কথা হচ্ছে দুই বন্ধুর মধ্যে। অসীম আর সসীম।
বলা যায় বিতর্ক হচ্ছে। বিষয়টা হল, সুখ কি সীমাহীন হতে পারে কিনা। অসীমের ধারনা সুখ অবশ্যই সীমাহীন হতে পারে। অন্যদিকে সসীমের ধারনা ঠিক উলটো। সুখ কখনোই চিরস্থায়ী নয়।

অসীমঃ শোন, সুখ অবশ্যই চিরস্থায়ী হতে পারে। আমি যদি যা চাই তাই পাই তাহলে সুখ সীমাহীন হতে বাধা কোথায়?

সসীম একটু হেসে বলল, যদি চাওয়ার মত কিছু না থাকে তাহলে? আসলে যে কোন জিনিসেরই যদি নিরবিচ্ছিন্ন যোগান থাকে তাহলে মানুষের তাতে বিরক্তি আস্তে বাধ্য। মানুষ একটা জিনিস পেলে তখনই খুশি হয় যখন তাকে ঐ জিনিসের অভাববোধ তাড়িত করে।

অসীমঃ বুঝিয়ে বল।

সসীমঃ আচ্ছা, এমন একটা জিনিসের নাম বল তো যেটা পেলে এখন তুই খুশি হবি।

অসীমের চটপট উত্তর, একটা মার্সিডিজ গাড়ী।

সসীমঃ তুই এই গাড়ীটা চেয়েছিস কারন তোর কোন মার্সিডিজ নাই। যদি থাকত তাহলে তুই এটা চাইতিস না।

অসীমঃ তা অবশ্য ঠিকই বলেছিস। কিন্তু আমার তো আরও চাওয়া আছে।

সসীম বলল, আরে গাধা আছে তো। মানুষের চাওয়া থাকবেই। তবে তা অবশ্যই সীমাহীন নয়। তোর যদি সব থাকত তাহলে তুই কি চাইতিস? কিছুনা। কারন চাওয়ার মত কিছু থাকতে হবে তো।

অসীমঃ কিন্তু আল্লাহ তো আমাদের চিরস্থায়ী সুখের বর্ননা দিয়েছেন। সেগুলো কি তবে মিথ্যা?

সসীমঃ ধর্মের কথা না হয় বাদই দিলাম।

অসীমঃ আচ্ছা বাদ দে। চল বাসায় যাই।

সসীমঃ চল।

দুই বন্ধু রাস্তা পার হচ্ছে। সসীম সিগন্যাল না মেনেই রাস্তা পার হয়ে গেল। বন্ধুর দেখাদেখি অসীমও রাস্তা পার হওয়ার জন্য এগোল। তীব্রগতির একটা ট্রাক ডান দিক থেকে এসে হঠাৎ করে অসীমকে আঘাত করল। অসীম প্রথমে তীব্র ব্যাথা অনুভব করল। পরবর্তিতে সব কিছু অন্ধকার।

অসীম চোখ মেলল অদ্ভুত সুন্দর কিছু হাসির শব্দে। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারছিল না অসীম। চারদিকে তাকিয়ে দেখল। ভয়ঙ্কর সুন্দর বলতে যদি কিছু থাকে তাহলে তাই যেন অসীম দেখছিল। বৃক্ষশোভিত বিশাল বাগান, পাখির কুজন, একজায়গায় ছোট একটা ঝর্নাও দেখল। চারিদিক একধরনের উজ্জ্বল আভায় আলোকিত। কিন্তু সূর্য বা আলোর কোন উৎস দেখা যাচ্ছিল না।

বুঝতেই পারছিল না আসলে সে কোথায় আছে। হঠাৎ করেই একটা কিশোরী মেয়ে পেয়ালায় করে পানীয় জাতীয় কিছু একটা নিয়ে আসল। অসীমের বিষ্ময় আস্তে আস্তে বাড়ছিল। কিছুতেই অসীম বুঝতে পারছিল না কি ঘটছে এখানে। সেকি স্বপ্ন দেখছে?
কারন যে মেয়েটি এই মাত্র তাকে পানীয় দিয়ে গেল তার রুপের বর্ণনা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। চোখ ধাধানো রুপ।

অনেকটা সহসাই তার ঘুম ভাঙার আগের স্মৃতি মনে পরে গেল। তাহলে আমি এখানে কেন? অসীম নিজের কাছেই যেন প্রশ্ন করছিল। হঠাৎ করেই তার বোধদয় হল। তাহলে কি আমি এখন বেহেশতে? আবার মনে হল না না। তা কি করে হয়? বেহেস্তে আসার আগে তো কতগুলো ধাপ আছে। কবরে প্রশ্নত্তোর পর্ব, হাশরের ময়দান ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু তাহলে তার এই অবস্থার সংজ্ঞাই বা সে দেবে কিভাবে? অসীম ভাবল, আচ্ছা একটা পরীক্ষাতো করা যায়। ছোট বেলা থেকে শুনে আসছে যে বেহেস্তে যা চাওয়া হয় তাই নাকি পাওয়া যায়। এখন যদি আমি কিছু চাই তাহলে কেমন হয়?

