“সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী মুসলিম ব্যক্তিরও হয়তো বা সামান্য তম নৈতিকতা এবং মানবতা বোধ রয়েছে , যা তার কোরানে বর্ণিত আল্লাহ্-র নেই। তাদের আল্লাহ্ হচ্ছে বর্বর এবং আকাট মূর্খ ।” – একজন মুরতাদ
আমরা বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বিশারদেরা ৯০ এর দশকের গোরা থেকেই নব্য ইসলামী সম্প্রসারণ বাদীদের ব্যাপক সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের পূর্বাভাস এবং তা থেকে উদ্ভূত জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির ওপর সময়ে অসময়ে আমাদের নিজ নিজ দেশের ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকদের জানিয়ে আসছিলাম । এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।আমাদের দাখিলকৃত বার্ষিক প্রতিবেদন সমুহেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকরা জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে তাদের নির্বাচনী বৈতরনি এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ককে বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। এর পরিণতি আপনাদের সবার কম বেশী জানা যা আজ ২০১০ সালের এই মুহুর্ত পর্যন্ত ভয়াবহতায় ভরা।
০৯-১১ পরবর্তী সমসাময়িক বিশ্বে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা যখন ক্রমবর্ধমান নব্য ইসলামী সম্প্রসারণ বাদীদের সন্ত্রাসের মুখে জিম্মি , তখন আমাদের রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকেরা এ হুমকি মোকাবেলায় ‘মিত্র’ হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন ইতিহাসবিদদের কাছে সম্পুর্ণ নতুন এক জনগোষ্টী । আমাদের রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকেরা আমাদের নির্দেশ দেন এই ‘মিত্রশক্তিকে’ সংগে নিয়ে নব্য ইসলামী সম্প্রসারণ বাদীদের সন্ত্রাসের মোকাবেলা করার ।
মুক্তমনা পাঠক গন প্রশ্ন করতে পারেন , এ কোন জনগোষ্টী যাদের বিষয়ে কিনা ইতিহাসবিদরা পর্যন্ত কিছুই জানেন না ? এটা কি করে সম্ভব ? সুপ্রিয় পাঠক , আসুন আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই ‘মডারেট’ মুসলিমদের ।
“ আরব ভূখণ্ডে দখলদারি থাকুক আর নাই থাকুক, কোরানে বর্ণিত আল্লাহ এমনিতেই ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের প্রচন্ড ঘৃণা করেন। মুল সমস্যা আসলে কোরানে বর্ণিত আল্লাহকে নিয়ে।এটা কোন সুপরিকল্পিত মগজ ধোলাই নয়। ঘরে পরিবার -পরিজনের কাছে এবং বাহিরে স্কুলে কিংবা রাস্তা ঘাটে ইসলামের এইসব ব্যাপারগুলো জানা যায়।” – একজন মুরতাদ
স্কচ হুইস্কি রসিক, পাশ্চাত্যের বিশ্বাসভাজন এবং ‘মডারেট’ মুসলিম সাবেক পাকিস্তানী সেনা শাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ ছিলেন আফগান তালিবানদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ০৯-১১ হামলার সকল ছিনতাইকারী ছিল মদ্যপায়ী নাইট ক্লাব গামী ‘মডারেট’ মুসলিম । বাংলাদেশে ২০০১ সালের নির্বাচনে চার দলীয় জোট জয়লাভের পর অল্প দিনের ব্যবধানে কয়েক হাজার অমুসলিম নারী-শিশু-বৃদ্ধাকে নির্বিচারে গনিমাতের মাল হিসেবে গন ধর্ষণ করা হয়। এর বিচার আজও হয়নি , যদিও ‘মডারেট’ মুসলিমরাই বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ‘মডারেট’ মুসলিম আসলে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক শুদ্ধতার সৃষ্টি। মডারেট’ মুসলিমরাও কোরানকে আল্লাহ বর্ণিত পুস্তক বলে মানে। আর তাই মৌলবাদী এবং ‘মডারেট’ মুসলিমের পার্থক্য খোজা বিরাট বোকামি। আমার বন্ধু মানুষ কর্নেল (শহীদ) গুলজারউদ্দিন আহমেদ নিজের জীবনের বিনিময়ে তা শিখেছিলেন। ( চলবে)
“নিজের ঢোল নিজে পিটানোই উত্তম, অপর কে দিলে ফাটাইয়া ফেলিতে পারে!!!!”—— ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
আর কিছু লেখার ভাষা নাই!!! :hahahee: :hahahee: :lotpot:
তবে আমার মামারে একটা স্যলুট!!
জয় আদিল ভাই !!!
আদিল ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে!!
(স্লোগানে বাপও ভাই! আমার কোন দোষ নাই!!! 😛 😀 ) :rose2:
@তানভী,
ঠিক, শ্লোগান মিছিলে বাপ মামু সবাই ভাই ভাই।
এতদিন ডুব দিসিলা কই?
আদিল সাহেব, আপনাকে মুক্তমনার বেশীরভাগ মুক্তমনা বুঝতে পারল না, এত শ্রম দেওয়ার পরেও! মুসলিম নামটাই মনে হচ্ছে এখানে প্রধান সমস্যা। মুক্তমনার মডারেট্র সাহেব চামে লেইম এক্সকিউজ দিয়ে নিজেকে কোণমত উদ্ধার করে মুক্তমনার “হারানো” গৌরব ফিরানোর চেষ্টা করলেন। যদিও আমার এই কমেন্ট আলোর মুখ দেখবে না, তবুও করলাম!
@Sorowar,
এ কথার মানে যদি একটু পরিস্কার করতেন তো কৃতার্থ হতাম সারোয়ার সাহেব। আমার ‘লেম এক্সকিউজ’ দেয়ার কোন কারণ নেই। আমি বহুদিন ধরেই লিখছি, এবং কাউকে ঘৃণা না করেই লিখছি। আর আপনাদের কাছে মুক্তমনার কোন ‘গৌরব’ বোধ হয় এমনিতেই নেই। কাজেই সেই প্রচেষ্টাও আমার নেই। কেবল কমেন্ট করার সময় একটু সেন্সিবল হলে বোধ হয় সবারই উপকার হতো।
আর আমার ধারণা আদিল সাহেবের বক্তব্য আমরা অনেকেই বুঝতে রেরেছি। আপনার লেম এক্সকিউজ দেয়া মডারেটর ছাড়াও সৈকত, আতিক রাঢ়ী, পথিক অনেকেই আছেন। তারা বুঝেই সেটা করেছেন। কাজেই আপনার রবাহূতের মতো মাঠ গরম না করলেও হবে বোধ হয়।
তাই? আপনি তো ধরেই নেন আপনার কমেন্ট আলোর মুখ দেখবে না, ঠিক যেমন ধরে নিয়েছেন আমরা সবাই লেম এক্সকিউজ দেই! এবার আপনার মুখ কি একটু বেশি আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো? মডারেটর বোধ হয় আবারো লেম এক্সকিউজ দিয়ে আপনার কমেন্ট এপ্রুভ করে দিলো! কি বিপদ! এর কোন মানে হয়!
@অভিজিৎ,
ভাইয়া,আসলে এই কমেন্টটা পোস্ট খাওয়ানোর জন্যই উনি এরকম ধান্দা বাজি মার্কা কমেন্ট করেছেন। এই সব নিয়ে ভাইয়া আপনার মাথা ঘামানোর দরকার নাই। এইসব ব্যপার আমাদের মত চ্যংড়া পুলাপানের উপ্রে ছাইড়ে দ্যান।
আপনি বেহুদা ক্যাচাল বন্ধ কইরা নতুন পোস্ট দেন। নতুন পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
@তানভী,
সহমত। :yes: :yes: :yes:
@Sorowar,
ভাই এসব ফালতু কমেন্ট করার আগে মুক্তমনায় নিয়মিত হন। তাইলে বুঝবেন যে আদিল মাহমুদের অবস্থান আমাদের কাছে কোথায়। দুই একটা আলতু ফালতু পাবলিক দুইচারটা আব জাব লেখা ছাপায়া দিলে আমরা অধিকাংশ পুরান সদস্যরা চুপ করে থাকি। কারন এই টাইপের বিরক্তি উদ্রেক করা লেখা গুলো আমাদের অনেকের কাছে (অন্য দের কথা জানিনা, তবে বিষেশত আমার কাছে) সম্পুর্ন অর্থহীন। তাই আমার মত অন্য অনেক সদস্যই চুপ করে থাকেন। কিন্তু আদিল মাহমুদ এমন একজন ব্লগার, যিনি সবার লেখায় মন্তব্য করেন এবং যথা যথ যৌক্তিকতা সম্পন্ন মন্তব্যই ওনার কাছ থেকে সবসময় পাওয়া যায়। এজন্যই উনাকে মাঝেমধ্যে তোপের মুখে পরতে হয়, যেটা স্বাভাবিক।
যুদ্ধ করতে আইছো মামু!! দুইটা গুল্লি খাবানা!! এইডা ক্যমনে হয়!!! উনি এগুলা অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই নেন, যেটা উনাকে আরো জনপ্রিয় করেছে।
@Sorowar,
মুক্তমনার সদস্যদের ভেতর কি হল না হল তার আলোচনা একজন অনেকটা অনাহুত অতিথির কাছ থেকে শোনার গুরুত্ব তেমন একটা দেই না। আমার কষ্টকর সময় কোথায় দিলে কে খুশী হবে, কতটুকূ লাভ হবে তা আমাকেই বুঝতে দিন। আপনারা কি কি মূল্যবান আলোচনা করেন তার হিসেব কি আমি কষতে যাই নাকি?
আপনার ধারনা সঠিক নয়, মুক্তমনার প্রায় প্রত্যেক নিয়মিত সদস্যই আমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে মাথা ঘামান না। আমার সদস্যপদ নিয়ে একজন সদস্য কথা তুলেছিলেন, সেটা মুক্তমনা এডমিন পরিষ্কার করেছে। সেখানে নিয়মিত সদস্য সবাই তাতে একমতও হয়েছে। মুক্তমনায় আমার অবস্থান কি তা আমি ভালই জানি। এখানেও যা আমি সত্য জানি তার পক্ষে কথা বলেছি, আপোষ করিনি। সেটাও প্রসংশিতও হয়েছে। একই রকম অবস্থান আমি অন্য ব্লগেও নেই। কে খুশী হল কি রাগ হল তা চিন্তা করি না।
দয়া করে অনাহুতের মত এসে এডমিনের নামে চুকলি কাটবেন না। মূল বিষয়ে কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। আপনি মুক্তমনায় কি কি অবদান রেখেছেন যে হঠাত বিনা নোটিসে আমার উকিল সেজে এডমিনের সমালোচনা করছেন? সেটা করতে পারি আমি বা নিয়মিত সদস্যরা। এডমিন কিছু না বললেও দোষ হত (বিরাট সুবিধে হত অবশ্যই), এখন বলেছে সেটাও আরেক রকমের দোষ হল। এটাই তো নিয়ম, তাই না?
