হজরত আয়েশার (রাঃ) সাথে এক রজনী
আকাশ মালিক
৪র্থ পর্ব-
– আয়েশা আপনি বলেছেন, তেরো সতীনের ঘরে আপনিই একমাত্র মহিলা, যার নবিজির সাথে বিয়ের আগে অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়নি। কোরানের আত-তাহরিম সুরাটি যার কারণে রচনা করা হলো, তাঁকে আপনি নিশ্চয়ই চিনেন।
– কে? সেই ক্রীতদাসীর কথা বলছেন? ওর নাম শুনলে আমার গা ঘিনঘিন করে। একটা কেনা বাঁদী। দাসী হয়ে কোরায়েশ বংশের বউ হওয়ার সাধ জেগেছিল।
– তার নামটা কি ছিল?
– ম্যারিয়া কিবতিয়া। মিশরের বাদশাহর একজন খৃষ্টান দাসী।
– তিনিও কি আপনার মতো সতী, অবিবাহিত ছিলেন, বিধবা কিংবা তালাক প্রাপ্তা ছিলেন না?
– ওর আবার সতী-অসতীর কী আছে? ওরা তো যার কাছে বিক্রী হয় তারই সম্পদ। ম্যারিয়া খুবই অহংকারী ছিল, বলতো- তার কুঁকড়ো চুলের মতো সুন্দর চুল নাকি আর কারো নেই। ১৮ বছর বয়সে এসেছিল ৬০ বছরের মানুষের ঘর করতে। হাফসার মুখ থেকে তার কেলেংকারী ঘটনা শুনার পর বমি করতে ইচ্ছে হয়। আমি হলে তো আত্মহত্যা করতাম। সংসারে এসে একটা বাচ্চাও দিয়ে দিল।
– আয়েশা, এখানে ম্যারিয়ার কী দোষ? বেচারী ম্যারিয়া একজন ক্রীতদাসী, তার তো কিছু করার ক্ষমতা নেই। আপনি খামোখাই তার উপর রাগ করছেন।
– তো, আমি কি আল্লাহ, আল্লাহর রাসুলের উপর রাগ করবো? আল্লাহ, আল্লাহর রাসুলকে দোষারুপ করবো?
– না, না, তওবাহ, তওবাহ, নায়ুজুবিল্লাহ, তা করবেন কেনো? আচ্ছা বলুন, তাঁর মধ্যে এমন কী বিশেষ ব্যক্তিত্ব ছিল যে তাঁকে নিয়ে আল্লাহকে কোরানের পাতায় দু-কলম লিখতে হলো?
– আল্লাহর মুখ থেকে শুনতে চান, না আমার কাছ থেকে?
– আল্লাহর মুখ থেকেই শুনা যাক।
– কোরানের ৬৬ নং সুরা আত-তাহরিমের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত আয়াতগুলো দেখুন-(আয়াত ১)- হে নবি, আপনি কেনো তা হারাম মনে করবেন, যা আল্লাহ আপনার জন্যে হালাল করে দিয়েছেন, আপনি কেনো আপনার স্ত্রীগনকে খুশি রাখতে চান? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়াময়।
– বুঝলাম না, এই আয়াতের সাথে ম্যারিয়ার কী সম্পর্ক? এখানে বলা হচ্ছে, নবিজি প্রথমে একটা হারাম জিনিসকে হারামই মনে করেছিলেন, শেষে আল্লাহর কথায় মাইন্ড চেইঞ্জ করেছেন।
– প্রথমে হারাম মনে করেছিলেন আমাদের প্রতিবাদে।
– কিন্তু বস্তুটা কী? নবি মনে করেন হারাম, আর আল্লাহ মনে করেন হালাল, সে জিনিসটা কী? আর আপনারাই বা কিসের প্রতিবাদ করেন?
– জিনিসটা ঐ দাসী ম্যারিয়া কিবতিয়া।
– তো, এখানে হালাল হারামের কী আছে?
– ম্যারিয়ার সাথে নবিজির সম্পর্ক হালাল না হারাম তা দেখতে হবে না? আল্লাহ এসে এ সম্পর্ক হালাল না করে দিলে তো আমরা কোনো সময়ই চুপ থাকতাম না।
– আচ্ছা, শেষ পর্যন্ত আপনারা তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন বুঝি?
– নাহ। আমি মানি নাই। শুধু আমি নয়, নবির সকল স্ত্রীগনের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে নবি বাধ্য হয়েছিলেন ম্যারিয়াকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে। লোকমুখে রটনা আছে সেই জায়গার সাথে তার বাচ্চা জন্ম দেয়ার সম্পর্ক আছে।
– কী ছিল বাচ্চাটার নাম?
– ইব্রাহিম।
– আচ্ছা বাচ্চাটার কথা পরে শুনবো, আগে বলুন তারপর কী হলো?
– দেখুন (আয়াত ২)- আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন তোমাদের জন্যে শপথ থেকে মুক্তির উপায়, আর আল্লাহ তোমাদের রক্ষাকারী আর তিনি সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।
– ‘শপথ থেকে মুক্তি’ কথাটার শানে নুজুল কী? কিসের শপথ আর কার সাথে শপথ ভাঙ্গাভাঙ্গি?
– হ্যাঁ, এখানেই তো আসল ঘটনা। পরের আয়াতগুলো পড়ে নিন, তখন ঘটনা বুঝতে সুবিধে হবে। (আয়াত ৩)- নবি যখন তাঁর এক স্ত্রীকে গোপনে একটি কথা বললেন, আর সে নবির গোপন কথা অন্যকে বলে দিল, আল্লাহ নবিকে সে কথা জানিয়ে দিলেন। নবি তার স্ত্রীকে সে কথার কিছু বললেন আর কিছু গোপন রাখলেন। স্ত্রী বললো আপনাকে কে বলেছে, নবি বললেন, তিনি বলেছেন যিনি সর্বজ্ঞ, সবজান্তা।
– নবি কার কাছে গোপন কথা বললেন, সে’ই বা কার কাছে কী বলে দিল, কোনো নাম ধাম নাই কেনো? আর গোপন কথাটাই বা কী? আয়েশা এখনো ঘটনার কিছুই তো বুঝলাম না।
– নবি যার কাছে গোপন কথা বলেছিলেন, তার নাম হাফসা। হাফসা যার কাছে নবির গোপন কথা বলে দিয়েছিলেন, সে আমি আয়েশা। আর গোপন কথাটা হলো দ্বিতীয় আয়াতে উল্লেখিত শপথ। এক কাজ করুন, বাকি দুটো আয়াত একসাথে পড়ে নিন। কোরান পড়ে আপনি এ ভাবে ঘটনা বুঝবেন না, কারণ আপনি তো আর ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। আর কোরানে ব্যক্তির নাম, ঘটনার স্থান, সময় সাধারণত উল্লেখ থাকেনা। আমি পরে আপনাকে সবগুলো আয়াতের তাফসির বলে দেবো। পড়ুন (আয়াত ৪)- তোমরা দুজনে ইতোমধ্যে অন্যায় করে ফেলেছো, যদি তওবাহ করে সংশোধন হয়ে যাও তবে ভাল, আর যদি তোমরা নবির বিরুদ্ধাচরণ করো, নবির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনায় একে অপরকে সাহায্য করো, তবে মনে রেখো নবির সাহায্যকারী আছেন আল্লাহ, মুমিনগণ, জিব্রাইল ও আসমানের সকল ফেরেস্তা। (আয়াত ৫)- আজ যদি নবি তোমাদেরকে তালাক দেন, কাল হয়তো আল্লাহ নবিকে তোমাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট, আত্মসমর্পিতা, বিশ্বাসিনী, অনুতাপকারিণী, বিনয়বণিতা, উপাসনাকারিণী, আজ্ঞাবহ, বিবাহিতা কিংবা কুমারী নারী দিবেন।
– আয়েশা, শেষের আয়াত পড়ে আমার মনে হচ্ছে ঘটনাটা তো মারাত্বক। আল্লাহ আপনাকে অন্যায়কারী বললেন? পরে একেবারে তালাক দেয়ার হুমকি, আমার তো ভয় লাগছে, বিষয়টা কী?
