তৃতীয় বিশ্বের এক গরীব চাষা বলছি
সবাই বলে মানুষের নাকি পাঁচটা ইন্দ্রিয়
আমি বলি, এ সত্যের অপলাপ মাত্র
জন্ম মূহুর্ত থেকে এখন পর্যন্ত দশক কেটেছে একাধিক
কখনোই আমি পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা তাড়িত হইনি
আমার ইন্দ্রিয় একটিই, তা হল
ক্ষুধান্দ্রীয়।
আমার পর্নকুটিরে কোন কবির প্রবেশাধিকার নেই
প্রবেশাধিকার নেই শিক্ষিত কোন মহান দার্শনিকের
আমার ভাঙ্গাঘরে প্রবেশ করে না চাঁদের আলো কখনোই
এখানে আসতে পারে না কোন বিখ্যাত চিত্রকর।
ধোঁয়া ওঠা এক সানকি ভাতের গন্ধ আমার কাছে
পৃথিবীর সমস্ত ফুলের গন্ধের চেয়েও আকর্ষনীয়
হাঁড়ি ভর্তি মোটা ভাতের দৃশ্য আমার কাছে
পৃথিবীর সমস্ত নান্দনিক শিল্পকর্মের চেয়েও কমনীয়
ভরপেট ভাত আমার জৈবিক চাহিদা মেটায়
আমার একটি মাত্র ইন্দ্রিয়ই সদা জাগ্রত
ক্ষুধান্দ্রীয়।
আমি আবার বলি,
মানুষের অন্তরের সুখটা আসলে তার চাহিদার উপর নির্ভর করে, যার চাহিদা বেশী তার না পাওয়ার কষ্টটাও বেশী। আমরা সর্বদা টাকার পিছনে ছুটছি কারণ আমাদের চাহিদার কোন শেষ নেই, তা সীমাহীন…
বঞ্চিত নিপিড়িত সহজ সরল মানুষের চাহিদা কম থাকে তারা অল্পতেই তুষ্ট থাকতে জানে তাই প্রয়োজনীয় জিনিষ্টা পাওয়া হয়ে গেলেই তারা আর কিছু চায় না। আপনার নিজের কথাটাই শুনুন না…
হ্যা, ‘আপনি বলতে পারেন যে তাদেরকে যত দেওয়া হবে তত তাদের চাহিদাও বাড়তে থাকবে, সেই অনুপাতে তাদের না পাওয়ার আফসোস্টাও বাড়তে থাকবে’ তবে আমি বলিঃ যদি তাই ঘটে থাকে তবে সেক্ষেত্রে বলতে হবে লোকগুলো সহজ সরল ছিল না অথবা তাদের থেকে সেই সরলতা টা চলে গিয়েছে। কারণ সহজ সরল মানুষের চাহিদা খুবই কম থাকে। বলতে গেলে তা এক পর্যায়ের অভাব মুক্ত…
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়,
আপনাকে ধন্যবাদ।
আচ্ছা, আপনি কি আমায় বলতে পারেন যে তৃতীয় বিশ্বের বাদের অন্য বিশ্বের গরীব চাষাদের ক্ষুধান্দ্রিয় বাদে বাকি ইন্দ্রিয়গুলো কিছুটা হলেও কাজ করে?
আচ্ছা, ভাঙ্গাঘরে তো চাঁদের আলো অন্যঘরের তুলনায় বেশী প্রবেশ করার কথা, বরং বড়লোকের শহরের কংক্রীটের বস্তির থাই জানালা গলে চাঁদের আলো আরো কম প্রবেশ করে, তাইনা? আমি কি ভূল বল্লাম?
আর যতদূর জানি বিখ্যাত চিত্রকর রা মহৎ হৃদয়ের হয়ে থাকেন, তবে কেন তারা একজন মানুষের ঘরে আসতে পারবেন না? তাদের তো আরও বেশী বেশী করে এই সব বঞ্চিত মানুষের ঘরে আসার কথা, তাই না?
