গত সপ্তাহে ,এই প্রবন্ধের পাইলট পর্ব মুক্তমনায় প্রকাশিত হওয়ার পর কতিপয় বাংলা ভাষী ‘মডারেট’ মুসলিম ব্লগ-সাইট সমুহের তীব্র এবং ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। আমাদের (বহুবচনের ব্যবহার আক্ষরিকঅর্থে তাৎপর্য পূর্ণ) যেহেতু ত্রিভুবনের সম্পুর্ণ wwwকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখতে হয়, সেহেতু এ সকল বিষয় আমাদের দৃষ্টি গোচর না হওয়ার কোন হেতু নেই। প্রবন্ধের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়ে প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে এ বিষয়ে আমার মন্তব্য অতীব সংক্ষিপ্ত। অপশিক্ষার অন্ধকারে অর্ধ শিক্ষিত এবং মধ্যযুগীয় মানসিকতার এইসব ‘মডারেট’ মুসলিমদের তুলনা আরেক মধ্যযুগীয় বর্বর ধারণা ‘কুমারীত্বের’ সাথে করা যেতে পারে। একজন নারী হয় কুমারী কিংবা কুমারী নন কিন্তু ‘আংশিক কুমারীত্ব’ বলে কি কিছু ত্রিভুবনে আছে ? যদি থেকে থাকে, তবে এইসব ‘মডারেট’ মুসলিমরা হলেন সেই ‘আংশিক কুমারী’। এবার আসুন আমরা প্রবন্ধের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়ে ফিরে যাই।
জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি
“ আমাকে আদেশ করা হয়েছে সমগ্র মানব কুলের বিপক্ষে যুদ্ধ করার , যতক্ষন না তারা সকলে স্বীকার করে যে – ‘আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ঈশ্বর নেই।”
– নবী মুহাম্মাদ ইব্ন্ আবদুল্লাহ্ , বিদায়ী ভাষণ, মার্চ /৬৩২ খ্রীষ্টাব্দ।”
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে যারা কিছুটা অবগত আছেন , তাঁরা নিশ্চয় জানেন যে বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী সরকার রাষ্ট্রের জন্য একটি কার্যকর এবং বাস্তবমুখী জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নের বিষয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুসংহত করার ক্ষেত্রে এর ভুমিকা অনস্বীকার্য । সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ(AFD) ইতিমধ্যেই জাতীয় প্রতিরক্ষা মহাবিদ্যালয়ের (NDC) কারিগরী সহায়তায় জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির খসরা প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করেছে যা পুনর্বিবেচনা , সংযোজন এবং বিয়োজন সাপেক্ষে সরকারী অনুমোদনের অপেক্ষায় রযেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, এই নীতিমালায় প্রাতিষ্ঠানিক গনতন্ত্র তথা রাষ্ট্রের সংবিধানের প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর আনুগত্যের ওপর গুরুত্ব আরোপসহ সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষনাদির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা ইদানিং আলোচনা শুরু করেছেন। আমি এ মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই । কিন্তু এরপরও এ মহৎ উদ্যোগের ভবিষ্যত সফলতার ব্যপারে সংগত কারনেই সন্দেহ থেকে যায় । এবার আসুন সে বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা যাক।
১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট থেকে অপারেশনের Strategic commander জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রে সেনা হস্তক্ষেপের সাথে সাথে শুরু হয় সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমুহের ইসলামীকরন। বিশেষ করে, সশস্ত্র বাহিনীতে অবশিষ্ট ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী শক্তিশালী অংশটিকে আশির দশকের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়। এ কাজে ব্যবহার করা হয় বাধ্যতামুলক অবসর , বিচারিক ও সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডের মত অস্ত্র। এর সর্বশেষ সংযোজন , ফেব্রুয়ারী/২০০৯ এর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে তথাকথিত বিডিআর (BDR) বিদ্রোহের ধূম্রজালের আড়ালে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী সেনাকর্মকর্তাদের ওপর পরিচালিত নৃশংস ও বর্বর গণহত্যা।
সেনাবাহিনীতে ইসলামী সাম্রাজ্যবাদীদের অনুপ্রবেশের ব্যাপকতা অনুধাবন করা একজন বেসামরিক নাগরিকের ( নিহত সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের ভাষায় Bloody Civilian ! ) পক্ষে নিতান্তই কঠিন কাজ , আপনি সে যেই হউন না কেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১শে অগস্ট ২০০৪ এ পল্টনের গ্রেনেড হামলার ব্যপারে এখনও অন্ধকারেই রয়েছেন বা তাকে রাখা হয়েছে যদিও এ হামলার মুল উদ্দেশ্যই ছিল তার প্রাণনাশ। একই বক্তব্য ২রা এপ্রিল ২০০৪ এর ১০ ট্রাক ভর্তি অস্ত্রের ব্যপারেও প্রযোজ্য।
সংবিধানের প্রতি দেশের ইসলামপন্থী সেনাবাহিনীর আনুগত্য প্রসংগে দেশের একজন সাবেক সেনা কর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকের কাছ থেকে আমার নিজের কানে শোনা ( হুবহু) :
“The constitution is subservient to the holy Quran and as a Muslim , I believe that the holy Quran supersedes all other constitution.”