– সম্পূর্ণ ঘটনাটাই তাহলে শুনুন- আমার স্বামী মুহাম্মদ মাঝেমাঝে বিভিন্ন দেশের বাদশাহ বা শাসনকর্তার কাছে ইসলাম গ্রহনের দাওয়াতপত্র পাঠাতেন। এমনি একখানি পত্র, হাতেব বিন আবি বালতাহ’র মারফত মিশরের বাদশাহ আল্ মোকাকাস এর কাছে পাঠালেন। বাদশাহ পত্র উত্তরে জানালেন যে, তাদের নিজস্ব ধর্ম আছে, আপাতত অন্য কোনো ধর্ম গ্রহন করার ইচ্ছে নেই তবে পরে বিবেচনা করা যেতে পারে। দাওয়াত-নামার সৌজন্য স্বরুপ বাদশাহ মোকাকাস, নবিকে অল্প বয়সী সুন্দরী যুবতি দুই সহোদর বোন ক্রীতদাসী উপহার দিলেন। একজনের নাম ম্যারিয়া অপরজন শিরীন। ম্যারিয়া ছিল শিরীনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সুন্দরী। শিরীনকে নবিজি তাঁর ফেভারেইট কবি হাসান বিন তাহবিত আল্ আনসারিকে দিয়ে দিলেন আর ম্যারিয়াকে রাখলেন নিজের জন্যে। প্রথমে দাসী ম্যারিয়াকে নবিজি ঘরে না তুলে হারিতা বিন আল্ নোমানের ঘরে রেখেছিলেন। সেই ঘরে নবিজির ঘন ঘন যাওয়া আসা যে, আমার গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমি তা সকলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। একদিন নবি হাফসাকে বললেন যে, তার বাবা ওমর নাকি তার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। হাফসা তার বাবার সাথে দেখা করতে বাপের বাড়ি চলে গেলেন, আর ঐ দিন ম্যারিয়া হাফসার ঘরে আসে। হাফসা বাপের বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন, তার পিতা তার সাথে সাক্ষাতের আশা করেন নি এবং তিনি বাড়িতেও নেই। হাফসা ততক্ষনাৎ নিজ ঘরে ফিরে আসেন। উল্লেখ্য, ঐ দিন রাতে নবিকে হাফসার ঘরে রাত কাটানোর তারিখ ছিল। ঘরে ফিরে হাফসা ম্যারিয়াকে তার বিছানায় দেখতে পান। নবিজি দরজার সামনে বেরিয়ে এলেন। হাফসার মাথায় ততক্ষণে আগুন চড়ে গেছে। চিৎকার করে নবিকে ধমক দিয়ে হাফসা বলেন, ‘আমার বিছানায় এ সব হচ্ছেটা কী’? নবিজি হাফসাকে শান্ত থাকার অনুরুধ করে বলেন, ‘হাফসা তুমি যদি ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করো, তাহলে আমি শপথ নিলাম এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর হবেনা’। হাফসা সবকিছু বিস্তারিত আমার কাছে বলে দেন। ঘটনার এখানেই সমাপ্তি হয়ে যেতো, কিন্তু পরে শুনা গেলো কুঁকড়ো চুলি অত্যাধিক ফর্সা রঙ্গের ম্যারিয়াকে আল্লাহর পছন্দ লেগে গেছে। আল্লাহ নবিকে শপথ ভাঙ্গার আদেশ দিলেন। তারপর যা হবার তা’ই হলো। আমাদেরকে অন্যায়কারী বলা হলো, তালাকের ধমক দেয়া হলো। এই হলো হারাম হালাল ও শপথ ভাঙ্গাভাঙ্গির শানে নুজুল।
– এতো তাড়াতাড়ি একটা হারাম জিনিস হালাল হয়ে গেলো, আর আপনি কিছু বললেন না?
– আমার সেই বয়সে, সেই সময়ের বাস্তবতায়, সেই অবরোদ্ধ পরিবেশে, সেই সীমাবদ্ধতায় আমার কতোটুকু করারই ছিল? তবুও বলেছি, ‘নবিজি আপনাকে খুশি করতে দেখছি আকাশ থেকে আপনার আল্লাহর ওহি পাঠাতে খুব একটা দেরী হয়না ’।
– অথচ আপনার ব্যাপারে আল্লাহর ওহিপাঠাতে কতোই না দেরী হলো।
– আমার ব্যাপারে মা’নে?
– ঐ যে, লোকে আপনাকে অসতীর অপবাদ দিয়েছিল। থাক, আমরা তা নিয়ে একটু পরে আলোচনা করবো। ম্যারিয়ার বিষয়ে আরেকটু জানার বাকী রয়ে গেছে। আয়েশা, আপনি বলেছিলেন, আপনাদের প্রতিবাদের মুখে ম্যারিয়াকে নবিজি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন এবং লোকমুখে রটনা আছে যে, সেই জায়গার সাথে তার বাচ্চার জন্মের সম্পর্ক আছে। বিষয়টা একটু খোলাসা করবেন?
– শুনা যায় ম্যারিয়ার এক ক্রীতদাস বয়ফ্রেন্ড ছিল। ম্যারিয়া যে জায়গায় থাকতো, ক্রীতদাস যুবকটাও সে জায়গায় যাওয়া আসা করতো। খবরটা যখন নবিজির কানে পৌছুলো, তিনি তাঁর জামাতা আলিকে নির্দেশ দিলেন ঐ যুবককে মেরে ফেলতে। আদেশ পেয়ে আলি তলোয়ার হাতে ঐ জায়গায় উপস্থিত হলেন। আলিকে দেখে যুবকটি একটি খেজুর বৃক্ষের উপরে উঠে যায়। সে পরনের কাপড় উপরে উঠিয়ে আলিকে তার লিঙ্গ দেখায়ে ইশারায় বলে যে, সে নপুংষক। তা দেখে আলি তাকে ক্ষমা করে দেন।
– সর্বনাশ! এ তো দেখি আরেক গুরুতর অবস্থা। তাহলে নবির একমাত্র ছেলে ইব্রাহিমের পিতা নিয়ে মানুষের সন্দেহ ছিল? এখানে একটা পারসোন্যাল প্রশ্ন করি আয়েশা, মনে কিছু নিবেন না। বিবি খাদিজার পরে কমপক্ষে বারোজন নারী নবির সংসারে এসেছিলেন। আপনার কি মনে হয় তারা সকলেই বন্দ্যা বা সন্তান জন্ম দানে অক্ষম ছিলেন?