(হাইসেন না, আমি কঠিন হৃদয় নিয়াই পরশ্ন গুলা করতাছি)
চমৎকার লিখেছেন। তবে একটা কথা না বললেই নয় তা হল এসব মানুষের মনে যে শান্তি আছে তা আপনার আমার মধ্যে থাকাটা একটি বিরল ব্যাপার, স্রষ্টা তাদেরকে সবচে’ বড় যে পাওয়াটা দিয়েছেন তা হল মনের ঐ শান্তি। তাদের মনে শান্তি আছে এই কারণে যে তাঁরা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টির জন্য বা অন্তরকে কলুষিত করার জন্য বৈষয়িক সম্পত্তির যে প্রাচুর্যের সহজলভ্যতার প্রয়োজন তা পায়নি , তাই প্রাচুর্যও নেই ফলে অশান্তিও নেই। আর তাদের চোখে যে চাঁদ ধরা পড়ে ( হয়ত ওই চাঁদ দেখার সময় বা বিলাসিতা তাদের নেই তথাপি) তা আমাদের চোখে ধরা পড়া চাঁদের তুলনায় অনেক বেশী সুন্দর কারণ আমাদের কর্মের কারণে আমাদের চোখ নষ্ট হয়ে গেলেও তারা তাদের চোখকে এখন নষ্ট করেনি বা নষ্ট করার সুযোগ তাদের জোটেনি।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করছি। কিন্তু আপনার দেয়া মন্তব্যের সাথে একমত নই কোনভাবেই। আপনি কি মনে করেন যারা অর্থাভাবে খেতে পায়না তারা খুবই সুখে আছে? আপনার কথাতে কিন্তু তাই মনে হয়। তাহলে লেখাপড়া জানা আমাদের মত ভদ্রলোকেরা টাকা বানানোর মেশিনে পরিনত হয় কেন জানাবেন কি? আপনার কথা ধর্মব্যাবসায়ীদের মতই মনে হল আমার কাছে। যখন অথর্ব ঈশ্বরের কাছ থেকে কোন করুনা না পেয়ে হতাশ অনুসারীরা প্রশ্ন করা শুরু করে তখন তারা ধর্মগ্রন্থের সাহায্য নিয়ে ব্যাখ্যা করে বলে আরে বলদ টাকাই কি সব নাকি? পরকালে সব পাবি। কিন্তু শুধুমাত্র টাকার জন্যই যখন কারও বাবা-মা বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, কারও লেখাপড়া ধ্বংস হয়, দুবেলা খেতে পায়না তখন খোকা বাবু থেকে শুরু করে সবাই বুঝতে পারে টাকা সবকিছু নাহলেও কিছুতো অবশ্যই।
এখানে আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ছে যে মাঝে মধ্যেই বলে টাকা দিয়ে সব পাওয়া না গেলেও কিছু পাওয়া যায়, কিন্তু টাকা ছাড়া কিছুও পাওয়া যায় না।
আবারও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনি হয়তো আমার কথার ভুল মানে করেছেন। আমি মনে করি জীবনের আর দশটা উপকরণের মত টাকাও একটা জীবনধারণের উপকরণমাত্র। যতটুকু প্রয়োজন তার বেশী এর কোন মূল্য আমার কাছে নেই। তাই বলে তো এমন নয় যে সর্বগ্রাসী লোভে পড়ে কেবল টাকার পেছনে ছুটতে হবে?
আর লেখাপড়া জানা(?) লোকের টাকার পেছনে ছোটার কথা বলছেন তো? ওটা আমার কাছে একপ্রকার অন্ধত্ব বরণই মনে হয়। যারা অন্ধ তারাই টাকার পেছনে ছোটে।নৌকা নদীতে চলতে বোধ হয় পানির উপর ভেসে থাকলেই চলে, নৌকার ভেতর পানি ঢালার প্রয়োজন বোধ হয় পড়ে না, ঠিক তেমনি জীবন ধারণের তাগিদে টাকার প্রয়োজন, তাই বলে টাকার পেছনে ছোটার কোন দরকার নেই, এটা আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়া সর্বগ্রাসী ‘আমিত্ব’ আর বল্গাহীন লোভেরই বহিঃপ্রকাশ।