@Sorowar,
আপনি কোথেকে এসে হঠাৎ করে আদিল মাহমুদের উপর চড়াও হলেন? আপনার ক্ষোভটা কোথায় এবং কেন তা আমরা বুঝি। এখানে এসে আপনি যা করলেন, সিলেটি ভাষায় ( শুদ্ধ বাংলাটা মনে পড়ছেনা ) তাকে ফেরতামী বলে। ‘মুক্তমনা’ ফেরতামীর যায়গা নয়। ‘মুক্তমনা’ মুক্তবুদ্ধি চর্চা, যুক্তিবাদী, মানবতাবাদী একটি পবিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান আমাদের, মুক্তমনার সকল সদস্য ও লেখকদের, আদিল মাহমুদ তাদেরই একজন। আর আমরা কেউ দুর্গন্ধময় পরিবেশে বাস করে অভ্যস্ত নই। সুতরাং এখানে কেউ ফেরতামী করে মুক্তমনার পরিবেশ দুর্গন্ধময় করতে চাইলে মডারেটর লাগবেনা, আমরাই তা প্রতিহত করে দেবো।
মুক্তমনার বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। মুক্তমনা নাকি মুসলমান বিদ্বেষী। এই অভিযোগ এতদিন গুরুত্ব না দিলেও এই থ্রেডের বেশ কিছু কমেন্ট পড়লে মনে হতে বাধ্য যে অভিযোগে সত্যতা আছে।
কোন ধর্মের সমালোচনা করা, সেই ধর্মের আল্লাহ গড কে গালাগাল করা এক কথা, সেটা নাহয় ভাল না লাগলেও গ্রহন করা যায়। ধর্ম এক এক জনের কাছে এক এক ভাবে বিবেচিত হতে পারে। ধর্মের অনুসারীদের কিছু অযৌক্তিক আচার আচারন গোঁড়ামীর সমালোচনাও খোলা মনেই গ্রহন করা যায়।
তবে কোন বিশেষ ধর্মের অনুসারীদের খোলাখুলি গণহারে প্রতিপক্ষ ঘোষনা করে তাদের শায়েস্তা করার হুমকি আর এক কথা। এটি কোন যুক্তিবাদ নয়, ফ্যাসীবাদ। আর এমন মনোভাবের সামান্য প্রতিবাদ কোন ব্লগার করলে তাকেও বিনা বিচারে সেই ধর্মভুক্ত করে হুমকি প্রদর্শন মনে হয় মুক্তমনার ইতিহাসে অভূতপূর্ব।
আর কাউকে নিজের মূল্যবান গবেষনার বিষয় বস্তুতে পরিনত করার হুমকি, রেফারেন্স চাইলে উলটো পক্ষপাতের অভিযোগের তোলা, ১২ বছর ইতিহাস শিক্ষার পর আলোচনায় আসার যোগ্যতা গ্রহ্নের উদাত্ত আহবান এসব নাহ্য় বাদই থাকল। জানি না মডারেটেরদের এসব চোখে পড়েছে কিনা।
ব্লগে এসব রোগ একবার ছড়ালে তা মহামারির আকারেই ছড়াতে পারে, শুধু এইটুকুই বলি।
@আদিল মাহমুদ, আপনাকে আমি কি বলে ধন্যবাদ দেব বলে বোঝতে পারছি না। মুক্তমনা মডারেটরদের উচিৎ এইসব পোস্টের বিরুদ্ধে নীতিমালা প্রয়োগ করা। অনেকের বেলায় কমেন্ট পড়ার সাথে সাথে তাদের নীতিমালা-পাঠ দেওয়া হয় দেখি। এইসব বিষয়ে কেউ জোরালো প্রতিবাদ করছেন না দেখে আমি হতাশ। নতুন পোস্টে আবার প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছেঃ
এই আপনারা কারা ? এভাবে সবার উপর নজরদারি চালান? সেসব জানি না কিন্তু এভাবে ব্লগে হুমকি না দেওয়াই ভাল। এখানে কেউই তার পেশাগত জীবনের কথা টেনে এনে ভয়-ভীতি দেখান না।
আদিল ভাই, আপনাকে যেমন ডিইস্ট হয়েও ‘ইস্লামের তাবেদার’ হতে হল,তেমনি আমাকেও একটু পরে হয়তো ‘বামপন্থী’ বলে সিল মেরে দিবে। কোন ভয় না পেয়ে মুক্ত কন্ঠে এইসবের প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে। মুক্তমনাকে কোন প্রোপাগান্ডামূলক কাজে ব্যবহারের বিরুদ্ধে কেউ কেন এগিয়ে আসছেন না কেন? আজ মনে হচ্ছে আপনি ই মুক্তমনার সবচেয়ে বড় বন্ধু। আপনার সৎসাহসকে আমি স্যালুট জানাই। :rose2: :rose2: ভাল থাকবেন, সত্যের পথেই থাকবেন। :yes: :yes:
@পথিক,
আপনার কথায় খুব ভাল লাগল। আমিও একই কারনে হতাশ হয়েছি, আরো হতাশ হয়েছি কেউ কেউ সরাসরি না হলেও প্রচ্ছন্নভাবে হলেও ফ্যাসীবাদকে সমর্তথন করায়। তবে মুক্তমনা এডমিনরা কেউই ফুল টাইম নন, তাদের দৈনন্দিন কাজের মাঝে কিছুটা সময় দেন। হয়ত সময় লাগবে।
আমি জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো নীতিতে কোনদিনই সমর্থন দিতে পারি না। একই কারনে আমি শুধু মুক্তমনাই না, অন্য ব্লগেও নাস্তিক মানেই খারাপ এই জাতীয় কথাবার্তা শুরু হলেও তারও প্রতিবাদ করি।
আমি বিদেশে থাকি তাই মনে হয় বাচোয়া (কে জানে আবার না সিআইএ পেছু লাগে)। আতিক এবং আপনারা একটু সমঝে চলবেন। ক্ষমতার যা দাপট দেখছি এরপর হয়ত ক্রশফায়ায়ের হুমকি আসবে। “শীর্ষ ব্লগ সন্ত্রাসী পথিক ব্লগফায়ারে নিহতঃ ব্লগবাসীদের বিজয় মিছিল ও মিষ্টি বিতরন” এ জাতীয় সংবাদ দেখতে চাই না। যে বা যাহারা বিশ্বের যাবতীয় www সাইট অহঃনিশি মনিটর করেন তাদের ক্ষমতাকে খাটো করে দেখা চলে না।
@পথিক,
একেবারে আমার মনের কথা বলে ফেলেছ। বিজয় সাহেবের কিছু মন্তব্য আমার কাছে অসহ্য মনে হচ্ছে। তিনি আদিল সাহেবকে প্রশ্ন করছেন,
বলি, এ প্রশ্ন করার অধিকার তাকে কে দিলো? উপযুক্ত জায়গায় জবাব লিংক কাজ করছে না তাই এখানে বলছি। এছাড়া আতিক সাহেবকে করা তার কিছু মন্তব্য আমাকে প্রচণ্ড আহত করেছে।
তিনি কি এ ধরণের মন্তব্য করা বন্ধ করবেন ?
কারো কুস্তি করার ইচ্ছে থাকলে মাঠে যাওয়াই উচিৎ, মুক্ত-মনা কুস্তির জায়গা নয়।
:yes: এটি আমারো প্রশ্ন।
@আদিল মাহমুদ,
অভিযোগ যখন তখন একে মণ্দ বলেই ধরে নিচ্ছি। অবশ্যই দুই একটি পোশ্টে কিছু মন্তব্য appropriate হয়নি বা ছিলনা, কিন্তু আপনার শোনা অভিযোগটি মনে হয় পুরানো।
@ব্রাইট স্মাইল্,
পুরনো তো বটেই। আমার বাংলা ওয়েব জগতে পদার্পনের প্রথম থেকেই শুনে আসছি এই অভিযোগ। তবে মন্দ কি ভাল সেটা কথা নয়, কথা হল অভিযোগে সত্যতা আছে কিনা সেটা।
এই অভিযোগ থাকবেই। ধর্মবাদীদের মধ্যেই যেখানে ধর্মীয় আলোচনায় সামান্য মতভেদে তুলকালাম ঘটে, একে অপরকে মুরতাদ কাফের ঘোষনা চলে সেখানে মুক্তমনার মত কোন সাইট সবাইকে খুশী করে চলতে পারবে না।
তবে অভিযোগ থাকলেই তা সত্য হয় না। তবে অন্তত মুক্তমনার নিয়মিত সদস্যদের উচিত এহেন অভিযোগের সত্যতা যেন কেউ শক্তভাবে প্রমান করতে না পারে তার জন্য সজাগ থাকা। এডমিনদের নজরে সবকিছু সময়মত নাও আসতে পারে।
@আদিল মাহমুদ,
মন্তব্য appropriate না হলে সহজেই বুঝা যায়, কিন্তু একটি মন্তব্য ‘মুসলমান বিদ্বেষী’ হলো কিনা সেটা যাচাই করার উপায় কি বুঝতে পারছিনা।
মানে আমি বলতে চাচ্ছি কতটুকু extent গেলে পরে বুঝা যাবে যে কেউ সীমা অতিক্রম করছেন না। এখানেও কি মুক্তমনার কোন নীতিমালা কাজ করে কিনা কে জানে?
এটা যেন আস্তিক-নাস্তিকের ব্যাপার, কে কতটুকু পরিমান আস্তিক বা নাস্তিক বুঝার উপায় কি?
@ব্রাইট স্মাইল্,
অশ্লীলতা ব্যপারটা লেখায় থাকলে যেমন সেন্স করা যায়, বিদ্বেষ ব্যাপারটা থাকলেও এখানকার পাঠকেরা বোধ করি সেটা সেন্স করতে পারেন। যে কোন বিশ্বাসের সমালোচনা নিয়ে মুক্তমনার কোন ছুঁৎমার্গ নেই, কিন্তু ঢালাওভাবে জাতিবিদ্বেষ ছড়ানোতে আছে। এ ব্যাপারে নীতিমালাতেই স্পষ্ট করা হয়েছে। কোন রেফারেন্স চাইলে বিজয় যখন বলেন – ‘আপনারা মুসলিমরা আমাদের প্রতিপক্ষ’ – তখন ‘মুসলিম’ শব্দটা তিনি বিদ্বেষসূচক অর্থেই ব্যবহার করেন। খেয়াল করুন – এখানে তিনি বিশ্বাসের সমালোচনা করছেন না, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন পুরো জাতির উদ্দেশ্যেই। এখানেই আমার আপত্তি।
আমি আশা করব মুক্তমনার সদস্যরা যখন এধরনের কিছু দেখবেন, তখন নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে তার প্রতিবাদ করবেন। মডারেটরদের পক্ষে সব সময় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। আর কেউ যদি, ‘ত্রিভুবনের সম্পুর্ণ wwwকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখতে হয়’ বলে শক্তমত্তা দেখাতে চান, তাদের জ্ঞাতার্থে বলি, এ ধরনের মনোভাব এখানে না দেখানোই ভাল – এতে বরং উলটো ফল হবে। সত্যি বলছি – ট্র্যাক করার নিয়ম কানুন অন্যদের জানা নেই, এটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
অভিজিত ব্যাখ্যা করেছে আশা করি বুঝেছেন, যদিও এটা আসলে কমন্সেন্স কল।
উদাহরন দেইঃ
আমি ইসলামের নারী বিষয়ক নির্দেশাবলী পছন্দ করি না- এটা জাতিবিদ্বেষ প্রসূত মন্তব্য বলা যায় না।
আমি মুসলমানদের আমার প্রতিপক্ষ মনে করি – এটা হল জাতিগত বিদ্বেষের পরিষ্কার উদাহরন।
এই পোস্টটা পড়েছিলাম আগেই তবু মন্তব্য করি নাই। এখন করতে বাধ্য হচ্ছি। পোস্টের বিষয়টি নিয়ে আমি সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু ব্লগার বিজয়-এর কিছু যুক্তি ও মন্তব্যের সাথে আমি মোটেও একমত নই।
এই কথার সাথে পোস্টের সম্পর্ক কি? কর্নেল গুলজার আপনার ব্যক্তিগত পরিচিত বলে দাবি করছেন। বিডিয়ার অভ্যুথানের সাথে মডারেট ইস্লামিস্টদের সম্পর্ক কি? আর কর্নেল গুলজারের সাথে তাদের ই বা কি বিরোধ ছিল? যদি বিরোধ থাকে তাহলে তারাই উনাকে হত্যা করছে এর প্রমাণ কি?বিডিআর বিদ্রোহের কারণগুলো কি ছিল দেশবাসী সেটা জানে ,প্রথম দিকে মিডিয়াতেও এসেছিল। পরে অবশ্য ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চালু করে দেয়া হয়।
যে সব কথার রেফারেন্স দেয়া যাবে না সেই সব ব্লগে না দেয়াই ভাল। অন্য একটা প্রসংগ নিয়ে বিপ্লব রহমান আপনাকে এমনটিই বলছিলেন মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে না হলেও পত্রিকা পড়ে আমিও আপনার বন্ধুকে চিনতাম,তবে সেটা ক্রস-ফায়ার সংক্রান্ত খবর পড়তে গিয়ে।সেটা বিস্তারিত আলোচনা নিরাপদ কি?