– না, তাদের অনেকেরই একাধিক সন্তান ছিল।
– আচ্ছা ম্যারিয়ার বয়ফ্রেন্ড ঐ যুবক বুঝলো কীভাবে যে, আলি তাকে হত্যা করতে আসছেন? আলিই বা কিভাবে খেজুর গাছের উপরে বসা তার লিঙ্গ দেখে বুঝলেন যে সে নপুংষক? আর কোনো কারণ ছাড়া নবিজি যুবকটাকে হত্যার আদেশ দিবেন কেনো?
– আপনার এ সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা শুনেছি, নবি বলেছেন, একদিন জিব্রাইল এসে নবিকে এ ভাবে সম্বোধন করেছিলেন- ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আবি ইব্রাহিম ‘ – ইব্রাহিমের বাবা, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হউক’। এর চেয়ে ভাল বার্থ সার্টিফিকেট আর কী হতে পারে?
– আয়েশা আপনি এক্রোমগালী (Acromegaly) বা Hormonal disorder রোগের নাম শুনেছেন?
– না তো। ওটা কী?
– আমার মনে হয় আপনার স্বামী মুহাম্মদ, খাদিজা পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ শেষ বয়সে ঐ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
– আমাদের সময়ে তো চিকিৎসা বিজ্ঞান এতো অগ্রসর হয়নি। আমরা তা পরীক্ষা করতাম কী ভাবে?
– ঠিকই বলেছেন। আয়েশা এবার আমরা কোরানের সুরা আহ্জাব নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।
– বিবি জয়নাবের কাহিনি?
– জ্বী, আপনার বাবার মতো জ্ঞাণী গুণী বুদ্ধিমান পুরুষ নবিজির জীবনে এবং ইসলামের ইতিহাসে অনেক অনেক খ্যাতিমান পুরুষ এসেছেন, কারো নাম কোরানে স্থান পায়নি। জয়নাবের স্বামী যায়েদের নাম আল্লাহর পাক মুখে উচ্চারিত হলো কোরানে, এর কোনো নির্দিষ্ট কারণ কি আছে?
উপরে এমন সব বিজ্ঞ. আলেম উলামারা কমেন্ট করেছেনঃ তাই এই আয়াত খানা ছাড়া আর কিছুই নাই বলার।
আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র আল – কোরআনে ইরশাদ করেন “”সূরা আল ইমরান:৭- তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।
লেখক, আপনাকে আমার ভীষন ঈর্ষা হচ্ছে। অসাধারণ আপনার লেখার নৈপুন্য।
আপনার ৬ টা পর্বই পড়েছি। আচ্ছা এমন কি করা যায় যে, পুরো ৬ টা পর্ব একসাথে একটা বই আকারে ছেড়ে দিন, পরিশিষ্ট তে সব শক্ত রেফারেন্স গুলো জুড়ে দিবেন, বিশেষ করে মধু খাওয়া নিয়ে যে মেনিপুলেশন টা করা হয়েছে, সেটা শক্ত ভাবে খন্ডন করা যুক্তি গুলো তুলে ধরে।
অবশ্য বাস্তবে হয়ত সেটা অনেক ঝুকিপূর্ণ হবে। যেকোন কাঠমোল্লা আপনাকে মুর্তাদ ঘোষনা করে দিবে এবং এরপর হুর পরী পাওয়ার লোভে কেউ হয়ত বুকে বোম বেধে ঝাপায় পড়তে পারে।
যাকগে, একটা জিনিষ খেয়াল করলাম। পুরো কোরআন শরীফে একটা জায়গাতেও দেখলাম না আল্লাহ মেয়েদের বেহেশতের উপহার সম্পর্কে কিছু বলছে। যেমন তারা পুরুষ হুর পাবে কিনা…
শ্রদ্ধেয় আকাশ ভাই,
অ…সা….ধা…র….ন আর যুক্তিতে ভরপুর একটা লেখা। বিশ্বাস করবেন না, একধ্যানে একসাথে পুরো এপিসোডগুলো পড়েছি যা আামি পারি না। আপনি অনেক সত্য ঘটনা এত সুনিপুনভাবে প্রকাশ করেছেন, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এসম্মন্ধে অনেককিছুই তো জানতাম না আগে। আপনার পরবর্তী কিস্তি প্রকাশের প্রতীক্ষায় রইলাম।
আমি অবিশ্বাসী না বিশ্বাসী আমি জানি না, আমি জানি আমি মুক্তমনা। আমি যে ইন্দ্রীয় হতেই ইনপুট নেই না কেন, তা অবশ্যই ব্রেইনএ প্রসেস হয়ে মেমোরীতে জমা হয়। কুরআনকে আমি শ্রদ্ধা করতাম অনেক বিষ্ময়কর তথ্য আছে এ জন্য যা শানে-নুযূল পড়ে বুঝতেই হত অধিকাংশে। এখন আমার সে ভক্তিটুকু উঠে গেল। কারন, শানে-নুযূলগুলো যে মৌলভী পন্ডিতরা কী সুনিপূনভাবে নিজেদের মাথা বাচিয়ে রচনা করেছেন, তা অবিশ্বাস্য।
এ সত্যটাও যদি স্বীকার করত অন্ধ বিশ্বাসীরা…হায়!
@শ্রাবন মনজুর,
মুক্তমনার আর্কাইভ থেকে পুরনো লেখাগুলো খোঁজে বের করে পড়ছেন দেখে ভাল লাগলো। আপনি ৪র্থ পর্বে এসে মন্তব্য করেছেন, জানিনা পরের পর্বগুলো পড়েছেন কি না। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল আপনি ভালই লিখতে পারেন। তা মুক্তমনায় লিখুন না, আমরা পড়বো। নীচের ঠিকানায় আপনার ই-মেইল এড্রেস দিতে পারবেন?