কৃষক, দিনমজুররা অবশ্যই জীবনযুদ্ধে মানবীয় বঞ্চনার শিকার, তারা অর্ধাহারে, অনাহারে থেকে অবশ্যই কষ্টে থাকে প্রভূত, সে কষ্ট কি তা কিছুটা হলেও আমি জানি কারণ আমার অভিজ্ঞতা আছে, সে যাই হোক। কিন্তু আমি সেই কষ্টকে কখনোই অস্বীকার করি নাই, বলেছি মাত্র যে, আমাদের জীবনে বস্তুগত সম্পদের প্রাচুর্য যে মানসিক অশান্তি আর সর্বগ্রাসী চাহিদা তৈরী করে তা থেকে তারা মুক্ত। কারণ, তাদের সেই প্রাচুর্যও নেই ফলে সেই মানষিক অশান্তিও নেই, নেই সীমাহীন না পাওয়ার বেদনা, কারণ তারা খুবই সহজসরলঃ জীবনধারণের জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু মিললেই তারা আর কিছু চায় না, মধ্যবিত্তের মত তাদের সীমাহীন অভাববোধ নেই। তাই এই অর্থে আমি বলেছিলাম যে অভাববোধ না থাকলে তো আর না পাওয়ার কষ্টটা থাকে না। তবে বাস্তব হল তারা তাদের জীবনোপকরণই ঠিক মত জুটাতে পারে না সামাজিক বৈষম্যের কারণে আর আমাদের মত মানুষদের সীমাহীন চাহিদার কারণে।
না, আমি এরকম কিছু ইঙ্গিত অবশ্যই করি নাই, আপনার ভূল বোঝাবুঝি।
আমি শুধু এটুকুই বোঝাতে চেয়েছি যে, স্বল্প চাহিদার কারণে তারা একটুতেই সুখী থাকতে পারে , আর সম্পদের প্রতি মোহ না থাকার কারণে (হয়তোবা!) তারা আমাদের মত অপরের প্রাপ্য মারার চিন্তা করে না- এদিক থেকে তাদের মন আমাদের থেকে অনেক বেশী পরিত্র। তারা তাদের চাহিদা মেটাতে পারলে যে সুখ পায় তা আমাদের মাঝে বিরল।
আর চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে বলবঃ সকলেই চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে না বা করে না, খেটে খাওয়া বঞ্চিত মানুষগুলোর কাছে হয়তো ঐ চাঁদের সৌন্দর্য অর্থহীন তথাপি আমি মনে করি তাদের মনে যে পবিত্রতা আছে তা দ্বারা তারা চাঁদের সৌন্দর্য অনেক বেশী উপভোগ করতে পারে, যা সবাই পারে না; এটা মনের পবিত্রতার উপর নির্ভর করে। ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
এই কথার মানে আমি ধরেছি যাদের টাকা পয়সা নেই বললেই চলে আপনি মনে করেন তাদের মনেই প্রকৃত সুখ থাকে। আমি জানি না আমার ধারনায় কোথায় ভুল আছে। আপনার কথা যদি না ধরতে পারি সঠিক ভাবে তবে সেটা আমার ব্যর্থতা।
আমি বলেছি
যদি টাকা পয়সা বেশি থাকলেই মানুষ অসুখি হবে তাহলে আমরা কেন টাকা পয়সার পেছনে ঘুরে জীবনটা নষ্ট করছি বলবেন কি? এই সুত্র অনুসারে মানুষের জীবনের ব্রত কি না খেতে পাওয়া হাড়জিরজিরে এক মকবুল কিংবা আবুল অথবা পেলকি রায় হওয়ার কথা ছিল না?
পরিমল মজুমদারের অনন্যসাধারন হৃদয়বিদারক এই কবিতাটি পড়ে দেখেন, আপনার কথা অনুসারে কিন্তু এই পেলকি রায়ই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুখি মানুষ। কারন তার অর্থ উপার্জনের কোন চিন্তা নাই। তার শুধু আছে আকাশের চাঁদ দেখার সখ।আদিল ভাইকে দেয়া উত্তরে বলেছেন,
আচ্ছা আমাদের সমাজে একটি খুব জনপ্রিয় প্রবাদ প্রচলিত আছে তা হল, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদুর। আপনি কি এই প্রবাদে আস্থা রাখেন?