হাসতে হাসতে মারা গেলাম। চরম রেসিস্ট মন্তব্য বলে মনে হয়েছে। সকল ধর্মেই সহিংসতার কথা আছে। কোনটায় কম বা কোনটায় বেশি সেটা তুলনা করা অর্থহীন। তাই বলে সব ধর্ম গ্রন্থ বা আপনার মতে একটা বিশেষ ধর্মগ্রন্থের পেছনে এইসব আইন(যারা তৈরি করে তারা নিজেরাই কোনদিন মানে না- ভিয়েতনাম,ইরাক,তিব্বত,চেচনিয়া,আফগানিস্তান ,ফিলিস্তিনে,জংগলমহল,পার্বত্য চট্রগ্রামে কি হয়েছে বা হচ্ছে তা টিভি খুললেই দেখি)। আপনি তো নিজেকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই রকম আইন কি বাস্তবে করা সম্ভব বলে মনে হয়? কেউ কিছু নিয়ম-নীতি মুখস্ত বললেই সে এইসব আজীবন মেনে চলবে তা ভাবা খুব-ই হাস্যকর।
মুসলিমদের নিয়ে আরেকটা মন্তব্য ঃ
এ দায় শুধু মুসলিমদের ঘাড়ে পড়ল কেন? এটাতো সব ধর্মের জন্য প্রযোজ্য হবে তাই না?আর আগেই বলেছি আইনপ্রণেতারাই আইন মানেন না সেখানে অন্যদের আইন মানতে বলা হাস্যকর।
আরো বলেছেন আপনিঃ
ওরে বাবা,একি কথা শুনি আজ…! আবারো শুধু ইসলামি সন্ত্রাসবাদের ঘাড়ে বন্দুক রাখা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভাংতে আফগান মুজাহিদীন সৃষ্টি করছিল কারা? দেশে দেশে বিপ্লবী ও সাম্যপন্থীদের দের হত্যা করেছিল কারা? চে গুয়েভারা, আলেন্দে,বংগবন্ধুকে কারা হত্যা করেছিল?(সিয়াইএ সরাসরি জড়িত ছিল, তথ্য-প্রমাণ আছে )। বিপ্লবী নেতা কাস্ত্রোও বারবার বেঁচে গেছেন এসব অপতৎপরতা থেকে। এমন আরো অনেক উদাহরণ টানা যাবে যেখানে মার্কিন ও তাদের তাঁবেদার সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের কারণে বর্তমান বিশ্বজুড়ে চরম সংকট তৈরি হয়েছে। সাবেক কমিউনিস্ট দেশগুলোও এককালে সাম্রাজ্যবাদ(মতান্তরে বিপ্লব!) রপ্তানি করেছে। কোন দেশ বা কোন ব্যক্তিকে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি মনে হলেই তাকে কোন মানবাধিকার নীতি অনুসারে আক্রমণ করা যায়?
আপনার উপরের প্রায় সহমত। কিন্তু ‘প্রকৃত গণতন্ত্রী’দের কথা এড়িয়ে গেলেন কেন? গণতন্ত্রের গল্প দিয়ে নিরাপত্তা সংস্থার শাসন যারা শুধু নিজ দেশে নয় সারা পৃথিবীতেই চালায় তাদের কথাটাও বলা উচিত।
অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত একটা পোস্টে ‘একজন মুরতাদ’ নামের কাউকে বারদুয়েক কোট করা হয়েছে। ইনি কে জানতে চাই। কাল্পনিক নাকি বাস্তব চরিত্র? বিবর্তন বিষয়ে পোস্ট দিতে গিয়ে আমি যদি ‘একজন বিবর্তনবাদী’ বা ‘একজন নাস্তিক’ বলে কাউকে উদ্ধৃত করি তাহলে কেমন শোনাবে বলুন তো!
আপনার একটা কমেন্ট ছিল ঃ
নিজের ঢোল নিজে পেটানো ভাল কিনা মন্দ সেটা বলতে চাই না। কিন্তু আপনার জ্ঞানের সমকক্ষ হলেই কেবল আপনার সাথে ঐ বিষয়ে আলোচনা করা যাবে সেটা আবার কেমন কথা? একজন মানুষ কয়েকটা বিষয়ের বাইরে জানবে না বলে এর বাইরের কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা যাবে, জানতে চাওয়া যাবে না এমন সামরিক আইন জারি করলে তো কমেন্ট অপশন বন্ধ করে রাখাই ভাল। কোরানের সমালোচনা কলে যেমন অনেকে বলে উঠেন আগে বিশ বছর আরবি শিখে তাফসীর পড়ে আসতে হবে সেটা অনেকটা সেই রকমই হল না? এই রকম ‘প্রোফেশনাল’ দৃষ্টিভংগি ‘র্যাশনাল’ কিনা সেটা ভাববার বিষয়।
আদিল মাহমুদ চমৎকার বলেছেনঃ
মাইকেল মুরের ফারেনহাইট ৯/১১ যারা দেখেছেন সৌদি রাজপরিবার ও লাদেন পরিবারের সাথে বুশ পরিবারের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের কথা সবাই জেনে গেছেন। আসলে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা খেলে নিজেদের অর্থনীতি চাংগা রেখে অন্যদেশ আক্রমণের পাঁয়তারা করে চলা নিরাপত্তা সংস্থা আর তাদের পুতুল সরকারের কারণেই বিশ্বজুড়ে আজ সংকট নেমে এসেছে। নইলে কোন যুক্তিতে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে ৯/১১ হাইজ্যাকারদের আত্মীয়-স্বজনদের সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে বিশেষ বিমানে তুলে দেওয়া হয়? এসব বারবার প্রমাণ করে যে এই মুসলমানদের এই জেহাদী বাতাসে কারা পালে হাওয়া দেয়? কিছু মূর্খ-গরীব-অন্ধবিশ্বাসীকে ধর্মগ্রন্থ দেখিয়ে জংগি বানানো হয় ঠিক ই । কিন্তু ধর্মের পাশাপাশি অন্যান্য ফ্যাক্টর গুলোক মাথায় না রেখে আরেরিকাকে ইস্লামী সাম্রাজ্যবাদের বিপরীতে ‘শুভ-শক্তি’ রূপে কল্পনা করলে সেটার পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কি না সেটা আরেকবার ভেবে দেখতেই হয়।
এই ব্লগের একজন চমৎকার মুক্তমনা মানুষ আতিক রাঢ়ী। তিনি এসব একটা যুক্তি খন্ডন করতেই বলা হলঃ
এ কেমনতর কথা। এতদিন ব্লগার হিসেবে দেখেছি কোথাও আতিক রাঢ়ী মুসলিম বলে নিজেকে দাবি করেন নি, বরং সব সময়ই যুক্তিসংগত ও মুক্তমনের সাক্ষর রেখে চলেছেন। এর মধ্যে আবার বিজয় ‘আমাদের’ আর ‘আপনাদের’ বলে দুটো প্রতিপক্ষ বের করেছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে কেবল ব্লগ-নিকের কারণে একজনকে একটা বিশেষ গোত্রে ফেলা হ্ল। মুক্তমনার মডারেটরদের সুবৃহৎ নতুন নীতিমালা থেকে কিছু চ্যাপ্টার ও ভার্স নম্বর দিয়ে এইসব আগেই থামানো দরকার ছিল।
ধর্মকে ঘৃণা করার যথেষ্ট কারণ আছে। কিন্তু শুধু একটা ধর্মের দিকে আংগুল তুলে, গালি দিয়ে, সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বাইরে রেখে কোন বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়কে অহেতুক ঘৃণা করা আর শত্রু ভেবে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ খোঁজার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সত্যিকারের যুক্তিবাদী ও মুক্তমনাদের এগিয়ে আসা উচিত। অথচ আজকে আদিল চাচা ছাড়া কেউই এসবের প্রতিবাদ করলেন না যখন উনাকে ‘যুক্তিবাদী’ বলে অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে গোলমাল চলছে!