[email protected]
আকাশ, আয়েশার সাথে কি আপনার আর দেখা হবে। অপেক্ষা তে আছি।
এই লেখার সবগুলো পর্বই ভালো লেগেছে।
এখানে যে তথ্যগুলি ব্যবহার করেছেন তা ১ টি বা ২ টি বইতে একসাথে পাওয়া যাবে?যদি পাওয়া যায় তবে বই গুলোর নাম বলবেন প্লিজ।
আমার মনে হয়, আরববাসীরা মোহাম্মদ ও ইসলাম যে ভুয়া ঠিকই চিনতে পেরেছে । কথায় বলে না রতনে রতন চেনে। মোহাম্মদ একজন আরব , সুতরাং আরবরাই তাকে চিনবে ভাল এটাই তো স্বাভাবিক। যে কারনে খোদ মোহাম্মদের দেশের লোক হয়ে তারা সব রকম অনৈসলামিক কার্য কলাপে লিপ্ত থাকে, অবশ্যই আড়ালে। উপরে উপরে ইসলামের লেবাস পরে থাকে। ভিতরে ভিতরে তারা যথেচ্ছ মদ খায়, জুয়া খেলে, অবৈধ যৌন সংসর্গ করে। যে লোক কোরানের উপর পূর্ন বিশ্বাস স্থাপন করবে তার পে এ ধরনের কাজ করা একটা অকল্পনীয় ব্যাপার। ওসব গুনাহ এর শাস্তি যে অনন্তকাল ধরে জাহান্নামের আগুনে পুড়ে খাক হওয়া তা তো ওরা ভাল মতই জানে। তার পরেও ওরা সেসব কাজ করে অবলীলায় . তার মানে ইসলাম ভূয়া না হলে তারা তা কখনো করত না। তাহলে তারা ইসলাম নিয়ে অত মাতামাতি করে কেন ? কারন একটাই, যে কোন কারনেই হোক , ইসলাম মানব সমাজের এক বিরাট অংশকে অবচেতন করে ফেলেছে, তাই ইসলামকে ওরা অন্য মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে অনেকটা বিনা আয়াশে। এ ধরনের অস্ত্র কি কেউ ত্যাগ করে নাকি ? কেউ কল্পনা করেছেন, হজ্জ ও ওমরা থেকে কি বিপুল অর্থনৈতিক লাভ করে সৌদি আরব প্রতি বছর? সৌদিরা বুঝে ফেলেছে, তেল ওদের বেশীদিন থাকবে না . তখন ওদেরকে না খেয়ে থাকতে হবে। কেউ ওদের মত অসভ্যদেরকে সাহায্য করতে যাবে না। তাই তার আগেই যতটা পারা যায় বিশ্ববাসিকে ইসলাম ও কোরান দ্বারা বেশী বেশী অবচেতন করে ফেলতে হবে। তা হলে তেল শেষ হলেও অসুবিধা নেই। প্রতি বছর যে লক্ষ লক্ষ লোক হজ ও ওমরা পালন করতে যাবে, তা থেকে যা লাভ হবে তা দিয়েই তারা বেশ আরাম আয়েশে থাকতে পারবে। সাম্প্রতিক কালে ইসলাম নিয়ে সৌদিদের অতিরিক্ত আগ্রহের কারনটা সেটাই। যে কারনে তারা তথাকথিক ইসলামিক চিন্তাবিদ নামক কিছু দালাল তৈরী করছে সামান্য কিছু বিনিয়োগ দ্বারা যার ফসল তারা পরে পাবে।
@ভবঘুরে,
:yes:
আচ্ছা, মুসলমান ভাইরা, আপনাদের কি মনে হয় মধু খাওয়ার মত সামান্য একটা ব্যপারে আল্লাহ পুরো একটা সূরা নাজিল করতে পারেন? মোহাম্মদ তার স্ত্রী দের গালাগালি করেছেন, এ রকম কুৎসিত ব্যপার কি ভাবে তথাকথিত পবিত্র কোরানে স্হান পায় মুসলমানরা এক বারও চিন্তা করে?
@ফরহাদ,
এরাতো পড়েই না, চিন্তা করবে কিভাবে ? আমার পক্ষে ইসলাম ত্যাগকরা সম্ভব হয়েছে কোরান ভালভাবে পড়ার পরে। 🙂
এর মানে হচ্ছে জালালাইন হচ্ছেন মিথ্যাবাদী। আপনি যে কোন মাদ্রাসার উচ্চ শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করে দেখুন তারা কি উত্তর দেয় এই দুই (জালালাইন মানে দুই জালাল, এক্জন শিক্ষক, আরেকজন ছাত্র) যদি মিথ্যাবাদী হন, তবে সমস্ত ইসলামই হবে মিথ্যা। ঐ সব ইসলামী ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে স্যানিতাইজদ ভার্সান। বিশ্বের প্রায় সমস্ত ঈসলামী বিদ্যাপীঠে জালালিনের তফসির হচ্ছে অবশ্যপাঠ, পাঠপুস্তক। জিজ্ঞাসা করুন বাংলার মাদ্রাসায়।
বলুন তো মধু খেলে কি মুখ থেকে তাড়ির গন্ধ বের হয়? আরা তাই যদি হয় তবে নবীজী নিশ্চয় থেকে প্রতুত মদ অথবা তাড়ি খেতেন। এবং ঐ দিন ঐ ধরনের মফ খেয়ে যাচ্ছিলেন মারিয়ার সাথে যৌন সংগম করতে।
আদিল মাহমুদ, ইসলামের ব্যাপারে আপনি মধ্যপথ নিতে পারবেন না। হয় আপনাকে বলিষ্ঠ ভাবে ইসলামকে সাপর্ট করতে হবে নতুবা আমাদের মথ এর প্রবল বিরোধিতা করতে হবে। কারণ ইসলাম হচ্ছে মিথ্যা, বর্বর ও সাম্রাজ্যবাদী।
@আবুল কাশেম,
:yes: আপনাকে একটা :rose2:
@একা,
একা-কে দেখছি ঘোর নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী। বিষয় কি ? আপনার কি দোজখের ভয় নেই ?
@ভবঘুরে,
শুধু কি মেয়েদেরই দোজখের ভয় থাকবে, ছেলেদেরকে কি আল্লাহ মাফ করে দিবেন?
@ব্রাইট স্মাইল্,
ছেলেদের মাফ করবেন বলেই তো মনে হয়। সেই হাদিসের কথা জানেন না যেখানে বলা আছে নবী করিম দোজখ পরিদর্শন করে এসে বলেছিলেন দোজখের অধিকাংশ বাসিন্ধা হলো নারী ? তাছাড়া একজন পুরুষের জন্য বেহেস্তে ৭০ টা অনন্ত যৌবনা হুর থাকলেও, নারীদের জন্য কোন ব্যবস্থাই রাখা হয় নি। কোন একটা হাদিসে বর্নিত আছে, পূন্যবতী রমনী নাকি হুরদের সর্দারনি হবে। বেশ্যাদের সর্দার হওয়াতে কোন সম্মান আছে কিনা তা অবশ্য জানা নেই। আর সত্যি কথা বলতে কি, কোন পূন্যবতী রমনী বেশ্যাদের সর্দার হতে আদৌ আগ্রহী হবে বলেও মনে হয় না। মুসলমান মেয়েরা ভিতরের এ খবরগুলো ভালমতো জানে না বলেই কিন্তু তারা অত প্রচন্ড ধার্মিক এখনো।
@ভবঘুরে, আমি কিছু মহিলাকে (সংখ্যায় কম) জানি যারা এসব খবর ভালোভাবেই রাখেন এবং একারনে তাঁরা ধর্মও পরিত্যাগ করেছেন।
@আবুল কাশেম,
সেক্ষেত্রে তো দেখা যায় আপনাদের আর তালেবানদের মধ্যে বিশেষ কোন তফাত নাই..উভয়ই চরমভাবে উগ্রপন্থি,আপনারা নাস্তিক তালেবান,আর ওরা ইসলামী তালেবান..ওরা নিজেদের কাজের জন্য যেমন অহংকারী আপনারাও ঠিক তাই…তফাত শুধু ওরা আফগানিস্তানের দুর্গম পাহাড়ের নোংরা ঘরে বাস করে আর আপনারা ন্যু ইয়র্ক বা টরেন্টর ফ্লাটে বসে ল্যাপ্টপ চালান.. আর উভয়ের কর্মকান্ডই প্রতিনিয়ত মানুষের আত্মাকে ছিন্নভিন্ন করে..