অসীম মোটামুটি অনেকগুলো জিনিস চাইল এবং আশ্চর্যজনক ভাবে তার সবগুলো ইচ্ছাই পুরন হল! বলা বাহুল্য এরপরে অসীমের আর কোন সন্দেহই থাকল না যে সে এখন বেহেস্তেই আছে। এই কথা জানতে পেরে অসীম যারপরনাই খুশি হল। ভাবল
আহা এইত জীবন। আর কি চাই। এইতো আমার অন্তহীন সুখী জীবনের শুরু।

অসীমের এখানে আসার পরে প্রায় বছর পার হয়ে গেছে। সুখের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। কারন নতুন জিনিস প্রথম প্রথম একটু বেশীই ভাল লাগে। তারমানে কিন্তু এই নয় যে তার মনে আনন্দ নেই।
সে ভালো আছে, বেশ ভাল আছে এখানে।

একদিন অসীম ঘুড়তে বের হল। হাটতে হাটতে প্রায় কয়েকশত মাইল পাড়ি দিয়ে ফেলল। তারপরও অসীম এতটুকু ক্লান্তিবোধ করল না। এটা উপলব্ধি করতে পেরে সে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধায় নতজানু হয়ে গেল। সেজদা থেকে উঠে আবার হাটা শুরু করল। কিছুদুর যাওয়ার পর একটা প্রাসাদ অসীমের দৃষ্টি কাড়ল। প্রাসাদ এমন কোন ব্যাপার না যে তা অসীমকে অবাক করবে। বেসেস্তে আসার পরে এমন হাজারও প্রাসাদ সে তার নিজের জন্য বানিয়েছে। কিন্তু এই প্রাসাদটার মধ্যে এমন কিছু ছিল যা অসীমকে কাছে টানছিল। কাছে যাওয়ার পরে অসীম ব্যাপারটা ধরতে পারল। অসীম যে প্রাসাদগুলো বানিয়েছে সেগুলোর সাথে এর ব্যবধান আকাশ-পাতাল। ওগুলোর আভিজাত্যের সাথে এর তুলনা দেয়াও হাস্যকর। অসীম অনেকটা বিস্মিত দৃষ্টিতে প্রাসাদটার দিকে তাকিয়েছিল। কারন এই প্রাসাদের জৌলুসতো দুরের কথা পুরোপুরি শ্রীহীন লাগছিল। কোথাও প্রানের কোন চিহ্ন নেই। জনমানবহীন, রীতিমত নোংড়া। বেহেস্তে এতো নোংড়া জায়গা থাকতে পারে তা অসীমের কল্পনার বাইরে ছিল। কিন্তু এখন তো অবিশ্বাস করারও কিছু নেই। নিজের চোখের সামনেই সব দেখছিল।

বিস্ময়ের পরে এখন যে অনুভুতি অসীমের হল তা হচ্ছে কৌতুহল।
মনে অনেক প্রশ্ন নিয়ে সে প্রাসাদটার ভিতরে প্রবেশ করল। একেবারেই জীর্ন দশা। শব্দহীন, বর্নহীন, বিষেশত্বহীন একটা বিরাট রুম। অনেকটা দরবার হলের মত। গায়ে কাঁটা দেয়ার মত নির্জনতা বিরাজ করছে ভেতরে।
আসবাব বলতে তেমন কিছুই নেই। ঘুনে খাওয়া বিরাট একটা টেবিল, তাকে ঘিরে অনেকগুল ভাঙ্গা চেয়ার, ছেড়া কয়েকটা মাদুর, পানি খাওয়ার কয়েকটা কলসি। দেয়ালের চুনকাম বলতে অবশিষ্ট কিছুই নেই। সম্পুর্ন বাড়িতে একটা জিনিসেরই প্রবল প্রতাপ দেখা যাচ্ছিল, তা হল নিরবিচ্ছিন্ন নিরবতা।