শেষে এটাই বলি, সত্য ভাল,মিথ্যা খারাপ আর অর্ধসত্য ভয়ংকর। অর্ধসত্যকে খন্ডন করার সৎ-সাহস দেখানোর জন্য যদি নিজেকে অন্য কিছু ‘অপবাদ’ বা কিছু চ্যাপ্টার-ভার্স শুনতে হয় তবুও পিছপা হব না। এই সব মন্তব্যের দিকে মডারেটরগণ সহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরেকটু যোগ করি, বিজয় বলছেন,
এই আমরা কারা? নিশ্চয়ই মুক্তমনা সদস্যরা নন, কারণটা পরের বোল্ড করা অংশটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে !আপনি আগেও রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরের খবর(যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারের খবর),বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের খবর ব্লগে দিয়েছেন। এই কারণে আমার মনে হচ্ছে আপনি বাংলাদেশ সরকারের কোন গোয়েন্দা সংস্থা বা ‘বন্ধু’প্রতিম দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত।(কর্নেল গুলজারের সাথে আপনার বন্ধুত্ব এই সন্দেহকেই গাঢ় করে) সেজন্য আপনাকে সাধারণ ব্লগার হিসেবে আপনার বক্তব্যের যুক্তিখন্ডন আমার-আদিল-আতিকের মত সাধারণ ব্লগাররা করলে আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি এই ধরণের উচ্চপদে থাকেন এবং তা সত্ত্বেও স্বনামে/বেনামে ব্লগিং চালিয়ে যান সেক্ষেত্রে আপনার পেশাগত পরিচয়টা আমাদের জানিয়ে দিলে ভাল হয়।
@পথিক,
এই বিপদের দিনে আপনাকে পাশে পেয়ে সত্যিই এক ধরনের স্বস্তি অনুভব করছি। ধন্যবাদ।
@আতিক রাঢ়ী এবং পথিক,
আমি দুঃখিত যে, আমি এই থ্রেড অনুসরণ করছিলাম না। ব্যক্তিগত কাজে গত কয়েকদিন খুবই ব্যস্ত ছিলাম। আমার খুব খারাপ লাগছে দেখে যে এভাবে জাত্যাভিমানী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য এবং মন্তব্য ছড়ানো হয়েছে। কারো মন্তব্যের বিরধিতা করলেই “আমাদের কাছে আমাদের Mission , Vision এবং Values সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন। নাম নয়। আপনারা মুসলিমরা আমাদের প্রতিপক্ষ” বলাটা যুক্তিসঙ্গত আচরণ নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি আতীক রাঢ়ীর পোস্ট এবং মন্তব্য পড়ে আমার উনাকে কখনোই ইসলাম কিংবা মুসলিমদের প্রতি অনুরক্ত বলে মনে হয়নি।
@বিজয়,
আপনার ঢালাও মন্তব্যের বিরোধিতা করলেই কেউ ‘আপনারা মুসলিমরা আমাদের প্রতিপক্ষ’ হয়ে যান না। দয়া করে ব্লগে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াবেন না। কেউ যদি কেউ ভেবে থাকেন মুক্তমনা ইন্টারেনেটের অন্যান্য এন্টি ইসলামিক সাইটগুলোর মতো কেবল মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে যায়, তবে ভুল করছেন। মুক্তমনা এই ধরণের কোন মিশন নিয়ে নামেনি, এগুলোকে প্রশ্রয়ও দেয় না। মুক্তমনা সব ধরণের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেই কঠোর। কাজেই আপনার বক্তব্যে এবং মন্তব্যে যুক্তিবোধ থাকা বাঞ্ছনীয়। আমরা সবাই এখানে বিশ্বাসের সমালোচনা করি, কিন্তু বিশ্বাসের সমালোচনা মানেই বর্ণবাদী আচরণ নয়। আমাদের বিশ্বাসের সাথে মানুষের পার্থক্য করতে শিখতে হবে।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ দা, নিশ্চিৎ ছিলাম আপনাকে পাশে পাব। আমারও কখনই মনে হয়নি মুক্তমনা অজ্ঞানতা, অযৌক্তিকতা, সাম্প্রদাতিকতা ছাড়া আর কোন কিছুর বিপক্ষে ঘৃ্না ছড়িয়েছে। এখানে সবাইকে যুক্তি খন্ডন করতে উৎসাহীত করা হয়। আমি এও লক্ষ করেছি, এখানকার সিনিয়র সদস্যগন ধর্মকে কাটা কাটি করার চাইতে, বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাকে অধিক উৎসাহিত করেন। এতেকরে মুক্তমনায় এমন চমৎকার একটা পরিবেশ বজায় থাকে যে, মন ভাল করার জন্য এখানেই চলে আসি। অন্য কোন বাংলা ব্লগে গেলে এরকম পরিবেশ পাওয়া যায় না। এই পরিবেশ রক্ষা করার জন্য কাজ করে যাব, কারন আমার ঘর আমাকেই সাফ রাখতে হবে। আমি মুক্তমনাকে ভালবাসি। আমার বউকে আজো বলা হয়নি যে কথা, সেটা মুক্তমনা কে বললাম। 🙂
নিরপেক্ষ থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ধ্বংস করবেন না। নিজের আদি বাসভুমিতে তারা আজ পরদেশী।
@আদিল মাহমুদ
বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। আমি ইতিহাসের ছাত্র ছিলাম না বিধায় বিস্তারিত উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয় মনে করলাম। কিন্তু বাংলাদেশের স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তক থেকে এবং মাদ্রাসা জীবনের সামান্য কিছু জ্ঞান থেকেও যদি আরবদের ইসলামের নামে ধর্ম প্রচার নাকি ধর্মের নামে ইসলামী সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার নিয়ে লিখি, তাতেও অনায়াসে গজনবীর সুলতান মাহমুদের জন্যে একখানা শাহনামায়ে ফেরদাউসী লিখা যায়। কুতুবুদ্দীন আইবেকের সেনাপ্রধান ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মিদ বিন বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক জোর পূর্বক ১১৯৩ সালে বিহার দখল, বিশ্বের সর্ব প্রাচীন ইউনিভার্সিটি ধ্বংস করা, ১২০৫ সালে লক্ষণসেনকে পরাজিত করে বাংলা দখল, স্পেইনে মুসলিম সভ্যতা, ইসলাম প্রচারের নামে সুফীবাদী মুসলিমদের ভারত উপমহাদেশে আগমনের ইতিহাস আপনার অজানা থাকার কথা নয়। আজানের সুরে গৌড় গোবিন্দের সাত তালা দালান ভেঙ্গে পড়ার কাহিনী যে অবাস্তব, আশা করি তা বিশ্বাস করেন। আপনার নীচের উক্তিতে আমি কিছুটা অবাক হয়েছি।
@আকাশ মালিক,
প্রথমেই বলে যে শেষের কোট করা উক্তিতে আপনার অবাক হওয়াতে বেশী অবাক হয়েছি আমি। সেই উক্তি আমি করেছিলাম সম্পূর্ন বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে। অতীত কালের পরিপ্রেক্ষিতে নয়।
অতীতে ধর্ম প্রচারের নামে মুসলিমরা বহুবার অন্যদেশ দখল করে নিয়েছে- এতে আমার কোন সন্দেহ বা দ্বি-মত নেই। এই একই কথা লিখতে লিখতে আমার আংগুল এখন ব্যাথা করছে। তবুও কেউ কেউ মিলে বার বার একই কথা টেনে আনছেন। এতে কি আমি একটি বারও দ্বি-মত করেছি? আমি শুধু দ্বি-মত পোষন করেছি বর্তমান কালে সাম্রাজ্যবাদের প্রসার নিয়ে।
অতীতে ধর্মের নামে অনেক কিছুই হয়েছে, এখন কি আমরা কোন ধর্ম অতীতে বেশী অনাচার করেছে সে বিচার বর্তমান কালে টেনে আনব?
@আদিল মাহমুদ,
এই হলো কথা। বর্তমান শব্দটা বাক্যের প্রথমে থাকলেই আর অবাক হতাম না। যাক, প্রবন্ধটা সম্পূর্ণ না আসা পর্যন্ত বুঝা যাচ্ছেনা সারমর্ম কী দাঁড়াচ্ছে। ততক্ষণ পর্যন্ত গ্যালারীতে আসন নিলাম। আল্লাহ ভরসা, দেখা যাক কী হয়।
@ আকাশ মালিক,
ওটা তো আমি একবার নয়, বহুবারই পরিষ্কার করেছি। অতীত নিয়ে আমার কোন কনফিউশন নেই। ধর্মপ্রচারের নামে বহু বিধর্মী দেশই মুসলিমরা আক্রমন করে দখল করেছিল, ঐতিহাসিকভাবে বিতর্কের অতীত সত্য। যদিও অনেক মুসলিম ডিফেন্ডার নানান ভাবে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেন যে উদ্দেশ্যটা দেখতে হবে। দখলের উদ্দেশ্য ছিল ভাল, সভ্যতার আলো ছড়ানো হেনতেন। হুবহু একই কথা বুশ ব্লেইন চক্রের থেকেও শোনা যায় তাদের ইরাক আক্রমনের মহতী উদ্দেশ্য সম্পর্কে।
আমিও আপনার মতই অসীম আগ্রহ নিয়ে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করি লেখক আমাদের বুঝিয়ে দেবেন বিভিন্ন ল্যাটিন আমেরিকান দেশ, আফ্রিকান দেশ, ভিয়েৎনাম, এসব যায়গায় মার্কিন দখলবাজীর মহতী উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সাম্রাহ্যবাদ ঠেকানো। অনেক আমেরিকান আছে যারা বিবেকের তাড়নায় নিজের দেশ ছেড়ে লজ্জায় কানাডাসহ অন্য দেশে স্থায়ীভাবে চলে গেছে, তাদের ভুলও ভেঙ্গে দেওয়া দরকার।
ব্রাইট স্মাইল্,
অতীত নিয়ে তো কোন দ্বি-মত নেই। আমি তো বহু আগেই অতীতের কথা স্বীকার করেছি।
কথা হচ্ছে বর্তমান নিয়ে। বর্তমান যুগে আমেরিকার সমতূল্য ইসলামী সাম্রাজ্যবাদের উদাহরন দিলে স্বীকার করে নেব।
আপনার এই যুক্তি শুনে ইশ্বরে বিশ্বাসীরা যখন উলটা অবিশ্বাসীদেরই ইশ্বর নেই প্রমান করতে
চ্যালনেজ় ছুড়ে দেন সেই কথা মনে পড়ল। রেফারেন্স দিয়ে প্রমান করার দায়িত্ব আপনার যদি মনে করে থাকেন যে বর্তমান যুগে মুসলমানরা অন্য দেশ দখল করে নিচ্ছে। আপনার কি মনে হয় তা আপনার ব্যাক্তিগত ধারনা। তবে এখন পর্যন্ত মুসলমানেরা তেমন কিছু করেছে বলে জানা নেই। ভবিষ্যতে কি হবে তার নিশ্চয়তা অবশ্যই আমি দিতে পারি না।
@আদিল মাহমুদ,
কিছু করতে চেস্টা করা আর করার পরে সাফল্য লাভ করা দুটো ভীন্ন ব্যাপার। বোধগম্য কারনে সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারে বর্তমান যুগে মুসলমানদের সাফল্য আসছেনা বলেই আপনি বলতে পারছেন যে
কিছু হলেতো আপনি জানবেন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
একমত। হলে তো অবশ্যই জানব, এবং স্বীকার করে নেব। তবে না হওয়া পর্যন্ত তা কেন স্বীকার করতে যাব?
@আদিল মাহমুদ,
কিন্তু আপনার সে আশায় গুড়ে-বালি, আশা করছি সাফল্যও আসবেনা, আপনাকেও কষ্ট বা মিষ্ট করে তা স্বীকার করারও কোন চান্স নেই। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমার গুড়টা কোথায় দেখলেন যে তাতে বালি ঢেলে দিচ্ছেন? আজকে যদি ইসলামী সাম্রাজ্যবাদ নামক কোন কিছু যদি আমেরিকা কানাডা দখল করে তবে আমি তাতে উল্লসিত হবে আমাকে এই কিসিমের হাঁদা মনে করেন?