@আবুল কাশেম,
জালালাইনের ব্যাপারটা ঠিক পরিষ্কার হল না। ইনিও কি মওদুদীদের মতন আর একজন বিখ্যাত তফসিরকারক? যার তাফসির সর্বজনস্বীকৃত হিসেবে বিবেচিত হয়?
কোরান অনলি মুসলিমরা এসব অসংগতি/জোড়াতালি দেখেই কোরান ছাড়া আর কিছুতে বিশ্বাস না করার নীতি নিয়েছেন। যদিও তাদের মত অনুসারে, কোন তফসির বা অন্য কোন সূত্র ছাড়াই সুরা তাহরিমের এই ৫ আয়াত পড়লে নিতান্তই অর্থহীন কিছু বাক্য বলেই মনে হয়।
তবে মধু হোক আর মারিয়া হোক, আমি এই আয়াতগুলি থেকে আপত দৃষ্টিতে যা শিক্ষা পাই তা হলঃ
১। ওয়াদা করলেই তা রাখতে হবে এমন ধরাবাধা নিয়ম নেই। ওয়াদা ভাঙ্গা যেতেই পারে।
২। একাধিক স্ত্রী বিবাহ করলে আল্লাহ সুরা নিসায় মনে হয় কঠিন শর্ত দিয়েছেন যে সবাইকে সমানভাবে তৃপ্ত রাখতে হবে। মনে হচ্ছে নবীজি এই শর্ত রক্ষা করতে পারেননি। দুই তফসির অনুযায়ীই দেখতে পাচ্ছি যে তাকে কেন্দ্র করে তার বিবিদের মাঝে অসন্তোষ ঘনিয়ে উঠছিল।
@আদিল মাহমুদ,
মি: আদিল মাহ্মুদ লিখলেন—
আবার দেখুন উপরে আমার লেখা। গত বছর খানেক যাবত জালালাইনের তফসির ইংরেজিতে অন-লাইন পাওয়া যাচ্ছে। এটা খুবই ভাল খবর। অনুবাদক হচ্ছেন অক্সফোর্ডের পি.এইচ ডি করা ড: ফেরাস হামজা। এই অনুবাদ রাজকীয় জর্দান সরকার কর্তৃক অনুমিত ইসলামী ওয়েব সাইটে আছে। দেখুন:
http://www.altafsir.com
কিন্তু আমার কেন যেন একটু সন্দেহ হচ্ছিল যে এই অনুবাদে বেশ কিছু সুস্বাস্থ করা হয়েছে—অর্থাৎ, স্যানিটাইজ্ড।
এখন আমার কাছে যে ইংরেজী অনুবাদ পরিপূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় সেটা হল: মেমসাহেব আয়েশা বিউলের অনুবাদ। এই ইংরেজ ভদ্রমহিলা ইসলাম ধর্ম কবুল করেছেন, ভিষণ নামাজী এবং ইসলামের দারুন ভক্ত। ওনার ইংরেজী অনুবাদটাই মনে হয় বিশ্বে সর্বপ্রথম প্রকাশিত (প্রিন্টেড) জালালাইনের অনুবাদ। এর ভূমিকায় লেখা আছে:
.
Jalalu’d-Din Al Mahali and Jalal’ud Din As Suyuti. Tafsir Al Jalalyn, translated in English by Aisha Bewley. Dar Al Taqwa Ltd. 7A Melcombe Street, Baker Street, London NW1 6AE, 2007. ISBN: 1 870582 61 6
এখন আমি আপনাকে আরো অনুরোধ করব আপনি যে কোন মসজিদের ইমাম অথবা মাদ্রাসার শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করুন জালালাইন সম্বন্ধে। আপনি শুনবেন যে মওদুদীর তফসিরেরে ব্যপারে হয়তো অনেকের মতান্তর আছে, কিন্তু জালালাইনের তফসির সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নেবে।
এর পর আমরা কি বলতে পারি?
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য। এই জালালাইন তত্ত্বের সাথে আমার পরিচয় ছিল না। কোনদিন নাম শুনিনি। যদিও আমার তেমন কাউকে জিজ্ঞাসা করে ভেরিফাই করার ইচ্ছে বা উপায় কোনটাই নেই। ধরে নিচ্ছি যে এনার তাফসির মোটামুটি সর্বজন স্বীকৃত।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি, জয়নব এপিসোড বিস্তারিত জানার ব্যাপারে আগ্রহ ছিল বহুদিনের।
সিরিজটা খুব জমে উঠেছে।
সুরা তাহরিমের আলোচিত আয়াত সম্পর্কে একটু কৌতূহলী হ্যে খোজ করলাম। একটি বাংলা সাইটে উচ্চারন, বাংলায় অর্থ ও তাফসির সবই পেলাম। তাদের তাফসির মতে আলোচিত এই ৫ টি আয়াতে মারিয়া নামক মহিলার কোন ব্যাপার নেই। ওনারা কি যেন মধু খাওয়া বিষয় দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও বিবি আয়েশা কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে আছেন।
এ বিষয়ে মালিক ভাই এর ভাষ্য কি? আমি জানি উনি এখানে যা বলেছেন তার নি:সন্দেহে কোন সোর্স অবশ্যই আছে।
সূত্রঃ
@আদিল মাহমুদ,
Surah LXVI Al-Tahrim
Source: “The Glorious Quran, Text and Explananatory Translation by Mohammad M. Pickthall
“There are three traditons as the occasion of v. 1-4:
(1) The Prophet was very fond of honey. One of his wives received a present of honey from a relative and byt its means inveigled the Prophet into staying with her longer than was customary. The others felt aggrieed, and Ayeshah devised a little plot. Knowing the Prophet’s horror of unpleasant smells, she arranged with two other wives that they should hold their noses when he came to them after eating the honey, and accuse him of having eaten the produce of a very rank-smelling tree. When they accused him of having eaten Maghfir the Prophet said that he had eaten only honey. They said: “The bees had fed on Maghafir.” The Prophet was dismayed and vowed to eat no more honey.
(2) Hafsah found the Prophet in her room with Marya – the Coptic girl, presented to him by the ruler of Egypt, who became the mother of one of his male childre, Ibrahim – on a day which custom had assigned to Ayeshah. Moved by Hafsah’s distress, the Prophet vowed that he would have no more to do with Marya, and asked her not to tell Ayeshah. But Hafsah’s distress had been largely feigned. No sooner had the Prophet gone than she told Ayeshah with glee how she got rid of Marya.