অসীম বেসেস্তে আসা পর্যন্ত যতটুকু না বিস্মিত হয়েছে এখানে আসার পর তার থেকে বেশি বিস্মিত হচ্ছিল। কারন অসীমের মন থেকে তত দিনে দারিদ্রতা বলতে কিছু নেই। দারিদ্রতা তার মন থেকে হারিয়ে গেছে। এই প্রাসাদের দারিদ্রতা সহ সবকিছুই তাকে ভীষন রকম বিস্মিত করছিল। প্রাসাদের এই দারিদ্রের ছোঁয়ায় তার দুঃখ বোধ হচ্ছিল না। একটি মাত্র অনুভুতি তাকে ক্রমশ গ্রাস করছিল, তা হল বিস্ময়, চরম বিস্ময়। ঠিক করল তাকে এই প্রাসাদের রহস্য জানতেই হবে।

কিন্তু সমস্যা হল কোন মানুষজনের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। কার সাথে কথা বলবে সে? হঠাৎ করেই অসীম বলে উঠল,
কেউ কি আছেন?
কোন সাড়া পাচ্ছিল না অসীম।
তারপর হঠাৎ করেই তার পেছনে খুট করে একটা আওয়াজ হল। অসীম চড়কির মত পাক খেয়ে পেছনে ফিরল। দেখতে পেল একজন মানুষকে। একজন সাংঘাতিক ধরনের নোংড়া মানুষকে।
লোকটার গায়ের বোটকা গন্ধ অসীম এত দূর থেকেও পাচ্ছিল।
অসীম লোকটাকে দেখে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গেল। তার মাথায় হঠাৎ করেই একটা সম্ভবনার কথা খেলে গেল, সে কি কোন ভাবে নরকে চলে এসেছে? অবশ্য পরক্ষনেই এধরনের অলক্ষুনে ভাবনা মাথায় স্থান দেয়ার জন্য নিজেকে তিরষ্কার করল। যাই হোক, অসীম ভাবল, এই ডাষ্টবিনটার সাথেই কথা বলতে হবে।

-আসসালামুয়ালাইকুম, আমি অসীম।
-ওয়ালাইকুমুসসালাম।
কি জিজ্ঞেস করবে অসীম ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না।
যেন অসীমের কথা বুঝতে পেরেই লোকটি বলে উঠল,
– বিচলত হবেন না। আমি যখন প্রথম এসেছিলাম তখন আমারও এই অবস্থাই হয়েছিল।

অসীম জিজ্ঞেস করল, মানে?
লোকটি বলল, এই প্রাসাদ, আমাকে দেখে আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে না?
অসীম সম্মতিসুচক মাথা নাড়ল।

লোকটি তখন অসীমকে তার সাথে হাটার ইশারা করল। অসীম তার গায়ের গন্ধ থেকে নিরাপদ দুরত্বে থেকে হাটতে থাকল।

লোকটি কথা বলা শুরু করল। আমি এখানে মানে বেহেস্তে আসি তিনশ বছর আগে। প্রথম একশত বছর মোটামুটি আনন্দেই কাটে আমার। যা চাচ্ছিলাম তাই পাচ্ছিলাম, কার না ভাল লাগে বলুন। কোন কিছুরই অভাব ছিল না। কিন্তু তারপর থেকেই আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, আমার এই সব কিছুর প্রাপ্যতা ভাল লাগছিল না। আমার মনে পড়ল আমি পৃথিবীতে থাকার সময় মানুষের জন্য তেমন কিছুই করিনি। তবে হ্যা, আমি সারাদিন আল্লাহ’র ইবাদত বন্দেগী করে কাটিয়েছি। শুধুমাত্র এই জন্য আমি অনন্ত সুখের অধিকারী। আমার মনে পড়ল আমার ছোট ভাইটার কথা, যে কোন ঈশ্বরে বিশ্বাস করত না। ছিল আমার সম্পুর্ন উলটো। মানে আমি সারাদিন ইবাদত বন্দেগী করতাম আর ও সারাদিন রাজনীতি, সমাজসেবা এই সব নিয়েই ব্যস্ত ছিল। শেষের জীবনে এসে ও খুব বড় মাপের লেখক হয়েছিল। আজকে ও কোথায় জানেন? জাহান্নামে। শুধুমাত্র আল্লাহ’র উপর বিশ্বাস না আনার কারনে আজ ওর এই অবস্থা। অবশ্য পৃথিবীতে থাকতে আমার এই ধরনের উপলব্ধি ছিল না।

তারপরের আরো কয়েক দশকে আমি প্রায় পাগল হয়ে গেলাম। আমার কিছুই ভাল লাগছিল না। মনে হচ্ছিল এই কি অনন্ত সুখ?
আমার সবই ছিল, তারমাঝে আবার কিছুই ছিল না। আমি যা চাচ্ছিলাম তাই পাচ্ছিলাম শুধুমাত্র একটি জিনিস ছাড়া।
অসীম জিজ্ঞেস করল, কি?
লোকটি গম্ভীর স্বরে বলল, সুখ।