(চলবে)
মুক্তমনার বহু পাঠক লেখাটি এবং লেখাটির লেখকের বিভিন্ন মন্তব্যে সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী, সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, প্রোপাগান্ডামূলক হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। লেখকের কাছে অস্পষ্ট বিষয়গুলোর রেফারেন্স চাওয়া হলেও তিনি সেগুলো এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন জনের উপর বিশেষণ আরোপ করে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ – “ফেব্রুয়ারী/২০০৯ এর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে তথাকথিত বিডিআর (BDR) বিদ্রোহের ধূম্রজালের আড়ালে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী সেনাকর্মকর্তাদের ওপর পরিচালিত নৃশংস ও বর্বর গণহত্যা” – এ ধরণের ঢালাওভাবে করা বক্তব্য প্রবন্ধে সন্নিবেশিত হয়েছে, কিন্তু কোন রেফারেন্স দেয়া হয়নি। রেফারেন্স চাইলেও বিভিন্ন উপায়ে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি কেবল একটি মাত্র উদাহরণ। এ ধরণের আরো উপকরণ প্রবন্ধটিতে ছড়িয়ে আছে। এগুলো মুক্তমনা নীতিমালার সাথে খাপ খায় না। লেখকের প্রতি নিম্নোক্ত নীতিমালার প্রতি দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে –
২.৬। মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী, প্রোপাগান্ডামূলক, স্বাধীনতাবিরধী কিংবা মৌলবাদী কোন লেখা মুক্তমনায় প্রকাশিত হবে না। প্রকাশের পর এসবের প্রমাণ পাওয়া গেলে তখনই লেখাটি মুছে দেয়া হবে।
২.৯। লেখার মাধ্যমে ব্লগের কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা কিংবা কারো সম্বন্ধে কুৎসা রটানো গ্রহণযোগ্য হবে না। অন্যের বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে হবে, যুক্তি হওয়া উচিৎ যতদূর সম্ভব হেত্বাভাষমুক্ত। লেখা যদি উত্তেজনাপূর্ণ, ব্যক্তি-আক্রমণপ্রসূত কিংবা গোঁড়ামিপূর্ণ হয় তাহলে লেখা সরিয়ে নেয়ার কিংবা লেখকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার মুক্তমনা সংরক্ষণ করে। ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রসঙ্গে ব্লগের বাইরের সদস্যদের চেয়ে ব্লগ সদস্যদের প্রতি সহনশীলতার ব্যাপারটিই মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের কাছে অধিকতর প্রাধান্য পাবে।
২.১০। সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, উত্তেজক ভাষায় পরিপূর্ণ কিংবা বিদ্বেষমূলক ভঙ্গিতে লিখিত প্রবন্ধসমূহ কোনভাবেই মুক্তমনায় প্রকাশের জন্য বিবেচিত হবে না। কোন ব্লগার এ ধরণের লেখা প্রকাশ করলে তা তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেয়ার অধিকার মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। মনে রাখতে হবে যে, লেখকের গ্রহণযোগ্যতা বহুলাংশেই নির্ভর করবে সুষম প্রকাশভঙ্গির উপর। তার মানে অবশ্য এই নয় যে, আমরা লেখককে তার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আবেগময় হতে নিরুৎসাহিত করছি, বরং সাধারণ কান্ডজ্ঞান এবং ভদ্রজনোচিত আচরণ এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