…”
@আদিল মাহমুদ,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَاجِكَ
وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন,
আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন?
আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়
قَدْ فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ وَاللَّهُ مَوْلَاكُمْ وَهُوَ الْعَلِيمُا لْحَكِيمُ
আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهِ وَأَظْهَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهُ وَأَعْرَضَ عَن بَعْضٍ فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهِ قَالَتْ مَنْ أَنبَأَكَ هَذَا قَالَ نَبَّأَنِيَ الْعَلِيمُ الْخَبِيرُ
যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন, যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।
إِن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا وَإِن تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ ظَهِيرٌ
তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।
عَسَى رَبُّهُ إِن طَلَّقَكُنَّ أَن يُبْدِلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنكُنَّ مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍ تَائِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَائِحَاتٍ ثَيِّبَاتٍ وَأَبْكَارًا
যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।
সুত্র-
Tafsir al-Jalalayn
O Prophet! Why do you prohibit what God has made lawful for you, in terms of your Coptic handmaiden Māriya — when he lay with her in the house of Hafsa, who had been away, but who upon returning [and finding out] became upset by the fact that this had taken place in her own house and on her own bed — by saying, ‘She is unlawful for me!’, seeking, by making her unlawful [for you], to please your wives? And God is Forgiving, Merciful, having forgiven you this prohibition
Verily God has prescribed, He has made lawful, for you [when necessary] the absolution of your oaths, to absolve them by expiation, as mentioned in the sūrat al-Mā’ida [Q. 5:89] and the forbidding of [sexual relations with] a handmaiden counts as an oath, so did the Prophet (s) expiate? Muqātil [b. Sulaymān] said, ‘He set free a slave [in expiation] for his prohibition of Māriya’; whereas al-Hasan [al-Basrī] said, ‘He never expiated, because the Prophet (s) has been forgiven [all errors]’. And God is your Protector, your Helper, and He is the Knower, the Wise.
When the Prophet confided to one of his wives, namely, Hafsa, a certain matter, which was his prohibition of Māriya, telling her: ‘Do not reveal it!’; but when she divulged it, to ‘Ā’isha, reckoning there to be no blame in [doing] such a thing, and God apprised him, He informed him, of it, of what had been divulged, he announced part of it, to Hafsa, and passed over part, out of graciousness on his part. So when he told her about it, she said, ‘Who told you this?’ He said, ‘I was told by the Knower, the Aware’, namely, God.
If the two of you, namely, Hafsa and ‘Ā’isha, repent to God … for your hearts were certainly inclined, towards the prohibition of Māriya, that is to say, your keeping this secret despite [knowing] the Prophet’s (s) dislike of it, which is itself a sin (the response to the conditional [‘if the two of you repent to God’] has been omitted, to be understood as, ‘it will be accepted of both of you’; the use of [the plural] qulūb, ‘hearts’, instead of [the dual] qalbayn, ‘both [your] hearts’, is on account of the cumbersomeness of putting two duals together in what is effectively the same word); and if you support one another (tazzāharā: the original second tā’ [of tatazāharā] has been assimilated with the zā’; a variant reading has it without [this assimilation, tazāharā]) against him, that is, the Prophet, in what he is averse to, then [know that] God, He (huwa, [a pronoun] for separation) is indeed his Protector, His supporter, and Gabriel, and the righteous among the believers, Abū Bakr and ‘Umar, may God be pleased with both of them (wa-Jibrīlu wa-sālihu’l-mu’minīna is a supplement to the [syntactical] locus of the subject of inna [sc. ‘God’]), who will [also] be his supporters, and the angels furthermore, further to the support of God and those mentioned, are his supporters, assistants of his, in supporting him [to prevail] over both of you.
It may be that, if he divorces you, that is, [if] the Prophet divorces his wives, his Lord will give him in [your] stead (read yubaddilahu or yubdilahu) wives better than you (azwājan khayran minkunna is the predicate of ‘asā, ‘it may be’, the sentence being the response to the conditional) — the replacement [of his wives by God] never took place because the condition [of his divorcing them] never arose — women submissive [to God], affirming Islam, believing, faithful, obedient, penitent, devout, given to fasting — or given to emigrating [in God’s way] — previously married and virgins.
সুত্র-
@আকাশ মালিক,
অনেক ধন্যবাদ সূত্রটি দেওয়ায়। ধর্মের সুবিধে অসুবিধে মনে হয় দুটিই এক সূত্রে নিহিত। যে যার খুশীমত যা ইচ্ছে ব্যাখ্যা করতে পারে, সব দিকেই উপযুক্ত রেফারেন্স পাওয়া যাবে। এখন আমি যেই বাংলা সাইট দিলাম সেটা কোট করে অনেকে বলা শুরু করতে পারেন যে আকাহ মালিক নামের এক মহা ইসলাম বিদ্বেষী মহানবীকে নিয়ে বানিয়ে যা ইচ্ছে তাই লিখেছে যাতে সত্যতার কোন লেশমাত্র নেই। এই তো প্রমান। কোথায় এখানে মারিয়া?