গনতন্ত্র শেখানো বা ধর্ম প্রচার যে উদ্দেশ্যেই হোক, অন্যের দেশ দখল করাটাকে বর্বরতাই বলতে হবে, সে যেইই করে থাকুক।
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
কোন সাম্রাজ্যবাদ অধিক খারাপ সে বিতর্কে না গিয়ে সব ধরণের সাম্রাজ্যবাদকে ধিক্কার জানাই। আসুন মানবতাকে হ্যা বলি কারণ এই যুক্তিবাদ বলুন আর মুক্ত-চিন্তার কথাই বলুন সবই তো আলটিমেটিলি মানুষের জন্যই।
অফ টপিকঃ আপনাকে আজ দারুণ লাগছে। চালিয়ে যান।
বিজয়,
– নাহ, সত্য নয়।
তবে মুসলিমরা সাম্রাজ্যবাদে লিপ্ত নয়, ধর্ম প্রচারে বেশী লিপ্ত এই ষ্টেটমেন্টকে যদি আপনার ইসলাম প্রমোট করা বলে মনে হয় তো কিছু বলার নেই। আমি যতটুকু জানি আমার এই ধারনা সত্য। ভুল থাকলে তা আপনাদের প্রমান করে দেখাতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকা ব্রিটেন রাশিয়ার মত কয়টি মুসলিম দেশ সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটিয়েছে। অতীতে ইসলামী সাম্রজ্যবাদ ভাল মাত্রাতেই ছিল তা আপনার অভিযোগের আগেই স্বীকার করে নিয়েছি। তবে কথা হচ্ছে বর্তমান নিয়ে।
সে হিসেবে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের স্বপক্ষের আপনার দেওয়া যুক্তিকে আরো অনেক বেশী পক্ষপাতদুষ্ট বলা যায়। এ ধরনের যুক্তির জন্যই মোল্লা আলেমরা গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে পারে যে কাফের নাসারারা আমাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করেছে। অনেক শিক্ষিত লোকেও বুশের ইরাক দখলকে ধর্মীয় রূপ দিয়ে একে ধর্মযুদ্ধের কাতারে ফেলেন। যদিও এতে ধর্মেরে কোন ব্যাপার নেই। আছে জাগতিক স্বার্থের। যদিও আপনার মতে আমেরিকার এমন বিশ্ব মাস্তানী যুক্তিযুক্ত।
অসাধারণ ও যুগোপযোগী একটা প্রবন্ধ। এই মডারেটরা শধু সুবিধাবাদীই নন , স্ময় অনুকূল হলে রীতিমত বিপজ্জনকও বটে। আর কোরান সুন্নাহ হুবহু না মেনে এরা কি রকম মুসলমান – সে প্রশ্নও থেকেই যায়। সুফিইজম কি ইসলাম? রামকৃষ্ণের মতবাদ কি হিন্দুধর্ম? আমার মনে আছে মিশনের এক অধ্যক্ষ বলেছিলেন , বেলুড় মঠের উচিত সংখ্যালঘু হিসেবে সরকার থেকে সাহায্যের আবেদন করা। কারণ রামকৃষ্ণের অনুসারীরা হিন্দু নয়। এটা সব মানুষের মতবাদ। আবার অনেক সন্ন্যেসীই গোঁড়া হিন্দু। সুফিইজম যে ধর্মের কথা বলে তা অনেক উদার ও সহিষ্ণু। কিন্তু সেটা কি আদৌ ইসলাম?
আমার প্রায় সব মডারেট বন্ধুই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আর বিসমিল্লাহ এর ব্যাপারে অনড়! এরা কোরানকেও ব্যাখ্যা সাপেক্ষেই মানে। চলনে-বলনে চূড়ান্ত লিবারেল!!!
@আগন্তুক,
সকল মানুষকে একই সাথে সর্বদা বোকা বানানো অসম্ভব। নীতিগতভাবে , বৈদিক সংজ্ঞার আলোকে একজন মুসলিমকেও নাস্তিক বলা যায়। সে কারণে আমি গ্রীক atheism এর সংজ্ঞায় বিশ্বাস করি ।
একমাত্র ইসলাম ধর্মকে সবাই যে যার মত বেবহার করছে।আজ পর্যন্ত হিন্দু ধর্ম ,ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম কিংবা অন্ন কোন ধর্মকে কেন্দ্র করে কেও কিছু করবার স্পরধা দেখানর সাহস দেখায়নি। হয়ত এর মুল কারন,ধর্ম প্রচারের জন্য একমাত্র ইসলাম ই প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলেছে, আর এর ই ফল আমরা ভোগ করছি যুগ যুগ ধরে।তাহলে ইসলাম কেমন করে শান্তির ধর্ম বলে দাবি করে।
@Rupa,
সারা প্রিথিবির চিন্তাবিদ বিচখন মানুসেরা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে যে ইসলাম একটা “Volatile Ideology”. মহাম্মদের শময় থেকেই Violence চলছে। ধরনগুলও বিভিন্ন রকম। Violence আর Invasion এর মধএ দিয়ে ইসলাম এর যাত্রা আর রাজ্জ্য বিস্তার।
http://www.faithfreedom.org/wordpress/
http://www.historyofjihad.org/
http://www.historyofjihad.org/india.html?syf=contact
এজন্নই একমাত্র ইসলাম ধর্মকেই সবাই যে যার মত বেবহার করতে পেরেছে। ইসলামএর “inherent characteristics” এর কারন।
@Rupa,
আপনার ধারনা ঠিক নয়। আপনার কথা খাটে বর্তমান যুগে বা সাম্প্রতিক সময়ে। তবে অন্যান্য ধর্ম ব্যাবহার করে অনেক রকমের শোষন নির্যাতন অতীতে বেশ ভাল মাত্রায়ই হয়েছে। ইউরোপে মাত্র কশো বছর আগেও চার্চ সবকিছু নিয়ন্ত্রন করত। উইচ হান্টিং এর নামে পাদ্রীকুল কশো মহিলাকে পুড়িয়ে মেরেছিল কেউ বলতে পারে? ইসলামে কি তেমন কিছু করেছে?
চরম হিন্দুত্ববাদের নগ্ন চেহারা কি আজকের আধুনিক ভারতেও দেখা যায় না?
সব ধর্মের ভেতরেই হিংসা দ্বেষের উপাদান আছে। কারো প্রকাশিত, কারো অপ্রকাশিত। কোন নির্দিষ্ট কালে কোন নির্দিষ্ট ধর্মের খারাপ উপাদানগুলি নানান কারনে প্রকাশিত হয়।
@আদিল মাহমুদ,
এই কালে কোন ধর্মের খারাপ উপাদানগুলি প্রকাশিত হচ্ছে বলে আপনার মনে হয়? আমার মতে অন্যান্য ধর্মগুলো খারাপ উপাদানগুলির প্রভাব স্থানীয় ভিত্তিক ছিল, কিন্তু ইসলাম ধর্মের খারাপ উপাদানগুলির প্রভাব যেভাবে গ্লোবালি বা আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা সত্যি ভয়াবহ।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এ কালে কোন ধর্মের খারাপ উপাদান বিকশিত হচ্ছে তাতে তো কোন দ্বি-মত নেই। শুধু ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছি যে একই উপাদান অন্য ধর্মগ্রন্থেও আছে।
তফাত হল অন্য ধর্মের লোকেরা মোটামুটিভাবে তাদের ধর্মের বাজে দিকগুলি ব্যাবহারিক জীবন থেকে অনেকটাই বিদায় করতে পেরেছে যা মুসলমানরা পারেনি। যদিও ধর্মগ্রন্থে ঠিক ই আছে। হতে পারে ইসলাম অপেক্ষাকৃত নুতন ধর্ম, তাই সময় লাগবে।
আজকে ভারতে যদি কোনভাবে মুসলিম সমাজ এগিয়ে যায় ও হিন্দু সমাজ পিছিয়ে পড়ে তবে নি:সন্দেহে হিন্দু জঙ্গীবাদ ভয়াবহ আকারে মাথা চাড়া দেবে। তখন আর শান্তিকামী বিবেকানন্দের শীষ্য হবার লোক বেশী পাওয়া যাবে না। পরিবেশের প্রভাবের এটা একটা কাল্পনিক উদাহারন।
@Rupa,
সব চাইতে আজব ব্যাপার কি জানেন ? মুসলমান মাত্রই বলে থাকে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম তার অর্থ ইসলাম মানে শান্তি। অথচ তারা জানে না যে ইসলাম শব্দটির অর্থ হলো- আত্মসমর্পন বা সারেন্ডার। তার সোজা ব্যাখ্যা হলো- আপনি বিনা শর্তে ও প্রশ্নে ইসলামের কাছে মাথা নত করবেন ও অন্ধভাবে মোহাম্মদের অসভ্য ও বর্বর সব আদেশ নিষেধ পালন করবেন, তাহলেই তৈরী হবে শান্তির পরিবেশ। অধিকাংশ মুসলমান এত শত ব্যাখ্য ছাড়াই শুধু কাঠ মোল্লাদের কথা শুনেই তোতা পাখির মত আউড়ে যায় ও বিশ্বাস করে- ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।
সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে একটা অস্ত্র মাত্র – আসল শত্রু নয়। একটা সাবমেরিন কিংবা জংগী বিমান কখনও শত্রু হতে পারে না। আসল শত্রু হচ্ছে বিশ্ব -ইসলামী জাতীয়তাবাদ বা উম্মাহ যা সীমানাহীন। এই জাতীয়তাবাদকে সরকারী-রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার নিরাপদ আশ্রম থেকে বঞ্চিত করাই সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের ১ম পদক্ষেপ।
আমরা এ পদ্ধতি নিয়েও চিন্তা ভাবনা করেছি Ignorance Management এর আলোকে । কিন্তু এতে যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। থেও ফান ঘখের হত্যাকাণ্ড এবং সামান্য ডেনিশ কার্টুনের যে প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী দেখা গেছে , তা আমাদেরকে পদ্ধতিগত বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। কূটনৈতিক চাপ, সংশ্লিষ্ট সংস্থা-ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ও রয়েছে।
মুসলমানদেরকে মডারেট বানানো সম্ভব যদি প্রমান করা যায় মোহাম্মদ কোন নবী ছিলো না, কোরান কোন আল্লাহর বানী না। প্রথম প্রথম শত প্রমান যুক্তি তর্ক হাজির করলেও হয়ত মুসলমানরা বিষয়টা হজম করতে পারবে না, কিন্তু তাদের মোল্লা ও তথাকথিত পন্ডিতদের সাথে তর্ক যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে, পত্র পত্রিকা টিভি ইত্যাদি মিডিয়াতে এ বিষয়ে ব্যাপক ভাবে প্রচার করে বিষয়টা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। যে সব মুসলমান ইতোমধ্যে তাদের নবী ও কোরানের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে তারা তো এমনি এমনি তা করেনি, করেছে নবী ও কোরান নিয়ে ব্যপক ভাবে পড়াশুনা করে তথা সচেতন হয়ে। সুতরাং সময় এসেছে বিষয়টাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর । মুসলিম বিশ্বে হয়ত এটা সম্ভব না তবে গনতান্ত্রিক উন্নত দেশের বাকস্বাধীনতা ও গনতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে সেসব দেশ থেকেই তা শুরু করতে হবে। প্রতিটি ধর্ম যেহেতু সে সুযোগ নিয়ে তাদের কিচ্ছা কাহিনী প্রচারমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ পায় , তেমনি সেসব কিচ্ছা কাহিনীর অসারতার কথাও প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমানে ইসলাম যেহেতু সভ্যতার জন্য একটা হুমকি হিসাবে আবির্ভুত হয়েছে, তাই সর্বপ্রথম ইসলামের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া বিশেষ জরুরী। অন্যথায় মুসলমানরা যেমন নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করে চলেছে, অমুসলিম দেশগুলোও কিন্তু তাদের দ্বারা সৃষ্ট সর্বনাশ থেকে রেহাই পাবে না। যার আলামত ইতোমধ্যে নন মুসলিম দেশ গুলোতে ব্যপকভাবেই দৃশ্যমান। প্রচলিত সন্ত্রাস বিরোধী আইন দ্বারা তাদেরকে প্রতিহত করা যাবে না। যে লোক নিজের শরীরে বোমা বেধে উড়িয়ে দিতে কুন্ঠা বোধ করে না , তাদেরকে কিভাবে সনাক্ত ও প্রতিরোধ করা যেতে পারে ? প্রতিটি মূসলমানকে তো নজরদারির মধ্যে আনা সম্ভব না। তাহলে সমাধান কি ? সমাধান একটাই মুসলমানদের রোল মডেল মোহাম্মদ ও তার কোরানকে অসার বা মিথ্যা প্রমান করতে হবে। একবার সেটা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান করে জন সমক্ষে যথার্থভাবে প্রকাশ করতে পারলেই মুসলমানরা ব্যপকভাবে তাদের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস হারাবে। এতে প্রাথমিক ভাবে কিছু বিশৃংখলা বা সন্ত্রাসী হামলা হবে , কিন্তু সে ঝুকিটুকু নিতেই হবে। এসব ছাড়াই তো প্রতিনিয়ত মুসলমানরা গায়ে বোমা বেধে আত্মাহুতি দিচ্ছে বা সন্ত্রাসী আক্রমন চালাচ্ছে ধর্মের নামে। অর্থাৎ গোটা মানব সমাজ ইতোমধ্যেই ঝুকির মধ্যে রয়েছে। তাই বেশী দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই তা করাটা জরুরী।
@ভবঘুরে,
পশ্চিমা মেয়েদের মত মুসলমান মেয়েরাও যখন অবাধে এবং ‘Honour Killing’এর আশঙ্কামুক্ত হয়ে বিধর্মী-নাস্তিকদের বিয়ে করতে পারবে , কেবল তখনই কিছু আশার আলো দেখা যেতে পারে।
@ভবঘুরে,
একেবারেই খঁটি কথা। ভয়ংকর ইসলাম থেকে সভ্যতাকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র ্রাস্তা। আমরা আজ প্রায় দশ বছর যাবত এই কথাই বলে চলেছি। এদিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে, অগাধ রক্ত ঢালা হচ্ছে—সব কিছুই করা হচ্ছে ঐ মডারেট ইসলামের সন্ধানে। এর ফল হচ্ছে জিরো।
চিন্তা করুনঃ যদি ইসলামকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করলে, কোরানকে এক ভাঁওতাবাজী প্রমাণ করলে কেউ কি ইসলামের জন্য প্রান দিতে প্রস্তুত থাকবে? এই ভাবেই আমরা একটা বুলেট না ছুড়ে এই ইসলামী সন্ত্রাসের সমাধি দিতে পারি।
কিন্তু কে শোনে কার কথা?