২.১১। ব্যক্তিগত আক্রমণমূলক, মানহানিকর, কলহমূলক বা বিদ্বেষমূলক যে-কোনো উপাদান বিনা নোটিশে সম্পাদনা করা যেতে পারে, কলহ নিরসনের জন্য এ ধরণের লেখায় কিংবা বিতর্কে মন্তব্য করারসুযোগ কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় বন্ধ করে দিতে পারে। এ ধরণের কোন নোটিশ মুক্তমনার পক্ষ থেকে দেয়া হলে, সেটার প্রতি সদস্যদের অঙ্গীকার প্রত্যাশা করা হবে। কোন লেখক তা থেকে বিচ্যুত হয়ে সেটা নিয়ে আরেকটি লেখা প্রকাশ করে কলহ পুনরায় উজ্জীবিত করতে পারবেন না। একাধিকবার এই অপরাধ করা হলে সেটাকে ভ্যান্ডালিজমের পর্যায়ভুক্ত করা হবে, এবং এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে (১.৬ দ্রঃ)
২.১৮। মুক্তমনায় কোন লেখকের লেখা নিয়ে সন্দেহ কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে, কিংবা লেখা বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেফারেন্স চাওয়া হলে লেখক সেই বিভ্রান্তি দূর করতে আন্তরিক হবেন এবং প্রয়োজনীয় রেফারেন্স দিতে সচেষ্ট হবেন। তার পরিবর্তে লেখক নিজ প্রোপাগান্ডাকেই বিনা রেফারেন্সে সত্য হিসেবে জাহির করতে থাকলে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ লেখাটি মুছে ফেলতে পারেন এবং সেই সাথে লেখককে সতর্ক করতে পারেন। একাধিকবার এই অপরাধ করা হলে সেটাকে ভ্যান্ডালিজমের পর্যায়ভুক্ত করা হবে, এবং এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে (১.৬ দ্রঃ)।
লেখক যদি তার কাছে যে যে রেফারেন্স চাওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে দিতে ব্যর্থ হন (প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব দ্রঃ), কিংবা তার মন্তব্যের ধরণের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন, তবে মুক্তমনা তার নীতিমালা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। লেখককে আরো স্মরণ রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, মুক্তমনা কোন একটি বিশেষ ধর্মের অনুসারীদের প্রতি বিষেদগার ছড়ানোর জায়গা নয়। এখানে সব ধর্মের যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনা কিংবা সমালোচনা করা হয়, কিন্তু বর্ণবাদী আচরণকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না।
লেখাটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় শেষ করা হয়েছে, আরেকটু বড় হলে পরিষ্কার হত। আগের পর্ব এবং এ পর্ব মিলিয়ে একটি পর্ব আসা যেত।
যেহেতু লেখাটি অসম্পূর্ণ তাই লেখার মূল বক্তব্যের ব্যাপারে তেমন মন্তব্য করছি না। শুধু এই পর্বের কিছু বক্তব্য অতি সরলীকরণ মনে হয়েছে সেগুলোকে দৃষ্টিপাত করছি।
যুক্তির বিচারে এই ধরণের যুক্তি এক রকম কুযুক্তি। যেমন খালেদা বলে থাকেন নিরপেক্ষ বলে কেউ নেই, কিংবা বুশ বলেন হয় আপনি আমাদের সাথে আছেন অথবা আল কায়েদার সাথে আছেন। মাঝামাঝি বলে কিছু নেই। কিংবা হয় আপনি আস্তিক নয়তো নাস্তিক। আপনি মাঝামাঝিদের গণনায় নিবেন কি নিবেন না সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু মাঝামাঝি কিছু হতে পারে না সে ধরণের যুক্তি গ্রহনযোগ্য নয়।