আবার আপনার পক্ষেও রেফারেন্সের অভাব নাই। আপনার রেফারেন্সের সূত্র বিধর্মী বা ষড়যন্ত্রকারী বলে পরিচিত কোন সাইট হলে সমস্যা ছিল না। মুশকিল হল যে দুটো সোর্সই ইসলাম প্রিয় দলের। মহা গোলমেলে ব্যাপার।
সালমান রুশদীর সময়ে প্রথম শুনেছিলাম যে নবীজিকে নিয়ে নাকি এই ব্যাটা পাজী যা তা লিখেছে। ধরেই নিয়েছিলাম যে এইরকম যা তা কোনদিন সত্য হতে পারে না কারন লিখেছে তো সব ইসলাম বিদ্বেষী শত্ররা। এই ধারনা বাংলা ওয়েব জগতে পদার্পন পর্যন্তই দৃঢ় ছিল।
@আদিল মাহমুদ,
@আদিল মাহমুদ,
মধুর ব্যাপারটা নিয়ে আমাকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সুরা তাহরীমের আয়াত সমুহ পড়লে এটা পরিস্কার হয় যে মধু খাবার মতন এত সাধারন একটা ব্যপার নিয়ে আল্লাহ ও তার রাসুলঃ স্ত্রীদের উপর এতটা ক্ষীপ্ত হতে পারেন না। ঘটনা অবশ্যই গুরুতর ছিল। এবং বুখারীর একটি হাদিসে তার বিশদ বর্ণনা মিলে। হাদীসটি অনেক বড়।
Study Ete April 6 at 9:05pm
সহীহ বুখারী শরীফঃ
ভলিউম ৩, বই ৪৩, হাদীস ৬৪৮
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, ****যে দুইজন নারী সম্পর্কে কোরআন পাকে (আয়াত ৬৬:৪) বলা হয়েছে,*** তাদের ব্যাপারে হযরত ওমর রা. কে প্রশ্ন করার ইচ্ছা বেশ কিছুকাল পর্যন্ত আমার মনে ছিল। অবশেষে একবার তিনি হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে আমিও সফরসঙ্গী হয়ে গেলাম। (হজ্জ থেকে ফেরার পথে) ওমর একপাশে গেলে (প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে), আমিও (ওযুর)পানি নিয়ে তার সাথে যাই। যখন তিনি ফিরলেন, আমি তার হাতে পানি ঢালছিলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, “ওহ বিশ্বাসীদের প্রধান! নবী করিম সা. এর কোন দুজন নারীর ব্যাপারে কোরআনের এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছেঃ যদি তোমরা দুজন তওবা করো (৬৬:৪)।”
তখন ওমর রা. বললেন, “আমি এবং বনী উমাইয়া বিন জাহিদ গোত্রের আমার এক আনসারী প্রতিবেশী মদীনার আওয়ালীতে বাস করতাম ও পর্যায়ক্রমে রাসুলুল্লাহ সা. কাছে যেতাম। তিনি একদিন যেতেন আর আমি অন্যদিন। যেদিন আমি যাতাম রাসুলুল্লাহ সা. এর সেদিনকার আদেশ-নির্দেশাবলী সমেত ঘটনাসমূহ তাকে (প্রতিবেশীকে) বলতাম এবং যেদিন তিনি যেতেন, তিনিও আমার কাছে অনুরূপ করতেন। আমরা, কোরায়েশ পুরুষরা, যখন মক্কায় বাস করতাম তখন নারীদের উপর অধিক কর্তৃত্ব ভোগ করতাম, কিন্তু আমরা যখন মদীনায় আসলাম তখন লক্ষ করলাম যে, আনসার নারীরা পুরুষদের উপর অধিক কর্তৃত্ব ভোগ করে। ফলে, আমাদের নারীরা আনসার নারীদের অভ্যাস গ্রহণ করতে শুরু করে। একদিন আমি আমার স্ত্রীর প্রতি চিৎকার করলে আমার স্ত্রীও আমার সাথে মুখে মুখে তর্ক করলেন ও পাই পাই বুঝিয়ে দিলেন। আমি এটা অপছন্দ করলে তিনি বললেন, “আপনাকে প্রতি উত্তর দিলে সেটাকে আপনি খারাপভাবে নিচ্ছেন কেন? আল্লাহর কসম! নবী করিম সা. এর স্ত্রীরাও তাঁর সাথে মুখে মুখে তর্ক করেছেন এবং স্ত্রীদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত অবধি তাঁর সাথে কথা পর্যন্ত বলেননি”। আমার স্ত্রী যেটি বললো আমাকে ভীত করলো এবং আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তাঁদের মধ্যে যেই এমন করে, সে-ই ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন”। আমি পোশাক পরিধান করে হাফসার কাছে গেলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কি দিন থেকে রাত অবধি রাসুলুল্লাহ সা. কে রাগান্বিত রেখেছ?” সে হ্যাঁ বোধক জবাব দিল। আমি বললাম, “তুমি বিধ্বস্ত পরাজিত নারী! তুমি কি আল্লাহর রাসুলকে রাগান্বিত করে আল্লাহর ক্রোধের কারণ হতে ভীত হও নাই? এভাবে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে! আল্লাহর রাসুলকে বেশী কথা বলো না, কোন অবস্থাতেই তাঁর সাথে মুখে মুখে তর্ক করো না এবং তাঁকে অসন্তুষ্ট করো না। তোমার যা খুশী দরকার আমার কাছে চাও এবং কখনোই তোমার প্রতিবেশীকে (আয়েশা রা. কে) নবীজীর প্রতিপক্ষ বানিয়ো না, যদিও সে তোমার চেয়ে অধিক সুন্দরী ও মুহম্মদ সা. এর বেশী প্রিয়।
সে সময় গুজব ছিল যে, ঘাসানরা (শ্যাম দেশের একটি গোত্র) আমাদের আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে ঘোড়া প্রস্তুত করছে। এক রাতে আমার আনসার প্রতিবেশী (তাঁর পালায় রাসুলুল্লাহ সা. এর বাড়ি থেকে ফিরে) খুব স্বন্ত্রস্তভাবে আমার দরজায় কড়া নাড়তে লাগলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “কি হয়েছে? ঘাসানেরা কি এসেছে?” তিনি বললেন, “তারচেয়েও খারাপ, আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ! রাসুলুল্লাহ সা. তাঁর স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন”। আমি বললাম, হাফসা বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি এমনটি আগেই ভেবেছিলাম। আমি পোশাক পরিধান করে রাসুলুল্লাহ সা. এর সাথে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। এরপরে তিনি উপরের কামরায় চলে গেলেন। আমি হাফসার কাছে গিয়ে তাকে ক্রন্দনরত পেলাম। আমি তাকে বললাম, “কেন কাঁদছ? আমি কি তোমাকে আগেই সাবধান করিনি?” আমি জিজ্ঞেস করলাম, “রাসুলুল্লাহ সা. কি তোমাদের সকলকে তালাক দিয়েছেন?” সে বললো, “আমি জানি না। তিনি সেখানে উপরের ঘরে আছেন”। আমি বের হলাম এবং কিছু মানুষের জটলা দেখতে পেলাম যাদের কেউ কেউ কাঁদছিল। আমি তাদের সাথে কিছুক্ষণ বসলাম, কিন্তু আমি পরিস্থিতি সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই আমি উপরে গেলাম এবং নবীজীর এক কৃষ্ণাজ্ঞ দাসকে বললাম, “তুমি কি ওমরের জন্য রাসুলুল্লাহ সা এর অনুমতি প্রার্থনা করবে?” সে ভেতরে গেল এবং এসে বললো, “আমি আপনার কথা তাঁর কাছে বলেছি কিন্তু তিনি কোন জবাব দেন নি”। আমি জটলার কাছে ফিরে এসে বসলাম, কিন্তু পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে আবার উপরে দাসের নিকট গিয়ে বললাম, “তুমি কি ওমরের জন্য নবীজীর অনুমতি প্রার্থনা করতে পার?”সে গেল এবং ফিরে এসে একই কথা বললো। যখন আমি ফিরে আসছি, তখন দাস বললো, “রাসুলুল্লাহ সা. আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন”। সুতরাং আমি ভিতরে রাসুলুল্লাহ সা. এর কাছে গেলাম এবং তাকে একটি মাদুরে শয়নরত অবস্থায় পেলাম। আমি বললাম, “আপনি কি আপনার স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন?” তিনি আমার দিকে চোখ তুলে তাকালেন এবং না বোধক উত্তর দিলেন। আমি দাঁড়িয়ে বলতে লাগলাম, “আপনি কি আমার কথা শুনবেন? হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কোরায়েশরা নারীদের উপর অধিক কর্তৃত্ব পেতাম, এবং এখানে আমরা যাদের কাছে এসেছি তাদের নারীরা তাদের উপর অধিক কর্তৃত্ব ভোগ করে”।