@ভবঘুরে,
:yes:
যারা কোরান এবং সুন্নাহ মতো তাদের জীবন চালায়না তারা কোন ভাবেই মু্সলমান হতে পারনা এরা সত্যি সত্যি কাফের।
আর যে মুসল্পমানেরা কাফেরদেঙ্কে হত্যা করতে অথবা কাফেরদের দ্বারা শহীদ হচ্ছে না তারা মুসলমানই নয়। কোরান হাদিস পড়ে দেখুন, যদি বিশ্বাস না হয়।
মডারেট মুসলিম মানে নরম-গরম মুসলিম। এতো অসম্ভব।
@আবুল কাশেম,
মডারেট মুসলিম আর মডারেট নাৎসি(NAZI) বা মডারেট স্তালিনিস্ত -মাওবাদী , একই জিনিষ। এরা সুবিধাটুকু নেয় কিন্তু নিজের হাত ময়লা হতে দেয় না।
মুসলিমরা তাদের ধর্মে সংস্কার না করলেও কিছু যায় অাসে না। এটা তাদের ব্যপার । তবে , তাদের Universal Declaration of Human Rights (UDHR) এর সাথে সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন গুলো মানতে হবে।
@বিজয়,
সবার পক্ষে এভাবে ভাবা সম্ভব না। বিশেষত যাদের বাবা, মা, ভাই, বোন এখনও মুসলমান।
যাদের জুতা নেই তারা স্কুলে আসতে পারবেনা। এটা আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা না করে বলাটা অমানবিক।Universal Declaration of Human Rights (UDHR) এর সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বেশী অমান্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনও করে চলেছে। প্রতিদিন বহু নিরস্ত্র আফগান আমেরিকান বোমায় মারা যাচ্ছে।
নব্বই এর আগে এই মুসলিম সন্ত্রাসীরা কোথায় ছিল ? পারভেজ মোসারফ আর মোল্লা ওমর এক না। এভাবে দেখলে মুসলান্দেরকে আমরা এমন একটা কানা গলিতে নিয়ে ঢুকাব যে তাদের কন্য হিটলারের গ্যাস চেম্বারই কেবল খোলা থাকবে। সেই প্রক্ষাপট তৈরীর কাজটা আমরা যেন না করি। তাহলে মানবতা আমাদের দ্বারাই বিপন্ন হবে।
@আতিক রাঢ়ী,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগে ইসলামের দ্বন্দ্ব মুলত: বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। নবী মুহাম্মদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ থেকে শুর করে ১৯১৭ তে ওসমানী সাম্রাজ্যের পতন পর্যন্ত ইসলাম সম্প্রসারনবাদী নীতি অনুসরন করে এসেছে এবং এখনও তাই করছে। গামাল আব্দুল নাসের , সাদ্দাম হোসেন , ওসামা বিন লাদেন এবং আহমেদিনেজাদ তারই ধারাবাহিকতা মাত্র।
এখন, বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসলামের এই উচ্চাভিলাষকে চ্যালেঞ্জ করেছে । ইসলামের চিরাচরিত সম্প্রসারনবাদী উচ্চাভিলাষের পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটা কাঁটা মাত্র।
@বিজয়,
প্রতিটা সাম্রাজ্যবাদের একটা নিদৃষ্ট আয়ু আছে। যে কোন হিসাবেই মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের অবস্থা
একেবারে অন্তিম পর্যায়। অমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ঘুরঘুর করছে তেলের জন্য। ইরাক আর ঈরানে গনতন্ত্রায়নের ব্যাপারে আমেরিকা বেদম সোচ্চার আবার সৌদি আরবের ব্যাপারে বেজায় নমনীয়। কারন সৌদি তেল তার নিয়ন্ত্রনে।
স্বশরীরে সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের যুগ গত হয়ছে বহু আগে। এখন বাজার আর পূঁজি বিস্তারের সাম্রাজ্যবাদ চলছে। আমেরিকা আর মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের লড়াই একটা অসম লড়াই। ১ম ও ২য় বিশ্ব যুদ্ধে নতুন পরাশক্তিদের লড়াইয়ের আগে থেকেই মুসল্মানরা সাইডলাইনের / অতিরিক্ত খেলয়াড়। সাম্রাজ্যবিস্তারত বহু দুরের ব্যপার, মুসলমানরা এখন নিজেদের অস্তিত্ত্ব নিয়েই বিপদে আছে।
মূল দৈত্যটিকে বাদ দিয়ে একটা নখ-দন্ত বিরল বৃ্দ্ধ দৈত্যের পিছনে সব মনোযোগ ঢেলেদিলে
আমরা আমাদের শ্রম ও মেধার অপচয়ই কেবল করে যাব।
আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হ্যারিকে টমাস, সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমদের রাজনৈ্তিক দলগুলো যদি সংঘাত বন্ধ না করে তবে একটা তৃ্তীয় শক্তির উত্থান হতে পারে। পরবর্তিতে আমরা ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন দের দেখলাম। কোন দেশের গনতন্র কেমন হবে তাও তারা ঠিক করে দিচ্ছেন। ল্যাটিন আমেরিকার বহু কু-দ্যেতার পিছনে তাদের হাত আছে। সময়ের আবর্তে প্রতিটা প্রগতিশীল উপাদানই এক সময় প্রতিক্রিয়াশীল উপাদানে পরিনত হয়। ব্যাক্তি স্বধীনতার প্রবল প্রবক্তা আমেরিকা আজকে নৈ্তিক অধপতনের শেষ প্রান্তে। আমেরিকা যাদি মুসলিম সাম্রাজ্যবাদকে চ্যালেঞ্জ জানানোটা তার নৈ্তিক অবস্থনগত কারনে করতো, তবে সোভিয়েত রাশিয়ার কালে মুসলমান্দের সাথে তার এত দহরম-মহরমের কারন কি ছিল ?
আসলে আমেরিকা যেহেতু অস্ত্র শিল্পে বিস্তর বিনীয়োগ করেছে, ফলে তার যুদ্ধ দরকার। সে এখন জনগনের টাকায় অস্ত্র কিনছে, মধ্যপ্রাচ্যে একটা যুদ্ধাবস্থা বজায় রেখে এই অস্ত্র কেনাকে যায়েজ করছে। সুবিধাটা পাবে অস্ত্রে বিনীয়োগকারী পূঁজিপতিরা যারা আবার ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করে।
এই ক্ষেত্রে মুসলমানদের ভয়াবহ আকারে উপস্থাপন করাটা আসলে মূল সত্য থেকে সরে আশা। সাম্রাজ্যবাদের কার্যকরী উপাদান হিসাবে ধর্মের উপোযগীতা শূন্য। সাফল্যের হার বিবেচনা করলে আমার কথার সত্যতা পেবেন আশাকরি।
@আতিক রাঢ়ী,
নব্য ইসলামী সম্প্রসারণ বাদীদের এটা উপলব্ধি করতে হবে।
প্রকৃত ইতিহাস অন্য সাক্ষী দেয় যা আমি পরবর্তীতে বিস্তৃতভাবে প্রবন্ধ আকারে উপস্থাপন করব।
নাৎসীদের বিরুদ্ধে মার্কিনরা এগিয়ে না আসলে তার পরিণতি হত ভয়াবহ। এই দহরম-মহরমের শিক্ষক মুসলমানরাই। সালাউদ্দিনের সাথে বাইজান্তাইনদের কিংবা ওসমানীদের সাথী রুশ ও ব্রিটিশদের অথবা নাসেরের সাথে সোভইযেৎদের দহরম-মহরমের কথা এ প্রসংগে উল্লেখ্য ।
@বিজয়,
আতিকের সাথে সম্পূর্ন একমত। সাম্রাজ্যবাদের সম্প্রসারনে আমেরিকার সাথে মুসলমান রাষ্ট্রের তূলনা আমার কাছে হাস্যকরই ঠেকেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকা কয়টি দেশ সরাসরি দখল করেছে, আর মুসলমান দেশগুলি করেছে? আর আমেরিকার মদদে গোপনে রাজনৈতিক নেতাদের খুন, পুতুল সরকার বসিয়ে ইচ্ছেমত চুষে খাওয়া এগুলির হিসাব শুরু করলে তো শেষ করা যাবে না। আপনার কাছে মনে হচ্ছে আমেরিকার এসব কার্যকলাপ অপরিহার্য বলে মনে হয়, কারন মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ ঠেকাতে মনে হয় আপনার মতে এগুলির দরকার আছে। তাই মনে হয় বলেছেনঃ
আমেরিকার সাধারন মানুষ যাদের চিন্তাশক্তি আছে তারাও তাদের দেশের নির্লজ্জ ভূমিকায় লজ্জা বোধ করে, এ ধরনের যুক্তি দাড়া করায় না।
অবশ্য মুসলি্ম সাম্রাজ্যবাদ বলতে আপনি ইসলাম ধর্মের দ্রুত দ্রুত প্রচার ও বিস্তার বুঝিয়েছেন কিনা জানি না। তবে ইসলাম ধর্ম যারা প্রচার করে তারা ছলে বলে কৌশলে অন্য দেশ দখল করে প্রচার করে না।
ইসলামী সন্ত্রাসে বিশ্ব আতংকিত ঠিকই। সারা বিশ্ব জুড়েই মুসলমান সমাজ পিছিয়ে আছে, গোড়ামী বলা যায় মজ্জাগত। তবে তার মানে এই না যে একে পুজি করে অন্যদের যাবতীয় অকাজ কুকাজ হালাল করতে হবে। আতিকের কথা থেকেই বলি, ৯০ এর আগে কয়টি জেহাদী হামলার কথা শোনা গিয়েছিল? সন্ত্রাসের গডফাদার লাদেনের সৃষ্টিকর্তা কে? এই লাদেনের কাজের দায় শুধু মুসলমানদের উপর চাপানো কোন যুক্তিবাদীর চিন্তা হতে পারে?