কোন রেফারেন্স ছাড়া এই ধরণের সরলীকরণও মেনে নিতে পারছি না। সামরিক বাহিনীতে ইসলামীকরণ ঘটে চলেছে এটা সত্য কিন্ত তাই বলে বিডিয়ারের ঘটনায় ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসীদের হত্যা করা হয়েছে এই তথ্য আমি এই প্রথম আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।
লেখকের মন্তব্য সম্পর্কে একটি ব্যক্তিগত মতামত, আশা করি লেখক পজিটিভলি নিবেন। একজনের লেখা পড়ে যদি কোন পাঠক না বুঝতে পারে, কিংবা সুত্র জানতে চায় সেটাতে লেখকের কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে লেখককে ধৈর্য্য ধরে পাঠকের প্রশ্নের জবাব দেওয়াই উত্তম। আপনার নিজের করা দুটি মন্তব্য তুলে ধরছি যেটা মুক্তমনায় দেখা যায় না।
মুক্তমনায় যারা লিখেন কিংবা মন্তব্য করেন উনারা সব সময় অন্যের মন্তব্য সহনশীল থাকেন। এমন কি অতিথিকেও যুক্তি দিতে বোঝানোর চেষ্টা থাকে। আপনার মন্তব্য দুটি আমার কাছে মুক্তমনার সদস্যদের মত মনে হয়নি। আপনি মন্তব্যের জবাব সরাসরি না দিয়ে বক্রোক্তি করে জবাব দিয়েছেন, যেটা মুক্তমনায় প্রচলিত নয়।
ভাল থাকুন।
@স্বাধীন,
এখানে প্রতিপাদ্য বিষয় সংবিধানের প্রতি মুসলিম সেনাদের আনুগত্য।
@বিজয়,
ধন্যবাদ জানানোর জন্য। আপনার লেখাটি ফলো করছি। পরের পর্বগুলোও পড়ার আশা রাখি। লিখে চলুন।
সামগ্রিকভাবে ৭৫ এর পর থেকে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাপক ইসলামীকরন করা হয়েছে এতে দ্বি-মত নেই। আমার অসংখ্য আত্মীয় স্বজন নানান বাহিনীতে আছে, তাদের কাছ থেকেই শুনেছি। যেমন, সেনা অফিসারদের প্রমশনের লিখিত পরীক্ষায় বাধ্যতামূলকভাবে ধর্ম বিষয়ক ২৫ নম্বর সংযুক্তি। সামগ্রিক সেনা পরিবেশটাই এমন করা হয়েছে যে ধর্ম এড়িয়ে সে বাহিনীতে টেকা দাপ্তরিক ও সামাজিক ভাবে অনেকটাই অসম্ভব। এটা ভাল নাকি খারাপ সে আলোচনা এখানে করছি না। তবে এটা সত্য।
তবে বিডিআর বিদ্রোহ নিছক অসন্তুষ্ট বিডিআর জোয়ানদের অপরিকল্পিত বিচ্ছিন্ন ভাবে ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ছাড়া অন্য কিছু তেমন কোন আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা নেই। জল্পনা কল্পনা বিবেচনায় আনলে খোদ হাসিনা, তার মন্ত্রী এমপি এরাই নাকি জড়িত এমন তত্ত্বও অনেকেই বিশ্বাস করে। আমার নিজের কাছে এই বিদ্রোহে বিন্দুমাত্র কোন পরিকল্পনা বা লক্ষ্য ছিল বলে মনে হয়নি।
২১ শে আগষ্ট হাসিনার উপর বোমা হামলার ঘটনা নিয়েও তো তেমন গোপন কিছু নেই। হাসিনা কেন জানেন না বলে আপনার মনে হল বুঝতে পারলাম না। সারা দেশই জানে যে তিনি অল্পের জন্য বেচে গেছিলেন। এ ঘটনার পেছনে কে বা কারা দায়ী তাও গত কেয়ার টেকার আমলেই অনেকটা প্রকাশ হয়েছে। এতে গোপনীয়তার খুব বেশী কিছু মনে হয় না আছে বলে।
@আদিল মাহমুদ,
Hypothetical Analysis এ Cognitive Bias এর প্রভাবের ওপর আমার গবেষণায় আপনাকে কাজে লাগানো যায়।
@বিজয়,
লাগান, কোন আপত্তি নেই।
তবে তত্ত্ব কথা বেশী না বলে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যথাযথ রেফারেন্স দেন। নয়ত আপনার অনেক কথাই নিছকের গুজবের বেশী কিছু বলা যাচ্ছে না।
@আদিল মাহমুদ,
যাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম , তাদের কথায় তো আর রনকৌশল বদলানো যায় না। Mind game বা Ego game খেলতে চাইলে খেলতে পারেন।
@বিজয়,
এর মাঝে গেম আসে কিভাবে?