এরপরে আমি পুরো ঘটনা তাঁকে বলি (তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে)। এতে তিনি হাসলেন। আমি তখন বললাম, “আমি হাফসার নিকট গিয়েছিলাম এবং তাকে বলেছি: তোমার প্রতিবেশীকে (আয়েশা রা. কে) নবীজীর প্রতিপক্ষ বানিয়ো না, যদিও সে তোমার চেয়ে অধিক সুন্দরী ও মুহম্মদ সা. এর বেশী প্রিয়”। এতে নবীজী আবার হাসলেন। আমি বসলাম এবং বললাম, “আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন যেন আপনার অনুসারীরা অনেক উন্নতি করতে পারে, যেহেতু পারস্যীয়রা ও বাইজেন্টাইনরা আল্লাহকে না মেনেও কতই না উন্নতি করেছে, তাদের কতই না সম্পদ”। রাসুলুল্লাহ সা. উঠে বসলেন এবং বললেন, “ওহ ইবনে আল খাত্তাব! তোমার কি কোন সন্দেহ আছে (যে এস্থান দুনিয়ার মধ্যে সেরা)? মানুষ তার ভালো কাজেরই কেবল প্রতিফল পায়”। আমি তাঁকে আল্লাহর কাছে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বললাম।
রাসুলুল্লাহ সা. তাঁর স্ত্রীদের কাছে যাননি কারণ হাফসা গোপন কথা আয়েশার নিকট ফাঁস করে দিয়েছিলেন। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন যে, তিনি একমাস তাঁর স্ত্রীদের কাছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কেননা তিনি তাদের উপর রাগান্বিত হয়েছেন যখন আল্লাহ তাকে সাবধান করে দেন ****(মারিয়ার প্রতি আকৃষ্ট না হওয়ার শপথ করার জন্য)***। যখন ২৯ দিন অতিবাহিত হলো, তখন তিনি সর্বপ্রথম আয়েশার নিকট গিয়েছিলেন। আয়েশা বললেন, “আপনি শপথ করেছিলেন যে, একমাস আমাদের কাছে আসবেন না, আজ কেবল মাত্র ২৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আমি এক এক করে দিন গুনে রেখেছি”। মুহম্মদ সা. জবাবে বললেন, “২৯ দিনেও মাস হয়”। সে মাস ২৯ দিনে ছিল। রাসুলুল্লাহ সা. আয়েশা রা. কে বললেন, “আমি তোমাকে কিছু বলতে যাচ্ছি, কিন্তু জবাব দেয়ার জন্য তোমার পিতামাতার সাথে পরামর্শ করার আগ পর্যন্ত তাড়ার কিছু নেই। আয়েশা রা. জানতেন যে, তাঁর পিতামাতা নবীজীর থেকে পৃথক হওয়ার অনুমতি দিবেন না। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন যে, আল্লাহ বলেছেনঃ
হে নবী! তোমার স্ত্রীগণকে বলো,- “তোমরা যদি দুনিয়ার জীবনটা ও তার শোভা-সৌন্দর্য কামনা করো, তবে এসো আমি তোমাদের ভোগ্যবস্তুর ব্যবস্থা করে দিব এবং তোমাদের বিদায় করে দিব সৌজন্যময় বিদায়দানে”। (সুরা আহযাব, আয়াত ২৮) আয়েশা বললেন, “আমি কি আমার পিতামাতার সাথে পরামর্শ করতে পারি?” পরে আয়েশা নবীজীকে বললেন, “আমি অবশ্যই আল্লাহকে, তাঁর রাসুলকে এবং এই স্থানকে অধিকতর পছন্দ করি”। এরপরে রাসুলুল্লাহ সা. একে একে অন্য স্ত্রীদের কাছে গিয়েও এই আহবান জানালে তাঁরাও আয়েশার অনুরূপ জবাব দেন।
একই ধরণের হাদীস পাওয়া যায় মুসলিম শরীফের ৯/৩৫১১ এ এবং বোখারী শরীফের ৭/৬২/১১৯ এ।
বোঝাই যাচ্ছে যে রাসুলের সকল স্ত্রী-ই মারিয়ার ঘটনায় তার বিপক্ষে ছিলেন। মধুর ব্যপার হলে সকল স্ত্রী রাসুলের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যেতে পারেন এরকমটি মনে হচ্ছে না এ হাদিস থেকে। এবং মধুর বর্ণনা নিয়ে এরকম সুনির্দিষ্ট হাদিস আমার চোখে পড়েনি।
বিবি আয়েশা আমাকে অনুরোধ করেছেন যে আকাশ মালিক যেন কোনক্রমেই এই সিস্রিজটা শেষ না করেন, কারন উনার অনেক অনেক বলা বাকী আছে।
বিবি আয়েশা আমাকে জানালেন যে আমার লেখার সেই শক্তি নাই যা তাঁর মনের সুপ্ত অভিব্যক্তি বর্ণনা করতে পারে। একমাত্র আকাশ মালিকই পারেন এটা করতে।
বস, এইটা কি করলেন? ধারাবাহিক নাটকের মত একটা ক্লাইম্যাক্স পয়েন্টে এসে রেখে দিলেন।
আপনিও দেখি চালাকি শুরু করেছেন। তাড়াতাড়ি ছাড়েন মিয়া।
রোগটা আসলে কী? :-/
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
অপেক্ষা করুন, পঞ্চম রাত্রিতে আকাশ ভাইয়ের সাথে আয়েশার দেখা হবে ।
তখন নিশ্চয় ই জেনে নেবেন । যদিও আয়েশা বলেছেন যে ,
“ আমাদের সময়ে তো চিকিৎসা বিজ্ঞান এতো অগ্রসর হয়নি। আমরা তা পরীক্ষা করতাম কি ভাবে?”
তথাপি রোগের বর্ণনা অনুযায়ী অসুখের নাম বাতলানো যাবে বা ডাক্তার বলে দিতে পারবেন ।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
বিশ্ব বেহায়া গোত্রের রোগ। এরোগের একটি স্থানীয় নমুনা হচ্ছে ” হু মু এরশাদ”
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
শব্দট গুগলে কপি করে সার্চ করলেই অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
It mainly affects adults between the ages of 30 and 50. Men and women are equally affected.
Acromegaly is a condition where you make too much growth hormone. In over 99 in 100 cases, the excess hormone comes from a small tumour (growth) in the pituitary gland. This is a benign (non-cancerous) growth called a ‘pituitary adenoma’. The adenoma may grow up to 1-2 cm across. However, as it is benign it does not spread to other areas of the body. The abnormal cells in the adenoma make lots of growth hormone. This can cause sexual and menstrual problems, and a milky discharge from the nipple. Many men with acromegaly also develop erectile dysfunction (impotence).
অফ টপিক একটা কথা। আপনার লগ-ইন নিকটা বদল করা যায় না?
এক কথায় অসাধারন…
” – আমার মনে হয় আপনার স্বামী মুহাম্মদ, খাদিজা পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ শেষ বয়সে ঐ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।” :lotpot:
আপনার পক্ষেই সম্ভব এমন লেখা । পরবর্তি লেখা পাবার অপেক্ষায় থাকলাম । 🙂
পরের পর্বের অপেক্ষায়…