@আদিল মাহমুদ,
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস জানার জন্য ২৫ বছর ধরে অনেক কাঠ-খর আমাকে পোড়াতে হয়েছে। ইউরোপে একাডেমিক ছাড়াও আরবী শিখতে হয়েছে । মরক্কো থেকে দামেস্ক পর্যন্ত চষে বেড়াতে হয়েছে। এতসব করার পর আমি কেন তথ্য ছেড়ে অপযুক্তির পথ নেব ? ইতিহাসে যুক্তির স্থান নেই । যুক্তি দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায়না। আমার মত ২৫ বছর না হোক , অন্তত ১২ বছর মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস শিখুন তারপর আমি এ ব্যপারে আপনাদের সাথে বিতর্কে যাব। আমি নিজে কখনও একজন পদার্থবিদের সাথে পদার্থবিদ্যা নিয়ে তর্কে যাইনা কারণ আমি নিজে পদার্থবিদ্যা বুঝি না। এটাকেই পেশাদারী মনোভাব বলে যা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।
@বিজয়,
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস জানতে আপনি অনেক কষ্ট করেছেন যেনে ভাল লাগল। আশা করি আপনার গবেষনার ফলাফল প্রকাশ করবেন।
মনে হয় আতিককে বলেছেন যে এ বিষয়ে পরে লিখবেন। আমি কিছু স্পেসিফিক পয়েন্ট তুলেছিলাম। আপাতত সেগুলি আলোচনা করলেই পারতেন। নিঃসন্দেহে আমার ১২ বছর মধ্যপ্রাচ্যে ঘোরাঘুরির সময় নেই। আজকাল ইতিহাস জানতে চাইলে মোটামুটি লাইব্রেরী বা ইন্টারনেট ঘেটেই মূল প্রতিপাদ্য জানা যায়।
মুসলিম সাম্রাজ্যবাদ ঠেকাতে আমেরিকার সারা দুনিয়ার উপর ডান্ডাবাজির যৌক্তিকতা কিভাবে ব্যাখ্যা করেন তা জানার আগ্রহ আমার আরো প্রবল হল।
@আদিল মাহমুদ,
একই শিক্ষা পদ্ধতি শল্য চিকিৎসায় নিয়মতান্ত্রিক পন্থার বদলে ব্যবহার করলে তা হবে ভয়ঙ্কর।
এত সস্তায় চটি বই কিংবা ইন্টারনেট ঘেটে গভীর জ্ঞান অর্জন আসলে সম্ভব নয়। এটা ভ্রান্তি মাত্র।
@বিজয়,
আপনি আসল সত্য জানান, সেই অপেক্ষায়ই তো আছি।
তবে আমেরিকা ভিয়েতনাম দখল করেছিল কেন, ইরাকের সন্ত্রাসী জনগনকে গনতন্ত্র শেখানোর মহত উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করেছিল নাকি তেলের গন্ধে করেছিল এসব বুঝতে খুব বেশী গবেষনার মনে হয় দরকার পড়ে না, অন্তত আমার মত কোটি কোটি মানুষে তেমনই বলবে মনে হয়।
@বিজয়,
এখানে একটা বহুবচনের প্র্য়োগ দেখে ফিরে এলাম। আমিও যেহেতু বিতর্কের একটু ক্ষীন প্রয়াস করেছিলাম ফলে আমাকে ফিরে আসতেই হলো।
অনেক ঐতিহাসিকদের নাম আমরা জানি। সত্যি বলতেকি আপনার নাম, আপনার ২৫ বছরের প্রয়াস সত্ত্বেও আমার কাছে নতুন। আমাকে এজন্য ক্ষমা করবেন। আসলে ব্লগে যারা লেখালেখি করেন তাদেরকে নিজেদের লেখার প্রতিক্রিয়ার জবাব দেয়ার রেওয়াজ চালু আছে। সব সময় শুধু -হাতে তালি -কোন লেখার ক্ষেত্রেই জোটে না। সেটা যত যুক্তিপূর্ন বা বস্তুনিষ্ঠ লেখাই হোক না কেন।
আপানার কথা ঠিক যে, ইতিহাস যুক্তির ধার ধারেনা। তবে কেউ দাবি করলেই সেটা আবার ইতিহাস হয়ে যায় না। ইতিহাসের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমাদেরকে আবার যুক্তির আছেই ফিরে যেতে হয়। আর ইতিহাস নিয়ে লিখলে রেফারেন্স যে কেউ দাবি করতে পারে। এর জন্য বার বছরের সাধনার দরকার আছে বলে মনে হয় না।
যে ধরনের গভীর জ্ঞানের দাবি আপনি করছেন তার প্রকাশ ইতিমধ্যে হয়ে গিয়ে না থাকলে সেটা বিষ্ময়কর। মানে নেহেরুকে আমি চিনেছি বা গভীর ভাবে জেনেছি তাঁর “ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া ” পড়ে। আপনার এই জাতীয় বা কাছাকাছি মানের কোন কাজ থাকলে জানাবেন। কালকেই কিনে ফেলব।
আর যদি এখনও সেরকম কিছু প্রকাশিত না হয়ে থাকে তবে আপাতত নিজের ঢোল নিজে পি্টান বন্ধ রাখুন। লিখে যান। সূর্য্য উঠলে কাওকে দেখিয়ে দিতে হয়না।
@আতিক রাঢ়ী,
আমাদের কাছে আমাদের Mission , Vision এবং Values সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন। নাম নয়। অাপনারা মুসলিমরা আমাদের প্রতিপক্ষ । এটাই সত্য।
@বিজয়,
আপনার মনে হয় জানা নেই, বা ধরেই নিয়েছেন আতিক মুসলমান যেহেতু তিনি অন্ধভাবে কোন তত্ত্ব মেনে নিচ্ছেন না। তবে জেনে রাখুন, ব্যাক্তিগত বিশ্বাসে উনি কোন ধর্মে বিশ্বাসী নন। উনি নাস্তিক নাকি অজ্ঞেয়বাদী তা হয়ত নিশ্চিত নয়, তবে উনি এমনকি আস্তিক ও নন।
আপনার যুক্তি অনুযায়ী আরেকজন মুসলিম দেখুন; ডঃ বিপ্নব পাল।
http://blog.mukto-mona.com/?p=6317
৬ নং কমেন্ট। তবে তিনি যার উদ্দেশ্যে সেই কমেন্ট করেছিলেন তিনি তাকে পক্ষপাতদুষ্ট বা কোন ধর্মের পক্ষে অন্ধ হয়ে সাফাই গাচ্ছেন এমন কোন অভিযোগ করেননি। এখানে সবারই শেখার আছে আসল যুক্তিবাদ কি।
@বিজয়,
লিঙ্গের অগ্রভাগের কাটা কিনা- এটা দেখেই যাদি রায় দিয়ে দেন, তবেতো ভাই ভারি বিপদ হলো। এটা যখন কাটা হয় তখন কেউ আমার মতামত জানতে চায়নি।
এখন প্রতিপক্ষের ব্যাপারে আপনাদের রণকৌশল কি সেটা ভেবে এক ধরনের অজানা আতংকে আছি। Please ভয় দেখাবেন না।
মুসলমানদের চোখ রাঙ্গানিকে যেহেতু উপেক্ষা করতে শিখেছি, তাই আপনাদেরটাও পারব। কারন দুটোই একই গোত্রের রোগ।
@বিজয়,
আপনার মন্তব্যে ‘আমাদের’ বলতে কাদের বুঝাতে চাচ্ছেন স্পষ্ট করে বলেন।
@বিজয়,
এ মন্তব্যটি ব্লগে বিতর্কের জন্য উপযুক্ত হয় নি বলে আমার মনে হয়। ‘ ইতিহাসে যুক্তির স্থান নেই । যুক্তি দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায়না’ কথাটি বুঝিনি। আমরা অনেকে মনে করি যে ইতিহাস পদার্থ বিজ্ঞানের মত এতটা জটিল নয় (আমি ইতিহাস নিয়ে গবেষণার কথা বলছি না) কারণ আশা করা হয় ইতিহাসের বিষয়গুলো বোধগম্য না হলে অন্তত কেউ ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলে অল্প সময়ে বুঝা যায় ; স্বীকার করছি আমার এ মন্তব্য আপেক্ষিক তবে ইতিহাস বিশেষজ্ঞ হিসেবে আপনি উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিবেন আশা করি।
@সৈকত চৌধুরী,
প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ইতিহাসের ভিত্তি। ডায়নোসরদের জীবাশ্ম থেকে এভাবে আমরা প্রাগৈতিহাসিক প্রানীদের ইতিহাসের কথা জানি। হেরোগ্লিফিকস এর পাঠোদ্ধার করতে হয়েছে প্রাচীন মিসরকে জানার জন্য। গনিত ও রসায়ন সহ বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখার সাহায্য একাজে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের মত সংসদে বিল পাশ করে ইতিহাস বানানো সভ্য জগতের কাছে অগ্রহনযোগ্য। লোকগাঁথাকে ইতিহাস বলা যায় না।
@আদিল মাহমুদ,
আগে ইসলাম ধর্মের লোকজন যখন দেশ দখল করেছিলেন তারা যে ছলে বলে কৌশলে কোন দেশ দখল করে ইসলাম প্রচার করেননি এমনতো বলা যায়না। আর এখনও যারা ইসলাম ধর্ম প্রচার করছেন তাদের যদি ছলে বলে কৌশলে অন্য দেশ দখল করার ক্ষমতা থাকত তাহলে সেটার সদ্বব্যবহার হতোনা বলে কি মনে হয়? আমেরিকা কেন, যে কোন জাতি-গোষ্টিরই সাম্রাজ্যবাদিতা মনোভাবের বিরুদ্বাচরন করা দরকার।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ইতিহাস এযে ঘটে গেছে তাকে তো অস্বীকার করা যায় না। অবশ্যই এককালে মুসলমানেরা ধর্ম প্রচারের স্বার্থে বা তার নাম করে অন্য দেশ দখল করেছে। অনেকে অনেকভাবে প্যাচালেও এটাই সত্য।
আজকের যুগে করছে না সেটাও সত্য। ক্ষমতা থাকলে করত এটা হাইপোথিটিক্যাল প্রশ্ন। যদিও আলামত দেখলে আমারো তেমনই সন্দেহ হয়।
আমি তো কারো সাম্রাজ্যবাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাচ্ছি না। অতীতে যারা করেছে তাদের থেকে বর্তমানে যারা করছে সমালোচনা হওয়া উচিত তাদের বেশী।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা, ঠিক বলেছেন, কিন্তু বর্তমানেও মুসলিমরা সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের যে চেষ্টা চালাচ্ছে তা তাদের দুনিয়াময় ইসলাম প্রচারের কায়দা-কানুন দেখলেই পরিষ্কার। মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের অধীনে সাধারন জনগন বিশেষ করে নারী সমাজ কি ভয়াবহ রকম দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হবে তা ভাবতেও ভয় লাগে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ধর্ম প্রচার আর সাম্রাজ্যবাদ এক কি করে হল সেটা একটু বোঝান।
নিজেই তো স্বীকার করেছেন আগে যে মুসলিমরা ধর্ম প্রচার বলপূর্বক করছে না। খ্রীষ্রটানরাও তাদের ধর্ম প্রচার করে। তাতে অনেকে কনভার্ট হয়, এমনকি আমাদের দেশেও এককালে হয়েছে। বরিশাল অঞ্চচলে তেমন বেশ কিছু লোক আছে। এতে কি খ্রীষ্টান সাম্রাজ্যবাদ আবিষ্কার করা যুক্তিসংগত? হিন্দুরাও তাদের ধর্ম প্রচার করতেই পারে, যেকোন ধর্মের লোকেরাই করতে পারে। মুসলমানদের সেই অধিকার থাকবে না?