অসীমের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল লোকটির কথা। অসীম লোকটিকে পাগল-টাগল টাইপ একজন ধরে নিল।

লোকটি বলতে থাকল। পৃথিবীতে যত বই লেখা হয়েছিল আমি সব পড়ে নিলাম, যত গান সৃষ্টি হয়েছিল সব শুনে নিলাম। মোট কথা পৃথিবীর এমন কোন জিনিস নেই যা আমি জানিনা। যখন এ সবই শেষ হয়ে গেল, আমাকে একাকিত্ববোধ চেপে ধরল। আমার আজও স্পষ্ট মনে পড়ে আমার প্রাসাদ কত সরগরম থাকত সবসময়। কিন্তু সব কিছুর মাঝে আমি ছিলাম সম্পুর্ন একা।

যেদিন আমার দুইশত বছর এখানে আসার বয়স হল সেদিন আমি এখান থেকে দূরে কোথাও যাওয়ার পথ খুজতে লাগলাম। আসলে আমি চাচ্ছিলাম একটু দুঃখ,। যে দুঃখের মধ্যে দিয়ে আমি আমার মানসিক আনন্দ খুজে পাব। সেজন্য আমিও একদিন আপনার মত হাটা শুরু করলাম। হাটতে হাটতে এই প্রাসাদের সামনে এসে আমি চঞ্চল বোধ করি। কারন বেহেস্তের দুইশত বছরের জীবনে আমি সেই প্রথম বৈচিত্রতার দেখা পেয়েছিলাম। বেহেস্তের জৌলুস দেখতে দেখতে আমার অনুভুতিগুলো কেমন যেন ভোতা হয়ে গিয়েছিল। আমি ছটফট করছিলাম নতুন কিছু দেখার জন্য। সেই নতুনত্বের ছোঁয়াই আমাকে দিয়েছিল এই প্রাসাদ।

তারপর থেকে আমি এই প্রাসাদেই থাকি। ভাববেন না আমি এখানে একাই থাকি। এখানে আমার মত আরও অনেকেই আছে যারা বেহেস্তের সুখ সহ্য করতে না পেরে দুঃখ কুড়তে এখানে এসে পড়েছে।

এখানের নিয়ম সম্পুর্ন ব্যতিক্রম বেহেস্ত থেকে। সত্যি বলতে এখানের নিয়ম আমরাই তৈরী করে নিয়েছি। অবশ্যই আল্লাহ’র অনুমুতি ক্রমে। এখানের নিয়ম অনেকটা পৃথিবীর মত।

অসীম জিজ্ঞেস করল, যেমন?
অন্য বেহেস্ত বাসীদের মৃত্যু না ঘটলেও এখানের অধিবাসীদের মৃত্যু ঘটা সম্ভব।

অসীম বলল, সম্ভব মানে কি?
– এখানে যারা স্বইচ্ছায় আসে তারা আল্লাহ’র কাছ থেকে অনুমুতি নিয়েই আসে যে, তারা যখন চাইবে তখনই মৃত্যু বরন করতে পারবে।

অসীম বুঝতে পারছিল না, মৃত্যুই যদি হয় তাহলে আল্লাহ’র ওয়াদা করা অন্তহীন সুখের কি হবে? সে কথা জিজ্ঞেস করতে লোকটার মুখ দেখে মনে হল কোন অবুঝ শিশুকে বোঝাচ্ছে,

কেউ যদি মৃত্যুতেই সুখ পায় তাহলে মৃত্যুই কি তার জন্য অন্তহীন সুখ নয়?

অসীমকে পুরপুরি বিভ্রান্ত লাগছিল। সে আর কোন কথা না বলে যেদিক থেকে এসেছিল সে দিকেই হাটতে শুরু করল।

পেছন থেকে লোকটি বলে উঠল,
-আমাদের প্রাসাদের নামটি জেনে যান। কাজে লাগবে।
অসীম পেছনে না ফিরে একটু দাঁড়াল।
লোকটি বলল, ‘দুঃখের প্রাসাদ’।

একশত বছর পরের ঘটনা। অসীম তার নিজস্ব জৌলুসমার্কা প্রাসাদের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে। নিচে দাড়িয়ে আছে অনিন্দ সুন্দর দুটি ঘোড়ার একটি গাড়ি। অসীম গিয়ে গাড়িতে উঠে বসল।

চালক ফেরেস্তা অসীমকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করল সে কোথায় যেতে চায়।

অসীম কোন প্রকার সংকোচ না করে, একটি বারের জন্যেও পেছনে না তাকিয়ে নিচু কিন্তু দৃঢ় গলায় বলল,
“ দুঃখের প্রাসাদ”।