@সাইফুল ইসলাম,
এক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনা আমার কাছে আপাতত প্রতীয়মান হচ্ছে, তা হলঃ
এক।
বস্তুর যদি বাস্তবিক অস্তিত্ব থাকে তবে অবশ্যই তাকে বিশ্বাস করতে হবে, কারণ বাস্তবিক প্রমাণ আপনাআপনিই তাকে বিশ্বাস করতে আমাদের বাধ্য করবে, সেই ক্ষেত্রে যদি বাস্তবিক অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও আমরা তর্ক করি তবে আমরা অবশ্যই ঐ বস্তুর বাস্তবিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করব ফলে বাস্তব জ্ঞান গ্রহণের ক্ষমতা আমরা হারাব। ফলে দেখা যাবে যে, তর্ক করতে করতে আমরা সেই বস্তু থেকে অনেক দূরে চলে যাব। এটা খুবই বাস্তব একটা কথা।
দুই।
বস্তুর বাস্তবিক অস্তিত্ব না থাকলে তা নিয়ে তর্ক না করে যদি বিশ্বাস করি তবে তা হবে সর্বনিম্ন বুদ্ধির প্রকাশ। সবচেয়ে বড় কথা এই কাজ তারাই করে যারা অন্ধ তা সে যে প্রকারের অন্ধত্বই হৌক। সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকলে তা বিশ্বাস করাটা কোন পর্যায়ের হীন বুদ্ধিতার পর্যায়ে পড়বে তা আমি ঠাউর করতে পারছি না।
আমার মনে হয় কথাটা যে বা যারাই প্রচলন করেছিল তারা বাস্তবিক বস্তুর কথা বুঝাতেই তা করেছিল, পড়ে কথাগুলো অযোগ্য মানুষেরা যেনতেন যায়গায় নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যবহার করেছে বলে মনে হয়।
তবে সমাজের অধিকাংশ মানুষই কথাটা তাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, খুব কম মানুষই তা বুঝে বলে।
ধন্যবাদ।
@মুহাইমীন,
ছেলেবেলায় নানান নীতিবাক্য পড়তাম; অর্থই সকল অনর্থের মূল। ট্রানশ্নেশন করতাম, কেবলমাত্র ধার্মিকেরাই প্রকৃত সুখী হন।
বাস্তব জীবনে পোড় খেতে খেতে শিখেছি এর বেশীরভাগই আসলে ফাঁকা বুলি।
অর্থে থাকলেই সুখ আসবে না ঠিক, তবে সুখের একটি আবশ্যকীয় উপকরন অর্থ। ক্ষুধা পেটে থাকলে পরকালের বেহেশতের সুখ চিন্তাও তেমন কাজে দেয় না। ক্ষুধা বা আধ পেটা থাকলেই স্রষ্টা তাদের মনে দারুন সুখ দেন এমন ধারনা আপনার কিভাবে হল ঠিক জানি না।
@আদিল মাহমুদ,
অর্থ অবশ্যই অনর্থের মূল যদি সেই অর্থ আমাদের কাছে প্রয়োজনের চাইতে বেশী মূল্যবান মনে হয়।
আর দ্বিতীয় বাক্যে, সে সকল মানুষই প্রকৃত সুখী হয় যারা প্রকৃত মানুষ, যারা ধর্মের মূল বানী উদ্ধার করতে পেরে তা নিজ জীবনে পালন করার সীমাহীন মহান সংগ্রামে ব্রত হন। আর তাদের সুখটা আত্মিক সুখ, বস্তুগত চাহিদা মেটার সুখের কথা এখানে বলা হয় নি, আর বস্তুগত সুখের তাদের কাছে কোন প্রয়োজনই নেই যারা প্রকৃত অর্থে মনুষ্যত্বকে নিজের মধ্যে শত সংগ্রামের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। এখানে ধার্মিক বলতে কোন বক ধার্মিক বা সমাজে সচারচর চোখে পড়া ‘সামাজিক ধার্মিক’ বুঝানো হয় নি, আশা করি আমার কথা ধরতে পেরেছেন।
আপনার তৃতীয় বাক্যের ক্ষেত্রে বলবঃ যা রটে তা কিছুটা হলেও বটেঃ উপরক্ত নীতি বাক্যগুলো একদিনে তৈরী হয় নি, হাজার বছরের মানবীয় অভিজ্ঞতার ফসল। আর যদি সেগুলো অর্থহীনই হত তবে তা অনেক আগেই মানুষ বলা পরিত্যাগ করত, মানুষের মুখে মুখে আমাদের পর্যন্ত আসত না। এর বাস্তবির মূল্য আছে বলেই তা এখনও টিকে আছে কারণঃ যোগ্যতমেরই তো উর্ধোত্বন।
আমার কথার ভুল বুঝেছেন, এমন কথা আমি বলি নাই। উপরে দেওয়া সাইফুল ভাইকে মন্তব্যটা পড়লে হয়তো এ বিষয়ে আমার মত আপনার কাছে পরিষ্কার হবে। ধন্যবাদ।
খুব সত্য কথা দিয়ে কবিতা সাজিয়েছেন!
চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ!
“ হাঁড়ি ভর্তি মোটা ভাতের দৃশ্য আমার কাছে
পৃথিবীর সমস্ত নান্দনিক শিল্পকর্মের চেয়েও কমনীয়”
খুব ভালো লাগল । সত্যি কথা সুন্দর ভাবে লিখেছেন ।
@আফরোজা আলম,
সত্যি কথা লেখার মত পালন করা যদি সহজ হত তাহলে বড় বেশি ভাল হত।
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।