যদি মনে করেন যে তারা বলপূর্বক তেমন কিছু করছে তাহ্লে কিছু উদাহরন রেফারেন্সসহ দিন।
@আদিল মাহমুদ,
য়ুক্তির আড়ালে আপনি এখন এখানে একটা নির্দিষ্ঠ ধর্ম ইসলাম Promote করছেন। এটা কি সত্যি ?
@আদিল মাহমুদ,
আগে মুসলিমরা ধর্ম প্রচার বলপূর্বক করেনি এমন কোন কথা আমার জানা নেই।
যে কোন ধর্ম প্রচারের আড়ালে সাম্রাজ্যবাদ বা আধিপত্যবাদ কায়েম করার যে ইচ্ছা থাকেনা এমন কিছু কি রেফারেন্সসহ উদাহরন আছে? আমি মনে করি সব কার্য্যকরনের পিছনে একটি উদ্দেশ্য কাজ করে। শুধু পার্থক্য একটিই যে, অন্য ধর্মগুলোর ক্ষেত্রে ক্ষতিটা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে, আর ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে ক্ষতিটা হচ্ছে বিশ্বব্যাপি। সেজন্য বিষয়টা গুরুতর।
মুসল্মানরা সবাই একযোগে মুরতাদ হয়ে যাবে এমটা আশাকরা বোধহয় ঐতিহাসিক বাস্তবতা সমর্থন করে না। সব ধর্মই আধুনিকাইয়ন ও সংস্কারের মধ্যে দিয়ে গেছে। মুসলমনদের জন্য আলাদা বন্দবস্ত সম্ভব না। মুসল্মানরা তথাকথিত মডারেট অথবা সুফিদের উদারতাকে আশ্রয় করে যুগউপযোগী হবার চেষ্টা করে যাবে। আজকের যূগে এইদুটি সুবিধাবাদী মূল প্রবনতাকে আশ্রয়ের পথই তাদের জন্য খোলা থাকছে। মুরতাদ হবার সবশেষ পথটি একটি চোরা শ্রোত হিসাবে সবসময়ই ছিল। এটি খুব সহসা মূল শ্রোতে পরিনত হবার সম্ভবনা নেই। আমরা কেবল এই চোরা শ্রোতের নাব্যতা ঠিক রাখার চেষ্টা করে যেতে পারি। যাতে কোনদিন মূল প্রবনতার পাশাপাশি এটি একটি সমান্তরাল প্রবনতা হয়ে উঠতে পারে।
@আতিক রাঢ়ী,
মানলাম। তবে, তাদের Universal Declaration of Human Rights (UDHR) এর সাথে সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন গুলো মানতে হবে।
যারা বুদ্ধিমান তারাই মডারেট মার্কা লাগাতে আগ্রহী হবেন। এটা যে মুসলমানদেরই শুধু ঘটছে তাতো নয়। বরং বলা চলে যে মুসলমানেরাই সবচেয়ে কম মডারেট হচ্ছেন।
অন্য ধর্মের লোকেরা বহু আগেই আরো ব্যাপক মাত্রায় মডারেট হয়েছেন। বিশ্বাস না হয় সনাতন হিন্দু ধর্মের সাথে আজকের দিনের সংখ্যাগুরু হিন্দুদের মিলিয়ে দেখুন। যুগের সাথে যে ধর্মের বহু প্রাচীন রীতি মূল্যবোধ অচল এই বোধ জাগ্রত না হলে উপায় আছে?
“সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী মুসলিম ব্যক্তিরও হয়তো বা সামান্য তম নৈতিকতা এবং মানবতা বোধ রয়েছে , যা তার কোরানে বর্ণিত আল্লাহ্-র নেই। তাদের আল্লাহ্ হচ্ছে বর্বর এবং আকাট মূর্খ ।” – একজন মুরতাদ
:yes: :yes: :yes:
অসাধারণ একটা সিরিজ শুরু করেছেন। আপনাকে অন্তরিক ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
জাতীয় নিরাপত্তা সহ আন্তর্জাতিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতি ইসলাম সুস্পষ্ট এবং সাক্ষাত হুমকি স্বরূপ। আমাদের সবার দায়িত্ব রাজনৈতিক শুদ্ধতা পরিহার করে এ ব্যপারে মুখ খোলা।
@বিজয়,
একদম ঠিক বলেছেন।
@ব্রাইট স্মাইল্, বিজয়
সারা পৃথিবী সেটা বুঝতে পেরেছে। সবাই মুখ খুলে বলে না আরকি।
শান্তি আর মংগল কামনায়।
http://www.youtube.com/watch?v=Mng2S39CGQs&feature=related
যে ব্যক্তি কোরান-সুন্নাহ আগাগোড়া মেনে চলে, তাকেই কেবল আমি মুসলমান বলি। সেই হিসেবে বাংলাদেশ মোটেই মুসলমান দেশ না, নইলে পয়লা বৈশাখ-চৈত্র সংক্রান্তির মত উৎসব এত চাকচিক্যের সাথে উদযাপন করা যেত না। তবে মুসলমান না হলে কি হবে, বাঙ্গালীর তাকওয়া বেশ কড়া। এই তাকওয়াটা কমানো গেলে বাংলাদেশে সহনশীলতা আরও বৃদ্ধি পেত বলে মনে করি।
@পৃথিবী,
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় মুরতাদ ব্যতীত সকল মুসলমান ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত যা বাংলাদেশী নিরাপত্তা সংস্থাসমূহ এখনও শেখেনি বা শিখতে চায় না। এর মূল্য সবাইকে একদিন দিতে হবে।
@বিজয়,
“ ‘মডারেট’ মুসলিম আসলে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক শুদ্ধতার সৃষ্টি। এরা কখনও বামপন্থী কমরেড , আবার কখনও প্রগতিশীল সুশীল সমাজের সদস্য। মুরতাদরাই আসলে সৎসাহসী।’
আপনার এ কথার সাথে সহমত হতে পারলাম না । বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করে দেখুন ,আসল মুসলিম তারাই যারা প্রকৃ্ত ইসলাম ধর্ম পালন করে , এ ক্ষেত্রে বাংলা ভাইয়ের মত মানুষ ই সাহসী এবং প্রকৃ্ত মুসলিম।
বাকী যারা “‘মডারেট” মুসলিম তারা হচ্ছে সুবিধা ভোগীদল ।রাজনৈতিক নেতারা যেমন খোলশ পালটায় এরাও তাই ।কিছু ক্ষেত্রে আরো ভয়ংকর । সমাজে যাদেরকে আঁতেল বলা হয়ে থাকে ।এরা ভালো ভালো ইংরাজী জানা মুসলমান। দারুন একটা ভালো লেখা দেবার জন্য ধন্যবাদ।
@বিজয়দা,
সহমত। :yes:
@পৃথিবী,
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে আদর্শ মুসলিম দেশ হলো পাকিস্তান। বাংলাদেশ মুসলমান দেশ নয় ঠিকই বলেছেন, এর কারণ হলো এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ আল্লাহকে (অর্থাৎ মুহাম্মদকে ) ভাল ভাবে চিনতে পারে নাই, ও তার রচিত কোরানকে বুঝে পড়তে পারেনা। আল্লাহর পরিচয় লেখক প্রথম বাক্যেই দিয়েছেন।
“সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী মুসলিম ব্যক্তিরও হয়তো বা সামান্য তম নৈতিকতা এবং মানবতা বোধ রয়েছে , যা তার কোরানে বর্ণিত আল্লাহ্-র নেই। তাদের আল্লাহ্ হচ্ছে বর্বর এবং আকাট মূর্খ ।”
যে ব্যক্তি শান্তির ইসলামে বিশ্বাস করেন, বুঝতে হবে তিনি কোরান বুঝে পড়েন নাই। নব্য মুসলমানদের নতুন আবিষ্কার কোরানের অপব্যাখ্যা শব্দটি এক মারাত্বক প্রতারণা। কোন ব্যাখ্যাই মুহাম্মদকে আল্লাহর নবী বানাতে পারেনা, প্রমান মুহাম্মদের কোরান।
@আকাশ মালিক,
Geneva Convention 1949 এবং Universal Declaration of Human Rights (UDHR) এর কপি সংযুক্তি কোরান প্রকাশনার জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এছাড়া , যেকোন মুসলিম ভিসা প্রার্থীর জন্য এ দুটো বিষয়ে পরীক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে।
আপনি যথার্থ বলেছেন, মডারেট মুসলিম বলে কিছু নেই। যাদেরকে আপনি মডারেট বলেন তারাও মনের গহীনে মৌলবাদী ধ্যান ধারনা পোষণ করে যা সময় সুযোগে বাইরে বেরিয়ে আসে। আপনি মডারেট মুসলিমদের সাথে কোরান বা ইসলাম নিয়ে আলোচনা করলে দেখবেন তারা তা করতে চায় না পাছে কোন ত্র“টি বের হয়ে পড়ে। কিন্তু মনে মনে ১০০% বিশ্বাস নিয়ে বসে আছে যে কোরান আল্লার বানী আর মোহাম্মদ আল্লাহর রসুল। আপনি কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে যদি দেখান যে কোরান ও মোহাম্মদ সম্পর্কে তারা যা বলে তা ঠিক না, তাহলে তারা বলবে যে আপনি কোরান হাদিস পড়ে কিছু বুঝেন নি, বলবে এর আরও অনেক ব্যখ্যা আছে। যদি আপনি বলেন- আল্লাহ বলেছেন কুরানকে তিনি সহজ ভাষায় বর্ননা করেছেন যাতে সবাই বুঝতে পারে, তাই তার বেশী কোন ব্যাখ্যা থাকতে পারে না। তখন বলবে- আরও বেশী কোরান হাদিস পড়–ন তাহলেই সব বুঝতে পারবেন । অথচ মজার ব্যপার হলো তারা নিজেরা কিন্তু কিছুই পড়ে না , তথাকথিত কাঠমোল্লাদের কাছ থেকে শুনেই তারা সব বিশ্বাস করে বসে আছে অথচ সেই কাঠ মোল্লাদেরকেই আবার গাল মন্দ করে ইসলাম অপব্যাখ্যার। কি অদ্ভুত মন মানসিকতা এই সব তথাকথিত মডারেট মুসলিমদের!
@ভবঘুরে,
‘মডারেট’ মুসলিম আসলে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক শুদ্ধতার সৃষ্টি। এরা কখনও বামপন্থী কমরেড , আবার কখনও প্রগতিশীল সুশীল সমাজের সদস্য। মুরতাদরাই আসলে সৎসাহসী।
@বিজয়, এটা কি আপনার নিজের লেখা নাকি কোন কিছুর অনুবাদ? পড়ে একটু কনফিউসড হয়ে গেলাম।
একটা ছোট্ট সংশোধনঃ ‘তত্ব’ হবে না, ‘তত্ত্ব’ হবে। লেখার টাইটেল এ বানানটা দেখতে খারাপ লাগছে।
@রাহাত খান,
এটা আমার নিজেরই লেখা। আমার নিজের পেশাগত জীবনের পর্যবেক্ষন এখানে প্রতিফলিত হয়েছে।
সংশোধিত। ধন্যবাদ।