লেখকদের মধ্যে শুদ্ধ বাংলা বানান লেখার অভ্যাস গড়ে উঠুক এ প্রত্যাশা করি।
ভাই ফরিদ;
আপনার লেখাটি খুবই মূল্যবান। আমি আজ ৩৫ বছর পর বাংলা নিয়ে বসে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি কি কষ্টকর এই ভাষা। এর ্তুলনায় (বানান) ইংরেজি তো সাদামাটা।
আমার একটা অনুরোধ—বাংলা বানানের নিয়মসহ, একটা ্সংক্ষিপ্ত বাংলা ব্যাকরণ ্মুক্তমনায় রাখা যায় কি? এতে করে আমরা যারা বহুদিন যাবত বিদেশে আছি এবং যাদের সাথে বাংলাদেশের নূন্যতম যোগাযোগ আছে, তাদের জন্য খুব উপকার হবে।
@ কাশেম ভাই,
এই প্রবন্ধে শুধু বন্যা নয়, আপনার নামও উল্লেখ করা উচিত ছিল আমার। আপনি প্রায় পয়ত্রিশ বছর পরে বাংলা লেখা শুরু করেছেন মুক্তমনায় মন্তব্য করা দিয়ে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয় সেটা। মনে আছে প্রথম দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এক বা দুই লাইনের মন্তব্য করতেন আপনি। অথচ সেই আপনিই এখন দেখি অত্যন্ত সাবলীলভাবে নিয়মিত প্রবন্ধ লিখছেন, বড় বড় মন্তব্য করছেন।
ভাষার প্রতি আপনার এই আন্তরিকতা এবং ভালবাসা যে কোন ধন্যবাদ বা সাধুবাদের অনেক উর্ধ্বে।