আমি শুধু রেফারেন্স জানতে চাইছি।
বিডিআর বিদ্রোহে কারা জড়িত বা কি উদ্দেশ্য সে বিষয়ে আপনি আলোকপাত করেছেন। আমার জানামতে তেমন কোন রেফারেন্স নেই, আপনার কাছে তা থাকতেই পারে। সেটাই জানতে চেয়েছি।
গুরুগম্ভীর আলোচনায় নাক গলানোর জন্য দুঃখিত। তবে কথাটা পুরোপুরি মানতে পারলাম না। আমার বাবা একজন উচ্চপদস্থ আর্মি অফিসার, তিনি অধার্মিক এবং সহকর্মীদের কাছে ব্যাপারটি মোটেও গোপন নয়। সে জন্য তাকে কোনো সমস্যায় পড়তে এখনো দেখিনি।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ব্যাতিক্রম কিছু থাকবেই। সেনাবাহিনীতে কিছু অন্য ধর্মের লোকও আছেন। তারাও বহাল তবিয়তেই আছেন।
সাধারন ট্রেন্ড চিন্তা করলে ৭৫ এর পর থেকে সাধারনভাবে সশস্ত্রবাহিনীতে ধর্মের অনুপ্রবেশ ব্যাপক মাত্রাতেই ঘটানো হয়েছে। আমার নিজের আত্মীয় স্বজনদের দেখেছি যাদের আগে ধর্মে তেমন মতি ছিল না তারা প্রায় সবাই সেনাবাহিনীতে যাবার পর ঘোরতর ধার্মিক হয়ে গেছে। নাস্তিক সেনা অফিসার কয়জন আছে বলে মনে হয়?
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই সেটা বলব না। আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে রমজান মাসে খাবারের ক্যান্টিন বন্ধ করে রাখা হয়, শুধু মাত্র অন্য ধর্মের ছাত্রদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সবকিছু নিয়েই খুব বাড়াবাড়ি এবং সেনা সদস্যদের একটি বড় অংশ এমনকি সাধারন সেপাইরাও “মুই কি হনু রে” ধরনের মানসিকতা নিয়ে চলে যা খুবই জঘন্য। বাইরে থেকে বন্ধুরা দেখা করতে আসলে গেটে সৈনিকদের কাছ থেকে যা ব্যবহার পায় তা শোনার পর মাথা হেট হয়ে যায়, তাই সহজে কাওকে বাসায় আসতে বলিনা। গতবছর এক সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট এক সিভিলিয়ানের থেমে থাকা গাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পরে সৈনিকদের ডেকে তার সাথে যে ব্যবহার করেছে শুনে মনে হয়েছে এরা কি সভ্য? উইনিফর্ম পড়ে তারা দেশকে কিনে নেয়নি, সিভিল জনগণ তাদের অধীনে চলেনা এটা বোঝার মত মানসিকতা কবে তারা অর্জন করবে? ক্যান্টনমেন্টে থাকি বলে আজ আমার নিজের লজ্জা লাগে।
বিডিআর (BDR) বিদ্রোহ নিহত সেনা কর্মকর্তারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ছিল এটা কিভাবে নিশ্চিৎ হওয়া গেল ? এই ঘটনা মহাজোট সরকারের সময়ে ঘটেছে। তাহলে এই সরকার কেন ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী সেনা অফিসারদের মৃত্যু চেয়ে চেয়ে দেখল ? বুঝতে পারলাম না।
@আতিক রাঢ়ী,
পরবর্তী উপচ্ছেদ পড়ুন।
@বিজয়,
২য় প্রশ্নের উত্তর বুঝলাম। তবে প্রথম প্রশ্নের ব্যাপারে অবস্থানের কোন পরিবর্তন হলো না।
@আতিক রাঢ়ী,
‘একটা সংস্থার’ প্রতিবেদনসমুহে যাদের প্রবেশাধিকার(প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ) রয়েছে , তারা বুঝে শুনেই সবকিছু ঘটিয়েছে। সরকারী চাকুরী করলে আরো সহজে বুঝতেন।
@বিজয়,
সরকারী চাকুরী না করার জন্য নীজের প্রতি করুনা হচ্ছে। আর এই লেখা বোঝার জন্য যে ধরনের যোগ্যতা দরকার, নীজের মধ্যে তার প্রকট অভাবে, আমি যারপরনাই হতাশ।
@আতিক রাঢ়ী,
‘নিজ’ বানান হবে। ‘নীজ’ নয়।
@আরিফুর রহমান,
আপনাকে ধন্যবাদ। আমি বাসায় থাকলে বাংলা অভিধান দেখে কাজ চালাই। এখন থেকে অপিসেও একটা অভিধান রাখব।
মুক্তমনাতে এসে বানানের সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। এজন্য যারাই সাহায্য করছেন সবাইকে শুভেচ্ছা।